• ৮ শ্রাবণ ১৪৩২, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Bardhaman

রাজ্য

Sitabhog Mihidana : পুজোর আগে দুই দফায় বিদেশে পাড়ি দিল বর্ধমানের প্রসিদ্ধ মিষ্টি মিহিদানা ও সীতাভোগ

বর্ধমানের দুটি প্রসিদ্ধ মিষ্টি সীতাভোগ ও মিহিদানা। এখন এই দুই মিষ্টির কদর ও চাহিদা সমানভাবে বেড়েছে বিদেশের বাজারে। সেই চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে গত মঙ্গলবার মধ্যপ্রাচ্যের বড়দ্বীপ বাহরাইনে পাড়ি দিয়েছিল রাজ আমলের ঐতিহ্যবাহী বর্ধমানের শতাব্দী প্রাচীন মিষ্টি মিহিদানা। এর ঠিক এক সপ্তাহ পর মহালয়ার আগের দিনের সকালে বর্ধমান সীতাভোগ এ্যন্ড মিহিদানা ট্রেডার্স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েটসের উদ্যোগে সীতাভোগ পাড়ি দিল ভিন দেশে। বিদেশের বাজারে বর্ধমানের প্রসিদ্ধ মিষ্টির চাহিদা বাড়ায় খুশি এখানকার মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীরা।সীতাভোগ এ্যণ্ড মিহিদানা ট্রেডার্স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েটসের সহ-সম্পাদক সৌমেন দাস এদিন বলেন, সপ্তাহ খানেক আগে ৩০টি প্যাকেটে মোট ১২ কেজি মিহিদানা বাইরাইনে পাঠানো হয়েছিল। সেখানকার মানুষজন বর্ধমানের মিহিদানা খেয়ে খুবই তৃপ্তি পেয়েছেন। আর এদিন গাওয়া ঘি দিয়ে তৈরী জিআই ট্যাগযুক্ত মোট ১২ কেজি সীতাভোগ হামাদ বিন ঈসা আল খলিফার রাজ্য বাহরাইনের দ্বীপে আলজাজিরার একটি স্টোরে উদ্দেশ্যে পাড়ি দিল।বর্ধমানের সীতাভোগ ও মিহিদানা জি আই স্বীকৃতি পাওয়ার পর ভারতীয় ডাক বিভাগ এই দুই মিষ্টিকে স্পেশাল কভারেজ দিয়েছে। সীতাভোগ ও মিহিদানকে মর্যাদা দিয়ে মাস দুয়েক ভারতীয় ডাক বিভাগ বাজারে ছাড়ে বিশেষ খাম। তারপর দেশজুড়ে সীতাভোগ ও মিহিদানার কদর আরও বাড়ে। আর এখন আন্তর্জাতিক বাজারেও এই দুই মিষ্টির চাহিদা ও কদর উত্তরোত্তর বেড়ে চলেছে।সীতাভোগ ও মিহিদানার উৎপত্তি নিয়ে নানা কাহিনী প্রলিত আছে। কথিত আছে বর্ধমানের মহারাজা বিজয়চন্দ মহাতাবকে ১৯০৪ সালে রাজাধিরাজ উপাধি দেয় ইংরেজ সরকার। সেই উপলক্ষ্যে বর্ধমান রাজপ্রাসাদে এক বিরাট অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে তৎকালীন বাংলার বড়লাট লর্ড কার্জন বর্ধমানে আমন্ত্রিত ছিলেন। বড়লাটকে খুশি করার জন্য এবং অনুষ্ঠানকে আরও উৎকর্ষপূর্ণ করার জন্য বর্ধমানের রাজা বিজয়চাঁদের নির্দেশে রাজ পরিবারের খাস মিষ্টি প্রস্তুত কারক ভৈরবচন্দ্র নাগ একদম নতুন দুটি মিষ্টি সীতাভোগ আর মিহিদানা তৈরি করেন। যার স্বাদ পেয়ে বেজায় খুশি হয়েছিলেন বড়লাট-সহ সকল অতিথিরা।সীতাভোগ তৈরির প্রধান উপাদান সীতাসের প্রজাতির গোবিন্দভোগ চাল। সীতাসের প্রজাতির গোবিন্দভোগ চাল থেকে প্রস্তুত হওয়ার কারণেই সীতাভোগের একটি নিজস্ব স্বাদ ও সুগন্ধ হয়। এই চাল গুঁড়ো করে তাতে ১:৪ অনুপাতে ছানা মিশিয়ে পরিমাণমত দুধ দিয়ে মাখা হয়। তারপর একটি বাসমতী চালের আকৃতির মত ছিদ্রযুক্ত পিতলের পাত্র থেকে ওই মিশ্রণকে গরম চিনির রসে ফেলা হয়। এর ফলে সীতাভোগ বাসমতীর চালের ভাতের মত দেখতে লম্বা সরু সরু দানাযুক্ত হয়। এর সঙ্গে ছোট ছোট গোলাপজাম এবং কখনও কখনও কাজুবাদাম ও কিশমিশ মিশিয়ে পরিবেশন করা হয়। তবে সীতাভোগ নামটি নিয়ে বেশ দ্বন্দ্ব আছে পণ্ডিতমহলে। সুকুমার সেনের মতে, বানানটি হওয়া উচিত সিতাভোগ, সিতা অর্থে সাদা। আবার সিতা-র মানে মিছরিও হয়, তাই সাদা রঙের মিছরির মতন যে মিষ্টি বর্ধমান রাজবাড়ির হালুইকররা বানালেন, তার নাম হয়ে গেল সিতাভোগ।

অক্টোবর ০৫, ২০২১
রাজ্য

BAY: অবাস যোজনায় টাকা পেয়েও বাড়ি তৈরির কাজ শুরু না করা উপভোক্তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ পূর্ব বর্ধমানে

বাংলা আবাস যোজনায় টাকা পেয়েও যাঁরা বাড়ি তৈরি করেননি তাঁদের বিরুদ্ধে এবার কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করলো প্রশাসন। টাকা পেয়েও দীর্ঘদিন ধরে বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করেননি এমন ৪৩ জন উপভোক্তাকে মঙ্গলবার লাল চিঠি ধরালো পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষ ব্লক প্রশাসন। আগামী সাত দিনের মধ্যে ওই উপভোক্তারা বাড়ি তৈরির কাজ শুরু না করলে তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হবে বলেও প্রশাসনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন এমন কড়া সিদ্ধান্ত নেওয়ায় এবার মহা-ফাঁপড়ে পড়ে গিয়েছে বাড়ি তৈরির টাকা পেয়েও বাড়ি তৈরির কজ শুরু না করা উপভোক্তারা। প্রশাসন সূত্রে খবর এমন উপভোক্তার সংখ্যা জেলার অন্য অনেক ব্লকেও রয়েছে। তাঁদের ক্ষেত্রেও প্রশাসন একই পদক্ষেপ নিতে চলেছে।খণ্ডঘোষ ব্লকের বিডিও সত্যজিৎ কুমার জানিয়েছেন, বাংলা আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরির অগ্রগতির ক্ষেত্রে গোটা জেলার মধ্যে খণ্ডঘোষ ব্লক সবথেকে এগিয়ে রয়েছে। এদিন যে ৪৩ জন উপভোক্তাকে লাল চিঠি ধরানো হয়েছে তাঁরা খণ্ডঘোষ ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা। তাঁদের কেউ দেড় বছর আগে আবার কেউ দুবছর আগে বাংলা আবাস যোজনায় প্রথম কিস্তির টাকা পেয়েছেন। কিন্তু দীর্ঘ সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও তাঁরা বাড়ি তৈরির কাজই শুরু করেননি। বিডিও ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ওই ৪৩ জন উপভোক্তাকে এর আগে গ্রাম পঞ্চায়েত ও ব্লকের যুগ্ম বিডিও বাড়ি তৈরির কাজ শুরুর কথা জানিয়ে ছিলেন। কিন্তু তারপরেও তাঁরা কেউ হেলদোল দেখাননি। তাই এদিন ওই ৪৩ জনকে লাল চিঠি ধরিয়ে এক সপ্তাহের অন্তিম সময় বেঁধে দেওয়া হল। তাঁর মধ্যে ওই উপভোক্তারা বাড়ি তৈরির কাজ শুরু না করলে তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হবে।বিডিওর এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন খণ্ডঘোষ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি তথা জেলাপরিষদ সদস্য অপার্থিব ইসলাম। তিনি বলেন, রাজ্য সরকার উপভোক্তাদের এ্যাকাউন্টে যথা সময়েই বাড়ি তৈরির প্রথম কিস্তির টাকা ঢুকিয়ে দিয়েছে। কিন্তু টাকা পেয়েও দীর্ঘ সময় ধরে বাড়ি তৈরির কাজ শুরু না করার দায় একন্ত ভাবেই উপভোক্তাদের। এক্ষেত্রে প্রশাসনের এমন কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া ছাড়া আর কোন উপায় ছিল না ।খণ্ডঘোষের কিছু বাসিন্দা এই প্রসঙ্গে বলেন, এমন অনেক ব্যক্তি আছেন যাঁরা বাড়ি তৈরির টাকা পেয়ে সেই টাকা ব্যবসায় লাগিয়েছে। আবার কেউ সুদে খাটাচ্ছে। তাই তাঁরা বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করতে পারেননি। লাল চিঠি পৌছে যাওয়ার এবার তাঁরা কি করেন সেটাই এখন দেখার বলে বাসিন্দারা মন্তব্য করেছেন। জেলাপরিষদের সহসভাধিপতি দেবু টুডু বলেন, বাংলা আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরি করবে বলে সরকারের টাকা নিয়ে বাড়ি তৈরি করবে না এমনটা হতে পারে না। যাঁরা বাংলা আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরির টাকা নিয়ে বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করেননি তাঁদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছে। প্রশাসন সঠিক কাজই করেছেন।

অক্টোবর ০৫, ২০২১
রাজ্য

Rape: মুখ চাপা দিয়ে রাস্তা থেকে আদিবাসী মহিলাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ, চাঞ্চল্য মন্তেশ্বরে

অন্ধকার রাস্তায় মুখ চাপা দিয়ে আদিবাসী মহিলাকে নির্জন জায়গায় তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠলো দুস্কৃতিদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনা জানাজানি হতেই সোমবার সকাল থেকে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বর থানা এলাকায়। দুস্কৃতিরা আদিবাসী মহিলাকে গণধর্ষণ করেছে লোক মুখে এলাকায় ছড়িয়ে। এই খবর পেয়েই পুলিশ মন্তেশ্বরের বরুনা এলাকার ক্যানেল পাড়ে থাকা নির্যাতিতা মহিলাকে উদ্ধার করে ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। শারীরিক অবস্থা খারাপ থাকায় মহিলাকে সেখান থেকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে কয়েকজনকে আটক করে শুরু হয়েছে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদ।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,সোমবার ভোর রাতে মন্তেশ্বরের বরুনা গ্রামের ক্যানেল পাড়ে থাকা একটি ট্র্যাক্টরের ট্রলির নিচে পড়ে কাতরাচ্ছিলেন এক আদিবাসী মহিলা। তাঁর স্বামী মহিলার চোখে মুখে জল দিচ্ছিলেন। এমনটা দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা তাঁদের কাছে যান। কি হয়েছে জিজ্ঞাসা করতেই মহিলার স্বামী তাঁর স্ত্রীর উপর রবিবার রাতে হওয়া নির্যাতনের কথা স্থানীয়দের জানায়। স্থানীয়দের মাধ্যমে এই খবর পৌছায় মন্তেশ্বর থানার পুলিশের কাছে। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছায়। স্থানীয়রা বলেন,জিজ্ঞাসাবাদে মহিলা পুলিশকে বলে রবিবার সন্ধ্যায় তিনি তাঁর স্বামীর সঙ্গে মন্তেশ্বরের রাইগ্রামের বাজারে গিয়েছিলেন। বাজারে কাজ মেটাতে তাঁদের দেরী হয়। তাই তাঁর স্বামী রান্না করবে বলে ঘরে ফিরে যান। বাজারের কাজ মিটিয়ে সন্ধ্যার পর মহিলা একা ঘরে ফিরছিলেন। তাঁর অভিযোগ, অন্ধকার রাস্তা দিয়ে তিনি যখন একা হেঁটে আসছিলেন তখন কয়েকজন মিলে তাঁর মুখ চাপা দিয়ে জোরপূর্বক তাঁকে নির্জন জায়গায় তুলে নিয়ে যায়। তারা সেখানে তাঁর উপরে নির্যাতন চালানো শুরু করে। এছাড়াও মহিলার স্বামী পুলিশকে জানায়, অনেকটা সময় কেটে যাবার পরেও স্ত্রী ঘরে ফিরছে না দেখে তিনি স্ত্রীকে আনতে রাতের অন্ধকারেই ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েন। কিছুটা যাওয়ার পরেই পুরুনিয়া এলাকায় পুকুর পাড়ে থাকা একটি জায়গা থেকে তিনি মহিলার আর্তনাদ শুনতে পান। সেখানে এগিয়ে যেতেই তিনি তাঁর স্ত্রীর উপর নির্যাতন চালানোর ঘটনা দেখতে পান। মহিলার স্বামীর অভিযোগ নির্যাতন চালাোর ঘটনায় জড়িত দু্কৃতিদের তিনি বাধা দিলে তারা তাঁকে মারধোর করে পালিয়ে যায়। দুস্কৃতিরা মিলে তাঁর স্ত্রীকে ধর্ষণ করেছে বুঝতে পেরে রাতে তিনি স্ত্রীকে ওই জায়গা থেকে উদ্ধার করে কিছুটা দূরে বরুনার ক্যানেল পাড়ে নিয়ে গিয়ে বসে পড়েন। মহিলার স্বামী এদিন সকালে স্থানীয়দের এই ঘটনা জানালে তাঁরাই পুলিশকে খবর দেয়।রাকিব মল্লিক নামে স্থানীয় বাসিন্দা জানান, নির্যাতিতা মহিলার বাড়ি কালনা মহকুমার নাদনঘাট থানা এলাকায়। মহিলা পেশায় খেত মজুর। খেত মজুরির কাজের জন্য মহিলা তাঁর সঙ্গে থাকা পুরুষ ব্যক্তি কয়েকদিন আগে তাঁদের গ্রামে এসেছেন। তাঁরা নিজেদের কে স্বামী স্ত্রী বলেই পরিচয় দিয়েছিলেন। মহিলার উপরে হওয়া নির্যাতনের কথা এদিন তাঁদের কাছ থেকেই জানতে পারেন বলে রাকিব মল্লিক জানিয়েছেন।জেলার পুলিশ সুপার কামনাশিষ সেন জানিয়েছেন, অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ কেস রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালছে।

অক্টোবর ০৫, ২০২১
রাজ্য

Galsi-2 BDO: ১৫২ তম গান্ধী জয়ন্তীতে অভিনব উদ্যোগ পূর্ব বর্ধমানের গলসী -২ ব্লক ও পঞ্চায়েত সমিতির

জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর ১৫২তম জন্ম জয়ন্তী সারা দেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গেও মহাসমারোহে পালন করা হয়। পুর্ব-বর্ধমান জেলার গলসী-২ ব্লক এমপ্লইয়ীজ রিক্রিয়েশন ক্লাব ও গলসী-২ পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে এই দিনটি মহাসমারোহে পালন করা হয়। দিনটিকে স্মরণ করে রাখতে তাঁরা অফিস প্রাঙ্গণে মহাত্মা গান্ধীর একটি আবক্ষ মূর্তি স্থাপন করা হয়। মূর্তির আবরণ উন্মোচন করেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারন) সুপ্রিয় অধিকারী।এদিন অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) গলসী-২ ব্লকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট-এর উদ্বোধন করেন। তিনি বলেন, আমরা কর্মজীবন শুরু বিডিও হিসাবেই। সেই সময়ে সরকারি কাজের ক্ষেত্রে মানুষের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে কাজ করার চেষ্টা করা হত। কিন্তু বেশীরভাগ ব্লক অফিস হয় বড় রাস্তার ধারে নাহলে রেল স্টেশনের কাছাকাছি হওয়ায়, দূরের মানুষজনকে পরিষেবা পেতে খুব-ই কষ্ট করে ব্লক অফিস আসতে হয়। তিনি বলেন, বৈদ্যুতিন ব্যবহার যত বেড়েছে ততই মানুষ যেকোনও জিনিস অতি সহজেই জানতে পারছেন, তা সে প্রাকৃতিক বিপর্যয় হোক বা দুয়ারে সরকার-এর পরিষেবা। তিনি আরও বলেন, গলসী-২ এর এই ওয়েবসাইটের জন্য মানুষ খুব সহজেই বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প সম্বন্ধে বাড়িতে বসেই বিশদে জানতে পারবেন।গলসী-২ বিডিও সঞ্জীব সেন জানান, এই বিশেষ দিনে গলসী-২ ব্লক এমপ্লয়ীজ রিক্রিয়েশন ক্লাব ও গলসী-২ পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে এলাকার দুঃস্থ মানুষদের মধ্যে বস্ত্র ও আবশ্যক খাদ্যদ্রব্য বিতরণ করা হয়। এছাড়াও ব্লক স্বাস্থ আধিকারিকের সহায়তায় স্থানীয় অপুষ্ট শিশুদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও পৌষ্টিক আহার বিতরণ করা হয়। তিনি জানান, বর্তমানকালে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে বৈদ্যুতিন মাধ্যমের ব্যবহার ছাড়া কোনও গতি নেই। সেই উদ্দেশ্যেই এই ওয়েবসাইট বানানো। মানুষ ঘরে বসে ব্লকের পরিষেবা সমন্ধে অনেক কিছুই জানতে পারবে এর মাধ্যমে। করোনা ভ্যাকসিনের টোকেনের জন্য মানুষকে রাত জেগে লাইন দিতে হবে না, এখন অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। তাঁরাও অনলাইনের মাধ্যমে জানতে পেরে যাবেন তাঁর টিকা কবে কোথায় কখন পাবেন। আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক, গলসী-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বাসুদেব চৌধুরি, গলসি-২ ব্লকের আধিকারিকগন, পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ ও বিভিন্ন পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপ-প্রধান।

অক্টোবর ০৩, ২০২১
রাজ্য

Flood : পূর্ব বর্ধমানে বন্যা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সুরেই ডিভিসিকে কাঠগড়ায় তুললেন অরুপ বিশ্বাস

রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার জন্য শনিবার আরামবাগে গিয়েও কেন্দ্রকে দুষেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এদিনই পূর্ব বর্ধমানের বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এসে মুখ্যমন্ত্রীর সুরেই ডিভিসিকে কাঠগড়ায় তুললেন রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরুপ বিশ্বাস। তিনি বলেন, রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতির স্থায়ী সমাধানের কথা ডিভিসি কর্তৃপক্ষকেই ভাবতে হবে। মন্ত্রী অরুপ বিশ্বাসও পূর্ব বর্ধমান জেলায় তৈরি হওয়া বন্যা পরিস্থিতিকে ম্যানমেড বন্যা বলেই অবিহিত করেন। জেলার বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে এদিন প্রশাসনিক কর্তাদের কাছে খোঁজ খবর নেন মন্ত্রী অরুপ বিশ্বাস।পরে তিনি জেলার মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, জেলাপরিষদ সভাধিপতি শম্পা ধারা, সহ-সভাধিপতি দেবু টুডু সহ জেলার অন্যান্য নেতাদের কাছেও বন্যা পরিস্থিতির সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে খোঁজ খবর নেন। এরপর দুপুরে তিনি যান বর্ধমান টাউনস্কুলে। সেখানে জেলার জল প্লাবিত এলাকার মানুষদের জন্য ত্রাণ সামগ্রী রাখা হয়েছে। ত্রাণ সামগ্রী বোঝাই দুটি গাড়ি নিয়ে এরপর মন্ত্রীরা কাটোয়া মহকুমার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এখানে মন্ত্রী অরুপ বিশ্বাস বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে দলের কর্মীরা সর্বত্র বানভাসি মানুষজনের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। রাজ্যে কোথায় কোথায় সাধারণ মানুষের কী কী ক্ষতি হয়েছে সেইসব প্রশাসনিক বিষয়গুলি প্রশাসনিক স্তরে দেখা হবে। আপাতত দলনেত্রীর নির্দেশে তাঁরা মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাইছেন।এরপরেই কেন্দ্রকে নিশানা করে অরুপ বিশ্বাস বলেন, রাতের অন্ধকারে একতরফা ভাবে জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। কাটোয়ার বন্যা পরিস্থিতি ঘুরে দেখার পর মন্ত্রী অরুপ বিশ্বাস কাটোয়ার ভারতীভবন উচ্চ বিদ্যালয়ের ত্রাণ শিবিরে যান। সেখানে বন্যা দুর্গত মানুষের পরিস্থিতি দেখার পর মন্ত্রী অরুপ বিশ্বাস ত্রাণ শিবিরে থাকা মানুষজনকে আশ্বস্ত করে বলেন, কোন অসুবিধা হবে না। উপরে ভগবান। আর নিচে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন । ত্রাণশিবিরে গিয়ে বন্যাদুর্গত মানুষদের পরিস্থিতি দেখেন। ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নেওয়া পরিবারের শিশুদের হাতে দুধ ও বিস্কুটের প্যাকেট তিনি তুলে দেন। ভারতী ভবন বিদ্যালয়ের পাশাপাশি কাটোয়া পৌরসভা এলাকায় অন্যান্য ফ্লাড সেন্টারেও বন্যা কবলিত পরিবারগুলিকে রাখা হয়েছে। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস কাটোয়ার অন্যান্য ত্রাণ শিবিরগুলি ঘুরে দেখেন ও ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নেওয়া মানুষদের সঙ্গেও কথা বলেন। এদিনই বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা নিয়ে জেলার বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। বন্যা দুর্গতদের যাতে কোন অসুবিধা না হয় সেই নির্দেশও তিনি বিধায়কদের দেন।এদিকে জলাধারগুলি থেকে জল ছাড়া কমতেই শনিবার থেকে জেলায় বন্যার পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হচ্ছে। ডিভিসি জল ছাড়ার পরিমাণ কমিয়ে দেওয়ায় জলস্তর কমেছে দামোদরে। একই ভাবে অজয় নদে জল কমায় ধীরে ধীরে জেলার মঙ্গলকোট, কেতুগ্রাম ও আউশগ্রামের বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। শুক্রবার দুই দফায় ডিভিসি জলাধার থেকে ৪ লক্ষেল কিউসেকের বেশি জল ছাড়া হয়েছিল। এদিন ডিভিসি জল ছাড়ার পরিমাণ কমিয়ে ১লক্ষ ৫৫ হাজার ৩০০ কিউসেকে নামে। তেনু ঘাট থেকে ১৩ হাজার কিউসেক, মাইথন থেকে ৫০ হাজার কিউসেক ও পাঞ্চেত ড্যাম থেকে ৬০ হাজার কিউসেক জল ছাড়ার হয়। জলাধার থেকে জল ছাড়া কমার সঙ্গে সঙ্গেই অজয় নদের তীরবর্তী মঙ্গলকোটের পালিগ্রাম, লাখুড়িয়া, ঝিলু ১, মাঝিগ্রাম, ভাল্যগ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কিছু গ্রাম ও কেতুগ্রামের পাণ্ডুগ্রাম, পালিটা, নবগ্রাম, বিল্লেশ্বর, তেওরা, চরখি প্রভৃতি গ্রামে বন্যার জল নামতে শুরু করেছে। তবে কাটোয়া ও মঙ্গলকোটের কয়েক হাজার হেক্টর ধান জমি এখনও জলের তলায় রয়ে আছে। কাটোয়া-সিউড়ি রাজ্য সড়কের উপর দিয়ে এদিন সকালেও জল বয়ে যেতে দেখা যায়। অন্যদিকে জল কমলেও আউসগ্রামের ভেদিয়া অঞ্চলের মানুষজনের দুর্দশা কমেনি। অজয় নদের বাঁধ ভেঙে গিয়ে আউসগ্রামের সাঁতলা, ধুকুর বাগবাটি, বঙ্গপল্লী সহ আশপাশের কয়েকটি গ্রাম জলপ্লাবিত হয়ে পড়ে। জল ঢুকে পড়ায় বাসিন্দারা ঘরবাড়ি ছেড়ে কেউ ভয়ে বাঁধে অস্থায়ী তাঁবুতে আশ্রয় নেন। শিশু সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে সেখানে এখন তাঁরা বিষধর সাপের সঙ্গেই সহাবস্থান করছেন। চিড়ে, গুড় ও জল খেয়েই সেখানে তাঁদের দিন কাটছে। বাঁধে আশ্রয় নেওয়া বাসিন্দাদের অনেকেরই ঘরবাড়ি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। নষ্ট হয়েছে জমির ফসলও। এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েত উপপ্রধান অজিত কুমার মণ্ডল এদিন যদিও জানিয়েছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই ভেঙে যাওয়া বাড়ির বাসিন্দাদের জন্য কিছু একটা ব্যবস্থা করা হবে ।

অক্টোবর ০২, ২০২১
রাজ্য

Water Drowned: ঠাকুমার সঙ্গে মাছ ধরতে নেমে অজয় নদের গভীর জলে তলিয়ে গেল ৯ বছরের নাতি

অজয় নদে জল একটু কমতেই ঠাকুমার সঙ্গে মাছ ধরতে নেমেছিল নাতি। কিন্তু তাঁর মাছ ধরা আর হয়ে উঠলো না। ঠাকুমার চোখের সামনেই অজয়ের গভীর জলে তলিয়ে গেল ৯ বছর বয়সী তাঁর নাতি আনন্দ থান্ডার। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের নতুনহাট এলাকায়। এই খবর পেয়েই মঙ্গলকোট থানার পুলিশ ও ব্লকের বিডিও জগদীশচন্দ্র বারুই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছেন। প্রশাসনের নির্দেশে এনডিআরএফ টিম অজয় নদে বালকের খোঁজ চালানো শুরু করে দেয়। কিন্তু এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত অজয় নদে তলিয়ে যাওয়া বালকের কোনও হদিশ না মেলায় উৎকন্ঠায় কাটাচ্ছেন পরিবার সদস্যরা।প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলকোটের নতুনহাটের লোচন দাস এলাকার বাসিন্দা সান্তনা থান্ডার। তাঁর মেয়ে পূজা থান্ডারের ছেলে আনন্দ থান্ডার। এই বালকের বাবা বুদ্ধদেব থান্ডার কর্মসূত্রে ভিন রাজ্যে থাকেন। বালক আনন্দ থান্ডার নতুনহাট এলাকায় তাঁর দাদু ঠাকুমার কাছেই থাকতো। সান্তনাদেবী এদিন দুপুরে তাঁর নাতিকে সঙ্গে নিয়েই অজয় নদে মাছ ধরতে যান। মাছ ধরার ফাঁকেই আচমকা অজয়ের গভীর জলের মধ্যে পড়ে যায় আনন্দ। তার পর থেকে জলে নাতিকে আর খুঁজে পান না সান্তনাদেবী। তিনি চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করতেই স্থানীয় মানুষজন ঘটনাস্থলে পৌছান। স্থানীয়দের মাধ্যমে বালক আনন্দ থান্ডারেরঅজয় নদে তলিয়ে যাওয়ার খবর পেয়েই মঙ্গলকোট থানার পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌছান। খবর দেওয়া হয় এনডিআরএফকে। এনডিআরএফ টিম ঘটনাস্থলে পৌছে অজয় নদে বালকের খোঁজ চালানো শুরু করে। সন্ধ্যা পর্যন্ত খোঁজ চালিয়েও তারা বালকের কোনও হদিশ পাননি। বালকের খোঁজে এনডিআরএফ টিম রবিবার ফের অজয়ে তল্লাশী চালাবে বলে প্রশাসনিক কর্তাদের কথায় জানা গিয়েছে।

অক্টোবর ০২, ২০২১
রাজ্য

Child Fever: বেড ঘাটতির কারণে জ্বরে আক্রান্ত শিশুদের ঠাঁই হয়েছে কাটোয়া হাসপাতালের মেঝেতে

শিশুদের জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পড়ার সংখ্যা বেড়ে চললেও বাড়েনি হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে বেডের সংখ্যা। তাই জ্বর, সর্দি ও কাশি উপসর্গ নিয়ে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া মহকুমা হাসপাতাল ভর্তি হওয়া অনেক শিশুর ঠাই হয়েছে মেঝেতে। অসুস্থ শিশুদের মেঝেতে রেখেই চলছে চিকিৎসা। চাহিদা অনুয়ায়ী শিশু ওয়ার্ডে বেড কম থাকার কথা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্বীকার করে নিলেও বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ চেপে রাখেননি চিকিৎসাধীন শিশুর পরিজনরা।আরও পড়ুনঃ তৃণমূলের পার্টি অফিসে পরিণত হয়েছে নবান্ন, টুইট আক্রমণ শুভেন্দুরকাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে সারা বছরই রোগীর চাপ থাকে। পূর্ব বর্ধমান জেলার পাশাপাশি প্রতিবেশী জেলা মুর্শিদাবাদ, বীরভূম ও নদীয়া থেকে রোগীরা চিকিৎসা করাতে এই হাসপাতালে আসেন। তারই মধ্যে বর্তমান জ্বর, সর্দি ও কাশি উপসর্গ নিয়ে কাটোয়া হাসপাতালে শিশু ভর্তির সংখ্যা ব্যাপক ভাবে বেড়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় এখন তিল ধারনের জায়গা নেই কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, গত মঙ্গলবার হাসপাতালে ভর্তি হয় ৮৫ টি শিশু। বুধবার বিকাল পর্যন্ত ৫০ জন শিশু চিকিৎসাধীন থাকে। অথচ শিশু ওয়ার্ডে বেডের সংখ্যা ২০ তেই থমকে রয়েছে। তার কারণে অসুস্থ শিশুর ঠাঁই হয়েছে ওয়ার্ডের মেঝেতেই।আরও পড়ুনঃ পায়রার মৃত্যু নিয়ে প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের পক্ষী প্রেমীরকাটোয়া মহকুমা হাসপাতাল সুপার ধীরাজ রায় এই বিষয়ে জানান, হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে বেডের চাহিদার কথা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে তাঁরা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি বলেন, বর্তমানে শিশুদের মধ্যে ভাইরাসঘটিত জ্বর সহ অন্যান্য উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। রোজ রোজ শিশু রোগী ভর্তির সংখ্যা বাড়ছে। তাই সমস্যা দেখা দিয়েছে।

সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২১
রাজ্য

Death of Pigeon: পায়রার মৃত্যু নিয়ে প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের পক্ষী প্রেমীর

বাড়ির ছাদে পায়রা ও ঘুঘু পাখির ঘোরা ফেরা মেনে নিতে পারেননি এক বাড়ি মালিক। তাই ছাদের গাছ-পালার টবে বিষাক্ত কিছু দিয়ে রেখে নিরীহ পাখিদের প্রাণে মেরে দেওয়ার অভিযোগ উঠলো ওই বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনা নিয়ে বুধবার ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় শহর বর্ধমানের নীলপুর কমলাদিঘী পাড় এলাকায়। পাখিদের মৃত্যুর জন্য এলাকার বাসিন্দা নিরুপ কুমার দাসের বিরুদ্ধে বর্ধমান থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন প্রতিবেশী সান্তুনু দাস। পাখিদের প্রাণে মেরে দেওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে বর্ধমানের একাধিক পশু পক্ষী প্রেমী সংগঠন।আরও পড়ুনঃ রাত পোহালেই ভোট, মোতায়েন আরও ২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীনীলপুর কমলাদিঘী পাড় এলাকার বাসিন্দা শান্তনু দাস জানিয়েছেন, বহুদিন হল তিনি তাঁর বাড়ির ছাদে পাখিদের বসবাস করার ব্যবস্থা করে রেখেছেন। তাঁর মধ্যে তাঁর পোষা কয়েকটি পায়রাও রয়েছে। কিছু ঘুঘু পাখিও ওই বাসায় এসে থাকা শুরু করে। প্রতিদিন সকালে তিনি ওইসব পাখিগুলি ছেড়ে দেন। পাখিরা নিজেদের খুশি মতো উড়ে বেড়ায়। শান্তনুবাবু জানান, পাখিগুলি তাঁর বাড়ির ছাদে এবং তাঁর প্রতিবেশীদের বাড়ির ছাদে উড়ে গিয়ে বসতে। সেখানে খেলাও করতো। অন্যরা তা নিয়ে ক্ষুব্ধ না হলেও আপত্তি ছিল তাঁর আত্মীয় তথা প্রতিবেশী নিরূপ কুমার দাসের। তিনি তাঁর বাড়ির ছাদে পাখিদের আনাগোনা মেনে নিতে পারেননি। নিরূপ বাবু অভিযোগ তোলেন পাখিরা তাঁর বাড়ির ছাদ নোংরা করে। শান্তনুবাবু জানান, গত রবিবার তিনি বাড়িতে ছিলেন না। পুলিশের পরীক্ষা দিতে বাইরে গিয়েছিলেন। ওইদিন তাঁর মা এবং পরিবারের সদস্যরা লক্ষ্য করেন পায়রাগুলো ভীষণভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। পরে বাড়ি ফিরে শান্তনু বাবু ৬টি পায়ারকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন। বাকি পায়রাগুলির কোন খোঁজ তিনি পাননি। শান্তনুবাবুর অভিযোগে, বাড়ির ছাদে থাকা গাছের টবে নিশ্চয় বিষ দিয়ে রেখেছিলেন তাঁর প্রতিবেশী নিরুপ রায়। তার কারণেই পায়রাগুলি মারা গিয়েছে। ঘটনার বিহিত চেয়ে ও প্রতিবেশীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে শান্তনুবাবু বর্ধমান থানার অভিযোগ জানিয়েছেন।আরও পড়ুনঃ কাটোয়ায় কর্মীসভা থেকে দলের জেলা সভাপতিকে হুমকি অনুব্রত ঘনিষ্ট তৃণমূল নেতারবর্ধমান থানার আইসি সুখময় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তার ভিত্তিতে তদন্ত হচ্ছে। মৃত পায়রাগুলি উদ্ধার করে পশু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২১
রাজ্য

কাটোয়ায় কর্মীসভা থেকে দলের জেলা সভাপতিকে হুমকি অনুব্রত ঘনিষ্ট তৃণমূল নেতার

বিধানসভা ভোটে অভাবনীয় জয়ের পরেও পূর্ব বর্ধমান জেলায় চরমে উঠেছে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। কর্মী সভা থেকে দলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে হরিদাস পাল বলে কটুক্তি করলেন দলের অনুব্রত অনুগামী কাটোয়ার নেতা অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনা জেলার রাজনৈতিক মহলে যথেষ্টই শোরগোল ফেলে দিয়েছে। যা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি জেলার বিজেপি নেতৃত্ব। যদিও কাটোয়ার বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূলের সভাপতি রবীন্দ্রনাথবাবু এদিন স্পষ্ট জানিয়েদেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হওয়া কর্মী সভা দলের কর্মীসভা নয়। অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায় নামে নামে কে কর্মী সভার আয়োজন করেছে তাঁকেও চেনেন না বলেও রবীন্দ্রনাথবাবু জানিয়েদেন।কাটোয়া শহরের রবীন্দ্র পরিষদে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একটি কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়। মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের ঘনিষ্ট ও অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামী হিসাবে পরিচিত দলের জেলা সম্পাদক অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায় ওই কর্মী সভায় নেতৃত্ব দেন। কর্মী সভায় তিনি বেশ কয়েকজন কর্মীকে সম্বর্ধনা দেন। অরিন্দমবাবু দাবি করেন, দলের কর্মসূচিতে যে সমস্ত তৃণমূল কর্মীদের বিধায়ক ডাকেন না সেইসব তৃণমূল কর্মীদের তিনি সম্বর্ধনা দিলেন। সম্বর্ধনা শেষে বক্তব্য রাখতে উঠে অরিন্দম বাবু জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে একের পর এক কটুক্তি করেন। তিনি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের নাম মুখে না এনে বলেন, ২০১৫ সালে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়ে বিধায়ক ও দলের জেলা সভাপতি হয়েছেন। পুরানো তৃণমূল কর্মীদের কোন অসম্মান করতে আর ওনাকে দেব না।আরও পড়ুনঃ নিম্নচাপে বিধ্বস্ত রাজ্য, রাতভর তুমুল বৃষ্টিতে ভাসছে শহর থেকে জেলামমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে স্লোগান দিতে কোন হরিদাস পালের অনুমোদন লাগে না। হরিদাস পালের অনুমতিও নেবেন না। পুলিশ দিয়ে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই।২০১৫ সালে যাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গালাগাল দিত তাঁরাই আজ কাটোয়ায় তৃণমূলের ক্ষমতায় আছে। তাঁরাই রাজনীতিটাকে ব্যবসায় পরিণত করেছে। এমন নেতা ও তাঁর সাগরেদদের সম্পত্তির হিসাব নেওয়া হবে। পাশাপাশি জেলা তৃণমূলের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়কে নাম না করে হুমকির সুরে অরিন্দমবাবু বলেন, আপনি এমন কোন হরিদাস পাল নন যে আপনাকে মাথায় করে রাখতে হবে।আপনাকে ছেড়ে কথা বলব না।তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য নেতৃত্ব মাস খানেক আগে পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সভাপতি পদে বদল ঘটায়। মন্ত্রী স্বপন দেবনাথকে সরিয়ে কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়কে জেলা সভাপতি করে দল। তারপর থেকে দলের একাংশ রবীন্দ্রনাথবাবুর বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছিলেন। এমনকি রবীন্দ্রনাথবাবু জেলা সভাপতি হওয়ার পরে কেতুগ্রামে এক জনসভা মঞ্চ থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে বলতে শোনা যায়, দলের কাটোয়ার দায়িত্ব সামলাবে অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় সূত্রে খবর অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায় বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের যেমন অনুগামী তেমনই তিনি প্রাক্তন পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সভাপতি স্বপন দেবনাথেরও ঘনিষ্ট। তবে রবীন্দ্রনাথবাবুকে কটুক্তি করা নিয়ে প্রাক্তন জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথ তাঁর ঘনিষ্ট অরিন্দম বন্দ্যোপধ্যায়ের পাশে দাঁড়াননি। স্বপনবাবু স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, অরিন্দমের বক্তব্য আমি সমর্থন করি না। কর্মীসভা করতে হলে দলের জেলা সভাপতির অনুমতি নিয়েই করতে হবে।আরও পড়ুনঃ বাবা-মায়ের সঙ্গে ভালো সময় কাটছে ইউভানবিজেপি পূর্ব বর্ধমান জেলা সহসভাপতি অনিল দত্ত এই প্রসঙ্গে বলেন, তৃণমূলের এক নেতা তাঁদেরই জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে হুংকার ছাড়ছেন। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল এখন কোন পর্যায়ে পৌছেছে। দলের জেলা সভাপতিকে যিনি কটুক্তি করছেন তাঁর মাথায় তৃণমূলের উপর সারির নেতাদের হাত রয়েছে বলেই মত বিজেপি নেতৃত্বের।

সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২১
রাজ্য

Husband Killed Wife : স্ত্রীকে খুন করে থানায় আত্মসমর্পণ স্বামীর

স্ত্রীকে খুন করে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করলো স্বামী। এই ঘটনা জানাজানি হতেই মঙ্গলবার ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে পূর্ব বর্ধমানের কালনার বেগপুর পঞ্চায়েতের ধলেশ্বর গ্রামে। বধূ তারমিনা বিবি(৪৫)কে খুনের অভিযোগে পুলিশ স্বামী লালবাবু শেখকে গ্রেপ্তার করেছে। কালনা থানার পুলিশ বধূকে খুনের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ধলেশ্বর গ্রাম নিবাসী লালবাবু শেখের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী তারমিনা বিবির বনিবনা হত না। নিত্যদিন তাঁদের মধ্যে অশান্তি হত। লালবাবু তাঁর স্ত্রীকে মারধোরও করতেন বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার অশান্তি চরমে উঠলে লালবাবু তাঁর স্ত্রীকে খুন করে বসেন। এরপরেই স্ত্রীর মৃতদেহ খাটের নিচে রেখে দিয়ে লালবাবু বাড়ি থেকে বেরিয়ে নবদ্বীপ থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। পুলিশ লালবাবুর বাড়িতে গিয়ে বধূ তারমিনা বিবির মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। দম্পতির ছেলে টোটন শেখ জানিয়েছেন, শারীরিক অসুস্থতার জন্য তাঁর মা ভালো করে চলাফেরা করতে পারতো না। তা নিয়ে তাঁর বাবা ও মায়ের মধ্যে অশান্তি লেগে থাকতো। টোটন শেখ বলেন, এদিন বেলায় তিনি কাজে বেরিয়ে যাওয়ার পর তাঁর বাবা ও মায়ের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। অশান্তি চালাকালীন তাঁর মাকে প্রাণে মেরে দেন বাবা। প্রতিবেশীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে তিনি বাড়িতে ফিরে এসে মাকে মৃত অবস্থায় দেখেন। টোটন জানান, বাবার শাস্তির দাবি করে তিনি পুলিশের কছে অভিযোগ জানিয়েছেন। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(গ্রামীণ) ধ্রুব দাস জানিয়েছেন, স্ত্রীকে খুন করে এক ব্যক্তি নবদ্বীপ থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। স্ত্রীকে খুনের ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২১
রাজ্য

Fever and Respiratory Infections: পূর্ব বর্ধমানে শিশুদের জ্বর-শ্বাসকষ্ট জনিত আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, উদ্বিগ্ন জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর

কোভিডের লক্ষণ না থাকলেও পূর্ব বর্ধমান জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে বাড়ছে জ্বরে আক্রন্ত শিশু ভর্তির সংখ্যা। প্রবল জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি থাকা শিশুর সংখ্যা ১৪০ জন। তার মধ্যে ইনফ্লুয়েঞ্জা নিয়ে ৩৭ জন ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ৯৫ জন শিশু ভর্তি হয়েছে। কোন শিশুর মৃত্যুর খবর এখনও পর্যন্ত নেই বলে যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। জ্বরে আক্রান্ত হয়ে জেলার কালনা ও কাটোয়া হাসপাতালের পাশাপাশি বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও শিশু ভর্তি হওয়ার সংখ্যা বাড়ায় উদ্বিগ্ন জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিচার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শিশুদের চিকিৎসার জন্য বেশ কিছু ব্যবস্থা নিয়েছে। পাশাপাশি অক্সিজেন সাপোর্ট দেওয়ার জন্য বিশেষ ওয়ার্ডও চালু করা হয়েছে।বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সপ্তাহ দুয়েক আগে পর্যন্ত হাতে গোনা কয়েকজন শিশু জ্বর নিয়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হত । কিন্তু গত দুসপ্তাহ যাবৎ দৈনিক ৩০ থেকে ৪০ জন জ্বরে আক্রান্ত শিশু বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। তাঁদের অনেকের জ্বরের সঙ্গে শ্বাসকষ্টের সমস্যাও থাকছে। তবে চিকিৎসাধীন কোন শিশুর কোভিড পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ ধরা পড়েনি।বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের বিভাগীয় প্রধান কৌস্তুভ নায়েক জানিয়েছেন, এই সময় আবহাওয়ার পরিবর্তনজনিত কারণে শিশুদের সমস্যা হয়। তবে তার কারণে এই বছর শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ার সংখ্যা গত বছরের তুলনায় অনেকটাই বেশী। শিশুদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ৬৪ বেডের একটি ওয়ার্ড নির্দিষ্ট করা হয়েছে।এছাড়াও সোমবার থেকে অক্সিজেন পরিষেবা যুক্ত ২০ বেডের একটি ওয়ার্ডও চালু করা হয়েছে। শিশুদের চিকিৎসার জন্য ডাক্তার, নার্স ও গার্ডের সংখা বাড়ানো হয়েছে। চিকিৎসক কৌস্তভ নায়েক জানিয়েছেন, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া শিশুদের কোভিড পরীক্ষাও করা হচ্ছে।চিকিৎসাধীন শিশুদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলেও কৌস্তুভ নায়েক দাবী করেছেন।বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পাশাপাশি কালনা মহকুমা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও শিশুদের ব্যাপক হারে জ্বরে আক্রান্ত হওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন। কালনা মহকুমা হাসপাতালের সুপার চিকিৎসক অরুপ রতন করণ সোমবায় জানান, চলতি মাসের ২০ তারিখ থেকে ২৬ তারিখ পর্যন্ত ছয় দিনে প্রবল জ্বর ছাড়াও সর্দি, কাশি, উপসর্গ নিয়ে ১৫১ জন শিশু তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি হয়। কিছু বাচ্চার শ্বাসকষ্ট উপসর্গও থাকে। যদিও হাসপাতালে সব শিশুর কোভিড পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। তবে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়া শিশুদের সঙ্গে বাড়িতে কোভিড বিধি মেনেই মেলামেশার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২১
রাজ্য

Lightning: বজ্রপাতে বালকসহ ৭টি ছাগলের মৃত্যু

ছাগল চরাতে বেরিয়ে বজ্রপাতে মৃত্যু হল এক বালকের। মারা গিয়েছে তাঁর সাতটি ছাগলও।সোমবার দুপুরে মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানার বোহার ২ পঞ্চায়েতের মাকরা গ্রামে। মৃত বালকের নাম অমিত মুর্মু (১৫)। মাকরা গ্রামেই তাঁর বাড়ি। ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ বালকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।পরিবার পরিজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দরিদ্র আদিবাসী পরিবারের ছেলে অমিত মুর্মু।তাঁদের বাড়ির লোকজনের পোষা ৮-১০ টি ছাগল নিয়ে এদিন দুপুরে অমিত গ্রামের মাঠে চরাতে যায়। ওই সময়ে হঠাৎই বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টিপাত শুরু হয়। তখন অমিত তাঁর ছাগলগুলি নিয়ে মাঠের কাছে থাকা একটি মন্দির তলায় আশ্রয় নেয়। কিন্তু তাতেও রক্ষা মেলেনি। প্রবল বজ্রপাতে বালক অমিত ও তাঁর সাতটি ছাগল সেখানেই লুটিয়ে পড়ে। স্থানীয়রা অমিত মুর্মুকে উদ্ধার করে পাহাড়হাটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরে জানা গিয়েছে, বজ্রপাতের জেরে অমিতদের সাতটি ছাগলও মারা গিয়েছে ।

সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২১
রাজ্য

Lightning: বৃষ্টিতে গাছতলায় আশ্রয়েই বিপদ, বজ্রপাতে গলসিতে মৃত দুই

বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনায় বিরাম পড়ছে না পূর্ব বর্ধমানে। রবিবার ফের দুপুরে বজ্রপাতে মৃত্যু হল জেলার গলসি ২ ব্লকের খানো এলাকার দুই বাসিন্দার। মৃতরা হলেন শর্মিলা টুডু (২১) ও লক্ষীরাম টুডু (১৫)। মৃতরা খানো মাঝিপাড়ার বাসিন্দা। ময়নাতদন্তে পাঠানোর জন্য পুলিশ মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করেছে। একই দিনে দুই বাসিন্দার এমন অকাল মৃত্যতে খানো গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত দু জনেই দরিদ্র পরিবারের সদস্য। এদিন দুপুরে বাড়িতে পোষা ছাগল গুলি নিয়ে গ্রামের রেল লাইনের কাছাকাছি মাঠে চড়াতে নিয়ে গিয়েছিলেন লক্ষীরাম। অপর বাসিন্দা শর্মিলা টুডু একই জায়গায় জ্বালানি কুড়োতে গিয়েছিলেন। ওই সময়ে বজ্রপাতসহ বৃষ্টি শুরু হলে তাঁরা একটি গাছের নিচে গিয়ে দাঁড়ান। কিন্তু তাতেও রক্ষা মেলেনি। প্রবল বজ্রপাতে জখম হয়ে লক্ষীরাম ও শর্মিলা ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়েন। এলাকার মানুষজন তাঁদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়েযান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক দু জনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন ।

সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২১
রাজ্য

Road Collision: ডাম্পার-বাইকের সংঘর্ষে কেতুগ্রামে, মৃত ১,আহত ১

ডাম্পার ও বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হল এক বাইক আরোহীর। জখম হয়েছে বাইকের অপর আরোহী। রবিবার বেলায় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রাম বাসস্ট্যান্ডের কাছে কেতুগ্রাম- বোলপুর রোডে। মৃতের নাম আল্লারাখা শেখ(১৮)। তাঁর বাড়ি কেতুগ্রামের কাজীপাড়া এলাকায়। জখম বাইক আরোহী রবিউল শেখকে উদ্ধার করে কেতুগ্রাম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চালকসহ ঘাতক ডাম্পারটি আটক করে কেতুগ্রাম থানার পুলিশ দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি মোটরবাইকে চড়ে এদিন বেলায় আল্লারাখা শেখ ও রবিউল শেখ কেতুগ্রাম- বোলপুর রোড ধরে কেতুগ্রামের দিকে যাচ্ছিল। বাইক চালাচ্ছিল রবিউল। কেতুগ্রাম বাসস্ট্যান্ডের কাছে বিপরিত দিক থেকে আসা একটি ডাম্পারের সঙ্গে বাইক আরোহীদের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। তখনই বাইক চালকের পিছনে বসে থাকা আল্লারাখা ডাম্পারের চাকার নিচে পড়েগিয়ে পিষ্ট হয়। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। জখম হয় বাইক চালক রবিউল শেখ।স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে কেতুগ্রাম হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়।

সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২১
রাজ্য

Covid: দুর্গাপুরে কোভিড আক্রান্ত তিন শিশু, বাড়ছে শ্বাসকষ্টজনিত জ্বর, আতঙ্ক শিল্পশহরে

দুদিন আগে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের শিশু বিভাগে ইনজেকশন দেওয়ার পর শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ে বলে অভিযোগ। আতঙ্কে শিশুদের নিয়ে হাসপাতাল ছাড়তে শুরু করে অভিভাবকরা। দূর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল কতৃপক্ষ আশ্বাস দিলেও শোনেনি তাঁরা। এবার এই হাসপাতালে তিন শিশুর শরীরে করোনা সংক্রমণ হওয়ায় নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।ইনজেকশন বিতর্কের মাঝেই দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে তিন শিশুর শরীরে কোভিডের নমুনা ধরা পড়ায় অভিভাবকদের মধ্যে দুশ্চিন্তা বেড়েছে। জানা গিয়েছে, একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শ্বাসকষ্ট জনিত জ্বরে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা। এর ফলেই ক্রমশ উদ্বেগ বাড়ছে শিল্পশহর দুর্গাপুরে। পরিস্থিতি সামাল দিতে তৎপর জেলা স্বাস্থ্য দফতর।সূত্রের খবর, দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সমস্ত শিশুরই কোভিড পরীক্ষা করা হচ্ছে। এর মধ্যেই শনিবার তিন শিশুর শরীরে কোভিডের নমুনা পাওয়া যায়। এই শিশুদের সঙ্গে সঙ্গেই কোডিড ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। পশ্চিম বর্ধমান জেলার ডেপুটি CMOH কেকা মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, করোনার থার্ড ওয়েভ নিয়ে স্বাস্থ্য দফতর চিন্তিত। একই সঙ্গে শিশুদের অভিভাবকদের আরও সতর্ক ভাবে কোভিড বিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন।

সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২১
রাজ্য

Indecency: বর্ধমানে রোগিনীর শ্লীলতাহানি, অভিযুক্ত ওয়ার্ডবয়কে গণধোলাই, গ্রেফতার

রোগিনীকে শ্লীলতাহানী করার অভিযোগে বেসরকারী নার্সিংহোমের এক ওয়ার্ডবয়কে গণধোলাই দিল রোগিনীর পরিজনরা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার বেলায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে শহর বর্ধমানের বোরহাট এলাকায়। খবর পেয়ে বর্ধমান থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি সামাল দেয়। রোগিনীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্ত ওয়ার্ডবয় বাপ্পা সরকারকে গ্রেফতার করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ায় পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের এক তরুণীকে তাঁর পরিবারের লোকজন গত বুধবার বর্ধমানের বোরহাটের নার্সিংহোমে ভর্তি করে। ওই নার্সিংহোমেরই ওয়ার্ডবয় বাপ্পা সরকার চিকিৎসাধীন তরুণীর শ্লীলতাহানি করেছে বলে পরিবারের অভিযোগ। তরুণীর পরিবারের আত্মীয় বাসুদেব ঘোষ এদিন জানান, তুরুণী নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন থাকাকালে বুধবার রাতে তাঁর সঙ্গে খারাপ আচরণ করে ওয়ার্ডবয় বাপ্পা সরকার। এমনকি বাপ্পা নোংরামি করার জন্য তরুণীকে জেনারেল ওয়ার্ড থেকে কেবিনে নিয়ে যাওয়ারও চেষ্টা করে। এইসব কারণে অসুস্থ তরুণী ভয়ে বৃহস্পতিবার চিকিৎসকের অমতেই ছুটি নিয়ে বাড়ি চলে আসতে বাধ্য হয়। বাড়ি ফিরে তরুণী নার্সিংহোমের ওয়ার্ডবয় বাপ্পার কুকীতির সবিস্তার পরিবারের লোকজনকে জানায়। তরুণীর মুখ থেকে সবকিছু শুনে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন পরিবারের লোকজন।এদিন তরুণীর পরিবাররের বেশ কিছু সদস্য বোরহটের ওই নার্সিংহোমে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান।পরে তাঁরা অভিযুক্ত ওয়ার্ডবয় বাপ্পা সরকারকে ধরে গণধোলাই দেয়। বাপ্পা নিজের দোষ কবুল করেছে বলে তুরুণীর পরিবারের দাবি। ক্ষমা চাইলেও তাঁর রেহাই মেলেনি। তরুণীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্ত বাপ্পা সরকারকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে গিয়ে অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে । নার্সিংহোম মালিক অনিমেষ সরকার বলেন, তাঁদের নার্সিংহোমের ফিমেল ওয়ার্ডে চার জন মহিলা স্টাফ থাকে। তারপরেও এমন ঘটনা কী করে ঘটতে পারে তার কিছুই তিনি বুঝে উঠতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন।

সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২১
রাজ্য

Bhatar Businessman: নিখোঁজ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার, চাঞ্চল্য ভাতারে

রাতে টহলদারি পুলিশের তৎপরতায় উদ্ধার হল নিখোঁজ থাকা এক ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত মৃতদেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে। মৃত ব্যক্তির নাম মানোয়ার শেখ (৫২)। তাঁর বাড়ি ভাতারের এরুয়ার অঞ্চলের মাদারডিহি গ্রামে। ভাতার থানার পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে টহলদারি চালানোর সময়ে ওড়গ্রামের কাছে ২-বি জাতীয় সড়কের পাশে থাকা ডিভিসি ক্যানেলের ধারে মানোয়ারা শেখের রক্তাক্ত মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে। ওড়গ্রাম ফাঁড়ির পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহটি এদিনই পাঠানো হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ মর্গে। মানোয়ারা শেখকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তাঁর পরিবারের সদস্যরা। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মাদারডিহি গ্রামের মানোয়ার শেখ পেশায় ছিলেন ব্যবসায়ী। ভাঙাচোরা সামগ্রী কিনে তিনি বেচাকেনা করতেন। বাড়িতে তাঁর স্ত্রী ও এক ছেলে রয়েছে।এক মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। মৃতর দাদা আরহান শেখ জানিয়েছেন, মোটর ভ্যান নিয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরে তাঁর দাদা ভাঙাচোরা সামগ্রী কিনতেন। পরে তা বিক্রীর জন্য নিয়ে যেতেন ওড়গ্রামের একটি আড়তে।ব্যবসার মালপত্র বিক্রির জন্য মানোয়ার শেখ বৃহস্পতিবার দুপুর একটা নাগাদ ভ্যানে মালপত্র চাপিয়ে নিয়ে আড়তের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। তার পর থেকে সে আর বাড়ি ফেরেনি। অনেক রাত পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় মানোয়ারের খোঁজ চালিয়েও তাঁর ভাই মানোয়ারের সন্ধান পাননি। আরহান শেখ জানান, এদিন সকালে তাঁরা জানতে পারেন পুলিশ তাঁর ভাইয়ের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে।মৃতদেহের কাছে মোটরভ্যানটি পড়ে থাকলেও বোরহানের সঙ্গে থাকা টাকা পয়সা ও মোবাইলটি পাওয়া যায়নি। আরহান শেখ বলেন, তাঁরা মনে করছেন বোরহানকে খুন করে টাকা পয়সা ও মোবাইল ফোন হাতিয়ে নিয়েছে দুস্কৃতিরা।ব্যবসায়ী মানোয়ার শেখের মৃত্যুর কারণ দুর্ঘটনা নাকি খুন তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসলেই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। তার ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২১
রাজ্য

প্রেমিকার স্বামীকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ প্রেমিকের বিরুদ্ধে

প্রেমের সম্পর্কে পথের কাঁটা হয়ে উঠেছিল প্রেমিকার স্বামী। তাই পরিকল্পনা করে প্রেমিকার স্বামীকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠলো প্রেমিকের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি বুধবার রাাতে ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কালনা থানার উত্তর রামেশ্বরপুর এলাকায়। মৃত ব্যক্তির নাম মুরসেদ শেখ (২৮)। তাঁর বাড়ি কালনার বেগপুর পঞ্চায়েতের পাথরডাঙা গ্রামে। মুরসেদের স্ত্রীর প্রেমিক মানিক মণ্ডল পরিকল্পনা করে মুরসেদকে কুপিয়ে খুন করার পর নিজে আক্রান্ত হওয়ার ভান করে বলে অভিযোগ করেছেন নিহতের পরিজনরা। কালনা থানার পুলিশ মুরসেদের মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। নিহত মুরসেদ শেখের দাদা জাকির আলি শেখ জানিয়েছেন, তাঁর ভ্রাতৃবধূর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল স্থানীয় মানিক মণ্ডলের। ওদের ওই প্রেমের সম্পর্কে পথে কাঁটা হয়ে উঠেছিল মুরসেদ। সেই পথের কাঁটা সরাতে মানিক পরিকল্পনা আঁটে। পরিকল্পনা মাফিক বুধবার সন্ধ্যার পরেই মানিক সহজপুর বাজারে থাকা তাঁর দোকান বন্ধ করে দেয়। এরপর মানিক তাঁর বাইকে মুরসেদকে চাপিয়ে নিয়ে উত্তর রামেশ্বরপুর এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানেই মানিক ধারালো অস্ত্র দিয়ে মুরসেদকে কোপানোর পর তাঁর মুখ কাদায় গুঁজে দেয়। তারপর নিজেকে নির্দেষ সাজাতে মানিক একই জায়গায় আক্রান্ত হওয়ার ভান করে পড়ে থাকে। রামেশ্বরপুর এলাকার লোকজন তাঁদের রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে কাছে যান। মানিক তাঁদের মিথ্যা করে বলে, দুস্কৃতীরা তাঁদের দুজনের উপরে হামলা চালিয়ে পালিয়েছে। এমনটা শুনেই এলাকার লোকজন কালনা থানায় খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে দুজনকে উদ্ধার করে কালনা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মুরসেদকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মানিক মণ্ডল এখন আক্রান্ত হবার অভিনয় করে কালনা মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জাকির আলি দাবি করেছেন। যদিও মানিক মণ্ডল এদিনও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীন) ধ্রুব দাস বলেন, মাঠের মধ্যে পড়ে থাকা দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসক তাঁদের মধ্যে একজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অন্যজন চিকিৎসাধীন রয়েছে। মৃতর পরিবার খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে। তার ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২১
রাজ্য

CBI Burdwan: আলাদা ভাবে খুনের মামলা রুজু করে বর্ধমানের বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত শুরু করলো সিবিআই

খুনের মামলা রুজু করেই বর্ধমানের কাঞ্চননগরের বিজেপি কর্মী নারায়ণ দের মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত শুরু করেদিল সিবিআই।খুনের মামলা রুজু করার বিষয়টি মঙ্গলবার বর্ধমান সিজেএম আদালতে জানান সিবিআইয়ের স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সঞ্জয়কুমার সিনহা। তার পর এদিনই সিবিআইয়ের ৪ সদস্যের তদন্তকারী দল শুরু করে দিলেন বিজেপি কর্মী নারায়ন দে কে খুনের ঘটনার তদন্ত।নারায়ন দে-র মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে গত ২৪ জুন খুনের মামলা রুজু করে বর্ধমান থানার পুলিশ তদন্তে নামে। কিন্তু কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। সিবিআই আলাদা ভাবে খুনের মামলা রুজু করে তদন্তে নামায় খুনিরা ধরা পড়বে বলে আশাবাদী নিহত বিজেপি কর্মীর পরিবার।আরও পড়ুনঃ ভবানীপুরের উপনির্বাচনের অভিঘাত ভিন্ন, তবে মনে করাচ্ছে ৬৫ বছর আগের বাংলার রাজনীতির কথাসিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় টোটো চালক নারায়ণ দে বিজেপি কর্মী ছিলেন। গত ১৮ এপ্রিল বর্ধমানের কাঞ্চননগর এলাকায় বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সেই সময় নারায়ণ টোটো চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। তৃণমূলের লোকজন নারায়ণ কে ধরে প্রচণ্ড মারধর করে। মারধরে তিনি গুরুতর জখম হন। অথচ সেই সময়ে ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ নারায়ণ সহ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার হওয়ার তিনদিন পর আদালত থেকে জামিনে ছাড়া পান নারায়ণ। এরপর পরিবারের লোকজন তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখান থেকে তাঁকে শহরের খোসবাগান এলাকার একটি নার্সিংহোমে স্থানান্তরিত করা হয়। পরে বোরহাট এলাকার একটি নার্সিংহোমেও তাঁর চিকিৎসা হয়। নার্সিংহোম থেকে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ৬ মে নারায়ণ দে মারা যান। তাঁর স্ত্রী পূর্ণিমা দে ২৪ জুন ঘটনার কথা জানিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।পরে হাইকোর্টের নির্দেশে ভোট পরবর্তী এই রাজনৈতিক হিংসার মামলার তদন্তভারও সিবিআই হাতে নেয়।

সেপ্টেম্বর ২২, ২০২১
রাজ্য

Wall Crushed : মাটির বাড়ির দেওয়ালের নীচে চাপা পড়ে মৃত্যু এক, জখম দুই

ভেঙে পড়া মাটির বাড়ির দেওয়ালের নিচে চাপা পড়ে মৃত্যু হল এক গৃহবধূর। জখম হয়েছেন বধূর স্বামী ও ছেলে। মঙ্গলবার রাতে মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট থানার পলিগ্রামের থান্ডার পাড়ায়।মৃত বধূর নাম রাখি থান্ডার (৩৫)। ঘটনায় জখম বধূর স্বামী সুপল থান্ডার (৪০) ও ছেলে তন্ময় থান্ডার (১১) বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বুধবার কাটোয়া মহকুমা হাসপাতাল পুলিশ মর্গে মৃত বধূর দেহের ময়নাতদন্ত হয়। বধূর এমন মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।আরও পড়ুনঃ আইপিএলে আবার করোনার হানা, আক্রান্ত টি নটরাজনপুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আর্থিক ভাবে দুর্বল সুপল থান্ডারসহ তাঁর পরিবারের আটজন সদস্য মাটির দোতলা বাড়িতে বসবাস করতেন। মঙ্গলবার রাতে মাটির বাড়ির দোতলার ঘরে পরিবারের সদস্যরা ঘুমিয়ে ছিলেন। গভীর রাতে বাড়ির দোতলার অংশ হাঠাৎতই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। ভেঙে পড়া মাটির বাড়ির দেওয়ালের নিচে চাপা পড়ে যান রাখি থান্ডার এবং তাঁর স্বামী ও ছেলে। খবর পেয়ে পুলিশ ও স্থানীয় মানুষজন মাটির ভাঙা দেওয়াল সরিয়ে তিন জনকে উদ্ধার করে মঙ্গলকোট ব্লক স্বাস্থকেন্দ্রে নিয়েযায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাখিদেবীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। শারীরিক অবস্থা খারাপ থাকায় বধূর স্বামী সুপল থান্ডার ও ছেলে তন্ময় থান্ডারকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য মহাদেব পাল জানান, কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে মাটির বাড়িটি দুর্বল হয়ে পড়াতেই ভেঙে পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। দরিদ্র পরিবারটির দিকে সবরকম সাহায্য সযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।

সেপ্টেম্বর ২২, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 29
  • 30
  • 31
  • 32
  • 33
  • 34
  • 35
  • ...
  • 39
  • 40
  • ›

ট্রেন্ডিং

খেলার দুনিয়া

টিকিট-গুজব নস্যাৎ সিএবির, পর্যবেক্ষকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের দাবি জোরালো

সিএবির পদাধিকারী থেকে কমিটি সদস্যদের বিরুদ্ধে নানাবিধ অভিযোগপত্র জমা পড়ছে ওম্বুডসম্যানের কাছে। তার মধ্যেই এবার প্রশ্ন উঠে গেল সিএবির ম্যাচ পর্যবেক্ষক যশোবন্ত বিশ্বাস সম্পর্কে। একজন পর্যবেক্ষক হয়ে তিনি নানাভাবে সিএবির বিরুদ্ধাচরণ কীভাবে করতে পারেন, উদ্দেশ্য কী, এর পিছনে আর্থিক লেনদেন জড়িত কিনা তা নিয়েই সংশয় বাড়ছে। ২০২৩-২৪ মরশুমে মহমেডান স্পোর্টিং-টাউন ক্লাব ম্যাচে গড়াপেটা হয় বলে অভিযোগ। প্রহসন দেখে দুই ক্লাবকে শোকজ করে সিএবি। বিষয়টি গিয়েছে ওম্বুডসম্যানের কাছে। বেশ কয়েকটি শুনানি হয়েছে। ম্যাচ রেফারি, পর্যবেক্ষক, আম্পায়ারদের রিপোর্ট খতিয়ে দেখা হয়েছে। সব পক্ষের মতামত শোনা হয়েছে। সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় প্রথম থেকেই এই ম্যাচটি নিয়ে হওয়া বিতর্কে কড়া মনোভাব দেখিয়েছেন। সিএবি সূত্রে খবর, ওই ম্যাচে পর্যবেক্ষকের ভূমিকা নিয়ে সংশয় থাকায় আজ অবধি তাঁকে কোনও ম্যাচ দেওয়া হয়নি। তবে বছর দেড়েক হতে চললেও ওম্বুডসম্যানের দরবারে এই বিষয়টির নিষ্পত্তিও হয়নি। সিএবির অনেকেই চাইছেন, আগামী সেপ্টেম্বরে বার্ষিক সাধারণ সভার আগেই সত্য উদ্ঘাটিত হোক, দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ হোক।ওই ম্যাচেও টাউন ক্লাবের কর্তা তথা সিএবি যুগ্ম সচিব দেবব্রত দাসের ভূমিকা নিয়ে অভিযোগ জমা পড়েছিল সিএবিতে। সম্প্রতি এই দেবব্রত দাসের বিরুদ্ধে দেড় কোটি টাকার বেশি দুর্নীতি-সহ নানা অভিযোগ উঠছে। যার শুনানি চালাচ্ছেন ওম্বুডসম্যান। আর এখানেই বিষয়টিতে অন্য মাত্রা যোগ হয়েছে।ওই বিতর্কিত ম্যাচ নিয়ে যেখানে পর্যবেক্ষক ক্লিনচিট পাননি সেখানে তিনি কীভাবে অভিযুক্ত ক্লাবের অভিযুক্ত কর্তার হয়ে সওয়াল করতে পারেন সেই প্রশ্ন উঠছে। দেবব্রত দাসের বিরুদ্ধে ওঠা সাম্প্রতিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে যশোবন্ত যে তাঁর হয়ে ব্যাট ধরেছেন তার স্ক্রিনশট জমা পড়েছে সিএবিতে। এই অবস্থায় এসপার-ওসপার চাইছেন সিএবির অনেকেই। যশোবন্ত নানাভাবে যে সিএবি বিরোধিতা চালাচ্ছেন তাও নজরে রয়েছে সিএবির। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল অডিওতে (যার সত্যতা যাচাই করেনি জনতার কথা) সিএবি সভাপতি সম্পর্কে ছাপার অযোগ্য ভাষা প্রয়োগের অভিযোগ রয়েছে যশোবন্তর বিরুদ্ধে। বর্তমানে সিএবিতে তথাকথিত বিরোধী লবির গর্বিত সৈনিক বলে দাবি করে যশোবন্ত সাংবাদিকদের ভুয়ো তথ্য দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ এবং সেগুলি ফলাও করে পোস্ট করছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। এমনকী আইনি ব্যবস্থার মাধ্যমে সিএবির নির্বাচনে কাঁটা ছড়ানোর হুঁশিয়ারিও তিনি দিচ্ছেন বলেও সিএবি কর্তারা জানতে পেরেছেন। যদিও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্তা বললেন, ওঁর পর্যবেক্ষক হওয়ার যোগ্যতা আছে কি? আর উনি কী বলছেন তাতে বিন্দুমাত্র প্রভাব পড়বে না সিএবির বার্ষিক সাধারণ সভায়, এমনকী নির্বাচন হলে তাতেও। স্বার্থসিদ্ধির জন্য এক পক্ষের পাত্তা না পেয়ে খানিকটা নিজে উদ্যোগী হয়েই অপর পক্ষের ঘনিষ্ঠ হয়ে ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা ছাড়া এ সব কিছু নয়। আর সাংবাদিকদের অবস্থা এত খারাপ হয়নি যে ওঁর কথা শুনে ভিত্তিহীন, একপেশে বা নেতিবাচক খবর করে নিজেরা বিপাকে পড়বেন। তবে এটাও ঠিক, মহমেডান-টাউন ম্যাচের তদন্তের দীর্ঘসূত্রিতা বরদাস্ত করা উচিত নয়। ভিনরাজ্যের ক্রিকেটার খেলানো নিয়ে টাউনের আপত্তি বা অভিযোগ জমার কথা পর্যবেক্ষক মহমেডানকে আগেভাগে জানিয়েছিলেন কিনা বা গড়াপেটায় তাঁর কী ভূমিকা, আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন কিনা তা খতিয়ে দেখা হোক। সিএবিতে জমা দেওয়া তাঁর রিপোর্ট আদৌ কতটা বিশ্বাসযোগ্য, যশোবন্তের সাম্প্রতিক আচরণ বা অবস্থান দেখে তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন ওঠার অবকাশ থাকছেই। একদা যিনি দেবব্রতর সমালোচনা করেছেন বিভিন্ন মহলে, তিনিই আবার কেন দেবব্রতকে নিয়ে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেলেন, কোনওভাবে বাঁচার জন্যে কিনা সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। এই প্রশ্ন তোলা হবে সিএবি সভাপতির কাছেও।এদিকে, গতকাল রটে গিয়েছিল সিএবি নাকি সংবিধান সংশোধন করে বাংলার প্রাক্তন ক্রিকেটার ও সদস্যদের ম্যাচ টিকিট দেওয়া বন্ধ করতে চাইছে। যদিও এটি গুজব। সিএবি সভাপতি জানিয়েছেন, ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচ হোক বা আইপিএল, যাঁর জন্য যতগুলি করে টিকিট বরাদ্দ তাই দেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে আইসিসি ইভেন্ট, দ্বিপাক্ষিক সিরিজ, যে কোনও আন্তর্জাতিক ম্যাচ বা আইপিএলেও সেই ধারা বজায় থাকবে। ফলে গুজবে কান দেবেন না।ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সংবিধান সংশোধনের যে চিঠি সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়বে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। মুদ্রণ প্রমাদ-সহ খসড়া চিঠির কপি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই, কিছু মহলে বার্ষিক সাধারণ সভার আগে অসন্তোষ তৈরির উদ্দেশ্য নিয়েই। এতে সিএবিতেই ঘুঘুর বাসা আছে কিনা তা নিয়েও খোঁজ চলছে বলে জানা গিয়েছে।

জুলাই ২৪, ২০২৫
রাজ্য

২০২৬-এর আগে দুয়ারে সরকারের নয়া মডেল, কর্মসূচি ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’

২১ জুলাই শেষ হতেই নবান্ন থেকে নয়া কর্মসূচি ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার দুয়ারে সরকারের মডেলে নয়া কর্মসূচি। একেবারের বুথ ভিত্তিক উন্নয়নের পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার। তিনটে বুথ নিয়ে একটি কর্মসূচি। এই প্রকল্পকে নয়া চমক বলে দাবি করেছে বিরোধীরা।নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আগে আমরা দুয়ারে সরকার কর্মসূচি চালু করেছিলাম। প্রায় ১০ কোটি মানুষ তাতে অংশ নিয়েছিলেন। সেই কর্মসূচির ৯০% কাজ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ১০% কাজ কিছু প্রকল্পে এখনও বাকি আছে। অনেকেই আবেদন করেছেন, আমরা সেই প্রকল্পগুলো ডিসেম্বর থেকে চালু করব, বিশেষ করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো যেসব প্রকল্প রয়েছে। দুয়ারে সরকার কর্মসূচির মাধ্যমে বহু মানুষ উপকৃত হয়েছেন। জাতিগত শংসাপত্র, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কৃষক এবং ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিভিন্ন সুবিধা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা একটি কর্মসূচি শুরু করছি যার নেতৃত্বে আমি, মুখ্য সচিব এবং ডিজিপি পুলিশ থাকবেন। এই কর্মসূচির নাম আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান। রাজ্য সরকারের তহবিলের উপর নির্ভর করে সরকারি বিভাগগুলির কাজ যথারীতি চলতে থাকবে। MGNREGA তহবিল আটকে রাখা হয়েছে, গ্রামীণ আবাস যোজনার তহবিল আটকে রাখা হয়েছে এবং রাস্তার তহবিলও বন্ধ করা হয়েছে। দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে মানুষ নিজেরাই এসে তাঁদের সমস্যার কথা জানাতেন। আমরা অনেক সমস্যার সমাধান করতে পেরেছিলাম। আমি কৃতজ্ঞতা জানাই সবাইকে, সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে প্রশাসনের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের, যাঁরা দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন।কেন এই নয়া কর্মসবূচি নিয়েছে রাজ্য? তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, পাড়ায় ছোট ছোট সমস্যা থেকে যায়, যেমন কোনও জায়গায় একটা কল বসানো দরকার বা একটা ইলেকট্রিক পোল বসানো দরকার। এই ধরনের বিষয়গুলো নজরে আনা দরকার। আমরা অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি, কিন্তু তবুও কিছু জায়গা হয়তো কোনও কারণে বাদ পড়ে গেছে। এই ধরনের ছোট ছোট সমস্যার সমাধানের জন্য আমরা একটি নতুন কর্মসূচি আনছি। আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান। এই ধরনের উদ্যোগ দেশে এই প্রথম। দেখতে ছোট মনে হলেও এর বিস্তৃতি বিশাল। প্রধানমন্ত্রী আত্মনির্ভরতার কথা বলেন, কিন্তু বাস্তবে তার কোনও প্রতিফলন দেখা যায় না। সব কাজ রাজ্য সরকারকেই করতে হচ্ছে।কোন পদ্ধতিতে এই কর্মসূচি রূপায়ণ হবে তাও বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই কর্মসূচি দেশের মধ্যে প্রথম বাংসা চালু করছে বলেও দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান, দেশের প্রথম এই ধরনের কর্মসূচি। এটি একটি উদ্যোগ, যার লক্ষ্য হল গ্রামে গ্রামে ছোট ছোট সমস্যার সমাধান করা। সরকারি অফিসাররা ক্যাম্পে থাকবেন, সাধারণ মানুষের কথা শুনবেন। প্রতিটি ক্যাম্প ৩টি বুথ নিয়ে তৈরি হবে। অর্থাৎ একেকটি ইউনিট হবে একেকটি পাড়া। আমাদের ৮০,০০০-এরও বেশি বুথ রয়েছে, তাই এই পুরো কর্মসূচি সম্পূর্ণ করতে ২ মাস সময় লাগবে। প্রত্যেকটি বুথে অফিসাররা সারাদিন থাকবেন। নির্দিষ্ট একটি জায়গা থাকবে, যেখানে পাড়ার মানুষ তাদের এলাকা সংক্রান্ত সমস্যাগুলি জানাতে পারবেন। অফিসারেরা আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ ঠিক করবেন।এই কর্মসূচির জন্য একটি বিশেষ তহবিল বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রতি বুথে ১০ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। মোট খরচ ৮,০০০ কোটিরও বেশি টাকা। পঞ্চায়েত, জেলা পরিষদ বা পৌরসভা যেমন কাজ করছে, তেমনই কাজ করবে। তবে এর পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই নতুন কর্মসূচি শুরু করছে। এই কর্মসূচি আগামী ২ অগস্ট থেকে শুরু হবে। একটি বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠন করা হবে, যা চিফ সেক্রেটারির নেতৃত্বে কাজ করবে। জেলায় ও রাজ্যে আলাদা আলাদা টাস্ক ফোর্স তৈরি করা হবে। শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের জন্য পুলিশও সহযোগিতা করবে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে আগামী ২ মাস ধরে সরকার মানুষের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করবে। দুর্গাপুজোর জন্য ১৫ দিনের ছুটি থাকবে, পরে আবার সময় বাড়ানো হবে। তবে সব বুথই কভার করা হবে। এই কর্মসূচির পাশাপাশি দুয়ারে সরকার কর্মসূচিও চালু থাকবে।

জুলাই ২৩, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

ম্যাঞ্চেস্টারে মহারণ! পন্থকে নিয়ে স্বস্তি, আকাশের জায়গায় কম্বোজের অভিষেক?

পাঁচ টেস্টের সিরিজ আপাতত ২-১। বুধবার থেকে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে শুরু হচ্ছে অ্যান্ডারসন-তেন্ডুলকর ট্রফির চতুর্থ টেস্ট। দুই দলের একাদশেই পরিবর্তন আসছে। বেন স্টোকসরা ইতিমধ্যেই প্রথম এগারো ঘোষণা করে দিয়েছেন। ম্যাঞ্চেস্টারের আবহাওয়া ও পিচ দেখে ভারত একাদশ ঘোষণা করবে টসের সময়েই।ভারতীয় শিবিরে চোট-আঘাতের সমস্যা। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে এসে ভারত অধিনায়ক শুভমান গিল জানিয়ে দিলেন, আঙুলের চোট সারায় সহ অধিনায়ক ঋষভ পন্থ উইকেটকিপিং করবেন। তবে চতুর্থ টেস্ট খেলতে পারবেন না আকাশ দীপ। লর্ডস টেস্টে তিনি কুঁচকিতে চোট পান। নেটে বল করেননি। ম্যাঞ্চেস্টারে বোলিং কোচ মর্নি মরকেলের সামনে বল করতে গিয়ে স্বচ্ছন্দ বোধ করেননি আকাশ। ফিট হতে তাঁর সময় লাগবে। হাঁটুর চোট সিরিজ থেকেই ছিটকে দিয়েছে অলরাউন্ডার নীতীশ কুমার রেড্ডিকে।ফলে তিনে বি সাই সুদর্শনের খেলা নিশ্চিত। বৃষ্টির ফলে ঢাকা পিচের কাছে গিয়ে তাঁকে শ্যাডো প্র্যাকটিস করতে দেখা গিয়েছে। গিল করুণ নায়ারকে খেলানোর ইঙ্গিতও দিয়ে রেখেছেন। এই অবস্থায় করুণ ছয়ে ব্যাট করতে যেতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। ইংল্যান্ড সফরে তিনটি টেস্ট খেলার কথা ছিল জসপ্রীত বুমরাহর। তিনি ম্যাঞ্চেস্টারেই খেলবেন। ইংল্যান্ডের পিচগুলির মধ্যে ম্যাঞ্চেস্টারেই সবচেয়ে বেশি সুবিধা আদায় করে নিতে পারেন পেসাররা। যেভাবে বৃষ্টিতে পিচ ঢাকা থাকছে তাতে খেলা শুরুর সময় থেকে উইকেটের আর্দ্রতার কারণে ব্যাটারদের অস্বস্তিতে ফেলতে পারেন সিমাররা, মানছেন শুভমান।এই টেস্টে অংশুল কম্বোজের টেস্ট অভিষেক হওয়ার জোরালো সম্ভাবনা। একাদশে জায়গা পেতে তাঁর লড়াই প্রসিধ কৃষ্ণর সঙ্গে। তবে প্রসিধের বিরুদ্ধে যাচ্ছে ৫৫-র উপর বোলিং গড়, সাড়ে পাঁচের কাছাকাছি ইকনমি। ইংল্যান্ডে তিনি বিশেষ সুবিধা করতে পারেননি। সেই সঙ্গে তাঁর চেয়ে কম্বোজের ব্যাটের হাত অনেক ভালো। সে কারণেই অংশুল কম্বোজ হতে চলেছেন ম্যাঞ্চেস্টারে ভারতের সারপ্রাইজ প্যাকেজ। উল্লেখ্য, গত বছর রঞ্জি ট্রফিতে হরিয়ানার কম্বোজ কেরলের বিরুদ্ধে ৪৯ রানের বিনিময়ে ইনিংসে দশ উইকেট নিয়েছিলেন।চোটের কারণে ইংল্যান্ডের স্পিনার শোয়েব বশির ছিটকে গিয়েছেন সিরিজ থেকেই। লর্ডসে চোট নিয়ে বল করতে গিয়ে মহম্মদ সিরাজের জয়সূচক উইকেটটি বশির নিয়েছিলেন। স্টোকসদের একাদশে বশিরের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন লিয়াম ডসন। আট বছর পর তিনি টেস্ট খেলবেন। ইংল্যান্ড আত্মবিশ্বাসী, এই টেস্ট জিতে সিরিজ পকেটে পুরে ফেলার ব্যাপারে। ভারতের কাছে সিরিজ বাঁচিয়ে রাখার চ্যালেঞ্জ।ভারতের সম্ভাব্য একাদশ- যশস্বী জয়সওয়াল, লোকেশ রাহুল, বি সাই সুদর্শন, শুভমান গিল (অধিনায়ক), ঋষভ পন্থ (উইকেটকিপার), করুণ নায়ার, রবীন্দ্র জাদেজা, ওয়াশিংটন সুন্দর, অংশুল কম্বোজ, জসপ্রীত বুমরাহ, মহম্মদ সিরাজ।ইংল্যান্ডের একাদশ- জ্যাক ক্রলি, বেন ডাকেট, অলি পোপ, জো রুট, হ্যারি ব্রুক, বেন স্টোকস (অধিনায়ক), জেমি স্মিথ (উইকেটকিপার), লিয়াম ডসন, ক্রিস ওকস, ব্রাইডন কার্স, জোফ্রা আর্চার।

জুলাই ২২, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

অম্বরীশের বিরুদ্ধে অভিযোগ ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত! সিএবিতে চিঠি আজহারের

সিএবিতে চিঠি পাঠালেন মহম্মদ আজহারউদ্দিন। তবে এই আজহার ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক বা ইডেনের বরপুত্র নন। এই আজহারের বাড়ি পশ্চিম বর্ধমানের উখড়ায়। যদিও এই আজহারের দাবি নয়া মাত্রা যোগ করল সিএবিতে চলা সাম্প্রতিক এক বিতর্কে।সম্প্রতি আইনজীবী সুমন কীর্তনীয়া একটি চিঠি সিএবি, বিভিন্ন ক্লাব-সহ নানা জায়গায় পাঠিয়ে সিএবির স্টেডিয়াম কমিটি ও বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের কমিটির সদস্য অম্বরীশ মিত্রর বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ আনেন। অম্বরীশ প্রাক্তন ক্রিকেটার, পূর্ব রেলের শিয়ালদহ শাখায় কর্মরত। রেলের নেতাজি সুভাষ ইনস্টিটিউটের প্রতিনিধিত্ব করেন সিএবিতে। ফলে ভিজিল্যান্স-সহ রেলের কর্তাদের কাছেও অম্বরীশের নামে অভিযোগপত্র পাঠান সুমন। তাঁর দাবি, অম্বরীশ বিভিন্ন ক্লাব, বয়সভিত্তিক বিভিন্ন দলে খেলিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে লক্ষাধিক টাকা তুলেছেন, হাইকোর্ট ক্লাবে বেআইনি কাজকর্ম চালিয়েছেন প্রভাবশালী পরিচয় দেওয়া অম্বরীশ। জালিয়াতি, বিশ্বাসভঙ্গ, প্রতারণা, দুর্নীতিতে অম্বরীশের সঙ্গী দেবনিক দাস যুক্ত বলেও দাবি সুমনের। উল্লেখ্য, দেবনিক হলেন টাউন ক্লাবের কর্তা। তিনি আবার সিএবি যুগ্ম সচিব দেবব্রত দাসের পুত্র। দেবব্রত দাসের বিরুদ্ধেও এক কোটি টাকার বেশি দুর্নীতির অভিযোগ জমা পড়েছে সিএবি ওম্বুডসম্যানের কাছে। সুমন চিঠির সঙ্গে জুড়ে দেন কিছু হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট। যাতে ইউপিআই লেনদেনের মাধ্যমে অম্বরীশ যে টাকা পেয়েছেন তার প্রমাণ হিসেবে। সেই কথোপকথনে উঠে এসেছিল আজহারের নাম। এবার সেই আজহার চিঠি দিলেন সিএবিতে। আর্জি জানালেন, অম্বরীশের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলি নস্যাৎ করে দিতে। সিএবির বার্ষিক সাধারণ সভার আগে অম্বরীশ ও তাঁর খ্যাতিতে আঘাত দিতেই হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের অপব্যাখ্যা করে ওই চিঠি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে পাঠানো হয়েছে বলে দাবি আজহারের।আজহার সিএবি সভাপতি ও সচিবকে পাঠানো চিঠিতে লিখেছেন, ক্রিকেট খেলার সূত্রে অম্বরীশের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব। খেলার পাশাপাশি তাঁরা নানাভাবে বিভিন্ন ক্রিকেটারকে সাহায্য করে থাকেন। গত মরশুমে হাইকোর্ট ক্লাবকে সহযোগিতা করেছেন অম্বরীশ, সে কাজে তিনিও অম্বরীশের পাশে ছিলেন।ক্রিকেট দল চালাতে অর্থের প্রয়োজন। ময়দানের বিভিন্ন ক্লাব অনুদান-সহ নানাভাবে অর্থ সংগ্রহ করে খেলাধুলো পরিচালনা করে। সে কাজটাই তিনি ও অম্বরীশ করেছিলেন বলে জানান আজহার। তাঁরা সাধ্যমতো বিভিন্ন জায়গা থেকে অর্থ সংগ্রহ করে ক্রিকেটারদের জার্সি, ক্রিকেট সরঞ্জাম কিনে দেন, যাতায়াত, টিফিন, লাঞ্চের খরচ জোগান, অনুশীলনের জন্য প্র্যাকটিস-স্লট বুকিং, পরিকাঠামো তৈরি, আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা ক্রিকেটারদের সহায়তার কাজে সংগৃহীত অর্থ ব্যয় করেন বলে দাবি আজহারের। তিনি আরও বলেন, যে অর্থ সংগ্রহের প্রমাণ দেওয়া হয়েছে তা হাইকোর্ট ক্লাবের ক্রিকেট চালানোর কাজেই তহবিল গড়তে দেওয়া হয়েছে। যাতে মসৃণভাবে এই প্রক্রিয়া চলে সে কারণেই অম্বরীশের ইউপিআই ব্যবহার করে আর্থিক লেনদেন হয়েছে। এই অর্থ অম্বরীশ ও আজহার ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির জন্য তোলেননি বলেই চিঠিতে দাবি করা হয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, যাঁর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটকে হাতিয়ার করা হলো তিনিই যখন আসল তথ্য সিএবিকে চিঠি লিখে জানালেন তাতে অভিযোগকারীর দাবি অনেকটাই লঘু হয়ে গেল। অভিযোগকারী সুমন অম্বরীশের কর্মক্ষেত্রে যে ক্ষতিসাধনের চেষ্টা করেছেন সেটিও সমর্থনযোগ্য নয় বলে মনে করছেন বঙ্গ ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িত অনেকেই। মঙ্গল-রাতে আজহারের চিঠি জমা পড়ার পর সিএবি কী পদক্ষেপ করে সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

জুলাই ২২, ২০২৫
রাজ্য

জাতীয় সড়কে উড়ালপুলের দাবিতে রোড অবরোধ, নবানহাটে জনজোয়ার

আজ সকাল ৮টা থেকে পূর্ব বর্ধমানের মেটেল, নবাবহাট এলাকায় জাতীয় সড়কের উপর ব্যাপক রোড অবরোধ শুরু হয়েছে। মূল দাবিঅতি দ্রুত উড়ালপুল নির্মাণ। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করছেন, দীর্ঘদিন ধরেই ওই অঞ্চলের যানজট ও দুর্ঘটনার সমস্যা চরমে পৌঁছেছে। অথচ প্রশাসনের তরফে কোনো স্থায়ী সমাধান এখনও গৃহীত হয়নি।সকাল থেকেই প্রায় ৩,০০০-র বেশি মানুষ জাতীয় সড়কের উপর জড়ো হয়ে ব্যানার, প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ শুরু করেন। উড়ালপুল চাই, জীবনের নিরাপত্তা চাইএই দাবিতে মুখর হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রতিদিন স্কুল, অফিস যেতে গিয়ে আমরা দুর্ভোগে পড়ি। বহুবার দুর্ঘটনা ঘটেছে এই রাস্তায়। উড়ালপুল না হলে ভবিষ্যতে আর বড় ক্ষতি হবে। এই অবরোধে প্রচুর ছাত্র ছাত্রী যগদান করেছে, জাতীয় সড়কের দুই প্রান্তেই হাজার হাজার লড়ি বাস প্রাইভেট কার আটকে আছে। দূর্ভোগের চূড়ান্ত অবস্থা।অবরোধের কারণে জাতীয় সড়কের দুদিকেই শতাধিক গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়ে। পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকেরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন।জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, অবরোধকারীদের সঙ্গে আলোচনা চলছে এবং শীঘ্রই একটি সমাধানে পৌঁছনোর চেষ্টা করা হবে।

জুলাই ২২, ২০২৫
রাজনীতি

কলকাতায় তৃণমূলের শহিদ দিবস, উত্তরবঙ্গে যুব মোর্চার উত্তরকন্যা অভিযান

একদিকে যখন ধর্মতলায় তৃণমূল কংগ্রেস শহিদ দিবস পালন করছে তখন উত্তরবঙ্গে উত্তরকন্যা অভিযান করছে বিজেপি। এদিন শিলিগুড়িতে উত্তরকন্যা অভিযানে উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি ড. ইন্দ্রনীল খাঁ সহ উত্তরবঙ্গের বিজেপির সাংসদ এবং বিধায়কগণ। এদিন তিনবাত্তি মোড় থেকে সুবিশাল মিছিল শুরু হয়। মিছিল শেষে চুনাভাটি ফুটবল গ্রাউন্ড থেকে শাসক দলের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে বাংলাদেশ থেকে যে হিন্দুরা এসেছেন, তাঁরা মোদীজির চোখে শরণার্থী। অনুপ্রবেশকারী নন। এখানে ভারতীয় মুসলিমরা আছেন। আপনাদের কোনও চিন্তা নেই। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। কিন্তু বাংলাদেশি মুসলিম এবং রোহিঙ্গাদের একজনকেও ভোটার তালিকায় থাকতে দেব না। আগামী বিধানসভা ভোটে তৃণমূলকে পরাস্ত করার হুঁশিয়ারি দিয়ে বিরোধী দলনেতা বলেন, চ্যালেঞ্জ করছি ২০২৬-এ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করব। আমি চ্যালেঞ্জ করছি আপনাকে।বিরোধী দলনেতা বলেন, উত্তরবঙ্গে প্রকৃতি যা যা দিয়েছে, সব লুট করেছে। বালি, পাথর, গাছ কিছুই নেই। পাহাড়ের উপর বঞ্চনা হয়েছে। চা-বাগানের শ্রমিকেরা ঠিকঠাক মজুরি পান না। উত্তরবঙ্গের হাসপাতালগুলিতে নিউরোলজিস্ট নেই। কেন্দ্রীয় সরকার সেখানে এইমস তৈরি করতে চাইলেও রাজ্য সরকার জায়গা দেয় না বলে অভিযোগ তাঁর। বিরোধী দলনেতা এদিন আগামীর কর্মসূচি ঘোষণা করে জানান, আগামী ৪ অগস্ট দলের ৬৫ জন বিধায়ককে নিয়ে কোচবিহারে যাবেন। তখন দলের সব বিধায়ক মিলে উত্তরকন্যাতেও যাবেন বলে জানান তিনি।

জুলাই ২১, ২০২৫
রাজনীতি

“ভোটারদের গায়ে হাত পড়লে গণ আন্দোলন", চক্রান্ত বাংলাতেও! চরম হুঁশিয়ারি মমতার

বেশ কিছু দিন ধরেই কেন্দ্রীয় সরকার ভোটার তালিকায় কারচুপি করছে বলে অভিযোগ করছে তৃণমূল কংগ্রেস সহ বিজেপি বিরোধী দলগুলো। সোমবার একুশে জুলাইয়ের শহিদ দিবসে হুঙ্কার ছাড়লেন তৃণমূল সুপ্রমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, বিহারে ৪০ লক্ষেরও বেশি ভোটারের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। এবার পশ্চিমবঙ্গেও সেটাই করতে চাও? যদি এমনটা করার চেষ্টা করো, তাহলে আমরা ঘেরাও আন্দোলন শুরু করব। আমরা তীব্র প্রতিবাদে নামব। আমরা তোমাদের কারোর নাম বাদ দিতে দেব না, একজনকেও ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠাতে দেব না_এরই পাশাপাশি বিজেপি সরকারের বাঙালিদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন তিনি। মমতা বলেন, এই মুহূর্ত থেকেই শুরু হচ্ছে ভাষা আন্দোলন। ২৭ জুলাই থেকে, প্রতি শনিবার ও রবিবার মিছিল ও সভা করতে হবে-বাংলা ভাষার প্রতি যে হিংসা ও অবমাননা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে হবে। বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষকে সঙ্গে নিয়ে এটা করতে হবে। কোনও পরিযায়ী শ্রমিক বা তাঁদের পরিবার যদি বলে তারা সমস্যায় আছে, তাহলে পাশে দাঁড়াতে হবে, আমাদেরও অবহিত করুন।

জুলাই ২১, ২০২৫
রাজ্য

নিশানায় মহাদেব! চাঞ্চল্যকর অভিযোগ জমা পড়ল সিএবিতে

প্রবীর চক্রবর্তী, দেবব্রত দাস, অম্বরীশ মিত্রর পর এবার সিএবিতে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ জমা পড়ল মহাদেব চক্রবর্তীর নামে। সিএবির ওম্বুডসম্যান, সিএবি সচিব ও কলকাতা পুলিশ ক্লাবের সচিবের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন লেকটাউনের বাসিন্দা তথা ক্রিকেট অনুরাগী শ্যামল দাস। গত ১৮ জুলাই। অভিযোগ, সিএবির নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মহাদেব চক্রবর্তী বাংলার ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থার অ্যাপেক্স কাউন্সিলের সদস্য হয়ে রয়েছেন। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা দফতরের এসিপি (ওএসডি) পদে আসীন থাকা অবস্থায় কীভাবে মহাদেব চক্রবর্তী সিএবির অ্যাপেক্স কাউন্সিলের সদস্য হয়ে গেলেন তা নিয়েই দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন অভিযোগকারী।এমনকী তিনি মনোনয়নের সময় বা হলফনামায় যথোপযুক্ত নথি জমা দিয়েছিলেন কিনা, তাতে কোনও গরমিল আছে কিনা তা নিয়ে উপযুক্ত তদন্তের আর্জিও জানানো হয়েছে। সিএবির নিয়মের চতুর্থ চ্যাপ্টারে ৩৪(৩)(ডি) ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ মূলত উঠেছে মহাদেবের বিরুদ্ধে। এই নিয়মে উল্লেখ রয়েছে, যদি কোনও সরকারি কর্মচারী স্পোর্টস কোটায় নিযুক্ত হয়ে থাকেন একমাত্র সে ক্ষেত্রেই তিনি অ্যাপেক্স কাউন্সিলের সদস্য বা সিএবির পদাধিকারী হতে পারবেন। আবেদনকারীর সংশয় ঠিক এই জায়গাতেই। ফলে ক্লিনচিট পেতে মহাদেব এখন যথোপযুক্ত নথি পেশ করেন কিনা বা তিনি কী পদক্ষেপ করেন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।আবেদনকারীর আর্জি, মহাদেবকে সব ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে সরিয়ে রেখে শৃঙ্খলা সংক্রান্ত তদন্ত অবিলম্বে শুরু হোক। প্রয়োজনে ফৌজদারি পদক্ষেপ শুরু করা যেতে পারে বলেও আবেদন জানানো হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে, মহাদেবের নির্বাচন বাতিল ঘোষণা করে তাঁর সমস্ত অধিকার কেড়ে নিয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন বছর বাহাত্তরের ওই অভিযোগকারী। শুধু তাই নয়, এমন গুরুতর অভিযোগে দোষী প্রতিপন্ন হলে মহাদেব যাতে ভবিষ্যতে সিএবিতে কোনওভাবে যুক্ত থাকতে না পারেন সেই ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করার আর্জিও জানানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সিএবির কেউ কিংবা অভিযুক্ত মহাদেব চক্রবর্তী মুখ খোলেননি।

জুলাই ২১, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal