• ৬ পৌষ ১৪৩২, বুধবার ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

DA

রাজ্য

হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাস খু.নের ঘটনায় ১৩ জন দোষী সাব্যস্ত, রায় মঙ্গলবার

সামসেরগঞ্জের জাফরাবাদ গ্রামে হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাস খু.ন কাণ্ডে ধৃত ১৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করলো জঙ্গিপুর আদালত। চলতি বছর তাঁদের নৃশংস ভাবে খুন করা হয়। এই মামলা রায়দান করা হবে মঙ্গলবার। রায়ের দিকে নজর রয়েছে সাধারণ মানুষের।দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গিপুর আদালতে এই মামলার শুনানি চলে। ফরেনসিক রিপোর্ট, একাধিক সাক্ষী, পুলিশি তদন্ত রিপোর্ট এবং অন্যান্য তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীন আদালতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য উঠে আসে। যার ফলে মামলা গুরুত্বপূণ মোড় নেয়। চলতি বছরের ১২ ই এপ্রিল সামসেরগঞ্জের জাফরাবাদ গ্রামে খুন করা হয় হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাসকে। সেই সময় হিংত্মাক আন্দোলন চলছিল ওই মুর্শিদাবাদের এই এলাকায়। দীর্ঘ শুনানির পর অবশেষে জঙ্গিপুর আদালতে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে ১৩ জনকে। এদিন রায় ঘোষণা ও দোষী সাব্যস্ত করার ঘটনায় ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
বিদেশ

প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারে হামলার পরও অকুতোভয় কর্তৃপক্ষ, সন্ত্রাসের নিন্দার ঝড় বিশ্বের সর্বত্র

বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠল ঢাকায় প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের অফিসে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে। দেশের দুটি প্রথম সারির সংবাদপত্রের দফতরে এই হামলার অভিযোগ সামনে আসতেই তীব্র প্রতিক্রিয়া ছড়িয়েছে সাংবাদিক মহল, নাগরিক সমাজ এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলির মধ্যে। বাংলাদেশ ছাড়িয়ে নিন্দার ঝড় বয়েছে অন্যত্র।ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর বাংলাদেশে আসার পর থেকেই উত্তাল হয়ে ওঠে দেশ। পরবর্তীতে হিংসা ছড়িয়ে পরে নানা জায়গায়। নৃশংস ভাবে হিন্দু যুবক খুন থেকে সংস্কৃতি সংগঠনের ওপর হামাল। সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের ওপর ক্রমাগত হামলা চলতে থাকে।প্রাথমিক অভিযোগ অনুযায়ী, ঢাকায় অবস্থিত প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের অফিসে একদল দুষ্কৃতী হামলা চালায়। তারা অফিসে ঢুকে ভাঙচুর চালায় এবং কর্মরত সাংবাদিক ও কর্মীদের হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। আগুন লাগিয়ে দেয় এই অফিসদুটিতে। যদিও এই ঘটনায় বড় ধরনের শারীরিক ক্ষতির খবর নেই, তবে আচমকা হামলায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং কিছু সময়ের জন্য সংবাদকর্ম ব্যাহত হয়। সংবাদপত্র প্রকাশনা বন্ধ রাখতে হয়। বৃহস্পতিবার রাতে অনলাইন পোর্টালেও আর খবর আপলোড করা যায়নি।হামলার ঘটনার পরপরই বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন ও সম্পাদকীয় মহল একে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত বলে উল্লেখ করেছে। তাদের বক্তব্য, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা গণতন্ত্রের অন্যতম ভিত্তি, আর সংবাদমাধ্যমকে ভয় দেখিয়ে কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা গভীর উদ্বেগজনক। এই দুই সংবাদপত্র গোষ্ঠীও জানিয়ে দেয় তারা ভয় পায় না। খবর প্রকাশ করতে কোনও পরোয় তারা করবে না। এমনকী দফতরের সামনে মানব বন্ধন কর্মসূচি পালন করে।ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রশাসনের তরফে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারীদের চিহ্নিত করতে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের অফিসে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।এই ঘটনার পর প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের পক্ষ থেকে পৃথক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হুমকি বা হামলার মাধ্যমে সত্য প্রকাশ থামানো যাবে না। তারা দ্রুত, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে প্রশাসনের কাছে।আন্তর্জাতিক স্তরেও এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সাংবাদিক সংগঠন ও মানবাধিকার সংস্থা বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এবং মুক্ত সাংবাদিকতার পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে। প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের অফিসে হামলার ঘটনা শুধু দুটি সংবাদপত্রের ওপর আঘাত নয়, বরং বাংলাদেশের সামগ্রিক গণতান্ত্রিক পরিবেশ ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ভবিষ্যৎ নিয়েই বড় প্রশ্ন তুলে দিল। এখন দেখার, প্রশাসনিক পদক্ষেপ কতটা দ্রুত ও কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হয়।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
কলকাতা

মেসি-কাণ্ডে মানহানির অভিযোগ, লালবাজারে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের এফআইআর

লিওনেল মেসিকে ঘিরে কলকাতার সাম্প্রতিক বিতর্কে এবার আইনি মোড়। প্রকাশ্যে মানহানিকর মন্তব্যের অভিযোগ তুলে কলকাতা পুলিশের সদর দফতর লালবাজারে এফআইআর দায়ের করলেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। অভিযোগের আঙুল উঠেছে কলকাতার আর্জেন্টিনা ফ্যান ক্লাবের প্রধান তথা মেসি-ভক্ত উত্তম সাহার দিকে।সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের আইনজীবীর তরফে জানানো হয়েছে, যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মেসিকে ঘিরে যে বিতর্কিত ঘটনার সূত্রপাত, তা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে সৌরভের ভূমিকা সম্পর্কে একাধিক ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হয়েছে। এই মন্তব্যগুলিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মানহানিকর বলেই দাবি করা হয়েছে অভিযোগে।সৌরভের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠানে তিনি শুধুমাত্র একজন আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবেই উপস্থিত ছিলেন। ইভেন্টের আয়োজন বা পরিচালনার সঙ্গে তাঁর কোনও রকম সাংগঠনিক যোগ ছিল না। অনুষ্ঠানের মূল আয়োজক ছিলেন শতদ্রু দত্ত। একই অনুষ্ঠানে অভিনেতা শাহরুখ খান-সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও উপস্থিত ছিলেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, উত্তম সাহা প্রকাশ্যে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে চিটিংবাজ বলে কটাক্ষ করেন, যা প্রাক্তন অধিনায়কের সামাজিক সম্মান ও দীর্ঘদিনের ভাবমূর্তিকে গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এই কারণেই মানহানির নোটিস পাঠানোর পাশাপাশি লালবাজারে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।উল্লেখ্য, মেসিকে দেখার আশায় যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে হাজার হাজার দর্শক মোটা অঙ্কের টিকিট কেটেও শেষ পর্যন্ত হতাশ হন। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতেও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় এবং তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস পদত্যাগ করেন। পুলিশ কর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। একজন ডিসিপি সাসপেন্ড হয়েছে। এই আবহেই দেওয়া উত্তম সাহার মন্তব্যকে ঘিরে এবার আইনি পথে হাঁটলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজ্য

গাজোল মহাবিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালন, মানবিক মূল্যবোধ রক্ষা করার আহ্বান

গাজোল মহাবিদ্যালয়ে পালিত হল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস। মালদার এই মহাবিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত অধ্যাপক-অধ্যাপিকা-শিক্ষার্থী ও আমন্ত্রিত অতিথিদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানটি অত্যন্ত প্রানবন্ত হয়ে ওঠে।অনুষ্ঠানের শুরুতে অতিথিদের স্বাগত জানান গাজোল মহাবিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ। এই অনুষ্ঠানের আয়োজক কমিটির কনভেনার রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপিকা ডঃ অপর্ণা দেবনাথ মানবাধিকারের সার্বজনীনতা, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় নাগরিকদের ভূমিকা এবং তরুণ প্রজন্মের দায়িত্ব সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত পরিচয় তুলে ধরে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গাজোল মহাবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডঃ নিরঙ্কুশ চক্রবর্তী এবং বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় অধ্যাপক, অধ্যাপিকাগণ।এই অনুষ্ঠানে বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাজোল ব্লকের ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসার (বিডিও) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস (WBCS-Exe.), গাজোল থানার ইনস্পেক্টর-ইন-চার্জ অশিষ কুণ্ডু এবং ইংলিশ বাজার পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সুমালা আগরওয়ালা।সুমালা আগরওয়ালা সমাজের উন্নয়নে মানবাধিকারের ভূমিকা ব্যাখ্যা করে বলেন, মানবাধিকার সচেতনতা সমাজে সমতা, সহমর্মিতা ও মানবিকতা গড়ে তোলার অন্যতম প্রধান চাবিকাঠি। বিভিন্ন দৃষ্টান্তের মাধ্যমে তিনি তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে এসে এই মূল্যবোধ সমাজে ছড়িয়ে দিতে বলেন। বিডিও বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, মানবাধিকার কেবল একটি নথিভুক্ত অধিকার নয়, এটি মানুষের মর্যাদা বাঁচিয়ে রাখার একটি অবিচ্ছেদ্য শর্ত। সমাজের প্রতিটি স্তরে মানবিক মূল্যবোধ রক্ষা করাই আজকের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। তিনি সরকারি বিভিন্ন কল্যাণ প্রকল্পে মানবাধিকারের প্রতিফলন কীভাবে ঘটে, সে বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা করেন।অনুষ্ঠানের শেষে শিক্ষকদের পাশাপাশি কয়েকজন শিক্ষার্থীও মানবাধিকার বিষয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেন। আমন্ত্রিত অতিথিদের সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মহম্মদআকিদুল হক, ডঃ সুপার্থ ঘোষ, ডঃ অমিত প্রসাদ, সহ আয়োজক কমিটি। রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সৌজন্যে আয়োজিত এই অনুষ্ঠান শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানবাধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি সমাজকে আরও মানবিক ও ন্যায়সম্মত করে তোলার সংকল্প গ্রহণ করা হয়।

ডিসেম্বর ১১, ২০২৫
রাজ্য

সেক্সটরশন চক্রের ফাঁদে পড়েছিলেন বর্ধমান দক্ষিণের MLA খোকন দাস, তদন্ত শুরু পুলিশের

বড়সড় সাইবার প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা পেলেন বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাস। কয়েক সেকেন্ডের ভুলেই যাঁরা লক্ষ লক্ষ টাকা খুইয়ে বসেন, সেই একই সেক্সটরশন চক্রের ফাঁদে পা দিতে দিতে অল্পের জন্য বেঁচে যান তিনি। অপরিচিত একটি নম্বর থেকে আসা ভিডিও কল রিসিভ করতেই তাঁর ফোনের স্ক্রিনে ভেসে ওঠে এক মহিলার আপত্তিকর ভিডিও। মুহূর্তের মধ্যেই বিষয়টি বুঝে নিয়ে কল কেটে দেন বিধায়ক এবং তড়িঘড়ি পৌঁছে যান বর্ধমান সাইবার থানায়।সাইবার থানায় লিখিত অভিযোগ জানানোর পর শুরু হয় তদন্ত। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিধায়কের ফোনে আসা ওই ভিডিও কলটি এসেছে রাজস্থানের ভরতপুর এলাকা থেকে। টাওয়ার লোকেশন ট্রেস করেই কলকারীকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ, এবং তাকে ধরতে ইতিমধ্যেই অভিযান শুরু হয়েছে।বিধায়কের ভাষায়, প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ নানা প্রয়োজনে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সেই তালিকায় থাকে অনেক অপরিচিত নম্বরও। কয়েকদিন আগে তেমনই একটি অপরিচিত নম্বর থেকে ভিডিও কল আসে। কল ধরে মুহূর্তেই তিনি দেখেন স্ক্রিনে চলছে মহিলার নগ্ন ভিডিও। যা সাধারণত সেক্সটরশন চক্রের প্রথম ধাপ। বুঝতে পেরে তিনি সঙ্গে সঙ্গে কল কেটে দেন এবং থানায় অভিযোগ জানান।পুলিশ জানাচ্ছে, রাজস্থানের বেশ কয়েকটি সাইবার গ্যাং রাতের দিকে এলোমেলো নম্বরে ভিডিও কল করে। কল ধরলেই চালানো হয় পর্ন ভিডিও। একই সঙ্গে স্ক্রিন রেকর্ড করে ভুক্তভোগী ও মহিলার ভিডিও একসঙ্গে জুড়ে ফেক আপত্তিকর ভিডিও বানানো হয়। এরপরই শুরু হয় ব্ল্যাকমেলিং। টাকা না দিলে সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি। এই চক্রের শিকার হয়ে কেউ সম্মানের ভয়ে টাকা দেন, কেউ আবার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট পর্যন্ত খুইয়ে বসেন।তদন্তকারী এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ভিডিও কলকারীকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। তাকে ধরার প্রস্তুতি চলছে। রাজস্থানের এই সাইবার চক্রে ইতিমধ্যেই বাংলা ও অন্যান্য রাজ্যের বহু মানুষ প্রতারিত হয়েছেন। তবে বর্ধমানের এই বিধায়কের অভিযোগ দায়েরের ফলে এবার বিপাকে পড়তেই চলেছে সেক্সটরশন চক্র।

নভেম্বর ২৯, ২০২৫
রাজ্য

২০০২ সালের মৃত ভোটারের ফর্মে নিজের নাম তুলতে গিয়ে গ্রেফতার বাংলাদেশী যুবক

হুগলির ডানকুনি পৌরসভার মাথুরডাঙি এলাকায় প্রকাশ্যে ধরা পড়ল ভোটার তালিকায় ভয়ঙ্কর গণ্ডগোলের ঘটনা। ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম থাকা মৃত ব্যক্তি মহসিন খানের এনুমারেশন ফর্ম ব্যবহার করে নিজের নাম তালিকায় তুলতে চেয়েছেন বাংলাদেশি যুবক নাদিম। ২০১৫ সালে মারা যাওয়া মহসিন খানের ফর্ম নিয়েই ভোটার কার্ড বানানোর চেষ্টা এবং এসআইআর প্রক্রিয়ায় নাম অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা করেন নাদিম। ঘটনার সত্যতা জেনে মহসিন খানের আত্মীয় মইদুল খান নাদিমকে স্থানীয় বাসিন্দাদের হাতে তুলে দেন।বিষয়টি জানাজানি হতেই এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে নাদিমকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়। নাদিম দাবি করেছেন, তিনি ১৫ বছর ধরে ডানকুনিতে বসবাস করছেন। চার হাজার টাকার বিনিময়ে মৃত মহসিন খানের এনুমারেশন ফর্ম সংগ্রহ করে নিজে ছবি লাগিয়ে জমা দিয়েছেন। বর্তমানে পুলিশ এফআইআর দায়ের করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তারা খুঁজছে, এই কেলেঙ্কারিতে আর কারা জড়িত এবং কীভাবে মৃত ব্যক্তির ভোটার কার্ড ব্যবহার করে এসআইআর তালিকায় নাম তোলার চেষ্টা করা হয়েছিল।এই ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে রীতিমতো ভয় ও আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ভোটার তালিকায় অনৈতিক হস্তক্ষেপ, বিদেশি নাগরিকদের হস্তক্ষেপ এবং রাজনৈতিক প্রভাবের অভিযোগ উঠেছে। পশ্চিমবঙ্গে ফের ভোট সংক্রান্ত এ ধরনের প্র্যাকটিস নতুন রাজনৈতিক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

নভেম্বর ২৭, ২০২৫
দেশ

২০৪৭-এর ‘বিকশিত ভারত’ গড়তে কী করতে বললেন মোদি? সংবিধান দিবসে নতুন বার্তা

সংবিধান দিবসে দেশবাসীর উদ্দেশে একটি খোলা চিঠি লিখে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর মূল কথা কর্তব্য পালন করলেই অধিকার জন্ম নেয়, আর সেই কর্তব্য পালনই ভারতকে ২০৪৭ সালের মধ্যে একটি বিকশিত দেশে পরিণত করবে।বুধবার দেশবাসীকে উদ্দেশে মোদি বলেন, দেশের প্রত্যেক নাগরিকের প্রতিটি পদক্ষেপ সংবিধানকে আরও শক্তিশালী করে। জাতীয় লক্ষ্য ও স্বার্থকে সামনে রেখে এগোলে দেশ উন্নতির পথে আরও দৃঢ়ভাবে হাঁটতে পারবে। তাঁর কথায়, যদি দেশের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা থাকে, তবে কর্তব্য পালন আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ।নিজের জীবনের কথাও স্মরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, একটি দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া পরিবারে জন্ম নিয়েও তিনি আজ দেশের প্রধানমন্ত্রী আর তার পেছনে সংবিধানের শক্তি ও সুযোগই রয়েছে। বলেন, আমাদের সংবিধান মহৎ, শক্তিশালী এবং সকলের জন্য সমান সুযোগের বার্তা দেয়।মহাত্মা গান্ধীর আদর্শের কথা তুলে ধরে মোদি বলেন, অধিকার আসে কর্তব্য পালনের মধ্য দিয়েই। সামাজিক ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির ভিত্তিই হলো এই কর্তব্য। এদিন ডঃ বি আর আম্বেডকর, ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদসহ গণপরিষদের বিশিষ্ট নারী সদস্যদেরও শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী। তাঁদের দূরদর্শিতা ও চিন্তাশীলতার ফলেই ভারত পেয়েছে এই সংবিধান এমনটাই মন্তব্য করেন তিনি।এক্স পোস্টে মোদি লেখেন, দেশের সংবিধান মানুষের মর্যাদা, সাম্য ও স্বাধীনতাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়। এটি যেমন নাগরিকদের অধিকার প্রয়োগের ক্ষমতা দেয়, তেমনই কর্তব্য পালনের কথাও মনে করিয়ে দেয়। আর সেই কর্তব্যই শক্তিশালী গণতন্ত্রের ভিত্তি।সংবিধান দিবসের বার্তায় প্রধানমন্ত্রী আরও একবার স্মরণ করিয়ে দেন নাগরিকদের ভোটাধিকারের গুরুত্ব। গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে সকলে ভোট দেওয়া ও দায়িত্ব পালন করা প্রয়োজন বলেও জানান তিনি।

নভেম্বর ২৬, ২০২৫
রাজ্য

লালকেল্লা বিস্ফোরণে বাংলার যোগ! উত্তর দিনাজপুর থেকে মেডিক্যাল ছাত্র গ্রেফতার, এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য

দিল্লির লালকেল্লার বাইরে যে বিস্ফোরণ-কাণ্ড দেশজুড়ে চাঞ্চল্য তৈরি করেছে, সেই মামলায় উঠে এল বাংলার যোগ। উত্তর দিনাজপুরের সূর্যাপুর বাজার এলাকা থেকে এনআইএ শুক্রবার ভোরে গ্রেফতার করেছে হরিয়ানার আলফলাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিবিএস পড়ুয়া যাহ নিশার আলমকে। জাতীয় তদন্ত সংস্থার বিশেষ দল গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে সকালেই তাকে আটক করে। হঠাৎ এই গ্রেফতারি ঘিরে এলাকায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গেছে।পরিবার এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, যাহ নিশারের আদি বাড়ি পাঞ্জাবের লুধিয়ানায় হলেও তাঁর পৈতৃক ভিটে ডালখোলা থানার কোনাল গ্রামে। বহু বছর আগে তাঁর বাবা তৌহিদ আলম কাজের সূত্রে লুধিয়ানা গিয়ে সেখানেই স্থায়ী হন। তবুও গ্রাম-পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক আজও অটুট। কয়েক দিন আগে এক আত্মীয়ের বিয়েতে যোগ দিতে মা ও বোনকে নিয়ে কোনাল গ্রামে এসেছিলেন নিশার। কিন্তু সেই সফরেই তাঁর জীবনে নামল ঝড়বিয়ের আনন্দের মাঝেই এনআইএ তাকে তুলে নিয়ে যায়।তদন্তকারী সংস্থার সূত্রে জানা যাচ্ছে, বিস্ফোরণের তদন্তে প্রথমেই তাঁরা লুধিয়ানায় তৌহিদ আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সেখান থেকেই জানা যায় যাহ নিশার এখন উত্তর দিনাজপুরে। খবর মিলতেই দ্রুত উত্তরবঙ্গে পৌঁছে যায় এনআইএর বিশেষ দল। মোবাইল লোকেশন ট্র্যাক করেই নিশারকে চিহ্নিত করা হয় বলে দাবি। তাঁর ফোনের সিগন্যাল দেখাচ্ছিল সূর্যাপুর বাজার সংলগ্ন এলাকা। তারপরই সেখানে হানা দিয়ে তাকে আটক করা হয়। প্রথমে তাকে ইসলামপুরে জিজ্ঞাসাবাদে রাখা হয়, পরে আরও তথ্যের খোঁজে শিলিগুড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।এদিকে যাহ নিশারের গ্রেফতারির খবরে হতবাক পরিবার এবং গ্রামের মানুষ। তাঁর কাকা আবুল কাশেম বলেন, ভাইপোকে আমরা ছোটবেলা থেকেই শান্ত-স্বভাবের ছেলে হিসেবে চিনি। সে পড়াশোনা ছাড়া অন্য কোনও বিষয়েই মাথা ঘামায় না। গ্রামের লোকেরাও একই কথা বলছেনশান্ত, ভদ্র, শিক্ষিত পরিবারের ছেলে। এমন বিস্ফোরক ঘটনার সঙ্গে তার নাম জড়িয়ে যাওয়া তাদের কাছে অবিশ্বাস্য।এই গ্রেফতারি শুধু পরিবারকেই নয়, গোটা গ্রামকে নাড়িয়ে দিয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা এখনও পর্যন্ত কিছু স্পষ্ট জানায়নি, তবে তারা মনে করছে, দিল্লি বিস্ফোরণ তদন্তে যাহ নিশারের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ সূত্র হতে পারে। এখন নজর সকলেরশিলিগুড়িতে চলা জেরা থেকে কী নতুন তথ্য বেরিয়ে আসে।

নভেম্বর ১৫, ২০২৫
উৎসব

প্রাক শীতে বর্ধমান রাঙিয়ে দিল এক অন্য 'পলাশ', মহাসমারোহে শিশুদিবস পালিত বর্ধমান মডেল স্কুলে

মহাসমারোহে ও আনন্দঘন পরিবেশে আজ বর্ধমান মডেল স্কুলে পালিত হল চাচা নেহেরুর জন্মদিন যা ভারতবর্ষে শিশুদিবস হিসাবে পালিত হয়। সকাল থেকেই স্কুল প্রাঙ্গণে ছিল কচিকাঁচাদের হাসি, গান, নাচ এবং নানা আয়োজনের রঙিন ছটা। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি কথা বলা পুতুল (ভেন্ট্রিলোকুইজম), যাদু প্রদর্শনী ও শিক্ষক/শিক্ষাকর্মী বনাম ছাত্রদের ক্রিকেট ম্যাচে জমে ওঠে দিনভর উৎসবমুখরতা।দিনের মূল আকর্ষণ ছিলেন জি বাংলার মীরাক্কেল খ্যাত পলাশ অধিকারী। তাঁর অসাধারণ ভেন্ট্রিলোকুইজম পরিবেশনা শিশুদের মুগ্ধ করে দেয়। নানান মজার চরিত্র, ছাত্রদের সাথে চমৎকার কথোপকথন ও প্রাণবন্ত উপস্থাপনায় তিনি শিক্ষার্থী ও দর্শকদের মন জয় করেন। তাঁর সাথে তালে তাল মিলিয়ে ইন্দ্রজাল (যাদু) পরিবেশন করেন অম্বরীশ দাস।অনুষ্ঠানের আরেক বিশেষ পর্ব ছিল শিক্ষক/শিক্ষাকর্মী বনাম ছাত্রদের প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ। হাসি-মজা ও উচ্ছ্বাসে ভরা এই খেলায় ছাত্ররা শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের হারিয়ে জয় ছিনিয়ে নেয়।সংস্থার কর্ণধার অচিন্ত্য কুমার মণ্ডল শিশুদিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, যতদিন শিশু থাকা যায় ততদিনই মঙ্গল। বড় হলেই যত সমস্যা। তিনি আরও যোগ করেন, শিশুদের নিষ্পাপ মন ও সরলতা বজায় রেখেই তারা যেন বড় হয়ে ওঠে।তিনি বিখ্যাত কবিতার পংক্তি উদ্ধৃত করে বলেন, ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুরই অন্তরে। ছাত্রদের উদ্দেশে তিনি বলেন, তোমরা সবাই একদিন বড় হবে, তখন তোমাদের বাবা-মায়ের মতোই দায়িত্ব নিতে হবে। বর্তমান ও ভবিষ্যতের সকল শিশুর প্রতি স্নেহ, ভালোবাসা ও আশীর্বাদ জানিয়ে তিনি কামনা করেন, তারা যেন এই পৃথিবীর নতুন বাণীর অগ্রদূত হয়ে উঠতে পারে।এই বিশেষ দিন উপলক্ষে সকল ছাত্র ছাত্রী ও শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের জন্য মিষ্টিমুখের আয়োজন করা হয়। বর্ধমান মডেল স্কুলে দিনটি শেষ হয় শিশুদের হাসিখুশি মুখ, আনন্দময় মুহূর্ত এবং স্মরণীয় অভিজ্ঞতার মাধ্যমে যা নিশ্চিতভাবেই তাদের আগামী দিনের বড় হয়ে ওঠার পথে সুন্দর এক স্মৃতি হয়ে থাকবে।

নভেম্বর ১৪, ২০২৫
রাজ্য

আত্মার অনুজ্ঞা: ‘বন্দে মাতরম’-এর ১৫০ বছর পূর্তি উদযাপিত হল বর্ধমানের বিদ্যালয়ে

আজকের দিনটি ইতিহাসের এক অনন্য অধ্যায় স্মরণ করাল। ১৮৭৫ সালের ৭ নভেম্বরএক শতাব্দী ও অর্ধকাল আগে, ৩৭ বছর বয়সী এক সাহিত্যিক তাঁর অন্তরের অনুজ্ঞায় লিখে ফেলেছিলেন একটি গানবন্দে মাতরম, সুজলাং সুফলাং মলয়জশীতলাং। নৈহাটির সেই নীরব প্রেরণা থেকেই জন্ম নিয়েছিল এমন এক স্তব, যা শতবর্ষ পেরিয়েও অনুরণিত আজও ভারতবাসীর হৃদয়ে।সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, এই গানটিকে সাত বছর পরে তাঁর বিখ্যাত উপন্যাস আনন্দমঠ-এ অন্তর্ভুক্ত করেন, যা স্বাধীনতা সংগ্রামের পথে ভারতীয়দের একত্রিত করেছিল এক মহৎ আহ্বানেদেশমাতৃকার বন্দনায়। ভারত সরকার পরবর্তীতে একে জাতীয় স্তোত্রের মর্যাদা প্রদান করে।আজ, বর্ধমানের কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ে সাড়ম্বরে পালিত হল এই ঐতিহাসিক রচনার ১৫০ বছর পূর্তি।বিদ্যালয়ের প্রাত্যহিক সম্মেলনে শিক্ষক দীপ্তসুন্দর মুখোপাধ্যায় স্মরণ করালেন,কোন জাতি দেশকে মা রূপে, কোন জাতি পিতা রূপে সম্বোধন করে। বন্দে মাতরম-এর এই দুই শব্দে যে ভারতমাতার বন্দনা করা হয়েছে, তাঁর স্নেহচ্ছায়ায় ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল আসমুদ্রহিমাচল ভারতবাসী। প্রথম স্তবকটি সংস্কৃত ভাষায় রচিত হওয়ায় এটি সর্বজনগ্রাহ্য ও সর্বজনাদৃত হতে পেরেছে।বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক, রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত স্বনামধন্য শিক্ষাবিদ ড. সুভাষচন্দ্র দত্ত বলেন,বন্দে মাতরম এমন এক উচ্চারণ যা আমাদের ছোটবেলাকে দেশপ্রেমে উষ্ণ করেছিল। আজও এই উচ্চারণ আমাদের অনুপ্রাণিত করে সেই মহত্তম দেশনায়কদের দেখানো পথে এগিয়ে যেতে।উৎসব উপলক্ষে বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় দেশাত্মবোধক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, দেশপ্রেমমূলক কবিতা আবৃত্তি ও শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় সঙ্গীত অনুষ্ঠান। বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে প্রতিধ্বনিত হয় সেই অমর আহ্বানবন্দে মাতরম।

নভেম্বর ০৭, ২০২৫
রাজ্য

'চা হাতে হাঁটছিলেন, হঠাৎ পড়ে গেলেন'—এসআইআর আতঙ্কে মৃত্যু কি সত্যিই? রহস্য বাড়ছে

এসআইআর নিয়ে রাজ্যে ফের মৃত্যু নিয়ে চাঞ্চল্য। আগরপাড়া, ইলামবাজার ও পূর্ব বর্ধমানের পর এবার ডানকুনিএকই আতঙ্কের ছবি উঠে এল। ভোটার তালিকার নিবিড় পরিমার্জন, অর্থাৎ এসআইআরএর ভয়েই হৃদরোগে মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। যদিও বিজেপি পুরো অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে, বলেছেশাসকদলের রাজনৈতিক নাটক ছাড়া আর কিছুই নয়।মৃতের নাম হাসিনা বেগম, বয়স ৬০। হুগলির ডানকুনি পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা হলেও বয়সের কারণে মেয়ের বাড়িতে থাকতেন, ডানকুনিরই ২০ নম্বর ওয়ার্ডে। স্থানীয়দের দাবি, কয়েকদিন ধরেই এসআইআর নিয়ে প্রচণ্ড আতঙ্কে ছিলেন তিনি। তিন দিন আগে এলাকায় এ নিয়ে সচেতনতা বৈঠক হয়েছিল। সেই বৈঠকেও গিয়েছিলেন হাসিনা। কিন্তু বৈঠকের পরেও উদ্বেগ যেন কমেনি, বরং বাড়তেই থাকে।রবিবার সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। চা হাতে নিয়ে হাঁটছিলেন, এমন সময় মাঝরাস্তায় মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়েন। আশপাশের লোকজন তাকে ধরে বাড়িতে নিয়ে যান। কিন্তু তখনই তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন।সোমবার সকালে মৃতার বাড়িতে পৌঁছন ডানকুনি পুরসভার চেয়ারপার্সন হাসিনা শবনম। তাঁর দাবি, হাসিনার নাম ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় না থাকায় ভয় আরও বাড়ে। সেই আতঙ্কই শেষ পর্যন্ত তাঁর মৃত্যুর কারণ। তিনি বলেন, মানুষের মনে ভয় ঢুকে যাচ্ছে। আমরা বোঝানোর চেষ্টা করছি, কিন্তু আর কত প্রাণ যাবে? পাশের বাড়ির এক মহিলাও নাকি একই আতঙ্কে হৃৎরোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ, এমনটাই দাবি শবনমের।তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষও বলেন, চাপ নিতে না পেরে মৃত্যু। তালিকায় নাম না থাকা নিয়ে উদ্বেগে ছিলেন। বারবার অসুস্থ হচ্ছিলেন, শেষে হার্ট অ্যাটাক।অন্যদিকে বিজেপি নেতাদের দাবি, এসব নিছক রাজনৈতিক চক্রান্ত। বিরোধী নেতা দেবাশীষ মুখোপাধ্যায় বলেন, এসআইআর নিয়ে আতঙ্ক তৈরির চেষ্টা করছে তৃণমূল। ২০০২ সালে মমতা নিজেই এ প্রকল্পকে সমর্থন করেছিলেন। এখন রাজনীতি করছেন।এসআইআর নিয়ে রাজনীতির পারদ চড়ছে। সরকারি তালিকা নিয়ে মানুষের ভয় বাড়ছে না কি রাজনৈতিক লাভের হিসেবএই প্রশ্ন এখন ছড়িয়ে পড়ছে সাধারণের মধ্যেও।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
রাজ্য

রাসবিহারী ঘোষের জন্মভিটে সংরক্ষণ ও সংস্কারের লক্ষ্যে তাঁর পৈতৃক জমি পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসনের হাতে হস্তান্তর

বুধবার পূর্ব বর্ধমান জেলাশাসক কার্যালয়ের বিবেকানন্দ মিটিং হলে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন ও স্যার রাসবিহারী ঘোষ স্মৃতি রক্ষা কমিটির যৌথ উদ্যোগে এক ঐতিহাসিক জমি হস্তান্তর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।স্বাধীনতা সংগ্রামী, আইনজ্ঞ, সমাজসংস্কারক স্যার রাসবিহারী ঘোষের পৈতৃক জমি আনুষ্ঠানিকভাবে পুর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসনের হাতে হস্তান্তর করা হল। এদিন পূর্ব বর্ধমান জেলাশাসকের কার্যালয়ে বিবেকানন্দ মিটিং হলে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্যার রাসবিহারী ঘোষ স্মৃতি রক্ষা কমিটি জমিটি জেলাশাসক ও কালেক্টরের হাতে তুলে দেন।পূর্ব বর্ধমান জেলার জেলাশাসক শ্রীমতী আয়েশা রানি এ., আইএএস এদিন বলেন এই জমি কেবল একটি সম্পত্তি নয়, এটি জাতি গঠনের এক জীবন্ত প্রতীক। আজকের এই হস্তান্তরের মাধ্যমে স্যার রাসবিহারী ঘোষের আদর্শ ও মূল্যবোধ আগামী প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে।এছাড়াও এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলার বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ও রাসবিহারী ঘোষ স্মৃতি রক্ষা কমিটির সম্পাদক পঞ্চানন দত্ত ও সদস্যগণ। তাঁরা রাসবিহারী ঘোষের স্বাধীনতা আন্দোলনে ভূমিকা, শিক্ষার প্রসার ও সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডের কথা স্মরণ করেন। উপস্থিত ছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের সুপার শ্রী সায়ক দাস (আই পি এস), পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (পর্যটন) শ্রী প্রতীক সিং আইএএস, বর্ধমান সদর দক্ষিণ-র মহকুমাশাসক শ্রী বুদ্ধদেব পান (ডাব্লু বি সি এস, এক্সি) ও পূর্ব বর্ধমান জেলা পর্যটন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত আধিকারীক শ্রী মিলন তীর্থ সামন্ত (ডাব্লু বি সি এস, এক্সি)।স্যার রাসবিহারী ঘোষ একজন বিশিষ্ট আইনজ্ঞ ও দেশপ্রেমিক মানুষ ছিলেন। তাঁর জন্ম খণ্ডঘোষের তোরকোনা গ্রামে। অল্প বয়সেই অসাধারণ মেধার পরিচয় দিয়ে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে প্রথম এম.এ. ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীকালে ১৯০৭ সালে সুরাট অধিবেশনে তিনি কংগ্রেস পার্টির সভাপতি নির্বাচিত হন যা তাঁর রাজনৈতিক জীবনের এক ঐতিহাসিক স্বীকৃতি।শুধু রাজনীতি নয়, শিক্ষা ও সমাজকল্যাণেও তাঁর অবদান অনন্য। দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তিনি লক্ষাধিক টাকা দান করেছিলেন, যাতে আগামী প্রজন্ম জ্ঞান ও শিক্ষার আলোয় আলোকিত হতে পারে। তাঁর জীবন তাই কেবল একজন আইনজ্ঞের কৃতিত্বে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এক দেশপ্রেমিক, শিক্ষানুরাগী ও সমাজসংস্কারকের অমলিন উত্তরাধিকার হয়ে আজও সমুজ্জ্বল।ইতিহাসবিদদের মতে, স্যার রাসবিহারী ঘোষ ছিলেন প্রথম ভারতীয় যিনি ১৯০৭ সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হন। আইনজীবী হিসেবে তাঁর মেধা ও শিক্ষা প্রসারে তাঁর অসামান্য ভূমিকা তাঁকে ভারতবর্ষের ইতিহাসে অনন্য আসন দিয়েছে।পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা, হস্তান্তরিত জমিটি ব্যবহার করা হবে স্যার রাসবিহারী ঘোষের জন্মভিটে সংরক্ষণ ও সংস্কারের কাজে। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জমিটিকে ঐতিহাসিক ঐতিহ্যের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।এই অনুষ্ঠান কেবল একটি জমি হস্তান্তরের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; বরং এটি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রতি সম্মান ও ঐতিহ্য রক্ষার এক প্রতীকী পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। বর্ধমান তথা সমগ্র বাংলার সাংস্কৃতিক মানচিত্রে এ উদ্যোগ নতুন অধ্যায় রচনা করবে বলে মনে করছেন বিশিষ্টজনেরা।

সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৫
রাজ্য

'সতীদাহের নামে নারীদের যেমন চিতায় তুলত, আমরাও তেমনই অগ্নিপরীক্ষায়', কালো পোশাকে প্রতিবাদে পরীক্ষাকেন্দ্রে মেহবুবরা

কালো পোশাকে প্রতিবাদের ভাষা খুঁজে নিলেন চাকরিহারাদের একাংশ। তাঁদের মধ্যেই ছিলেন প্রাক্তন শিক্ষক মেহবুব মণ্ডল। কালো পাঞ্জাবি পরে পরীক্ষাকেন্দ্রে হাজির হলেন তিনি। বারুইপুরের বাসিন্দা মেহবুবের পরীক্ষা পড়েছে সোনারপুর বিদ্যাপীঠ স্কুলে। সকালেই রওনা দিয়ে পৌঁছে যান কেন্দ্রে। ক্ষোভ চেপে রাখেননি, সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে সোজাসুজি উগরে দেন মনের কথা। তাঁর অভিযোগ, যেভাবে সতীদাহের নামে নারীদের জোর করে চিতায় ঠেলে দেওয়া হত, কিংবা গ্যালিলিওকে চুপ করিয়ে দেওয়া হয়েছিল, রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ আর বিচার বিভাগের সহায়তায় আজ আমাদেরও ঠিক তেমনভাবেই আবার নতুন অগ্নিপরীক্ষায় ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। এর ফল কী হবে, আমরা জানি না।সেই বহুল আলোচিত প্যানেলই এর কেন্দ্রে। রাতারাতি প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক চাকরি হারিয়েছিলেন। এরপর থেকে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত হয়েছে অসংখ্য শুনানি, দরবার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চাকরি ফেরাতে না পেরে নতুন পরীক্ষাতেই বসতে হচ্ছে তাঁদের। এবার বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগ হবে ৩৫ হাজার ৭৫২ শূন্যপদে।দুই দফায় পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রথম ধাপ ৭ সেপ্টেম্বরযেখানে নবম-দশম শ্রেণির জন্য পরীক্ষা দেবে ৩ লক্ষ ১৯ হাজার ৯১৯ প্রার্থী। দ্বিতীয় ধাপ ১৪ সেপ্টেম্বরএকাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির জন্য বসবেন আরও ২ লক্ষ ৪৬ হাজার চাকরিপ্রার্থী। ফলে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে প্রায় ৫ লক্ষ ৬৫ হাজার। রাজ্যজুড়ে প্রথম দিনে ৬৩৫টি কেন্দ্রে পরীক্ষা হবে, আর দ্বিতীয় দিনে ৪৭৮টি কেন্দ্রে বসবেন পরীক্ষার্থীরা।

সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২৫
রাজ্য

এবার পুজোয় বাসেই সিকিম, দার্জিলিং কিংবা ডুয়ার্স, তাকলাগানো প্যাকেজ NBSTC-র!

আসন্ন দুর্গাপুজোয় উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম (এনবিএসটিসি) পর্যটকদের জন্য নিয়ে আসছে নতুন চমক। সবুজের পথে হাতছানি নামে একাধিক ভ্রমণ প্যাকেজ চালু করতে চলেছে সংস্থা। ফলে সিকিম, দার্জিলিং, কালিম্পং কিংবা ডুয়ার্স ঘোরার সুযোগ মিলবে অনেক কম খরচে। খাওয়াদাওয়া মিলিয়ে ভ্রমণের ব্যয় ধরা হয়েছে মাত্র ৭০০ টাকা থেকে সর্বাধিক ২৫০০ টাকার মধ্যে। বৃহস্পতিবার ময়নাগুড়িতে এমনটাই ঘোষণা করেছেন নিগমের চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায়।তিনি জানান, এক দিনের ট্যুর থেকে শুরু করে দুদিন-এক রাত কিংবা তিন দিন-দু রাতের মতো নানা রকমের প্যাকেজ সাজানো হচ্ছে। খুব শীঘ্রই চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। অনলাইন ও অফলাইন দুই পদ্ধতিতেই টিকিট বুকিংয়ের সুবিধা রাখা হবে। পাশাপাশি পর্যটক আকর্ষণে রেলস্টেশন, বাসস্ট্যান্ডে মাইকিং, লিফলেট বিলি এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্রচারের উদ্যোগও নেওয়া হচ্ছে।প্রাথমিকভাবে শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি ও কোচবিহার থেকে এই বিশেষ প্যাকেজ পরিষেবা চালানো হবে। প্রতিটি জায়গায় দুটি করে বাস থাকছে ১৬ সিট ও ২৬ সিটের। চাহিদা বাড়লে গাড়ির সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করা হবে।পর্যটন মানচিত্রে সিকিমের রাজধানী গ্যাংটক ছাড়াও থাকছে দার্জিলিং, কালিম্পং, লাভা, লোলেগাঁও, ঝালং, বিন্দু, লাটাগুড়ি, মূর্তি, গোরুমারা, জলদাপাড়া, রাজাভাতখাওয়া ও জয়ন্তী। নিগমের চেয়ারম্যানের বক্তব্য, আমাদের লক্ষ্য একটাই স্বল্প খরচে বেশি জায়গা ভ্রমণের সুযোগ করে দেওয়া। পুজোর সময় উত্তরবঙ্গের প্রতিটি জেলায় দুর্গাপুজো ঘোরার বিশেষ ব্যবস্থাও থাকবে।এই উদ্যোগে খুশি পর্যটন ব্যবসায়ীরাও। লাটাগুড়ি হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক দিব্যেন্দু দেব বলেন, খুবই ইতিবাচক পদক্ষেপ। জলপাইগুড়ি বা লাটাগুড়ি থেকে সরাসরি দার্জিলিং বা গ্যাংটক গেলে বহু পর্যটক প্রথমে ডুয়ার্স ঘুরে পাহাড়ে যেতে চাইবেন। এতে খরচ কমবে এবং ভ্রমণের অভিজ্ঞতাও বাড়বে। একইসঙ্গে তিনি দাবি করেছেন, বিহার থেকে ডুয়ার্সের সরাসরি সরকারি বাস চালু হলে আরও পর্যটক টানতে সুবিধা হবে। নিগম কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে উদ্যোগী হওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।এছাড়া মহালয়ার পরদিন থেকে চতুর্থী পর্যন্ত প্রবীণ নাগরিকদের জন্য বিশেষ পুজো পরিক্রমা চালানোর পরিকল্পনাও করছে এনবিএসটিসি। একইসঙ্গে পুজোর সময় কলকাতা-উত্তরবঙ্গ রুটে অতিরিক্ত বাস নামানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে যে ১১টি বাস প্রতিদিন চলছে, তার সঙ্গে আরও দশটি যোগ করার চেষ্টা চলছে। দীঘা রুটেও সপ্তাহে দুদিনের বদলে চার দিন বাস চালানো হবে।সার্বিকভাবে দেখা যাচ্ছে, পুজোর মরসুমে উত্তরবঙ্গের পর্যটনকে নতুন গতি দিতে একাধিক পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে এনবিএসটিসি।

সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২৫
বিদেশ

আফগানিস্তানে ভয়াবহ ভূমিকম্প, বহু মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি! ভূকম্পন ভারতেও

আফগানিস্তানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে পাকিস্তান সীমান্তের কাছে রবিবার গভীর রাতে ৬.০ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। আমেরিকার ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (USGS) এ তথ্য জানিয়েছে।ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল আফগানিস্তানের বাসাউল (Bāsawul) শহরের প্রায় ২২ মাইল উত্তর দিকে এবং এর গভীরতা ছিল ৬.২ মাইল। স্থানীয় সময় রাত ১১টা ৪৭ মিনিটে এটি অনুভূত হয়।নানগারহার জনস্বাস্থ্য বিভাগের মুখপাত্র নাকিবুল্লাহ রহিমি জানান, ভূমিকম্পে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে।প্রায় ২০ মিনিট পর একই প্রদেশে আরও একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর মাত্রা ছিল ৪.৫ এবং গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার।আমেরিকার ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার প্রকাশিত মানচিত্রে ভূমিকম্পের অবস্থান দেখানো হয়েছে।আফগানিস্তান ইউরেশীয় ও ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত হওয়ায় দেশটি প্রায়ই ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর আফগানিস্তানে ৬.৩ মাত্রার আরেকটি ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে তালেবান সরকারের হিসাব অনুযায়ী অন্তত ৪,০০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। তবে রাষ্ট্রসঙ্ঘের হিসাবে মৃত্যু হয়েছিল প্রায় ১,৫০০ জনের। এটি সাম্প্রতিক ইতিহাসে আফগানিস্তানের অন্যতম ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছিল।ইউনিসেফ জানিয়েছিল, নিহতদের মধ্যে ৯০ শতাংশের বেশি নারী ও শিশু।এর আগে ২০২২ সালের জুন মাসে আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে ৫.৯ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল, যাতে এক হাজারের বেশি মানুষ নিহত এবং দেড় হাজারের বেশি আহত হয়।

সেপ্টেম্বর ০১, ২০২৫
রাজ্য

নির্ধারিত দিনেই SSC-এর পরীক্ষা, দাগিরা সুযোগ পেলে 'ফল' ভুগবে রাজ্য, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

বেআইনি নিয়োগ-কেলেঙ্কারির কারণে দাগি (অযোগ্য) প্রার্থীরা স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) আসন্ন শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করার স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি, নিয়োগ পরীক্ষার নির্ধারিত দিন ৭ ও ১৪ সেপ্টেম্বর বজায় রেখে পরীক্ষা বাধা ছাড়াই সম্পন্ন করতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মার বেঞ্চ স্পষ্ট করে জানিয়েছে, এক জন দাগি অযোগ্য প্রার্থীও যেন পরীক্ষায় বসতে না পারে তা নিশ্চিত করা SSC কর্তৃপক্ষের প্রধান দায়িত্ব ।SSC-এর আইনজীবী জানিয়েছিলেন, প্রায় ১,৯০০ জন প্রার্থী দাগি বা অযোগ্য হিসেবে অর্ন্তভুক্ত ।সুপ্রিম কোর্ট SSC-কে এক সপ্তাহের মধ্যে (৭ দিনের মধ্যে) অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করার নির্দেশ দেয়; তা না হলে SSC-কে ফল ভোগ করতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেয়।কলকাতা হাইকোর্ট আগেই দাগি প্রার্থীদের নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়ার নির্দেশ দেন, যা upheld হয় ডিভিশন বেঞ্চের মাধ্যমে ।একই সঙ্গে এদিন আদালত জানিয়েছে, অযোগ্যদের পুনরায় সুযোগ দেওয়ার SSC ও রাজ্য সরকারের যুক্তিও দ্বিগুণ শাস্তির সমতুল্য হবে। আদালত ত আরো জানিয়েছে, সমাজে প্রতারণার জন্য কোন স্থান নেই।স্কুল সার্ভিস কমিশনের নতুন শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ ৭ ও ১৪ সেপ্টেম্বর। অন্যদিকে, এসএসসির আইনজীবী এদিন জানিয়েছেন দাগী প্রার্থীর সংখ্যা প্রায় ১,৯০০ জন।SSC-কে সেই নামের তালিকা প্রকাশ করতে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।বিধি লঙ্ঘনের ফল SSC-কে ভোগ করতে হবে বলেও এদিন স্পষ্ট ভাবে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের এই বক্তব্যের পর এসএসসি-র তরফে আইনজীবী জানিয়েছেন, সম্ভব হলে আগামীকাল অর্থাৎ শনিবারই দাগিদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হতে পারে।সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশে স্পষ্ট যে, নিয়োগে স্বচ্ছতা ও ন্যায়পরায়ণতা নিশ্চিত করতে দাগি প্রার্থীরা কোনোভাবেই পরীক্ষায় বসতে পারবে না, এবং নিয়োগ প্রক্রিয়া সময়মতো, আইনগত ও নৈতিক মানদণ্ড অনুসারে সম্পন্ন করতে হবে।

আগস্ট ২৯, ২০২৫
রাজ্য

নির্বাচন কমিশনকে তুলোধোনা মমতার, "তোমাদের পূর্বপুরুষ ব্রিটিশদের দালালি করেছে", বললেন ক্ষুব্ধ মমতা

মেয়ো রোডে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের সভায় বক্তব্য় রাখেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বক্তব্য় রাখতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি ও বামেদের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেও কংগ্রেস নিয়ে একটি বাক্যও বলেননি। মুখেই আনেননি কংগ্রেসের নাম। মমতা বলেন, একদিকে বিজেপি, আর অন্যদিকে তাদের বন্ধু বামফ্রন্ট। আমি নির্বাচন কমিশনের চেয়ারকে শ্রদ্ধা করি। বাচ্চাদের ললিপপ খাওয়া মানায়, কিন্তু বড়োরা (নির্বাচন কমিশন) পার্টির হয়ে ললিপপ খেলে সেটা মানায় না। এটাই বাংলা। কলকাতা একসময় অবিভিক্ত ভারতের রাজধানী ছিল। ব্রিটিশরা জানত, অন্য রাজ্যকে হারালেও বাংলাকে হারানো যাবে না।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, আন্দামানের সেলুলার জেলের রেপ্লিকা আলিপুরে আছে। সেলুলার জেলে গিয়ে দেখা যাবে স্বাধীনতা সংগ্রামে ৯০% ছিলেন বাঙালি, ১০% পাঞ্জাবি। আজকাল টাকাওয়ালা ছবি বানাচ্ছে বাংলাকে বদনাম করতে। ক্ষুদিরাম বসুকে ক্ষুদিরাম সিং বলা হয়েছে। আমি নথি দেখিয়ে ভুলটা ধরিয়ে দিয়েছি। উনি ছিলেন ক্ষুদিরাম বসু। যখন তাঁকে ফাঁসি দেওয়া হচ্ছিল, তখন কোথায় ছিলে? তোমাদের পূর্বপুরুষ ব্রিটিশদের দালালি করেছে।বাংলা ভাষা ও বাঙালির ওর নির্যাতন নিয়েও এদিন ফের তোপ দেগেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে, জয় হিন্দ স্লোগান দিয়েছিলেন নেতাজি। দুঃখের বিষয় আমরা তাঁর মৃত্যুর দিন জানি না। কেরালার সিপিএম সরকার পড়াচ্ছে নেতাজি ভয়ে পালিয়েছিলেন। এটা লজ্জাজনক। বন্দে মাতরম স্লোগান দিয়েছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। জাতীয় সঙ্গীত লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। যদি বলো বাংলা ভাষা নেই, তাহলে কীভাবে জন-গণ-মন হল জাতীয় সঙ্গীত আর বন্দে মাতরম হল জাতীয় গান?নির্বাচন কমিশনকে এদিন তুলোধোনা করেছেন মমতা। তাঁরা পার্টির ললিপপ খাচ্ছে বলেও কটাক্ষ করেছেন। তিনি বলেন, এটা একটা ললিপপ সরকার। এরা বিডিও, এসডিও, ডিএম আর পুলিশকে ভয় দেখাচ্ছেচাকরি কেড়ে নেবে বা জেলে দেবে বলে। নির্বাচন কমিশন আসে আর যায়, কিন্তু রাজ্য সরকার থাকে। কমিশনের আয়ু মাত্র তিন মাস। যেমন আমাদের আছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, আমরা জানি তোমাদের আছে দুর্নীতি ভাণ্ডার! ওরা বলে বংশ পরম্পরা। তাহলে অমিত শাহর ছেলে যিনি আইসিসি প্রেসিডেন্ট, সেটা কী? এটা কি বংশপরম্পরা নয়? ওদের পরিবারের কতজন বিভিন্ন রাজ্যে আমলাতান্ত্রিক পদে বসে আছে, সেটা জিজ্ঞেস করো! আমরা ললিপপ দিই না, আমরা গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করি।

আগস্ট ২৮, ২০২৫
রাজ্য

১৯৪৭-এ এক টাকায় মিলত সপ্তাহের বাজার, সোনার দাম কত ছিল জানেন?

১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছিল ভারত। তখন এক টাকার মূল্য ছিল অপরিসীমযা দিয়ে মিলত সপ্তাহের বাজার। ১ টাকা দিয়ে ১-২ কেজি গম, হাফ কেজি ঘি বা এক সপ্তাহের শাকসবজি কিনে নেওয়া যেত অনায়াসে। চাল ছিল ১২ পয়সা, ময়দা ১০ পয়সা, ডাল ২০ পয়সা ও চিনি ৪০ পয়সা প্রতি কেজি। ঘি মিলত ৭৫ পয়সায়।সেই সময় একটি সাইকেলের দাম ছিল মাত্র ২০ টাকা, যা এখন প্রায় ১০-১২ হাজার টাকা। সোনা ছিল আরও সস্তা১৯৪৭ সালে ১০ গ্রাম সোনার দাম ছিল ৮৮.৬২ টাকা, যা এখন এক লক্ষ টাকারও বেশি। পেট্রোলের দাম ছিল মাত্র ২৭ পয়সা, আর আজ তা প্রায় ১০৫ টাকা।তৎকালীন দিল্লি-মুম্বই বিমান ভাড়া ছিল ১৪০ টাকা এবং একমাত্র এয়ার ইন্ডিয়াই বিমান পরিষেবা দিত। গত ৭৯ বছরে পণ্য ও পরিষেবার দাম আকাশছোঁয়া হলেও সেই সময়ের এক টাকার কেনাকাটার স্মৃতি আজও বিস্ময় জাগায়।

আগস্ট ১৫, ২০২৫
দেশ

রক্ত ও জল একসঙ্গে নয়, স্বাধীনতা দিবসে ফের মোদীর আগুনে হুঙ্কার

আজ দেশের ৭৯তম স্বাধীনতা দিবসে রাজধানী দিল্লির লালকেল্লা থেকে দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে তেরঙ্গা উত্তোলন ও জাতীয় সঙ্গীতের পর তিনি ভাষণ শুরু করেন। এদিন তিনি স্পষ্ট বার্তা দেনভারত আর কোনওভাবেই পারমাণবিক হুমকি বা ব্ল্যাকমেলিং সহ্য করবে না।অপারেশন সিঁদুরে অংশ নেওয়া সেনাদের স্যালুট জানিয়ে মোদী বলেন, সাহসী জওয়ানরা শত্রুকে কল্পনার বাইরে শাস্তি দিয়েছে। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দিল্লিজুড়ে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে; ১০ হাজারের বেশি নিরাপত্তাকর্মী ও ৩ হাজার ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন হয়েছে।জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে মোদী বলেন, প্রতিটি ঘরে তেরঙ্গা উড়ছেহোক তা মরুভূমি, হিমালয়, সমুদ্রতট বা শহর। তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আত্মত্যাগকে কুর্নিশ জানান এবং ১৪০ কোটি মানুষের সম্মিলিত সংকল্পকে দেশের গর্ব বলে উল্লেখ করেন।কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও স্বাধীনতা দিবসে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শহিদদের আত্মত্যাগকে স্মরণ করেন।

আগস্ট ১৫, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

জনতার কথার খবরের জের! দুর্নীতিতে নো-টলারেন্স সিএবির, পদে থাকাকালীন সাসপেন্ড যুগ্ম সচিব দেবব্রত

অর্থের বিনিময়ে খেলানো এবং প্রতিশ্রুতিভঙ্গের অভিযোগে বিদ্ধ হয়েছিলেন সিএবির যুগ্ম সচিব দেবব্রত দাস। তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে আরও আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। বিষয়টি সবার আগে তুলে ধরে জনতার কথা। দেবু-র কীর্তি একাধিকবার আমরা তুলে ধরেছি। অ্যাপেক্স কাউন্সিল ও ওম্বুডসম্যানের কাছে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে না পারায় এবার সাসপেন্ড হলেন দেবব্রত। ২৩ অগাস্ট ওম্বুডসম্যানের শুনানি আপাতত ভরসা কলঙ্কিত দেবব্রতর। সিএবিতে কয়েক লক্ষ টাকা যে বকেয়া রেখেছেন, তাও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মেটাতে হবে দেবব্রতকে। সিএবির ইতিহাসে এই প্রথমবার কোনও শীর্ষ পদাধিকারী বা অফিস বেয়ারার সাসপেন্ড হলেন। সিএবি যে দুর্নীতির প্রশ্নে নো-টলারেন্স নীতি মেনে চলছে, সব কিছুতে স্বচ্ছতা বজায় রেখে তা ফের একবার প্রমাণিত হলো।দেবব্রত ইডেন ছাড়ার সময় জগমোহন ডালমিয়া, দেব-দেবীর ছবি ও ডায়েরি নিয়ে বাড়ির পথ ধরলেন। বললেন, এগুলো সিএবির নয়, আমার। এক পক্ষে থাকায় রাজনীতির শিকার হলাম। উল্লেখ্য, দেবব্রতর পুত্র দেবানিক নিজেই বাবার কৃতকর্মে বিতৃষ্ণা পোষণ করেন। দেবব্রত বললেন, ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক রাখব না। আর মিলমিশ সম্ভব নয়। আমি কয়েকদিনের মধ্যেই সাংবাদিকদের ডেকে বিস্ফোরক তথ্য সামনে আনব। আর মাঠ করব না। জনতার কথার খবরে তাঁর যে ঝাল লেগেছে সেটাও বোঝা গেল। জনতার কথা প্রতিনিধি দেবব্রতর প্রতিক্রিয়া নিতে গেলে তিনি বলেন, নমস্কার! কিছু বললেই তুমি তো উল্টো লিখবে। (যদিও পাঠকদের আশ্বস্ত করা হচ্ছে, দেবব্রতর বিরুদ্ধে যা অভিযোগ ছিল তা হুবহু তুলে ধরা হয়। তা যে সঠিক ছিল তা যেমন ভুল প্রমাণ করতে পারেননি দেবব্রত, তেমন জনতার কথা তাঁর সম্পর্কে উল্টো লিখেছে সেটার প্রমাণ দিতে পারবেন না কলঙ্কিত দেবব্রত)।অ্যাপেক্স কাউন্সিলের আরেক অভিযুক্ত সদস্য তথা প্রাক্তন পুলিশ-কর্তা মহাদেব চক্রবর্তীকে আজ অ্যাপেক্স কাউন্সিলের বৈঠকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। সূত্রের খবর, তিনি অ্যাপেক্স কাউন্সিল বা ওম্বুডসম্যানের কাছে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারেননি। তবে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। সিএবি আগেই ক্যাভিয়েট করে রেখেছিল। ফলে এই বিষয়ে আদালতে শুনানি হবে।সিএবির বার্ষিক সাধারণ সভা ২০ নয়, ২২ সেপ্টেম্বর হবে বলে ঠিক হয়েছে এদিনের সভায়। সিএবির সাব কমিটির সদস্য অম্বরীশ মিত্রর নামে ফের চিঠি জমা পড়েছে এদিন। অ্যাপেক্স কাউন্সিলের বৈঠকের আগেই মেল আসে। আগে এক আইনজীবী যে অভিযোগগুলি করেও প্রত্যাহার করেছিলেন, এদিন অম্বরীশের বিরুদ্ধে সেই এক অভিযোগ তুলে আরেক আইনজীবী চিঠি পাঠান। বিষয়টি ওম্বুডসম্যানের কাছে পাঠিয়েছে অ্যাপেক্স কাউন্সিল।ইডেনে ১৩ ডিসেম্বর লিওনেল মেসিকে একে একটি অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য সিএবি নির্ধারিত অর্থ মেটাতে আয়োজকরা রাজি হলে তবেই সেনাবাহিনীর কাছে অনুমতির জন্য বিষয়টি পাঠানো হবে বলে স্থির হয়েছে অ্যাপেক্স কাউন্সিলের বৈঠকে।

আগস্ট ১৪, ২০২৫
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • 10
  • ...
  • 23
  • 24
  • ›

ট্রেন্ডিং

কলকাতা

বাংলাদেশে হিন্দু খুনের প্রতিবাদে উত্তাল কলকাতা, বাংলা হাইকমিশনের সামনে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের বিক্ষোভ, ধুন্ধুমার

কলকাতার রাজপথ উত্তপ্ত হয়ে উঠল মঙ্গলবার। বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের সামনে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের বিক্ষোভ ঘিরে চরম উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতেই পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এই ঘটনায় একাধিক বিক্ষোভকারী আহত এবং কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।বিক্ষোভকারীদের দাবি, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন-সহ একাধিক ইস্যুতে প্রতিবাদ জানাতেই এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সম্প্রতি দীপুচন্দ্র দাসকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে নৃংশস ভাবে হত্যা করে বাংলাদেশের মৌলবাদীরা। তাঁকে মারধর করে পোস্টে বেঁধে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তী বাংলাদেশ পুলিশ স্বীকার করে দীপু কোনওরকম সাম্প্রদায়িক কথা বলেনি। সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। এমনকী বাংলাদেশ পুলিশ তাঁকে না রক্ষা করে হত্যাকারীদের হাতে তুলে দেয় বলে অভিযোগ।বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর অত্য়াচারের প্রতিবাদেই এদিন সকাল থেকেই বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কর্মী-সমর্থকরা হাইকমিশনের সামনে জমায়েত হতে শুরু করেন। প্রথমদিকে পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। বেগবাগান এলাকায় একাধিক পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যায় বিক্ষোভকারীরা।পুলিশ সূত্রে খবর, বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ ব্যারিকেড ভেঙে হাইকমিশনের মূল গেটের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। বারবার মাইকে সতর্কবার্তা দিয়ে জমায়েত ছত্রভঙ্গ করার নির্দেশ দেওয়া হলেও তা অমান্য করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর ধস্তাধস্তি শুরু হলে পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।কূটনৈতিক স্থাপনার নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কায় পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এতে কয়েকজন বিক্ষোভকারী আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে একাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। লাঠিচার্জের পর পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ এবং মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত বাহিনী। সাময়িকভাবে যান চলাচলও ব্যাহত হয়।পুলিশ আধিকারিকদের দাবি, বিদেশি কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তা রক্ষা করা প্রশাসনের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে আরও অবনতি না ঘটে, সেই কারণেই কঠোর পদক্ষেপ নিতে হয়েছে। অন্যদিকে, বিক্ষোভকারী সংগঠনগুলির বক্তব্য, তাঁদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করা হয়েছে। পুলিশের লাঠিচার্জের নিন্দা জানিয়ে তাঁরা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

ডিসেম্বর ২৩, ২০২৫
রাজ্য

হাঁসখালি কাণ্ডে তৃণমূল নেতার ছেলে সহ তিনজনের যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা আদালতের

নদিয়ার হাঁসখালি গণধর্ষণ, খুন ও প্রমান লোপাটের ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ রায় ঘোষণা করে আদালত। গতকাল, সোমবার মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতা সহ মোট ৯ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। দোষ প্রমাণিত হওয়ার পর আজ রাণাঘাট আদালত অভিযুক্তদের সাজা ঘোষণা করে। মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার ছেলে ব্রজ গয়ালী, প্রভাকর পোদ্দার ও রঞ্জিত মল্লিক তিনজনকে যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করা হয়েছে। বাকিদের সাজাও ঘোষণা করেছে আদালত। তৎকালীন পঞ্চায়েত সদস্য সমরেন্দ্র গয়ালীর পাঁচ বছর কারবাসের সাজা হয়েছে।আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় অভিযুক্তদের প্রত্যক্ষ ভূমিকা, প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য এবং তদন্তকারী সংস্থার পেশ করা নথি ও তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতেই এই রায় দেওয়া হয়েছে। মামলায় সরকারি কৌঁসুলি সওয়ালে জানান, অভিযুক্তরা পরিকল্পিতভাবে অপরাধে যুক্ত ছিল এবং তা প্রমাণ করতে পর্যাপ্ত তথ্য আদালতের সামনে তুলে ধরা হয়েছে। পুলিশ প্রথমে গ্রেফতার করেছিল ২ জনকে। তারপর হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলার তদন্তভার হাতে যায় সিবিআইয়ের ওপর।রায় ঘোষণার সময় আদালত চত্বরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। রায় শোনার পর দোষী সাব্যস্ত হওয়া অভিযুক্তদের সংশোধনাগারে পাঠানো হয়। আদালতের এই সিদ্ধান্তে হাঁসখালি সহ গোটা নদিয়া জেলায় রাজনৈতিক মহলে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। এই মামলাকে ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক চলছিল। বিরোধী দলগুলির অভিযোগ ছিল, অভিযুক্তদের মধ্যে শাসকদলের নেতা থাকায় তদন্ত প্রক্রিয়ায় প্রভাব খাটানোর চেষ্টা হয়েছে। উচ্চতর আদালতে যাবেন বলে আসামী পক্ষের আইনজীবী জানিয়েছেন।

ডিসেম্বর ২৩, ২০২৫
রাজ্য

হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাস খু.নের ঘটনায় ১৩ জন দোষী সাব্যস্ত, রায় মঙ্গলবার

সামসেরগঞ্জের জাফরাবাদ গ্রামে হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাস খু.ন কাণ্ডে ধৃত ১৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করলো জঙ্গিপুর আদালত। চলতি বছর তাঁদের নৃশংস ভাবে খুন করা হয়। এই মামলা রায়দান করা হবে মঙ্গলবার। রায়ের দিকে নজর রয়েছে সাধারণ মানুষের।দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গিপুর আদালতে এই মামলার শুনানি চলে। ফরেনসিক রিপোর্ট, একাধিক সাক্ষী, পুলিশি তদন্ত রিপোর্ট এবং অন্যান্য তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীন আদালতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য উঠে আসে। যার ফলে মামলা গুরুত্বপূণ মোড় নেয়। চলতি বছরের ১২ ই এপ্রিল সামসেরগঞ্জের জাফরাবাদ গ্রামে খুন করা হয় হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাসকে। সেই সময় হিংত্মাক আন্দোলন চলছিল ওই মুর্শিদাবাদের এই এলাকায়। দীর্ঘ শুনানির পর অবশেষে জঙ্গিপুর আদালতে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে ১৩ জনকে। এদিন রায় ঘোষণা ও দোষী সাব্যস্ত করার ঘটনায় ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজনীতি

হুমায়ুন কবীরের নতুন দল ‘জেইপি’, মঞ্চ থেকেই একের পর এক হুঁশিয়ারি, ব্রিগেডে জনসভা জানুয়ারিতে

মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা খাগারুপাড়া মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করল হুমায়ুন কবীরের নতুন রাজনৈতিক দল জে ইউ পি (JUP)। দল গঠনের সঙ্গে সঙ্গেই সভাপতি হিসেবে নিজের নাম ঘোষণা করেন হুমায়ুন কবীর। সভার মঞ্চ থেকেই আগামী বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে একের পর এক বড় রাজনৈতিক ঘোষণা করেন তিনি।হুমায়ুন কবীর জানান, জেইউপি দলের হয়ে তিনি বেলডাঙা ও রেজিনগর, এই দুই বিধানসভা কেন্দ্রেই প্রার্থী হবেন এবং ৩০ হাজার ভোটে দুটি আসনেই জয়লাভ করবেন। পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ জেলার আরও ছয়টি বিধানসভা আসনে দলের প্রার্থী ঘোষণা করেন তিনি।সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি আক্রমণ করে হুমায়ুন কবীর বলেন, আপনি সাড়ে সাত লক্ষ কোটি টাকার ঋণের বোঝা বাংলার মানুষের মাথায় চাপিয়েছেন। এর জবাব ২০২৬ সালে বাংলার মানুষ দেবে।কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ব্রিগেডে সভা করব। ফিরহাদ হাকিম বেশি বাড়াবাড়ি করলে ব্রিগেড থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ নিয়ে মেয়র অফিস ঘেরাও করা হবে।সভায় উপস্থিত কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে হুমায়ুন কবীর বলেন, আজ যারা এখানে এসেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে যদি মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়, জেলায় হলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ডেপুটেশন, জেলার বাইরে হলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে থানার ইট খুলে নেব।তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করে হুমায়ুন কবীর ঘোষণা করেন, মুর্শিদাবাদ থেকে তৃণমূলকে নিশ্চিহ্ন করে দেব।একই সঙ্গে বিজেপিকেও সতর্ক করে তিনি বলেন, বিধানসভা থেকে মুসলিম বিধায়কদের চ্যাদোলা করে বাইরে ফেলবে, এমন স্বপ্ন দেখবেন না। বিরোধী দলনেতাকেও আক্রমণ করে বলেন, ২০০টি আসনে প্রার্থী দিলে ১০০টি আসন জিতব, তার মধ্যে ২০ জন হিন্দু বিধায়ক থাকবেন।মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হুমায়ুন কবীর বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যদি আপনার সৎ সাহস থাকে, তাহলে আপনার প্রিয় চ্যানেলে বসুন, আমার মুখোমুখি। সেদিন বাংলার মানুষ দেখবে আপনার মিথ্যাচার।সভা শেষে তিনি আগামী দিনের কর্মসূচিও ঘোষণা করেন৪ জানুয়ারি: ডোমকল জনকল্যাণ মাঠে জনসভা৫ জানুয়ারি: হরিহরপাড়া এলাকার একটি মাঠে জনসভাএদিনের সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে বহু কর্মী-সমর্থক জে ইউ পি দলে যোগদান করেন, যা দলটির ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের ইঙ্গিত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজ্য

ভোটের আগে তৃণমূলে বড় ধাক্কা, আজ নতুন দল ঘোষণা হুমায়ুন কবিরের

বঙ্গ রাজ্য রাজনীতিতে আজ, সোমবার নয়া জল্পনা ও চমক। সাসপেন্ড তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর আগামিকাল মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গায় আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা করতে চলেছেন। বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে তাঁর এই পদক্ষেপ ঘিরে জেলা ও রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়েছে তীব্র আলোচনা।জানা গিয়েছে, বেলডাঙ্গায় আয়োজিত ওই জনসভা থেকেই নতুন দলের নাম, প্রতীক ও রাজনৈতিক রূপরেখা প্রকাশ করবেন হুমায়ুন কবির। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বের সঙ্গে মতবিরোধে জড়িয়েছিলেন। দলবিরোধী মন্তব্য ও কার্যকলাপের অভিযোগে তাঁকে দল সাসপেন্ড করে। সেই ঘটনার পর থেকেই আলাদা রাজনৈতিক পথ নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে আসছিলেন তিনি। পাশাপাশি নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা করবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছিলেন হুমায়ুন।হুমায়ুন কবিরের নতুন দলে কারা কারা যোগ দেবেন, তৃণমূল বা অন্য দল থেকে কোনও পরিচিত মুখ তাঁর সঙ্গে থাকবেন কি না, এই প্রশ্নগুলো ঘিরেই রাজনৈতিক মহলে কৌতূহল তুঙ্গে। বিশেষ করে মুর্শিদাবাদ জেলার রাজনীতিতে তাঁর প্রভাব বিবেচনা করলে, এই নতুন দলের আত্মপ্রকাশ স্থানীয় রাজনৈতিক সমীকরণে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্ব বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য না করলেও পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে বিজেপি ও অন্যান্য বিরোধী দলও হুমায়ুন কবিরের ঘোষণার দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখছে।গত ৬ ডিসেম্বর হুমায়ুন বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করেছেন। তারপর থেকে নতুন দল গঠনের জন্য প্রস্তুতি বৈঠকও সেরেছেন। ভোটের আগে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ কতটা প্রভাব ফেলতে পারে, তা অনেকটাই নির্ভর করবে হুমায়ুন কবিরের সংগঠিনক শক্তি ও জনসমর্থনের উপর। আগামিকালের বেলডাঙ্গার সভা থেকেই স্পষ্ট হবে, এই নতুন দল রাজ্য রাজনীতিতে কতটা তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। তবে বঙ্গ রাজনীতিতে ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনে নবাবের মুর্শিদাবাদ যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে তাঁর ঈঙ্গত রয়েছে।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজ্য

নরেন্দ্র মোদীর পর এবার রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ, ৩০ ডিসেম্বর বৈঠক করবেন নেতৃত্বের সঙ্গে

একদিন আগেই রাজ্যে এসেছিলেন বিজেপির পোস্টারবয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আগামী ৩০ডিসেম্বর বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে তিনি বৈঠক করবেন। ওই বৈঠকে আগামী ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের কৌশল রচনা করবেন। তারপর সাংবাদিক বৈঠক করবেন অমিত শাহ। যদিও তাঁর এই বঙ্গসফরকে পাত্তা দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁদের বক্তব্য, বাংলায় নরেন্দ্র মোদী হোক বা অমিত ষশাহ হোক, এঁরা কেউ এখানে বিজেপির জয় এনে দিতে পারবেন না। আগেও নির্বাচনের আগে বারে বারে এসেছেন এবারও আসবেন। তবে ব্যর্থ হবেন বলেই দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
রাজনীতি

বর্ধমানে পৌঁছল বিহারের ৫৫টি বাইক, উদ্দেশ্য ঘিরে তৃণমূল–বিজেপি সংঘাত তুঙ্গে

রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতির মধ্যেই পূর্ব বর্ধমানে শুরু হয়ে গেল রাজনৈতিক চাপানউতোর। শনিবার বিহারের নম্বর প্লেটযুক্ত ৫৫টি পুরনো মোটরবাইক বর্ধমান জেলা বিজেপি দলীয় অফিসের ঠিকানায় এসে পৌঁছানোকে ঘিরে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বাইকগুলি ট্রেন থেকে নামিয়ে বর্ধমান রেল স্টেশনের ইস্টার্ন রেলওয়ের পার্সেল অফিসের সামনে রাখা হয়।এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাস। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দলের একাধিক নেতা ও কর্মী। বর্ধমান রেল স্টেশনে পার্সেল অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে তৃণমূল। বাইকগুলির মালিকানা, পরিবহণ সংক্রান্ত নথি এবং কেন শুধুমাত্র বিজেপির বর্ধমান জেলা অফিসের ঠিকানায় এই বাইক পাঠানো হয়েছে। তা প্রকাশ্যে আনার দাবি তোলেন বিধায়ক।বিক্ষোভে অংশ নেওয়া তৃণমূল নেতাদের অভিযোগ, বিহারের রাজেন্দ্রনগর থেকে সুনীল গুপ্তা নামের এক ব্যক্তির নামে এই ৫৫টি বাইক পাঠানো হয়েছে। তাঁদের দাবি, বিধানসভা ভোটের আগে পরিকল্পিতভাবেই বাইকগুলি রাজ্যে ঢোকানো হচ্ছে। তৃণমূল নেতৃত্বের আশঙ্কা, আগামী দিনে এই বাইক ব্যবহার করে বাইরের লোকজন বা দুষ্কৃতীদের রাজ্যে ঢোকানোর চেষ্টা হতে পারে। জানা গিয়েছে, এই ৫৫টি নয়, ২৩ জেলা মিলিয়ে প্রায় ৬০০০ মোটর বাইক আসার কথা।বিধায়ক খোকন দাস স্পষ্ট ভাষায় জানান, এতগুলো বাইক বিহার থেকে কী উদ্দেশ্যে বাংলায় আনা হয়েছে, তা পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। ভোটের আগে এই বাইক ব্যবহার করে রাজ্যে অশান্তি ছড়ানোর পরিকল্পনা থাকতে পারে। একই সঙ্গে তিনি রেল ও জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেন। দলের বর্ধমান শহর সভাপতি তন্ময় সিংহ রায়ও বাইকগুলির সম্পূর্ণ তথ্য জনসমক্ষে আনার দাবি জানান। তাঁর বক্তব্য, রেল কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি জেলা ও রাজ্য প্রশাসনকে এই পরিবহণের বিস্তারিত জানাতে হবে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রয়োজনীয় নথি প্রকাশ না হলে বাইকগুলি পার্সেল অফিস থেকে ছাড়তে দেওয়া হবে না।অন্যদিকে, তৃণমূলের সব অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে বিজেপি। জেলা বিজেপি নেতা দেবজ্যোতি সিংহরায় বলেন, কিছুদিন আগেই বিহারে নির্বাচন হয়েছিল। সেই সময় দলীয় কর্মীদের কাজে ব্যবহারের জন্য এই বাইকগুলি ব্যবহার করা হয়েছিল। বিহারের ভোট শেষ হওয়ায় সেগুলি এখন পশ্চিমবঙ্গে আনা হয়েছে। তিনি আরও জানান, বর্ধমান জেলা বিজেপি অফিস রাঢ়বঙ্গ জোনের কেন্দ্রীয় অফিস হওয়ায় এখানকার ঠিকানাতেই বাইক পাঠানো হয়েছে। বিজেপির দাবি, প্রতি নির্বাচনের আগেই এভাবেই বাইক আনা হয় এবং বিষয়টি জেনেও তৃণমূল অহেতুক বিতর্ক তৈরি করছে। বাইক বিতর্কে প্রশাসনের ভূমিকা কী হয়, তা নিয়েই এখন রাজনৈতিক মহলে বাড়ছে কৌতূহল।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

এশিয়া কাপ ফাইনালে স্বপ্নভঙ্গ, দুবাইয়ে পাকিস্তানের কাছে লজ্জার হার ভারতের

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়ল ভারত। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৩৪৮ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আয়ুষ মাত্রের দল গুটিয়ে গেল মাত্র ১৫৬ রানে। ফলে ১৯১ রানের বড় ব্যবধানে হার স্বীকার করেই শিরোপা হাতছাড়া করতে হল টিম ইন্ডিয়াকে।টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। কিন্তু শুরু থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় পাকিস্তান। দলের হয়ে বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন সামির মিনহাস। মাত্র এক ইনিংসেই তিনি করে ফেলেন ১৭২ রান। উসমান খানের সঙ্গে ৯২ রানের এবং আহমেদ হুসেনের সঙ্গে ১৩৭ রানের দুটি বড় জুটিতে ভর করে দ্রুত ৩০০ রানের গণ্ডি পেরিয়ে যায় পাকিস্তান।বিশেষজ্ঞদের মতে, একসময় পাকিস্তানের ইনিংস ২৭০২৮০ রানের মধ্যেই থামতে পারত। কিন্তু মিনহাসের ব্যাটে ভর করেই ৪৩ ওভারের মধ্যেই ৩০০ ছুঁয়ে ফেলে তারা। পরে তাঁর আউট হওয়ার পর পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ে ধস নামে। ৩০২/৩ থেকে ৩২৭/৮ মাত্র ২৫ রানের মধ্যে পাঁচ উইকেট হারালেও ততক্ষণে ম্যাচ কার্যত একপেশে হয়ে গিয়েছিল।লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ভারতীয় ব্যাটিং সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ে। বৈভব সূর্যবংশী, আয়ুষ মাত্রে, অভিজ্ঞান কুণ্ডুর মতো পরিচিত নাম থাকলেও কেউই দায়িত্ব নিতে পারেননি। আশ্চর্যজনকভাবে দলের সর্বোচ্চ রান আসে ১০ নম্বর ব্যাটার দীপেশ দেবেন্দ্রনের ব্যাট থেকে। তিনি মাত্র ১৬ বলে ৩৬ রান করে লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিলেও তা যথেষ্ট ছিল না।এই হার যেন সাম্প্রতিক সিনিয়র দলের বিশ্বকাপ ফাইনালের স্মৃতি ফিরিয়ে আনল। সেবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে, এবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মঞ্চ ফাইনাল, ফলাফলও প্রায় একই রকম হতাশাজনক।উল্লেখযোগ্যভাবে, ফাইনালে ওঠার আগে টুর্নামেন্টে একমাত্র অপরাজিত দল ছিল ভারত অনূর্ধ্ব-১৯। গ্রুপ পর্বে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, মালয়েশিয়া ও পাকিস্তানকে হারিয়েছিল তারা। অন্যদিকে পাকিস্তান গ্রুপে ভারতের কাছেই একমাত্র হেরেছিল। কিন্তু ফাইনালের মঞ্চে সম্পূর্ণ ভিন্ন রূপে ধরা দেয় তারা। শেষ পর্যন্ত দুবাইয়ে দাপটের সঙ্গে জয় ছিনিয়ে নিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ নিজেদের ঝুলিতে ভরল পাকিস্তান। আর ফাইনালে বারবার হোঁচট খাওয়ার প্রবণতা নিয়ে বড় প্রশ্নচিহ্ন থেকে গেল ভারতীয় যুব দলের সামনে।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal