• ৬ পৌষ ১৪৩২, বুধবার ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Nandigram

রাজ্য

সেবক হিসেবে বরাবর আপনাদের সঙ্গে থাকবঃ শুভেন্দু

আপনাদের সেবক শুভেন্দু বরাবর আপনাদের সঙ্গে ছিল, থাকবে। নন্দীগ্রামে রাস উৎসবের সূচনা করে এই মন্তব্য করেন বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। মন্ত্রীত্ব ছাড়ার পর সোমবার প্রথম তাঁর বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রামে যান শুভেন্দু। সেখানে তিনি প্রথমে পুজোপাঠ করেন। এদিনের অরাজনৈ্তিক সভায় তিনি বলেন, আমি নন্দীগ্রামে সব অনুষ্ঠানে আসি। বড়দিন থেকে ইদ, সবসময় আমি আসি। দীপাবলিতেও এসেছি। তাঁর অর্ধেকেরও বেশি সময় ধরে তুলে ধরেন রাস উৎসবের মাহাত্ম্যের কথা। এর পাশাপাশি প্রত্যেকের করোনামুক্ত জীবনেরও কামনা করেছেন। এদিন তিনি বক্তব্য শেষে হরেকৃষ্ণ ধ্বনি দেন। রবিবার মহিষাদলের মতোই এদিনও তার মুখে কোনও রাজনৈতিক কথা শোনা যায়নি। আরও পড়ুন ঃ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দু সম্পর্কে যা বলছেন, তা ঠিক নাঃ শিশির এদিন শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃ্ত্বে রেয়াপাড়া থেকে নন্দীগ্রাম পর্যন্ত হলুদ পতাকা নিয়ে বাইক মিছিল হয়। শয়ে শয়ে বাইক এদিনের মিছিলে অংশ নেন। তৃণমূলের বহু কর্মী এদিনের এই মিছিলে অংশ নেন। নন্দীগ্রাম ১ নং ব্লক তৃণমূলের ব্লক সভাপতিও এদিনের এই মিছিলে অংশ নেন। সেই পতাকায় ওঁ চিহ্ন ছিল। এই চিহ্নকে কেন্দ্র করে নতুন করে শুরু হয়েছে রাজনৈ্তিক জল্পনা। দলীয় কর্মীদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো।

নভেম্বর ৩০, ২০২০
রাজ্য

জল্পনা জিইয়ে রেখে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা শুভেন্দুর

মন্ত্রীত্ব ছাড়ার পর মহিষাদলের সভায় শুভেন্দু অধিকারী কি বলেন, সেদিকে তাকিয়ে ছিলেন সকলে। কিন্তু সকলকে নিরাশ করে সমস্ত জল্পনা জিইয়ে রাখলেন বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। স্বাধীনতা সংগ্রামী রণজিৎ কুমার বয়ালের স্মৃতির উদ্দেশ্যে আয়োজিত সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা তাঁর দল সম্পর্কে একটা কথাও বললেন না নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তাঁর বক্তব্যের বেশি অংশ জুড়েই স্বাধীনতা সংগ্রামে পূর্ব মেদিনীপুরের অবদান প্রসঙ্গে কথা বলেন শুভেন্দু। উল্লেখ করেন তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার গঠনের কথা। এছাড়াও জানান, ডিসেম্বর মাসে তিনি সঙ্গীদের নিয়ে ক্ষুদিরাম বসুর জন্মদিন ও তাম্রলিপ্ত সরকার গঠনের বর্ষপূর্তি পালন করবেন। তবে সবশেষে সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে তিনি জানালেন, এ দেশের সংবিধানের শক্তিতে মানুষই শেষ কথা বলে। বাংলা ও বাঙালির সেবক হিসেবে কাজ করে যাব। আমি রাস্তায় থাকব। সামর্থ্য অনুযায়ী আজীবন সাধারণ মানুষের পাশে থাকবেন তিনি। রবিবার তাঁর সভায় ভিড় হয়েছিল ভালই। শুভেন্দু নিজে হাজার আটেক মানুষের সমাগম হয়েছে বলে দাবি করেন। আরও পড়ুন ঃ দুর্গাপুরে রাস্তায় বসে চপ ভেজে বিক্ষোভ কর্মসূচি বিজেপির শুভেন্দুর রবিবারের সভায় তৃণমূলের কারা উপস্থিত থাকছেন সে দিকেও নজর ছিল রাজনৈতিক মহলের। তবে তেমন কোনও বড় নেতা বা জনপ্রিতিনিধিকে মঞ্চে দেখা যায়নি। হাজির ছিলেন তৃণমূলের হলদিয়া ব্লক সভাপতি সুব্রত হাজরা, জেলা পরিষদের মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ আনন্দময় অধিকারী, নন্দকুমার ব্লকের সভাপতি সুকুমার বেরা, জেলা পরিষদের সদস্য সোমনাথ ভুঁইয়া ও জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কণিষ্ক পণ্ডা। বলা যায় এদিন নীল সাদা মঞ্চে থেকে কার্যত নীরব ছিলেন শুভেন্দু।

নভেম্বর ২৯, ২০২০
রাজনীতি

মাথায় আছে কি করতে হবেঃ শুভেন্দু

আগামী ১৯ নভেম্বর একটি সভা ডেকেছি। সেদিন একটু বেশি সময় নিয়ে অনেক কথা বলব। শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরে কালীপুজোর উদ্বো্ধনী অনুষ্ঠানে এমনই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন রাজ্যের সেচ ও পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী । তিনি এদিন বলেন, একটা সময়ে যাদের উপকারে লেগেছিলাম , এখন তাদের অনেকের আমাকে নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। নন্দীগ্রাম আন্দোলনে অনেক বাহাদুরকে না দেখা গেলেও ফেসবুকে আমাকে গালাগালি দিতে অনেককেই দেখা যাচ্ছে। ভাল সময়ে না থাকলেও খারাপ সময়ে শুভেন্দু পাশেই থাকে। আরও পড়ুন ঃ ২০২১ নির্বাচনে বাংলায় কৈলাসেই ভরসা কেন্দ্রীয় বিজেপির তিনি আরও বলেন , অনেক পদ আসে , আবার চলেও যায়। আজ পদ আছে , কাল থাকবে না। আমার কাছে পদ কিছু নয়। সেবক শুভেন্দু সাধারণের পাশে যেমন ছিল , তেমনই থাকবে। এরপর তিনি বলেন , যা বলতে হয় , তা করতে নেই। আর যা করতে হয় , তা বলতে নেই। তাঁর মাথায় আছে , কখন কি করতে হবে।

নভেম্বর ১৪, ২০২০
রাজনীতি

আমাকে আটকানোর ক্ষমতা কারও নেইঃ শুভেন্দু

ঘূর্ণিঝড়ের পর নন্দীগ্রামে কেউ আসেনি। আমিই বারবার ছুটে এসেছি, পাশে থেকেছি। শুক্রবার নন্দীগ্রামে কালীপুজো উদ্বোধনে এসে ফের বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন রাজ্যের সেচ ও পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। এদিন নিজের মনোভাব আরও স্পষ্ট করে দিলে শুভেন্দু জানান, আমাকে আটকানোর ক্ষমতা কারও নেই। আপনাদের আশীর্বাদ, দোয়া, প্রার্থনাকে সঙ্গী করে আমি এগিয়ে যাব। আরও পড়ুন ঃ শুভেন্দুকে নিয়ে জল্পনার মাঝেই কাঁথিতে শিশির অধিকারীর সঙ্গে বৈঠক পিকের প্রসঙ্গত , বৃহস্পতিবার রাতে শুভেন্দু অধিকারীর বাড়িতে যান ভোটকৌশলী প্রশান্ত কিশোর। তিনি কাঁথির অধিকারী বাড়িতে যখন যান, শুভেন্দু বাড়িতে ছিলেন না। তারপর সেখানে বসেই ফোনে কথা হয় শুভেন্দুর সঙ্গে। কিন্তু পিকেকে ময়দানে নামিয়েও যে শুভেন্দুর মনোভাব বদলানো যায়নি, তা এদিন তাঁর মন্তব্যেই স্পষ্ট।

নভেম্বর ১৩, ২০২০
রাজনীতি

যারা মমতাদির হাত দুর্বল করছে , তারা বিজেপির হাত শক্ত করছেঃ ফিরহাদ

আমরা কেউই হেলিকপ্টারে নামিনি। সিঁড়ি দিয়ে উঠেছি। আর সেই সিঁড়িটা তৈ্রি করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার নন্দীগ্রামে ছিল শুভেন্দু অধিকারীর সভা। তাঁর সভার পর পালটা সভা করতে গিয়ে এই মন্তব্য করেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি কারও নাম না করে বলেন, থাকে , মীরজাফররাও থাকে। ফিরহাদ বলেন , সকালে ডাকেননি কেন ? ডাকলে আসতাম। মালা দিতাম শহিদ তর্পণে। ডাকা হবে না , আসতে দেওয়া হবে না। আবার আমি আমি করে আমিত্ব দেখিয়ে কথা বলা হবে। এ কেমন কথা । আমি না বলতে হবে আমরা। তিনি আরও বলেন , মমতাদি কাজের সুযোগ না দিলে আমরা কেউ কিছু নই। আরও পড়ুন ঃ নন্দীগ্রামের আন্দোলনকে স্মরণ করে টুইট মমতা , অভিষেকের তিনি বলেন, যারা মমতাদির হাত দুর্বল করছে , তারা বিজেপির হাত শক্ত করছে। সিপিএম খুব খারাপ ছিল। বিজেপি আরও খারাপ পার্টি। এমন কিছু করবেন না যাতে তাদের সুবিধা হয়। বাংলায় বিজেপির জায়গা নেই। ওরা মমতাকে সরাতে চায় ভাঙন ধরিয়ে। জন নেত্রী বাংলাকে ঠিক পথে রেখেছেন। বিজেপির সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিরোধিতা করেন। বিজেপি এলে ধর্মের নামে সন্ত্রাস ফিরবে। এসব হতে দেবেন না।

নভেম্বর ১০, ২০২০
রাজনীতি

রাজনীতির মঞ্চে দেখা হবেঃ শুভেন্দু

রাজনীতির মঞ্চে দেখা হবে। লড়াইয়ের মাঠে দেখা হবে। শুভেন্দু ভয় পায় না। ২০০৭ সালের রক্তস্নাত সূর্যোদয় দিবসের বর্ষপূতি উপলক্ষে গড়চক্রবেড়িয়া হাইস্কুল মাঠে সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই মন্তব্য করেন রাজ্যের সেচ ও পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবারের এই সভায় তিনি আরও বলেন , রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মে থেকে রাজনৈতিক কথা বলব। কোন রাস্তায় গর্ত, কোথায় হোঁচট খাঁচ্ছি, কোন রাস্তায় হাঁটলে মসৃণ ভাবে চলব, সেটা তো রাজনৈতিক মঞ্চে বলব। পবিত্র প্ল্যাটফর্মে রাজনীতি করি না, করব না। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন , আমি জানি সংবাদমাধ্যম ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা অপেক্ষা করে আছেন। তারা আমার মুখ থেকে কিছু শুনতে চান। আমি বলব। সব বলব। নন্দীগ্রামের মঞ্চ থেকে একের পর এক ইঙ্গিতপূর্ণ বক্তব্য শুভেন্দু অধিকারীর। এছাড়াও তৃণমূলের নাম না করে শুভেন্দু খোঁচা দিয়ে বলেন, ১৩ বছর পর নন্দীগ্রামকে মনে পড়ল? ভোটের পর নন্দীগ্রামে আসবেন তো। এদিনের অরাজনৈতিক মঞ্চ থেকে বারবার শুভেন্দু অধিকারী বলেন, আমি নন্দীগ্রামে নতুন লোক নই, চেনা বামুনের পৈতের দরকার নেই। সবসময় আপনাদের পাশে রয়েছি। ক্ষমতা নিয়ে কোনও কিছু করিনি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লড়াই করেছি। এই আন্দোলন শুভেন্দু অধিকারীর আন্দোলন নয়, স্বত:স্ফূর্ত লোকের আন্দোলন। তিনি আরও বলেন , নন্দীগ্রামের আন্দোলন কারও একার নয়। শুভেন্দু নিজের বক্তব্য শেষ করেছেন ভারতমাতা জিন্দাবাদ বলে। আরও পড়ুন ঃ শুভেন্দুর সঙ্গে তৃণমূলের বিভাজন? সভা-পাল্টা সভায় সরগরম নন্দীগ্রাম নন্দীগ্রামে অত্যাচারের কাহিনী তুলে ধরে বাংলার সুশীল সমাজের অবদানের প্রসঙ্গ টেনে মহাশ্বেতা দেবী, শুভাপ্রসন্ন, পল্লব কীর্তনীয়া, অর্পিতা ঘোষদের নাম নেন শুভেন্দু। সভার শেষে শুভেন্দুর জয় জয় নন্দীগ্রাম স্লোগানে মুখরিত হয়েছে গোটা এলাকা। এদিনের শুভেন্দুর সভায় উপস্থিত ছিলেন তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী, খেজুরীর বিধায়ক রণজিৎ মণ্ডল, নন্দীগ্রামের শহিদ মাতা ফিরোজা বিবি, সংগ্রাম দলুই সহ ভূমি উচ্ছেদ কমিটির সদস্যরা। শুভেন্দুর ইঙ্গিতপূর্ণ বক্তব্যের পূর্বে মঞ্চ থেকে উপস্থিত জনস্রোতকে প্রণাম জানিয়ে নন্দীগ্রামের আন্দোলনের ইতিহাস বর্ণনা করেন। সঙ্গে নন্দীগ্রামের প্রতিটি শহীদ পরিবারের সদস্যদের হাতে শীতের চাদর তুলে দেন।

নভেম্বর ১০, ২০২০
রাজনীতি

শুভেন্দুর সঙ্গে তৃণমূলের বিভাজন? সভা-পাল্টা সভায় সরগরম নন্দীগ্রাম

রক্তাক্ত সূর্যোদয়ের বর্ষপূর্তিতে প্রতি বছর ১০ নভেম্বর শহিদদের স্মরণ করে থাকে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি। এবারও শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বেই সেই কর্মসূচি, তবে সমাবেশের ব্যাপ্তি বাড়ায় বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই কর্মসূচির দিকে সকলের নজর। এর মধ্যেই শুভেন্দুর সঙ্গে দূরত্ব বাড়ানোর ইঙ্গিত দিল তৃণমূল কংগ্রেস। গোকুলনগরের পাল্টা সভা করবে তৃণমূল, নন্দীগ্রামের হাজরাকাটায়। সেখানে সভার দায়িত্বে অধিকারী পরিবারের বিরোধী গোষ্ঠী বলে পরিচিত অখিল গিরি, সুপ্রকাশ গিরি এবং শেখ সুফিয়ান। প্রধান বক্তা ফিরহাদ হাকিম। আরও কয়েকজন সাংসদ, মন্ত্রী থাকতে পারেন। ফিরহাদ বলেন, শুভেন্দুর ব্যাপার জানি না। দল নজর রাখছে। নন্দীগ্রাম আমাদের আন্দোলন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলন। তাই তৃণমূল সভা করবে। ওই সভাস্থলের দেড়-দু কিলোমিটার দূরে চৌরঙ্গী বাজারে পাল্টা সভা করবে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি, একই সময়ে। কমিটির যুগ্ম সম্পাদক আবু তাহের বলেন, ফিরহাদ হাকিম আমার নেতৃত্ব, সে ব্যাপারে কিছু বলছি না। তবে নন্দীগ্রাম আন্দোলনের প্রেক্ষাপট জানতে হবে। ১০ নভেম্বর, জানুয়ারির ৩ ও ৭ তারিখ এবং ১৪ মার্চ এই চারটি দিন আমরা কালো পতাকা নিয়ে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির সভা করি, ১২ বছর ধরে। সারা বছর দলীয় পতাকা নিয়ে কর্মসূচি হলেও এই চারটি দিন হয় না। কারণ, ওই আন্দোলনে কংগ্রেস, এসইউসিআই, জমিয়তে উলেমায়ে হিন্দ ছিল। ফলে আমরা কীভাবে দলীয় পতাকা নিয়ে সভা করব? প্রতি বছর করপল্লীতে শহিদদের উদ্দেশ্যে মাল্যদানের পর আমরা যেখানে সভা করি সেখানে বাড়ি-ঘর হয়েছে। তাই তেখালিতে গোকুলনগর স্কুল মাঠে সমাবেশ হচ্ছে। বিকেলে হাজরাকাটাতেও সভা হয়। এবার ওই ১০ নভেম্বর গুলিবিদ্ধ হয়ে শহিদ রেজাউল করিমের স্মৃতির উদ্দেশ্যে চৌরঙ্গী বাজারে বিকেল ৪টেয় সমাবেশ হবে। সেখানে থাকবেন ভূমি উচ্ছেদ কমিটির নেতৃত্ব ও শহিদ পরিবারের সদস্যরা।

নভেম্বর ০৯, ২০২০
রাজনীতি

১০ নভেম্বর নন্দীগ্রামে কয়েক হাজার বাস-গাড়িতে লাখো অনুগামী-সমাগম

জননেতা শুভেন্দু অধিকারী মানেই এক অন্য আবেগ। রক্তাক্ত সূর্যোদয়ের বর্ষপূর্তিতে নন্দীগ্রামে প্রতি বছর কর্মসূচি থাকে শুভেন্দুবাবুর। তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে এবার রাজনৈতিক মহলের নজরে থাকছে ১০ নভেম্বরের নন্দীগ্রাম। জননেতার ডাকে এবার সেখানে গোকুলনগর হাই স্কুল মাঠে সমাবেশ। শুভেন্দুবাবু বলেও দিয়েছেন নন্দীগ্রামের কারা কোথায় কীভাবে সেদিন কর্মসূচি পালন করবেন। কিন্তু সে তো গেল নন্দীগ্রাম বা জেলার কথা। জানা গিয়েছে, সেদিন বাংলার সব পথ মিশবে নন্দীগ্রামেই। যেমনটা হয় ধর্মতলা বা ব্রিগেডে। করোনাকে জয় করে শুভেন্দুবাবু নেমে পড়েছেন জনসংযোগে। সক্রিয় তাঁর অনুগামীরাও। কটাক্ষ উপেক্ষা করে বাংলার নানা জায়গায় রোজ বাড়ছে আমরা দাদার অনুগামীদের পোস্টার, হোর্ডিং। জননেতার ছবি, সঙ্গে আকর্ষণীয় ক্যাপশন। অনুগামীদের কথায়, সেগুলি কোথাও ঈর্ষায় ছিঁড়ে দেওয়া হলেও জননেতা তো হৃদয়ে, বুকের মাঝে। তাঁর পথই পথ। শুভেন্দুবাবু আজ যাবেন খড়গপুরে। এরপর ৭ তারিখ পুরুলিয়া ও ৮ তারিখ বাঁকুড়া যাওয়ার কথা। তারপরেই নন্দীগ্রাম, ১৩ তারিখ বাঁকুড়া। শুভেন্দুবাবুর দলত্যাগ বা মন্ত্রিত্ব ছাড়া নিয়ে নানা কথা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খাওয়ানো হলেও ১০ তারিখ সে সংক্রান্ত কোনও ঘোষণার অপেক্ষায় যাঁরা, তাঁদের হতাশ হতে হবে। তবে দলের কাজকর্ম, বিশেষ করে পিকে ও তাঁর টিমের উপর ক্ষুব্ধ কিছু মন্ত্রী, বিধায়ক ভেবেই রেখেছেন শুভেন্দুবাবু যা বলবেন তাই করবেন তাঁরা। এটা ঠিক, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যারিশমা অগ্রাহ্য করা না গেলেও আসন্ন ভোটের ফলাফলের ক্ষেত্রে বড় ফ্যাক্টর শুভেন্দু অধিকারীই, কলকাতার কোনও নেতা নন। এটা দলের অনেকেই বিশ্বাস করেন। দলে যাঁরা অন্যায়ভাবে কোণঠাসা হয়েছেন বা কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না, প্রতি জেলা থেকে এমন হাজার হাজার কর্মী নন্দীগ্রাম যেতে প্রস্তুত। উত্তরবঙ্গ, দক্ষিণবঙ্গ, জঙ্গলমহল থেকে কয়েক হাজার বাস, গাড়িতে করে তাঁরা যাবেন। হুগলি জেলা থেকে সবচেয়ে বেশি নেতা-কর্মী যাবেন আরামবাগ মহকুমা থেকে। বলাগড়, ডানকুনি, শ্রীরামপুর, চণ্ডীতলা-সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে ইতিমধ্যেই শতাধিক বাস, গাড়ি বুক করা হয়েছে। বারাসত, বসিরহাট, দমদম, ব্যারাকপুর-সহ উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন জায়গা থেকেও অনুগামীরা যাবেন। শুভেন্দুবাবু যে জেলাগুলির পর্যবেক্ষক ছিলেন এবং বিপদে আপদে রং না দেখে যাঁদের পাশে থেকেছেন সব জেলা থেকে তাঁর অনুগামী, ভক্তদের ঢল নামবে। লাখো জনসমাগম নিশ্চিত। হয়তো সিংহভাগ অনুগামী সভাস্থলে ঢুকতেই পারবেন না। তবু জননেতার ডাকে সকলেই যাবেন। বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাসে একুশের আগে এক নয়া ইতিহাস রচিত হবে ১০-এর নন্দীগ্রামে, এগারোয় বাংলার পরিবর্তনে অগ্রণী ভূমিকা ছিল ভূমিপুত্রের নেতৃত্বে যেখানকার আন্দোলনের।

নভেম্বর ০৫, ২০২০
রাজনীতি

সিঁড়ি ভাঙতে ভাঙতে উঠেছিঃ শুভেন্দু

ছোটলোকদের দিয়ে বাজে কথা বলিয়ে ভেবেছে আমি উত্তর দেব। আমার লেভেলটা ওই নাকি ? শনিবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রামে শহিদ তীর্থ নন্দীগ্রাম সীতানন্দ কলেজে এক বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন রাজ্যের সেচ ও পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। এদিন তাঁকে মঞ্চে পুষ্পস্তবক দিয়ে সম্মান জানানো হয়। সেখানে তিনি বিরোধীদের উদ্দেশে কটাক্ষ করে এই মন্তব্য করেন। তিনি বিরোধীদের সমালোচনা করে আরও বলেন , কুকুর পায়ে কামড়ালে মানুষ কখনো কুকুরের পায়ে কামড়ায় না। আমি প্যারাসুটে নামিনি এবং লিফটেও উঠিনি। সিঁড়ি ভাঙতে ভাঙতে উঠছি। আমাকে ওসব করে লাভ নেই। তিনি আরো বলেন, ভোটের পরে সংকীর্ণ রাজনীতি আমাদের নন্দীগ্রামের প্রতিনিধি করেনি। আমার বিভিন্ন সময়ে পদের পরিবর্তন হয়েছে , হতে পারে। আমি আপনাদের সঙ্গে ছিলাম, আছি, থাকব। সংবাদমাধ্যমের সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, যতক্ষণ না আমার মুখ থেকে কিছু শুনছেন , ততক্ষণ বাজারি সংবাদপত্র ও ঘরে এসিতে বসে পোর্টাল চালাচ্ছেন, এগুলো উপেক্ষা করুন। নিজের লড়াই নিজে করুন। আরও পড়ুন ঃ জেপি নাড্ডার বদলে নভেম্বরে রাজ্যে অমিত শাহ এদিন তিনি ঘোষণা করেন , ১০ নভেম্বর রক্তাক্ত সূর্যোদয়ের বর্ষপূর্তি। সাড়ে দশটায় করপল্লিতে আসব। আমার সমস্ত আত্মীয়রা সেখানে থাকবেন। সেখানে পুষ্পার্ঘ্য দেব। তারপরে গোকূলনগরে হাইস্কুলের মাঠে সমাবেশ করব। খেজুরির সাধারণ মানুষকে সেই সভায় যোগ দেওয়ার জন্য তিনি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, কোভিড যখন আমার হয়েছিল তখন বহু মানুষ ফোন বা মেসেজ করেছিলেন কিন্তু এমন অনেকেই ফোন করেননি যাঁদের নাম বললে তাঁরা বিপদে পড়বেন। এদিন তিনি বললেন, আশ্চর্য হয়ে যায় কেউ কেউ অতীত ভুলে যায়। তিনি কিভাবে ধাপে ধাপে আন্দোলন করেছেন , সে কথা এদিনের সভা থেকে তিনি তুলে ধরেন। প্রসঙ্গত , কয়েকদিন আগে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, একক শক্তি দিয়ে কোনও কাজ কেউ করতে পারেন না। স্বামী বিবেকানন্দ এটা বলেছিলেন। স্বামী বিবেকানন্দ বলেছিলেন আমি, আমি করা হল সর্বনাশের মূল। শুভেন্দু অধিকারীর এই মন্তব্য ঘিরে জোরদার জল্পনা শুরু হয় রাজ্য রাজনীতিতে।

অক্টোবর ৩১, ২০২০
রাজ্য

নন্দীগ্রামের শহিদ ও আহতদের পরিবারগুলিকে উপহার প্রদান শুভেন্দুর

শুভ শারদীয় ও দুর্গাপূজা উপলক্ষে নন্দীগ্রাম আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের পরিবারগুলির প্রতি সম্মাননা জ্ঞাপন ও উপহার প্রদান অনুষ্ঠান আয়োজিত হল শনিবার। এদিন দুপুর ১২ টায় নন্দীগ্রামের হরিপুর কৃষক বাজারে শারদ সম্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে মূল উদ্যোক্তা ছিলেন রাজ্যের পরিবহণ , জলসম্পদ উন্নয়ন ও সেচমন্ত্রী তথা জননেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি ওই এলাকারই বিধায়ক। নন্দীগ্রামের শহিদ ও আহতদের পরিবারগুলি পুজো্র আগে মন্ত্রীর হাত থেকে খুবই খুশি। আরও পড়ুনঃ ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক নিয়ে যুগান্তকারী আবিষ্কার , জাতীয় পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত দিগন্তিকা কারণ, সেই ২০০৭ সাল অর্থাৎ নন্দীগ্রামে জমি আন্দোলনের সময় থেকে তাদের পাশে রয়েছেন ঘরের ছেলে শুভেন্দু অধিকারী। সবসময় তাদের সমস্ত বিপদে-আপদে পাশে থেকেছেন। প্রসঙ্গত , চলতি বছরে করোনার জেরে সকলের আর্থিক অবস্থা কম বেশি খারাপ। এই পরিস্থিতিতে পুজো্র আগে নন্দীগ্রামের ঘরের ছেলে শুভেন্দু অধিকারী জমি আন্দোলনে সব হারানো শহিদ ও আহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন, তা তাঁর মহানুভবতারই পরিচায়ক বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।

অক্টোবর ১৭, ২০২০
রাজনীতি

নন্দীগ্রামে বিস্ফোরক শুভেন্দু অধিকারী

অতীত যাঁরা ভুলে যান, তাঁদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হতে পারে না। তাঁদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারই হবে, এটাই চিরন্তন সত্য। মঙ্গলবার ২২ সেপ্টেম্বর নন্দীগ্রামে এ কথা বলেন সেখানকার বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রাম ভূমিরক্ষা আন্দোলনের সৈনিক অমর শহিদ নিশিকান্ত মণ্ডলের একাদশ বর্ষের স্মরণ সভায় উপস্থিত হয়ে তাঁর মূর্তিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে শুভেন্দুবাবু মনে করান ২০০৬ সালের ৩ নভেম্বরের কথা। তিনি বলেন, ওইদিন জননেতা নিশিকান্ত মণ্ডল আমাকে নিয়ে এসে এই আন্দোলনের বীজ বপন করেছিলেন সোনাচূড়ায় হাই স্কুল মাঠে। তখন আমি এখানকার বিধায়ক বা সাংসদ ছিলাম না। দক্ষিণ কাঁথির বিধায়ক ছিলাম। তেখালির কাঠের ব্রিজ, যা তখন পাকা ছিল না, মোরাম রাস্তা ধরে এসেছিলাম তাঁর সঙ্গে। নিশিকান্ত মণ্ডল না থাকলে এই আন্দোলন সফল হতো না। শুভেন্দুবাবু আরও বলেন, আমফানে যা ক্ষতি হয়েছে তার ১০০ শতাংশ পূরণ করা কারও পক্ষে সম্ভব নয়। দায়িত্বশীল জনপ্রতিনিধি, সরকারি প্রতিনিধিরা চেষ্টা করেছেন। যেখানে যেখানে ফাঁকফোকড়ের কথা কানে এসেছে বিধায়ক কার্যালয় থেকে সরাসরি প্রতিনিধি পাঠিয়ে মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। আপনাদের আশীর্বাদ, সহযোগিতা পেলে আমরা আগামী দিনে এগিয়ে যাব। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আশাকর্মী, স্বাস্থ্যকর্মী-সহ স্বাস্থ্য দফতরের কাজের প্রশংসা করে শুভেন্দুবাবু বলেন, এখানেও অনেকে আক্রান্ত হয়েছেন। শিক্ষিত, সচেতন এই জেলার মানুষ যখন কেউ বাইরে থেকে সংক্রমণ নিয়ে এসেছেন তাঁদের উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা হয়েছে। দেশে যেখানে সুস্থতার হার ৮০ শতাংশ, রাজ্যে ৮৬ শতাংশ, সেখানে এই জেলায় ৮৮ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১ শতাংশের কম, ৮৩ শতাংশ। তবে যতদিন না ভ্যাকসিন বেরোয় সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষ করে প্রবীণ মানুষদের যাঁদের বার্ধক্যজনিত বা অন্যান্য অসুখ রয়েছে। এদিন এলাকার সমস্ত গ্রাম সংসদের প্রতিনিধিদের হাতে মাস্ক ও স্যানিটাইজার তুলে দেন শুভেন্দুবাবু। নন্দীগ্রাম বিধানসভার দশটি ক্লাবকে অক্সিমিটার, ডিজিটাল থার্মোমিটার, স্ফিগমোম্যানোমিটার, মাস্ক ও স্যানিটাইজার এবং দশ নং অঞ্চলের প্রতিটি বুথে মাস্ক ও স্যানিটাইজার দিলেন এলাকার বিধায়ক তথা মাননীয় মন্ত্রী শ্রী শুভেন্দু অধিকারী মহাশয়।

সেপ্টেম্বর ২২, ২০২০
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • ›

ট্রেন্ডিং

কলকাতা

বাংলাদেশে হিন্দু খুনের প্রতিবাদে উত্তাল কলকাতা, বাংলা হাইকমিশনের সামনে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের বিক্ষোভ, ধুন্ধুমার

কলকাতার রাজপথ উত্তপ্ত হয়ে উঠল মঙ্গলবার। বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের সামনে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের বিক্ষোভ ঘিরে চরম উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতেই পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এই ঘটনায় একাধিক বিক্ষোভকারী আহত এবং কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।বিক্ষোভকারীদের দাবি, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন-সহ একাধিক ইস্যুতে প্রতিবাদ জানাতেই এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সম্প্রতি দীপুচন্দ্র দাসকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে নৃংশস ভাবে হত্যা করে বাংলাদেশের মৌলবাদীরা। তাঁকে মারধর করে পোস্টে বেঁধে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তী বাংলাদেশ পুলিশ স্বীকার করে দীপু কোনওরকম সাম্প্রদায়িক কথা বলেনি। সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। এমনকী বাংলাদেশ পুলিশ তাঁকে না রক্ষা করে হত্যাকারীদের হাতে তুলে দেয় বলে অভিযোগ।বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর অত্য়াচারের প্রতিবাদেই এদিন সকাল থেকেই বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কর্মী-সমর্থকরা হাইকমিশনের সামনে জমায়েত হতে শুরু করেন। প্রথমদিকে পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। বেগবাগান এলাকায় একাধিক পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যায় বিক্ষোভকারীরা।পুলিশ সূত্রে খবর, বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ ব্যারিকেড ভেঙে হাইকমিশনের মূল গেটের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। বারবার মাইকে সতর্কবার্তা দিয়ে জমায়েত ছত্রভঙ্গ করার নির্দেশ দেওয়া হলেও তা অমান্য করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর ধস্তাধস্তি শুরু হলে পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।কূটনৈতিক স্থাপনার নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কায় পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এতে কয়েকজন বিক্ষোভকারী আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে একাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। লাঠিচার্জের পর পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ এবং মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত বাহিনী। সাময়িকভাবে যান চলাচলও ব্যাহত হয়।পুলিশ আধিকারিকদের দাবি, বিদেশি কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তা রক্ষা করা প্রশাসনের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে আরও অবনতি না ঘটে, সেই কারণেই কঠোর পদক্ষেপ নিতে হয়েছে। অন্যদিকে, বিক্ষোভকারী সংগঠনগুলির বক্তব্য, তাঁদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করা হয়েছে। পুলিশের লাঠিচার্জের নিন্দা জানিয়ে তাঁরা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

ডিসেম্বর ২৩, ২০২৫
রাজ্য

হাঁসখালি কাণ্ডে তৃণমূল নেতার ছেলে সহ তিনজনের যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা আদালতের

নদিয়ার হাঁসখালি গণধর্ষণ, খুন ও প্রমান লোপাটের ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ রায় ঘোষণা করে আদালত। গতকাল, সোমবার মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতা সহ মোট ৯ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। দোষ প্রমাণিত হওয়ার পর আজ রাণাঘাট আদালত অভিযুক্তদের সাজা ঘোষণা করে। মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার ছেলে ব্রজ গয়ালী, প্রভাকর পোদ্দার ও রঞ্জিত মল্লিক তিনজনকে যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করা হয়েছে। বাকিদের সাজাও ঘোষণা করেছে আদালত। তৎকালীন পঞ্চায়েত সদস্য সমরেন্দ্র গয়ালীর পাঁচ বছর কারবাসের সাজা হয়েছে।আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় অভিযুক্তদের প্রত্যক্ষ ভূমিকা, প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য এবং তদন্তকারী সংস্থার পেশ করা নথি ও তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতেই এই রায় দেওয়া হয়েছে। মামলায় সরকারি কৌঁসুলি সওয়ালে জানান, অভিযুক্তরা পরিকল্পিতভাবে অপরাধে যুক্ত ছিল এবং তা প্রমাণ করতে পর্যাপ্ত তথ্য আদালতের সামনে তুলে ধরা হয়েছে। পুলিশ প্রথমে গ্রেফতার করেছিল ২ জনকে। তারপর হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলার তদন্তভার হাতে যায় সিবিআইয়ের ওপর।রায় ঘোষণার সময় আদালত চত্বরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। রায় শোনার পর দোষী সাব্যস্ত হওয়া অভিযুক্তদের সংশোধনাগারে পাঠানো হয়। আদালতের এই সিদ্ধান্তে হাঁসখালি সহ গোটা নদিয়া জেলায় রাজনৈতিক মহলে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। এই মামলাকে ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক চলছিল। বিরোধী দলগুলির অভিযোগ ছিল, অভিযুক্তদের মধ্যে শাসকদলের নেতা থাকায় তদন্ত প্রক্রিয়ায় প্রভাব খাটানোর চেষ্টা হয়েছে। উচ্চতর আদালতে যাবেন বলে আসামী পক্ষের আইনজীবী জানিয়েছেন।

ডিসেম্বর ২৩, ২০২৫
রাজ্য

হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাস খু.নের ঘটনায় ১৩ জন দোষী সাব্যস্ত, রায় মঙ্গলবার

সামসেরগঞ্জের জাফরাবাদ গ্রামে হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাস খু.ন কাণ্ডে ধৃত ১৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করলো জঙ্গিপুর আদালত। চলতি বছর তাঁদের নৃশংস ভাবে খুন করা হয়। এই মামলা রায়দান করা হবে মঙ্গলবার। রায়ের দিকে নজর রয়েছে সাধারণ মানুষের।দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গিপুর আদালতে এই মামলার শুনানি চলে। ফরেনসিক রিপোর্ট, একাধিক সাক্ষী, পুলিশি তদন্ত রিপোর্ট এবং অন্যান্য তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীন আদালতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য উঠে আসে। যার ফলে মামলা গুরুত্বপূণ মোড় নেয়। চলতি বছরের ১২ ই এপ্রিল সামসেরগঞ্জের জাফরাবাদ গ্রামে খুন করা হয় হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাসকে। সেই সময় হিংত্মাক আন্দোলন চলছিল ওই মুর্শিদাবাদের এই এলাকায়। দীর্ঘ শুনানির পর অবশেষে জঙ্গিপুর আদালতে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে ১৩ জনকে। এদিন রায় ঘোষণা ও দোষী সাব্যস্ত করার ঘটনায় ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজনীতি

হুমায়ুন কবীরের নতুন দল ‘জেইপি’, মঞ্চ থেকেই একের পর এক হুঁশিয়ারি, ব্রিগেডে জনসভা জানুয়ারিতে

মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা খাগারুপাড়া মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করল হুমায়ুন কবীরের নতুন রাজনৈতিক দল জে ইউ পি (JUP)। দল গঠনের সঙ্গে সঙ্গেই সভাপতি হিসেবে নিজের নাম ঘোষণা করেন হুমায়ুন কবীর। সভার মঞ্চ থেকেই আগামী বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে একের পর এক বড় রাজনৈতিক ঘোষণা করেন তিনি।হুমায়ুন কবীর জানান, জেইউপি দলের হয়ে তিনি বেলডাঙা ও রেজিনগর, এই দুই বিধানসভা কেন্দ্রেই প্রার্থী হবেন এবং ৩০ হাজার ভোটে দুটি আসনেই জয়লাভ করবেন। পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ জেলার আরও ছয়টি বিধানসভা আসনে দলের প্রার্থী ঘোষণা করেন তিনি।সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি আক্রমণ করে হুমায়ুন কবীর বলেন, আপনি সাড়ে সাত লক্ষ কোটি টাকার ঋণের বোঝা বাংলার মানুষের মাথায় চাপিয়েছেন। এর জবাব ২০২৬ সালে বাংলার মানুষ দেবে।কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ব্রিগেডে সভা করব। ফিরহাদ হাকিম বেশি বাড়াবাড়ি করলে ব্রিগেড থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ নিয়ে মেয়র অফিস ঘেরাও করা হবে।সভায় উপস্থিত কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে হুমায়ুন কবীর বলেন, আজ যারা এখানে এসেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে যদি মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়, জেলায় হলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ডেপুটেশন, জেলার বাইরে হলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে থানার ইট খুলে নেব।তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করে হুমায়ুন কবীর ঘোষণা করেন, মুর্শিদাবাদ থেকে তৃণমূলকে নিশ্চিহ্ন করে দেব।একই সঙ্গে বিজেপিকেও সতর্ক করে তিনি বলেন, বিধানসভা থেকে মুসলিম বিধায়কদের চ্যাদোলা করে বাইরে ফেলবে, এমন স্বপ্ন দেখবেন না। বিরোধী দলনেতাকেও আক্রমণ করে বলেন, ২০০টি আসনে প্রার্থী দিলে ১০০টি আসন জিতব, তার মধ্যে ২০ জন হিন্দু বিধায়ক থাকবেন।মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হুমায়ুন কবীর বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যদি আপনার সৎ সাহস থাকে, তাহলে আপনার প্রিয় চ্যানেলে বসুন, আমার মুখোমুখি। সেদিন বাংলার মানুষ দেখবে আপনার মিথ্যাচার।সভা শেষে তিনি আগামী দিনের কর্মসূচিও ঘোষণা করেন৪ জানুয়ারি: ডোমকল জনকল্যাণ মাঠে জনসভা৫ জানুয়ারি: হরিহরপাড়া এলাকার একটি মাঠে জনসভাএদিনের সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে বহু কর্মী-সমর্থক জে ইউ পি দলে যোগদান করেন, যা দলটির ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের ইঙ্গিত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজ্য

ভোটের আগে তৃণমূলে বড় ধাক্কা, আজ নতুন দল ঘোষণা হুমায়ুন কবিরের

বঙ্গ রাজ্য রাজনীতিতে আজ, সোমবার নয়া জল্পনা ও চমক। সাসপেন্ড তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর আগামিকাল মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গায় আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা করতে চলেছেন। বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে তাঁর এই পদক্ষেপ ঘিরে জেলা ও রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়েছে তীব্র আলোচনা।জানা গিয়েছে, বেলডাঙ্গায় আয়োজিত ওই জনসভা থেকেই নতুন দলের নাম, প্রতীক ও রাজনৈতিক রূপরেখা প্রকাশ করবেন হুমায়ুন কবির। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বের সঙ্গে মতবিরোধে জড়িয়েছিলেন। দলবিরোধী মন্তব্য ও কার্যকলাপের অভিযোগে তাঁকে দল সাসপেন্ড করে। সেই ঘটনার পর থেকেই আলাদা রাজনৈতিক পথ নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে আসছিলেন তিনি। পাশাপাশি নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা করবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছিলেন হুমায়ুন।হুমায়ুন কবিরের নতুন দলে কারা কারা যোগ দেবেন, তৃণমূল বা অন্য দল থেকে কোনও পরিচিত মুখ তাঁর সঙ্গে থাকবেন কি না, এই প্রশ্নগুলো ঘিরেই রাজনৈতিক মহলে কৌতূহল তুঙ্গে। বিশেষ করে মুর্শিদাবাদ জেলার রাজনীতিতে তাঁর প্রভাব বিবেচনা করলে, এই নতুন দলের আত্মপ্রকাশ স্থানীয় রাজনৈতিক সমীকরণে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্ব বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য না করলেও পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে বিজেপি ও অন্যান্য বিরোধী দলও হুমায়ুন কবিরের ঘোষণার দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখছে।গত ৬ ডিসেম্বর হুমায়ুন বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করেছেন। তারপর থেকে নতুন দল গঠনের জন্য প্রস্তুতি বৈঠকও সেরেছেন। ভোটের আগে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ কতটা প্রভাব ফেলতে পারে, তা অনেকটাই নির্ভর করবে হুমায়ুন কবিরের সংগঠিনক শক্তি ও জনসমর্থনের উপর। আগামিকালের বেলডাঙ্গার সভা থেকেই স্পষ্ট হবে, এই নতুন দল রাজ্য রাজনীতিতে কতটা তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। তবে বঙ্গ রাজনীতিতে ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনে নবাবের মুর্শিদাবাদ যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে তাঁর ঈঙ্গত রয়েছে।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজ্য

নরেন্দ্র মোদীর পর এবার রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ, ৩০ ডিসেম্বর বৈঠক করবেন নেতৃত্বের সঙ্গে

একদিন আগেই রাজ্যে এসেছিলেন বিজেপির পোস্টারবয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আগামী ৩০ডিসেম্বর বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে তিনি বৈঠক করবেন। ওই বৈঠকে আগামী ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের কৌশল রচনা করবেন। তারপর সাংবাদিক বৈঠক করবেন অমিত শাহ। যদিও তাঁর এই বঙ্গসফরকে পাত্তা দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁদের বক্তব্য, বাংলায় নরেন্দ্র মোদী হোক বা অমিত ষশাহ হোক, এঁরা কেউ এখানে বিজেপির জয় এনে দিতে পারবেন না। আগেও নির্বাচনের আগে বারে বারে এসেছেন এবারও আসবেন। তবে ব্যর্থ হবেন বলেই দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
রাজনীতি

বর্ধমানে পৌঁছল বিহারের ৫৫টি বাইক, উদ্দেশ্য ঘিরে তৃণমূল–বিজেপি সংঘাত তুঙ্গে

রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতির মধ্যেই পূর্ব বর্ধমানে শুরু হয়ে গেল রাজনৈতিক চাপানউতোর। শনিবার বিহারের নম্বর প্লেটযুক্ত ৫৫টি পুরনো মোটরবাইক বর্ধমান জেলা বিজেপি দলীয় অফিসের ঠিকানায় এসে পৌঁছানোকে ঘিরে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বাইকগুলি ট্রেন থেকে নামিয়ে বর্ধমান রেল স্টেশনের ইস্টার্ন রেলওয়ের পার্সেল অফিসের সামনে রাখা হয়।এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাস। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দলের একাধিক নেতা ও কর্মী। বর্ধমান রেল স্টেশনে পার্সেল অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে তৃণমূল। বাইকগুলির মালিকানা, পরিবহণ সংক্রান্ত নথি এবং কেন শুধুমাত্র বিজেপির বর্ধমান জেলা অফিসের ঠিকানায় এই বাইক পাঠানো হয়েছে। তা প্রকাশ্যে আনার দাবি তোলেন বিধায়ক।বিক্ষোভে অংশ নেওয়া তৃণমূল নেতাদের অভিযোগ, বিহারের রাজেন্দ্রনগর থেকে সুনীল গুপ্তা নামের এক ব্যক্তির নামে এই ৫৫টি বাইক পাঠানো হয়েছে। তাঁদের দাবি, বিধানসভা ভোটের আগে পরিকল্পিতভাবেই বাইকগুলি রাজ্যে ঢোকানো হচ্ছে। তৃণমূল নেতৃত্বের আশঙ্কা, আগামী দিনে এই বাইক ব্যবহার করে বাইরের লোকজন বা দুষ্কৃতীদের রাজ্যে ঢোকানোর চেষ্টা হতে পারে। জানা গিয়েছে, এই ৫৫টি নয়, ২৩ জেলা মিলিয়ে প্রায় ৬০০০ মোটর বাইক আসার কথা।বিধায়ক খোকন দাস স্পষ্ট ভাষায় জানান, এতগুলো বাইক বিহার থেকে কী উদ্দেশ্যে বাংলায় আনা হয়েছে, তা পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। ভোটের আগে এই বাইক ব্যবহার করে রাজ্যে অশান্তি ছড়ানোর পরিকল্পনা থাকতে পারে। একই সঙ্গে তিনি রেল ও জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেন। দলের বর্ধমান শহর সভাপতি তন্ময় সিংহ রায়ও বাইকগুলির সম্পূর্ণ তথ্য জনসমক্ষে আনার দাবি জানান। তাঁর বক্তব্য, রেল কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি জেলা ও রাজ্য প্রশাসনকে এই পরিবহণের বিস্তারিত জানাতে হবে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রয়োজনীয় নথি প্রকাশ না হলে বাইকগুলি পার্সেল অফিস থেকে ছাড়তে দেওয়া হবে না।অন্যদিকে, তৃণমূলের সব অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে বিজেপি। জেলা বিজেপি নেতা দেবজ্যোতি সিংহরায় বলেন, কিছুদিন আগেই বিহারে নির্বাচন হয়েছিল। সেই সময় দলীয় কর্মীদের কাজে ব্যবহারের জন্য এই বাইকগুলি ব্যবহার করা হয়েছিল। বিহারের ভোট শেষ হওয়ায় সেগুলি এখন পশ্চিমবঙ্গে আনা হয়েছে। তিনি আরও জানান, বর্ধমান জেলা বিজেপি অফিস রাঢ়বঙ্গ জোনের কেন্দ্রীয় অফিস হওয়ায় এখানকার ঠিকানাতেই বাইক পাঠানো হয়েছে। বিজেপির দাবি, প্রতি নির্বাচনের আগেই এভাবেই বাইক আনা হয় এবং বিষয়টি জেনেও তৃণমূল অহেতুক বিতর্ক তৈরি করছে। বাইক বিতর্কে প্রশাসনের ভূমিকা কী হয়, তা নিয়েই এখন রাজনৈতিক মহলে বাড়ছে কৌতূহল।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

এশিয়া কাপ ফাইনালে স্বপ্নভঙ্গ, দুবাইয়ে পাকিস্তানের কাছে লজ্জার হার ভারতের

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়ল ভারত। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৩৪৮ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আয়ুষ মাত্রের দল গুটিয়ে গেল মাত্র ১৫৬ রানে। ফলে ১৯১ রানের বড় ব্যবধানে হার স্বীকার করেই শিরোপা হাতছাড়া করতে হল টিম ইন্ডিয়াকে।টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। কিন্তু শুরু থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় পাকিস্তান। দলের হয়ে বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন সামির মিনহাস। মাত্র এক ইনিংসেই তিনি করে ফেলেন ১৭২ রান। উসমান খানের সঙ্গে ৯২ রানের এবং আহমেদ হুসেনের সঙ্গে ১৩৭ রানের দুটি বড় জুটিতে ভর করে দ্রুত ৩০০ রানের গণ্ডি পেরিয়ে যায় পাকিস্তান।বিশেষজ্ঞদের মতে, একসময় পাকিস্তানের ইনিংস ২৭০২৮০ রানের মধ্যেই থামতে পারত। কিন্তু মিনহাসের ব্যাটে ভর করেই ৪৩ ওভারের মধ্যেই ৩০০ ছুঁয়ে ফেলে তারা। পরে তাঁর আউট হওয়ার পর পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ে ধস নামে। ৩০২/৩ থেকে ৩২৭/৮ মাত্র ২৫ রানের মধ্যে পাঁচ উইকেট হারালেও ততক্ষণে ম্যাচ কার্যত একপেশে হয়ে গিয়েছিল।লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ভারতীয় ব্যাটিং সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ে। বৈভব সূর্যবংশী, আয়ুষ মাত্রে, অভিজ্ঞান কুণ্ডুর মতো পরিচিত নাম থাকলেও কেউই দায়িত্ব নিতে পারেননি। আশ্চর্যজনকভাবে দলের সর্বোচ্চ রান আসে ১০ নম্বর ব্যাটার দীপেশ দেবেন্দ্রনের ব্যাট থেকে। তিনি মাত্র ১৬ বলে ৩৬ রান করে লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিলেও তা যথেষ্ট ছিল না।এই হার যেন সাম্প্রতিক সিনিয়র দলের বিশ্বকাপ ফাইনালের স্মৃতি ফিরিয়ে আনল। সেবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে, এবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মঞ্চ ফাইনাল, ফলাফলও প্রায় একই রকম হতাশাজনক।উল্লেখযোগ্যভাবে, ফাইনালে ওঠার আগে টুর্নামেন্টে একমাত্র অপরাজিত দল ছিল ভারত অনূর্ধ্ব-১৯। গ্রুপ পর্বে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, মালয়েশিয়া ও পাকিস্তানকে হারিয়েছিল তারা। অন্যদিকে পাকিস্তান গ্রুপে ভারতের কাছেই একমাত্র হেরেছিল। কিন্তু ফাইনালের মঞ্চে সম্পূর্ণ ভিন্ন রূপে ধরা দেয় তারা। শেষ পর্যন্ত দুবাইয়ে দাপটের সঙ্গে জয় ছিনিয়ে নিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ নিজেদের ঝুলিতে ভরল পাকিস্তান। আর ফাইনালে বারবার হোঁচট খাওয়ার প্রবণতা নিয়ে বড় প্রশ্নচিহ্ন থেকে গেল ভারতীয় যুব দলের সামনে।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal