• ৫ আষাঢ় ১৪৩২, শনিবার ২১ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Apu

রাজ্য

Dilip Ghosh: বিক্ষোভের মুখে দিলীপ ঘোষ

ফের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ। বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাঁতন এলাকায় যাচ্ছিলেন দিলীপবাবু। বিকালে মনোহরপুর এলাকার কাছে তাঁর গাড়ি ঘিরে ধরেন স্থানীয়রা। গাড়ি আটকে তীব্র বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। নেমে আসেন দিলীপের দেহরক্ষীরা। তাতেও বিক্ষোভে প্রশমন হয়নি। এদিকে বিক্ষোভের মুখেও অবশ্য ঠান্ডা মাথায় পুরো ঘটনা ক্যামেরাবন্দি করতে দেখা যায় দিলীপ ঘোষকে। একবার তাঁর গাড়ির সামনে স্লোগান তুললে স্মিত হেসে দিলীপ হাত নেড়ে বলেন, কী হয়েছে? এদিকে ভিড় থেকে প্রশ্ন উঠে আসে তিন বছর দেখতে পাইনি কেন আপনাকে?, গো ব্যাক, বিজেপি দূর হঠো ইত্যাদি স্লোগান। যদিও এরপর গাড়িতে বসে থাকেন তিনি।প্রসঙ্গত, এদিন দাঁতন ব্লকে দলীয় কর্মীদের সাথে দেখা করার কথা ছিল এলাকার সংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। আর সেখানে যাওয়ার আগেই মনোহরপুরে তাঁর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের বলেই দাবি বিজেপির। নির্দিষ্ট জায়গায় যাওয়ার আগেই বাধা পেয়ে ফিরে আসতে হয় রাজ্য সভাপতি তথা এলাকার সাংসদকে। এদিনের বিক্ষোভের মধ্যে থেকে উঠে আসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ স্লোগান।

আগস্ট ১৮, ২০২১
রাজ্য

Boikanthapur GP: পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকে প্রধানকে শাসানোর অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে

পঞ্চায়েতে অফিসে ঢুকে মহিলা পঞ্চায়েত প্রধানকে শাসানোর অভিযোগ উঠল খোদ অঞ্চল তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের বৈকন্ঠপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে।এদিনই সন্ধায় অঞ্চল তৃণমূল নেতা মোজাম্বেল শাহের বিরুদ্ধে বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রধান শর্মিলা মালিক। এই ঘটনা শোরগোল ফেলে দিয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে।আরও পড়ুনঃ নীরজ চোপড়ার ইনস্টাগ্রামে অনুগামীর সংখ্যা দেখলে অবাক হবেন, সংখ্যাটা কত?পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগে প্রধান শর্মিলা মালিক জানিয়েছেন, এদিন বৈকন্ঠপুর ২ অঞ্চলের হাটশিমুল গ্রামের কিছু সমস্যা নিয়ে তিনি সেখানকার কয়েকজনের সঙ্গে পঞ্চায়েত অফিসে আলোচনা করছিলেন। ওই সময়ে দুই জনকে সঙ্গে নিয়ে মোজাম্মেল শাহ পঞ্চায়েত অফিস রুমে ঢুকে তাঁকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এমনকি তাঁকে পঞ্চায়েত থেকে বের করে দেবে বলে রীতিমত শাসায়। পঞ্চায়েত কর্মীরা অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা মোজাম্মেল সাহকে এরপর পঞ্চায়েত থেকে বের করে দেয়। পঞ্চায়েত প্রধান শর্মিলা মালিক বলেন, তৃণমূল নেতা মোজাম্মেল শাহর এমন হুমকি শাসানির করণে তিনি নিরাপত্তার অভাব বোধ করে বর্ধমান থানায় মোজাম্মেল সাহ-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। পঞ্চায়েত প্রধান এদিন আরও বলেন, বিধানসভা ভোটের আগে পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সহ বেশ কয়েকজন সদস্য ও সদস্যা তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছিল। কিন্তু তাতে তাঁরা সফল হয়নি। সেই থেকে তাঁরা পঞ্চায়েতের কোনও মিটিংয়ে আসছেন না। ফলে এলাকার উন্নয়নের কাজও বিঘ্নিত হচ্ছে। এমন অবস্থা তৈরি হওয়ার জন্য মোজাম্মেল শাহ তাঁকে দায়ী করে হামেশাই শাসায়। এমনকী প্রতিদিনই সোশাল মিডিয়ায় তাঁকে উদ্দশ্য করে ওই তৃণমূল নেতা আক্রমণ করে চলেছেন বলেও প্রধান শর্মিলা মালিকের অভিযোগ।আরও পড়ুনঃ বিশ্ব আদিবাসী দিবসে দুয়ারে জাতিগত শংসাপত্র পেলেন জামালপুরের আদিবাসীরাপঞ্চায়েত প্রধান এমন অভিযোগ করলেও তৃণমূল নেতা মোজাম্মেল শাহ তা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, আমি একজন সাধারন মানুষ হিসাবে জানতে গিয়েছিলাম কেন এলাকায় উন্নয়নের কাজ হচ্ছে না। উল্টে প্রধান মেজাজ হারিয়ে তার টেবিলে থাকা কাগজপত্র ফেলে দেন। পঞ্চায়েতে যদি সদস্যদের অনুপস্থিতির জন্য উন্নয়নের কাজ না হয় তাহলে তার নৈতিক দ্বায়িত্ব নিয়ে প্রধানের নিজের পদ থেকে সরে যাওয়া উচিত বলে মোজাম্বেল শাহ দাবী করেছেন। এই বিষয়ে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, কি ঘটেছে তা জানা নেই। তবে দলের উর্ধ্বে উঠে কেউ নিজের মতো করে কিছু দাবী করতে পারে না। সমস্যা বা অভিযোগ থাকতেই পারে। সেই ক্ষেত্রে দলীয় নেতৃত্বকে জানাতে হবে। এটাই আমাদের দলের নিয়ম। ঘটনার বিষয়ে বিজেপির জেলা নেতা কল্লোল নন্দন কটাক্ষ করে বলেন, ভাগ বাটোয়ারা নিয়েই ওনাদের অশান্তি বলে শুনেছি।

আগস্ট ১০, ২০২১
রাজ্য

Vandalizing : পুলিশের উপরে হামলা ও পুলিশ গাড়ি ভাঙচুরের দায়ে গ্রেপ্তার প্রৌঢ়

পুলিশে উপর হামলা ও পুলিশ গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন এক বৃদ্ধ। ধৃতের নাম বদরে আলম শেখ ওরফে মিঠু। তার বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানার মির্জাপুর গ্রামে। মেমারি থানার পুলিশ শনিবার ভোরে বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে। এদিনই ধৃতকে পেশ করা হয় বর্ধমান আদালতে। সিজেএম ধৃতকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।আরও পড়ুনঃ এবার দলের কর্মীদের দিয়ে পায়ে জুতো গলিয়ে বিতর্কে বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়কপুলিশ জানিয়েছে, গত ২৫ জুলাই মেমারি বড় পলাশন গ্রামে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে মারপিট হয়। খবর পেয়ে পুলিস সেখানে পৌঁছায়। পুলিশ জমায়েত সরানো ও দুপক্ষকে গণ্ডগোল থামানোর জন্য বলে।সেই কথা না শুনে উল্টে কয়েকজন পুলিশের উপর হামলা চালায়। পুলিসকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছোঁড়া শুরু করে। ইটের ঘায়ে পুলিসের একটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর মেমারি থানার ওসি বিশাল পুলিশী বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ঘটনার বিষয়ে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা, পুলিশের উপর হামলা চালানো ও সরকারি কর্মীকে কাজে বাধা দেওয়া এবং ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্টে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে পুলিশ। সেই মামলায় বদরে আলম শেখ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হল।

আগস্ট ০৮, ২০২১
রাজ্য

Murder: পর পর কন্যা সন্তানের জন্ম দেওয়া গৃহবধূকে খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার স্বামী

পর পর কন্যা সন্তানের জন্ম দেওয়া বধূকে খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার হল স্বামী। ধৃতের নাম বিশ্বজিৎ সরকার। তার বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানার গন্ধর্বপুরে। মেমারি থানার পুলিশ মঙ্গলবার রাতে বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। পলাতক শ্বশুর বাড়ির বাকি সদস্যরা। পুলিশ বুধবার ধৃতকে পেশ করে বর্ধমান আদালতে। খুনের ঘটনার পুনর্নির্মাণ ও পালাতক অভিযুক্তদের হদিশ পেতে তদন্তকারী অফিসার ধৃতকে ৭ দিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানান। সিজেএম ধৃতকে ৫ দিন পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।আরও পড়ুনঃ বধূকে ধর্ষণের পর সোনার গয়না ও টাকা হাতানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার যুবকপুলিশ জানিয়েছে, কালনা থানার বেলকুলি গ্রামের বাসিন্দা শ্যামল কুমার ঘোষের মেয়ে শাশ্বতীর সঙ্গে ১৪ বছর আগে বিয়ে হয় বিশ্বজিৎ-এর। শাশ্বতী কন্যা সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর থেকেই শ্বশুরবাড়িতে তাঁর উপর নির্যাতন শুরু হয়। দ্বিতীয় কন্যা সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর থেকে বধূ শাশ্বতীর উপর অত্যাচার আরও বাড়ে। অত্যাচার বন্ধের জন্য গৃহবধূর বাপের বাড়ির লোকজন বেশ কয়েকবার আলোচনায় বসেছিলেন। কিন্থু অত্যাচার বন্ধ হয়নি। তারই মধ্যে মঙ্গলবার গভীর রাতে বিশ্বজিৎ শ্বশুরবাড়িতে ফোন করে তাঁর স্ত্রীর মৃত্যু সংবাদ দেয়। শ্বশুরবাড়ির লোকজন পাহাড়হাটি হাসপাতালে পৌছে শাশ্বতীকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। শাশ্বতীর কপালে গভীর ক্ষতচিহ্ন ও গলায় কালশিটে দাগ দেখে বাপের বাড়ির লোকজন অভিযোগ করেন শাশ্বতীকে খুন করা হয়েছে। বধূর বাবা মেমারি থানায় তাঁর জামাই সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে শাশ্বতীকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে বধূ নির্যাতন ও পরিকল্পনা মাফিক খুনের ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ গৃহবধূর স্বামীকে গ্রেপ্তার করে।

আগস্ট ০৪, ২০২১
রাজ্য

Water Logged: জল যন্ত্রণার শিকার দুর্গাপুরের মহালক্ষ্মী পার্কনিবাসীরা, চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রীকে

রাজ্যজুড়ে সক্রিয় মৌসুমী বায়ু। তার উপর আবার নিম্নচাপ। দুয়ে মিলে রাজ্যজুড়ে প্রবল বর্ষণ। জলমগ্ন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত। আর এই জলযন্ত্রণার শিকার দুর্গাপুর বিধাননগরের মহালক্ষ্মী পার্ক। এলাকায় পাকা নর্দমার অভাবে টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন অবস্থায় দিন কাটছে মহালক্ষ্মী পার্ক নিবাসীবৃন্দর। স্থানীয় প্রশাসনকে বারংবার বলে কাজ না হওয়ায় অগত্যা দুর্গাপুর পৌর নিগম-এর মেয়রকে উদ্দেশ্য করে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। সেখানে তাঁরা উল্লেখ করেছেন যে, স্থানীয় প্রশাসনকে বিগত বছর ধরে জানিয়েও কোনও সুরহা পাননি। আরও পড়ুনঃ সিবিএসই দ্বাদশের ফলপ্রকাশ, পাশের হার ৯৯.৩৭%এক ঘণ্টা ভারী বৃষ্টি বা মাঝারি বৃষ্টিপাতেই এলাকার নালা ভরে রাস্তায় আবর্জনাজল উঠে আসে। ঝর্নাপল্লী বিধাননগর হাউজিং ও শরৎপল্লী এলাকায় এই আবর্জনা জলের সঙ্গে বাড়ির পাশেপাশে উঠে আসে বিষধর সাপ, ব্যাঙ ও নানা পোকামাকড়। দীর্ঘদিনের সমস্যা বৃ্হস্পতিবারের বৃষ্টির পর আরও বেড়ে গিয়েছে। বৃষ্টি থামলেও জল নামেনি এলাকার। বাড়িতে প্রায় জলবন্দি অবস্থায় দিন কাটাতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। বাড়ির ভিতরে জল ঢুকে গিয়ে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের পরিস্থিতিও সৃষ্টি হয়েছে। এমতাবস্থায় প্রত্যেকদিন এরকম আতঙ্কের মধ্যে থাকা যায়না বলে পুরমাতা লাভলী রায় ও বরো চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। এরওপর মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য এই প্রচেষ্টা বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। যাতে সত্ত্বর এই সমস্যা থেকে মুক্তি পায় এলাকার বাসিন্দারা। এবং নির্ভয়ে বসবাস করতে পারেন।

জুলাই ৩১, ২০২১
রাজ্য

Note: ঝোপ থেকে উদ্ধার বাতিল ৫০০-র নোট

পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরে রাস্তার ধারে ঝোপজঙ্গল থেকে উদ্ধার হল লক্ষাধিক টাকার পুরনো পাঁচশো টাকার নোট! আগাছা পরিষ্কার করতে গিয়ে এই পুরনো ৫০০ টাকা ভর্তি বস্তা দেখতে পান ১০০ দিনের কাজের সাফাইকর্মীরা। প্রায় পাঁচ বছর আগে নোট বাতিলে অচল হয়ে যাওয়া এত পুরনো নোট কীভাবে এলাকায় এল, তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। গোটা ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে।নোট বাতিলের প্রায় ৫ বছর পর বাতিল পাঁচশো টাকার নোটের দেখা মিলল পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরের সিজোন এলাকায়। সেখানে পড়েছিল গুচ্ছ গুচ্ছ বাতিল ৫০০ টাকার নোট। রাস্তার ধারে দুর্গাপুর পুরসভার আগাছা সাফাইয়ের কাজ চলছিল। সেই সময় শ্রমিকরা দেখতে পান নোটগুলি। কোথা থেকে কীভাবে এল লক্ষাধিক টাকার পুরনো নোট, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। উল্লেখ্য, ২০১৬-র ৮ নভেম্বর ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । দুর্নীতি ও কালো টাকা দমনে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয় বলে জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তখনকার সময়ে চালু থাকা ৫০০ ও হাজার টাকার নোটকে বাতিল বলে ঘোষণা করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণায় রাতারাতি কাগজের টুকরোয় পরিণত হয় ৫০০ ও হাজার টাকার নোট।

জুলাই ২৬, ২০২১
কলকাতা

Fire: কেষ্টপুরে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড, ক্ষয়ক্ষতি বহু

ফের শহরে বড়সড় অগ্নিকাণ্ড।কেষ্টপুরের শ্বতরূপা পল্লিতে বিধ্বংসী আগুন লাগে মধ্যরাতে। পুড়ে ছাই ৩০টিরও বেশি দোকান। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন দমকল কর্মী। জানা গিয়েছে, গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আরও পড়ুনঃ এরোটিক ভিডিয়ো মানে পর্ন নয় : শিল্পা শেট্টিভিআইপি রোডের ধারে ভোর দু-টো নাগাদ হঠাৎই আগুন লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে আসে দমকলের ১৫টি ইঞ্জিন। ৫০টিরও ওপরে ঝুপড়ি ঘর পুড়ে গিয়েছে। সকাল গড়িয়ে গেলেও আগুন নেভানোর কাজ চলতে থাকে। সকালে বেশ কয়েকটি জায়গায় পকেট ফায়ার রয়েছে। মধ্যরাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন সুজিত বসু। আনা হয় অত্যাধুনিক রোবট। সেই রোবটের সাহায্যেই জল দেওয়া হয়। একের পর এক গ্যাস সিলিন্ডার ফাটতে থাকে। আগুনে পুড়ে ছাই গোটা এলাকা। অনেকেই নিজের দোকান থেকে জিনিস বের করার চেষ্টা করেন। স্থানীয় মানুষ উদ্ধারকার্যে হাত লাগায়। সুজিত বসু বলেন, ২ টোর সময় এখানে আগুন লাগে। তখনই এখান থেকে ফোন যায় আমার কাছে। দমকল ও পুলিশকে জানানো হয়। এখানে অনেক গরিব মানুষের দোকান ছিল। সেগুলি সম্পূর্ণ পুড়ে গিয়েছে। দোকানের তালিকা ধরে দেখা হবে। সবচেয়ে স্বস্তির খবর, কোনও মানুষ আটকে পড়েননি।

জুলাই ২৫, ২০২১
রাজ্য

Bomb Blast: কেতুগ্রাম বোমা বিস্ফোরণ কাণ্ডে ধৃত দুই, পলাতকদের খুঁজছে পুলিশ

মজুত রাখা বোমা বিস্ফোরণে বাড়ি ভেঙে পড়ার পর গা ঢাকা দেওয়া ষাটোর্দ্ধ বাড়ির মালিক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করলো পুলিশ। ধৃতদের নাম সাক্ষী ঘোষ ও মিনতি ঘোষ। পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রাম থানার সুজাপুর গ্রামে ধৃতদের বাড়ি। বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। পরিবারের বাকি সদস্যরা এখনও গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে। পুলিশ তাদের সন্ধান চালাচ্ছে। বৃহস্পতিবার দুই ধৃতকেই পেশ করা হয় কাটোয়া মহকুমা আদালতে। বোমাগুলি কোথা থেকে এনে কি উদ্দেশ্যে বাড়িতে মজুত করা হয়েছিল সেই তথ্য উদ্ধারের জন্য তদন্তকারী অফিসার ধৃত সাক্ষী ঘোষকে নিজেদের হেপাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানান । বিচারক সাক্ষী ঘোষের ৩ দিনের পুলিশি হেপাজত ও স্ত্রী মিনতি ঘোষকে ১৪ দিন জেল হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।আরও পড়ুনঃ চমৎকারী শ্রীফল, জানুন নানাবিধ উপকারপুলিশ জানিয়েছে,গত বৃহস্পতিবার ভোররাতে সুজাপুর গ্রামের বাসিন্দা সাক্ষী ঘোষের বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের জেরে ভেঙে পড়ে ঘোষ পরিবারের কংক্রিটের বাড়ির ছাদ ও দেওয়ালের একাংশ। ফাটল ধরে যায় বাড়ির অন্য দেওয়ালগুলিতেও। এই ঘটনার জেরে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।বিস্ফোরণের খবর পেয়েই কেতুগ্রাম থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। তারই মধ্যে বাড়ি ছেড়ে গা ঢাকা দেয় সাক্ষী ঘোষ ও মিনতি ঘোষ সহ পরিবারের ৮ সদস্য।আরও পড়ুনঃ চুক্তিপত্রে সই না করায় প্রতিবাদের ঝড় ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতে, কর্তাদের পদত্যাগ দাবিগোটা বাড়ি খতিয়ে দেখার পর পুলিশ নিশ্চিৎ হয় বোমা বিস্ফোরণের কারণেই সাক্ষী ঘোষেদের বাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর পরেই পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে তদন্তে নেমে বাড়ির পলাতক লোকজনের খোঁজ শুরু করে ।বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ ঘোষ বাড়ির গৃহকর্তা ও গৃহকর্তীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এদিন ফরেনসিক দল বোমা বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রত বাড়িটি সরোজমিনে খতিয়ে দেখে। শনিবার ফরেনসিক দল কেতুগ্রামে বোমা বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি খতিয়ে দেখতে আসছে বলে জানা গিয়েছে।

জুলাই ২৩, ২০২১
বিনোদুনিয়া

Aparajita Apu : অপরাজিতা অপুর ২০০ তম এপিসোড

সোম থেকে শনি রাত সাড়ে ৮ টায় জি বাংলায় জনপ্রিয় সিরিয়াল অপরাজিতা অপু দেখেন দর্শকরা। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই এই ধারাবাহিক দর্শকদের মধ্যে আলাদা ভালোবাসার জায়গা করে নিয়েছে। দর্শকদের এই প্রিয় ধারাবাহিক আজ ২০০ তম এপিসোডে পা দিল।এই বিশেষ মুহূর্তকে উদযাপন করেন এই ধারাবাহিকের সকল কলাকুশলীরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার বিভিন্ন ছবিও শেয়ার করেন তারা।২০০ তম এপিসোড অভিনেত্রী মৌলি দত্ত অর্থাৎ সিরিয়ালে দিপ্যমান মুখার্জির বোন বর্ষা জনতার কথা কে জানান,আমাদের জার্নিটা শুরু হয়েছিল নভেম্বরে। তারপর বেশ কটা দিন আমরা একসঙ্গে কাজ করলাম। প্রথম যেদিন শুট শুরু হয়, একটা নতুন ইউনিট নতুন সবকিছু। অনেকে চেনা ছিল আবার অনেকের সঙ্গে এখানে এসে পরিচয় হয়েছে। তো পরবর্তীকালে এটা একটা ফ্যামিলির মতো হয়ে গেছে। এখন শুটিং না থাকলে বাড়িতে থাকলে মনখারাপ লাগে। তিনি আরও জানান,আজকে আমাদের ২০০ এপিসোড হল। আমাদের পার্টিটা হয়নি। পরে হবে। আজকে জি বাংলা থেকে পাঠানো কেক দিয়ে একটা ছোটখাটো সেলিব্রেশন হল। সবাই মিলে আফটার প্যাক আপ আমরা একসাথে কেক কাটলাম। আমরা চাই অপরাজিতা অপুর ২০০ এপিসোড যেন ২০০০ এপিসোড বা আরও বেশি এপিসোড হয়।

জুলাই ২২, ২০২১
রাজ্য

Ketugram Blast: ভাতারের পর কেতুগ্রামে বোমা বিস্ফোরণে উড়ল আস্ত কংক্রিটের বাড়ি, পলাতক বাড়ির লোকজন

মজুত বোমা বিস্ফোরণে বাড়ি ভঙে পড়ার ঘটনা ঘটেই চলেছে পূর্ব বর্ধমানে। ভাতারের বানেশ্বরপুর গ্রামের পর বৃহস্পতিবার ভোর রাতে বোমা বিস্ফোরণের জেরে ভেঙে পড়লো কেতুগ্রামের সুজাপুর গ্রামের জনৈক সাক্ষীগোপাল ঘোষের বাড়ির একাংশ। বোমা বিস্ফোরণের কারণে জখম হওয়া বাড়ির মালিক সহ ৩ জনই গা ঢাকা দিয়েছেন বলে স্থানীয়দের দাবি। পুলিশ বাড়িটি ঘিরে রেখে পলাতকদের সন্ধান চালাচ্ছে। এই ঘটনা জানাজানি হতেই কেতুগ্রামে তুঙ্গে উঠেছে তৃণমূল ও বিজেপির তর্জা।আরও পড়ুনঃ প্রকাশিত উচ্চ মাধ্যমিকের ফল, ৪৯৯ পেয়ে প্রথম মুর্শিদাবাদের ছাত্রীসুজাপুর গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তাঁদের গ্রামেই সাক্ষীগোপাল ঘোষের একতলা পাকা বাড়ি। সেই বাড়িতে থাকেন সাক্ষীগোপালের স্ত্রী, ছেলে, পুত্রবধূ ও ভাইসহ মোট ৬ জন সদস্য।প্রতিবেশীরা বলেন, এদিন ভোর রাতে বিকট বিস্ফোরণের কেঁপে ওঠে এলাকা। তারপরেই এলাকার সবাই যে যার ঘর থেকে বেরিয়ে দেখেন সাক্ষীগোপালের পাকা কংক্রাটের বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়েছে। এমনকি সাক্ষীগোপালের বাড়ির পাকা দেওয়ালগুলিতেও ফাটল দেখতে পান গ্রামবাসীরা। ঘটনা নিয়ে এলাকার বাসিন্দা মহলে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এলাকা সূত্রে খবর, বোমা বিস্ফোরণে সাক্ষীগোপাল ছাড়াও তাঁর ছেলে ও ভাই আহত হয়েছেন। গ্রেপ্তারি এড়াতে ঘটনার পরেই আহতদের সবাইকে নিয়ে পালিয়ে যায় পরিবারের বাকি সদস্যরা।আরও পড়ুনঃ রাজ্যে সামান্য বাড়লেও দেশে করোনা সংক্রমণে স্বস্তিএই বিস্ফোরণের খবর পেয়েই এদিন সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কেতুগ্রাম থানার পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ বাড়িটি খতিয়ে দেখে। বাড়িতে আর বোমা মজুত রাখার আছে কিনা খতিয়ে দেখার জন্যে বোম ডিসপোজাল স্কোয়াডে খবর দেওয়া হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ওই বাড়িতে মজুত থাকা একাধিক বোমা বোস্ফোরণ ঘটাতেই বাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলা পুলিশের কর্তাদের কথাতেই স্পষ্ট, পলাতকদের খুঁজে বার করাটাই এখন পুলিশের কাছে বড় চ্যালেঞ্জের বিষয় হয়ে দাঁড়িছে। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ধ্রুব দাস জানিয়েছেন ,পুলিশ ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করছে।আরও পড়ুনঃ পেগাসাস স্পাইওয়্যার! ভাবের ঘরে চুরি? আপনি কতটা সুরক্ষিত? আক্রান্ত কারা?সুজাপুর গ্রামের বিস্ফোরণ প্রসঙ্গে বিজেপির পূর্ব বর্ধমান কাটোয়া সাংগাঠনিক জেলার সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষ বলেন, সুজাপুর গ্রামে যার বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটেছে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের একজন সক্রিয় কর্মী। ওই বাড়িতেই বোমা মজুত রাখা হয়েছিল। কোনও ভাবে তাতে বিস্ফোরণ হয়ে যায়। তার পরেই বোমা মজুত রাখার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। বোমা মজুতের ঘটনায় জড়িত সকলের কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন বিজেপি নেতা কৃষ্ণ ঘোষ। যদিও সাক্ষীগোপালের ছেলে শুভজিৎকে বিজেপি কর্মী বলে পালটা দাবি করেছে তৃণমূল। কেতুগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক শেখ শাহনাওয়াজ বলেন, তাঁর বিধানসভা এলাকা অনেক বড়। তার মধ্যে কে কাকে ভোট দিয়েছে বা কে কোন দলের সমর্থক অত খবর রাখা কারোও পক্ষেই সম্ভব নয় । পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে৷ আইন আইনের পথে চলবে। কেউ দোষী হলে শাস্তি পাবে।

জুলাই ২২, ২০২১
রাজ্য

Suvendu Adhikari: আত্মতুষ্টিই ধস নামিয়েছে বিজেপিতে, মুখ খুললেন শুভেন্দু

একুশের ভোটে হারের কারণ বিজেপির আত্মতুষ্টিই। দলের হারের কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এর আগে বাংলায় বিজেপির পর্যুদস্তের কারণ হিসাবে অনেক কথাই উল্লেখ করেছেন দিলীপ ঘোষ থেকে তথাগত রায়রা। এবার মুখ খুললেন শুভেন্দু।আরও পড়ুনঃ নিশীথের নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্নচিহ্নএদিন চণ্ডীপুরে বিজেপির এক সাংগঠনিক সভায় বক্তব্য রাখেন বিধানসভার বিরোধী নেতা। সেখানে বিজেপির হারের কারণ উল্লেখ করতে শোনা যায় তাঁকে। বলেন, আত্মতুষ্টির কারণেই বিধানসভার ভোট পরাজয় হয়েছে বিজেপির। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন রাজ্যে ২৯৪ এর মধ্যে ১৭০-১৮০ সিট পেয়ে যাব, খেজুরি নন্দীগ্রাম, ভগবানপুর, নন্দকুমার জিতে যাব, চণ্ডীপুরটা হারলে হারুক। এই আত্মতুষ্টির কারণেই আমাদের পরাজয় ঘটেছে।আরও পড়ুনঃ নতুন সিনেমার শুটিং শুরু করলেন জুন মালিয়াদলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে শুভেন্দু বলেন, আপনারা অনেকে, নিজেদের প্রার্থীর সম্পর্কে খারাপ কথা বলেছেন। নিজেরা অনেকেই আত্মতুষ্টিতে ভুগেছেন। ভেবেছেন পূর্ব মেদিনীপুর ১৬ টা সিট, রাজ্যে ২৯৪ সিট। ১৭০-৮০ তো হয়ে গিয়েছে। চণ্ডীপুরটা হারলে হারুক। নন্দকুমার তো জিতে গিছে, ভগবানপুর তো জিতে গিয়েছে, নন্দীগ্রাম তো জিতে গেছে, আমারটা হারলে হারুক। এই করতে গিয়ে হেরেছেন।আরও পড়ুনঃ মুকুল রায়ের বিধায়কপদ খারিজ শুনানি: এবার আদালতেরও আশ্রয় নেব, বললেন শুভেন্দুউল্লেখ্য, মুকুল রায় বিজেপি ছেড়ে ফের তৃণমূলে যাওয়ার পর বিজেপিতে ভাঙন আরও তীব্র হয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। যদিও বিষয়টিকে আমল দিতে নারাজ শুভেন্দু।তিনি বলেন, ভাবছেন এ চলে গেল, ও চলে গেল। এতে এতটুকু বিচলিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। মুকুলবাবু কোথা থেকে আগে জেতেননি। ২০০১ সালে জগদ্দলে প্রার্থী হয়েছিলেন হেরেছেন। আর এবার যেখানে বিজেপির লোকসভা ভোটে লিড ছিল ৫০ হাজার। ওই আসনে সহায়কের কাজ করেন এমন লোককে দাঁড় করালেও ৫০ হাজার ভোটে জিতত। সেই আসনে ভারতীয় জনতা পার্টি সিনিয়র নেতার মর্যাদা দিয়ে তাঁকে দাঁড় করিয়েছিলেন। ছেলের ব্যবসা রক্ষা করে তিনি বিজেপি ছেড়েছেন, তাতে আমাদের কী?

জুলাই ১৮, ২০২১
রাজ্য

Murder: দুর্গাপুরে দিদিকে ইট দিয়ে থেতলে খুন, গ্রেফতার ভাই

পারিবারিক সম্পত্তিগত বিবাদে নিজের দিদিকে মাথায় ইট দিয়ে থেতলে খুন করল ভাই। রবিবার দুর্গাপুরের নিউটাউনশিপ থানার স্টিল পার্কের এই নৃশংস খুনের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। জানা গিয়েছে, মৃতা নুপুর চ্যাটার্জী(৪৬) হাওড়াতে থাকতেন। ভোটের আগে দুর্গাপুরে স্টিল পার্কে বাড়িতে এসেছিলেন। আর এরপর থেকেই দীর্ঘদিনের সম্পত্তিগত বিবাদ ফের মাথা চাড়া দেয়।আরও পড়ুনঃ ছাদ থেকে পড়ে বৃদ্ধার মৃত্যু, আত্মহত্যা না দুর্ঘটনা?পুলিশের বক্তব্য, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে সম্পত্তি নিয়ে বাড়িতে ছোটখাটো ঝঞ্ঝাট লেগেই থাকত। এদিন ইট দিয়ে মাথায় আগাত করে দিদিকে মেরে ফেলে ভাই। তারপর নিজেও আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছিল। ঘটনার কথা সে স্বীকারও করেছে। বাড়িতে বিধবা মা-ও থাকেন। তদন্তে বিষয়টা আরও স্পষ্ট হবে।রবিবার দুপুরে দু এক কথা হতে হতে ঝগড়া চরমে ওঠে। নুপুরদেবী বাড়ীর ছাদে কাপড় মেলতে উঠেছিল। ঠিক সেই সময় নুপুরের দাদা মলয় বাড়ীর ছাদে উঠে দিদিকে চেপে ধরে মাথায় ইটের আঘাত করতে শুরু করে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় নুপুর চট্টোপাধ্যায়ের। প্রতিবেশীরা এই খবর জানতে পেরে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে অভিযুক্ত মলয় চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করে। মলয় দুর্গাপুরের বেসরকারি এক কলেজের কর্মী। গোটা ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে দুর্গাপুরের নিউটাউনশীপ থানার স্টিল পার্ক এলাকায়।আরও পড়ুনঃ হিজবুল মুজাহিদিনের নামে হুমকির সিডি রায়গঞ্জে, হুঙ্কার প্রাথমিকে নিয়োগ নিয়েএদিনের ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছেন মলয়ের স্ত্রী মৌমিতা চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, এদিন ননদ জামাকাপড় মেলতে ছাদে উঠছিল। তখন তাঁর পিছনে আমার স্বামীও ওঠে। ননদের চিৎকার শুনতে পাই। আমার স্বামী ইট দিয়ে ননদের মাথায় আঘাত করতে থাকে। সে নৃশংস দৃশ্য। নিমিষেই সব শেষ হয়ে যায়। নিয়মিত বাড়িতে ঝগড়া হয়। তবে এদিন তেমন কিছু হয়নি। বিয়ের পর থেকে বাড়ির অন্যরা আমাকে মেনে নিতে পারেনি। আমি বলেছিলাম বাড়ি ছেড়ে ভাড়াবাড়িতে গিয়ে উঠি।

জুলাই ১৮, ২০২১
ভ্রমণ

Rakhal Raja: রাখাল রাজের দেশে, বিস্তীর্ণ প্রান্তর যেথায় দিগন্তে গিয়ে মেশে

বহু দিন ধরে বহু ক্রোশ দূরেবহু ব্যয় করি বহু দেশ ঘুরেদেখিতে গিয়েছি পর্বতমালা,দেখিতে গিয়েছি সিন্ধু।দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়াঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়াএকটি ধানের শিষের উপরেএকটি শিশিরবিন্দু। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কবির প্রকৃতি প্রেম খুব সুন্দর করে এই পংক্তি গুলির মধ্যে ফুটে উঠেছে। সত্যিই তো আমাদের চারপাশে ছড়িয়ে আছে অসংখ্য দর্শনীয় স্থান, প্রকৃতি যেখানে জিঅকৃপণ ভাবে নিজেকে সাজিয়ে রেখেছে, তার কতটুকুই বা আমরা জানি। লকডাউনের বিধিনিষেধ দূর ভ্রমণে বাধা হলেও, অদূর ভ্রমণের সুযোগ করে দিয়েছে। মুক্তির স্বাদ খুব অল্প সময়ের হলেও তা প্রাপ্তির ভাণ্ডার কে পরিপূর্ণ করে তোলে। প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে গিয়ে অপার আনন্দ অনুভব করার এমনই এক ঠিকানা রাখাল রাজার মন্দির।প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী মন্দিরময় স্থান কালনা। কালনার ই বৈদ্যপুর রথতলা থেকে মিনিট ১৫ গেলেই গোপালদাসপুর গ্রামে অবস্থিত এই রাখাল রাজ মন্দির। নিরিবিলি পরিবেশ, চারদিকে বিস্তীর্ণ সবুজ প্রান্তর, পাখির কলকাকলিতে মুখরিত, তার মাঝখানে লাল ইটের তৈরি প্রাচীন মন্দিরে রাখাল রাজ বিরাজমান। প্রকৃতি এখানে রাখাল রাজের খেলার উপযুক্ত স্থান হিসাবেই নিজেকে সাজিয়ে রেখেছে। মন্দির এর সামনে বিস্তৃত নাট মন্দির, তার দেয়ালে শ্রীকৃষ্ণের বাল্য লীলার নানান কাহিনী যেমন পুতনা বধ, ননী চুরি, কংস বধ ইত্যাদি ছবির মাধ্যমে বর্ণিত আছে।মন্দিরের গর্ভগৃহে তিনটি মূর্তি রয়েছে, সবচেয়ে বড় রাখাল রাজের মূর্তি, আকাশী নীল গায়ের রঙ, বড় বড় টানা চোখ, বাম হাতে নাড়ু আর ডান হাতে লাঠি নিয়ে গোপবালকদের দলপতির মত সমস্ত কিছু পরিচালনা করছেন। দুপাশে সাদা গাভী। তাঁর ডানদিকে ছোট রঘুনাথ মূর্তি, গায়ের রঙ সবুজ আর বামদিকে গোপীনাথজী আকাশী নীল গায়ের রঙ। মূর্তিগুলি অপরূপ মায়াময়, তাকিয়ে থাকলে প্রশান্তিতে মন ভরে যায়। পুরোহিতের সাথে কথা বলে যা ইতিহাস জানা গেল তা প্রায় ৫০০ বছর আগের, বেশিরভাগটাই জনশ্রুতির উপর ভিত্তি করে।কাহিনীটি অনেকটা এরকম, বর্ধমানের খাতুন্দীর বাসিন্দা গোপীনাথ ভক্ত রামকানাই গোস্বামী বর্গী আক্রমণের ভয়ে বা পারিবারিক কলহের কারণে আরাধ্য দেবতাকে সাথে নিয়ে বৃন্দাবনের উদ্দেশ্যে রওনা হন।পথে ঘন জঙ্গল পড়ে, এদিকে গোপীনাথকেও ও ভোগ দেওয়ার সময় হয়ে আসায়, রামকানাই গোস্বামী জঙ্গলেই কাঠ কুটো জ্বালিয়ে রান্নার ব্যবস্থা করেন। এই সময়েই রাজা গোপালদাস তার সঙ্গী সাথীদের নিয়ে মৃগয়া করতে এসেছিলেন, পথে ক্লান্ত হয়ে ফেরার সময় দেখলেন জঙ্গলে এক জায়গা থেকে ধোঁয়া উঠছে। রাজা সেখানে সপারিষদ উপস্থিত হতে, গোস্বামী মহাশয় তাদের সাদর অভ্যর্থনা জানান, ও খেয়ে যেতে বলেন। গোপীনাথজী র অসীম কৃপায় একটা ছোট হাঁড়ির ভোগেই সবাই পরিতৃপ্তির সাথে খাওয়া সম্পূর্ণ করেন। রাজা গোপীনাথ এর মাহাত্ম্য বুঝতে পারেন এবং উনি রামকানাই গোস্বামীকে কিছু জমি দান করেন। মন্দির নির্মাণ করেন। তার নামানুসারে এই গ্রামের নাম গোপালদাসপুর।সেই দিন রাত্রে রামকানাই গোস্বামী স্বপ্নাদিষ্ট হন যে রাখাল রাজ বালকের বেশে তাকে বলছেন তার আর বৃন্দাবন যাত্রার প্রয়োজন নেই। পরের দিন পাশের যমুনা পুষ্করিণী তে যে কাঠ ভেসে থাকবে তাই নিয়ে নদীয়ার বাঘনাপারার এক পাঁচ বছরের বালকের কাছে গেলে, সে রাখাল রাজার মূর্তি তৈরি করে দেবে। স্বপ্নাদেশ পেয়ে রামকানাই পরের দিন পুষ্করিনী থেকে কাঠ সংগ্রহ করে, বাঘনাপাড়ায় গিয়ে সেই বালক, নাম মহাদেব, কে দিয়ে মূর্তি তৈরি করান, সেই মূর্তিই আজও পূজিত হয়ে আসছে। সেই বালকের বংশধরেরাই এখনো মাঘী পূর্ণিমার দিন মূর্তির অঙ্গরাগ করেন। পাশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন গোপীনাথ।রামনবমী ও জন্মাষ্টমী তে বড় উৎসব অনুষ্ঠিত হয়, প্রচুর ভক্ত সমাগম ঘটে। মূল মন্দিরের পাশে আছে দোল মন্দির এখানে দোল উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। একটু দূরে আছে সাধক রামকানাই গোস্বামী র সমাধি মন্দির।সকাল থেকে মোট চারবার ভোগ নিবেদন করা হয়। দুপুরে থাকে অন্নভোগ। মন্দিরে এসে আগে থেকে কুপন কেটে রাখলে ভোগ খাবার ব্যবস্থা আছে।বিকেল বেলা শীতল ভোগ হয়ে গেলে, মন্দির ও তার চারপাশে কেউ যায়না, মানা হয় এই সময় রাখাল রাজা স্বয়ং তার সঙ্গী সাথীদের নিয়ে খেলা করেন। ভক্তজনের বিশ্বাস আর ভক্তিতেই তিনি সদা জাগ্রত। এই সব কাহিনী শুনতে শুনতেই রাখাল রাজের লাঞ্চ এর সময় হয়ে গেল। আরতির পর তিনি খেতে বসলেন, সাথীদের নিয়ে। আরতি দর্শন করে ও দুপুরের ভোগ খেয়ে পরিপূর্ণ হৃদয়ে বাড়ির পথে রওনা দিলাম আমরা।প্রকৃতি ও ঈশ্বরকে অনুভব করার অপূর্ব অনুভূতি মনের মণিকোঠায় উজ্জ্বল হয়ে থাকবে অনেকদিন।ডঃ ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়সহকারী অধ্যাপকচন্দ্রপুর কলেজ (বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়)কিভাবে যাবেনবর্ধমান থেকে হাওড়া গামী মেন লাইন লোকাল ট্রেন ধরে নামতে হবে বৈঁচি স্টেশনে। সেখান অম্বিকা কালনা অভিমুখে যে বাস যাচ্ছে সেই বাসে উঠে নামতে হবে বৈদ্যপুর বাজার। সেখান থেকে গোপালদাসপুর যাওয়ার টোটো ধরতে হবে। গোপালদাসপুরে যে কেউ দেখিয়ে দেবে রাখালরাজার মন্দির। কেউ যদি থাকতে চান তাহলে বৈদ্যপুরে হোটেল বা লজে থাকতে পারেন। বৈদ্যপুর থেকে কুড়ি কিলোমিটার দূরে কালনা শহরে থাকার জন্য অনেক হোটেল আছে।

জুলাই ১৮, ২০২১
রাজ্য

Cheating Style: কীভাবে ফাঁদে ফেলত চাকরির প্রতারণা চক্র? কারাই বা পান্ডা?

চিটফাণ্ড কাণ্ডে এরাজ্যে লক্ষ লক্ষ মানুষ নিঃস্ব হয়েছে। এবার চাকরি, তার সঙ্গে প্রশিক্ষণের নামে সক্রিয় প্রতারণা চক্র। করোনা আবহেও তারা অতি-সক্রিয়। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে এই প্রতারণা চক্রের জাল বহুদূর বিস্তৃত রয়েছে, যার সঙ্গে যোগসাজস থাকতে পারে প্রভাবশালীদেরও। কীভাবে এই চক্র জাল বিছিয়ে ছিল? কারাই বা এই কাণ্ডের মাথা?আরও পড়ুনঃ কীভাবে ফাঁদে ফেলত চাকরির প্রতারণা চক্র? কারাই বা পান্ডা?পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতরা হল মিহির কুমার দাস, আলি হোসেন, হাসিবুল রহমান, আবুল বাসদ, রিয়াজুল ইসলাম, ইব্রাহিম শেখ, শ্যামসুল আলম ও মলয় কর্মকার। এই ধৃতদের মধ্যে প্রথম ছয় জন মুর্শিদাবাদ জেলার বাসিন্দা। বাকিদের মধ্যে শ্যামসুল বীরভূম জেলার নলহাটি থানার গোপালচক ও মলয় কর্মকার হুগলির সিঙ্গুর থানার জগৎনগর এলাকার বাসিন্দা। পুলিশের দাবি ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৭টি মোবাইল ফোন, ৩ টি পেনড্রাইভ, ৭টি স্ট্যাম্প, অশোকস্তম্ভ দেওয়া বেশ কিছু নথিপত্র ও ফর্ম, কয়েকটি রেজিস্টার খাতা, ১লক্ষ ১০ হাজার ৫০০ টাকা, সংবাদপত্রে দেওয়া বিজ্ঞাপনের কপি এবং একটি দামি চারচাকা গাড়ি। এ ছাড়াও উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের কাছে পাঠানো চিঠি, পথ-সুরক্ষা নিয়ে রাজ্যপালের শংসাপত্রও উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশ দাবি করেছে।আরও পড়ুনঃ গানওয়ালার গান চুরির অভিযোগ, ক্ষোভপ্রকাশ সামাজিক মাধ্যমেপ্রতারণার একাধিক ধাারায় মামলা রুজু করে পুলিশ মঙ্গলবার ৮ ধৃতকে পেশ করে বর্ধমান আদালতে। প্রতারণা চক্রে জড়িত বাকি পাণ্ডাদের হদিশ পেতে ও তদন্তের প্রয়োজনে তদন্তকারী অফিসার ধৃতদের মধ্যে মিহির দাস, আবুল বাসার ও মলয় কর্মকারকে ৭ দিন নিজেদের হেপাজতে নিতে চেয়ে এদিন আদালতে আবেদন জানান। সিজেএম ৩ ধৃতের ৫ দিনের পুলিশি হেপাজত ও বাকিদের জেল হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। অভিযুক্তদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন প্রতারিত চাকরি প্রার্থীরা।আরও পড়ুনঃ দাম্পত্যে ইতি। বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত লাগান খ্যাত ভুবনেরপথ সুরক্ষার প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রায় তিন হাজার বেকার যুবক -যুবতীয় কাছে একটি সংস্থার নাম করে প্রতারকরা কয়েক কোটি টাকা তুলেছে বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার জেলার মেমারির পালসিটের একটি ধাবাতে প্রশিক্ষণ নেওয়া কর্মপ্রার্থীদের শপথ পত্রে সই করাতে আসে প্রতারক দলটি। মেমারির কানাইডাঙা নিবাসী সেখ মইনুল হাসান নামে এক প্রতারিত যুবক প্রতারকদের বিষয়ে ওইদিনই মেমারি থানায় অভিযোগ জানান। পালশিটের এক ধাবায় হাজির হয়েছিলেন ৩৩ জন কর্মপ্রার্থী। তাঁরা মূলত পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, হুগলি জেলার বাসিন্দা। তাঁদের মধ্যে মেমারির কানাইডাঙার মইনুল হাসান সহ ২০ জন পুলিশকে প্রতারণার কথা জানান। মইনুল হাসানের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মামলা রুজু করেছে।আরও পড়ুনঃ শিব- পার্বতীর বিবাহ স্থলেযুবক মইনুল হাসান পুলিশকে অভিযোগে জানিয়েছে, ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে শক্তিগড়ের সামন্তী গ্রামের বাসিন্দা ধনঞ্জয় মাঝির মাধ্যমে তাঁর মুর্শিদাবাদের নবগ্রামের মিহির কুমার দাসের পরিচয় হয়। ওই ব্যক্তির সঙ্গেই তারকেশ্বরের মহেশপুরের বিনয় কুমার মালিকের কাছে গিয়ে তিনি কেন্দ্র সরকারের চাকরির আশায় ৫৫ হাজার টাকা দেন। তাঁদের গ্রামের শেখ গোলাম মহম্মদ ছাড়াও আরও কোন কোন কর্মপ্রার্থী কত টাকা চাকরির জন্য দিয়েছে তাও তিনি পুলিশকে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন। ওই যুবক জানিয়েছে, ২০১৭ সাল থেকে এই চক্রটি চলছে। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে-সহ রাজ্যের অন্য লেনে পথ নিরাপত্তার কাজে তাঁদের নিয়োগ করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কেন্দ্র সরকারের তরফে এই চাকরি দেওয়া হবে বলে জানিয়ে কর্মপ্রার্থীদের কাছে আবেদন নেওয়া হয়। তারপর ৬০ হাজার থেকে সাড়ে চারলক্ষ টাকা ধাপে ধাপে কর্মপ্রার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া হয়। এরপর কলকাতার কসবার কাছে একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁদের শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়। এরপর তাঁদের বারাসাতে তিনদিনের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়। যদিও ধৃতরা দাবি করেছে, চাকরি দেওয়ার নাম করে নয়, প্রশিক্ষণ দেওয়ার নামে ২৫ হাজার টাকা করে তাঁরা নিয়েছেন।আরও পড়ুনঃ বিধানসভায় দিলীপ-মদনের রঙিন রসিকতাজেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সিংহ রায় জানিয়েছেন, ধৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, তাঁদের হেড অফিস কলকাতার নিমতা থানার বিরাটিতে। জনৈক দেবকুমার চট্টোপাধ্যায় হচ্ছেন ওই সংস্থার প্রধান। গোটা চক্রটিকে ধরার চেষ্টা চলছে।

জুলাই ০৬, ২০২১
স্বাস্থ্য

Vaccinated Without Vaccine: করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ না নিয়েও ’ফাইনাল সার্টিফিকেট’! তারপর কি ঘটল?

প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়করোনা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ না নেওয়া সত্ত্বেও ফাইনাল সার্টিফিকেট চলে এসেছে বর্ধমানের এক বাসিন্দার। কোউইন অ্যাপ (CoWin App) থেকে ডাউনলোড করে এমন সার্টিফিকেট পাওয়ার পরেই কার্যত চোখ কপালে উঠে গিয়েছে শহর বর্ধমানের টিকরহাটের বাসিন্দা উত্তম সাহার। এমন সার্টিফিকেট আসার পর আর দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিন পাবেন কিনা তা নিয়েই দুঃশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন উত্তম বাবু। বিষয়টি নিয়ে তিনি সোমবার জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। উত্তমবাবুর সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের জেলা শাসক।আরও পড়ুনঃ ছোট্ট ছুটির ঠিকানা সিঙ্গিবর্ধমানের সরাইটিকরের বাসিন্দা বছর ৫৭ বয়সী উত্তম সাহা প্রশাসনকে জানিয়েছেন, গত ৬ এপ্রিল তিনি কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজের টিকা নেন বর্ধমান পৌরসভার স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। তারপর সম্প্রতি তিনি কোউইন অ্যাপ থেকে ওই প্রথম ডোজের সার্টিফিকেট ডাউনলোড করেন । তখনই তিনি জানতে পারেন ২৯ জুন থেকে ২৭ জুলাইয়ের মধ্যে তাঁকে দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিতে হবে। তার জন্য কয়েকদিন আগে তিনি কোউইন অ্যাপের মাধ্যমে শ্লট বুকিং করেন। তাঁকে মেমারি গ্রামীণ হাসপাতালের অধীন দুর্গাপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ৩ জুলাই দ্বিতীয় ডোজের টিকা নেওয়ার স্লট বুকিং দেওয়া হয়। উত্তম বাবু বলেন, যেহেতু তিনি ডায়াবেটিক রোগী তাই মেমারি যেতে চাননি।আরও পড়ুনঃ দাম্পত্যে ইতি। বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত লাগান খ্যাত ভুবনেরকোউইন (CoWin) অ্যাপের মাধ্যমে বুকিং ক্যানসেল করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তিনি তা পারেননি। ৩ জুলাই মেমারিতে দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিন নিতে যেতেও পারেননি। উত্তমবাবু জানান, তিনি দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিন নিতে যেতে না পারলেও তাঁর মোবাইলে দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিন নেওয়ার সার্টিফিকেট চলে আসে। সেই সার্টিফিকেট কোউইন অ্যাপের মাধ্যমে ডাউনলোডও করা যাচ্ছে বলে উত্তম বাবু দাবি করেন।আরও পড়ুনঃ গানওয়ালার গান চুরির অভিযোগ, ক্ষোভপ্রকাশ সামাজিক মাধ্যমেউত্তম বাবুর অভিযোগ পাওয়ার পর জেলাশাসক প্রিয়াংকা সিংলা সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। স্বাস্থ্য দপ্তরের বক্তব্য, প্রযুক্তিগত সমস্যায় এমনটা ঘটছে। ভ্যাকসিন নেওয়ার স্লট বুকিং থাকলে অনেক ক্ষেত্রে ফাইনাল সার্টিফিকেট চলে আসছে। তবে ত্রুটি সংশোধন করে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর মঙ্গলবার উত্তম সাহার দ্বিতীয় ডোজের টিকা পাওয়ার ব্যবস্থা করেছে বলে জানা গিয়েছে।

জুলাই ০৬, ২০২১
রাজ্য

বর্ধমানে লাইনচ্যুত আপ হাওড়া-রাধিকাপুর এক্সপ্রেসের বগি, অল্পে রক্ষা

বর্ধমান স্টেশনে ঢোকার মুখে লাইনচ্যুত হল আপ হাওড়া- রাধিকাপুর ০৩০৫৩ স্পেশাল এক্সপ্রেস। সোমবার সকাল ১০ টা ৪০ মিনিট নাগাদ ট্রেনটি আপ লইন ধরে বর্ধমান স্টেশনের ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ঢোকার মুখে প্রথম বগিটি লাইনচ্যুত হয়। ওই বগিটি গার্ড ও লাগেজের জন্য সংরক্ষিত ছিল। বর্ধমান স্টেশনে ঢোকার মুখে যেহেতু ট্রেনটির গতি কম ছিল তাই বগি লাইনচ্যুত হলেও বড়সড় কোন বিপত্তি ঘটেনি বলে স্টেশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। বর্ধমান স্টেশন ম্যানেজার সঞ্জয় অধিকারী জানিয়েছেন, ট্রেনটির গতি কম থাকায় বড় কোনও বপত্তি ঘটেনি। ঘটনার পরেই রেলের কর্মীরা বগিটি লাইন থেকে তোলার কাজ শুরু করে দেন । বেলা ১১ টা ৪০ মিনিটের মধ্যে বগিটি লাইন থেকে তোলার কাজ সম্পূর্ণ করা হয় । তার পর ট্রেনটি ফের গন্তব্যে রওনা দেয়। এই সময়টুকুতে ডাউন কর্ড লাইন ও ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম দিয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখতে হয়। বাকি সব লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ছিল বলে স্টেশন ম্যানেজার জানিয়েছেন।

জুলাই ০৫, ২০২১
উৎসব

Jamai Sasthi: হায়দ্রাবাদবাসী দুর্গাপুরের জামাইয়ের ষষ্ঠীর মহাভোজের আয়োজন ভায়া আমেরিকা

পার্বণ আর বাঙালি সমুচ্চারিত শব্দবন্ধ। বাঙালি পার্বণ ছাড়া বাঁচতে পারবে না,আবার পার্বণ-ও বৃথা বাঙালি ছাড়া। ইংরাজি মাধ্যমে পড়া আধো আধো বাংলা বলা বাঙালির বাঙ্গালিত্ব বেঁচে আছে শুধুমাত্র রীতি-রেওয়াজ পালন করেই। বাড়িতে আসকে পিঠে বানাবার সরঞ্জাম না থাকলেও তাঁরা সপরিবারে কোনও এক কর্পোরেট সংস্থা আয়োজিত পৌষ পার্বণ অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে যায়। স্যোসাল প্লাটফর্মে লাইভ না হলেও সেলফী পোস্ট করে অন্তত এই গর্ব শেয়ার না করে ক্ষান্ত হন না। সেই বাঙালির আজ এক বিশেষ দিন জামাই ষষ্ঠী। জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠ দিনটি হল জামাই ষষ্ঠী। বাংলায় দুটো বিশেষ দিন মাংসের (ছাগল) বাজেট পেশ হয়, এক ভাইফোঁটা আর এক জামাই ষষ্ঠী, সেই দাম-ই চলে আগামী দিন গুলিতে। জামাই ষষ্ঠী মানেই বাঙালিদের কাছে কার্যত মহা ভোজন উৎসব। বহু জামাই আছেন এমন দিনে সাবেকি বাঙালি সেজে ধুতি-পাঞ্জাবি পরে হাতে মিষ্টির ঝোলা ও বিশাল মাছ হাতে শ্বশুরবাড়িতে হাজির হতে পছন্দ করেন। কিন্তু, কিছু নারীবাদী আবার রে রে করে এসে বলতে থাকেন জামাই হল গিয়ে মেয়ের বর। মেয়েকে ছেড়ে জামাই আদরের এত ঘটা কেন? সেটা কখনও কেউ কি ভেবেছেন? আসলে তাঁদেরকে সসন্মানে জানায়, তাহলে তো ভাইফোঁটার সাথে সাথে বোনফোঁটাও চালু করা উচিত? আসলে এই এক সমস্যা বাঙালিদের, ভাল কাজেও কাঠি না দিলে চলবে না, সেই জন্য শাশুড়িমায়েদের অনুরোধ চিংড়িমাছের মালাইকারির চিংড়ি থেকে কাঠি টা খুলে জামাইয়ের পাতে দিন। বেচারি একটা দিন শান্তিতে খাওয়া দাওয়া করুক।বাংলা বছরের নতুন ক্যালেন্ডার খুলেই নববিবাহিত বাঙালি যে দুটোদিন প্রথম খুঁজে দেখে তার একটি দুর্গাপুজা হলে অপরটি নিশ্চিত জামাইষষ্ঠী। আজ সেই বঙ্গজীবনের অঙ্গ এক বিশেষ দিন। বিবাহিতা কন্যা তথা জামাই বাবাজীবনদের জন্য বাঙালি সমাজে দারুণ এক পার্বণ। সে আনকোরা নতুন জামাই থেকে পুরনো জামাই বাবাজি সকলের জন্য বাংলা পঞ্জিকার এক বিশেষ দিন। বাংলার জামাইদের জন্য উৎসর্গীকৃত নির্দিষ্ট দিনটিতে জামাইয়ের মঙ্গল কামনায় শাশুড়িরা প্রতি বছর পালন করেন। এটি মূলত ষষ্ঠীদেবীর পার্বণ। দিনবদলের সাথে সাথে এই ধর্মীয় সংস্কার সামাজিকতায় স্থান পেয়েছে গেছে।আধুনিকতার দিক থেকে আমরা যতই সমকালীন হই না কেন, কিছু কিছু রীতিনীতি, প্রথা-পার্বণ আজও বাঙালি ঘরে থেকে গিয়েছে। তাই এই বিশ্বায়নের যুগে বাঙালি জীবন থেকে আচার-অনুষ্ঠান সবই যে এক-এক করে উঠে যাচ্ছে বলে হা হুতাশ করা ঠিক না। কখনও পুরনো লোকাচার হাজির হচ্ছে নব আঙ্গিকে, যেমন নতুন মোড়কে জামাই আদর। গ্রামবাংলা, মফস্বলের পাশাপাশি শহুরে পরিমণ্ডলেও জামাইষষ্ঠী পালনের রীতি-রেওয়াজ খুব একটা ফিকে হয়ে যায়নি আজও। জিভে জল আনা নানান পদ রেঁধে জমিয়ে জামাইকে খাওয়ানোর আহ্লাদ আগেও যেমন ছিল, সেটা এখনও তেমনই আছে। আদরের জামাইকে খাতির-আপ্যায়নের ধরনটা যদিও বদলে বদলে যাচ্ছে। যেমন বদলে যাচ্ছে আয়োজনের রকমও। করোনা অতিমারি পরিস্থিতিতেও আয়োজনের ঘাটতি নেই। যারা কাছাকাছি আছেন তারা সপরিবারে হাজির হয়ে যাচ্ছেন শশুরবাড়ি। দূরপাল্লার ট্রেন ও যানবাহনের সমস্যায় অনেকেই এই মহা-অনুষ্ঠানে হাজির হতে পারেননি। সারা দিন ধরে ঘেমে নেয়ে বাটনা বেঁটে, সব্জী কেটে রান্নার জোগাড় করা থেকে শুরু করে জামাইয়ের জন্য ভুরিভোজ বানানোর ব্যাপার বদলে দিয়েছে কিছু বাঙালি রেস্তোরাঁর ষষ্ঠী স্পেশাল বা স্পেশাল থালি। জামাই প্রবাসী হলেও আজ আর দূরে নয়, জুম, স্কাইপ, হোয়াটসঅ্যাপ এর সৌজন্যে জামাইকে ভার্চুয়াল ফোঁটা দেওয়াও সেরে নেওয়া যাচ্ছে। এইরকমই পশ্চিম-বর্ধমানের দুর্গাপুরের এক পরিবার যাঁদের জামাই থাকেন সৈনিকপুরি, হায়দ্রাবাদে। ইচ্ছে থাকলেও তাঁদের পক্ষে এবারের জামাইষষ্ঠী অধরাই থেকে গিয়েছিলো। তাঁদের মনোকষ্ট বুঝতে পেরে সেটা নিরসন করতে এগিয়ে এলেন তাঁদের আমেরিকাবাসী বহুজাতিক সংস্থায় কর্মরত সন্তান সুরজিৎ বন্দোপাধ্যায়। বহুজাতিক সফটওয়্যার সংস্থায় কর্মরত হায়দ্রাবাদবাসী বাঙালি জামাই প্রীতম রায় সকালে নিয়মমাফিক অফিস যাওয়ার জন্য মধ্যাহ্ন ভোজনে বসার মুহুর্তে বাড়ির কলিং বেল বেজে ওঠে, ওনার সহধর্মিনী সুমানি রায় দরজা খুলে দেখেন হায়দ্রাবাদের এক সংস্থা আহার্ন্য জামাইষষ্ঠী-র মহা-আয়োজন নিয়ে হাজির তার দরজায়। তাঁরা জিঞ্জাসা করতেই জানতে পারেন তাঁর আমেরিকাবাসী দাদা সুরজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ওই রেস্তঁরা-র সাথে যোগাযোগ করে এই জামাইষষ্ঠীর মহা আয়োজন করেছেন। কি ছিলো না -ওই মেনুতে? বাসমতী চালের ভাত, ফিশ কাটলেট, চিকেন কাটলেট, ফিশ ডেভিল, কাসুন্দি,সালাড, মুগের ডাল, বেগুন ভাজা, সুক্তো, দই পটল, মিক্স ভেজিটেবল, দই বেগুন, সর্ষে দিয়ে মাছের ঝাল, মাছের কালিয়া, চিকেন কারি, চিংড়ির মালাইকারি, আলুর দম ও লুচি, লাচ্চা পড়োটা ও কষা মাংস, চাটনি,পাপড়, মোগলাই পড়োটা-আলুর তড়করি ও সালাড, নুডলস, চিকেন মনচুরিয়ান, চিলি মোমো, ডিমের কারি। দুর্গাপুরবাসি কমল বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুস্মিতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটনাটা জানার পর জনতার কথাকে বলেন আমরা খুব খুসি আমার ছেলে সুরজিৎ আমেরিকা থেকে এই মহা আয়োজন করার জন্য। আক্ষেপ ছিল এবারে এই পরিস্থিতিতে মেয়ে জামাই না আসতে পারার জন্য। তার অনেকটাই আজ কেটে গেলো। সুমানি জনতার কথাকে বলেন আমরা এত দুরে থাকি, একটা দিনের অনুষ্ঠানের জন্য হটাৎ করে যাওয়া খুব চাপের,তারপর এই মহামারীর সময় বাবা মায়ের বয়স হয়েছে বাইরে থেকে গিয়ে ওঁদেরও বিপদে ফেলতে চাইনি। সকালে মা-বাবা ভিডিও কল করে ফোঁটা দেওয়ার সময়ও জানতো না দাদা এই রকম সারপ্রাইজ রেখেছিল আমাদের জন্য। আমি, প্রীতম ও মেয়ে জিনি, মাত্র তিন জন মানুষ কিন্তু খাওয়ার জন্য এটা আনেক বেশী, তাও আকস্মিক আনন্দ-র একটা আলাদা আমেজ আছে। এটাকে মূল্য দিয়ে হিসাব করা যায় না। আমরা এত দূরে থেকেও মুহূর্তের মধ্যে সব দুরত্ব ঘুচে গেল। আমার মেয়ে জিনি তো আনন্দে আত্মহারা হয়ে বলে কি মা সব ভালো করে রেখে দাও, সারা সপ্তাহ ধরে খাবো ।অনুষ্ঠান যেরকমই হোক, আপনার প্রিয় মানুষ সে যত দুরেই থাকুক না কেনও আধুনিক মিডিয়া, সামাজিক মাধ্যম ও বৈদ্যুতিকরণের জন্য সব কিছুই নাগালের মধ্যে। আপনি কি ভাবে পালন করতে চান সেটাই বড় কথা। সামাজিক মাধ্যমের কল্যাণে অনেক আগেভাগেই জানা যায়, কোন অনুষ্ঠানের জন্য কবে, কোথায় কী ব্যবস্থা থাকছে। পত্রিকা, সামাজিক মাধ্যমে সেই বিশেষ দিনের বিজ্ঞাপনী প্রচার, তামাশা, রঙ্গ, কেনাকাটার হরেক আয়োজন। বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে জামাইদের নিয়ে নানা রঙ্গ-তামাশা চলতেই থাকে, এক জায়গায় লিখেছে জামাই কতপ্রকার? তার উত্তরে আরেকজন জানাচ্ছেনঃ ঘরজামাই, প্রবাসী জামাই, দায়িত্বশীল জামাই, উদাসীন জামাই, পেন্নামঠোকা জামাই, ইংলিশ-মিডিয়াম জামাই, ডাকসাইটে জামাই, প্রভাবশালী জামাই, সুবিধাবাদী জামাই, মিষ্টিমুখ জামাই, সুগার-ফ্রি জামাই, শৌখিন জামাই, আপনভোলা জামাই, টি-টোয়েন্টি ভক্ত জামাই, এমনই নানা প্রকার জামাইয়ের নিয়ে মজাদার মিম।জামাই নিয়ে মহান লোকসঙ্গীত শিল্পী স্বপ্না চক্রবর্তির সেই বিখ্যাত লোকগানঃ বলি ও ননদি, আর দুমুঠো চাল ফেলে দে হাঁড়িতেঠাকুরজামাই এল বাড়িতে!জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়

জুন ১৬, ২০২১
কলকাতা

কোভিড ত্রাণে সাহায্যের হাত বাড়াল এনআইটি দুর্গাপুর অ্যালুমনি অ্যাসোসিয়েশন অফ নর্থ আমেরিকা

বিপদে পড়লে মানুষের পাশে থাকে মানুষই। আর যখন বিপদ মহামারির রূপে আসে, তখন একজন মানুষের সাহায্য ছাড়া আরেকজনের বাঁচার কোনও পথ থাকে না। কোভিড মহামারি পরিস্থিতিতে অসহায় মানুষদের সাহায্যে তাই এবার এগিয়ে এলেন এন আই টি দুর্গাপুর অ্যালুমনি অ্যাসোসিয়েশন অফ নর্থ আমেরিকার সদস্যরা। অলাভজনক এই সংগঠনটির সদস্যরা অনুদান সংগ্রহ করে জীবনদায়ী সরঞ্জাম যেমন ভেন্টিলেটর, বিপিএপি, অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ও অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহ করা হয়েছে রাজ্যের হাসপাতালগুলোকে। এই মর্মে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সহযোগীতাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন দিলীপ সিং মেহতা (ব্যবসায়ী, কোলকাতা), ইন্দ্রনীল মুখার্জী (প্রেসিডেন্ট,দূর্গাপুর রোটারি ক্লাব), গুনময় কুণ্ড (প্রাক্তনী এন আই টি দুর্গাপুর, অবসরপ্রাপ্ত জেনেরাল ম্যানেজার,ও এন জি সি) অদৃশ দাস (প্রাক্তনী এন আই টি দুর্গাপুর), বিশ্বজিৎ রায় (সানফ্রানসিসকো) যিনি নিজের শারীরিক অসুস্থতা কে উপেক্ষা করে বাকি সকলকে উৎসাহ দিয়ে চলেছেন, ডঃ সাহিল শর্মা, অক্সিজেন ইকুইপমেন্ট বিশেষজ্ঞ ডঃ অপূর্ব বসাক (প্রাক্তনী এন আই টি দুর্গাপুর, নিউইউর্ক) সহ আরও অনেকের সহযোগীতাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সংস্থার ভলান্টিয়ার। উত্তর আমেরিকায় বসবাসকারী ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনলজি দুর্গাপুরের প্রাক্তনীরা মিলে বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজ করে থাকেন। পড়ুয়াদের আর্থিকভাবে সাহায্য করাই হোক বা গবেষণামূলককাজে সাহায্য করা, সবসময়ই এগিয়ে এসেছেন এই সংগঠনের সদস্যরা। এবার করোনা মহামারির সময়, যখন অক্সিজেন, জীবনদায়ী ওষুধের জোগানের অভাব দেখা দিয়েছে, তখনই সবরকমভাবে সাহায্যে এগিয়ে এসেছে সংগঠনটি। সংস্থার অর্থ সাহায্যে কেনা হয়েছে, অক্সিজেন সিলিন্ডার, অক্সিজেন কনসেনট্রেটর, ভেন্টিলেটর প্রভৃতি। সংগঠনের সহ-সভাপতি সুরজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, স্বচ্ছভাবে আর্থিক অনুদানের টাকা কাজে লাগানো হলে, এরকম সাহায্য আরও অনেক আসবে। সকলেই মনে করেন, তাঁদের টাকা ঠিক জায়গায় কাজে লাগানো হচ্ছে কী না। যদি এব্যাপারে আশ্বাস পাওয়া যায়, তাঁদের টাকায় সত্যি কেউ উপকৃত হচ্ছেন, তাহলে খুশি হয়ে সকলে সাহায্য করতে এগিয়ে আসবেন। এরকম নন প্রফিট সংগঠনগুলো আরও বেশি করে এরকম কাজে এগিয়ে আসার যাতে উৎসাহ পান, সেজন্য বার্তাও দিতে চান তিনি।সংগঠনের পাঠানো মেডিক্যাল সরঞ্জাম পৌঁছতে চলেছে এসএসকেএম হাসপাতাল, এমআর বাঙুর হাসপাতাল, দুর্গাপুরের সাব ডিভিশনাল হাসপাতাল, গুরুদ্বারা বড়া শিখ সঙ্গত (কলকাতা), রোটারি ক্লাব অফ এন্ডেভিয়র (কলকাতা), শিলচরের নিস্বার্থ সেবা বরক, শুশুনিয়া হেলথ সেবা মিশন (বাঁকুড়া)। জানা গিয়েছে, আরও বেশ কিছু অক্সিজেন কনসেনট্রেটর এদেশে আসার জন্য তৈরি হয়ে রয়েছে। এই সমস্ত হাসপাতালগুলোর তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, এই মেডিক্যাল সরঞ্জামগুলো ১০০ শতাংশ বিনামূল্যে রোগীদের জন্য ব্যবহার করা হবে। সরকার ও অন্যান্যদের সাহায্যে প্রকৃত চাহিদাসম্পন্ন মানুষের কাছে এই উপকারটুকু পৌঁছে দিতে পেরে সংগঠনের সদস্যরা কৃতজ্ঞ বলে জানিয়েছেন। আগামীদিনে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে বয়স্কদের টিকাকরণের কর্মসূচি নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে দুর্গাপুর এনআইটির প্রবাসী প্রাক্তনীরা।

জুন ০৪, ২০২১
দেশ

বিজাপুরে মাওবাদী হামলায় গোয়েন্দা ব্যর্থতা ছিল না, দাবি সিআরপিএফ প্রধানের

ছত্তিশগড়ের বিজাপুরে জওয়ানদের উপর যেভাবে হামলা চালিয়েছে মাওবাদীরা, তাতে গোয়েন্দা ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। সেই দাবি উড়িয়ে দিয়ে সিআরপিএফের শীর্ষকর্তা কুলদীপ সিং জানিয়ে দিলেন, কোনও গোয়েন্দা বা অভিযান সংক্রান্ত (অপারেশনাল) ব্যর্থতা ছিল না। যদি থাকত তাহলে জওয়ানদের গুলিতে ২৫-৩০ জন মাওবাদীর মৃত্যু হত না। তাঁর দাবি, জওয়ানদের পালটা গুলিতে প্রায় ৩০ মাওবাদী নিকেশ হয়েছে। সোমবার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ছত্তিশগড় যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দেখা করবেন আহত জওয়ানদের সঙ্গে।শনিবার ছত্তিশগড়ে বিজাপুর ও সুকমার মাঝে জঙ্গলে দুপুর ১২টা থেকে শুরু হওয়া সেই সংঘর্ষ চলে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা। মাওবাদীরা যে ভাবে লড়াই চালায়, প্রতিরোধ গড়ে তোলে তাতে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে মাওবাদী শীর্ষ নেত্রী মাধবী হিদমার লুকিয়ে থাকার খবর ছড়িয়ে কি ফাঁদে ফেলা হল জওয়ানদের! কারণ জওয়ানরা সেখানে পৌঁছনর আগেই ওঁৎ পেতে বসেছিল মাওবাদীরা। এ ছাড়াও মাওবাদীদের হামলার ধরন এবং আরও কিছু বিষয় দেখে সন্দেহ করা হয় গোয়েন্দা ব্যর্থতার কারণেই কি ২২ জওয়ানকে প্রাণ হারাতে হল, আহত হলেন আরও অনেকে। এমনকী, শেষ পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে ১ জওয়ান এখনও নিখোঁজ।কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রবিবারই সিআরপিএফের ডিজি কুলদীপ সিংকে ছত্তিশগড় যাওয়ার নির্দেশ দেন। কুলদীপ এই মুহূর্তে সেখানেই আছেন। গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন। রায়পুরে তিনি বলেন, মাওবাদীরা অন্তত ৩টি ট্রাক্টর ব্যবহার করেছে তাদের আহত ও নিহত সঙ্গীদের নিয়ে যেতে। তা থেকেই মনে করা হচ্ছে, ২৫ থেকে ৩০ জন মাওবাদী নিহত হয়েছেন। আহত আরও অনেকে। ঠিক কত জন নিহত হয়েছে তা এখনই বলা সম্ভব নয়। তবে যদি গোয়েন্দা বা অপারেশনাল ব্যর্থতা থাকত তাহলে এত জন মাওবাদীর মৃত্যু হত না। তবে তিনি এও দাবি করেন, মাওবাদীরা ওঁৎ পেতে ছিল। তারা ৩ দিক থেকে ঘিরে জওয়ানদের উপর হামলা চালায়। যাতে প্রথমে কিছুটা হতচকিত হয়ে যান জওয়ানরা। কুলদীপ সিং জানিয়েছেন, নিহত জওয়ানদের মধ্যে ৭ জন সিআরপিএফ সদস্য রয়েছেন।

এপ্রিল ০৫, ২০২১
দেশ

বিজাপুরে মাওবাদী হামলায় গোয়েন্দা ব্যর্থতা ছিল না, দাবি সিআরপিএফ প্রধানের

ছত্তিশগড়ের বিজাপুরে জওয়ানদের উপর যেভাবে হামলা চালিয়েছে মাওবাদীরা, তাতে গোয়েন্দা ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। সেই দাবি উড়িয়ে দিয়ে সিআরপিএফের শীর্ষকর্তা কুলদীপ সিং জানিয়ে দিলেন, কোনও গোয়েন্দা বা অভিযান সংক্রান্ত (অপারেশনাল) ব্যর্থতা ছিল না। যদি থাকত তাহলে জওয়ানদের গুলিতে ২৫-৩০ জন মাওবাদীর মৃত্যু হত না। তাঁর দাবি, জওয়ানদের পালটা গুলিতে প্রায় ৩০ মাওবাদী নিকেশ হয়েছে। সোমবার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ছত্তিশগড় যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দেখা করবেন আহত জওয়ানদের সঙ্গে।শনিবার ছত্তিশগড়ে বিজাপুর ও সুকমার মাঝে জঙ্গলে দুপুর ১২টা থেকে শুরু হওয়া সেই সংঘর্ষ চলে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা। মাওবাদীরা যে ভাবে লড়াই চালায়, প্রতিরোধ গড়ে তোলে তাতে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে মাওবাদী শীর্ষ নেত্রী মাধবী হিদমার লুকিয়ে থাকার খবর ছড়িয়ে কি ফাঁদে ফেলা হল জওয়ানদের! কারণ জওয়ানরা সেখানে পৌঁছনর আগেই ওঁৎ পেতে বসেছিল মাওবাদীরা। এ ছাড়াও মাওবাদীদের হামলার ধরন এবং আরও কিছু বিষয় দেখে সন্দেহ করা হয় গোয়েন্দা ব্যর্থতার কারণেই কি ২২ জওয়ানকে প্রাণ হারাতে হল, আহত হলেন আরও অনেকে। এমনকী, শেষ পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে ১ জওয়ান এখনও নিখোঁজ।কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রবিবারই সিআরপিএফের ডিজি কুলদীপ সিংকে ছত্তিশগড় যাওয়ার নির্দেশ দেন। কুলদীপ এই মুহূর্তে সেখানেই আছেন। গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন। রায়পুরে তিনি বলেন, মাওবাদীরা অন্তত ৩টি ট্রাক্টর ব্যবহার করেছে তাদের আহত ও নিহত সঙ্গীদের নিয়ে যেতে। তা থেকেই মনে করা হচ্ছে, ২৫ থেকে ৩০ জন মাওবাদী নিহত হয়েছেন। আহত আরও অনেকে। ঠিক কত জন নিহত হয়েছে তা এখনই বলা সম্ভব নয়। তবে যদি গোয়েন্দা বা অপারেশনাল ব্যর্থতা থাকত তাহলে এত জন মাওবাদীর মৃত্যু হত না। তবে তিনি এও দাবি করেন, মাওবাদীরা ওঁৎ পেতে ছিল। তারা ৩ দিক থেকে ঘিরে জওয়ানদের উপর হামলা চালায়। যাতে প্রথমে কিছুটা হতচকিত হয়ে যান জওয়ানরা। কুলদীপ সিং জানিয়েছেন, নিহত জওয়ানদের মধ্যে ৭ জন সিআরপিএফ সদস্য রয়েছেন।

এপ্রিল ০৫, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

জলমগ্ন একাধিক গ্রাম, জল ছাড়ছে ডিভিসি, দুর্গাপুর ব্য়ারেজ পরিদর্শন সেচমন্ত্রীর

দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে মঙ্গলবার থেকে ভারি বৃষ্টিপাত চলছে। পাঞ্চেত, মাইথন থেকে জল ছাড়ার পরে দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকেও যথারীতি জল ছাড়া শুরু হয়েছে। আজ, শুক্রবার ৪৬ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে বলে সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া জানিয়েছেন। সেচমন্ত্রী মানস ভুইয়া দুর্গাপুর ব্যারাজের সংস্কারের কাজের পর চালু ব্যারাজ রাস্তা পরিদর্শনে আসেন। সেচমন্ত্রী বলেন, ৪৫ দিনের মধ্যেই কাজ শেষ করা হয়েছে। বর্ষা এসে গিয়েছে। ফলে বাকি যেসব কাজ রয়েছে তা বর্ষার পরেই শুরু হবে।দুর্গাপুর ব্যারাজের পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সেচমন্ত্রী বাংলার প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের ইচ্ছাকৃত বঞ্চনার কথা তুলে ধরেন। সেচমন্ত্রী বারবার বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের যে দায়িত্ব রয়েছে তা পালন করছে না এবং রাজ্যের হকের টাকা কেন্দ্র দিচ্ছে না। তাই ড্রেজিং করা সম্ভব হচ্ছে না। রাজ্য ও ডিভিসির মধ্যে বারবার জল ছাড়া নিয়ে যে বিতর্ক দেখা দেয় তা নিয়ে কোন মন্তব্য না করে সেচমন্ত্রী বলেন, এই মুহুর্তে এই বিতর্কে যাব না। ৪৫ দিনের মধ্যেই কাজ শেষ করা হয়েছে। মাঝে ছয় দিন প্রচন্ড বৃষ্টি হয়েছিল বলে কাজে কিছু অসুবিধা দেখা দিয়েছিল। তবু কাজ ৪৫ দিনের মধ্যেই শেষ করা গিয়েছে। হায়দ্রাবাদ থেকে রাবার সিল আসছে তা দিয়ে কাজ করা হবে।সেচমন্ত্রী বলেন, দেড় মাস দুর্গাপুর ব্যারাজে জল ধরে রাখা হয়। এরপরে দুর্গাপুর, মাইথন ও পাঞ্চেত নিয়ে একটি সেল গঠন করা হয়েছে এবং মনিটরিং করা হচ্ছে জল ছাড়া নিয়ে যেন মানুষের ক্ষতি না হয়। সেচমন্ত্রী বলেন, প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছে এবং বিভিন্ন জেলা এবং ঝাড়খণ্ডের জল নামছে ফলে সমস্ত বিষয়ের উপরে নজর রাখা হয়েছে।তেনুঘাট নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সেচমন্ত্রী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী, সেচ দপ্তরের কর্তারা এবং আমি নিজে বারবার কথা বলেছি। তেনুঘাটকে নিয়ন্ত্রণে রেখে অপারেট করা যায়।সেচমন্ত্রী একাধিকবার বলেন, মুখ্যমন্ত্রী এবং সেচ দপ্তর মাইথন, পাঞ্চেত এবং দুর্গাপুর ব্যারাজের জল ছাড়া নিয়ে নজর রেখেছেন । আজ ৪১ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। বন্যার যন্ত্রণা যাতে পেতে না হয় তার প্রতি সজাগ রয়েছেন প্রশাসনিক কর্তারা এবং আজ বাঁকুড়ায় আসছেন পরিস্থিতি নিয়ে আলচনা করতে। রাস্তার বিষয় নিয়ে তিনি বলেন, পি ডাব্লু ডিকে নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বৃষ্টি কমলেই।সেচমন্ত্রী ব্যারাজগুলির গভীরতা কমে যাওয়ার জন্য কার্যত কেন্দ্রীয় সরকারের টাকা না দেওয়ার কথা তুলে ধরেন। সেচমন্ত্রী বলেন, ১২ বছর ধরে কেন্দ্রের জলসম্পদ দপ্তর, প্রধানমন্ত্রীকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার দেখছি দেখছি করে পার করে দিচ্ছে কিন্তু রাজ্যের হকের টাকা দিচ্ছে না। সেচমন্ত্রী বিজেপি সরকারের বাংলাকে বঞ্চনা করার কথা তুলে ধরেন। বন্যার প্রসঙ্গে সেচমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রার্থনা করছি যেন বন্যার মুখে পড়তে না হয় কিন্তু দেড় মাস জল ধরে রাখা হয় আর তারপরে রয়েছে প্রচন্ড বৃষ্টি, ফলে জলের চাপ বাড়ছে, সেদিকেই নজর রাখতে হচ্ছে।দুর্গাপুর ব্যারাজের এক নম্বর গেটে বেশ কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে । সাংবাদিকেরা এ নিয়ে সেচমন্ত্রীকে প্রশ্ন করলে সেচমন্ত্রী বলেন, সব দিক নজরে রাখা হয়েছে, সংস্কার হবে। তিনি এরপরে আবার বলেন, কেন্দ্রিয় সরকারের কাছ হতে এক কানা কড়ির সাহায্য পাইনি। মুখ্যমন্ত্রী নিজের রাজ্যের কোষাগার থেকেই খরচ করে কাজ করছেন। তিনি এরপরেই পরিসংখ্যান তুলে ধরেন কিভাবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সীমিত আর্থিক ক্ষমতায় এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার পরেও কাজ করে চলেছেন। সেচমন্ত্রী জোড়ের সাথে বলেন, একটা নয়া পয়সা কেন্দ্রের সরকার দেয় নি। তবু একের পর এক কাজ হচ্ছে এবং এটাও করা হবে।

জুন ২০, ২০২৫
রাজ্য

সাতসকালে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা পুরুলিয়ায়, মৃত্যু মিছিল

সাতসকালে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ৯ জনের ৷ পুরুলিয়ায় ১৮ নম্বর জাতীয় সড়কের নামশোল এলাকায় আজ, শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি বোলেরোর সংঘর্ষে ঘটে। তার ফলেই জেরেই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ৷ গাড়িতে থাকা ৯ জনেরই প্রাণ গিয়েছে ৷ এরা সকলেই ঝাড়খন্ডের বাসিন্দা। বিয়ে বাড়ি থেকে ফিরছিলেন বলে জানা গিয়েছে।জানা গিয়েছে, আজ শুক্রবার সকালে পুরুলিয়ার দিক থেকে চারচাকা বোলেরো গাড়িটি বলরামপুরের অভিমুখে যাচ্ছিল। সেই সময় গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টো দিক থেকে আসা একটি ট্রাককে সরাসরি ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বলরামপুর থানার পুলিশ। প্রথমে জখম সকলকে উদ্ধার করে স্থানীয় বাঁশগড় ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায় পুলিশ। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা আহতদের সকলকেই ঘোষণা করেন।

জুন ২০, ২০২৫
রাজ্য

দামোদরে বালি তুলতে গিয়ে বিরাট বিপত্তি, জলে ভাসছে ১৫টি লরি

দামোদরে বালি তোলায় কোনও লাগাম নেই। ডিভিসি থেকে জল ছাড়ার খবর থাকা সত্বেও বালি তোলার কাজ চলছিল। লরি নেমেছিল একেবারে নদের ভিতরে। জল ভরে টুইটুম্বুর হওয়ায় ভেসে গেল ১৫টি বালি বোঝাই লরি। পূর্ব বর্ধমানের গলসির গোহগ্রামের এই ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে। পরে লরিগুলিকে উদ্ধারের তৎপরতা শুরু হয়।দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার কথা ডিভিসি ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগাম ঘোষণা করা হয়েছিল। মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে বুধবার জল ছাড়া হয় ৪০ হাজার কিউসেক। এরই মধ্যে নিম্ন দামোদর অববাহিকায় দুদিন ধরে টানা বৃষ্টি চলেছে। এই সব কারণে বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ দামোদর নদে জলের পরিমাণ বেশ বেড়ে যায়। এতেই ঘটে যায় বিপত্তি।স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ১৫টি বালি বোঝাই লরি দামোদর নদের জলে ভাসতে থাকে। তার উপর বৃহস্পতিবার বেলা বাড়তে নদের জল আরও হু হু করে বাড়তে শুরু হয়। বিপদ বুঝে লরিগুলি নদী থেকে তোলার জন্য তৎপরতা শুরু করে চালকরা । ওই সময়েই সামনে থাকা দুটি লরি বিকল হয়ে যাওয়ায় লরি গুলি নদ থেকে পাড়ে তোলা আর সম্ভব হয়নি। জেসিবি মেশিন ব্যবহার করেও কাজ হয়নি। জল কমা পর্যন্ত লরিগুলো তুলতে অপেক্ষা করতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

জুন ১৯, ২০২৫
রাজ্য

"কেশরী: চ্যাপ্টার ২" তে ক্ষুদিরাম বসু সহ বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অপমান, প্রতিবাদে গর্জে উঠল বাংলা পক্ষ

সম্প্রতি কেশরী: চ্যাপ্টার ২ নামের এক বলিউডি হিন্দি সিনেমায় ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সশস্ত্র সংগ্রামের উজ্জ্বল ইতিহাস তথা বীর বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পরিচয় ও ভূমিকা বিকৃত করে এক মনগড়া মিথ্যা ইতিহাস তুলে ধরার অভিযোগ উঠেছে। সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে যে ক্ষুদিরাম সিং ও বারীন্দ্র কুমার নামক দুই বিপ্লবী বৃটিশ পুলিশকর্তা কিংসফোর্ডকে বোমা মেরে হত্যার চেষ্টা করে ও তাদের বোমা তৈরীর প্রশিক্ষণ দেয় কৃপাণ সিং! যার সাথে বাস্তবের কোন মিল নেই। প্রকৃত পক্ষে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে বাঙালি বিপ্লবীদের সশস্ত্র সংগ্রামের ইতিহাসের এক যুগান্তকারী ঘটনা কিংসফোর্ড হত্যার প্রচেষ্টা ও পরবর্তীতে মানিকতলা বোমা মামলার ঘটনার কথা সম্পূর্ণ বিকৃত ভাবে এই সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে।সশস্ত্র সংগ্রামের লক্ষ্যে কলকাতার মানিকতলার যুগান্তর গুপ্ত সমিতিতেই অরবিন্দ ঘোষের নেতৃত্বে বোমা তৈরীর কর্মশালা গড়ে ওঠে, ইউরোপ থেকে বোমা তৈরী শিখে এসে এখানে বোমা তৈরী করে বিপ্লবীদের সরবরাহ করতেন হেমচন্দ্র কানুনগো, যিনি বলিউডের দৌলতে হয়েছেন কৃপাণ সিং। এই গুপ্ত সমিতির পক্ষেই ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকী কিংসফোর্ডকে বোমা নিক্ষেপ করে হত্যার চেষ্টা করেন। মেদিনীপুরের বীর বাঙালি কিশোর ক্ষুদিরাম বসুর পদবী সিনেমায় হয়েছে সিং অন্যদিকে প্রফুল্ল চাকীর নামই মুছে গেছে, শোনা গেছে জনৈক বারিন্দর কুমারের নাম, যেকোন ইতিহাস সচেতন ব্যক্তিই বলতে পারবেন এই নাম আসলে মানিকতলা বোমা মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ও পরবর্তীতে আন্দামানে দ্বীপান্তরিত বারীন্দ্র ঘোষের, যিনি সম্পর্কে অরবিন্দ ঘোষের ভাই। এই মানিকতলা বোমা মামলায় বিপ্লবীদের পক্ষে কোর্টে আইনি লড়াই করেন আরেক মহান বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামী দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ। এই গৌরবজনক অধ্যায় সম্পূর্ণ ভাবে বিকৃত করা হয়েছে, যা বাঙালি জাতি তথা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি চূড়ান্ত অবমাননা।এই বিকৃতির বিরুদ্ধে বাঙালির ক্ষোভের প্রকাশ দেখা যাচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থেকে সংস্কৃতি জগতের নানান ব্যক্তিত্ব এই ইতিহাস তথা মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নাম বিকৃতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। ভারতীয় বাঙলির জাতীয় সংগঠন বাংলা পক্ষও সরব হয়েছে, আজ তারা পথে নেমে প্রতিবাদ করল কলকাতার বাংলা একাডেমী সংলগ্ন রানুছায়া মঞ্চে। এই প্রতিবাদ সভায় বাংলা পক্ষর সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি বলেন, কেশরী ২ সিমেমার মূখ্য অভিনেতা অক্ষয় কুমার, তিনি কাদের স্বার্থে বিকৃত ইতিহাস প্রচার করে সিনেমা তৈরি করেন এটা আমাদের সকলের জানা৷ বিজেপি ও বলিউডের উদ্দেশ্য বাঙালির গৌরবজনক বীরত্বের ইতিহাস মুছে দেওয়া। সেই উদ্দেশ্যেই বারবার এই ধরনের ঘটনা দেখা যাচ্ছে। বলিউড এর আগেও অভয় ২ সিরিজে বীর শহীদ ক্ষুদিরাম বসুকে ক্রিমিনাল, জঙ্গি হিসাবে দেখিয়েছিল। বাংলা পক্ষ তখন Zee5 কে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছিল এবং সল্টলেকে Zee5 এর অফিসে বিক্ষোভ করেছিল। পরবর্তীতে Zee5 ক্ষমা চেয়ে সেই অংশ বাদ দিতে বাধ্য হয়। শীর্ষ পরিষদ সদস্য অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় বলেন যতক্ষণ না পর্যন্ত কেশরী ২ সিনেমার নির্মাতারা ক্ষমা না চায়, বাংলা পক্ষর লড়াই চলবে। ক্ষমা চেয়ে এই দৃশ্য বাদ দিতে হবে। বাঙালি বিদ্বেষীদের কিভাবে ক্ষমা চাওয়াতে হয় সেটা বাংলা পক্ষ ভালো ভাবে জানে।শীর্ষ পরিষদ সদস্য সৌম্যকান্তি ঘোড়ই বলেন, ক্ষুদিরাম বসুকে অপমান মানে বাঙালিকে অপমান। প্রফুল্ল চাকীকে অপমান মানে বাঙালিকে অপমান৷ বীর বিপ্লবী বারীন ঘোষদের অপমানের বিরুদ্ধে এই লড়াই চলবে। অক্ষয় কুমারকে ক্ষমা চাইতেই হবে।এছাড়াও আজকের প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন কলকাতা জেলার সম্পাদক সৌম্য বেরা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক কুশনাভ মন্ডল, শিল্পী পক্ষর অধিকর্তা প্রবাল চক্রবর্তী প্রমুখ। এর আগে বিধাননগর দক্ষিণ থানায় এই সিনেমা নিয়ে একই ইস্যুতে এফআইআর হয়েছে। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন বাঙালি বীর বিপ্লবীদের ইতিহাস বিকৃতি করার জন্য।

জুন ১৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

লর্ডসের ঐতিহাসিক শতরানের আলোতেও সমুজ্জ্বল বোলার সৌরভের পারফরম্যান্স

লর্ডসে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও রাহুল দ্রাবিড়ের। দিনটা ছিল ১৯৯৬ র ২০ জুন। এই টেস্টের কথা উঠলেই মহারাজকীয় শতরানের কথাই সবার আগে মনে আসে। যা এসেছিল ২২ জুন।তবে ২০ জুন বল হাতে কামাল দেখিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ইংল্যান্ডের তৃতীয় ও চতুর্থ উইকেট পড়েছিল চার রানের ব্যবধানে। দলের ৯৮ রানের মাথায় সৌরভের প্রথম শিকার হন তিন নম্বরে নামা নাসের হুসেন। ১১০ বলে ৩৬ রান করে তিনি ফেরেন বিক্রম রাঠোরের হাতে ক্যাচ দিয়ে। ১০২ রানে ইংল্যান্ডের চতুর্থ উইকেট পড়ে। ৯ বলে ১ রান করে গ্রেম হিক সৌরভের বলেই জাভাগল শ্রীনাথের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। প্রথম ইনিংসে সৌরভের বোলিং ফিগার ছিল ১৫-২-৪৯-২। বেঙ্কটেশ প্রসাদ পাঁচটি, শ্রীনাথ তিনটি ও সৌরভ ২টি উইকেট পান। পরশ মামব্রে, অনিল কুম্বলে ও সচিন তেন্ডুলকর উইকেট পাননি। দ্বিতীয় ইনিংসে সৌরভ তুলে নিয়েছিলেন প্রথম ইনিংসে শতরানকারী জ্যাক রাসেলের উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে মহারাজ ৩ ওভারে মাত্র ৫ রানের বিনিময়ে একটি উইকেট পেয়েছিলেন। ফলে লর্ডসের ঐতিহাসিক শতরানের আলোতেও সমুজ্জ্বল বোলার সৌরভের পারফরম্যান্স।

জুন ১৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

বৃষ্টির মোকাবিলায় ইডেন সেরা, মাঠ ভরানোর আহ্বান মনোজের

আজও বৃষ্টিতে ব্যাহত বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের খেলা। কয়েক দিন ধরেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি চলছে। যার জেরে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের খেলাগুলি পরিত্যক্ত হচ্ছে। ইডেনে বৃষ্টি থামার পর খেলা শুরু হলেও ফের অবিরাম বর্ষণে ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। তবে গতকাল যা হলো তা অন্য কোথাও আর হতে পারতো না।সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত ভাবনাতেই ইডেনের গোটা মাঠ ঢেকে রাখার বন্দোবস্ত হয়েছে। উন্নতমানের কভার আনিয়ে। এমনকী ইডেনের মতো সল্টলেক যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস মাঠেও মাঠ ঢেকে রাখা হয় প্রধান কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন অনবদ্য টিম যার ফলে বৃষ্টি থামার কিছুক্ষণের মধ্যেই মাঠ খেলার উপযুক্ত করে দিতে পারেন। ইডেনের এমন ব্যবস্থাপনা বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিকেট স্টেডিয়াম আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামেও নেই। সুনীল গাভাসকর-সহ অনেকেই তাই বলে থাকেন মাঠ ঢাকার ব্যবস্থাপনায় ইডেনকে অনুসরণ করতে। এই ব্যবস্থাপনার সুফল মিলল আরও একবার। গতকাল বৃষ্টি একটু ধরতেই রাতে ৯ ওভারের ম্যাচ হলো। হারবার ডায়মন্ডস ৪০ রানে হারাল লাক্স শ্যাম কলকাতা টাইগার্সকে। যে পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে শহরে তাতে অন্য কোথাও এটা সম্ভব হতো না। হলো মাঠ ঢাকার ব্যবস্থা ছিল বলেই। হারবার ডায়মন্ডস অধিনায়ক তথা রাজ্যের ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি অনুরোধ করেছেন সকলকে কাজ সেরে মাঠে এসে তরুণ ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করার জন্য। এই লিগে বিনামূল্যে খেলা দেখা যায়। এমনকী হারবার ডায়মন্ডসের সমর্থকদের জল, ইলেক্টোরাল, কেক দেওয়ার কথাও মনোজ বলেছেন। তার কারণ ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করতে সমর্থকদের উপস্থিতি দরকার। গ্যালারির সিংহভাগ ফাঁকা থাকছে। যে লিগের সম্প্রচার স্টার স্পোর্টসে চলছে সেখানে এমন ফাঁকা গ্যালারি মোটেই ভালো বিজ্ঞাপন নয়।

জুন ১৯, ২০২৫
দেশ

ওরঙ্গাবাদের এই হৃদয়স্পর্শী কাহিনী আপনার মন ছুঁয়ে যাবেই

মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদের সম্ভাজি নগরে ঘটনা এখন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল। ওই হৃদয়স্পর্শী ঘটনা নাড়া দিয়েছে পুরো সমাজকে। সেখানে এক গয়নার দোকানে গিয়েছিলেন অতি সাধারণ এক দম্পতি। স্ত্রীকে কিছু উপহার দেওয়াই ছিল স্বামীর উদ্দেশ্য। গয়নার শোরুমের ম্যানেজার তাদের সঙ্গে গল্প জুড়ে দেন। হাসিঠাট্টার মাঝে কথা বলতে বলতে জেনে নেন তাঁদের জীবনকাহিনী। এবার এল জিনিস কেনার পালা। হাতের ঝোলা ব্যাগ থেকে বেরোল একটা ৫০০ টাকার নোট। একে একে ১০, ২০ টাকার নোট। সবশেষে একটা ছোটখাট বোঁচকা। তাতে ভর্তি খুচরো পয়সা।শোরুমের ম্যানেজার গোটা বিষয়টা বুঝতে পেরে তাঁদের একটি হার উপহার দেন। সঙ্গে একজোড়া কানের দুলও। এরপর বৃদ্ধের কাছে সরল আবদার জানান, নিজে হাতে স্ত্রীর হাতে সেটা তুলে দিতে হবে। উপহার তো দিলেন ম্যানেজার, কিন্তু এত বড় দোকানে এসে কোনও টাকা না দিয়ে চলে যাবেন, এতেও যেন সম্মানে বাধে বৃদ্ধের। সমাজের খেটে খাওয়া মানুষের কাছে আত্মসম্মানই বড় কথা। প্রাণ যাক, সম্মান নিয়ে বাঁচাটাই বড় কথা। তাই সবচেয়ে বড় নোটটি তুলে দিতে চেয়েছিলেন ম্যানেজারের হাতে। কিন্তু তাতে ম্যানেজারের উত্তর, আপনার আশীর্বাদের হাত থাকলেই হবে। পান্ডুরঙ্গ (কর্নাটক, মহারাষ্ট্রের পূজিত দেবতা) আছেন, কিছুর অভাব হবে না কোনওদিন। কিন্তু বৃদ্ধ নাছোড়বান্দা, টাকা তিনি দেবেনই। উপায় নেই বুঝে অবশেষে দুটো ১০ টাকার নোট নেন ম্যানেজার।স্বামীর চোখে জল, ধুতির খুঁট দিয়ে মুছে ফেললেন। তা দেখে স্ত্রীও আটকাতে পারলেন না নিজেকে। ভিডিওতেই স্পষ্ট, এমন এক মূল্যবান উপহার পেয়ে বিশ্বাস হচ্ছে না ওই দম্পতির। কিন্তু যেকজন ভিডিওটি দেখেছেন, তাঁরা সবাই বুঝেছেন এই চোখের জল, অবিশ্বাস শুধু মূল্যবান এক উপহারের জন্য নয়, জীবনের অন্যতম এই দিনটি মনের মণিকোঠায় সাজিয়ে রাখছেন দম্পতি।

জুন ১৯, ২০২৫
দেশ

আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা: শিশুদের শনাক্ত করতে বড় সমস্যা, এখনও হস্তান্তর ১৫৯ দেহ

সুরাটের নানাবাওয়া পরিবার ৩৬ বছর বয়সী আকিল এবং ৩১ বছর বয়সী স্ত্রী হান্না ভোরাজির নামাজ-এ-জানাজা (জানাজা) সম্পন্ন হয়। বুধবার ভোরে ফোন করে জানায় যে বোয়িং ড্রিমলাইনার দুর্ঘটনায় তাদের সাথে মারা যাওয়া তাদের মেয়ে সারার মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। আত্মীয়স্বজনরা চার বছর বয়সী মেয়ের দেহাবশেষ দাবি করতে আহমেদাবাদে ছুটে যান। যাতে তাকে তার বাবা-মায়ের পাশে দাফন করা যায়।আহমেদাবাদ-লন্ডন AI-171 বিমান দুর্ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ পর, সারার সন্ধানে দেখা যাচ্ছে যে পুড়ে যাওয়া দেহাবশেষের মধ্যে নাবালকদের শনাক্ত করা কতটা কঠিন। বুধবার পর্যন্ত, ডিএনএ ম্যাচিং এবং শনাক্তকরণের পরে ১৫৯টি মৃতদেহ আত্মীয়দের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সারা ছাড়াও, এই মৃতদেহগুলির মধ্যে কেবল একজন নাবালিকা ছিল ফাতিমা শেঠওয়ালা, যার বয়স ১৮ মাস।বিমান সংস্থার তালিকা অনুসারে, AI-171-এ ১২ বছরের কম বয়সী ১৩টি শিশু ছিল, যার মধ্যে তিনজন এখনও ২ বছর পূর্ণ করেনি। আরও বেশ কয়েকজনের বয়স ১১ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে।এই ধরনের দুর্যোগে অপ্রাপ্তবয়স্কদের শনাক্ত করার জন্য ডিএনএ প্রযুক্তি ব্যবহারে অসুবিধা ব্যাখ্যা করে গুজরাটের সরকারি ডেন্টাল কলেজের ফরেনসিক দন্ত বিশেষজ্ঞ ডঃ জয়শঙ্কর পিল্লাই বলেন, শিশুদের শরীরের ভর কম থাকে এবং তাই টিস্যুর ক্ষতি হয় এবং লম্বা হাড় তাপের সংস্পর্শে আসে। তবে দাঁত বেশি শক্তিশালী হওয়ায় তাপ সহ্য করতে পারে।তবে অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে এটিও জটিল। শিশুদের যে কোনও দাঁত থেকে ডিএনএ বের করা যেতে পারে, কিন্তু আগুন লাগার সময় সামনের দাঁত ব্যবহার করা যায় না কারণ তাপ তাদের নষ্ট করে দেয়। তাই আমরা মোলার থেকে ডিএনএ নিই। ছয় বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে, আমরা স্থায়ী মোলার পেতে পারি না... তাদের বেশিরভাগই দুধের দাঁত থাকে, এবং কখনও কখনও সেগুলিও নষ্ট হয়ে যায়। কারণ খিলানটি খুব ছোট। তাই আমরা চোয়ালে একটি ছেদ তৈরি করি এবং ভিতরে স্থায়ী মোলার তৈরি করার চেষ্টা করি, পিল্লাই বলেন, যার বিভাগের সাথে ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ দাঁতের ডিএনএ বের করতে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের দাঁতের চার্ট তৈরি করতে সাহায্য করার জন্য যোগাযোগ করেছিল।একজন ফরেনসিক কর্মকর্তা বলেছেন যে দুর্ঘটনার পরে যে আগুন লেগেছিল তা খুব অল্প সময়ের মধ্যে ১৬০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি তাপমাত্রায় পৌঁছেছিল। সুতরাং, কিছু ব্যক্তির জন্য কেবলমাত্র আংশিক ডিএনএ প্রোফাইল পাওয়া যায়, যাদের আমরা সন্দেহ করি যে তারা নাবালক, কর্মকর্তা বলেন, আরও বলেন যে আত্মীয়দের সাথে নিঃসন্দেহে নির্ভুলতার সাথে মেলানো কঠিন।আকিলের বাবা আবদুল্লাহ স্মরণ করিয়ে দেন যে তিনজন ৬ জুন, ঈদুল আযহার একদিন আগে, এক আকস্মিক পরিদর্শনে এসেছিলেন। এটা একটা ছোট ভ্রমণ ছিল। আমরা জানতাম না যে এটাই তাদের শেষ হবে, কাঁদতে কাঁদতে আবদুল্লাহ বলেন, যিনি বিমানে পরিবারকে নামিয়ে দিতে আহমেদাবাদ গিয়েছিলেন।ভদোদরায়, আসিফ শেঠওয়ালা তার নাতনি ফাতিমার জন্য শোক প্রকাশ করেছেন। যার দেহাবশেষ বুধবার শনাক্ত করা হয়েছে, যখন তার মা সাদিকার মৃতদেহ এখনও পাওয়া যায়নি। আসিফ বলেন, ফাতিমা তার লন্ডন-ভিত্তিক ছেলের একমাত্র সন্তান। সাদিকা এবং ফাতিমা আমার ছোট ছেলের বিয়েতে বেড়াতে এসেছিলেন। তারা প্রায় ২০ দিন ধরে এখানে ছিলেন এবং তাদের ফেরার টিকিট অনেক আগেই বুক করা হয়েছিল।ডিএনএ সরবরাহ করার পাশাপাশি, দাঁতের দেহাবশেষ একজন ব্যক্তির আনুমানিক বয়স নির্ধারণেও সাহায্য করে। যা শনাক্তকরণের জন্য প্রয়োজনীয় সূত্র প্রদান করে। আহমেদাবাদ দুর্ঘটনায় এটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যও, বিস্ফোরণ এবং আগুনের ফলে উদ্ধার করা বেশিরভাগ ডিএনএ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।ডঃ পিল্লাই বলেন, ফরেনসিক ওডন্টোলজি বিভাগ এক থেকে ছয় বছর বয়সী বেশ কয়েকজন প্রাপ্তবয়স্ক যাত্রীর দাঁতের ডিএনএ সংগ্রহ করেছে অথবা ডেন্টাল চার্টিং করেছে এবং অন্তত কিছু ভুক্তভোগীর বয়স মূল্যায়ন করেছে। এরপর এই বয়সের যাত্রীদের জন্য ফ্লাইট ম্যানিফেস্টের সাথে তুলনা করা হয়েছে। কিছু শিশুর ক্ষেত্রে, আমরা দ্বিতীয় মোলার বিকশিত হতে দেখেছি, যা স্পষ্ট করে দিয়েছিল যে তারা তিন থেকে ছয় বছর বয়সী। এটি অনুসন্ধানকে সংকুচিত করতে সাহায্য করেছে। তারপর তাদের ডিএনএ নমুনা তাদের আত্মীয়দের সাথে মেলানো যেতে পারে।যারা খবরের জন্য অপেক্ষা করছেন তাদের মধ্যে রয়েছে ভদোদরার ভাহোরা পরিবার। তারা দুর্ঘটনায় তিন সদস্যকে হারিয়েছে। সোমবার ইয়াসমিনের মৃতদেহ হস্তান্তর করা হলেও, পারভেজ এবং তার ৪ বছর বয়সী মেয়ে জুভেরিয়ার দেহাবশেষ এখনও পাওয়া যায়নি। প্রাক্তন আইপিএস অফিসার এবং ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ, ডঃ কেশব কুমার বলেছেন, পরিবারগুলির আশা হারানো উচিত নয়। বিমান দুর্ঘটনাটি প্রায় বোমা বিস্ফোরণের মতো ছিল। যেখানে ৫৪,০০০ লিটার বিমান জ্বালানি এক ঘন্টারও বেশি সময় ধরে জ্বলছিল। উৎপন্ন তাপের পরিমাণ শরীরের জন্য ক্ষতিকর। আমরা ভাগ্যবান হব যদি ভালো নমুনা পাওয়া যায়। কিন্তু যদি একটি দাঁতও পাওয়া যায়, তাহলে ডিএনএ পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। ফরেনসিক পরীক্ষা খড়ের গাদায় সূঁচ পাওয়ার মতো। কিন্তু একজন তদন্তকারী হিসেবে, আমি বলতে পারি যে ম্যাচ পাওয়ার সম্ভাবনা ১০০%। ডিএনএ হাজার হাজার বছর টিকে থাকতে পারে এবং প্রয়োজনে ধ্বংসাবশেষে ডিএনএর আরও চিহ্ন থাকবে। গুজরাট পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন যে তারা দুর্ঘটনাস্থল থেকে একাধিক নমুনা সংগ্রহ নিশ্চিত করেছেন।

জুন ১৯, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal