• ২৩ আশ্বিন ১৪৩২, রবিবার ১২ অক্টোবর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

West Bengal

রাজ্য

সারদার 'লাল ডায়েরী'র পর এবার রহস্যময় 'কালো ডায়েরী', কার কার নাম আছে ওই ডায়েরীতে?

সরদা মামলায় লাল ডায়েরী পর এবার কালো ডায়েরী নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। সারদা মামলায় লাল ডায়েরী উদ্ধার হওয়ার পর অনেকেই প্রবল উৎসুক ছিলেন কি কি বা কার কার নাম আছে এই লাল ডায়েরীতে। ইডি সুত্রে জানানো হয়েছে, পার্থ ঘনিষ্ট অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে একটি কালো ডায়েরী ও একটি পকেট ডায়েরী উদ্ধার করা হয়েছে। ভারতবর্ষের অর্থনৈতিক অপরাধের ইতিহাস ঘাঁটতে গেলে বেশ কয়েকটি ডায়েরি রহস্য সামনে আসবেই। যেমন, নব্বইয়ের দশকের হাওয়ালা কেলেঙ্কারিতে সুরেন্দ্র জৈনের রহস্যময় ডায়েরী বা ২০১৭-১৮ তে সাহারার সর্বময় কর্তা সুব্রত রায়ের ডায়েরী, ২০১১-১২তে আলোড়ন সৃষ্টিকারি সারদা কর্তার লাল ডায়েরী এবার রহস্যের কেন্দ্রে এক কালো ডায়েরী যা ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ট অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের টালিগঞ্জের অভিজাত আবাসবনের ফ্ল্যাটে তল্লাশি করে পাওয়া গেছে। এছাড়াও সেখানের তল্লাশিতে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় মুদ্রা, বিদেশী মুদ্রা এবং গয়না উদ্ধার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর তদন্তকারী দল।ইডি-র একটি সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, রাজ্যের শিক্ষা দফতরের নাম লেখা ওই কালো ডায়েরিতে অর্থিক লেনদেন সহ বেশ কিছু হিসাব এবং বিশেষ কয়েকজনের নামের উল্লেখ রয়েছে ওই রহস্যময় ডায়েরীতে। কয়েকদিন আগে ইডি জানিয়েছিল, তাঁদের প্রাথমিক তদন্তের শেষে মনে হচ্ছে, পার্থ ঘনিষ্ট অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া রাশি রাশি টাকা, গহনা ও সম্পত্তির দলিলের সাথে এসএসসি-র নিয়োগে সংক্রান্ত দুর্নীতির অদৃশ্য কোনও যোগসূত্র রয়েছে। তদন্তকারী অফিসারেরা এখন ওই ডায়েরির সূত্র ধরেই সেই যোগ সূত্র খোঁজার চেষ্টা করছেন।বিশেষ সুত্রে জানা যাচ্ছে, রাজ্য শিক্ষা দফতরের ও স্কুল শিক্ষা দপ্তরের নাম লেখা ওই কালো ডায়েরিতে অর্থিক লেনদেনের কিছু হিসাব এবং বিশেষ কিছু ব্যক্তির নামের লেখা আছে। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) আগেই জানিয়েছিল, অর্পিতার মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া পাহাড় প্রমান টাকার সঙ্গে এসএসসি-র শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির বিশেষ যোগসূত্র রয়েছে বলে তাঁদের প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে। এখন রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে কালো ডায়েরী। এমনটা মনে করাই যায়, সামনের কয়েকটা দিন মানুষ অধীর আগ্রহে তাকিয়ে থাকবে ওই কালো ডায়েরীর কথা জানতে। কে বা কাদের কাদের নাম ওই রহস্যময় ডায়েরীতে লেখা আছে। মনে করা হচ্ছে ইডির তদন্তকারী দল ওই ডায়েরির সূত্র ধরেই রহস্যের কেন্দ্রবিন্দুতে পৌছানোর চেষ্টা করবেন।

জুলাই ২৬, ২০২২
রাজ্য

বিজেপির আবার 'মাস্টারস্ট্রোক'? একজন শিয়া মুসলিম নেতা ধনখড়ের স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন বাংলায়

ভারতীয় জনতা পার্টি-র সংসদীয় বোর্ড পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে উপ-রাষ্ট্রপতি প্রার্থী হিসাবে বেছে নেওয়ায় পশ্চিমবঙ্গের পরবর্তী রাজ্যপাল কে হবেন তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চুড়ান্ত জল্পনা শুরু হয়েছে। মাত্র দুবছর পর ২০২৪-এ লোকসভা নির্বাচন। ২০১৯ সালে পশ্চিমবঙ্গে আশাতীত ভালো ফলের পর ২০২৪-এও রাজ্যে ভালো ফল পেতে মরিয়া বিজেপি শিবির। এই অবস্থায় পশ্চিমবঙ্গে রাজ্যপাল পদে কে বসতে পারেন তা নিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। বিজেপি সূত্রের খবর, তারা পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের পদের জন্য উত্তরপ্রদেশের একজন শিয়া মুসলিম নেতা মুখতার আব্বাস নকভির কথা ভাবছেন। অতি সম্প্রতি রাজ্যসভার সাংসদ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রক থেকে পদত্যাগ করেছেন তিনি।জগদীপ ধনখড়কে ২০১৯-এ পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হিসাবে নিযুক্ত করা হয়েছিল৷ সাধারণভাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজ্যপালের নাম চূড়ান্ত করার আগে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এই নাম নিয়ে প্রাথমিকভাবে পরামর্শ করে ঘোষণা করেন। যদিও সাংবিধানিক ভাবে এই আলোচনা কনওভাবেই বাধ্যতামূলক নয়। তবে, ফেডারেল কাঠামোতে এটি একটি প্রচলিত প্রথা। কিন্তু জগদীপ ধনখড়ের ক্ষেত্রে, তৎকালীন তৃণমূল সরকার অভিযোগ করেছিল, রাজ্যপাল হিসাবে ধনখড়ের নাম ঘোষণা করার পরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজ্যপালের নিয়োগের বিষয়ে অবহিত করার জন্য ডেকেছিলেন।সেই সময় পশ্চিমবঙ্গের মুখমন্ত্রী খোলাখুলি ক্ষোভ প্রকাশ করছিলেন। ফলস্বরূপ, ধনখড়ের নিয়োগকে ঘিরে প্রাথমিকভাবে যে ফাটল তৈরি হয়েছিল তা সময়ের সঙ্গে ক্রমশ প্রসারিত হয়। তিক্ততা চরমে পৌঁছয়। ধনখড়ের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হয়ে রাজ্য বিধানসভায় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে নজিরবিহীনভাবে একটি নিন্দা প্রস্তাব নিয়ে আসে।অভিজ্ঞ রাজনৈতিক সচেতন মানুষের প্রশ্ন, এবার কী হবে? পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল নিয়োগের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে ফোন করবেন অমিত শাহ? লোকসভা নির্বাচনের আগে ধনকড়কে সরিয়ে কেন্দ্র ইতিমধ্যেই তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে ইতিবাচক বার্তা পাঠিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে, আগামী দিনে যে নতুন গভর্নর আসবেন, তিনি কি সংঘাতের পথ ধরে রাখবেন না সমঝোতার পথে হাঁটবেন? বিজেপি সূত্রে খবর, নকভি এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গে যাওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন। তিনি একজন প্রাজ্ঞ রাজনৈতিক নেতা। তিনি অটল বিহারী বাজপেয়ী মন্ত্রিসভায় মমতার এক সময়ের সহকর্মীও ছিলেন। একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে নকভি যথেষ্ট দক্ষ ও বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছে এর আগে। অনেক রাজনীতিবিদই মনে করেন যে ধনখড় যেভাবে মমতার প্রকাশ্যে বিরোধিতা করতেন সে পথে হয়তো তিনি হাঁটবেন না। এছাড়া নকভির ওপর সরাসরি আক্রমণ রাজ্যের সংখ্যালঘু ভোটে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। বিষয়টি একদিকে মমতাকে অস্বস্তিতে ফেলবে বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা।

জুলাই ১৭, ২০২২
দেশ

দ্রৌপদী মুর্মু ভোটপ্রচারে শিলিগুড়িতে, কাল কলকাতায়

এনডিএ-র রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু শিলিগুড়ি পৌঁছেছেন। সোমবার তিনি বাগডোগরা বিমান বন্দরে অবতরণ করেন। বিধায়ক-সাংসদদের কাছে ভোট চাইতে তিনি বাংলায় এসেছেন। শিলিগুড়িতে দ্রৌপদী মুর্মু সিকিম ও আশেপাশের রাজ্যের বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। আগমিকাল তিনি কলকাতায় যাবেন। সেখানে এরাজ্যের দলীয় বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন উত্তরবঙ্গে আছেন। তৃণমূল নেত্রী এর আগে রাষ্ট্রপতি পদে বিরোধীদের বিজেপির বিরুদ্ধে একজোট করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। অবিজেপি দলের রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন যশবন্ত সিনহা। যদিও পরবর্তীতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, বিজেপি প্রার্থী নিয়ে আলোচনা করেনি। দ্রোপদী মুর্মুর জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানিয়ে দেন তিনি।

জুলাই ১১, ২০২২
রাজ্য

করোনা আক্রান্ত অমর্ত্য সেন, রাজ্যে বেড়েই চলেছে সংক্রমিতের সংখ্যা

করোনার থাবা কিছুতেই কমছে না রাজ্যে। বরং ক্রমশ বেড়েই চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এদিকে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন নোবলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। তিনি শান্তিনিকেতনের বাড়িতেই আইসোলেশনে আছেন। বাড়িতে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছে। আপাতত নোবেলজয়ীর ইংল্যান্ড যাত্রা বাতিল হয়েছে।গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় সংক্রিমত হয়েছেন ২,৯৬৮ জন। গতকাল এই সংখ্যাটা ছিল ২,৯৫০ জন। এদিনও জেলাগুলির মধ্যে আক্রান্তের সংখ্য়ায় শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা। এই জেলায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭৪৩ জন। ঠিক পরের স্থান কলকাতার। মহানগরে আক্রান্ত হয়েছে ৭৪২জন। মোট ৯টি জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ১০০-এর ওপর। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরকে চিন্তায় ফেলেছে করোনার এই বাড়বাড়ন্ত। কমার কোনও লক্ষণ আপাতত দেখা যাচ্ছে না।করোনা আক্রান্ত হয়ে একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। এদিন মোট সুস্থ হয়েছেন ৬৬২ জন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৬০৪ জন। হোম আইসোলেশনে আছেন ২০,৫৫৫জন। এদিন পজিটিভিটি রেট ছিল ১৫.৬৯।

জুলাই ০৯, ২০২২
রাজ্য

বাংলায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, চতুর্থ ঢেউ কী শুধু সময়ের অপেক্ষা?

বাংলায় করোনা সংক্রমণ ক্রমশ বেড়েই চলেছে। তাহলে কী সত্যি চতুর্থ ঢেউ কি শুধু সময়ের অপেক্ষা? সেই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা চতুর্থ ঢেউ নিয়ে আগেই সতর্ক করেছিলেন। একদিকে যেমন লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, সেই সঙ্গে পজিটিভিটি রেটও রোজ বৃদ্ধি পাচ্ছে।রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী গত ২৪ ঘন্টায় বাংলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২,৮৮৯ জন। গতকালের তুলনায় বেড়েছে ৫৩৭ জন। গতকাল আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২,৩৫২। এই মাসের শুরুর দিন ১জুলাই করোনায় সংক্রমিত হয়েছিলেন ১,৭৩৯জন। তখন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ৩২৭ জন। এদিন পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৪৫৯জন।কলকাতাকে ছাপিয়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে উত্তর ২৪ পরগনায়। পাশাপাশি ৯ জেলায় করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১০০-র ওপর। গত ২৪ ঘন্টায় ২ জন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। এদিন পজিটিভিটি রেট ১৮.৭৪ শতাংশ। গতকাল পজিটিভিটি রেট ছিল ১৬.২৪ শতাংশ। ২৪ ঘন্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৬১১ জন।রাজ্যে এখনও পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২০,৪২,৮৩১ জন। সুস্থতার হার ৯৮.১৫ শতাংশ। বাংলায় মোট করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ২২,২৩৩ জন। মৃত্যু হার ১.০৪ শতাংশ। গত ২৪ ঘন্টায় কলকাতায় আক্রান্ত হয়েছে ৮১৯ জন, উত্তর ২৪ পরগনায় ৮৩৪ জন।

জুলাই ০৭, ২০২২
রাজনীতি

'কাজ করতে গেলে ক্ষমতার দরকার', মিঠুন খুশি ২১-এর বিধানসভার ফলে

হায়দরাবাদে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের পরই মহাগুরু মিঠুনের কলকাতা আসাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে জোর শোরগোল শুরু হয়েছে। সোমবার মিঠুনের আসাকে কেন্দ্র করে বিজেপির রাজ্য কার্যালয়েও ভিড় ছিল নেতা-কর্মীদের। লোকসভা ভোটের প্রচারের পর এই প্রথম কলকাতায় পা রাখলেন বিজেপি নেতা অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। মিঠুন বলেন, আমি রাজনীতি করি না। মানুষনীতি করি। পশ্চিমবঙ্গের মানুষের জন্য কিছু করতে চাই। প্রশ্ন করা হয়েছিল কেউ বলছে ২৪-এ কেউ বলছে ২৬-এ মমতা সরকার চলে যাবে। মিঠুনের স্পষ্ট জবাব, এ নিয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। তবে নির্বাচন পরবর্তী হিংসাতে খুব কষ্ট পেয়েছে বলে জানিয়েছেন কিংবদন্তী অভিনেতা। তাঁর কথায়, রাজনীতি থাকবে রাজনীতির জায়গায়। কেন হিংসা হবে। ২০২১ বিধানসভায় বিজেপির ফলাফল প্রসঙ্গে মিঠুন বলেন, আমি খুব খুশি ৩ থেকে ৭৭ হয়েছে। ৫৫ লক্ষ থেকে ২ কোটি ২৮ লক্ষ ভোট পেয়েছে বিজেপি। এটা সায়েন্স। প্রথমবারেই বাজিমাত হয়ে যাবে। তাতে নিরাশ হওয়ার কারণ নেই। বিজেপি একটা জায়গা তৈরি করেছিল। ওর থেকে ভাল জায়গা হয়েছে। তবে সেই সময় কর্মীরা আরও উৎসাহ পেলে ভাল হত বলে মনে করেন একাধিকবার জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা।ব্যক্তিগত ভাবে মানুষের জন্য় অনেক কাজ করেছেন বলে দাবি করেছেন সুপারস্টার। তবে তাঁর জন্য ক্ষমতার দরকার বলে তিনি মনে করেন। মিঠুন বলেছেন, মানুষের জন্য কাজ করতে গেল পাওয়ারের দরকার। কাজ করতে চাইলেও পারি না। আমাদের সরকার থাকলে মানুষের জন্য আরোও কাজ করতে পারব।

জুলাই ০৪, ২০২২
রাজ্য

বেড়েই চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, সংক্রমিত ১,৭৩৯

একনাগারে বেড়েই চলেছে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘন্টায় সংক্রমণ হয়েছে ১,৭৩৯ জনের। গত কয়েক দিন পর পর বৃদ্ধি পেয়েছে সংক্রমণ। স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে করোনায় মৃত্যু হয়নি। গতকাল আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১,৫২৪। বুধবার করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১,৪২৪। মঙ্গলবার করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ৯৫৪।এদিন করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৪৫৬ জন। একদিনে করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১১,৮১১ জনের। পজিটিভি রেট ১৪.৭২শতাংশ। কোভিড আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৩২৭ জন। হোম আইশোলেশনের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭,৯৫০ জন।

জুলাই ০২, ২০২২
রাজ্য

বাংলায় গত ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পেরিয়ে গেল ১৫০০, সংক্রমণ বেড়েই চলেছে

রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গতকালের পর এদিনও বৃদ্ধি পেয়েছে সংক্রমণ। স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ১৫২৪। গতকাল এই সংখ্যা ছিল ১৪২৪। মঙ্গলবার করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ৯৫৪। করোনায় গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে একজনের। এদিন করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৪১৪ জন। একদিনে করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১১,৮২৭ জনের। পজিটিভি রেট ১২.৮৯শতাংশ। কোভিড আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৩০৩ জন। হোম আইশোলেশনে আছেন ৬,৬৯১।

জুন ৩০, ২০২২
রাজ্য

বাংলায় এক ধাক্কায় চমকে দেওয়ার মতো বাড়লো করোনা সংক্রমণ, কপালে চিন্তার ভাঁজ বিশেষজ্ঞদের

ধীরে ধীরে বাড়ছিল করোনা সংক্রমণ। বৃহস্পতিবার বাংলায় এক ধাক্কায় অনেকটা বাড়লো করোনা সংক্রমণ। রাজ্যে এদিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭৪৫ জন। তার মধ্যে সব থেকে বেশি কলকাতায় প্রায় সাড়ে তিনশো। উত্তর ২৪ পরগণায় আক্রান্তের সংখ্য়া প্রায় আড়াশো। একদিনে প্রায় ১৫০ শতাংশ বেড়েছে করোনা সংক্রমণ। পজিটিভিটি রেট ৭.৩০ শতাংশ। আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও কোভিড-এ এদিন কারও মৃত্যু হয়নি। গতকাল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৯৫।বিগত কয়েকদিন ধরে দেশে সামগ্রিক ভাবে করোনা আক্রমণের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছিল। বাংলায় করোনা বৃদ্ধি পেলেও সংখ্যা ছিল নেহাত অনেকটা কম। এদিনের আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধিতে বিশেষজ্ঞদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের বক্তব্য, বেশিরভাগ মানুষ মাস্ক পরা ছেড়ে দিয়েছেন। তবে যাঁরা করোনা আক্রান্ত হচ্ছে তাঁদের বেশিরভাগেরই মৃদু উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। তবে যাঁরা কঠিন দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত রয়েছেন তাঁদের ক্ষেত্রে এই বৃদ্ধি যথেষ্ট আশঙ্কার বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।

জুন ২৩, ২০২২
রাজ্য

কর্মী ঘাটতিতে বন্ধ হয়ে যাওয়া পূর্ব-বর্ধমান সহ রাজ্যের ৪৯০ টি লাইব্রেরির খবরে নড়ে চড়ে বসলো রাজ্য

গ্রন্থাগার অনেক থাকলেও নেই গ্রন্থাগারিক বা গ্রন্থাগার কর্মী। আর তার কারণেই তালা পড়ে গিয়েছে খোদ রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রীর নিজের জেলা পূর্ব বর্ধমানের প্রায় ১২ টি গ্রন্থাগ্রারে। আর সারা রাজ্যে তালা পড়েছে ৪৯০ টি গ্রন্থাগারে। এছাড়াও কর্মী হীনতার কারণে রাজ্যের সর্বত্রই এখন দুরাবস্থায় ধুঁকছে গ্রামীন গ্রন্থাগার গুলি। তা নিয়ে হতাশ বাংলার বই প্রেমিরা। বিষয়টি নিয়ে বিরোধীরা রাজ্য সরকারের সমালোচনায় মুখর হলেও রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী দাবি করেছেন, কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।যুগযুগ ধরেই বলা হয়ে আসছে অন্তহীন জ্ঞানের উৎস হল বই। আর গ্রন্থাগার অর্থাৎ লাইব্রেরি হল সেই বইয়েরই আবাসস্থল। তাই মূলত বাঙালির বই পড়ার আগ্রহ থেকেই রাজ্যে ১৫০০টির মতোন গ্রামীন গ্রন্থাগারের উৎপত্তি হয়। তার মধ্যে পূর্ব বর্ধমান জেলায় ১৫১ টি গ্রন্থাগার রয়েছে। গ্রন্থাগার দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই দেড় শতাধীক গ্রন্থাগার গুলি পরিচালনার জন্যে সরকারী ভাবে প্রথম থেকেই ৩৪০ জন স্টাফ অনুমোদিত হয়ে আছে। আগে ছিলেনও তাই। কিন্তু বর্তমান সময় পর্যন্ত গ্রন্থাগারিক ও গ্রন্থাগার কর্মী মিলিয়ে ২৬২ জন কর্মজীবন থেকে অবসর নিয়েছেন। তাঁদের শূণ্য পদে নতুন করে আর কোনও নিয়োগ হয় নি। ফলে এখন পূর্ব বর্ধমান জেলায় কর্মরত গ্রন্থাগারিক ও গ্রন্থাগার কর্মী মিলিয়ে সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে মাত্র ৭৮ জন।একই কারণে গোটা রাজ্যেও তৈরি হয়েছে গ্রন্থাগার কর্মীর ঘটতি। দফতর সূত্রে খবর, রাজ্যে ৪ হাজারের বেশী গ্রন্থাগার কর্মীর পদ এখন শূন্য হয়ে রয়েছে। তারমধ্যে প্রায় হাজারের বেশী গ্রন্থাগারিক (লাইব্রেরিয়ান) শূন্য পদ রয়েছে ।এত বিশাল সংখ্যক গ্রন্থাগার কর্মীর ঘাটতির কারণেই এখন কার্যত ধুঁকছে পূর্ব বর্ধমান সহ গোটা রাজ্যের গ্রামীণ গ্রন্থাগার গুলি।কর্মীদের কথায় জানা গিয়েছে, গ্রন্থাগার গুলির দুরাবস্থা কাটার একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল তৃণমূল সরকার তৃতীয় বার রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পর। গত বছরের জুলাই মাসে রাজ্য সরকার শূন্যপদে নিয়োগের সিদ্ধান্তও নেয়। ২০২১ এর আগষ্ট মাস থেকে গ্রন্থাগারিক শূন্য পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে রাজ্যের গ্রন্থাগার পরিষেবা দফতরের তরফে ঘোষণা করা হয়। তাতে বলা হয়, প্রথম দফায় ৭৩৮ টি গ্রন্থাগারিক শূন্য পদে নিয়োগ হবে। রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরিও সেই কথা সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছিলেন। কিন্তু ঘোষণার সঙ্গে বাস্তবের কোন মিল আজও যেমন দেখা যায়নি, কাজের কাজও কিছু হয়নি। এমনটাই অভিযোগ, দুর্দশাগ্রস্ত গ্রন্থাগার গুলির পরিচালন কমিটির কর্তা ব্যক্তিদের। তাঁরা এও জানান, সম্প্রতি রাজ্য সরকার রাজ্যের ২৩ জেলা মিলিয়ে মোট ৭৩৭ টি গ্রামীণ লাইব্রেরিতে লাইব্রেরিয়ান শূন্যপদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এবারও যদি ঘোষণা মতো কাজ না হয় তবে আরো বহু পাঠাগারে তালা পড়ে যাবে।জেলা গ্রন্থাগারিক (পূর্ব বর্ধমান) নির্মাল্য অধিকারী জানিয়েছেন, গ্রন্থাগার কর্মীর সীমাহীন ঘাটতির কারণে জেলায় এখন প্রায় ১২ টি গ্রন্থাগার পুরোপুরি বন্ধ রাখতে হয়েছে। বাকি গ্রন্থাগার গুলি কোনরকমে সপ্তাহে একদিন বা দুদিন চালু রাখা হচ্ছে শুধুমাত্র সম্পদ টুকু বাঁচিয়ে রাখার জন্যে। তাও সব জায়গায় গ্রন্থাগারিক দিয়েই যে গ্রন্থাগার চালু রাখা যাচ্ছে, এমনটাও নয়। সম্পদ বাঁচিয়ে রাখার জন্যে এক একজন গ্রন্থাগার কর্মী বা গ্রন্থাগারিককে এখন একাধীক গ্রন্থাগারের দায়িত্ব সামলাতে হচ্ছে। এমনকি বহু গ্রন্থাগারিক পদ শূন্য থাকায় বেশীরভাগ জায়গায় গ্রন্থাগার কর্মীদেরকেই গ্রন্থাগার সামলাতে হচ্ছে ।তালা বন্ধ হয়ে পড়ে থাকা জেলার গ্রন্থাগার গুলির অন্যতম একটি হল জামালপুর সাধারণ পাঠাগার। দেশ স্বাধীন হওয়ার অনেক আগে ১৯৩৬ সালে এই পাঠাগারটির প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তার পর থেকে ঐতিহ্যশালী এই পাঠাগারটি স্বাভাবিক নিয়মেই চলছিল। কিন্তু গত ৭ মাস কাল যাবৎ এই পাঠাগারটির দরজা তালা বন্ধ হয়েই পড়ে রয়েছে। কারণও সেই একটাই। এই পাঠাগারের পাঠাগারিক ও পাঠাগার কর্মী অবসর নেওয়ার পর তাঁদের শূন্য পদ আজও পূরণ হয় নি। পাঠাগারটির পরিচালন কমিটির সভাপতি অরুপ মল্লিক ও যুগ্ম সম্পাদক দিব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায় বলেন,স্বাধীনতার আগে তৈরি হয়েছিল জামালপুর সাধারণ পাঠাগার। কর্মী শূণ্যতার কারণে সেই পাঠাগারের দরজায় যে তালা পড়ে যাবে সেটা আমরা কল্পনাও করতে পারিনি। বিষয়টি নিয়ে লিখিত ভাবে সংশ্লিষ্ট দফতরে একাধীকবার জানানো হয়েছে। তবে এখনও অবধি কোন সুরাহার ব্যবস্থা হয় নি। একই রকম পরিণতির অপেক্ষায় দিন গুনছে ১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠিত জামালপুর ব্লকের জাড়গ্রামের মাখনলাল স্মৃতি পাঠাগার। পাঠাগারিক ও পাঠাগার কর্মীরা অবসর নেওয়ার পর এখন একজন মাত্র দপ্তরী কাম বুক বাইন্ডার এই পাঠাগারটির হাল ধরে আছেন। ওই বুক বাইন্ডারই অন্য পাঠাগার সামলে সপ্তাহে ১-২ দিন মাখনলাল স্মৃতি পাঠাগারটি খুল বসছেন। এমন দুরাবস্থায় ধুঁকছে জেলার আরো অনেক পাঠাগার। তাই স্বাভাবতই প্রশ্ন উঠেছে, কবে কাটবে বাংলার গ্রামীন পাঠাগার গুলির এই দুরাবস্থা?এরই উত্তর পাবার জন্যে রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী তথা মন্তেশ্বরের বিধায়ক সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, কাগজে কলমে রাজ্যে লাইব্রেরির সংখ্যা ২৪৮০টি। এর মধ্যে গ্রামে রয়েছে ১৫০০টি লাইব্রেরি। তবে ২৬ টি লাইব্রেরির কোন অস্তিত্বনেই। ২৪৫৪ টি লাইব্রেরির মধ্যে ৪৯০ টি লাইব্রেরি এখন বন্ধ রয়েছে কর্মীর অভাবে। ১৯০০ কিছু বেশী লাইব্রেরি এখন চালু রয়েছে। তার মধ্যে প্রায় ৬০০ লাইব্রেরি এখন অ্যাডিশনাল চার্জে চলছে। মন্ত্রী জানান, লাইব্রেরিয়ান শূণ্য পদ পূরণে মুখ্যমন্ত্রী উদ্যোগী হওয়ায় রাজ্যে ৭৩৭টি লাইব্রেরিয়ান শূণ্য পদে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ঠিকঠাক কাজ চললে আগামী চার মাসের মধ্যে ৫০ শতাংশ লাইব্রেরিয়ান শূণ্য পদে ফিলাপ পক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়ে যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এটা হয়েগেলে অ্যাডিশনাল চার্জ আর কাউকে নিতে হবে না। পাশাপাশি মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরি এও জানান, আমফানে রাজ্যের লাইব্রেরি গুলির প্রায় ১০ লক্ষ বই নষ্ট হয়েছে। আর কোথায় কিভাবে বই নষ্ট হয়েছে সে বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। গ্রন্থাগার মন্ত্রীর কথায় ইঙ্গিত মিলেছে, সপ্তাহে পাঁচ দিন লাইব্রেরী খোলা থাকার দিন এবার এবার শেষ হতে চলেছে। এবার থেকে শুধু মাত্র প্রতি সপ্তাহের রবিবার লাইব্রেরি খোলা রাখার বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছে দপ্তর।

মে ১৭, ২০২২
রাজ্য

ঘূর্ণিঝড়ের অশনি সংকেত, রাজ্যে প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা

মে যেন ঘূর্ণিঝড়ের মাসে পরিণত। এর আগেও মে-তেই নানান ঝড় এসেছে বঙ্গে। বা ঝড়ের প্রভাবে লাগাতার বৃষ্টি হয়েছে। ফের ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আলিপুর হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, গতকাল দক্ষিণ আন্দামান সাগরের ঘূর্ণাবর্ত আজ, শনিবার গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। তবে এই নিম্নচাপ রবিবারের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী মঙ্গলবার এই ঘূর্ণিঝড় পাশের ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলের কাছে অবস্থান করবে। আবহাওয়ায় এই পরিবর্তনের দরুন বঙ্গে আগামী মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত বজ্রবিদ্যুত্-সহ ভারী বৃষ্টি হতে পারে। ইতিমধ্যে উপকূলবর্তী এলাকায় ঘোষণা করা হয়েছে, মত্স্যজীবীরা যেন ওই সময় সমুদ্রে যাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকেন। এদিন সন্ধ্যাতে ঘূর্ণাবর্ত গভীর নিম্নচাপে পরিবর্তন হবে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।

মে ০৭, ২০২২
রাজ্য

মাধ্যমিক পাশে রাজ্য আশা কর্মী নিয়োগ

আশাকর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। মাধ্যমিক পাশ মহিৃলারা এই পদের জন্য আবেদন করতে পারবে। বয়স কত, কীকী যোগ্যতা থাকা আবশ্যিক তার বিস্তারিত পাবেন এই প্রতিবেদনে।মোট শূন্যপদ ৭১। আশা কর্মী পদে নিয়োগ হবে। স্থানীয়রা সুযোগ পাবে। আবেদনকারীদের বয়স হতে হবে ০১,০১, ২০২১-এ ৩০-৪০ বছর। প্রার্থীদের মাধ্যমিক পাশ হতে হবে। শুধু বিবাহিত, বিধবা ও বিবাহবিচ্ছিন্নরা এই পদের জন্য আবেদন করতে পারবে।আবেদন করতে হবে অফলাইনের মাধ্যমে। আবেদনপত্রটি নির্ভুল ভাবে ফিলাপ করতে হবে। প্রয়োজনীয় নথি খামের ভিতরে দিতে হবে। খামের ওপর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের নাম ও আবেদন করা পদের নাম লিখতে হবে। যে এলাকার জন্য আবেদন করবেন প্রার্থীদের সেই এলাকার বাসিন্দা হতে হবে। সংশ্লিষ্ট বিডিও অফিসের ড্রপ বক্সে ফেলতে হবে। আবেদনপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৮ মে ২০২২। পুরুলিয়ার ৫টি ব্লকে ৭১ জন আশাকর্মী নিয়োগ করা হবে। মোট ১০০ নম্বরের মূল্যায়ন করা হবে। তাতে মাধ্যমিকের ৯০ শতাংশ{ ইন্টারভিউয়ের ১০ শতাংশ{ফরমটি ডাউনলোড করুন ও বিস্তারিত জেনে নিন। রইল লিংক।এই লিঙ্কে ক্লিক করুনআবেদন পত্র ডাউনলোড করুন

মে ০৩, ২০২২
রাজ্য

তীব্র দাবদাহে হাঁসফাঁস অবস্থা, রাজ্যে স্কুল ছুটির দিন ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা রাজ্যবাসীর রাজ্যের আট জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি রয়েছে। গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহে পুড়ছে বাংলা। স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের গরমে ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। এর আগে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেছিলেন প্রয়োজনে গরমের ছুটি এগিয়ে আনা হবে। মুখ্যমন্ত্রীকে অবহিত করা হয়েছে বলেও জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। বুধবার নবান্নে গরমের ছুটির ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এদিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্য়মন্ত্রী জানান, রাজ্যের সমস্ত স্কুলে ২ মে থেকে গরমের ছুটি শুরু হবে। শুধু সরকারি স্কুল নয়, বেসরকারি স্কুলগুলিতেও ওই নির্দেশিকা জারি করার জন্য শিক্ষা দফতরকে নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। বৈঠকে তিনি ব্রাত্য বসুকে জানান, গরমের ছুটি এগিয়ে আনা হোক। ২ মে থেকে গরমের ছুটি দিয়ে দেওয়া হোক। গরমে অনেক ছাত্র-ছাত্রী অসুস্থ হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীও জানান, অনেক বাচ্চাদের গরমে কষ্ট হচ্ছে, এমনকী নাক দিয়ে রক্ত পড়ছে।বুধবার দুপুরে নবান্নে সমস্ত জেলার জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, বিডিও, এসডিও এবং আইসি-ওসিদের সঙ্গে বৈঠকে করেন মুখ্যমন্ত্রী। গরমের হালহকিকত নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। এই বৈঠকেই স্কুলের ছুটি এগিয়ে আনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এদিকে আগামী সপ্তাহের শুরুতে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। আপাতত তাপপ্রবাহের সম্ভাবনাই জারি রয়েছে।

এপ্রিল ২৭, ২০২২
রাজ্য

ফের রাজ্যে দুয়ারে সরকার-পাড়ায় সমাধান, ঘোষণা মমতার

ফের রাজ্যে দুয়ারে সরকার শুরু হচ্ছে। শুরু হবে পাড়ায় সমাধান। আগামী ২১ মে শুরু হবে দুয়ারে সরকার, চলবে ৩১ মে পর্যন্ত। ৫ মে পাড়ায় সমাধান শুরু হয়ে শেষ হবে ২০ মে। বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে এই ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই সময় সরকারি কর্মীরা ছুটে পাবে। রবিবার বা ছুটির দিন বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি মমতা জানিয়ে দেন, ফ্লাড সেন্টারগুলি পরিদর্শন করতে হবে। ডিভিসির জল কোন কোন জায়গা ভেসে যায়, তাও খতিয়ে দেখতে হবে। কোথায় কোথায় বজ্রপাত বেশি হয় সেই জায়গাগুলি চিহ্নিত করতে হবে। কেন্দ্রের কাছে ৯৭ হাজার কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে বলেও জানিয়ে দেন তিনি।মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের ওপর দোষ চাপিয়ে সাধু সাজছে। উল্লেখ্য, এদিন মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পেট্রপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির জন্য একাধিক রাজ্যকে দায়ী করেছেন। তার মধ্যে বাংলাও রয়েছে। অভিজ্ঞ মহলের মতে, সেই কারণেই একথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

এপ্রিল ২৭, ২০২২
রাজ্য

৩০ টাকায় ভাগ্যের চাকা ঘুরল ভাগচাষির, সূর্যাপুরে গরিবের বাড়িতে নতুন সূর্য

কথায় বলে, কপালে থাকলে শাকে বেজেও সোনা আসে। আর একটু সুযোগেই ভাগ্যদেবী সদয় হতে পারে। ভাগ্য সহায় হলেই বাজিমাত। ভাগ্যদেবীর কল্যানে মাত্র ৩০ টাকায় কোটিপতি ভাগচাষি। মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার সূর্যাপুর গ্রামের ভাগচাষি মহবুব আলমের জীবনে নতুন সূর্য ওঠে। জানা গিয়েছে, সোমবার সূর্যাপুরের মহবুব আলম মাত্র ৩০ টাকা দিয়ে পাঁচ সেম লটারির টিকিট কাটে। পাঁচ সেমেই ভাগ্যের চাকা ঘুরে যায় মহবুবের। সোমবার সন্ধ্যাতেই লটারির রেজাল্ট বের হতেই একেবারে প্রথম পুরস্কার। মুহূর্তে কোটিপতি হয়ে যান তিনি। পাঁচ টিকিটে এক কোটি পেতেই ভাগচাষি মহবুব ছোটেন হরিশ্চন্দ্রপুর থানায়। ওই পাঁচ টিকিটই তখন তাঁর জানপ্রাণ। নিরাপত্তার অভাব বোধ করাই স্বাভাবিক।অন্যের জমি ভাগে চাষ করে দিনাতিপাত করেন মহবুব আলম। স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে তাঁর সংসার। ভাঙা বসত বাড়ি। মহবুব জানিয়েছেন, ভাগ্যের চাকা ঘুরবে এই আশায় মাঝে-মধ্যেই লটারির চিকিট কাটতেন তিনি। ডিয়ার লটারিই তাঁর জীবনে বড় বদল নিয়ে এল। রাতারাতি কোটিপতি হওয়ায় আশপাশের গ্রামের লোকজনও এখন এক ডাকে তাঁকে চেনে। তবে এতগুলো টাকা নিয়ে কী করবেন তিনি? ছেলে-মেয়ের ভালভাবে পড়াশুনা করাতে চান মহবুব। পাশাপাশি একটা শখের বাড়ি বানানোর ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন তিনি।

এপ্রিল ১৯, ২০২২
সম্পাদকীয়

'ছুটির সংস্কৃতি' রাজ্য তথা দেশকে কতটা এগিয়েছে!

বিআর আম্বেদকরের জন্মদিনে জাতীয় ছুটি। মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিনে ছুটি। এমন নানা ছুটি রয়েছে এই দেশে। ঈদ-পুজো-বড়দিনে ছুটি। তাছাড়া শনি-রবিবার তো রয়েছেই। নিত্যনতুন ছুটির বাহানা তো আছে। স্থানীয় উৎসবে ছুটি। তবে এই ছুটির বহর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সরকারি স্তরে। দেশ এভাবেই এগিয়ে যাবে! না এসব নিয়ে কারও মুখে টু-শব্দটি নেই। প্রশ্ন তুললেই পাছে রেরে করে ওঠ।মাস মাইনে না বাড়লেই আন্দোলন। নিশ্চয় আন্দোলন করার হক রয়েছে। কিন্তু সরকারি স্তরের অধিকাংশ ক্ষেত্রের চাকরিজীবীরা কখনও ভেবে দেখেছেন তাঁরা বছরে কতদিন ছুটি উপভোগ করেন। আর কতদিন কাজ করেন। সরকার কখনও কি ভেবেছে? জরুরি পরিষেবায় সেই উপায় নেই। সেখানে বরং অনেক সময় একটু বেশিই ডিউটি করতে হয়। তাঁদের কিন্তু যথাযথ আর্থিক সংস্থান করা হয় না, এই অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু ছুটির দেশে কখনও দ্রুত অগ্রগতি সম্ভব। রাজ্যে যেভাবে ছুটির ঘোষণা হয় তাতে তো এখানে ছুটির সংস্কতি বাড়ছে।কাজের গতি বৃদ্ধির কথা চিন্তা করা প্রয়োজন কেন্দ্র ও রাজ্য দুই সরকারের। বিশেষত শিক্ষা ক্ষেত্রে আরও মনোযোগ দেওয়া উচিত। প্রাথমিক স্তর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় স্তর পর্যন্ত। গবেষণার আরও প্রয়োজন রয়েছে। সবাই যে ফাঁক গলে অধ্যাপক হচ্ছেন তা নয়। রীতিমতো পড়াশুনা করে যোগ্যতার সঙ্গে অধ্যাপনা করেন এমন অধ্যাপকের সংখ্যা অনেক। কিন্তু এরই মধ্যে প্রত্যক্ষ রাজনীতি করে কোন যাদুবলে অধ্যাপক হয়ে যাচ্ছেন কেউ কেউ তাতেও সন্দেহ বাড়ে। ছাত্র নেতৃত্বের বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজে চাকরি জুটে যায়। বাম-তৃণমূল দুই আমলেই তা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তারওপর এদের কাজের প্রতি অনীহা থাকাই স্বাভাবিক। তৈলমর্দন বা রাজনীতিই যখন মূল পন্থা। বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে কত ঘন্টা ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ান, লাইব্রেরিতে কতটা সময় দেন, গবেষণায় কতটা মন দেন, এসব নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক নয় কি? তাছাড়া নানা সেমিনারের কারিজুড়ি আছে। তাতে পড়াশুনা বা সমাজ ব্যাবস্থায় কতটা উপকারে লাগে তা-ও ভাবনার বিষয়। তারওপর ছুটির বন্যা।এসএসসি নিয়োগে দুর্নীতির খোঁজে আদালতের নির্দেশে তদন্ত করছে সিবিআই। অর্থের যাদুতে শিক্ষক হয়ে যাচ্ছেন। তাঁরাও পড়াবেন! শিক্ষাক্ষত্রে যদি এই হাল হয় আর সবাই বলবে দেশ এগোচ্ছে! সরকারি বিমান সংস্থায় খোঁজ নিয়ে দেখুন বংশপরম্পরায় চাকরি করছেন। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে খোঁজ নিন এই বংশপরম্পরার উদাহরণ পাবেনই। এমনকী নানা জেলা শাসকের অফিসে খোঁজ নিয়ে দেখা যেতে পারে। চাকরি জুটছে ঘুরপথে, তাঁরা দেশের উন্নয়নে সামিল হবেন কী করে?সরকারি দফতরগুলিতে যেখানে সরসারি মানুষের যোগাযোগ নেই, সেখানে ফাঁকি দেওয়া অনেক সহজ। কোনও দফতরে কর্মীর অভাবে গাধার খাটুনি খাটছে কেউ কেউ, কোনও দফতরে হাওয়া খেয়ে বেড়াচ্ছে লোকজন। দুয়ারে সরকার হোক আর দুয়ারে সমাধান, সরকারি দফতরে নিয়মিত কাজ করলে কি এসব শিবিরের কোনও প্রয়োজন পড়ে?আশির দশকে একবার জাপানে কলকারখানার কর্মী সংগঠন ধর্মঘট ডেকেছিল। তা স্বত্তেও একটি জুতো প্রস্তুতকারি সংস্থায় ১০০% হাজিরা ছিলো। তারা সবাই কাজে এসেছিলো। গনমাধ্যমের লোকেরা কারখানায় গিয়ে দেখে তারা সবাই কাজ করছে। কেউ বসে বা অলস সময় কাটাচ্ছে না। তাঁদের নেতাকে এটা কি ধরনের ধর্মঘট জানতে চাওয়ায় তিনি বলেন, কারখানার উৎপাদন থেকেই আমাদের মাসমাইনে জোটে। তাই আমরা উৎপাদন বন্ধ রাখিনি। আমাদের দাবী আমরা জানিয়ে রেখে শুধু বাম-পায়ের জুতো বানাচ্ছি। দাবী মেনে নিলে ডান পায়েরটা বানিয়ে দেবো, শুধু বাম পায়ের জুতো তো বিক্রি হবে না, আর দাবী মেনে নিলে সময়টাও বেচে যাবে।সব থেকে বড় কথা মণিষীদের জন্ম বা মৃত্যু দিনের ছুটি দিলে কি বিশাল একটা সম্মান জানানো হয়? তাঁরা তো নিজের কর্মের জন্যই খ্য়াতি পেয়েছেন। তাঁরা ছুটি নিয়ে অলস দিনযাপন করেননি। বিআর আম্বেদকর হোন বা মহাত্মাগান্ধী বা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। এঁরা দিনরাত এক করে দেশের কথা ভেবেছেন। হাড়ভাঙা খেটেছেন। দেশের মানুষের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন। আর স্বাধীনতা পরবর্তী দেশের সরকার ছুটি দিয়ে কর্মদিবস নষ্ট করছে। কর্মের মাধ্যমে এঁদের সম্মান দেওয়া যায় না? তাতে দেশের অগ্রগতি হবে না দেশ পিছিয়ে যাবে? বরং ছুটির সংখ্যা কমানো প্রয়োজন। তাহলেই মণিষীদের প্রকৃত সম্মান দেওয়া হবে। ছুটির সংস্কৃতি তুলে দেওয়া উচিত। তাহলে সরকারি দফতরে ফাইলের পাহাড় হবে না। অফিস চলাকালীন ক্যারাম বা তাস খেলার এন্টারমেন্ট আর কত দিন চলবে এই অভাগা দেশে? দেশের অগ্রগতি চাইলে একমাত্র উপায় কর্ম। একেই তো নেপোটিজম করে অনেকের চাকরি জোটে, রয়েছে মন্ত্রীদের কোটা। তাঁদের কাজের নেশা আসবে কোথা থেকে। একেই তো সারা দেশ দুর্নীতির জালে জড়িয়ে গিয়েছে।

এপ্রিল ১৪, ২০২২
রাজ্য

রাজ্যে করোনা বিধিনিষেধের মেয়াদবৃদ্ধি ৩১ মার্চ পর্যন্ত

রাজ্যে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এলেও আপাতত কোনও ঝুঁকি নিচ্ছে না রাজ্য সরকার। তাই আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত রাজ্যে করোনার বিধিনিষেধ বাড়ানো হলো। পাশাপাশি বজায় থাকবে নৈশ কার্ফু। যদিও হোলিকা দহনের জন্য আগামী ১৭ মার্চ নৈশ কার্ফুর ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী স্বাক্ষরিত এক নির্দেশিকায় এ কথা জানানো হয়েছে।কিন্তু ফের মারণ ভাইরাস নতুন করে তাণ্ডব চালাতে পারে, এমন আশঙ্কায় বিধিনিষেধ পুরোপুরি তুলে নেওয়া হচ্ছে না। গত মাসেই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল ১৫ মার্চ পর্যন্ত করোনার বিধিনিষেধ বহাল থাকবে। সেই সময়সীমা শেষ হওয়ার আগে এদিন সন্ধ্যায় বিধিনিষেধ ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানোর কথা জানানো হলো। মুখ্যসচিবের স্বাক্ষরিত নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, ৩১ মার্চ পর্যন্ত বিধিনিষেধের পাশাপাশি রাত বারোটা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত নৈশ কার্ফু চালু থাকবে। তবে দোলের আগের দিন ন্যাড়া পোড়ানো বা হোলিকা দহনের জন্য নৈশ কার্ফু শিথিল থাকবে। বিধিনিষেধ চলাকালীন মাস্ক পরা যেমন বাধ্যতামূলক, তেমনই শারীরিক দুরত্বও বজায় রাখতে হবে।রাজ্যে গত মাসখানেক ধরেই করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে। দৈনিক সংক্রমণ যেমন একশোর গণ্ডির নিচে নেমে এসেছে, তেমনই দৈনিক মৃত্যুও হ্রাস পেয়েছে। সংক্রমণের হার কমে দাঁড়িয়েছে শূন্য দশমিক ২৯ শতাংশে। মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসায় ধীরে-ধীরে কোভিড বিধিনিষেধ শিথিল করার পথে হেঁটেছে রাজ্য সরকার। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান-সহ বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্র যেমন খুলে দেওয়া হয়েছে, তেমনই নৈশ কার্ফুতেও অনেকটা ছাড় দেওয়া হয়েছে।

মার্চ ১৫, ২০২২
রাজ্য

BIG BREAKING: সোমবার ১২ ঘণ্টা বাংলা বনধের ডাক বিজেপির, নির্বাচন কমিশনারকে গ্রেফতারের দাবি

আগামিকাল, সোমবার ১২ ঘন্টার বাংলা বনধের ডাক দিয়েছে বিজেপি। পুরভোটে অশান্তি, ব্যাপক ভোট লুট-ছাপ্পার প্রতিবাদে বঙ্গ বিজেপি এই বনধের ডাক দিয়েছে। রাজ্যের এই নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ইনভেলিড বলে দাবি করেছে বিজেপি। পুরভাগুলিতে নির্বাচন না করে প্রশাসক বসানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। নির্বাচন কমিশনকে পুরভোট বাতিল করতে হবে বলে দাবি করেছে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। নতুন করে নির্বাচন করার দাবি জানিয়েছেন তিনি। এদিকে ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংয়ের দাবি, রাজ্য নির্বাচন কমিশন সৌরভ দাসকে গ্রেফতার করতে হবে। নির্বাচন কমিশনের জন্যই এদিন রাজ্য রক্তপাত, অশান্তি, গন্ডগোল হয়েছে বলে বিজেপি সাংসদের দাবি।

ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২২
রাজ্য

রাজ্যপালকে সমর্থন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবি পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা চলে ক্লাবের জেনারেল মিটিংয়ের মতোন

বাংলার ইতিহাসে যা কোনওদিন হয়নি সেটাই এবার করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সাংবিধানিক পদাধিকার প্রয়োগ করে তিনি ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে স্থগিত করে দিয়েছেন এই রাজ্যের বিধানসভার অধিবেশন। এর আগে এতবড় সিদ্ধান্ত বাংলার কোনও রাজ্যপাল নেননি। শাসক দলের মন্ত্রী ও বিধায়করা প্রতিবাদে সোচ্চার হলেও রাজ্যপাল এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ায় যথেষ্টই খুশি। আর এটা যে নিছক কথার কথা নয় তা রবিবার বর্ধমানে এসে স্পষ্ট করে দিয়েছেন, বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রের মন্ত্রী সুভাষ সরকার। যা নিয়ে ক্ষোভ চেপে রাখেন নি তৃণমূল নেতৃত্ব। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার এদিন রাজ্যপালের পক্ষ নিয়ে বলেন, বিধানসভার অধিবেশন বন্ধ রাখা নিয়ে রাজ্যপাল যা করেছেন সেটা সংবিধান মোতাবেকই করেছেন। একই সঙ্গে সুভাষ সরকার অভিযোগ করেন, বিধানসভার অধিবেশনের যে পদ্ধতি রয়েছে সেই রকম ভাবে অধিবেশন আজকাল এই রাজ্যে হয় না। একটা ক্লাবের জেনারেল মিটিং যেমন হয় সেই রকম ভাবে বিধানসভা চলে। এটাতো কাম্য নয়। বিধানসভায় প্রশ্ন, উত্তর এইসবের ব্যবস্থা আছে। কিন্তু এর কোনটাই হয় না।এই বিষয়ে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর বিধানসভার বিধায়ক তথা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অলোক মাঝি বলেন, রাজ্যপাল যা কিছু করছেন তার সবটাই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়েই করছেন। বিধানসভা ভোটে বিজেপির পরাজয়ে হয়তো রাজ্যপালও দুঃখ পেয়েছেন।তাই রাজ্যপাল গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে মানুষের ভোটে নির্বাচিত রাজ্য সরকার কে যতটা সম্ভব বিপাকে ফেলে বিজেপি নেতাদের খুশি করতে চাইছেন। তবে এইসব করে উনি বিজেপির নেতা মন্ত্রীদের সাময়িক খুশি করে পারলেও দীর্ঘস্থায়ী ভাবে পারবেন না। আগামী দিনে বংলার মানুষ এইসব ষড়যন্ত্রের জবাবও বিজেপিকে দিয়ে দেবে।

ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২২
শিক্ষা

BIG BREAKING: অবশেষে রাজ্যে খুলছে স্কুল, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

অবশেষে রাজ্যে স্কুল খুলছে। ৩ ফেব্রুয়ারি অষ্টম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পঠন-পাঠন শুরু হবে। পঞ্চম থেকে সপ্তম শ্রেণি পাড়ায় শিক্ষালয়ে ক্লাস হবে। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে একথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নবান্নে স্কুল খোলার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ৩রা ফেব্রুয়ারি থেকে রাজ্যে স্কুল ,কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে। আপাতত অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত স্কুল পড়াশুনা চলবে। পঞ্চম থেকে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পাড়ায় পাড়ায় শিক্ষালয়ে পঠন-পাঠন শুরু হবে। তবে এখনও পর্যন্ত প্রাথমিক স্কুল খোলার বিষয়টি রাজ্য সরকারের বিবেচনায় নেই বলেই জানিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। এবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে যাওয়ায় সরস্বতী পুজোয় পড়ুয়ারা হাজার থাকতে পারবেন।করোনা পরিস্থিতিতে প্রায় ২ বছর ধরে রাজ্যের সমস্ত বন্ধ স্কুল, কলেজসহ অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। অনেক ক্ষেত্রে পঠনপাঠন চলছে অনলাইনে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পড়াশুনা বন্ধ রয়েছে। লাটে উঠেছে পড়াশুনা। গত নভেম্বর মাসে নবম, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির জন্য স্কুল খুললেও করোনার বাড়বাড়ন্তের জন্য ফের বন্ধ করতে হয়। করোনা সংক্রমিতের সংখ্যাও কমছে রাজ্যে। শিথিল হয়েছে করোনা বিধি। এই ঘোষণায় বামপন্থী ছাত্র সংগঠন তাঁদের আন্দোলনের জয় বলে দেখছে।

জানুয়ারি ৩১, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • 10
  • ...
  • 16
  • 17
  • ›

ট্রেন্ডিং

খেলার দুনিয়া

১৪ বছর পর কলকাতায় মেসি! “মাঠ কাঁপাবে” ডিসেম্বরে?

কলকাতার ফুটবলপ্রেমীদের জন্য এক বিশাল সুখবর! ফুটবল কিংবদন্তি লিওনেল মেসি (Lionel Messi) তাঁর বহু প্রতীক্ষিত GOAT Tour of India 2025-এর জন্য এ বছরের ডিসেম্বর মাসে কলকাতা ময়দান মাতাতে আসছেন। ১৪ বছর পর বিশ্বকাপজয়ী এই মহাতারকার ভারতে ফেরা নিঃসন্দেহে এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত হতে চলেছে।আগামী ডিসেম্বরে আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি তাঁর ভারত সফরের সূচনা করবেন কলকাতাতেই। আয়োজকদের ঘোষণা অনুযায়ী, তিনি ১২ই ডিসেম্বর রাতে মহানগরে পৌঁছাবেন এবং ১৩ই ডিসেম্বর কলকাতায় বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।কলকাতার আইকনিক সল্টলেক স্টেডিয়ামে (যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন) মূল অনুষ্ঠানগুলি হবে, যেখানে ২০১১ সালে মেসি আর্জেন্টিনার হয়ে ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে একটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ফুটবল ম্যাচে খেলেছিলেন।GOAT কনসার্ট এবং GOAT কাপ, ১৩ই ডিসেম্বর এই দুটি প্রধান ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। GOAT কাপ হবে একটি সেলিব্রেটর সেভেন-এ-সাইড (seven-a-side) সফট-টাচ ফুটবল ম্যাচ। বেশ কয়েকজন ভারতীয় কিংবদন্তির উপস্থিতির সম্ভবনা ওই খেলায়, সুত্রের খবর, এই বিশেষ ম্যাচে মেসির সঙ্গে মাঠে নামতে পারেন ভারতীয় ক্রীড়া জগতের তারকারা, যেমন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, বাইচুং ভুটিয়া এবং লিয়েন্ডার পেজ প্রমুখ।ম্যচের শেষে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে মেসিকে বিশেষ সংবর্ধনা দেওয়া হতে পারে। এছাড়াও এই সফরের অঙ্গ হিসাবে কলকাতা শহরে মেসির একটি মূর্তি উন্মোচন-র আয়োজন চলছে।এই সফরে নানাবিধ অনুষ্ঠানের মধ্যে, ফুড অ্যান্ড টি ফেস্টিভ্যালঅনুষ্ঠিত হবে। কলকাতায় তাঁর প্রিয় পানীয় আর্জেন্তিনীয় ভেষজ চা মাটে-এর সঙ্গে আসামের চায়ের ফিউশন করে একটি বিশেষ খাদ্য ও চা উৎসবের আয়োজন করা হবে।কলকাতা ছাড়াও মেসি ভারতে আরও কয়েকটি শহর সফর করবেন, সেকারনে তাঁর নিরাপত্তা ব্যবস্থাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কলকাতার পর মেসি আরও চারটি-শহরে সফর করবেন। যেগুলি হল আহমেদাবাদ, মুম্বাই এবং নয়া দিল্লী। ১৫ই ডিসেম্বর তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করে তাঁর ভারত সফর শেষ করবেন। এই সফরের ইভেন্টগুলোর টিকিটের মূল্য ৩,৫০০ টাকা থেকে শুরু হতে পারে বলে জানা গেছে।মেসির প্রতিক্রিয়াদীর্ঘ ১৪ বছর পর ভারতে আসা নিয়ে মেসি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। একটি সরকারি বিবৃতিতে তিনি বলেন, এই সফর করতে পারা আমার জন্য খুবই সম্মানের। ভারত খুব স্পেশাল একটি দেশ, এবং ১৪ বছর আগে আমার সেখানে কাটানো মুহূর্তগুলোর খুব ভালো স্মৃতি আছে এখানকার ভক্তরা ছিল অসাধারণ। ভারত ফুটবল প্রেমী দেশ (passionate football nation), এবং আমি ফুটবলের প্রতি আমার ভালোবাসা নতুন প্রজন্মের ভক্তদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছি।২০২৫ এর ডিসেম্বর মাসে ফুটবল কিংবদন্তির আগমন শুধু কলকাতার নয়, গোটা ভারতের ক্রীড়াপ্রেমীদের কাছে এক বিশাল উৎসবের বার্তা নিয়ে আসছে।

অক্টোবর ০৭, ২০২৫
রাজ্য

সাংসদের ওপর হামলায় রাজ্যকে নিয়ে বড় প্রশ্ন মোদির, কড়া জবাব মমতার

বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের ওপর হামলা নিয়ে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার পাল্টা কড়া জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সোশ্যাল মিডিয়া লিখেছেন, এটা খুবই দুর্ভাগ্যের এবং গভীর উদ্বেগের বিষয় যে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী একটি প্রাকৃতিক বিপর্যয় নিয়ে রাজনীতি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, কোনো উপযুক্ত অনুসন্ধানের জন্য অপেক্ষা না করেই তা-ও আবার যখন উত্তরবঙ্গের মানুষ ভয়াবহ বন্যা ও ধসের সঙ্গে যুঝছেন।যখন সমগ্র স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ ত্রাণ ও উদ্ধারের কাজে ব্যস্ত হয়ে আছে, তখন বিজেপি নেতারা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়েছিলেন বিপুল সংখ্যক গাড়ির কনভয় নিয়ে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা নিয়ে এবং স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনকে কোনো খবর না দিয়ে। রাজ্য প্রশাসন, স্থানীয় পুলিশ বা তৃণমূল কংগ্রেসকে কীভাবে এই ঘটনার জন্য দায়ী করা যাবে?এখানেই থামেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী পদের গরিমা নিয়েও। প্রশ্ন তুলেছেন মোদির নৈতিকতা নিয়েও। তাছাড়া কোনও প্রমান ছাড়াই প্রধানমন্ত্রী তৃণমূল কংগ্রেসকে দায়ী করেছে বলে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী তৃণমূল কংগ্রেস এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ওপর দোষারোপ করেছেন কিছুমাত্র প্রমাণ ছাড়া, আইনানুগ কোনো তদন্ত ছাড়া এবং কোনো প্রশাসনিক রিপোর্ট ছাড়া। এটা শুধু রাজনৈতিক নিম্নতা স্পর্শ করল না, যে সাংবিধানিক নৈতিকতা তুলে ধরতে প্রধানমন্ত্রী শপথ নিয়েছেন, সেই নৈতিকতারও লঙ্ঘন হল। যে কোনো গণতন্ত্রে আইন তার নিজস্ব পথ নেয় এবং কোনো ঘটনার দায় নির্ধারিত হয় যথাযথ প্রক্রিয়ায় -কোনো রাজনৈতিক বেদীর উচ্চতা থেকে করা একটি ট্যুইটের মাধ্যমে নয়।উত্তরবঙ্গ কাল যাবো, আজ কার্নিভাল !!!কার্নিভাল নাকি বাংলার ঐতিহ্য ! তা দশমীর চার দিন পর সরকারি অনুদান আর প্রশাসনিক চোখ রাঙানির জেরে প্রতিমা নিরঞ্জন আটকে রেখে, মিছিল করিয়ে ঘাটে যাওয়া কবে থেকে বাংলার ঐতিহ্য হয়ে গেলো?আর মুখ্যমন্ত্রী চটজলদি উত্তরবঙ্গ যেতে আগ্রহী নন কেন, pic.twitter.com/mD0TeqWIaz Suvendu Adhikari (@SuvenduWB) October 5, 2025মমতা বলেছেন, সংশ্লিষ্ট ঘটনা ঘটেছিল একটি কেন্দ্রে, যেখানে মানুষ নিজেরাই বিজেপির একজন বিধায়ককে নির্বাচন করেছেন। তথাপি এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের তথাকথিত শক্তিমত্তা দেখায় প্রধানমন্ত্রী দ্বিচারিতা অনুভব করলেন না। এই ধরনের অসার এবং অতি-সরলীকৃত সাধারণীকরণ শুধু অপরিণতই নয়, তা দেশের সর্বোচ্চ পদের সঙ্গে মানানসইও নয়।

অক্টোবর ০৭, ২০২৫
রাজ্য

বিজেপি সাংসদ ও বিধায়কের ওপর হামলা, নিন্দা নরেন্দ্র মোদীর, ফোন রাজনাথ সিংয়ের

বন্যা ও ভমি ধ্বসে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ। এরই মধ্যে নাগরাকাটায় বন্যা পরিস্থিতি দেখতে গিয়েছিলেন মালদা উত্তরের সাংসদ খগেন মুর্মু ও শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। তাঁদের ওপর তৃণমূল কংগ্রেস প্রাণঘাতী হমলা করেছে বলে অভিযোগ। মাথা ফেটে রক্তাক্ত হয়েছেন খগেন মুর্মু। আঘাত পেয়েছেন শঙ্কর ঘোষ। যদিও তৃণমূল অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এবার এই ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খুললে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জখম সাংসদের সঙ্গে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং।প্রধানমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আক্রমণের তীব্র নিন্দা করেছেন। নরেন্দ্র মোদী এক্স হ্যান্ডেলে বলেছেন, যেভাবে আমাদের দলের সহকর্মীরাযাদের মধ্যে একজন বর্তমান সাংসদ ও বিধায়কও রয়েছেনপশ্চিমবঙ্গে বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সেবা করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এটি তৃণমূল কংগ্রেসের অসংবেদনশীলতা এবং রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার করুণ রূপের স্পষ্ট প্রতিফলন।যেভাবে আমাদের দলের সহকর্মীরাযাদের মধ্যে একজন বর্তমান সাংসদ ও বিধায়কও রয়েছেনপশ্চিমবঙ্গে বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সেবা করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এটি তৃণমূল কংগ্রেসের অসংবেদনশীলতা এবং রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার করুণ রূপের স্পষ্ট প্রতিফলন।আমার Narendra Modi (@narendramodi) October 6, 2025আমার একান্ত কামনা পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও তৃণমূল কংগ্রেস এই কঠিন পরিস্থিতিতে হিংসায় লিপ্ত না হয়ে মানুষের সাহায্যে আরও মনোযোগী হোক। আমি বিজেপি কার্যকর্তাদের আহ্বান জানাই, তারা যেন জনগণের পাশে থেকে চলতি উদ্ধার কাজে সহায়তা করে যান।এদিকে নাগরাকাটায় বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়ে সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের ওপর হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংজি। রাজ্য বিজেপি সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য এক্স হ্যান্ডেলে বলেছেন, তিনি টেলিফোনে আমার সঙ্গে কথা বলে ঘটনার বিস্তারিত জানতে চান এবং স্পষ্ট বার্তা দেন রাজনীতিতে হিংসার কোনো স্থান নেই। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ এই অন্যায় ও অত্যাচার কখনো মেনে নেবে না। সবাই মিলে এই হিংসার রাজনীতি প্রতিহত করতে হবে। বাংলার মানুষ গণতন্ত্রের শক্তিতে বিশ্বাস রাখে।

অক্টোবর ০৭, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal