• ১১ আষাঢ় ১৪৩২, শুক্রবার ২৭ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Died

রাজ্য

Lightning: বৃষ্টিতে গাছতলায় আশ্রয়েই বিপদ, বজ্রপাতে গলসিতে মৃত দুই

বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনায় বিরাম পড়ছে না পূর্ব বর্ধমানে। রবিবার ফের দুপুরে বজ্রপাতে মৃত্যু হল জেলার গলসি ২ ব্লকের খানো এলাকার দুই বাসিন্দার। মৃতরা হলেন শর্মিলা টুডু (২১) ও লক্ষীরাম টুডু (১৫)। মৃতরা খানো মাঝিপাড়ার বাসিন্দা। ময়নাতদন্তে পাঠানোর জন্য পুলিশ মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করেছে। একই দিনে দুই বাসিন্দার এমন অকাল মৃত্যতে খানো গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত দু জনেই দরিদ্র পরিবারের সদস্য। এদিন দুপুরে বাড়িতে পোষা ছাগল গুলি নিয়ে গ্রামের রেল লাইনের কাছাকাছি মাঠে চড়াতে নিয়ে গিয়েছিলেন লক্ষীরাম। অপর বাসিন্দা শর্মিলা টুডু একই জায়গায় জ্বালানি কুড়োতে গিয়েছিলেন। ওই সময়ে বজ্রপাতসহ বৃষ্টি শুরু হলে তাঁরা একটি গাছের নিচে গিয়ে দাঁড়ান। কিন্তু তাতেও রক্ষা মেলেনি। প্রবল বজ্রপাতে জখম হয়ে লক্ষীরাম ও শর্মিলা ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়েন। এলাকার মানুষজন তাঁদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়েযান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক দু জনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন ।

সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২১
দেশ

Corona Update: দৈনিক সংক্রমণের হার নিম্নগামী, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু আরও ২৯০ জনের

ভারতে ফের কিছুটা কমে গেল দৈনিক করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা, বিগত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৯ হাজার ৬১৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডে মৃত্যু হয়েছে ২৯০ জনের, আগের দিনের তুলনায় কমেছে মৃত্যুর সংখ্যা। শুক্রবার সারাদিনে ভারতে সুস্থ হয়েছেন ২৮,০৪৬ জন, ফলে ভারতে এই মুহূর্তে মোট সুস্থতার হার ৯৭.৭৮ শতাংশ, ২০২০ সালের মার্চ মাসের পর সর্বোচ্চ সুস্থতার হার। ভারতে এই মুহূর্তে মোট চিকিৎসাধীন করোনা-রোগীর সংখ্যা ৩,০১,৪৪২ জন, বিগত ২৪ ঘন্টায় রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ১,২৮০ জন। বিগত ২৪ ঘন্টায় দেশে কোভিড টেস্টের সংখ্যা ১৫,৯২,৪২১।আরও পড়ুনঃ ডিসি সাউথের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ প্রিয়াঙ্কারকেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিগত ২৪ ঘন্টায় ভারতে নতুন করে ২৯,৬১৬ জন সংক্রমিত হওয়ার পর দেশে মোট করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৩ কোটি ৩৬ লক্ষ ২৪ হাজার ৪১৯ জন। এই মুহূর্তে শতাংশের নিরিখে ০.৯০ শতাংশ রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ভারতে ৮৪.৮৯-কোটির গণ্ডি ছাড়িয়ে গেল কোভিড-টিকাকরণ, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক জানিয়েছে, শনিবার সকাল আটটা পর্যন্ত মোট ৮৪ কোটি ৮৯ লক্ষ ২৯ হাজার ১৬০ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। বিগত ২৪ ঘন্টায় টিকা দেওয়া হয়েছে ৭১ লক্ষ ০৪ হাজার ০৫১ জনকে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিগত ২৪ ঘন্টায় ২৯০ জনের মৃত্যুর পর ভারতে কোভিড-১৯ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৪,৪৬,৬৫৮ জন (১.৩৩ শতাংশ)।ভারতে আরোগ্যের সংখ্যা আরও বাড়ল, শুক্রবার সারা দিনে ভারতে করোনা-মুক্ত হয়েছেন ২৮,০৪৬ জন। ফলে শনিবার সকাল আটটা পর্যন্ত ভারতে মোট সুস্থ হয়েছেন ৩,২৮,৭৬,৩১৯ জন করোনা-রোগী, শতাংশের নিরিখে ৯৭.৭৮ শতাংশ। কেরলের করোনা-পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণের বাইরেই, বিগত ২৪ ঘন্টায় কেরলে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭,৯৮৩ জন। এই সময়ে দক্ষিণী রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ১২৭ জনের।

সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২১
বিদেশ

Earthquake: সকালের আলো ফুটতেই কেঁপে উঠল সিচুয়ান প্রদেশ

সূর্যের আলো তখনও ঠিক করে ফোটেনি, এমন সময়ই কেঁপে উঠল বাড়িঘর। একের পর এক বাড়ি ভেঙে পড়তে শুরু করল তাসের ঘরের মতো। দক্ষিণ পশ্চিম চিন-র সিচুয়ান প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পর জেরে জারি করা হয়েছে সতর্কতা। বৃহস্পতিবার ভোর পাঁচটা নাগাদ এই ভূমিকম্প হয়, বিপর্যয়ের জেরে কমপক্ষে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৫০ জন।আরও পড়ুনঃ শিশুদের অজানা জ্বরে কাঁপছে উত্তরবঙ্গ, আক্রান্ত ৫০০-র বেশিমার্কিন ভূতত্ত্ব বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৫.৪। যদিও চিনের ভূমিকম্প নেটওয়ার্ক সেন্টারের দাবি, ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৬.০। মাটি থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার নীচেই ছিল ভূমিকম্পের উৎসস্থল, সেই কারণে খুব বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। সিচুয়ান প্রদেশের ভূমিকম্প দপ্তরের ডেপুটি চিফ দু বিন বলেন, এই অঞ্চলে ফের ভূমিকম্প হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তবে আফটার শকের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। মনে করা হচ্ছে, আগামী কিছু সময় ধরেই এই অঞ্চলে আফটার শক অনুভব হতে পারে। এরজন্য বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। যেসমস্ত বাড়ি অনেক পুরনো ও কাঠামোও ওত শক্তিশালী নয়, সেই বাড়িগুলির বাসিন্দাদের আপাতত অনত্র থাকতেই বলা হয়েছে। সিচুয়ান সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, একাধিক বিদ্যুতের লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় প্রায় ৬২ হাজার বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। আফটার শকের আশঙ্কা থাকায় কর্মীদের সুরক্ষার কথা ভেবে আপাতত লাইন সারাইয়ের কাজও শুরু করা যাবে না।ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে ভূমিকম্পের একাধিক ভিডিও, যেখানে দেখা যাচ্ছে ঘরের ভিতরে টিভি, ফ্রিজ কাঁপছে, ছাদে লাগানো নানা অন্দরসজ্জা মাটিতে ভেঙে পড়ছে।

সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২১
রাজ্য

Child Fever: শিশুদের অজানা জ্বরে কাঁপছে উত্তরবঙ্গ, আক্রান্ত ৫০০-র বেশি

অজানা জ্বরের প্রকোপ ক্রমশ বাড়ছে উত্তরবঙ্গে। ৮ মাসের এক শিশুর মৃত্যুর খবর এসেছিল আগেই। এখনও পর্যন্ত এই অজানা জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তিন শিশুর। গুরুতর অসুস্থ শিশুর সংখ্যা সব মিলিয়ে ৫০-এর পঞ্চাশের কাছাকাছি। সরকারি নথি অনুযায়ী ৫০০-র বেশি শিশু অজানা জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে। আর এই ঘটনা উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিয়ে বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন তুলে ধরেছে। বিশেষত শিশু চিকিৎসার পরিকাঠামোর বেহাল চেহারাটা ক্রমশ সামনে আসছে। আর সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে আতঙ্কও। আরও পড়ুনঃ রাজ্যে আরও একটি বড় দুর্নীতির আশঙ্কায় শুভেন্দুকরোনার তৃতীয় ঢেউ সামলাতে এবং শিশুদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য ভবন ঘোষণা করেছিল যে গোটা রাজ্যে প্রস্তুতি চলছে। বাড়ানো হচ্ছে বেড। আইসিইউ, পিকু, নিকু সহ পেডিয়াট্রিক এক্সপার্টদের নিয়ে তৈরি হয়েছে টিম। তৃতীয় ঢেউ কবে আসবে জানা নেই। তবে জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি এবং কোচবিহার সংলগ্ন এলাকায় শিশুদের এই আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাতেই বেআব্রু হয়ে পড়েছে সরকারি সেই ব্যবস্থা। হাসপাতালে গাদাগাদি করে রয়েছে শিশু এবং তাদের অভিভাবকেরা। ভর্তির জায়গা নেই। এমনই অবস্থা একাধিক জেলা ও মহকুমা হাসপাতাল কিংবা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। মূলত শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারের বিভিন্ন অঞ্চলে এই জ্বরের প্রকোপে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ। বিভিন্ন জেলা হাসপাতাল, মহকুমা হাসপাতাল বা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এই জ্বরে আক্রান্ত শিশুরা ভিড় করছে। কোথাও প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে, কোথাও বা ভর্তি করে নেওয়া হচ্ছে। শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতাল, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ, জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতাল, বানারহাট, ধুপগুড়ি , মালবাজার, মেখলিগঞ্জ হাসপাতালসহ বিভিন্ন ছোট-বড় হাসপাতালে এই মুহূর্তে জ্বরে আক্রান্ত শিশুদের ভিড়। জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর গত ১২ থেকে ১৪ দিন ধরে এই অজানা জ্বরের প্রকোপ বেড়ে চলেছে জেলাজুড়ে। উত্তরবঙ্গের চিকিৎসকদের একাংশের অভিযোগ, সঠিকভাবে সেই তথ্য জানানো হয়নি স্বাস্থ্য ভবনকে। তথ্য ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠছে। জ্বর, পেটে যন্ত্রণা, শ্বাসকষ্ট নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে বহু শিশু। উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় ছড়িয়ে পড়ছে এই অজানা জ্বর। অথচ ১০-১২ দিন কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করে সঠিক কারণ জানা গেল না। কেন জ্বরের কারণ জানতে এত বেশি সময় লাগছে? সে নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন একাধিক বিশেষজ্ঞ।

সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২১
রাজ্য

Old Man Died: ষাঁড়ের গুঁতোয় এবার প্রাণ হারালেন কাটোয়ার বৃদ্ধ, আতঙ্কে কাঁপছে মানুষজন

ক্ষিপ্ত ষাঁড়ের গুঁতোয় প্রাণ হারালেন এক বৃদ্ধ গোপালক। মৃতের নাম রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস (৬৪)। তাঁর বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া থানার মোস্তাপুর গ্রামে।সোমবার সন্ধ্যায় রবীন্দ্রনাথ বাবু যখন তাঁর পোষা গাইগরুটিকে গোয়াল ঘরে ঢোকাচ্ছিলেন তখনই ষাঁড়টি তেড়ে এসে তাঁকে গুঁতোয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় গোপালক রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাসকে উদ্ধার করে পরিবারের লোকজন নিয়ে যান কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষনা করেন।আরও পড়ুনঃ রাগী ষাঁড়ের গুঁতোয় প্রাণে বাঁচলেও মুখের একপাটি দাঁত খোয়ালেন এক শ্রমিকএই ঘটনা জানার পর থেকে ষাঁড়ের আতঙ্কে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন মোস্তাপুর গ্রামের বাসিন্দারা। বরাত জেরে প্রাণে বেঁচে গেলেও ষাঁড়ের গুঁতোয় গত শনিবার মুখের অর্ধেক দাঁত খোয়ান লক্ষণ রাজপুত নামে কালনার এক শ্রমিক। এই ঘটনার পর তিনদিন কাটতে না কাটতেই ষাঁড়ের গুঁতোয় কাটোয়ায় প্রাণ হারালেন বৃদ্ধ। মৃত রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাসের স্ত্রী সরস্বতীদেবী এদিন জানিয়েছেন, তাঁর একমাত্র ছেলে ভিন রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করে। তাঁরা স্বামী ও স্ত্রী মিলে জনমজুরির পাশাপাশি গোপালন করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। স্বামীর এমন অকাল মৃত্যুতে পরিবারে দুঃখের দিন ফিরে আসবে বলে সরস্বতীদেবী এদিন জানান। জানা গিয়েছে, বছর পাঁচেক আগে হঠাৎ করেই এলাকায় আবির্ভাব ঘটে কালচে খয়েরি রঙের হোমড়াচোমড়া ষাঁড়টির। স্থানীয় দুতিনটে গ্রামে নিজের মন মর্জি মত ষাঁড়টি ঘুরে বেড়াতো। সম্প্রতি ষাঁড়টি উগ্র সভাবের হয়ে ওঠে। তার হামলায় ইতিমধ্যেই এলাকার অনেকে আহতও হয়েছে। গ্রামবাসীরা ষাঁড়টির ভয়ে সিঁটিয়ে থাকতেন। ষাঁড়টির গুঁতোয় এলাকার বাসিন্দা রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস মারা যাওয়ার পর স্থানীয় মানুষজন ষাঁড়টিকে এখন এলাকা ছাড়া করার জন্য প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।

সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২১
দেশ

Mumbai Nirvaya: দগদগে ক্ষত নিয়ে ৩৩ ঘণ্টার লড়াই থামল মুম্বইয়ের 'নির্ভয়া'র

ধর্ষণ ও নারকীয় অত্যাচারের ঘটনা ফের একবার মনে করাল দিল্লির নির্ভয়া-কাণ্ডের। ৩৩ ঘণ্টার লড়াই শেষ করে মৃত্যু হল মুম্বইয়ের নির্ভয়ার। শনিবার সকালে হাসপাতালেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। টেম্পোর মধ্যে ধর্ষণ করা হয় বছর ৩২-এর ওই মহিলাকে। যৌনাঙ্গে রড ঢুকিয়ে নৃশংস অত্যাচারও করা হয় তাঁর ওপর। পুলিশ নির্যাতিতাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছিল। চিকিৎসকরাও তড়িঘড়ি তাঁর চিকিৎসা শুরু করেন। কিন্তু শরীরে ক্ষত এত বেশি ছিল আর যে ভাবে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছিল, তাতে শেষ রক্ষা হয়নি। চিকিৎসা চলাকালীনই ঘাটকোপারের রাজাওয়াড়ি হাসপাতালে শনিবার সকালে মৃত্যু হয় তাঁর। টুইট করে এমনই জানিয়েছে মুম্বই পুলিশ।আরও পড়ুনঃ দাদার বায়োপিক নিয়ে উচ্ছ্বসিত মহারাজের দরবারের প্রেসিডেন্টমহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দিলীপ পাটিল অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। রাজ্যের আরও এক মন্ত্রী নবাব মালিক বলেছেন, যত দ্রুত সম্ভব এই ঘটনার চার্জশিট তৈরি করা হবে। এবং ফাস্ট-ট্র্যাক আদালতে তুলে অভিযুক্তের শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। মুম্বইয়ের রাজওয়াড়ি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করেছিল পুলিশ। চিকিৎসা শুরু হলেও ক্রমশ তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছিল। ভেন্টিলেটরে তাঁর চিকিৎসা চলছিল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। একটা সার্জারিও করা হয়েছে তাঁর শরীরে। কিন্তু চিকিৎসকেরা নজর রাখছিলেন নির্যাতিতা মহিলার শরীর চিকিৎসায় কী ভাবে সাড়া দেয়। ক্রমেই খারাপ হতে শুরু করে শারীরিক অবস্থা। সারা শরীরে ক্ষত থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছিল বলেও জানা গিয়েছে।শুক্রবার ভোররাতে মুম্বইয়ের সাকিনাকা এলাকার একটি ফাঁকা টেম্পো থেকে উদ্ধার হয় রক্তাক্ত, অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয় মহিলাকে। ধর্ষণের মূল অভিযুক্ত মোহন চৌহানকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণ, খুনের চেষ্টার মামলা রুজু হয়েছে। একটি সিসিটিভি ফুটেজও পুলিশের হাতে এসেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ধর্ষণের আগে মহিলাকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করছেন মোহন। তার পর তাঁকে ধর্ষণ করে যৌনাঙ্গে লোহার রড ঢুকিয়ে দেন। বার বার সেই রড দিয়ে মহিলার যৌনাঙ্গে আঘাত করতেও দেখা গিয়েছে মোহনকে। এর পরই মহিলাকে পাশে দাঁড়ানো একটি ফাঁকা টেম্পোতে তোলেন। সেখানে গুরুতর জখম অবস্থায় ফেলে রেখে চম্পট দেন তিনি। রাত তখন আড়াইটে, তিনটে। ঘটনার মিনিট পনেরো বাদে ওই রাস্তা দিয়েই এক ব্যক্তি যাচ্ছিলেন। তখনই তিনি মহিলাকে দেখতে পান। টেম্পো থেকে রক্ত গড়িয়ে পড়ছিল রাস্তায়। অচৈতন্য অবস্থায় মহিলাকে দেখতে পেয়েই পুলিশ কন্ট্রোলরুমে ফোন করেন তিনি। পুলিশ এসে স্ংকটজনক অবস্থায় মহিলাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

সেপ্টেম্বর ১১, ২০২১
বিদেশ

Ida: ইডার দাপটে লন্ডভন্ড নিউইয়র্ক, মৃত অন্তত ৪৪

ঘূর্ণিঝড় ইডার জেরে লন্ডভন্ড আমেরিকার নিউইয়র্ক শহর। প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের জেরে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সেখানে। বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত ইডার জেরে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৪৪ জনের। এই পরিস্থিতির জন্য আবহাওয়ার পরিবর্তনকেই দায়ী করছেন আবহবিজ্ঞানীরা।রেকর্ড বৃষ্টিতে আকস্মিক বন্যা হয়েছে নিউইয়র্কে। রাস্তার অবস্থা দেখলে নদী বলে ভুলও হতে পারে। ইতিমধ্যেই লাগুয়ারদিয়া এবং জেএফকে বিমানবন্দর থেকে শতাধিক বিমান বাতিল করা হয়েছে। সেখানকার মেট্রো স্টেশনের ভিতর জল ঢোকার ছবি আগেই সামনে এসেছিল। লাইনে জল জমে যাওয়ায় বন্ধ রয়েছে মেট্রো পরিষেবাও। ইডার জেরে ম্যানহাটনের এক রেস্তরাঁর বেসমেন্টে জলে ভরেছে। ওই রেস্তরাঁর মালিক মেতোদিজা মিহাজলভ বলেছেন, আমার ৫০ বছরের জীবনে এ রকম ভারী বৃষ্টি কখনও দেখিনি। মনে হচ্ছিল সব তছনছ হয়ে যাবে। এ বছর সত্যিই অদ্ভুত ঘটনা ঘটছে।আরও পড়ুনঃ আবার ব্যাটিং বিপর্যয় ভারতের, বুমরার দুর্দান্ত প্রত্যাঘাতনিউ জার্সি এবং ম্যানহাটনের বিভিন্ন এলাকার চিত্রটা নিউইয়র্কের মতোই। নিউ জার্সির গভর্নর ফিল মারফি জানিয়েছেন, সেখানে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২৩ জনের। গাড়ির মধ্যে আটকে পড়ার জেরেই অধিকাংশ জনেরই মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন মারফি। বুধবার রাত থেকেই যেন মেঘভাঙা বৃষ্টি শুরু হয়েছে আমেরিকার এই দুই শহর-সহ আরও একাধিক জায়গায়। ফলে হড়পা বান নেমে এসেছে বেশ কয়েকটি এলাকায়। এরপরই লাল সতর্কতা জারি করেছে স্থানীয় আবহাওয়া দপ্তর। প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে তৈরি পরিস্থিতির বেশ কয়েকটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যে ছবি দেখার পর সত্যি তাজ্জব বনে যাওয়ার জোগাড় হয়েছে নেটিজেনদের। কারণ যে ধরনের দৃশ্য সাধারণ কলকাতা, দিল্লি বা মুম্বইয়ে বন্যা পরিস্থিতিতে দেখা যায়, তার থেকেও ভয়ঙ্কর কিছু ছবি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে।

সেপ্টেম্বর ০৩, ২০২১
খেলার দুনিয়া

A‌fganistan Footballer: বিমান থেকে পড়ে মৃত্যু আফগানিস্তানের জাতীয় দলের ফুটবলারের

দেশ ছাড়তে চেয়েছিলেন। বাঁচার মরিয়া প্রচেষ্টা বিফলে গেল। এক নিমেষে শেষ তরতাজা প্রান। স্বপ্নের উড়ান থেমে গেল তালিবান আতঙ্কে। বিমানের চাকায় পিষ্ট হয়ে মারা গেলেন আফগানিস্তানের তরুণ ফুটবলার জাকি আনওয়ারি।তালিবানরা কাবুলের দখল নেওয়ার পর গত সোমবার থেকে দেশ ছাড়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন আফগানরা। কাবুলের বিমানবন্দর থেকে উড়ছে বিমান। বিমানের চাকাসহ বিভিন্ন জায়গা আঁকড়ে ধরে বাঁচার চেষ্টায় বহু মানুষ। যারা সৌভাগ্যক্রমে ঠেলাঠেলি করে বিমানে উঠতে পেরেছেন তাঁরা বেঁচে গেছেন। কিন্তু বহু হতভাগ্য বিমানের ডানা, চাকাসহ নানা জায়গায় মরিয়া হয়ে উঠে পড়েছিলেন। বিমান থেকে পড়ে মৃত্যু হচ্ছে দুই হতভাগ্যের। তাঁদেরই একজন ছিলেন আফগানিস্তানের জাতীয় দলের ফুটবলার জাকি আনওয়ারি।আরও পড়ুনঃ সিএবির আপত্তিতে পিছিয়ে গেল রনজি ট্রফিমার্কিন বিমানবাহিনীর বোয়িং সি১৭ বিমান থেকে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন জাকি। আফগানিস্তানের দখল তালিবানরা নেওয়ার পর জাকিও অনেক দেশবাসীর মতোই পালিয়ে কাবুলে হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেছিলেন। মরিয়া হয়ে প্রাণ বাঁচাতে মৃত্যুভয় তুচ্ছ করে কোনওভাবে উঠেছিলেন বিমানের বাইরের কোনও অংশে। ওই বিমানটির চাকা ধরে কেউ কেউ বসেছিলেন। কেউ বসেছিলেন উড়ানের ডানার ওপর। প্রাণে বাঁচতে এতটাই মরিয়া হয়ে দেশ ছাড়তে উদ্যত হয়েছিলেন। তাঁদেরই একজন ছিলেন জাকি। বিমানের চাকায় তাঁর দেহাংশ পাওয়া গেছে।আরও পড়ুনঃ ভোট পরবর্তী হিংসায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশওই বিমানের ভিতরে উঠতে পেরেছিলেন ৬৪০ জন। বিমানে যা যাত্রী ধরে তার চেয়ে পাঁচগুণ বেশি। যদিও আফগানিস্তানের জাতীয় যুব দলের ফুটবলার ১৯ বছরের জাকির বিমানের ভিতরে প্রবেশের সৌভাগ্য হয়নি। তাই বিমান থেকে পড়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হল তাঁর। একের পর এক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত হচ্ছে। একটিতে দেখা গিয়েছে বহু মানুষ বিমানবন্দরের গেট ও ঘেরা অংশের বাইরে দাঁড়িয়ে বিমানবন্দরে প্রবেশের জন্য আকুতি করছেন। আর্তনাদ করে তাঁরা বলছেন, তালিবানরা আসছে। আমাদের বাঁচান।আরও পড়ুনঃ টাকা চুরি করে নয়, চটি পড়ে দেশ ছেড়েছি, মুখ খুললেন আসরাফমার্কিন বিমানবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, যে মিলিটারি কার্গো বিমানটির ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, সেটি কাতার বিমানবন্দরে পৌঁছয় যাত্রীদের নিয়ে। ওই বিমান থেকে পড়ে কত সংখ্যক মানুষ প্রাণ হারিয়ছেন এবং তাঁদের পরিচয় সম্পর্কে এখনও পুরোপুরিভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে বিমানের চাকাতে অনেকের দেহাংশ মিলেছে বলে ডিপার্টমেন্ট অব দ্য এয়ার ফোর্স অব স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেশনসের তরফে জানানো হয়েছে। বিমানটি কাবুল বিমানবন্দরে পৌঁছেছিল আফগান ও মার্কিনদের দ্রুত আফগানিস্তান থেকে সরানোর জন্য। কিন্তু সেই সরঞ্জামগুলি নামানোর আগেই কয়েক হাজার মানুষ বিমানটিকে ঘিরে ফেলেন। এরপরই অবস্থার অবনতি লক্ষ্য করে দ্রুত বিমানটি ছেড়ে দেওয়ার ব্যবস্থা হয়। পরিস্থিতি এতটাই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল যে দূতাবাসের আধিকারিকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে মার্কিন বাহিনীকে গুলি চালাতে হয়, যাতে জনা পাঁচেক মানুষ প্রাণ হারান।

আগস্ট ২০, ২০২১
দেশ

Delta: ডেল্টা প্লাসে মৃত্যু মুম্বইয়ের বৃদ্ধার

টিকার দুটি ডোজের কার্যকারিতায় প্রশ্ন তুলে ডেল্টা প্লাসে প্রথম মৃত্যু হল মুম্বইয়ে। গোটা মহারাষ্ট্রে এই নিয়ে দুজন ডেল্টা প্লাসে মারা গেলেন। মুম্বইয়ের স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, গত ২১ জুলাই কোভিড পজিটিভ ধরা বছর তেষট্টির এক মহিলার। ডায়াবিটিস-সহ বেশ কিছু শারীরিক সমস্যাও ছিল তাঁর। মুম্বইয়ে যে সাত জনের দেহে ডেল্টা প্লাস ধরা পড়েছিল, এই মহিলাও তাঁদের মধ্যে ছিলেন। আরও পড়ুনঃ রাহুলরোহিতদের দাপটে লর্ডসে ইংরেজদের দর্প চূর্ণস্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে আরও জানানো হয়েছে, মহিলার দুটি টিকাই নেওয়া ছিল। গত ২৭ জুলাই তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁকে অক্সিজেন সাপোর্ট, স্টেরয়েড এবং রেমডেসিভিরও দেওয়া হয়। কিন্তু বাঁচানো যায়নি। মহিলার নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছিল। বুধবার সেই রিপোর্ট এসে পৌঁছেছে। মহিলার আরও দুই আত্মীয় ডেল্টা প্লাসে আক্রান্ত বলেও জানা গিয়েছে। এর আগে মহারাষ্ট্রের রত্নগিরিতে এক ৮০ বছরের বৃদ্ধা ডেল্টা প্লাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন।মঙ্গলবারই স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সাংবাদিক সম্মেলনে ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ় কন্ট্রোলের প্রধান সুজিত সিং জানান, জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে ৮৬ টি নমুনায় ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্টের অস্তিত্ব মিলেছে। দেশের মধ্যেও ডেল্টা প্লাসে সংক্রমণ সবথেকে বেশি মহারাষ্ট্রেই, সেখানে ৩৪জন ডেল্টা প্লাসে আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। এরপরই মধ্যপ্রদেশে ১১ জন ও তামিলনাড়ুতে ১০ জনের নমুনায় এই ভ্যারিয়েন্টের অস্তিত্ব মিলেছে।

আগস্ট ১৩, ২০২১
কলকাতা

BJP: আচমকাই মত্যু বিজেপি যুব মোর্চার সহ-সভাপতি রাজু সরকারের

বিজেপির যুব মোর্চার বৈঠকের শেষে বড় দুর্ঘটনা। এদিনের বৈঠকে কথা কাটাকাটি হয় বেশ কিছু বিষয় নিয়ে। বৈঠক শেষে দরুণ বিজেপি যুব মোর্চা সহ সভাপতি রাজু সরকার আচমকাই বুকে ব্যাথা অনুভব করেন। তাঁকে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়ই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান বলে খবর সূত্রের।আরও পড়ুনঃ লম্বা চুল রাখা যাবে না, লক্ষ্মীর ফতোয়াহেস্টিংসের দপ্তরে দুদিনের বৈঠক চলছিল যুব মোর্চার। সেই বৈঠকের শেষের উত্তেজিত বাক্য বিনিময় হয় এবং বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন যুব মোর্চার-সহ সভাপতি রাজু সরকার। এরপর আলোচনা শেষে তিনি অফিস থেকে বেরিয়েও যান। পরে নিজের ফেলে যাওয়া ডায়েরি নিতে ফের অফিসে আসেন। তখনই বেরিয়ে আসার সময় তিনি অসুস্থ বোধ করেন। তৎক্ষণাৎ তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু হাসপাতালে কোনও শয্যা মেলেনি। সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ইএম বাইপাসের ধারে অ্যাপেলো হাসপাতালে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, সেখানে নিয়ে যাওয়ার পথেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। বিজেপি সূত্রে খবর, দমদমের নাগেরবাজার এলাকার বাসিন্দা ছিলেন রাজু। তাঁর মৃত্যুতে যুব মোর্চায় নেমে এসেছে শোকের আবহ।এই বিষয়ে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

জুলাই ২৬, ২০২১
দেশ

Railway: করোনায় প্রাণ গিয়েছে ২,৯০৩ জন রেলকর্মীর

করোনা মহামারি আঘাত হানার পর থেকে এখনও পর্যন্ত ভারতীয় রেলে মোট ২ হাজার ৯০৩ জন কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন। শুক্রবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব সংসদে এমনটাই জানান। রাজ্যসভায় এক প্রশ্নের উত্তরে লিখিত আকারে এই তথ্য পেশ করা হয়। অশ্বিনী আরও উল্লেখ করেছেন, এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত ২ হাজার ৭৮২ জন রেলকর্মীদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে।আরও পড়ুনঃ পোলিকারপোভাকে উড়িয়ে দারুণভাবে অলিম্পিক অভিযান শুরু করলেন সিন্ধুমন্ত্রী জানান, কর্মরত অবস্থায় কোনও কর্মীর মৃত্যু হলে ভারতীয় রেলের তরফে তাঁদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সংশ্লিষ্ট নীতি রয়েছে। রেলওয়ে কর্মীর ওপর নির্ভরশীল পরিবারের সদস্যদের করোনায় মৃত্যু হলে এই স্কীমের সমস্তরকম সুবিধা রেলের তরপে দেওয়া হয়। তিনি আরও জানান, এখনও পর্যন্ত রেলের প্রায় ৮ লাখ ৬৩ হাজার ৮৬৮ জন কর্মীকে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। ২ লাখ ৩৪ হাজার ১৮৪ জনকে দ্বিতীয় ডোজটিও দিয়ে দেওয়া হয়েছে।রেলওয়ে কর্মীদের ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত পরিমান সেন্টার খুলে পর্যাপ্ত পরিমাণ টিকাকর্মীও নিয়োগ করা হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব রেলওয়ের সমস্ত কর্মীকে ভ্যাকসিন দেওয়া সম্পূর্ণ করা হবে বলেও বৈষ্ণব জানিয়েছেন।RAILWAYS LOST 2,903 EMPLOYEES DUE TO COVID-19 : RAIL MINISTER. pic.twitter.com/zMF49PJcbz Eastern Railway (@EasternRailway) July 24, 2021

জুলাই ২৫, ২০২১
দেশ

Mumbai Rain: বৃষ্টি-বন্যা-ধসে বিপর্যস্ত মহারাষ্ট্র, মৃত ১২৯

ভয়াবহ পরিস্থিতি মহারাষ্ট্রের।বৃষ্টি, বন্যা, ধসে পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হচ্ছে। গত দুদিনের বৃষ্টির জেরে ১২৯ জনের মৃ্ত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মহারাষ্ট্র জুড়ে একাধিক জায়গায় ধস নেমেছে। বন্যার জলের তোড়ে ভেসে গিয়েও অনেকের মৃত্যু হয়েছে। একাধিক জায়গায় চলছে উদ্ধার কাজ। চূড়ান্ত তৎপরতার সঙ্গে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীরা। হেলিকপ্টারে চালানো হচ্ছে নজরদারি। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় জারি হয়েছে রেড অ্যালার্ট।আরও পড়ুনঃ কেতুগ্রাম বোমা বিস্ফোরণ কাণ্ডে ধৃত দুই, পলাতকদের খুঁজছে পুলিশরাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, ৪৮ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১২৯। রায়গড় ও সাতারা জেলাতেই মৃতের সংখ্যা সবথেকে বেশি। শুধুমাত্র সাতারায় মৃত্যু হয়েছে ২৭ জনের। গন্ডিয়া, চন্দ্রপুরের মতো এলাকাগুলোতেও পরিস্থিতি মারাত্মক আকার নিয়েছে। ধস নেমেছে আম্বেঘর, মিরগাঁও গ্রামে। রত্নগিরি জেলায় আটকে পড়েছে ১০ জন। বন্যার জলে ভেসে গিয়েছে একটি বাস। বাসের যাত্রীদের কোনওমতে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। শুক্রবার মহারাষ্ট্রে ধসে মৃত্যুর ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন তিনি। বায়ুসেনার এমআই-১৭ভি৫ ও এমআই- ১৭ হেলিকপ্টার মোতায়েন করা হয়েছে মহারাষ্ট্রে। ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনীর তরফেও সাতটি টিম কাজ করছে। শনিবারই উদ্ধারকাজে যোগ দেবে ভারতীয় সেনা ও নৌবাহিনীর মোট ৬টি টিম। মহারাষ্ট্রের মোট ৬টি জেলায় রেড অ্যালার্ট জারি করেছে মৌসম ভবন।

জুলাই ২৪, ২০২১
রাজ্য

জামালপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট চাষির মৃতদেহ উদ্ধার

চাষের জমি থেকে উদ্ধার হল এক প্রৌঢ় চাষির মৃতদেহ। মৃতর নাম উমাপদ পাত্র (৬৭)। তার বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার জামালপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েত অধীন শুড়েকালনা গ্রামের পাত্রপাড়ায়। বৃহস্পতিবার সকালে শুড়েকালনা এলাকার শ্মশানের কাছের জমিতেই পড়ে থাকতে দেখা যায়, উমাপদ পাত্রর মৃতদেহ। ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে জামালপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। প্রৌঢ় চাষির এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর জন্য বিদ্যুৎ দপ্তর ও পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের গাফিলতিকেই দায়ী করেছেন মৃতর পরিজন ও এলাকাবাসী। পুলিশ মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।আরও পড়ুনঃ জন্মদিন কেমন কাটল বং গাই এর?মৃতর নাতি সৌরভ বড়াল জানিয়েছেন, শুড়েকালনার পাত্রপাড়ার অদূরে দামোদরের গা ঘেঁষে রয়েছে তাঁর দাদু উমাপদ পাত্রর চাষের জমি। সেই জমির খানিকটা দূরেই রয়েছে শ্মশান। সেখানকার ইলেকট্রিক পোস্ট থেকে শ্মশানে তার টেনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ইলেকট্রিক পোলটি কিছুদিন ধরেই কারেন্ট হয়ে আছে।এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য ও পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষকে সেই বিষয়ে এলাকার লোকজন জানিয়ে আসলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। সৌরভ জানান, অন্যান্য দিনের মতো এদিনও তাঁর দাদু নিজের চাষের জমির কাজে যাচ্ছিলেন। সেই সময়ে জমিতে জমে থাকা জল কারেন্ট হয়ে ছিল। ওই জলে পা পড়তেই উমাপদ পাত্র বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান বলে সৌরভ বড়াল দাবি করেছেন। শুড়েকালনা নিবাসী জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য প্রদীপ পাল বলেন, যে পোল থেকে ইলেকট্রিক তার শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সেই পোলটি তড়িদাহত হয়ে থাকার বিষয়টি পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু কেন সেটি মেরামত হয়নি তা পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ও বিদ্যুৎ দপ্তর জানাতে পারবে বলে প্রদীপ পাল মন্তব্য করেন। পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে দায় এড়ালেও জামালপুর বিদ্যুৎ দপ্তরের স্টেশন ম্যানেজার বিদ্যুৎ সাহা জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ দপ্তরকে অন্ধকারে রেখে শ্মশানে বিদ্যুৎ লাইন টেনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।যে ব্যক্তি মারা গিয়েছেন তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েই মারা গিয়েছেন কি না তা এখনও পরিষ্কার নয় । এই বিষয়ে সবিস্তার খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

জুলাই ১৫, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Y‌ashpal Sharma : মারা গেলেন ১৯৮৩ বিশ্বকাপের নায়ক, শোকস্তব্ধ গোটা দেশ

ভারতীয় ক্রিকেটে ইন্দ্রপতন। মারা গেলেন ১৯৮৩ বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দলের সদস্য যশপাল শর্মা। বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর। মঙ্গলবার সকালে নিজের বাসভবনেই মারা যান দেশের এই প্রাক্তন ক্রিকেটার। মৃত্যুকালে যশপাল রেখে গেলেন স্ত্রী রেণু শর্মা, দুই মেয়ে পুজা ওপ প্রীতি এবং ছেলে চিরাগকে। তাঁর মৃত্যুতে দেশের ক্রীড়ামহলে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।আরও পড়ুনঃ পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির অভিনব প্রতিবাদ, ডোঙার সাহায্যে জল সেচ তৃণমূল বিধায়কের১৯৮৩ বিশ্বকাপে দলকে ফাইনালে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা নিয়েছিলেন যশপাল শর্মা। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৬১ রানের দুর্দান্ত ইনিস খেলেছিলেন। ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ওটাই ছিল সর্বোচ্চ স্কোর। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচেও ৮৯ রানের অসাধারণ ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন যশপাল। দেশের হয়ে ৩৭ টি টেস্ট খেলেছিলেন। রান করেন ১৬০৬। সেঞ্চুরি ২টি। ৪২টি একদিনের ম্যাচে রান করেছেন ৮৮৩। যশপাল শর্মার রানিং বিটুইন দ্য উইকেট ছিল চোখে পড়ার মতো। ১৯৮৩ বিশ্বকাপে এই ব্যাপারে দারুণ নজর কেড়েছিলেন। খারাপ ফর্মের জন্য ১৯৮৩৮৪ মরশুমে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সিরিজে দল থেকে বাদ পড়েছিলেন। পরে আর সেই জায়গা ফিরে পাননি।আরও পড়ুনঃ ইংল্যান্ডের স্বপ্ন চুরমার করে ইউরো চ্যাম্পিয়ন ইতালিখেলা থেকে অবসর নেওয়ার পর একসময় ম্যাচ রেফারির দায়িত্বও পালন করেছিলেন যশপাল। ২০০৩ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত জাতীয় নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন যশপাল। তাঁর সময় কালেই কোচ গ্রেগ চ্যাপেলের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি। প্রকাশ্যে সৌরভের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন যশপাল। সৌরভের হয়ে বিবৃতিও দিয়েছিলেন। পাশাপাশি কোচ গ্রেগ চ্যাপেলের নানা কর্মকান্ডের সমালোচনায় মুখর হন। তিনি প্রকাশ্যে জানিয়েছিলেন, গ্রেগ চ্যাপেল যাদের পছন্দ করেন না, তাদের দলে না রাখার জন্য নির্বাচকদের চাপ দিতেন। শারদ পাওয়ার বোর্ড সভাপতি হওয়ার পর নির্বাচকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় যশপাল শর্মাকে। পরে আবার নির্বাচকের দায়িত্ব পেয়েছিলেন। একসময় আম্পায়ারের ভুমিকাতেও দেখা গেছে যশপালকে।আরও পড়ুনঃ প্রয়াত বলিউড অভিনেতা ও মিমিক্রি শিল্পী মাধব মোঘেযশপাল শর্মার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা দেশে। দেশের রাষ্ট্রপতি থেকে শুরু করে ক্রীড়ামন্ত্রী, বিভিন্ন ক্রীড়াবিদ শোকজ্ঞাপন করেছেন। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ টুইটারে লিখেছেন, যশপাল শর্মার মৃত্যু খুবই দুঃখজনক। দেশকে ১৯৮৩ বিশ্বকাপ জেতাতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা নিয়েছিল। ওর পরিবারকে আমার সমবেদনা জানাচ্ছি। কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী তথা প্রাক্তন ক্রিকেট বোর্ড প্রেসিডেন্ট অনুরাগ ঠাকুর টুইটারে শোকপ্রকাশ করে লিখেছেন, ভারতীয় ক্রিকেটে যশপাল শর্মার অবদান কখনও ভোলা যাবে না। শচীন টুইট করেছেন, যশপাল শর্মার মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। ১৯৮৩ বিশ্বকাপ জয়ে শর্মাজীর অবদান কখনও ভোলার নয়।

জুলাই ১৩, ২০২১
রাজ্য

Tragic Accident: রথের চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু বালকের

রথের চাকায় পিষ্ট হয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হলো প্রথম শ্রেণির এক ছাত্রের। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ছটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে পুরাতন মালদা থানার মাধাইপুর এলাকায় রূপ সনাতন মন্দির সংলগ্ন মাঠে। করোনা সংক্রমণের মধ্যে মালদায় রথযাত্রায় সাধারণ মানুষের জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও, কিভাবে পুরাতন মালদার মাধাইপুর এলাকায় রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হলো তা নিয়েও বিস্তর অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে । আর ওই এলাকাতেই রথের চাকায় পিষ্ট হয়ে সাত বছর বয়সী এক বালকের মৃত্যুর ঘটনার পর ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।আরও পড়ুনঃ ভামিকার ৬ মাসের ছবি শেয়ার বিরুষ্কারএদিন রথযাত্রা উপলক্ষে মাধাইপুর এলাকার মাঠেই রূপ সনাতন কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে রথযাত্রার আয়োজন করা হয়। আর সেই রথেই নাকি চেপে বসেছিল প্রথম শ্রেণির ওই বালক। এরপর বেসামাল হয়ে রথ থেকে পড়ে চাকার তলে ঢুকে যায় সে। সেই মুহূর্তেই শরীরের ওপর দিয়ে কাঠের চাকা চলে যাওয়ায় পিষ্ট হয়ে যায় ওই ছাত্রটি। ঘটনাস্থলে যায় পুরাতন মালদা থানার পুলিশ । করোনা পরিস্থিতির মধ্যে রথ পরিচালনা করা নিয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। তবে এব্যাপারে রূপ সনাতন মন্দির কর্তৃপক্ষ কোনও মন্তব্য করতে চায়নি।আরও পড়ুনঃ পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির অভিনব প্রতিবাদ, ডোঙার সাহায্যে জল সেচ তৃণমূল বিধায়কেরপুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত বালকের নাম সঞ্জয় সাহা, বয়স সাত বছর । তার বাড়ি পুরাতন মালদা পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কোর্ট স্টেশন সংলগ্ন বাচ্চাকলোনি এলাকায়। মৃত ছাত্রের বাবা সুমন সাহা, পেশায় রাজমিস্ত্রি। মা শিখা সাহা, গৃহবধূ । এদিন বিকেলে মাধাইপুর এলাকার রথযাত্রা দেখার জেদ ধরেছিল ওই বালক। এরপর মায়ের সঙ্গে সেই এলাকায় রথযাত্রা দেখতে যায়। আর সন্ধ্যায় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।আরও পড়ুনঃ ইংল্যান্ডের স্বপ্ন চুরমার করে ইউরো চ্যাম্পিয়ন ইতালিপ্রায় ১২ ফুট উচ্চতার রথের মাথা থেকে নিচে পড়ে চাকার তলে পিষ্ট হয় ওই বালক। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। এই দুর্ঘটনার পর মুহূর্তের মধ্যেই রথ চালানো বন্ধ হয়ে যায়। মাধাইপুর এলাকার মাঠের মাঝখানে রথ দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। আতঙ্কের জেরে নিমেষের মধ্যে ফাঁকা হয়ে যায় গোটা এলাকা। পরে ঘটনার খবর পেয়ে তদন্তে যায় পুলিশ।আরও পড়ুনঃ আতঙ্ক ছড়াচ্ছে করোনার দোসর জিকা ভাইরাসএদিকে রূপ সনাতন মন্দির কর্তৃপক্ষের এক সদস্য দিবাকর ঘোষ জানিয়েছেন, সরকারি নির্দেশ মেনে রথে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার বিগ্রহকে পূজা দেওয়া হয়েছিল। সেরকমভাবে রথ টানার কোনও ব্যবস্থা এদিন রাখা হয়নি । এরমধ্যে কোথায় কী ঘটে গেল কিছুই বুঝতে পারছি না ।আরও পড়ুনঃ প্রয়াত বলিউড অভিনেতা ও মিমিক্রি শিল্পী মাধব মোঘেঅন্যদিকে, পুরাতন মালদা থানার আইসি হীরক বিশ্বাস জানিয়েছেন, সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে রথযাত্রা জমায়েত এবং রথ টানা হচ্ছিল কি না সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কিভাবে দুর্ঘটনা ঘটলো সেটিও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। মৃতদেহ উদ্ধার করে মালদা মেডিক্যাল কলেজের মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি রথযাত্রার যারা উদ্যোক্তা, তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

জুলাই ১২, ২০২১
কলকাতা

রবিনসনকাণ্ডের ছায়া এবার ট্যাংরায়

রবিনসন কাণ্ডের ছায়া এবার ট্যাংরায়। তিনদিন ধরে মায়ের মৃতদেহ আগলে বসে রইলেন মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণী। শেষমেশ রবিবার পুলিশ এসে মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করে। ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতার নাম কৃষ্ণা দাস। তাঁরা তিন মেয়ে। দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। তবে আরেক মেয়ে সোমা দাস থাকতেন মায়ের সঙ্গেই। কৃষ্ণা দাসের স্বামী রেলকর্মী ধীরেন দাসও বাড়ি প্রায় আসেন না বললেই চলে। স্থানীয়দের দাবি, ট্যাংরার শীল লেনের ওই বাড়িতে মায়ের সঙ্গে শুধু সোমাকেই দেখা যেত। মানসিক ভারসাম্যহীন সোমা কাউকেই বাড়িতে ঢুকতে দিতেন না। বাইরের কোনও ব্যক্তিকে দেখলেই চিৎকার করতেন। জিনিসপত্র, বাসন ইত্যাদি ছুঁড়ে মারতেন। তাই তাঁদের বাড়িতে খুব একটা যাতায়াত ছিল না কারওরই। ফলে কৃ্ষ্ণা দাসের মারা যাওয়ার বিষয়টি অজানাই ছিল এলাকার বাসিন্দাদের কাছে। মেয়েও এনিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য করেননি।কিন্তু এদিন সকালে শীল লেনের ওই বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ বেরতে শুরু করে। আর তাতেই সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। তাঁরাই পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে ঘরের ভিতর থেকে কৃষ্ণা দাসের মৃতদেহ উদ্ধার করে। সেই সময় মায়ের পচন ধরা দেহের পাশেই বসেছিলেন সোমা দাস। জানা যায়, তিনদিন আগেই মায়ের মৃত্যু হয়েছিল। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কীভাবে তাঁর মৃত্যু হল, ময়নাতদন্তের পরই তা পরিষ্কার হবে। কৃষ্ণা দাসের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গেও যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে পুলিশ।

জুন ২৭, ২০২১
রাজ্য

বর্ধমানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু ২ শিশুর

রায়নায় দুই শিশুর (Child) রহস্যজনক মৃত্যু। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই বোনের মৃত্যু হয়েছে। তবে দুই মেয়ে রহস্যমৃত্যুর জন্য বাবাকে কাঠগড়ায় তুলছে স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁকে ধরে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। পরে স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশ।আরও পড়ুনঃ মঙ্গলবার পর্যন্ত বন্ধ হাওড়ার একাধিক বাজারশনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের (Burdawan) রায়নার খালেরপুল এলাকায়। মৃতরা হল সুমি খাতুন (৮) ও তার বোন রুমি খাতুন (৬)। প্রাথমিকভাবে অনুমান, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে। নিছক দুর্ঘটনা না কি ঘটনার পিছনে অন্য কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এদিকে ঘটনার পর ওই দুই শিশুর বাবা পেশায় টোটোচালক হাসিবুল লায়েক এলে তাকে স্থানীয়রা বেধড়ক মারধর করে। অভিযোগ, হাসিবুলের সঙ্গে তার স্ত্রীর কয়েকদিন আগে অশান্তি হয়। তার জেরে স্ত্রী বাপের বাড়ি চলে যান। শিশু দুটি বাবার কাছেই ছিল। শিশু মৃত্যুর ঘটনায় বাবাকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন স্থানীয়রা।জানা গিয়েছে, এদিন বিকেলে ওই দুই শিশু বাড়ির কাছেই একটি তারের তৈরি দোলনায় দোল খেতে যায়। সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় তার ঠাকুমা খুঁজতে বেরয়। পরে শিশুদুটিকে পড়ে থাকতে দেখেন। তিনি দাবি করেন, নাতনিদের গায়ে হাত দিতেই শক লাগে। খবর পেয়ে রতে রায়না থানার পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানেই চিকিৎসকরা জানান শিশু দুটির মৃত্যু হয়েছে।

জুন ২৭, ২০২১
কলকাতা

Wall Collapse: হনুমানের লাফে পাঁচিল ভেঙে পড়ে বৃদ্ধার মৃত্যু

এক বাড়ির ছাদ থেকে আরেক বাড়ির ছাদে হনুমান লাফ দিতেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল পাঁচিল। আর সেই পাঁচিল চাপা পড়ে মারা গেলেন ষাটোর্ধ্ব এক বৃদ্ধা। মর্মান্তিক ওই ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার বিকেলে হাওড়ার বালির হাজরাপাড়া এলাকায়। গত দুদিনের অতিভারী বৃষ্টিতে এমনিতেই জীর্ণ বাড়িটি দুর্বল হয়ে পড়েছিল। আর তার উপর হনুমান এসে ছাদে লাফ দিতেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে ছাদের একাংশ। আর তাতেই পাঁচিলের একাংশ ভেঙে চাপা পড়ে মৃত্যু হয় ষাটোর্ধ্ব ওই মহিলার। এই ঘটনায় কার্যত শোকস্তব্ধ বালির হাওড়ার হাজরাপাড়া। এইভাবে কারও মৃত্যু হতে পারে তা বিশ্বাস করতে পারছেন না কেউই। বেলুড় স্টেট জেনারেল হাসপাতালে মহিলাকে আনা হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। জানা গিয়েছে, জীর্ণ বাড়ির নীচে দাঁড়িয়ে ছিলেন আরতি দাস নামের ওই মহিলা। শুক্রবার বিকেলে ওই ঘটনা ঘটে। পরিবারের সদস্যদের চোখের সামনেই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে যায়। ঘটনায় শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েছে বালির হাজরাপাড়া এলাকা।এদিকে, এই ঘটনা প্রসঙ্গে মৃতার আত্মীয় সোমা দে জানান, যখন তিনি এবং তাঁর স্বামী দুজনে মিলে বিকেলে বাড়িতে গাছ লাগাচ্ছিলেন, তখন মেজদিদি আরতি দাস সেখানে দাঁড়িয়েছিলেন। সেই সময় হঠাৎ একটা আওয়াজ হয়। দেখেন মেজদিদি মাটিতে পড়ে আছেন। একটা হনুমান এক ছাদ থেকে আমাদের ছাদে লাভ দেওয়ার সময় একাংশ হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে ওনার মাথায়। আকস্মিক এই ঘটনা চোখের সামনে ঘটে যায়। মৃতার ছেলে অর্ণব দাস জানান, একটা হনুমান এক অ্যাসবেস্টস থেকে অন্য অ্যাসবেস্টসে লাফ দিতে গিয়ে ছাদের একাংশ মায়ের মাথায় এসে পড়ে। সেই সময় বাড়িতে তিনি ছিলেন না। এরপর খবর পেয়েই হাসপাতালে দ্রুত ছুটে আসেন। দেখেন এই ঘটনা।মৃতার ভাই আশীষ দে জানান, শুক্রবার বিকেলে তাঁরা বাড়ির বাগানে গাছ লাগাচ্ছিলেন। তখন একটা হনুমান ছাদের ওপর লাফিয়ে যাওয়ার সময় উপরের সিঁড়ির কাছে প্রায় ৬টি ইঁটের চাঁই ভেঙে মেজদির মাথায় পড়ে। এই ঘটনার উনি মারাত্মকভাবে মাথায় আঘাত পান। ঘটনাটা বালি হাজরাপাড়া লেনে ঘটে। বর্ষায় ইঁটের চাঁই আলগা অবস্থায় ছিল। এই অবস্থায় দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

জুন ১৯, ২০২১
কলকাতা

Gyaneswari Incident: 'মৃত' ব্যক্তিকে আটক করল সিবিআই

জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃত ব্যক্তি আচমকাই জীবিত হয়ে উঠলেন। শুধুই বেঁচে ওঠেননি। একই সঙ্গে সরকারি ক্ষতিপূরণ এবং সরকারি চাকরিও ভোগ করছিলেন এতদিনে। কিন্তু জালিয়াতি বেশিদিন চালানো গেল না। শনিবার কলকাতার জোড়াবাগান এলাকা থেকে ভুয়ো নথি, ডিএনএ রিপোর্ট ও ডেথ সার্টিফিকেট জমা দেওয়া ওই ব্যক্তিকে আটক করেছে সিবিআই। সূত্রের খবর, অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম অমিতাভ চৌধুরী। আটক করা হয়েছে অভিযুক্তের বাবাকেও।২০১০ সালের ২৮ মে জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় প্রায় ১৫০ জনের। মৃতদের পরিবারে জন্য আর্থিক ক্ষতিপূরণ এবং সরকারি চাকরির ঘোষণা করে রেল। তবে নিয়ম বেঁধে দেওয়া হয়, ক্ষতিপূরণের জন্য মৃত ব্যক্তির মৃত্যুর শংসাপত্র জমা করতে হবে। একই সঙ্গে মৃত ব্যক্তির ডিএনএ-র নমুনা মিলবে এমন কোনও পরিবারের ব্যক্তিকে চাকরি দেওয়া হবে। সূত্রের খবর, এই ডেথ সার্টিফিকেট এবং এবং ডিএনএ রিপোর্ট তৈরির ক্ষেত্রেই কারচুপি করেছিলেন অভিযুক্ত অমিতাভ।জীবিত মানুষকেই কাগজপত্রের মাধ্যমে মৃত ঘোষণা করে ৪ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ এবং সরকারি চাকরি বাগিয়ে নেওয়া হয়। নথিতে মৃত অমিতাভ চৌধুরীর বোন রেলের একটি উর্ধ্বতন পদে সেই চাকরি পান। সেই ঘটনার প্রায় ১০ বছর পর রেলের অভ্যন্তরীণ অডিটে এই বেআইনি কার্যকলাপ ধরা পড়ে। অভিযোগ দায়ের করা হয় সিবিআই-এর দুর্নীতিদমন শাখায়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই শুক্রবার রাতে জোড়াবাগান থাকা এলাকায় অভিতাভ চৌধুরীর বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। এরপর গতকাল রাতেই অমিতাভ চক্রবর্তী এবং তাঁর বাবাকে আটক করে সিবিআই। বর্তমানে তাঁদের নিজামে প্যালেসে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অনুমান, এর পিছনে একটি বড় চক্র কাজ করতে পারে। এই ধরনের ভুয়ো নথি জমা পড়লে সাধারণত গোড়াতেই তদন্তের সময় ধরা পড়ে। তাহলে কেন আগে এদের ধরা গেল না? তবে কি রেলের কোনও আধিকারিকও গোটা ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে? আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছে না সিবিআই।

জুন ১৯, ২০২১
রাজ্য

CoronaVirus: প্রয়াত গোসাবার তৃণমূল বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর

কোভিড পরবর্তী প্রয়াত গোসাবার তৃণমূল বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর। শনিবার রাত ৮.৪০ মিনিট নাগাদ তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৩। তার মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।Heartfelt condolences to the family supporters of Jayanta Naskar. Deeply pained at this colossal loss.As a 3-time MLA from Gosaba, he had dedicated his life towards serving people was always with us through our many struggles. He will be remembered dearly. Mamata Banerjee (@MamataOfficial) June 19, 2021মাসখানেক আগেই কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন জয়ন্ত নস্কর। প্রথমে তাঁকে এমআর বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখান থেকে পরে নিয়ে যাওয়ায় হয় মধ্য কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। এক মাসের বেশি সময় ধরে তাঁর চিকিৎসা চলছিল সেখানে। কোভিড মুক্ত হলেও শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি। কোভিড পরবর্তী চিকিৎসা চলছিল জয়ন্ত নস্করের। সুন্দরবনের গোসাবা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তিন বার বিধায়ক পদে জিতেছেন অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক জয়ন্ত নস্কর। রাজনৈতিক জীবনের শুরুতে কংগ্রেসে ছিলেন তিনি। পরে তৃণমূলের জন্মলগ্নেই ওই দলে যোগদান করেন তিনি। বাসন্তির চুনাখালি গ্রামে তাঁর জন্ম। পরিবারে রয়েছেন স্ত্রী-সহ দুই ছেলে এবং তিন মেয়ে।

জুন ১৯, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

শিশুর মাদকাশক্তি! উদ্ধারের উপায়? আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবসে আলোচনা সভা বর্ধমানের স্কুলের

প্রতি বছর ২৬ জুন আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী ও অবৈধ পাচার প্রতিরোধ দিবস পালিত হয়। এই বিশেষ দিনটি আমাদের স্মরণ করায় মাদক ব্যবহারের ফলে কি ক্ষতি হতে পারে এবং এবং অবৈধ মাদক পাচারের জন্য স্মাজের কি সমস্যা হয়। মাদক শরীর, মন এবং ভবিষ্যতকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। মাদক সেবনের ফলে যেরকম শরীরের ক্ষতি হয় ঠিক সেইভাবে মাদক সেবন একটি মানুষকে সমাজের মুল স্রোত থেকে দুরে ঠেলে সরিয়ে দিয়ে একাকী করে তুলতে পারে। মাদক সেবন মানুষকে অসুস্থ করে তোলে এবং সুখী জীবন যাপন করতে বাধা দেয়।একজন শিক্ষার্থী হিসেবে মাদক থেকে দূরে থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই মাদকের বিরুদ্ধে না বলতে হবে এবং বন্ধুদেরও মাদক থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করতে হবে। আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী উপলক্ষে আজ সিএসআর বক্স থেকে কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ে এসেছিলেন শ্রেয়া বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বয়ঃসন্ধির সময় ছাত্রছাত্রীরা প্রধানত বিদ্যালয়ে কিরকম সমস্যার মধ্যে পড়ে এবং কিভাবে তার সমাধান করা উচিত সে বিষয়ে বিসদে আলোচনা করলেন। শ্রেণিকক্ষে তথা বন্ধুবৃত্তে নানা মানসিকতার পড়ুয়া থাকে, কেউ কেউ বেশি বয়সেরও হয়। তারা নেশার মতো নানারকম ক্ষতিকর অভ্যাসের দিকে অন্যদের আকর্ষণ করে। সহপাঠীর কাছ থেকে খারাপ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাহলে উপায়?বক্তা মদ খাওয়ার বিভিন্ন ক্ষতি ব্যাখ্যা করেন - শারীরিক আর মানসিক স্তরে। এইরকম খারাপ বন্ধু যেন সীমা লঙ্ঘন না করে এটা আগে থেকে দেখা উচিত। তিনি বলেন, কেউ প্রতিরোধ না করতে পারলে তৎক্ষণাৎ তোমদের শিক্ষকদের এবিষয়ে জানানো উচিত। যদি কোনও শিশু জোরপূর্বক মাদকাসক্তির শিকার হন, তাহলে ১০৯৮ নম্বরে ফোন করে প্রথমে শিশু সুরক্ষার জন্য সহায়তা চাইতে পারে, এবং তারা তোমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করবে। ১০৯৮ নম্বরে নেশা নিয়ে সমস্যার বিষয়ে জানানো যায়। বা গুরুজনদের কাউকে অবশ্যই বলা উচিত।বর্ধমান শহরের কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক ড.সুভাষচন্দ্র দত্ত জনতার কথাকে জানান, এই জাতীয় প্রোগ্রাম আমরা সবসময়েই স্বাগত জানাই। সমাজে নেশার ক্রমবর্ধমান প্রকোপের দিকে তাকিয়ে তাদের রক্ষা করা আমাদের সবার কর্তব্য।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

অরিজিৎ সিং বর্ধমানে? শুটিংয়ের জায়গা খুঁজতে গেলেন বাংলা সিনেমার গ্রামে

মঙ্গলবার ঠিক সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ অরিজিৎ সিং এলেন পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের মৌখিড়া জমিদার বাড়ির কাছে। ঘুরে দেখলেন জেলার একমাত্র জঙ্গল মহলের কালিকাপুর রাজবাড়িও। ছবি তুললেন রাজবাড়ির পুরোহিত পিগলু ওরফে গোপাল চক্রবর্তীর সঙ্গে। তাকে নিরাপত্তাহীন জঙ্গলের বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরতে দেখে অবাক হন অনেকে। শোনা যায় সম্প্রতি অরিজিৎ সিং বোলপুরে এসেছেন এবার এলেন আউশগ্রামে হঠাৎই। জনপ্রিয় গায়ক অরিজিৎ সিং একটি নতুন ছবির শুটিংয়ের জন্য রেকি করতে এসেছেন বলে জানান চিত্রনাট্যকার, লেখক, আউশগ্রামের ভূমিপুত্র রাধামাধব মণ্ডল। তিনি আরও জানান, যে তিনি ইলামবাজার সংলগ্ন অঞ্চলে শুটিংয়ের জন্য বিভিন্ন জায়গা খুঁজছেন বেশ কয়েক দিন ধরেই। তাঁকে এদিন হঠাৎ করে আউশগ্রামের রাস্তায় দেখেই চমকে ওঠেন সকলে। যদিও তাঁর আশার বিষয়টি ছিল সম্পূর্ণ গোপনীয়।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

মুর্শিদাবাদের সীমান্ত এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশি গ্রেফতার

সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশী যুবককে গ্রেপ্তার করলো রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে রঘুনাথগঞ্জের তেঘরি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম কাইয়ুম রেজা (২৪)এবং জাহির রহমান(৩৫)। উভয়ের বাড়ি বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ। বুধবার ধৃতদের জঙ্গিপুর আদালতে পাঠায় পুলিশ। যদিও কি উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছিল ধৃতরা কিংবা কিভাবেই বা পার হয়ে এসেছে তারা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশের পক্ষ থেকে। ধৃতদের পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয়ে চিকিৎসার জন্য ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণা, গ্রেফতার দুই

অভিনব কায়দায় ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করলো বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে কয়েকজন পরিচিতের নাম বলে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার নিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছর নভেম্বর মাসের ২ তারিখে পেট্রাপোল থানার পুরাতন বনগাঁ এলাকার বাসিন্দা অমিত হালদার বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানিয়ে বলেন, অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে তার কয়েকজন পরিচিতের সুপারিশ নিয়ে তাকে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার দিতে বলেন। ঐ ব্যক্তি ফোন মারফত বলেন, তিনি ভারতে চিকিৎসা করাতে আসবেন তার জন্য টাকা প্রয়োজন এবং তাকে ধার দিতে অনুরোধ করেন, আশ্বাস দেন টাকা ফেরত দিয়ে দেবেন। অমিত বাবু তার কথায় তাকে ২১ লক্ষ টাকা ধার দেন এবং পরবর্তীতে প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অমিত বাবুর অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নেমে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত দুই প্রতারক প্রানতোষ বনিককে শিলিগুড়ি থেকে এবং বিকাশ তামাংকে দার্জিলিং এর মিরিক থেকে গতকাল গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের বুধবার ৬ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়ে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করেছে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে পুলিশ জানতে চায় এই প্রতারনার পিছনে আর কারা কারা জড়িত এবং এই প্রতারনার জাল কতদূর ছড়িয়েছে।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

পর্যটনে জোর, পূর্ব বর্ধমান জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলি তুলে ধরতে শিবির

পর্যটন শিল্পকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে একাধিক উদ্যোগ নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করতে আধুনিক পরিকাঠামো, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রচারে ঢালাও জোর দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে শুধু রাজস্ব বৃদ্ধিই নয়, বাড়ছে স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগও। রাজ্য সরকারের সাথে সাথে জেলা প্রশাসন ও নানা উদ্যোগ নিচ্ছে পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে।পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন দুদিনের প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করল। বৃহস্পতি ও শুক্রবার জেলার সদরে নিউ কালেক্টর বিল্ডিংর রাসবিহারী সভাকক্ষে এই শিবিরে যোগ দেন পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমান পর্যটন আধিকারিক ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা। বাংলার পর্যটন মানচিত্রে অবিভক্ত বর্ধমানের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলির প্রচার ও প্রসার করতেই এই আয়োজন বলে জানানো হয়। শিবিরে যোগদান করেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যটন বিভাগের অধ্যাপক মীর আব্দুল শফিক, দিলীপকুমার দাস, পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং (আইএএস)।দুদিনের শিবিরে পর্যটন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ঘিরে সার্কিট ট্যুরিজমের পরিকল্পনা নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়। এছাড়াও বাঁকুড়া, বীরভুম, পশ্চিম বর্ধমান, নদীয়ার মত লাগোয়া জেলাগুলির পর্যটন কেন্দ্রগুলির সঙ্গেও পূর্ব বর্ধমানকে কি ভাবে জোড়া যেতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়। পৌরানিক মত অনুযায়ী সারা দেশের যে সতীর ৫১টি বা ৫২টি মূল শক্তিপীঠের তালিকা পাওয়া যায় তাতে পূর্ব বর্ধমানের একাধিক শক্তিপীঠ আছে। এছাড়াও অম্বিকা কালনা ও বর্ধমান শহরে দুটি ১০৮ শিব মন্দির, বিজয় তোড়ণ (কার্জন গেট), শের আফগান, কুতুবুদ্দিন ও নুরজাহানের সমাধির মতো ঐতিহাসিক স্থানও রয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং বলেন, জেলায় এতিহাসিক গুরুত্বের অনেক পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। সেগুলি সংস্কারে উদ্যোগ করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদেরও পর্যটনে শিল্পে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্পে নতুন জোয়ার এনেছে রাজ্য সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগ। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পাহাড়, সমুদ্র, অরণ্য ও ঐতিহাসিক স্থানের আধুনিকীকরণ থেকে শুরু করে পরিবেশবান্ধব পর্যটনের উপরও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি রাজ্যের সংস্কৃতি, হস্তশিল্প এবং লোকসংগীতকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন জেলার পর্যটন শিল্পকে তুলে ধরতে ইতিমধ্যেই একটি ভিডিও তৈরি করেছে।রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন জানিয়েছেন, পর্যটন শুধু অর্থনীতির চাকা ঘোরায় না, এটি স্থানীয় সংস্কৃতি ও পরিচয়কে তুলে ধরার অন্যতম মাধ্যম। তাই আমরা একাধারে পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের যুক্ত করে পর্যটনের প্রসারে কাজ করছি।বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে গাইড প্রশিক্ষণ, হোমস্টে উন্নয়ন এবং পরিবেশবান্ধব পর্যটনের দিকে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। উত্তরবঙ্গ, সুন্দরবন, দার্জিলিং, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, বীরভুম সর্বত্র পর্যটনের নবজাগরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. শিবকালি গুপ্ত জনতার কথাকে জানান, পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সাহায্য করে। এটা যেমন কিছু মানুষের বিনোদন আবার বহু মানুষের জীবিকাতে বিরাট প্রভাব ফেলে। তিনি আরও জানান, আগে প্রত্যন্ত গ্রামে পর্যটক সেভাবে আসত না, এখন বহু বিদেশি পর্যটকও প্রত্যন্ত গ্রামে ভ্রমন করেন। তাঁরা হস্তশিল্প কিনছেন, খাবার খাচ্ছেন। সাথে গ্রামীন অর্থনীতিতে জোয়াড় আনতে সাহায্য করছেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের জেলায় পর্যটন অকর্ষনের অভাব নেই, জেলাকে ঘিরে আছে তিন তিনটে নদী (দামদর, ভাগীরথী, অজয়)। বিস্তীর্ন বনাঞ্চল, ঐতিহাসিক স্থাপত্য, হস্তশিল্প, লোকশিল্প। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের শম্ভুনাথ কলেজের ভুগোলের অধ্যাপক ড. কুনাল চক্রবর্তী বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে নানাবিধ প্রকল্প ঘোষনা করছে। রাজ্য সরকার Experience Bengal ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে। এতে বিভিন্ন সনামধন্য পর্যটন কেন্দ্রের সাথে সাথে বহু গ্রামীন পর্যটন কেন্দ্রেও মানুষের আনাগোনা বেড়েছে। তাঁর মতে পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তিনি বলেন, এই ধারা বজায় থাকলে আগামী পাঁচ বছরে বাংলার পর্যটন শিল্প দেশের অন্যতম বড় আয়ের উৎস হয়ে উঠবে।

জুন ২৫, ২০২৫
রাজ্য

পূর্ব বর্ধমানের প্রাথমিক স্কুলে মিড ডে মিলের রান্নায় বিভেদ, হিন্দু-মুসলিমদের জন্য় পৃথক ব্যবস্থা

এই বাংলার স্কুলেও যে এমন বিভাজন রয়েছে প্রাথমিক স্কুলে তা জানা ছিল প্রশাসনেরও। প্রাথমিক স্কুলের মিড ডে মিলে হিন্দু, মুসলিম ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য় পৃথক ব্যবস্থা। এখানে মিড-ডে মিলের হেঁসেল,রাঁধুনি ও রান্না করা খাবার। এই ঘটনা জানাজানি হতেই রাজ্যে তুমুল শোরগোল পড়ে গিয়েছে। নডেচড়ে বসেছে জেলা ও ব্লক প্রশাসন, স্থানীয় পঞ্চায়েত এবং প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। জেলাশাসক আয়েষা রাণী এই ঘটনা জেনে প্রশাসনিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন মহকুমা শাসকের কাছে।পূর্বস্থলীর প্রাথমিক স্কুলে মিড ডে মিল রান্নার দুজন আলাদা ধর্মাবলম্বী রাঁধুনি। পূর্বস্থলীর নাদনঘাটে কিশোরীগঞ্জ-মনমোহনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ুয়া সংখ্যা ৭২ জন। শিক্ষক ও শিক্ষিকা মিলিয়ে রয়েছেন চারজন। হিন্দু ও মুসলিম, উভয় সম্প্রদায়ের পরিবারের ছেলে মেয়েরা এই স্কুলের শ্রেণীকক্ষে একসাথে বসে শিক্ষকের কাছে পাঠ নেয়।স্কলের প্রধান শিক্ষক তাপস ঘোষ চেষ্টা করেও এই ব্য়বস্থা বন্ধ করতে পারেননি। স্কুলের রাঁধুনিদের একজন হিন্দু ,অপর জন মুসলিম । তাঁরাই জানিয়েছেন,বিদ্যালয়ে মড-ডে মিল রান্নার হেঁসেল আলাদা। হিন্দু রাঁধুনি সোনালী মজুমদার আলাদা গ্যাসের উনানে রান্না করনেন হিন্দু পরিবারের পড়ুয়াদের মিড- ডে মিল। আর অপর গ্যাসের উনানে মুসলিম রাঁধুনি গেনো বিবি রান্না করেন মুসলিম পরিবারের পড়ুয়াদের মিড -ডে মিল। শুধু আলাদা আলাদা ভাবে রান্না করাই নয়,হেসেলে দুই সম্প্রদায়ের পড়ুয়াদের মিড-ডে মিল রান্নার উপকরণ থেকে শুরু করে বাসনপত্র ,হাঁড়ি-কড়াই,খুন্তি -সেসবও আলাদা আলাদা রয়েছে। এমনকি হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের ৪৩ ও ২৯ জন পড়ুয়াকে মিড- ডে মিল খাওয়ানোও হয় আলাদা আলাদা স্থানে বসিয়ে। আজ থেকে ওই স্কুলে একসঙ্গে রান্না ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

জুন ২৫, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

কৌশিক যেন কামিন্দু! আইপিএলে দেখছেন ক্লার্ক

কৌশিক মাইতি যা পারেন তা তিনিও পারেন না। বক্তা অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক। ডব্লিউটিসি ফাইনাল বা ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজ নয়, ক্লার্ক রয়েছেন ইডেনের কমেন্ট্রি বক্সে। বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের আসরে। সে প্রসঙ্গে পরে আসছি। আগে তুলে ধরি কৌশিকে ক্লার্কের মুগ্ধতার কথা।কৌশিক মাইতি। দুই হাতেই বল করতে ও ঘোরাতে পারেন। এমনিতে ডানহাতি। তবে বাঁ হাতে ঠিক তেমন বোলিং অ্যাকশন দেখে অভিভূত ক্লার্ক। দোভাষী শ্রীবৎস গোস্বামীকে নিয়ে ক্লার্ক কথা বললেন কৌশিকের সঙ্গে। আরও পরিশ্রমের পরামর্শ দিয়ে বললেন, কৌশিক আইপিএলে খেলবেন। তাঁকে কেউ না নিলে অবাকই হবেন। স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়রা যে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগ চালু করেছেন তার সার্থকতার অন্যতম উদাহরণ ক্লার্ক-কৌশিক কথোপকথন। উল্লেখ্য, আইপিএলের ইতিহাসে দু-হাতেই বল করতে পারেন এমন একমাত্র ambidextrous বোলার কামিন্দু মেন্ডিস। শ্রীলঙ্কার এই প্লেয়ার আছেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদে। ক্লার্কের ভবিষ্যদ্বাণী মিললে, কৌশিক ভারতের প্রথম ambidextrous বোলার হিসেবে আইপিএলে জায়গা করে নিতেই পারেন, যার মঞ্চ হবে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগ।না, ইডেনে ৫০-৬০ হাজার লোক এই লিগ দেখতে আসবেন সেই ভাবনা নিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু হয়নি। দর্শক সব সময় স্বাগত, ইডেনের দ্বার অবারিত, বিনামূল্যে খেলা দেখার বন্দোবস্ত করেছে সিএবি। কিন্ত স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এই লিগ চালু করেছেন বেশ কিছু লক্ষ্য সামনে রেখে। যার প্রথম হলো, বাংলার প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের নিজেদের প্রতিভা মেলে ধরার সুযোগ করে দেওয়া। ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের আবহের মধ্যে থেকে।এই লিগকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্টার স্পোর্টস ও ফ্যানকোডে সম্প্রচার। দুর্ধর্ষ কমেন্ট্রি টিম। মাইকেল ক্লার্ক, ঝুলন গোস্বামী, মহম্মদ কাইফ, মন্টি পানেসর, চেতন শর্মা, নিখিল চোপড়া, রোহন গাভাসকর, অশোক মালহোত্রারা রয়েছেন। সঞ্চালিকাদের মধ্যে আছেন ম্যাথু হেডেনের কন্যাও। না, দেশের আর কোথাও টি২০ লিগে এমন তারকাখচিত কমেন্ট্রি টিম নেই। এর আরেকটি কারণ, তারকাদের কাছ থেকে প্রয়োজনে মূল্যবান টিপস নিয়ে সমৃদ্ধ করার সুযোগ পাচ্ছেন ক্রিকেটাররা। যে উৎসাহ কৌশিক ক্লার্কের কাছ থেকে পেলেন, তা ইডেনের প্রতিটি আসন ভর্তি থাকলেও হতো না!আইপিএল বা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিয়ম ভাঙলে যেমন শাস্তির বিধান আছে তা আছে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগেও। ক্রিকেটার বা কোচিং স্টাফদের ম্যাচ সাসপেনশন বা জরিমানা হচ্ছে। দেখা হচ্ছে না কোন নাম কত বড়। এই লিগে এমন ব্যবস্থাপনায় ক্রিকেটাররা খেলার স্পিরিট, শৃঙ্খলার বিষয়ে সজাগ থাকবেন, যাতে বড় মঞ্চে গিয়ে মানিয়ে নিতে অসুবিধা না হয়। হক আই টেকনোলজি-সহ ডিআরএস রয়েছে। এতে আম্পায়ারিংয়ের মানের উন্নতি হতে বাধ্য, হচ্ছেও। আগেরবারের তুলনায় এবার টুর্নামেন্ট এগোচ্ছে মসৃণভাবে। যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে তাতে খেলা চালানো যাচ্ছে মাঠ ঢেকে রাখা-সহ সিএবির উন্নতমানের পরিকাঠামোর জন্যেই।কথা হচ্ছিল এই লিগের শুরু থেকে জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠের কাজে ২৪x৭ নিয়োজিত সিএবির ট্যুর অ্যান্ড ফিক্সচার ও টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান সঞ্জয় দাসের সঙ্গে। তিনি আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক উল্লেখ করলেন। আইপিএল, ঘরোয়া বা আন্তর্জাতিক ম্যাচ নৈশালোকে হয়। বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগও হচ্ছে নৈশালোকে। এতে সুবিধা ক্রিকেটারদের। কারণ, সিএবির সাদা বলের সব টুর্নামেন্টের সব ম্যাচ নৈশালোকে করা সম্ভব নয়। এই লিগের খেলা দিনেও হচ্ছে, রাতেও হচ্ছে সমান তালে। ফলে নৈশালোকে খেলার অভিজ্ঞতাও বাড়ছে ক্রিকেটারদের। যা সর্বভারতীয় টুর্নামেন্ট খেলার সময় তাঁদের লাভবানই করবে।

জুন ২৫, ২০২৫
রাজ্য

বেহাল দশা রাস্তার, রাস্তায় ধান রোপন করে অবরোধ ও বিক্ষোভ বিজেপির

বাগদার নাটাবেড়িয়া থেকে নদীয়ার আইসমালি পর্যন্ত রাস্তার বেহাল দশা, রাস্তা সংস্কারের দাবিতে পাঁচপোতাতে রাস্তায় ধান রোপন করে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ বিজেপির। অবিলম্বে রাস্তা সংস্কার না করলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি বিজেপির। যান চলাচল সাময়িক বন্ধ থাকায় ভোগান্তির শিকার সাধারণ মানুষ। প্রশাসনের আশ্বাসে এক ঘন্টা পর অবরোধ তুলে নেয় অবরোধকারীরা।উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার নাটাবেড়িয়া ও নদীয়ার রানাঘাটের মধ্যে সংযোগকারী রাজ্য সড়কের আইসমালী পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশা। রাস্তার মাঝে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। যানবাহন চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। বেহাল রাস্তার কারণে প্রায় ঘটছে দুর্ঘটনা। দীর্ঘদিন রাস্তা সংস্কার করা হয়নি। সোমবার বিজেপি রাস্তা সংস্কারের দাবিতে নাটাবেরিয়া আইসমালি রাজ্য সড়কের পাঁচপোতাতে রাস্তায় ধান রোপণ করে অবরোধ শুরু করে। অবরোধকারীদের দাবি অবিলম্বে রাস্তা সংস্কার করতে হবে যতক্ষণ না পর্যন্ত প্রশাসন সংস্কারের আশ্বাস দিচ্ছে অবরোধ ততক্ষন চলবে। বিজেপি নেতা অমৃতলাল বিশ্বাস বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার করুণ দশা। মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটছে, বিপদ বাড়ছে সাধারণ পথ চলতি মানুষের। বর্তমান সরকার রাস্তা সংস্কারের কোন সদিচ্ছা দেখাচ্ছেন না। অবিলম্বে এই রাস্তা সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি, রাস্তা সংস্কার না হলে আগামীতে সমগ্র বাগদার মানুষ এখানে এসে প্রতিবাদ জানাবে।বিজেপির পথ অবরোধ শুরু হতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বাগদা পুলিশ প্রশাসন। অবরোধকারীদের সাথে কথা বলে অবরোধ তোলার চেষ্টা করা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। পরবর্তীতে বাগদা বিডিওর প্রতিনিধি এসে রাস্তা সংস্কারের আশ্বাস দিলে এক ঘন্টা পর অবরোধ তুলে নেয় বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। এই বিষয়ে ভিডিওর প্রতিনিধি হিসেবে আসা প্রশাসনিক কর্তা শুভেন্দু বিশ্বাস বলেন, বিজেপি যে দাবি রেখেছে সেই দাবি ন্যায্য দাবি। আমি বিডিও সাহেবকে ব্যক্তিগতভাবে এই বিষয়টি জানাবো। কর্তৃপক্ষ যে সিদ্ধান্ত নেবে সেই অনুযায়ী কাজ হবে।

জুন ২৩, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal