• ১ আষাঢ় ১৪৩২, মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Rid

বিদেশ

ইতিহাস গড়লেন ডোনা! কেমব্রিজে প্রথম ভারতীয় শাস্ত্রীয় নৃত্যের কর্মশালা সৌরভ জায়ার

কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের জেসাস কলেজের ঐতিহাসিক প্রাঙ্গণ আজ ভারতীয় শাস্ত্রীয় নৃত্যের চিরকালীন ছন্দে মুখরিত হলো, যেখানে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ওড়িশি নৃত্যশিল্পী প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ জায়া ডোনা গাঙ্গুলি পরিচালনা করলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম শাস্ত্রীয় নৃত্য কর্মশালা।কেমব্রিজের সাংস্কৃতিক ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় রচিত হলো এই কর্মশালার মাধ্যমে, যেখানে ছাত্রছাত্রী, অধ্যাপক ও শিল্পপ্রেমীরা ওড়িশি নৃত্যভারতের আটটি স্বীকৃত শাস্ত্রীয় নৃত্যধারার অন্যতমসম্পর্কে একটি গভীর ও বাস্তবধর্মী অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। অংশগ্রহণকারীরা শিখলেন এই শিল্পরূপের মূল ভঙ্গিমা, অভিব্যক্তি এবং এর দার্শনিক ভিত্তি, যা এর আধ্যাত্মিক মূল এবং দুই হাজার বছরের ঐতিহ্যের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।এই কর্মশালায় বিভিন্ন পটভূমি থেকে আগত অংশগ্রহণকারীরা অংশ নেন, যাঁদের অনেকেই প্রথমবারের মতো ভারতীয় শাস্ত্রীয় নৃত্য প্রত্যক্ষ করেন। সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও অন্তর্ভুক্তির উপর জোর দিয়ে এই অনুষ্ঠানটি এমন সকলকে স্বাগত জানায়, যাঁদের নৃত্যে পূর্বে কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না।এই উপলক্ষে শ্রীমতি ডোনা গাঙ্গুলি বলেন, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ওড়িশির উত্তরাধিকার ভাগ করে নিতে পারা আমার জন্য এক গৌরবের ও আবেগঘন অভিজ্ঞতা। এই নৃত্য কেবল ভঙ্গিমা নয়এটি এক ধ্যান, ভক্তি ও গল্প বলা। আমি খুবই আনন্দিত এমন উৎসাহী অংশগ্রহণ ও ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতি আগ্রহ দেখে। এটি কেবল একটি পরিবেশনা নয়, এটি এক ধরনের সাংস্কৃতিক সংযোগ যা শিল্পের মাধ্যমে তৈরি হয়।এই উদ্যোগ আন্তর্জাতিক পরিসরে ভারতীয় শাস্ত্রীয় ঐতিহ্যের প্রতি ক্রমবর্ধমান আগ্রহকে তুলে ধরে এবং কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও বৈশ্বিক সম্পৃক্ততার প্রতিশ্রুতিকে প্রতিফলিত করে। আয়োজকরা আশা প্রকাশ করেছেন, এটি কেবল শুরুভবিষ্যতে আরও এরকম অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ভারতীয় পারফর্মিং আর্টস নিয়ে আরও গভীর অনুসন্ধান চালানো সম্ভব হবে।কর্মশালাটি বিপুল সাড়া পায়; অংশগ্রহণকারীরা ডোনা গাঙ্গুলির উষ্ণতাপূর্ণ ও অনুপ্রেরণামূলক শিক্ষা এবং নৃত্যের সৌন্দর্যের প্রতি অকুণ্ঠ প্রশংসা জানান। ভবিষ্যতের জন্য আরও সহযোগিতা ও ভারতীয় সংস্কৃতির উপর ভিত্তি করে সম্প্রসারিত কর্মসূচির পরিকল্পনাও ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে।ডোনা গাঙ্গুলি খ্যাতনামা ওড়িশি নৃত্যশিল্পী ও দীক্ষা মঞ্জরি একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা, প্রখ্যাত গুরু পন্ডিত কেলুচরণ মহাপাত্রের শিষ্যা এবং ভারত ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সাংস্কৃতিক উৎসবে তাঁর নৃত্য পরিবেশনের জন্য প্রসিদ্ধ। ডোনা জানান তাঁর লক্ষ্য ওড়িশি নৃত্যের সৌন্দর্য ও দার্শনিক ভিত্তি আগামী প্রজন্মের কাছে বিশ্বব্যাপী পৌঁছে দেওয়া।

জুন ১৫, ২০২৫
রাজ্য

সন্দেশখালিতে উদ্ধার বিপুল কার্তুজসহ আগ্নেয়াস্ত্র, সিবিআইয়ের তদন্তে এনএসজি

সন্দেশখালিতে এনএসজি-র বম্ব স্কোয়াড। উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরক। শুক্রবার বেলা বাড়তেই সন্দেশখালিতে হানা দেয় সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, শেখ শাহজাহান শেখের এক ঘনিষ্ঠ স্থানীয় তৃণমূল নেতার আত্মীয়ের বাড়িতে প্রচুর অস্ত্র ও বোমা মজুত রয়েছে। সেই খবর মিলতেই অভিযানে নামে সিবিআই। তল্লাশিতে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র মিলেছে বলে খবর। উদ্ধার করা হয়েছে ১২০টি নাইন এমএম বুলেট। বিভিন্ন ধরণের ৩৪৮টি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সিবিআই। পাশাপাশি উদ্ধার করা হয়েছে একাধিক বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র।বাড়িটিতে প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক জমা রয়েছে বলে সন্দেহ সিবিআই আধিকারিকদের। যে কোনও মুহূর্তে বড় বিপদ ঘটে যেতে পারে। সেই আশঙ্কায় NSG কম্যান্ডোদের ডাকা হয়। মাইন ডিটেক্টর থেকে রোবোটিক ডিভাইস দিয়ে অস্ত্রভাণ্ডারের তল্লাশি শুরু করে NSG কম্যান্ডোরা।সন্দেশখালির সরবেড়িয়ার মল্লিকপাড়ায় শাহজাহান-ঘনিষ্ঠ আবু আবু তালেব মোল্লার বাড়িতে এদিন তল্লাশি চালায় সিবিআই গোয়েন্দারা। তার বাড়িতেই লুকিয়ে রাখা রয়েছে প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক। এরপরই গোটা গ্রাম দখলে নেয় NSG কম্যান্ডোরা। ওই এলাকাটি ঘিরে নিয়ে তাঁদের নিজস্ব অত্যাধুনিক মেশিন, রোবট নিয়ে কাজ শুরু করেন তাঁরা।NSG কম্যান্ডোদের তল্লাশিতে সন্দেশখালি থেকে উদ্ধার হয়েছে ৭টি পিস্তল, দেশি বোমা, তিনটি বিদেশি রিভালবার, উদ্ধার হয়েছে একটি পুলিশের রিভালবার, মেঝে খুঁড়তেই উদ্ধার হয় বোমা-বারুদ। উদ্ধার করা হয়েছে ৩৫০ রাউন্ড কার্তুজ। পাশাপাশি মিলেছে বেশ কিছু নথি। যার সবের সঙ্গে যোগ রয়েছে শাহাজানের।এদিকে এই ঘটনার পরই তৃণমূলকে নিশানা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূলের সঙ্গে সিমি বা পিএফআইয়ের কোন ফারাক নেই। মমতা ব্যনার্জিকে গ্রেফতার করে তৃণমূলকে জঙ্গি সংগঠন ঘোষণার দাবি জানান তিনি। পাশাপাশি পুলিশ এই ঘটনায় সরাসরি যুক্ত বলেও দাবি করেন বিরোধী দল নেতা।এদিকে শুভেন্দুর পালটা তৃণমূলের কুণাল ঘোষ বলেন, ওখানে অস্ত্রভান্ডার ছিল নাকি কেউ বদনাম করার জন্য ওখানে রেখে গেছে তা তদন্তসাপেক্ষ। কী পাওয়া গেছে তা আমরা জানি না। অফিসিয়াল কোনও বিবৃতি নেই। তা পুরো বিষয়টাই একটা চিত্রনাট্য ছাড়া এই মুহূর্তে কিছুই মনে হচ্ছে না বলেও দাবি করেন তিনি।

এপ্রিল ২৬, ২০২৪
রাজ্য

পাগরিধারী আইপিএসকে 'খালিস্থানি' কটাক্ষ, বিজেপির প্রতি ক্ষোভ উগরালেন মমতা

ফের সন্দেশখালি যাওয়ার পথে এদিনও প্রথমে আটকানো হয় শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপি বিধায়কদের। তখন পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান শুভেন্দুরা। অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। অভিযোগ, এর মাঝেই কর্তব্যরত এক পাগড়িধারী আইপিএস পুলিশ আধিকারিককে খালিস্তানি বলা হয় বিজেপির পক্ষ থেকে। যার প্রতিবাদে মুখর হন মুখ্যমন্ত্রী। একটি ভিডিও পোস্ট করে গর্জে ওঠেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।সন্দেশখালি যাওয়ার পথে মঙ্গলবার সকালে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপির প্রতিনিধি দলকে ধামাখালিতে আটকায় পুলিশ। কেন এই পদক্ষেপ? তা জানতে চেয়ে পুলিশের সঙ্গে চরম বচসায় জড়ায় শুভেন্দু অধিকারীরা। বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল সহ একাধিক বিজেপি নেতৃত্ব পুলিশের সঙ্গে বিরোধে জড়ান। এসবের মাঝেই পুলিশের ব্যারিকেডের মাঝে মাথায় পাগড়ি পরিহিত এক পুলিশ আধিকারিককে খালিস্তানি বলা হয়েছে বলে অভিযোগ। এরকম বলার জন্য জসপ্রিত সিং নামে ওই পুলিশ আধিকারিককে সংবাদ মাধ্যমের সামনেই প্রতিবাদ করতে দেখা যায়।মুখ্যমন্ত্রীর সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা গিয়েছে পুলিশ কর্তা জসপ্রিত সিং বারবার তাঁকে খালিস্তানি বলার জন্য প্রতিবাদ করছেন। তাঁকে বলতে শোনা যায়, আমার মাথায় পাগড়ি আছে বলে আমায় খালিস্তানি বলছেন? আমাকে খালিস্তানি কেন বলছেন? আমি কি খালিস্তানি? এই মনোভাব আপনাদের? এমনকী, এ জন্য তিনি আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানান। তবে তাঁকে নির্দিষ্ট করে কে খালিস্তানি বলেছে,তা স্পষ্ট করা হয়নি।এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, আজ, বিজেপির বিভাজনের রাজনীতি নির্লজ্জভাবে সাংবিধানিক সীমানা অতিক্রম করেছে। বিজেপির কাছে পাগড়ি পরা প্রত্যেক ব্যক্তিই খালিস্তানি? আমি আমাদের শিখ ভাই ও বোনদের খ্যাতি ক্ষুন্ন করার এই প্রচেষ্টার তীব্র নিন্দা জানাই, আমাদের জাতির প্রতি তাঁদের ত্যাগ এবং অটল সংকল্পের জন্য সম্মানিত। আমরা বাংলার সামাজিক সম্প্রীতি রক্ষায় দৃঢ়ভাবে রয়েছি এবং এটিকে ব্যাহত করার যে কোন প্রচেষ্টা প্রতিরোধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।পাল্টা শুভেন্দু অধিকারী এ প্রসঙ্গে বলেন, পাকিস্তান, খালিস্তান এসব আমাদের বলার প্রয়োজন হয় না। আমি বা আমার সাথীদের দ্বারা কাউকে ব্যক্তি আক্রমণ করা হয়েছে বলে বিশ্বাস করি না। ওই অফিসার নম্বর বাড়াতে মমতাকে সঙ্গে নিয়ে এসব করছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিম্নমানের রাজনীতি করেন। ওই অফিসারও নম্বর বাড়াতে অসত্য ঘটনা পরিবেশন করছেন।বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতীম সরকার বলেন, বিরোধী দলনেতা একজন পুলিশ আধিকারিকদের দেখে তাঁর ধর্ম তুলে কটাক্ষ করছেন। এটা বরদাস্ত করা হবে না। এর বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ করা হবে।

ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৪
দেশ

ভারতের ‘রকেট ওমেন’, চন্দ্রাভিযানে গুরুদায়িত্ব সামলানো লখনউ-র এই বিজ্ঞানীকে চিনে নিন

চাঁদ মামা এখন দুরের নয় ট্যুরের, সুদুর দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরস এই মন্তব্য ঘরে ঘরে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। চাঁদের মাটিতে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে ভারতের মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। পুর্বনির্ধারিত দিন ও সময় অনুযায়ী বুধবার ঠিক সন্ধ্যা ৬.০৪ মিনিটে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফট ল্যাণ্ডিং করে ইসরোর চন্দ্রযান-৩। সারা দেশজুড়ে উল্লাস ও উৎসব। ভারতীয় হিসাবে সত্যিই গর্ব করার মত মুহুর্ত। চাঁদ এখন ভারতের বিজ্ঞানীদের হাতের মুঠোয়।বিক্রমের কাঁধে ভর করে প্রজ্ঞান চাঁদে ল্যান্ড করেই একের পর এক চমক দিতে শুরু করেছে। সফল অবতরণের পর প্রথম চন্দ্রপৃষ্ঠের একটি ছবি তুলে পাঠায় ল্যান্ডার বিক্রম। তাতে দেখা যায় চাঁদের ঠিক কোন অঞ্চলে নেমেছে বিক্রম। এর পরই বিক্রমের অন্তঃস্থল থেকে বেরিয়ে আসে রোভার প্রজ্ঞান।ইসরো তার সামাজিক মাধ্যমে বৃহস্পতিবার সকালে জানায়,প্রজ্ঞান সঠিক ভাবেই বিক্রমের পেট থেকে চাঁদে ভুমিষ্ট হয়েছে, এবং সুস্থ ও স্বাভাবিক ভাবে মুনওয়াকেও বেড়িয়ে পড়েছে সে। ভারতের জাতীয় প্রতীক অশোক স্তম্ভ চাঁদের মাটিতে এঁকে দিয়ে আসবে রোভার প্রজ্ঞান। চন্দ্রযান-৩-এর চুড়ান্ত সাফল্যে অনেকের মতই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন লখনউয়ের প্রবাসী এক মহিলা। ইসরো খুব বড় দায়িত্ব দিয়েছিল এঁর কাঁধে।সম্পুর্ন ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ইসরোর চন্দ্রযান ৩ সফলভাবে চাঁদের মাটি ছুঁয়ে ফেলেছে, তথ্য তল্লাস করতে ঘোরাঘুরিও শুরু করে দিয়েছে প্রজ্ঞান। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণকারী হিসাবে প্রথম দেশ হয়ে উঠেছে ভারত। ভারতের এই ঐতিহাসিক সাফল্যে সামগ্র বিশ্ব থেকে অভিনন্দনের বন্যায় ভেসে যাচ্ছে সামাজিক মাধ্যমের ওয়াল। আজ প্রত্যেক ভারতীয়ের কাছে এই মুহুর্ত খুব আবেগের, আনন্দের ও অত্যন্ত গর্বের। উত্তরপ্রদেশের রাজধানী শহর লখনউতে উৎসবের ঝাঁজ বেশ খানিকটা বেশি। কারণ চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্যের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে লখনউ-র এক ভুমিকন্যার যোগসূত্র। এই শহরেরই মেয়ে ডাঃ ঋতু করিধাল শ্রীবাস্তবের কাঁধেই চন্দ্রযান-৩ এর সফল অবতরণের গুরুত্বদায়িত্ব ছিল।ঋতু করিধাল শ্রীবাস্তব বিজ্ঞানী মহলে ভারতের রকেট ওমেন নামে অধিক পরিচিত। ঋতু করিধাল লখনউ শহরের রাজাজি পুরম এলাকার আদি বাসিন্দা। তার পৈতৃক বাড়ি এখনও রয়েছে এখানে। চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্যের পর তার বাড়িতে উৎসবের মেজাজ। ঋতু এর আগেও ISRO-র অনেক বড় বড় প্রকল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। এমনকি চন্দ্রযান ৩ মিশনে সফল অবতরণের মতো গুরুদায়িত্ব তাঁকেই দেওয়া হয়েছিল ইসরোর পক্ষ থেকে। ঋতু করিধাল ছিলেন চন্দ্রযান-৩ প্রোজেক্টে মিশন ডিরেক্টর। এর আগে ঋতু মঙ্গলযানের ডেপুটি অপারেশন ডিরেক্টর ও চন্দ্রযান-২ এর মিশন ডিরেক্টর ছিলেন।করিধালের জন্ম উত্তর প্রদেশের লখনউতে। তিনি একটি মধ্যবিত্ত পরিবারে বেড়ে ওঠেন। পরিবারে পড়াশোনার চল ছিল অনেক আগে থেকেই। তিনি লখনউ-র এক বেসরকারকারি স্কুল থেকে প্রাথমিক পড়াশোনা করেন। তিনি ছাড়াও তাঁর দুই ভাই ও দুই বোন রয়েছে। ছোটবেলা থেকেই তাঁর মহাকাশ নিয়ে আগ্রহ ছিল বেশী। তিনি যেখানে থাকতেন, সেখানকার পরিবেশ তাঁর পড়াশোনার পক্ষে অনুকুল ছিলনা বলে তিনি সেলফ স্টাডি তে জোড় দেন। ঋতু ছোট থেকেই রাতের আকাশের দিকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা তাকিয়ে থাকত এবং মহাকাশের কথা চিন্তা করত, সে চাঁদের কথা ভাবত, কীভাবে এটি তার আকার ও রং পরিবর্তন করে, তারাগুলি কে পর্যবেক্ষণ করে তাঁর মনে প্রশ্ন জাগে ঐ গভীর অন্ধকারের পিছনে কী রয়েছে? তার কৈশোরে, তিনি মহাকাশ-সম্পর্কিত যেকোনো কার্যকলাপ সম্পর্কে সংবাদপত্রের প্রতিটি কাটিং সংগ্রহ করতে শুরু করেছিলেন এবং ISRO এবং NASA-এর কার্যকলাপের উপর তাঁর সাংঘাতিক রকমের নজর ছিল।ঋতু লখনউ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে পদার্থবিদ্যায় স্নাতক ও মাস্টার্স ডিগ্রী সম্পন্ন করেছেন। পদার্থবিদ্যা বিভাগেই ডক্টরেট কোর্সে ভর্তি হন। পরে একই বিভাগে শিক্ষকতাও করেন। তিনি ছয় মাস লখনউ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা স্কলার ছিলেন। তিনি মহাকাশ প্রকৌশলে স্নাতকোত্তর করার জন্য IISc, ব্যাঙ্গালোরে যোগদান করেন। বাকিটা ইতিহাস। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণায় অবদানের জন্য ঋতু করিধাল শ্রীবাস্তবকে রকেট ওমেন হিসাবেই স্মরণ করবে।

আগস্ট ২৬, ২০২৩
রাজ্য

ফারাক্কা সেতুতে মালগাড়ি-ট্রাকের সংঘর্ষ, বড় বিপদ থেকে রক্ষা

মালদার ফারাক্কা সেতুতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রেলিংয়ে ধাক্কা মারল পণ্য বোঝাই ট্রাক। সেই সময় ডাউন লাইন দিয়ে যাচ্ছিল একটি মালগাড়ি। সেই লরির সঙ্গে ধাক্কা লাগে মালগাড়ির। মুহূর্তের মধ্যে এই দুর্ঘটনায় ফারাক্কা ব্যারেজে রেলপথ এবং সড়কপথে যান চলাচল দীর্ঘক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। এই দুর্ঘটনার খবর জানতে পেরে এই ব্যারেজে কর্মরত কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনীর জাওয়ানেরাও তড়িঘড়ি সেখানে ছুটে আসে। এরপর ফারাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তারাও ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।জানা গিয়েছে, মালদার দিক থেকে মুর্শিদাবাদ অভিমুখে যাচ্ছিল একটি পন্য বোঝাযই ট্রাক। চালকের ভুলেই সেই লরিটি আচমকায় ফারাক্কা ব্যারেজের রেললাইন এবং রেলিংয়ে সজোরে ধাক্কা মারে। লরির সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে যায়। জখম হয় ওই লরির চালক। সেই মুহূর্তেই ডাউন লাইন দিয়ে একটি মালগাড়ি যাচ্ছিল। সেই মালগাড়ির সঙ্গে দুর্ঘটনাগ্রস্ত পণ্য বোঝায় লরির হালকা সংঘর্ষ বাঁধে । যদিও তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, যদি ওই মাল গাড়ির বদলে যাত্রীবাহী কোন এক্সপ্রেস ট্রেন থাকতো, তাহলে ভয়ানক ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। এই ঘটনায় ফারাক্কা ব্রিজের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়েও নানান প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।এদিকে মঙ্গলবার এই ঘটনার বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ একটি রিপোর্ট রাজ্য প্রশাসনের কাছে পাঠিয়েছে মালদা এবং মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসন। পুলিশ এবং প্রশাসনের প্রাথমিক অনুমান, সম্ভবত ওই লরির চালক গাড়ি চালানোর সময় ঘুমিয়ে পড়েছিল। যার কারণে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।তদন্তের পর দুই জেলার পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তারা জানতে পেরেছে, এতটাই গতি ছিল যে রেলিং ভেঙে মালগাড়িতে ধাক্কা মারে ট্রাকটি। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রথমে ট্রাক্টারকে ধাক্কা মারে ওই লরিটি। পরে ফারাক্কা ব্যারেজের রেলিং ভেঙে ডাউন মালগাড়িতে ধাক্কা মারে। এমার্জেন্সি ব্রেক কষে দাঁড়িয়ে পড়ে মালগাড়িটি। মালগাড়ি চালকের তৎপরতায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা এড়ানো সম্ভব হয়েছে। এই দুর্ঘটনার পর আতঙ্কে পড়ে যান অন্যান্য গাড়ির চালকেরাও। এর দরুন দীর্ঘক্ষণ ফারাক্কা ব্যারেজের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে প্রশাসনিক তৎপরতায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

আগস্ট ২২, ২০২৩
কলকাতা

আজ থেকে কতদিন বন্ধ কলকাতার ‘মা’ উড়ালপুল! কেন এই জরুরি সিদ্ধান্ত?

কলকাতার মা উড়ালপুল এসএসকেএম, এজেসি রোড থেকে ইএম বাইপাসের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করেছে। কলকাতার অন্যতম ব্যস্ত দীর্ঘ উড়ালপুল মা। এই উড়ালপুল একাধিক জায়গা খানাখন্দে ভরে গিয়েছে। যান চলাচলেও দীর্ঘদিন ধরে সমস্যা হচ্ছে। ফলে যানজটে জেরবার হচ্ছে অবস্থা। ফলে মা উড়ালপুলের সংস্কার কাজের প্রয়োজন রয়েছে। যা করতে উদ্যোগীও হয়েছিল কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভলপমেন্ট অথরিটি বা কেএমডিএ। কিন্তু, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কথা চিন্তা করে এতদিন তাতে অনুমতি দেয়নি কলকাতা পুলিশ। শেষমেশ কলকাতা পুলিশের ইস্ট ট্র্যাফিক গার্ডের অনুমোদন পেল কেএমডিএ। আজ রাত থেকেই মা উড়ালপুল মেরামতির কাজ শুরু হচ্ছে।কেএমডিএ সূত্রে খবর, আজ, মঙ্গলবার থেকে আগামী ৫ দিন রাত সাড়ে ১০টা থেকে পরের দিন সকাল ৭টা পর্যন্ত এই ব্যস্ত উড়ালপুলের সংস্কারের কাজ চলবে। এই সময় উড়ালপুলে যান চলচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখা হবে।মা উড়ালপুলের সংস্কার কাজ নিয়ে এর আগে কেএমডিএ-র আধিকারিকদের সঙ্গে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের কর্তাদেরও বেশ কয়েকবার বৈঠক হয়েছে। তারপরেই রফা সূত্র মেলে বলে খবর।কেএমডিএ সূত্রে খবর, শুধু মা উড়ালপুলের রাস্তা মেরামতির কাজই নয় একইসঙ্গে সিসিটিভি এবং কিছু বৈদ্যুতিন কাজও হবে এই পাঁচ দিন। জানা গিয়েছে, আগামী বৃহস্পতিবার রাতে মা ফ্লাইওভার থেকে রুবিগামী র্যাম্প এবং সায়েন্স সিটি থেকে উড়ালপুলে ওঠার র্যাম্পের কাজ হবে।

আগস্ট ০৮, ২০২৩
রাজ্য

বর্ধমানের বর ও বাংলাদেশের কনে, কাঁটাতার টপকে ঘর বেঁধেও হল না শেষরক্ষা

কথায় আছে বর্ধমানের বর আর বরিশালের কনে। এই জুটি ছিল নাকি সেরা জুটি। সোশাল মিডিয়ার বদান্যতায় জোরালো হয়েছে প্রেমের বাঁধন। দালাল চক্র ধরে কাঁটাতার পেরিয়ে বর্ধমানে এসে প্রেমিকের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রেমিকা। কিন্তু দুজনেই এখন শ্রীঘরে। অভিযোগ, বেআইনি ভাবে এদেশে এসেছেন প্রেমিকা নূরতাজ আক্তার মিম।প্রেমিকের টানে কাঁটাতার টপকে অবৈধ ভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করে বিয়েটাও সেরে ফেলেছিল পড়শি দেশের প্রেমিকা। কিন্তু সংসার আর জমে উঠল না। অভিযোগের পরিপেক্ষিতে বর্ধমান থানার পুলিশ প্রেমিক ও প্রেমিকা দুজনকেই গ্রেপ্তার করেছে। ধৃত প্রেমিকা নূরতাজ আক্তার মিম। আর প্রেমিক বর্ধমান শহরের তেঁতুলতলা এলাকার যুবক শেখ সামিম।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ১৮-এর প্রেমিকা নূরতাজ আক্তার মিমের বাড়ি বাংলাদেশের নারায়নগঞ্জ জেলার এনায়েতনগরে। বর্ধমানের তেঁতুলতলার ২২ বছরের যুবক শেখ সামিমের সঙ্গে ফেসবুকের বন্ধুত্বের সম্পর্ক প্রেমের সম্পর্ক রূপ নেয়। তারপর থেকেই প্রেমিকের টানে ভারতে আসার জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠে নূরতাজ। মাস তিনেক আগে বাংলাদেশের এনায়েতনগর থেকে বনগাঁ বর্ডার পৌছে যায় অষ্টাদশি নূরতাজ। দালাল ধরে এর পর সে অবৈধ ভাবে বর্ডার পার হয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করে। অভিযোগ, এই কাজেও নাকি তাঁকে সাহায্য করে প্রেমিক সামিম। বর্ডার টপকেই নূরতাজ তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে বর্ধমানের উদ্দশ্যে রওনা হয়। তেঁতুলতলায় প্রেমিকের বাড়িতেই সে ওঠে। সেখানে মুসলিম শরিয়ত অনুযায়ী তাঁরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। কিন্তু আইনের গেরোয় তাঁদের সংসারে আপাতত ছেদ পড়েছে।এদিন দুজনকে বর্ধমান আদালতে পেশ করা হলে বিচারক দুজনের জামিন নামাঞ্জুর করে জেল হেপাজতে পাঠিয়ে দেয়। ১ জুলাই ফের আদালতে পেশের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

জুন ২৬, ২০২৩
রাজ্য

পূর্বস্থলীর হাবিবুল সেখের দেহ মঙ্গলবার মধ্যরাতে গ্রামে নিয়ে আসা হয়, উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ

গুজরাটে ব্রিজ ভেঙে মৃত পূর্বস্থলীর যুবকের নিথর দেহ ফিরল মঙ্গলবার ২টা ৩০ মিনিট নাগাদ মৃত ওই যুবকের কেশববাটি বাড়িতে। মৃত দেহ বাড়িতে ফিরতে কান্নার রোল পড়ে যায় গোটা গ্রাম জুড়ে। উল্লেখ্য কেশববাটির গ্রামের ওই যুবক গুজরাটে কাকার কাছে সোনার কাজ শিখতে গিয়েছিলো। গতকাল সন্ধ্যা নাগাদ গুজরাটের সেও ব্রিজের ওপর আর পাঁচজনের সাথে সেও উঠেছিল, আচমকাই ব্রিজ ভেঙে জলে পড়তেই ঘটে বিপত্তি, সোমবার গভীর রাতে পূর্বস্থলীর কেশববাটী গ্রামের বাড়িতে খবর পৌঁছায় মারা গেছে হাবিবুল সেখ নামের বছর সতেরোর ওই যুবক। এরপরই এ দিন মঙ্গলবার রাত ২টা ৩০ নাগাদ তাঁর নিথর দেহ গুজরাট থেকে ফেরে পূর্বস্থলীর কেশববাটির বাড়িতে। ওই রাতেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, পূর্বস্থলী ২ ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি বদরুল আলম মণ্ডল সহ বিশিষ্টজনেরা। মন্ত্রী স্বপনবাবু এদিন বলেন গুজরাট মডেল চোখের সামনেই দেখাই যাচ্ছে,নবান্ন থেকে হোম সেক্রেটারি এবং জেলাশাসকের ফোনের পরই তাঁর বাড়িতে হাজির হয়েছি, পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছি, মৃত ওই যুবকের মায়ের হার্টের অসুখ রয়েছে তার স্বাস্থ্যসাথী কার্ড রয়েছে কিনা সেটিও আমরা দেখছি। রাজ্য সরকার সর্বতোভাবে এই পরিবারের পাশে রয়েছে।

নভেম্বর ০১, ২০২২
রাজনীতি

মেমারির শ্রীধরপুরে বিজেপির প্রকাশ্য সমাবেশে টেট উত্তীর্ণদের চাকরির দাবী

ভারতীয় জনতা পার্টির মেমারি দুনম্বর মন্ডল এর ডাকে শ্রীধরপুর বাজারে বিজেপির পক্ষ থেকে একটি প্রকাশ্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত হলো। এই সভা থেকে দাবি তুলে ধরা হয় তাদের এই দিনের এই কর্মসূচির মাধ্যমে বেশ কিছু দাবী দাওয়া তুলে ধরা হলো। অন্যতম হলো টেট উত্তীর্ণদের চাকরি দিতে হবে আগামী ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়ন রাখতে হবে , সন্ত্রাস তোলাবাজ মুক্ত পঞ্চায়েত গড়ে তুলতে হবে তো এই দাবিগুলি তুলে ধরা হয়।এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সহ-সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডল, জেলার মহিলা নেত্রী দিপালী দাস, বর্ধমান পূর্ব কাটোয়া জেলার সাংগঠনিক সভাপতি গোপাল চট্টোপাধ্যায়, জেলার সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ পোদ্দার, জেলা সদস্য পিন্টু ভান্ডারী, মন্ডল সভাপতি তাপস পাল, সহ অন্যান্যরাও ভারতীয় জনতা পার্টি কর্মীবৃন্দ।

অক্টোবর ৩১, ২০২২
দেশ

গুজরাটে সেতু ভেঙে মৃত পূর্বস্থলী দু নম্বর ব্লকের মুকসিমপাড়া পঞ্চায়েতের কেশববাটি এলাকার কিশোর হাবিবুল শেখ

গুজরাটে ব্রিজ ভেঙে মৃত পূর্বস্থলী দু নম্বর ব্লকের মুকসিমপাড়া পঞ্চায়েত কেশববাটি এলাকার এক কিশোর। রবিবার গভীর রাতে সেই খবর পূর্বস্থলীর কেশববাটির বাড়িতে পৌঁছাতে শোকের ছায়া নেমে আসে। এ দিন সোমবার সকাল থেকেই মৃত ওই যুবকের বাড়ির সামনে বহু লোক ভিড় করেন। মৃত ঐ কিশোরের নাম হাবিবুল শেখ। মাস দশেক আগে তার এক কাকার কাছে সে সোনার গহনার কাজের জন্য গিয়েছিল।গতকাল বিকালে সে ওই ব্রিজের উপর বেড়াতে যাওয়ার জন্য যায়। তখনই ঘটে বিপত্তি। বেশ কিছুক্ষণ নিখোঁজ থাকার পর গতকাল রাতেই তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। এ দিন সোমবার সকালে মৃতের বাবা মহিবুল শেখ জানান ছেলে সোনার কাজের জন্য গিয়েছিল। সেখানেই থাকত, গতকাল গভীর রাতে এই মর্মান্তিক খবর পাই, ঘটনার পর এলাকায় নেমেছে শোকের ছায়া।

অক্টোবর ৩১, ২০২২
রাজ্য

কাঠের সেতু ভেঙে লরি আটকে বিপত্তি গলসির পারাজে

ডিভিসি ক্যানালে কাঠের সেতু ভেঙে বিপত্তি। পূর্ব-বর্ধমানের গলসির পারাজে ডিভিসি সেচ ক্যানেলে লড়ির চলাচলের সময় কাঠের সেতু ভেঙে যায়। কাঠের চাতাল ভেঙে সেতুর মধ্যে আটকে গেল ১৪ চাকা ধান বোঝাই লরি। অল্পের জন্য বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা গেল ধান বোঝাই লরিটি।তবে ঘটনার জেরে ওই কাঠের সেতু দিয়ে যান চলাচল আপাতত বন্ধ। ভিনরাজ্য থেকে ধান বোঝাই করে গলসি এলাকায় যায় লরিটি। চালক প্রথমে ওই কাঠের সেতু পেড়িয়ে পারাজ গ্রামের পাশে একটি রাইস মিলে ধান খালি করতে গিয়েছিল। সেখানে ধান খালি না হওয়ায় লরিটি ওই রাস্তা লোড অবস্থায় ফেরত আসছিল। এরপর পারাজের ডিভিসি সেচ ক্যানেলের কাঠের সেতুতে উঠলে অত্যাধিক অজনের দরুন আচমকা সেতুর কাঠের পাটাতন ভেঙে যায়। এরপরই গাড়ির সামনের দিকে চাকা পাটাতনে ঢুকে যায়। তবে ঘটনায় কেউ জখম হয় নি।

অক্টোবর ২৯, ২০২২
রাজ্য

কলকাতা ও শহরতলির বাসিন্দাদের চতুর্থীতেই পুজোর বড় উপহার, শহরে বাড়বে যোগাযোগের গতি

ইতিমধ্যে হেমন্ত সেতুর উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফের সুখবর কলকাতাবাসীর কাছে। একেবারে পুজোর উপহার! নবনির্মিত টালা সেতুতে বাস চলাচলের অনুমতি দিয়েছে পূর্ত দফতর। চতুর্থী থেকে ওই সেতুতে বাস চলাচল করবে। এর ফলে বৃহস্পতিবার থেকে কলকাতার সঙ্গে শহরতলির যোগাযোগ ফের গতি পাবে। ব্যস্ততা কমবে বেলগাছিয়া থেকে শ্যামবাজারের রাস্তার। এই ঘোষণায় খুশি নিত্যযাত্রীরা।২২ সেপ্টেম্বর টালা সেতুর উদ্বোধন হয়। উদ্বোধনের ৪৮ ঘণ্টা পর শনিবার সকাল থেকে সেতুতে ছোট গাড়ি, যানবাহণের অনুমতি দেয় প্রশাসন। পুজোর মুখে চতুর্থী অর্থাৎ বৃহস্পতিবার থেকে টালা সেতুতে বাস চলার অনুমতি দিয়েছে পূর্ত দফতর। জানা গিয়েছে, দুর্গাপুজোর পর থেকে এই সেতুতে ভারী যানবাহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে। বাস চলাচলের অনুমতি দেওয়ায় পুজোর মরসুমে সুবিধা হবে সাধারণ যাত্রীদের। কলকাতা ও শহরতলীর বাসিন্দারা সহজে যাতায়াত করতে পারবে। ঘুর পথে গন্তব্যে যেতে হবে না। সময় সাশ্রয় হবে। শারদ উৎসব উপভোগ করতে পারবে কলকাতা ও শহরতলির বাসিন্দারা।প্রসঙ্গত, দক্ষিণে মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে যেতেই উত্তরে টালা সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় ২০১৮-তে। ২০১৯ সালে পুজোর আগে রাইটস জানিয়ে দেয়, এই সেতুর অবস্থা ভাল নয়। ভেঙে নতুন করে সেতু নির্মান করা প্রয়োজন। এই রিপোর্ট পেতেই সেতু দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ২০২০-এর ফেব্রুয়ারিতে টালা সেতু ভাঙার প্রক্রিয়া শুরু হয়। এপ্রিলে শেষ হয়। নতুন সেতু নির্মাণের কাজ করে নির্মাণকারী সংস্থা লারসেন অ্যান্ড টুবরো লিমিটেড। ৭৫০ মিটার সেতু নির্মাণে খরচ হয়েছে ৪৬৮ কোটি টাকা।

সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২২
রাজ্য

মেমারির কো-অপারেটিভ ব্যাংকে ডেপুটেশন দিল আদিবাসী সংগঠন

শুক্রবার মেমারি দুনম্বর ব্লকের শ্রীধরপুর কো-অপারেটিভ ব্যাংকে তিন দফা দাবি নিয়ে ডেপুটেশন দিল আদিবাসী সংগঠন ভারত জাকাত মাঝি পরগনা মহল। এদিনের দাবিগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল ভোটে নির্বাচিত সদস্যদের মধ্য থেকে আদিবাসী সম্প্রদায়ের এক জনকে শ্রীধরপুর কোপারেটিভ ব্যাংকের বোর্ডের মেম্বার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, আদিবাসী সম্প্রদায়ের যোগ্যতা সম্পন্ন ছেলেমেয়েদের চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে।এই সমস্ত দাবি-দাওয়া নিয়ে স্লোগান সহ তারা হাজির হন শ্রীধরপুর কো অপারেটিভ ব্যাংকের প্রধান শাখায়। এবং সেখানে ডেপুটেশন দেন আদিবাসী সম্প্রদায় ভুক্ত এক বিশেষ প্রতিনিধি দল। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে মজুত ছিল পুলিশ বাহিনী। ডেপুটেশন প্রতিনিধির দলের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাতগেছিয়া এক নম্বর পরগনার দিলীপ মুর্মু, এলাকার সকল মাঝি বাবা সহ আরো অনেকে।

আগস্ট ২৬, ২০২২
খেলার দুনিয়া

‌বাংলার সঙ্গে দীর্ঘ ক্রিকেট জীবনের সম্পক ছিন্ন করলেন ঋদ্ধিমান

২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলার সিনিয়র দলের জার্সি গায়ে অভিষেক। তারপর মাঝে কেটে গেছে ১৫টা বছর। অবশেষে ১৫ বছর পর বাংলার ক্রিকেটের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করলেন ঋদ্ধিমান সাহা। বাংলা থেকে অন্য রাজ্যের হয়ে খেলার জন্য ছাড়পত্র নিয়ে নিলেন। চললেন ত্রিপুরায়। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে সামনের মরশুমে ত্রিপুরার হয়ে রনজি খেলতে দেখা যাবে ঋদ্ধিমানকে। সামনের সপ্তাহেই চূড়ান্ত হয়ে যাবে ত্রিপুরার সঙ্গে চুক্তি।সোমবার দুপুর ১টা নাগাদ সিএবিতে আসেন ঋদ্ধিমান সাহা। তার আগেই সিএবিতে পোঁছে গিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়া ও সচিব স্নেহাশিস গাঙ্গুলি। তিনজনের মধ্যে রুদ্ধদ্বার বৈঠক শুরু হয়। টানা ৪০ মিনিট ধরে বৈঠক হয়। ঋদ্ধিমানকে বাংলা ছেড়ে না যাওয়ার অনুরোধ করেন অভিষেক ডালমিয়া ও স্নেহাশিস গাঙ্গুলি। দুজনের অনুরোধে সাড়া দেননি ঋদ্ধি। নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন। নো অবজেকশন সার্টিফিকেট নিয়ে নেন। সিএবির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ঋদ্ধিমান সাহা সিএবিতে এসে সভাপতি অভিষেক ডালমিয়ার কাছে রাজ্য ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থার নো অবজেকশন সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করেন। তাঁর আবেদনের প্রেক্ষিতে অন্য রাজ্যের হয়ে খেলার জন্য এনওসি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঋদ্ধিমানের জন্য শুভেচ্ছাও জানানো হয়েছে। ভারতীয় টেস্ট দল থেকে বাদ পড়ার পর ঋদ্ধি সিএবিকে জানিয়েছিলেন, তিনি এবছর রঞ্জি খেলবেন না। পারিবারিক কারণেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানান। তারপরই সিএবি যুগ্মসচিব দেবব্রত দাস ঋদ্ধিমানের দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। ঋদ্ধিমান দাবি করেছিলেন দেবব্রত দাসের নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থনা। সিএবি সভাপতি অভিষেক ডালমিয়া অবশ্য দেবব্রতর বক্তব্যের দায় নিতে চাননি। এরপর রঞ্জি কোয়ার্টার ফাইনালে ঋদ্ধিমানকে বাংলা দলে রাখা হয়। কিন্তু ঋদ্ধির অভিযোগ ছিল, তাঁকে না জানিয়েই এই সিদ্ধান্ত। এরপরই তিনি বাংলার হয়ে আর না খেলার সিদ্ধান্ত নেন। এনওসি পেয়ে ঋদ্ধি বলেন, বাংলা না ছাড়ার জন্য আমাকে আগেও অনুরোধ করা হয়েছিল। আজকেও অনুরোধ করা হয়। কিন্তু আগে থেকেই আমার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গেছে। আজ এনওসি নিয়ে নিলাম। কোন রাজ্যের হয়ে খেলবেন, সে প্রসঙ্গে ঋদ্ধি বলেন, এখনও সিদ্ধান্ত নিইনি। বেশ কয়েকটা রাজ্যের সঙ্গে কথা হয়েছে। চূড়ান্ত হলে সবাইকে জানাব। ত্রিপুরার সঙ্গে কথা অনেকদূর এগিয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে চূক্তি চূড়ান্ত হয়ে যাবে। বাংলার সঙ্গে তাঁর কোনও ইগোর লড়াই ছিল না বলে জানিয়েছেন ঋদ্ধিমান।

জুলাই ০২, ২০২২
খেলার দুনিয়া

দর বাড়ানোর খেলায় মেতেছেন!‌ ঋদ্ধিকে নাকি প্রস্তাবই দেয়নি বরোদা–গুজরাট

সিএবির যুগ্মসচিব দেবব্রত দাসের মন্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়ে বাংলা ছেড়ে অন্য রাজ্যে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ঋদ্ধিমান সাহা। প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়া আসরে নামলেও বরফ গলেনি। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, ঋদ্ধির কাছে নাকি বেশ কয়েকটি রাজ্যের হয়ে খেলার জন্য প্রস্তাব রয়েছে। এই তালিকায় বরোদা ও গুজরাটও ছিল। কিন্তু বরোদা ও গুজরাট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছে, ঋদ্ধিমান সাহাকে তাদের রাজ্যের হয়ে খেলার কোনও প্রস্তাব দেওয়া হয়নি।সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গুজরাট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের শীর্ষকর্তা অনিল প্যাটেল বলেছেন, ঋদ্ধিমান সাহাকে গুজরাটের হয়ে খেলার জন্য কোনও প্রস্তাব দেওয়া হয়নি। হেট প্যাটেল নামে আমাদের একজন তরুণ উইকেটকিপার রয়েছে। ও দারুণ খেলছে। ঋদ্ধিমানকে দলে নিয়ে কেন আমরা ওর ক্রিকেটজীবন নষ্ট করব?বরোদার পক্ষ থেকেও ঋদ্ধিকে কোনও প্রস্তাব দেওয়া হয়নি। বরোদা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়শনের সচিব অজিত লেলে এই মুহূর্তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। সেখান থেকে সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, গত একমাস ধরে আমি দেশের বাইরে। ঋদ্ধিমান সাহাকে আমাদের হয়ে খেলার প্রস্তাব দেওয়ার কোনও খবর আমার কাছে নেই। অম্বাতি রায়ুডুকে আমরা নিয়েছি। নতুন করে ঋদ্ধিকে নেওয়ার কোনও পরিকল্পনা আমাদের নেই। ত্রিপুরা অবশ্য ঋদ্ধির ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছিল। কিন্তু ঋদ্ধির আর্থিক চাহিদা মেটানোর ব্যাপারে কিছুটা হলেও অনীহা রয়েছে।এদিকে, বোরিয়া মজুমদারের সঙ্গে তাঁর বিতর্ক নিয়ে মুখ খুলেছেন ঋদ্ধি। চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন তিনি। ঋদ্ধিমান জানিয়েছেন, ওই একবারই নয়, বোরিয়া মজুমদার নাকি আগেও এইরকম কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন। তাঁর কথায়, আমি দেখাতে চেয়েছিলাম একটা সাক্ষাৎকারের জন্য একজন সাংবাদিক কতটা নীচে নামতে পারেন! আমি পরে জানতে পেরেছি ওই সাংবাদিক এমনটা আগেও করেছেন। সে কারণেই বিসিসিআই এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে এবং ওই সাংবাদিককে শাস্তি দিয়েছে। আমি প্রথমে মুখ খুলিনি বোর্ডের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ থাকার শর্ত মেনেই। ঋদ্ধিমান আরও বলেন, প্রথমে ভেবেছিলাম যে হুমকির ঘটনার কথা প্রকাশ্যে নিয়ে আসব না। কেন না, সকলেরই কেরিয়ার রয়েছে। কিন্তু যদি এমন আচরণের পরেও কারও আক্ষেপ না থাকে, তাহলে কতক্ষণ আর চুপ থাকা যায়?

জুন ২২, ২০২২
খেলার দুনিয়া

‌সামনের মরশুমে কি গুজরাটের হয়ে খেলবেন ঋদ্ধিমান?‌

বাংলা যে ছাড়ছেন, এটা নিশ্চিত। কিন্তু বাংলা ছেড়ে সামনের মরশুমে কোন দলের হয়ে রনজি খেলবেন ঋদ্ধিমান সাহা? এই নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। তবে বিশ্বস্তসূত্রের খবর, সামনের বছর গুজরাটের হয়ে খেলতে দেখা যেতে পারে দেশের অন্যতম সেরা এই উইকেটকিপারকে। শোনা যাচ্ছে, গুজরাট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে নাকি প্রাথমিক কথাবার্তাও হয়ে গেছে ঋদ্ধিমান সাহার।এবছর রনজি শুরুর আগে পারিবারিক কারণ ও ক্লান্তির জন্য বাংলার হয়ে রনজি না খেলার কথা জানিয়েছিলেন ঋদ্ধি। তাড়াছা জাতীয় দলে তাঁকে যে আর ভাবা হবে না, সেকথাও জানিয়ে দিয়েছিলেন ভারতীয় দলের কোচ রাহুল দ্রাবিড়। তাই রনজি খেলার মোটিভেশন হারিয়ে ফেলেছিলেন ঋদ্ধিমান। তাঁর রনজি না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন সিএবির যুগ্ম সচিব দেবব্রত দাস। প্রশ্ন তুলেছিলেন ঋদ্ধির দায়বদ্ধতা নিয়েও। দেবব্রত দাসের মন্তব্য ভালভাবে নেননি ঋদ্ধি। তিনি বলেন, প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে ঋদ্ধিকে। কিন্তু দেবব্রত দাস রাজি হননি। ঋদ্ধি তখনই ঠিক করেন, বাংলার হয়ে আর খেলবেন না।রনজি কোয়ার্টার ফাইনালের দল গঠনের সময় ঋদ্ধিকে না জানিয়েই টিমে রেখেছিলেন নির্বাচকরা। এতে আরও ক্ষেপে যান তিনি। সিএবি প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়াকে পরিস্কার জানিয়ে দেন বাংলার হয়ে তিনি আর খেলবেন না। বাংলা থেকে ছাড়পত্র নিতে চান। অভিষেক ডালমিয়া থেকে শুরু করে বাংলার কোচ অরুণলালও ঋদ্ধিকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। তাতেও বরফ গলেনি। আইপিএল চলাকালীনই বাংলার রনজি দলের হোয়াটসআপ গ্রুপ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন ঋদ্ধি। তখনই বিষয়টা পরিস্কার হয়ে যায় যে, বাংলার হয়ে না খেলার সিদ্ধান্তে তিনি অনড়।আইপিএলের ফাইনাল খেলে বুধবার কলকাতায় ফিরছেন ঋদ্ধিমান। তারপরই তিনি সিএবিতে যাবেন নো অবজেকশন সার্টিফিকেটের জন্য প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়ার সঙ্গে কথা বলতে। সামনাসামনি বৈঠকে দুই পক্ষের বরফ গলে কিনা এখন সেটাই দেখার। অভিষেক ডালমিয়া যদি ঋদ্ধির মান ভাঙাতে পারেন, তাহলে বাংলারই লাভ।

জুন ০১, ২০২২
খেলার দুনিয়া

সব প্রয়াস ব্যর্থ, বাংলার হয়ে খেলবেন না ঋদ্ধিমান

বিভিন্নভাবে ঋদ্ধিমান সাহার মান ভাঙানোর চেষ্টা করেছিল সিএবি। সব প্রয়াস ব্যর্থ হয়ে গেল। বাংলার হয়ে রনজি না খেলার সিদ্ধান্তে অনড় ঋদ্ধিমান। বৃহস্পতিবার সিএবি প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়ার সরকারি বিবৃতিতেই তার ইঙ্গিত। এই প্রথম ঋদ্ধিমান ইস্যু নিয়ে তিনি মুখ খুললেন। বাংলার কোচ অরুণলালও ফোন করেছিলেন ঋদ্ধিমানকে। তাঁকেও না খেলার কথা জানিয়েছেন ঋদ্ধি। পারিবারিক কারণে রনজির গ্রুপ পর্যায়ে না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ঋদ্ধিমান সাহা। তাঁর সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন সিএবির যুগ্মসচিব দেবব্রত দাস। এই নিয়ে ঋদ্ধিমানের মনে ক্ষোভ তৈরি হয়। তিনি বাংলার হয়ে না খেলার কথা বলেন। এমনকি সিএবির কাছ থেকে রিলিজও চান। সিএবি চেয়েছিল ঋদ্ধিমান রনজি ট্রফির নক আউটের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে বাংলার হয়ে খেলুক। এইরকম ম্যাচে দলে অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের প্রয়োজন। তাই ঋদ্ধিকে দলে চেয়েছিলেন কোচ অরুণলাল এবং সিএবি কর্তা। রনজি খেলার ব্যাপারে সিএবি প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়া ঋদ্ধিমানকে বারবার বোঝান। তিনি এও জানান, সিএবি যুগ্মসচিব দেবব্রত দাসের বক্তব্য সিএবির নয়। এমনকি তার দায়ও সিএবির নেই। তাতেও মন গলেনি ঋদ্ধিমানের। এমনকি বুধবার বাংলার রনজি ট্রফির জন্য তৈরি হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ ছেড়েও বেরিয়ে যান। তখনই পরিস্কার হয়ে যায় বাংলার হয়ে না খেলার সিদ্ধান্তে অনড় ঋদ্ধিমান। ঋদ্ধিমান প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার অভিষেক ডালমিয়া বলেন , আমি ঋদ্ধিমানকে বলেছিলান যে তাকে রনজির নক আউট পর্বের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বাংলার দরকার আছে। সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার জন্য ঋদ্ধিকে অনুরোধ করেছিলাম। ঋদ্ধিমান আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে এবং জানিয়েছেন যে সে রনজি নকআউট পর্বে বাংলার হয়ে খেলতে ইচ্ছুক নয়। সিএবিঋদ্ধিমান বিতর্ক প্রকাশ্যে আসে ১৭ মে রনজির নক আউট পর্বের জন্য বাংলা দল ঘোষণার সময়। তাঁর সঙ্গে কথা না বলেই ঋদ্ধিকে দলে রাখা হয়। দলে নাম থাকার পরেও বাংলা ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা বলেন ঋদ্ধি। এরুপর ঋদ্ধি বাংলা ছেড়ে যাওয়ার জন্য এনওসি চেয়ে সিএবি প্রেসিডেন্ট সভাপতি অভিষেক ডালমিয়ার সাথে কথা বলেন। তিনি ডালমিয়াকে বলেন , তিনি আর বাংলার হয়ে খেলতে আগ্রহী নন এবং এনওসি চান। সিএবি যুগ্ম সচিব দেবব্রত দাসের ওপর বিরক্ত হয়েই বাংলা ছাড়তে চান। কারণ দেবব্রত দাস ঋদ্ধির দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। অভিষেক ডালমিয়াকে ঋদ্ধি বলেন, দেবব্রত দাসকে জনসমক্ষে ক্ষমা চাইতে হবে। সিএবি ঋদ্ধির প্রস্তাবে রাজি হয়নি।

মে ২৬, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ইডেনে সামিদের বিরুদ্ধে কেন বাটলারের দিকে তাকিয়ে রাজস্থান?‌

ইডেনে গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে প্রথম কোয়ালিফায়ারে খেলতে নামছে রাজস্থান রয়্যালস। শিমরন হেটমায়ার, সঞ্জু স্যামসনরা থাকতেও জস বাটলারের ব্যাটের দিকে তাকিয়ে রাজস্থান টিম ম্যানেজমেন্ট। শেষ কয়েকটা ম্যাচে নিজের সেরা ছন্দের ধারেকাছে দেখা যায়নি বাটলারকে। ফাইনালে ওঠার জন্য ইংল্যান্ডের এই ওপেনারের জ্বলে ওঠার অপেক্ষায় রাজস্থান। নিজেকে মেলে ধরার জন্য তৈরি বাটলারও। চলতি আইপিএলের লিগের প্রথম পর্বের ফর্মই তাঁকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে।চলতি আইপিএলে লিগ পর্বে ১৪ ম্যাচে ৬২৯ রান করে অরেঞ্জ টুপি নিজের দখলে রেখেছেন। স্ট্রাইক রেট ১৪৭। সেঞ্চুরি করেছেন তিনটি, হাফ সেঞ্চুরিও তিনটি। কিন্তু শেষ তিনটি ম্যাচে জ্বলে উঠতে পারেননি বাটলার। শেষ তিন ইনিংসে দুঅঙ্কের রানে পৌঁছতে পারেননি, তাঁর সংগ্রহ ২, ২ ও ৭। গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে প্রথম কোয়ালিফায়ারে তাঁর দিকে তাকিয়ে দল।ক্রিকেটের নন্দনকাননে কি জ্বলে উঠতে পারবেন জস বাটলার? হার্দিক পান্ডিয়াদের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী মনে হয়েছে তাঁকে। চলতি আইপিএলে নিজের ফর্ম নিয়েও দারুণ খুশি তিনি। এদিন বাটলার বলেন, এবারের আইপিএলে নিজের ফর্ম নিয়ে আমি খুশি। তবে শেষ তিন ম্যাচের পারফরমেন্সে খুবই হতাশ। আইপিএলের প্রথম পর্বে আমার জীবনের অন্যতম সেরা ক্রিকেট খেলেছি। প্লে অফে মাঠে নামার আগে প্রথম পর্বের পারপরমেন্স আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে।জস বাটলারের পাশাপাশি রাজস্থান রয়্যালসকে প্লে অফে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন যুজবেন্দ্র চাহাল। ১৪ ম্যাচে তুলে নিয়েছেন ২৪ উইকেট। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে তাঁর দিকেও তাকিয়ে দল। এবারের আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের জার্সি গায়ে চাপানোটা চাহালের কাছে দারুণ ব্যাপার। কারণ এই দলকেই আইপিএলের প্রথম মরশুমে শেন ওয়ার্নের মতো কিংবদন্তী স্পিনার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে চাহাল বলেন, রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে এটাই আমার প্রথম বছর। কিন্তু মনে হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরেই এই দলে খেলছি। মানসিকভাবে খুব রিল্যাক্স আছি।চাহাল আরও বলেন, রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে খেলাটা আমার কাছে আরও স্পেশাল, কারণ শেন ওয়ার্ন স্যার এই দলে খেলেছিলেন। আমার মনে হচ্ছে ওনার আশীর্বাদ আমার ওপরে রয়েছে। ওপর থেকে তিনি আমার ওপর নজর রাখছেন। শুধু বাটলার কিংবা চাহাল নয়, রবিচন্দ্রন অশ্বিনের দিকেও তাকিয়ে রাজস্থান। বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাট হাতেও বেশ কয়েকটা ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছেন অশ্বিন।

মে ২৩, ২০২২
খেলার দুনিয়া

মরণবাঁচন ম্যাচে এ কী হাল ঋষভদের!‌ বুমরার দাপটে ধসে গেল দিল্লি

আইপিএলের প্লে অফে তিনটি জায়গা নিশ্চিত হয়ে গেছে। বাকি একটা জায়গা। লড়াই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ও দিল্লি ক্যাপিটালসের মধ্যে। প্লে অফের টিকিটের জন্য এই মুহূর্তে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের হাতে কিছু নেই। দিল্লি ক্যাপিটালস ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ম্যাচের ফলাফলের ওপরই নির্ভর করছিল তাদের ভাগ্য।১৪ ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের পয়েন্ট ১৬। আর ১৩ ম্যাচে দিল্লির পয়েন্ট ১৪। নেট রানরেটে দিল্লি (+০.২৫৫) এগিয়ে রয়েছে বেঙ্গালুরুর (-০.২৫৩) থেকে। সুতরাং মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে দিল্লি ক্যাপিটালস জিতলেই পেয়ে যাবে প্লে অফের টিকিট। আর ঋষভ পন্থরা হারলে প্লে অফে খেলার সুযোগ এসে যাবে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের সামনে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে এই রকম মরণবাঁচন ম্যাচেও ব্যাটিং বিপর্যয় দিল্লি ক্যাপিটালসের। দলকে লজ্জার হাত থেকে বাঁচালেন রভম্যান পাওয়েল ও অধিনায়ক ঋষভ পন্থ। এই দুই ব্যাটারের সৌজন্যেই লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছল দিল্লি। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে তুলল ১৫৯/৭। টস জিতে দিল্লিকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স অধিনায়ক রোহিত শর্মা। সুস্থ হয়ে ওঠায় দিল্লি এদিন ললিত যাদবের জায়গায় প্রথম একাদশে ফেরায় পৃথ্বী শকে। মরণবাঁচন ম্যাচে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের সামনে বড় রানের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়ার জন্য ডেভিড ওয়ার্নারের ফর্মে ফেরার দিকে তাকিয়ে ছিল দিল্লি টিম ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু এদিনও ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠতে পারলেন ওয়ার্নার। ৬ বলে মাত্র ৫ রান করে তিনি তৃতীয় ওভারে ড্যানিয়েল স্যামসের বলে বুমরার হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। পরের ওভারেই মিচেল মার্শকে (০) তুলে নেন যশপ্রীত বুমরা। এক ওভার পরেই তিনি ফেরান পৃথ্বী শকে। প্রথম একাদশে ফিরে এদিন ভাল শুরু করেছিলেন পৃথ্বী। কিন্তু বড় রান করতে পারলেন না। ২৩ বলে ২৪ রান করে তিনি আউট হন। সরফরাজ খানও (৭ বলে ১০) নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। ৫০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে দিল্লি। এরপরই প্রতিরোধ গড়ে তোলেন অধিনায়ক ঋষভ পন্থ ও রভম্যান পাওয়েল। দুজনের জুটিতে ওঠে ৭৫। এই জুটিই মান বাঁচায় দিল্লির। ঋষভকে তুলে নিয়ে জুটি ভাঙেন রমনদীপ সিং। ৩৩ বলে তিনি করেন ৩৯। তারপরই আউট হল রভম্যান পাওয়েল। ৩৪ বলে তিনি করেন ৪৩। পাওয়েলের স্টাম্প ছিটকে দেন বুমরা। শেষ পর্যন্ত অক্ষর প্যাটেলের (১০ বলে ১৯) সৌজন্যে ১৫৯/৭ রানে পৌঁছয় দিল্লি। দুরন্ত বোলিং করে ২৫ রানে ৩ উইকেট নেন যশপ্রীত বুমরা।

মে ২১, ২০২২
খেলার দুনিয়া

দুরন্ত ডিককের ব্যাটে রেকর্ড, বড় রানের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিল লখনউ

কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে লখনউ সুপার জায়ান্টসের ম্যাচটা একদিকে যেমন ছিল প্লে অফের ছাড়পত্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, অন্যদিকে প্রথম দুইয়ে থাকারও লড়াই। এইরকম গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দারুণভাবে জ্বলে উঠল লখনউ। ২০ ওভারে তুলল ২১০/০। দুরন্ত সেঞ্চুরি করে দলকে বড় রানে পৌঁছে দেন কুইন্টন ডিকক। তাঁর ব্যাটে এদিন রেকর্ডের ছড়াছড়ি। চলতি আইপিএলে সর্বোচ্চ রান।নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে নামার আগে প্রথম একাদশে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন করে মাঠে নামে লখনউ সুপার জায়ান্ট। চোটের জন্য প্রথম একাদশের বাইরে ছন্দে থাকা অলরাউন্ডার ক্রূণাল পান্ডিয়া। পরিবর্তে দলে কৃষ্ণাপ্পা গৌতম। এছাড়া প্রথম একাদশ থেকে বাদ পড়েন আয়ূষ বাদোনি ও দুষ্মন্ত চামিরা। এই দুজনের জায়গায় প্রথম একাদশে সুযোগ পান মনন ভোরা এবং এভিন লুইস।এদিন সতর্কভাবে শুরু করেছিলেন লখনউর দুই ওপেনার লোকেশ রাহুল ও কুইন্টন ডিকক। প্রথম দিকে খুব বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠার চেষ্টা করেননি। তার মাঝেই একবার জীবন পান ডিকক। তৃতীয় ওভারে উমেশ যাদবের বলে ব্যক্তিগত ১২ রানের মাথায় তাঁর ক্যাচ ফেলেন নাইটদের হয়ে আইপিএলে অভিষেককারী অভিজিৎ টোমার। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে লখনউ তোলে ৪৪।শুরুতে জীবন পেয়ে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি ডিকককে। ক্রমশ নাইট বোলারদের ওপর জাঁকিয়ে বসেন। লোকেশ রাহুলও শুরুর জড়তা কাটিয়ে নিজেকে মেলে ধরেন। ৩৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ডিকক। নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে জ্বলে ওঠা অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছেন এই প্রোটিয়া ওপেনার। শেষ ৫ ম্যাচে চারটি হাফ সেঞ্চুরির ইনিংস। অন্যদিকে, ৪১ বলে ৫০ রান পূর্ণ করেন লোকেশ রাহুল।লখনউ সুপার জায়ান্টসের এই দুই ওপেনারের ওপর কোনও প্রভাব ফেলতে পারেননি নাইট উমেশ যাদবরা। ১৭.১ ওভারে ১৫০ রানে পৌঁছে যায় লখনউ সুপার জায়ান্টস। আন্দ্রে রাসেলকে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে আইপিএলে জীবনের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন ডিকক। এদিন ৫৯ বলে তিনি সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন।৬ বছর আগে ২০১৬ সালে দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে করেছিলেন ১০৮। এদিন ডিককের ব্যাটে রেকর্ডের ছড়াছড়ি। চলতি আইপিএলে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেললেন ডিকক। ৭০ বলে ১৪০ রান করে তিনি অপরাজিত থাকেন। মারেন ১০টি চার ও ১০টি ছয়। চলতি আইপিএলে এক ম্যাচে সবথেকে বেশি ৬ মারার রেকর্ডেরও অধিকারী হলেন। ৫১ বলে ৬৮ রান করে অপরাজিত থাকেন লোকেশ রাহুল।

মে ১৮, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • ›

ট্রেন্ডিং

বিদেশ

ইতিহাস গড়লেন ডোনা! কেমব্রিজে প্রথম ভারতীয় শাস্ত্রীয় নৃত্যের কর্মশালা সৌরভ জায়ার

কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের জেসাস কলেজের ঐতিহাসিক প্রাঙ্গণ আজ ভারতীয় শাস্ত্রীয় নৃত্যের চিরকালীন ছন্দে মুখরিত হলো, যেখানে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ওড়িশি নৃত্যশিল্পী প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ জায়া ডোনা গাঙ্গুলি পরিচালনা করলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম শাস্ত্রীয় নৃত্য কর্মশালা।কেমব্রিজের সাংস্কৃতিক ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় রচিত হলো এই কর্মশালার মাধ্যমে, যেখানে ছাত্রছাত্রী, অধ্যাপক ও শিল্পপ্রেমীরা ওড়িশি নৃত্যভারতের আটটি স্বীকৃত শাস্ত্রীয় নৃত্যধারার অন্যতমসম্পর্কে একটি গভীর ও বাস্তবধর্মী অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। অংশগ্রহণকারীরা শিখলেন এই শিল্পরূপের মূল ভঙ্গিমা, অভিব্যক্তি এবং এর দার্শনিক ভিত্তি, যা এর আধ্যাত্মিক মূল এবং দুই হাজার বছরের ঐতিহ্যের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।এই কর্মশালায় বিভিন্ন পটভূমি থেকে আগত অংশগ্রহণকারীরা অংশ নেন, যাঁদের অনেকেই প্রথমবারের মতো ভারতীয় শাস্ত্রীয় নৃত্য প্রত্যক্ষ করেন। সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও অন্তর্ভুক্তির উপর জোর দিয়ে এই অনুষ্ঠানটি এমন সকলকে স্বাগত জানায়, যাঁদের নৃত্যে পূর্বে কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না।এই উপলক্ষে শ্রীমতি ডোনা গাঙ্গুলি বলেন, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ওড়িশির উত্তরাধিকার ভাগ করে নিতে পারা আমার জন্য এক গৌরবের ও আবেগঘন অভিজ্ঞতা। এই নৃত্য কেবল ভঙ্গিমা নয়এটি এক ধ্যান, ভক্তি ও গল্প বলা। আমি খুবই আনন্দিত এমন উৎসাহী অংশগ্রহণ ও ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতি আগ্রহ দেখে। এটি কেবল একটি পরিবেশনা নয়, এটি এক ধরনের সাংস্কৃতিক সংযোগ যা শিল্পের মাধ্যমে তৈরি হয়।এই উদ্যোগ আন্তর্জাতিক পরিসরে ভারতীয় শাস্ত্রীয় ঐতিহ্যের প্রতি ক্রমবর্ধমান আগ্রহকে তুলে ধরে এবং কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও বৈশ্বিক সম্পৃক্ততার প্রতিশ্রুতিকে প্রতিফলিত করে। আয়োজকরা আশা প্রকাশ করেছেন, এটি কেবল শুরুভবিষ্যতে আরও এরকম অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ভারতীয় পারফর্মিং আর্টস নিয়ে আরও গভীর অনুসন্ধান চালানো সম্ভব হবে।কর্মশালাটি বিপুল সাড়া পায়; অংশগ্রহণকারীরা ডোনা গাঙ্গুলির উষ্ণতাপূর্ণ ও অনুপ্রেরণামূলক শিক্ষা এবং নৃত্যের সৌন্দর্যের প্রতি অকুণ্ঠ প্রশংসা জানান। ভবিষ্যতের জন্য আরও সহযোগিতা ও ভারতীয় সংস্কৃতির উপর ভিত্তি করে সম্প্রসারিত কর্মসূচির পরিকল্পনাও ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে।ডোনা গাঙ্গুলি খ্যাতনামা ওড়িশি নৃত্যশিল্পী ও দীক্ষা মঞ্জরি একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা, প্রখ্যাত গুরু পন্ডিত কেলুচরণ মহাপাত্রের শিষ্যা এবং ভারত ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সাংস্কৃতিক উৎসবে তাঁর নৃত্য পরিবেশনের জন্য প্রসিদ্ধ। ডোনা জানান তাঁর লক্ষ্য ওড়িশি নৃত্যের সৌন্দর্য ও দার্শনিক ভিত্তি আগামী প্রজন্মের কাছে বিশ্বব্যাপী পৌঁছে দেওয়া।

জুন ১৫, ২০২৫
রাজনীতি

২১ জুলাইয়ের পোস্টারে ছবি কার? কি সিদ্ধান্ত দলের?

২১ জুলাই শহীদ দিবস। ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে এবারের ২১ শে জুলাইকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। সভা সফল করতে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ঘাসফুল শিবির। শনিবার ভবানীপুরের দলীয় কার্যালয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করে তৃণমূল। সেই বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে দলীয় সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এবার ২১ জুলাইয়ের পোস্টারে থাকবে শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি থাকবে না। এটা অভিষেক নিজেই চেয়েছেন। উল্লেখ্য, অভিষেক ২০১১ সালে তৃণমূলে যোগ দেন এবং দলের যুব সংগঠনের সভাপতি হন। এরপর থেকে তিনি দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে উঠে আসেন। কিন্তু তাঁর ছবি পোস্টার থেকে বাদ যাওয়ার বিষয়টিকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে জল্পনার শেষ নেই। গত বছর নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলের সমাবেশে অভিষেকের ছবি না-থাকায় তৃণমূলের ভিতরেই বিক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। কুণাল ঘোষের মতো নেতারা সেই নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলেছিলেন। এবার যাতে তেমন কোন বিতর্ক না হয় তা নিয়ে আগে ভাগেই সতর্ক অবস্থান নিল দল। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সুদীপবাবু বলেন, ক্যামাক স্ট্রিটের দফতর থেকে যেসব পোস্টার পাঠানো হয়েছে, তাতে শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিই রয়েছে। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, অভিষেক নিজেই বলেছেন, যেহেতু তিনি ২১ জুলাইয়ের ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন না, তাই তাঁর ছবি পোস্টারে না থাকাই যুক্তিযুক্ত।রাজনৈতিক মহলের মতে, মমতা বারবার দলীয় সভায় স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, সরকার যেমন তাঁর হাতেই, সংগঠনেও তিনিও শেষ কথা। ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই, বাম সরকারের আমলে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন ১৩ জন তৃণমূল কর্মী। সেই শহিদদের স্মৃতিতে প্রতিবছর এই দিনটি পালন করে তৃণমূল। যেহেতু সেই সময় অভিষেক রাজনীতিতে ছিলেন না, তাই এবার তিনি নিজেই সরে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন এমনটাই দাবি সুদীপের-ফিরহাদদের।তবে এই ছবি বিতর্ক নতুন কোন ইস্যু নয়। ২০২৩ সালে নেতাজি ইন্ডোরের এক সভাতেও শুধু মমতার ছবি ছিল, অভিষেকের ছবি না-থাকায় কুণাল ঘোষ প্রশ্ন তুলেছিলেন। আবার ২০২৫-এর শুরুতে অভিষেকের দফতর থেকে প্রকাশিত ক্যালেন্ডারে তাঁর বিরাট ছবি ঘিরেও শুরু হয়েছিল বিতর্ক। পরে সেটি বদলে দেয় রাজ্য নেতৃত্ব। এরপর ফের ফেব্রুয়ারিতে নেতাজি ইন্ডোরের দলীয় সভায় দেখা যায় শুধুই মমতার ছবি। সব মিলিয়ে ২১ জুলাইয়ের সমাবেশকে ঘিরে যে রাজনৈতিক রূপরেখা তৈরি হচ্ছে, তাতে সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একক নেতৃত্বকেই সামনে তুলে ধরা হচ্ছে। আর অভিষেকের ছবি না-থাকা সেই বার্তাকেই আরও সুদৃঢ় করল বলেই মত রাজনৈতিক মহলের ।

জুন ১৫, ২০২৫
কলকাতা

অনুব্রত কলকাতায় তৃণমূলের বৈঠকে, তাঁকে কি নির্দেশ দলের শীর্ষ নেতৃত্বের?

এদিন কলকাতায় তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠকে হাজির ছিলেন বীরভূমের দলের প্রাক্তন সভাপতি অনুব্রত মন্ডল। এসেছিলেন জেলা পরিষদের সভাপতি কাজল শেখ। এই দুই জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তৃণমূল কংগ্রেস। বীরভূমে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার তৃণমূল। লড়াই মূলত অনুব্রত ও কাজলের মধ্যে। তাঁরা বিবৃতিও দেন প্রকাশ্য। সম্প্রতি বোলপুর থানার আইসিকে অকথ্য ভাষায় আক্রমণ করে অনুব্রত মন্ডল। তাতে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে যায়। সমাজের সর্ব স্তর থেকে নিন্দার ঝড় বয়ে যায়।তৃণমূলের একাংশের রোষানলে পড়েন অনুব্রত। দলীয় নির্দেশ মেনে সেই ঘটনার পর তড়িঘড়ি ক্ষমাও চেয়ে নেন কেষ্ট। তারপর অবশ্য এআই তত্ব সামনে আসে। এবার শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁদের স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেদলের ঐক্য রক্ষা করে একসঙ্গে কাজ করতে হবে, এবং নিজেদের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্বকে দূরে সরিয়ে দলীয় স্বার্থে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। বৈঠক থেকে বেরিয়ে ফিরহাদ হাকিম স্পষ্ট জানিয়ে দেন, অনুব্রত মন্ডলকে সতর্ক করা হয়েছে। ভবিষ্য়তে এমন কাজ করলে দল বরদাস্ত করবে না।

জুন ১৫, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

নভেম্বরে ইডেনে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের মুখোমুখি ভারত! নেপথ্যে সিএবি সভাপতি

ইডেনে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিরুদ্ধে ভারত খেলবে নভেম্বরে। ১৪ তারিখ থেকে প্রথম টেস্ট। জানেন কি এটা সম্ভব হলো কীভাবে? জানুন ভিতরের তথ্য। ইডেন প্রথমে পেয়েছিল ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট। যেটি হওয়ার কথা ছিল অক্টোবরে। এর মধ্যেই জানা যায় পরিবেশগত কারণে দিল্লি থেকে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট সরতে পারে। এরপরেই তৎপরতা দেখান সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়। ঘুরতে থাকে খেলা। ভারতের প্রতিপক্ষ হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের চেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা যে অনেক বেশি শক্তিশালী, অনেক বেশি উপভোগ্য ম্যাচ হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ, বিসিসিআই সচিব দেবজিৎ সাইকিয়াদের সঙ্গে ক্রমাগত কথা চালিয়ে যেতে থাকেন স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়। অবশেষে সূচির অদলবদল। ইডেন পেল ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট। তেম্বা বাভুমার নেতৃত্বে আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জেতা প্রোটিয়ারা চলতি মাসেই টেস্ট সিরিজ খেলতে যাবে জিম্বাবোয়েতে। এরপর টানা সাদা বলের সিরিজ খেলে লাল বলের ম্যাচে নামবে ইডেনে। দক্ষিণ আফ্রিকার নির্বাসন কাটিয়ে ফেরার সঙ্গে যেমন জড়িয়ে ইডেন, তেমনভাবেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথম ভারত সফরে এসে প্রথম ম্যাচটাই খেলবে ক্রিকেটের নন্দনকাননে। যা নিশ্চিত হলো সিএবি সভাপতির দূরদর্শিতায়। উৎসবের আবহে ইডেনে হবে ক্রিকেটের মহোৎসব।মনোজিৎ মৌলিক

জুন ১৪, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

প্রতিভা আর পারফরম্যান্স শেষ কথা, হা-হুতাশ ছেড়ে চাই জোরালো ফোকাস

বেঙ্গল প্রো টি২০ চলছে। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে থেকেই অনেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় হা-হুতাশ শুরু করেন। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে। টার্গেট স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ের টিম সিএবি, এমনকী সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কেও অনেকে নিশানা করেন। এদের বলায় কিছু যায় আসে না। তবু সেই নিন্দুকেরা কি দেখছেন অভিষেক পোড়েল, শুভম দে, চন্দ্রহাসদের পারফরম্যান্স? ঈশান পোড়েল, সায়ন ঘোষদের পারফরম্যান্স। গরমের মধ্যেই আগুনে পারফরম্যান্স। নজর কেড়েছে লক্ষ্মী রতন শুক্লার পুত্র অগস্ত্য। এনসিসি যেমন জেলাভিত্তিক টুর্নামেন্ট করার প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিয়েছে তেমনভাবেই সিএবির এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাতে দ্বিধা ছেড়ে এগিয়ে আসুন। ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করুন। এই ধরনের টুর্নামেন্ট শুরু স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়রা ছাড়া কে-ই বা ভাবতে পারেন? মনে রাখতে হবে, স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় সিএবি সভাপতি হওয়ার পরেই এই লিগ শুরু হয়েছে। ফ্র্যাঞ্চাইজি জোগাড় থেকে যাবতীয় ব্যবস্থাপনা তিনিই করেছেন। সঙ্গে তাঁর টিম। এবং অবশ্যই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।শুরুতেই সব সুপারহিট হয় না, ধাপে ধাপে এগিয়ে যেতে হয়। মুম্বইয়ে এবার হলো। আবার তামিলনাড়ুতে বেশ কয়েক বছর হচ্ছে। অনেক প্রতিভা পারফরম্যান্স দেখিয়ে জাতীয় দলেও ঢুকে পড়ছেন, আইপিএল কাঁপাচ্ছেন। সৌরভ, স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়রা বাংলাতেও একটা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে দিলেন। যেমন ভিশন ২০২০ থেকেও কয়েকজন জাতীয় দলে ঢুকেছেন।ভিন রাজ্যের ক্রিকেটার নিয়েই অনেকে গলা চড়িয়ে সিএবিকে টার্গেট করেছেন। আজব! বিভিন্ন রাজ্যের ক্রিকেটাররা দেদার বিভিন্ন ক্লাবে এসে খেলছেন। সেই পারফরম্যান্স দেখে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা আকৃষ্ট হচ্ছে। সে তো কেকেআর বাংলার প্লেয়ারদের দীর্ঘদিন নেয় না। যদি এমন কেউ থাকেন যিনি যোগ্য হয়েও বঞ্চিত, জেনুইন কেস হলে তিনি সবার আগে স্নেহাশিস, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়দের সহযোগিতা পাবেন। সব ক্ষেত্রেই যোগ্যতমকে দেখা হয়। তাই ভালোর শেষ নেই। যদি মনে হয় ভিনরাজ্যের প্লেয়ার কেন? নেতিবাচক ভাবনা ছেড়ে ভালো পারফরম্যান্স মাঠে উজাড় করে দিতে সেটিকেই মোটিভেশনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন ক্রিকেটাররা। সচিন-পুত্র তো মুম্বই ছেড়ে গোয়ায় গিয়েছেন। অনেক তারকা তো বিভিন্ন রাজ্য থেকে এসে বাংলায় বছরের পর বছর খেলেছেন। জাতীয় দলের দরজা খুলেছেন। সর্বোপরি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের কেরিয়ারে চোখ রাখলেই অনুপ্রেরণা খুঁজে পাওয়ার প্রচুর রসদ মিলবে। তাই বাইরের কচকচানিতে কান না দিয়ে ফোকাস ঠিক রাখুন ক্রিকেটাররা। তথাকথিত ভিনরাজ্যের প্লেয়ারদের চ্যালেঞ্জ মাঠেই ছোড়া হোক। বাকি কাজ নির্বাচকদের। বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগে নজরকাড়াদের প্রেজেন্টেশন স্কাউটদের কাছেও পাঠায় সিএবি। সকলে নজর রাখেন। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় না থাকলে এই লিগ স্টার স্পোর্টস অবধি যেত না। প্রচুর স্পনসর, যার অন্যতম কারণ এক টুর্নামেন্টের সবচেয়ে বড় মুখ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বলেই। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বাল্যবন্ধু সঞ্জয় দাস এই টুর্নামেন্টের অগ্রগতির অন্যতম কারিগর।আজকালকার দিনে এক ক্লিকেই মেলে যাবতীয় তথ্য। মহম্মদ শামি, মুকেশ কুমার বা আকাশ দীপদের আকৃষ্ট করে সিএবির পরিকাঠামো। তাঁরা এর পূর্ণ সদ্ব্যবহার করেছেন ফোকাস ঠিক রেখে। এবারেও বাঙালিরা এই লিগেও ভালো খেলেছেন। বাঙালি, অবাঙালি বলে কিছু হয় না। প্রতিভা আর পারফরম্যান্স শেষ কথা। ফেসবুক গ্রুপের কচকচানি নাকি ক্রিকেটে ফোকাস রাখা, কোন বিকল্প বেছে নেবেন তাতেই সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটারের উন্নতি। আন্তর্জাতিক ও জাতীয় স্তরের সেরা ক্রিকেটারদের কোচ হিসেবে রেখে সিএবি যে বয়সভিত্তিক দলের শিবির চালায় তার সুফল মিলবেই। আর যাঁরা এখনও এই লিগের প্রতি আন্তরিক নন, চাইব তাঁদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক বাংলার ক্রিকেটের স্বার্থেই। আগে ক্রিকেট, তার উপর কিছু নেই।মনোজিৎ মৌলিক

জুন ১৪, ২০২৫
রাজ্য

মালিকানা বদলে জমি হাতানোর চক্র সক্রিয়, তৃণমূল-বিজেপি চাপানউতোর

জমির মালিকানা পরিবর্তন করে বৃদ্ধার জমি হাতানোর চেষ্টা। বিডিও এবং বি এল অর ও এর দপ্তরে অভিযোগ দায়ের।উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানার ঢাকুরিয়ায় বাসিন্দা সীমা চৌধুরী নামে এক বৃদ্ধার ৬ শতক জমির মালিকানা পরিবর্তন করে জমি হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় চাঞ্চল্য ছড়ালো এলাকায়। সীমাদেবীর দাবি, তিনি কারও কাছে তাঁর জমি বিক্রি করেননি। হস্তান্তরও করেননি। কিন্তু দিন কয়েক আগে দেখতে পান তার জমির মালিকানা পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। তাঁর জমির ৬ শতক জমি তাঁর নাম পরিবর্তন করে শ্যামল রায়ের নামে রেকর্ড হয়ে গিয়েছে। বেশ কয়েকমাস ধরে তার স্বামী অসুস্থ। জমিজমার দিকে খেয়াল করতে পারছেন না। দিন কয়েক আগে তাঁরা জানতে পারেন তাঁদের জমির মালিকানা পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। কিভাবে হয়েছে তা তিনি জানেন না। এই ঘটনার পিছনে গভীর চক্রান্ত দেখছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে গাইঘাটার বিডিও এবং ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তরে অভিযোগ জানিয়েছেন। তিনি চাইছেন তার জমি ফিরিয়ে দেওয়া হোক। এবং যারা এই ধরনের কাজ করেছে তাদের আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হোক। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন গাইঘাটার বিডিও নীলাদ্রি সরকার। তবে এই ঘটনার পিছনে বিএলআরও এবং তৃণমূলের হাত দেখছে বিজেপি। বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার বলেন, এই ধরনের কাজ শাসকদলের মদত ছাড়া হতে পারে না, এর সঙ্গে বিএলআরও জড়িত আছে। বিজেপির তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী তথা গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ইলা বাগচী। তিনি বলেন, এই ধরনের কাজের সঙ্গে তৃণমূলের কেউ যুক্ত থাকে না। তৃণমূল এটাকে প্রশ্রয় দেয় না। তবে যে ঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন এই ধরনের ঘুঘুর বাসা ভাঙতে হবে।

জুন ১৩, ২০২৫
রাজ্য

পোল্ট্রি ফার্মে তাজা বোমা উদ্ধার, রাণীনগরে চাঞ্চল্য

এবার রানীনগরে দুই ব্যাগ ভর্তি বোমা উদ্ধারে চাঞ্চল্য ছড়াল। মুর্শিদাবাদে রানীনগরের ডেপুটিপাড়া এলাকায় এক ব্যক্তির বাড়ির পিছনে একটি পরিত্যক্ত পোল্ট্রি মুরগির ফার্মে দুই ব্যাগ ভর্তি তাজা সকেট বোমা উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে ওই এলাকায়। সূত্রের খবর, গতকাল রাতে প্রায় বারোটা নাগাদ মুকুল শেখ নামে এক ব্যক্তির বাড়ির পিছনে পুলিশ একটি পরিত্যক্ত পোল্ট্রি ফার্মে দুই ব্যাগ ভর্তি বোমা উদ্ধার হয়। পরিবার সূত্রে খবর, রাত্রি প্রায় বারোটা নাগাদ রানীনগর থানার পুলিশ এসে মুকুল শেখের বাড়ির সদস্যদের বোমা রাখার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে পরিবারের সদস্যরা বোমা রাখার বিষয়ে কোনও কিছুই জানে না বলে জানা যায়। তবে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে রাত জেগে ওই জায়গাটিকে পাহারা দেয়। যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। তবে কে বা কারা কি উদ্দেশ্যে এই বোমা গুলি রেখেছিল? তা বলতে পারছে না কেউ। তবে এই ঘটনায় পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কে রয়েছে বলে জানান। ওই দুই ব্যাগে মোট আটটি বোমা রয়েছে বলে জানা যায়। তবে বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করার জন্য বোমা ডিসপোজাল টিমকে খবর দেওয়া হয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

জুন ১৩, ২০২৫
দেশ

ভয়াবহ মর্মান্তিক প্লেন দুর্ঘটনা আহমেদাবাদে, ২৪২ জনের প্রান সংশয়ের আশঙ্কা

আহমেদাবাদে ঘটে গেল এক ভয়ঙ্কর বিমান দুর্ঘটনা। বৃহস্পতিবার দুপুরে লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমানটি (ফ্লাইট নম্বর AI171) ওড়ার মাত্র ৯ মিনিট পরই ভেঙে পড়ে। ঘটনাস্থল ছিল আহমেদাবাদ বিমানবন্দরের কাছেই। মেডিক্যাল কলেজ হস্টেলের ওপর বিমানটি। ওই বিমানে মোট ২৪২ জন যাত্রী ছিলেন। তাদের মধ্যে অনেকের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদিও নির্দিষ্ট সংখ্যা এখনও জানা যায়নি। দুর্ঘটনাটিকে ভয়ানক বলে সম্বোধন করেছে বিমান পরিবহনমন্ত্রী রাম মোহন নাইডু। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ ও বিমান পরিবহনমন্ত্রীকে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে এই ঘটনার পুরো পর্যবেক্ষণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। আপাতত আহমেদাবাদ বিমানবন্দরের সব ধরনের উড়ান স্থগিত রাখা হয়েছে এবং এয়ার ইন্ডিয়া ও তদন্তকারী সংস্থাগুলি এই দুর্ঘটনার পূর্ণ তদন্ত শুরু করেছে।

জুন ১২, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal