ফেব্রুয়ারী মাস শুরু হয়ে থেকেই টেরি, গোলাপ, হাগ, ভালোবাসা সহ নানা দিবস পালনের হিরিক চলছে, এবার এসে পড়ল প্যালিনড্রোম দিবস। নেটনাগরিক বৃন্দ সামাজিক মাধ্যমে আজ সকাল থেকেই মেতে উঠেছেন প্যালিনড্রোম দিবস পালনে। এই সম্পর্কিত বহু পোস্ট ঘুড়ে বেড়াচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে, অনেকেই টুইট করছেন প্যালিনড্রোম তারিখ বলে। আসুন জেনে নিই কি এই প্যালিনড্রোম?Today is 2s day and it falls on tuesday(the second day of the week)22.02.2022It is a palindrome and an ambigram, it can be read from left to right and right to left, upside down..#palindrome #palindromeday #February2022 pic.twitter.com/kaCoe7Iyh8 Harshavardhan (@Harshav69180828) February 22, 2022প্যালিন্ড্রোম হল একটি শব্দ, সংখ্যা, বাক্যাংশ বা অক্ষরের অন্যান্য ক্রম যা সামনের দিক থেকেও যা পড়ছেন, পিছনের দিক থেকেও একই। সহজ উদাহরণ কাকা, বাবা। বাংলা ভাষায় একে দ্বিমুখী শব্দ বা সংখ্যা বলা যায়। এধরনের দ্বিমুখী শব্দ বা বাক্য সাজাতে যাঁরা দক্ষ তাঁদের পেলিনড্রোমিস্ট বলা হয়ে থাকে। প্যালিনড্রোমিক লেখা প্রাচীন কিরাতার্জুনীয় কাব্যের বহু অনুচ্ছেদে দেখা যায়। এছাড়াও সংখ্যাসূচক প্যালিনড্রোম রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ছোট সংখ্যা 11/11/11 11:11 এবং দীর্ঘ সংখ্যা 02/02/2020 ব্যবহার করে তারিখ বা সময় লেখা হয়। দীর্ঘ বাক্যে প্যালিন্ড্রোমগুলির ছোট অক্ষর ও বড় অক্ষর, যতি চিহ্ন এবং শব্দের দৈর্ঘ উপেক্ষা করা হয়ে থাকে। আজকের দিনটি হল প্যালিনড্রোম ডে, 22-02-2022 . দু দিক থেকেই একই। যেমন নিধুরাম রাধুনি, সুবললাল বসু, রমাকান্ত কামার যেদিক দিয়েই পড়ুন একই।22.02.2022The Special Date today is both a #Palindrome and an #Ambigram !The Date will read the same from left to right , from right to left and Upside down .Interesting 👏🏻 Sonal Goel IAS (@sonalgoelias) February 22, 2022বাংলায় প্যালিন্ড্রোম বা উভমুখীসম শব্দ তৈরির অগ্রদূত ছিলেন দাদাঠাকুর শরৎচন্দ্র পণ্ডিত। দাদাঠাকুরই প্রথম বাঙালি যিনি বাংলায় প্যালিনড্রোম নিয়ে গবেষণা করেছেন। তাঁর জন্মসাল ১৮৮১৷ ১৮৮১ কিন্তু একটা প্যালিনড্রোমিক বছর। আর কাকতালীয়ভাবে জন্ম তারিখ বাংলায় ১২৮৮ বঙ্গাব্দের ১৩ বৈশাখ। ১৩ বৈশাখ সংখ্যায় লিখলে ১৩/১ এইভাবে লেখা হয়, এটাও একটা প্যালিনড্রোম সংখ্যা। আর দাদাঠাকুরের প্রয়াণ ও জন্ম দিন একই তারিখ ১৩ বৈশাখ। জীবন শুরু যে তারিখ দিয়ে, মৃত্যুও সেই তারিখে। দাদাঠাকুরের জীবনচক্র একটা প্যালিনড্রোম! তিনি তাঁর বিদুষক পত্রিকায় বহু প্যালিনড্রোম সৃষ্টি করে বাংলাভাষায় প্যালিনড্রোমকে দারুনভাবে সমৃদ্ধ করেছেন। কাক কাঁদে কাক কাঁ, চেনা সে ছেলে বলেছে সে নাচে, তাল বনে নেব লতা, মার কথা থাক রমা, রমা তো মামা তোমার, চার সের চা, বেনে তেল সলতে নেবে, ক্ষীর রস সর রক্ষী, কেবল ভুল বকে, দাস কোথা থাকো সদা?, নিমাই খসে সেখ ইমানি, থাক রবি কবির কথা, বিরহে রাধা নয়ন ধারা হেরবি সহ অসংখ্য অমর প্যালিন্ড্রোম তিনি সৃষ্টি করে গেছেন। তাঁর সৃর্ষ্টি কীর্তন মঞ্চ পরে পঞ্চম নর্তকী এই শব্দবন্ধটি এখনও বাংলাভাষায় সর্বাধিক জটিল ও সর্বাধিক শব্দ সমন্বিত প্যালিনড্রোম।