কিসের ভয়ে ডিভিলিয়ার্সের সঙ্গে কফি খেতে যেতেন না বিরাট কোহলি?
তারকাখচিত দল নিয়েও আইপিএলে সাফল্য পায়নি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। কখনও বিরাট কোহলির সঙ্গে দলে ছিলেন ক্রিস গেইলের মতো বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান। কখনও আবার এবি ডিভিলিয়ার্স। ডিভিলিয়ার্সের সঙ্গে তো ১১ বছর রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরে কাটিয়েছেন বিরাট কোহলি। বিশ্বের দুই সেরা ব্যাটসম্যান মিলেও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সকে আইপিএলে চ্যাম্পিয়ন করতে পারেননি। এবছর আইপিএল থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন ডিভিলিয়ার্স। কোহলিও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের নেতৃত্বে নেই। এবছর দল চ্যাম্পিয়ন হলে ডিভিলিয়ার্সকে ভীষণ মনে পড়বে বিরাট কোহলির।সম্প্রতি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের পক্ষ থেকে একটা ভিডিও টুইটারে পোস্ট করা হয়েছে। সেই ভিডিওতে বিরাট কোহলি বলেছেন, এবছর যদি আইপিএলে চ্যাম্পিয়ন হই, তাহলে এবি ডিভিলিয়ার্সের কথা প্রথম মনে পড়বে। নিজে কী পেলাম, তার থেকেও ওর কথা বেশি করে মনে পড়বে। চ্যাম্পিয়ন হলে ওই জয়টা ডিভিলিয়ার্সের কাছে খুব বড় মনে হবে। আরসিবির সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেক মানুষের জীবনে ডিভিলিয়ার্সের প্রভাব চিরদিন থেকে যাবে। ২০২২ আইপিএলে ডিভিলিয়ার্স যে খেলবেন না, আগেই জানতেন বিরাট কোহলি। গত বছর টি২০ বিশ্বকাপ খেলে দুবাই থেকে ফেরার সময়ই ডিভিলিয়ার্সের সিদ্ধান্তের কথা জেনেছিলেন তিনি। ডিভিলিয়ার্স হোয়াটসঅ্যাপে কোহলিকে ভয়েস মেসেজ পাঠিয়েছিলেন। এই প্রসঙ্গে কোহলি বলেন, আমার এখনও মনে আছে, টি২০ বিশ্বকাপ খেলে দুবাই থেকে ফিরছিলাম। আমি একটা ভয়েস নোট পেয়েছিলাম। ভয়েস নোট খুলে সেটা শুনি। সেই ভয়েস নোটে ডিভিলিয়ার্স আইপিএলে না খেলার কথা জানিয়েছিল।সেই সময় অনুষ্কা বিরাটের পাশে ছিল। অনুষ্কাকে ডিভিলিয়ার্সের ভয়েস নোটের কথা জানাতেই, অনুষ্কা বিরাটকে বলেছিলেন, আমাকে বোলো না। ডিভিলিয়ার্স যে খেলা ছাড়তে পারেন সেটা এক বছর আগেই নাকি বুঝতে পেরেছিলেন অনুষ্কা। এমনই জানিয়েছেন বিরাট। আরসিবিতে খেলার সময় হোটেলে পাশাপাশি ঘরে থাকতেন কোহলি ও ডিভিলিয়ার্স। ডিভিলিয়ার্স তাঁকে কফি খেতে বললে যেতে চাইতেন না কোহলি। কোহলি ভাবতেন, ডিভিলিয়ার্স কফি খেতে খেতে হয়তো বলে বসবেন, তিনি আর আইপিএলে খেলবেন না।