• ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, রবিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Jalpaiguri

রাজ্য

এসআইআর আতঙ্কে ফের মৃত্যু! ভোটার লিস্টে নাম থেকেও আত্মঘাতী জলপাইগুড়ির কমলা রায়

রাজ্যজুড়ে চলছে এসআইআর প্রক্রিয়া। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফর্ম বিলি করছেন বিএলওরা। আর এই সময়েই ফের আতঙ্কের ছায়া জলপাইগুড়িতে। অভিযোগ, এসআইআর-এর ভয়ে আত্মঘাতী হলেন এক মহিলাকমলা রায়। বয়স ৫৩। বাড়ি বাংলাদেশের সীমান্তঘেঁষা জলপাইগুড়ির সাতকুড়ায়। তাঁর পরিবার সরাসরি দাবি করেছে, বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হতে পারেএই আশঙ্কা দিন দিন বাড়ছিল। সেই আতঙ্কই শেষ পর্যন্ত ওঁকে গ্রাস করল।পরিবার জানিয়েছে, প্রায় ৪০ বছর আগে কমলা রায় বাংলাদেশ থেকে ভারতে চলে আসেন। তারপর থেকেই সাতকুড়া এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করতেন। তাদের বক্তব্য, কমলার নাম ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় ছিল। আধার কার্ড, ভোটার কার্ডসব বৈধ নথিই ছিল তাঁর হাতে। কিন্তু তবুও তিনি ক্রমশ মনে ভয় জমাচ্ছিলেনএসআইআর কতটা প্রভাব ফেলতে পারে, তাঁকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে কি না, এই আশঙ্কাতেই নাকি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। অভিযোগ, সেই আতঙ্ক থেকেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন কমলা।ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য ও শাসক দলের নেতৃত্ব ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের দাবি, এসআইআর শুরু হওয়ার পর থেকেই কমলা রায় আতঙ্কে ছিলেন। এই ভয়ই তাঁকে দুর্বল করে দেয়। আমরা সবরকমভাবে পরিবারের পাশে থাকব।পুলিশ ইতিমধ্যেই দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। তদন্ত চলছে মানসিক চাপে এই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কারণ খুঁজে বের করতে।উল্লেখ্য, এর মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগেই জলপাইগুড়ির আমবাড়িতে একইভাবে আত্মঘাতী হন ভুবনচন্দ্র রায় নামে এক প্রৌঢ়। তাঁর অভিযোগ ছিল, পরিবারের অন্য সবার ফর্ম এসআইআর-এ পৌঁছালেও তাঁর মেয়ের ফর্ম আসেনি। সেই আতঙ্কেই চরম পথ বেছে নিয়েছিলেন তিনি। পরপর দুই মৃত্যুতে জেলায় এসআইআর নিয়ে অস্বস্তি আরও বেড়েছে।

নভেম্বর ১৫, ২০২৫
রাজ্য

নীলবাতি লাগানো গাড়ি, সরকারি পরিচয়—এরপর মরদেহ! স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুন রহস্যে বিডিও-এর নাম

রাজগঞ্জের বিডিও-র নাম জড়িয়ে রীতিমতো শোরগোল! দক্ষিণবঙ্গের নিউ টাউনের যাত্রাগাছিতে প্রকাশ্যে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে অপহরণের পর খুনের অভিযোগে চাঞ্চল্য। নিহত ব্যবসায়ী স্বপন কামিলামেদিনীপুরের বাসিন্দা, থাকতেন দত্তাবাদে। পরিবার জানিয়েছে, ২৮ অক্টোবর দত্তাবাদের দোকান থেকে স্বপনকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। সঙ্গে ছিলেন আর এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী, গোবিন্দ বাগ। সেই রাতেই গোবিন্দকে ফেলে দিলেও স্বপন আর ফেরেননি।পরের দিনই পরিবারের সামনে আসে ভয়াবহ সত্যি। যাত্রাগাছির বাগজোলা খালপাড়ের ঝোপে মিলল ক্ষতবিক্ষত দেহ। ছবি দেখে চিনে ফেললেন পরিবারের সদস্যরা। অভিযোগ উঠলএই নৃশংস অপরাধের পিছনে রয়েছেন জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ ব্লকের বিডিও প্রশান্ত বর্মন! অভিযোগপত্রে স্পষ্ট বলা হয়েছে, সরকারি গাড়ির মতো দেখতে নীলবাতি লাগানো গাড়িতে করে এসেছিলেন প্রশান্ত। নিজেকে বিডিও দাবি করে দোকান থেকে দুজনকে তুলে নিয়ে যান তিনি ও তাঁর সঙ্গীরা।স্বপনের পরিবার জানায়, কয়েক দিন আগে প্রশান্ত নাকি সোনার চুরি নিয়ে দোকানে এসেছিলেন। দাবি করেছিলেন, তাঁর বাড়ির চুরি হওয়া অলঙ্কার ওই দোকানে এসেছে। সিসিটিভি ফুটেজ ও সোনা নিয়ে যাওয়ার পরই ঘটে অপহরণখুনের ঘটনা। আরও জানা গিয়েছে, এর আগে ওডিশায় স্বপনের শ্বশুরের অসুস্থতার সময়ে তাঁর গ্রামেও গিয়েছিলেন কিছু সন্দেহভাজন লোক।৩১ অক্টোবর থানায় অভিযোগ দায়ের হলেও অভিযুক্ত বিডিওর বিরুদ্ধে কোনও দৃশ্যমান পদক্ষেপ হয়নি বলে ক্ষোভ পরিবারের। রাজগঞ্জ প্রশাসনেই এখন চাপানউতোর। সাংবাদিকদের ফোন ধরতে চাননি অভিযুক্ত বিডিও। পুলিশ জানিয়েছেতদন্ত শুরু হয়েছে।এই ঘটনায় শুধু পরিবার নয়, আতঙ্কে ব্যবসায়ী মহলও। সরকারি দফতরের উপর আঙুল উঠতেই প্রশ্নআইনরক্ষকই যদি অভিযুক্ত হন, তবে ন্যায় কে দেবে?

নভেম্বর ০৫, ২০২৫
রাজ্য

ঘুম ভাঙতেই ‘ঘুমন্ত বুদ্ধ’! জলপাইগুড়িতে ক্যানভাস ভরা সাদা পাহাড়

শীতের আগমনী সুরের সঙ্গে সঙ্গে প্রকৃতি যেন বিশেষ উপহার দিল উত্তরবঙ্গকে। মঙ্গলবার ভোরে জলপাইগুড়ি শহরের আকাশ হঠাৎই খুলে গেলে দূরে স্পষ্ট হয়ে উঠল বরফঢাকা মহিমান্বিত কাঞ্চনজঙ্ঘা। কার্তিক মাসের সকালে চোখ খুলতেই সামনে ঘুমন্ত বুদ্ধএ দৃশ্য দেখে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়লেন শহরবাসী। নীল আকাশের ক্যানভাসে রূপালী পাহাড়ের শৃঙ্গ, আর তার নিচে শান্ত শহরএ যেন স্বপ্ন।এ বছর সেপ্টেম্বর মাসের ১ তারিখ এবং ২৬ সেপ্টেম্বর এই বিরল দৃশ্য উপহার পেয়েছিলেন জলপাইগুড়িবাসী। বহুদিনের অপেক্ষার পর ফের মিলল সেই সৌভাগ্যশহরের দুয়ারে এসে দাঁড়াল হিমালয়ের তুষারশোভিত চূড়া। করলা সেতু, তিস্তা পার, স্পোর্টস কমপ্লেক্স, রেলস্টেশনশহরের নানা জায়গা থেকে দেখা গেল পরিষ্কার পাহাড়শ্রেণি। প্রাতঃভ্রমণকারী থেকে অফিসগামীযাঁরা সকালেই বাইরে ছিলেন, সকলেই কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে সেই সৌন্দর্য উপভোগ করলেন। হাতে থাকা মোবাইল ক্যামেরায় মুহূর্ত জমা পড়ল চিরকালের স্মৃতি হয়ে।জলপাইগুড়ির মিমি চক্রবর্তী বলেন, প্রতিদিন হাঁটতে বেরোই, কিন্তু আজকের সকালটা অন্যরকম। দূরে সেই তুষারআচ্ছাদিত শৃঙ্গ দেখে হৃদয় ভরে গেল। মনে হল, যেন আমাদের শহরেই পাহাড় নেমে এসেছে। আরেক বাসিন্দা গোপাল দে বলেন, এটা যেন বাড়তি প্রাপ্তি। ফুল রেঞ্জ দেখা যাচ্ছে। এমন সকাল বারবার আসে না।গত কদিন আগেই শিলিগুড়িতে দেখা গিয়েছিল একই সৌন্দর্যঅলৌকিক সাদা পাহাড় ভেসে উঠেছিল শহরের ওপরে। উত্তরবঙ্গের আকাশ পরিষ্কার হওয়া, হালকা ঠান্ডা হাওয়া আর দূরের পাহাড়সব মিলিয়ে এবার সত্যিই এল শীতের বার্তা। প্রকৃতি যেন বলে দিলআর অপেক্ষা নয়, শীত আসছে ধীরে ধীরে।

নভেম্বর ০৪, ২০২৫
রাজ্য

বিজেপি বিধায়ক'কে বাধা দেওয়ার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে।

শিলিগুড়ির মহানন্দা গার্লস স্কুলের ভোট গ্রহণ কেন্দ্রের সামনে বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়কে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। তাঁর গাড়ি আটকানো হয় বলেও অভিযোগ। মুহূর্তেই তপ্ত হয়ে যায় এলাকা। পুলিশ ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে রীতিমতো ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। চলতে থাকে ধস্তাধস্তি। তবে বিধায়ককে বুথে ঢুকতে দেখা যায়নি। তবে, বুথের ২০০ মিটারের মধ্যে যেতেই বাধা দেয় পুলিশ। পুলিশি বাধা পেয়ে ওই জায়াগাতেই অনুগামীদের নিয়ে বসে পড়েন বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়। পুলিশ তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে যেতে চাইলে আরও ঘোরাল হয় পরিস্থিতি। বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে বচসা শুরু হয়ে যায় পুলিশের।

এপ্রিল ১৯, ২০২৪
রাজ্য

কিছু সময়ের ঝড়ে লন্ডভন্ড জলপাইগুড়ি, মৃত ৪

মাত্র ১৫ মিনিটের কালবৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেল জলপাইগুড়ি। এই দুর্যোগে অন্তত চারজনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়েছেন। বহু বড়, ছোট গাছ উপড়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অসংখ্য বাড়ি। জেলাজুড়ে অনেক জায়গাতেই কম-বেশি ঝড়ের তাণ্ডব চললেও সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে জলপাইগুড়ি শহর ও ময়নাগুড়ির বার্নিশ এলাকায়। জানা গিয়েছে, মৃতরা হলেন জলপাইগুড়ির সেনপাড়ার দিজেন্দ্র নারায়ণ সরকার (৫২), পাহাড়পুরের অনিমা বর্মন (৪৫), ময়নাগুড়ির পুটিমারির জগেন রায় (৭২) এবং ময়নাগুড়ির রাজারহাটের সমর রায় (৬৪)। আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটার বেশ কিছু গ্রামে রীতিমতো তান্ডব চালিয়েছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ।এদিকে, বিকেলে ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে মেখলিগঞ্জের রানিরহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকা। চ্যাংড়াবান্ধা গ্রাম পঞ্চায়েতের খেতাবেচা ও চৌরঙ্গী এলাকাতেও অনেকটা ক্ষতি হয়েছে। বড় বড় শিল পড়ে অনেক বাড়ির টিনের চালা ফুটো হয়ে গিয়েছে।উত্তরবঙ্গে আগামী দু-তিনদিন বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হবে বলে পূর্বাভাস আগেই দিয়েছিল আবহাওয়া দপ্তর। উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় এদিন বৃষ্টি হয়। বিকেল নাগাদ জলপাইগুড়ি জেলার একাধিক জায়গায় ঝড় শুরু হয়। কিছুক্ষণের ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে যায় বেশ কিছু এলাকা।আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, উত্তরবঙ্গে দার্জিলিংয়ের পার্বত্য এলাকায় হালকা তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী দু-তিনদিন এই পরিস্থিতি হতে পারে। মূলত বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে বইবে ঝোড়ো হাওয়া। কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলায় বৃষ্টি বেশি হওয়ার সম্ভাবনা। তুলনায় কম বৃষ্টি হবে জলপাইগুড়ি ও কালিম্পংয়ে। মঙ্গলবার বেশি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা কালিম্পং এবং জলপাইগুড়ি জেলায়। বিক্ষিপ্তভাবে হালকা বৃষ্টি হতে পারে কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলায়।

মার্চ ৩১, ২০২৪
রাজ্য

বিসর্জনে ভয়াবহ দুর্ঘটনা-জলপাইগুড়ির মাল নদীতে হরপা বানে মৃত ৮, উদ্বেগ প্রধানমন্ত্রীর

বিজয়াতে ঘোর বিষাদের মেঘ জলপাইগুড়িতে। প্রতিমা বিসর্জনে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা জলপাইগুড়ির মাল নদীতে। হঠাৎ হরপা বানে ভেসে গিয়েছে বহু মানুষ। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, ইতিমধ্যে হরপা বানের তোড়ে ভেসে গিয়ে ৪ মহিসাসহ ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে মোট কত জন ভেসে গিয়েছে তা এখনও বোঝা যাচ্ছে না। রাতে দুর্ঘটনা ঘটনায় উদ্ধারকার্যে সমস্যা হয়। তবে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ চালানো হয়েছে। জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, দুর্ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির মাল নদীতে। গতকাল, দশমীর বিসর্জন পর্ব চলছিল। নদী ও আশেপাশে বহু মানুষ জড় হয়েছিল। রাত সাড়ে আটটা নাগাদ আচমকা হরপা বান চলে আসে। কিছু বোঝার আগেই জলের তোড়ে ভাসিয়ে নিয়ে যায় বহু মানুষকে। চিৎকার চেঁচামেচি জুড়ে দেন উপস্থিত সকলে। স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসন, এনডিআরএফ, এসডিআরএফ দ্রুত উদ্ধারকাজ শুরু করে। নদীতে আটকে পড়া ৫০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। কয়েকজনকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ মন্ত্রী বুলু চিক বারাইক আশঙ্কা করছেন, মাল নদীতে ভয়াবহ এই দুর্ঘটনার জেরে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। মন্ত্রী জানিয়েছেন, ঘটনার সময় তিনিও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। প্রবল জলের স্রোতে বেশ কিছু মানুষ ভেসে গিয়েছেন। জলপাইগুড়ির মাল নদীতে ভয়ঙ্কর এই দুর্ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। মৃত পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

অক্টোবর ০৬, ২০২২
রাজ্য

যে কোনও মূল্যে কলকাতা যাবেনই বিজেপি কর্মীরা, পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তি

স্পেশাল ট্রেনের অপেক্ষায় রইলেননা জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ, ময়নাগুড়ি, ধুপগুড়ি সহ বিভিন্ন স্টেশনে বিজেপি কর্মীরা। আর খানিকক্ষণ পর আসছে পদাতিক এক্সপ্রেস সেই ট্রেনেই কলকাতা যাবেন নাছোড়বান্দা বিজেপি কর্মীরা। জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনে দাড়িয়ে চোর ধরো জেল ভরো স্লোগান বিজেপি কর্মীদের।একইসাথে ময়নাগুড়ি সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বিজেপি কর্মীদের পুলিশ আটকাচ্ছে সেই ভিডিও দিলাম।। এদিন রাতে জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনে ডিএসপি সমির পাল, আই সি কোতোয়ালি অর্ঘ্য সরকার সহ বিরাট পুলিশ বাহিনীকে নজরদারি করতে দেখা যায়।

সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২
রাজনীতি

জলপাইগুড়ি তে শুভেন্দু'র সভা ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতর

রাজ্য জুড়ে চলা বিজেপির তোলা দুর্নীতি বিরোধী ঝড়ে জলপাইগুড়ি থেকে বেশ খানিকটা হাওয়া তুলে দিলেন শুভেন্দু, আর তাতেই কি সভা শেষ হতেই তৃণমূল নেতাদের বয়ান জারির প্রতিযোগিতা শুরু।১৩ই সেপ্টেম্বর বিজেপির নবান্ন অভিযান। তার আগে জেলায় জেলায় চষে বেড়াচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী সহ রাজ্য বিজেপির নেতারা। শুক্রবার জলপাইগুড়িতে আসেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সন্ধ্যায় জলপাইগুড়ি শহরে পদযাত্রা শেষে সভা করলেন শুভেন্দু। নবান্ন অভিযানের প্রস্তুতিতে শুভেন্দু অধিকারীর জলপাইগুড়ি সফর ঘিরে দিন কয়েক ধরেই স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে পারদ চড়ছিল। আগেই শুভেন্দুর কর্মসূচিকে কটাক্ষ করেছিলেন জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি ও উপপুরপ্রধান সৈকত চট্টোপাধ্যায়। এদিন সকালে শুভেন্দু অধিকারী শহরে ঢোকার আগেই বিরোধী দলনেতাকে আক্রমণ করে রাস্তায় নামতে দেখা যায় তৃণমূলের ছাত্র-যুবদের। চোর চোর চোর টা শিবিরবাবু ছেলেটা নামাঙ্কিত ফ্লেক্স শহরের বিভিন্ন স্থানে টাঙিয়ে দেন টিএমসিপি ও যুব তৃণমূলের সদস্যরা। যদিও স্থানীয় তৃণমূলীদের সমালোচনাকে পাত্তা দিলেন না শুভেন্দু।তৃণমূল জেলা যুব সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়কে ছোড়া বলে সম্বোধন করে সাংবাদিকদের কাছে শুভেন্দু বলেন, ভাইপোর টাকা তোলে এক ডাকাত আছে এখানে। যদিও এই প্রসঙ্গে জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন, শুভেন্দু অধিকারীর মতো নেতা যখন আমার সমালোচনা করে তখন বুঝতে হবে, এখন সে আর অভিষেক ব্যানার্জীর মোকাবিলা করার মতো জায়গায় নেই।অপরদিকে জেলার আরেক তৃণমূল নেতা কৃষ্ণ দাস শুভেন্দু বাবুর করা মন্তব্য প্রসঙ্গে অনেক কথার মধ্যে রাজবংশী ভাষায় বলা একটি কথা দিয়েই বাকিটা বোঝানোর চেষ্টা করেন, কৃষ্ণ দাস বলেন, চোরের মায়ের ডাঙ্গর গলা।শুধু যে জলপাইগুড়ির তৃণমূল নেতৃত্বই শুভেন্দুর সভা নিয়ে প্রীতিক্রিয়া দিতে ব্যাস্ত নয় সেটাও লক্ষ্য করা যায়, জলপাইগুড়ির সভার আগে শুভেন্দু অধিকারী আলিপুরদুয়ারে বিজেপি দলের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন বিকেলে, সেই সভা সমাবেশকে কটাক্ষ করে সম্প্রতি সম্পত্তি নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশিত হবার পর থেকে বর্তমানে রাজনৈতিক ভাবে কিছুটা ব্যাকফুটে থাকা এসজেডি এর চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা সৌরভ চক্রবর্তী ও নিজের প্রতিক্রিয়া ভিডিও রেকর্ডিং করে সংবাদ মাধ্যমের হাতে পৌঁছে দেন। সেখানে তিনি, শুভেন্দু অধিকারীর উত্তরবঙ্গ সফর প্রসঙ্গে বলেন, একজন চূড়ান্ত ফ্রাষ্ট্রেটেড ছেলে শুভেন্দু, নিজে কিছু করতে পারেনি তাই সবাইকে চোর বলে বেড়াচ্ছে।

সেপ্টেম্বর ১০, ২০২২
রাজ্য

সুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড কোনও কাজে আসেনি তাই আত্মহত্যা করেছিলো তিথি দলুই, দাবি এসএফআইয়ের

পথ অবরোধ, বিক্ষোভ এসএফআইয়ের। সুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড কাজে আসেনি আত্মহত্যা করেছিলো তিথি দলুই, কলকাতায় দুই ছাত্রের খুনের ঘটনায় কেনো উদাসীন ছিলো পুলিশ, এবং স্কলারশিপ চালুর দাবিতে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন ভারতের ছাত্র ফেডারেশনের।বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জলপাইগুড়ি শহরের অন্যতম ব্যাস্ত পথ ডিবিসি রোডের যাবতীয় গতিবিধি বেশ কিছু সময়ের জন্য থমকে যায় এসএফআইয়ের বিক্ষোভ আন্দোলনের কারনে।এই প্রসঙ্গে এসএফআইয়ের নেতৃত্ব জানান, সুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড আসলে ভাঁওতা, তাই এর সুযোগ সুবিধে না পেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হয়েছিলো তিথি দলুইকে, তাই এসএফআই ছাত্র ছাত্রীদের জন্য স্কলারশিপ চালুর দাবী করছে। এর পাশাপাশি কলকাতার মতো জায়গায় এত দিন নিখোঁজ থাকার পর দুই ছাত্রের মৃতদেহ মর্গে পরে ছিলো অথচ পুলিশ ই জানলো না, এটি চরম গাফিলতির প্রমান রাখে।

সেপ্টেম্বর ০৯, ২০২২
রাজ্য

ভোর থেকে ভারী বৃষ্টি জল বন্দি জলপাইগুড়ি

মাঝরাত থেকে প্রবল বর্ষণে জলবন্দী জল্পাইগুরি শহর ও সংলগ্ন এলাকা। আবহাওয়া দপ্তরের পুর্বাভাষ ছিল। সোমবার ভোর থেকে শুরু হওয়া অবিরাম বৃষ্টিতে ভাসলো জলপাইগুড়ি শহরের বিভিন্ন এলাকা,কোথাও হাঁটু জল। কোথাও কোমর অবধি জল। সপ্তাহের প্রথম দিনের ভোরে জলে থৈ থৈ জলপাইগুড়ি শহরের পথঘাট, সমস্যায় পরতে হচ্ছে কাজে কর্মে যাওয়া সাধারণ মানুষের।স্কুল ছাত্র ছেতে অফিস যাত্রী সবাই গৃহ বন্দী। রাস্তার পাশের পানীয় জলের কল গুলি ও জলের তলায়। এলাকা বাসিদের আশঙ্কা জল তাড়াতাড়ি না নাম্লে পানীয় জলের সঙ্কট দেখা দিতে পারে। সাথে সাথে জল বাহিত রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা করছেন এলাকার মানুষজন।

আগস্ট ২৯, ২০২২
রাজ্য

পর পর গাড়ির ধাক্কায় চিতাবাঘের মৃত্যু, উদ্বিগ্ন বনদফতর

গাড়ির ধাক্কায় চিতাবাঘের মৃত্যু যেন কিছুতেই কমছে না। শুক্রবার রাতে ৩১নং জাতীয় সড়কে বাগডোগরার মুনি চাবাগানের কাছে ফের গাড়ির ধাক্কায় চিতাবাঘের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। বিগত কয়েক মাসে এই রাস্তা পারাপার করতে গিয়ে তিনটে চিতার মৃত্যু হয়েছে। স্বভাবতই উদ্বিগ্ন বনদফতর।বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে বাগডোগরার ৩১নং জাতীয় সড়কের ওপর ক্ষত বিক্ষত একটি চিতাবাঘের দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় পথযাত্রী। খবর দেওয়া হয় বাগডোগরা থানায়। তৎক্ষনাৎ বিষয়টি জানানো হয় বাগডোগরা বন বিভাগে। বাগডোগরা থানার ট্রাফিক গার্ড ও বাগডোগরা বনবিভাগের কর্মীরা ঘটনাস্থলে আসেন। বেঙ্গল সাফারি পার্কে নিয়ে যাওয়া হয় মৃত চিতাটিকে। জানা গিয়েছে, ওই পার্কেই চিতাবাঘটির ময়নাতদন্ত হবে। মাথায় আঘাত পেয়েছে চিতাটি।বাগডোগরা বনদফতরের রেঞ্জ অফিসার সমীরণ রাজ জানিয়েছেন, রাস্তা পার হতে গিয়েই সম্ভবত গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে চিতাবাঘটির। ময়না তদন্তেই জানা যাবে মৃত্য়ুর প্রকৃত কারণ। এর আগেও এই এলাকাতেই রাস্তা পারাপার করতে গিয়ে একের পর এক চিতাবাঘের মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। তাতে উদ্বেগ বেড়েছে বনদফতরের।

এপ্রিল ৩০, ২০২২
রাজ্য

তৃণমূল নেতার 'খাইকে পান বেনারসি ওয়ালা' ভাইরাল, উত্তাল সোশাল মিডিয়া, দেখুন ভিডিও

উত্তরবঙ্গের তৃণমূল নেতার উদ্দাম নৃত্য ভাইরাল হতেই তোলপাড় রাজনৈতিক মহল। নাচের সঙ্গে বিকৃত অঙ্গভঙ্গিতে দিলেন দলের স্লোগান। ওই নেতার নাচের দৃশ্য এখন মোবাইলে মোবাইলে ঘুরছে। এই উদ্দাম নৃত্যকে তৃণমূলের অপসংস্কৃতি বলে দাবি করলেন বিজেপি নেতৃত্ব। ভাইরাল ভিডিওর জেরে জলপাইগুড়ির বানারহাটের ব্লক তৃণমূল সভাপতি নয়ন দত্ত এখন খবরের শিরোনামে। এক ভিডিওতেই বাংলাজুড়ে পরিচিতি পেলেন তৃণমূলের নয়ন। যদিও ভাইরাল ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি জনতার কথা।খাইকে পান বানারসি ওয়ালা আবার দয়ালবাবা কলা খাবা এমন সব চটুল হিন্দী-বাংলা গানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে উদ্দাম নৃত্য করে ভাইরাল হয়েছেন বানারহাট ব্লকের তৃনমূল কংগ্রেসের সভাপতি নয়ন দত্ত। গানের সঙ্গে সমানে চলছে সিটি। এই এক ভিডিও জলপাইগুড়ি ছাড়িয়ে সারা বাংলায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে স্পষ্ট, একটি ঘরে বাবু ঘরানায় ফিরে গিয়েছেন তাঁর অনুগামিদের নিয়ে। পরিস্থিতি অস্বাভাবিক, অপ্রকৃতিস্থ বললেই চলে। বেসামাল হয়ে পড়ে যাচ্ছেন। ঘরের দেওয়াল ধরে বসে পড়ছেন। এর সঙ্গে চলছে জোরদার রাজনৈতিক স্লোগান।তাঁর সঙ্গে তাল মিলিয়ে কোমর দুলিয়েছে ব্লক তৃণমূলের যুবসভাপতি বিমল মাইতিও। সোজা হয়ে দাঁড়াতেই পারছেন না। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গিতে মেতে উঠেছেন তাঁরা। হাততালি দিতে দেখা যাচ্ছে অনুগামীদের। নয়ন দত্তের দাবি, এই ভিডিও অনেক পুরনো। তাঁকে ফাঁসানোর জন্য কেউ সেই ভিডিও নতুন করে ছড়িয়ে দিয়েছে।

এপ্রিল ২৮, ২০২২
নিবন্ধ

আটশ' শতাব্দীতে প্রতিষ্ঠিত কুরুক্ষেত্রযুদ্ধে নিহত কৌরবপক্ষের তেইশতম প্রজন্ম বর্মন বংশের রাজা জল্পেশের শিবমন্দির

আধমাইলটাক লম্বা এক পায়ে চলা পথ-- ধুলায় ধুসর, ভিড়ে ভিড়াক্কার! যাত্রীদের ক্যাঁও ম্যাঁও... ফেরিওয়ালাদের হুল্লোড়... বাচ্চাকাচ্চাদের চ্যাঁ ভ্যাঁ... বাঁশির প্যাঁ পো... মাইকের অমায়িক নির্ঘোষে জয় জয় শিবশঙ্কর কাঁটা লাগে না কঙ্কর... থেকে থেকেই আশেপাশে পিলে চমকানো ব্যোম ভোলে... তবে সব কিছু ছাপিয়ে যেত পথের দুপাশে চট-বস্তা-খড়ের ভুমিশয্যায় সারি সারি বিকলাঙ্গ ভিখারীর আর্তনাদ!বীভৎস ঘা... খসে পড়া আঙ্গুল বা হাত পা... বিকট অঙ্গবিকৃতি... সেই সব ঘা বা হাত পায়ে অনেক সময় লোহার কাঁটা বা বাঁশের কঞ্চি ঢোকানো-- মা বলতো ছোটবেলায় ছেলেধরারা ওদের ধরে নিয়ে গিয়ে হাত-পা ভেঙ্গে, কেটে-পচিয়ে ভিক্ষে করাচ্ছে! চোখে দেখে সহ্য করতে পারতাম না সেই শিশুবয়সে; ফোঁপাতে ফোঁপাতে, কখনো বা ভ্যাঁ ভ্যাঁ করে কাঁদতে কাঁদতে মায়ের হাত ধরে কোনো মতে পেরিয়ে যেতাম সেই পথটুকু!আজ বুঝি, ওরা বেশির ভাগই ছিল কুষ্ঠরোগী-- চিকিৎসাহীণতায় অঙ্গবিকৃতির শিকার! রোগক্লিষ্ট অঙ্গের স্নায়ু শুকিয়ে গিয়ে ব্যথার অনুভূতি চলে যেত, ফলে মানুষের নজর টানতে কাঁটা ঢুকিয়ে বা দগদগে ঘা নিয়ে শুয়ে বসে থাকতে হয়ত খুব বেশি কষ্ট হত না তাদের। তবু জল্পেশ মন্দিরের মহাশিবরাত্রির মেলায় সেই সব ভিখারীরা আমার শৈশবস্মৃতির চিরকালীন দুঃস্বপ্ন হয়ে রয়ে গেছে।জল্পেশের শিবমন্দিরজল্পেশ মন্দির। উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বিখ্যাত এই শিবমন্দিরের ইতিহাস আজকের নয়। কুরুক্ষেত্রযুদ্ধে নিহত হয়েছিলেন কৌরবপক্ষের মহারথী ভগদত্ত। তাঁর পরের তেইশ প্রজন্ম পেরিয়ে বর্মন বংশের শেষ রাজা জল্পেশ নাকি এই মন্দির রচেন আনুমানিক আটশ শতাব্দীতে। কয়েক শতক পর বখতিয়ার খিলজি-র হাতে ধ্বংস হয়ে যায় সুপ্রাচীন এই শৈবতীর্থ। দ্বাদশ শতাব্দীতে ভুটানের এক রাজা নতুন করে একে গড়ে তুললেও পরে আবার জঙ্গলে ঢাকা পড়ে যায় সব কিছু। ১৫২৪ খ্রীষ্টাব্দে কোচবিহার রাজবংশের বিশ্ব সিংহ আবার গড়ে তোলেন এই দেবস্থান। ১৫৬৩-তে তাঁর ছেলে মহারাজা নারায়ণ, ও ১৬৬৩-তে রাজা প্রাণ নারায়ণ আরো দুবার এর সংস্কার করেন। কোচবিহার রাজবংশের পৃষ্ঠপোষকতায় জল্পেশ মন্দির ফিরে পায় পুরনো গৌরব। কিন্তু গোল বাধলো আবার। রাজা লক্ষ্মীনারায়ণ-এর অভিষেকের সময় রাজছত্র ধরতে অস্বীকার করেন অধীনস্থ বৈকুন্ঠপুর রাজ্যের রাজা মহীদেব রায়্কত, এবং স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। তখন থেকে স্থানীয় বৈকুন্ঠপুর-এর রায়্কত-রাই মন্দিরের দেখভাল করতেন। এই বৈকুন্ঠপুর রাজ্যেরই অন্তর্গত ছিল পরবর্তীকালে গড়ে ওঠা জলপাইগুড়ি শহর ও আশপাশের এলাকা। জোরালো ভূমিকম্পে মন্দির ক্ষতিগ্রস্ত হলে ১৮৯৯ সালে রাজা যোগেন্দ্রদেব রায়কতের মহিষী রাণী জগদীশ্বরী দেবী পুনর্নির্মাণ করান বর্তমান মন্দিরটি।জলপাইগুড়ি শহর থেকে তেইশ কি.মি., ময়নাগুড়ি বাইপাস মোড় থেকে মাত্র ছয় কি.মি. দুরে.. জল্পেশ্বর শিবমন্দিরের বহিরঙ্গ রূপটি সাদামাটা, অন্যান্য হিন্দুমন্দিরের থেকে কিছু আলাদা; খানিকটা যেন ইসলামী আদল আছে। ১২৬ ফুট উঁচু, ও ১২০ ফুট চওড়া ধবধবে সাদা মন্দিরের মাথায় বিশেষত্বহীন মূল গম্বুজটিকে ঘিরে চারটি ছোট গম্বুজ। ভিতরে ধাপে ধাপে সিঁড়ি নেমে গেছে গর্ভগৃহে; জলপূর্ণ কুন্ডের মাঝে বিরাজমান অনাদি শিবলিঙ্গ। জুন থেকে অক্টোবর-- ঘোর বর্ষায় তা সম্পূর্ণ ডুবে যায়। বছরে তিনবার উৎসব জল্পেশ-এ-- বৈশাখী, শ্রাবনী, আর মহা-শিবরাত্রি মেলা। সারা বছর ধু ধু মাঠে এলোমেলো বইত উদাসী হাওয়া; পাশ দিয়ে তিরতিরিয়ে বয়ে চলা জরদা নদীর বালি উড়তো হিমালয় ছুঁয়ে আসা উত্তুরে বাতাসে। আর শিবরাত্রির সময় লাখ বারো ভক্তের সমাগমে রমরমিয়ে উঠতো মাইলের পর মাইল ফাঁকা জমি জুড়ে জমে ওঠা মেলা। পনেরো কি.মি. দুরের তিস্তা নদী থেকে জলপূর্ণ ঘট বয়ে এনে অনাদি শিবলিঙ্গের মাথায় ঢেলে দিতেন ভক্তরা। আমার শৈশবে এক পক্ষকাল ধরে চলত সে মেলা। কী না পাওয়া যেত সেখানে! স্বাধীনতার আগে নাকি হাতিও কেনাবেচা হতো; পাশের রাজ্যগুলি, এমনকি নেপাল-ভুটান-পূর্ব বাংলা থেকেও মানুষ আসতেন হাতি কিনতে! এই কদিন বেশিরভাগ বাস নিজের রুট ছেড়ে দিয়ে সামনে বোর্ড ঝোলাতো জল্পেশ মেলা । আন্তর্জাতিক সীমান্তও এসময় হয়ে যেত শিথিল; ভক্তরা আসতেন বাংলাদেশ থেকেও। প্রতি বছর উপোস করে জল্পেশ্বর-র মাথায় জল ঢালতে যেত মা, আর খুব ছোট থেকেই সঙ্গী হতাম আমি। সেই মর্মবিদারী ভিক্ষুককুলের মধ্য দিয়ে যাওয়াটা ছিল বিভীষিকা! ভিড়ের ঠেলায় ছুটতাম ছোটো ছোটো পায়ে... জরদা নদীর কাঠের পুল পেরিয়ে আরো কিছুদুর... মন্দিরের গেটের সামনে দুই হাতির মূর্তি... কারো হাত ধরে ভয়ে ভয়ে দাঁড়িয়ে থাকতাম বাইরে... ভিড়ে ঠাসা সিঁড়ি দিয়ে ধাক্কাধাক্কি করে নেমে যেত মা... শিবলিঙ্গে জল ঢেলে কোনমতে হাত বাড়িয়ে একটু স্পর্শ করা... একবার মনে আছে আস্ত একটা তাজা কলা মা নিয়ে এসেছিল ফুল পাতার স্তূপ হাতড়ে!ভিখারীদের সেই ভয়ানক দৃশ্য এড়াবার উপায় বার ফেলেছিলাম পরের দিকে। মায়ের হাত শক্ত করে ধরে চোখদুটো আধবোজা করে এদিক ওদিক না তাকিয়ে পেরিয়ে যেতাম রাস্তাটুকু। শেষবার গেছিলাম বোধ হয় সপ্তম শ্রেনীতে পড়ার সময়। চলতে চলতে চট-বাঁশ-ত্রিপলের এক ছাউনি দেখেছিলাম পথের ধারে, বোধ হয় পুতুলনাচ বা জাদুর খেলা বা ওই জাতীয় কিছুর আয়োজন। কোনো মানুষ দেখা যাচ্ছিল না সেখানে। ছাউনির সামনে লম্বা বাঁশের মাথায় বাঁধা ছিল মাইক। গরম হাওয়া বইছিল এলোমেলো। তপ্ত শেষ বসন্তে মেলার ভিড়ে নিঃসঙ্গ এক মাইকের নিশ্চুপ প্রতীক্ষা চার দশক পেরিয়ে, কেন জানি না, মনে জেগে আছে আজো!ডঃ সুজন সরকার বর্ধমান।

মার্চ ০১, ২০২২
রাজ্য

Child Fever: শিশুদের অজানা জ্বরে কাঁপছে উত্তরবঙ্গ, আক্রান্ত ৫০০-র বেশি

অজানা জ্বরের প্রকোপ ক্রমশ বাড়ছে উত্তরবঙ্গে। ৮ মাসের এক শিশুর মৃত্যুর খবর এসেছিল আগেই। এখনও পর্যন্ত এই অজানা জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তিন শিশুর। গুরুতর অসুস্থ শিশুর সংখ্যা সব মিলিয়ে ৫০-এর পঞ্চাশের কাছাকাছি। সরকারি নথি অনুযায়ী ৫০০-র বেশি শিশু অজানা জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে। আর এই ঘটনা উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিয়ে বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন তুলে ধরেছে। বিশেষত শিশু চিকিৎসার পরিকাঠামোর বেহাল চেহারাটা ক্রমশ সামনে আসছে। আর সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে আতঙ্কও। আরও পড়ুনঃ রাজ্যে আরও একটি বড় দুর্নীতির আশঙ্কায় শুভেন্দুকরোনার তৃতীয় ঢেউ সামলাতে এবং শিশুদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য ভবন ঘোষণা করেছিল যে গোটা রাজ্যে প্রস্তুতি চলছে। বাড়ানো হচ্ছে বেড। আইসিইউ, পিকু, নিকু সহ পেডিয়াট্রিক এক্সপার্টদের নিয়ে তৈরি হয়েছে টিম। তৃতীয় ঢেউ কবে আসবে জানা নেই। তবে জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি এবং কোচবিহার সংলগ্ন এলাকায় শিশুদের এই আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাতেই বেআব্রু হয়ে পড়েছে সরকারি সেই ব্যবস্থা। হাসপাতালে গাদাগাদি করে রয়েছে শিশু এবং তাদের অভিভাবকেরা। ভর্তির জায়গা নেই। এমনই অবস্থা একাধিক জেলা ও মহকুমা হাসপাতাল কিংবা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। মূলত শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারের বিভিন্ন অঞ্চলে এই জ্বরের প্রকোপে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ। বিভিন্ন জেলা হাসপাতাল, মহকুমা হাসপাতাল বা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এই জ্বরে আক্রান্ত শিশুরা ভিড় করছে। কোথাও প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে, কোথাও বা ভর্তি করে নেওয়া হচ্ছে। শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতাল, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ, জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতাল, বানারহাট, ধুপগুড়ি , মালবাজার, মেখলিগঞ্জ হাসপাতালসহ বিভিন্ন ছোট-বড় হাসপাতালে এই মুহূর্তে জ্বরে আক্রান্ত শিশুদের ভিড়। জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর গত ১২ থেকে ১৪ দিন ধরে এই অজানা জ্বরের প্রকোপ বেড়ে চলেছে জেলাজুড়ে। উত্তরবঙ্গের চিকিৎসকদের একাংশের অভিযোগ, সঠিকভাবে সেই তথ্য জানানো হয়নি স্বাস্থ্য ভবনকে। তথ্য ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠছে। জ্বর, পেটে যন্ত্রণা, শ্বাসকষ্ট নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে বহু শিশু। উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় ছড়িয়ে পড়ছে এই অজানা জ্বর। অথচ ১০-১২ দিন কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করে সঠিক কারণ জানা গেল না। কেন জ্বরের কারণ জানতে এত বেশি সময় লাগছে? সে নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন একাধিক বিশেষজ্ঞ।

সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২১
রাজ্য

Vaccine: ফোনে কথা বলছেন নার্স, ভ্যাকসিন পড়ল পর পর ৩ ডোজ!

ফের টিকা-বিভ্রাট। কর্তব্যরত স্বাস্থ্যকর্মীদের গাফিলতির মাশুল দিলেন টিকা-গ্রহীতা। পরপর তিনটি ডোজ নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি। কানে কম শুনছেন, হাড়ের ব্যথা। অবস্থা এতটাই গুরুতর যে, হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র চাঞ্চল্য ছড়াল জলপাইগুড়ির মালবাজারে।জানা গিয়েছে, মালবাজার মহকুমার নাগরাকাটা ব্লকের আঙ্গড়া ভাষা ২ নম্বর পঞ্চায়েত উত্তর ধন্ধাশিমলা এলাকার বাসিন্দা পরিতোষ রায়। পেশায় তিনি মিস্ত্রি। করোনা তৃতীয় ঢেউ-র আশঙ্কা বাড়ছে ক্রমশই। রাজ্যজুড়ে টিকাকরণ কর্মসূচি চলছে জোরকদমে। নাগরাকাটা ব্লকের ধুমপাড়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাশে একটি স্কুলে চলছে ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প। বৃহস্পতিবার সেই ক্যাম্পে করোনা টিকার প্রথম ডোজ নিতে যান পরিতোষ।আরও পড়ুনঃ ইডার দাপটে লন্ডভন্ড নিউইয়র্ক, মৃত অন্তত ৪৪এদিকে ওই ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পে কর্তব্যরত স্বাস্থ্যকর্মীরা ফোনে ব্যস্ত ছিলেন বলে অভিযোগ। ফোনে কথা বলতে বলতেই নাকি টিকা দিচ্ছিলেন তাঁরা! পরিতোষ রায়ের দাবি, ভুলবশত পরপর তিনবার অর্থাৎ একসঙ্গে টিকার তিনটি ডোজ দেওয়া হয় তাঁকে। বাড়ি ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়েন টিকা-গ্রহীতা। তাঁকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। শেষপর্যন্ত যখন শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়, তখন স্থানান্তরিত করা হয় মালবাজার সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে। চিকিৎসা চলছে। রোগীকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন চিকিৎসকরা। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই খোঁজ-খবর নিতে শুরু করেছেন স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা। অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখা হবে। কিন্তু ঘটনাটি যদি মিথ্যা প্রমাণিত হয়, সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। যদিও এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন জলপাইগুড়ির মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রমেন্দ্র নাথ প্রামাণিক। তিনি বলেন, এটা হতেই পারে না। কী কারণে অসুস্থতা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সেপ্টেম্বর ০৩, ২০২১
রাজ্য

BJP MP: আক্রান্ত জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ, অভিযুক্ত তৃণমূল

ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীদের (BJP Workers) ঘরে ফেরাতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ ডাক্তার জয়ন্ত কুমার রায় (Jayanta Kumar Roy)। আঙুল উঠল তৃণমূলের (TMC) দিকে। সাংসদের অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত গুন্ডারা তাঁকে বাঁশ দিয়ে মাথায় ও হাতে আঘাত করে। তাঁর সঙ্গে থাকা সঙ্গীরাও প্রহৃত হন বলে অভিযোগ জয়ন্ত কুমার রায়।জানা গিয়েছে, এদিন জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের ভান্ডারীগঞ্জ এলাকার ১৩ জন সংখ্যালঘু বিজেপি কর্মী এক মাসের ওপর ঘরছাড়া হয়ে একটি মন্দিরে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সাংসদ ডাক্তার জয়ন্ত কুমার রায়ের দাবি, পুলিশের সঙ্গে কথা বলার পর এদিন বিকাল ৪টা নাগাদ তাঁদের বাড়ি ফেরাতে যান তিনি। ঠিক ওই সময় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাতে তিনি-সহ আরও দুজন গুরুতর জখম হন বলে দাবি বিজেপি সাংসদের। তাঁর আরও অভিযোগ, যখন তাঁদের এভাবে মারধর করছে দুষ্কৃতীরা, তখন দূর থেকে পুলিশ নীরব দর্শক ছিল। বিজেপি সাংসদের মন্তব্য, বাংলায় আইনের শাসন বলে কিছুই নেই।Fascism at its peak in Bengal. Today @AITCofficial goons attacked me and our party workers at Rajganj. Savagery and lawlessness are the order of the day today in Bengal. @HMOIndia @PMOIndia @jdhankhar1 @narendramodi @AmitShah @BJP4Bengal @DilipGhoshBJP pic.twitter.com/E5MF93Mf5q Dr. Jayanta Kumar Roy (@JayantaRoyJPG) June 11, 2021টুইটারে বিজেপি সাংসদ লেখেন, বাংলায় ফ্যাসিবাদ চরমে উঠেছে। আজ তৃণমূল আশ্রিত গুন্ডারা আমাকা ও আমার কর্মীদের আঘাত করেছে। বর্বরতা ও অপশাসন চলছে আজ বাংলায়। সেই টুইটে কেন্দ্রীয় স্বরা ষ্ট্রমন্ত্রক, প্রধানমন্ত্রী, রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় ও দিলীপ ঘোষদের উদ্ধৃত করেন বিজেপি সাংসদ। আপাতত উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন জয়ন্ত কুমার রায়। যদিও বিজেপি সাংসদের উপর তৃণমূলের হামলার যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল শিবির।

জুন ১১, ২০২১
রাজ্য

বিজেপির দেওয়া চাকরির প্রতিশ্রুতিকে মিথ্যা বলে আক্রমণ মমতার

জলপাইগুড়ির অরবিন্দ ব্যায়ামাগার পাঠাগার ও ক্লাব ময়দানের জনসভা থেকে বিজেপিকে লাগাতার আক্রমণ করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়। বলেন, ওরা বাংলায় এক নতুন ধর্ম এনেছে, ঘৃণ্য ধর্ম। কুৎসার ধর্ম। এভাবে ওরা বাংলাকে ধ্বংস করতে চায়। বাংলার মেরুদণ্ড ভেঙে ফেলতে চায়। এরপরই হুঁশিয়ারি দিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, তিনি কোনওভাবেই বিজেপির এহেন আচরণ বরদাস্ত করবেন না। তবে এর জন্য রাজ্যবাসীরকে পাশে চেয়েছেন তিনি। সকলে মিলে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ডাক দিয়েছেন তিনি। বিজেপি ক্ষমতায় এলে বাংলার পরিস্থিতি ভয়ংকর হবে, ইঙ্গিতে এদিন তা-ও বোঝান মুখ্যমন্ত্রী। আরও পড়ুন ঃ পাহাড়ের সমস্যার সমাধান করতে পারলে আমরাই পারবঃ মমতা এদিন চাকরির প্রতিশ্রুতি কার্ড ইস্যুতে তিনি বলেন, চাকরির প্রতিশ্রুতি বলে কিছু হয় না। ওটা পুরোটাই প্রতারণা, মিথ্যে। এরপরই কেন্দ্রের একাধিক প্রতিশ্রুতি সাধারণ মানুষকে মনে করিয়ে দেন তিনি। প্রশ্ন করেন, আদৌ কারও অ্যাকাউন্টে কেন্দ্রের ১৫ লক্ষ টাকা গিয়েছে কি না। দাবি করেন, মোদি সরকারের আমলে ভারতে বেকারত্ব বেড়েছে। এদিন দিলীপ ঘোষের ডিসেম্বরের পর মারব মন্তব্যের পালটা দেন মমতা। বলেন, মেরে দেখাক, আমার গায়ে আঘাত করতে আমিও প্রত্যাঘাত করব।

ডিসেম্বর ১৫, ২০২০
রাজনীতি

নাম না করে দলের বিদ্রোহীদের আক্রমণ মমতার

৩৬৫ দিন যাঁরা এই ১০ বছর মানুষের সঙ্গে ছিলেন তাঁদেরই পরীক্ষায় বসতে হবে। বিজেপির সঙ্গে আঁতাঁত করলে তৃণমূলে তাঁদের কোনও জায়গা নেই। জলপাইগুড়িতে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মিসভায় দলবিরোধীদের স্পষ্ট ভাষায় বুঝিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, আমি বড় বা ও বড় সেটা বড় নয়। ১০ বছর পার্টির খেয়ে, ১০ বছর সরকারে থেকে সরকারের খেয়ে নির্বাচনের সময় এর সঙ্গে ওর সঙ্গে বোঝাপড়া যাঁরা করে আমি তাঁদের বরদাস্ত করি না। গোষ্ঠীকোন্দল মেটাতে দলীয় কর্মীদের বার্তা দিলেন, পুরনো-নতুন মিলে কাজ করুন। এ বড় না বি বড় বা সি বড় সেটা দেখার দরকার নেই। যুদ্ধ যখন আসে তখন যুদ্ধ জয় করাটাই সবচেয়ে বড় লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায়। আরও পড়ুন ঃ শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতাকে বহিষ্কার দলনেত্রী আরও বলেন, আপনাদের লক্ষ্য হবে বিজেপি নামক পার্টিটাকে বাংলা থেকে দূর করে দেওয়া। আগামিদিনে বাংলাই পথ দেখাবে। রাষ্ট্রপতি শাসন করে দেখাও না, আমার কাজ অনেক কমে যাবে। আমি ঘুরে ঘিরে মিটিং-মিছিল করব আর তোমাদের সব ভোট নিয়ে নেব। আমরা আন্দোলন করে উঠে আসা লোক, মার খেয়ে উঠে আসা লোক। আমার শরীরে এমন কোনও জায়গা নেই যেখানে মার খাইনি। কাজেই রক্তাক্ত অবস্থায় লড়াই করে এসেছি। মানুষের জন্য লড়াই করতে আমি পিছপা হব না।

ডিসেম্বর ১৫, ২০২০
রাজ্য

পাহাড়ের সমস্যার সমাধান করতে পারলে আমরাই পারবঃ মমতা

আমি গোর্খাল্যান্ডের প্রতিশ্রুতি দিইনি, তাই ওখানে জিতিনি। পাহাড়ের সমস্যা সমাধান করলে আমরাই করব। ওরা পারবে না। গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতে জলপাইগুড়ির এবিপিসি ময়দানের জনসভা থেকে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধী বিজেপি বরাবর গুরুংদের পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিকে সমর্থন জানিয়েছে। অর্থাৎ তাঁরা রাজ্য ভাগের পক্ষে। আর তাই ক্ষমতায় এলে গোর্খাল্যান্ডের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন নেতারা। তাই ২০১৪ এবং ২০১৯এর লোকসভা ভোটে পাহাড় থেকে তৃণমূল নয়, জিতেছেন বিজেপি প্রার্থীরাই। আরও পড়ুন ঃ জেএমবি জঙ্গিদের দিয়ে ভোটে জিততে চাইছে তৃণমূলঃ দিলীপ মঙ্গলবার জলপাইগুড়ির এবিপিসি ময়দানের জনসভা থেকে এই বিষয়টি আরও স্পষ্ট করলেন মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, ৬ বছর ধরে ওরা গুরুংদের প্রতিশ্রুতি দিয়ে গিয়েছে গোর্খাল্যান্ড করে দেবে বলে। তাই ২০১৪এ একবার পাহাড়ে জিতেছে, কিন্তু প্রতিশ্রতি রাখেনি। আবার ২০১৯এ বিজেপি জিতেছে। আমরা কিন্তু গোর্খাল্যান্ডের প্রতিশ্রুতি দিইনি, তাই আমরা জিতিওনি। এরপরই তিনি আত্মবিশ্বাসের সুরে বলেন, পাহাড়ের সমস্যা সমাধান করতে পারলে একমাত্র আমরাই পারব। বিজেপি পারবে না, ওদের দ্বারা হবে না।

ডিসেম্বর ১৫, ২০২০

ট্রেন্ডিং

বিদেশ

ইলন মাস্ককে খোলা চিঠি ইমরান খানের প্রাক্তন স্ত্রীর, এক্সে ‘নীরব সেন্সরশিপ’-এর অভিযোগ

পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রাক্তন স্ত্রী জেমাইমা গোল্ডস্মিথ এবার সরাসরি এক্সের মালিক ইলন মাস্কের কাছে আবেদন জানালেন। তাঁর অভিযোগ, ইমরান খানের গ্রেফতারি, জেলবন্দি জীবন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা তুলে ধরার জন্য এক্স ইচ্ছাকৃত ভাবে তাঁর পোস্টের পৌঁছনো কমিয়ে দিচ্ছে।জেমাইমার দাবি, ২০২২ সালে ক্ষমতা থেকে সরানোর পর গত ২২ মাস ধরে ইমরান খান কার্যত একঘরে বন্দি অবস্থায় রয়েছেন। তাঁর কথায়, এটি কোনও সাধারণ জেল নয়, বরং রাজনৈতিক বন্দি হিসেবে নৃশংস নিঃসঙ্গ কারাবাস। এই সময়ের মধ্যে তাঁদের দুই ছেলে বাবার সঙ্গে দেখা করতে পারেনি। এমনকি মাসের পর মাস ফোনে কথা বলা বা চিঠি পাঠানোরও অনুমতি মেলেনি বলে অভিযোগ।জেমাইমা আরও জানান, পাকিস্তানের টেলিভিশন ও রেডিও থেকে ইমরান খানের নাম কার্যত মুছে ফেলা হয়েছে। তাঁর মতে, একমাত্র স্বাধীন মঞ্চ হিসেবে এক্স-ই ছিল সত্য বলার জায়গা। কিন্তু এখন সেই প্ল্যাটফর্মেও তাঁর কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।এক্স-এ করা দীর্ঘ পোস্টে জেমাইমা জানান, প্ল্যাটফর্মটির নিজস্ব এআই টুল গ্রক-এর তথ্য অনুযায়ী তাঁর অ্যাকাউন্টে গোপন থ্রটলিং করা হচ্ছে। অর্থাৎ, ইমরান খানের জেল পরিস্থিতি বা সন্তানদের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয় নিয়ে পোস্ট করলেই সেগুলি অ্যালগরিদমের মাধ্যমে আড়াল করে দেওয়া হচ্ছে। ইলন মাস্ককে উদ্দেশ করে তিনি লেখেন, আপনি মুক্ত বাক্স্বাধীনতার কথা বলেছিলেন। কিন্তু কথা বললেও যদি কেউ না শোনে, তা হলে সেটি আদৌ স্বাধীনতা নয়।জেমাইমার দাবি অনুযায়ী, তাঁর প্রায় ৩৫ লক্ষ ফলোয়ার থাকা সত্ত্বেও এক্সে তাঁর পোস্টের পৌঁছনো ভয়াবহ ভাবে কমে গিয়েছে। ২০২৩ এবং ২০২৪ সালের শুরু পর্যন্ত প্রতি মাসে তাঁর পোস্টে ৪০০ থেকে ৯০০ মিলিয়ন ইমপ্রেশন হতো। কিন্তু ২০২৫ সালে এখনও পর্যন্ত মোট ইমপ্রেশন নেমে এসেছে মাত্র ২ কোটি ৮৬ লক্ষে, প্রায় ৯৭ শতাংশ পতন।তিনি জানান, ২০২৫ সালের মে মাসে পাকিস্তানে এক্সের উপর নিষেধাজ্ঞা উঠতেই তাঁর একটি পোস্ট চার মিলিয়নের বেশি মানুষ দেখেন। কিন্তু তার পরই আবার হঠাৎ করে পোস্টের পৌঁছনো প্রায় শূন্যে নেমে যায়। জেমাইমার দাবি, গ্রক জানিয়েছে এই চাপ আসছে পাকিস্তানি প্রশাসনের দিক থেকেই, যারা ইমরান খানের পরিবারকে ঘনিষ্ঠ ভাবে নজরদারিতে রেখেছে।এই অভিযোগের পর পাশে দাঁড়িয়েছেন ব্রিটিশ সাংবাদিক পিয়ার্স মরগান। তিনি বলেন, ইমরান খানের পক্ষে কথা বলার বিষয়টি স্পষ্ট ভাবে চাপা দেওয়া হচ্ছে। মরগানের মন্তব্য, ইমরান খানের সঙ্গে যা ঘটছে তা অত্যন্ত লজ্জাজনক এবং পাকিস্তান সরকারকে তাঁর মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।এই ঘটনার মধ্যেই ইমরান খানের পরিবারের তরফে নতুন করে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। কয়েক দিন আগে তাঁর বোন আলিমা খান অভিযোগ করেন, রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা জেলে ইমরান খানকে নির্যাতন করা হচ্ছে এবং বেআইনি ভাবে একঘরে রাখা হয়েছে। তিনি জানান, গত আট মাস ধরে পরিবার নিয়মিত জেলে গেলেও তাঁদের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়নি।জেলের বাইরে জড়ো হওয়া পিটিআই সমর্থকরাও ইমরান খানের শারীরিক অবস্থা ও নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে জেলের চারপাশে কড়া পুলিশি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ক্ষমতা হারানোর পর একাধিক মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে ২০২৩ সালের অগস্ট থেকে জেলে রয়েছেন ইমরান খান। তাঁর গ্রেফতারি নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরেও প্রশ্ন উঠেছে। গত বছর রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল জানায়, ইমরান খানের আটক বেআইনি এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে। যদিও সেই অভিযোগ মানতে চায়নি পাকিস্তান সরকার।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫
দেশ

মেক্সিকোর শুল্ক-বোমা! ভারতের রফতানিতে ৫০ শতাংশ কর, পাল্টা পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিল দিল্লি

মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নেই এমন দেশগুলির পণ্যের উপর হঠাৎ আমদানি শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্তে কড়া আপত্তি জানাল ভারত। মেক্সিকোর এই একতরফা সিদ্ধান্তে ভারতীয় পণ্যের উপর কর ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। এই পরিস্থিতিতে ভারত জানিয়েছে, কূটনৈতিক আলোচনা চালু রাখার পাশাপাশি প্রয়োজন হলে রফতানিকারকদের স্বার্থ রক্ষায় উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।ভারত সরকারের বক্তব্য, কোনও আগাম আলোচনা ছাড়াই এমন শুল্ক বৃদ্ধি দুই দেশের সহযোগিতামূলক বাণিজ্য সম্পর্কের পরিপন্থী। পাশাপাশি বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থার স্বচ্ছতার নীতির সঙ্গেও এই সিদ্ধান্ত সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, মেক্সিকোর এই পদক্ষেপ ভারতের বিরুদ্ধে সরাসরি নয়, তা বোঝা গেলেও আগাম আলোচনা ছাড়া এমএফএন শুল্ক বাড়ানো বন্ধুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সম্পর্কের ভাবনার সঙ্গে খাপ খায় না।মেক্সিকোর নতুন শুল্ক কাঠামোয় মোট ১,৪৬৩টি পণ্য অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এর প্রভাব পড়বে ভারত ছাড়াও চিন, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড এবং ইন্দোনেশিয়ার মতো একাধিক এশীয় দেশের উপর। বেশির ভাগ পণ্যের ক্ষেত্রে শুল্ক প্রায় ৩৫ শতাংশ হতে পারে, যদিও কোথাও তা ৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।অপ্রত্যাশিত ভাবে ২০২৫ সালের ৩ ডিসেম্বর মেক্সিকোর অর্থনীতি মন্ত্রক ফের এই প্রস্তাব পেশ করে এবং আইন প্রণয়নের প্রক্রিয়া দ্রুত এগিয়ে নেয়। এর আগে বিভিন্ন দেশের আপত্তি ও মেক্সিকোর শিল্পমহলের চাপে এই সিদ্ধান্ত ২০২৬ সালের অগস্ট পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল।মেক্সিকো সরকার দাবি করেছে, দেশের অভ্যন্তরীণ উৎপাদনকে উৎসাহ দেওয়া এবং বাণিজ্য ঘাটতি কমানোই এই সিদ্ধান্তের মূল উদ্দেশ্য। তবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মহলের একাংশের মতে, আমেরিকার সঙ্গে ইউএসএমসিএ চুক্তি পর্যালোচনার সময় চিনের বিরুদ্ধে শুল্ক নীতি কঠোর করার চাপের সঙ্গেই এই সিদ্ধান্ত জড়িত। বিশেষ করে চিনা পণ্য ঘুরপথে আমেরিকার বাজারে ঢোকা ঠেকাতে মেক্সিকোর উপর চাপ রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।এই পরিস্থিতিতে ভারত দ্রুত পদক্ষেপ করেছে। বাণিজ্য সচিব রাজেশ আগরওয়াল ইতিমধ্যেই মেক্সিকোর অর্থনীতি মন্ত্রকের ভাইস মিনিস্টার লুইস রোসেন্দোর সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা করেছেন। খুব শীঘ্রই কারিগরি স্তরের বৈঠকও হতে পারে। এর আগেই, ২০২৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মেক্সিকোয় ভারতীয় দূতাবাস এই শুল্ক বৃদ্ধির বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়ে ভারতীয় পণ্যের জন্য বিশেষ ছাড় চেয়েছিল।বাণিজ্য দফতর জানাচ্ছে, নতুন শুল্কের প্রকৃত প্রভাব কতটা পড়বে, তা নির্ভর করবে মেক্সিকোর সরবরাহ ব্যবস্থায় ভারতীয় পণ্যের গুরুত্বের উপর এবং ভারতীয় সংস্থাগুলি করের বোঝা ভোক্তাদের উপর চাপাতে পারে কি না, তার উপর। এখনও পর্যন্ত কোন কোন পণ্য এই তালিকায় পড়ছে, তার চূড়ান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়নি।সরকারি সূত্রের স্পষ্ট বক্তব্য, ভারতীয় রফতানিকারকদের স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার অধিকার ভারত রাখে। তবে একই সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথেই এগোতে চায়।সব মিলিয়ে টানাপড়েন তৈরি হলেও ভারত জানিয়েছে, মেক্সিকোর সঙ্গে অংশীদারিত্বকে তারা গুরুত্ব দেয় এবং দুই দেশের ব্যবসা ও সাধারণ মানুষের স্বার্থে স্থিতিশীল ও ভারসাম্যপূর্ণ বাণিজ্য পরিবেশ বজায় রাখতে আগ্রহী।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫
দেশ

৪৫ বছরের বাম দুর্গ ভাঙল বিজেপি! কেরলের রাজধানীতে ইতিহাস গড়ল এনডিএ

কেরলের রাজধানী তিরুবনন্তপুরমে বড় রাজনৈতিক পরিবর্তন। পুরসভা নির্বাচনে বিজেপি-নেতৃত্বাধীন এনডিএ একক বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে এসেছে। এর ফলে টানা ৪৫ বছর ধরে চলা বামফ্রন্টের দখল ভেঙে গেল রাজধানীর কর্পোরেশনে। এই ফলাফলকে কেরলের রাজনীতিতে ঐতিহাসিক বলেই মনে করা হচ্ছে।১০১টি ওয়ার্ডের মধ্যে এনডিএ জিতেছে ৫০টিতে। শাসক বামফ্রন্ট এলডিএফ নেমে এসেছে মাত্র ২৯টি আসনে। কংগ্রেস-নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ পেয়েছে ১৯টি ওয়ার্ড। দুটি আসনে জয়ী হয়েছেন নির্দল প্রার্থীরা। এক ওয়ার্ডে প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে ভোট বাতিল হয়েছে।এই ফলের ফলে তিরুবনন্তপুরম কর্পোরেশনে সরকার গঠনের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেল এনডিএ। শহরের রাজনৈতিক সমীকরণে যে বড় পরিবর্তন এসেছে, তা স্পষ্ট বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।ফলাফলটি আরও তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ তিরুবনন্তপুরম জেলা কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা ও সাংসদ শশী থারুরের নিজের এলাকা। তাঁর ঘাঁটিতেই বিজেপির এই সাফল্য কেরলের রাজনীতিতে নতুন বার্তা দিচ্ছে বলে মত পর্যবেক্ষকদের।এখানেই শেষ নয়। কেরলের স্থানীয় নির্বাচন শেষে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য পেয়েছে এনডিএ। ত্রিপুনিথুরা পুরসভাতেও ক্ষমতা হারিয়েছে এলডিএফ, সেখানে দখল নিয়েছে বিজেপি-নেতৃত্বাধীন জোট।ফল প্রকাশের পর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে শশী থারুর বলেন, কেরলের গণতন্ত্রের জন্য এটি একটি উল্লেখযোগ্য দিন। তিনি ইউডিএফ-এর সামগ্রিক ফলের প্রশংসা করেন এবং একই সঙ্গে তিরুবনন্তপুরম কর্পোরেশনে বিজেপির ঐতিহাসিক জয়ের কথা স্বীকার করেন। থারুর বলেন, মানুষের রায়কে সম্মান জানানোই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য, সে রায় বিরোধীদের পক্ষেও গেলে। তিনি আরও জানান, দীর্ঘদিনের শাসনের বিরুদ্ধে মানুষের পরিবর্তনের ইচ্ছাই এই ফলাফলে প্রতিফলিত হয়েছে। শশী থারুরের কথায়, এলডিএফের ৪৫ বছরের শাসনের বিরুদ্ধে তিনি পরিবর্তনের ডাক দিয়েছিলেন, কিন্তু ভোটাররা অন্য একটি দলকে সেই পরিবর্তনের দায়িত্ব দিয়েছেন। সেটাই গণতন্ত্রের শক্তি।শেষে তিনি বলেন, কংগ্রেস কেরলের মানুষের জন্য কাজ চালিয়ে যাবে এবং ভাল শাসনের পক্ষে তাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫
কলকাতা

মেসি কাণ্ডে বড় ঘোষণা পুলিশের! টিকিটের টাকা ফেরাতে হবে, না হলে আইনি পদক্ষেপ

কেউ ৪ হাজার, কেউ ৮ হাজার, কেউ আবার ১০ হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কেটেছিলেন। মাসের পর মাস অপেক্ষা করেও শেষ পর্যন্ত প্রিয় ফুটবলার লিয়োনেল মেসিকে চোখের সামনে দেখতে পাননি তাঁরা। যুবভারতীতে তৈরি হওয়া চরম বিশৃঙ্খলার জন্য দর্শকদের ক্ষোভ গিয়ে পড়েছে পুলিশ ও উদ্যোক্তাদের উপর।এই পরিস্থিতিতে টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়ার কথা জানালেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, যে টিকিট বিক্রি হয়েছে, তার টাকা দর্শকদের ফেরত দেওয়া উচিত। কারণ, বহু দর্শকই মেসিকে দেখতে পাননি।ডিজি জানান, অনুষ্ঠানে ন্যূনতম টিকিটের দাম ছিল ৩৫০০ টাকা। তার সঙ্গে স্টেডিয়ামের ভিতরে জলের বোতল থেকে শুরু করে পপকর্ন পর্যন্ত চড়া দামে বিক্রি হয়েছে। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, উদ্যোক্তারা যদি টাকা ফেরতের বিষয়ে সঠিক ব্যবস্থা না নেন, তা হলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে। ইতিমধ্যেই মূল উদ্যোক্তাকে আটক করা হয়েছে এবং এই বিশৃঙ্খলার জন্য কাউকেই রেয়াত করা হবে না।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে স্টেডিয়ামের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এডিডি আইন-শৃঙ্খলা জাভেদ শামিম জানিয়েছেন, সকল দর্শক নিরাপদে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন এবং ট্রাফিক পরিস্থিতিও স্বাভাবিক হয়েছে।উল্লেখ্য, এদিন যুবভারতীতে আসার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। ফুটবল তারকা মেসির সঙ্গে দেখা করার পরিকল্পনা ছিল তাঁর। কিন্তু পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় ক্রীড়াঙ্গনে পৌঁছনোর আগেই নিজের কনভয়ের দিক ঘুরিয়ে নেন তিনি। পরে গোটা ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫
কলকাতা

ভিআইপি কালচারের বলি ফুটবলপ্রেমীরা? মেসি বিতর্কে বিজেপি-সিপিএমের তোপ

পাহাড়প্রমাণ প্রত্যাশা মুহূর্তে যেন জল হয়ে গেল। হাজার হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কেটেও প্রিয় তারকা লিয়োনেল মেসিকে ঠিকমতো দেখতে পেলেন না দর্শকরা। মেসি মাঠ ছাড়তেই সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সাধারণ মানুষের মুখে ঘুরছে একটাই কথাভিআইপি কালচারের জন্যই বঞ্চিত হল সাধারণ দর্শক। ক্ষোভে ফেটে পড়ে তছনছ হয়ে যায় যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন। ভাঙা হয় চেয়ার, তোরণ। গোটা ঘটনায় রাজনৈতিক মহলেও শুরু হয়েছে তীব্র চাপানউতোর।অব্যবস্থার জেরে মাঠে ঢুকতেই পারেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাস্তা থেকেই কনভয় ঘুরিয়ে ফিরে যেতে হয় তাঁকে। পরে মেসির কাছে ক্ষমা চেয়ে গোটা ঘটনার তদন্তে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তাতেও বিতর্ক থামেনি। একের পর এক তোপ দাগছে বিরোধীরা।বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, সাধারণ মানুষ সাড়ে তিন হাজার থেকে আট হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কিনেছেন। একশো দিনের কাজের শ্রমিকের প্রায় এক মাসের মজুরি একটি টিকিটের দামের সমান। তাঁর অভিযোগ, একদল প্রভাবশালী মানুষ মেসিকে ঘিরে রেখে সাধারণ দর্শকদের বঞ্চিত করেছেন। গোটা ঘটনাকে তিনি দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেন।বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন। তাঁর দাবি, টিকিটের কালোবাজারি হয়েছে এবং পুরো ব্যবস্থাই ছিল চরম বিশৃঙ্খল। তিনি বলেন, যাঁরা বোতল ছুড়েছেন তাঁদের মধ্যেও শাসকদলের লোকজন রয়েছেন বলে তাঁর কাছে খবর আছে। পুলিশ ভিড় নিয়ন্ত্রণে পুরোপুরি ব্যর্থ বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি।সিপিএমও এই ঘটনায় সরব। দলের নেতা মহম্মদ সেলিম বলেন, বাংলায় যেখানে অনুষ্ঠান হবে, সেখানে দুর্নীতি, কালোবাজারি আর বিশৃঙ্খলা যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। খেলাধুলো থেকে মেলাসব ক্ষেত্রেই একই ছবি দেখা যাচ্ছে বলে তাঁর অভিযোগ।এ দিকে বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গের মানুষের আবেগে আঘাত করেছে এবং ফুটবলপ্রেমীদের অপমান করেছে। সব মিলিয়ে মেসিকে ঘিরে এই বিশৃঙ্খলা শুধু মাঠেই নয়, রাজ্য রাজনীতিতেও ঝড় তুলে দিয়েছে।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫
কলকাতা

‘শুধু টাকা আর হ্যাংলামি?’ মেসি বিতর্কে আয়োজকদের তোপ কুণাল ঘোষের

দর্শকাসন থেকে একের পর এক জলের বোতল ছোড়া হল। পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে নির্ধারিত সময়ের আগেই মাঠ ছাড়তে বাধ্য হলেন লিয়োনেল মেসি। হাজার হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কেটেও প্রিয় তারকাকে দেখতে পেলেন না বহু ভক্ত। ক্ষোভে ফেটে পড়ে মাঠে নেমে ভাঙচুর শুরু করেন অনেকে। এই ঘটনার পর প্রকাশ্যে আয়োজকদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।শনিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মেসিকে সংবর্ধনা দেওয়ার কথা ছিল। আয়োজকদের দাবি অনুযায়ী সকাল ১১টা থেকেই স্টেডিয়ামে থাকার কথা ছিল মেসির। মাঠ পরিক্রমাও করার কথা ছিল তাঁর। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা ছিল শাহরুখ খানেরও। মেসি সময়মতো মাঠে পৌঁছলেও কিছুক্ষণের মধ্যেই পরিস্থিতি বদলে যায়। গ্যালারি থেকে বোতল ছোড়া শুরু হয়। চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি হয় মাঠজুড়ে।দর্শকদের অনেকেই জানান, চার মাস আগে টিকিট কেটেছেন তাঁরা। কেউ আবার ভোর ৪টে থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এত অপেক্ষা আর টাকা খরচ করেও মেসিকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ পাননি বহু মানুষ।এর পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় কুণাল ঘোষ লেখেন, আয়োজকদের ন্যূনতম পরিকল্পনাও ছিল না। তাঁর প্রশ্ন, সবটাই কি শুধু টাকা আর ব্যবসা? কেন মেসিকে ঘিরে এত লোকের ভিড় রাখা হল? কেন মাঠ পরিক্রমার সময় মেসিকে একা এগোতে দেওয়া হল না? কেন গ্যালারির দর্শকদের বঞ্চিত করা হল? কুণালের মন্তব্য, এই ঘটনা কলকাতার জন্য লজ্জাজনক।তিনি আরও লেখেন, কয়েকজনের আদিখ্যেতার জন্য পুরো আয়োজন নষ্ট হয়ে গেল। মেসিকে দেখার বদলে কেউ কেউ নিজেকে জাহির করতেই ব্যস্ত ছিলেন। কুণাল স্মরণ করিয়ে দেন, ২০১১ সালে এই যুবভারতীতেই খেলতে এসেছিলেন মেসি। তখন কর্নার ফ্ল্যাগের পাশে বসে শান্তিপূর্ণভাবে খেলা দেখেছিলেন তিনি। সেদিন কোনও বিশৃঙ্খলা হয়নি।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫
কলকাতা

মেসিকে নিয়ে মঞ্চের স্বপ্ন ভেস্তে, গাড়িতেই আটকে রইলেন শাহরুখ

শহরে আসবেন লিয়োনেল মেসি। চোখের সামনে ফুটবলের ভগবানকে দেখবেন হাজার হাজার ভক্ত। একই মঞ্চে থাকার কথা ছিল শাহরুখ খান, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও লিয়োনেল মেসির। সংবর্ধনা দেওয়ার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সব পরিকল্পনাই ছিল তৈরি। নির্ধারিত সময়েই শনিবার যুবভারতীতে অনুষ্ঠান শুরু হয়। মাঠে পৌঁছন মেসি। কিন্তু তার পরেই তৈরি হয় চরম বিশৃঙ্খলা, যা আগে কখনও দেখেননি ফুটবলপ্রেমী বাঙালি।এই অশান্ত পরিস্থিতির জেরে মাঠে ঢুকতেই পারলেন না বলিউড তারকা শাহরুখ খান। শনিবার সকালেই কলকাতায় আসেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন তাঁর ছেলে আব্রাম। শহরের এক পাঁচতারা হোটেলে আব্রামের সঙ্গে লিয়োনেল মেসি, লুইস সুয়ারেজ এবং রদ্রিগো ডিপলের সঙ্গে ছবিও তোলেন শাহরুখ। তার পর যুবভারতীর অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তাঁর।কিন্তু মেসি যখন মাঠ পরিক্রমা শুরু করেন, ঠিক তখনই গ্যালারি থেকে বোতল ছোড়া শুরু হয়। মুহূর্তের মধ্যে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। নিরাপত্তার কারণে মাঝপথেই মাঠ থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয় মেসিকে। সেই সময় গাড়িতে বসে স্টেডিয়ামের বাইরে অপেক্ষা করছিলেন শাহরুখ খান। বিশৃঙ্খলার কারণে তিনি মাঠে ঢুকতে পারেননি। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর তাঁকে ফিরে যেতে হয়।এই ঘটনার পর শহরের আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন উঠছে পুলিশ-প্রশাসন ও আয়োজকদের ভূমিকা নিয়েও। পুরো ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫
কলকাতা

মন্ত্রীরা মেসিকে দেখলেন, সেলফি তুললেন আর আমরা টাকা দিলাম! ক্ষোভে ফেটে পড়লেন দর্শকরা

যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হল। মাঠের ভিতরে ছোড়া হল চেয়ার, জলের বোতল। ক্ষুব্ধ দর্শকরা ব্যারিকেড ভেঙে মাঠে ঢুকে পড়েন। এমনকি একটি দিকের গোলপোস্টও ভেঙে ফেলা হয় বলে জানা গিয়েছে। মেসিকে সামনে থেকে দেখতে না পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন হাজার হাজার দর্শক।মাঠে উপস্থিত দর্শকদের কথায় উঠে এসেছে চরম হতাশা। এক দর্শক বলেন, মেসিকে নয়, আমরা শুধু অরূপ বিশ্বাসকেই দেখতে পেয়েছি। আর এক জনের অভিযোগ, আমাদের টাকায় সরকার মেসিকে দেখল, আমরা দেখলাম না। কেউ কটাক্ষ করে বলেন, অনিরুদ্ধ ধর আর সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে দেখতে এসেছিলাম, আর কাউকে দেখতে আসিনি।এক দর্শকের ক্ষোভ, অরূপ বিশ্বাসকে দেখলাম সেলফি তুলতে ব্যস্ত। মনে হচ্ছিল মেসির জায়গায় উনিই এই অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ। ৩ হাজার ৩৩৮ টাকা দিয়ে টিকিট কেটেছিলাম, কিন্তু এক ঝলকও মেসিকে দেখতে পেলাম না। কেউ ৪ হাজার, কেউ আবার ১০ হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কেটে এসেছিলেন। তাঁদের অভিযোগ, সাধারণ দর্শকদের থেকে মেসিকে আড়াল করে শুধু নেতা-মন্ত্রীরাই তাঁকে ঘিরে রেখেছিলেন।অনেকেই প্রশাসনের ভূমিকাকেও কাঠগড়ায় তুলেছেন। এক জন বলেন, মাঠে পুলিশ, স্তাবক আর মিডিয়ার ভিড় ছিল। সাধারণ মানুষ কিছুই দেখতে পায়নি। পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কাটা এক যুবক জানান, আগের রাত থেকেই তিনি সেই হোটেলের কাছে অপেক্ষা করছিলেন, যেখানে মেসি ছিলেন। তবুও ভগবান দর্শন হয়নি তাঁর।দর্শকদের ক্ষোভ ক্রমেই তীব্র আকার নেয়। মাঠে ওঠে চোর চোর স্লোগান। কেউ বলেন, নেতা-মন্ত্রীরা মেসিকে দেখল, সেই টাকাই তো আমরা দিয়েছি। সাঁতরাগাছির এক দর্শকের আক্ষেপ, আমরা শুধু মেসির হাতটা দেখেছি। কেউ গোটা ঘটনাকে দুর্নীতির সঙ্গে তুলনা করে বলেন, এটা স্ক্যাম ২০২৫, শতদ্রু দত্তের উদ্যোগ।শুধু রাজ্যের দর্শকরাই নন, অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে আসা এক প্রবাসী ভক্তও মেসিকে দেখতে না পেয়ে ভেঙে পড়েন। এমনকি এক রোনাল্ডো ভক্তও মেসিকে দেখতে এসে হতাশ হয়েছেন। কারও অভিযোগ, পুলিশও গালাগাল করেছে। এক দর্শকের কথায়, এত বড় লজ্জা ঢাকার জায়গা নেই। আর এক জন বলেন, মেসিকে দেখতে এসে শুধু ক্যামেরাম্যানই দেখে গেলাম।সব মিলিয়ে যুবভারতীর এই বিশৃঙ্খলা নিয়ে ক্ষোভ এখন সর্বত্র। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারও রাজ্য সরকার ও তৃণমূল কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে বলেন, মেসিকে নিয়ে গোটা বিষয়টাই মেস করে দেওয়া হল।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal