• ২৩ আশ্বিন ১৪৩২, রবিবার ১২ অক্টোবর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Bjp

রাজনীতি

দিল্লিতে ঘাঁটি গেড়েছেন মুকুল, আদৌ বিজেপি নেতৃত্ব নতুন করে তাঁকে স্বীকৃতি দেবে?

মুকুল রায় গতকাল থেকে দিল্লিতে প্রকাশ্যে এসেছেন, বিজেপির হয়ে গলা ফাটাচ্ছেন। প্রথম সিপিএমের নাম মুখে এনেও পরে তৃণমূল কংগ্রেসকে তুলোধোনা করেছেন। ছেলেকে বিজেপি করতে পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু বিজেপির কোনও নেতার সঙ্গে এখনও অবধি মুকুল রায়ের বৈঠক করতে দেখা যায়নি। কেন্দ্রীয় বিজেপি মুকুল রায় সম্পর্কে কি ভাবছে তা-ও কিছু জানায়নি। বরং তৃণমূল কংগ্রেস মুকুলকে ঝেড়ে ফেলে দিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র মুকুল ইস্যুতে উৎপাত থেকে জঞ্জাল বলতেও ছাড়েননি। তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, বঙ্গ রাজনীতিতে অপ্রাসঙ্গিক মুকুল দিনভর মিডিয়াতে ভেসে থাকলেন। উত্তাপ ছড়ালেন রাজনৈতিক মহলে। মুকুল কেন দিল্লিতে? রাজনৈতিক মহল তাঁর দিল্লি যাত্রা নিয়ে নানা মতে বিভক্ত। সিপিএম সাংসদ আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য স্পষ্ট দাবি করেছেন, মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় মুকুলকে বিজেপির কাছে পাঠিয়েছে। এটা তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির গট-আপ। বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব মুকুলের বক্তব্যকে কোনও গুরুত্ব দিতে চাইছে না। মুকুল রায় নিজে সারদা ও নারদা-কাণ্ডে অভিযুক্ত। অন্য দিকে বিধায়কদের দ্বারা প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে নিয়ে ময়দানে জোরালো ভাবে নেমে পড়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তারপর শুভ্রাংশুর নিখোঁজ তত্ব নিজেই খারিজ করে দিয়েছেন মুকুল রায়। কৃষ্ণনগরের বিধায়ক দিল্লি গিয়েছেন কোনও পারিবারিক সদস্য বা কোনও সক্রিয় রাজনৈতিক নেতা-কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে নয়, গাড়ির চালক ও রাধুনিকে নিয়ে দিল্লি গিয়েছেন। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, যে উদ্দেশ্যেই মুকুল রায় দিল্লি যাক না কেন বিজেপির হয়ে তার বানী ও তৃণমূলের বিরুদ্ধএ যতই আক্রমণ করুক রাজনীতিতে তাঁর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। বিজেপি নেতাদের তাঁর সঙ্গে কোনও বৈঠক না হওয়ায় চাতক পাখির মতো মুকুল যেন যেন জল জল করে যাচ্ছেন, অভিমত রাজনৈতিক মহলের। এবার দেখার বিষয় বাংলার রাজনীতিতে চানক্য বলে পরিচিত মুকুল কতদিন ধরে দিল্লিতে থেকে যান। কবে বিজেপি নেতৃত্ব প্রকাশ্যে নতুন করে তাঁকে স্বীকৃতি দেয়, সেটাই এখন দেখার।

এপ্রিল ১৯, ২০২৩
রাজনীতি

দিল্লিতে 'নিখোঁজ' মুকুল শেষমেশ রাতে ধরা দিলেন, জানালেন তিনি বিজেপিতেই রয়েছেন

মুকুল রায় নাকি নিখোঁজ? বাবাকে কোন দুজন যুবক সল্টলেকের বাড়ি থেকে এয়ারপোর্টে নিয়ে গিয়েছে। রীতমতো এয়ারপোর্ট অথরিটি, এয়ারপোর্ট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মুকুলপুত্র শুভ্রাংশু রায়। এমনকী বীজপুর থানায়ও অভিযোগ দায়ের করে শুভ্রাংশু। বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ দিল্লিও চলে গিয়েছে মুকুল রায়ের খোঁজ করতে। কিন্তু রাতেই সংবাদ মাধ্যমে মুকুল রায় জানিয়ে দেন, তিনি স্বেচ্ছায় দিল্লি এসেছেন। কেউ তাঁকে জোর করেনি। তাঁর সঙ্গে শুভ্রাংশুর সঙ্গে কথা হয়েছে।গতকাল রাতে মুকুল রায় দুজন সঙ্গীকে নিয়ে দিল্লিতে যাওয়ার পর থেকে রাজ্য-রাজনীতি তোলপাড় হয়ে যায়। প্রথম দফায় মুকুল নিখোঁজ বলে তোলপাড় হয়ে যায় শুভ্রাংশুর বক্তব্যের পর। তারপর গতকাল রাতেই দিল্লি বিমানবন্দরে দেখা মেলে মুকুল রায়ের। তিনি দিল্লিতে কয়েক দিন থাকবেন বলেও প্রতিক্রিয়ায় জানিয়ে দেন। পরবর্তীতে মঙ্গলবার সারা দিন মুকুলের কোনও খোঁজ মেলেনি। তারই মধ্যে বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা ফেসবুক পোস্ট করেন প্রত্যাবর্তন। ফের হইচই শুরু হয়ে যায় এই পোস্টকে কেন্দ্র করে।শেষমেশ রাতে এক সংবাদ মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে মুকুল রায় জানিয়ে দেন, তিনি বিজেপিতে থেকেই রাজনীতি করবেন। শুভ্রাংশুর বিজেপিত যোগদান করা উচিত। কোনও দিন আমি তৃণমূল করিনি। ১০০ শতাংশ নিশ্চিত তৃণমূল আর করব না। মুকুলের এই বক্তব্য প্রকাশ্যে আশার পর ফের শোরগোল পরে যায় রাজনৈতিক মহলে। সেভাবে আর মুকুলের প্রতিক্রিয়ার জবাব দিতে পারেননি পুত্র শুভ্রংশু। এখন দেখার বিষয় ফের কি গেরুয়া উত্তরীয় গলায় পরতে চলেছেন মুকুল? এই চর্চাই চলছে রাজনৈতিক মহলে।

এপ্রিল ১৮, ২০২৩
রাজনীতি

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য শুনতে যাওয়ায় অটো টালাতে বাধা

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সভায় যাওয়ার অপরাধে দুই আটো চালককে কাজে যোগ দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল পরিচালিত অটো ইউনিয়নের বিরুদ্ধে। এর প্রতিবাদে সোমবার আটলা মোড়ে রামপুরহাট-তারাপীঠ রাস্তা অবরোধ করল বিজেপি। পরে পুলিশি আশ্বাসে অবরোধ উঠে যায়।অবরোধকারীদের বক্তব্য, ১৪ এপ্রিল সিউড়িতে জনসভা করতে এসেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ওই সভায় কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতার বক্তব্য শুনতে গিয়েছিলেন অটো চালক প্রভাত হাজরা, অসিত মণ্ডল। তারপর থেকেই ওই দুই অটো চালককে রাস্তায় অটো চালাতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েও সমস্যার সমাধান হয়নি। বাধ্য হয়ে আটলা মোড়ে অবরোধ করে বিজেপি।বীরভূম জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক শান্তনু মণ্ডল, বিজেপির মহিলা মোর্চার বীরভূম সাংগঠনিক জেলা সভাপতি রশ্মি দে অবরোধে হাজির ছিলেন। তাঁদের দাবি, পুলিশ তাঁদের পথ অবরোধ করতে বাধ্য করেছে। অসিত মণ্ডলের বক্তব্য, রামনবমীর দিন আমরা অটোতে গেরুয়া পতাকা ঝুলিয়ে ছিলাম। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দিন সিউড়িতে বিজেপি কর্মীদের নিয়ে গিয়েছিলাম। সেই কারণে আমাদের অটো চালাতে দিচ্ছে না। বেকার বসে আছি। অটো ইউনিয়নের বক্তব্য, নিয়ম না মেনে যত্রতত্র যাত্রী তোলার জন্য ওই দুজনকে সাত দিনের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে।

এপ্রিল ১৮, ২০২৩
রাজনীতি

পঞ্চায়েত ভোটের মুখে, লোকসভার এক বছর আগেই আসন জয়ের টার্গেট দিলেন অমিত শাহ

২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ঝুলিতে এসেছিল ১৮টি আসন। তারপর বিগত বিধানসভা নির্বাচনে বঙ্গ বিজেপিকে লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছিল ২০০-এর বেশি আসনের। ৭৭-এ থেমে গিয়েছে অশ্বমেধের ঘোড়া। এবার ১ বছর আগে বঙ্গ বিজেপিকে টার্গেট দিয়ে গেলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রাজ্যে দুয়ারে পঞ্চায়েত ভোট। সামনের বছর ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন। পঞ্চায়েত নিয়ে কোনও মনাথা ব্য়াথা নেই কেন্দ্রীয় বিজেপির। তাঁদের পাখির চোখ লোকসভা নির্বাচন। শুক্রবার বীরভূমের সিউড়িতে জনসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়ে দিলেন, ২০২৪ সালের ভোটে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিজেপির আসন জয়ের টার্গেট ৩৫। এই আসন বিজেপি পেলেই ২০২৫-এর মধ্যে পতন ঘটবে মমতা সরকারের। তপ্ত জেলায় শাহ ঘোষণায় রাজনৈতিক উত্তাপ যেন আরও বেড়ে যায়।গরুপাচার কাণ্ডে গ্রেফতার দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মন্ডলের গড়ে অমিত শাহ বলেন, ২০২৪-এ বাংলা থেকে ৩৫ আসনে জিতিয়ে ফের মোদীজিকেই প্রধানমন্ত্রী বানান। আপনারা এই রাজ্য থেকে ৩৫-এর বেশি আসন লোকসভায় বিজেপিকে দিলেই ২৫-এর আগেই মমতা সরকারের পতন হয়ে যাবে। তাহলে আর ২৬ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না।বিজেপি তৃণমূলের বিরুদ্ধে বরাবর সন্ত্রাসের অভিযোগ করে আসছে। বিশেষত বিধানসভা নির্বাচনের পর ঘাসফুল শিবিরের অত্য়াচারের মাত্রা বেড়ে যায় বলে অভিযোগ করে বিজেপি। বিধানসভা নির্বাচনের পর বিজেপি কর্মীদের খুন ও ঘরছাড়া করার অভিযোগও আছে মমতার দলের বিরুদ্ধে। শাহ বলেন, দিদির দাদাগিরির সামনে লড়াই করছেন বিজেপির বিধায়করা। বিজেপির এই লড়াইয়ের জন্যই আজ শাসক দলের নেতাকে জেলবন্দি করা সম্ভব হয়েছে। যাঁরা দুর্নীতিগ্রস্ত তাঁদের জেলে পাঠাতেই হবে। দিদি ভাইপোর শাসক দলের সন্ত্রাস থেকে মুক্ত করার একমাত্র রাস্তা হল বিজেপি, অনুপ্রবেশকারীদের আটকানোর একমাত্র রাস্তাও বিজেপি।সম্প্রতি রামনবমীর শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে রাজ্যের কিছু জায়গায় অশান্তি হয়েছে। হাওড়ার শিবপুর, হুগলির রিষরা, উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলায় হিংসা হয়েছে{ অমিত শাহ বলেন, বাংলায় বিজেপিকে ক্ষমতায় আনুন, শান্তিপূর্ণভাবে রামনবমীর মিছিল বেরবে। অনুপ্রবেশ বন্ধ হবে। বাংলায় তোষণের রাজনীতি চলছে, এটা চলতে দেওয়া যাবে না।অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় যে কোনও ভাবেই মুখ্যমন্ত্রী হবে না, শাহবার্তা দিয়ে যান। তিনি বলেন, মমতাদি আপনি দেখছেন আগামিতে আপনার ভাইপো মুখ্যমন্ত্রী হবেন। কিন্তু বীরভূমের মাটি থেকে আমি বলে যাচ্ছি আগামী বিধানসভায় জিতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি থেকেই কেউ হবেন। অমিত শাহর সভা শেষে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ওনার দল কতগুলি আসন ২০২৪ সালে পাবেন তা জানিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই। শুধু বলব ওটা দূরাশা। তবে, ২৫-এ জনগণ দ্বারা নির্বাচিত মমতা সরকারের পতন হবে বলে বুঝিয়ে দিলেন চক্রান্ত চলছে।

এপ্রিল ১৪, ২০২৩
রাজ্য

‘মানুষকে অপমান করেছেন’, অভিষেকের মন্তব্যে কড়া প্রতিক্রিয়া শুভেন্দুর

উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের সভামঞ্চ থেকে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আবাস যোজনা ও শৌচাগারের প্রকল্পে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন শুভেন্দু। শৌচাগার প্রকল্পের দুর্নীতির সঙ্গে তৃণমূলের এক বিধায়ক জড়িত বলেও তিনি অভিযোগ করেছেন। পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ, জেলাপ্রশাসনও এই কাজে যুক্ত। এমনকী গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে জোর করে বিজেপিকে হারানো হয়েছিল বলে গুরুতর অভিযোগ করেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। বাঁকুড়ায় অভিষেকের মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন শুভেন্দু।এদিন ওন্দার সভামঞ্চ থেকে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বাঁকুড়াবাসীকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে বলেছেন। মানুষ ভুল করেছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। ২০১৯ লোকসভা ও ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ভাল ফল প্রসঙ্গে একথা বলেছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতা। অভিষেকের মন্তব্য নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর প্রতিক্রিয়া, এটা শুধু বাঁকুড়ার অপমান নয়, বাংলার সমস্ত ভদ্র মন্ডলীকে অপমান। শুভেন্দু বলেন এত ঔদ্ধত্য যে একজন বলছেন জনগণ ভুল করেছেন। এ কথা বলার সাহস একজন জনপ্রতিনিধি হিসাবে কেউ কীভাবে পান? আমাদের সংবিধানটাই মানুষকে নিয়ে। সেই জনগণকেই বলছেন পাপ করেছেন প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে। হেলিকপ্টার চড়ে গিয়ে বড় বড় কথা।পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে ভারতীয় জনতা পার্টির জনসভায় উপস্থিত হয়ে রাজ্য সরকারের অপশাসন, তৃণমূলের দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিজেপির প্রার্থীদের বিপুল সংখ্যক ভোটে নির্বাচিত করে এর জবাব দেওয়ার আহ্বান জানান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

এপ্রিল ১২, ২০২৩
রাজনীতি

বাঁকুড়ায় অভিষেকের মন্তব্য নিয়ে তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতি, কেন বললেন প্রায়শ্চিত্তের কথা?

২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে জঙ্গলমহল তৃণমূল কংগ্রেসকে খালি হাতে ফিরিয়ে ছিল। ভরিয়ে দিয়েছিল বিজেপিকে। তারপর ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনেও কিছু জমি পুনর্উদ্ধারে তৃণমূল সক্ষম হলেও বিজেপি থেকে পুরোপুরি মুখ ফেরায়নি বাঁকুড়া। এবার সেই বাঁকুড়ার ওন্দায় গিয়ে একরাশ অভিমান ঝরে পড়ল তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। বাঁকুড়ার মানুষকে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রায়শ্চিত্তের কথা বললেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। যে বক্তব্য নিয়ো তোলপাড় রাজনৈতিক মহল।এবারও যদি বাঁকুড়ায় একই দশা হয় সেক্ষেত্রে অভিষেক জানিয়ে দিলেন, তাহলে তৃণমূল আর বাঁকুড়ার মানুষের অধিকার নিয়ে লড়াই আন্দোলন করবে না। পঞ্চায়েত ভোটের আগে বাঁকুড়ার ওন্দার সভা থেকে অভিষেকের এই ঘোষণা চাঞ্চল্য ফেলেছে রাজনৈতিক মহলে। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার ১০০ দিনের টাকা না দেওয়ায় ফের বিজেপি নেতাদের ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড।এদিনের সভায় ১০০ দিনের কাজ থেকে আবাস যোজনার টাকা আটকে রাখায় বিজেপিকে আগাগোড়া নিশানা করছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তাঁর বার্তা, ধর্মের ভিত্তিতে নয়, উন্নয়নের কাজের নিরিখে আসন্ন পঞ্চায়েত ও লোকসভা ভোটে যেন বাঁকুড়াবাসী ভোটদানের সিদ্ধান্ত নেন। অভিষেক বলেন, ২০১৯ ও ২১ সালে বিজেপিকে আপনারা ভোট দিয়েছিলেন। কিন্তু কী পেয়েছেন? নিজের বুকে হাত রেখে সেই প্রশ্ন নিজেকেই করুন। আমাদের সকলকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ২০১৯ সালে আপনারা বিজেপিকে দুটি লোকসভা আসনে জিতিয়েছিলেন। পরবর্তীতে ১২টি বিধানসভা আসনের মধ্যে আটটিতে বিজেপিকে জিতিয়েছিলেন। পরে তন্ময় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে এলে আমাদের পাঁচজন বিধায়ক হয়। কিন্তু যাঁরা আচ্ছে দিনের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে বলে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, কেউ আচ্ছে দিন পেয়েছেন? ধর্মের ভিত্তি, নাকি উন্ননের জন্য, নিজেদের অধিকারের জন্য ভোট দেবেন সেটা নিজেরাই ঠিক করুন। মনে রাখবেন সামনের পঞ্চায়েত ও লোকসভা নির্বাচন আপনাদের কাছে পাপের প্রায়শ্চিত্ত করার সুযোগ।অভিষেকের অভিযোগ, একুশের ভোটে হেরে যাওয়ার প্রতিশোধেই ১০০ দিন ও আবাস যোজনায় বাংলার বকেয়া আটকে রেখেছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার। বকেয়া আদায়ে দিল্লি যাওয়ার প্রস্তুতিও জোরকদমে করতে নির্দেশ দেন অভিষেক। তাঁর হুঁশিয়ারি, ১ কোটি চিঠি ও বঞ্চিতদের নিয়ে গিয়ে দিল্লিতে কৃষিমন্ত্রকের সামনে বসব। দাবি আদায়ে স্লোগান হবে, ধরনা তীব্র থেকে তীব্রতর হবে। দেখি তারপরও কীভাবে কানে তুলো দিয়ে বসে থাকতে পারে।বক্তব্যের শেষপ্রান্তে এসে অভিমানের সুরে বড় উপলব্ধি প্রকাশ পায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি বলেন, ১৯ সালে আপনারা মুখ ফিরিয়েছিলেন। ২১শেও ফিরিয়েছেন। আমরা কিন্তু ফেরায়নি। আপনারা ভুল পথে পরিচালিত হয়ে বিজেপিকে ভোট দিয়েছিলেন, আমরা অভিমান করিনি। কিন্তু এবার বলে গেলাম, আপনিও রক্ত মাংসের মানুষ, আমিও রক্ত মাংসের মানুষ। আপনি যদি নিজেরে অধিকার নিয়ে না লড়েন, আপনার ছেলে, মেয়ে, পরিবারের ভবিষ্যৎ নিয়ে নিজে না সরব হন তাহলে তৃণমূলও আপনার অধিকার নিয়ে লড়াই করবে না। আমি স্পষ্টভাবে বলছি আপনার অধিকারের জন্য আপনাকে নিজেকেই লড়াই করতে হবে। ভোট হবে উন্নয়নের ইস্যুতে, অন্য কোনও কিছুর উপর ভিত্তি করে নয়। পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে অভিষেকের এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেছে বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেসসহ বিরোধী নেতৃত্ব।

এপ্রিল ১২, ২০২৩
রাজ্য

পুলিশকে কী ভয়ঙ্কর হুমকি দিলেন বিজেপি সাংসদ! দলের সংস্কৃতি নিয়ে প্রশ্ন বিরোধীদের

মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলায় বিডিও দফতরে তৃণমূলের বৈঠকে ভার্চুয়াল অংশগ্রহনে হইচই, অন্যদিকে সোনামুখীতে পুলিশকে বেনজির হুমকি দিলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তিনি বাঁকুড়ার সোনামুখী থানার আইসি-কে তুই-তোকারি, বলে তাঁর পরিবার তুলে বেনজির হুমকি দিয়েছেন। তাঁর দাবি, পুলিশের এই পদস্থ কর্তাকে হাইকোর্ট পর্যন্ত নিয়ে যাবেন। সৌমিত্রর বক্তব্য, আমি জানি সোনামুখীর আইসি অনেক দিন ধরে দাদাগিরি করছে। এখানের মা বোনেদের টাকা চুরি করবি? এই আইসি তোর ঘরে মা, বোন নেই? আইসি শুনে রাখ তোর বাপেরও ক্ষমতা নেই এখানে কিছু করার। আর যদি কিছু করিস তাহলে তোরও পরিবার আছে আমরা দেখে নেব।সৌমিত্র খাঁয়ের বক্তব্যের সমালোচনায় সরব হয় তৃণমূল, কংগ্রেস ও বামেরা। তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেছেন, ওই দলটাই সামগ্রিকভাবে অসামাজিক ও সন্ত্রাসবাদীদের দল। সিপিআইএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর কথায়, তৃণমূল, বিজেপি রাজনীতির এমন সংস্কৃতি তৈরি করছে যাতে মানুষের স্বার্থবাহী রাজনীতি বাদ যাচ্ছে। এতে গগনে খেলা হচ্ছে। কংগ্রেসের কৌস্তভ বাগচী বলেন, অশালীন মন্তব্য হলে নিন্দনীয়। জানি না তৃণমূলে যাওয়ার জন্য এসব বলছেন কিনা। কিন্তু পুলিশকে আক্রমণ করলে তাতে বলার কিছু নেই। ওদের এটাই প্রাপ্য।

এপ্রিল ১১, ২০২৩
রাজ্য

জাতীয় দলের মর্যাদা হারানোয় কি সর্বভারতীয় স্তরে বড় বিপাকে পড়ল তৃণমূল কংগ্রেস?

তৃণমূলের জাতীয় দলের মর্যাদা হারানোর আনন্দে কোথাও বিজেপি কর্মীরা মিষ্টি বিতরণ করলেন, কোথাও আবার আম আদমি পার্টি জাতীয় দলের তকমা পাওয়ায় মিষ্টিমুখ করালেন সাধারণ মানুষকে। এরইমধ্যে জাতীয় দলের তকমা হারানোর ২৪ ঘন্টার মধ্য়েই দলের সাংসদ পদ ছাড়লেন ফেলাইরো। একইসঙ্গে তিনি ছেড়েছেন দলীয় পদ। যদিও কেউ কেউ মনে করছেন গোয়ার এই তৃণমূল নেতাকে আর দলের প্রয়োজন নেই বলেই তাঁকে পদত্যাগ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি এমনই বিজেপি তৃণমূল কংগ্রেসের এই মর্যাদা হারানো নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি।অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের হয়ে ঘোষণা করেছিলেন, এবার ভিন রাজ্যে শাখা বিস্তার করবে তৃণমূল কংগ্রেস। শুধু অন্য রাজ্যে সংগঠন বিস্তার নয়, সেখানে ক্ষমতা দখলের জন্য়ই তৃণমূল লড়াই করবে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা গেল, গোয়া ও ত্রিপুরায় একটা বিধানসভা আসন দখল করতে সমর্থ হয়নি। মেঘালয়ে কংগ্রেস বিধায়কদের ভাঙিয়ে আনলেও ৫টি আসনে থমকে গিয়েছে ঘাসফুল শিবির। সামনেই ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন। তার আগে জাতীয় দলের মর্যাদা হারানোয় তৃণমূলের কাছে বড় ধাক্কা বলে মনে করেন রাজনৈতিক মহল। এর ফলে জাতীয় ক্ষেত্রে বিজেপি বিরোধী জোটে তৃণমূল কংগ্রেস কতটা গুরুত্ব পাবে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কংগ্রেসকে সরিয়ে সর্বভারতীয় রাজনীতিতে বিজেপি বিরোধী জোটের কেন্দ্র বিন্দুতে থাকার চেষ্টা করতে শুরু করে তৃণমূল। এমনকী নানা ইস্যুতে কংগ্রেসকে জোরালো ভাবে আক্রমণ করে ঘাসফুল নেতৃত্ব। কিন্তু জাতীয় দলের মর্যাদা হারানোয় বিজেপি বিরোধী জোটের রাশ হাতে নেওয়ার ক্ষেত্রে বড়সড় সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে মনে করছে অভিজ্ঞ মহল। তৃণমূলের জাতীয় দলের মর্যাদা চলে যাওয়ার সঙ্গে আপ সেই মর্যাদা পেয়েছে। তাই এবার বঙ্গ আপ নেতৃত্ব নয়া উদ্য়মে রাজ্য়ব্যাপী সংগঠন জোরদার করতে প্রয়াস নিচ্ছে।

এপ্রিল ১১, ২০২৩
রাজ্য

রাজু ঝা খুনের সিসি টিভি ফুটেজ সামনে এল, তবে এখনও খুনিরা অধরা

ঘটনা ঘটে গিয়েছে প্রায় দু সপ্তাহ হতে চলল। এখনও গুলিতে ঝাঁঝরা কুখ্যাত কয়লা মাফিয়া রাজু ঝায়ের খুনীদের গ্রেফতার করতে পারল না পুলিশ। তবে এবার রাজু ঝা খুনের সিসি টিভি ফুটেজ সামনে চলে এসেছে। এর আগে গরুপাচার চক্রে অভিযুক্ত লতিফের মোবাইল ফোনে কথা বলার ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। যদিও লতিফ এখনও ফেরার। তাঁকে তলব করেই চলেছে ইডি। সিসি টিভি ফুটেজের দেখা যাচ্ছে সাদা রংয়ের ফরচুনা গাড়ি দাড়িয়ে আছে। নীল রঙের অন্য একটি চারচাকা গাড়িতে চড়ে আসা দুষ্কৃতীরা গাড়ি থাকে নামে। একেবারে সাধারণ ভাবে সাদা গাড়ির সামনে আসে। তারপর একেবারে পয়েন্ট ব্ল্যাক রেঞ্জ থেকে সাদা গাড়িতে বসে থাকা কাউকে এক নাগারে গুলি করতে থাকে। পরে জানা যায় সাদা গাড়িতে ছিলেন রাজু ঝা। তাঁকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে দুষ্কৃতীরা। হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাজুকে মৃত বলে চিকিৎসকরা ঘোষণা করেন। বর্ধমান শহর থেকে অনতি দূরে আমড়ায় জাতীয় সড়কের দুধারে ল্যাংচার দোকানের সামনের এই ঘটনা ঘটেছে ১ এপ্রিল। তারপর ৯ দিন কেটে গিয়েছে। দুষ্কৃতীদের ধরতে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে। খুনিদের গাড়ি ঝাড়খন্ডের দিক থেকে এসেছে সেই সিসি টিভি ফুটেজও সামনে এসেছে। ঝাড়খন্ডে পুলিশ খুনিদের ধরতে গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। তবে এখনও একজনও দুষ্কৃতী ধরা পড়ার খবর মেলেনি।

এপ্রিল ১০, ২০২৩
রাজ্য

দোকানপাট বন্ধ, থমথমে, বৃহস্পতিবারও গুমোট পরিবেশ কাটেনি রিষড়ায়

রিষড়া পরিদর্শন করে এসেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। গন্ডগোলের জেরে ট্রেন বন্ধও রাখতে হয়েছিল। বুধবারও রিষড়া ছিল থমথমে। অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ। পুলিশি পিকেট। রয়েছে ১৪৪ ধারা। তারই মধ্যে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটে মিছিল করে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। জমা দিয়েছেনন স্মারকলিপিও।রামনবমীর শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়েছিল রিষড়া। দেওয়ালির মত বোমা বাজি চলেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। ক্ষুব্ধ জনতা পুড়িয়ে দিয়েছে পুলিশের গাড়ি। কিন্তু এখনও স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে পারেনি হুগলির এই শিল্পাঞ্চল। যেখানে সাইরেনের শব্দে মানুষ হাজিরা দেবে কারখানায় সেখানে ধর্মীয় উন্মাদনাকে কেন্দ্র করে রক্তাক্ত হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার লোকাল ট্রেনে রিষড়া গিয়েছেন লকেট। যদিও সেখান থেকেই তাঁকে ফেরত পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘটনাস্থলে যেতে দেওয়া হয়নি বিজেপি সাংসদকে। হাওড়ার শিবপুরের পরিস্থিতি ক্রমশ ফিরেছে।

এপ্রিল ০৫, ২০২৩
রাজ্য

কুখ্যাত কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা গুলিতে ঝাঁঝরা শক্তিগড়ে, গভীর রহস্য

গুলিতে ঝাঁঝরা কুখ্যাত কয়লা মাফিয়া। পরে অবশ্য বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। শনিবার সন্ধ্যায় শক্তিগড়ে দুনম্বর জাতীয় সড়কের ধারে থাকা ল্যাংচার দোকানের সামনে এই শুট আউটে মৃত্যু হয় রাজু ঝায়ের। সাদা রংয়ের ফরচুনা গাড়িতে ছিলেন রাজু ঝা। নীল রঙের অন্য একটি চারচাকা গাড়িতে চড়ে আসা দুষ্কৃতীরা এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে। গুরুতর জখম রাজুর এক সঙ্গীকে উদ্ধার করে বর্ধমানের অনাময় সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভর সন্ধ্যায় এই গুলি চালনার ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে জাতীয় সড়কের ধারে থাকা ব্যবসায়ী মহলে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছান জেলা পুলিশ সুপার কামনাশিষ সেন,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যান সিংহ সহ অন্যান্য উচ্চ পদস্থ কর্তারা। ঘটনাস্থল ব্যারিকেড করে রেখেছে পুলিশ।বর্ধমান শহর থেকে একটু দূরে আমরায় জাতীয় সড়কের দুধারে রয়েছে ল্যাংচার একাধিক দোকান। সন্ধ্যার পর দূরদূরান্তে যাতায়াত করা গাড়ির আরোহীরা ওইসব ল্যাংচার দোকানে দাঁড়িয়ে খাওয়া দাওয়া সারেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, শনিবার সন্ধ্যায় কলকাতা মুখি রোডে শক্তিগড়ের একটি ল্যাংচা দোকানের সামনে দাঁড়ায় সাদা রংয়ের একটি ফরচুনা গাড়ি। ওই গাড়ির আরোহীরা, গাড়ি থেকে নামতে না নামতেই নীলচে রঙের একটি চারচাকা গাড়ি সেখানে এসে দাঁড়ায়। নীলচে রঙের গাড়ি থেকে কয়েকজন নেমেই দাঁড়িয়ে থাকা ওই ফরচূনা গাড়ির আরোহীদের লক্ষ্য করে পরপর গুলি চালায়। গুলি চালিয়ে নীলচে রঙের গাড়িতে চেপেই দুষ্কৃতীরা দ্রুত কলকাতা মুখি রোড ধরে পালিয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, কমপক্ষে ছয় রাউণ্ড গুলি চালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। গুলিতে ফরচুনা গাড়ির চালকের পাশের সিটে বসে থাকা একজন আরোহী এবং পেছনের শিটে বসে থাকা রাজু ঝা গুলিবিদ্ধ হন। বরাত জোরে রেহাই পেয়ে যান ফরচুনা গাড়ি চালক। তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় অনাময় সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা রাজু ঝাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অপরজনের হাতে গুলি লাগায় তিনি প্রাণে বেঁচে যান। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, এটি গ্যাং ওয়ারের ঘটনা হতে পারে। রাজু ঝা কুখ্যাত কয়লা মাফিয়া হিসেবেই দুর্গাপুরে পরিচিত ছিলেন। বিভিন্ন থানায় তার নামে অভিযোগ রয়েছে। সিআইডি ইতিপূর্বে তাকে গ্রেফতার করেছিল। ২০২১ শের বিধানসভা ভোটের আগে রাজু বিজেপিতে যোগ দেয়। বাম আমলে কয়লা পাচারে রাজু ঝায়ের হাতে খড়ি হয়। কয়লা পাচার নিয়ে এখন যে তদন্ত চালাচ্ছে তার স্ক্যানারেও রাজু ঝা ছিল বলে খবর। এমনই এক সময় রাজু ঝাকে কারা খুন করল তা নিয়ে রহস্য দানা বেড়েছে। তদন্ত নেমে পুলিশ শক্তিগড়ের ঘটনাস্থল এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা শুরু করার পাশাপাশি জাতীয় সড়ক ও সংলগ্ন সড়ক পথ গুলিতে নাকা চেকিং শুরু করেছে। পালসিট টোল প্লাজার সিসিটিভি ফুটেজ ও পুলিশ ক্ষতিয়ে দেখা শুরু করেছে। ফরচুনা গাড়িটি বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ আব্দুল লতিফের গাড়ি বলে জানা গিয়েছে। এদিন গাড়িটিতে যে চালক ছিল সে আব্দুল লতিফের নিয়োগ করা বলেই সূত্রের খবর। কয়লা মাফিয়া রাজু ঝায়ের সঙ্গে আব্দুল লতিফের ও এনামুলের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে বলে খবর মিলেছে। গরু ও কয়লা পাচার কাণ্ডের তদন্তের দায়িত্বে থাকা সিবিআই এর ডাক পাওয়ার পর আব্দুল লতিফ গা-ঢাকা দেন।

এপ্রিল ০১, ২০২৩
রাজনীতি

সাগরদিঘিতে কি উলোটপূরাণ? ২১ হাজার ভোটে এগিয়ে কংগ্রেস প্রার্থী

২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনের পর কোনও উপনির্বাচনে তৃণমূল ছাড়া কোনও বিরোধী দল এগিয়ে থাকেনি। এই প্রথম সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রে প্রথম রাউন্ডের গণনাতেই ৫১৫ ভোটে এগিয়ে গিয়েছিল কংগ্রেস প্রার্থী। এখন এগিয়ে ২১ হাজার ভোটে। এখানে বামেদের সমর্থনে লড়াই করছে কংগ্রেস। এই বিধানসভা কেন্দ্রে ২০১১, ২০১৬ ও ২০২১ নির্বাচনে জয় পেয়েছিল তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত সাহা। তাঁর অকাল প্রয়াণে এখানে ভোট হয়েছে। গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস ৫০ হাজারের বেশি রেকর্ড ভোটে জয়ী হয়েছিল। যদিও ২০১১ বিধনসভা নির্বাচনে নামমাত্র ভোটে জয় পেয়েছিল তৃণমূল। ২০১৬-তে খুব বেশি জয়ের মার্জিন ছিল না। তবে এবার কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাস এই কেন্দ্র থেকে জয় পেলে বিধানসভায় খরা কাটবে হাত শিবিরের। তবে এখনও গণনা অনেকটা বাকি রয়েছে। এখনই ফলাফল বলা যায় না।

মার্চ ০২, ২০২৩
রাজনীতি

'ক্যা ক্যা করার জন্য কাক আছে, তুমি(বিজেপি) কেন ক্যা ক্যা করছো,' কটাক্ষ মমতার

মালদায় প্রশাসনিক বৈঠক থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্যে উঠে এল এনআরসি থেকে সিএএ প্রসঙ্গে। সংখ্যালঘু ও মতুয়াদের জন্য রাজ্য কি করেছে সে কথাও বললেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার রাজনীতি নিয়ে ভাবছে অর্থনীতি নিয়ে ভাবছে না। কেন্দ্রীয় শাসক দলটা কেন এত হিংসুটে? প্রশ্ন তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংখ্যালঘুদের নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ভাবছে না বলেও দাবি তাঁর। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের এখানে ৩০ শতাংশ সংখ্যালঘু জনসংখ্য়া আছে। সেটা তো তাদের অপরাধ নয়। তারা যদি পড়াশুনো করতে চায় আমাদের কি উচিত তাঁদের পড়াশুনার ব্যবস্থা করা। নাকি উইপোকা কামড়ালেও তাঁদের একটা এজেন্সি পাঠিয়ে গ্রেফতার করা। কোনটা কাজ? তাদের পড়াশুনা করিয়ে এগিয়ে দেওয়াটা আমাদের কাজ।ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন স্কলারশিপ কেন্দ্রীয় সরকার বন্ধ করে দিয়েছে বলে জানান মমতা। তিনি বলেন, সংখ্যালঘুদের স্কলারশিপ অনেক বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ১কোটি ২০ লক্ষ সংখ্য়ালঘু ছেলেমেয়ের ঐক্যশ্রী স্কলারশিপ দিচ্ছি। শিক্ষাশ্রী তপসিলি জাতি ও উপজাতিদের দিচ্ছি। ওবিসি স্কলারশিপ এবছর থেকে কেন্দ্রীয় সরকার বন্ধ করে দিয়েছে। ওবিসিদের জন্য তৈরি করেছি মেধাশ্রী। মুখ্যমন্ত্রী এদিন দাবি করেছেন, মতুয়াদের জন্য আমরা সবটা করেছি। তাঁর বক্তব্য, ভোট এলে হঠাৎ ভাত খেয়ে বলবে আমরা মতুয়ার বন্ধু হয়ে গেলাম। ক্যা ক্যা করে চিৎকার করবে, ওদের বলুন ক্যাক্যা করার জন্য কাক আছে। তুমি কেন ক্যা ক্য়া করছো? এনআরসির নামে সবাইকে জেলে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। ক্যার নামে মানুষকে ভুল বোঝানো হচ্ছে। যতদিন মতুয়াদের বড়মা বেঁচে ছিলেন তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা কে করেছিল? আমি করেছিলাম। কেউ তাকিয়ে দেখেনি। আমরা কন্য়াশ্রী কলেজ করেছি, কৃষ্ণনগরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্য়াম্পাস করেছি, মতুয়া বাড়ির গেট করা হয়েছে। সৌন্দর্যকরণ করা হয়েছে। কি করা হয়নি? আমি চাই আপনাদের উন্নয়ন হোক। রাজ্যে শিক্ষাক্ষেত্র, গরুপাচার, কয়লাপাচার নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা একাধিক তৃণমূল নেতা ও প্রশাসনিক কর্তাকে গ্রেফতার করেছে। বিজেপি চোর চোর বলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে স্লোগানও দিচ্ছে সভা-সমাবেশ। মমতা এদিন বলেন, আমরা যদি চোর হই তোমরা ডাকাত। তোমরা কি করছ। ডাকাত, গদ্দার বলে কটাক্ষ করে মমতার অভিযোগ, পুরুলিয়ার কোটা নিজের পকেটে রেখে দিয়েছিলেন। কেন তারা চাকরি পায়নি?

জানুয়ারি ৩১, ২০২৩
রাজ্য

'মাতাল আমাদের বর্তমান, মদ আমার ভবিষ্যৎ,' নদিয়ায় বললেন সুকান্ত মজুমদার

নদিয়ার জনসভাতে পঞ্চায়েত ভোটে লুট করতে এলে তৃণমূলকে দাওয়াই দেওয়ার কথা বললেন বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এই সভাতে বক্তব্য রাখেন বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। মিঠুনে উপস্থিতি বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে মিঠুন বলেন, এত ভালবাসা বিজেপির বাক্সে পড়বে কিনা। যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে আমরা সবাই মিলে নতুন বাংলা তৈরি করি।এদিন রাজ্য সরকারের মদের কারবার নিয়ে কটাক্ষ করেন সুকান্ত মজুমদার। রাজ্য বিজেপির সভাপতি বলেন, গত আর্থিক বছরে রাজ্যে১০,৬৬৬ কোটি টাকা আয় হয়েছে। মাতাল আমাদের বর্তমান, মদ আমার ভবিষ্য়ৎ। যত দিন মদ খাওয়াবে ততদিন বোকা বানানো যাবে। এছাড়া রাজ্যে এই মুহূর্তে ঋণের বোঝা চাপতে বসেছেন ৫.৮৬ লক্ষ কোটি টাকা। রাজ্যে প্রতিজনের ঋণ ৬০ হাজার টাকা। বিশ্বব্যাংক সহ নানা জায়গা থেকে রাজ্য ঋণ নিয়েছে। রাজ্যটাকে বিক্রি করে দিচ্ছেন।পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে সুকান্তর বক্তব্য, গতবার ভোট লুট করতে এসেছিল এবার যদি ফের লুট করতে আসে দিদির ভুতকে ঘোল ঢেলে ভুত বানিয়ে ফেরত পাঠিয়ে দেবেন। আর পুলিশ যদি তৃণমূল হয় তাহলে সেরকম আচরণ হবে। টিবি হাসপাতাল তৃণমূল চুরি করে নিয়েছে।

জানুয়ারি ২৫, ২০২৩
রাজ্য

'রাজ্যবাসী শীতে কাঁপছে, তৃণমূল সিবিআইয়ের ভয়ে কাঁপছে,', কেন বললেন দিলীপ ঘোষ?

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজ্যে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন দিদির দূত। এই প্রসঙ্গে কটাক্ষ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি দিলীপ ঘোষ। অন্য দিনের মতো শনিবার সকালে নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমনে যান বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। এক প্রশ্নের জবাবে দিলীপ ঘোষ বলেন, দিল্লীর দূত এখন তৃণমূল নেতাদের বাড়িতে বাড়িতে পৌছে যাচ্ছে। সেই ভয়ে তৃণমূল কাঁপছে। রাজ্যবাসী শীতে কাঁপছে। তৃণমূল সিবিআইয়ের ভয়ে কাঁপছে। ওরা যে দিদির সুরক্ষা কবচ আনছে, ওটা ওদের নেতাদের লাগবে।শহীদ দিবস নিয়ে তরজা প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, যারা শহীদ হল তাদের কথা ভুলে গিয়ে সবাই নিজেদের কথা ভাবছে। শহীদ তো সারা বাংলায় আগে হয়েছে। এখনও হচ্ছে। কোনো একটা দিবস রাজনীতির ইস্যু হয়ে যায়। এটা আগেও হত এখনও হয়।সিপিএম কি বিজেপিকে সাপোর্ট করছে? খড়্গপুরের সাংসদ বলেন, বিজেপির কারও সাপোর্ট লাগে না। সামাজিক সাপোর্টে বিজেপি এগোয়। ওনারা এতদূর এগোলেন কার সাপোর্ট নিয়ে? যাদের সাপোর্ট নিয়ে এলেন, তাদেরই খুন হতে হচ্ছে। পার্টির লোক পার্টির নেতার বিরুদ্ধে আবাস যোজনায় নাম কেটে দেওয়ার অভিযোগ তুলছে। হুমকি দিচ্ছে। নিজেদের মধ্যে গুলি চালাচ্ছে। এটা তৃণমূল কালচার। বিজেপি সারা দেশে আছে। বিজেপিকে সবাই চেনে, জানে।আবার কি তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দিতে চাইছে, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, বহু লোক আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। ওই দলে আর ভদ্রলোকেরা থাকতে চাইছে না। যোগদান তো চলছে। আমাদের থেকে জোর করে নিয়ে যাওয়া কিছু লোক আবার ফিরছে। লোকে দেখতে চাইছে পরিস্থিতি কোন দিকে যায়।

জানুয়ারি ০৭, ২০২৩
রাজ্য

বন্দে ভারতে ঢিল ছোড়ায় গ্রেফতার তিন নাবালক, মজা পেতেই নাকি এই কান্ড

বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে ঢিল ছোড়া নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই তিন কিশোরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও কুমারগঞ্জের ঢিল ছোড়ার ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি। তবে ধৃত কিশোরদের জবানবন্দিতে তাজ্জব পুলিশ। আরও এক অভিযুক্ত কিশোরকে খুঁজছে পুলিশ।পুলিশের কাছে জেরায় ধৃতরা জানিয়েছে, তারা নাকি নেহাত মজার ছলেই মঙ্গলবার আপ বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে পাথর ছুড়েছিল। বৃহষ্পতিবার ওই তিন নাবালককে গ্রেপ্তার করেছে কিষানগঞ্জের পুঠিয়া থানার পুলিশ। অভিযোগ পুঠিয়া থানার অধীন নিমলা গ্রামের কাছে এনজেপিগামী বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে পাথর ছোড়ে এই নাবালকের দল। রেলের প্রকাশ করা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে তিন জন ছাড়াও ঘটনাস্থলে আরও একজন ছিল। তারও খোঁজ চলছে।এই ঘটনার পরেই আরপিএফের ইন্সপেক্টর অমৃত কুমার বর্মা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। একইসঙ্গে ঢিল ছোড়ার ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজও সামনে নিয়ে আসে রেল। এরপরই পুলিশ ওই সিসি টিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। একজন অভিযুক্ত এখনও পলাতক। এইদিন বিহার পুলিশের সঙ্গে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের সময় মালিগাঁও থেকে আসা আরপিএফের ডিআইজি রাজেন্দ্র বাবু রূপ নবার, আরপিএফের কাটিহার জোনের কমান্ড্যান্ট কমল সিং ও পুঠিয়ার ওসি নিশিকান্ত কুমারও ছিলেন। কিষানগঞ্জের পুলিশ সুপার ডাঃ এমানুল হক মেগনু জানান, ধৃত তিনজনকে কিষানগঞ্জ জুভেনাইল কোর্টে তোলা হয়েছে।বাংলায় বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু হওয়ার পর থেকেই সোমবার এবং মঙ্গলবার পরপর দুদিন ট্রেন লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়ার ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে বঙ্গ রাজনীতি। এনআইএ থেকে সিবিআই, সিআইডি তদন্তের দাবি উঠতে থাকে। বিজেপি তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করে ঢিল ছোড়া ইস্যুতে। তৃণমূল এই ঘটনায় বিজেপির ষড়যন্ত্র দেখে।

জানুয়ারি ০৫, ২০২৩
রাজ্য

বাংলায় আবাস যোজনা খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল

আবাস কেলেঙ্কারির অভিযোগ নিয়ে আরও উত্তপ্ত হচ্ছে বঙ্গ রাজনীতি। তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় নেতৃত্ব থেকে শাসকদলের পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধিদের আবাস যোজনার তালিকায় নাম থাকা নিয়েই যাবতীয় বিতর্কের সূত্রপাত। যদিও অনেকে তাঁদের নাম কাটিয়ে দেওয়ার জন্য স্থানীয় বিডিওর কাছে আবেদন জানিয়েছেন। এদিকে এই কেলেঙ্কারি বিশদে খতিয়ে দেখতে আসছেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। কেন্দ্রীয় দল মূলত দুটি ভাগে পূর্ব মেদিনীপুর ও মালদা জেলা পরিদর্শন করবেন। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের পক্ষে বুধবারই পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের প্রধান সচিবকে পত্র মারফত বিষয়টি জানানো হয়েছে।বাংলার গ্রামে গ্রামে আবাস দুর্নীতি নিয়ে সরব শুভেন্দু অধিকারী, সকান্ত মজুমদাররা ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে নালিশও জানিয়েছেন। তাঁরা দেখা করেছিলেন কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েতমন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গেও। এদিকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার তহবিলও আটকে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রতিবাদ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পরিস্থিতিতে বাংলায় কেন্দ্রীয় দল পাঠানোর মতো পদক্ষেপ আদতে মমতা সরকারের উপর চাপ বাড়ানোর কৌশল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের আন্ডার সেক্রেটারি অনিলকুমার সিং-য়ের লেখা চিঠিতে রাজ্যকে জানিয়ে দিয়েছে, কেন্দ্রের দুটি দল আসবে বাংলায়। একটি দল পূর্ব মেদিনীপুর এবং অপরটি মালদহের আবাস যোজনার প্রাপক তালিকা খতিয়ে দেখবেন। দুটি দলেই তিনজন করে প্রতিনিধি থাকবেন। পূর্ব মেদিনীপুরে যাবেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের ডিরেক্টর শৈলেশ কুমার, আন্ডার সেক্রেটরি অনিল কুমার সিং এবং সিনিয়র স্ট্যাটিস্টিক্যাল অফিসার সুভাষ দ্বিবেদী। মালদহে পর্যালোচনা করবেন, মন্ত্রকের ডেপুটি সেক্রেটারি শক্তিকান্ত সিং, অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার চাহাত সিং এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট সেকশন অফিসার গৌরব আহুজা। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই কেন্দ্রীয় দল আসবেন। আবাস যোজনার আপডেট করা নথি ও লজিস্টিক সাপোর্ট কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের জন্য রাজ্যের তরফে ওই দুই জেলায় আয়োজনের কথা বলা হয়েছে। স্বভাবতই কেন্দ্রের এই পদক্ষেপে উচ্ছ্বসিত বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

জানুয়ারি ০৫, ২০২৩
রাজ্য

বন্দে ভারতে ঢিল, সিবিআই নয় সিআইডিতে ভরসা বিজেপি সাংসদের

বন্দে ভারতে ঢিল ছোড়া নিয়ে সিআইডি তদন্তের দাবি তুললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার। এদিকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এনআইএ তদন্তের দাবি তুলেছেন, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, বিডিও অফিসে ঢিল ছুড়ুন। তদন্তের ক্ষেত্রে রাজ্য পুলিশ যথেষ্ট দক্ষ বলেও মনে করেন সুভাষ সরকার।বঙ্গে প্রথম তিন দিনের যাত্রাতেই দুবার ঢিলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। এই ঘটনায় বঙ্গ রাজনীতি তোলপাড়। বন্দে ভারতে দ্বিতীয়বার হামলার পর কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা নয় সিআইডি তদন্ত চাইছেন।বুধবার সুভাষ সরকার বলেন, বন্দে ভারতে দ্বিতীয় দিন হামলা হল, পরিকল্পিতভাবে পাথর ছোড়া হল। তারপরও রাজ্য সরকার ও মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর কোনও বক্তব্য নেই। কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও উন্নয়নই কী রাজ্য প্রশাসন বরদাস্ত করতে পারছেন না? এটা স্পষ্ট করে রাজ্যবাসীকে রাজ্য সরকার তাহলে জানিয়ে দিক। না হলে চাইব, মানীয়া মুখ্যমন্ত্রী এই হামলার তদন্তে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিন। আমি বলছি না এতে সিবিআই তদন্ত প্রয়োজন। রাজ্য পুলিশ যথেষ্ট যোগ্য। কোথা থেকে কারা ঢিল ফেললেন তা খুঁজে বার করুক পুলিশ। তবে তদন্তের ক্ষেত্রে যেন কোনও স্বজনপোষণ রাজনীতি না হয়। রাজ্য পুলিশ সুয়োমোটো এফআইআর করুন আজকের মধ্যে, ইতিমধ্যেই দেরি হয়ে গিয়েছে, আর দেরি ঠিক হবে না।

জানুয়ারি ০৪, ২০২৩
রাজ্য

জয় শ্রীরামের বদলা পাথর ছোড়া নয় তো? দিলীপের প্রশ্ন

বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধনের পর ট্রেনে পাথর ছোড়া নিয়ে বিতর্ক কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। দ্বিতীয়বার পাথর ছোড়ার ঘটনাও ঘটেছে। তা নিয়ে চলছে বিজেপি ও কংগ্রেসের মধ্যে অভিযোগ পাল্টা বক্তব্য। বুধবার দিলীপ ঘোষ বলেন, বন্দে ভারত নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নীরব। তাই অনেকেই সন্দেহ করছেন, জয় শ্রীরামের বদলা পাথর ছোড়া নয় তো? কাশ্মীরে দেশপ্রেমীদের পাথর ছুঁড়ে মারা হতো। এখানে রাষ্ট্রবাদীতার প্রতীক বন্দে ভারতে পাথর মারা হচ্ছে। আমরা দেখেছি, স্টেশনে স্টেশনে কি বিপুল উন্মাদনা। ট্রেনকে স্বাগত জানানোর জন্য মানুষের সীমাহীন উৎসাহ। মানুষ এই ট্রেনকে আন্তরিকভাবে নিয়েছেন। এতে মুখ্যমন্ত্রী বোধহয় খুব কষ্ট পেয়েছেন। তিনি পশ্চিমবঙ্গকে পিছন দিকে নিয়ে যাচ্ছেন, জনতাকেও এগোতে দিচ্ছেন না। যারা এগোতে চাইছে, তাদের পাথর মারা হচ্ছে। বিজেপি নেতার দাবি, যাঁরা আমাদের রাজ্যকে বদনাম করছে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।তৃণমূল কংগ্রেস দিদির রক্ষাকবচ নিয়ে পথে নেমে পড়েছে। বাড়ি যাবেন নেতৃত্ব{ দিলীপ ঘোষ বলেন, এর আগেও এই ধরনের ঘোষণা হয়েছে। তৃণমূল নেতাদের বাড়ি বাড়ি যাওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কেউ যায়নি। সিএম জাটুয়া রায়দিঘী গিয়ে বিজেপি কর্মীর বাড়িতে মাছ ভাত খেয়েছিলেন। ওনার দলের কেউ ওনাকে খেতে দেয়নি। এই প্রকল্পগুলো মিডিয়াকে বলে বাজার গরম করার চেষ্টা। কারণ ওদের এখন পাবলিকের সামনে মুখ দেখানোর জো নেই।

জানুয়ারি ০৪, ২০২৩
রাজ্য

মালদার গাজোলের সভা থেকে হুংকার শুভেন্দু অধিকারীর

বন্দে ভারত থেকে কিছুতেই ঘুচছে না রাজনীতির ছোঁয়া। নাম না করে রাজ্যের একটি দলের বিরুদ্ধে বন্দে ভারতের পাথর ছোঁড়া পার্টি বলে মালদায় তুলোধনা করলেন বিরোধী দলনেতা তথা বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। সভা মঞ্চ থেকেই সংশ্লিষ্ট থানার আইসিকে হুঁশিয়ারি দিলেন শুভেন্দু অধিকারী । তিনি বলেন, গাজোলের আইসি সাহেব খুব মাল তুলছেন। এখনও সময় আছে সাবধান হয়ে যান, তৃণমূল দল আপনাকে বাঁচাতে পারবে না। আইনের কাজ করুন। যা করছেন সব খবর আমাদের কাছে আছে।মঙ্গলবার গাজোল থানার বিএসএ ময়দানে উত্তর মালদা সাংগঠনিক জেলার কর্মীসভার আয়োজন করা হয়। এই সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন বিজেপির বিধায়ক তথা রাজ্যের বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন দলের উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মুর্মু, গাজোলের বিধায়ক চিন্ময় দেব বর্মন, উত্তর মালদার সাংগঠনিক সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত, দলের রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বপ্রিয় রায় চৌধুরী প্রমূখ।এদিন মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, যারা বন্দে ভারতে পাথর ছুঁড়েছে সেই পাথর ছোড়ার পার্টির দিন ঘনিয়ে এসেছে। মানুষ এর জবাব দিবে।বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় চরম দুর্নীতি হচ্ছে। যাদের পাকা বাড়ি, চারচাকা গাড়ি, আড়াই একরের ওপর জমি আছে, তাদের এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার কথা নয়। কিন্তু প্রকৃত গরীব মানুষেরা বঞ্চিত হয়ে একশ্রেণীর বড়লোকদের এই সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তাই আমি বলছি বঞ্চিত লোকেদের নিয়ে জনস্বার্থ মামলা করবে বিজেপি।শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, এরাজ্যে প্রধানমন্ত্রীর স্বচ্ছ ভারত প্রকল্পে ৭০ লক্ষ শৌচালায় তৈরি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখনও বহু গ্রামীণ এলাকায় এই সুবিধা পাননি সাধারণ মানুষ। সবেতেই দুর্নীতি। তৃণমূল একটা দুর্নীতির সরকারের পরিণত হয়েছে। এই সরকারের এখন এমন অবস্থা যে সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া দিয়ে দিতে গেলে মাইনে বন্ধ হবে । আর মাইনে দিতে গেলে লক্ষী ভান্ডার বন্ধ হবে। কোন কিছুই ওরা বুঝে উঠতে পারছে না কি করবে। তাই এবারে মতোই ইতি টানতে হবে এই চোর সরকারকে।শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় এত দুর্নীতি হয়েছে, যে ভয়ে নিজেরা প্রশাসনিকভাবে কাজ না করে খেটে খাওয়া অঙ্গনওয়াড়ি এবং আশা কর্মীদের দিয়ে সমীক্ষা করাতে বলেছে। আসলে তৃণমূল দল কিছুই করতে পারবে না। তবে এটা মনে রাখতে হবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বহু ভোট লুঠ হয়েছিল। কিন্তু এবার মানুষ বদ্ধপরিকর। ভোট এবার লুঠ হতে দেওয়া যাবে না। গাজোল তার জলজ্যান্ত উদাহরণ। এই বিধানসভা কেন্দ্রে বহু জায়গায় পঞ্চায়েতের ভোট লুঠ আটকে দিয়েছিল জনগণ এবং বিজেপি। ফলে বহু আসন বিজেপি পেয়েছিল। এবারে সোচ্চার হয়েছে। বন্যার টাকা নিয়েও দুর্নীতি করা হয়েছে মালদার বেশ কয়েকটি বিধানসভা কেন্দ্রে। একজন প্রধানও জেল খাটছে। বাকিরা ও বাদ যাবেন না।

জানুয়ারি ০৩, ২০২৩
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 7
  • 8
  • 9
  • 10
  • 11
  • 12
  • 13
  • ...
  • 39
  • 40
  • ›

ট্রেন্ডিং

খেলার দুনিয়া

১৪ বছর পর কলকাতায় মেসি! “মাঠ কাঁপাবে” ডিসেম্বরে?

কলকাতার ফুটবলপ্রেমীদের জন্য এক বিশাল সুখবর! ফুটবল কিংবদন্তি লিওনেল মেসি (Lionel Messi) তাঁর বহু প্রতীক্ষিত GOAT Tour of India 2025-এর জন্য এ বছরের ডিসেম্বর মাসে কলকাতা ময়দান মাতাতে আসছেন। ১৪ বছর পর বিশ্বকাপজয়ী এই মহাতারকার ভারতে ফেরা নিঃসন্দেহে এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত হতে চলেছে।আগামী ডিসেম্বরে আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি তাঁর ভারত সফরের সূচনা করবেন কলকাতাতেই। আয়োজকদের ঘোষণা অনুযায়ী, তিনি ১২ই ডিসেম্বর রাতে মহানগরে পৌঁছাবেন এবং ১৩ই ডিসেম্বর কলকাতায় বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।কলকাতার আইকনিক সল্টলেক স্টেডিয়ামে (যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন) মূল অনুষ্ঠানগুলি হবে, যেখানে ২০১১ সালে মেসি আর্জেন্টিনার হয়ে ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে একটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ফুটবল ম্যাচে খেলেছিলেন।GOAT কনসার্ট এবং GOAT কাপ, ১৩ই ডিসেম্বর এই দুটি প্রধান ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। GOAT কাপ হবে একটি সেলিব্রেটর সেভেন-এ-সাইড (seven-a-side) সফট-টাচ ফুটবল ম্যাচ। বেশ কয়েকজন ভারতীয় কিংবদন্তির উপস্থিতির সম্ভবনা ওই খেলায়, সুত্রের খবর, এই বিশেষ ম্যাচে মেসির সঙ্গে মাঠে নামতে পারেন ভারতীয় ক্রীড়া জগতের তারকারা, যেমন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, বাইচুং ভুটিয়া এবং লিয়েন্ডার পেজ প্রমুখ।ম্যচের শেষে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে মেসিকে বিশেষ সংবর্ধনা দেওয়া হতে পারে। এছাড়াও এই সফরের অঙ্গ হিসাবে কলকাতা শহরে মেসির একটি মূর্তি উন্মোচন-র আয়োজন চলছে।এই সফরে নানাবিধ অনুষ্ঠানের মধ্যে, ফুড অ্যান্ড টি ফেস্টিভ্যালঅনুষ্ঠিত হবে। কলকাতায় তাঁর প্রিয় পানীয় আর্জেন্তিনীয় ভেষজ চা মাটে-এর সঙ্গে আসামের চায়ের ফিউশন করে একটি বিশেষ খাদ্য ও চা উৎসবের আয়োজন করা হবে।কলকাতা ছাড়াও মেসি ভারতে আরও কয়েকটি শহর সফর করবেন, সেকারনে তাঁর নিরাপত্তা ব্যবস্থাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কলকাতার পর মেসি আরও চারটি-শহরে সফর করবেন। যেগুলি হল আহমেদাবাদ, মুম্বাই এবং নয়া দিল্লী। ১৫ই ডিসেম্বর তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করে তাঁর ভারত সফর শেষ করবেন। এই সফরের ইভেন্টগুলোর টিকিটের মূল্য ৩,৫০০ টাকা থেকে শুরু হতে পারে বলে জানা গেছে।মেসির প্রতিক্রিয়াদীর্ঘ ১৪ বছর পর ভারতে আসা নিয়ে মেসি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। একটি সরকারি বিবৃতিতে তিনি বলেন, এই সফর করতে পারা আমার জন্য খুবই সম্মানের। ভারত খুব স্পেশাল একটি দেশ, এবং ১৪ বছর আগে আমার সেখানে কাটানো মুহূর্তগুলোর খুব ভালো স্মৃতি আছে এখানকার ভক্তরা ছিল অসাধারণ। ভারত ফুটবল প্রেমী দেশ (passionate football nation), এবং আমি ফুটবলের প্রতি আমার ভালোবাসা নতুন প্রজন্মের ভক্তদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছি।২০২৫ এর ডিসেম্বর মাসে ফুটবল কিংবদন্তির আগমন শুধু কলকাতার নয়, গোটা ভারতের ক্রীড়াপ্রেমীদের কাছে এক বিশাল উৎসবের বার্তা নিয়ে আসছে।

অক্টোবর ০৭, ২০২৫
রাজ্য

সাংসদের ওপর হামলায় রাজ্যকে নিয়ে বড় প্রশ্ন মোদির, কড়া জবাব মমতার

বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের ওপর হামলা নিয়ে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার পাল্টা কড়া জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সোশ্যাল মিডিয়া লিখেছেন, এটা খুবই দুর্ভাগ্যের এবং গভীর উদ্বেগের বিষয় যে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী একটি প্রাকৃতিক বিপর্যয় নিয়ে রাজনীতি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, কোনো উপযুক্ত অনুসন্ধানের জন্য অপেক্ষা না করেই তা-ও আবার যখন উত্তরবঙ্গের মানুষ ভয়াবহ বন্যা ও ধসের সঙ্গে যুঝছেন।যখন সমগ্র স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ ত্রাণ ও উদ্ধারের কাজে ব্যস্ত হয়ে আছে, তখন বিজেপি নেতারা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়েছিলেন বিপুল সংখ্যক গাড়ির কনভয় নিয়ে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা নিয়ে এবং স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনকে কোনো খবর না দিয়ে। রাজ্য প্রশাসন, স্থানীয় পুলিশ বা তৃণমূল কংগ্রেসকে কীভাবে এই ঘটনার জন্য দায়ী করা যাবে?এখানেই থামেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী পদের গরিমা নিয়েও। প্রশ্ন তুলেছেন মোদির নৈতিকতা নিয়েও। তাছাড়া কোনও প্রমান ছাড়াই প্রধানমন্ত্রী তৃণমূল কংগ্রেসকে দায়ী করেছে বলে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী তৃণমূল কংগ্রেস এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ওপর দোষারোপ করেছেন কিছুমাত্র প্রমাণ ছাড়া, আইনানুগ কোনো তদন্ত ছাড়া এবং কোনো প্রশাসনিক রিপোর্ট ছাড়া। এটা শুধু রাজনৈতিক নিম্নতা স্পর্শ করল না, যে সাংবিধানিক নৈতিকতা তুলে ধরতে প্রধানমন্ত্রী শপথ নিয়েছেন, সেই নৈতিকতারও লঙ্ঘন হল। যে কোনো গণতন্ত্রে আইন তার নিজস্ব পথ নেয় এবং কোনো ঘটনার দায় নির্ধারিত হয় যথাযথ প্রক্রিয়ায় -কোনো রাজনৈতিক বেদীর উচ্চতা থেকে করা একটি ট্যুইটের মাধ্যমে নয়।উত্তরবঙ্গ কাল যাবো, আজ কার্নিভাল !!!কার্নিভাল নাকি বাংলার ঐতিহ্য ! তা দশমীর চার দিন পর সরকারি অনুদান আর প্রশাসনিক চোখ রাঙানির জেরে প্রতিমা নিরঞ্জন আটকে রেখে, মিছিল করিয়ে ঘাটে যাওয়া কবে থেকে বাংলার ঐতিহ্য হয়ে গেলো?আর মুখ্যমন্ত্রী চটজলদি উত্তরবঙ্গ যেতে আগ্রহী নন কেন, pic.twitter.com/mD0TeqWIaz Suvendu Adhikari (@SuvenduWB) October 5, 2025মমতা বলেছেন, সংশ্লিষ্ট ঘটনা ঘটেছিল একটি কেন্দ্রে, যেখানে মানুষ নিজেরাই বিজেপির একজন বিধায়ককে নির্বাচন করেছেন। তথাপি এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের তথাকথিত শক্তিমত্তা দেখায় প্রধানমন্ত্রী দ্বিচারিতা অনুভব করলেন না। এই ধরনের অসার এবং অতি-সরলীকৃত সাধারণীকরণ শুধু অপরিণতই নয়, তা দেশের সর্বোচ্চ পদের সঙ্গে মানানসইও নয়।

অক্টোবর ০৭, ২০২৫
রাজ্য

বিজেপি সাংসদ ও বিধায়কের ওপর হামলা, নিন্দা নরেন্দ্র মোদীর, ফোন রাজনাথ সিংয়ের

বন্যা ও ভমি ধ্বসে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ। এরই মধ্যে নাগরাকাটায় বন্যা পরিস্থিতি দেখতে গিয়েছিলেন মালদা উত্তরের সাংসদ খগেন মুর্মু ও শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। তাঁদের ওপর তৃণমূল কংগ্রেস প্রাণঘাতী হমলা করেছে বলে অভিযোগ। মাথা ফেটে রক্তাক্ত হয়েছেন খগেন মুর্মু। আঘাত পেয়েছেন শঙ্কর ঘোষ। যদিও তৃণমূল অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এবার এই ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খুললে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জখম সাংসদের সঙ্গে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং।প্রধানমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আক্রমণের তীব্র নিন্দা করেছেন। নরেন্দ্র মোদী এক্স হ্যান্ডেলে বলেছেন, যেভাবে আমাদের দলের সহকর্মীরাযাদের মধ্যে একজন বর্তমান সাংসদ ও বিধায়কও রয়েছেনপশ্চিমবঙ্গে বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সেবা করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এটি তৃণমূল কংগ্রেসের অসংবেদনশীলতা এবং রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার করুণ রূপের স্পষ্ট প্রতিফলন।যেভাবে আমাদের দলের সহকর্মীরাযাদের মধ্যে একজন বর্তমান সাংসদ ও বিধায়কও রয়েছেনপশ্চিমবঙ্গে বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সেবা করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এটি তৃণমূল কংগ্রেসের অসংবেদনশীলতা এবং রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার করুণ রূপের স্পষ্ট প্রতিফলন।আমার Narendra Modi (@narendramodi) October 6, 2025আমার একান্ত কামনা পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও তৃণমূল কংগ্রেস এই কঠিন পরিস্থিতিতে হিংসায় লিপ্ত না হয়ে মানুষের সাহায্যে আরও মনোযোগী হোক। আমি বিজেপি কার্যকর্তাদের আহ্বান জানাই, তারা যেন জনগণের পাশে থেকে চলতি উদ্ধার কাজে সহায়তা করে যান।এদিকে নাগরাকাটায় বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়ে সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের ওপর হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংজি। রাজ্য বিজেপি সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য এক্স হ্যান্ডেলে বলেছেন, তিনি টেলিফোনে আমার সঙ্গে কথা বলে ঘটনার বিস্তারিত জানতে চান এবং স্পষ্ট বার্তা দেন রাজনীতিতে হিংসার কোনো স্থান নেই। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ এই অন্যায় ও অত্যাচার কখনো মেনে নেবে না। সবাই মিলে এই হিংসার রাজনীতি প্রতিহত করতে হবে। বাংলার মানুষ গণতন্ত্রের শক্তিতে বিশ্বাস রাখে।

অক্টোবর ০৭, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal