• ১০ পৌষ ১৪৩২, রবিবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

ATK Mohun Bagan

খেলার দুনিয়া

দুটি লক্ষ্য নিয়ে জামশেদপুরের বিরুদ্ধে মাঠে নামছে এটিকে মোহনবাগান। সেই দুটি লক্ষ্য কী?‌

দুটি লক্ষ্য নিয়ে সোমবার আইএসএলে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলতে নামছে এটিকে মোহনবাগান। এক, লিগ টেবিলের শীর্ষে থেকে লিগ উইনার্স শিল্ড জেতা। দুই, এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ছাড়পত্র জোগাড় করা। আইএসএলে লিগ পর্যায়ে নিজেদের শেষ ম্যাচে জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে ২ গোলের ব্যবধানে জিতলেই দুটি লক্ষ্য পূরণ হবে এটিকে মোহনবাগানের। সবুজমেরুণ কোচ জুয়ান ফেরান্দো মনে করেন তাংর দলের ২৩ গোলের ব্যবধানে জেতার ক্ষমতা আছে।গত মরশুমে অল্পের জন্য লিগ টেবিলের শীর্ষে পৌঁছতে পারেনি এটিকে মোহনবাগান। এমনকি গোটা আইএসএলে দুর্দান্ত ফুটবল উপহার দিয়েও রানার্স হয়েই সন্তুষ্ট হয়েছিল আন্তোনীও হাবাসের দলকে। এই মরশুমে হাবাসের কোচিংয়ে প্রথম দিকে ছন্দে ছিল না সবুজমেরুণ ব্রিগেড। তাঁকে সরিয়ে জুয়ান ফেরান্দোকে দায়িত্ব দিতেই ঘুরে দাঁড়ায় এটিকে মোহনবাগান। ফেরান্দোর সামনে এবার চ্যালেঞ্জ দলকে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার সুযোগ করে দেওয়া। সামনে মাত্র আর একটা ধাপ। জামশেদপুর এফসিকে ২ গোলের ব্যবধানে হারালেই অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে এটিকে মোহনবাগান। সবুজমেরুণ ব্রিগেডের সামনে লক্ষ্যটা যথেষ্ট কঠিন। কারণ এই মুহূর্তে দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছে জামশেদপুর এফসি। আগের ম্যাচে ওডিশা এফসিকে ৫১ ব্যবধানে উড়িয়েছে দিয়েছে, গোলের মধ্যে রয়েছেন এসসি ইস্টবেঙ্গলের বাতিল ঘোড়া ড্যানিয়েল চিমা। ৮ ম্যাচে ৭ গোল করে রীতিমতো নজর কেড়েছেন জামশেদপুর এফসির জার্সিতে। লিগ শীর্ষে পৌঁছতে গেলে এইরকম শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে ২ গোলের ব্যবধানে জিততে হবে এটিকে মোহনবাগানকে। যা যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং। প্রথম পর্বে এই জামশেদপুর এফসির কাছে ২১ ব্যবধানে হেরেছিল এটিকে মোহনবাগান। সেই ম্যাচের কথা মাথায় রাখছেন না বাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো। জামশেদপুরকে ২ গোলের ব্যবধানে হারানোর চ্যালেঞ্জ নিচ্ছেন। তাঁর বিশ্বাস, ফুটবলাররা পরিকল্পনামাফিক খেলতে পারলে জামশেদপুরকে ২ গোলের ব্যবধানে হারানো সম্ভব। তিনি বলেন, এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। চ্যাম্পিয়নশিপ জিততে গেলে প্রতি ম্যাচে তিন পয়েন্ট জেতার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামতে হয়। আমাদের ২০ বা ৩০ গোলে জিততে হবে, এটা একটা ভাল চ্যালেঞ্জ। এর আগে প্রায় সব ম্যাচেই আমরা এরকম লক্ষ্য নিয়েই নেমেছি। তাই অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। এখন প্রতি মিনিট ধরে ধরে খেলতে হবে। শেষ ম্যাচে লিগশিল্ড জেতার এটা একটা বড় সুযোগ। এর জন্য আমি কোনও চাপ অনুভব করছি না। বরং আমি খুশি যে এ রকম একটা সুযোগ আমি আবার পেয়েছি। আমার দল চ্যালেঞ্জ নেওয়ার জন্য তৈরি। চোটের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে খেলতে পারবেন না হুগো বোমাস। শুরু থেকেই আক্রমণভাগ সামলানোর দায়িত্ব রয় কৃষ্ণা, লিস্টন কোলাসো ও মনবীর সিংয়ের ওপর। পরিবর্ত হিসেবে নিয়ে আসবেন ডেভিড উইলিয়ামসকে। মাঝমাঠে বড় ভরসা জনি কাউকো। তাঁকে সাহায্য করবেন কার্ল ম্যাকহিউ ও দীপক টাংরি। রক্ষণ সামলাবেন প্রীতম, সন্দেশ, তিরি, শুভাশিস।

মার্চ ০৬, ২০২২
খেলার দুনিয়া

সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল এটিকে মোহনবাগান, এবার লড়াই শীর্ষস্থানের

লিগশিল্ড শেষ পর্যন্ত কি স্পর্শ করতে পারবে এটিকে মোহনবাগান? যে দল লিগ টেবিলের শীর্ষে থাকে, তারাই লিগশিল্ড পায়। কেরালা ব্লাস্টার্স ও ওডিশা এফসির কাছে আটকে যাওয়ার পর আইএসএলের লিগ টেবিলের শীর্ষে ওঠার লড়াই থেকে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছিল। অঙ্কটা বদলে দিয়েছিল হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে জামশেদপুর এফসির জয়। লিগ টেবিলের শীর্ষে ওঠার লড়াইয়ে টিকে থাকতে গেলে চেন্নাইন এফসির বিরুদ্ধে জিততেই হত এটিকে মোহনবাগানকে। চেন্নাইনকে ১০ ব্যবধানে হারিয়ে জামশেদপুর এফসির ওপর চাপ বাড়াল সবুজমেরুণ শিবির। একই সঙ্গে তৃতীয় দল হিসেবে সেমিফাইনালে খেলা নিশ্চিত করল জুয়ান ফেরান্দোর দল। চেন্নাইন এফসির বিরুদ্ধে এদিন শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল এটিকে মোহনবাগান। প্রথম একাদশে রেখেছিলেন রয় কৃষ্ণাকে। মনবীরকে সেন্টার ফরোয়ার্ড করে দিয়ে রয় কৃষ্ণাকে উইংয়ে এনেছিলেন জুয়ান ফেরান্দো। অনভ্যস্ত পজিশনে খেলেও প্রথমার্ধে দুদুটি সুযোগ পেয়েছিলেন ফিজির এই স্ট্রাইকার। ২ মিনিটে জনি কাউকোর কাছ থেকে বল পেয়ে বক্সের ডানদিক থেকে শট নিয়েছিলেন রয় কৃষ্ণা। তাঁর সেই শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। মনে হচ্ছিল, দিনটা বুঝি এটিকে মোহনবাগানের নয়। কিন্ত ভুল ভাঙতে দেরি হয়নি। এরপর আধিপত্য বজায় রেখে একের পর এক আক্রমণ তুলে নিয়ে আসে সবুজমেরুণ ফুটবলাররা। তবে গোল আসছিল না। শুরুতেই জ্বলে ওঠা ছাড়া রয় কৃষ্ণাও সুবিধা করতে পারছিলেন না। তবে বিরতির ঠিক আগের মুহূর্তে আবার জ্বলে ওঠেন রয় কৃষ্ণা। এবারও সেই জনি কাউকোরয় কৃষ্ণা যুগলবন্দী। প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে ডানদিক থেকে বল ধরে এগিয়ে যান জনি কাউকো। বক্সের বাইরে থেকে দুরন্ত পাস বাড়ান রয় কৃষ্ণার উদ্দেশ্যে। ডানপায়ের কোনাকুনি শটে গোল করেন রয় কৃষ্ণা।দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই চাপ বাড়ায় চেন্নাইন এফসি। এইসময় এটিকে মোহনবাগান রক্ষণকে বেশ নড়বড়ে মনে হচ্ছিল। ৬৩ মিনিটে সমতা ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিল চেন্নাইন এফসি। রেগান সিংয়ের শট পোস্টে লেগে ফেরে। এদিন লিস্টন কোলাসো নিজের সেরা ছন্দে ছিলেন না। ৬৯ মিনিটে তাঁকে তুলে নিয়ে প্রবীর দাসকে নামান জুয়ান ফেরান্দো। একই সঙ্গে তুলে নেন জনি কাউকোকে। দ্বিতীয়ার্ধের বাকি সময় কোনও দলই গোল করার মতো তেমন সহজ সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। ১৯ ম্যাচে ৩৭ পয়েন্ট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে পৌঁছল এটিকে মোহনবাগান। টপকে গেল হায়দরাবাদ এফসিকে। ১৯ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৩৫। ১৮ ম্যাচে জামশেদপুর এফসির পয়েন্ট ৩৭। তারাই রয়েছে শীর্ষে। পরের ম্যাচে জামশেদপুর খেলবে ওডিশার বিরুদ্ধে। এটিকে মোহনবাগানকে শীর্ষে পৌঁছতে গেলে শেষ ম্যাচে জামশেদপুর এফসিকে শেষ ম্যাচে হারাতেই হবে।

মার্চ ০৩, ২০২২
খেলার দুনিয়া

লিগ টেবিলের শীর্ষে পৌঁছতে পারবে এটিকে মোহনবাগান?‌ কী বলছেন জুয়ান ফেরান্দো

আইএসএলের লিগ টেবিলে শীর্ষস্থানে কি শেষ করতে পারবে এটিকে মোহনবাগান? কাজটা কঠিন হলেও আত্মবিশ্বাসী সবুজমেরুণ কোচ জুয়ান ফেরান্দো। বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে দুরন্ত জয় আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে।কেরালা ব্লাস্টার্স ও ওডিশা এফসির কাছে পরপর দুম্যাচ ড্র করে কিছুটা হলেও চাপে পড়ে গিয়েছিল সবুজমেরুণ শিবির। বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে জয় শুধু চাপই কাটায়নি, লিগ টেবিলের শীর্ষে ওঠার লড়াইয়েও সামিল করেছে এটিকে মোহনবাগানকে। যদি বেঙ্গালুরুর কাছে হারত, তাহলে প্লে অফে ওঠাও কঠিন হয়ে যেত। দলের ফুটবলাররা যেভাবে লড়াই করেছেন, তাতে খুশি জুয়ান ফেরান্দো। সবুজমেরুণ কোচ বলেন, আমাদের কাছে সময়টা সত্যিই খুব কঠিন যাচ্ছে। কোভিড, কোয়ারান্টাইন, যথেষ্ট অনুশীলনের অভাব নিয়ে আগেও অনেকবার বলেছি। সব ক্লাবেরই একই পরিস্থিতি। তবে আমি খুশি। কারণ, কঠিন সময়ে দলের প্রত্যেকেই নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। ছেলেদের মানসিকতা, চারিত্রিক দৃঢ়তার প্রশংসা করতে হবে। আমার ক্ষেত্রে ব্যাপারটা আরও কঠিন। কারণ, আমি দলের সঙ্গে ডিসেম্বরে যোগ দেওয়ায় ক্লাবের প্রাক মরশুম প্রস্তুতিতে ছিলাম না।দুম্যাচ পর দল জয়ে ফিরেছে। সেমিফাইনাল অনেকটাই নিশ্চিত। আপাতত চেন্নাইন এফসির বিরুদ্ধে পরের ম্যাচ নিয়েই ভাবছেন জুয়ান ফেরান্দো। তাঁর লক্ষ্য ৩ পয়েন্ট তুলে নিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষস্থানের দিকে এগিয়ে যাওয়া। এটিকে মোহনবাগান কোচ বলেন, মনে হচ্ছে পরীক্ষা দিতে বসেছি। পরের পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য মাত্র দুদিন হাতে আছে। চেন্নাইন এফসির বিরুদ্ধে পরের ম্যাচ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ৩ পয়েন্ট পেতেই হবে। না হলে শীর্ষস্থানের লড়াই থেকে ছিটকে যাব।লিগ টেবিলের শীর্ষে পৌঁছনোর ব্যাপারে আশাবাদী এটিকে মোহনবাগান কোচ। জুয়ান ফেরান্দো বলেন, আশা করছি লক্ষ্যে পৌঁছতে পারব। তবে ওডিশা ম্যাচের পরে আমাদের হাতে আর কিছু নেই। যেটা আমাদের হাতে আছে, তা হল চেন্নাইন ও জামশেদপুরকে হারানোর চেষ্টা করা। কারণ, এই দুই ম্যাচে আমাদের শক্তিক্ষয় হতে পারে। তার পরে মুম্বই-হায়দরাবাদ, হায়দরাবাদ-জামশেদপুর ম্যাচগুলোর ওপরও নির্ভর করবে আমাদের ভবিষ্যৎ। দেখা যাক কী হয়। আশা করব পরিস্থিতি আমাদের পক্ষেই থাকবে। লিগ টেবলের শীর্ষে ওঠার কথা ভাবার চেয়ে এখন পরের দুই ম্যাচ থেকে ৬ পয়েন্ট অর্জনের কথা বেশি ভাবাই ভাল। তার পরে দেখা যাবে।

ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২২
খেলার দুনিয়া

বেঙ্গালুরু'কে হারিয়ে লিগের শীর্ষস্থানের লড়াই জমিয়ে দিল এটিকে মোহনবাগান

এটিকে মোহনবাগান ও বেঙ্গালুরু এফসি ম্যাচ দুদলের কাছেই ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। লিগ টেবিলের শীর্ষে ওঠার সম্ভাবনা জিইয়ে রাখতে গেলে এটিকে মোহনবাগানকে জিততেই হত। অন্যদিকে, প্লে অফের লড়াইয়ের জন্য জেতাটা জরুরি ছিল বেঙ্গালুরু এফসির কাছে। আক্রমণাত্মক ফুটবলের স্ট্র্যাটেজি নিয়েও শেষরক্ষা হয়নি বেঙ্গালুরু এফসির। বাজিমাত করে গেল জুয়ান ফেরান্দোর দল। রবিবার বেঙ্গালুরু এফসিকে ২০ ব্যবধানে হারিয়ে শীর্ষে ওঠার লড়াই আরও জমিয়ে দিল এটিকে মোহনবাগান। ১৮ ম্যাচে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে লিগ শীর্ষে যাওয়ার দৌড়ে থাকল সবুজমেরুণ শিবির।আগের ম্যাচে ওডিশা এফসির কাছে আটকে গিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে ওঠার রাস্তায় কাঁটা বিছিয়ে ফেলেছিল এটিকে মোহনবাগান। রবিবার বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়াল। সবুজমেরুণের জয়ের নায়ক লিস্টন কোলাসো ও মনবীর সিং। আইএসএলে বিদেশিদের ভিড়ে দারুণ উজ্জ্বল এই দুই ভারতীয়। ডিফেন্সে এদিন প্রাচীর হয়ে দাঁড়ালেন সন্দেশ ঝিঙ্ঘান ও তিরি। এটিকে মোহনবাগানের এই দুই ডিফেন্ডার এদিন কোনও সুযোগ দেননি সুনীল ছেত্রি, ক্লেইটন সিলভা ও ইবারাদের।আগের ম্যাচে ওডিশা এফসির বিরুদ্ধে সেভাবে উইং দিয়ে আক্রমণ শানাতে পারেননি লিস্টন কোলাসো, মনবীর সিংরা। বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে লিস্টন কোলাসো ছন্দে ফিরতেই চেনা বাগান। প্রথমার্ধে বারবার বেঙ্গালুরুর বক্সে পৌঁছে গেলেও গোলমুখ খুলতে পারছিলেন না লিস্টন কোলাসো, মনবীর সিংরা। অবশেষে প্রথমার্ধের একেবারে শেষলগ্নে ডেডলক ভাঙেন লিস্টন কোলাসো। প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে বক্সের ঠিক বাইরে লিস্টনকে একসঙ্গে মিলে ফাউল করেন ব্রুনো সিলভা ও অজয় ছেত্রি। রেফারি ফ্রিকিকের নির্দেশ দেন। বাঁক খাওয়ানো দুরন্ত ফ্রিকিক থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন লিস্টন কোলাসো। এই নিয়ে আইএসএলে ৮টি গোল করে ফেললেন এই ভারতীয় উইঙ্গার।এটিকে মোহনবাগান ও বেঙ্গালুরু এফসি ম্যাচদ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণের ধারা অব্যাহত থাকে এটিকে মোহনবাগানের। ৫৬ মিনিটে ব্যবধান বাড়তে পারত সবুজমেরুণের। জনি কাউকোর কাছ থেকে বল পেয়ে গোল লক্ষ্য করে শট নেন লিস্টন কোলাসো। তাঁর শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। সমতা ফেরানোর জন্য মরিয়া হলেও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনননি ইবারা, সুনীলরা। ৮৫ মিনিটে বক্সের মাথা থেকে গড়ানো শটে গোল করে এটিকে মোহনবাগানের জয় নিশ্চিত করেন মনবীর সিং। প্লে অফের স্বপ্নের সলিলসমাধি ঘটে বেঙ্গালুরুর।

ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২২
খেলার দুনিয়া

শেষ মুহূর্তে চূড়ান্ত নাটক, জনি কাউকোর গোলে হার বাঁচাল এটিকে মোহনবাগান

টানা ১১ ম্যাচ অপরাজিত থাকার পর শেষ পর্যন্ত হারতে হবে? আশঙ্কার কালো মেঘ ঘনিয়ে এসেছিলে এটিকে মোহনবাগানের আকাশে। কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে জ্বলে উঠলেন জনি কাউকো। গোল করে দলের টানা ১২ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড অক্ষুন্ন রাখলেন না, দলকে তুলে নিয়ে গেলেন আইএসএলের লিগ টেবিলের শীর্ষে। দুদুবার পিছিয়ে পড়েও দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন। শেষ পর্যন্ত ২২ গোলে ড্র করল এটিকে মোহনবাগান।দ্বিতীয়ার্ধে তখন ইনজুরি সময়ের খেলা চলছে। প্রায় ৭ মিনিট হয়ে গেছে। ইতিমধ্যেই লালকার্ড দেখে ফেলেছেন প্রবীর দাস। রেফারি শেষ বাঁশি বাজানোর অপেক্ষায়। এটিকে মোহনবাগান রিজার্ভ বেঞ্চে ক্রমশ হতাশা গ্রাস করছে। এমন সময়ই ঝলসে উঠল জনি কাউকোর পা। হুগো বোমাসের পাস থেকে দুর্দান্ত দক্ষতায় বল গোলে পাঠান জনি কাউকো। স্বস্তির নিঃশ্বাস এটিকে মোহনবাগান শিবিরে। অন্তত হার তো বাঁচল। এদিন ম্যাচের শুরু খেকেই পরতে পরতে উত্তেজনা। ম্যাচের ৭ মিনিটেই ফ্রিকিক থেকে দুর্দান্ত গোল করে কেরালা ব্লাস্টার্সকে এগিয়ে দেন আদ্রিয়ান লুনা। পরের মিনিটেই সমতা ফেরায় এটিকে মোহনবাগান। প্রীতম কোটালের মাইনাস থেকে ছোট্ট টোকায় কেরালা ব্লাস্টার্সের জালে পাঠান ডেভিড উইলিয়ামস। এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই এই বিদেশি স্ট্রাইকারকে নামিয়েছিলেন বাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো। এরপরই আক্রমণ প্রতিআক্রমণে খেলাটা জমে ওঠে। দুই দলই গোল করার মতো সুযোগ পায়। কিন্তু তিন কাঠি খুঁজে পেতে ব্যর্থ হয়। প্রথমার্ধে খেলার ফল ছিল ১১। দ্বিতীয়ার্ধে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে দুদলই। ডেভিড উইলিয়ামসের জায়গায় হুগো বোমাসকে মাঠে নিয়ে আসেন জুয়ান ফেরান্দো। কিন্তু খুব বেশি লাভ হয়নি। এটিকে মোহনবাগানের আক্রমণের ঝাঁঝ তেমন বাড়েনি। ৬৪ মিনিটে আবার এগিয়ে যায় কেরালা ব্লাস্টার্স। পুটিয়ার ক্রস থেকে বল এটিকে মোহনবাগানের জালে পাঠান সেই আদ্রিয়ান লুনা। ৮৩ মিনিটে কিয়ান নাসিরিকে নামান জুয়ান ফেরান্দো। তার আগে মাঠে নিয়ে এসেছিলেন রয় কৃষ্ণাকে। ৮৭ মিনিটে নামার প্রবীর দাসকে। ইনজুরি সময়ে মাথা গরম করে লাল কার্ড দেখেন প্রবীর দাস। হার যে বাঁচবে না, একপ্রকার সবাই ধরে নিয়েছিলেন। একেবারে অন্তিমলগ্নে জনি কাউকোর সেই গোল।

ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২২
খেলার দুনিয়া

মনদীপের জোড়া গোল, দুর্দান্ত ফুটবল উপহার দিয়ে হায়দরাবাদকে ধরে ফেলল এটিকে মোহনবাগান

করোনায় আক্রান্ত এফসি গোয়ার বেশ কয়েকজন ফুটবলার। আদৌও এটিকে মোহনবাগানএফসি গোয়া ম্যাচ হবে তো? বুধবার সকাল থেকেই আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। জল্পনা উড়িয়ে অবশেষে মাঠে নামল দুই দল। দুর্দান্ত ফুটবল উপহার দিয়ে এফসি গোয়াকে ২০ ব্যবধানে হারিয়ে শীর্ষে থাকা হায়দরাবাদ এফসিকে ছুঁয়ে ফেলল। ১৬ ম্যাচে হায়দবাদের পয়েন্ট ২৯। ১ ম্যাচ কম খেলে এটিকে মোহনবাগানের পয়েন্টও ২৯। গোলপার্থক্যে এটিকে মোহনবাগান রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। জোড়া গোল করে সবুজমেরুণের জয়ের নায়ক মনবীর সিং। তবে লিস্টন কোলাসোর কৃতিত্বও কোনও অংশে কম নয়। মনবীরের দুটি গোলের কারিগর তিনি। তাছাড়া গোটা ম্যাচে দুর্দান্ত ফুটবল উপহার দেন লিস্টন কোলাসো। এদিন ম্যাচের ৩ মিনিটেই এটিকে মোহনবাগানকে এগিয়ে দেয় লিস্টন কোলাসোমনবীর সিং যুগলবন্দী। লিস্টনের কর্ণার থেকে দুরন্ত হেডে গোল করেন মনবীর। শুরুতে গোল হজম করেও হতদ্যোম হয়ে পড়েনি এফসি গোয়া। দারুণভাবে ম্যাচে ফিরে আসে। আক্রমণ প্রতিআক্রমণে খেলাটা দারুণ জমে উঠেছিল। ২৫ মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ এসেছিল এটিকে মোহনবাগানের সামনে। জনি কাউকোর শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৩৪ মিনিটে সমতা ফেরাতে পারত এফসি গোয়া। আনোয়ার আলির শট এটিকো মোহনবাগান গোলকিপার অমরিন্দার সিংয়ের হাত স্পর্শ করে ক্রশবারে লেগে বেরিয়ে যায়।প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে নিজেদের মাঝমাঠ থেকে বল ধরে অনেকটা দৌড়ে এফসি গোয়ার বক্সে ঢুকে পড়ে বাঁ পায়ে দুরন্ত শট নিয়েছিলেন লিস্টন কোলাসো। তাঁর শট ততোধিক তৎপরতায় বাঁচান এফসি গোয়া গোলকিপার ধীরাজ সিং। না হলে প্রথমার্ধেই ২০ ব্যবধানে এগিয়ে যেতে পারত এটিকে মোহনবাগান। দ্বিতীয়ার্ধে আরও আক্রমণাত্মক এটিকে মোহনবাগান। দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হতেই আবার গোল। এবারও সেই লিস্টন কোলাসো মনবীর সিং যুগলবন্দী। নিজেদের বক্সের সামনে থেকে বল ছিনিয়ে নিয়ে মনবীরের উদ্দেশ্যে থ্রু বল বাড়ান লিস্টন কোলাসো। সেই বল ধরে এগিয়ে আসা ধীরাজের পাশ দিয়ে ঠান্ডা মাথায় বল জালে পাঠান মনবীর। ৪ মিনিট পরেই হ্যাটট্রিক করার সুযোগ এসেছিল মনবীরের সামনে। ধীরাজকে সামনে একা পেয়েও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। ৫৩ মিনিটে জনি কাউকোও একটি সহজ সুযোগ নষ্ট করেন। ৭৬ মিনিটে আবার গোল করার সুযোগ এসেছিল মনবীরের সামনে। শট নিতে দেরি করায় বল বিপদমুক্ত করে দেন এফসি গোয়ার ডিফেন্ডাররা। ৮০ মিনিটে লিস্টন কোলাসোর বাঁক খাওয়ানো কর্ণার পোস্টে লেগে ফিরে আসে।

ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২২
খেলার দুনিয়া

টানা ১০ ম্যাচ অপরাজিত, এটিকে মোহনবাগানকে দ্বিতীয় স্থানে তুললেন লিস্টন কোলাসো

পচা শামুকে পা কাটতে পারে। এই আশঙ্কায় ছিলেন এটিকে মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো। তাঁর আশঙ্কা যে অমূলক, প্রমাণ হয়ে গেল। নর্থইস্ট ইউনাইটেডকে ৩১ ব্যবধানে হারিয়ে আইএসএলের লিগ টেবিলেন দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল এটিকে মোহনবাগান। ১৪ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট সবুজমেরুণ শিবিরের। এটিকে মোহনবাগানকে দ্বিতীয় স্থানে তুলে নিয়ে আসার পেছনে কৃতিত্ব লিস্টন কোলাসোর। এদিনও দারুণ ফুটবল উপহার দিলেন। চোটের জন্য হুগো বোমাস, রয় কৃষ্ণা, ডেভিড উইলিয়ায়মস, কার্ল ম্যাকহিউরা এদিন ছিলেন না। তা সত্ত্বেও দুর্দান্ত ফুটবল উপহার দিল সবুজমেরুণ ব্রিগেড। টানা ১০ ম্যাচ অপরাজিত এটিকে মোহনবাগান। হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে যেখানে শেষ করেছিল, সেখান থেকেই শুরু করেছিল এটিকে মোহনবাগান। ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল। ৯ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত এটিকে মোহনবাগান। জনি কাউকো মাঝমাঠ থেকে দারুণ পাস বাড়িয়েছিলেন। বল ধরে এগিয়ে যান মনবীর সিং। সামনে শুধু নর্থইস্ট গোলকিপার শুভাশিস রায়চৌধুরি। তাড়াহুড়ো করে বল বাইরে মারেন মনবীর। যদি কাট করে ভেতরে ঢুকতেন, গোল মুখ আরও ওপেন হয়ে যেত মনবীরের সামনে। ১৩ মিনিটে আবার সুযোগ এসেছিল মনবীরেরপ সামনে। আগের সুযোগের অ্যাকশন রিপ্লে। এবারও বাইরে মারেন। ১৫ মিনিটে আরও একটা সুযোগ এসেছিল এটিকে মোহনবাগানের সামনে। কাজে লাগাতে পারেননি লিস্টন কোলাসো। প্রতি আক্রমণে এসে ১৭ মিনিটে গোল তুলে নেয় নর্থইস্ট ইউনাইটেড। মাঝমাঠ থেকে বল ধরে দারুণ গতিতে ঢুকে ভিপি সুহেরকে বল সাজিয়ে দেন মার্সেলো। মার্সেলোর পাস ধরে দুর্দান্ত শটে গোল করেন সুহের। ২২ মিনিটে সমতা ফেরায় এটিকে মোহনবাগান। লিস্টন কোলাসোর পাস থেকে নর্থইস্টের ডি বক্সের বাইরে থেকে জোরালো ইনস্টেপে জালে পাঠান জনি কাউকো। সবুজমেরুণ জার্সি গায়ে প্রথম গোল করলনে কাউকো। ২৪ মিনিটে এটিকে মোহনবাগান গোল লক্ষ্য করে দুর্দান্ত শট নিয়েছিলেন মার্সেলো। প্রীতম কোটালের পায়ে লেগে বল বাইরে যায়। ২৭ মিনিটে জনি কাউকোর গোলমুখী শট নর্থইস্টের এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে বাইরে যায়। প্রথমার্ধের শেষলগ্নে এগিয়ে যায় এটিকে মোহনবাগান। আবার সেই জনি কাউকোলিস্টন কোলাসো যুগলবন্দী। কাউকোর পাস থেকে ২১ করেন কোলাসো। দ্বিতীয়ার্ধেও এটিকে মোহনবাগানের আক্রমণের ঝাঁঝ অব্যাহত থাকে। ৫২ মিনিটে ৩১ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। লিস্টন কোলাসোর পাস নর্থইস্ট ইউনাইটেডের এক ফুটবলারের পায়ে লেগে মনবীরের কাছে যায়। বক্সে ঢুকে কাট করে এক ডিফেন্ডারকে টলিয়ে ডানপায়ের শটে গোল করেন মনবীর। ৮৮ মিনিটে নর্থইস্ট ইউনাইটেড গোলকিপারকে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন। এদিন যা সুযোগ পেয়েছিলেন, অনায়াসে হ্যাটট্রিক করতে পারেন।এদিনও দারুণ নজর কাড়েন লিস্টন কোলাসো। মরশুমের শুরু থেকেই স্বপ্নের দৌড় চলছে সবুজমেরুণের এই উইঙ্গারের। এদিনও বারবার প্রান্ত বদল করে ব্যতিব্যস্ত করে রাখেন নর্থইস্ট ইউনাইটেড রক্ষণকে। একটি গোল করে, একটি করিয়ে এটিকে মোহনবাগানের জয়ের নায়ক।

ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২২
খেলার দুনিয়া

নর্থ–ইস্টের বিরুদ্ধে নামার আগে জুয়ান ফেরান্দোর মাথায় ঘুরছে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ

১৩ ম্যাচে ২৩ পয়েন্ট পেয়ে আইএসএলের লিগ টেবিলে এই মুহূর্তে চতুর্থ স্থানে রয়েছে এটিকে মোহনবাগান। আর ২ ম্যাচ জিতলেই কার্যত নিশ্চিত হয়ে যাবে প্লে অফ। একই সঙ্গে বেঙ্গালুরু এফসি ও জামশেদপুর এফসিকে টপকে উঠে আসবে দ্বিতীয় স্থানে। এই অবস্থায় শনিবার লিগের একেবারে শেষে থাকা নর্থইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে খেলতে নামছে এটিকে মোহনবাগান। লিগ তালিকায় সবার শেষে থাকলেও বিপক্ষকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন সবুজমেরুণ কোচ জুয়ান ফেরান্দো। নর্থইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে ৩ পয়েন্ট পাওয়া যে সহজ হবে না, সেকথা মনে করছেন বাগান কোচ। বিপক্ষ শিবিরের থেকেও বেশি চিন্তা নিজেদের নিয়ে। একদিকে যেমন চোট আঘাতে জর্জরিত গোটা শিবির। তেমনই আবার আত্মতুষ্টির আশঙ্কা। আগের ম্যাচে লিগ টেবিলের শীর্ষে থাকা হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে দুর্দান্ত জয় তুলে নিয়েছে সবুজমেরুণ ব্রিগেড। দলের ফুটবলারদের চোটের সঙ্গে সেটাও একটা চিন্তা। জুয়ান ফেরান্দো মনে করছেন, এতে ফুটবলারদের মধ্যে আত্মতুষ্টি আসতে পারে। কেন লিগ টেবিলের শেষে থাকা নর্থইস্ট ইউনাইটেডকে গুরুত্ব দিচ্ছেন সবুজমেরুণ কোচ? জুয়ান ফেরান্দোর ব্যাখ্যা, আমার দলের বেশ কয়েকজন ফুটবলারের চোট রয়েছে। রয় কৃষ্ণা, ডেভিড উইলিয়ামস, কার্ল ম্যাকহিউ, হুগো বোমাস, অমরিন্দার সিং, দীপক টাংরি, কিয়ান নাসিরি, প্রত্যেকেরই ছোটবড় চোট রয়েছে। দল গড়তে সমস্যা হচ্ছে। আর নর্থইস্ট ইউনাইটেডের হারানোর কিছু নেই। ওরা মরিয়া হয়ে ঝাঁপাতেই পারে। তাই আমাদের কাছে কাজটা কঠিন।১৬ ম্যাচে ২৯ পয়েন্টে শীর্ষে হায়দরাবাদ এফসি। জামশেদপুর এফসি ১৪ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট পেয়ে রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। বেঙ্গালুরু এফসির ১৬ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট। শুক্রবার জামশেদপুর এফসির কাছে বেঙ্গালুরুর হারে সুবিধা হয়েছে এটিকে মোহনবাগানের। তবে এসব নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন না জুয়ান ফেরান্দো। তিনি শুধু একটা অঙ্কই ভেবে চলেছেন, কীভাবে লিগ টেবিলের শীর্ষে পৌঁছনো যায়। তাঁর লক্ষ্য এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলা। লিগ টেবিলে শীর্ষে থাকা দল এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার সুযোগ পাবে। নর্থইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে জুয়ান ফেরান্দো বলেন, ৩৫৩৬ পয়েন্ট পেলেই প্লে অফ নিশ্চিত। কিন্তু আমার লক্ষ্য শীর্ষস্থান। তাহলে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলতে পারব।

ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২২
খেলার দুনিয়া

লিগ টেবিলে ৪ নম্বরে উঠে এসেও সমস্যায় এটিকে মোহনবাগান। কেন?‌

লিগ টেবিলে যতই ওপরের দিকে যাচ্ছে, সমস্যায় পড়ছে এটিকে মোহনবাগান। শীর্ষে থাকা হায়দরাবাদ এফসিকে হারিয়ে লিগ টেবিলে ৪ নম্বরে উঠে এলেও স্বস্তিতে নেই সবুজমেরুণ শিবির। চোটআঘাতে রীতিমতো জর্জরিত। শনিবার সামনে নর্থইস্ট ইউনাইটেড। নর্থইস্টের বিরুদ্ধে কীভাবে দল সাজাবেন, এখন সেটা নিয়েই চিন্তায় সবুজমেরুণ কোচ জুয়ান ফেরান্দো।আগের ম্যাচে হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে দারুণ লড়াই করে জিতেছে। ৩ পয়েন্ট পেয়ে চতুর্থ স্থানে উঠে এলেও বড় ধাক্কা খেয়েছে সবুজমেরুণ শিবির। ম্যাচের ৩৩ মিনিটে কুঁচকিতে চোটের জন্য মাঠ থেকে বেরিয়ে যান হুগো বোমাস। নর্থইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে মাঠে নামার মতো পরিস্থিতিতে নেই। কার্ল ম্যাকহিউকেও পেশিতে চোটের জন্য ৩৮ মিনিটে মাঠ থেকে বেরিয়ে যেতে হয়। তিনিও পরের ম্যাচে মাঠে নামতে পারবেন না। ডেভিড উইলিয়ামস ও অমরিন্দার সিংও চোটের কবলে। এই দুজনের খেলাও অনিশ্চিত। একাধিক ফুটবলারের চোটআঘাত সমস্যায় ফেলে দিয়েছে এটিকে মোহনবাগানকে।এই অবস্থায় নর্থইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে কীভাবে আক্রমণভাগ সাজাবেন, তা নিয়ে চিন্তায় জুয়ান ফেরান্দো। তাঁর কাছে আশার আলো চোট সারিয়ে রয় কৃষ্ণার অনুশীলনে নামা। পরের ম্যাচে হয়তো তাঁকে খেলাবেন জুয়ান ফেরান্দো, সঙ্গী হতে পারেন কিয়ান নাসিরি। ডার্বিতে পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নেমে হ্যাটট্রিক করেছিলেন কিয়ান। হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধেও আগের ম্যাচে তাঁকে পরে নামিয়েছিলেন। নর্থইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে হয়তো শুরু থেকেই সুযোগ পাবেন সবুজমেরুণের এই তরুণ স্ট্রাইকার। অমরিন্দারের পরিবর্তে তিন কাঠির নিচে দেখা যেতে পারে সুব্রত পালকে। তবে জুয়ান ফেরান্দোর হাতে আরও একদিন সময় আছে। এর মধ্যে মিরাকল ঘটিয়ে যদি অমরিন্দাররা খেলার মতো জায়গায় চলে আসে, তাহলে চিন্তামুক্ত হবেন জুয়ান। তবে পুরো ফিট না হলে তিনি কাউকে মাঠে নামাবেন না।

ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২২
খেলার দুনিয়া

এসসি ইস্টবেঙ্গলের আসল ‘‌হীরে’‌ তুলে নেওয়ার জন্য মরিয়া এটিকে মোহনবাগান

চুক্তিপত্রে সই করা নিয়ে ক্লাব কর্তা ও লগ্নিকারী সংস্থা শ্রী সিমেন্টের সঙ্গে মরশুম শুরুর আগেই টানাপোড়েন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত জট কাটে। শেষ মুহূর্তে দল গড়তে নেমে ভালমানের ফুটবলার পাননি এসসি ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। যে কজন স্বদেশি ফুটবলারকে সই করিয়েছিলেন, তার মধ্যে এখনও পর্যন্ত উজ্জ্বল হীরা মণ্ডল। চলতি আইএসএলে হীরাই লালহলুদের আসল হীরে। ইতিমধ্যেই সামনের মরশুমের জন্য তাঁকে নিয়ে শুরু হয়েছে টানাটানি। ২০১৫ সালে পোর্ট ট্রাস্টের হয়ে ফুটবলজীবন শুরু করেন হীরা মণ্ডল। তারপর রোনবো এসসি, টালিগঞ্জ, পিয়ারলেস হয়ে ২০১৮১৯ মরশুমে ইস্টবেঙ্গলে যোগ দেন। লালহলুদ জার্সি গায়ে নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি। পরের মরশুমে যোগ দেন মহমেডান স্পোর্টিংয়ে। ২০২০২১ মরশুমে সাদাকালো জার্সি গায়ে আই লিগে নজরকাড়া ফুটবল খেলেছিলেন হীরা মণ্ডল। ১৪টি ম্যাচ খেলেছিলেন আই লিগে। লেফট ব্যাকে খেললেও দুর্দান্ত ওভারল্যাপে উঠতে পারেন। আই লিগে সাদাকালো জার্সি গায়ে দুটি গোলও করেছিলেন। এই মরশুমে আইএসএল শুরুর আগে এসসি ইস্টবেঙ্গল কর্তারা সই করায় হীরাকে। চলতি আইএসএলে এখনও পর্যন্ত ১৬টি ম্যাচ খেলেছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। এরমধ্যে ২ ম্যাচে মাঠে নামার সুযোগ পাননি হীরা মণ্ডল। বাকি ১৪টি ম্যাচেই তিনি খেলেছেন। আদতে লেফট ব্যাক হলেও দলের প্রয়োজনে কখনও সেন্ট্রাল ডিফেন্সে, কখনও আবার রাইট ব্যাকে খেলতে হয়েছে। সব জায়গাতেই নিজেকে দারুণভাবে মেলে ধরেছেন। চলতি আইএসএলে ভুল যে করেননি, এমন নয়। দুদুটি ম্যাচে আত্মঘাতী গোল করে ফেলেছিলেন হীরা। তবে বাকি ম্যাচে তাঁর দুরন্ত পারফরমেন্স ভুলত্রুটি ঢেকে দিয়েছে। ওডিশা এফসির বিরুদ্ধে দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচে একটা দুর্দান্ত গোললাইন সেভ করে রীতিমতো প্রশংসা কুড়িয়েছেন। চলতি আইএসএলে এসসি ইস্টেঙ্গলের স্বদেশী ফুটবলারদের রেটিংয়ে তিনি রয়েছেন দ্বিতীয় স্থানে। তাঁর রেটিং ৬.০৭। স্বদেশি ফুটবলারদের মধ্যে সবথেকে বেশি রেটিং নওরেম মহেশ সিংয়ের। তাঁর রেটিং ৬.১১। আইএসএলে ধারাবাহিকভাবে ভাল খেলা এসসি ইস্টবেঙ্গলের হীরে তুলে নেওয়ার জন্য মরিয়া এটিকে মোহনবাগান। শোনা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই হীরা মণ্ডলকে প্রস্তাব দিয়েছেন সবুজমেরুণ কর্তারা। সূত্রের খবর, এটিকে মোহনবাগান ছাড়াও আরও কয়েকটি ক্লাব হীরাকে পেতে চায়। এই তালিকায় রয়েছে মুম্বই সিটি এফসি, হায়দরাবাদ এফসির মতো ক্লাবগুলি। তবে এখনই সামনের মরশুম নিয়ে ভাবতে চাননা হীরা। লালহলুদ জার্সি গায়ে আপাতত ভালভাবে মরশুম শেষ করাই লক্ষ্য।

ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২২
খেলার দুনিয়া

আইএসএলে অন্য দলগুলির তুলনায় এটিকে মোহনবাগানের ভারতীয় স্ট্রাইকারদের কেন এত দাপট?‌

গত মরশুমে আইএসএলে এটিকে মোহনবাগানের হয়ে সর্বোচ্চ গোল করেছিলেন রয় কৃষ্ণা। এবছর সবুজমেরুণ জার্সি গায়ে একেবারেই নিস্প্রভ ফিজির এই তারকা স্ট্রাইকার। রয় কৃষ্ণা সেভাবে জ্বলে উঠতে না পারলেও এবছর ফুল ফোটাচ্ছেন লিস্টন কোলাসো। ধারাবাহিকভাবে গোল করে চলেছেন এটিকে মোহনবাগানের এই ফরোয়ার্ড। এখনও পর্যন্ত আইএসএলে সব দল মিলিয়ে এটিকে মোহনবাগানের ভারতীয় স্ট্রাইকাররাই সবথেকে বেশি গোল করেছেন।এই বছর আইএসএলে হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচ পর্যন্ত এটিকে মোহনবাগান ১৩ ম্যাচে গোল করেছে ২৬টি। সবথেকে বেশি গোল হুগো বোমাসের। ১১ ম্যাচ খেলে তিনি করেছেন ৫ গোল। সবথেকে বেশি ম্যাচ খেলেছেন লিস্টন কোলাসো। ১২ ম্যাচে তাঁর গোল সংখ্যা ৫। এরপরই রয়েছেন রয় কৃষ্ণা। ১০ ম্যাচে তিনি করেছেন ৪ গোল। আর পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নেমে ৩ ম্যাচে কিয়ান নাসিরির গোল সংখ্যা ৩টি। ডেভিড উইলিয়ামস ১২ ম্যাচে করেছেন ৩ গোল।২০২০২১ আইএসএলে ২৩ ম্যাচে ৩২ গোল করেছিল এটিকে ২৬ গোল করেছিলেন বিদেশি স্ট্রাইকাররা। এরমধ্যে রয় কৃষ্ণাই একা করেছিলেন ১৪ গোল। আর ভারতীয় স্ট্রাইকারদের মধ্যে সবথেকে বেশি গোল করেছিলেন মনবীর সিং। ২১ ম্যাচে তাঁর গোল ছিল ৫টি। এবছর মনবীর তেমন জ্বলে উঠেতে না পারলেও তাঁর জায়গা নিয়েছেন লিস্টন কোলাসো। গত মরশুমে ১৯ ম্যাচে ২ গোল করেছিলেন লিস্টন কোলাসো। আর তাঁর পাস থেকে এসেছিল ৩ গোল।অন্য দলগুলিতে যেখানে বিদেশি স্ট্রাইকারদের দাপট, সেখানে এটিকে মোহনবাগানে স্বদেশি স্ট্রাইকারদের জয়জয়কার। হুগো বোমাস, রয় কৃষ্ণা, ডেভিড উইলিয়ামসদের মতো তারকা বিদেশি স্ট্রাইকারদের ভিড়ে নিজেকে দারুণভাবে মেলে ধরেছেন লিস্টন কোলাসো। পরিবর্ত হিসেবে ৩ ম্যাচে মাঠে নেমে একটা হ্যাটট্রিকও করে ফেলেছেন কিয়ান নাসিরি। ১৫ ম্যাচে হায়দরাবাদ এফসি করেছে ৩৪ গোল। ১৩ ম্যাচ খেলে ১৪ গোল করেছেন আইএসএলের সেরা স্ট্রাইকার বার্থোসলোমেউ ওগবেচে। আপাতত তিনিই চলতি আইএসএলের সর্বোচ্চ গোলদাতা। ৪টি গোল করেছেন টোরো। ৩টি গোল করেছেন জোয়াও ব্রুনো। ২টি করে গোল করেছেন এডুয়ার্ডো গার্সিয়া ও জোয়েল যোশেফ।অন্যদিকে বেঙ্গালুরু এফসি ১৫ ম্যাচে করেছে ২৭ গোল। এর মধ্যে স্বদেশি ফুটবলারদের গোল সংখ্যা ২০। ওডিশা এফসি, মুম্বই সিটি এফসি, জামশেদপুর এফসি, কেরালা ব্লাস্টার্স, এফসি গোয়া, এসসি ইস্টবেঙ্গল, চেন্নাইন এফসির দলগুলির অধিকাংশ গোলই এসেছে বিদেশি ফুটবলারদের পা থেকে। ব্যতিক্রম নর্থইস্ট ইউনাইটেডের। এটিকে মোহনবাগানের মতো তাদেরও অধিকাংশ গোলের মালিক স্বদেশি ফুটবলাররা।

ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২২
খেলার দুনিয়া

‌হায়দরাবাদকে হারিয়ে চার নম্বরে উঠে এল এটিকে মোহনবাগান

হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে এটিকে মোহনবাগানের ম্যাচ ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জিতলেই প্রথম চারে উঠে আসার সুযোগ। সেই সুযোগ দারুণভাবে কাজে লাগাল সবুজমেরুণ শিবির। হায়দরাবাদ এফসিকে ২১ ব্যবধানে হারিয়ে সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে দারুণভাবে টিকে রইল জুয়ান ফেরান্দোর দল। প্রায় প্রতি ম্যাচেই সুযোগ পেয়েছেন মনবীর সিং। অথচ দীর্ঘদিন গোল পাননি। তবুও এই স্ট্রাইকারের ওপর ভরসা হারাননি। রয় কৃষ্ণা, কিয়ান নাসিরির মতো স্ট্রাইকার থাকা সত্ত্বেও মনবীরের ওপর ভরসা রেখেছিলেন জুয়ান ফেরান্দো। কোচের আস্থার মর্যাদা দিলেন মনবীর। গোল করে দলকে দুর্দান্ত জয় এনে দিলেন। আইএসএলের শীর্ষে থাকা হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে লড়াইটা সহজ ছিল না এটিকে মোহনবাগানের। বিপক্ষে ছিলেন বার্থেলেমেউ ওগবেচের মতো স্ট্রাইকার। তা সত্ত্বেও গুটিয়ে থাকেনি সবুজমেরুণ ব্রিগেড। ম্যাচের শুরু থেকেই হায়দরাবাদ এফসির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। ১৮ মিনিটে এগিয়েও যেতে পারত এটিকে মোহনবাগান। লিস্টন কোলাসোর পাস থেকে বল পেয়ে গোল লক্ষ্য করে দুর্দান্ত শট নেন হুগো বোমাস। তাঁর সেই শট ততোধিক তৎপরতার সঙ্গে বাঁচিয়ে দেন হায়দরাবাদ গোলকিপার লক্ষীকান্ত কাট্টিমানি। ২৪ মিনিটে বার্থেলেমেউ ওগবেচের শট বাঁচিয়ে এটিকে মোহনবাগানের পতন রোধ করেন অমরিন্দার সিং। প্রথমার্ধে জুয়ান ফেরান্দোর দলের আধিপত্য বেশি থাকলেও হায়দরাবাদ এফসি গোল করার মতো সুযোগ বেশি পেয়েছিল। তবে কাজে লাগাতে পারেনি। প্রথমার্ধে ম্যাচের ফল ছিল গোলশূন্য। দ্বিতীয়ার্ধেও দুই দল আক্রমণাত্মক মেজাজে শুরু করেছিল। ৫১ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত হায়দরাবাদ এফসি। রোহিত দানুর শট বারে লেগে গোললাইনের সামনে পড়ে বেরিয়ে যায়। প্রতি আক্রমণে উঠে এসে ৫৬ মিনিটে এগিয়ে যায় এটিকে মোহনবাগান। ডেভিড উইলিয়ামসের কাছ থেকে অনেকটা এগিয়ে গিয়ে কোনাকুনি শটে দলকে এগিয়ে দেন লিস্টন কোলাসো। ৩ মিনিট পর ব্যবধান বাড়ায় এটিকে মোহনবাগান। জনি কাউকোর কাছ থেকে বল পেয়ে তিনি ২০ করেন। ৬৭ মিনিটে ব্যবধান কমায় হায়দরাবাদ এফসি। জোয়াও ভিক্টরের দুরপাল্লার শট এটিকে মোহনবাগান অমরিন্দার সিংয়ের হাত থেকে বেরিয়ে এলে সেই বল জালে ঠেলে দেন জোয়েল চিয়ানিস। সমতা ফেরানোর জন্য ম্যাচের শেষদিকে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ায় হায়দরাবাদ। সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি। হায়দরাবাদকে হারিয়ে ১৩ ম্যাচে ২৩ পয়েন্ট পেয়ে লিগ টেবিলে চতুর্থ স্থানে উঠে এল এটিকে মোহনবাগান।

ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ডার্বির নায়ক সুযোগ পেলেন মাত্র ৫ মিনিট!‌ বদলা নিতে ব্যর্থ সবুজমেরুণ

এটিকে মোহনবাগানের কাছে মুম্বই সিটি এফসি যেন শক্ত গাঁট হয়ে দাঁড়িয়েছে। আইএসএলে মুম্বই সিটির বিরুদ্ধে এখনও জয় নেই সবুজমেরুণ শিবিরের। এবছর প্রথম পর্বের ম্যাচে ৫১ ব্যবধানে বিধ্বস্ত হয়েছিল এটিকে মোহনবাগান। ডার্বি জয়ের পর সমর্থকরা আশা করেছিলেন দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচে হয়তো মধুর প্রতিশোধ নেমেন হুগো বোমাসরা। মুম্বই সিটি এফসিকে হারানোর স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে গেল জুয়ান ফেরান্দোর দলের কাছে। ড্র করে কোনও রকম মান বাঁচাল এটিকে মোহনবাগান। ম্যাচের ফল ১১। ম্যাচের আগের দিনই জুয়ান ফেরান্দো ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, ডার্বির নায়ক কিয়ান নাসিরিকে শুরু থেকে মাঠে নামাবেন না। এমনকি পুরো ফিট হয়ে যাওয়া রয় কৃষ্ণাকেও মুম্বই সিটি এফসির বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে রাখেননি। ডেভিড উইলিয়ামসকে একা সামনে রেখে ৪২৩১ ছকে দল সাজিয়েছিলেন জুয়ান ফেরান্দো। উইলিয়ামসের পেছনে মনবীর সিং, হুগো বোমাস ও লিস্টন কোলাসো। সবুজমেরুণ কোচের লক্ষ্য ছিল শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে গোল তুলে নেওয়া। লক্ষ্যে সফলও হয়েছিলেন। ম্যাচের ৯ মিনিটে এগিয়েও যায় এটিকে মোহনবাগান। আমেদ জাহুর ভুল পাস থেকে বল পেয়ে যান হুগো বোমাস। জাহু মরিয়া হয়ে ট্যাকেল করেন বোমাসকে। বল ছিটকে চলে যায় ডেভিড উইলিয়ামসের কাছে। গড়ানো শটে এটিকে মোহনবাগানকে এগিয়ে দেন উইলিয়ামস। পিছিয়ে পড়ে মরিয়া হয়ে ওঠে মুম্বই সিটি এফসি। এই সময় ছন্দ হারিয়ে ফেলেন হুগো বোমাসরা। সেই সুযোগে ২৪ মিনিটে সমতা ফেরায় মুম্বই সিটি এফসি। যদিও তারা গোল পায় প্রীতম কোটালের বদান্যতায়। ২৪ মিনিটে বিপিন এটিকে মোহনবাগান গোল লক্ষ্য করে লম্বা শট নেন। প্রীতম হেডে বল বিপদমুক্ত করতে গিয়ে নিজেদের জালে পাঠিয়ে দেন। ৩৬ মিনিটে উইলিয়ামসের হেড পোস্টে না লাগলে এগিয়ে যেতে পারত এটিকে মোহনবাগান। দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই গোল করার মতো তেমন সহজ সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। ম্যাচের ৮৫ মিনিটে আশুতোষের জায়গায় কিয়ানকে মাঠে নামান জুয়ান ফেরান্দো। এদিন আর সুপার সাব হতে পারেননি কিয়ান। ম্যাচ ড্র হওয়ায় দ্বিতীয় স্থানে উঠতে পারল না এটিকে মোহনবাগান। ১২ ম্যাচে ২০ পয়েন্ট নিয়ে ৫ নম্বরেই থাকল সবুজমেরুণ ব্রিগেড।

ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২২
খেলার দুনিয়া

মুম্বই সিটি–র বিরুদ্ধে বদলার ম্যাচ এটিকে মোহনবাগানের, কী বলছেন জুয়ান ফেরান্দো?‌

সোমবার মুম্বই সিটি এফসির বিরুদ্ধে আইএসএলের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলতে নামছে এটিকে মোহনবাগান। এই মুহূর্তে ১১ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলে পঞ্চম স্থানে রয়েছে সবুজমেরুণ শিবির। জুয়ান ফেরান্দোর দলের সামনে চতুর্থ স্থানে উঠে আসার সুযোগ। সুযোগ কাজে লাগাতে মরিয়া এটিকে মোহনবাগান। মুম্বই সিটি এফসিকে হারালেই দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসার পাশাপাশি শীর্ষস্থানে থাকা হায়দরাবাদ এফসির সঙ্গে ব্যবধান অনেকটাই কমে আসবে। সেই দিকেই তাকিয়ে সবুজমেরুণ শিবির। এসসি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ডার্বিতে জয় আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে এটিকে মোহনবাগানের। সেই আত্মবিশ্বাসের ওপর ভর করে মুম্বই সিটি এফসিকে বদ করতে চাইছে জুয়ান ফেরান্দোর দল। আইএসএলের প্রথম পর্বে ৫১ ব্যবধানে বিধ্বস্ত হতে হয়েছিল এটিকে মোহনবাগানকে। এবার প্রতিশোধ নিতে মরিয়া সবুজমেরুণ শিবির। ডার্বিতে জয় আশাবাদী করে তুলেছে জু্য়ান ফেরান্দোর দলকে।আইএসএলে সবথেকে কম বয়সী ফুটবলার হিসেবে আগের ম্যাচে হ্যাটট্রিক করে নজর কেড়েছেন কিয়ান নাসিরি। সবার নজর এখন ২১ বছর বয়সী স্ট্রাইকারের দিকে। রয় কৃষ্ণা, হুগো বোমাস, ডেভিড উইলিয়ামসের মতো বিদেশিদের ভিড়ে ফেরান্দো তাঁকে শুরু থেকেই মাঠে নামান কিনা, এখন সেটাই দেখার। তবে ডার্বিতে হ্যাটট্রিক মনোবল অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে জামশিদ নাসিরির পুত্র কিয়ান নাসিরির। গোটা সবুজমেরুণ শিবিরের আত্মবিশ্বাসও তুঙ্গে।মুম্বই সিটি এফসির বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে ডার্বিতে জয় মাথায় রাখছেন না এটিকে মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো। আইএসএলে এখনও পর্যন্ত মুম্বই সিটি এফসির বিরুদ্ধে জয় পায়নি এটিকে মোহনবাগান। মুম্বই সিটি এফসির বিরুদ্ধে পরিসংখ্যানও মাথায় রাখছেন না সবুজমেরুণ কোচ। তিনি বলেন, অতীত মাথায় রাখাটা জরুরি নয়। ফুটবলে কোনও কিছু নির্দিষ্ট নয়। প্রত্যেকটা ম্যাচই আলাদা। এবারের আইএসএলে ভাল শুরু করেও ছন্দপতন হয়েছে মুম্বইয়ের। ১২ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট পেয়ে এই মুহূর্তে লিগ টেবিলে এটিকে মোহনবাগানের ঠিক পরেই রয়েছে মু্ম্বই সিটি এফসি। তা সত্ত্বেও বিপক্ষ শিবিরকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন এটিকে মোহনবাগান কোচ।জুয়ান ফেরান্দোর দলকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন মুম্বই সিটি এফসি কোচ ডেস বাকিংহাম। এমনকি প্রথম পর্বের জয়ও মাথায় রাখছেন না। এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে তিনি বলেন, আমি এই ম্যাচের দিকে তাকিয়ে রয়েছি। এটিকে মোহনবাগানকে হারালেই লিগ টেবিলে ওপরের দিকে উঠে আসব। প্রথম পর্বে যে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে খেলেছিলাম, সেই মোহনবাগানের সঙ্গে এই দলের অনেক পার্থক্য রয়েছে। আগের থেকে অনেকটাই সংঘবদ্ধ।

ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২২
খেলার দুনিয়া

‌ঘুরে দাঁড়াতে পারবে লালহলুদ?‌ কী বলছেন প্রাক্তন ফুটবলাররা

লালহলুদ সমর্থকরা তাকিয়ে ছিলেন ডার্বির দিকে। যদি এটিকে মোহনবাগানকে হারিয়ে ঘুরে দাঁড়ানো যায়। স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে গেছে লালহলুদ সমর্থকদের কাছে। ডার্বিতে হেরে সম্মান তো গেছেই, ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্নও শেষ এসসি ইস্টবেঙ্গলের। সোমিফাইনালের রাস্তা আগেই বন্ধ হয়েছে। এবার ওপরের দিকে ওঠার রাস্তাও ফিকে হয়ে গেছে ডার্বিতে হেরে। প্রাক্তন ফুটবলাররাও লালহলুদের ঘুরে দাঁড়ানোর আশা দেখছেন না।প্রাক্তন ফুটবলার শ্যাম থাপা বলছিলেন, ডার্বির আগেই বলছিলাম, এসসি ইস্টবেঙ্গল জিতলে সেটা হবে বড় অঘটন। যাই হোক অঘটন ঘটেনি। তবে একটা কথা বলতেই হবে, ডার্বিতে এই আইএসএলের সেরা খেলাটা খেলেছে লালহলুদ। তিনি আরও বলেন, ডার্বিতে কিন্তু জেতার মতো ফুটবল খেলেছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। ভাগ্য সহায় না হওয়ায় গোল পায়নি। শেষ লগ্নে এটিকে মোহনবাগান গোল করে দিয়ে চলে যায়। তবে একটা কথা বলব, ডার্বিতে ভাল খেললেও এই ইস্টবেঙ্গলের ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা খুবই কম। হয়তো দুএকটা ম্যাচ জিততে পারে, কিন্তু খুব বেশি ওপরে উঠতে পারবে না। দলকে জেতানোর মতো কোয়ালিটি ফুটবলার এই দলে নেই।এসসি ইস্টবেঙ্গলের ঘুরে দাঁড়ানোর আশা দেখছেন না আর এক প্রাক্তন ফুটবলার সমরেশ চৌধুরিও। তিনি বলছিলেন, ডার্বিতে এসসি ইস্টবেঙ্গলের খেলা দেখে ভাল লেগেছে ঠিকই, কিন্তু ওপরের দিকে ওঠার সম্ভাবনা খুবই কম। এই বছর আইএসএলে ইস্টবেঙ্গলের সেরা খেলাটা ডার্বিতেই দেখেছি। কিন্তু গোল করতে না পারায় হারতে হয়েছে। প্রথমার্ধে পেরোসেভিচের গোলটা এবং দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি সময়ে নওরেম মহেশ সিংয়ের গোলটা হয়ে গেলে খেলার ফল অন্যরকম হয়ে যেত। কেন লালহলুদের ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা দেখছেন না? সমরেশ চৌধুরির ব্যাখ্যা, ডাটাচচ্চড়ির মশলা দিয়ে কি আর ভাল বিরিয়ানি রাঁধা যায়? এই এসসি ইস্টবেঙ্গলে তো দলকে জেতানোর মতো ফুটবলারই নেই। আমার মনে হয় না এই দল খুব বেশি ওপরের দিকে যেতে পারবে। বড় জোর দুএকটা ম্যাচ জিততে পারে।আর এক প্রাক্তন ফুটবলার মেহতাব হোসেন বলছিলেন, ডার্বিতে হারলেও এসসি ইস্টবেঙ্গল কিন্তু খুব একটা খারাপ ফুটবল খেলেনি। এই জায়গা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে হয়তো সম্মানজনক জায়গায় যেতে পারবে। কিন্তু বেশি ওপরের দিকে উঠতে পারবে না।

জানুয়ারি ৩১, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ডার্বি হেরেও গর্বিত লালহলুদ কোচ মারিও রিভেরা!‌ কেন?‌

একসময় আলেজান্দ্রোকে সরিয়ে মারিও রিভেরাকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন লালহলুদ কর্তারা। তাঁর হাত ধরেই আই লিগে দুঃসময় কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। এবারও আইএসএলে ঘুরে দাঁড়ানোয় আশায় সেই রিভেরার শরণাপন্ন হয়েছিলেন এসসি ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। দায়িত্ব নিয়েই এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে জয়। কিন্তু পরের দুটি ম্যাচেই হার। লালহলুদ সমর্থকদের সবথেকে বেশি ধাক্কা দিয়ে গেছে ডার্বিতে এটিকে মোহনবাগানের কাছে ৩১ ব্যবধানে পরাজয়। সারা ম্যাচে ভাল খেলেও কেন হারতে হল এসসি ইস্টবেঙ্গলকে? ম্যাচের শেষ ২ মিনিটই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে বলে দাবি করেন লালহলুদ কোচ মারিও রিভেরা। রক্ষণ জমাট করে ডার্বিতে দল সাজিয়েছিলেন লালহলুদ কোচ। লক্ষ্য ছিল প্রতিআক্রমণে গোল তুলে নেওয়া। হুগো বোমাস, ডেভিড উইলিয়ামসের মতো বিদেশি স্ট্রাইকারদের জ্বলে ওঠার সুযোগ দেননি আদিল খান, ফ্রাঞ্জো পর্চেরা। ড্যারেন সিডোয়েলের গোলে এগিয়ে গেলেও শেষরক্ষা হয়নি। হারলেও ফুটবলারদের পারফরমেন্সে খুশি লালহলুদ কোচ মারিও রিভেরা। ডার্বিতে হারের পর তিনি বলেন, যে কোনও হারে হতাশ হওয়াটাই স্বাভাবিক। তার ওপর ডার্বির মতো ম্যাচে হার। খুবই খারাপ লাগছে। তবে ফুটবলাররা যেভাবে গোটা ম্যাচ লড়াই করেছে, তাতে আমি গর্বিত। আমার পরিকল্পনা মতোই ওরা খেলেছে। দারুণ লড়াই করেছে।ডার্বিতে হারের টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে দুটি কারণকে উল্লেখ করেছেন লালহলুদ কোচ মারিও রিভেরা। তাঁর কথায়, শুরুতেই অঙ্কিতের চোট সমস্যায় ফেলে দিল। রক্ষণে পরিবর্তন করা ছাড়া আমার আর অন্য কোনও উপায় ছিল না। অমরজিৎ কিয়াম দারুণ লড়াই করেছে। আমরা এগিয়ে যাওয়ার পর এটিকে মোহনবাগান সমতা ফেরায়। আমরা চেয়েছিলাম ১০ ফল ধরে রাখতে। কিন্তু ওরা দ্রুত সমতা ফেরায়। আর একটু দেরিতে প্রথম গোল করলে হয়তো আমরা পরিস্থিতি সামাল দিতে পারতাম। শেষ ২ মিনিটে ২ গোল করে আমার সব পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়েছিল। রিভেরা আরো বলেন, ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি সময়ে ম্যাচটা ওপেন হয়ে গিয়েছিল। ওই সময় আমরা ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিলাম। যদি ব্যবধান বাড়াতে পারতাম, তাহলে অন্যরকম ফল হত। হারলেও ফুটবলাররা গর্বিত করার খেলেছে।

জানুয়ারি ৩০, ২০২২
খেলার দুনিয়া

‌ইতিহাস নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন না, ডার্বির নায়ক কিয়ানের লক্ষ্য কী?‌

ডার্বিতে দুরন্ত পারফরমেন্সের পরে অনেক ফুটবলার হারিয়ে গেছেন। অনেকেই বিস্মৃতির অন্তরালে। আসলে ফোকাসটা নড়ে যায়। শনিবার এসসি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে দুরন্ত হ্যাটট্রিক করে সতর্ক এটিকে মোহনবাগানের নতুন নায়ক কিয়ান নাসিরি। মাটিতেই পা রেখে চলতে চান সবুজমেরুণের এই নতুন স্ট্রাইকার। দলকে সাফল্য এনে দেওয়াটাই এখন তাঁর মূল লক্ষ্য। ডার্বিতে গোল করাটা যে কোনও ফুটবলারের কাছেই স্বপ্ন থাকে। কোচ জুয়ান ফেরান্দো যখন তাঁকে মাঠে নামার জন্য ওয়ার্ম আপের কথা বলেছিলেন, স্বপ্ন দেখছিলেন মাঠে নেমে এসসি ইস্টবেঙ্গলের জালে বল ঢোকানোর। শুধু স্বপ্নপূরণই হয়নি, একেবারে হ্যাটট্রিক। কিয়ান বলেন, সব ফুটবলারেরই স্বপ্ন থাকে ডার্বিতে গোল করার। আমিও মাঠে নামার আগে স্বপ্ন দেখেছিলাম। সত্যি বলতে কী, ডার্বিতে হ্যাটট্রিক করে আমি ঘোরের মধ্যে রয়েছি। আমি একজন উইঙ্গার ও স্ট্রাইকার। নিজের দায়িত্ব পালন করতে পেরে ভাল লাগছে।শনিবার এসসি ইস্টবেঙ্গলের জালে তিনতিনবার বল ঢুকিয়ে ইতিহাস তৈরি করেছেন কিয়ান নাসিরি। ইতিহাস নিয়ে অবশ্য মাথা ঘামাতে নারাজ সবুজমেরুণের নতুন তারকা। তিনি বলেন, ইতিহাস নিয়ে মাথা ঘামাতে চাই না। আমার কাজ হল গোল করে দলকে জেতানো। সেই কাজটা করতে পেরেছি। কোচ আমার ওপর আস্থা রেখেছিলেন। সেই আস্থার মর্যাদা দিতে পেরে ভাল লাগছে। ডার্বিতে হ্যাটট্রিক করাটা দারুণ ব্যাপার। কিন্তু এখানেই থেমে থাকলে চলবে না। দলে জায়গা পাকা করতে হবে। দল পিছিয়ে থাকার সময় কিয়ানকে মাঠে নামিয়েছিলেন এটিকে মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো। মাঠে নেমেই সমতা ফেরান কিয়ান। সবাই যখন ধরে নিয়েছে ম্যাচ ড্রয়ের পথে এগোচ্ছে, একেবারে অন্তিম লগ্নে গোল করে দলকে ২১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন। এই গোলটাই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। নিজের তিনটি গোলের মধ্যে দ্বিতীয়টাকেই সেরা বেছে নিয়েছেন কিয়ান। তাঁর কথায়, আমার কাছে দ্বিতীয় গোলটাই সেরা। কারণ ওই গোলেই দল এগিয়ে গিয়েছিল। ডার্বিতে হ্যাটট্রিক গোটা দলকে উৎসর্গ করেছেন কিয়ান।

জানুয়ারি ৩০, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ভবিষ্যতে কি লালহলুদ জার্সি গায়ে চাপাবেন কিয়ান?‌ এড়িয়ে গেলেন জামশিদ নাসিরি

পড়াশোনার জন ইরান থেকে ভারতে এসেছিলেন জামশিদ নাসিরি। ভর্তি হয়েছিলেন আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে। আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় প্রতিযোগিতায় খেলতে গিয়ে নজরে পড়ে যান ইস্টবেঙ্গল রিক্রূটারদের। লালহলুদ কর্তারা সই করিয়েছিলেন ইরানের এই ফুটবলারকে। ১৯৮০ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত দাপটের সঙ্গে খেলেছিলেন ইস্টবেঙ্গল ও মহমেডানে। দুই প্রধানের জার্সি গায়ে ডার্বিতে গোলও করেছিলেন। সেই সময় বিদেশি ফুটবলার খেলানোর নিয়ম ছিল না মোহনবাগানে। ফলে ইচ্ছে থাকলেও সবুজমেরুণ জার্সি গায়ে দেওয়ার সুযোগ হয়নি জামশিদের। নিজের স্বপ্নপূরণ না হলেও জামশিদ নাসিরি চেয়েছিলেন তাঁর ছেলে কিয়ান নাসিরি সবুজমেরুণ জার্সি গায়ে খেলুক। সবুজমেরুণ অলিন্দেই বেড়ে ওঠা কিয়ানের। একেবারে ছোট থেকেই বাবার হাত ধরে মোহনবাগান মাঠে যাতায়াত শুরু। জামশিদ একসময় সিসিএফসির অ্যাকাডেমির কোচ ছিলেন। বাবার কাছেই ফুটবলের হাতেখড়ি কিয়ানের। ছোট থেকেই বলের ওপর দারুণ নিয়ন্ত্রণ ছিল। ১২ বছর বয়সে জুনিয়র বাংলা দলে সুযোগ। ২০১৩ সালে মোহনবাগান যুব দলে। ২০১৬তে মহমেডান স্পোর্টিংয়ের হয়ে জুনিয়র আই লিগে খেলেছিলেন কিয়ান। এরপর মোহনবাগান অনূর্ধ্ব ১৯ দল হয়ে ২০১৯২০ সালে সিনিয়র দলে। কিউ ভিকুনার কোচিংয়ে সবুজমেরুণ জার্সি গায়ে খেলার সুযোগ পাননি। দীর্ঘদিন ধরে সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন কিয়ান। অবশেষে ডার্বিতে মাঠে নেমেই বাজিমাত। একেবারে নায়ক। মাঠের বাইরে বসে থেকে থেকে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন কিয়ান। তবে হতাশ হয়ে পড়েননি। যেমন হতাশ হননি কিয়ানের বাবা জামশিদ নাসিরিও। গর্বিত পিতা বলছিলেন, এটিকে মোহনবাগানের ম্যাচ থাকলেও ভাবতাম, হয়তো ১০১৫ মিনিট খেলার সুযোগ পাবে ছেলে। প্রতিদিন টিভির সামনে বসে ভাবতে ভাবতে ক্লান্ত হয়ে পড়তাম। কিন্তু আশা ছাড়িনি। জানতাম একদিন না একদিন সুযোগ পাবে। অবশেষে প্রথম সুযোগেই হ্যাটট্রিক। তাও আবার ডার্বির মতো ম্যাচে। এর থেকে ভাল অভিষেক আর হতে পারে না। আমি যা করে দেখাতে পারিনি, ছেলে সেই কাজ করে দেখিয়েছে। প্রমাণ করেছে বড় ক্লাবের জার্সি গায়ে দেওয়ার যোগ্যতা কিয়ানের রয়েছে। সত্যিই আমি গর্বিত। ছেলের এই জায়গায় পৌঁছনোর জন্য সবথেকে বেশি কৃতিত্ব দিয়েছেন কিবু ভিকুনাকে। জামশিদ বলছিলেন, দীর্ঘদিন মোহনবাগান জুনিয়র দলে ছিল। একসময় ভিকুনা জুনিয়র দল থেকে ৪ জনকে সিনিয়র দলে নিয়েছিল। তারমধ্যে কিয়ান ছিল। ভিকুনাই ঘসেমেজে ওকে তৈরি করেছে। কিয়ানের এই জায়গায় উঠে আসার জন্য সব কোচের কাছেই আমি কৃতজ্ঞ। তবে সবথেকে বেশি কৃতজ্ঞ ভিকুনার কাছে। এই মুহূর্তে দেশে ভালমানের স্ট্রাইকারের অভাব। জামশিদের আশা কিয়ান ঠিকমতো সুযোগ পেলে দেশে স্ট্রাইকারের অভাব মেটাতে পারবে।সবুজমেরুণ জার্সি গায়ে ছেলের হ্যাটট্রিক। অন্যদিকে প্রিয় ক্লাব ইস্টবেঙ্গলের হার। ভাললাগার পাশাপাশি খারাপও লাগছে জামশিদ নাসিরির। বলছিলেন, ছেলে হয়াটট্রিক করেছে, এরথেকে ভাল কিছু আর হতে পারে না। তবে ইস্টবেঙ্গল হেরে যাওয়ায় খারাপও লাগছে। ইস্টবেঙ্গলের সামনেও গোল করার মতো অনেক সুযোগ এসেছিল। গোল করতে পারলে হয়তো ম্যাচের ফল অন্যরকম হতে পারত। লালহলুদ জার্সি গায়ে অনেক ডার্বি ম্যাচ কাঁপিয়েছেন জামশিদ। সবুজমেরুণ জার্সি গায়ে ডার্বি অভিষেকেই চমক কিয়ানের। ছেলেকে কি ভবিষ্যতে লালহলুদ জার্সিতে দেখতে চান জামশিদ নাসিরি? প্রশ্নটা শুনেই কেমন যেন অন্যমনস্ক হয়ে গেলেন। এড়িয়ে গেলেন প্রশ্নটা। তাহলে কি নিজের পুরনো ক্লাবের প্রতি কোনও অভিমান রয়েছে জামশিদের? জামশিদ বলছিলেন, আমি লালহলুদ জার্সি গায়ে ঘাম ঝড়িয়েছি। ও মোহনবাগানের কাছে দায়বদ্ধ। তবে আমি চাই ভবিষ্যতে কিয়ান দেশের হয়ে খেলুক।

জানুয়ারি ৩০, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ডার্বির অভিষেকে হ্যাটট্রিক করে ইতিহাস জামশিদ নাসিরির পুত্র কিয়ানের

এলেন, দেখলেন, জয় করলেন জামশিদ নাসিরির সুপুত্র কিয়ান নাসিরি। তাঁর দুরন্ত হ্যাটট্রিকে আইএসএলের ডার্বিতে উড়ে গেল লালহলুদ। তারুণ্যের কাছে বিধ্বস্ত এসসি ইস্টবেঙ্গল। প্রথম পর্বের মতো দ্বিতীয় পর্বের ডার্বিতেও জয় তুলে নিল এটিকে মোহনবাগান। এবার ম্যাচের ফল ৩১। নতুন তারকার জন্ম হল এবারের আইএসএলের ডার্বিতে। পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নেমে বাজিমাত কিয়ান নাসিরির।ধারেভারে অনেকটাই এগিয়ে থেকে ডার্বিতে মাঠে নেমেছিল এটিকে মোহনবাগান। হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট থাকায় রয় কৃষ্ণাকে মাঠে নামাননি কোচ জুয়ান ফেরান্দো। আক্রমণভাগে শুরু করেছিলেন হুগো বোমাস ও ডেভিড উইলিয়ামস। অন্যদিকে, এসসি ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণভাগে ছিলেন দুই বিদেশি আন্তোনীয় পেরোসেভিচ ও মার্সেলো রিবেইরো। বিদেশিদের ছাপিয়ে নায়ক এক ভারতীয় ফুটবলার।শুরু থেকেই ম্যাচ আক্রমণ প্রতিআক্রমণে জমে উঠেছিল। এটিকে মোহনবাগান মূলত বাঁদিক দিয়ে আক্রমণ তুলে নিয়ে আসছিল। লিস্টন কোলাসো বারবার ব্যতিব্যস্ত রাখছিলেন লালহলুদ ডিফেন্সকে। হায়দরাবাদ এফসি ম্যাচে রক্ষণের জন্য ডুবতে হয়েছিল এসসি ইস্টবেঙ্গলকে। ফ্রাঞ্জো পর্চে একেবারেই নিস্প্রভ ছিলেন। ডার্বিতে পর্চেকে একেবারে অন্য মেজাজে দেখা গেল। হুগো বোমাস, ডেভিড উইলিয়ামসদের সেভাবে জ্বলে ওঠার সুযোগ দেননি।এটিকে মোহনবাগানের আক্রমণের চাপ বেশি থাকলেও প্রথম গোলের সুযোগ পেয়েছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। ১৪ মিনিটে নওরেম মহেশ সিংয়ের মাটি ঘেঁসা শট পোস্টের পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়। ২৫ মিনিটে সামনে শুধু এটিকে মোহনবাগান গোলকিপার অমরিন্দার সিংকে একা পেয়েও বাইরে মারেন মার্সেলো রিবেইরো। আক্রমণ প্রতিআক্রমণে জমে উঠলেও প্রথমার্ধে কোনও দল গোল করতে পারেনি।গোলের জন্য দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই মরিয়া হয়ে ওঠে এটিকে মোহনবাগান। ৪৭ মিনিটে বাঁদিক থেকে বক্সে ঢুকে ডানপায়ে দুরন্ত শট নিয়েছিলেন লিস্টন কোলাসো। তাঁর শট বারে লেগে ফিরে আসে। ২ মিনিট পরেই গোল করার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিলেন শুভাশিস বসু। ৬ গজ বক্সের মধ্যে থেকে হেডে বল জালে রাখতে পারেননি। ৫১ মিনিটে লিস্টন কোলাসোর আরও একটি দুরপাল্লার শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।৫৪ মিনিটে ডানদিক থেকে ঢুকে গিয়ে বাঁপায়ে দুরন্ত শট নিয়েছিলেন আন্তোনীয় পেরোসেভিচ। তাঁর শট ততোধিক তৎপরতার সঙ্গে কর্ণারের বিনিময়ে বাঁচান এটিকে মোহনবাগান গোলকিপার অমরিন্দার সিং। পেরোসেভিচের কর্ণার বক্সের মধ্যে পেয়ে যান ড্যারেল সিডোয়েল। তাঁর শট মনবীরের গায়ে লেগে গোলে ঢুকে যায়।৬৪ মিনিটে সমতা ফেরায় এটিকে মোহনবাগান। সৌরভ দাসের ভুল ক্লিয়ারেন্স ধেরে ডান পায়ের কোনাকুনি শটে গোল করেন কিয়াম নাসিরি। জামশিদ নাসিরির পুত্র কিয়ামের এটাই প্রথম ডার্বি। ৬৫ মিনিটে লিস্টনকে বক্সের মধ্যে ফাউল করেন অমরজিৎ কিয়াম। পেনাল্টি পায় এটিকে মোহনবাগান। অবিশ্বাস্যভাবে বারের ওপর দিয়ে উড়িয়ে দেন ডেভিড উইলিয়ামস। ৮০ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত এসসি ইস্টবেঙ্গল। নওরেম মহেশ সিংয়ের শট আটকে দেন অমরিন্দার সিং। ৮৬ মিনিটে কোলালোর শট গোল লাইন থেকে সেভ করেন হীরা মণ্ডল।ম্যাচের ইনজুরি সময়ে আবার জ্বলে ওঠেন কিয়ান। লিস্টন কোলাসোর সেন্টার ডেভিড উইলিয়ামস হেড করলে বল পোস্টে লেগে ফিরে আসে। ফিরতি বলে দুরন্ত শটে ২১ করেন কিয়ান। ১ মিনিট পরেই হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন। ডার্বির অভিষেকেই হ্যাট্টট্রিক করে ইতিহাস গড়লেন জামশিদ নাসিরির পুত্র।

জানুয়ারি ২৯, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ছন্নছাড়া লালহলুদকে ডার্বিতে কেন গুরুত্ব দিচ্ছেন এটিকে মোহনবাগানের হুগো বোমাস?‌

এই মুহূর্তে আইএসএলের লিগ টেবিলে সবার শেষে রয়েছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। ১৩ ম্যাচে জয় মাত্র একটিতে। আগের ম্যাচে হায়দরাবাদ এফসির কাছে ৪ গোলে বিধ্বস্ত হতে হয়েছে। ডার্বিতে নামার আগে মনোবল একেবারে তলানিতে লালহলুদ শিবিরের। তা সত্ত্বেও এসসি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে আত্মতুষ্টিতে ভুগতে রাজি নয় এটিকে মোহনবাগান শিবির। লিগ টেবিলের একেবারে শেষে থাকলেও বিপক্ষ শিবিরকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন।আগের ম্যাচে ওডিশা এফসির কাছে আটকে যেতে হয়েছিল এটিকে মোহনবাগানকে। ডার্বির ড্রেস রিহার্সাল একেবারেই ভাল হয়নি সবুজমেরুণ শিবিরের। ওডিশা ম্যাচের ড্র ডার্বিতে পুষিয়ে নিতে চান এটিকে মোহনবাগান ফুটবলাররা। সবুজমেরুণ শিবিরের লক্ষ্য ডার্বি জিতে লিগ টেবিলের ওপরের দিকে উঠে আসতে। দীর্ঘদিন পর মাঠে নেমে ওডিশা এফসির বিরুদ্ধে একেবারেই ছন্দে ছিল না এটিকে মোহনবাগান। আসলে দীর্ঘদিন ম্যাচের মধ্যে না থাকাটা সমস্যায় ফেলে দিয়েছিল। সবুজমেরুণ কোচ জুয়ান ফেরান্দোর বিশ্বাস ডার্বিতে ছন্দে ফিরবে দল।ডার্বিতে মাঠে নামার আগে এটিকে মোহনবাগান কোচকে স্বস্তি দিচ্ছে ফুটবলারদের চোটআঘাত ও কার্ড সমস্যা কাটিয়ে ওঠা। কার্ড সমস্যার জন্য আগের ম্যাচে খেলতে পারেননি হুগো বোমাস। ডার্বিতে তিনি মাঠে ফিরছেন। করোনামু্ক্ত হয়ে জনি কাউকোও খেলার জন্য তৈরি। এছাড়া বাকিরাও ডার্বিতে মাঠে নামার জন্য মুখিয়ে রয়েছে। আগের ম্যাচ ড্র হলেও প্রথম পর্বের ডার্বিতে জয়ে বাড়তি আত্মবিশ্বাসী এটিকে মোহনবাগান শিবির।প্রথম পর্বের ডার্বিতে দুরন্ত ফুটবল উপহার দিয়েছিলেন হুগো বোমাস। শনিবার মাঠে নামার জন্য তিনি মুখিয়ে রয়েছেন। দ্বিতীয় পর্বের ডার্বিতেও জয়ের ব্যাপারে তিনি আত্মবিশ্বাসী। ডার্বি নিয়ে বোমাসের প্রতিক্রিয়া, ডার্বির গুরুত্ব কতটা জানি। সবাই এই ম্যাচের দিকে তাকিয়ে থাকে। দীর্ঘদিন অনুশীলন করতে পারিনি। তারজন্য আগের ম্যাচে সমস্যা হয়েছিল। ডার্বির আগে পর্যাপ্ত অনুশীলনের সুযোগ পেয়েছি। আশা করছি গোটা দল ছন্দে ফিরবে। আগের ম্যাচে হায়দরাবাদ এফসির কাছে এসসি ইস্টবেঙ্গল ৪ গোল খেলেও বিপক্ষকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন এটিকে মোহনবাগানের আক্রমণভাগের এই স্তম্ভ। বোমাস বলেন, প্রথম পর্বে জিতেছিলাম বলে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে হালকাভাবে নেওয়ার কিছু নেই। আগের ম্যাচে হারের বদলা নেওয়ার জন্য মরিয়া হবে। জিততে গেলে আমাদের সতর্ক হয়ে মাঠে নামতে হবে। আইএসএলে ডার্বির পরিসংখ্যান অবশ্য এটিকো মোহনবাগানের অনুকূলে। একবারও জিততে পারেনি লালহলুদ শিবির।

জানুয়ারি ২৭, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • ›

ট্রেন্ডিং

বিদেশ

চীনে ইতিহাস! ৭০০ কিমি/ঘন্টা গতিতে ছুটল সুপারকন্ডাক্টিং ম্যাগলেভ ট্রেন

চীন বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে তাদের নতুন সুপারকন্ডাক্টিং ম্যাগলেভ ট্রেন পরীক্ষার মাধ্যমে। মাত্র দুই সেকেন্ডে ট্রেনটি ৭০০ কিমি/ঘন্টা গতিতে পৌঁছায়, যা এখন পর্যন্ত বিশ্বের দ্রুততম ম্যাগলেভ ট্রেন।জাতীয় প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ৪০০ মিটার দীর্ঘ ট্র্যাকে পরীক্ষাটি চালান। এক টন ওজনের এই ট্রেনটি দ্রুতগতিতে ছুটে পৌঁছায় রেকর্ড গতিতে, তারপর নিরাপদে থামানো হয়। পরীক্ষার ভিডিওতে ট্রেনটি যেন রূপালি আলোয় এক ঝলক দেখায়, চোখে ধরা প্রায় অসম্ভব, যা দেখলে মনে হয় কোনো বিজ্ঞান কল্পকাহিনী হচ্ছে।ট্রেনটি ট্র্যাকের উপরে ভাসে সুপারকন্ডাক্টিং চুম্বকের সাহায্যে, ফলে রেলরেলের সঙ্গে কোনো সংস্পর্শ নেই এবং ঘর্ষণহীন গতিতে চলে। পরীক্ষায় ব্যবহৃত ইলেকট্রোম্যাগনেটিক সিস্টেম এতটাই শক্তিশালী যে গবেষকরা বলছেন, এটি তাত্ত্বিকভাবে রকেট উৎক্ষেপণেও ব্যবহার করা যেতে পারে।এমন উচ্চ গতিতে, দূরবর্তী শহরের মধ্যে যাত্রার সময় কয়েক মিনিটে সীমিত করা সম্ভব। ভবিষ্যতে হাইপারলুপ বা ভ্যাকুয়াম টিউব ট্রান্সপোর্টের মতো আধুনিক প্রযুক্তির জন্যও এটি নতুন দিশা দেখাচ্ছে।দক্ষিণ চায়না মর্নিং পোস্টের খবর অনুযায়ী, এই সিস্টেম অনেক প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জকে কাটিয়ে উঠেছে। এর মধ্যে রয়েছে উচ্চ গতির ইলেকট্রোম্যাগনেটিক প্রপালশন, সঠিক সাসপেনশন ও গাইডেন্স, শক্তিশালী পাওয়ার স্টোরেজ এবং উচ্চ-ফিল্ড সুপারকন্ডাক্টিং চুম্বক ব্যবহারের মতো বিষয়। অধ্যাপক লি জি বলেন, সফল পরীক্ষার ফলে চীনের উচ্চগতির ম্যাগলেভ গবেষণা অনেক দ্রুত এগোবে।গবেষণা দল প্রায় দশ বছর ধরে এই প্রকল্পে কাজ করছে। এর আগে, এই একই ট্র্যাকে জানুয়ারিতে ৬৪৮ কিমি/ঘন্টা গতি অর্জন করা হয়। প্রায় ৩০ বছর আগে বিশ্ববিদ্যালয় চীনের প্রথম মানুষ বহনকারী একক বগির ম্যাগলেভ ট্রেন তৈরি করেছিল, যার ফলে চীন বিশ্বে তৃতীয় দেশ হিসেবে ম্যাগলেভ প্রযুক্তিতে দক্ষতা অর্জন করে।

ডিসেম্বর ২৭, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

হরমনপ্রীত কৌরের রেকর্ড জয়ের ধারা! মহিলাদের টি-টোয়েন্টিতে ইতিহাস গড়ল ভারত

ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর এবার টি-টোয়েন্টিতেও মেয়েদের ক্রিকেটে ভারতের জয়যাত্রা অব্যাহত। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে তৃতীয় ম্যাচেও জয় পেয়ে সিরিজ নিজেদের পকেটে ভরিয়েছে ভারতীয় দল। আর এই জয়যাত্রার মধ্যে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর।ভারতীয় মেয়েদের ক্রিকেটে হরমনপ্রীত ১৩০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন, যার মধ্যে ৭৭টি ম্যাচ জিতেছেন। অর্থাৎ জয়ের হার ৫৮.৪৬ শতাংশ। এটি মহিলাদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বোচ্চ টি-টোয়েন্টি জয়ের রেকর্ড। আগের রেকর্ডটি অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক লেগ ল্যানিংয়ের নামে ছিল, যিনি ১০০টি ম্যাচে ৭৬টি জিতেছিলেন। যদিও ভারতের ঝুলিতে এখনও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আসেনি, হরমনপ্রীতের নেতৃত্বে ভারতীয় দল যে পারফরম্যান্স দেখাচ্ছে, তাতে ভক্তরা আশা করছেন টি-টোয়েন্টিতেও সাফল্য আসবে।পুরুষদের ক্রিকেটেও এই রেকর্ড এখনও কারও নেই। রোহিত শর্মা ৬২ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে ৪৯টি জয় পেয়েছেন। মহেন্দ্র সিং ধোনি ৭২ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে ৪১টি জয় পেয়েছিলেন।শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দুরন্ত ফর্মে ছিলেন দীপ্তি শর্মা। মাত্র ১৮ রান দিয়ে তিনটি উইকেট তুলে নেন তিনি। এই জয়ে তাঁর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মোট উইকেট সংখ্যা দাঁড়াল ৩৩৩। এর ফলে তিনি অস্ট্রেলিয়ার এলসি পেরিকে (৩৩১ উইকেট) ছাপিয়ে গেছেন। সব ফরম্যাট মিলিয়ে বর্তমানে দীপ্তি তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী, শীর্ষে রয়েছেন ঝুলন গোস্বামী, যাঁর উইকেট সংখ্যা ৩৫৫।মহিলাদের ক্রিকেটে এই রেকর্ড ও পারফরম্যান্স ভারতের খেলা ভক্তদের মধ্যে উচ্ছ্বাস ছড়াচ্ছে, এবং আশা জাগাচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সাফল্যের।

ডিসেম্বর ২৭, ২০২৫
বিদেশ

ঢাকার কেরানিগঞ্জে মাদ্রাসা ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নারী-শিশুসহ চারজন আহত

ঢাকার কেরানিগঞ্জ থানার হাসনাবাদ এলাকায় উম্মাল কুরা ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার একতলা ভবনে শুক্রবার দুপুরে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে নারী ও শিশু-সহ চারজন আহত হন। মুহূর্তের মধ্যে ভবনের কয়েকটি কক্ষের দেয়াল উড়ে যায়। দুই কক্ষের দেয়াল সম্পূর্ণ ধসে পড়ে এবং ছাদ ও বিমে ফাটল দেখা দেয়। পাশের ভবনের দেয়াল ও জানালাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।মাদ্রাসায় প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করত। তবে শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় কোনও শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন না, ফলে প্রাণহানির ঘটনা এড়ানো গেছে।বিস্ফোরণে মাদ্রাসার পরিচালক শেখ আল আমিন (৩২), তার স্ত্রী আছিয়া বেগম (২৮) এবং দুই ছেলে উমায়েত (১০) ও আবদুল্লা (৭) আহত হয়েছেন। আহতদের প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, বিস্ফোরণে তাদের ভবনের কিছু অংশ ফেটে গেছে এবং ঘরের আসবাবপত্রও ভেঙে পড়েছে। এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, তিনি গাড়ি গ্যারেজে রাখার সময় ইটের আঘাতে অজ্ঞান হয়ে যান।ভবনের মালিক পারভীন বেগম জানিয়েছেন, তিন বছর ধরে মাদ্রাসাটি ভাড়া নিয়ে পরিচালনা করতেন মুফতি হারুন। তিনি মাঝে মাঝে মাদ্রাসায় আসতেন, কিন্তু ভবনের আড়ালে কী ঘটছিল, তা বুঝতে পারেননি। পুলিশ ভবনের ভেতর থেকে ককটেল, দাহ্য পদার্থ ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে।দক্ষিণ কেরানিগঞ্জ থানার ওসি সাইফুল আলম জানিয়েছেন, বম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ঘটনাস্থলে কাজ করেছে এবং ঘটনার প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটনে ক্রাইম সিন ইউনিট ও বম্ব ডিসপোজাল ইউনিট তদন্ত চালাচ্ছে।

ডিসেম্বর ২৭, ২০২৫
দেশ

দিল্লিতে কুয়াশা ও দূষণের তাণ্ডব, জারি করা হল হলুদ সতর্কতা

দিল্লিতে কুয়াশা ও দূষণের জেরে স্বাভাবিক জীবন আজও ব্যাহত। মৌসম ভবনের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী দিনগুলোতেও আকাশ কুয়াশাচ্ছন্ন থাকবে। ২৮ ও ২৯ ডিসেম্বর ঘন কুয়াশা দেখা যাবে, তবে ৩০ ডিসেম্বর থেকে তা কমতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।শুক্রবার সকালেই দিল্লির বাতাসের সামগ্রিক গুণমান সূচক (AQI) ৩৩২-তে পৌঁছেছে, যা নির্দেশ করে রাজধানীর বাতাস প্রায় ভয়াবহ পর্যায়ে। সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি দেখা গেছে নরেলা ও জাহাঙ্গীরপুরী (৪১৭), নেহরুনগর (৪০২), মুন্ডকা (৩৭৫), জেএলএন স্টেডিয়াম (৩৪০), আইজিআই বিমানবন্দর ও দ্বারকা সেক্টরে (২৪৮)।ধোঁয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা অনেকাংশে কমে গেছে, জনজীবনও ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়েছে। শিশু ও প্রবীণদের জন্য বাতাস বিশেষভাবে ক্ষতিকারক হয়েছে, অনেকেই চোখজ্বালা ও ক্রমাগত কাশির সমস্যায় ভুগছেন।দূষণ মোকাবিলার জন্য দিল্লিতে সর্বোচ্চ স্তরের নিয়ন্ত্রণবিধি জারি রয়েছে। প্রশাসন জল স্প্রে করে দূষণ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। এছাড়া, ক্লাউড সিডিং-এর তিনটি ট্রায়াল ব্যর্থ হয়েছে, যার ফলে প্রায় ১.০৭ কোটি টাকা খরচ হয়েছে, কিন্তু দূষণ কমানো সম্ভব হয়নি।শনিবারও দিল্লি ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা। মৌসম ভবন হলুদ সতর্কতা জারি করেছে রবিবার ও সোমবারের জন্য। ভোরের সময় দৃশ্যমানতা কম থাকার কারণে ট্রেন ও বিমান চলাচলে সমস্যা দেখা দিতে পারে। যাত্রীদের বিমান ছাড়ার আগে সময় দেখে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

ডিসেম্বর ২৭, ২০২৫
দেশ

জম্মুর পাহাড়ি অঞ্চলে লুকিয়ে ৩০-৩৫ পাক জঙ্গি, তল্লাশি শুরু সেনার

জম্মুর উঁচু পাহাড়ি অঞ্চলে লুকিয়ে আছে প্রায় ৩০-৩৫ পাক জঙ্গি। গোপন সূত্রে খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভারতীয় সেনা তল্লাশি অভিযান জোরদার করেছে। উপত্যকার কিস্তওয়ার ও দোদা জেলায় শুরু হয়েছে জঙ্গিদমন অভিযান।সূত্রের মতে, চলতি বছরের এপ্রিলে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর সেনার অভিযান বাড়ায় পাক জঙ্গিদের স্থানীয় নেটওয়ার্ক দুর্বল হয়ে পড়েছে। এই কারণে তারা পাহাড়ি অঞ্চলে লুকিয়েছে। শীতকালে সেই সব জায়গা বরফে ঢাকা থাকে এবং জনবসতিও নেই। তাই জঙ্গিরা নিরাপদে লুকোনোর জন্য পাহাড়ি এলাকা বেছে নিয়েছে।সেনা সূত্রে খবর, জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ, সিআরপিএফ, স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ, ফরেস্ট গার্ড ও ভিলেজ ডিফেন্স গার্ড যৌথভাবে এই অভিযান চালাচ্ছে। যৌথ বাহিনীর লক্ষ্য লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের কোণঠাসা করে দ্রুত নিধন করা। নইলে তারা সুযোগ পেলে জনবসতিপূর্ণ এলাকায় ঢুকে হামলা চালাতে পারে।প্রসঙ্গত, এপ্রিলে কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এরপর সেনা পাল্টা অভিযান চালিয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীর এবং পাকিস্তানের মূল ভূখণ্ডে নটি জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করে। এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছিল অপারেশন সিঁদুর। ভারতীয় সেনার এই অভিযানের পর পাকিস্তানি সেনাও ভারতে হামলা চালায়, তবে দুদেশ সীমান্তে দিন দুয়েকের টানাপড়েনের পর সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয়।

ডিসেম্বর ২৭, ২০২৫
রাজ্য

মন্ত্রীর কন্যার নাম ভোটার তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও রি-ভেরিফিকেশনের নোটিশ! নতুন করে চাঞ্চল্য

মালদহের মোথাবাড়ির বিধায়ক ও রাজ্যের সেচ ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের বড় মেয়ের নামে এসআইআর-এ রি-ভেরিফিকেশনের জন্য নোটিশ ইস্যু করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রী খুবই ক্ষুব্ধ। তাঁর অভিযোগ, এই ধরনের নোটিশ সাধারণ মানুষকেও হয়রানির দিকে ঠেলে দিচ্ছে।মন্ত্রী জানিয়েছেন, তাঁর বড় মেয়ে ফিজা বিনতে আলম বর্তমানে আমেরিকায় পড়াশোনা করছেন। ইউএসএ-তে প্রায় দুই বছর ধরে তিনি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় তাঁর নাম থাকার কথা নয়। ২০২৫ সালের তালিকায় নাম রয়েছে। সম্প্রতি এসআইআর শুরুর পর নিয়ম মেনে ফর্ম পূরণ করেছেন ফিজা। বাবার নাম এবং ভোটার কার্ড সংযুক্ত করেছেন তিনি। তারপরও খসড়া ভোটার তালিকায় তাঁর নাম এসেছে এবং হিয়ারিংয়ের জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছে।মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, এভাবেই বিজেপির প্রভাবেই কমিশন সাধারণ মানুষকে হয়রানি করছে। আমার মেয়ের নাম-ই শুধু নয়, অনেক সাধারণ ভোটার যথেষ্ট নথি দেওয়ার পরও হিয়ারিংয়ে নোটিশ পাচ্ছেন। এভাবে মানুষকে হয়রানি করে রাজ্যের বিধানসভা ভোটে কেউ জয়ী হতে পারবে না।এই ঘটনায় জেলা রাজনীতিতে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। জেলা বিজেপি নির্বাচন কমিশনের পাশে দাঁড়ালেও, তৃণমূল কংগ্রেস প্রকৃত ভোটারদের নাম বাদ না করার দাবিতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।ফিজা বিনতে আলমের পরিবার সম্পর্কে জানা গেছে, মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের স্বামী মহম্মদ মেহবুব আলম কালিয়াচকের একজন ব্যবসায়ী। তাঁদের দুই মেয়ে রয়েছে, বড় মেয়ে বিদেশে পড়াশোনা করছেন। সাবিনা নিজে মোথাবাড়ি কেন্দ্রের বিধায়ক হলেও কালিয়াচকের চাঁদপুরের বাসিন্দা।

ডিসেম্বর ২৭, ২০২৫
বিদেশ

রকস্টার জেমসের শোয়ে তাণ্ডব, স্কুলের অনুষ্ঠানে আচমকা হামলায় আহত বহু

শুধু ভারতীয় শিল্পী নয়, এ বার বাংলাদেশি শিল্পীরাও হামলার মুখে। বাংলাদেশের জনপ্রিয় রকস্টার জেমসের অনুষ্ঠানে হামলার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। শুক্রবার ফরিদপুর জেলার এক স্কুলের ১৮৫তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে পারফর্ম করতে গিয়েছিলেন জেমস ও তাঁর ব্যান্ড। সেই অনুষ্ঠান চলাকালীনই আচমকা হামলা চালায় একদল লোক।আয়োজকদের দাবি, কয়েকজন বহিরাগত জোর করে স্কুল চত্বরে ঢুকে অনুষ্ঠান দেখার চেষ্টা করছিল। বাধা দেওয়া হলে তারা ইট ও পাথর ছুড়তে শুরু করে। এর পর হামলাকারীরা মঞ্চের দিকে এগিয়ে গিয়ে জেমসের স্টেজ দখল করার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।ইট-পাথরের হামলার মধ্যে কোনও রকমে রক্ষা পান জেমস। তবে ঘটনায় অন্তত ১৫ জন পড়ুয়া আহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আহতরা সবাই অনুষ্ঠান দেখতে এসেছিল। হামলার পর পড়ুয়াদের বিক্ষোভ শুরু হলে হামলাকারীরা ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়।পরিস্থিতি সামাল দিতে জেলা প্রশাসনের তরফে অনুষ্ঠান বাতিল করে দেওয়া হয়। যদিও গায়ক জেমস আহত হননি বলে জানিয়েছে স্থানীয় সূত্র। ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।উল্লেখ্য, সম্প্রতি ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ছায়ানট ও উদীচীর মতো সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছিল। তার রেশ কাটতে না কাটতেই এ বার জেমসের অনুষ্ঠানে হামলার ঘটনা বাংলাদেশের শিল্প ও সংস্কৃতির নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলে দিল।

ডিসেম্বর ২৭, ২০২৫
রাজ্য

বারাসতের সাংসদের দুই ছেলে, মা ও বোনও হিয়ারিংয়ে, ক্ষোভ উগড়ে দিলেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার

এসআইআর প্রক্রিয়া তাড়াহুড়ো করে করা হচ্ছে বলে প্রথম থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের অসন্তোষ। কেন দুই বছরের কাজ মাত্র দুই মাসে করা হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের পর থেকেই নানা অসঙ্গতি ধরা পড়েছে। ডানকুনির পৌরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর সূর্য দে-র নামের পাশে মৃত লেখা রয়েছে।এবার এসআইআর শুনানিতে ডাকা হয়েছে খণ্ডঘোষের তৃণমূল বিধায়ক নবীনচন্দ্র বাগের মা, ভাই ও ভাইয়ের স্ত্রীকে। একইসঙ্গে বারাসতের তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের দুই পুত্র, মা ও বোনকেও শুনানিতে ডাকা হয়েছে। কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, খসড়া তালিকা দেখার সময় দেখা যায়, আমার দুই পুত্রের নাম নেই। হিয়ারিংয়ের জন্য ডাক এসেছে। আমরা রাজনৈতিক পরিবার, কিন্তু সাধারণ মানুষ কীভাবে এই প্রক্রিয়ায় হয়রানির মুখে পড়ছে, তা ভাবলে ভয় লাগে। প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ, যাদের যোগাযোগ কম, তারা হিয়ারিংয়ে কী চাইছে তা বুঝতে পারছে না। তাদের জবরদস্তি নাম বাদ দিয়ে বিপদে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমার মা ও বোনও অন্য বুথের ভোটার, তাঁদেরও নাম নেই।তবে ওই বুথের বিএলও কপিল আনন্দ হালদার জানিয়েছেন, সাংসদের পরিবারের সবার নাম খসড়া তালিকায় রয়েছে। হয়তো অন্য কোনও সংশোধনের জন্য ডাকানো হয়েছে। কাকলি ঘোষ দস্তিদারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পাল্টা কটাক্ষ করেছে বিজেপি। নেতা সজল ঘোষ বলেন, হেনস্থা করতে চাইলে সাংসদকেই ডাকতো। উনি কি মঙ্গল গ্রহ থেকে এসেছেন? এত মানুষকে ডাকা হয়েছে। তারপরও উনি হেনস্থা হচ্ছে বলছেন।এসআইআর প্রক্রিয়া ও শুনানিতে ডাকার ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জানা গেছে, সাংসদের পরিবারের ওই সদস্যরা এদিন বিডিও অফিসে হাজির হন।

ডিসেম্বর ২৭, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal