• ৬ পৌষ ১৪৩২, বুধবার ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Nandi

রাজ্য

Bar Council: রাজেশ বিন্দলের অপসারণের চেয়ে প্রধান বিচারপতিকে চিঠি রাজ্য বার কাউন্সিলের

কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta HC) ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির অপসারণ চেয়ে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ রাজ্য বার কাউন্সিলের। শীর্ষ আদালতের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি (CJI) এনভি রামানাকে চিঠি লিখলেন বার কাউন্সিলের সদস্যরা। তাঁদের আবেদন, একাধিক মামলার ক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষত রাজ্য সরকারের মামলাগুলির ক্ষেত্রে তা বেশি দেখা গিয়েছে বলে অভিযোগ। এই অবস্থায় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বদলের আবেদন রাজ্য বার কাউন্সিলের।আরও পড়ুনঃ জম্মু বিমানবন্দরে জোড়া বিস্ফোরণ, উপত্যকায় আতঙ্কসূত্রের খবর, এদিন চিঠিতে একের পর এক পয়েন্ট উল্লেখ করেছেন বার কাউন্সিলের সদস্যরা (Bar Council Of West Bengal)। তাতে একের পর এক নারদ (Narada case), নন্দীগ্রামের (Nandigram case) মতো রাজ্য সরকারের মামলাগুলিতে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ভূমিকা খুব একটা সন্তোষজনক নয়। এর সপক্ষেও তাঁরা যুক্তি সাজিয়েছেন। চিঠি পাঠনো হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানার কাছে। প্রসঙ্গত, নারদ মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টেও। গত সপ্তাহে তার শুনানিতে হাইকোর্টকে ভর্ৎসনা করে নতুন করে নির্দেশ দিয়েছেন শীর্ষ আদালত। সেসব প্রসঙ্গও উল্লেখ করা হয়েছে বার কাউন্সিলের চিঠিতে।সূত্রের খবর, মূলত নারদ মামলায় প্রধান বিচারপতির ভূমিকাতেই অসন্তোষ এবং সংশয় প্রকাশ করেছে রাজ্যের বার কাউন্সিল। বিশেষত যেভাবে ধৃত চার হেভিওয়েট নেতা, মন্ত্রীর জামিন সিবিআই আদালত মঞ্জুর করার পর হাইকোর্ট তার বিরোধিতা করে, মুখ্যমন্ত্রী এবং আইনমন্ত্রীর দায়ের করা হলফনামা গ্রহণ অরাজি হন, তাতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিরপেক্ষ, তা বলা যায় না। এমনই মনে করছেন রাজ্য বার কাউন্সিলের সদস্যরা। আর তাই তাঁর অপসারণ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে চিঠি পাঠানো হয়েছে রবিবার।

জুন ২৭, ২০২১
কলকাতা

Nandigram Case: নন্দীগ্রাম মামলার শুনানি শেষ, রায়দান স্থগিত

নন্দীগ্রাম মামলা অন্যত্র সরানো হবে কি না, তা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta HC) শুনানি শেষে আজ রায়দান হল না। বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চ থেকে মামলা অন্যত্র সরানোর আর্জি সংক্রান্ত আবেদনের শুনানির কোনও নিষ্পত্তি হয়নি। এদিনের মতো রায়দান স্থগিত রাখলেন বিচারপতি।আরও পড়ুনঃ রাজ্যে ১৭ জুলাই জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা এই মুহূর্তে দুটি মামলার শুনানি চলছে। প্রথমত, মামলাটি অন্য বিচারপতির বেঞ্চে স্থানান্তরের। দ্বিতীয়, নন্দীগ্রামের ভোট ফলাফলের পুনর্গণনার। তবে বৃহস্পতিবার প্রথম মামলার শুনানিই হয়েছে। দ্বিতীয় বিষয়টি ধরা হয়নি। নিয়ম অনুযায়ী, নির্বাচন সংক্রান্ত মামলায় মামলাকারীকে হাজির থাকতে হয়। তাই বৃহস্পতিবারের শুনানিতে ভার্চুয়ালি এজলাসে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে মুখ্যমন্ত্রীর হয়ে সওয়াল করেন রাজ্যসভার সাংসদ তথা আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। সূত্রের খবর, তিনি শুরুতেই বিচারপতির কাছে মামলা স্থানান্তরের আবেদনের পক্ষে কথা বলেন। তাঁর বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রীর তরফে একাধিকবার আবেদন করা সত্ত্বেও কেন মামলা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছেন না বিচারপতি কৌশিক চন্দ। তাতে বিচারপতি জানান, এই মামলা শুনতে তাঁর কোনও আপত্তি নেই।

জুন ২৪, ২০২১
কলকাতা

High Court: নন্দীগ্রাম মামলায় 'পক্ষপাতদুষ্ট' বিচারপতিকে সরানোর আবেদন মমতার

ভোটের লড়াই এখন পৌঁছে গিয়েছে সোজা হাইকোর্টে(High court)। নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) জয়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী করা মামলায় এ বার বিচারপতিকে নিয়ে প্রশ্ন উঠল। এবং যে বিচারপতির এজলাসে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে তা সরানোর আবেদন জানালেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী। বিচারপতি কৌশিক চন্দের (Kaushik Chanda) এজলাস থেকে মামলা সরানোর আবেজন জানিয়ে হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দালকে একটি চিঠি দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Bannerjee) আইনজীবী। এদিকে, নন্দীগ্রাম মামলা বিচারপতি চন্দের এজলাসে পাঠানোর প্রতিবাদে মুখে কালো মাস্ক এবং হাতে পোস্টার নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন আইনজীবীরা। পোস্টারে লেখা ছিল, বিচারব্যবস্থার সঙ্গে রাজনীতি করবেন না।বিচারপতি কৌশিক চন্দের ইতিহাস টেনে মমতা দাবি করেছেন, আইনজীবী থাকাকালীন কৌশিক চন্দ সক্রিয় বিজেপি কর্মী ছিলেন। তিনি এই মামলার বিচার করলে রায় পক্ষপাতদুষ্ট হতে পারে, এমন দাবি তোলা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর তরফে।ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিকে দেওয়া চিঠিতে মমতা মনে করিয়ে দিয়েছেন, কোনও আইনজীবী বিচারপতি হওয়ার সময় মুখ্যমন্ত্রীর সম্মতির প্রয়োজন হয়। কৌশিক চন্দ আইনজীবী থেকে বিচারপতির পদে উন্নীত হওয়ার সময় মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও এই বার্তা গিয়েছিল এবং সেই সময় তিনি আপত্তি তুলেছিলেন। যেহেতু কৌশিক চন্দ সক্রিয় বিজেপি সমর্থক ছিলেন তাই মুখ্যমন্ত্রীর তাঁকে বিচারপতির পদে উন্নীত করা নিয়ে আপত্তি ছিল।যদিও তারপর বিচারপতির পদে শপথ নেন কৌশিক চন্দ। ঠিক এখানেই মমতার প্রশ্ন, যেখানে স্পর্শকাতর মামলাটি খোদ একজন বিজেপি প্রার্থীর জয়ের বিরুদ্ধে, সেখানে এই বিচারপতি কী ভাবে মামলাটি শুনতে পারেন! তিনি শুনলেও রায় পক্ষপাতদুষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। প্রসঙ্গত, শুক্রবার মামলাটি এজলাসে উঠলে আইনজীবীদের একাংশও বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছিলেন। এ দিন দেখা যায়, যখন হাইকোর্টে মামলাটি দায়ের হয় সেদিনই আপত্তি তোলেন মমতা।

জুন ১৮, ২০২১
রাজনীতি

Nandigram: ভোট পুনর্গননার মমতার আবেদনের শুনানি পিছল

নন্দীগ্রামের (Nandigram) নির্বাচনী ফলাফল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দায়ের করা মামলার শুনানি আজ হল না কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta HC)। আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত শুনানি পিছিয়ে দিলেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ। সূত্রের খবর, আগামী বৃহস্পতিবার মামলার পূর্ণাঙ্গ শুনানি। তবে আজ মামলাটি গৃহীত হয়েছে।এর মধ্যে এই মামলায় যুক্ত সব পক্ষকে এখনও আবেদনের প্রতিলিপি পাঠানো হয়নি। সেই কাজও সম্পূর্ণ করতে হবে। অর্থাৎ শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)কাছেও মামলার নোটিস পাঠাতে হবে। বিচারপতি কৌশিক চন্দ জানিয়ে দেন, এই সব আইনি প্রক্রিয়ার জন্য এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হচ্ছে। আগামী বৃহস্পতিবার এই মামলার পূর্ণাঙ্গ শুনানি হবে। একুশের নির্বাচনে নন্দীগ্রাম থেকে লড়াইয়ে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজিত হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। গণনায় কারচুপির অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার সন্ধের পর হাইকোর্টে তিনি নিজেই মামলাটি দায়ের করেন। তা বিশেষ মামলা হিসেবে চিহ্নিত করে শুক্রবার দিনের শুরুতেই শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এদিন মামলাটি গ্রহণের পর শুনানি স্থগিত করে দিয়েছেন বিচারপতি।

জুন ১৮, ২০২১
রাজনীতি

এবার ভোট পরবর্তী হিংসা খতিয়ে দেখতে নন্দীগ্রাম যাচ্ছেন রাজ্যপাল

শাসকদলের সমালোচনায় দমছেন না রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। কোচবিহারের পর ভোটপরবর্তী হিংসার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে তিনি যাচ্ছেন রাজ্যের সবচেয়ে হেভিওয়েট কেন্দ্র নন্দীগ্রামে। এই কেন্দ্র থেকেই এবারের নির্বাচনে লড়াই করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর কাছে সামান্য ভোটের ব্যবধানে হারতে হয়েছে মমতাকে।রাজ্যে রাজনৈতিক হিংসায় আক্রান্তদের পাশে দাঁড়াতে গতকাল থেকেই জেলা সফর শুরু করেছেন রাজ্যপাল। বৃহস্পতিবার দিনভর অশান্ত কোচবিহারের বিভিন্ন জায়গা ঘুরেছেন জগদীপ ধনখড় । তাঁর সাংবিধানিক অধিকারের কথা মনে করিয়ে রাজ্যবাসীর সুরক্ষা কতটা, তা সরেজমিনে দেখেছেন। আজ আবার তিনি গিয়েছিলেন অসমে। অসমের ধুবুড়ি জেলার আগমনিতে যান তিনি। রাঙ্গাপালি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শরণার্থী শিবিরে আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলেন ৷ অভিযোগ, এই রাঙ্গাপালি প্রাথমিক বিদ্যালয়েই আশ্রয় নিয়েছেন কোচবিহারের বক্সিরহাট, তুফানগঞ্জ, ঝাউকুঠি এলাকার আক্রান্ত বিজেপি কর্মীরা৷ ধনখড় তাঁদের দ্রুত ঘরে ফেরানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কোচবিহার, অসমের পর শনিবারই তিনি যাবেন নন্দীগ্রাম। সকালেই বিএসএফের কপ্টারে নন্দীগ্রামে যাচ্ছেন তিনি। নন্দীগ্রাম বাজারে, বঙ্কিম মোড়, কেন্দামারিতে যাবেন রাজ্যপাল। এলাকা পরিদর্শনের পর জানকীনাথ মন্দির যাবেন রাজ্যপাল। সেখানে পুজো দিয়ে শনিবারই কলকাতা ফিরবেন তিনি। তাৎপর্যপূর্ণভাবে রাজ্যপালের সফরের একদিন আগে নন্দীগ্রামের বিরুলিয়া বাজারে কর্মীকে খুনের অভিযোগে মৌন মিছিল করেছে বিজেপি।এদিকে, রাজ্যপালের জেলা সফরের মধ্যেই ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর দাবি, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা রাজ্যে বহু মহিলার শ্লীলতাহানি করেছে। আধার কার্ড, ভোটার কার্ড সব নিয়ে নেওয়া হয়েছে। তৃণমূল নেতারা বিজেপি কর্মীদের রেশন নিতে দিচ্ছে না। পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, দুই বর্ধমানের অবস্থা মারাত্মক। ওডিশা, অসমে বহু মানুষ চলে গিয়েছেন প্রাণ বাঁচাতে। দিল্লি থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দল এসেও আক্রান্ত হচ্ছে। তপসিলি কমিশন এসেও আক্রান্ত হচ্ছেন। দিলীপের দাবি, রাজ্যের গণতান্ত্রিক পরিবেশ মোটেই সুখকর নয়।

মে ১৪, ২০২১
রাজনীতি

অনেক টানাপড়েনের পর নন্দীগ্রামে জয়ী শুভেন্দু অধিকারী

ভোটের ফল প্রকাশ পাওয়ার পর একেবারে শেষ লগ্নে এসেও ধোঁয়াশা কাটল না নন্দীগ্রাম নিয়ে। জেলার রিটার্নিং অফিসার অবশ্য শুভেন্দু অধিকারীকেই জয়ী ঘোষণা করেছেন। যার কিছুক্ষণ পরই রীতিমতো গণনার কাগজ প্রকাশ করে নিজেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে জয়ী ঘোষণা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।সাম্প্রতিক সময়ে যে যে নেতা তৃণমূল নেতা দলবদল করে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে একমাত্র শুভেন্দু অধিকারীই এ দিন সামান্য কিছু ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেন নন্দীগ্রামে। যদিও তাঁর জয়ের রাস্তাটা সহজ ছিল না। ভোটগণনা শুরু হওয়ার পর থেকে এগিয়েই ছিলেন শুভেন্দু। কিন্তু, কয়েক রাউন্ড ভোট গণনার পরই এগিয়ে যান মমতা। চলতে থাকে সাপ লুডোর খেলা। কখনও এগিয়ে যান শুভেন্দু, কখনও এগোতে থাকেন মমতা।এই প্রবণতা অব্যাহত ছিল শেষ রাউন্ড গণনা পর্যন্ত। বিকেলে সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১২০০ ভোটের ব্যবধানে নন্দীগ্রামে জিতেছেন মমতা। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই আবার বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, শুভেন্দু জিতেছেন নন্দীগ্রামে। কমিশনের পক্ষ থেকেও এমনটাই জানানো হয়। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়ে তৃণমূল। মমতা জানান যে তিনি আদালতে যাবেন। যা নিয়ে এখনও জলঘোলা অব্যাহত। পুর্নগণনার আবেদন জানিয়েছে শাসকদল।অন্যদিকে, কমিশনের তরফে জয়ী তকমা পাওয়ার পর শুভেন্দু টুইটে লেখেন, আমার ওপর বিশ্বাস এবং ভরসা রাখার জন্য নন্দীগ্রামের প্রতিটি মানুষকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এই জয় নন্দীগ্রামে প্রতিটি মানুষের জয়। আগামী দিনে নন্দীগ্রামের উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করাই আমার সংকল্প।

মে ০২, ২০২১
রাজ্য

করোনা কাড়ল আরও এক প্রার্থীর প্রাণ, প্রয়াত জঙ্গিপুরের প্রার্থী প্রদীপ নন্দী

নির্বাচনের মাঝে ফের করোনা প্রাণ কাড়ল আরও এক প্রার্থীর। মারণ ভাইরাসে মৃত্যু হল মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরের আরএসপি প্রার্থী প্রদীপ নন্দীর। শুক্রবারই কোভিড-১৯-এর সঙ্গে লড়াইয়ে হার মানেন তিনি। আগামী ২৬ এপ্রিল এই কেন্দ্রে ভোট হওয়ার কথা ছিল। এই আসনেই তৃণমূলের জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে প্রার্থী ছিলেন তিনি। ফলে এই কেন্দ্রেও স্থগিত হয়ে গেল নির্বাচন।পেশায় আইনজীবী ৭২ বছরের প্রদীপ নন্দী আরএসপির লোকাল সম্পাদক ছিলেন। প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর জ্বরে আক্রান্ত হন তিনি। তারপরই বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। শুক্রবার সন্ধে ৬টা ৫ মিনিট নাগাদ শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। আর এর জেরেই আপাতত স্থগিত হয়ে গেল সেই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া। প্রদীপ নন্দীর মৃত্যুতে স্বাভাবিকভাবেই শোকের ছায়া সংযুক্ত মোর্চা শিবিরে। এর আগে করোনা প্রাণ কেড়েছে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থী রেজাউল হকের। ২৬ এপ্রিল অর্থাৎ সপ্তম দফায় সামশেরগঞ্জ আসনে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। আপাতত তা স্থগিত রাখা হয়েছে। গোটা রাজ্যে রোজই লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা প্রতিদিনই অতীত রেকর্ড ভাঙছে। এমন পরিস্থিতিতে আট দফাতেই ভোট হবে বলে নিশ্চিত করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তবে এদিন নয়া নির্দেশিকা জারি করে কমিশন বলে দেয়, সন্ধে ৭টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত ভোট প্রচার করতে পারবে না কোনও দল। করোনা সংক্রমণ রুখতেই এই নয়া সিদ্ধান্ত কমিশনের। কিন্তু এরই মধ্যে দুই কেন্দ্রে ভোট স্থগিত হয়ে যাওয়ায় নতুন করে জটিলতা তৈরি হল। কীভাবে, কবে সেখানে ভোটগ্রহণ হবে, তা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

এপ্রিল ১৬, ২০২১
রাজ্য

দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে নজর কাড়ল নন্দীগ্রামই

দ্বিতীয় দফার ভোটের সারা দিনই ছিল ঘটনাবহুল। ভোটের দিন ঘড়ির কাঁটা যত এগিয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর, পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে উত্তেজনার পারদ চড়েছে। নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যেতে হয়েছে বুথে। শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়েও হামলা হয়েছে। ইটবৃষ্টিতে ভেঙেছে সংবাদমাধ্যমের গাড়ি। যদিও দ্বিতীয় দফায় বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণ ভাবেই ভোট শেষ হয়েছে বলে দাবি করল নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবার সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ৩০টি আসনে মোট ৮০.৪৩ শতাংশ ভোট পড়েছে। তার মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুরে ৮১.২৩, পশ্চিম মেদিনীপুরে ৭৮.০৫, বাঁকুড়ায় ৮২.৭৮ এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৭৯.৬৬ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) আরিজ আফতাব। চার জেলায় ৩০টি আসনে ভোট হলেও নজর কেড়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শুভেন্দু অধিকারীর দ্বৈরথ। গোলমালের আশঙ্কা আঁচ করে নন্দীগ্রামের ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল। সিল করে দেওয়া হয়েছিল গোটা এলাকা। দুই মেদিনীপুর জুড়েই ছিল কড়াকড়ি। কিন্তু তার পরেও গোলমাল আটকানো যায়নি। বয়ালে কার্যত সম্মুখসমরে দাঁড়িয়েছিলেন বিজেপি এবং তৃণমূলের সমর্থকেরা। আরিজ আফতাব সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, বিক্ষিপ্ত কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। দ্রুত পদক্ষেপও করেছে কমিশন। মোটের উপর ভোট শান্তিপূর্ণ ছিল। নন্দীগ্রামে বহু বুথে তাদের এজেন্ট বসতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল। বয়ালে তেমনই একটি অভিযোগ পেয়ে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পৌঁছন। সেখানে প্রায় দুঘণ্টা ছিলেন তিনি। কেন্দ্রীয় ও রাজ্যের বাহিনীকে আসরে নামতে হয়। বুথ থেকে বেরিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, কমিশন নিজের দায়িত্ব পালন করছে না। ব্যর্থ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে চলছে। কেন নির্বাচনের দিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জনসভা করছে়ন, তা নিয়েও সরব হন তৃণমূল সুপ্রিমো। ভোটের দিন পরিস্থিতি অবনতি এবং ব্যর্থতার জন্য তৃণমূল, সিপিএম-সহ বিরোধীদল কমিশনের দিকেই আঙুল তুলছে। যদিও ভোট পরিচালনা করতে কমিশন ব্যর্থ হয়েছে, তা মানতে নারাজ কর্তারা। সিইও স্পষ্টতই বলেন, অভিযোগ পেয়েই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ব্যর্থ হয়নি। ভোট শেষ হওয়ার পরেও বেশ কয়েকটি বুথ এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে।কমিশন জানিয়েছে, কেশপুরে মিডিয়া এবং বিজেপি প্রার্থীর গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কেশপুরে উত্তম দলুইয়ের মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত চলছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২, ১৪৩ ধারায় মামলাও হয়েছে।

এপ্রিল ০১, ২০২১
রাজ্য

ভোটের দিন সকালেই নন্দীগ্রামে আত্মঘাতী বিজেপি কর্মী

ভোটের দিন সকালে বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল নন্দীগ্রামের ভেকুটিয়ায়। অভিযোগ, বুধবার রাতে তৃণমূলের তরফে উদয়শংকর দেব নামে ওই ব্যক্তিকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। মৃতের পরিবারের দাবি, সেই আতঙ্কেই আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। যদিও অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই দাবি তৃণমূলের তরফে। জানা গিয়েছে, নন্দীগ্রামের পূর্ব ভেকুটিয়ার বাসিন্দা উদয়শংকর দেব। দীর্ঘদিন ধরেই বিজেপির সঙ্গে যুক্ত তিনি। সক্রিয় কর্মী হিসেবেই এলাকায় পরিচিত ছিলেন। অভিযোগ, সেই কারণেই বারবার তৃণমূলের হুমকির মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। রাস্তাঘাটে হেনস্তা করা হত তাঁকে। মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, বুধবার গভীর রাতে একদল তৃণমূল কর্মী তাঁদের বাড়িতে যান। অভিযোগ, ভোট দিতে গেলে তাঁদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই অত্যন্ত আতঙ্কে ভুগছিলেন উদয়শংকর। পরে বৃহস্পতিবার সকালে বাড়িতেই উদ্ধার হয় ওই ব্যক্তির দেহ। ভোটের দিন সকালে অধিকারীদের গড় নন্দীগ্রামে বিজেপি কর্মীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। তৃণমূলের হুমকির জেরেই আত্মঘাতী হয়েছেন উদয়শংকর, এই অভিযোগ তুলে পথে নামেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারির দাবিতে সরব হন তাঁরা। বলেন, তৃণমূল যেভাবে সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে তাতে আমাদের পক্ষে ভোট দিতে যাওয়া কার্যত অসম্ভব।পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত হবে।

এপ্রিল ০১, ২০২১
রাজ্য

সাতসকালে নন্দীগ্রামে ভোট দিলেন শুভেন্দু

এতদিন ছিলেন বিধায়ক। প্রথমবার নন্দীগ্রামের ভোটার হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার সাতসকালেই নন্দীগ্রামের নন্দনায়েকবাড়ের ৭৬ নং বুথে গিয়ে ভোট দিয়ে এসেছেন তিনি। এদিন সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ নন্দনায়েকবাড়ের ওই ভোটকেন্দ্র পৌঁছন বিজেপি প্রার্থী। এক দলীয় কর্মীর বাইকে চেপে ভোট দিতে আসেন তিনি। তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরাও আসেন বাইকে চেপেই। পরনে ছিল সাদা পাজামা-পাঞ্জাবী। গলায় গেরুয়া উত্তরীয়। বিজেপি প্রার্থী পৌঁছাতেই ওই ভোটকেন্দ্রের আশেপাশে জড়ো হন প্রচুর মানুষ। আশেপাশের বাড়ির ছাদে এবং বুথের বাইরেও মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। জমায়েতের পাশাপাশি বিজেপি কর্মীদের জয় শ্রীরাম স্লোগানের বহরও ছিল লক্ষনীয়। নন্দনায়েকবাড়ের এই বুথে মোট ভোটার মাত্র ৬০০ জন। স্বভাবিকভাবেই ভোটারদের ভিড় তেমন চোখে পড়েনি। তবে, শুভেন্দু অধিকারী বুথে আসতেই তাঁকে ঘিরে যে উন্মাদনা সৃষ্টি হয়, সেটা বেশ লক্ষনীয়। ভোট দিয়ে বেরিয়ে বিজেপি প্রার্থী দাবি করেন, এবারে উন্নয়ন জিতবে এবং তোষণ পরাস্ত হবে। তাঁর কথায়, সকাল থেকেই শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হচ্ছে। আমার তরফ থেকে তেমন কোনও অভিযোগ নেই। দুটি বুথে আমার এজেন্টদের বাধা দেওয়া হয়েছিল। তবে, সমস্যা মিটে গিয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হোক। নিয়ম মেনেই হোক। বিজেপি প্রার্থীর দাবি, সব বুথেই তাঁর নির্বাচনী এজেন্ট রয়েছে। তবে, অন্তত ৮০টি বুথে তৃণমূল এজেন্ট দিতে পারেনি। যদিও তৃণমূলের তরফে সেই অভিযোগ নাকচ করে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল নেতা স্বদেশ দাস সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, শুভেন্দু মিথ্যে বলে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন।

এপ্রিল ০১, ২০২১
রাজ্য

নজিরবিহীন নিরাপত্তায় আজ হাইভোল্টেজ ভোট নন্দীগ্রামে

আজ নন্দীগ্রামে হাইভোল্টেজ ভোট। ভোটগ্রহণের অনেক আগে থেকেই নন্দীগ্রাম জুড়ে টহল দিচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। রয়েছে মহিলা সিআরপিএফ-এর দল। বুধবারই নন্দীগ্রামে জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। বিকেল থেকেই মাইকে ঘোষণা শুরু করে দেয় পুলিশ। নন্দীগ্রামে ঢোকা ও বেরনোর প্রতিটি সীমানায় শুরু হয়েছে নাকা চেকিং। চলছে হেলিকপ্টারে নজরদারি। সব মিলিয়ে নন্দীগ্রাম কার্যত দুর্গের চেহারা নিয়েছে।এদিকে ভোটগ্রহণের কয়েক ঘণ্টা আগেই সিল করে দেওয়া হয় নন্দীগ্রাম। জলে এবং স্থলে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং রাজ্য পুলিশ দিয়ে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে নির্বাচন কমিশন। দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের আগে বেশ কিছু দিন ধরেই নন্দীগ্রাম এলাকায় বহিরাগত প্রবেশের অভিযোগ তুলে আসছিল তৃণমূল। বুধবার সন্ধ্যায় কার্যত সেই অভিযোগকে কার্যত মান্যতা দিয়েই বাড়তি নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়। যে ভাবে শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তায় মহিলা সিআরপিএফ নিয়োগ করা হয়েছে, একই ভাবে সংযুক্ত মোর্চা প্রার্থী মীনাক্ষীর নিরাপত্তাতেও জোর দেওয়া হয়েছে। বুধবার থেকেই তাঁর জন্য ৪ জন সশস্ত্র নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে।বুধবার পুর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক সুমিতা পাণ্ডে জানিয়েছেন, কোনও রকম ঝামেলা বরদাস্ত নয়। প্রতিটি ক্ষেত্রে সুরক্ষায় কোনও খামতি থাকছে না বলে তিনি জানান। সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী যে কোনও বুথ এলাকাতেই ১৪৪ ধারা জারি থাকে। কিন্তু নন্দীগ্রামের ক্ষেত্রে শুধু এটুকুই নয়, গোটা বিধানসভা এলাকাতেই ১৪৪ ধারা বজায় থাকবে। জেলাশাসক বলেন, এ বার নন্দীগ্রামে ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে, যা বুধ ও বৃহস্পতিবার বলবৎ থাকবে। পাশাপাশি অতি সংবেদনশীল বুথগুলিতে ৪ ধরনের নজরদারির ব্যবস্থা থাকবে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাশাপাশি বুথে থাকবে লাইভ ওয়েবকাস্টিং, সিসিটিভি, ভিডিওগ্রাফি এবং অবজার্ভার। এ ছাড়াও নন্দীগ্রামের ৫০ শতাংশ বুথে লাইভ ক্যামেরায় নজরদারি চলবে, যা তদারক করা হবে তমলুকের নিমতৌড়িতে জেলাশাসকের কার্যালয় থেকে।নন্দীগ্রামের মোট ভোটার সংখ্যা ২ লক্ষ ৫৭ হাজার ৯৯৯। তার মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লক্ষ ৩৩ হাজার ২৫৭। মহিলা ভোটারের সংখ্যা ১ লক্ষ ২৩ হাজার ৮৯৮। পূর্ব মেদিনীপুরের নিরাপত্তা আরও আটোসাঁটো করতে হলদিয়ায় পাঠানো হয়েছে আইপিএস অফিসার প্রবীণ ত্রিপাঠীকে। নন্দীগ্রামে থাকবেন গেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী। এ ছাড়াও নজিরবিহীন ভাবে সুন্দরবন অঞ্চলে ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফায় যে ৩০ কেন্দ্রে ভোট হবে, সেখানে ৫ হাজার ৫৩৫ বুথে ওয়েবকাস্টিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে, যাতে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ায় অনলাইন নজরদারি চালানো যায়। এ মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৭৩২, পূর্ব মেদিনীপুরে ১ হাজার ৬১১, পশ্চিম মেদিনীপুরে ১ হাজার ৮০২ আর বাঁকুড়াতে ১ হাজার ৩৯০টি বুথে ওয়েবকাস্টিংয়ের ব্যস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়াও ৩ হাজার ৪৯টি বুথে থাকছে সিসিটিভি ক্যামেরা। মাইক্রো অবজার্ভার থাকবে ১ হাজার ৯১৫টি বুথে। ২৮৬টি বুথে ভিডিয়ো ক্যামেরায় নজরবন্দি করা হবে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া। ইতিমধ্যেই ৬৩২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে ৩০ কেন্দ্রে। রাজ্যে এই মুহূর্তে ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে। আরও ২০০ কোম্পানি আসছে ৮ এপ্রিলের মধ্যে।শেষবার এমন নিরাপত্তার মধ্যে কবে ভোট দেখেছে নন্দীগ্রাম তা স্থানীয়রা বলতে পারছেন না। তাই এবার ভালোয় ভালোয় ভোট মিটলেই তারা খুশি।

এপ্রিল ০১, ২০২১
রাজ্য

নন্দীগ্রামে বহিরাগতদের ঢুকতে না দেওয়ার সতর্কবার্তা মমতার

পায়ে চোট নিয়েই প্রায় মাসখানেক ধরে হুইলচেয়ারে বসে নির্বাচনী প্রচার সারছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ১০ মার্চ নন্দীগ্রামে মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর মন্দির দর্শনে গিয়ে পায়ে আঘাত পান তিনি। হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর বিশ্রাম নেননি তেমন। হুইলচেয়ারকে সঙ্গী করেই বেরিয়ে পড়েছেন। ঘুরেফিরে আজ ফের নন্দীগ্রামে তৃণমূল সুপ্রিমো। টানা তিনদিন এখানেই রয়েছেন, একাধিক জায়গায় জনসভা করছেন। আর প্রায় প্রতিবারই ঘুরেফিরে আসছে তাঁর চোটের প্রসঙ্গ। মঙ্গলবার বাঁশুলিয়াচকের সভা থেকে নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থীর গলায় ফের শোনা গেল সেই কথা। বললেন, নন্দীগ্রামের মানুষকে দোষ দিই না। আমার পায়ে চোট করানো হয়েছে বহিরাগত গুন্ডাদের দিয়ে। এরপরই তাঁর বার্তা, সন্ধে ৬টার পর কাউকে ঢুকতে দেবেন না। এদিন তাঁকে দেখেই জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিতে শোনা যায়। এরপরই তিনি বহিরাগত গুন্ডাদের কথা বলেন। সোমবার নন্দীগ্রামের বয়াল-২র সভা থেকে মমতা নাম না করে তাঁর আঘাতের জন্য শুভেন্দু অধিকারীকে দায়ী করেছিলেন। বলেছিলেন, আমাকে মেরেছে। আমার পা জখম করেছে। তোমার নির্দেশ ছাড়া এটা হতে পারে না। নন্দীগ্রামের কেউ এই ঘটনা ঘটায়নি। বহিরাগত গুণ্ডাদের এনে এই কাণ্ড ঘটানো হয়েছে। আর এখন দলের লোকেদের মারছে। হাইভোল্টেজ কেন্দ্র নন্দীগ্রামে ভোটের আগে বহিরাগতদের আনাগোনা নিয়ে ইতিমধ্যেই কমিশনে গিয়েছে তৃণমূল। তাঁদের অভিযোগ, ভোটে অশান্তি তৈরির জন্য এসব ষড়যন্ত্র চলছে। এবার নন্দীগ্রামে অশান্তি রুখতে একজন প্রশাসনিক প্রধানের মতোই পরামর্শ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাইরের মানুষজনের আনাগোনা ভোটের দিন যে কতটা বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থির অবনতি হতে পারে, সর্বোপরি সাধারণ মানুষজন আতঙ্কিত হয়ে বাড়ি থেকে বেরনোর ঝুঁকিও না নিতে পারেন, এসব সম্ভাবনা বেশ টের পেয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এই পরিস্থিতিতে কিন্তু তিনি সজাগ, এক অভিভাবকের মতোই। তাই স্থানীয়দের প্রতি তাঁর সরাসরি বার্তা, বাইরের কাউকে আর ঢুকতে দেবেন না। শুধু ইনসাইডাররা থাকবেন, আর আমি থাকব। আমি ভোটার, আমাকে তো থাকতেই হবে। এই প্রসঙ্গেই তিনি আরও বলেন, আপনারা শান্ত থাকুন, কোনও অশান্তি করবেন না। কেউ অন্য়ায় করলে আমি আছি তো শাস্তি দেওয়ার জন্য। আসলে, নন্দীগ্রামে কতটা শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হবে, তা নিয়ে চিন্তায় সবমহলই।

মার্চ ৩০, ২০২১
রাজ্য

নন্দীগ্রামের প্রেস্টিজ ফাইটে জয় হবে শুভেন্দুর: আত্মবিশ্বাসী অমিত শাহ

রোড শো-এর পর রেয়াপাড়ার সাংবাদিক বৈঠক থেকে রাজ্যের নারী সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বলেন, নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাড়া নেওয়া বাড়ি থেকে ৫ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে এক মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মাঝে মধ্যেই নারী সুরক্ষা নিয়ে নানা কথা বলেন, কিন্তু আজ আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করতে চাইব, আপনার উপস্থিতিতেই নন্দীগ্রামে এক মহিলাকে ধর্ষণ করা হল। তাহলেই বুঝুন, পশ্চিমবঙ্গে নারী সুরক্ষা কোথায় দাঁড়িয়ে আছে। নন্দীগ্রামের জনসভা থেকে পাল্টা মন্তব্য করেন মমতাও। বলেন, একটা পরিকল্পনা আছে ওদের। নিজের দলের কোনও একটি মেয়েকে ওরা মারবে। বিহার, উত্তরপ্রদেশের গুন্ডাদের দিয়ে অত্যাচার করাবে। তারপর মারবে। মেরে বাংলার নামে দোষ দিয়ে হিন্দু-মুসলমান করবে। এটা ওদের পরিকল্পনা।দ্বিতীয় দফার ভোটের আগে আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে প্রচারের ঝড় তুলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে অমিত শাহ , শুভেন্দু অধিকারীরা। আক্রমণ পালটা আক্রমণে বাড়ছে প্রচারের উত্তাপ। কারণ নন্দীগ্রাম সবার কাছেই প্রেস্টিজ ফাইট। সেই নন্দীগ্রামের মাটি থেকে কোনও রকম রাখঢাক না করে সে কথাই বুঝিয়ে দিলেন অমিত শাহ। শুভেন্দুকে পাশে বসিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে শাহ বলেন, নন্দীগ্রামে পরিবর্তন হলেই বাংলায় পরিবর্তন আসবে।নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর সমর্থনে পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী রোড শো করেন শাহ। তার পর রোয়াপাড়া শিবমন্দিরে পুজো দিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। সাংবাদিক বৈঠক থেকে প্রত্যাশামতোই প্রধান প্রতিপক্ষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করলেন অমিত শাহ। নারী সুরক্ষা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বারাবরের দাবিকে কটাক্ষ করেন তিনি বলেন, নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে উপস্থিত। আর যে বাড়িতে মমতা দিদি রয়েছেন তার পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যেই এক মহিলা ধর্ষণের শিকার হলেন। তাই এই পরিস্থিতির পরিবর্তন প্রয়োজন। বাংলায় পরিবর্তন চাই। আর নন্দীগ্রামে দিদিকে হারালেই গোটা বাংলায় পরিবর্তন আসবে। নিমতায় বিজেপি সমর্থকের মায়ের মৃত্যুর ঘটনাও উল্লেখ করেন শাহ।

মার্চ ৩০, ২০২১
রাজ্য

আজ শুভেন্দু ও অভিষেক-গড়ে রোড শো অমিত শাহর

দ্বিতীয় দফার ভোটের শেষ দিনের পদ্ম-প্রচারের ঝড় তুলতে ফের বাংলায় অমিত শাহ। একই দিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্র নন্দীগ্রামের পাশাপাশি যুব তৃণমূল সভাপতি তথা ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গড়ে যাচ্ছেন তিনি। মঙ্গলবার পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ৩টি রোড-শো করার পরে তিনি সভা করবেন ডায়মন্ডহারবারে। প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় দফাতেই দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় ভোট শুরু হয়ে গেলেও ডায়মন্ডহারবার আসনে ভোট রয়েছে তৃতীয় দফায় ৬ এপ্রিল।বিজেপি সূত্রে অমিতের যে সফরসূচি জানা গিয়েছে তাতে, নন্দীগ্রামে তিনি রোড শো করবে দুপুর ১২টায়। সেখান থেকে চলে যাবেন পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরায়। রোড-শো শুরু হবে দুপুর দেড়টায়। এর পরে বিকেল ৩টের সময় পাঁশকুড়া পশ্চিম বিধানসভা এলাকায় রোড-শো করে অমিত চলে যাবেন ডায়মন্ডহারবারে। সূচি অনুযায়ী, সেখানে তাঁর সভা শুরু হবে বিকেলে সাড়ে ৪টের সময়। এই আসনে যুযুধান বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিজেপি শিবিরে নবাগত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। মমতা এখন নন্দীগ্রামেই রয়েছেন। তিনি নিজেই জানিয়েছেন, দ্বিতীয় দফার ভোট পর্যন্ত সেখানেই থাকবেন। সুতরাং, অমিতের রোড-শো চলার সময় নন্দীগ্রামেই থাকবেন মমতা। নন্দীগ্রামে প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে প্রচারের শেষবেলায় শুধু অমিত নন, মঙ্গলবার রোড-শো করবেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীও। বিজেপি-র পরিকল্পনা মতো অমিত ছাড়াও, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সভা করার কথা প্রতিটি জেলায়। কিন্তু ভিআইপি আসন নন্দীগ্রামের জন্য কার্যত ৩ জনই এলেন প্রচারে। মোদি কাঁথি শহরে সভা করলেও তার অনেকটাই ছিল নন্দীগ্রাম জয়ের লক্ষ্যে। পাশাপাশি যোগী নন্দীগ্রামের তেখালিতে সভা করে গিয়েছেন। এ বার আসছেন অমিত।

মার্চ ৩০, ২০২১
কলকাতা

কুটিল চিত্রনাট্য ছিল নন্দীগ্রামে, সরব তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী

বর্তমানের পরে এ বার প্রাক্তন। প্রায় দেড় দশক আগে নন্দীগ্রামে এবং সিঙ্গুরের জমি রক্ষা আন্দোলনের পিছনে কুটিল চিত্রনাট্যের অভিযোগ তুললেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। সিঙ্গুর এবং নন্দীগ্রামে জমি রক্ষা আন্দোলনের পিছনে চক্রান্ত, তার জেরে রাজ্যের যুবসমাজের কর্মসংস্থানের সুযোগ হাতছাড়া হওয়া নিয়ে সোমবার এ বিষয়ে একটি লিখিত বিবৃতি দিয়েছেন বুদ্ধ। তৃণমূল এবং বিজেপি-কে দুষে লিখেছেন, নন্দীগ্রাম, সিঙ্গুরে এখন শশ্মানের নীরবতা। সে সময়ের কুটিল চিত্রনাট্যের চক্রান্তকারীরা আজ দুভাগে বিভক্ত হয়ে পরস্পরের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি করছে। কর্মসংস্থানের সুযোগ হারিয়েছে বাংলার যুব সমাজ।পাশাপাশি, দেড় দশক আগে বামফ্রন্টের স্লোগানের প্রসঙ্গ তুলে বুদ্ধ লিখেছেন, বামফ্রন্ট সরকারের সময় থেকেই যে অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক ভাবনা আমরা রাজ্যের মানুষকে বলার চেষ্টা করেছি, তা হল কৃষি আমাদের ভিত্তি-শিল্প আমাদের ভবিষ্যৎ। আমরা সেই পথ ধরেই এগিয়েছি। ঘটনাচক্রে, নন্দীগ্রামের জমি রক্ষা আন্দোলনে পুলিশের গুলি চালানোর ঘটনা নিয়ে রবিবার রেয়াপাড়ায় তৃণমূলের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুষেছিলেন শিশির এবং শুভেন্দু অধিকারীকে। ২০০৭ সালের ১৪ মার্চ বাপ-ব্যাটার অনুমতি নিয়েই পুলিশ নন্দীগ্রামে অভিযান চালিয়েছিল বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি। এমনকী, হাওয়াই চটি-পরা পুলিশ ঢোকানোর দায়ও মমতা চাপিয়ে দেন তাঁদের ঘাড়ে। তবে স্থানের উল্লেখ করেও সরাসরি কাল এবং পাত্রের নাম না করেননি সে সময়ের পুলিশমন্ত্রী বুদ্ধ। ২০০৭ সালে ১৪ মার্চের পুলিশের গুলিতে ১৪ জনের মৃত্যু কিংবা নভেম্বরের সূর্যোদয় (নন্দীগ্রামে সিপিএমের পুনর্দখল) প্রসঙ্গ নিয়েও কিছু বলেননি। রবিবার মমতার মন্তব্যের পরেই নন্দীগ্রামে গুলিচালনার ঘটনা নিয়ে নেটমাধ্যমে প্রচারে নামে সিপিএম। তাদের বক্তব্য, তৎকালীন বিরোধী নেত্রী স্বীকার করে নিলেন যে, ওই ঘটনা তৃণমূলের চক্রান্ত ছিল! কারণ, শিশির-শুভেন্দু এবং মমতা তিনজনেই তখন বিরোধী তৃণমূলে ছিলেন। বুদ্ধ অবশ্য এর আগেও নন্দীগ্রামের ঘটনার (পুলিশি গুলিচালনা) পিছনে চক্রান্ত আছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন। পরবর্তী কালে নন্দীগ্রামে পুলিশি অভিযানে গ্রামবাসীদের মৃত্যু নিয়ে দুঃখপ্রকাশও করেছিলেন তৎকালীন পুলিশমন্ত্রী।

মার্চ ২৯, ২০২১
রাজ্য

‘তোমার নির্দেশ ছাড়া এটা ঘটেনি’, নাম না করে শুভেন্দুকে নিশানা মমতার

আর মাত্র দুদিন। তার পরই নন্দীগ্রামে নির্বাচন। সেই ভোটের প্রচারে এসে পায়ে চোট পেয়েছিলেন এই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । সেদিন তাঁর উপর হামলা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি। এবার সেই হামলার জন্য নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকেই দায়ী করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, তাঁর নির্দেশ ছাড়া এই ঘটনা ঘটতে পারে না।সোমবার নন্দীগ্রাম বিধানসভার অন্তর্গত বয়াল-২ এলাকায় প্রচার সভা ছিল মমতার। সেই সভার শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিলেন তৃণমূল নেত্রী। একসময়ে নিজের অনুগত সৈনিক শুভেন্দুর নাম না করেই তুলোধোনা করলেন তিনি। বললেন, আমাকে মেরেছে। আমার পা জখম করেছে। তোমার নির্দেশ ছাড়া এটা হতে পারে না। নন্দীগ্রামের কেউ এই ঘটনা ঘটায়নি। বহিরাগতদের এনে এই কাণ্ড ঘটিয়েছিল। আমাকে মেরেছে। আর এখন দলের লোকেদের মারছে। দলীয় কর্মীদের উপর হামলা প্রসঙ্গে নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা পুলিশের বিরুদ্ধেও তোপ দাগলেন মমতা। বললেন, অভিযোগ থাকার পরেও কেন অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করছেন না? কীসের জন্য পক্ষপাতিত্ব করছেন? এদিন বহিরাগত ইস্যুতেও নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থীকে তোপ দাগেন মমতা। বললেন, আমি এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। আমি বহিরাগত? তুমি তো কাঁথির ছেলে। কবে নন্দীগ্রামের ভূমিপুত্র হলে? এটা কবে তোমার জমি হল? আক্রমণের সুর চড়িয়ে মমতা বলেন, একসময় সিপিএমের দালালি করেছে। এখন বিজেপির দালালি করছে। এ প্রসঙ্গ ফের নন্দীগ্রামে পুলিশ প্রবেশ ইস্যু টেনে আনলেন মমতা। বললেন, সেদিন তোমাদের অনুমতি ছাড়া পুলিশ নন্দীগ্রামে ঢুকতে পারত না। সেদিনের সিপিএমের নবকুমার সামন্ত মানুষ খুন করেছে। আজ সে বিজেপিতে। আর আরেকজন ওর নেতা হয়েছে। সভার শেষে নন্দীগ্রামের মানুষকে গুন্ডামির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর ডাক দিলেন তৃণমূল নেত্রী। বললেন, নন্দীগ্রামের মানুষ কি ভয় পাচ্ছে? তাঁরা তো কোনওদিন গুন্ডামিকে ভয় পায় না। ওঁরা গুন্ডামি করলে আপনারা রুখে দাঁড়ান। পাল্টা তাড়া করুন।

মার্চ ২৯, ২০২১
কলকাতা

নন্দীগ্রামে ঘুরছে বহিরাগত গুন্ডারা, কমিশনে অভিযোগ দায়ের তৃণমূলের

নির্বাচনের আগে বহিরাগতরা রাজ্যে অশান্তির চেষ্টা করছে আর তা চলছে বিজেপির মদতে। বিভিন্ন জনসভা থেকে এই অভিযোগ করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের সভা থেকে তিনি বৃহস্পতিবার রাতে কাঁথির ঘটনার কথা উল্লেখ করে বলেন, কাল রাতে কাঁথি বাসস্ট্যান্ড থেকে উত্তরপ্রদেশের ৩০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওদের কাছে নাকি অস্ত্রও পাওয়া গিয়েছে। ওই মীরজাফররা ওদের এনেছে। কিন্তু এসব করে কোনও লাভ হবে না। নন্দীগ্রাম, কাঁথি কোথাও কোনও অশান্তি করতে দেব না। এবার এই ইস্যু নিয়েই প্রমাণ-সহ নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল তৃণমূল নেতৃত্ব। শনিবার ডেরেক ও ব্রায়েন, কাকলি ঘোষ দস্তিদাররা গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। স্পর্শকাতর জায়গায় অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েনের কথাও জানানো হয়।এদিন দুপুরে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়েরের পর বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, আমাদের কাছে খবর আছে, মেদিনীপুরের বিভিন্ন জায়গায় অশান্তি তৈরির চেষ্টা চলছে। এগরা, পটাশপুর, নন্দীগ্রামে নির্বাচনের দিন বহিরাগতরা এসে বাধানোর চেষ্টা করবে। মানুষের ভিড়ে মিশেই বহিরাগতরা নিজেদের কাজ করবে। তাই আমরা কমিশনে এসে বলেছি, যাতে সুষ্ঠুভাবে এসব জায়গায় ভোট হয়, তার ব্যবস্থা করতে। আগেও কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু সুরাহা হয়নি। আমাদের আশঙ্কা, বিজেপি সব বানচাল করে দিতে পারে।

মার্চ ২৬, ২০২১
রাজনীতি

নন্দীগ্রামে ভোটের দিন বাংলায় প্রচারে মোদি

আগামী ১ এপ্রিল নন্দীগ্রামে ভোটের ময়দানে যেদিন পরস্পরের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অবতীর্ণ হবেন যুযুধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-শুভেন্দু অধিকারী, সেদিনই নির্বাচনী প্রচারে বাংলায় থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওইদিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর এবং হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় দুটি নির্বাচনী সভা করবেন তিনি। প্রসঙ্গত, ওইদিনই প্রথম মোদি একইদিনে বাংলায় দুটি জনসভা করবেন। বিজেপি সূত্রের খবর, অসমে ভোট মিটে যাওয়ার পর বাংলায় দিনে তিনটি করে সভা করতে চাইছেন মোদি। ঘটনাচক্রে, তার আগেই শুক্র এবং শনিবার দুদিনের সফরে বাংলাদেশ যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। সেখানে মতুয়ামন জয়ের চেষ্টা করবেন তিনি। বৃহস্পতিবার জারি করা তাঁর সফরসূচি তেমনই বলছে। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে থাকবেন মতুয়াদের ঠাকুরবাড়ির সদস্য তথা বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর।ওয়াকিবহালরা মনে করছেন, পরিকল্পনা করেই প্রধানমন্ত্রী প্রচারে আসার জন্য এমন একটি দিন বেছেছেন, যেদিন সারা রাজ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আসনের নির্বাচন। বস্তুত, নন্দীগ্রাম আসনের ভোটের দিকে রাজ্য তো বটেই, তাকিয়ে রয়েছে গোটা দেশের রাজনৈতিক মহলও। নিজের কেন্দ্র ভবানীপুর ছেড়ে মমতা নন্দীগ্রামে ভোট লড়বেন বলে ঘোষণা করেছেন। অন্যদিকে, নন্দীগ্রাম আসনের বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু আগে থেকেই চ্যালেঞ্জ নিয়ে বসে রয়েছেন যে, মমতাকে অন্তত ৫০,০০০ ভোটে হারাতে না পারলে তিনি রাজনীতি করা ছেড়ে দেবেন! ফলে নন্দীগ্রাম নিয়ে সমস্ত মহলেই একটা কী হয়-কী হয় ভাব রয়েছে। প্রশাসনিক মহলের একাংশের মতে, নন্দীগ্রামে ভোটের দিন একদিকে তৃণমূল শিবিরের উপর বাড়তি চাপ তৈরির জন্য এবং অন্যদিকে, বিজেপি শিবিরের মনোবল বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী ওইদিন রাজ্যে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যদিও বিজেপি ওই তত্ত্ব উড়িয়ে দিচ্ছে। তাদের বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী প্রচারসূচি তৈরি হয়েছে একেবারেই প্রধানমন্ত্রীর সময়ের উপর ভিত্তি করে। এর সঙ্গে কোথায় কবে ভোট, তার কোনও সম্পর্ক নেই। এটা একেবারেই কাকতালীয় যে, প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী সভার দিনের সঙ্গে নন্দীগ্রামের ভোটের দিন মিলে গিয়েছে। এর মধ্যে অন্য কোনও অভিসন্ধি নেই। ভোট দেবেন মানুষ। তাঁদের সঙ্গে রাজ্যে প্রধানমন্ত্রীর থাকা বা না-থাকার কী সম্পর্ক!

মার্চ ২৬, ২০২১
রাজ্য

অপসারিত রাজ্যের নিরাপত্তা অধিকর্তা

নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আহত হওয়ার জের। অপসারিত রাজ্যের নিরাপত্তা অধিকর্তা বিবেক সহায়।পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক বিভু গোয়েল ও পুলিশ সুপারকেও সরানোর নির্দেশ দিল কমিশন। ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে স্থানীয় দুই থানার ওসি ও এডিএমের বিরুদ্ধে। গত বুধবার সন্ধেয় নন্দীগ্রামের বিরুলিয়ায় গিয়ে জখম হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পায়ে গুরুতর চোট পান তিনি। অসুস্থ অবস্থায় রাতেই কলকাতায় ফিরে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। দেড়দিন এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী জখম হওয়ার এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই রাজনীতির রং লেগেছিল। একাধিক অভিযোগ নিয়ে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তৃণমূলের প্রতিনিধিদল। অন্যদিকে পর্যাপ্ত তদন্তের দাবিতে কমিশনে যায় বিজেপি। এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জখম হওয়ার ঘটনায় মুখ্যসচিব ও সিইও-র কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়েছিল নির্বাচন কমিশন। একইসঙ্গে দুই বিশেষ পর্যবেক্ষককে নিজেদের মতামত জানানোর কথাও বলা হয়েছিল। তাঁদের রিপোর্ট নিয়ে রবিবার কমিশনের ফুলবেঞ্চ বৈঠকে বসে। ওই বৈঠকেই রাজ্যের নিরাপত্তা অধিকর্তা পদ থেকে বিবেক সহায়কে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জানা যাচ্ছে, কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগেই সরানো হচ্ছে তাঁকে। পাশাপাশি, সরানো হচ্ছে পূ্র্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক বিভু গোয়েলকে। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব পাচ্ছেন স্মৃতি পাণ্ডে। সরানো হচ্ছে পূ্র্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার প্রবীণ প্রকাশকে। তাঁর জায়গায় আসছেন সুনীলকুমার যাদব। সূত্রের খবর, আরও কয়েকজনের অপসারণের সম্ভাবনা রয়েছে। এই বদলি যথেষ্ট ইঙ্গিতবাহী বলে মনে করছে ওয়াকিবহলমহল।

মার্চ ১৪, ২০২১
কলকাতা

'আহত বাঘ আরও ভয়ঙ্কর', নন্দীগ্রাম দিবসে হুংকার মমতার

জীবনে অনেক আঘাত, লড়াই এসেছে। সেসব পেরিয়ে এসেছেন। এখনও শরীরে যন্ত্রণা। কিন্তু চক্রান্তের বিরুদ্ধে সেই যন্ত্রণা নিয়ে পথে বেরতেও কোনও ক্লান্তি নেই। আগাগোড়া লড়াকু নেত্রীর কাছ থেকে এই বার্তা প্রত্যাশিত ছিল। তবে রবিবারের দুপুরে হাজরা মোড়ের মিছিল শেষে হুইলচেয়ারে বসে থাকা নেত্রীর কিছুটা ক্লান্ত কণ্ঠে এসব কথা যেন ভোটের মুখে নতুন করে লড়াইয়ে উৎসাহ জোগাল দলের তৃণমূল কর্মী, সমর্থকদের। শহরবাসীকে সাক্ষী রেখে তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৃপ্ত শপথ, হুইলচেয়ারে, ভাঙা পায়েই গোটা বাংলা ঘুরে বেড়াব, খেলা হবে। আর তাতেই বাড়তি উদ্দীপনা তাঁর সঙ্গে থাকা প্রার্থী, দলীয় কর্মী, সমর্থকদের মধ্যে। বার্তা দিলেন চক্রান্তকারীদেরও।শুক্রবার সন্ধেবেলা বাড়ি ফিরেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। শনিবার বিশ্রাম নিয়ে রবিবারই ফের রাজপথে বেরিয়েছেন। নন্দীগ্রাম দিবসে মেয়ো রোড থেকে হাজরা মোড় পর্যন্ত তৃণমূলের মিছিলে হুইলচেয়ারে বসেই নেতৃত্ব দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর আহত নেত্রী মিছিল শেষে আরও দাঁতে দাঁত চেপে লড়াইয়ের ডাক দিয়েছেন তিনি।হাজরা মোড়ে মিছিল পৌঁছনোর পর তিনি বলেন, সকলকে অভিনন্দন। এমনিই ৫-৬ দিন নষ্ট হয়েছে। সোমবার থেকে পুরুলিয়া সফর দিয়ে শুরু করব প্রচার। এটুকুই বলব, জীবনে অনেক আঘাত, লড়াই পেরিয়েছি। চক্রান্ত যারা করছে আমার বিরুদ্ধে তাদের বলতে চাই, বেরতেই হবে আমাকে। সেই মনের জোর আপনাদের কাছ থেকে পেয়েছি। এই কদিন মা-মাটি-মানুষ যেভাবে উদ্বিগ্ন, তাতে আমি কৃতজ্ঞ। আমার যন্ত্রণা আছে। তবে শারীরিক যন্ত্রণার চেয়েও বড় হৃদয়ের যন্ত্রণা। আমি হেঁটে চলার লোক। তখন আমার মাথাও হাঁটে, হৃদয়ও হাঁটে। আঘাতের কালো দাগে ভর্তি আমার সারা শরীর। মনে রাখবেন, আহত বাঘ আরও ভয়ংকর।লক্ষ্য একটাই। স্বৈরাচারীদের হাত থেকে গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হবে। তার দায়িত্ব অনেক বেশি। হাজরা মোড়ে হুইলচেয়ারে বসে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমনই বললেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বলেন, অশুভ শক্তির বিনাশ হোক, শুভ শক্তির উদয় হোক। বাংলা ঘিরে যে চক্রান্ত, তা যেন নস্যাৎ হয়ে যায়।

মার্চ ১৪, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • ›

ট্রেন্ডিং

কলকাতা

বাংলাদেশে হিন্দু খুনের প্রতিবাদে উত্তাল কলকাতা, বাংলা হাইকমিশনের সামনে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের বিক্ষোভ, ধুন্ধুমার

কলকাতার রাজপথ উত্তপ্ত হয়ে উঠল মঙ্গলবার। বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের সামনে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের বিক্ষোভ ঘিরে চরম উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতেই পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এই ঘটনায় একাধিক বিক্ষোভকারী আহত এবং কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।বিক্ষোভকারীদের দাবি, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন-সহ একাধিক ইস্যুতে প্রতিবাদ জানাতেই এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সম্প্রতি দীপুচন্দ্র দাসকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে নৃংশস ভাবে হত্যা করে বাংলাদেশের মৌলবাদীরা। তাঁকে মারধর করে পোস্টে বেঁধে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তী বাংলাদেশ পুলিশ স্বীকার করে দীপু কোনওরকম সাম্প্রদায়িক কথা বলেনি। সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। এমনকী বাংলাদেশ পুলিশ তাঁকে না রক্ষা করে হত্যাকারীদের হাতে তুলে দেয় বলে অভিযোগ।বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর অত্য়াচারের প্রতিবাদেই এদিন সকাল থেকেই বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কর্মী-সমর্থকরা হাইকমিশনের সামনে জমায়েত হতে শুরু করেন। প্রথমদিকে পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। বেগবাগান এলাকায় একাধিক পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যায় বিক্ষোভকারীরা।পুলিশ সূত্রে খবর, বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ ব্যারিকেড ভেঙে হাইকমিশনের মূল গেটের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। বারবার মাইকে সতর্কবার্তা দিয়ে জমায়েত ছত্রভঙ্গ করার নির্দেশ দেওয়া হলেও তা অমান্য করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর ধস্তাধস্তি শুরু হলে পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।কূটনৈতিক স্থাপনার নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কায় পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এতে কয়েকজন বিক্ষোভকারী আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে একাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। লাঠিচার্জের পর পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ এবং মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত বাহিনী। সাময়িকভাবে যান চলাচলও ব্যাহত হয়।পুলিশ আধিকারিকদের দাবি, বিদেশি কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তা রক্ষা করা প্রশাসনের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে আরও অবনতি না ঘটে, সেই কারণেই কঠোর পদক্ষেপ নিতে হয়েছে। অন্যদিকে, বিক্ষোভকারী সংগঠনগুলির বক্তব্য, তাঁদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করা হয়েছে। পুলিশের লাঠিচার্জের নিন্দা জানিয়ে তাঁরা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

ডিসেম্বর ২৩, ২০২৫
রাজ্য

হাঁসখালি কাণ্ডে তৃণমূল নেতার ছেলে সহ তিনজনের যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা আদালতের

নদিয়ার হাঁসখালি গণধর্ষণ, খুন ও প্রমান লোপাটের ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ রায় ঘোষণা করে আদালত। গতকাল, সোমবার মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতা সহ মোট ৯ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। দোষ প্রমাণিত হওয়ার পর আজ রাণাঘাট আদালত অভিযুক্তদের সাজা ঘোষণা করে। মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার ছেলে ব্রজ গয়ালী, প্রভাকর পোদ্দার ও রঞ্জিত মল্লিক তিনজনকে যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করা হয়েছে। বাকিদের সাজাও ঘোষণা করেছে আদালত। তৎকালীন পঞ্চায়েত সদস্য সমরেন্দ্র গয়ালীর পাঁচ বছর কারবাসের সাজা হয়েছে।আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় অভিযুক্তদের প্রত্যক্ষ ভূমিকা, প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য এবং তদন্তকারী সংস্থার পেশ করা নথি ও তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতেই এই রায় দেওয়া হয়েছে। মামলায় সরকারি কৌঁসুলি সওয়ালে জানান, অভিযুক্তরা পরিকল্পিতভাবে অপরাধে যুক্ত ছিল এবং তা প্রমাণ করতে পর্যাপ্ত তথ্য আদালতের সামনে তুলে ধরা হয়েছে। পুলিশ প্রথমে গ্রেফতার করেছিল ২ জনকে। তারপর হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলার তদন্তভার হাতে যায় সিবিআইয়ের ওপর।রায় ঘোষণার সময় আদালত চত্বরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। রায় শোনার পর দোষী সাব্যস্ত হওয়া অভিযুক্তদের সংশোধনাগারে পাঠানো হয়। আদালতের এই সিদ্ধান্তে হাঁসখালি সহ গোটা নদিয়া জেলায় রাজনৈতিক মহলে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। এই মামলাকে ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক চলছিল। বিরোধী দলগুলির অভিযোগ ছিল, অভিযুক্তদের মধ্যে শাসকদলের নেতা থাকায় তদন্ত প্রক্রিয়ায় প্রভাব খাটানোর চেষ্টা হয়েছে। উচ্চতর আদালতে যাবেন বলে আসামী পক্ষের আইনজীবী জানিয়েছেন।

ডিসেম্বর ২৩, ২০২৫
রাজ্য

হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাস খু.নের ঘটনায় ১৩ জন দোষী সাব্যস্ত, রায় মঙ্গলবার

সামসেরগঞ্জের জাফরাবাদ গ্রামে হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাস খু.ন কাণ্ডে ধৃত ১৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করলো জঙ্গিপুর আদালত। চলতি বছর তাঁদের নৃশংস ভাবে খুন করা হয়। এই মামলা রায়দান করা হবে মঙ্গলবার। রায়ের দিকে নজর রয়েছে সাধারণ মানুষের।দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গিপুর আদালতে এই মামলার শুনানি চলে। ফরেনসিক রিপোর্ট, একাধিক সাক্ষী, পুলিশি তদন্ত রিপোর্ট এবং অন্যান্য তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীন আদালতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য উঠে আসে। যার ফলে মামলা গুরুত্বপূণ মোড় নেয়। চলতি বছরের ১২ ই এপ্রিল সামসেরগঞ্জের জাফরাবাদ গ্রামে খুন করা হয় হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাসকে। সেই সময় হিংত্মাক আন্দোলন চলছিল ওই মুর্শিদাবাদের এই এলাকায়। দীর্ঘ শুনানির পর অবশেষে জঙ্গিপুর আদালতে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে ১৩ জনকে। এদিন রায় ঘোষণা ও দোষী সাব্যস্ত করার ঘটনায় ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজনীতি

হুমায়ুন কবীরের নতুন দল ‘জেইপি’, মঞ্চ থেকেই একের পর এক হুঁশিয়ারি, ব্রিগেডে জনসভা জানুয়ারিতে

মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা খাগারুপাড়া মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করল হুমায়ুন কবীরের নতুন রাজনৈতিক দল জে ইউ পি (JUP)। দল গঠনের সঙ্গে সঙ্গেই সভাপতি হিসেবে নিজের নাম ঘোষণা করেন হুমায়ুন কবীর। সভার মঞ্চ থেকেই আগামী বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে একের পর এক বড় রাজনৈতিক ঘোষণা করেন তিনি।হুমায়ুন কবীর জানান, জেইউপি দলের হয়ে তিনি বেলডাঙা ও রেজিনগর, এই দুই বিধানসভা কেন্দ্রেই প্রার্থী হবেন এবং ৩০ হাজার ভোটে দুটি আসনেই জয়লাভ করবেন। পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ জেলার আরও ছয়টি বিধানসভা আসনে দলের প্রার্থী ঘোষণা করেন তিনি।সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি আক্রমণ করে হুমায়ুন কবীর বলেন, আপনি সাড়ে সাত লক্ষ কোটি টাকার ঋণের বোঝা বাংলার মানুষের মাথায় চাপিয়েছেন। এর জবাব ২০২৬ সালে বাংলার মানুষ দেবে।কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ব্রিগেডে সভা করব। ফিরহাদ হাকিম বেশি বাড়াবাড়ি করলে ব্রিগেড থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ নিয়ে মেয়র অফিস ঘেরাও করা হবে।সভায় উপস্থিত কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে হুমায়ুন কবীর বলেন, আজ যারা এখানে এসেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে যদি মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়, জেলায় হলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ডেপুটেশন, জেলার বাইরে হলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে থানার ইট খুলে নেব।তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করে হুমায়ুন কবীর ঘোষণা করেন, মুর্শিদাবাদ থেকে তৃণমূলকে নিশ্চিহ্ন করে দেব।একই সঙ্গে বিজেপিকেও সতর্ক করে তিনি বলেন, বিধানসভা থেকে মুসলিম বিধায়কদের চ্যাদোলা করে বাইরে ফেলবে, এমন স্বপ্ন দেখবেন না। বিরোধী দলনেতাকেও আক্রমণ করে বলেন, ২০০টি আসনে প্রার্থী দিলে ১০০টি আসন জিতব, তার মধ্যে ২০ জন হিন্দু বিধায়ক থাকবেন।মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হুমায়ুন কবীর বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যদি আপনার সৎ সাহস থাকে, তাহলে আপনার প্রিয় চ্যানেলে বসুন, আমার মুখোমুখি। সেদিন বাংলার মানুষ দেখবে আপনার মিথ্যাচার।সভা শেষে তিনি আগামী দিনের কর্মসূচিও ঘোষণা করেন৪ জানুয়ারি: ডোমকল জনকল্যাণ মাঠে জনসভা৫ জানুয়ারি: হরিহরপাড়া এলাকার একটি মাঠে জনসভাএদিনের সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে বহু কর্মী-সমর্থক জে ইউ পি দলে যোগদান করেন, যা দলটির ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের ইঙ্গিত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজ্য

ভোটের আগে তৃণমূলে বড় ধাক্কা, আজ নতুন দল ঘোষণা হুমায়ুন কবিরের

বঙ্গ রাজ্য রাজনীতিতে আজ, সোমবার নয়া জল্পনা ও চমক। সাসপেন্ড তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর আগামিকাল মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গায় আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা করতে চলেছেন। বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে তাঁর এই পদক্ষেপ ঘিরে জেলা ও রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়েছে তীব্র আলোচনা।জানা গিয়েছে, বেলডাঙ্গায় আয়োজিত ওই জনসভা থেকেই নতুন দলের নাম, প্রতীক ও রাজনৈতিক রূপরেখা প্রকাশ করবেন হুমায়ুন কবির। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বের সঙ্গে মতবিরোধে জড়িয়েছিলেন। দলবিরোধী মন্তব্য ও কার্যকলাপের অভিযোগে তাঁকে দল সাসপেন্ড করে। সেই ঘটনার পর থেকেই আলাদা রাজনৈতিক পথ নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে আসছিলেন তিনি। পাশাপাশি নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা করবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছিলেন হুমায়ুন।হুমায়ুন কবিরের নতুন দলে কারা কারা যোগ দেবেন, তৃণমূল বা অন্য দল থেকে কোনও পরিচিত মুখ তাঁর সঙ্গে থাকবেন কি না, এই প্রশ্নগুলো ঘিরেই রাজনৈতিক মহলে কৌতূহল তুঙ্গে। বিশেষ করে মুর্শিদাবাদ জেলার রাজনীতিতে তাঁর প্রভাব বিবেচনা করলে, এই নতুন দলের আত্মপ্রকাশ স্থানীয় রাজনৈতিক সমীকরণে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্ব বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য না করলেও পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে বিজেপি ও অন্যান্য বিরোধী দলও হুমায়ুন কবিরের ঘোষণার দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখছে।গত ৬ ডিসেম্বর হুমায়ুন বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করেছেন। তারপর থেকে নতুন দল গঠনের জন্য প্রস্তুতি বৈঠকও সেরেছেন। ভোটের আগে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ কতটা প্রভাব ফেলতে পারে, তা অনেকটাই নির্ভর করবে হুমায়ুন কবিরের সংগঠিনক শক্তি ও জনসমর্থনের উপর। আগামিকালের বেলডাঙ্গার সভা থেকেই স্পষ্ট হবে, এই নতুন দল রাজ্য রাজনীতিতে কতটা তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। তবে বঙ্গ রাজনীতিতে ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনে নবাবের মুর্শিদাবাদ যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে তাঁর ঈঙ্গত রয়েছে।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজ্য

নরেন্দ্র মোদীর পর এবার রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ, ৩০ ডিসেম্বর বৈঠক করবেন নেতৃত্বের সঙ্গে

একদিন আগেই রাজ্যে এসেছিলেন বিজেপির পোস্টারবয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আগামী ৩০ডিসেম্বর বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে তিনি বৈঠক করবেন। ওই বৈঠকে আগামী ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের কৌশল রচনা করবেন। তারপর সাংবাদিক বৈঠক করবেন অমিত শাহ। যদিও তাঁর এই বঙ্গসফরকে পাত্তা দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁদের বক্তব্য, বাংলায় নরেন্দ্র মোদী হোক বা অমিত ষশাহ হোক, এঁরা কেউ এখানে বিজেপির জয় এনে দিতে পারবেন না। আগেও নির্বাচনের আগে বারে বারে এসেছেন এবারও আসবেন। তবে ব্যর্থ হবেন বলেই দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
রাজনীতি

বর্ধমানে পৌঁছল বিহারের ৫৫টি বাইক, উদ্দেশ্য ঘিরে তৃণমূল–বিজেপি সংঘাত তুঙ্গে

রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতির মধ্যেই পূর্ব বর্ধমানে শুরু হয়ে গেল রাজনৈতিক চাপানউতোর। শনিবার বিহারের নম্বর প্লেটযুক্ত ৫৫টি পুরনো মোটরবাইক বর্ধমান জেলা বিজেপি দলীয় অফিসের ঠিকানায় এসে পৌঁছানোকে ঘিরে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বাইকগুলি ট্রেন থেকে নামিয়ে বর্ধমান রেল স্টেশনের ইস্টার্ন রেলওয়ের পার্সেল অফিসের সামনে রাখা হয়।এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাস। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দলের একাধিক নেতা ও কর্মী। বর্ধমান রেল স্টেশনে পার্সেল অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে তৃণমূল। বাইকগুলির মালিকানা, পরিবহণ সংক্রান্ত নথি এবং কেন শুধুমাত্র বিজেপির বর্ধমান জেলা অফিসের ঠিকানায় এই বাইক পাঠানো হয়েছে। তা প্রকাশ্যে আনার দাবি তোলেন বিধায়ক।বিক্ষোভে অংশ নেওয়া তৃণমূল নেতাদের অভিযোগ, বিহারের রাজেন্দ্রনগর থেকে সুনীল গুপ্তা নামের এক ব্যক্তির নামে এই ৫৫টি বাইক পাঠানো হয়েছে। তাঁদের দাবি, বিধানসভা ভোটের আগে পরিকল্পিতভাবেই বাইকগুলি রাজ্যে ঢোকানো হচ্ছে। তৃণমূল নেতৃত্বের আশঙ্কা, আগামী দিনে এই বাইক ব্যবহার করে বাইরের লোকজন বা দুষ্কৃতীদের রাজ্যে ঢোকানোর চেষ্টা হতে পারে। জানা গিয়েছে, এই ৫৫টি নয়, ২৩ জেলা মিলিয়ে প্রায় ৬০০০ মোটর বাইক আসার কথা।বিধায়ক খোকন দাস স্পষ্ট ভাষায় জানান, এতগুলো বাইক বিহার থেকে কী উদ্দেশ্যে বাংলায় আনা হয়েছে, তা পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। ভোটের আগে এই বাইক ব্যবহার করে রাজ্যে অশান্তি ছড়ানোর পরিকল্পনা থাকতে পারে। একই সঙ্গে তিনি রেল ও জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেন। দলের বর্ধমান শহর সভাপতি তন্ময় সিংহ রায়ও বাইকগুলির সম্পূর্ণ তথ্য জনসমক্ষে আনার দাবি জানান। তাঁর বক্তব্য, রেল কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি জেলা ও রাজ্য প্রশাসনকে এই পরিবহণের বিস্তারিত জানাতে হবে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রয়োজনীয় নথি প্রকাশ না হলে বাইকগুলি পার্সেল অফিস থেকে ছাড়তে দেওয়া হবে না।অন্যদিকে, তৃণমূলের সব অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে বিজেপি। জেলা বিজেপি নেতা দেবজ্যোতি সিংহরায় বলেন, কিছুদিন আগেই বিহারে নির্বাচন হয়েছিল। সেই সময় দলীয় কর্মীদের কাজে ব্যবহারের জন্য এই বাইকগুলি ব্যবহার করা হয়েছিল। বিহারের ভোট শেষ হওয়ায় সেগুলি এখন পশ্চিমবঙ্গে আনা হয়েছে। তিনি আরও জানান, বর্ধমান জেলা বিজেপি অফিস রাঢ়বঙ্গ জোনের কেন্দ্রীয় অফিস হওয়ায় এখানকার ঠিকানাতেই বাইক পাঠানো হয়েছে। বিজেপির দাবি, প্রতি নির্বাচনের আগেই এভাবেই বাইক আনা হয় এবং বিষয়টি জেনেও তৃণমূল অহেতুক বিতর্ক তৈরি করছে। বাইক বিতর্কে প্রশাসনের ভূমিকা কী হয়, তা নিয়েই এখন রাজনৈতিক মহলে বাড়ছে কৌতূহল।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

এশিয়া কাপ ফাইনালে স্বপ্নভঙ্গ, দুবাইয়ে পাকিস্তানের কাছে লজ্জার হার ভারতের

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়ল ভারত। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৩৪৮ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আয়ুষ মাত্রের দল গুটিয়ে গেল মাত্র ১৫৬ রানে। ফলে ১৯১ রানের বড় ব্যবধানে হার স্বীকার করেই শিরোপা হাতছাড়া করতে হল টিম ইন্ডিয়াকে।টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। কিন্তু শুরু থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় পাকিস্তান। দলের হয়ে বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন সামির মিনহাস। মাত্র এক ইনিংসেই তিনি করে ফেলেন ১৭২ রান। উসমান খানের সঙ্গে ৯২ রানের এবং আহমেদ হুসেনের সঙ্গে ১৩৭ রানের দুটি বড় জুটিতে ভর করে দ্রুত ৩০০ রানের গণ্ডি পেরিয়ে যায় পাকিস্তান।বিশেষজ্ঞদের মতে, একসময় পাকিস্তানের ইনিংস ২৭০২৮০ রানের মধ্যেই থামতে পারত। কিন্তু মিনহাসের ব্যাটে ভর করেই ৪৩ ওভারের মধ্যেই ৩০০ ছুঁয়ে ফেলে তারা। পরে তাঁর আউট হওয়ার পর পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ে ধস নামে। ৩০২/৩ থেকে ৩২৭/৮ মাত্র ২৫ রানের মধ্যে পাঁচ উইকেট হারালেও ততক্ষণে ম্যাচ কার্যত একপেশে হয়ে গিয়েছিল।লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ভারতীয় ব্যাটিং সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ে। বৈভব সূর্যবংশী, আয়ুষ মাত্রে, অভিজ্ঞান কুণ্ডুর মতো পরিচিত নাম থাকলেও কেউই দায়িত্ব নিতে পারেননি। আশ্চর্যজনকভাবে দলের সর্বোচ্চ রান আসে ১০ নম্বর ব্যাটার দীপেশ দেবেন্দ্রনের ব্যাট থেকে। তিনি মাত্র ১৬ বলে ৩৬ রান করে লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিলেও তা যথেষ্ট ছিল না।এই হার যেন সাম্প্রতিক সিনিয়র দলের বিশ্বকাপ ফাইনালের স্মৃতি ফিরিয়ে আনল। সেবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে, এবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মঞ্চ ফাইনাল, ফলাফলও প্রায় একই রকম হতাশাজনক।উল্লেখযোগ্যভাবে, ফাইনালে ওঠার আগে টুর্নামেন্টে একমাত্র অপরাজিত দল ছিল ভারত অনূর্ধ্ব-১৯। গ্রুপ পর্বে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, মালয়েশিয়া ও পাকিস্তানকে হারিয়েছিল তারা। অন্যদিকে পাকিস্তান গ্রুপে ভারতের কাছেই একমাত্র হেরেছিল। কিন্তু ফাইনালের মঞ্চে সম্পূর্ণ ভিন্ন রূপে ধরা দেয় তারা। শেষ পর্যন্ত দুবাইয়ে দাপটের সঙ্গে জয় ছিনিয়ে নিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ নিজেদের ঝুলিতে ভরল পাকিস্তান। আর ফাইনালে বারবার হোঁচট খাওয়ার প্রবণতা নিয়ে বড় প্রশ্নচিহ্ন থেকে গেল ভারতীয় যুব দলের সামনে।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal