মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া চাকরি নেবে শীতলকুচির আনন্দ বর্মনের পরিবার
অবশেষে রাজ্য সরকারের দেওয়া চাকরি নিতে চলেছে কোচবিহারে ভোটের দিন গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত কিশোর বিজেপি কর্মী আনন্দ বর্মনের পরিবার। আনন্দর দাদা গৌতম বর্মনই রাজ্যের দেওয়া হোমগার্ডের চাকরি নেবেন বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ১০ এপ্রিল কোচবিহারে ভোটের দিন শীতলকুচি বিধানসভা এলাকায় প্রথমবার ভোট দিয়ে বুথ থেকে বেরনোর সময় দুষ্কৃতীদের গুলিতে আনন্দর মৃত্যু হয়। তাঁকে দলীয় কর্মী বলে দাবি করে গুলি করে খুনের অভিযোগে তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তোলে বর্মন পরিবার এবং জেলা বিজেপি নেতৃত্ব।পরদিনই মাথাভাঙার জোড়পাটকিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আনন্দ-সহ জোড়পাটকিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃতদের পরিবারকে চাকরির আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু বিজেপি দপ্তরে রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠকে হাজির হয়ে ছেলের খুনের জন্য তৃণমূলকে দুষে মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া চাকরি নেবেন না বলে জানান আনন্দর মা বাসন্তী বর্মন। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে ফের শপথগ্রহণের পরদিন বৃহস্পতিবারই শীতলকুচিতে গুলিতে মৃত পাঁচ জনের পরিবারেরই একজন করে সদস্যকে চাকরি দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার ওই পাঁচ পরিবারের সদস্যরা কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়ের সঙ্গে দেখা করেন। সেখানেই মাসখানেকের মাথায় কার্যত সুর বদলালেন সন্তানহারা সেই মা। আনন্দ বর্মনের মা বাসন্তী বর্মন এদিন বলেন, আমরা পুরনো কোনও কথা ধরে রাখতে চাইছি না। মুখ্যমন্ত্রী চাকরি দিচ্ছেন। সেই চাকরি আমরা নেব। তাঁর দেওয়া অর্থসাহায্যও গ্রহণ করব। আনন্দ বর্মনের দাদা গৌতম বর্মন এদিন বলেন, মুখ্যমন্ত্রী সকলের। তাই তিনি যখন নিহত পাঁচজনের পরিবারকেই সহযোগিতা করছেন, তাহলে অবশ্যই সেই সহযোগিতা নেব। দোষীদের শাস্তির দাবিও করছি। পুলিশ তদন্ত করছে অবশ্যই দোষীদের শনাক্ত করবে।