স্পেশাল ট্রেনের অপেক্ষায় রইলেননা জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ, ময়নাগুড়ি, ধুপগুড়ি সহ বিভিন্ন স্টেশনে বিজেপি কর্মীরা। আর খানিকক্ষণ পর আসছে পদাতিক এক্সপ্রেস সেই ট্রেনেই কলকাতা যাবেন নাছোড়বান্দা বিজেপি কর্মীরা। জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনে দাড়িয়ে চোর ধরো জেল ভরো স্লোগান বিজেপি কর্মীদের।একইসাথে ময়নাগুড়ি সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বিজেপি কর্মীদের পুলিশ আটকাচ্ছে সেই ভিডিও দিলাম।। এদিন রাতে জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনে ডিএসপি সমির পাল, আই সি কোতোয়ালি অর্ঘ্য সরকার সহ বিরাট পুলিশ বাহিনীকে নজরদারি করতে দেখা যায়।
ডিসেম্বরের মধ্যে চা শ্রমিকদের পিএফ-গ্রাচুইটির সমস্যা না মিটলে বিজেপি বিধায়ক ও সাংসদদের বাড়ি ঘেরাওয়ের ডাক দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার জলপাইগুড়ির মালবাজারে চা শ্রমিকদের জনসভায় নানা সমস্যা নিয়ে বক্তব্য রাখছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। অভিষেক বলেন, উত্তরবঙ্গ নয়, একটাই বঙ্গ, পশ্চিমবঙ্গ। যে কারণে এখানে জড় হয়েছি, আপনাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে। শ্রমিকের স্বার্থে তৃণমূল কংগ্রেস লড়বে, মালিকের স্বার্থে নয়। পিএফ ও গ্রাচুইটি নিয়ে শ্রমিকদের অভিযোগ আছে। এটা কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রম দফতরের কাজ। এই দাবির জন্য আন্দোলন করা হবে। এটা শ্রমিকদের হকের টাকা। চা বাগানের মালিকরা যদি পিএফ ও গ্রাচুইটির টাকা জমা না দেয় তাহলে লোকাল থানায় গিয়ে অভিযোগ করবেন। পুলিশ পুলিশের কাজ করবে। তিনি ঘোষণা করেন, ৩ লক্ষ শ্রমিকের হাতে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে আইডি কার্ড তুলে দেওয়া হবে। নরেন্দ্র মোদি বলেন তিনি চা বিক্রি করতেন, কিন্তু চা শ্রমিকদের উন্নতির কথা ভাবেন না তিনি, বলেন অভিষেক।৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে যদি কোনও ফল না মেলে তাহলে বিজেপি বিধায়ক ও সাংসদদের বাড়ি ঘেরাও করা হবে। দরকারে আমি আসব। ঘোষণা করেন অভিষেক। তিনি বলেন, এঁদের বাড়ি থেকে বের হতে দেবেন না। নিশীথ প্রামানিক, জন বার্লা, জয়ন্ত রায়রা বাড়ি থেকে বেরতে পারবেন না ৩ লক্ষ মানুষ যদি রাস্তায় বের হয়। প্রয়োজনে দাবি আদায়ে ৩ লক্ষ চা শ্রমিক দিল্লি অভিযানে যাবে। বিজেপি শুধু প্রতিশ্রুতি দেয়। পাশাপাশি চা বস্তিগুলিতে পানীয় জলের ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দেন অভিষেক। তিনি বলেন, রাজ্যের মন্ত্রীকে বলব ৭দিনের মধ্যে এখানে আসতে। ঘুরে দেখে পরিকল্পনা প্রস্তুত করতে।
১৩সেপ্টেম্বর বিজেপির ডাকে নবান্ন অভিযান। সরকারের দুর্নীতির প্রতিবাদে এই অভিযানের সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল। অভিযানের আগেই হুমকির সুর রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের গলায়। নবান্ন অভিযান মিছিলে এসে তিনি জানিয়েছেন, ওই দিন পুলিশ তাঁদের জোর করে আটকালে পাল্টা প্রতিরোধ হবে। মূলত তিনটি মিছিল করে মঙ্গলবার নবান্নের দিকে এগোবে বিজেপি। কুলতলির বিধায়ক কে তিনি হুঁসিয়ার করলেন। জয়নগরের মাটিকে ধ্বংসস্তূপ করেছে তৃণমূল। শওকত মোল্লার গুন্ডাবাহিনী দিয়ে ভোট লুট চালিয়েছে। সেটা আর বেশিদিন নয় এমনই ইঙ্গিত দিলেন। বিধায়ক শওকাত মোল্লা কে সিবিআই ডেকেছে, এবার সিবিআর চা খেতে হবে এমনই ইঙ্গিত করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
তৃণমূল সাংসদ হলেও দাদা শুভেন্দু অধিকারী বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার পর থেকেই দিব্যেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দূরত্ব বাড়ে তৃণমূলের। ১৪ সেপ্টেম্বর মেদিনীপুরে জেলা সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরের সভায় ডাক পাননি তমলুকের সাংসদ দিব্য়েন্দু অধিকারী। এ নিয়েই ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর সভায় ডাক না পাওয়ার পাশাপাশি দিব্যেন্দুর অভিযোগ, গত ২ বছর ধরে কোনও বৈঠকেই ডাকা হয়নি তাঁকে। হলদিয়াতে একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে শনিবার এই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি।চলতি মাসের ১৪ সেপ্টেম্বর জেলা সফরে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সভায় ডাক না পেয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই তথা পূর্ব মেদিনীপুর তমলুকের তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে জেতা সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। তমলুকের সাংসদের এই বক্তব্যের পর নতুন করে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল করেছে। ডাক না পাওয়ার কারণ হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীর দফতর ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জেলাশাসককে দায়ী করেছেন তিনি। শনিবার সকালে শিল্পনগরী হলদিয়া একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসেন তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী।অনুষ্ঠানের শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিব্য়েন্দু বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী জেলা সফরে কেন ডাকা হয়নি তা মুখ্যমন্ত্রীর দফতর বলতে পারবে ও এই জেলার জেলাশাসক বলতে পারবে। আমি বলতে পারব না। সাংসদ হিসাবে আমি দুবছর কর্মকাণ্ডের মধ্যে নেই। রাজ্য সরকারের কোনও অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাই না। এর থেকে দুঃখের আর কি আছে। তবে নিজের সাংসদ হিসাবে মেয়াদ থাকা অবধি তিনি মানুষের জন্য় কাজ করে যাবেন বলে জানিয়েছেন। হলদিয়ার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে দিব্যেন্দু বলেছেন, মানুষ কাছে এলে কথা বলতে চায়, তবে ভয়-ভীতি একটা কাজ করে। কারণটা আমি জানি না।যদিও সাংসদের এমন বক্তব্যে পাল্টা কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছেন হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান ও প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতির্ময় কর। তিনি বলেছেন, সাংসদ কী মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচিতে ডাক পাওয়ার জন্য উদগ্রীব। মুখ্যমন্ত্রীর অনুকূলে জয়ী হয়ে তমলুকের সাংসদ হলেন দিল্লি গেলেন। সেই মুখ্যমন্ত্রীর সম্পর্কের কুৎসা করার পর ডাক পাওয়ার আশা করেন কী করে। তবে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাঝি দিব্যেন্দুর অভিযোগ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।
২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের পরে এরাজ্যে আর মুখ দেখা যায়নি বঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে। নির্বাচনের ১৫ মাস বাদে বাংলার পর্যবেক্ষক পদে বিজয়বর্গীয়কে সরিয়ে আনা হয় সুনীল বনশলকে। বাংলা সহ একাধিক রাজ্যের দায়িত্বে ছিলেন বনশল। দলে অমিত শাহের ঘনিষ্ঠ এই নেতাকে এক মাসের মাথায় ফের সরিয়ে দিল বিজেপি। শুক্রবার সন্ধ্যায় দলের পক্ষ থেকে বিবৃতি জারি করে নতুন পর্যবেক্ষক ও দুজন সহকারি পর্যবেক্ষকের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা নতুন পর্যবেক্ষক নিযুক্ত করেছেন মঙ্গল পান্ডেকে। পান্ডে বিহার বিজেপির প্রদেশ সভাপতি ছিলেন। তাছাড়া ওই রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীও ছিলেন মঙ্গল পান্ডে। এরই পাশাপাশি রাঁচির দুবারের মেয়র ও আদিবাসী নেত্রী আশা লাকড়াকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সহকারি পর্যবেক্ষক হিসাবে। তিনি দলের সর্বভারতীয় সম্পাদক পদে রয়েছেন। একইসঙ্গে অমিত মালব্যকে রেখে দেওয়া হয়েছে সহকারি পর্যবেক্ষক হিসাবে।সম্প্রতি কলকাতায় এসেছিলেন সুনীল বনশল। হঠাৎ একমাসের মধ্যে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ায় বিভ্রান্তিতে পড়েছে দলের একাংশ। কার্যত সুনীল বনশল এরাজ্যে কাজই শুরু করতে পারলেন না, তারই মধ্যে তাঁকে সরে যেতে হল দায়িত্ব থেকে।
এর আগে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে অর্থ নেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন সারদা-কর্তা সুদীপ্ত সেন। এমনকী আদালত থেকে বেরিয়ে আসার সময়ও তিনি সাংবাদিকদের কাছেও এই দাবি করেছিলেন। এবার অবশ্য সিআইডির বিরুদ্ধে মিথ্য়া বয়ান দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করলেন সারদা মামলায় জেলবন্দি দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের মা শর্বরী মুখোপাধ্যয়। তাঁর দাবি, দেবযানীর ওপর মিথ্যা বয়ান দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে সিআইডি।রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থার বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর অভিযোগ এনে সিবিআইকে চিঠি সারদা কেলেঙ্কারিতে জেলবন্দি দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের মায়ের। তাঁর অভিযোগ, মেয়ের উপর মানসিক চাপ তৈরির চেষ্টা করছে সিআইডি, মিথ্যা বয়ানের জন্য জোর করা হচ্ছে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের থেকে ৬ কোটি করে টাকা নিয়েছিলেন। সেই টাকা দেবযানীর সামনে দেওয়া হয়েছিল। এমন বয়ান দেওয়ার জন্য চাপ দিয়েছে সিআইডি।একথা দেবযানী তাঁকে বলেছে বলে দাবি করেছেন মা শর্বরী মুখোপাধ্যায়। যদিও দেবযানী তা দিতে অস্বীকার করেছে। তাঁকে আরও ৯টি মামলায় ফাঁসানো হবে বলে সিআইডি-র এক আধিকারিক অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় চাপ দিয়েছেন বলেই শর্বরীদেবীর অভিযোগ।শর্বরী মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগঅভিযোগ সামনে আসতেই সিআইডির বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন শুভেন্দু অধিকারী ও সুজন চক্রবর্তী। শুভেন্দু অধিকারী টুইটে লিখেছেন, অপমান, সম্পূর্ণ অসম্মান! এক সময়ের গৌরবময় সিআইডি এখন পশ্চিমবঙ্গের বুয়া-ভাতিজার বেতনভুক্ত দাড়োয়ান হয়ে উঠেছে। রাজ্যের বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা বিবৃতি দেওয়ার জন্য বিচারাধীন বন্দীদের ভয় দেখিয়ে ব্যানার্জিদের ঘৃণ্য স্বার্থকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সিআইডি অপরাধে লিপ্ত হচ্ছে। সুজন চক্রবর্তীর দাবি, রাজ্যকে খুশি করতে চাইছে সিআইডি। ২০২১ সালে ভোটের আগে ওরা একই চেষ্টা করেছিল, তখন বিমান বসুর সঙ্গে আমার নাম ছিল। সকলে তখন হেসেছিল। সুজনের দাবি, কোর্টের রক্ষাকবচ বা হাসপাতালে ভর্তি হবো না। তদন্তের মুখোমুখি হতে আমি প্রস্তুত।শর্বরী মুখোপাধ্য়ায় চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, দেবযানী এখন দমদম জেলে বন্দি। গত ২৩ অগাস্ট জেলে দেবযানীকে সিআইডি জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তখনই বেশ কয়েকটি প্রশ্নের পর সিআইডি-র এক অফিসার নাকি দেবযানীকে বলেন, শুভেন্দু ও সুজনকে ৬ কোটি টাকা দিয়েছিলেন বলে সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন আগেই জানিয়েছেন। দেবযানীকে বলতে হবে, তাঁর সামনেই সেই টাকা শুভেন্দু ও সুজনকে দেওয়া হয়েছিল। এটা করলে দেবযানীকে রাজসাক্ষী করা হবে।Disgrace, total disgrace!The once glorious CID has now become the paid janitor of WBs Bua-Bhatija.CID is indulging in criminality for advancing the nefarious interest of the Banerjees by intimidating under trial prisoners to give false statements against WB Opposition Leaders: pic.twitter.com/fHdZJyLgvZ Suvendu Adhikari শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) September 8, 2022এর আগে শুভেন্দু অধিকারী ও বিমান বসুর নাম করেছিলেন সুদীপ্ত সেন। সুদীপ্ত সেনকে চাপ দিয়ে সেকাজ করানো হয়েছিল বলে শুভেন্দু দাবি করেছিলেন। এবার খোদ সিআইডির বিরুদ্ধে মিথ্যা বয়ান দেওয়ার জন্য অভিযোগ ওঠায় সারদা মামলা অন্য মোড় নিল।
যে কাজ করার কথা একজন পুলিশ আধিকারিকের সেখানে যদি খোদ মুখ্যমন্ত্রীকেই থানার একজন আইসিকে সাসপেন্ড করতে হয় তাহলে রাজ্যের মানুষের বুঝতে খুব একটা অসুবিধে হবার নয় যে, রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতির কি হাল করে ছেড়েছেন তৃণমুল নেত্রী। আজ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ থানার গোপালগঞ্জে চোর ধরো জেল ভরো কর্মসূচিকে সামনে রেখে দলের এক পথসভায় যোগ দিতে এসে সংবাদিকদের বাগুইআটি থানার আইসি সাসপেন্ড করা নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে এই কথা বলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পাশাপাশি আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের বাড়িতে সিবিআই হানা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, রাজ্যে তো কেবল মলয় বাতাস বইছে আগে আগে দেখুন আরও কিছু ঘটবে। এর পাশাপাশি আজকে মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক বৈঠকে চাকরির নিয়োগ সংক্রান্ত নির্দেশের সময় বলেছেন তিনি কোনও দুর্নীতি নিয়োগ ক্ষেত্রে মানবেন না, সে প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে সুকান্ত মজুমদার বলেন, মুখ্যমন্ত্রী তো মেনে নিয়েছেন চরম দুর্নীতি হয়েছে, তার চেয়েও বড় কথা দুর্নীতি হয়েছে সেটা যে মুখ্যমন্ত্রী জানতেন তার বড় উদাহরণ উত্তরবঙ্গে এক প্রাক্তন তৃণমুল বিধায়ক তো জানিয়ে দিয়েছেন তিনি মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে পাচটি নাম পাঠিয়েছিলেন। তখন মুখ্যমন্ত্রী নিজে এসব বিষয়ে উৎসাহিত করেছেন, এখন সব জেনে বুঝেও নিজের দায় ঝেড়ে ফেলতে চাইছেন, বলে সুকান্ত মজুমদার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছেন।পাশাপাশি বাগুইআটি কান্ডের তদন্তে গিয়ে পুলিশ এলাকার বেশির ভাগ সিসিটিভি অকেজো হওয়ায় তদন্তে আসা অফিসারদের বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। এই প্রশ্নের উত্তরে সুকান্ত মজুমদার বলেন, তৃনমুলের লোকজন নিজেদের চুরি চামারি ঢাকতে এই সব সিসিটিভি অকেজো করে রাখে। না হলে সারা রাজ্যে যে ভাবে বালি চুরি, পাথর চুরি, কয়লা চুরি, মাটি চুরি, গরু চুরি চলছে তা যে ধরা পড়ে যাবে সে জন্য পুলিশকে বলেই তৃণমুলীরা এসব কাজ করে থাকে বলে তিনি জানান। এছাড়া হঠাৎ করে রাজ্যে সিআইডি সক্রিয় হয়ে ওঠা নিয়ে বলেন, রাজ্যে সিবিআই ইডিকে থামানোর জন্য রাজ্য সরকার এগুলো করছে। আগে করলে তবুও হতো এখন এগুলো করা হচ্ছে জাস্ট আই ওয়াস করবার জন্য।এদিকে আজকের এই পথসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার গতকাল বাগুইআটি কান্ডের কথা তুলে ধরেন। পাশাপাশি তাঁকে যে কাল তৃণমুল কাউন্সিলরের নেতৃত্বে লক্ষীরভান্ডার প্রাপক মহিলাদের দিয়ে বাধা দেওয়া হয়েছে, সে কথা উল্লেখ করে বলেন অথচ ছেলেটির মা জানলা দিয়ে তাকিয়েছিল আমাদের সাথে কথা বলার জন্য।বিকাল চারটেতে এই পথসভায় সুকান্ত মজুমদারের আসার কথা থাকলেও সন্ধ্যে ৬ টা নাগাদ এই পথসভায় তিনি বক্তব্য রাখতে উঠে সম্প্রতি রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতির প্রসঙ্গ টেনে নিয়ে বলেন, আমি পাহাড় দেখেছি দার্জিলিং গিয়ে, আর এবার টিভিতে টাকার পাহাড় দেখলাম। তাহলেই বুঝুন এই সরকারের আমলে কতরকমের দুর্নীতি হয়েছে। যার পরিমান কোটি কোটি। অনুব্রতর জেলে যাওয়ার প্রসঙ্গও বাদ যায়নি। তিনি বলেন এখানকার বেকার ভাইদের বলব এবার থেকে মাছের ব্যবসা করুন, তাহলে ১৭ কোটি ঘরে আনতে পারবেন। ছুয়ে যান প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জোতিপ্রিয় মল্লিকের মেয়ের টিউশনি পড়ানোর তত্ব ও তার উপার্জনের কথা। ১৩ সেপ্টেম্বর নবান্ন অভিযানে এই জেলা থেকে প্রচুর মানুষ যাতে যোগ দিতে পারে সে ব্যাপারে জোর তৎপরতা জেলা বিজেপির তরফে চলছে দেখে রাজ্য সভাপতি খুশি হন আজকের এই ছোট্ট পথসভা শেষমেষ জনসভায় রুপান্তর হতে দেখে।
শুধু ডাকাডাকি করলে হবে না সাজা দিতে হবে, না হলে সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করবে কি করে? ভোট পরবর্তী হিংসায় সিবিআই তদন্ত নিয়ে ফের সরব বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ।বুধবার প্রাতর্ভ্রমণের পর তারাপীঠে চা চক্রে অংশগ্রহণ করলেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি তথা খড়্গপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ। সকাল ছটা নাগাদ তারাপীঠ এলাকায় দলীয় কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে প্রাতর্ভ্রমণ করেন দিলীপ ঘোষ। এরপর তারাপীঠ পূর্বসাগর মোড়ে চায়ের দোকানে বসে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে তিনি চা চক্রে মিলিত হন। এদিন চা চক্র শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখী হয়ে দিলীপবাবু অনুব্রত মন্ডলের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে বলেন, নিজের নামে সম্পত্তি নেই মানেই সম্পত্তি নেই এমনটা নয়। উনি যা বলছেন কোর্টে প্রমান করতে হবে। আর গ্রেফতার হলেই সবাই বলে রাজনৈতিক চক্রান্ত।অন্যদিকে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় আগেই সিবিআইয়ের উপর আস্থা হারিয়ে মুখ খুলেছিলেন দিলীপ ঘোষ। আর তারপর থেকেই রাজ্য জুড়ে সিবিআইয়ের বেশ কয়েকটি মুভমেন্ট দেখা গিয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে অনেককে, তলব করাও চলছে। গতকালই বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় সিবিআই তলব করেছিল তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পালকে। এই প্রসঙ্গে দিলীপবাবু বলেন, শুধু ডাকাডাকি করলে হবে না সাজা দিতে হবে। না হলে মানুষ বিশ্বাস করবে কি করে। দুষ্কৃতীরা খুন করে দেবে, দেশে কোনও আইন নেই, সাজা নেই। সেটা করে দেখাতে হবে।
মুখ্যমন্ত্রীর মিথ্যা লগ্নে জন্ম সেই কারণে উনাকে মিথ্যাশ্রী পুরস্কার দেওয়া উচিত। এদিন বিজেপির একটি জনসভায় যোগ দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে এই ভাষাতেই আক্রমণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রানাঘাট দক্ষিণ বিজেপি জেলা সাংগঠনের উদ্যোগে নদীয়ার দত্তপুলিয়ায় একটি প্রকাশ্য জন সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সেখানেই প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। বৃষ্টির কারণে জনসভা শুরু হতে দেরি হলেও বক্তব্য মধ্য দিয়ে রাজ্য সরকারকে ঝাঝালো আক্রমণ করেন তিনি।জনসভার শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজেই মিথ্যা লগ্নে জন্মগ্রহণ করেছেন। তাই সবার আগে তাকে মিথ্যাশ্রী পুরস্কার দেওয়া দরকার। পাশাপাশি চাকরি প্রসঙ্গে তিনি বলেন গতকাল মুখ্যমন্ত্রী নাকি বলেছেন এক কোটি ৬৯ লক্ষ মানুষকে শুধু শিক্ষা ক্ষেত্রে চাকরি দিয়েছেন? এই প্রথম নয়, বহুদিন ধরে তিনি এই ধরনের মিথ্যা কথা বলেন। সরকারি কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন সকলকে বলবো ট্রান্সফারের ভয়ে চুপ করে বসে না থেকে রাস্তায় নামতে হবে। তার কারণ পথে নেমে জনরসের মাধ্যমেই এই দুর্নীতির সরকার কে পাল্টে ফেলা যাবে।
আমরাও চাই কেন্দ্র ১০০ দিনের টাকা দিক দুর্নীতি মুক্ত ভাবে খরচ করার লক্ষ্য নিশ্চিত করে, বললেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। উত্তরবঙ্গ এবং জঙ্গলমহলের পিছিয়ে পরার প্রভাব পরছে কলকাতায়।মঙ্গলবার সকালে জলপাইগুড়ি শহরের একটি হোটেলে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই বলেন তিনি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তি বৃদ্ধি প্রসঙ্গে হাই কোর্টে যে জনস্বার্থ মামলা হয়েছে সেই প্রসঙ্গে সুকান্ত বাবু বলেন, বিচারাধীন বিষয় তবুও বলছি নিরপেক্ষ তদন্ত হলে অনেক কিছুই বেরিয়ে আসবে।দিদির বিরুদ্ধে কেউ কিছু বললে তাঁদের তাল দেওয়া হবে তৃণমূল নেতৃত্বের এই উক্তি প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, ওরা তাল দিতে আসলে আমরা তালের বড়া করে খাইয়ে দেবো।উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য গঠন প্রসঙ্গে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের রাজ্য সভাপতি বলেন, পশ্চিমবঙ্গ যেমন আছে তেমনই থাকুক, কিন্তু উত্তরবঙ্গ, এবং জঙ্গলমহল যে ভাবে উন্নয়নের দিক থেকে দশকের পর দশক ধরে পিছিয়ে পরছে তাতে দু পক্ষেরই ক্ষতি, কারণ যে জায়গায় গুলো উন্নত যেমন কলকাতা তার ওপর সর্ব দিক থেকেই চাপ বাড়ছে।
ফ্লেক্স লেখা আছে যে সব চাকরিপ্রার্থীরা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা বা সরকারি আধিকারিকদের টাকা দিয়েও চাকরি পান নি। তারা জেলা সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নির্দেশে তাদের বিজেপির দলীয় কার্যালয় যোগাযোগ করলে তারা দায়িত্ব নিয়ে টাকা ফেরত দিয়ে দেবে।সম্প্রতি বর্ধমানে দলীয় কর্মসূচিতে এসেছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বর্ধমানের বড়নীলপুর এলাকায় একটি পথসভা হয়। সেখানে তিনি বলেছিলেন, দলীয় কার্যালয়ের সামনে ব্যানার টাঙ্গিয়ে দিন, যারা টাকা দিয়েও চাকরি পাননি তারা জেলা কার্যালয়ে যোগাযোগ করুক। তাদের নাম গোপন রাখা হবে। সেই সমস্ত তৃণমূল নেতাদের বাড়ি ঘেরাও করে সেই টাকা তাদের ফিরিয়ে দিতে দেওয়া হবে। এই দায়িত্ব নিতে হবে।এ প্রসঙ্গে জেলা বিজেপি সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র জানিয়েছেন জেলা সভাপতি নির্দেশেই আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি। তৃণমূলের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস জানিয়েছেন, কারোর এই ধরনের সমস্যা হলে তারা তো প্রশাসনের কাছে যাবে, পুলিশের কাছে যাবে, বিজেপি অফিসে যাবে কেন।
বলরামদেব প্রাচীনকালে সেচের বন্দোবস্ত করেছিলেন। প্রচুর পরিশ্রম করতেন। সেই কারণে সন্ধ্যাবেলা সুরা পান করতেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও ক্লিপসের এমনই বলতে শোনা যাচ্ছে বর্ধমান সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সভাপতি অভিজিৎ তা কে (যদিও জনতার কথা ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি)। সভায় বক্তব্য রাখছিলেন। ভাইরাল হওয়া ভিডিওই তিনি বলছেন, প্রাচীনকালে বলরামদেব সেচের ব্যবস্থা করেছিলেন। তিনি খুব খাটাখাটুনি করতেন। সেই কারণে সন্ধ্যাবেলা সুরা পান করতেন। সুরা পান করলেও নিজেকে ঠান্ডা রেখে ঘুমিয়ে যেতেন। আবার সকাল থেকে কাজ আর কাজ। শুধু কাজ নিয়েই থাকতেন। তার এই ভাইরাল হওয়া ভিডিও নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বিজেপির জেলা নেতৃত্ব। প্রবীণ বিজেপি নেতা নরেশ কোনার বলেন, এমনটা বলা ঠিক হয়নি। উনি এই তথ্য কোথা থেকে পেলেন জানিনা। দেবতাদের নিয়ে এমন মন্তব্য করা উচিত নয়। সভায় বক্তব্য রাখছিলেন।ভাইরাল হওয়া ভিডিওই তিনি বলছেন, প্রাচীনকালে বলরামদেব সেচের ব্যবস্থা করেছিলেন। তিনি খুব খাটাখাটুনি করতেন। সেই কারণে সন্ধ্যাবেলা সুরা পান করতেন। সুরা পান করলেও নিজেকে ঠান্ডা রেখে ঘুমিয়ে যেতেন। আবার সকাল থেকে কাজ আর কাজ। শুধু কাজ নিয়েই থাকতেন। তার এই ভাইরাল হওয়া ভিডিও নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বিজেপির জেলা নেতৃত্ব।প্রবীণ বিজেপি নেতা নরেশ কোনার বলেন, এমনটা বলা ঠিক হয়নি। উনি এই তথ্য কোথা থেকে পেলেন জানিনা। দেবতাদের নিয়ে এমন মন্তব্য করা উচিত নয়।সভায় বক্তব্য রাখছিলেন। ভাইরাল হওয়া ভিডিওই তিনি বলছেন, প্রাচীনকালে বলরামদেব সেচের ব্যবস্থা করেছিলেন। তিনি খুব খাটাখাটুনি করতেন। সেই কারণে সন্ধ্যাবেলা সুরা পান করতেন। সুরা পান করলেও নিজেকে ঠান্ডা রেখে ঘুমিয়ে যেতেন। আবার সকাল থেকে কাজ আর কাজ। শুধু কাজ নিয়েই থাকতেন। তার এই ভাইরাল হওয়া ভিডিও নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বিজেপির জেলা নেতৃত্ব। প্রবীণ বিজেপি নেতা নরেশ কোনার বলেন, এমনটা বলা ঠিক হয়নি। উনি এই তথ্য কোথা থেকে পেলেন জানিনা। দেবতাদের নিয়ে এমন মন্তব্য করা উচিত নয়।
কল্যাণীএইমস এ চাকরি দেওয়ার নাম করে আড়াই লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ রানাঘাট দক্ষিণের বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে। থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন এক যুবক। চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়ার অভিযোগ এই প্রথম নয়। গোটা রাজ্যজুড়ে রমরমিয়ে চলছে এই প্রতারণা চক্র। এবার সেই অভিযোগ উঠল নদীয়ার রানাঘাট দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক মুকুটমনি অধিকারীর বিরুদ্ধে।রানাঘাট থানায় ইতিমধ্যেই বিধায়কের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ওই যুবক এর অভিযোগ বিধানসভা ভোটের আগে এইমসে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন রানাঘাটের বিধায়ক। তিনি বলেছিলেন, ডি গ্রুপের চাকরির জন্য ৮ লক্ষ টাকা চ এবং সি গ্রুপের চাকরির জন্য ১০ লক্ষ টাকা তার কাছ থেকে চাওয়া হয়েছিল। প্রথম দফায় ওই এলাকার আরেক বিজেপি নেতা প্রদীপ সরকারকে সঙ্গে নিয়ে তিনি নগদ আড়াই লক্ষ টাকা মুকুটমনি অধিকারীর কাছে দিয়েছিলেন। কিন্তু ভোট পার হয়ে গেল সে আর চাকরি আজও পায়নি।একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি কিংবা, বিধায়কের কোন সদুত্তর পায়নি। অবশেষে নিরুপায় হয়ে ওই যুবক রানাঘাট থানায় বিধায়কের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগকারীর বক্তব্য, হয় তাকে চাকরি দেওয়া হোক না হলে তার টাকা ফেরত দেওয়া হোক। যদিও এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি বিজেপি বিধায়ক মুকুটমনি অধিকারীর।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কে ইডির তলব নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী জানান, আমি রাজনীতির কথা বলবো না গণপতি বাপ্পাকে সামনে রেখে এরকম চোর ডাকাতদের সম্বন্ধে বলা উচিত না। অন্য জায়গায় বলবো জায়গাটাকে অপবিত্র করবেন এইরকম গরু চোর গরুকে আমরা মাতা বলি আর এরা গরু পাচার করে।পানিহাটি পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অনুপম দত্তের খুনের ঘটনায় অভিযুক্তের জামিন নিয়ে বলেন, আমাদের সহানুভূতি আছে আমি যে বিধানসভায় সাসপেন্ড হয়েছিলাম পানিহাটি ঝালদা রামপুরহাটের বাগটুই এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে উনি আমাদের দলের কাউন্সিলর ছিলেন না কিন্তু আমাদের সহানুভূতি ছিল আমি বিরোধী দলনেতা হিসেবে পাশে দাঁড়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলাম প্রথম দিন তার পরিবারের তরফ থেকে সিবিআই তদন্ত চাওয়া হয় কিন্তু পরবর্তীকালে শাসক দলের লোকেরা ওনাকে বুঝিয়ে বলেন এই সরকারের পুলিশ সিআইডি থেকে বিচার পাবেন সাময়িকভাবে ভুল বুঝিয়ে আজকে খুনিদের ছেড়ে দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে ওনার স্ত্রী এবং বাড়ির লোককে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা সিআইডি তদন্তের উপর আস্থা রাখবেন না উচ্চ আদালতে যাবেন সিবিআই তদন্তের দাবিতে।অনুপম দত্তের স্ত্রী আত্মহত্যা করতে যাওয়া প্রসঙ্গে বলেন, আমি জানি খুব খুব বেদনাদায়ক ঘটনা গণপতি বাবার কাছে ওনার পরিবারের সুস্থতা কামনা করব এবং মানসিক দৃঢ়তা বাড়ুক তিনি যে ধরনের আইনি সাহায্য বা লিডার অপজিশন হিসেবে যেহেতু পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় বিজেপি ছাড়া আর কোন দলের এমএলএ নেই তাই এই সরকারের দ্বারা এখানকার গুন্ডাদের দ্বারা যেই পীড়িত হবে যে দলেরই যারা সরকার বিরোধী তাদের পাশে দায়িত্বশীল বিরোধী দল হিসেবে ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত বিরোধী দলনেতা তাদের পাশে থাকবে।মিনাক্ষী দত্ত মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চেয়েছিল কিন্তু পাইনি, এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি এগুলো বলতে পারব না। আমি শুধু বলবো এই রাস্তাটা তাড়াতাড়ি সারানোর ব্যবস্থা করতে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ফের ভাঙ্গন কংগ্রেস ও বিজেপিতে। এবার ভাংন গণি গড়ে। ১৫ নম্বর মণ্ডলের সাধারণ সম্পাদক তথা গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা পরিষদের বিজেপি প্রার্থী দীপক কর্মকার সহ ৫০ জন বিজেপি কর্মী এবং শতাধিক কংগ্রেস কর্মী তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। হরিশ্চন্দ্রপুরে ভালুকা বাজারে এই যোগদান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের ক্ষুদ্র কুটির শিল্প প্রতিমন্ত্রী তাজমহল হোসেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের সামিল হতে তৃণমূলে যোগদান দাবি দলত্যাগী বিজেপি ও কংগ্রেস কর্মি ও নেতাদের।বর্তমান পরিস্থিতিতে এই দলবদল খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক সচেতক মানুষজন। ২২ জুলাই ২০২২ সকালে রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় ইডির দ্বারা গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকেই বিরোধী রাজনৈতিক শিবিরে পালে হাওয়া লাগতে শুরু করেছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে মালদায় বিজেপি ও কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল দলে যোগদান খুবই আশাব্যাজ্ঞক রাজ্যের প্রধান রাজনৈতিক দলের কাছে।
বিজেপির পক্ষ থেকে আজ ছোড়াফাড়ি ও আউশগ্রাম থানায় একটি অভিযোগ করা হয়েছে। তাদের দাবি, আউসগ্রাম বিধানসভার বিজেপির ৫২ নং মন্ডলের সম্পাদক জয়দেব ঘোষের বাড়ি রামনগর পঞ্চায়েতের গোপালপুর। গতকাল রাত ৯:৩০ নাগাদ অসুস্থ মায়ের ওষুধ নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে তৃণমূলের পক্ষ থেকে রাধামাধব মন্ডল, প্রদীপ ঘোষ (তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী), কালীপদ আঁকুড়ে, পরিধন কর্মকার - এই চার জন মিলে প্রচন্ড মারধর করে এবং প্রাণে মেরে গাছে টাঙিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। তাকে গাঁজা কেসে ফাঁসিয়ে দেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয়।জয়দেব ঘোষের দাবি, বিজেপির পতাকা টাঙিয়ে ছিলেন বলেই এই আক্রমণ। তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলা হয়েছে, বিজেপিই বারবার এই এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করে গেছে। এটা তৃণমূল কংগ্রেসের সংস্কৃতি নয়।
ওয়াইফাই থেকে, ল্যান কেলেঙ্কারি সহ একাধিক আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে। আর সেই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই এবার পথে নামলো বিজেপির দক্ষিণ ও উত্তর মালদা যুব মোর্চার সাংগঠনিক সদস্যরা। শনিবার দুপুরে ইংরেজবাজার শহরের পুরাটুলি সদর বিজেপির কার্যালয় থেকে একটি প্রতিবাদ মিছিল বের হয়।এই প্রতিবাদ মিছিলে উত্তর মালদা বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু সহ যুব মোর্চার জেলা সভাপতি শুভঙ্কর চম্পটি, অয়ন রায়, ভারতীয় জনতা পার্টির জেলা সাধারণ সম্পাদক গৌড়চন্দ্র মন্ডল সহ জেলা বিজেপির নেতৃত্বরা অংশগ্রহণ করে। ইংরেজ বাজার শহরজুড়ে এই মিছিল পরিক্রমা করে শেষ হয় রথ বাড়িতে। তাঁদের অভিযোগ গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠন পাঠন নষ্ট হয়ে গেছে। তাঁরা আরও অভিযোগ তোলেন বর্তমান তৃণমূল সরকার শিক্ষাব্যবস্থাকে অন্ধকারে দিকে ঠেলে দিয়েছে, তারই প্রতিবাদে এই মিছিল।
শনিবার পূর্ব বর্ধ মানের খণ্ডঘোষে দলীয় কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তিনি বলেন, টেট দুর্নীতির অন্যতম নায়ক মাণিক বাবু যেমন পালিয়ে বেড়াচ্ছে, বালি চুরিতে যুক্তদের তেমনই অবস্থা হবে। খণ্ডঘোষ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অপার্থিব ইসলাম যদিও বিজেপি সাংসদের এইসব বক্তব্যকে পাগলের প্রলাপ বলে কটাক্ষ করেছেন।আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে এদিন খণ্ডঘোষের রূপসায় বিজেপির একটি দলীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেই বৈঠকে পৌরোহিত্য করেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তিনি বলেন, রাজ্যে এখন মহম্মদ বিনতুঘলকের সরকার চলছে, ডাকাত রাণীর সরকার চলছে। যা ইচ্ছে তাই করছে। এরপরেই পুলিশ ও প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে সৌমিত্র খাঁ বলেন, কিছু থানার ওসি ৬০০ কোটি টাকা এবং বিএলআরও ও ডিএলআরও যাঁরা হাজার হাজার কোটি টাকার বালি কেলেঙ্কারিতে যুক্ত। তাঁদের বিরুদ্ধে আমি চিফ সেক্রেটারিকে চিঠি পাঠিয়েছি। ধরে রাখুন, তদের ঠিক মতো করে প্রশাসনিক ব্যবস্থা হয়ে যাবে। সেটা কেন্দ্রীয় সরকারের এজেন্সি হোক বা রাজ্য সরকারের এজেন্সি হোক, ব্যবস্থা হয়ে যাবে। ঠিক সময়ে এদের মাণিক ভট্টাচার্য্য করে দেব। প্রাইমারি টেট দুর্নীতির অন্যতম নায়ক মাণিক বাবু যেমন লুকিয়ে বেড়াচ্ছেন, এদেরও সেই ব্যবস্থা করা হবে। এদের সমস্ত টাকা রাজকোষে জমা পড়বে।
পুপুর্ব নির্ধারিত ৭ সেপ্টেম্বরের পরিবর্তে ১৩ সেপ্টেম্বর বিজেপির নবান্ন অভিযান, সেই অভিযান লক্ষ করে জোর কদমে দেওয়াল লেখন শুরু বর্ধমান শহরে, বর্ধমানের ৯ নং ওয়ার্ড কালিবাজার এলাকায় চলে দেওয়াল লেখন, দেয়াল লিখতে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি জেলা সভাপতি অভিজিৎ তা সহ বিজেপির কর্মী সমর্থকরা, অভিজিৎ তা জানান, গোটা জেলা জুড়ে চলছে দেওয়াল লিখনের কাজ এবং ১৩ই সেপ্টেম্বর জেলা থেকে পচুর কর্মী সমর্থক নবান্ন অভিযানে যোগ দিতে সামিল হবেন। তিনি জানান, শুধুমাত্র বিজেপি কর্মী সমর্থক নয়, প্রচুর সাধারণ মানুষও ওই অভিযানে আমাদের ডাকে সারা দিয়ে উপস্থিত থাকবেন।প্রসঙ্গত, রাজ্য বিজেপি এর আগে ঠিক করেছিল ৭ সেপ্টেম্বর হবে নবান্ন অভিযান। কিন্তু ঘোষণার পর বিভিন্ন জায়গা থেকে স্থানীয় নেতৃত্বরা রাজ্য নেতৃত্বকে জানান ওই দিন করম পরব। তাই তড়িঘড়ি দিন পরিবর্তন করে নতুন দিন স্থির করে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
রবিবার ছিল নন্দীগ্রাম ২ ব্লকের বিরুলিয়া গ্রাম-পঞ্চায়েতের হানুভুঁইয়া কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতির নির্বাচন। মোট ৫২ টি আসনের মধ্যে মনোনয়ন পর্বে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১টি আসনে জিতেছিলেন তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থী। বাকি ৫১টি আসনের ভোটে তৃণমূল সমর্থিত ৫১ জন প্রার্থী ছাড়াও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন বিজেপি সমর্থিত ৪০ জন এবং সিপিএম সমর্থিত ২৯ জন প্রার্থী।নির্বাচনে ২৫০০ সদস্য ভোটারের মধ্যে ৯০ শতাংশ ভোটাধিকার প্র্যোগ করেন। নির্বাচনকে ঘিরে সকাল থেকেই ছিল রীতিমত টানটান উত্তেজনা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মোতায়েন করা হয়েছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী ও র্যাফ। ভোট শেষ হলে গণনায় দেখা যায় ৫০ টি আসনে তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। আর একটি আসনে জয়ী বাম সমর্থিত প্রার্থী।নন্দীগ্রাম ২ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি মহাদেব বাগ বলেছেন, বিধানসভা নির্বাচনে বিরুলিয়া অঞ্চলে ১০ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে ছিল বিজেপি। বিজেপির হাত ধরার অভিজ্ঞতা হয়েছে মানুষের। তাই সমবায়ের উন্নয়নের জন্য তৃণমূলেই আস্থা রেখেছেন এলাকার মানুষজন। তাঁরা স্বতঃস্ফুর্ত ভাবে ভোট দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসকে।বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রামে কেন এই ছবি, তার উত্তর খুঁজতে পর্যালোচনা শুরু হয়েছে বিজেপি-র অন্দরেই। যদিও ব্যর্থতা আড়ালে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। তমলুক সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি তপন ব্যানার্জির দাবি, চাপা সন্ত্রাসের মুখে ভোট দিয়েছেন মানুষ তাই এই ফল।