• ১১ আষাঢ় ১৪৩২, শুক্রবার ২৭ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Support

রাজ্য

দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ছোট্ট দেবস্মিতার পাশে দাঁড়াতে রাজনৈতিক নেতাদের কাছে আবেদন শ্রীলেখা মিত্রের

দূর্গা পুজোয় অনুদান আছে। ক্লাবের পরিকাঠামো উন্নয়নে যথেচ্ছ অনুদান আছে,আছে স্বাস্থসাথীর মত মানবিক প্রকল্প, নেই বিরল রোগের আক্রান্ত রোগীদের পাশে দাঁড়ানো। চিকিৎসার অধিকার থেকে কেন বঞ্চিত তাঁরা? তার কোনও সদুত্তর নেই সরকারের কাছে এমনিই অভিযোগ বিরলতম রোগে আক্রান্ত পরিবারগুলির। বিরলতম রোগের তালিকায় প্রথেমেই যে নাম মনে আসে তা স্পাইনাল মাস্কুলার অ্যাট্রফি (এসএমএ)। রোগটির ভয়াবহতা স্মরণ করতে আগস্ট মাসটিকে এই রোগের সচেতনতা মাস হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সরকার কতটা এই বিষয়ে সচেতন সেই বিষয়ে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহল থেকে।গত কয়েক মাসে রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে চার এসএমএ আক্রান্তের! অসহায় পিতা-মাতা-পরিবার আঙ্গুল তুলছেন সরকারি উদাসীনতার দিকে। চিকিৎসা করিয়েও তার ফলাফল নিশ্চিত হার জেনেও অদম্য মনোভাবের পরিচয় দিয়ে হার না মানা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন এই বিরলতম রোগের পরিবারের সদস্যরা।এসএমএ আক্রান্তের পাশে দাঁড়ানস্পাইনাল মাস্কুলার অ্যাট্রফি এক কথায় এসএমএ (SMA)। মানব দেহের পেশির সঞ্চালনকে নিয়ন্ত্রণ করে মোটর নিউরোন, সেই মোটর নিউরোনের কার্যকারিতা আসতে আসতে অকেজো হয়ে যাওয়াই জিনঘটিত এই বিরল রোগের মূল কারণ বলে বিশেষজ্ঞ মহলের ধারনা। এসএমএ রোগের তীব্রতা অনুযায়ী, এটিকে টাইপ ওয়ান থেকে শুরু করে টাইপ ফাইভ পর্যন্ত ভাগ করা হয়ে থাকে। এই রোগ প্রতিকারের ওষুধ বাজারে পাওয়া গেলেও সাধারন মানুষের পক্ষে তা ক্রয় করা এক প্রকার অসাধ্য। এই কারণে সময়মত ওষুধ না পেয়ে ক্রমশ লম্বা হচ্ছে মৃতের তালিকা। অগস্ট মাস অবধি বঙ্গে চার এসএমএ (SMA)আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে।এ-পর্যন্ত রাজ্যে ১০০ র ওপর এসএমএ (SMA) আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। আক্রান্ত পরিবার সুত্রে জানা গেছে,অন্য তাঁরা এই বিরলতম রোগের ওষধের জন্য স্বাস্থ্য ভবনে যোগাযোগ করলে তাঁদের জানানো হয়, যে ওষুধের জন্য তাঁরা আবেদন করেছেন, তা অনৈতিক ধরনের চড়া মূল্যের! (আনএথিকালি হাই) এবং তার সাফল্যের হারও উল্লেখযোগ্য নয়। সেই কারণে স্বাস্থ্য দফতরের বিশেষজ্ঞ কমিটি এই আবেদন গ্রাহ্য করতে পারছে না। যাঁরা এই রোগের চিকিৎসার সাথে জড়িত সেই সমস্ত চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ওষুধের দাম বেশী বলা যাতেই পারে কিন্তু কোনও ভাবেই অনৈতিক বলা যেতে পারে না, আবার সেই ওষুধ যদি জীবনদায়ী হয় তাহলে তো কোনভাবেই বলা যায় না। এই ব্যাপারে কোনও ব্যাখ্যা স্বাস্থ দপ্তর থেকে পাওয়া যায়নি।ফুটফুটে দেবস্মিতাএসএমএ (SMA) আক্রান্ত পরিবারগুলির তরফে জানা গেছে, যেহেতু এসএমএ (SMA) ওষুধের দীর্ঘমেয়াদি পরীক্ষা হয়নি সেই কারণে তাঁদের এই উদাসীনতা। আক্রান্ত পরিবারের এক সদস্যের আক্ষেপ, তাঁদের বাচ্চারা কি এতটা সময় পাবে! এই ওষুধ রশে(Roche) নামক এক সংস্থা তৈরি করে। চিকিৎসক সুত্র জানা যায়, এই ওষুধ খেলে এসএমএ (SMA) সেরে যায় না, নিয়ন্ত্রন করা যায়।স্পাইনাল মাস্কুলার অ্যাট্রফি-তে আক্রান্ত বাঁশদ্রোনী-র ১২ বছরের মেয়ে দেবস্মিতা ঘোষ। ছোট্ট দেবস্মিতা ভালোবাসে গান গাইতে, পড়াশোনা করতে, আবৃত্তি করতে, খেলতে। তাঁর বাবা দেবাশিষ ঘোষ রাস্ট্রায়ত্ত দূরভাষ সংস্থায় কর্মরত ও মা মৌমিতা চক্ষু বিশেষজ্ঞ। ছোট বেলায় দেবস্মিতা আর পাঁচটা বাচ্চদের মতই খেলত দৌড়াত গান করত। বয়স বাড়তেই শারীরিক অসুবিধা ধরা পরে। প্রথম দিকে আর পাঁচটা অবিভাবকের মতই তার বাবা-মাও ভেবেছিলেন এটা সাময়িক কোনও সমস্যা। চিকিৎসার দীর্ঘসুত্রিতা তে ধরা পড়ল এটা একটা বিরলতম রোগ। যার চিকিৎসা সরকারি সাহায্য ছাড়া কোনও সাধারণ মানুষের পক্ষে করা সম্ভব নয়। দেবস্মিতার বাবা মা তাদের শেষ সম্বল দিয়ে চিকিৎসা করিয়ে আজ কপর্দক শূন্য। নিঃস্ব পিতা মাতা সরকারি সাহায্যের চেষ্টা করেও কোনও কিনারা করতে পারেননি। বহু আবেদন নিবদনের নিটফল শূন্য। এখন তাদের একমাত্র ভরসা, কোনও সহৃদয় মানুষ বা এনজিও যদি এগিয়ে আসেন। ইতিমধ্যেই অনেকে এগিয়ে এসেছেন যদিও প্রয়োজনের তুলনাই তা অপ্রতুল।গান দেবস্মিতার খুব প্রিয়দেবাশিষ দূর্গাপুর এনআইটি প্রাক্তনি। সেই প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনিরা তাঁদের সামর্থ অনুযায়ী পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন। এই সাহায্যের আবেদন দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও আছড়ে পড়েছে। আমেরিকাতে দেবস্মিতার জন্য তহবিল সংগ্রহের দ্বায়ীত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন এনআইটি আর এক প্রাক্তনী বহুজাতিক সংস্থায় কর্মরত দুর্গাপুরের সুরজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। সুরজিৎ জনতার কথাকে জানিয়েছেন, তিনি তাঁর পরিচিত জন ছাড়াও সামাজিক মাধ্যমে দুরারোগ্য এসএমএ (SMA) আক্রান্ত দেবস্মিতার চিকিৎসার জন্য তহবিল সংগ্রহের আবেদন রাখছেন। আবেদনে কিছু কিছু সাড়াও পাচ্ছেন।এগিয়ে এসেছেন দূর্গাপুরের বামপন্থী মনভাবাপন্ন সৌরভ দত্ত। সৌরভ দূর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টের বাম শ্রমীক সংগঠন সিআইটিইউ-র জয়েন্ট সেক্রেটারি। তাঁর স্ত্রী মৌ সেন দেবস্মিতা-র বাবা দেবাশিষ ঘোষের সাথে এনআইটি প্রাক্তনি সুত্রে পরিচিত। সমাজসেবী সৌরভ নিজের উদ্যোগে বিশিষ্ট মানুষজনদের দিয়ে আবেদন করাচ্ছেন যাতে এই আবেদনটা সমাজের সর্বস্তরে পৌঁছানো যায়। তিনি নিজেও বিভিন্ন ভাবে তাঁদের পাশে থাকার চেষ্টা করছেন।নিষ্পাপ শিশু দেবস্মিতাদেবস্মিতার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে টলিউডের স্বনামধন্য অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র, মানসী সিনহা, দেবদুত ঘোষ সহ বিশিষ্ট গীতীকার কাজী কামাল নাসের। শ্রীলেখা মিত্র খুব তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে রাজনৈতিক নেতাদের দেবস্মিতার পাশে দাঁড়ানোর আবেদন জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন অনেক নেতা মন্ত্রীদের ঘর থেকে অনেক অনেক টাকা বেড়োলো, নানা জায়গায় অনেক মেলা উৎসব চলছে। তাঁর মধ্যে থেকে কোনও নেতা যদি দেবস্মিতার পাশে এসে দাঁড়ালে, ভিন্ন রাজনৈতিক সত্তার হলেও তাঁদের হয়ে সামাজিক মাধ্যমে ভালো ভালো কথা পোস্ট করবেন। তিনি আরও জানান প্রত্যেক বাবা ময়ের কাছে তাঁদের সন্তান নয়নের মণি। সন্তান ভালো থাকুক সব বাবা মাই চায়। সেই সমস্ত রাজনৈতিক ব্যক্তিরাও কেউ বাবা কেউ মা।ছোট্ট দেবস্মিতার সুস্থ থাকার জন্য এই মুহুর্তে আনুমানিক ১০ কোটি টাকা প্রয়োজন শুধুমাত্র ওষুধ কেনার জন্য। এক এক বছরে তাঁর ৭০ লক্ষ টাকার ওষুধ লাগছে। বিগত তিন বছরের ওষুধ দেবাশিষ রোচে সংস্থা থেকে বিনামুল্যে যোগার করেছেন। যা দিয়ে ২০২২ অবধি দেবস্মিতা কে সুস্থ রাখা যাবে। আগামী বছর তাঁকে সুস্থ থাকার জন্য এই পাহাড় প্রমান টাকা যোগার করতে হবে। কোনও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বা ব্যক্তিগত ভাবে যদি কেউ দেবস্মিতা কে অর্থ সাহায্য করতে চান, তাঁর বাবা দেবাশিষ ঘোষের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন, তাঁর মোবাইল নম্বর +91 94330 00417

ডিসেম্বর ২৭, ২০২২
খেলার দুনিয়া

লাঠি–ব্যাট–উইকেট নিয়ে মারামারি, ক্ষমতার দখল নিয়ে ধুন্ধুমার মোহনবাগান তাঁবু

কয়েক ঘন্টা পরেই আইএসএলের প্রথম পর্বের সেমিফাইনালে খেলতে নামবে এটিকে মোহনবাগান। তার কয়েকঘন্টা আগেই কিনা ক্ষমতার দখল নিয়ে ধুন্ধুমার কান্ড সবুজমেরুণ তাঁবুতে! হ্যাঁ, শনিবার এইরকম ঘটনারই সাক্ষী থাকল মোহনবাগান ক্লাব তাঁবু। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তাঁবুর বাইরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ল দুই পক্ষ। ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই মোহনবাগান ক্লাবের নির্বাচন নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ঠান্ডা লড়াই চলছিল। শনিবার ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষদিন। শেষদিনে হঠাৎ করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। লাঠি, ক্রিকেট ব্যাট, উইকেট নিয়ে মারপিটে জড়িয়ে পড়ে দুই বিবাদমান গোষ্ঠী। একে অপরের দিকে তেড়ে যায়। লাঠিউইকেট নিয়ে আঘাত করে। ইটপাথরও ছোঁড়ে। ঘটনায় কয়েকজন সমর্থক আহত হন। পরিস্থিতি যখন চরমে ওঠে, ক্লাব তাঁবুর ভেতরে থাকা কর্তারা পুলিশকে ফোন করেন। গন্ডোগোলের খবর পেয়েই দ্রুত ছুটে আসে ময়দান থানার পুলিশ। লালবাজার থেকেও পুলিশের বিশাল বাহিনী হাজির হয়। লাঠি চালিয়ে দুই বিবাদমান গোষ্ঠীকে ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ। কেন হঠাৎ করে এইরকম অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হল, তা নিয়ে অন্ধকারে ক্লাব কর্তারা। শনিবার ছিল ক্লাবের নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষদিন। বিকেল ৫ পর্যন্ত মনোনয়ন জমা দেওয়া যেত। কিন্তু দুপুর হতে না হতেও বেশকিছু সদস্যসমর্থক ক্লাব তাঁবুর বাইরে জড়ো হতে শুরু করেন। এরপরই সদস্যসমর্থকরা বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। তারপর শুরু হয়ে যায় হাতাহাতি। একে অপরের দিকে লাঠি নিয়ে তেড়ে যায়। ক্লাব সচিব সত্যজিৎ চ্যাটার্জির গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পুলিশ এসে সব তথ্য সংগ্রহ করে। কেন দুই গোষ্ঠী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ল, এই সংঘর্ষের নেপথ্যে কারা রয়েছে, তা জানার জন্য তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। সদস্যসমর্থকদের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ার ব্যাপারে মোহনবাগানের শীর্ষ কর্তা দেবাশিস দত্ত বলেন, ক্লাব তাঁবুর বাইরে ঝামেলা হয়েছে। কারা ঝামেলা করেছে, কেন করেছে আমরা জানি না। ক্লাবের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। কার সঙ্গে কী সমস্যা হয়েছে বলতে পারব না। পুলিশ তদন্ত করছে। একই কথা শোনা গেছে সত্যজিৎ চ্যাটার্জির মুখেও। গাড়ি ভাঙচুর নিয়ে পুলিশে তিনি কোনও অভিযোগও করছেন না।

মার্চ ১২, ২০২২
খেলার দুনিয়া

India Cricket : রাহুল দ্রাবিড়ের সাহায্যকারী বেছে নিল বোর্ড, কারা পেলেন দায়িত্ব?‌

কিছুদিন আগেই ভারতীয় দলের হেড কোচ হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে রাহুল দ্রাবিড়কে। এবার বিরাট কোহলিদের ব্যাটিং, বোলিং এবং ফিল্ডিং কোচও বেছে নিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। ব্যাটিং কোচ হিসেবে রেখে দেওয়া হল বিক্রম রাঠোরকে। বোলিং কোচ ভরত অরুণের জায়গায় এলেন বিক্রম রাঠোর এবং ফিল্ডিং কোচ আর শ্রীধরের স্থলাভিষিক্ত হলেন টি দিলীপ। এই তিনজনই রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে কাজ করবেন। চলতি টি২০ বিশ্বকাপের পরপপরই শেষ ভারতীয় ক্রিকেট দলের বর্তমান সপোর্ট স্টাফদের কার্যকালের মেয়াদ। হেড কোচসহ অন্যান্য সাপোর্ট স্টাফ নিয়োগের জন্য মাসখানেক আগে আবেদনপত্র আহ্বান করেছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। হেড কোচ পদের জন্য রাহুল দ্রাবিড়কে আগেই বেছে নিয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের পরামর্শদাতা কমিটি। বৃহস্পতিবার ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং কোচের জন্য ইন্টারভিউয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই ইন্টারভিউয়ের ভিত্তিতে বিক্রম রাঠোর, পরশ মামরে এবং টি দিলীপকে বেছে নেওয়া হয়েছে। রবি শাস্ত্রীর সঙ্গেই ব্যাটিং কোচ হিসেবে কাজ করেছিলেন বিক্রম রাঠোর। তাঁর কাজে যথেষ্ট খুশি ছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কর্তারা। ক্রিকেটাররাও বিক্রম রাঠোরকে নিয়ে সন্তুষ্ট। তাই তাঁর মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে কোনও সন্দেহ ছিল না। রাহুল দ্রাবিড় চেয়েছিলেন বোলিং কোচ হিসেবে পরশ মামরেকে। জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে তিনি পরশ মামরের সঙ্গে কাজ করেছিলেন। মামরেও আবেদন করেছিলেন বোলিং কোচ হওয়ার জন্য। শেষ পর্যন্ত তাঁকেই বোলিং কোচ হিসেবে বেছে নিয়েছে ক্রিকেট পরামর্শদাতা কমিটি। ফিল্ডিং কোচ হিসেবে বিরাট কোহলিদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছিলেন আর শ্রীধর। তাঁর জমানায় ভারতীয় দলের ফিল্ডিংয়ে খুব একটা উন্নতি হয়নি। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কর্তারাও শ্রীধরের ওপর তেমন খুশি ছিলেন না। টি দিলীপ আগেও রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে কাজ করেছেন। জুলাইয়ে ভারতীয় দলের শ্রীলঙ্কা সফরে তিনি ফিল্ডিং কোচের দায়িত্ব সামলেছিলেন। আর শ্রী ধরের মতো তিনিও হায়দরাবাদের। প্রত্যেকেই জয়পুরে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচের আগে হাজির হবেন।

নভেম্বর ১১, ২০২১
কলকাতা

BJP-Marathon: অনুমতি ছাড়াই ম্যারাথনে দৌঁড়লেন দিলীপ-সৌমিত্ররা

রেড রোডে বিজেপির ম্যারাথন কর্মসূচির কোনও অনুমতি নেই। তবুও ম্যারাথন শুরু করে বিজেপি নেতারা। পুলিশের অনুমতি ছাড়াই দিলীপ ঘোষ, সৌমিত্র খাঁ-দের উপস্থিতিতে ম্যারাথন কর্মসূচি শুরু হয়। রবিবার সকালে বিজেপির যুব মোর্চার বেশকিছু কর্মী-সমর্থক জড়ো হয়েছিলেন রেড রোডে। প্রায় পঞ্চাশজনের মতো ভিড় দেখা যায়। তবে কর্মসূচির মাঝে পুলিশি বাঁধার মুখে পড়েনি বিজেপি।আরও পড়ুনঃ এনকাউন্টারে খতম মাসুদ আজহারের আত্মীয়অলিম্পিক্সে অংশগ্রহণকারী ভারতীয় অ্যাথলিটদের সম্মান জানাতেই দেশজুড়ে এই ম্যারাথন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে সর্বভারতীয় যুব মোর্চার তরফে।পুলি্শ অনুমতি না দিলেও রেড রোডে দৌঁড়ল বিজেপির যুব মোর্চা। অলিম্পিক্সে ভারতীয় অ্যাথলিটদের সমর্থনেই দৌঁড়ের আয়োজন করা হয়েছিল। দিলীপ, সৌমিত্ররা ছাড়াও এদিন উপস্থিত ছিলেন যুব মোর্চার সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্ত, জয়প্রকাশ মজুমদার, রাহুল সিনহারা। কলকাতা পুলিশের মতে, যেহেতু কোভিড বিধির কারণে জমায়েতে আংশিক নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, তাই এমন কোনও অনুষ্ঠান করা যাবে না যাতে জনসমাগম হয়। বিজেপির তরফে সর্বভারতীয় স্তরে এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল, তাই এ রাজ্যেও তা পালন করে বদ্ধপরিকর ছিল গেরুয়া শিবির।

আগস্ট ০১, ২০২১
কলকাতা

হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

পায়ে চোট, প্লাস্টার, মারাত্মক যন্ত্রণা, রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা কম। কথা বলতেও কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু সেসব সহ্য করেও হাসপাতালের বিছানায় শুয়েই অনুগামীদের উদ্দেশে বার্তা দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুপুরে এসএসকেএম থেকে তিনি যন্ত্রণাক্লিষ্ট গলায় বললেন, পায়ে ব্যথা আছে। মাথায়ও যন্ত্রণা। কাল খুব লেগেছিল। আমি প্রণাম করার সময়ে ভিড়ে ধাক্কাধাক্কিতে আমার চোট লাগে। কদিন হয়ত হুইল চেয়ারে ঘুরব। হুইল চেয়ারে বসেই কর্মসূচিতে থাকব। আপানারা সংযত থাকুন, শান্ত থাকুন।বুধবার নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেশ করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর মন্দিরে ঘোরার সময় বিরুলিয়ার কাছে ধাক্কাধাক্কিতে তাঁর পায়ে মারাত্মক চোট লাগে। গাড়িতে উঠে আর বসে থাকতে পারেননি তিনি। অসহ্য যন্ত্রণায় ভেঙে পড়েন, বমিও হয় মুখ্যমন্ত্রীর। এমন বিপদ দেখে গ্রিন করিডর করে নন্দীগ্রাম থেকে তাঁকে সোজা নিয়ে আসা হয় কলকাতায়। এসএসকেএমে ভরতি হন তিনি। ৯ সদস্যের মেডিক্যাল টিম তৈরি করে শুরু হয় রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের চিকিৎসা। তাঁর বাঁ পায়ের গোড়ালিতে প্লাস্টার হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে মেডিক্যাল বুলেটিন প্রকাশ করে চিকিৎসকরা জানান যে মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হলেও তাঁর যন্ত্রণা রয়েছে। রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা কম। মুখ্যমন্ত্রীর এহেন দুর্ঘটনায় ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠেছিল। বুধবার রাতের পর এদিন সকাল থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ শুরু করেন তৃণমূল কর্মী, সমর্থকরা। হাসপাতালের বিছানায় শুয়েই শান্তির আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। কতটা আহত, তা বিস্তারিত জানিয়ে বলেন, কয়েকদিন হয়ত হুইল চেয়ারে ঘুরতে হবে। তবে আপনারা সংযত থাকুন। শান্ত থাকুন।

মার্চ ১১, ২০২১
বিদেশ

মায়ানমারের পাশে থাকার বার্তা আমেরিকার

গণতান্ত্রিক সরকার ফেলে মায়ানমারের দখল নিয়েছে সেনাবাহিনী। বন্দি করা হয়েছে জনপ্রিয় নেত্রী আং সাং সুকি ও তাঁর বিশ্বস্ত সহযোগীরা। ফলে সেনার স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখাচ্ছেন হাজার হাজার গণতন্ত্রকামী মানুষ। এই ডামাডোলে বিক্ষোভ থামাতে মার্শাল ল চলছে দেশটিতে। তবে শক্তিপ্রয়োগ করে ক্ষমতা দখল করলেও আন্তর্জাতিক মঞ্চে একঘরে হয়ে পড়েছে বার্মিজ সেনা। সেই চাপ আরও বাড়িয়ে এবার মায়ানমারের জনগণের পাশে থাকার বার্তা দিল আমেরিকা।গত ফেব্রুয়ারি মাসের ১ তারিখ মায়ানমারের দখল নেয় সর্বশক্তিমান জুন্টা। সামরিক বাহিনীর হাতে বন্দি হন নোবেলজয়ী রাষ্ট্রপ্রধান আং সান সুকি, প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট-সহ অনেকেই। সেনা জানায়, আপাতত এক বছরের জন্য ক্ষমতা দখল করেছে তারা। অভ্যুত্থানের সপক্ষে সেনাবাহিনীর যুক্তি, বিগত নির্বাচনে বিস্তর কারচুপি হয়েছে। তাই করোনা আবহে ক্ষমতা দখল করা হয়েছে। মায়ানমারে ক্রমে জটিল হয়ে ওঠা পরিস্থিতির বিষয়ে মার্কিন বিদেশ দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, আমরা বার্মার জনগণের পাশে আছি। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত সরকারের পক্ষে শান্তিপূর্ণভাবে সমর্থন দেখানোর সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে তাদের। দেশটির সেনাবাহিনীর প্রতিবাদ নিষিদ্ধ করার নির্দেশ নিয়ে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন।

ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২১
রাজনীতি

শুভেন্দু অধিকারীর সহায়তা কেন্দ্র ‘দখল’ করল তৃণমূল, মোছা হল গেরুয়া রং

শুভেন্দু অধিকারীর সহায়তা কেন্দ্র দখলের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে, কাঁথির ৪ নম্বর ওয়ার্ডে। অভিযোগ, শুভেন্দু অধিকারীর সহায়তা কেন্দ্রে চড়াও হন তৃণমূলের কর্মীরা। মুছে দেওয়া হয় গেরুয়া রং। নতুন করে নীল-সাদা রংও করে তাঁরা। বিষয়টি জানাজানি হতেই কার্যত ক্ষোভে ফেটে পড়েন দাদার অনুগামীরা। বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা কনিষ্ক পণ্ডা বলেন, তৃণমূলের কাজই দখল করা। আরও পড়ুন ঃ শুভেন্দুকে বিজেপিতে স্বাগত দিলীপ ও মুকুলের ওরা বরাবরই এভাবে চলছে। কিন্তু আমরা মানুষের মনের দখল নিয়ে ফেলেছি। আইনানুগ ব্যবস্থা নেব। তাঁর কথায়, দিদি অনেক বেশি দেরি করে ফেলেছেন। দিদির তৃণমূলে আর কেউ থাকবে না।শুভেন্দু বিজেপিতে গেলে প্রকাশ্যেই যাবেন। লুকোচুরি করে নয়। তবে এখনই বিষয়ে কিছু বলার নেই। যোগদানের জল্পনাকে খুব একটা গুরুত্ব না দিলেও এদিন দাদার এই অনুগামী বলেন, আমফানের থেকেও প্রবল ঝড় আসছে, গেরুয়া ঝড়। এই মন্তব্যই বাড়িয়েছে জল্পনা।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২০
বিনোদুনিয়া

লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমে অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়

এখনও শারীরিক অবস্থার কোনও পরিবর্তন হয়নি অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের। এই অবস্থা থেকে কিংবদন্তি অভিনেতার ফেরার আশা প্রায় নেই বললেই চলে। শনিবার রাত নটার মেডিক্যাল বুলেটিনে বেলভিউ হাসপাতালের পক্ষ থেকে চিকিৎসক অরিন্দম কর জানান , গত প্রায় ৪০ দিন ধরে তাঁরা চেষ্টা চালিয়েছেন। বিভিন্ন রকম চিকিৎসা পদ্ধতিতে তাঁর চিকিৎসা করা হয়েছে। স্টেরয়েড, প্লাজমা থেরাপি, করা হয়েছে। চিকিৎসকদের বড় দল তাঁকে সুস্থ করে তোলার জন্য কাজ করেছে। নিউরোলজি, নেফ্রোলজি থেকে কার্ডিয়াক, অ্যান্টি-ভাইরাল সমস্ত বিভাগের বিশেষজ্ঞরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু কোনও চিকিৎসাতেই সাড়া দিচ্ছেন না তিনি। এই অবস্থা থেকে একমাত্র অলৌকিক কিছু ঘটলেই তাঁকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব। আরও পড়ুন ঃ চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন না সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এর আগে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের চেতনাস্তর ৯ থেকে ১০-এর মধ্যে ছিল। তা পাঁচ পর্যন্ত নেমে গিয়েছিল। এই স্তর তিনে পৌঁছে গেলে ব্রেন ডেথ হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের পরিবারকে পুরো বিষয়টি জানানো হয়েছে। তাঁরা বিষয়টি বুঝেছেন অবং পরিস্থিতির দাবি মেনে নিয়েছেন। আশা প্রায় না থাকলেও শেষ সময় পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে , বর্ষীয়ান অভিনেতার একাধিক অঙ্গ-প্রতঙ্গই আর কাজ করেছে না । শনিবার রাতের পরও তাঁর অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে। আপাতত শেষ চেষ্টা করছেন চিকিৎসকরা। পূর্ণ মাত্রায় অক্সিজেন দেওয়া সত্ত্বেও তাঁর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমছে। রক্তচাপ কমছে শরীরেও। কিডনি, লিভার, ফুসফুস, হার্ট কাজ করছে না। ডায়ালিসিস ও প্লাজমাফেরাসিসেও ফল মিলছে না। অভিনেতার মস্তিষ্কের স্নায়ুর সচেতনতা অর্থাৎ গ্লাসগো কোমা স্কেল প্রায় ৫-এর নীচে। ফলে পরিস্থিতি জটিলের থেকে ভয়ঙ্কর।

নভেম্বর ১৫, ২০২০

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

শিশুর মাদকাশক্তি! উদ্ধারের উপায়? আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবসে আলোচনা সভা বর্ধমানের স্কুলের

প্রতি বছর ২৬ জুন আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী ও অবৈধ পাচার প্রতিরোধ দিবস পালিত হয়। এই বিশেষ দিনটি আমাদের স্মরণ করায় মাদক ব্যবহারের ফলে কি ক্ষতি হতে পারে এবং এবং অবৈধ মাদক পাচারের জন্য স্মাজের কি সমস্যা হয়। মাদক শরীর, মন এবং ভবিষ্যতকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। মাদক সেবনের ফলে যেরকম শরীরের ক্ষতি হয় ঠিক সেইভাবে মাদক সেবন একটি মানুষকে সমাজের মুল স্রোত থেকে দুরে ঠেলে সরিয়ে দিয়ে একাকী করে তুলতে পারে। মাদক সেবন মানুষকে অসুস্থ করে তোলে এবং সুখী জীবন যাপন করতে বাধা দেয়।একজন শিক্ষার্থী হিসেবে মাদক থেকে দূরে থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই মাদকের বিরুদ্ধে না বলতে হবে এবং বন্ধুদেরও মাদক থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করতে হবে। আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী উপলক্ষে আজ সিএসআর বক্স থেকে কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ে এসেছিলেন শ্রেয়া বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বয়ঃসন্ধির সময় ছাত্রছাত্রীরা প্রধানত বিদ্যালয়ে কিরকম সমস্যার মধ্যে পড়ে এবং কিভাবে তার সমাধান করা উচিত সে বিষয়ে বিসদে আলোচনা করলেন। শ্রেণিকক্ষে তথা বন্ধুবৃত্তে নানা মানসিকতার পড়ুয়া থাকে, কেউ কেউ বেশি বয়সেরও হয়। তারা নেশার মতো নানারকম ক্ষতিকর অভ্যাসের দিকে অন্যদের আকর্ষণ করে। সহপাঠীর কাছ থেকে খারাপ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাহলে উপায়?বক্তা মদ খাওয়ার বিভিন্ন ক্ষতি ব্যাখ্যা করেন - শারীরিক আর মানসিক স্তরে। এইরকম খারাপ বন্ধু যেন সীমা লঙ্ঘন না করে এটা আগে থেকে দেখা উচিত। তিনি বলেন, কেউ প্রতিরোধ না করতে পারলে তৎক্ষণাৎ তোমদের শিক্ষকদের এবিষয়ে জানানো উচিত। যদি কোনও শিশু জোরপূর্বক মাদকাসক্তির শিকার হন, তাহলে ১০৯৮ নম্বরে ফোন করে প্রথমে শিশু সুরক্ষার জন্য সহায়তা চাইতে পারে, এবং তারা তোমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করবে। ১০৯৮ নম্বরে নেশা নিয়ে সমস্যার বিষয়ে জানানো যায়। বা গুরুজনদের কাউকে অবশ্যই বলা উচিত।বর্ধমান শহরের কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক ড.সুভাষচন্দ্র দত্ত জনতার কথাকে জানান, এই জাতীয় প্রোগ্রাম আমরা সবসময়েই স্বাগত জানাই। সমাজে নেশার ক্রমবর্ধমান প্রকোপের দিকে তাকিয়ে তাদের রক্ষা করা আমাদের সবার কর্তব্য।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

অরিজিৎ সিং বর্ধমানে? শুটিংয়ের জায়গা খুঁজতে গেলেন বাংলা সিনেমার গ্রামে

মঙ্গলবার ঠিক সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ অরিজিৎ সিং এলেন পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের মৌখিড়া জমিদার বাড়ির কাছে। ঘুরে দেখলেন জেলার একমাত্র জঙ্গল মহলের কালিকাপুর রাজবাড়িও। ছবি তুললেন রাজবাড়ির পুরোহিত পিগলু ওরফে গোপাল চক্রবর্তীর সঙ্গে। তাকে নিরাপত্তাহীন জঙ্গলের বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরতে দেখে অবাক হন অনেকে। শোনা যায় সম্প্রতি অরিজিৎ সিং বোলপুরে এসেছেন এবার এলেন আউশগ্রামে হঠাৎই। জনপ্রিয় গায়ক অরিজিৎ সিং একটি নতুন ছবির শুটিংয়ের জন্য রেকি করতে এসেছেন বলে জানান চিত্রনাট্যকার, লেখক, আউশগ্রামের ভূমিপুত্র রাধামাধব মণ্ডল। তিনি আরও জানান, যে তিনি ইলামবাজার সংলগ্ন অঞ্চলে শুটিংয়ের জন্য বিভিন্ন জায়গা খুঁজছেন বেশ কয়েক দিন ধরেই। তাঁকে এদিন হঠাৎ করে আউশগ্রামের রাস্তায় দেখেই চমকে ওঠেন সকলে। যদিও তাঁর আশার বিষয়টি ছিল সম্পূর্ণ গোপনীয়।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

মুর্শিদাবাদের সীমান্ত এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশি গ্রেফতার

সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশী যুবককে গ্রেপ্তার করলো রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে রঘুনাথগঞ্জের তেঘরি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম কাইয়ুম রেজা (২৪)এবং জাহির রহমান(৩৫)। উভয়ের বাড়ি বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ। বুধবার ধৃতদের জঙ্গিপুর আদালতে পাঠায় পুলিশ। যদিও কি উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছিল ধৃতরা কিংবা কিভাবেই বা পার হয়ে এসেছে তারা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশের পক্ষ থেকে। ধৃতদের পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয়ে চিকিৎসার জন্য ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণা, গ্রেফতার দুই

অভিনব কায়দায় ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করলো বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে কয়েকজন পরিচিতের নাম বলে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার নিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছর নভেম্বর মাসের ২ তারিখে পেট্রাপোল থানার পুরাতন বনগাঁ এলাকার বাসিন্দা অমিত হালদার বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানিয়ে বলেন, অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে তার কয়েকজন পরিচিতের সুপারিশ নিয়ে তাকে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার দিতে বলেন। ঐ ব্যক্তি ফোন মারফত বলেন, তিনি ভারতে চিকিৎসা করাতে আসবেন তার জন্য টাকা প্রয়োজন এবং তাকে ধার দিতে অনুরোধ করেন, আশ্বাস দেন টাকা ফেরত দিয়ে দেবেন। অমিত বাবু তার কথায় তাকে ২১ লক্ষ টাকা ধার দেন এবং পরবর্তীতে প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অমিত বাবুর অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নেমে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত দুই প্রতারক প্রানতোষ বনিককে শিলিগুড়ি থেকে এবং বিকাশ তামাংকে দার্জিলিং এর মিরিক থেকে গতকাল গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের বুধবার ৬ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়ে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করেছে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে পুলিশ জানতে চায় এই প্রতারনার পিছনে আর কারা কারা জড়িত এবং এই প্রতারনার জাল কতদূর ছড়িয়েছে।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

পর্যটনে জোর, পূর্ব বর্ধমান জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলি তুলে ধরতে শিবির

পর্যটন শিল্পকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে একাধিক উদ্যোগ নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করতে আধুনিক পরিকাঠামো, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রচারে ঢালাও জোর দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে শুধু রাজস্ব বৃদ্ধিই নয়, বাড়ছে স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগও। রাজ্য সরকারের সাথে সাথে জেলা প্রশাসন ও নানা উদ্যোগ নিচ্ছে পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে।পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন দুদিনের প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করল। বৃহস্পতি ও শুক্রবার জেলার সদরে নিউ কালেক্টর বিল্ডিংর রাসবিহারী সভাকক্ষে এই শিবিরে যোগ দেন পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমান পর্যটন আধিকারিক ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা। বাংলার পর্যটন মানচিত্রে অবিভক্ত বর্ধমানের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলির প্রচার ও প্রসার করতেই এই আয়োজন বলে জানানো হয়। শিবিরে যোগদান করেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যটন বিভাগের অধ্যাপক মীর আব্দুল শফিক, দিলীপকুমার দাস, পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং (আইএএস)।দুদিনের শিবিরে পর্যটন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ঘিরে সার্কিট ট্যুরিজমের পরিকল্পনা নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়। এছাড়াও বাঁকুড়া, বীরভুম, পশ্চিম বর্ধমান, নদীয়ার মত লাগোয়া জেলাগুলির পর্যটন কেন্দ্রগুলির সঙ্গেও পূর্ব বর্ধমানকে কি ভাবে জোড়া যেতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়। পৌরানিক মত অনুযায়ী সারা দেশের যে সতীর ৫১টি বা ৫২টি মূল শক্তিপীঠের তালিকা পাওয়া যায় তাতে পূর্ব বর্ধমানের একাধিক শক্তিপীঠ আছে। এছাড়াও অম্বিকা কালনা ও বর্ধমান শহরে দুটি ১০৮ শিব মন্দির, বিজয় তোড়ণ (কার্জন গেট), শের আফগান, কুতুবুদ্দিন ও নুরজাহানের সমাধির মতো ঐতিহাসিক স্থানও রয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং বলেন, জেলায় এতিহাসিক গুরুত্বের অনেক পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। সেগুলি সংস্কারে উদ্যোগ করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদেরও পর্যটনে শিল্পে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্পে নতুন জোয়ার এনেছে রাজ্য সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগ। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পাহাড়, সমুদ্র, অরণ্য ও ঐতিহাসিক স্থানের আধুনিকীকরণ থেকে শুরু করে পরিবেশবান্ধব পর্যটনের উপরও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি রাজ্যের সংস্কৃতি, হস্তশিল্প এবং লোকসংগীতকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন জেলার পর্যটন শিল্পকে তুলে ধরতে ইতিমধ্যেই একটি ভিডিও তৈরি করেছে।রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন জানিয়েছেন, পর্যটন শুধু অর্থনীতির চাকা ঘোরায় না, এটি স্থানীয় সংস্কৃতি ও পরিচয়কে তুলে ধরার অন্যতম মাধ্যম। তাই আমরা একাধারে পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের যুক্ত করে পর্যটনের প্রসারে কাজ করছি।বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে গাইড প্রশিক্ষণ, হোমস্টে উন্নয়ন এবং পরিবেশবান্ধব পর্যটনের দিকে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। উত্তরবঙ্গ, সুন্দরবন, দার্জিলিং, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, বীরভুম সর্বত্র পর্যটনের নবজাগরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. শিবকালি গুপ্ত জনতার কথাকে জানান, পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সাহায্য করে। এটা যেমন কিছু মানুষের বিনোদন আবার বহু মানুষের জীবিকাতে বিরাট প্রভাব ফেলে। তিনি আরও জানান, আগে প্রত্যন্ত গ্রামে পর্যটক সেভাবে আসত না, এখন বহু বিদেশি পর্যটকও প্রত্যন্ত গ্রামে ভ্রমন করেন। তাঁরা হস্তশিল্প কিনছেন, খাবার খাচ্ছেন। সাথে গ্রামীন অর্থনীতিতে জোয়াড় আনতে সাহায্য করছেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের জেলায় পর্যটন অকর্ষনের অভাব নেই, জেলাকে ঘিরে আছে তিন তিনটে নদী (দামদর, ভাগীরথী, অজয়)। বিস্তীর্ন বনাঞ্চল, ঐতিহাসিক স্থাপত্য, হস্তশিল্প, লোকশিল্প। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের শম্ভুনাথ কলেজের ভুগোলের অধ্যাপক ড. কুনাল চক্রবর্তী বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে নানাবিধ প্রকল্প ঘোষনা করছে। রাজ্য সরকার Experience Bengal ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে। এতে বিভিন্ন সনামধন্য পর্যটন কেন্দ্রের সাথে সাথে বহু গ্রামীন পর্যটন কেন্দ্রেও মানুষের আনাগোনা বেড়েছে। তাঁর মতে পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তিনি বলেন, এই ধারা বজায় থাকলে আগামী পাঁচ বছরে বাংলার পর্যটন শিল্প দেশের অন্যতম বড় আয়ের উৎস হয়ে উঠবে।

জুন ২৫, ২০২৫
রাজ্য

পূর্ব বর্ধমানের প্রাথমিক স্কুলে মিড ডে মিলের রান্নায় বিভেদ, হিন্দু-মুসলিমদের জন্য় পৃথক ব্যবস্থা

এই বাংলার স্কুলেও যে এমন বিভাজন রয়েছে প্রাথমিক স্কুলে তা জানা ছিল প্রশাসনেরও। প্রাথমিক স্কুলের মিড ডে মিলে হিন্দু, মুসলিম ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য় পৃথক ব্যবস্থা। এখানে মিড-ডে মিলের হেঁসেল,রাঁধুনি ও রান্না করা খাবার। এই ঘটনা জানাজানি হতেই রাজ্যে তুমুল শোরগোল পড়ে গিয়েছে। নডেচড়ে বসেছে জেলা ও ব্লক প্রশাসন, স্থানীয় পঞ্চায়েত এবং প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। জেলাশাসক আয়েষা রাণী এই ঘটনা জেনে প্রশাসনিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন মহকুমা শাসকের কাছে।পূর্বস্থলীর প্রাথমিক স্কুলে মিড ডে মিল রান্নার দুজন আলাদা ধর্মাবলম্বী রাঁধুনি। পূর্বস্থলীর নাদনঘাটে কিশোরীগঞ্জ-মনমোহনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ুয়া সংখ্যা ৭২ জন। শিক্ষক ও শিক্ষিকা মিলিয়ে রয়েছেন চারজন। হিন্দু ও মুসলিম, উভয় সম্প্রদায়ের পরিবারের ছেলে মেয়েরা এই স্কুলের শ্রেণীকক্ষে একসাথে বসে শিক্ষকের কাছে পাঠ নেয়।স্কলের প্রধান শিক্ষক তাপস ঘোষ চেষ্টা করেও এই ব্য়বস্থা বন্ধ করতে পারেননি। স্কুলের রাঁধুনিদের একজন হিন্দু ,অপর জন মুসলিম । তাঁরাই জানিয়েছেন,বিদ্যালয়ে মড-ডে মিল রান্নার হেঁসেল আলাদা। হিন্দু রাঁধুনি সোনালী মজুমদার আলাদা গ্যাসের উনানে রান্না করনেন হিন্দু পরিবারের পড়ুয়াদের মিড- ডে মিল। আর অপর গ্যাসের উনানে মুসলিম রাঁধুনি গেনো বিবি রান্না করেন মুসলিম পরিবারের পড়ুয়াদের মিড -ডে মিল। শুধু আলাদা আলাদা ভাবে রান্না করাই নয়,হেসেলে দুই সম্প্রদায়ের পড়ুয়াদের মিড-ডে মিল রান্নার উপকরণ থেকে শুরু করে বাসনপত্র ,হাঁড়ি-কড়াই,খুন্তি -সেসবও আলাদা আলাদা রয়েছে। এমনকি হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের ৪৩ ও ২৯ জন পড়ুয়াকে মিড- ডে মিল খাওয়ানোও হয় আলাদা আলাদা স্থানে বসিয়ে। আজ থেকে ওই স্কুলে একসঙ্গে রান্না ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

জুন ২৫, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

কৌশিক যেন কামিন্দু! আইপিএলে দেখছেন ক্লার্ক

কৌশিক মাইতি যা পারেন তা তিনিও পারেন না। বক্তা অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক। ডব্লিউটিসি ফাইনাল বা ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজ নয়, ক্লার্ক রয়েছেন ইডেনের কমেন্ট্রি বক্সে। বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের আসরে। সে প্রসঙ্গে পরে আসছি। আগে তুলে ধরি কৌশিকে ক্লার্কের মুগ্ধতার কথা।কৌশিক মাইতি। দুই হাতেই বল করতে ও ঘোরাতে পারেন। এমনিতে ডানহাতি। তবে বাঁ হাতে ঠিক তেমন বোলিং অ্যাকশন দেখে অভিভূত ক্লার্ক। দোভাষী শ্রীবৎস গোস্বামীকে নিয়ে ক্লার্ক কথা বললেন কৌশিকের সঙ্গে। আরও পরিশ্রমের পরামর্শ দিয়ে বললেন, কৌশিক আইপিএলে খেলবেন। তাঁকে কেউ না নিলে অবাকই হবেন। স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়রা যে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগ চালু করেছেন তার সার্থকতার অন্যতম উদাহরণ ক্লার্ক-কৌশিক কথোপকথন। উল্লেখ্য, আইপিএলের ইতিহাসে দু-হাতেই বল করতে পারেন এমন একমাত্র ambidextrous বোলার কামিন্দু মেন্ডিস। শ্রীলঙ্কার এই প্লেয়ার আছেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদে। ক্লার্কের ভবিষ্যদ্বাণী মিললে, কৌশিক ভারতের প্রথম ambidextrous বোলার হিসেবে আইপিএলে জায়গা করে নিতেই পারেন, যার মঞ্চ হবে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগ।না, ইডেনে ৫০-৬০ হাজার লোক এই লিগ দেখতে আসবেন সেই ভাবনা নিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু হয়নি। দর্শক সব সময় স্বাগত, ইডেনের দ্বার অবারিত, বিনামূল্যে খেলা দেখার বন্দোবস্ত করেছে সিএবি। কিন্ত স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এই লিগ চালু করেছেন বেশ কিছু লক্ষ্য সামনে রেখে। যার প্রথম হলো, বাংলার প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের নিজেদের প্রতিভা মেলে ধরার সুযোগ করে দেওয়া। ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের আবহের মধ্যে থেকে।এই লিগকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্টার স্পোর্টস ও ফ্যানকোডে সম্প্রচার। দুর্ধর্ষ কমেন্ট্রি টিম। মাইকেল ক্লার্ক, ঝুলন গোস্বামী, মহম্মদ কাইফ, মন্টি পানেসর, চেতন শর্মা, নিখিল চোপড়া, রোহন গাভাসকর, অশোক মালহোত্রারা রয়েছেন। সঞ্চালিকাদের মধ্যে আছেন ম্যাথু হেডেনের কন্যাও। না, দেশের আর কোথাও টি২০ লিগে এমন তারকাখচিত কমেন্ট্রি টিম নেই। এর আরেকটি কারণ, তারকাদের কাছ থেকে প্রয়োজনে মূল্যবান টিপস নিয়ে সমৃদ্ধ করার সুযোগ পাচ্ছেন ক্রিকেটাররা। যে উৎসাহ কৌশিক ক্লার্কের কাছ থেকে পেলেন, তা ইডেনের প্রতিটি আসন ভর্তি থাকলেও হতো না!আইপিএল বা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিয়ম ভাঙলে যেমন শাস্তির বিধান আছে তা আছে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগেও। ক্রিকেটার বা কোচিং স্টাফদের ম্যাচ সাসপেনশন বা জরিমানা হচ্ছে। দেখা হচ্ছে না কোন নাম কত বড়। এই লিগে এমন ব্যবস্থাপনায় ক্রিকেটাররা খেলার স্পিরিট, শৃঙ্খলার বিষয়ে সজাগ থাকবেন, যাতে বড় মঞ্চে গিয়ে মানিয়ে নিতে অসুবিধা না হয়। হক আই টেকনোলজি-সহ ডিআরএস রয়েছে। এতে আম্পায়ারিংয়ের মানের উন্নতি হতে বাধ্য, হচ্ছেও। আগেরবারের তুলনায় এবার টুর্নামেন্ট এগোচ্ছে মসৃণভাবে। যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে তাতে খেলা চালানো যাচ্ছে মাঠ ঢেকে রাখা-সহ সিএবির উন্নতমানের পরিকাঠামোর জন্যেই।কথা হচ্ছিল এই লিগের শুরু থেকে জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠের কাজে ২৪x৭ নিয়োজিত সিএবির ট্যুর অ্যান্ড ফিক্সচার ও টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান সঞ্জয় দাসের সঙ্গে। তিনি আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক উল্লেখ করলেন। আইপিএল, ঘরোয়া বা আন্তর্জাতিক ম্যাচ নৈশালোকে হয়। বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগও হচ্ছে নৈশালোকে। এতে সুবিধা ক্রিকেটারদের। কারণ, সিএবির সাদা বলের সব টুর্নামেন্টের সব ম্যাচ নৈশালোকে করা সম্ভব নয়। এই লিগের খেলা দিনেও হচ্ছে, রাতেও হচ্ছে সমান তালে। ফলে নৈশালোকে খেলার অভিজ্ঞতাও বাড়ছে ক্রিকেটারদের। যা সর্বভারতীয় টুর্নামেন্ট খেলার সময় তাঁদের লাভবানই করবে।

জুন ২৫, ২০২৫
রাজ্য

বেহাল দশা রাস্তার, রাস্তায় ধান রোপন করে অবরোধ ও বিক্ষোভ বিজেপির

বাগদার নাটাবেড়িয়া থেকে নদীয়ার আইসমালি পর্যন্ত রাস্তার বেহাল দশা, রাস্তা সংস্কারের দাবিতে পাঁচপোতাতে রাস্তায় ধান রোপন করে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ বিজেপির। অবিলম্বে রাস্তা সংস্কার না করলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি বিজেপির। যান চলাচল সাময়িক বন্ধ থাকায় ভোগান্তির শিকার সাধারণ মানুষ। প্রশাসনের আশ্বাসে এক ঘন্টা পর অবরোধ তুলে নেয় অবরোধকারীরা।উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার নাটাবেড়িয়া ও নদীয়ার রানাঘাটের মধ্যে সংযোগকারী রাজ্য সড়কের আইসমালী পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশা। রাস্তার মাঝে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। যানবাহন চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। বেহাল রাস্তার কারণে প্রায় ঘটছে দুর্ঘটনা। দীর্ঘদিন রাস্তা সংস্কার করা হয়নি। সোমবার বিজেপি রাস্তা সংস্কারের দাবিতে নাটাবেরিয়া আইসমালি রাজ্য সড়কের পাঁচপোতাতে রাস্তায় ধান রোপণ করে অবরোধ শুরু করে। অবরোধকারীদের দাবি অবিলম্বে রাস্তা সংস্কার করতে হবে যতক্ষণ না পর্যন্ত প্রশাসন সংস্কারের আশ্বাস দিচ্ছে অবরোধ ততক্ষন চলবে। বিজেপি নেতা অমৃতলাল বিশ্বাস বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার করুণ দশা। মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটছে, বিপদ বাড়ছে সাধারণ পথ চলতি মানুষের। বর্তমান সরকার রাস্তা সংস্কারের কোন সদিচ্ছা দেখাচ্ছেন না। অবিলম্বে এই রাস্তা সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি, রাস্তা সংস্কার না হলে আগামীতে সমগ্র বাগদার মানুষ এখানে এসে প্রতিবাদ জানাবে।বিজেপির পথ অবরোধ শুরু হতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বাগদা পুলিশ প্রশাসন। অবরোধকারীদের সাথে কথা বলে অবরোধ তোলার চেষ্টা করা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। পরবর্তীতে বাগদা বিডিওর প্রতিনিধি এসে রাস্তা সংস্কারের আশ্বাস দিলে এক ঘন্টা পর অবরোধ তুলে নেয় বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। এই বিষয়ে ভিডিওর প্রতিনিধি হিসেবে আসা প্রশাসনিক কর্তা শুভেন্দু বিশ্বাস বলেন, বিজেপি যে দাবি রেখেছে সেই দাবি ন্যায্য দাবি। আমি বিডিও সাহেবকে ব্যক্তিগতভাবে এই বিষয়টি জানাবো। কর্তৃপক্ষ যে সিদ্ধান্ত নেবে সেই অনুযায়ী কাজ হবে।

জুন ২৩, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal