আশার আলো দেখতেই পারেন লালহলুদ সমর্থকরা। অবশেষে ইমামির সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের চুক্তি সংক্রান্ত জট কাটতে চলেছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে সামনের মাসের প্রথম দিনেই ইমামির সঙ্গে চুক্তিপত্রে সই হতে পারে। এমন সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে ইমামির এক শীর্ষকর্তা।
মাসখানেক আগে নবান্নে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির উপস্থিতিতে লগ্লি করা নিয়ে ইমামি ও ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের মধ্যে প্রাথমিক কথা হয়েছিল। তারপর লালহলুদ কর্তাদের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করেন ইমামির কর্তারা। বৈঠকের পর ইমামির পক্ষ থেকে চুক্তির একটা খসড়া ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে পাঠানো হয়। সেই খসড়ায় ইমামি ক্লাবের ৮০ শতাংশ স্বত্ব দাবি করে। চুক্তির খসড়া ক্লাবে আসার পর ইস্টবেঙ্গল কর্তারা ইমামির কাছে অনুরোধ করেন, ৮০ শতাংশের পরিবর্তে কিছু কম সত্ব নিজেদের কাছে রাখার। লালহলুদ কর্তাদের সেই অনুরোধে রাজি হয়েছেন ইমামির কর্তারা। তাঁরা ৭৬ শতাংশ শেয়ার নিজেদের কাছে রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের কাছে। সূত্রের খবর, লালহলুদ কর্তারাও ইমামির প্রস্তাবে রাজি হয়েছেন।
আগের দুই লগ্নিকারী সংস্থা কোয়েস ও শ্রী সিমেন্টের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের সংঘাত হয়েছিল স্পোর্টিং রাইটস নিয়ে। ওই দুই সংস্থাকেই পুরো স্পোর্টিংস রাইটস দেওয়া হয়েছিল। ইমামির হাতে কোনও স্পোর্টিং রাইটস তুলে দেওয়া হচ্ছে না। শুধু ক্লাবের ৭৬ শতাংশ সত্ব থাকবে। ইমামি গ্রুপের পক্ষ বলা হয়েছে, ‘আমরা একটি দীর্ঘমেয়াদী চুক্তিতে আবদ্ধ হতে চলেছি। দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা সঠিক পথেই এগোচ্ছে। সমর্থকরা খুব তাড়াতাড়ি ভাল খবর পাবেন। আমরা আমাদের সেরাটা করার চেষ্টা করছি।’ যদিও দুই পক্ষের কোনও কর্তা সরকারিভাবে সত্ব নিয়ে মুখ খোলেননি।
চুক্তি সাক্ষরিত না হওয়ায় গঠনের প্রক্রিয়া এখনও পুরোদমে শুরু করেনি ইস্টবেঙ্গল। দল বদলের বাজারে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে লালহলুদ। ইমামি গ্রুপের ডিরেক্টর আদিত্য আগরওয়াল আগেই জানিয়েছিলেন, চুক্তি স্বাক্ষরের পরেই তাঁরা দল গঠন শুরু করবেন। ক্লাব এবং লগ্নিকারী সংস্থার সদস্যদের নিয়ে কোম্পানি গঠন হবে এবং তারাই দলগঠন করবেন।
- More Stories On :
- Football
- East Bengal
- Emami
- New contact