• ১১ আষাঢ় ১৪৩২, শুক্রবার ২৭ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Election

দেশ

প্রথম দফার ২৬টি আসনই জিতবে বিজেপি, আত্মবিশ্বাসী অমিত শাহ

ভোটের ফল বেরনোর কথা ২ মে। কিন্তু অমিত শাহ ততদিন অপেক্ষা করতে রাজি নন। প্রথম দফার ভোটের পরের দিনই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একপ্রকার ফলাফল ঘোষণা করে দিলেন। দিল্লিতে ঘটা করে সাংবাদিক বৈঠক করে দাবি করলেন, প্রথম দফার ৩০টি আসনের মধ্যে ২৬টি আসনেই জিতবে গেরুয়া শিবির। শাহর দাবি, বিজেপি নিজেদের পূর্ব নির্ধারিত ২০০ আসনের টার্গেট পূরণ করতে চলেছে। আর প্রথম দফা ভোটের পরই সেই ইঙ্গিত স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। গতকাল রাজ্যের ৩০ আসনের নির্বাচনে প্রত্যাশা ছাপিয়ে গিয়েছিল ভোটের হার। গতবারের তুলনায় ভোট পড়েছে অনেকটাই বেশি। ৫ জেলায় ভোট পড়েছিল প্রায় ৮৮ শতাংশ। সাধারণত বেশি ভোটের হার প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার ইঙ্গিত দেয়। তিনি বলছেন, দলের কর্মী এবং সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলে আমি নিশ্চিত আমরা ২৬টির বেশি আসন পাচ্ছি। আমি বাংলার মানুষকে ধন্যবাদ জানাতে চাই আমাদের সমর্থন করার জন্য। শাহ বলছেন, বাংলায় যেভাবে নির্বিঘ্নে ভোট হয়েছে, সেটাই ইঙ্গিত করছে বিজেপি ২০০ আসনের টার্গেট পূরণ হতে চলেছে। তিনি বলছেন, বাংলার মহিলাদের আমি বিশেষভাবে ধন্যবাদ দেব আমাদের ভোট দেওয়ার জন্য। বাংলায় আমরা দুশোর বেশি আসন নিয়ে সরকার গড়তে চলেছি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবার নজর দিচ্ছেন নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে। তাঁর কথায়, বাংলার ভাগ্য এখন নন্দীগ্রামের হাতে। নন্দীগ্রামে পরিবর্তন হলেই বাংলায় পরিবর্তন হবে। যদিও তৃণমূলের দাবি, বাংলায় এই ধরনের কোনও মাইন্ড গেম কাজ করবে না। তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ওব্রায়েন পালটা শাহকে আক্রমণ শানিয়ে বলছেন, আপনার মাইন্ড গেম গুজরাতের জিমখানায় ফেলে আসুন। এটা বাংলা, এখানে এই ধরনের পূর্বাভাস চলবে না।

মার্চ ২৮, ২০২১
রাজ্য

বিক্ষিপ্ত অশান্তির মধ্যেই প্রথম দফায় পড়ল রেকর্ড ভোট

কয়েক মাসের প্রস্তুতির পর আজ শনিবার শুরু হয়ে গেল বাংলা দখলের লড়াই। ৮ দফার মধ্যে প্রথম দফায় রাজ্যের ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ৩০ আসনে ভোটগ্রহণ হয়ে গেল। এর মধ্যে ঝাড়গ্রামের ৪টি এবং পুরুলিয়ার ৯টির সব কটিতেই আজ ভোট গ্রহণ হয়। বাকি তিন জেলার বাকি আসনে দ্বিতীয় দফায় আগামী ১ এপ্রিল ভোট হবে। মোতায়েন ছিল ৭৩০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। ইভিএমে বন্দি হল ১৯১ জন প্রার্থীর ভাগ্য। বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ, অভিযোগ পালটা অভিযোগের মধ্যে মোটের উপর নির্বিঘ্নে শেষ হল প্রথম দফা। রাজ্যের যুযুধান মূল ২ পক্ষই একাধিক ইস্যুতে একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে। তবে শাসক-বিরোধী ২ পক্ষই এই ৩০ আসনে ভাল ফল করার আশা প্রকাশ করেছে।সকাল ৭টা থেকে নিয়ম মেনে শুরু হয় ভোটগ্রহণ। তবে ভোট শুরুর ঘণ্টাখানেকের মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় প্রায় ৯০ টি ইভিএম বিভ্রাটের খবর মেলে। পরে সেগুলি বদল করে ভোট গ্রহণ শুরু হয়।বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত পাওয়া সার্বিকভাবে ভোট পড়েছে ৭৭.৯৯ শতাংশ। পশ্চিম মেদিনীপুরের ভোট পড়েছে ৮০.১২ শতাংশ, ঝাড়গ্রামে ভোট পড়েছে ৮১.৫০ শতাংশ, পুরুলিয়ায় ৭৭.১৩ শতাংশ, বাঁকুড়ায় ভোট পড়েছে ৭৯.৯০ শতাংশ। সব থেকে বেশি ভোট পড়েছে বাংলা দখলের ভরকেন্দ্র হয়ে ওঠা পূর্ব মেদিনীপুরে, ৮২.৪২ শতাংশ। এবারের ভোট নিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরে শুরু থেকেই স্নায়ুর যুদ্ধ চলছিল। তারই বহিপ্রকাশ হল শুভেন্দু অধিকারীর ভাই বিজেপি নেতা সৌমেন্দুর গাড়িতে হামলা দিয়ে। কাঁথিতে তাঁর গড়েই সৌমেন্দুর গাড়ির কাচ ভাঙা হয়, তাঁর গাড়ির ড্রাইভারকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে কমিশনের অভিযোগও জানিয়েছে বিজেপি। ভোটের দিন সকালে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়িতে উদ্ধার হয় বিজেপি কর্মীর রক্তাক্ত দেহ। তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও জেলা শাসক রিপোর্ট দিয়েছে এই মৃত্যুর সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক যোগ নেই। বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ গন্ডগোল হয়েছে গড়বেতাতেও। সেখানে নিজের এলাকাতেই বিক্ষোভের মুখে পড়েন সিপিএম নেতা সুশান্ত ঘোষ। তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা। গড়বেতার আঁধারনয়ন স্কুলে তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়া হয়। এমনকী, জুতোও দেখানো হয় বলেও অভিযোগ। পুলিশ ধাওয়া করে কয়েক জন অভিযুক্তকে ধরে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়া বাঁকুড়ার ছাতনা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শুভাশিস বটব্যালকে বুথে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। বাগজুরি বুথে বাধা পেয়ে জওয়ানদের সঙ্গে বচসা তাঁর। এদিকে দাঁতনের মোহনপুরে পতাকা ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষের ঘটনা সামনে এসেছে। সেখানে ৪ জন আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় বাহিনী মৃদু লাঠি চার্জ করে। এলাকায় পৌঁছে যায় পুলিশ বাহিনীও। শালবনির আমলাশোলের বনকাটা এলাকায় সংঘর্ষে জড়ায় সিপিএম-বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। জখম হন ২ বাম কর্মী। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কেশিয়ারির কশিদা বুথে সক্রিয় বিজেপি কর্মী শক্তিপদ বেরাকে মারধর। কাঠগড়ায় তৃণমূল। এমনকী, ভোট দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পুরুলিয়ার ১২৭ নং বুথের বিজেপি কর্মীকে গুলি করার হুঁশিয়ারি পুরুলিয়া কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এই ঘটনায় রিপোর্ট চেয়েছে কমিশন। নন্দীগ্রামের বয়ালে তৃণমূল কর্মীদের উপর লাঠিচার্জের অভিযোগ, জখম বেশ কয়েকজন। প্রতিবাদে মহিলারা পথে নেমে বিক্ষোভ দেখান। সংঘর্ষ ছাড়াও ইভিএম কারচুপি, বুথ জ্যামের অভিযোগও উঠেছে কোথাও কোথাও। কাঁথি দক্ষিণ কেন্দ্রের মাজনা হাই মাদ্রাসা বুথে অভিযোগ ওঠে তৃণমূলে ভোট দিলেও তা যাচ্ছে বিজেপির প্রতীকেই। ভোট দিয়ে বেরিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন ভোটারদের। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর ইভিএম পালটে নতুন করে শুরু হয় ভোটগ্রহণ। বিজেপির বিরুদ্ধে ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ উঠেছে পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরেও। পুরুলিয়ার একটি বুথেও একই অভিযোগ ওঠে। রিপোর্ট চেয়ে পাঠায় কমিশন। পরে কমিশন ইভিএম কারচুপির অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে। সকালে ইভিএম বিভ্রাটের জেরে পুরুলিয়ার মানবাজার বিধানসভার পুঞ্চাতেও ভোট শুরুর নির্ধারিত সময়ের প্রায় দু ঘন্টা পর ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এদিকে বিভিন্ন দাবি নিয়ে ছাতনার ২টি এবং রানিবাঁধের একটি বুথে ভোট বয়কট হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এদিন প্রথমে বিজেপি এবং পরে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল যায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনে। সেখানে একাধিক ইস্যুতে একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায়।

মার্চ ২৭, ২০২১
রাজ্য

প্রথম দফায় ভোটারদের উদ্দেশ্যে টুইট প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

বঙ্গ নির্বাচনের প্রথম দিনের সকালে বাংলায় টুইট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির । বাংলার ভোটারদের উদ্দেশে তাঁর আর্জি, রেকর্ড সংখ্যায় ভোট দিন। গণতন্ত্রের উৎসবে শামিল হন। তবে, নির্বাচন কমিশনের বেঁধে দেওয়া প্রোটোকল মেনে আলাদা করে কোনও দলের হয়ে ভোট চাননি মোদি।পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে আজ প্রথম পর্যায়ে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। যে বিধানসভার আসনগুলিতে ভোটগ্রহণ হচ্ছে, সেখানকার ভোটদাতাদের আমি রেকর্ড সংখ্যায় ভোটাধিকার প্রয়োগের অনুরোধ জানাই। Narendra Modi (@narendramodi) March 27, 2021শনিবার রাজ্যের ৫ জেলার ৩০ আসনে চলছে ভোটগ্রহণ। পুরুলিয়ার ৯, পূর্ব মেদিনীপুরের ৭, পশ্চিম মেদিনীপুরের ৬, বাঁকুড়ার ৪ এবং ঝাড়গ্রামের চার আসনে সকাল থেকেই চলছে ভোটগ্রহণ। সকাল থেকে রাজ্যের বিভিন্ন বুথে ভোটারদের উপস্থিতিও চোখে পড়ার মতো। জঙ্গলমহল এলাকায় ভোট হওয়া সত্ত্বেও ভোটের আগে সন্ত্রাসের কোনও আবহ তৈরি হয়নি। এমনকী, বিগত বছরগুলিতে যেভাবে ভোট বয়কটের হুমকি দেওয়া হত, সেটাও এবার নেই। ভোটাররা যাতে নির্ভয়ে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে মরিয়া কমিশন । প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এদিন সাতসকালে ভোটারদের উদ্দেশে রেকর্ড সংখ্যায় গণতন্ত্রের উৎসবে শামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এদিন ভোট শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই বাংলায় টুইট করেন মোদি। তিনি বলেন,পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে আজ প্রথম পর্যায়ে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। যে বিধানসভার আসনগুলিতে ভোটগ্রহণ হচ্ছে, সেখানকার ভোটদাতাদের আমি রেকর্ড সংখ্যায় ভোটাধিকার প্রয়োগের অনুরোধ জানাই। মোদির পাশাপাশি বাংলায় টুইট করে ভোটদানে অনুরোধ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহও।আমি পশ্চিমবঙ্গের প্রথম দফার ভোটারদের কাছে অনুরোধ করছি যে বাংলার গৌরবকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে অধিক থেকে অধিকতর সংখ্যায় ভোটদান করুন।আপনার একটি ভোট সুভাষ চন্দ্র বসু, গুরুদেব ঠাকুর এবং শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীর মতন মহাপুরুষের চিন্তাধারা অনুযায়ী বাংলা গঠনের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করবে। Amit Shah (@AmitShah) March 27, 2021মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও টুইট করে ভোটারদের উদ্দেশে নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের আরজি জানিয়েছেন। শনিবার সকালে তাঁর টুইট, বাংলার সকল মানুষকে আমি অনুরোধ করব নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করুন, সবাই আসুন, ভোট দিন।বাংলার সকল মানুষকে আমি অনুরোধ করব নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করুন, সবাই আসুন, ভোট দিন।I call upon the people of Bengal to exercise their democratic right by coming out and voting in large numbers. Mamata Banerjee (@MamataOfficial) March 27, 2021

মার্চ ২৭, ২০২১
রাজনীতি

আজ প্রথম দফার ভোট, দেখে নিন কোথায় ক'টি আসনে হচ্ছে ভোট

কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে জঙ্গলমহলের ৩০টি আসনে হতে চলেছে প্রথম দফার নির্বাচন।পূর্ব মেদিনীপুরমোট আসন: ১৬ | কত আসনে ভোট: ৭কোন আসনে ভোটপটাশপুর , কাঁথি উত্তর , ভগবানপুর , খেজুরি , কাঁথি দক্ষিণ , রামনগর , এগরাপশ্চিম মেদিনীপুরমোট আসন: ১৫ | কত আসনে ভোট: ৬কোন আসনে ভোটদাঁতন , কেশিয়াড়ি , খড়্গপুর , গড়বেতা , শালবনি , মেদিনীপুরবাঁকুড়ামোট আসন: ১২ | কত আসনে ভোট: ৪কোন আসনে ভোটরাইপুর , রানিবাঁধ , ছাতনা , শালতোড়াপুরুলিয়ামোট আসন: ৯ | কত আসনে ভোট: ৯কোন আসনে ভোটরঘুনাথপুর , পারা , কাশীপুর , মানবাজার , পুরুলিয়া , জয়পুর , বাঘমুন্ডি , বান্দোয়ান , বলরামপুরঝাড়গ্রামমোট আসন: ৪ | কত আসনে ভোট: ৪কোন আসনে ভোটনয়াগ্রাম , গোপীবল্লভপুর , ঝাড়গ্রাম , বিনপুর

মার্চ ২৭, ২০২১
কলকাতা

নন্দীগ্রামে ঘুরছে বহিরাগত গুন্ডারা, কমিশনে অভিযোগ দায়ের তৃণমূলের

নির্বাচনের আগে বহিরাগতরা রাজ্যে অশান্তির চেষ্টা করছে আর তা চলছে বিজেপির মদতে। বিভিন্ন জনসভা থেকে এই অভিযোগ করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের সভা থেকে তিনি বৃহস্পতিবার রাতে কাঁথির ঘটনার কথা উল্লেখ করে বলেন, কাল রাতে কাঁথি বাসস্ট্যান্ড থেকে উত্তরপ্রদেশের ৩০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওদের কাছে নাকি অস্ত্রও পাওয়া গিয়েছে। ওই মীরজাফররা ওদের এনেছে। কিন্তু এসব করে কোনও লাভ হবে না। নন্দীগ্রাম, কাঁথি কোথাও কোনও অশান্তি করতে দেব না। এবার এই ইস্যু নিয়েই প্রমাণ-সহ নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল তৃণমূল নেতৃত্ব। শনিবার ডেরেক ও ব্রায়েন, কাকলি ঘোষ দস্তিদাররা গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। স্পর্শকাতর জায়গায় অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েনের কথাও জানানো হয়।এদিন দুপুরে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়েরের পর বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, আমাদের কাছে খবর আছে, মেদিনীপুরের বিভিন্ন জায়গায় অশান্তি তৈরির চেষ্টা চলছে। এগরা, পটাশপুর, নন্দীগ্রামে নির্বাচনের দিন বহিরাগতরা এসে বাধানোর চেষ্টা করবে। মানুষের ভিড়ে মিশেই বহিরাগতরা নিজেদের কাজ করবে। তাই আমরা কমিশনে এসে বলেছি, যাতে সুষ্ঠুভাবে এসব জায়গায় ভোট হয়, তার ব্যবস্থা করতে। আগেও কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু সুরাহা হয়নি। আমাদের আশঙ্কা, বিজেপি সব বানচাল করে দিতে পারে।

মার্চ ২৬, ২০২১
রাজনীতি

নন্দীগ্রামে ভোটের দিন বাংলায় প্রচারে মোদি

আগামী ১ এপ্রিল নন্দীগ্রামে ভোটের ময়দানে যেদিন পরস্পরের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অবতীর্ণ হবেন যুযুধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-শুভেন্দু অধিকারী, সেদিনই নির্বাচনী প্রচারে বাংলায় থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওইদিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর এবং হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় দুটি নির্বাচনী সভা করবেন তিনি। প্রসঙ্গত, ওইদিনই প্রথম মোদি একইদিনে বাংলায় দুটি জনসভা করবেন। বিজেপি সূত্রের খবর, অসমে ভোট মিটে যাওয়ার পর বাংলায় দিনে তিনটি করে সভা করতে চাইছেন মোদি। ঘটনাচক্রে, তার আগেই শুক্র এবং শনিবার দুদিনের সফরে বাংলাদেশ যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। সেখানে মতুয়ামন জয়ের চেষ্টা করবেন তিনি। বৃহস্পতিবার জারি করা তাঁর সফরসূচি তেমনই বলছে। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে থাকবেন মতুয়াদের ঠাকুরবাড়ির সদস্য তথা বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর।ওয়াকিবহালরা মনে করছেন, পরিকল্পনা করেই প্রধানমন্ত্রী প্রচারে আসার জন্য এমন একটি দিন বেছেছেন, যেদিন সারা রাজ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আসনের নির্বাচন। বস্তুত, নন্দীগ্রাম আসনের ভোটের দিকে রাজ্য তো বটেই, তাকিয়ে রয়েছে গোটা দেশের রাজনৈতিক মহলও। নিজের কেন্দ্র ভবানীপুর ছেড়ে মমতা নন্দীগ্রামে ভোট লড়বেন বলে ঘোষণা করেছেন। অন্যদিকে, নন্দীগ্রাম আসনের বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু আগে থেকেই চ্যালেঞ্জ নিয়ে বসে রয়েছেন যে, মমতাকে অন্তত ৫০,০০০ ভোটে হারাতে না পারলে তিনি রাজনীতি করা ছেড়ে দেবেন! ফলে নন্দীগ্রাম নিয়ে সমস্ত মহলেই একটা কী হয়-কী হয় ভাব রয়েছে। প্রশাসনিক মহলের একাংশের মতে, নন্দীগ্রামে ভোটের দিন একদিকে তৃণমূল শিবিরের উপর বাড়তি চাপ তৈরির জন্য এবং অন্যদিকে, বিজেপি শিবিরের মনোবল বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী ওইদিন রাজ্যে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যদিও বিজেপি ওই তত্ত্ব উড়িয়ে দিচ্ছে। তাদের বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী প্রচারসূচি তৈরি হয়েছে একেবারেই প্রধানমন্ত্রীর সময়ের উপর ভিত্তি করে। এর সঙ্গে কোথায় কবে ভোট, তার কোনও সম্পর্ক নেই। এটা একেবারেই কাকতালীয় যে, প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী সভার দিনের সঙ্গে নন্দীগ্রামের ভোটের দিন মিলে গিয়েছে। এর মধ্যে অন্য কোনও অভিসন্ধি নেই। ভোট দেবেন মানুষ। তাঁদের সঙ্গে রাজ্যে প্রধানমন্ত্রীর থাকা বা না-থাকার কী সম্পর্ক!

মার্চ ২৬, ২০২১
রাজনীতি

প্রথমবার প্রচারে বেরিয়ে তৃণমূলকে হালকা 'ছোবল' মিঠুনের

বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর আজ বৃহস্পতিবারই প্রথম ভোটের ময়দানে নামলেন মিঠুন চক্রবর্তী। আর প্রথম দফার ভোট প্রচারের শেষ দিনে মাঠে নেমেই বাজিমাত। ৪টি রোড শোতে মানুষের মন জয় করে নিতে সময় লাগেনি। শালতোড়া, মানবাজার, কেশিয়াড়ি এবং ঝাড়গ্রামে রোড শো করেন মিঠুন। তাঁকে দেখতে সব জায়গাতেই মানুষের ঢল নামে। যার জেরে কোথাও কোথাও কিছুটা বিশৃঙ্খলাও তৈরি হয়। তার মাঝে এবারের ভোটের সব থেকে ব্যবহৃত শব্দ বহিরাগত প্রসঙ্গেও তিনি মুখ খোলেন। কারও নাম না করেও তৃণমূলকে নিজের স্বভাবসিদ্ধ বাচনভঙ্গিতে কটাক্ষ করে নিজেকেও বহিরাগত বলেন মহাগুরু।বাঁকুড়ার শালতোড়াতে প্রচারের সময় মিঠুনকে বহিরাগত ইস্যুতে প্রশ্ন করা হয়। জবাবে কটাক্ষের সুরে মিঠুন বলেন, স্বীকার করছি আমিও বহিরাগত। আর এইভাবে বহিরাগত বললে তো সিস্টার নিবেদিতাও বহিরাগত ছিলেন। বহিরাগত ছিলেন মাদার টেরেসাও। কারও নাম না করলেও রাজ্যের উন্নয়ন প্রসঙ্গে ঘুরিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে আক্রমণ করে মিঠুন বলেন, আসলে বহিরাগত তাঁরাই, যাঁরা ক্ষমতায় থেকেও মানুষের পাশে থাকেননি। একই সঙ্গে নিজের ভোটে না দাঁড়ানোর প্রসঙ্গ উঠলে মিঠুন বলেন, আমি ক্ষমতার জন্য রাজনীতিতে আসিনি। মানুষের পাশে থাকতে এসেছি।চার জায়গাতেই মিঠুনকে দেখতে জনতার বিশাল ঢল নামে। বাঁকুড়ার শালতোড়ায় বিজেপি প্রার্থী চন্দনা বাউরির সমর্থনে রোড শো করেন। সকাল ৯টা নাগাদ হেলিকপ্টারে পৌঁছনোর পর প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তায় রোড শো করেন। জনতার আবদার মিটিয়ে অটোগ্রাফ, সিনেমার সংলাপও বলেন তিনি। শালতোড়া থেকে পুরুলিয়ার মানবাজারের উদ্দেশে উড়ে যান মিঠুন। মানবাজারের বিজেপি প্রার্থী গৌরি সিংয়ের সমর্থনে তাঁর প্রায় ২ কিলোমিটার রোড শো করার কথা ছিল। কিন্তু মিঠুনকে দেখতে এতটাই ভিড় হয়েছিল যে তিনি ১৫ মিনিট হেলিকপ্টার থেকে নামতেই পারেননি। পরে নিরাপত্তা কর্মীরা, হামলে পড়া জনতার ভিড় কোনওরকমে সরিয়ে তাঁকে একটি হুড খোলা জিপে তোলেন। কিন্তু তাঁকে দেখতে এতটাই ভিড় হয়েছিল যে ২ কিলোমিটার রোড শোয়ের পুরোটা শেষই করতে পারেননি। মাঝপথ থেকে তাঁকে হেলিপ্যাডে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তাই মিঠুনকে দেখতে আসা প্রচুর মানুষ তাঁর দেখাই পাননি শেষ পর্যন্ত। মহাগুরুকে দেখতে না পেয়ে তাঁরা হতাশ বলেও দুঃখ প্রকাশ করেন। মানবাজারের পর পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ি এবং ঝাড়গ্রামেও রোড শো করেন মিঠুন। সব জায়গাতেই মিঠুনকে এক ঝলক দেখতে উপচে পড়ে ভিড়। ভিড় থেকে মানুষ মহাগুরু মহাগুরু করে চিৎকার করতে থাকেন। সিনেমার সংলাপ বলারও অনুরোধ আসতে থাকে তাঁর কাছে। এমনকী, অনেকে তাঁর অটোগ্রাফ পাওয়ার জন্য হামলে পড়েন। যতটা সম্ভব তিনি জনতার আব্দার মেটানোর চেষ্টাও করেন। মিঠুনের রোড শোতে ভিড় দেখে স্বভাবতই উচ্ছসিত গেরুয়া শিবির। প্রার্থী না হলেও প্রথম দিনের প্রচারেই মিঠুন যে ভিড় টানলেন, তা ভোট বাক্সে প্রভাব ফেলবে বলেই আশা বিজেপির।

মার্চ ২৫, ২০২১
রাজনীতি

প্রথম দফার ভোটে প্রার্থীদের তালিকায় আধিক্য কোটিপতি ও লাখপতিদের

হাতে মাত্র আর একটা দিন, তারপরই শুরু হয়ে যাবে একুশের হাইভোল্টেজ নির্বাচনী লড়াই। আগামী ২৭ মার্চ রাজ্যে প্রথম দফার নির্বাচন শুরু হচ্ছে। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর-সহ জঙ্গলমহলের মোট ৩০ টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে। প্রথম দফায় ভাগ্য পরীক্ষায় নামছেন নানা দলের মোট ১৯১ জন প্রার্থী। এইসব প্রার্থীদের আর্থিক দশা কেমন, কোন দলের প্রার্থীরা কতটা ধনী, কারাই বা আর্থিকভাবে দুর্বল। ভোটপ্রার্থীদের সম্পত্তির খতিয়ান সর্বদাই মুখরোচক বিষয় আম জনতার জন্য। রাজনৈতিক দলের নেতারা হলফনামায় স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির হিসেব জানতে চান অনেকেই। এতে কোনও ভুল নেই। দেখা গিয়েছে, প্রথম দফার ভোটে নিজেদের ভার্গ নির্ধারণ করতে নামা এইসব প্রার্থীদের তালিকায় কোটিপতির ছড়াছড়ি। এ মধ্যে কিছু লাখপতিও রয়েছেন। আসুন দেখে নেওয়া যাক ঠিক কতজন প্রার্থী কোটিপতি ও লাখপতি। তালিকায় কোটিপতিদের ছড়াছড়িসম্পত্তির পরিমাণ ২ কোটি থেকে তার বেশি, প্রথম দফার প্রার্থী তালিকায় এমন সাত জন প্রার্থীর নাম রয়েছে। যা মোট প্রার্থীর ৪ শতাংশ। এর পরের ধাপে ৫০ রয়েছেন তাঁরা যাদের সম্পত্তির পরিমাণ ৫০ লক্ষ থেকে ২ কোটি। প্রথম দফায় এমন প্রার্থী রয়েছেন ৪০ জন। যা মোট প্রার্থীদের ২১ শতাংশ।লাখপতিদের আধিক্যই বেশিকোটিপতিদের থেকে নজর ঘোরালে দেখা যাবে, এই তালিকায় লাখপতিদের সংখ্যাই সর্বাধিক। স্থাবর ও অস্থাবর মিলিয়ে সম্পত্তির পরিমাণ ১০ লক্ষ থেকে ৫০ লক্ষ, প্রথম দফায় এমন প্রার্থী রয়েছেন ৬৯ জন। যা মোট প্রার্থীর ৩৬ শতাংশ।অন্যদিকে, আর্থিকভাবে তুলনায় কম ধনীর তালিকায় রয়েছে ৭৫ জন প্রার্থী। এদের সকলের স্থাবর এ অস্থাবর সম্পত্তির মিলিত পরিমাণ ১০ লক্ষ টাকার কম। মোট প্রার্থীদের মধ্যে এদের হার ৩৯ শতাংশ।

মার্চ ২৫, ২০২১
রাজ্য

রাজ্যের নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদ থেকে সরানো হল সুরজিৎ কর পুরকায়স্থকে

প্রথম দফার ভোটের মুখে রাজ্যের নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে নিষ্ক্রিয় করল নির্বাচন কমিশন। বুধবার ওই পদে থাকা সুরজিৎ কর পুরকায়স্থকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তিনি নির্বাচন সংক্রান্ত কোনও কাজের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারবেন না। এমনকী, পদে থাকলেও, ভোটের সময় নিজের ক্ষমতার ব্যবহার করতে পারবেন না। এ নিয়ে নির্দেশিকা জারি করেছেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।বুধবার শিলিগুড়িতে রাজ্যের ভোট পরিস্থিতি এবং আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বৈঠকে বসে কমিশনের ফুলবেঞ্চ। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, ডিজি নীরজনয়ন পাণ্ডে-সহ রাজ্যের শীর্ষ পুলিশকর্তারা। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে রাজ্যের বেশ কয়েক জন প্রশাসনিক কর্তা এবং পুলিশ কর্তাদের বিষয়ে জানতে চায় কমিশন। এর পর শিলিগুড়ি থেকে কলকাতা ফিরে মুখ্যসচিবের তরফে ওই নির্দেশিকা জারি করা হয় বলে নবান্ন সূত্রে খবর।এর আগে ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল রাজ্য পুলিশের এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) জাভেদ শামিমকে। তাঁর জায়গায় আনা হয় দমকলের ডিজি জগমোহনকে। দমকলের ডিজি হিসাবে দায়িত্ব নেন জাভেদ শামিম। এর পর ফের রাজ্য পুলিশের শীর্ষ স্তরে রদবদল করা হয়। রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্রকে সরিয়ে তাঁর জায়গায় আনা হয় নীরজনয়নকে। সম্প্রতি নন্দীগ্রামের বিরুলিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আঘাত পাওয়ার পর সরানো হয় তাঁর নিরাপত্তা আধিকারিক বিবেক সহায়কে। সরানো হয় পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক বিভু গোয়েল এবং পুলিশ সুপার প্রবীণ প্রকাশকেও। এ বার কমিশনের কোপে সুরজিৎ।

মার্চ ২৪, ২০২১
রাজনীতি

নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে আলিঙ্গন, করমর্দন করলেই জেল হতে পারে প্রার্থীর!

প্রচারে বেরিয়ে চুটিয়ে জনসংযোগ। মায়ের কোল থেকে ফুটফুটে শিশুকে কোলে তুলে নিয়ে গালে আদরের চুম্বন। উৎসাহী সমর্থকদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সেলফি। রোড-শোয়ে গাড়ি থেকে ঝুঁকে ঝুঁকে জনতার সঙ্গে হাত মেলানো। কত কাছের লোক, ভোটারদের তা বোঝাতে প্রার্থীরা চেষ্টায় একতিল ফাঁক রাখতে নারাজ। কিন্তু করোনা অতিমারির আবহে এহেন শারীরিক নৈকট্য রাজনৈতিক কেরিয়ারে কার্যত দাঁড়ি টেনে দিতে পারে। কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা দেখা দিতেই সেকথা স্মরণ করিয়ে ফের এমনই কড়া বার্তা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্দেশ অমান্য করলে মহামারী আইনের ৫১ থেকে ৬০ নম্বর ধারায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা খোদ প্রার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। মহামারী আইনের ওই ধারায় বিধিভঙ্গের শাস্তি হিসাবে দুই বছর পর্যন্ত কারাবাস ও সঙ্গে মোটা জরিমানার বিধান রয়েছে। কমিশনের হুঁশিয়ারি, সংক্রমণ ঠেকাতে ইতিমধ্যে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি রয়েছে। যাতে এই ধরনের শারীরিক সংস্পর্শে অনুমোদন নেই। তা সত্ত্বেও রাজ্যের একাধিক জায়গায় প্রার্থীদের গাছাড়া মনোভাব দেখা যাচ্ছে। প্রার্থীরা এই ধরনের হঠকারী অচরণ করতে থাকলে প্রার্থীপদ তো দূরে থাক শেষপর্যন্ত তাদের ঠাঁই হতে পারে শ্রীঘরে। সঙ্গে খসতে পারে গাঁটের কড়িও।ইতিমধ্যেই এব্যাপারে জেলাশাসক তথা জেলা মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের কড়া পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের কোভিড বিধি পালনের সমস্ত নির্দেশিকা স্মরণ করিয়ে দিয়ে সতর্ক করে দিতে বলা হয়েছে। প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ঠিক কী কী বিধিনিষেধ রয়েছে নির্দেশনামায়? নির্দেশিকায় স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়েছে, বাড়ি বাড়ি প্রচারের ক্ষেত্রে প্রার্থীরা পাঁচ জনের বেশি সদস্য-সমর্থক সঙ্গে রাখতে পারবেন না। প্রচারে বেরিয়ে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক, স্যানিটাইজার সঙ্গে রাখতে হবে। অতিমারি সংক্রান্ত দূরত্ব বিধি মানতে হবে। একইরকমভাবে রোড শোয়ের ক্ষেত্রেও বিধি নিষেধ রয়েছে। নিরাপত্তারক্ষীর গাড়ি বাদে রোড-শোয় পাঁচের বেশি গাড়ি একসঙ্গে ব্যবহার করা যাবে না। এবং এই পাঁচ গাড়ির একটি কনভয়ের সঙ্গে পরেরটির দূরত্ব থাকতে হবে কমপক্ষে আধ ঘণ্টার। এছাড়াও রাজনৈতিক দলগুলোকে জনসভার অনুমতি প্রদানের ক্ষেত্রে জেলাশাসকদের আরও সতর্ক হতে বলেছে কমিশন। প্রবেশ ও প্রস্থান পথ রয়েছে শুধুমাত্র এমন ময়দানকেই জনসভার অনুমতি দেওয়া যাবে। ময়দানগুলো আগে থেকে চিহ্নিত করতে হবে। একাজে সংশ্লিষ্ট জেলার কোভিড নোডাল অফিসারকে যুক্ত করতে হবে। পাশাপাশি জমায়েত কখনওই যাতে নির্ধারিত মাত্রা না ছাড়ায় সেদিকে কড়া নজর রাখতে বলা হয়েছে।

মার্চ ২৪, ২০২১
দেশ

নির্বাচনের ৭২ ঘণ্টা আগে বাইক ব়্যালিতে ‘না’ কমিশনের

নির্বাচনের ৭২ ঘণ্টা আগে বাইক ব়্যালি করা যাবে না বলে জানিয়ে দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। ভোটের দিনও চলবে না বাইক ব়্যালি । সোমবার এই মর্মে নির্দেশিকা জারি হয়েছে। নির্বাচনের আগে নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর। উল্লেখ্য, এর আগে মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক সুনীল অরোরা জানিয়েছিলেন, এবার বাইক মিছিল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। একসঙ্গে পাঁচটির বেশি বাইক এক জায়গা দিয়ে যেতে পারবে না।চার রাজ্য ও এক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে নির্বাচন শুরু হচ্ছে। আর এই নির্বাচনী প্রচারের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতম পছন্দ বাইক ব়্যালি। এমনকী, প্রার্থীর মনোনয়য় জমা করার সময় দলীয় নেতাকর্মীরা বাইক ব়্যালি করে থাকেন। কিন্তু এবার কোভিড পরিস্থিতি একাধিক নিয়মকানুন জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। এবার ব়্যালি নিয়ে কড়া পদক্ষেপ করল কমিশন। এদিন কমিশন জানিয়েছে, বেশকিছু এলাকায় দুষ্কৃতীরা বাইক ব়্যালি করছে। তারা ভোটারদের ভয় দেখাতেই ভোটের দিন এবং ভোটের আগে বাইক ব়্যালি করে। উল্লেখ্য, বাংলায় তৃণমূল ও বিজেপির কর্মীরা সমর্থকরা পাল্লা দিয়ে বাইক ব়্যালি করেছেন। এমনকী, অসমে বিজেপির প্রচার শুরু করতে হিমন্ত বিশ্বশর্মা বাইক ব়্যালি করেছে। এই ঘটনাবলির দিকে নজর রাখছিল কমিশন। এবার কড়া ব্যবস্থা নিল কমিশন।

মার্চ ২২, ২০২১
রাজনীতি

ইস্তেহারে গুচ্ছ প্রতিশ্রুতি কংগ্রেসেরও

সোমবার বাংলার নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। সেখানে রাজ্যের প্রতি পরিবারকে মাসিক মোটা অঙ্কের সরাসরি অর্থসাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কংগ্রেস। পাশাপাশি জোর দেওয়া হয়েছে নারী সুরক্ষা ও শিক্ষার উপর। এদিকে এদিন কংগ্রেসের আরও দুই প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়। বিধাননগর আসনটি থেকে কংগ্রেসের হয়ে লড়াই করছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কাটোয়া থেকে প্রার্থী হচ্ছেন প্রবীর গঙ্গোপাধ্যায়।ছত্তিশগড়ের মডেলেই বাংলায় পরিবার পিছু সরাসরি আর্থিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিল কংগ্রেস। তাদের ইস্তেহারে বলা হয়েছে, বঙ্গে কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে প্রতি পরিবারকে মাসিক ৫ হাজার ৭০০ টাকা সরাসরি অর্থ সাহায্য দেওয়া হবে। এ প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দাবি, লকডাউনের ফলে বাজারে চাহিদা কমেছে। সেই চাহিদা বাড়াতে প্রতি পরিবারের হাতে টাকা পৌঁছে দেওয়া দরকার। বারবার কেন্দ্র সরকারকে বলেও কোনও লাভ হয়নি। তাই রাজ্যে ক্ষমতায় এলে আমরাই এই ব্যবস্থা করব। যাতে মানুষের হাতে টাকার জোগান বাড়ে। ফলে বাজারের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ে। তাতে কর্মসংস্থান বাড়বে। উল্লেখ্য, বামেদের তরফে মাসিক ৯ হাজার টাকা সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের তরফে সাধারণ পরিবারকে মাসিক ৫০০ টাকা ও তপসিলি জাতি-উপজাতির পরিবারকে মাসিক হাজার টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। আর বিজেপির তরফে পরিবার পিছু সরাসরি অর্থ সাহায্যের প্রতিশ্রুতি না থাকলেও, মহিলাদের বিনামূল্য পরিবহণ, শিক্ষা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সরাসরি আর্থিক সাহায্য ছাড়াও নারী ও মহিলা সুরক্ষায় জোর দিয়েছে কংগ্রেস। প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে কর্মসংস্থান ও শিল্পের উন্নয়ন নিয়েও। এদিন অধীর জানিয়েছেন, কংগ্রেসের তরফে আন্দোলন ডট ইন নামে একটি ওয়েবসাইট চালু করা হয়েছে। যেখানে দলের সমর্থক-কর্মীরা নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি, মতামত তুলে ধরতে পারেন। রাজনৈতিক মহল বলছে, এবার নির্বাচনে বঙ্গবাসীর মন জয় করতে এবার সব দলই পরিবার পিছু সরাসরি অর্থ সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কংগ্রেসও সেই পথেই হাঁটল।

মার্চ ২২, ২০২১
রাজনীতি

বর্ধমান দক্ষিণে নির্দল ও জনংসঘের প্রার্থী, লড়াই কঠিন হতে পারে বিজেপির

বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে ইতিমধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস, বিজেপি ও সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থীরা প্রচার শুরু করে দিয়েছে। এই কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন খোকন দাস, বিজেপি প্রার্থী সন্দীপ নন্দী, সিপিএমের প্রার্থী পৃথা তা। ২০১৬ বিধানসভা ভোটে এই কেন্দ্রে তৃণমূল ব্যাপক ভোটে জয়লাভ করলেও ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে নামমাত্র ভোটের ব্যাবধানে এগিয়ে ছিল ঘাসফুল শিবির।তৃণমূল প্রার্থী ঘোষণার পর থেকে প্রচারও শুরু করে দিয়েছেন খোকন দাস। কিন্তু বর্ধমান দক্ষিণ কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণার আগে পর্যন্ত তৃণমূলের গোষ্ঠীকলহ প্রকাশ্যে দেখেছে বর্ধমানবাসী। বর্ধমান লোকো আমবাগানে দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে খোকন ঘনিষ্ঠ শিবু ঘোষকে বেধরক মারধর করা হয়েছিল। অভিযোগ উঠেছিল ওই ওয়ার্ডের প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর মহম্মদ সেলিমের বিরুদ্ধে। যদিও সেলিম ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন। ওই ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে দলবল নিয়ে বর্ধমান থানা ঘেরাও করেছিলেন তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক খোকন দাস।তাছাড়া বর্ধমানের প্রাক্তন পুর চেয়ারম্যান আইনুল হক তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর তাঁর সম্পর্কে প্রকাশ্যে ক্ষোভ জানিয়েছিলেন খোকন দাস। একসঙ্গে দল না করার ঘোষণাও করেছেন তিনি। তখন জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতিকে নিয়ে একাধিক দলীয় কর্মসূচি করেছেন আইনুল হক। এমনকী কার্জনগেটের সামনে দলের এক অনুষ্ঠানে খোকন দাসকে বিজেপির দালাল বলে স্লোগান দেন দলের একাংশ। তৃণমূল প্রার্থী ঘোষণার পর দলের একাংশকে প্রচারে দেখা যাচ্ছে না।এদিকে বিজেপি প্রার্থী নিয়েও দলের অভ্যন্তরে ক্ষোভ রয়েছে। এখনও বিজেপির একাংশ সন্দীপ নন্দীর হয়ে প্রচারে নামেননি। যদিও তাঁকে নিয়ে কারও ক্ষোভ থাকতে পারে বলে মনে করেন না বিজেপি প্রার্থী। সূত্রের খবর, বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য সুজিত ঘোষ ঘনিষ্ঠ মহলে নির্দল প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। সুজিত ঘোষের নির্দল প্রার্থী হওয়ার খবরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বর্ধমানে। পাশাপাশি বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী দিতে পারে সর্বভারতীয় জনসংঘ।অভিজ্ঞমহলের মতে, এই প্রার্থীরা তৃণমূল বা বাম-কংগ্রেসের ভোট পাবে না। গেরুয়া শিবিরের ভোট কাটার সম্ভাবনাই বেশি। গোঁজ প্রার্থী হলে বিজেপি বর্ধমান দক্ষিণ কেন্দ্রে সমস্যায় পড়তে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তবে এই কেন্দ্রে লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যেই।

মার্চ ২২, ২০২১
কলকাতা

মুখ্য প্রশাসক পদে ইস্তফা ফিরহাদের

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশের পরই তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত। পদ থেকে সরানোর আগেই কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন ফিরহাদ হাকিম। মুখ্যমন্ত্রীর সবুজ সংকেত নিয়ে শনিবার গভীর রাতে পুরসচিব খলিল আহমেদের কাছে ইস্তফাপত্র তিনি পাঠিয়ে দিয়েছেন। পুর প্রশাসক পদে কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে রাখা চলবে না। শনিবারই রাতেই এই নির্দেশ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন । আজ, রবিবার সকালেই অতীন ঘোষ, দেবাশিস কুমাররাও পদত্যাগ করেছেন। ছুটির দিন হওয়া সত্ত্বেও একইভাবে অন্যান্য পুরসভার প্রশাসকরাও ইস্তফা দেবেন বলে খবর। বিজেপির অভিযোগের জেরে শনিবার রাতে নির্বাচন কমিশন নির্দেশ দিয়েছে, ২ মে পর্যন্ত কোনও পুরসভায় রাজনৈতিক ব্যক্তিরা প্রশাসক থাকতে পারবেন না। সোমবার সকাল ১১টার মধ্যে তাঁদের সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার আগেই নিজেদের পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন পুর প্রশাসকরা।করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যের বহু পুরসভা এবং পুরনিগমের নির্বাচন সময়মতো করানো যায়নি। যার ফলে মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে প্রাক্তন পুরবোর্ডের সদস্যদের। কিন্তু নাগরিক পরিষেবা যাতে ব্যহত না হয় তা নিশ্চিত করতে অস্থায়ী ব্যবস্থা হিসেবে পুরসভার কাজ পরিচালনা করার জন্য প্রশাসকমণ্ডলী তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য সরকার। বিদায়ী মেয়র বা পুরপ্রধানদেরই সেই প্রশাসকমণ্ডলীর মাথায় বসানো হয়। বিদায়ী কাউন্সিলরদের ওই প্রশাসক বোর্ডের সদস্য হিসেবে নিয়োগ করা হয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে কলকাতা পুরনিগমের পুরপ্রশাসক পদে এতদিন অস্থায়ীভাবে নিযুক্ত ছিলেন ফিরহাদ হাকিম। একইভাবে শিলিগুড়ি পুরনিগমের পুরপ্রশাসক পদে বসানো হয়েছিল অশোক ভট্টাচার্যকে। কিন্তু ভোটের বাজারে এই অস্থায়ী ব্যবস্থা চলবে না বলে জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন।

মার্চ ২১, ২০২১
রাজনীতি

খড়গপুরের সভায় পৌঁছলেন নরেন্দ্র মোদি

অমিত শাহ ঘুরে গিয়েছেন কয়েক দিন আগেই। এ বার খড়গপুরে প্রচারে নরেন্দ্র মোদি।একদিনের ব্যবধানে ফের একবার বঙ্গে পা রাখলেন তিনি। শনিবার বেলা ১১টা নাগাদ কলাইকুণ্ডা বিমানবন্দরে পৌঁছন তিনি। সেখান থেকে গাড়িতে চেপে বেলা ১১টা বেজে ৩৫ মিনিট নাগাদ বিএনআর মাঠে পৌঁছন। বঙ্গের আসন দখল করতে অভিনেতা হিরণকে খড়গপুরে প্রার্থী করেছে বিজেপি। তাঁকে সঙ্গে নিয়ে সম্প্রতি সেখানে পদযাত্রা করে গিয়েছেন অমিত শাহ। এবার সভা করতে এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

মার্চ ২০, ২০২১
রাজনীতি

বিজেপির প্রার্থী তালিকায় ফের চমক

শেষবার ভোট দাঁড়িয়েছিলেন ২০০১ সালে। তারপর কেটে গিয়েছে দীর্ঘ ২০ টা বছর। অন্তরালে থেকেই কাজ করে গিয়েছেন। এই ২০২১এ ভোটযুদ্ধে দেখা যাবে তাঁকে। তিনি আর কেউ নন, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়। বৃহস্পতিবার বিধানসভা নির্বাচনে ১৪৮ টি কেন্দ্রের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করল গেরুয়া শিবির। তাতে একদিকে যেমন রয়েছেন একাধিক বিধায়ক, তেমনই রয়েছেন রুপোলি পর্দার নায়ক-নায়িকাও। অর্থাৎ বিজেপির প্রার্থী তালিকায় ফের চমক। ভোটযুদ্ধে কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হচ্ছেন মুকুল রায়। তাঁর মূল প্রতিপক্ষ তৃণমূলের তারকা প্রার্থী অভিনেত্রী কৌশানি মুখোপাধ্যায়। প্রার্থী হয়েই জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী একদা তৃণমূলের দক্ষ সংগঠক মুকুল রায়। এছাড়া প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন জগন্নাথ সরকারের মতো সাংসদ, সব্যসাচী দত্ত, পবন সিং, অরিন্দম ভট্টাচার্যর মতো বিধায়ক, রয়েছেন দলের দীর্ঘদিনের সক্রিয় কর্মীরা। আজকের বিজেপির ঘোষিত তালিকায় কে, কোথা থেকে লড়ছেন, দেখে নিন একঝলকে কৃষ্ণনগর উত্তর মুকুল রায় কৃষ্ণনগর দক্ষিণ মহাদেব সরকারডাবগ্রাম শিখা চট্টোপাধ্যায়ধূপগুড়ি বিষ্ণুপদ রায়ময়নাগুড়ি কৌশিক রায়মাল- মহেশ বাগেশিলিগুড়ি- শংকর ঘোষশান্তিপুর জগন্নাথ সরকারকৃষ্ণগঞ্জ আশিস বিশ্বাসরানাঘাট দক্ষিণ মুকুটমনি অধিকারীরানাঘাট উত্তর-পশ্চিম অসীম বিশ্বাসপানিহাটি সন্ময় বন্দ্যোপাধ্য়ায়ভবানীপুর রুদ্রনীল ঘোষ চৌরঙ্গি শিখা মিত্রপাণ্ডবেশ্বর জিতেন্দ্র তিওয়ারি বরানগর- পার্নো মিত্র মধ্যমগ্রাম- রাজশ্রী রাজবংশীহাবড়া রাহুল সিনহা বিধাননগর সব্যসাচী দত্ত হেমতাবাদ চাঁদিমা রায়রাজারহাট-গোপালপুর শমীক ভট্টাচার্য রাজারহাট-নিউটাউন ভাস্কর মুখোপাধ্যায়জগদ্দল অরিন্দম ভট্টাচার্যনৈহাটি ফাল্গুনী পাত্রব্যারাকপুর চন্দ্রমণি শুক্লাখড়দহ শীলভদ্র দত্তনোয়াপাড়া সুনীল সিংভাটপাড়া পবন সিংবীজপুর শুভ্রাংশু রায়কামারহাটি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়দমদম বিমলশংকর নন্দমানিকতলা কল্যাণ চৌবেআসানসোল দক্ষিণ অগ্নিমিত্রা পল বসিরহাট দক্ষিণ তারকনাথ ঘোষবর্ধমান দক্ষিণ সন্দীপ নন্দীকালনা বিশ্বজিৎ কুণ্ডুমন্তেশ্বর সৈকত পাঁজাদুর্গাপুর পূর্ব কর্নেল দীপ্তাংশু চৌধুরী

মার্চ ১৮, ২০২১
রাজনীতি

তৃণমূলের নির্বাচনী ইস্তাহারে একগুচ্ছ চমক

তৃণমূল ভবন থেকে বিধানসভা নির্বাচনের ইস্তেহার প্রকাশ করলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । কী কী প্রতিশ্রুতি রইল তৃণমূলের ইস্তেহারে, দেখে নেওয়া যাক এক নজরে: বছরে চার বার দুয়ারে সরকার। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে জাত-ধর্ম নির্বিশেষে বিধবা ভাতা। দুয়ারে দুয়ারে রেশন পৌঁছে দেওয়া হবে। দেড় কোটি পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে রেশন। বাংলার প্রতিটি পরিবারকে স্বাবলম্বী করতে ১.৬ কোটি পরিবারের কর্ত্রীকে মাসিক ৫০০ টাকা। তপসিলি পরিবারকে বছরে ১২ হাজার টাকা দেওয়া হবে। কৃষক বন্ধু প্রকল্পে ৬৮ লক্ষ কৃষককে প্রতি বছর দশ হাজার টাকা দেওয়া হবে। ছাত্রছাত্রীদের জন্য স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড। কোনও জামিনদার লাগবে না। সরকার-ই জামিনদার। ১০ লক্ষ টাকা ঋণ মিলবে মাত্র ৪ শতাংশ সুদে। মণ্ডল কমিশনের রিপোর্ট কার্যকর করতে বিশেষ টাস্ক ফোর্স। মাহিষ্য, তিলি, তামুলি, সাহা, কিষানদের ওবিসি ক্যাটাগরির অন্তর্ভুক্ত করা হবে। ১০ লক্ষ এমএসএমই ইউনিট গড়ে তোলা হবে। বড় শিল্পে ৫ লক্ষ কোটি বিনিয়োগ করা হবে। ৫ লক্ষ নতুন কর্মসংস্থান হবে। বেকারত্বের হার কমিয়ে অর্ধেক করা হবে। দারিদ্রসীমার নিচে থাকা মানুষের সংখ্যা ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হবে। ২৫ লক্ষ বাড়ি তৈরির অঙ্গীকার। ইতিমধ্যে দুয়ারে রেশন অর্থাৎ বাড়ি বাড়ি রেশন পৌঁছে দেওয়ার মতো পরিকল্পনার কথা প্রচারে গিয়ে বলেছেন মমতা। তার পাশাপাশিই রইল পিছিয়ে পড়া নানা সম্প্রদায়ের মানুষের উন্নয়নের কথা। রইল পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়কে বিশেষ স্বীকৃতি দেওয়ার অঙ্গীকারও।ইতিমধ্যে জাতিগত শংসাপত্র দেওয়া নিয়ে কড়াকড়ি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। যে কোনও মূল্যে নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে যে, জাতিগত শংসাপত্র পেতে যেন কোনও সমস্যা না হয়। তার পর থেকেই কয়েক লক্ষ শংসাপত্র দেওয়ার কাজ হয়েছে দুয়ারে সরকারের শিবিরে। এ কথা মুখ্যমন্ত্রী নিজেই জানিয়েছেন। ইস্তেহারেও এ বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বাজেটে যে প্রকল্পগুলোর কথা ঘোষণা করা হয়েছে সেগুলোও চলবে।

মার্চ ১৭, ২০২১
রাজ্য

বুথের ১০০ মিটারের মধ্যে ভোট সামলাবে আধাসেনা

ভোটকেন্দ্রের ১০০ মিটারের মধ্যে রাজ্য পুলিশের প্রবেশাধিকার নেই। পুরোটাই কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকবে। পশ্চিমবঙ্গে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় এমনই সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের। একশো মিটারের বাইরে রাজ্য পুলিশ মোতায়েন করে আইনশৃঙ্খলায় নজর রাখা হবে।অন্য রাজ্যের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গে বরাবরই ভোটদানের হার বেশি। এবার রাজ্যে কোভিড আবহে নির্বাচন হচ্ছে। ফলে বিধি মানতে গেলে এবার ভোটের লাইন আরও দীর্ঘ হবে। সে কারণেই ভোটকেন্দ্রকে মূলত দুটি অংশে ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ঠিক হয়েছে, বুথের প্রথম একশো মিটারের দায়িত্বে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। পরবর্তী একশো মিটারে ভোটের লাইন ও আইনশৃঙ্খলা দেখবে রাজ্য পুলিশ। প্রথম দফায় সব বুথকে স্পর্শকাতর হিসাবে চিহ্নিত করেছে কমিশন। জানা গিয়েছে, বুথের একশো মিটার ব্যাসার্ধের নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকবে আধাসেনার হাতে। আরও জানা গিয়েছে, রাজনৈতিক দলের অস্থায়ী বুথগুলোও এবার ২০০ মিটারের বাইরে রাখতে হবে।পশ্চিমবঙ্গের ভোটে বরাবরই পর্যাপ্ত সংখ্যক বাহিনী এলেও ঠিক মতো মোতায়েন হয় না। এব্যাপারেও এবার কড়া মনোভাব নিয়েছে কমিশন। সূত্রের খবর, জেলাগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ভোটের ৭২ ঘণ্টা আগে থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গতিবিধির ভিডিওগ্রাফি ও ফোটো কমিশনে পাঠাতে হবে। এছাড়াও এবার এসডিওর অধীনে এক কোম্পানি আধাসেনা রিজার্ভ থাকবে। যে কোনও প্রয়োজনে তাদের ব্যবহার করা হবে।এবার রাজ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক বাহিনী মোতায়েন রেখে ভোট হচ্ছে। প্রথম দফা নির্বাচনে বাহিনী মোতায়েনের এই পরিকল্পনা সাফল্য পেলে পরের দফাগুলোর জন্যও একই ব্যবস্থা রাখা হবে বলে সূত্রের খবর। রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দপ্তরের এক কর্তার কথায়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাই এবার চ্যালেঞ্জ। আর যে কোনও মূল্যে তা নিশ্চিত করতে চাইছে কমিশন। ষোলোর বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে মোতায়েন ছিল প্রায় ৭২৫ কোম্পানি বাহিনী। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে মোট ৭৪৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করেছিল কমিশন। একুশে রাজ্যে ব্যবহার করা হবে মোট ৯৫৫ কোম্পানি আধাসেনা। যা কিনা সর্বকালীন রেকর্ড। বর্তমানে রাজ্যে রয়েছে ৪৯৫ কোম্পানি বাহিনী। জানা গিয়েছে, ২৫ মার্চের আগে আসবে আরও ২১০ কোম্পানি। কমিশন সূত্রে খবর, প্রথম দফায় প্রায় এগারো হাজার বুথের নিরাপত্তার দায়িত্বে সব মিলিয়ে মোতায়েন থাকবে ৭৩২ কোম্পানি বাহিনী। শুধু বুথেই মোতায়েন রাখা হবে ৬৫৭ কোম্পানি আধাসেনা। সেক্টরের জন্য তৈরি থাকবে ১৪ কোম্পানি বাহিনী।

মার্চ ১৭, ২০২১
রাজ্য

প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল, বিধানসভা ভোটে বড় ধাক্কা তৃণমূলের

বিধানসভা নির্বাচনে বড়সড় ধাক্কা খেল তৃণমূল কংগ্রেস। পুরুলিয়ার জয়পুরের তৃণমূল প্রার্থী উজ্জ্বল কুমারের মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রাখল হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এর আগে সিঙ্গল বেঞ্চ পুনর্বিবেচনার কথা বলেছিল। সেই নির্দেশও বাতিল করেছে ডিভিশন বেঞ্চ। এর ফলে ভোট শুরু হতেই পিছিয়ে গেল তৃণমূল।জানা গিয়েছে, উজ্জ্বল কুমারের মনোনয়নে আবেদনপত্রের তারিখ ভুল ছিল। মনোনয়নে ভুল থাকায় তা বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। এর ফলে যে পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে তাতে একটি আসন বাদ দিয়েই লড়াই করতে হবে তৃণমূল কংগ্রেসকে। একেই জঙ্গলমহল এলাকায় লোকসভা নির্বাচনে সব আসনেই পরাজিত হয়েছে তৃণমূল। এই অবস্থায় প্রার্থী না থাকলে বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে লড়াই হবে বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ প্রার্থীর সঙ্গে।

মার্চ ১২, ২০২১
রাজনীতি

লোকসভায় দলনেতার দায়িত্ব থেকে সরলেন অধীর

সামনেই বঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন। তাই সংসদে সময় দিতে পারছেন না। সেই কারণে আপাতত লোকসভায় অধীররঞ্জন চৌধুরীর জায়গায় দলনেতার পদে এলেন পঞ্জাবের লুধিয়ানার সাংসদ রভনীত সিং বিট্টু। বৃহস্পতিবার কংগ্রেসের পক্ষ থেকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার জন্য বঙ্গের নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত অধীর। অন্যদিকে, নিম্নকক্ষে কংগ্রেসের ডেপুটি লিডার গৌরব গগৈও ব্যস্ত অসমের নির্বাচন নিয়ে। একইভাবে দুই চিফ হুইপ মানিক্কম টেগোর ও কে সুরেশও ব্যস্ত তামিলনাড়ু এবং কেরলের নির্বাচন নিয়ে। তাই লোকসভায় অন্যতম অফিস বেয়ারার রভনীত সিং বিট্টুকেই এই দায়িত্ব দিয়েছেন লোকসভার কংগ্রেসের দলনেতা। যেহেতু তিনি আগে থেকেই অফিস বেয়ারার রয়েছেন, তাই এই নিয়ে নতুন করে কোনও অফিসিয়াল পদক্ষেপ নেওয়ার দরকার হয়নি। শুধু ফোনে লোকসভা অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকে এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। ফলে আপাতত সংসদের এই গুরুত্বপূর্ণ পদ সামলাবেন লুধিয়ানার সাংসদ। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই প্রসঙ্গে জানানো হয়েছে, বঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ব্যস্ত থাকার কারণেই এই সিদ্ধান্ত। আর এটা করা হয়েছে অধীরের পরামর্শ মেনেই। তবে এটা একেবারেই সাময়িক সিদ্ধান্ত। বিট্টুকে নতুন দায়িত্ব দেওয়ার পর থেকেই বিভিন্নমহল থেকে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। কংগ্রেস সূত্রের খবর অনুযায়ী, তিন বারের সাংসদ বিট্টুকে দায়িত্ব দেওয়ার পিছনে আসল কারণ হল সংসদের প্রোটোকল। গত অগস্টে বিট্টুকে লোকসভায় অন্যতম হুইপ করে দলীয় প্রতিনিধি দলে নিয়ে আসা হয়।

মার্চ ১১, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 13
  • 14
  • 15
  • 16
  • 17
  • 18
  • 19
  • 20
  • 21
  • 22
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

শিশুর মাদকাশক্তি! উদ্ধারের উপায়? আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবসে আলোচনা সভা বর্ধমানের স্কুলের

প্রতি বছর ২৬ জুন আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী ও অবৈধ পাচার প্রতিরোধ দিবস পালিত হয়। এই বিশেষ দিনটি আমাদের স্মরণ করায় মাদক ব্যবহারের ফলে কি ক্ষতি হতে পারে এবং এবং অবৈধ মাদক পাচারের জন্য স্মাজের কি সমস্যা হয়। মাদক শরীর, মন এবং ভবিষ্যতকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। মাদক সেবনের ফলে যেরকম শরীরের ক্ষতি হয় ঠিক সেইভাবে মাদক সেবন একটি মানুষকে সমাজের মুল স্রোত থেকে দুরে ঠেলে সরিয়ে দিয়ে একাকী করে তুলতে পারে। মাদক সেবন মানুষকে অসুস্থ করে তোলে এবং সুখী জীবন যাপন করতে বাধা দেয়।একজন শিক্ষার্থী হিসেবে মাদক থেকে দূরে থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই মাদকের বিরুদ্ধে না বলতে হবে এবং বন্ধুদেরও মাদক থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করতে হবে। আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী উপলক্ষে আজ সিএসআর বক্স থেকে কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ে এসেছিলেন শ্রেয়া বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বয়ঃসন্ধির সময় ছাত্রছাত্রীরা প্রধানত বিদ্যালয়ে কিরকম সমস্যার মধ্যে পড়ে এবং কিভাবে তার সমাধান করা উচিত সে বিষয়ে বিসদে আলোচনা করলেন। শ্রেণিকক্ষে তথা বন্ধুবৃত্তে নানা মানসিকতার পড়ুয়া থাকে, কেউ কেউ বেশি বয়সেরও হয়। তারা নেশার মতো নানারকম ক্ষতিকর অভ্যাসের দিকে অন্যদের আকর্ষণ করে। সহপাঠীর কাছ থেকে খারাপ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাহলে উপায়?বক্তা মদ খাওয়ার বিভিন্ন ক্ষতি ব্যাখ্যা করেন - শারীরিক আর মানসিক স্তরে। এইরকম খারাপ বন্ধু যেন সীমা লঙ্ঘন না করে এটা আগে থেকে দেখা উচিত। তিনি বলেন, কেউ প্রতিরোধ না করতে পারলে তৎক্ষণাৎ তোমদের শিক্ষকদের এবিষয়ে জানানো উচিত। যদি কোনও শিশু জোরপূর্বক মাদকাসক্তির শিকার হন, তাহলে ১০৯৮ নম্বরে ফোন করে প্রথমে শিশু সুরক্ষার জন্য সহায়তা চাইতে পারে, এবং তারা তোমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করবে। ১০৯৮ নম্বরে নেশা নিয়ে সমস্যার বিষয়ে জানানো যায়। বা গুরুজনদের কাউকে অবশ্যই বলা উচিত।বর্ধমান শহরের কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক ড.সুভাষচন্দ্র দত্ত জনতার কথাকে জানান, এই জাতীয় প্রোগ্রাম আমরা সবসময়েই স্বাগত জানাই। সমাজে নেশার ক্রমবর্ধমান প্রকোপের দিকে তাকিয়ে তাদের রক্ষা করা আমাদের সবার কর্তব্য।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

অরিজিৎ সিং বর্ধমানে? শুটিংয়ের জায়গা খুঁজতে গেলেন বাংলা সিনেমার গ্রামে

মঙ্গলবার ঠিক সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ অরিজিৎ সিং এলেন পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের মৌখিড়া জমিদার বাড়ির কাছে। ঘুরে দেখলেন জেলার একমাত্র জঙ্গল মহলের কালিকাপুর রাজবাড়িও। ছবি তুললেন রাজবাড়ির পুরোহিত পিগলু ওরফে গোপাল চক্রবর্তীর সঙ্গে। তাকে নিরাপত্তাহীন জঙ্গলের বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরতে দেখে অবাক হন অনেকে। শোনা যায় সম্প্রতি অরিজিৎ সিং বোলপুরে এসেছেন এবার এলেন আউশগ্রামে হঠাৎই। জনপ্রিয় গায়ক অরিজিৎ সিং একটি নতুন ছবির শুটিংয়ের জন্য রেকি করতে এসেছেন বলে জানান চিত্রনাট্যকার, লেখক, আউশগ্রামের ভূমিপুত্র রাধামাধব মণ্ডল। তিনি আরও জানান, যে তিনি ইলামবাজার সংলগ্ন অঞ্চলে শুটিংয়ের জন্য বিভিন্ন জায়গা খুঁজছেন বেশ কয়েক দিন ধরেই। তাঁকে এদিন হঠাৎ করে আউশগ্রামের রাস্তায় দেখেই চমকে ওঠেন সকলে। যদিও তাঁর আশার বিষয়টি ছিল সম্পূর্ণ গোপনীয়।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

মুর্শিদাবাদের সীমান্ত এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশি গ্রেফতার

সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশী যুবককে গ্রেপ্তার করলো রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে রঘুনাথগঞ্জের তেঘরি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম কাইয়ুম রেজা (২৪)এবং জাহির রহমান(৩৫)। উভয়ের বাড়ি বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ। বুধবার ধৃতদের জঙ্গিপুর আদালতে পাঠায় পুলিশ। যদিও কি উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছিল ধৃতরা কিংবা কিভাবেই বা পার হয়ে এসেছে তারা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশের পক্ষ থেকে। ধৃতদের পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয়ে চিকিৎসার জন্য ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণা, গ্রেফতার দুই

অভিনব কায়দায় ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করলো বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে কয়েকজন পরিচিতের নাম বলে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার নিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছর নভেম্বর মাসের ২ তারিখে পেট্রাপোল থানার পুরাতন বনগাঁ এলাকার বাসিন্দা অমিত হালদার বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানিয়ে বলেন, অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে তার কয়েকজন পরিচিতের সুপারিশ নিয়ে তাকে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার দিতে বলেন। ঐ ব্যক্তি ফোন মারফত বলেন, তিনি ভারতে চিকিৎসা করাতে আসবেন তার জন্য টাকা প্রয়োজন এবং তাকে ধার দিতে অনুরোধ করেন, আশ্বাস দেন টাকা ফেরত দিয়ে দেবেন। অমিত বাবু তার কথায় তাকে ২১ লক্ষ টাকা ধার দেন এবং পরবর্তীতে প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অমিত বাবুর অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নেমে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত দুই প্রতারক প্রানতোষ বনিককে শিলিগুড়ি থেকে এবং বিকাশ তামাংকে দার্জিলিং এর মিরিক থেকে গতকাল গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের বুধবার ৬ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়ে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করেছে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে পুলিশ জানতে চায় এই প্রতারনার পিছনে আর কারা কারা জড়িত এবং এই প্রতারনার জাল কতদূর ছড়িয়েছে।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

পর্যটনে জোর, পূর্ব বর্ধমান জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলি তুলে ধরতে শিবির

পর্যটন শিল্পকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে একাধিক উদ্যোগ নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করতে আধুনিক পরিকাঠামো, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রচারে ঢালাও জোর দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে শুধু রাজস্ব বৃদ্ধিই নয়, বাড়ছে স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগও। রাজ্য সরকারের সাথে সাথে জেলা প্রশাসন ও নানা উদ্যোগ নিচ্ছে পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে।পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন দুদিনের প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করল। বৃহস্পতি ও শুক্রবার জেলার সদরে নিউ কালেক্টর বিল্ডিংর রাসবিহারী সভাকক্ষে এই শিবিরে যোগ দেন পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমান পর্যটন আধিকারিক ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা। বাংলার পর্যটন মানচিত্রে অবিভক্ত বর্ধমানের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলির প্রচার ও প্রসার করতেই এই আয়োজন বলে জানানো হয়। শিবিরে যোগদান করেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যটন বিভাগের অধ্যাপক মীর আব্দুল শফিক, দিলীপকুমার দাস, পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং (আইএএস)।দুদিনের শিবিরে পর্যটন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ঘিরে সার্কিট ট্যুরিজমের পরিকল্পনা নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়। এছাড়াও বাঁকুড়া, বীরভুম, পশ্চিম বর্ধমান, নদীয়ার মত লাগোয়া জেলাগুলির পর্যটন কেন্দ্রগুলির সঙ্গেও পূর্ব বর্ধমানকে কি ভাবে জোড়া যেতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়। পৌরানিক মত অনুযায়ী সারা দেশের যে সতীর ৫১টি বা ৫২টি মূল শক্তিপীঠের তালিকা পাওয়া যায় তাতে পূর্ব বর্ধমানের একাধিক শক্তিপীঠ আছে। এছাড়াও অম্বিকা কালনা ও বর্ধমান শহরে দুটি ১০৮ শিব মন্দির, বিজয় তোড়ণ (কার্জন গেট), শের আফগান, কুতুবুদ্দিন ও নুরজাহানের সমাধির মতো ঐতিহাসিক স্থানও রয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং বলেন, জেলায় এতিহাসিক গুরুত্বের অনেক পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। সেগুলি সংস্কারে উদ্যোগ করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদেরও পর্যটনে শিল্পে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্পে নতুন জোয়ার এনেছে রাজ্য সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগ। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পাহাড়, সমুদ্র, অরণ্য ও ঐতিহাসিক স্থানের আধুনিকীকরণ থেকে শুরু করে পরিবেশবান্ধব পর্যটনের উপরও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি রাজ্যের সংস্কৃতি, হস্তশিল্প এবং লোকসংগীতকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন জেলার পর্যটন শিল্পকে তুলে ধরতে ইতিমধ্যেই একটি ভিডিও তৈরি করেছে।রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন জানিয়েছেন, পর্যটন শুধু অর্থনীতির চাকা ঘোরায় না, এটি স্থানীয় সংস্কৃতি ও পরিচয়কে তুলে ধরার অন্যতম মাধ্যম। তাই আমরা একাধারে পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের যুক্ত করে পর্যটনের প্রসারে কাজ করছি।বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে গাইড প্রশিক্ষণ, হোমস্টে উন্নয়ন এবং পরিবেশবান্ধব পর্যটনের দিকে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। উত্তরবঙ্গ, সুন্দরবন, দার্জিলিং, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, বীরভুম সর্বত্র পর্যটনের নবজাগরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. শিবকালি গুপ্ত জনতার কথাকে জানান, পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সাহায্য করে। এটা যেমন কিছু মানুষের বিনোদন আবার বহু মানুষের জীবিকাতে বিরাট প্রভাব ফেলে। তিনি আরও জানান, আগে প্রত্যন্ত গ্রামে পর্যটক সেভাবে আসত না, এখন বহু বিদেশি পর্যটকও প্রত্যন্ত গ্রামে ভ্রমন করেন। তাঁরা হস্তশিল্প কিনছেন, খাবার খাচ্ছেন। সাথে গ্রামীন অর্থনীতিতে জোয়াড় আনতে সাহায্য করছেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের জেলায় পর্যটন অকর্ষনের অভাব নেই, জেলাকে ঘিরে আছে তিন তিনটে নদী (দামদর, ভাগীরথী, অজয়)। বিস্তীর্ন বনাঞ্চল, ঐতিহাসিক স্থাপত্য, হস্তশিল্প, লোকশিল্প। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের শম্ভুনাথ কলেজের ভুগোলের অধ্যাপক ড. কুনাল চক্রবর্তী বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে নানাবিধ প্রকল্প ঘোষনা করছে। রাজ্য সরকার Experience Bengal ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে। এতে বিভিন্ন সনামধন্য পর্যটন কেন্দ্রের সাথে সাথে বহু গ্রামীন পর্যটন কেন্দ্রেও মানুষের আনাগোনা বেড়েছে। তাঁর মতে পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তিনি বলেন, এই ধারা বজায় থাকলে আগামী পাঁচ বছরে বাংলার পর্যটন শিল্প দেশের অন্যতম বড় আয়ের উৎস হয়ে উঠবে।

জুন ২৫, ২০২৫
রাজ্য

পূর্ব বর্ধমানের প্রাথমিক স্কুলে মিড ডে মিলের রান্নায় বিভেদ, হিন্দু-মুসলিমদের জন্য় পৃথক ব্যবস্থা

এই বাংলার স্কুলেও যে এমন বিভাজন রয়েছে প্রাথমিক স্কুলে তা জানা ছিল প্রশাসনেরও। প্রাথমিক স্কুলের মিড ডে মিলে হিন্দু, মুসলিম ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য় পৃথক ব্যবস্থা। এখানে মিড-ডে মিলের হেঁসেল,রাঁধুনি ও রান্না করা খাবার। এই ঘটনা জানাজানি হতেই রাজ্যে তুমুল শোরগোল পড়ে গিয়েছে। নডেচড়ে বসেছে জেলা ও ব্লক প্রশাসন, স্থানীয় পঞ্চায়েত এবং প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। জেলাশাসক আয়েষা রাণী এই ঘটনা জেনে প্রশাসনিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন মহকুমা শাসকের কাছে।পূর্বস্থলীর প্রাথমিক স্কুলে মিড ডে মিল রান্নার দুজন আলাদা ধর্মাবলম্বী রাঁধুনি। পূর্বস্থলীর নাদনঘাটে কিশোরীগঞ্জ-মনমোহনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ুয়া সংখ্যা ৭২ জন। শিক্ষক ও শিক্ষিকা মিলিয়ে রয়েছেন চারজন। হিন্দু ও মুসলিম, উভয় সম্প্রদায়ের পরিবারের ছেলে মেয়েরা এই স্কুলের শ্রেণীকক্ষে একসাথে বসে শিক্ষকের কাছে পাঠ নেয়।স্কলের প্রধান শিক্ষক তাপস ঘোষ চেষ্টা করেও এই ব্য়বস্থা বন্ধ করতে পারেননি। স্কুলের রাঁধুনিদের একজন হিন্দু ,অপর জন মুসলিম । তাঁরাই জানিয়েছেন,বিদ্যালয়ে মড-ডে মিল রান্নার হেঁসেল আলাদা। হিন্দু রাঁধুনি সোনালী মজুমদার আলাদা গ্যাসের উনানে রান্না করনেন হিন্দু পরিবারের পড়ুয়াদের মিড- ডে মিল। আর অপর গ্যাসের উনানে মুসলিম রাঁধুনি গেনো বিবি রান্না করেন মুসলিম পরিবারের পড়ুয়াদের মিড -ডে মিল। শুধু আলাদা আলাদা ভাবে রান্না করাই নয়,হেসেলে দুই সম্প্রদায়ের পড়ুয়াদের মিড-ডে মিল রান্নার উপকরণ থেকে শুরু করে বাসনপত্র ,হাঁড়ি-কড়াই,খুন্তি -সেসবও আলাদা আলাদা রয়েছে। এমনকি হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের ৪৩ ও ২৯ জন পড়ুয়াকে মিড- ডে মিল খাওয়ানোও হয় আলাদা আলাদা স্থানে বসিয়ে। আজ থেকে ওই স্কুলে একসঙ্গে রান্না ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

জুন ২৫, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

কৌশিক যেন কামিন্দু! আইপিএলে দেখছেন ক্লার্ক

কৌশিক মাইতি যা পারেন তা তিনিও পারেন না। বক্তা অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক। ডব্লিউটিসি ফাইনাল বা ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজ নয়, ক্লার্ক রয়েছেন ইডেনের কমেন্ট্রি বক্সে। বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের আসরে। সে প্রসঙ্গে পরে আসছি। আগে তুলে ধরি কৌশিকে ক্লার্কের মুগ্ধতার কথা।কৌশিক মাইতি। দুই হাতেই বল করতে ও ঘোরাতে পারেন। এমনিতে ডানহাতি। তবে বাঁ হাতে ঠিক তেমন বোলিং অ্যাকশন দেখে অভিভূত ক্লার্ক। দোভাষী শ্রীবৎস গোস্বামীকে নিয়ে ক্লার্ক কথা বললেন কৌশিকের সঙ্গে। আরও পরিশ্রমের পরামর্শ দিয়ে বললেন, কৌশিক আইপিএলে খেলবেন। তাঁকে কেউ না নিলে অবাকই হবেন। স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়রা যে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগ চালু করেছেন তার সার্থকতার অন্যতম উদাহরণ ক্লার্ক-কৌশিক কথোপকথন। উল্লেখ্য, আইপিএলের ইতিহাসে দু-হাতেই বল করতে পারেন এমন একমাত্র ambidextrous বোলার কামিন্দু মেন্ডিস। শ্রীলঙ্কার এই প্লেয়ার আছেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদে। ক্লার্কের ভবিষ্যদ্বাণী মিললে, কৌশিক ভারতের প্রথম ambidextrous বোলার হিসেবে আইপিএলে জায়গা করে নিতেই পারেন, যার মঞ্চ হবে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগ।না, ইডেনে ৫০-৬০ হাজার লোক এই লিগ দেখতে আসবেন সেই ভাবনা নিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু হয়নি। দর্শক সব সময় স্বাগত, ইডেনের দ্বার অবারিত, বিনামূল্যে খেলা দেখার বন্দোবস্ত করেছে সিএবি। কিন্ত স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এই লিগ চালু করেছেন বেশ কিছু লক্ষ্য সামনে রেখে। যার প্রথম হলো, বাংলার প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের নিজেদের প্রতিভা মেলে ধরার সুযোগ করে দেওয়া। ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের আবহের মধ্যে থেকে।এই লিগকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্টার স্পোর্টস ও ফ্যানকোডে সম্প্রচার। দুর্ধর্ষ কমেন্ট্রি টিম। মাইকেল ক্লার্ক, ঝুলন গোস্বামী, মহম্মদ কাইফ, মন্টি পানেসর, চেতন শর্মা, নিখিল চোপড়া, রোহন গাভাসকর, অশোক মালহোত্রারা রয়েছেন। সঞ্চালিকাদের মধ্যে আছেন ম্যাথু হেডেনের কন্যাও। না, দেশের আর কোথাও টি২০ লিগে এমন তারকাখচিত কমেন্ট্রি টিম নেই। এর আরেকটি কারণ, তারকাদের কাছ থেকে প্রয়োজনে মূল্যবান টিপস নিয়ে সমৃদ্ধ করার সুযোগ পাচ্ছেন ক্রিকেটাররা। যে উৎসাহ কৌশিক ক্লার্কের কাছ থেকে পেলেন, তা ইডেনের প্রতিটি আসন ভর্তি থাকলেও হতো না!আইপিএল বা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিয়ম ভাঙলে যেমন শাস্তির বিধান আছে তা আছে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগেও। ক্রিকেটার বা কোচিং স্টাফদের ম্যাচ সাসপেনশন বা জরিমানা হচ্ছে। দেখা হচ্ছে না কোন নাম কত বড়। এই লিগে এমন ব্যবস্থাপনায় ক্রিকেটাররা খেলার স্পিরিট, শৃঙ্খলার বিষয়ে সজাগ থাকবেন, যাতে বড় মঞ্চে গিয়ে মানিয়ে নিতে অসুবিধা না হয়। হক আই টেকনোলজি-সহ ডিআরএস রয়েছে। এতে আম্পায়ারিংয়ের মানের উন্নতি হতে বাধ্য, হচ্ছেও। আগেরবারের তুলনায় এবার টুর্নামেন্ট এগোচ্ছে মসৃণভাবে। যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে তাতে খেলা চালানো যাচ্ছে মাঠ ঢেকে রাখা-সহ সিএবির উন্নতমানের পরিকাঠামোর জন্যেই।কথা হচ্ছিল এই লিগের শুরু থেকে জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠের কাজে ২৪x৭ নিয়োজিত সিএবির ট্যুর অ্যান্ড ফিক্সচার ও টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান সঞ্জয় দাসের সঙ্গে। তিনি আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক উল্লেখ করলেন। আইপিএল, ঘরোয়া বা আন্তর্জাতিক ম্যাচ নৈশালোকে হয়। বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগও হচ্ছে নৈশালোকে। এতে সুবিধা ক্রিকেটারদের। কারণ, সিএবির সাদা বলের সব টুর্নামেন্টের সব ম্যাচ নৈশালোকে করা সম্ভব নয়। এই লিগের খেলা দিনেও হচ্ছে, রাতেও হচ্ছে সমান তালে। ফলে নৈশালোকে খেলার অভিজ্ঞতাও বাড়ছে ক্রিকেটারদের। যা সর্বভারতীয় টুর্নামেন্ট খেলার সময় তাঁদের লাভবানই করবে।

জুন ২৫, ২০২৫
রাজ্য

বেহাল দশা রাস্তার, রাস্তায় ধান রোপন করে অবরোধ ও বিক্ষোভ বিজেপির

বাগদার নাটাবেড়িয়া থেকে নদীয়ার আইসমালি পর্যন্ত রাস্তার বেহাল দশা, রাস্তা সংস্কারের দাবিতে পাঁচপোতাতে রাস্তায় ধান রোপন করে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ বিজেপির। অবিলম্বে রাস্তা সংস্কার না করলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি বিজেপির। যান চলাচল সাময়িক বন্ধ থাকায় ভোগান্তির শিকার সাধারণ মানুষ। প্রশাসনের আশ্বাসে এক ঘন্টা পর অবরোধ তুলে নেয় অবরোধকারীরা।উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার নাটাবেড়িয়া ও নদীয়ার রানাঘাটের মধ্যে সংযোগকারী রাজ্য সড়কের আইসমালী পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশা। রাস্তার মাঝে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। যানবাহন চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। বেহাল রাস্তার কারণে প্রায় ঘটছে দুর্ঘটনা। দীর্ঘদিন রাস্তা সংস্কার করা হয়নি। সোমবার বিজেপি রাস্তা সংস্কারের দাবিতে নাটাবেরিয়া আইসমালি রাজ্য সড়কের পাঁচপোতাতে রাস্তায় ধান রোপণ করে অবরোধ শুরু করে। অবরোধকারীদের দাবি অবিলম্বে রাস্তা সংস্কার করতে হবে যতক্ষণ না পর্যন্ত প্রশাসন সংস্কারের আশ্বাস দিচ্ছে অবরোধ ততক্ষন চলবে। বিজেপি নেতা অমৃতলাল বিশ্বাস বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার করুণ দশা। মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটছে, বিপদ বাড়ছে সাধারণ পথ চলতি মানুষের। বর্তমান সরকার রাস্তা সংস্কারের কোন সদিচ্ছা দেখাচ্ছেন না। অবিলম্বে এই রাস্তা সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি, রাস্তা সংস্কার না হলে আগামীতে সমগ্র বাগদার মানুষ এখানে এসে প্রতিবাদ জানাবে।বিজেপির পথ অবরোধ শুরু হতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বাগদা পুলিশ প্রশাসন। অবরোধকারীদের সাথে কথা বলে অবরোধ তোলার চেষ্টা করা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। পরবর্তীতে বাগদা বিডিওর প্রতিনিধি এসে রাস্তা সংস্কারের আশ্বাস দিলে এক ঘন্টা পর অবরোধ তুলে নেয় বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। এই বিষয়ে ভিডিওর প্রতিনিধি হিসেবে আসা প্রশাসনিক কর্তা শুভেন্দু বিশ্বাস বলেন, বিজেপি যে দাবি রেখেছে সেই দাবি ন্যায্য দাবি। আমি বিডিও সাহেবকে ব্যক্তিগতভাবে এই বিষয়টি জানাবো। কর্তৃপক্ষ যে সিদ্ধান্ত নেবে সেই অনুযায়ী কাজ হবে।

জুন ২৩, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal