• ৩০ কার্তিক ১৪৩২, বুধবার ১৯ নভেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

রাজ্য

রাজ্য

ভোট প্রচারে রোড শো, মিছিল বন্ধের নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের

করোনা আবহে রাজ্যে চলছে টানা আট দফা ভোট। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সংক্রমণও। বৃহস্পতিবারও রাজ্যে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১২ হাজার ছুঁইছুঁই। এই পরিস্থিতিতে ভোটের পদ্ধতি নিয়ে এদিনই হাই কোর্টের তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়েছিল নির্বাচন কমিশন । তারপরই নড়েচড়ে বসেন দিল্লির কর্তারা। এদিন সন্ধেবেলা নির্দেশিকা জারি করে নির্বাচন কমিশন সমস্ত মিছিল, রোড শোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করল। সূত্রের খবর, এই সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকাও পৌঁছেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে।এর আগে চতুর্থ দফা ভোটের পরই কমিশন প্রচারের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল। বলা হয়, সকাল ১০টা থেকে সন্ধে ৭টা পর্যন্ত প্রচার করা যাবে, তারপরে কোনও রকম প্রচার চলবে না। ভোটের দিনের ৭২ ঘণ্টা আগে প্রচার শেষ করে ফেলতে হবে। জনসভায় ৫০০ জনের বেশি সমাগমে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।করোনা পরিস্থিতিতে সেই নির্দেশিকা মেনেও নেন সকলে। তার আগেই অবশ্য রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হতে দেখে বাম দলগুলি প্রচার বন্ধ করেছিল। এ নিয়ে সর্বদল বৈঠকে তৃণমূলও ভার্চুয়াল প্রচারের কথা বলেছিল। তবে বিজেপি প্রচার সম্পূর্ণরূপে বন্ধের বিরোধিতা করে। এসবের জেরে নির্দিষ্ট সময় মেনেই এতদিন প্রচার চলছিল। তা সত্ত্বেও জনগণের একাংশই এই প্রচারের বিরুদ্ধে মত পোষণ করছিলেন। তবে বৃহস্পতিবার ষষ্ঠ দফা ভোট শেষ হতেই নির্বাচন কমিশন নয়া নির্দেশিকা জারি করল। সবরকম রোড শো, পদযাত্রা বন্ধ করে দেওয়া হল। জনসভা করলেও ৫০০ জনের বেশি লোক যাতে জড়ো না হন, সে বিষয়ে আরও কড়াভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। প্রসঙ্গত, শেষ দু দফা ভোটের আগেই কলকাতায় রোড শো করার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। রোড শোর সূচি ছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহরও। এদিন কমিশনের নির্দেশিকার পর সেসবও বাতিল হয়ে গেল।

এপ্রিল ২২, ২০২১
রাজ্য

ভোট প্রচারে রোড শো, মিছিল বন্ধের নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের

করোনা আবহে রাজ্যে চলছে টানা আট দফা ভোট। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সংক্রমণও। বৃহস্পতিবারও রাজ্যে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১২ হাজার ছুঁইছুঁই। এই পরিস্থিতিতে ভোটের পদ্ধতি নিয়ে এদিনই হাই কোর্টের তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়েছিল নির্বাচন কমিশন । তারপরই নড়েচড়ে বসেন দিল্লির কর্তারা। এদিন সন্ধেবেলা নির্দেশিকা জারি করে নির্বাচন কমিশন সমস্ত মিছিল, রোড শোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করল। সূত্রের খবর, এই সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকাও পৌঁছেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে।এর আগে চতুর্থ দফা ভোটের পরই কমিশন প্রচারের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল। বলা হয়, সকাল ১০টা থেকে সন্ধে ৭টা পর্যন্ত প্রচার করা যাবে, তারপরে কোনও রকম প্রচার চলবে না। ভোটের দিনের ৭২ ঘণ্টা আগে প্রচার শেষ করে ফেলতে হবে। জনসভায় ৫০০ জনের বেশি সমাগমে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।করোনা পরিস্থিতিতে সেই নির্দেশিকা মেনেও নেন সকলে। তার আগেই অবশ্য রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হতে দেখে বাম দলগুলি প্রচার বন্ধ করেছিল। এ নিয়ে সর্বদল বৈঠকে তৃণমূলও ভার্চুয়াল প্রচারের কথা বলেছিল। তবে বিজেপি প্রচার সম্পূর্ণরূপে বন্ধের বিরোধিতা করে। এসবের জেরে নির্দিষ্ট সময় মেনেই এতদিন প্রচার চলছিল। তা সত্ত্বেও জনগণের একাংশই এই প্রচারের বিরুদ্ধে মত পোষণ করছিলেন। তবে বৃহস্পতিবার ষষ্ঠ দফা ভোট শেষ হতেই নির্বাচন কমিশন নয়া নির্দেশিকা জারি করল। সবরকম রোড শো, পদযাত্রা বন্ধ করে দেওয়া হল। জনসভা করলেও ৫০০ জনের বেশি লোক যাতে জড়ো না হন, সে বিষয়ে আরও কড়াভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। প্রসঙ্গত, শেষ দু দফা ভোটের আগেই কলকাতায় রোড শো করার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। রোড শোর সূচি ছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহরও। এদিন কমিশনের নির্দেশিকার পর সেসবও বাতিল হয়ে গেল।

এপ্রিল ২২, ২০২১
রাজ্য

চলল গুলি, পড়ল বোমা, 'শান্তিপূর্ণ ষষ্ঠ দফার ভোট', জানাল কমিশন!

চলল গুলি,পড়ল বোমা। বিক্ষিপ্ত অশান্তির মধ্যেই শেষ হল ষষ্ঠ দফার ভোট। কমিশনের চোখে অবশ্য শান্তিপূর্ণ ভোটই হয়েছে। বৃহস্পতিবার কলকাতায় সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব জানান, ষষ্ঠ দফার ভোট শান্তিপূর্ণ ভাবেই মিটেছে।বৃহস্পতিবার ষষ্ঠ দফায় ৪ জেলার ৪৩ আসনে ভোট গ্রহণ হয়। অশান্তি এড়াতে বুধবার থেকেই কয়েকটি এলাকাকে বিশেষ তালিকাভুক্ত করেছিল কমিশন। এ ছাড়া শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্য পুলিশের পাশাপাশি ৫২ জন পর্যবেক্ষককে নিয়োগও করেছিল কমিশন। বেশ কিছু অশান্তির ঘটনার মধ্যে দিয়েই শেষ হল ষষ্ঠ দফার ভোট। বৃস্পতিবার ব্যারাকপুরে ১০৮ নম্বর বুথে বোমাবাজি হয়। ওই ঘটনায় ৩ জন আহত হন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ঘটনাটি নিয়ে কমিশন জানায়, বোমাবাজির ঘটনায় ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে রয়েছেন ডিসি।উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাগদা বিধানসভার ৩৫ নম্বর বুথের ২০০ মিটারের বাইরে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে। চতুর্থ দফায় শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালানোর ঘটনার পর ফের গুলি চালানোর ঘটনা ঘটল বাগদায়। যা নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতর শুরু হয়েছে। তবে ওই ঘটনায় নিয়ে আরিজ বলেন, একটি সেক্টর অফিসে জমায়েতের অভিযোগ ওঠে একটি রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে। জমায়েত হঠাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী লাঠিচার্জ করলে ধারালো অস্ত্র নিয়ে পুলিশ ও বাহিনীর উপর চড়াও হয় উন্মত্ত জনতা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৩ রাউন্ড গুলি চালায় পুলিশ। বুদ্ধ সাঁতরা নামে এক ব্যক্তি পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যুঞ্জয় সাঁতরা নামে আরও এক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। তবে তাঁর গুলি লেগেছে বলে প্রমাণ এখনও মেলেনি। মেডিক্যাল রিপোর্টের পরই বলা সম্ভব হবে। এ ছাড়া ওই ঘটনায় এক পুলিশ ইনস্পেক্টর এবং কনস্টেবল আহত হয়েছেন। বর্তমানে তাঁরা চিকিৎসাধীন।বৃহস্পতিবার ষষ্ঠ দফার ভোটে কাঁচরাপাড়া, অশোকনগর, মঙ্গলকোট-সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় গোলমালের খবর মিলেছে। কমিশনে অভিযোগ জমা পড়েছে ১৯৯২টি। সে সব অভিযোগ নিয়ে কমিশন কোনও উচ্চবাচ্য করেনি। তারা শুধু জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার গোলমালের অভিযোগে ১৯৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে ৯টি তাজা বোমা। সব মিলিয়ে পঞ্চম দফার মতো ষষ্ঠ দফাতেও সুষ্ঠু ভোট হয়েছে বলে দরাজ শংসা দিলেন কমিশনের আধিকারিক।

এপ্রিল ২২, ২০২১
রাজ্য

বিক্ষিপ্ত অশান্তির মধ্যে শুরু ষষ্ঠ দফার ভোটগ্রহণ

আজ রাজ্যে চলছে ষষ্ঠ দফার ভোটগ্রহণ। চার জেলা উত্তর দিনাজপুর, নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব বর্ধমানের মোট ৪৩ আসনে নির্বাচন। ভাগ্য নির্ধারণ হবে একাধিক হেভিওয়েট ও তারকা প্রার্থীদের। রইল রাজ্যের ভোট ষষ্ঠীর খুঁটিনাটি।সকাল ৯.২৮: খড়দহে ৭৬ নম্বর বুথে উত্তেজনা। বিজেপি এজেন্টকে মারধরের অভিযোগ। অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। সকাল ৯.২৭: সকাল নয়টা পর্যন্ত ২০শতাংশ ভোট পড়েছে উত্তর দিনাজপুরে।সকাল ৯.২৫: স্বরুপনগর বিধানসভার শায়েস্তানগর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের লবঙ্গ সরকারপাড়া ২৭০ নম্বর বুথে হুমকি পোস্টার পড়ে। এলাকাবাসীরা দেখতে পান, সেই পোস্টারে লেখা আছে, বিজেপিতে ভোট দিলে বাঁচতে পারবে না। তোদের রাস্তা ধরে জমি দখল হয়ে যাবে। ফল খারাপ হবে। রাতে ঘুমোতে পারবে না। এই পোস্টার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।সকাল ৯.২৪: গলসি বিধানসভার কাঁকসার বনফুলঝোড় গ্রামের ৮ নম্বর সংসদে বিদ্যুৎ না থাকায় ভোটারেরা দেখতে অসুবিধা হচ্ছিল । জানা গিয়েছে দশ জনের মতো ভোটার ভোট দেওয়ার পরেই ভোট গ্রহণ বন্ধ রয়েছে। পরে বিদ্যুৎ সংযোগ ঠিক হলে প্রায় এক ঘন্টা পর শুরু হয় ভোট গ্রহণ। কাঁকসারই অজয়পল্লির ১৫ নম্বর বুথে ইভিএম মেশিন খারাপ । ভোটারেরা সকাল আলাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ইভিএম বদল করার পর শুরু হয় ভোট । পানাগড় ৭৭ নম্বর বুথে ইভিএম মেশিন খারাপ থাকায় আধঘণ্টার ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকে এবং পরে আবার ভোট গ্রহণ শুরু হয় । পানাগড় বাজারে একটি বুথে বথ জ্যাম করার অভিযোগে এক তৃণমূল কর্মী আটক করার খবর আসছে ।কাঁকসা বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে ভোট গ্রহণ কেন্দ্রের সামনে বিজেপির পতাকা টাঙানো রয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের । বুদবুদের শুকডালে ১৩৪ নম্বর বুথে বুথ জ্যাম করছে তৃণমূল বলে অভিযোগ বিজেপির । বুদবুদের তিলডাঙ্গায় বিজেপির এজেন্ট বসতে দেয়নি তৃণমূল এমনটাই অভিযোগ বিজেপির । তাদের এজেন্টকে মারধর করার অভিযোগ করেছে বিজেপি । ২১৩ এবং ২১৪ নম্বর বুথে এজেন্ট বসতে দেয় নি এমনটাই অভিযোগ আনছে বিজেপি তৃণমূল উভয় পক্ষই ।সকাল ৯.১৪: বারাকপুর বিধানসভার ঘোষিপাড়ায় তৃণমূল প্রার্থী রাজ চক্রবর্তীকে ঘিরে বিক্ষোভ। উঠল গো ব্যাক স্লোগান। বিজেপি কর্মীরা তাঁকে ঘিরে জয় শ্রীরাম স্লোগান দেয় বলে খবর। সকাল ৯.১১: কেতুগ্রামে বোমাবাজির অভিযোগ। ১০১ নম্বর বুথে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ। সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে বোমাবাজি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ বিজেপির। সকাল ৯.০৩: ভাতারের ১৮৫ নম্বর বুথে ইভিএম খারাপ।সকাল ৯.০২: আউশগ্রামের ৬৫ ও ৬৬ নম্বর বুথের সামনে তৃণমূল কর্মীদের ব্যাপক জমায়েত। ভয় দেখানোর অভিযোগ তুলেছে বিজেপি । আউশগ্রামের ৯১ নম্বর বুথে বিজেপির এজেন্ট বসতে বাধা। আউশগ্রামের ২২৭, ২২৭ এ, এবং ২২৮ এ ভোটারদের ভয় দেখানোর অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে।সকাল ৮.৫৮: আমডাঙার বহিষগাছিতে উত্তেজনা। আইএসএফ ভোটারদের ভোটার কার্ড কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সকাল ৮.৫০: চোপড়ায় গুলি চলেনি বলে দাবি নির্বাচন কমিশনের। তাদের কথায়, গুলি চলার ঘটনা কেবলই রটনা। সকাল ৮.৪০: মঙ্গলকোট বিধানসভার ৯৪ ও ৯৫ নম্বর বুথে বিরোধীদলের এজেন্টদের বসতে দেওয়ায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ।সকাল ৮.৪১: আউশগ্রাম বিধানসভার প্রতাপপুরের ডাঙাপাড়া এলাকায় পুলিশকে হুঁশিয়ারি তৃণমূল নেতা অরূপ মিদ্যার। তাঁর কথায়, শীতলকুচি করতে যাবেন না। তিনদিন বাদে আমাদের সরকার আসছে। তখন আপনাকে দেখে নেব। এলাকায় বিজেপি ভোটারদের ভয় দেখানোর অভিযোগ উঠেছে ওই নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে বিজেপি।সকাল ৮.৩৭: আউশগ্রাম বিধানসভার ২২৩, ২২৪ বুথে ছাপ্পার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ করল বিজেপি। আউশগ্রামের ৫০ নম্বর বুথে বিজেপি সমর্থক পরিবারদের ভোট দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।সকাল ৮.৩৬: হাবড়ার বিভিন্ন বুথ পরিদর্শনে বিজেপির হেভিওয়েট প্রার্থী রাহুল সিনহা। জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী তিনি। সকাল ৮.২০: উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় ভোটের আগের রাতে চলল গুলি। রাতে খুনিয়ায় একটি বাড়ির সামনে গুলি চলে বলে খবর। আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা। ভোট দিতে যাবেন কিনা, তা নিয়ে চিন্তায় তাঁরা।সকাল ৮.১৯: তেহট্ট বিধানসভার সাধু বাজার শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের ১৬৫ নম্বর বুথে ইভিএম খারাপ ছিল। অবশেষে আটটা পাঁচে ভোটগ্রহণ শুরু হয়।সকাল ৮.১৪: পূর্বস্থলীর বিদ্যানগর গয়ারাম বিদ্যামন্দির স্কুলে ২৮ নম্বর বুথে ভোট দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল সভাপতি ও তৃণমূল প্রার্থী স্বপন দেবনাথ।

এপ্রিল ২২, ২০২১
রাজ্য

শেষ দু'ফার ভোট একসঙ্গে সম্ভব নয়, জানাল কমিশন

করোনা আবহে একসঙ্গে করা হোক শেষ দুদফার ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া। আর্জি নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু রাজ্যের শাসকদলের সেই আর্জি মানা হল না। কমিশন জানিয়ে দিল, নির্বাচন জটিল প্রক্রিয়া। শেষবেলায় এসে আর ভোট একসঙ্গে করা সম্ভব নয়। তাছাড়া, করোনা বিধি মেনে ভোট করার জন্য সমস্তরকম ব্যবস্থাও করেছে নির্বাচন কমিশন।চতুর্থ দফার ভোটের পরই বর্তমান করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বাকি চার দফার ভোট একসঙ্গে করার আরজি জানিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, বাকি চার দফার ভোট একসঙ্গে হয়ে গেলে আর প্রচারের কোনও ব্যাপার থাকবে না। ফলে সাধারণ মানুষের জমায়েত এড়ানো যাবে। কিন্তু কমিশনের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী বাকি ভোট আরও চার দফাতেই হবে। কিন্তু সংক্রমণের চোখ রাঙানি বাড়ার পর ফের ফের কমিশনের দ্বারস্থ হয় তৃণমূল।এবার তৃণমূলের তরফে চিঠি দিয়ে আবেদন করা হল, ২৬ এবং ২৯ এপ্রিলের ভোট প্রক্রিয়া একসঙ্গে করা হোক।তৃণমূলের এই চিঠির প্রেক্ষিতে কমিশন জানিয়ে দিল, শেষ দুদফার ভোট একসঙ্গে করানো হবে না। এমনিতেই করোনার কথা ভেবে ২০১৬ নির্বাচনের তুলনায় এবছর ১১ দিন কমিয়ে আনা হয়েছে। তাছাড়া এবছর বাংলায় বুথের সংখ্যা বেড়েছে ৩২ শতাংশ। তাছাড়া করোনার বাড়বাড়ন্তের জন্য সন্ধে ৭টা থেকে পরদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত ভোটপ্রচার বন্ধ রাখা হয়েছে। ভোটের দিনের ৭২ ঘণ্টা আগে থেকে প্রচার বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কমিশনের যুক্তি, নির্বাচনের সূচি অনেক দিন আগে থেকে অনেক পরিকল্পনা করে তৈরি করা হয়। তাছাড়া নিয়ম অনুযায়ী, মনোনয়ন জমা থেকে ভোটের দিনের মধ্যে অন্তত ১৪ দিনের সময় দিতে হয়। তাই কোনওভাবেই শেষ দফার ভোট এগিয়ে আনা সম্ভব নয়।

এপ্রিল ২১, ২০২১
রাজ্য

ব্যারাকপুরে অতিরিক্ত পুলিশ পর্যবেক্ষক নিয়োগ

রাত পোহালেই রাজ্যে ভোট ষষ্ঠী। আর এই দফায় সকলের নজরে আটকে ব্যারাকপুরে। উনিশের লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকে ভোটের সময় অশান্তিতে উত্তাল হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার এই এলাকা। তাই এবারের উত্তপ্ত আবহে এই এলাকাকে নিয়ে বিশেষ সতর্ক নির্বাচন কমিশন।ভোটের মাত্র ২৪ ঘণ্টা ব্যারাকপুরের জন্য অতিরিক্ত আরও ১ জন পুলিশ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করল কমিশন। তিনি শুধুমাত্র বারাকপুরের ঘটনা নিয়ে কমিশনকে রিপোর্ট দেবেন। উল্লেখ্য, এ বারের ভোটে ১ জন পুলিশ পর্যবেক্ষককে দুই বা তার বেশি বিধানসভার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে এবার বদ্ধপরিকর নির্বাচন কমিশন। তাই বিশাল বাহিনী মোতায়েন থেকে ওয়েব কাস্টিং, কিউআরটি টিমের সংখ্যা বৃদ্ধি থেকে একাধিক পুলিশ পর্যবেক্ষক নিয়োগ, একাধিক পদক্ষেপ করেছে নির্বাচন কমিশন। ভোটষষ্ঠী নির্বিঘ্নে মেটাতে বিশেষ ব্যবস্থা নিল কমিশন। এই দফার ভোটে কয়েকটি এলাকাকে বিশেষ তালিকাভুক্ত করেছে কমিশন। ভোটের দিন এই এলাকাগুলিতে অশান্তির আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছে তারা। এর মধ্যে বেশির ভাগই উত্তর ২৪ পরগনা শিল্পাঞ্চলের অন্তর্গত এলাকা।

এপ্রিল ২১, ২০২১
রাজ্য

একদিনে রাজ্যে আক্রান্ত ১০ হাজার ৭৮৪ জন

ভয়াবহ রূপ নিয়ে আছড়ে পড়েছে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ। পুরনো সব রেকর্ড ভেঙে দিয়ে একদিনে বাংলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পেরোল ১০ হাজার। রেকর্ড গড়ল গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যাও। সবমিলিয়ে ষষ্ঠ দফা নির্বাচনের আগে ভয়াবহ আকার নিল রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি।বুধবার স্বাস্থ্যদপ্তরের সন্ধের রিপোর্ট বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় এ রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৭৮৪ জন। ফলে বাংলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৬ লক্ষ ৮৮ হাজার ৯৫৬ জন। লাফিয়ে বাড়ছে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা। আজকের রিপোর্ট বলছে, বাংলায় এই মুহূর্তে চিকিৎসাধীন করোনা রোগীর সংখ্যা ৬৩ হাজার ৪৯৬ জন। যা মঙ্গলবারের তুলনায় ৫ হাজার ১১০ জন বেশি। এদিনের সরকারি হিসেব বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বাধিক সংক্রমিতের হদিশ মিলেছে কলকাতায় (২ হাজার ৫৬৮)। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা (২ হাজার ১৪৯)। চিন্তা বাড়াচ্ছে বাকি জেলাগুলিও। উদ্বেগ বাড়িয়েছে নিম্নমুখী সুস্থতার হারও। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৬১৬ জন। ফলে সুস্থতার হার কমে দাঁড়াল ৮৯.২৩ শতাংশ। বুধবার সুস্থতার শতকরা হার ছিল ৮৯.৮২ শতাংশ। ইতিমধ্যে রাজ্যে করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৬ লক্ষ ১৪ হাজার ৭৫০ জন।চিন্তা বাড়াচ্ছে রাজ্যের মৃত্যুর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৫৮ জনের। সর্বাধিক মৃত্যু হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনায় (১৪)। এর ঠিক পরেই রয়েছে কলকাতা (১৩)। বাকিরা দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি, হাওড়া, পশ্চিম বর্ধমান ও দুই মেদিনীপুরের বাসিন্দা। এদিন রাজ্যের মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১০ হাজার ৭১০। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৫০ হাজারের বেশি।

এপ্রিল ২১, ২০২১
রাজ্য

নির্বাচন কমিশনকে চিঠি তৃণমূলের

করোনা আবহে একসঙ্গে করা হোক শেষ দুদফার ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া। এমন আর্জি জানিয়েই এবার নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিল তৃণমূল। এদিকে, নির্বাচনী প্রচারে লাগাম টানতে হাইকোর্টে করা জনস্বার্থ মামলা নিয়ে মঙ্গলবার কড়া মনোভাব দেখালেন কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি।চতুর্থ দফার ভোটের পরই বর্তমান করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বাকি চার দফার ভোট একসঙ্গে করার আর্পি জানিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, বাকি চার দফার ভোট একসঙ্গে হয়ে গেলে আর প্রচারের কোনও ব্যাপার থাকবে না। ফলে সাধারণ মানুষের জমায়েত এড়ানো যাবে। কিন্তু কমিশনের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী বাকি ভোট আরও চার দফাতেই হবে। কিন্তু সংক্রমণের চোখ রাঙানির মধ্যে ফের একই আরজি শোনা গেল তৃণমূলের তরফে। ২২ এপ্রিল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বঙ্গে ষষ্ঠ দফার ভোট। ফলে এই দফায় আর কোনও বদল আনা সম্ভব নয়। কিন্তু এবার তৃণমূলের তরফে চিঠি দিয়ে আবেদন করা হল, ২৬ এবং ২৯ এপ্রিলের ভোট প্রক্রিয়া একসঙ্গে করা হোক। তৃণমূলের এই দাবিতে কমিশনের প্রতিক্রিয়া কী হয়, এখন তারই অপেক্ষা।এদিকে, নির্বাচনী প্রচারে রাশ টানতে হাই কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এদিন তারই প্রেক্ষিতে নয়া নির্দেশ দিলেন হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিবিএন রাধাকৃষ্ণণ। ডিভিশন বেঞ্চের তরফে জানানো হয়, করোনা পরিস্থিতিতে সমস্ত বিধি মেনেই যাতে প্রচার ও ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়, তার দায়িত্ব কমিশনকেই নিতে হবে। প্রয়োজনে পুলিশ, প্রশাসনের সাহায্য নিয়ে গোটা প্রক্রিয়া বলবৎ করতে হবে। এ ব্যাপারে কমিশনকে সাহায্য করার এক্তিয়ার রাজ্যের রয়েছে কি না, তা আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যেই পরিষ্কার করে জানাতে হবে হাইকোর্টকে।

এপ্রিল ২০, ২০২১
রাজ্য

রাজ্যে নতুন সংক্রমণ ১০ হাজার ছাড়াল, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু বেড়ে ৪৬

রাজ্যে দৈনিক করোনা সংক্রমণ একধাক্কায় ১০ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছে গেল। যা এখনও পর্যন্ত ১ দিনে আক্রান্তের নিরিখে সবচেয়ে বেশি। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যার মতোই মোট সংক্রমণের হারও সর্বোচ্চ হয়ে দাঁড়িয়েছে ৬.৮৫ শতাংশে।মঙ্গলবার স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় গোটা রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৮১৯ জন। শুধুমাত্র কলকাতাতেই নতুন করে ২ হাজার ২৩৪ জনের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে পিছিয়ে নেই উত্তর ২৪ পরগনাও। ওই জেলায় নতুন আক্রান্ত ১ হাজার ৯০২ জন। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত মোট ৬ লক্ষ ৭৮ হাজার ১৭২ জনের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর।রাজ্য জুড়ে লাফিয়ে লাফিয়ে সংক্রমণ বৃদ্ধির পাশাপাশি কোভিড রোগীদের মৃত্যুর সংখ্যাও উদ্বেগজনক ভাবে বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৬ জন আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনায় ১৫ এবং কলকাতায় ১৩ জন মারা গিয়েছেন। মালদহে ৪, পশ্চিম বর্ধমান, হাওড়া, এবং হুগলিতে ২ জন করে রোগীর মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে, দার্জিলিং, কালিম্পিং, জলপাইগুড়ি, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, পুরুলিয়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে ১ জন করে মারা গিয়েছেন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ১০ হাজার ৬৫২ জন কোভিড রোগী মারা গিয়েছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর।আক্রান্তের সংখ্যায় নজির গড়লেও রাজ্য সরকারের তরফে গত ২৪ ঘণ্টায় টিকাকরণ অনেকটাই বাড়ানো হয়েছে। ওই সময়ের মধ্যে রাজ্যের ২ লক্ষ ১২ হাজার ৫৭০ জন বাসিন্দাকে টিকা দেওয়া হয়েছে বলে স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর। তবে তা সত্ত্বেও দৈনিক সংক্রমণের হার বা পজিটিভিটি রেট পৌঁছেছে ১৯.৬২ শতাংশে। প্রসঙ্গত, প্রতি দিন যে সংখ্যক কোভিড টেস্ট করা হয়, তার মধ্যে যত শতাংশের রিপোর্ট পজিটিভ আসে, তাকেই পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার বলা হয়।দৈনিক টিকাকরণের মতোই কোভিড টেস্টের সংখ্যাও রবিবারের থেকে অনেকটাই বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৫০ হাজার ৪৪টি কোভিট টেস্ট হয়েছে। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ৯৯ লক্ষ ৩২২টি টেস্ট হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর।

এপ্রিল ২০, ২০২১
রাজ্য

ভোটের আগে ফের রক্তাক্ত মুর্শিদাবাদ

ভোটের মরশুমে রাজ্যজুড়ে হিংসা অব্যাহত। সোমবার রাতে রাজনৈতিক হিংসায় রক্তাক্ত হল মুর্শিদাবাদ । বোমাবাজি, সংঘর্ষের জেরে প্রাণ গেল এক কংগ্রেস কর্মীর। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাজ্যের শাসকদল। এদিকে এদিন রাতেই বড়ঞ্যা এলাকাতেও বোমাবাজি হয়। বোমার ঘায়ে গুরুতর জখম হন এক তৃণমূল কর্মী। সবমিলিয়ে ভোটের আগেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল মুর্শিদাবাদ।অষ্টম দফায় মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ায় ভোটগ্রহণ। তার আগে রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হল এই এলাকা। স্থানীয় সূত্রে খবর, গতকাল রাতে হরিহরপাড়া বিধানসভার অন্তর্গত বিলধারীপাড়ার ঘোষালপুর এলাকায় তৃণমূল ও কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। চলে দেদার বোমাবাজি। এমনকী গুলি ছোঁড়ার অভিযোগও রয়েছে। সংঘর্ষের জেরে এক কংগ্রেস কর্মীর মৃত্যু হয়। নাম কাশেম আলি। জখম হয়েছেন দুপক্ষের অন্তত ১০ জন।সূত্রের খবর, নমাজ পড়ে বাড়ি ফিরছিলেন কাশেম। ঠিক তখনই তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। বোমার আঘাতে জখম কাশেম আলিকে প্রায় সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শারীরিক পরীক্ষার পর তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। যদিও বোমবাজির অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, হরিহরপাড়ার এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই।অন্যদিকে প্রচার সেরে বাড়ি ফেরার পথে এক তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়ার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বড়ঞ্যা বিধানসভার অন্তর্গত ভবানীপুর গ্রামে। দলীয় সূত্রে খবর, প্রচার সেরে সাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন তৃণমূল কর্মী দলু শেখ। তাঁকে লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা বোমা ছোঁড়ে। গুরুতর জখম হয়ে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। ঘটনা প্রসঙ্গে বড়ঞ্যা কেন্দ্রে তৃণমূ প্রার্থী জীবনকৃষ্ণ সাহা জানিয়েছেন, দলু শেখ আমাদের কর্মী। তাঁকে লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা বোমা ছোঁড়ে। অভিযোগের তির স্থানীয় বিজেপি নেতা-কর্মীদের দিকে। তবে সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে গেরুয়া শিবির। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

এপ্রিল ২০, ২০২১
রাজ্য

ফের রদবদল রাজ্য পুলিশে

শেষ তিন দফা ভোটের আগে ফের রদবদল রাজ্য পুলিশে। বদলি হলেন পূর্ব বর্ধমান, বীরভূমের পুলিশ সুপারদের। বদলে দেওয়া হল আসানসোল-দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনারকেও । সূত্রের খবর, তাৎপর্যপূর্ণভাবে বীরভূমের পুলিশ সুপারের দায়িত্বে আনা হল নন্দীগ্রামের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠীকে। যিনি গত ১ তারিখ, রাজ্যে দ্বিতীয় দফা ভোটের দিন হাই ভোল্টেজ নন্দীগ্রামের বুথে তৃণমূল সুপ্রিমোর চোখে চোখ রেখে নিজের দায়িত্ব পালনে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়েছিলেন। ভোটে অশান্তি রুখতে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জানিয়েছিলেন, খাকি উর্দিতে তিনি কোনও দাগ লাগতে দেবেন না।বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন শুরু হওয়ার আগে নির্বাচনী বিধি মেনে পুলিশ আধিকারিকদের রুটিন বদলি হয়েছিল নির্বাচন কমিশনের তরফে। সেসময়ে বীরভূমের এসপি শ্যাম সিংকে বদলি করে আনা হয়েছিল মীরাজ খালিদকে। ভোটের মাঝেই আবার এই পদে বদল করল কমিশন। মীরাজ খালিদকে সরিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হল আইপিএস নগেন্দ্র ত্রিপাঠীকে। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মত, এই সিদ্ধান্ত থেকেই স্পষ্ট, উত্তেজনাপ্রবণ বীরভূম জেলাকে এবারের ভোটে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। বিশেষত এখানকার দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে আগেই নজরবন্দি করা হয়েছে। তাঁর প্রতিটি গতিবিধির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। নগেন্দ্র ত্রিপাঠীকে এই জেলার দায়িত্ব দেওয়ার অন্যতম কারণ এটাই। বীরভূম জেলার ১১ টি কেন্দ্র ভোট শেষ দফায়, ২৯ এপ্রিল।এছাড়া পূর্ব বর্ধমানের ৮টি কেন্দ্রে ভোট আগামী ২২ তারিখ। তার আগে সেখানেও পুলিশ সুপার বদলি করা হল। ভাস্কর মুখোপাধ্যায়ের বদলে দায়িত্ব দেওয়া হল অজিত কুমার যাদবকে। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের সিপি ছিলেন সুকেশ জৈন। তাঁর বদলে এলেন মিতেশ জৈন। এখানে ভোট সপ্তম দফায়, ২৬ তারিখ। বোলপুরের নতুন এসডিপিও হলেন নাগরাজ দেবরাকোন্দা। এতদিন এই পদে ছিলেন অভিষেক রায়।

এপ্রিল ১৯, ২০২১
রাজ্য

করোনার কোপ, শিয়ালদহ শাখায় বাতিল বেশ কিছু লোকাল ট্রেন

দ্বিতীয় পর্যায়ে করোনার ধাক্কা আরও বেশি। পরিস্থিতি ক্রমশই ভয়াবহ হচ্ছে। এর প্রভাব পড়ল রেল পরিষেবায়। রেল সূত্রে খবর, শিয়ালদহ শাখায় বাতিল করা হল ২৯ টি লোকাল ট্রেন। সম্প্রতি ট্রেনের চালক ও গার্ডরা কোভিড পজিটিভ হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নিল রেল। দ্রুতই এই ২৯ টি ট্রেন বাতিল হবে বলে খবর। ফলে নিত্যযাত্রীরা বেশ সমস্যায় পড়লেন। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছেন সকলেই। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় রেল পরিষেবা কীভাবে চলবে, তা নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন রেলের আধিকারিকরা।এর আগেও করোনার দাপট বাড়তে থাকায় শিয়ালদহ, হাওড়া শাখার বেশ কয়েকটি লোকাল ট্রেন বাতিল করার ভাবনাচিন্তা চলছিল রেলের অন্দরে। বিশেষ সতর্কতা নিতে বলা হয়েছিল চালক, গার্ডদের। তবে সেসময় কোনও ট্রেন শেষ পর্যন্ত বাতিল করা হয়নি। গত কয়েকদিন ধরে রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে হু হু করে। লোকাল ট্রেন, প্ল্যাটফর্মে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। নইলে আর্থিক জরিমানা পর্যন্ত হতে পারে, এমন নির্দেশিকাও জারি হয়েছে রেলের তরফে। কিন্তু তারপরও জনসচেতনতা তৈরি হয়নি। তারউপর একের পর এক গার্ড, চালকের শরীরে থাবা বসাচ্ছে করোনা ভাইরাস। ফলে এবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতেই হল। শিয়ালদহ শাখায় ২৯ টি লোকাল ট্রেন বাতিল করা হল। এছাড়া দূরপাল্লার ট্রেনের যাত্রীদের ক্ষেত্রে আরটি-পিসিআর টেস্ট রিপোর্ট বাধ্যতামূলক। রেলে আইসোলেশন কোচের ব্যবস্থা হবে কীভাবে, তা নিয়েও ভাবনাচিন্তা হচ্ছে রেলের তরফে।এর পাশাপাশি রাজ্য সরকারের তরফেও করোনা মোকাবিলায় আরও বড়সড় পদক্ষেপ নেওয়া হতে চলেছে বলে খবর। ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত হয়েছে, রাজ্যের স্কুলগুলি মঙ্গলবার থেকে ফের বন্ধ করা হচ্ছে। তার জন্য এগিয়ে আনা হচ্ছে গ্রীষ্মের ছুটি। এই মুহূর্তে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি ঠিক কেমন, তা জানতে চেয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। দুপুরে রাজভবনে তথ্য নিয়ে দেখা করেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।

এপ্রিল ২০, ২০২১
রাজ্য

ভোটের মরশুমে কালনায় ফের খুন বিজেপি কর্মী

নদিয়ার চাকদহের পর এবার পূর্ব বর্ধমানের কালনায় বিজেপি কর্মীর রহস্যমৃত্যু। সোমবার সকালে বাড়ির পাশের বাগান থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল গেরুয়া শিবিরের ওই কর্মীকে খুন করে দেহ ঝুলিয়ে দিয়ে গিয়েছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের পালটা দাবি, আত্মঘাতী হয়েছেন ওই ব্যক্তি। তাঁকে বিজেপি কর্মী হিসেবে মানতেও নারাজ তৃণমূল। এই ঘটনায় এলাকার উত্তেজনা ছড়িয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছে কালনা থানার পুলিশ। তবে দেহ আটকে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বিজেপি কর্মীরা। শান্তিপূর্ণভাবেই মিটেছে রাজ্যের ভোটপঞ্চমী। কিন্ত তার পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে দফায় দফায় রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটছে। উল্লেখ্য, নির্বাচনের পরদিন অর্থাৎ রবিবার সকালে নদিয়ার চাকদহ বিধানসভার অন্তর্গত শিমুরলিয়া গ্রামে এক বিজেপি কর্মীর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ করা হয়েছিল, পিটিয়ে খুন করা হয়েছে তাঁকে। ঘটনার জন্য তৃণমূলকেই দায়ি করেছিল বিজেপি শিবির। এই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা কাটার আগেই কালনায় আরেক বিজেপি কর্মীর দেহ উদ্ধার হল।স্থানীয় সূত্রে খবর, কালনার কল্যাণপুরে নিজের বাড়ির পাশেই এক বাগান থেকে অখিল প্রামাণিকের (৪৫) ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর ভাই দেবু প্রামাণিকের অভিযোগ, গত কয়েকমাস ধরেই আমাকে আর আমার ভাইকে হুমকি দিচ্ছিল তৃণমূল কর্মীরা। ওরাই আমার ভাইকে খুন করল। পরিবার সূত্রে খবর, রবিবার গভীর রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন অখিল। এদিন সকাল হতেই তাঁর খোঁজে বের হন স্ত্রী ও ভাই। তখনই বাড়ি থেকে দুশো-তিনশো মিটার দূরে অখিলের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান তাঁরা। স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতদেহটির পা মাটিতে ঠেকেছিল। মাটিতে কয়েক ফোঁটা রক্তও পড়েছিল। তা দেখেই পরিবার ও বিজেপি কর্মীদের দাবি অখিলকে খুন করে দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল।

এপ্রিল ১৯, ২০২১
রাজ্য

কলকাতায় আর কোনও বড় সভা করবেন না মুখ্যমন্ত্রী

ক্রমবর্ধমান করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বড় সিদ্ধান্ত তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের । শহর কলকাতায় আর কোনও বড় রাজনৈতিক সমাবেশ করবেন না মমতা। শুধু আগামী ২৬ এপ্রিল বিডন স্ট্রিটে অনেক আগে থেকে পরিকল্পিত একটি রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নেবেন তিনি। তৃণমূল দলের তরফে ছোটখাটো জনসভার আয়োজন করা হতে পারে। তবে, সেই সভাগুলিতে মমতা নিজে উপস্থিত থাকবেন না। রবিবার এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে একথা জানিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী।ওই সাক্ষাৎকারে রাজ্য তথা দেশের করোনা পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্রকে বিঁধেছেন মমতা। তাঁর দাবি, কেন্দ্রের তথা প্রধানমন্ত্রীর অদূরদর্শিতার জন্য বর্তমান পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর সাফ কথা, দূরদর্শিতার অভাব না থাকলে আমরা আজ এত বিপদে পড়তাম না হঠাৎ করে। মমতার দাবি,গত ছমাস সেভাবে কোনও করোনা হয়নি। সেই সময়টাকে অবহেলা করা হয়েছে। এই ছমাস পরিকল্পনা করলে, আগামী ছমাস ভাল কাটত। ওষুধের জোগান নেই, অক্সিজেনের জোগান নেই। ৮০টা দেশকে আমরা ওষুধ দিয়ে দিয়েছি। আমি এটার নিন্দা করছি না। কিন্তু নিজের দেশের দরকারটা তো আগে বুঝতে হবে। এখন হঠাৎ করে আমার কাছে অক্সিজেন নেই, ভ্যাকসিন নেই, ওষুধ নেই। দূরদর্শিতার অভাব। নাহলে হঠাৎ করে আমরা এর মধ্যে পড়তাম না।নির্বাচনে করোনার প্রভাব নিয়ে মমতা জানিয়েছেন, আমরা শেষ ৩ দফা একসঙ্গে ভোট করার কথা বলেছিলাম। কিন্তু নির্বাচন কমিশন শুধু বিজেপির কথা শোনে। আমাদের কাছে শোনে না। তবে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে মমতা কলকাতায় নিজের সব বড় জনসভা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন,দল নিজের মতো ছোট করে জনসভা আয়োজন করলে করবে। কিন্তু আমি সেখানে যাব না। কারণ আমি গেলে বেশি জমায়েত হবে। আসলে, গোটা রাজ্যের মধ্যে শহর কলকাতাতেই করোনার প্রকোপ সবচেয়ে বেশি। শুধু গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় ২ হাজার ১৯৭ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। কলকাতার পাশাপাশি রাজ্যের অন্য প্রান্তের কথাও ভাবছেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, এরপর থেকে রাজ্যের অন্যপ্রান্তের জনসভাগুলিতেও নিজের বক্তৃতার সময় কমিয়ে দেবেন তিনি। ছোট করে ভাষণ দেবেন।

এপ্রিল ১৮, ২০২১
রাজ্য

ভোট মিটতেই রাজনৈতিক সংঘর্ষে রণক্ষেত্র বর্ধমান

ভোটপরবর্তী হিংসায় উত্তপ্ত পূর্ব বর্ধমানের লক্ষ্মীপুর। শনিবার রাতে সংঘর্ষে জড়ায় তৃণমূল-বিজেপি কর্মীরা। কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। রাতে পরিস্থিতি শান্ত হলেও রবিবার ভোর থেকে ফের নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়েছে তৃণমূল-বিজেপি কর্মীরা।শনিবার অর্থাৎ পঞ্চম দফায় ভোট ছিল বর্ধমান দক্ষিণ আসনে। ভোট শেষ হওয়ার পর রাতে ওই এলাকার তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মারধরের অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। রাতেই অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে থানা ঘেরাও করেন তৃণমূল কর্মীরা। দীর্ঘক্ষণ চলে বিক্ষোভ। গভীর রাতে ওঠে বিক্ষোভ। রবিবার সকালে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। তৃণমূল প্রার্থী খোকন দাসকেও মারধরের অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। রীতিমতো তাড়া করা হয় তাঁকে। আক্রান্ত হন একাধিক তৃণমূল কর্মী। তাঁদের বাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় একটি ক্লাবেও ব্যাপক ভাঙচুর চালায় বিজেপি। একের পর এক বাইকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তী সংঘর্ষে জড়ায় তৃণমূল-বিজেপি। ভোট পরবর্তী হিংসায় কার্যত জ্বলছে বর্ধমান। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। আতঙ্কে কাঁটা স্থানীয়রা।

এপ্রিল ১৮, ২০২১
রাজ্য

চাকদহে পিটিয়ে খুন বিজেপির পোলিং এজেন্ট

ভোটের মরশুমে পিটিয়ে খুন বিজেপির পোলিং এজেন্ট। পঞ্চম দফা নির্বাচনের পরদিনই নদিয়া জেলার চাকদহ বিধানসভা এলাকায় বাড়ির সামনে থেকে উদ্ধার হল বিজেপি কর্মীর ক্ষতবিক্ষত দেহ। বিজেপির অভিযোগ, দলীয় কর্মীর খুনের পিছনে তৃণমূলের হাত রয়েছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। চাকদহ বিধানসভার রাওয়াড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের মণ্ডল পাড়া এলাকার বাসিন্দা দিলীপ কীর্তনিয়া। এলাকায় তিনি সক্রিয় বিজেপি কর্মী হিসেবে পরিচিত। দিলীপবাবু পোলিং এজেন্টও ছিলেন। অভিযোগ, শনিবার তিনি যখন বুথে বসতে যাচ্ছিলেন তখনই তাঁকে হুমকি দেয় তৃণমূল কর্মীরা। এর পর রাতে তাঁকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় কেউ বা কারা। তার পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তিনি। ভোররাত থেকে খোঁজ শুরু করে পরিবারের সদস্যরা। রবিবার সকালে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি ঝোঁপের মধ্যে দিলীপবাবুর দেহটি পড়ে থাকতে দেখা যায়।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তাঁর মুখ ও কান দিয়ে রক্ত ঝরছিল। সঙ্গে সঙ্গে চাকদহ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। হাসপাতালের সামনে উপস্থিত পরিবার পরিজন ও প্রতিবেশীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। দোষীদের গ্রেপ্তারির দাবিতে হাসপাতাল চত্বরেই বিক্ষোভ চলে বলে খবর। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশবাহিনী। দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের দাবি, দিলীপকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্যস্তরে জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, এটা তৃণমূলের সংস্কৃতি। পোলিং এজেন্টকে বাড়ি থেক ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করছে ওরা। বিজেপি করা তৃণমূলের কাছে অপরাধ। দলের উপরতলা থেকে বিরোধী শূন্য রাজনীতি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ওদের কর্মীদের। তাই দলের নিচুতলার কর্মীরা খুনোখুনি করছে। দোষীদের শাস্তি চাই।

এপ্রিল ১৮, ২০২১
রাজ্য

বাইরে থেকে বাংলায় ঢুকতে হলে আরটি-পিসিআর টেস্ট বাধ্যতামূলক

ভোটের মরশুমে বহিরাগতরা এসে বাংলায় রোগ ছড়াচ্ছে। আর সেই কারণেই রাজ্যে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। জনসভায় একাধিকবার এমন দাবিই করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এবার তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন, যাঁরা বাইরে থেকে আসতে চাইবেন, তাঁদের আরটি-পিসিআর টেস্ট করার পর বাংলায় পা রাখার অনুমতি দেওয়া হবে।তৃণমূল নেত্রীর দাবি, অন্তত ১০ হাজার মানুষ অন্য জায়গা থেকে এ রাজ্যে এসেছেন। যাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই সংক্রমিত। আর এঁদের কারণেই বাংলায় হু হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। তাই বহিরাগতদের নিয়ে আর কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি নন মমতা। পরিষ্কার বলে দিয়েছেন, এরপর বড় কোনও অঘটন ঘটলে তার জন্য নির্বাচন কমিশনই দায়ী থাকবে।গত বেশ কয়েকদিন ধরে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে বাংলার ক্রমবর্ধমান করোনা সংক্রমণ। লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এমন পরিস্থিতিতে কমিশন ভোট প্রচারে লাগাম টানলেও করোনা রুখতে তা বিরাট কোনও ভূমিকা পালন করতে পারবে কি না, সে নিয়ে সন্দীহান ওয়াকিবহল মহল। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজ্যের বাকি চার দফার ভোট একসঙ্গে করানোর দাবিও তুলেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। কিন্তু কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, পূর্ব নির্ধারিত সূচিতেই হবে নির্বাচন। ফলে আগের মতোই চলবে জনসভা, রোড শো। আর সেই কারণেই বাড়ছে চিন্তা। স্বাস্থ্যদপ্তরের শনিবারের বুলেটিন অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় কোভিড আক্রান্ত ৭,৭১৩ জন। প্রাণ হারিয়েছেন ৩৪ জন। মোট সংক্রমিতের সংখ্যা জানিয়েছে সাড়ে ৬ লক্ষ। ইতিমধ্যেই সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বেড বাড়ানোর জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে স্বাস্থ্যদপ্তর। উপসর্গ তীব্র হলে তবেই হাসপাতালে, মৃদু উপসর্গ থাকলে প্রয়োজনে সেফ হোমে পাঠানো হবে কোভিড রোগীদের।

এপ্রিল ১৮, ২০২১
রাজ্য

করোনায় প্রয়াত প্রাক্তন বিধায়ক

মুরারইয়ের প্রাক্তন বিধায়ক আব্দুল রহমান করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হলেন। কলকাতার আরএন টেগোর হাসপাতালে মারা যান তিনি। প্রথমে তিনি মুরারই থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন। তারপর করোনা আক্রান্ত হলে তাঁর জায়গায় ওই আসন থেকে মোশারফ হোসেনকে প্রার্থী করে তৃণমূল।

এপ্রিল ১৮, ২০২১
রাজ্য

রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্ত সাড়ে ৬ লক্ষ পার, একদিনে মৃত্যু ৩৪ জনের

কোভিড-১৯ নিয়ে সাধারণ মানুষের অবহেলার সুযোগেই লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। দেশের বিভিন্ন রাজ্যের মতোই দিনে দিনে ভয়ংকর আকার ধারণ করছে বাংলার করোনার ছবিটাও। গতকালের তুলনায় শনিবার অনেকখানি বাড়ল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। অতীত রেকর্ড ভেঙে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও।এদিন স্বাস্থ্যদপ্তরের দেওয়া বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার কবলে পড়েছেন ৭,৭১৩ জন। যার মধ্যে শহর কলকাতায় একদিকে আক্রান্ত ১,৯৯৮ জন। সংক্রমণের নিরিখে প্রত্যাশিতভাবেই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। একদিনে সেখানে ১,৬৩৯ জনের শরীরে মারণ ভাইরাসের হদিশ মিলেছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা একদিনে সংক্রমিতের সংখ্যা ৪৯১। হাওড়ায় একদিনে আক্রান্ত ৪৩২ জন। উল্লেখযোগ্যভাবে দৈনিক সংক্রমণ বেড়েই চলেছে বীরভূমে। একদিনে সেখানে আক্রান্ত ৪০৬ জন। এদিকে, করোনা আবহের মধ্যেও পর্যটকের সংখ্যা বাড়ছে পাহাড়ে। ফলে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে দার্জিলিংয়েও। ২৪ ঘণ্টায় সেখানে ১৪১ জনের শরীরে থাবা বসিয়েছে এই ভাইরাস। রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হল ৬ লক্ষ ৫১ হাজার ৫০৮ জন। গত কয়েকদিনের মতোই উদ্বেগ বাড়িয়ে ফের একলাফে অনেকখানি বাড়ল রাজ্যের অ্যাকটিভ কেসও। বর্তমানে করোনায় চিকিৎসাধীন ৪৫ হাজার ৩০০। একইসঙ্গে এই ভাইরাস এখনও কেড়ে চলেছে মানুষের প্রাণও। গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় করোনার বলি ৩৪ জন। প্রাণ হারিয়েছেন তৃণমূলের বিদায়ী বিধায়ক আব্দুর রহমান এবং পুরুলিয়ার প্রাক্তন সাংসদ বীর সিং মাহাতো। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ১০ হাজার ৫৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে কোভিড-১৯-এ।

এপ্রিল ১৮, ২০২১
রাজ্য

বাড়তি সতর্কতায় শান্তিপূর্ণ পঞ্চম দফা, জানাল কমিশন

শান্তিপূর্ণ ভাবেই মিটেছে পঞ্চম দফার ভোট। বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ঘটলেও বড় কোনও অশান্তির খবর নেই। শনিবার ভোট শেষে এমনটাই জানালেন কমিশনের আধিকারিকরা। শনিবার পঞ্চম দফায় রাজ্যের মোট ৪৫টি আসনে ভোটগ্রহণ হয়। বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৭৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। এই দফায় কিছু জায়গায় অশান্তির খবর পাওয়া গেলেও মোটের উপর ভোট শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলে অভিমত কমিশনের। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব বলেন,পঞ্চম দফার নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। দুএকটি জায়গায় অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। তা খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে কমিশন। নদিয়ার চাকদহে বুথের বাইরে বন্দুক হাতে ধরা পড়েন নির্দল প্রার্থী কৌশিক ভৌমিক। তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানায় কমিশন। এ ছাড়া গয়েশপুরে বিজেপি কর্মীর উপর হামলার ঘটনায় ২ জনকে আটক করা হয়েছে। কমিশন সূত্রে খবর, পঞ্চম দফার ভোটে সব মিলিয়ে মোট ১২৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ১০০ জনকে আগাম আটক করা হয়েছিল।চতুর্থ দফার ভোটে কোচবিহারে অশান্তির পর এই দফায় বাড়তি সতর্কতা নিয়েছিল কমিশন। ভোটের ৭২ ঘন্টা আগেই প্রচার শেষের নির্দেশ দেয় কমিশন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাশাপাশি অশান্তি এড়াতে পর্যবেক্ষকের সংখ্যা বাড়ানো হয়। অশান্তির সম্ভাবনা রয়েছে এমন বুথগুলিতে ভিডিওগ্রাফি বাড়ায় কমিশন। এর পাশাপাশি ১৪৪ ধারা রয়েছে এমন এলাকায় কঠোর থাকতে বলা হয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। এই সব পদক্ষেপই গন্ডগোল এড়াতে কাজে দিয়েছে বলে মত কমিশনের। কিছু জায়গায় প্রার্থীকে বুথে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। তা নিয়েও রাজনৈতিক দলগুলো সরব হয়েছে। কমিশন অবশ্য জানাচ্ছে, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে প্রার্থীদের বুথে না আটকানোর কথা বলা হয়েছে। তারপরও যে সমস্ত অভিযোগ এসেছে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে অনেক জায়গায় কোভিড বিধি মানা হচ্ছে না বলেও স্বীকার করছে কমিশন। আগামী দফার ভোট থেকে কোভিড বিধির উপর বাড়তি নজর দেওয়া হবে বলে কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে।

এপ্রিল ১৮, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 136
  • ...
  • 162
  • 163
  • ›

ট্রেন্ডিং

বিনোদুনিয়া

শেষ জন্মদিনে স্ত্রীর কান্নাভেজা পোস্ট! ‘জন্মজন্মান্তরে আমাদের গল্প লিখব…’ জুবিনকে গরিমার শেষ চিঠি

প্রয়াণের পর প্রথম জন্মদিন। আজ ৫৩ বছরে পা দিতে পারতেন জনপ্রিয় গায়ক জুবিন গর্গ। তাঁর অকালমৃত্যুর ধাক্কা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি কেউইবিশেষত অসমের মানুষ। কিন্তু সবচেয়ে বেশি ভেঙে পড়েছেন তাঁর স্ত্রী গরিমা সাইকিয়া। স্বামীর জন্মদিনে অদেখা একগুচ্ছ ছবি সোশালে পোস্ট করে আবেগে ভাসলেন তিনি। ছবির ক্যাপশনে লিখলেনজন্মজন্মান্তরে আমি আমাদের কাহিনী লিখে যাব। ভালো থেকো জুবিন। সেই কয়েকটি লাইনে যেন গরিমার মনের সব কথা ফুটে উঠল। শুধু স্ত্রী নন, জীবনের বহু লড়াইয়ে জুবিনের সবচেয়ে কাছের বন্ধু, ছায়াসঙ্গীও ছিলেন গরিমা।গত মাসেই জুবিনের শেষ সিনেমা রই রই বিনালের মুক্তির জন্য নিরন্তর লড়াই করেছিলেন গরিমা। একদিকে গায়কের মৃত্যুর রহস্য নিয়ে যখন অসম জুড়ে ক্ষোভ আর বিক্ষোভ, তখন সেই চাপের মধ্যেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু তবুও শেষ কাজটি স্বামীর নামে সম্পূর্ণ করার জেদ ছাড়েননি তিনি।জন্মদিনে প্রিয় বন্ধুর স্মৃতিতে ডুবে গেলেন সঙ্গীত পরিচালক জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও। সোশালে তিনি লিখলেন, শুভ জন্মদিন আমার প্রিয় বন্ধু। কিছু মানুষ কখনও আমাদের ছেড়ে যান না, সঙ্গেই থেকে যান। তুমি তেমনই। তোমার সুরে তুমি বেঁচে থাকবে। তোমাকে আজ খুব মনে পড়ছে।জুবিনের মৃত্যু নিয়ে রহস্য এখনও কাটেনি। সিঙ্গাপুরে নর্থ ইস্ট ফেস্টিভ্যালে যোগ দিতে গিয়ে ঘটে যায় বিপদ। স্কুবা ডাইভিং করার সময় হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হয় তাঁর। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষরক্ষা হয়নি। পরদিনই ছিল তাঁর পারফরম্যান্স, কিন্তু তার আগেই হারিয়ে গেলেন অসমের তারকা। আজ তাঁর জন্মদিনে সেই ঘটনাই নতুন করে কষ্ট দিচ্ছে অনুরাগীদের। মনে পড়ছে গায়কের হাসি, গান আর অকৃত্রিম মায়াভরা উপস্থিতি।আজকের দিনটা তাই শুধুই জন্মদিন নয়অসমের মানুষের কাছে আজ স্মরণ, বেদনা আর গভীর ভালোবাসার দিন। জুবিন নেই, কিন্তু তাঁর সুর, তাঁর গল্প, তাঁর স্মৃতি আজও ভেসে বেড়ায় অনুরাগীদের হৃদয়ে।

নভেম্বর ১৮, ২০২৫
দেশ

“জেডিইউ ২৫ পার করলে সন্ন্যাস”—নিজের ভবিষ্যদ্বাণী ভুল প্রমাণিত, এবার নীতীশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ পিকে’র

বিহার নির্বাচনের আগেই প্রশান্ত কিশোর ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, জেডিইউ যদি ২৫টির বেশি আসন পায় তবে তিনি সন্ন্যাস নিয়ে নেবেন । কিন্তু সেই ভবিষ্যদ্বাণীকে সম্পূর্ণ ভুল প্রমাণ করে এনডিএ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে আর জেডিইউ এককভাবে জিতেছে ৮৫টি আসন। বিপরীতে পিকে গঠিত জন সুরজ পার্টির ঝুলিতে এসেছে বিশাল শূন্য। এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ক্ষোভ-অসন্তোষে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন দেশের অন্যতম ভোট-কুশলী।সাংবাদিকদের প্রশ্নে নিজের সন্ন্যাস সংক্রান্ত মন্তব্য থেকে কার্যত পিছিয়ে এসে পিকে বলেন, তিনি কোনও রাজনৈতিক পদে নেই, তাই পদত্যাগ বা সরে দাঁড়ানোর প্রশ্নই ওঠে না। হার সত্ত্বেও তিনি বিহারেই থাকবেন, বিহারের গ্রাম-শহরেই ঘুরে বেড়াবেন। হাসিমুখে দাবি করেন, তাঁর ভবিষ্যদ্বাণীর দ্বিতীয় অংশ অন্তত ঠিক হয়েছে, জন সুরজ যে হয় শীর্ষে থাকবে, নয়তো একেবারে নিচেঠিকই তাই হয়েছে, কারণ শূন্য আসন মানেই নিচে পৌঁছনো।কিন্তু হাসির আড়ালে লুকিয়ে ছিল তীব্র ক্ষোভ। সরাসরি নীতীশ কুমারের দিকে আঙুল তুলে পিকে অভিযোগ করেন, বিহারে টাকা বিলি করে ভোট কেনা হয়েছে। তাঁর দাবি, নির্বাচনের ঠিক আগে মুখ্যমন্ত্রী মহিলা রোজগার যোজনার নামে মহিলাদের কাছে ১০ হাজার টাকা পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল ভোট প্রভাবিত করার উদ্দেশ্যে। তিনি বলেন, কোনও উন্নয়ন প্রকল্পে এমন তড়িঘড়ি টাকা দেওয়ার নজির নেই, তাই এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভোট-লেনদেন ছাড়া আর কিছু নয়।প্রশান্ত কিশোর এখানেই থামেননি। তিনি নীতীশকে নতুন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন, সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী যদি ছমাস পর মহিলাদের হাতে ২ লক্ষ টাকা করে প্রকৃত অর্থে তুলে দেওয়া হয়, তবে তিনি শুধু রাজনীতি নয়বিহার রাজ্যটাই ছেড়ে দেবেন। তাঁর কথায়, ভোট কেনার জন্যই সরকারি প্রকল্পের নাম করে নগদ টাকা বিলি করা হয়েছে।জন সুরজের লজ্জার হারের দায়ও নিজের কাঁধে নিলেন পিকে। তিনি স্বীকার করেন, সততার সঙ্গে লড়াই করলেও তারা মানুষের বিশ্বাস অর্জন করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে, ফলে হারটাকে মেনে নিতে আপত্তি নেই। নির্দেশিত ২৩৮টি আসনে লড়াই করে ২৩৬টিতেই জন সুরজের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তবুও ভোট শতাংশের হিসেবে তারা বিএসপি, সিপিআই-এমএল, মিমসহ বেশ কিছু দলের থেকে বেশি ভোট পেয়েছে এবং ৩.৪ শতাংশ ভোট দখল করায় পিকে তা ভবিষ্যতের সম্ভাবনা হিসেবে দেখছেন।এত বড় রাজনৈতিক ধাক্কার পরও প্রশান্ত কিশোরের লড়াই থামছে না, বরং নতুন অভিযোগ, নতুন চ্যালেঞ্জে বিহারের রাজনীতিতে নতুন অস্থিরতা তৈরি হয়েছে বলেই রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

নভেম্বর ১৮, ২০২৫
বিদেশ

হাসিনার অনুপস্থিতিতেই মৃত্যুদণ্ড? রাষ্ট্রসংঘের কড়া প্রশ্ন বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থাকে

জুলাই বিক্ষোভে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে, সেই রায়ের বিরুদ্ধে এবার সরব হল রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কমিশন। আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন উঠছেএই বিচার কি আদৌ ন্যায়সঙ্গত? সব মিলিয়ে মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে তৈরি বিচারব্যবস্থা ও তাঁর ক্যাঙারু আদালত বলতে শুরু করেছেন অনেকেই। কারণ, আদালত ঘোষণার আগেই যেন স্ক্রিপ্ট লিখে ফেলা হয়েছিলহাসিনা ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের ফাঁসির সাজা।রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কমিশনের মুখপাত্র রবিনা সামদাসানি এক বিবৃতিতে জানান, এই রায় নিয়ে তাদের গভীর উদ্বেগ রয়েছে। তাঁর কথায়, গত বছরের বিক্ষোভ দমনের সময় যে ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছিল, সেই ঘটনার সঠিক বিচার অত্যন্ত প্রয়োজন। কিন্তু বাংলাদেশের আদালতের বিচারপ্রক্রিয়া সম্পর্কে রাষ্ট্রসংঘের হাতে যথেষ্ট তথ্য নেই। তবুও আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে বিচার হওয়া উচিতএটাই তাঁদের বার্তা।রবিনা আরও বলেন, অভিযুক্ত শেখ হাসিনা আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। অনুপস্থিতিতেই তাঁকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে রাষ্ট্রসংঘ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়যে পরিস্থিতির মধ্যেই হোক না কেন, তারা এমন বিচারকে সমর্থন করে না। তাঁদের আশা, বাংলাদেশ সত্যিকারের ন্যায়বিচারকে গুরুত্ব দিয়ে পরিস্থিতি সামলাবে।রাষ্ট্রসংঘের পাশাপাশি হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সংস্থার মহাসচিব অ্যাগনেস কালামার্ড একেবারে সরাসরি মন্তব্য করেছেনজুলাই বিক্ষোভের সময় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা সত্যিই ভয়াবহ ছিল, কিন্তু সেই অপরাধের বিচার হতে হবে সুষ্ঠুভাবে। এই বিচারপক্রিয়া না সঠিক, না আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে হয়েছে। তাঁর কথায়, মৃত্যুদণ্ড এমনিতেই অত্যন্ত নিষ্ঠুর, অমানবিক ও অপমানজনক শাস্তি। আধুনিক কোনও ন্যায়বিচার ব্যবস্থায় মৃত্যুদণ্ডের জায়গাই নেই।সব মিলিয়ে, আন্তর্জাতিক সমাজের একাংশের চোখে পুরো বিচার ব্যবস্থাটাই এখন প্রশ্নের মুখে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মাঝেই এই রায় আরও অস্থিরতা বাড়াতে পারে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।

নভেম্বর ১৮, ২০২৫
কলকাতা

পুর নিয়োগ দুর্নীতি: ইডির জালে এবার মন্ত্রীর মেয়ে! জানুন কী কী প্রশ্ন ঝুলছে

পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্তের গতিবেগ আরও তীব্র করল ইডি। দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর মেয়ে মোহিনী বসু মঙ্গলবার দুপুরে সল্টলেকের ইডি দফতরে হাজিরা দিলেন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর আইনজীবীও। ঠিক তার আগের দিনই সুজিত বসুর জামাইকে কয়েক ঘণ্টা জেরা করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ফলে আজ মোহিনীর জিজ্ঞাসাবাদ ঘিরে তৈরি হয় বিশেষ আগ্রহ।এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে ইতিমধ্যেই কলকাতার নানা জায়গায় অভিযান চালিয়েছে। তল্লাশি চলে মন্ত্রী সুজিত বসুর সল্টলেকের বাড়িতে, তাঁর অফিসে এবং তাঁর ছেলের রেস্তরাঁতেও। এই দীর্ঘ তল্লাশিতে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করার পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ নগদও পায় ইডি। তার পর থেকেই তদন্তের ফোকাস পরিবারে কার কী ভূমিকায় পড়েছে সেই দিকেও ঘুরে যায়।গত সপ্তাহেই মন্ত্রীর স্ত্রী, পুত্র ও কন্যাকে তলব করে পাঠায় ইডি। তাঁদের সবার কাছে চাওয়া হয়েছিল ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত নথি, ঋণের তথ্য এবং আর্থিক লেনদেনের ডকুমেন্টস। সেই নির্দেশ মেনেই মঙ্গলবার দুপুরে ইডির দপ্তরে হাজির হন মোহিনী বসু। তাঁর সঙ্গে বেশ কিছু নথিও ছিল বলে সূত্রের দাবি।হাজিরা দিতে গিয়ে সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্নের উত্তর দেননি তিনি। প্রায় কয়েক ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলেই ইডি সূত্রে খবর। তদন্তকারীদের দাবিপুর নিয়োগ দুর্নীতি থেকে যে টাকা উঠেছিল, তা কোথায় কোথায় বিনিয়োগ হয়েছে, কোন কোন ব্যবসায় ব্যবহার করা হয়েছে, বিশেষত হোটেল ও রেস্তরাঁ ব্যবসায় কোনও অর্থ ঢুকেছে কি নাতা খতিয়ে দেখতেই মন্ত্রীকন্যাকে তলব করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থেই তাঁর সঙ্গে থাকা নথিগুলি খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন আধিকারিকরা।ইডি মনে করছে, এই দুর্নীতির টাকায় একাধিক লেনদেন হয়েছে, এবং পরিবারের সদস্যদের অ্যাকাউন্টে তার ছাপ থাকতে পারে। তাই তদন্তে এই জিজ্ঞাসাবাদকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ মনে করা হচ্ছে।

নভেম্বর ১৮, ২০২৫
দেশ

নকশাল দমন অভিযানে ঐতিহাসিক সাফল্য! নিহত কুখ্যাত মদভি হিদমা ও তার স্ত্রী

ভারতের নকশালবিরোধী অভিযানে বড় সাফল্য। দীর্ঘদিন ধরে নিরাপত্তাবাহিনীর মাথাব্যথার কারণ হওয়া শীর্ষ মাওবাদী কমান্ডার মদভি হিদমা অবশেষে নিহত। অন্ধ্রপ্রদেশের আল্লুরী সীতারামারাজু জেলার গভীর জঙ্গলে সোমবার ভোরে তুমুল বন্দুকযুদ্ধের মধ্যেই শেষ হয় দেশের সবচেয়ে কুখ্যাত নকশাল নেতাদের এক জনের অধ্যায়। হিদমার সঙ্গে তার স্ত্রী রাজে ওরফে রাজাক্কাসহ মোট ছয় মাওবাদীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। নিহতদের মধ্যে আরও আছেন চেল্লুরি নারায়ণ ওরফে সুরেশ, এসজেডসিএম এবং টেক শঙ্কর।ঘটনাস্থল মারুদ পল্লি। পশ্চিম গোদাবরী জেলার গভীর অরণ্যের এক এমন জায়গা, যেখানে ছত্তীসগড়, তেলঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশের সীমানা মিলেছে। স্থানীয় সময় সকাল প্রায় ছটা। ঘন জঙ্গলের নিস্তব্ধতা ভেঙে গুলির শব্দে কেঁপে ওঠে তিন রাজ্যের মিলনসীমা। বিশ্বস্ত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নিরাপত্তাকর্মীরা রাতে থেকেই ওই এলাকায় কম্বিং অপারেশন শুরু করেছিলেন। জঙ্গলের ভেতরে মাওবাদীরা ক্যাম্প গেড়েছেএমন তথ্য পাওয়ার পরই যৌথ বাহিনী অভিযানে নামে। মুখোমুখি সংঘর্ষ শুরু হতেই দুপক্ষের মধ্যে টানা গুলির লড়াই চলে। সংঘর্ষ থামার পর ধীরে ধীরে জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসে হিদমাসহ ছয়জনের নিথর দেহ।পুলিশ জানিয়েছে, অভিযান এখনও চলছে। জঙ্গলের ভেতর আরও মাওবাদী লুকিয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ। তবে সবচেয়ে বড় খবরমদভি হিদমার মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ায় নিরাপত্তাবাহিনী ও গোয়েন্দা মহলে স্বস্তির হাওয়া। ১৯৮১ সালে ছত্তীসগড়ের সুকমায় জন্ম হিদমার মাথার দাম ছিল ৫০ লক্ষ টাকা। সিপিআই (মাওবাদী)-র সবচেয়ে প্রভাবশালী নেতাদের মধ্যে একসময় তার নাম প্রথম সারিতে ছিল। কমপক্ষে ২৬টি বড় হামলার মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে বহু বছর ধরে তার সন্ধানে ছিল দেশের বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থা। কয়েকটি রাজ্যের সীমান্তজুড়ে তার টিমের ত্রাসের জন্য তাকে ধরা প্রায় অসম্ভব বলে মনে করা হত। এবার সেই অধ্যায় শেষ।এই অভিযানের পরে গোটা অঞ্চলেই নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে। গ্রামবাসীদের নিরাপদ স্থানে সরানো হচ্ছে। পুলিশ সূত্রের দাবি, এ অপারেশন নকশাল নেটওয়ার্কে বড় ধাক্কা দেবে এবং আগামী দিনগুলোতে আরও একাধিক জঙ্গলের গভীরে একই ধরনের অভিযান চালানো হতে পারে।

নভেম্বর ১৮, ২০২৫
দেশ

২৫ জায়গায় একযোগে তল্লাশি, জেরা চেয়ারম্যান— আল ফালাহ নিয়ে কেন এত সন্দেহ?

দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই নতুন নতুন চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলছে। এবার সরাসরি তদন্তকারীদের নজর গিয়ে পড়ল ফরিদাবাদের আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে। মঙ্গলবার সকাল হতেই ইডি দিল্লির অফিসে হানা দিয়ে শুরু করে তল্লাশি। শুধু দিল্লি নয়, আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত মোট ২৫টি জায়গায় একযোগে তল্লাশি চালাচ্ছেন আধিকারিকরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান জাভেদ আহমেদ সিদ্দিকির বাড়িতেও পৌঁছে যায় ইডি। সেখানেই তাঁকে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত একাধিক প্রশ্নে জেরা করা হচ্ছে বলে খবর।আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে পিএমএলএ আইনে মামলা রুজু হয়েছে। তদন্তকারীদের সন্দেহ, বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক লেনদেনের বড় অংশই পরিষ্কার নয়। এমনকী কিছু টাকা বেআইনি কাজে বা জঙ্গি তৎপরতার চক্রে ঢুকে গিয়েছে কি না, সেদিকেও নজর দিচ্ছে ইডি। কারণ বিস্ফোরণকাণ্ডে ইতিমধ্যেই উঠে এসেছে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক চিকিৎসকের নাম উমর-উন-নবি, ডক্টর মুজাম্মিল, ডক্টর শাহীন সইদসহ আরও কয়েকজন। তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছেন, এই চিকিৎসকদের অ্যাকাউন্টে যে মোটা অঙ্কের লেনদেন ধরা পড়েছে, তা কোনওভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল থেকে গেছে কি না। যদি গিয়ে থাকে, তা কী উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছিল, তারও উত্তর খুঁজছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।শুধু ইডিই নয়, আলাদা ভাবে তদন্ত শুরু করেছে দিল্লি পুলিশের আর্থিক দুর্নীতিদমন শাখা। অন্যান্য কেন্দ্রীয় সংস্থাও পরিস্থিতি খুব কাছ থেকে নজর রাখছে। ফলে আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে একের পর এক প্রশ্ন আরও ঘনীভূত হচ্ছে।দিল্লির লালকেল্লার সামনে ১০ নভেম্বর ঘটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। সেই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তদন্তে নেমেছে এনআইএ। তারই মাঝেই বিশ্ববিদ্যালয়-সংক্রান্ত আর্থিক যোগসূত্র সামনে আসায় তদন্তকারীদের সন্দেহ আরও গভীর হয়েছে। বিস্ফোরণের পরবর্তী তদন্ত এখন একেবারে নতুন দিকের দিকে মোড় নিচ্ছে, এবং তাতে আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা এখন তদন্তের কেন্দ্রে।

নভেম্বর ১৮, ২০২৫
রাজ্য

ফর্ম না–পাওয়া নিয়ে উদ্বেগ, পূর্ব পুটিয়ারিতে বৃদ্ধার মৃত্যুর পর আলোচনায় প্রশাসনিক বিভ্রান্তি

কলকাতার পূর্ব পুটিয়ারিতে ঘটে গেল এক মর্মান্তিক ঘটনা। এনুমারেশন ফর্ম নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগতে থাকা এক বৃদ্ধা আগুনে পোড়া অবস্থায় প্রাণ হারালেনএমনই দাবি করেছেন তাঁর পরিবার। মৃতার নাম যমুনা মণ্ডল, বয়স ৬৭। পরিবার জানিয়েছে, বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এলাকায় ভোটার এনুমারেশন ফর্ম বিলি হচ্ছিল। আশপাশের বাড়িগুলিতে ফর্ম পৌঁছোলেও তাঁদের বাড়িতে পৌঁছায়নি। সেই কারণেই যমুনা দেবী অস্বাভাবিক আতঙ্কে ভুগছিলেন।যমুনার ছেলে মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডল বলেন, তাঁর মায়ের আগে থেকেই স্নায়ুর সমস্যা ছিল। ফর্ম না পাওয়ায় উদ্বেগ আরও বেড়ে যায়। গত শনিবার তাঁরা অবশেষে এনুমারেশন ফর্ম পান। কিন্তু তাতেও যমুনা দেবীর ভয়ের অবসান হয়নি বলে দাবি পরিবারের। সোমবার সকালে গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় তাঁকে এমআর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।এদিকে দক্ষিণ দমদম থেকেও সামনে এসেছে আর-একটি মর্মান্তিক ঘটনা। সেখানকার আরএন গুহ রোডের বাসিন্দা বৈদ্যনাথ হাজরা, বয়স ৪৬, কয়েকদিন ধরে এসআইআরসংক্রান্ত দুশ্চিন্তায় ভুগছিলেন বলে জানিয়েছেন তাঁর পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, বৈদ্যনাথ বাবুর ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম ছিল নাএই বিষয়টি তাঁকে মানসিকভাবে অস্থির করে তুলছিল। দুদিন আগে গভীর রাতে তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। তাঁর মোবাইল ফোন বাড়িতেই পড়ে ছিল। পরে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন। আজ তাঁর দেহ উদ্ধার হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। পরিবারের দাবি, এসআইআরনিয়ে তৈরি হওয়া ভয়ই তাঁকে চরম পদক্ষেপে ঠেলে দিয়েছে।এসআইআর প্রক্রিয়া শুরুর পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ভয় ও বিভ্রান্তির অভিযোগ উঠছে। এই ঘটনাগুলিকে কেন্দ্র করে তৃণমূল কংগ্রেস জাতীয় নির্বাচন কমিশন ও বিজেপিকে দায়ী করেছে। আবার বিজেপির অভিযোগ, আতঙ্ক ছড়িয়ে ভোট রাজনীতি করছে রাজ্যের শাসকদলই।ঘটনাগুলি নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক তরজা চরমে উঠেছে। কিন্তু দুই পরিবারের মর্মান্তিক ক্ষতি পাহাড়প্রমাণ প্রশ্ন তুলছেএসআইআরসম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে এত ভয় ও বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে কেন, এবং এই আশঙ্কা দূর করতে প্রশাসনের আরও সক্রিয় ভূমিকা প্রয়োজন কি না।(মানসিক চাপ বা সংকটে থাকলে যেকোনও সময় কিরণ ১৮০০-৫৯৯-০০১৯ হেল্পলাইনে সাহায্য পাওয়া যায়।)

নভেম্বর ১৮, ২০২৫
দেশ

দিল্লি বিস্ফোরণের আগেই ‘সুইসাইড বোমার’ হওয়ার প্রস্তুতি! জেরায় ফাঁস দানিশের চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি

দিল্লি বিস্ফোরণ-কাণ্ডে নয়া মোড়। আত্মঘাতী হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেনএমনই সন্দেহে পাকড়াও করা হল উমরের ঘনিষ্ঠ সহযোগী জাশির বিলাল ওয়ানিকে, যাঁকে দানিশ নামেই চিনত গোটা শ্রীনগর। এনআইএ-র একটি বিশেষ দল গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে প্রথমে তাঁকে শ্রীনগরেই আটক করে। পরে জেরা চলতে থাকতেই উঠে আসে বিস্ফোরণের দিনেদুজনের ভূমিকাসহ একাধিক চমকে দেওয়া তথ্য। দিন তিনেক আগে অনন্তনাগে গোপনে লুকিয়ে থাকা দানিশকে পাকড়াও করা হয়। তদন্তকারীদের মতে, দিল্লি বিস্ফোরণের পরিকল্পনা টেবিলে বসেই উমরের সঙ্গে মিলিতভাবে তৈরি করেছিলেন তিনি। শুধু পরিকল্পনাই নয়আত্মঘাতী হামলায় অংশ নেওয়ার জন্য মানসিকভাবে নিজেকে প্রস্তুত করছিলেন দানিশ নিজেও। শেষ মুহূর্তে কোনও অজানা কারণে সেই সিদ্ধান্ত আর বাস্তবায়িত হয়নি। কিন্তু তার আগেই হাতেনাতে ধরা পড়ে যায় শ্রীনগরের এই যুবক।তদন্তকারীদের কাছে দানিশ স্বীকার করেছেন, কাশ্মীরের একটি মসজিদে উমরের সঙ্গে প্রথম আলাপ। সেখান থেকেই সম্পর্ক ঘনিয়ে ওঠে। উমরের প্রভাবেই তাঁর মনে জিহাদের পথে পা বাড়ানোর ইচ্ছা জন্মায়। ধীরে ধীরে আত্মঘাতী হামলার জন্য নিজের মনকে তৈরি করতে শুরু করেন তিনি। তদন্তকারীরাও বিস্মিতকারণ দানিশ বুদ্ধিমত্তায় ও প্রযুক্তিগত দক্ষতায় অত্যন্ত চৌকস। ড্রোন, রকেট-লঞ্চারের মতো জটিল অস্ত্র তৈরি করতে তাঁর দক্ষতার কথাও উঠে এসেছে জেরায়। এমনকি, দিল্লি বিস্ফোরণের জন্য ব্যবহৃত মারাত্মক বিস্ফোরক তৈরিও দানিশই নাকি করেছিলেন, যা পরে তিনি তুলে দেন উমরের হাতে।এখন দফায় দফায় জেরা চলছে। দানিশের কাছ থেকে বেরিয়ে আসছে বিস্ফোরণ-কাণ্ডের নেপথ্যের অজানা সুত্র। কিন্তু ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে আর-একটি পতন ঘটে দানিশের পরিবারের উপরছেলের বিরুদ্ধে জঙ্গি-যোগের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই মানসিক চাপে ভেঙে পড়ে তাঁর বাবা। বাড়ির মধ্যেই আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। গোটা এলাকায় নেমে আসে স্তব্ধতা ও শোকের ছায়া।

নভেম্বর ১৮, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal