• ২৭ বৈশাখ ১৪৩২, রবিবার ১১ মে ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Durga Puja,

রাজ্য

অসময়ে বেশী বৃষ্টি পদ্ম চাষীদের মাথায় হাত

টানা দুবছর ব্যবসা একেবারে বন্ধ ছিল।এবার কোভিড বিধি শিথিল হলেও লাভ নয়, লোকসানের মুখে পদ্মচাষীরা।পূর্ব বর্ধমানের ভাতার,আউশগ্রাম, দেওয়ানদীঘি সহ জেলার সর্বত্রই কমবেশি পদ্মচাষ হয়। কিন্তু এবার বর্ষার শুরুতে অনাবৃষ্টির কারণে পুকুরে সেই ভাবে পদ্ম গাছ বেড়ে ওঠেনি। পুকুরের জলের অভাবে পদ্মগাছ শুকিয়ে যায়। এখন আবার ঠিক উল্টো চিত্র। লাগাতার বৃষ্টির জন্য পদ্মফুল পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।পদ্মচাষী হারু ধারা, সর্বেশ্বর মাঝিরা জানান,প্রতিবছরই পুজোর মরশুমে পদ্মের চাহিদা থাকে।এবারও ভালোই চাহিদা আছে বাজারে। কিন্তু চাহিদার তুলনায় বাজারে জোগান দিতে পারচ্ছেন না।করোনার জন্য দুবছর তাদের ব্যবসা প্রায় বন্ধই ছিল।এবছর তারা ভেবেছিলেন ঘুরে দাঁড়াবেন। তাতে বাধ সেধেছে আবহাওয়া। কখনো অনাবৃষ্টি তো আবার কখনো অতিবৃষ্টি। আবহাওয়া খামখেয়ালিতে পদ্মচাষীরা চরম সংকটে পড়েছেন।চড়া দাম দিয়ে পুকুর ডাক (লিজ) নিয়েছেন এলাকায় পদ্মচাষীরা। কিন্তু এখন যা অবস্থা দুমুখ সমান হবে কিনা সেটা নিয়ে চিন্তিত তারা। পূর্ব-বর্ধমান জেলার পদ্মচাষীরা মূলত ফুল নিয়ে হাওড়ার হাটে যান। সেখানেই সারাবছর কেনাবেছা চলে।কিন্তু পুজোর মরশুমে এখন পদ্মচাষীদের মাথায় হাত। বৃষ্টি বেশী হওয়ায় পদ্মের কুড়ি বড় হচ্ছে না।পচে যাচ্ছে বলে জানান চাষীরা।

সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২২
রাজ্য

বন্ধ হতে বসা দুর্গা পুজোকে চালু করতে হিন্দুদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে আসেন মুসলিমরা

দুর্গাপুজোয় সমান আনন্দে মাতেন গ্রামের মুসলিম পরিবারের সদস্যরাও। পূর্ব বর্ধমানের জঙ্গলমহল আউশগ্রামের গোয়ালআড়া গ্রামের দুর্গাপুজো আগে ছিল মণ্ডল পরিবারের পারিবারিক পুজো। পরিবারের আর্থিক অবস্থা প্রথমদিকে ভালো ছিল। তাই ভালোভাবেই পুজো হত। কিন্তু আর্থিক সমস্যার কারণে মণ্ডল পরিবার আর পুজো চালিয়ে যেতে পারেনি। তখন থেকেই পুজোর দায়িত্ব নেয় গ্রামবাসীরা। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে হিন্দুদের পাশাপাশি এগিয়ে আসেন গ্রামের মুসলিম ধর্মালম্বী মানুষজনও। ফলে গোয়ালআড়া গ্রামের দুর্গাপুজো সর্বধর্মের সম্প্রীতির পুজো হয়ে উঠেছে। তা যথার্থই হয়ে উঠেছে ধর্ম যার যার উৎসব সবার।দুর্গামন্দির পরিস্কার রাখতে ঝাঁট দেওয়া থেকে পুজোর বাজারহাট সব কাজেই সমানভাবে গ্রামের মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজন অংশ নেন। গোয়ালআড়া গ্রামের বাসিন্দা স্থানীয় সেখ মুস্তাক আলি বলেন,আমাদের গ্রামের এই দুর্গাপুজো দেড়শো বছরের প্রাচীন। অনেক আগে থেকেই ওই পরিবার পুজো বন্ধ করে দেন। তখন থেকেই গ্রামের সকলে পুজোর দায়িত্ব নেয়। পুজোয় কোনও খামতি রাখা হয় না। প্রথা মেনেই নিষ্ঠার সঙ্গে পুজো হয়। এই বছর আমরা সরকারি অনুদান পেয়েছি।আউশগ্রামের গোয়ালআড়া গ্রামের অধিকাংশ কৃষিজীবী মানুষের বসবাস। গ্রামে হিন্দু, মুসলিম সকল সম্প্রদায়ের মানুষ রয়েছেন। প্রায় দেড়শো বছর আগে মণ্ডল পরিবারের এক পূর্বপুরুষ এই দুর্গাপুজোর সূচনা করেন। প্রথমদিকে দুর্গাপুজো ধুমধাম সহকারেই হত। শতাব্দীকাল পর থেকে পুজোটি বারোয়ারি হয়ে যায়। গ্রামবাসী সুনীল মণ্ডল বলেন, মণ্ডল পরিবারের আর্থিক অনটনের কারণে পরিবারের পক্ষ থেকে আর পুজো করা সম্ভব ছিল না। তারপর পুজোর দায়িত্ব গ্রামের সকলে নিয়ে নেন। এখন এটি বারোয়ারি পুজো। শুধু বারোয়ারি নয়, এই পুজোয় এখন হিন্দু মুসলিম সকলের পুজো।গোয়ালআড়া গ্রামের দুর্গাপুজোয় প্রতিমা তৈরির সময় থেকেই মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজন অংশ নেন। পুজোর যাবতীয় খরচ হিন্দু মুসলিম সকলেই চাঁদা তুলে বহন করেন। মন্দির চত্বর পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা থেকে মন্দিরের তদারকি, বাজারহাট করা সবেতেই সমান ভূমিকা নেন। মহালয়ার দিন মোচ্ছবের আয়োজন থাকে। তার খরচও সমানভাবে বহন করেন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজন।গ্রামবাসী আবদুল গনি জানান পুরানো দুর্গামন্দির ভেঙে নতুন পাকা মন্দির তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই পুজোতে আমরাও চাঁদা দিয়ে থাকি। গেরাই গ্রামের বাসিন্দা আবদুল লালন নামে একজন ব্যবসায়ী মন্দির নির্মাণের জন্য খরচ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। আব্দুল লালন বলেন, আমি গ্রামের ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় দেখি মন্দিরের অবস্থা ভগ্নপ্রায় হয়ে রয়েছে।আমি গ্রামবাসীদের বলি পুজোর যা খরচ হবে আমি সব ব্যয় করবো।ওরা সম্মতি জানিয়েছে।আমি এই বছর সমস্ত খরচ দেব।ধর্ম যার যার উৎসব সবার,আমরা সকল গ্রামবাসী কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এই পুজোয় মেতে উঠি।

সেপ্টেম্বর ২২, ২০২২
রাজ্য

এবারের পুজোটা জেলেই কাটবে অনুব্রত মন্ডলের, জামিন না-মঞ্জুর

সেই প্রভাবশলী তকমা। এবার দুর্গাপুজোটা জেলেই কাটাতে হবে গরুপাচার কাণ্ডে গ্রেফতার বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মন্ডলকে। বুধবার ফের জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গেল অনুব্রত মন্ডলের। এদিন ফের এই তৃণমূল নেতাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজত দিল আসানসোলের সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। জামিনের আবেদন খারিজ করেন বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ৫ অক্টোবর, দশমীর দিন। তাই পুজোর কটা দিন জেলেই কাটাতে হবে অনুব্রতকে।বুধবার আসানসোলের বিশেষ আদালতে অনুব্রতর মন্ডলের আইনজীবী সন্দীপন গঙ্গোপাধ্যায় এবং অনির্বাণ গুহঠাকুরতা মক্কেলের জামিনের আবেদন করেন। তাঁরা যুক্তি দেন, গরুপাচার কাণ্ডের মূল অভিযুক্তদের জামিন মঞ্জুর হয়েছে। কেউ মাসখানেকের ওপর জেল খেটেছেন কেউ জেল না খেটেই জামিন পেয়েছেন। একইসঙ্গে অনুব্রতর শারীরিক অবস্থা খারাপ বলেও আদালতে জানান তাঁর আইনজীবী। সিবিআই আইনজীবীর তরফে প্রভাবশালী তকমা দেওয়া হয় অনুব্রতকে। তিনি বাইরে থাকলে মামলার সাক্ষ্যপ্রমাণ নষ্ট করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।

সেপ্টেম্বর ২১, ২০২২
বিনোদুনিয়া

পুজো মানে আড্ডা, খাওয়া, আর অষ্টমীতে অঞ্জলী অবশ্যই : সুচরিতা বিশ্বাস

শ্যুটিং এ ব্যস্ত সারাদিন। মিউজিক ভিডিও থেকে মডেলিং জগতে বেশ জনপ্রিয় অভিনেত্রী সুচরিতা বিশ্বাস। বেশকিছু ব্রান্ডের শ্যুটে নাম কেড়েছেন তিনি। শ্যুটিং এর ব্যস্ত শিডিউলে কি প্ল্যান এই বছরের পুজো? সরাসরি আমাদের সাথে খোলা আড্ডায় এই পুজোর প্ল্যান শেয়ার করলেন অভিনেত্রী, মডেল সুচরিতা বিশ্বাস।১) ব্যস্ত শিডিউল, শ্যুটিং এর পাশাপাশি এই পুজোতে কি প্ল্যান তোমার?উত্তর : পুজো তে সত্যি বলতে কোনো প্ল্যান নেই। তবে ঘুরতে বেরোনো, আড্ডা দেওয়া তো থাকবেই। ২) পুজোতে কলকাতা থাকতে ভালোবাসো? নাকি অন্য কোথাও ছুটি কাটানো?উত্তর : পুজো মানেই কলকাতা। কলকাতা ছেড়ে পুজোর সময় অন্য কোথাও থাকার মানেই হয়না।৩) এই বছরের পুজো প্ল্যান কি?উত্তর : এবার পুজোতে প্রচুর খাওয়াদাওয়া হবে, নতুন পোষাক পরে অঞ্জলী দেবো পরিবারের সাথে। ঠাকুর দেখবো।৪) আষ্টমি তে কি ড্রেশ করবে? আষ্টমীর প্ল্যান কি?উত্তর : অষ্টমী তে সাবেকি সাজে বন্ধু দের সাথে বেরোনোর প্ল্যান আছে। ৫) শ্যুটিং এর মাঝে শপিং কি সব কমপ্লিট?উত্তর : শুটিং এর মাঝে শপিং তো করতেই হবে তাই অনলাইনে ভরসা। কারণ শপিংমলে গিয়ে কেনা সম্ভব না। তবে এখনও কেনাকাটি কমপ্লিট হয়নি, কিছুটা বাকি আছে।৬) এবার পুজোর তোমার ফ্যাশন প্ল্যান কি?উত্তর : সব রকমেরই ট্রেন্ডি ড্রেস পরবো এবার পুজোতে।

সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২
বিনোদুনিয়া

'টোয়াইন টেলস'-এর নতুন সম্ভার

দুর্গাপুজো আসতে আর বেশিদিন বাকি নেই। এবারের দুর্গাপুজো উপলক্ষে টোয়াইন টেলস তাদের নতুন সম্ভার নিয়ে এল। দক্ষিণ কলকাতার হিন্দুস্তান পার্কের কাছে অবস্থিত টোয়াইন টেলস-এ একদিনে যেমন সাবেকিয়ানার ছোঁয়া রয়েছে তেমনি অন্যদিকে অভিনবত্বের ছাপ ও আছে। এর কর্ণধার সনহিতা দে মৌলিক জানিয়েছেন, সারা ভারতে যে সকল উৎসব হয় তার মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় হল দুর্গাপুজো। বাঙালির কাছে দুর্গাপুজো মানে আলাদা আবেগ। দুর্গাপুজো উদযাপন উপলক্ষে আমাদের ষষ্ঠী থেকে দশমী বিভিন্ন কালেকশন রয়েছে।

সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২২
রাজ্য

দুর্গাপুজোয় ৬০ হাজার! হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা

দুর্গাপুজোয় সরকারি অনুদানের সিদ্ধান্ত কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হল কলকাতা হাইকোর্টে। প্রসঙ্গত ২২ আগস্ট সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের ৪৩ হাজার দুর্গাপুজো কমিটিকে ৬০ হাজার টাকা করে রাজ্য সরকারের তহবিল থেকে অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। এবার সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের জনস্বার্থ মামলার আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করল কলকাতা হাই কোর্ট।বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজেশ ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ পুজো কমিটিগুলিকে ৬০ হাজার টাকা করে অনুদান নিয়ে রাজ্যের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। মামলাকারী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী কাউন্সিলের আইনজীবী পারমিতা দে। আগামী শুক্রবার এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। হাই কোর্টের কাছে মামলার দ্রুত শুনানির আর্জি জানানো হয়েছে আবেদনকারী পক্ষের তরফে।প্রসঙ্গত, আগের দুবছর রাজ্যের পুজো কমিটিগুলিকে সরকারি তহবিল থেকে ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী জানান, এককালীন ৬০ হাজার টাকা অনুদানের সাথে পুজো কমিটিগুলির বিদ্যুৎ বিলেও ৬০% ছাড় দেওয়া হবে। কোলকাতা ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই ও রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন পর্ষদকে পুজো কমিটিগুলিকে বিদ্যুৎ বিলে ৬০ শতাংশ ছাড় দেওয়ার অনুরোধও জানান মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যে বিজেপি-সহ বিরোধী দলগুলি মুখ্যমন্ত্রীর ওই সিদ্ধান্ত নিয়ে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছে।

আগস্ট ২৪, ২০২২
কলকাতা

UNESCO: ইউনেসকোর হেরিটেজ তকমা পেল বাংলার শারোদৎসব

বাংলা ও সারা বিশ্বের বাঙালির জন্য গর্বের মুহূর্ত।বাংলার মুকুটে যুক্ত হল নতুন পালক।ইউনাইটেড নেশনস এডুকেশনাল, সায়েন্টেফিক অ্যান্ড কালচারাল অর্গানাইজেশন-ইউনেসকোর হেরিটেজ তকমা পেল বাংলার দুর্গা পুজো।দীর্ঘদিন ধরে যে দাবি জানিয়ে আসছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার ইউনেসকোর ভারতীয় বিভাগের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে এক বার্তায় বলা হয়েছে,কলকাতার দুর্গাপুজোর মধ্যে আছে দীর্ঘ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। যে কারণেই এটিকে ইউনেসকোর কালচালার হেরিটেজের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা হল।ওয়াকিবহাল মহলের মতে বাংলার দুর্গাপুজোকে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরতে মুখ্যমন্ত্রীর লড়াইয়ের ফসল এই স্বীকৃতি।🔴 BREAKINGDurga Puja in Kolkata has just been inscribed on the #IntangibleHeritage list.Congratulations #India 🇮🇳! 👏ℹ️https://t.co/gkiPLq3P0F #LivingHeritage pic.twitter.com/pdQdcf33kT UNESCO 🏛️ #Education #Sciences #Culture 🇺🇳😷 (@UNESCO) December 15, 2021Proud moment for Bengal!To every #Bengali across the world, Durga Puja is much more than a festival, it is an emotion that unites everyone.And now, #DurgaPuja has been added to the Representative List of Intangible Cultural Heritage of Humanity.We are all beaming with joy! Mamata Banerjee (@MamataOfficial) December 15, 2021দুর্গাপুজোকে ইউনেস্কোর হেরিটেজ তালিকায় রাখার দাবি অনেকদিনের৷ পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন সময়ে দুর্গাপুজোকে ইউনেসকোর হেরিটেজ তালিকায় রাখার দাবিতে সরব হয়েছেন।৷ অবশেষে দুর্গাপুজোর হেরিটেজ তকমা চেয়ে ইউনেসকোর কাছে আবেদন করে ভারত সরকার৷ জানা গিয়েছে, বিশ্বজুড়ে এমন বহু আবেদন ইউনেসকোর কাছে জমা পড়ে৷ সেই আবেদনগুলি খতিয়ে দেখতে ১৩ ডিসেম্বর প্যারিসে বিশেষ অধিবেশনে বসেন ইউনেস্কোর আধিকারিকরা৷ সেই সব আবেদন খতিয়ে দেখার পরই বাঙালির দুর্গাপুজোকে হেরিটেজ তালিকাভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় ইউনেসকো৷ইউনেসকোর এমন ঘোষণার পর টুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও।A matter of great pride and joy for every Indian!Durga Puja highlights the best of our traditions and ethos. And, Kolkatas Durga Puja is an experience everyone must have. https://t.co/DdRBcTGGs9 Narendra Modi (@narendramodi) December 15, 2021অনন্য এই স্বীকৃতির ফলে আন্তর্জাতিক মহলে কলকাতার দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে কৌতূহল বাড়বে। পর্যটনেও নতুন গতি আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।ইউনেসকোর ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হয়েছে, দুর্গা পুজাকে ধর্ম ও শিল্পের সর্বজনীন মিলন ক্ষেত্রের সর্বোত্তম উদাহরণ হিসাবে দেখা হয় এবং সহযোগী শিল্পী ও ডিজাইনারদের জন্য একটি সমৃদ্ধ ক্ষেত্র হিসাবে দেখা হয়। এই উৎসব শহুরে এলাকায় বড় আকারের পালিত হয় এবং মণ্ডপগুলির পাশাপাশি রয়েছে বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঢাক এবং দেবীর পূজা। উৎসব চলাকালীন সব শ্রেণি, ধর্ম এবং জাতিগত বিভাজন ভেঙে দর্শকদের ভিড়ের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে এবং এই গোটা প্রক্রিয়াই ভীষণভাবে প্রশংসিত হয়েছে ইউনেসকোর দরবারে।

ডিসেম্বর ১৫, ২০২১
বিনোদুনিয়া

Sindur Khela : দশমীতে সিঁদুরখেলায় মাতলেন টলি তারকারা

আজ বিজয়া দশমী। দশমী মানেই বিষাদের সুর বাজতে শুরু করে। আবার এক বছরের অপেক্ষা। তবে আবার দশমী মানেই সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন মেয়েরা। যার মধ্যে আবার আলাদা একটা আনন্দ রয়েছে। লাল পাড় সাদা শাড়ি পরে সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠাতে বাদ জাননা টলি তারকারাও। এই বছর কোভিড বিধি মেনে সিঁদুর খেলায় মেতে উঠলেন নুসরত জাহান, শুভশ্রী, দেবলীনা কুমার, কোয়েল মল্লিক, ফালাক রশিদ রায়, রাইমা সেন সকলেই। সিঁদুরখেলায় না মাতলেও দেবীকে বরণ করলেন মিমি চক্রবর্তী। তবে সিঁদুরখেলায় যে বিবাহিতরাই মাতেন এমনটা নয়। সিঁদুরখেলায় মেতে উঠলেন ঋতাভরী চক্রবর্তী ও সোহিনী সরকার। বিয়ের পর প্রথম সিঁদুর খেলায় দেবলীনা কুমারকে বেশ ভালো লাগছিল। সঙ্গে ছিলেন গৌরব। নিয়ম-রীতি মেনে মা-কে বরণ করে নিলেন অভিনেত্রী। দশমীর দিন লাল শাড়িতে ধরা দিলেন কোয়েল। মা দুর্গাকে সিঁদুরে রাঙিয়ে দিতে দেখা গেল কবীরের মা-কে, সেই সিঁদুর নিজের সিঁথিতেও ছুঁইয়ে নিলেন নিসপাল সিং ঘরনি।এদিন সকলের সঙ্গে বিজয়ার শুভেচ্ছা ভাগ করে নেন অভিনেত্রী। সঙ্গে হাসি মুখে জানান, আসছে বছর আবার হবে। অগ্নিদের চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ির দুর্গাপুজো অনেকেই জানেন। তাদের বাড়ির ঠাকুর দেখতে অনেক টলি তারকা ভিড়। অগ্নিদেব ও সুদীপ্তা চট্টোপাধ্যায় বিগত বছরগুলোর মত ধূমধাম করে না হলেও একসঙ্গে সিঁদুরখেলায় মেতে উঠলেন। সুদীপা চট্টোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবিও সকলের সঙ্গে ভাগ করে নেন।

অক্টোবর ১৫, ২০২১
বিদেশ

Sheikh Hasina: বাংলাদেশে দুর্গামন্ডপ ও মন্দিরে হামলার ঘটনার তদন্ত শুরু, কড়া বার্তা শেখ হাসিনার

পরশি বাংলাদেশে দুর্গামন্ডপ ও হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুর নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন ওই দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কুমিল্লার ঘটনার ব্যাপক তদন্ত হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন। ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনী নামাতে হয়েছে। স্থানীয় সংবাদপত্রের সূত্র অনুযায়ী, হিংসার ঘটনা ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, একাধিক ব্যক্তি জখম হয়েছেন।বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের দেশ অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ। বাংলাদেশে সব ধর্মের লোক বসবাস করে। যে যার ধর্ম সে পালন করবে। অর্থাৎ ধর্ম যার যার উৎসব সবার। একসঙ্গে সবাই মিলে উৎসবে সামিল হয়ে আনন্দ উপভোগ করে এই দেশে। কিন্তু মাঝে মাঝে কিছু দুষ্টু চক্র কিছু ঘটনা ঘটিয়ে চেতনাটাকে নষ্ট করতে চায়। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। কুমিল্লার ঘটনার তদন্ত হচ্ছে। অনেক তথ্য আমরা পাচ্ছি। এই ধরনের ঘটনা যারা ঘটাবে তাদের খুঁজে বের করবই। এটা প্রযুক্তির যুগ। যে ব্যক্তিই হোক না কেন তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা অবশ্যই নেব। যখন একটা জিনিস সুন্দর ভাবে চলছে সেটাকে নষ্ট করা। দেশের উন্নয়নে বাধা দেওয়া ও সন্ত্রাস সৃষ্টি করার চেষ্টা চলছে। জনগনের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে পারে না তারাই এই কাজ করে। সকলকেই সচেতন থাকতে হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের কথাও স্মরণ করেছেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, জাতির পিতা ১৯৭৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর বলেছিলেন বাংলার মাটিতে সাম্প্রদায়িকতার স্থান নেই। মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান যারাই এখানে বসবাস করেন সবাই এদেশের নাগরিক। প্রতিটি ক্ষেত্রে তাঁরা সম অধিকার ভোগ করবেন। ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার। ধর্ম পালন সকলেই করতে পারবেন তা সংবিধানে অধিকার দিয়ে গিয়েছেন তিনি।সংখ্যায় কম হলেই সংখ্যালঘু বেশি হলেই সংখ্যাগুরু। সাধারণত একথা সব দেশেই প্রচলিত আছে। এই ধারনাও ঠিক নয় বলে মনে করিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, নিজেদের কখনও ক্ষুদ্র সম্প্রদায় ভাববেন না। এখানে আপনাদের জন্ম। আপনি স্বাধীন নাগরিক। সংখ্যালঘু সংখ্যাগুরু এসব কেউ ভাববেন না।

অক্টোবর ১৫, ২০২১
বিদেশ

bangladesh temple attack: বাংলাদেশে দুর্গাপুজো মন্ডপ ও হিন্দু মন্দিরে হামলা, মৃত তিন, সরব বিজেপি-তৃণমূল

বাংলাদেশে দুর্গাপুজো মন্ডপ ও হিন্দু মন্দিরে আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ, বেশ কিছু জায়গায় দুষ্কৃতীরা প্রতিমাও ভেঙে দিয়েছে। এই ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ঘটনার নিন্দা করে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দাবি করেছে তৃণমূল কংগ্রেসও। এদিকে বাংলাদেশের সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তিন জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। ২২টি জেলায় হিংসার ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয় সংবাদ সূত্রে খবর।কালের কণ্ঠে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে মন্দিরে হামলার চেষ্টার সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছে। বুধবার রাতের এই সংঘর্ষে আহত হয়েছে ১৫ পুলিশসহ অন্তত ২৫ জন। চাঁদপুর জেলা পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ তিনজন নিহত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন সরোয়ার জানান, হাজীগঞ্জ বাজার ও এর আশপাশের এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ জানান, হাজীগঞ্জে দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হচ্ছে।সংবাদপত্র সূত্রে খবর, বিভিন্ন ধর্মীয় ভাবাবেগকে রটিয়ে হিংসা ছড়ানো হচ্ছে। বুধবার রাতে একদল লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে হাজীগঞ্জ পশ্চিম বাজার থেকে শ্রীশ্রী লক্ষ্মী নারায়ণ জিউর আখড়ার গেটে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য প্রথমে লাঠিপেটা করে। উত্তেজিত জনতা তখন পুলিশের ওপর হামলা করে। পুলিশ ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। হামলাকারীরা হাজীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের পাশে ইসকন মন্দিরের গেটেও ইটপাটকেল ছোড়ে। সেখানে গিয়েও পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বাড়তি পুলিশ ফোর্স পাঠানো হয় ঘটনাস্থলে। তারপর পরিস্থিতি শান্ত হয়। পুলিশও ঘটনায় জখম হয়েছে।কালের কণ্ঠ জানাচ্ছে, কুমিল্লায় একই ভাবে অভিযোগ ছড়ানার পর তিনটে পুজো মন্ডপে ভাঙচুর হয়েছে। পুলিশের সঙ্গে হামলাকারীদের সংঘর্ষ ঘটে। পুলিশ রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায়। এই ঘটনায় কুমিল্লায় ৩০ জন আহত হয়েছে। আহতদের কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে জকিগঞ্জেও। কালের কণ্ঠের খবরে প্রকাশ, উত্তেজিত জনতা উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জকিগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও জকিগঞ্জ থানার ওসির গাড়ী ভাঙচুর করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা আহমদ, একাধিক পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৩০-৩৫ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। চট্টগ্রামের বাঁশখালি এবং কক্সবাজারের পেকুয়াতে হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুরের খবর পাওয়া গিয়েছে।তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের টুইট, বাংলাদেশে দুর্গাপুজোর উপর আঘাত ও অশান্তির গুরুতর অভিযোগ আসছে। এটা উদ্বেগের। অভিযোগের তদন্ত হোক। ঘটনাক্রম সত্যি হলে বাংলাদেশ সরকার ব্যবস্থা নিক। ভারত সরকার অবিলম্বে কথা বলুন। আমরা ভারতে যেমন সংখ্যালঘু সুরক্ষার পক্ষে, তেমনই বাংলাদেশেও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও অধিকার সুনিশ্চিত চাই। বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা নিয়ে পদক্ষেপ করার দাবি জানিয়েছেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেছে বিজেপি।

অক্টোবর ১৪, ২০২১
বিবিধ

'Burj Khalifa: দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর 'বুর্জ খলিফা' নিয়ে বিষ্ফোরক তণমূল সাংসদ

শ্রীভূমির বুর্জ খলিফা নিয়ে দুর্গাপুজোর শুরু থেকেই হইচই চলছে কলকাতা জুড়ে। রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর এই পুজোর আয়োজন নিয়ে সর্বত্র সমালোচনার ঝড় বইছে। মন্ডপে উপচে পড়ছে দর্শনার্থী। এবার সুজিত বসুর উদ্যোগ নিয়ে তোপ দাগলেন দলীয় সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়।বিশ্বের বৃহত্তম ভবন দুবাইয়ের বুর্জ খলিফা। এবার লেজার লাইট সহযোগে এই বুর্জ খলিফার আদলে মন্ডপ গড়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে দমকলমন্ত্রীর ক্লাব শ্রীভূমি। প্রতিবছর কোনও না কোনও বিশেষ আকর্ষণ থাকে শ্রীভূমির। এবার বুর্জ খলিফা দেখতে লোকে-লোকারন্য। কলকাতা যেন ওই পুজো দেখতে ভেঙে পড়েছে। যদিও বুর্জ খলিফার লেসার লাইট নিয়ে বিমানবন্দর কতৃপক্ষ আপত্তি তোলায় তা বন্ধ রাখতে হয়েছে। বৃহস্পতিবার সুজিত বসুর দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুললেন কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সুজিত এমনি খুব ভাল ছেলে। কিন্তু বিমানবন্দর এলাকা হওয়ায় আরও বেশি দায়িত্বশীল হওয়া উচিত ছিল। আইন অনুযায়ী লক্ষ্য রাখা হয়নি। কেন এত ক্রাউড ডাকব। ভিড় যাতে বেশি না হয় সেদিকে নজর রাখতে হতো। এমন একটা কাজ করা উচিত নয় যেখানে লক্ষ লক্ষ মানুষ হাজির হয়ে গেল।কোভিড পরিস্থিতি এর ফলে বিগড়ে যেতে পারে বলেও ওই তৃণমূল সাংসদ মনে করছেন। তিনি বলেন, সরকারের উদ্দেশ্যটা এর ফলে ব্যহত হচ্ছে। খোলামেলা জায়গা চাই। যাতে ভাইরাসটা বেরিয়ে যেতে পারে। তুমি বদ্ধ জায়গায় বিপুল লোক জড় করে দিলে। এটা কোভিড নিয়ন্ত্রণের বিরোধী হয়ে যাচ্ছে। যদিও এবিষয়ে সুজিত বসুর কোনও মন্তব্য মেলেনি।

অক্টোবর ১৪, ২০২১
বিনোদুনিয়া

Agomoni : আগমনীতে দুর্গাপুজোর ছোঁয়া

Klikk এর নতুন প্রোজেক্ট। আগামী ১০ ই অক্টোবর Klikk এ প্রিমিয়ার হবে স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি আগমনী।অভীক একটি ২২ বছরের ছেলে। শহরের বাইরে থাকে। শুরুতেই দেখা যায় যে কিঞ্চিৎ বিষণ্ণ হয়ে অভীক কে তার বাবা ফোন করে জিজ্ঞেস করছেন যে সে এই বছর পুজোয় বাড়ি আসছে কিনা, কারণ এই বছর তাদের বাড়িতে পুজো হবেনা। অভীক বাড়ি আসে। তার দিদির সাথে কথোপকথনের পর আমরা বুঝতে পারি যে, কিছুদিন তাদের বাবা মায়ের সেপারেশন হয়েছে তাই এবারে পুজোটা হবেনা। অভীক এসেছে জানতে পেরে তার পুরোনো বান্ধবী রাই, তার সাথে কথা বলতে আসে। রাই এখন অভীকের প্রাক্তনী। ২ বছর আগেই ওদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। তাদের কথার মধ্যে সেই মান অভিমান আমরা ফুটে উঠতে দেখতে পাই। রাই অভীক কে বলে যদি তারা সব বন্ধুরা মিলে পুজোটা করতে পারে। পরের দিন তারা বাবার কাছে পারমিশন নিতে গেলে বাবা কিছুটা ইতস্তত হলেও রাজি হয়ে যায়। পুজোর তোড়জোড় শুরু হয় বন্ধুদের। মহালয়ার দুদিন আগে অভীক দুঃখের সাথে রাই কে বলে - এবারের পুজোয় মা কে খুব মিস করবো!মহালয়ার দিন সকালে চক্ষুদান এর সময় অভীক দেখে, তার মা ফিরে এসেছে। আবেগে বিহ্বল হয়ে অভীক মা কে জড়িয়ে কেঁদে ফেলে। দেবী ও মাএর আগমনী হয়। মা অমলীন, চিরন্তন,শুধুমাত্র দৈনন্দিন আবেগ বা আরাধনায় আবদ্ধ নয়। বিরহ, বিচ্ছেদ, বিষাদ, সবের ঊর্ধ্বেমা। আসবেই আগমনী। এটি মা এর ফিরে আসার গল্প। মা বারবার ফিরে আসেন। এই ছবিতে মূল চরিত্রে অভিনয় করবেন রোহন সেন,ঐশ্বর্য সেন,রানা বসু ঠাকুর,অমৃতা দে, হিন্দোলা চক্রবর্তী, অন্তরা স্বর্ণকার এবং বুলান ঘোষ। প্রযোজনার দায়িত্বে রয়েছে কিছুক্ষণ এন্টারটেইনমেন্টের অমৃতা দে। প্রযোজনার পাশাপাশি এখানে মায়ের চরিত্রে দেখা যাবে তাকে। শুধু তাই নয় টাইটেল ট্র্যাক ও তাঁর গাওয়া। সহ প্রযোজনার দায়িত্বে রয়েছেন রানা বসু ঠাকুরের JLT FILMS। পরিচালনায় চিত্রনাট্য, ডায়ালগ ও সম্পাদনা পুরোটাই সামলেছেন তরুণ পরিচালক রোহন সেন।

অক্টোবর ০৯, ২০২১
নিবন্ধ

Saradarghya: শারদঅর্ঘ্য

উত্তাল তরঙ্গভঙ্গ হেলায় তুচ্ছ করে এগিয়ে চলেছে রঙবেরঙের এক ময়ূরপঙ্খী, তাতে সওয়ার ঢাক -ঢোল -সানাই নিয়ে এক দল গাইয়ে বাজিয়ে... মাথার ওপর উজ্জ্বল সূর্য... এক কোণে সেই পরিচিত দুলাইনের লোগো --- শারদঅর্ঘ্য!আটাত্তরের এইচ.এম.ভি.-র পুজোর গানের বইয়ের প্রচ্ছদ, যদ্দূর মনে পড়ে, ছিল এমনই। বিধ্বংসী বন্যায় সেবার রক্তাক্ত হয়েছিল সারা বাংলা; তবু তার মধ্যেও পূজো এসেছিল, মা এসেছিলেন অনিঃশেষ বৃষ্টিতে শ্যাওলা পড়ে যাওয়া গ্রামের আটচালায়.. লাশ ভাসার ছবি সরে গিয়ে খবরের কাগজের পাতায় শেষ পর্যন্ত দেখা গিয়েছিল নৌকোয় রওনা দিয়েছে মাতৃপ্রতিমা... কলা-পেয়ারা -ভেজা মটর -পানিফলের সামান্য উপচার দিয়েই সাজানো হয়েছিল ফল প্রসাদের থালা... আর লতা মঙ্গেশকরকে দিয়ে সলিল চৌধুরী গাইয়েছিলেন আজ নয় গুণগুণ গুঞ্জন প্রেমের / চাঁদ ফুল জোছনার গান আর নয় / ওগো প্রিয় মোর খোলো বাহুডোর / পৃথিবী তোমারে যে চায়...সেই শারদঅর্ঘ্য! দেশ-আনন্দমেলা-কিশোরভারতী-শুকতারা-নবকল্লোলের পুজোবার্ষিকীর চাইতে তার আকর্ষণ কি ছিল কিছু কম? মোটা দামী কাগজে ঝকঝকে ছাপা তকতকে ছবি মোড়া গোটা পঞ্চাশ পাতার বইটি নিয়ে কাড়াকাড়ি করতাম মামাতো দিদিদের সঙ্গে (তারা সবাই ছিল কম বেশি গাইয়ে, কাজেই সে বইয়ের অধিক হকদার!) পুজোর কদিন আগে জলপাইগুড়ি থেকে এসে পড়তাম বর্ধমানে মামার বাড়ি। সবার প্রিয় সেজমামা ততদিনে দূর্গাপুর থেকে তার এইচ.এম.ভি ফিয়েস্টা রেকর্ডপ্লেয়ার আর নতুন কেনা এক গুচ্ছ এল.পি ও ই.পি রেকর্ড নিয়ে এসে পড়েছে--- তারপর সারাদিন ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সেই সব হেমন্ত -কিশোর -মান্না - লতা - আশা - সন্ধ্যা - আরতি নিয়েই ওঠা বসা!শারদঅর্ঘ্য নেই আজ অনেক দিনপ্রতি পাতায় শিল্পীর সাদা কালো ছবি, রেকর্ডের নম্বর ও টেকনিক্যাল খুঁটিনাটি,গীতিকার -সুরকার -যন্ত্রানুসঙ্গীর নাম, গানের সম্পূর্ণ কথা। আমার ছোটমামা লম্বা খাতায় গোটা গোটা অক্ষরে লিখে রাখত সেই সব গান-- দেখে দেখে আর শুনে শুনে মনে গেঁথে যেত আমাদেরও। দ্বিজেন - পিন্টু -শ্যামল - মানবেন্দ্র, প্রতিমা - জপমালা - সবিতা - বনশ্রী, পূর্ণদাস - নির্মলেন্দু - রুণা লায়লা - স্বপ্না চক্রবর্তী - মিন্টু দাশগুপ্ত ছাপার অক্ষর থেকে বেরিয়ে এসে আবিষ্ট করে রাখতেন।শারদঅর্ঘ্যের পাতায় পাতায় অন্য এক জগতের হাতছানি--- কৃষ্ণচূড়া শোন শোন শোন, সারা বেলা গেল খেলে খ্যাপা হাওয়াতে...কৃষ্ণচূড়া আগুন তুমি ফাগুন ভরা গানে... ..কৃষ্ণচুড়ার বন্যায় চৈতালি ভেসে গেছে ... কৃষ্ণচুড়ার বনে ছায়াঘন পথ --- সব রহস্য যেন চেনা হয়ে যেত, গানে গানে সব বন্ধন যেত টুটে। অদ্ভুত কান্ডও হতো মাঝে মধ্যে। আটাত্তরে লতা মঙ্গেশকর আজ তবে এইটুকু থাক গানে কেন না তাকাতে ভোর হয়ে যাবে না গেয়ে না গাবাতে ভোর হয়ে যাবে গেয়েছিলেন, তা আজো বুঝতে পারি নি, যেমন বুঝে উঠতে পারি নি সেই ভুল গানই এইচ .এম.ভি রেকর্ড হিসেবে প্রকাশ করে দিল কী করে!সাতাত্তরেই সম্ভবতঃ, শারদঅর্ঘ্যের পাতায় প্রথম দেখা দিয়েছিলেন অসামাব্য সুন্দরী এক তরুণী গায়িকা, অরুন্ধতী হোম চৌধুরী--- ইংরেজীতে লেখা হয়েছিল Holme। তাঁর একটি গান ছিল ও পদ্মকলি গো, কার ঢেউয়ে অঙ্গ তোমার দোলে। সে গানের কথার চাইতেও অবাক লেগেছিল এই Holme বানানে। সবাই ভেবেছিলাম নির্ঘাত বিলেত -প্রবাসিনী কেউ হবেন! অনেক পরে, উননব্বই সালে, মেডিক্যাল কলেজ ছাত্র সংসদের সাংস্কৃতিক সচিব থাকাকালীন কলেজ সোস্যালে গাওয়ার অনুরোধ জানাতে গিয়েছিলাম সল্ট লেকে অরুন্ধতী -শিবাজীর ফ্ল্যাটে। চমৎকার মানুষটির সঙ্গে কথাবার্তার সুবাদে জেনেছিলাম, বিলেত নয়, আদতে উনি শিলচরের মানুষ।শারদঅর্ঘ্য নেই আজ অনেক দিন। যশোর রোডে এইচ.এম.ভি.-র বন্ধ কারখানায় এখন প্রোমোটারের থাবা। সন্গীতালয়ের গা বেয়ে ওঠা অশ্বথ্ব -বট -যজ্ঞডুমুরের পাতা দুলিয়ে হাওয়া বয়ে আনে শুধুই সঙ্গীতপ্রেমীদের দীর্ঘশ্বাস। শারদঅর্ঘ্য বয়ে আনা সেজমামাও অকালে চলে গেছে ক বছর হলো।লেখকঃ ডঃ সুজন সরকারবর্ধমান।আরও পড়ুনঃ বাজলো তোমার আলোর বেণু

অক্টোবর ০৯, ২০২১
বিনোদুনিয়া

Durga Puja : দুর্গাপুজোতে পরিচালক সৌভিক দে'র দুটো ভিন্নধারার প্রোজেক্ট

পুজোর মিউজিক ভিডিও জানি দেখা হবে ও স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি কোড 706 এর সাংবাদিক সম্মেলন হয়ে গেল। দুটোই পরিচালনা করেছেন সৌভিক দে। জানি দেখা হবেতে অভিনয় করেছেন সৌভিক ব্যানার্জি ও মৌটুসী সর্দার। কোড 706 এ অভিনয়ে দেখা যাবে চাঁদনী সাহা ও অনিন্দ্য ব্যানার্জিকে।জানি দেখা হবে নিয়ে মৌটুসী জানালেন,পুজোর প্রেমের স্বাদ এই মিউজিক ভিডিওতে দেখা যাবে। পুজোর সময় কলকাতা যে আলাদা রূপ ধারণ করে, কলকাতার যে আলাদা ঐতিহ্য রয়েছে সেটা ডিরেক্টর তুলে ধরেছে। আমি আর সৌভিক দা মিলে এটাকেই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।কোড 706 এ রয়েছেন চাঁদনী সাহা। দর্শকরা অনেক বাংলা ধারাবাহিকে চাঁদনী কে দেখেছেন। কোড 706 নিয়ে তিনি জানালেন,অনিন্দ্য দার সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে মনেই হয়নি যে একটা কাজ করছি। প্রচণ্ড মজার একটা মানুষ। কিছু কিছু সিনে তো মনিটারও দেখতে হয়নি আমাকে। এরকম অভিনেতার সঙ্গে কাজ করতে পারাটা বড় প্রাপ্তি। আমি আমার দিক থেকে ১০০ শতাংশ দেওয়ার চেষ্টা করেছি।পরিচালক সৌভিক দে জানালেন,সবাই লকডাউনে ছিল। লকডাউনের পর সবাই একটু আনন্দ চায়। সেরকমই কিছু ভাবনা নিয়ে আমি দুটো কাজ করেছি। আশা করছি দর্শকদের ভালো লাগবে।জানি দেখা হবে গতকাল মুক্তি পেয়েছে তাইচি প্রোডাকশনের ইউটিউব চ্যানেলে। কোড 706 মুক্তি পাবে পুজোতে। কিন্তু মুক্তির দিন এখনও ঠিক হয়নি।

অক্টোবর ০৮, ২০২১
রাজ্য

Sitabhog Mihidana : পুজোর আগে দুই দফায় বিদেশে পাড়ি দিল বর্ধমানের প্রসিদ্ধ মিষ্টি মিহিদানা ও সীতাভোগ

বর্ধমানের দুটি প্রসিদ্ধ মিষ্টি সীতাভোগ ও মিহিদানা। এখন এই দুই মিষ্টির কদর ও চাহিদা সমানভাবে বেড়েছে বিদেশের বাজারে। সেই চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে গত মঙ্গলবার মধ্যপ্রাচ্যের বড়দ্বীপ বাহরাইনে পাড়ি দিয়েছিল রাজ আমলের ঐতিহ্যবাহী বর্ধমানের শতাব্দী প্রাচীন মিষ্টি মিহিদানা। এর ঠিক এক সপ্তাহ পর মহালয়ার আগের দিনের সকালে বর্ধমান সীতাভোগ এ্যন্ড মিহিদানা ট্রেডার্স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েটসের উদ্যোগে সীতাভোগ পাড়ি দিল ভিন দেশে। বিদেশের বাজারে বর্ধমানের প্রসিদ্ধ মিষ্টির চাহিদা বাড়ায় খুশি এখানকার মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীরা।সীতাভোগ এ্যণ্ড মিহিদানা ট্রেডার্স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েটসের সহ-সম্পাদক সৌমেন দাস এদিন বলেন, সপ্তাহ খানেক আগে ৩০টি প্যাকেটে মোট ১২ কেজি মিহিদানা বাইরাইনে পাঠানো হয়েছিল। সেখানকার মানুষজন বর্ধমানের মিহিদানা খেয়ে খুবই তৃপ্তি পেয়েছেন। আর এদিন গাওয়া ঘি দিয়ে তৈরী জিআই ট্যাগযুক্ত মোট ১২ কেজি সীতাভোগ হামাদ বিন ঈসা আল খলিফার রাজ্য বাহরাইনের দ্বীপে আলজাজিরার একটি স্টোরে উদ্দেশ্যে পাড়ি দিল।বর্ধমানের সীতাভোগ ও মিহিদানা জি আই স্বীকৃতি পাওয়ার পর ভারতীয় ডাক বিভাগ এই দুই মিষ্টিকে স্পেশাল কভারেজ দিয়েছে। সীতাভোগ ও মিহিদানকে মর্যাদা দিয়ে মাস দুয়েক ভারতীয় ডাক বিভাগ বাজারে ছাড়ে বিশেষ খাম। তারপর দেশজুড়ে সীতাভোগ ও মিহিদানার কদর আরও বাড়ে। আর এখন আন্তর্জাতিক বাজারেও এই দুই মিষ্টির চাহিদা ও কদর উত্তরোত্তর বেড়ে চলেছে।সীতাভোগ ও মিহিদানার উৎপত্তি নিয়ে নানা কাহিনী প্রলিত আছে। কথিত আছে বর্ধমানের মহারাজা বিজয়চন্দ মহাতাবকে ১৯০৪ সালে রাজাধিরাজ উপাধি দেয় ইংরেজ সরকার। সেই উপলক্ষ্যে বর্ধমান রাজপ্রাসাদে এক বিরাট অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে তৎকালীন বাংলার বড়লাট লর্ড কার্জন বর্ধমানে আমন্ত্রিত ছিলেন। বড়লাটকে খুশি করার জন্য এবং অনুষ্ঠানকে আরও উৎকর্ষপূর্ণ করার জন্য বর্ধমানের রাজা বিজয়চাঁদের নির্দেশে রাজ পরিবারের খাস মিষ্টি প্রস্তুত কারক ভৈরবচন্দ্র নাগ একদম নতুন দুটি মিষ্টি সীতাভোগ আর মিহিদানা তৈরি করেন। যার স্বাদ পেয়ে বেজায় খুশি হয়েছিলেন বড়লাট-সহ সকল অতিথিরা।সীতাভোগ তৈরির প্রধান উপাদান সীতাসের প্রজাতির গোবিন্দভোগ চাল। সীতাসের প্রজাতির গোবিন্দভোগ চাল থেকে প্রস্তুত হওয়ার কারণেই সীতাভোগের একটি নিজস্ব স্বাদ ও সুগন্ধ হয়। এই চাল গুঁড়ো করে তাতে ১:৪ অনুপাতে ছানা মিশিয়ে পরিমাণমত দুধ দিয়ে মাখা হয়। তারপর একটি বাসমতী চালের আকৃতির মত ছিদ্রযুক্ত পিতলের পাত্র থেকে ওই মিশ্রণকে গরম চিনির রসে ফেলা হয়। এর ফলে সীতাভোগ বাসমতীর চালের ভাতের মত দেখতে লম্বা সরু সরু দানাযুক্ত হয়। এর সঙ্গে ছোট ছোট গোলাপজাম এবং কখনও কখনও কাজুবাদাম ও কিশমিশ মিশিয়ে পরিবেশন করা হয়। তবে সীতাভোগ নামটি নিয়ে বেশ দ্বন্দ্ব আছে পণ্ডিতমহলে। সুকুমার সেনের মতে, বানানটি হওয়া উচিত সিতাভোগ, সিতা অর্থে সাদা। আবার সিতা-র মানে মিছরিও হয়, তাই সাদা রঙের মিছরির মতন যে মিষ্টি বর্ধমান রাজবাড়ির হালুইকররা বানালেন, তার নাম হয়ে গেল সিতাভোগ।

অক্টোবর ০৫, ২০২১
রাজ্য

Corona: পুজোর মুখে বাংলায় ফের বাড়বাড়ন্ত করোনার

পুজোর মুখে ফের আতঙ্ক বাড়াচ্ছে রাজ্যে কোভিডের সংক্রমণ। পর পর চারদিন সাতশোর উপরে একদিনের সংক্রমণ রয়েছে। একই সঙ্গে মৃত্যুও দুই সংখ্যার নিচে নামেনি। শুক্রবার রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর যে বুলেটিন প্রকাশ করেছে, তাতে একদিনে সংক্রমিতের সংখ্যা ৭০৮ জন। মৃত ১৩। এদিকে, পুজোয় সংক্রমণের রাশ নিয়ন্ত্রণে রাখতে জমায়েত এড়াতেই শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, এ বছরও গতবারের মতো পুজো মণ্ডপে নো এন্ট্রি। এবারও পুজো মণ্ডপে প্রবেশ করা যাবে না। করোনার সংক্রমণে পুজো মণ্ডপগুলিতে যাতে কোনও ভাবেই স্বাস্থ্যবিধি অমান্য না করা হয়, সেই দাবিতেই আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল।গত ২৪ ঘণ্টায় একদিনে সংক্রমণের শীর্ষে রয়েছে কলকাতা। এখানে সংক্রমিত হয়েছে ১৪৬ জন। মৃত্যু হয়েছে চারজনের। এরপরই উত্তর ২৪ পরগনার নাম। এখানে একদিনে সংক্রমিত ১১৬ জন। মৃতের সংখ্যা এখানেও চার। একদিনের সংক্রমণে তৃতীয় স্থানে হুগলি। এখানে গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত হয়েছেন ৬৯ জন। এরপরই রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়ার নাম। পুজোর মুখে করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে একটা আতঙ্ক রয়েই গিয়েছে। টিকাকরণ হলে বড় বিপদের ঝুঁকি কম ঠিকই। কিন্তু সংক্রমণ হবে না, এমন কথা কোনও বিশেষজ্ঞই দেননি। ফলে শিশু কিংবা যাঁদের বয়সটা অনেক বেশি বা কোমর্বিডিটি রয়েছে, তাঁদের কাছে নতুন করে উদ্বেগ বাড়ার কথা।গত চারদিনে সাতশোর নিচে নামেনি সংক্রমণ। নিঃসন্দেহে যা উদ্বেগের বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। গত ২৮ সেপ্টেম্বর একদিনে এ রাজ্যে সংক্রমিত হয়েছিলেন ৭০৮ জন। মৃত্যু হয়েছিল ১৩ জনের। পরদিন অর্থাৎ ২৯ সেপ্টেম্বর সেই সংখ্যাটা দাঁড়ায় ৭৪৮-এ। মৃত্যু হয় ১৪ জনের। ৩০ সেপ্টেম্বর একদিনে করোনা আক্রান্ত হন ৭৪৯ জন। মৃত্যু হয় ১৫ জনের।

অক্টোবর ০২, ২০২১
বিনোদুনিয়া

Durga Puja : মন্ডপে মন্ডপে মাইকে বাজবে গান,ফিরছে নতুন পুজোর গান

আবার পুজো মন্ডপে বাজবে পুজোর নতুন গান। সেই ফেলে আসা হেমন্ত- মান্না- শ্যামল- কিশোর যুগ পেরিয়ে অমিত-শানু-নচিকেতা-অঞ্জন-শান-বাবুল হয়ে এখন পুজোয় নতুন গান প্রকাশ পেলেও পুজো মন্ডপে সে গান আর বাজতে শোনা যায়না। চারিদিকে থিমের পুজো, তাই থিম হিসেবেই সুরে, সুরে আবহ নির্মান করা হয়।নতুন বাংলা গান সেখানে অচল। রেডিওতেও তেমন চল নেই নতুন বাংলা আধুনিক গান বাজানোর। তাই শিল্পী গান করেন নিজের গরজেই।শোনার তেমন সুযোগ নেই,মাধ্যম নেই। এবার ড্যাফোডিল ইনকর্পোরেট নিয়ে আসছে বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী মনোময় ভট্টাচার্য এবং ঝুমকি সেনের পুজোর নতুন গান যা আবার শোনা যাবে শহরের কুড়িটা বড় দুর্গা পুজোয়।এবার পুজোর নতুন গান বাজবে বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে যেমন নলিন সরকার সার্বজনীন, নবীন সংঘ,হাতিবাগান সার্বজনীন, নর্থ ত্রিধারা, যাদবপুর শ্যামাপল্লী এই রকম প্রায় কুড়িটি মণ্ডপে বাজবে এই নতুন গান। বাংলা গানের স্বর্ণযুগ না ফিরলেও এই উদ্যোগ স্মৃতিমেদুর করে তোলে বলা বাহুল্য।শিল্পী ঝুমকি সেন বললেন, খুব ভালো লাগছে আবার নতুন বাংলা আধুনিক গান পুজো মন্ডপে বাজবে শুনে।থিমের পুজোর চক্করে সব হারিয়ে যাচ্ছিল।মনোময় ভট্টাচার্য বললেন,মাইকে দূর থেকে গান ভেসে আসতো।সত্যি সেই দিন গুলো খুব মিস করি। পাড়ায়,পাড়ায় পুজোর জলসা,বিজয়া সম্মিলনী। সব মিলিয়ে সেই দিন গুলো পুজোর আবহকে আরো জীবন্ত করে তোলে।ভালো লাগছে জেনে আবার মাইকে বাংলা নতুন আধুনিক গান শুনতে পাওয়া যাবে।কল্যাণ সেন বরাট জানালেন, আমিও বাকিদের মতোই খবরটা পেয়ে বেশ খুশি। মানুষ নতুন বাংলা গান শুনুক এটাই একমাত্র কামনা।এই শিল্পকে বাঁচাতে গেলে আমাদেরই উদ্যোগী হতে হব। সেক্ষেত্রে ড্যাফোডিলের রূদ্র সেনের এই পরিকল্পনা এবং উদ্যোগ সাধুবাদ প্রাপ্য।পুজোয় নতুন যে গান দুটো প্রকাশ পেল- তুমি কিছু স্বপ্ন দেখো ( ঝুমকী সেন ),চঞ্চলো হলো মন ( মনোময় ভট্টাচার্য ও ঝুমকী সেন )। দুটো গান লিখেছেন শুভ দাশগুপ্ত ও সংগীত পরিচালনা করেছেন কল্যাণ সেন বরাট। গান দুটি ডিজিটালি মুক্তি পেল।

সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২১
বিনোদুনিয়া

Bhowanipore 75 Pally : ভবানীপুর ৭৫ পল্লীর খুঁটিপুজো

দুর্গাপুজোর আগমনীর বাঁশি বাজতে শুরু করেছে। তবে করোনার মধ্যে যেহেতু আমরা পুজো উপভোগ করবো তাই সেই জৌলুসটা কিছুটা ফিকে হয়ে গেছে। তবে তার মধ্যেও বিভিন্ন ক্লাব তাদের খুঁটিপুজোর কাজ সেরে ফেলছে। সেরকমই খুটিপুজো হয়ে গেল ভবানীপুর ৭৫ পল্লীর। এদিন উপস্থিত ছিলেন ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, সমাজকর্মী কার্তিক ব্যানার্জি সহ আরও অনেকে। এবারের ভবানীপুর ৭৫ পল্লীর পুজো ৫৭ তম বর্ষে পদার্পণ করছে।আরও পড়ুনঃ ওয়েব সিরিজে আত্মপ্রকাশ রণিতারক্লাবের সেক্রেটারি সুবীর দাস জানালেন,বিগত বছরগুলোতে বড় সাফল্য পাওয়া এবং অনেক অ্যাওয়ার্ড জিতলেও এইবছর সম্পূর্ণ আলাদা। করোনার মধ্যে এবারের পুজোটা হচ্ছে। তাই অনেক কিছু মাথায় রাখতে হচ্ছে। তবে আমি আশাবাদী এবারের পুজোর সময় করোনার প্রকোপটা কিছুটা হলেও কম থাকবে। সবাইকে অনুরোধ জানাচ্ছি তারা যেন পরিবারের সকলকে নিয়ে আমাদের এবারের পুজো দেখতে আসেন।আরও পড়ুনঃ মুক্তি পেল খেলা শুরু জনতার কথার মুখোমুখি পরিচালকদুর্গাপুজো ছাড়াও এই ক্লাব প্রতি বছর বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজ করে থাকে। যার মধ্যে রয়েছে রক্তদান শিবির, চক্ষুদান ও দেহদান শিবির, দুঃস্থ মহিলাদের নতুন শাড়ি ও পোশাক দেওয়া, বাচ্চাদের হাতে পড়াশোনার কিছু সামগ্রী তুলে দেওয়া ইত্যাদি। এছাড়া শীতকালে ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচাতে অনেক দুঃস্থদের নতুন চাদরও দেওয়া হয়। এবারেও এরকম কিছু ভাবনা রয়েছে তাদের।

আগস্ট ২৯, ২০২১
বিনোদুনিয়া

Khuti Puja: সন্তোষপুর ত্রিকোণ পার্কের দুর্গাপুজো এবার ৭২ তম বর্ষে, হয়ে গেল খুঁটিপুজো

বাইরে বৃষ্টি পড়ছিল। সেই বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে সন্তোষপুর ত্রিকোণ পার্ক সার্বজনীন দুর্গোৎসবের খুটিপুজো হয়ে গেল। সমগ্র পরিকল্পনা ও রুপায়ণে অসীম পাল ও দেবজিত চক্রবর্তী। এবারের পুজো ৭২ তম বর্ষে পদার্পণ করল। উপস্থিত ছিলেন এলাকার কিছু মানুষ।আরও পড়ুনঃ মরণোত্তর অঙ্গদানের শপথ অভিনেতারসন্তোষপুর ত্রিকোণ পার্ক সার্বজনীন দুর্গোৎসবের সহ-সম্পাদক সৌভিক ভট্টাচার্য তাদের এবারের পুজো প্রসঙ্গে জানালেন,আজকে আমরা খুঁটিপুজোর মাধ্যমে ৭২ তম বর্ষে একধাপ এগিয়ে গেলাম। এবছর আমাদের ভাবনা ও চিন্তাধারা সবকিছুই থাকবে স্বল্পব্যয়ে যাতে খুব সুন্দর এক শিল্প দর্শকদের জন্য তুলে ধরতে পারি। বিগত বছরের মতো এবারেও করোনার প্রকোপ। তাছাড়া ইয়াসের প্রকোপ তো বটেই।আরও পড়ুনঃ এরোটিক ভিডিয়ো মানে পর্ন নয় : শিল্পা শেট্টিসবমিলিয়ে ২০২০র পর থেকে আমরা ঠিক সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারিনি। তো সেইসব দিক চিন্তাভাবনা করেই আমরা যাতে স্বল্পব্যায়ে ভালো একটা কাজ উপস্থাপন করতে পারি সেই চিন্তাতেই এগোচ্ছি। এর সঙ্গে তিনি আরও জানান,আমাদের পুজোর সময় চিন্তা-ভাবনা রয়েছে দুঃস্থ ব্যক্তিদের বস্ত্র বিতরণ করা এবং সামনেই আগস্ট মাসে একটা রক্তদান উতসবেরও পরিকল্পনা রয়েছে। আপনারা সকলেই পাশে থাকবেন। সাথে থাকবেন। আপনাদের শুভ হোক।

জুলাই ২৫, ২০২১
উৎসব

কুলটির বেলরুই গ্রামের রায় পরিবারে মা দুর্গাকে গান স্যালুট দিয়ে বিদায়

কুলটির বেলরুই গ্রামের রায় পরিবারে তিনশ বছরের অধিক সময় ধরে মায়ের আরাধনা হয়ে আসছে ৷ এই পুজোর বিশেষত্ব হল , গান স্যালুট দিয়ে দশমীতে মাকে বিদায় জানানো হয়৷ বিজয়া দশমীর দিন সিঁদুর খেলা শেষে মায়ের ঘট বিসর্জন সেরে গান স্যালুটে দেবীকে বিদায় জানায় রায় পরিবারের সদস্যরা ৷ যেখানে পরিবারের পুরুষ সদস্যদের সাথে মহিলারাও অংশগ্রহণ করেন। আরও পড়ুনঃ আজ দশমী , আড়ম্বরহীনভাবেই চলছে বিসর্জনের প্রস্তুতি এই বিষয়ে রায় পরিবারের তরফ থেকে বাচ্চু রায় জানিয়েছেন, ক্ষত্রিয় পরিবার হিসাবে তাদের পুজোর এই রীতি বংশ পরম্পরায় চলে আসছে ৷ একইসঙ্গে পরিবারের মহিলাদেরও ছোট থেকে আত্মরক্ষার স্বার্থে বন্দুক বা আগ্নেয়াস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় ৷ তাই তারাও দেবীকে বিদায় জানাতে এই রীতিতে অংশগ্রহণ করেন ৷ এদিন কুলটির বেলরুই গ্রামে রায় পরিবারের দেবীকে বিদায় জানানোর সময় গান স্যালুটের অনুষ্ঠান দেখতে সাধারণ মানুষ ভিড় করে।

অক্টোবর ২৬, ২০২০
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • ›

ট্রেন্ডিং

খেলার দুনিয়া

রোহিতের পর বিরাটেরও টেস্ট থেকে অবসর? ঠেকাতে তৎপর বিসিসিআই

ইংল্যান্ড সফরের জন্য ভারতের দল ঘোষণা হতে পারে ২৩ মে। সেদিন নতুন টেস্ট অধিনায়কের সঙ্গে পরিচয় করাতে সাংবাদিক বৈঠক আয়োজনের পরিকল্পনাও আছে বিসিসিআইয়ের। শুভমান গিল দায়িত্ব পেতে পারেন। অধিনায়ক করা হতে পারে জসপ্রীত বুমরাকেও। কিন্তু তার আগে বড় চিন্তা বিরাট কোহলিকে নিয়ে।রোহিত শর্মার পথে হেঁটে টেস্ট থেকে অবসর নিতে চান। বিরাট কোহলি এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলেন বিসিসিআইকে। আর তাতেই শোরগোল। রোহিত, বিরাট না থাকলে ইংল্যান্ডে ভরাডুবি হতে পারে ভারতীয় দলের। যে সিরিজ দিয়ে আবার শুরু হচ্ছে ভারতের পরবর্তী আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ অভিযান।সূত্রের খবর, বিসিসিআইয়ের প্রভাবশালী এক শীর্ষকর্তা বিরাটের কাছে তাঁর এমন সিদ্ধান্তের কারণ জানতে চাইবেন। চেষ্টা করবেন মত বদলানোর। টেস্ট দল নির্বাচনের আগেই সেই বৈঠকের সম্ভাবনা। উল্লেখ্য, রোহিতের সঙ্গে বিরাট বিসিসিআইয়ের বার্ষিক কেন্দ্রীয় চুক্তিতে এ প্লাস ক্যাটাগরিতে রয়েছেন।দুজনেই টি২০ আন্তর্জাতিক থেকে অবসর নেন গত বছর টি২০ বিশ্বকাপের পর। বিরাট অনড় থাকলে দুজনেই স্রেফ ওডিআই খেলবেন দেশের হয়ে। কতদিন? সেটাই বড় প্রশ্ন।কোহলি টেস্ট থেকে অবসর নিলে অক্ষত থাকবে সচিন তেন্ডুলকরের ১০০টি আন্তর্জাতিক শতরানের রেকর্ড।বিরাট ১৪ বছরে ১২৩টি টেস্ট খেলেছেন। অধিনায়ক হিসেবে ৬৮টি।টেস্টে বিরাট ৯২৩০ রান করেছেন। গড় ৪৬.৮৫। পারথ টেস্টে গত নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে অপরাজিত ১০০ করেছিলেন। তবে তারপর ছন্দে ছিলেন না। ওই সফরের বাকি টেস্টগুলিতে তাঁর রান ছিল যথাক্রমে ৭, ১১, ৩, ৩৬, ৫, ১৭, ৬। ২০১৪ থেকে ২০২৩ অবধি বিরাট ইংল্যান্ডে ১৭টি টেস্টে ৩৩ ইনিংসে ১০৯৬ রান করেছেন। ২টি শতরান ও ৫টি অর্ধশতরান রয়েছে।

মে ১০, ২০২৫
দেশ

সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন পাকিস্তানের, শ্রীনগর জুড়ে বিষ্ফোরণ, শহরে শহরে ব্ল্যাক আউট

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারত-পাকিস্তানের সংঘর্ষ বিরতির কথা ঘোষণা করেছিলেন। তার তিন ঘণ্টার মধ্যেই সেই সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করে পাকিস্তান। ফের গোলাগুলি শুরু হয়ে যায়। শ্রীনগর, জম্মুর আকাশে ড্রোন দেখা যায়। বিষ্ফোরণের শব্দ শোনা যায় শ্রীনগরে। পাশাপাশি সীমান্তে আর্টিলারি ফায়ারের শব্দ শোনা গিয়েছে। এদিকে জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ বলেছেন, সংঘর্ষ বিরতি ঘোষণার কয়েক ঘন্টা পরেই শ্রীনগর জুড়ে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে।ভারত ও পাকিস্তান সম্পূর্ণ ও তাৎক্ষণিক সংঘর্ষ বিরতিতে সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এক বিবৃতিতে তিনি জানান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দীর্ঘ সময় ধরে চলা আলোচনার ফলেই এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে উভয় দেশ। শনিবার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে এক পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দীর্ঘ আলোচনার পর আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে ভারত ও পাকিস্তান একটি পূর্ণ ও তাৎক্ষণিক সংঘর্ষ বিরতিতে সম্মত হয়েছে। দুর্দান্ত বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেওয়ায় উভয় দেশকে অভিনন্দন। ট্রাম্পের পোস্টের কয়েক মিনিট পরেই, পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রী ইসহাক দার জানিয়েছেন পাকিস্তান এবং ভারত তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকরভাবে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। পাকিস্তান সর্বদা তার সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার সাথে আপস না করে এই অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়েছে! ভারতের তরফে বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রিও সংঘর্ষ বিরতির প্রস্তাবের কথা জানিয়েছেন। বিকেল ৫টা থেকে দুই দেশ আর কোন সংঘর্ষে লিপ্ত হবে না। আলোচনার পর জানিয়ে দিল ভারত। বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি বলেছেন, সামরিক কর্মকর্তাদের স্থল, আকাশ এবং সমুদ্রে সকল ধরণের তৎপরতা বন্ধ করতে বলা হয়েছে। ভারত ও পাকিস্তানের ডিজিএমওরা ১২ মে আবার কথা বলবেন বলে শনিবার সন্ধ্যায় ঘোষণা করেছেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি।বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে জানিয়েছেন, ভারত ও পাকিস্তান আজ সব ধরণের সামরিক পদক্ষেপ বন্ধের বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। ভারত সর্বদা সকল ধরণের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দৃঢ় এবং আপোষহীন অবস্থান বজায় রেখেছে। ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে।এই সংঘর্ষ বিরতি ঘোষণা বেশিক্ষণ স্থায়ী হল না। তিন ঘণ্টার মধ্যে ফের গুলি চালাতে শুরু করে পাক সেনা। এমনকী ড্রোন হানা আবার শুরু করে। সীমান্তে কিছুক্ষণ বিরতির পর পাকিস্তান গুলি ছুঁড়তে শুরু করে। তারপরই দুই পক্ষই ফায়ারিং শুরু করে দেয়। জম্মু-কাশ্মীর, পঞ্জাব ও রাজস্থানের একাধিক শহরে ফের ব্ল্যাক আউট শুরু হয়ে যায়। শহরগুলি অন্ধকারাচ্ছন হয়ে পড়ে। এই সময়ে ড্রোন হামলা শুরু করে পাকিস্তান। এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের মাধ্যমে ওই ড্রোনগুলি ধংস করে ভারতের সেনা।

মে ১০, ২০২৫
বিদেশ

এ এক অনবদ্য শ্রদ্ধার্ঘ! জাকির হোসেনের সমাধিস্থলে উত্তরসূরি হিন্দোল

২০২৪-র ডিসেম্বরের ১৫তে ৭৩ বছর বয়সে প্রবাদ প্রতিম তবলিয়া ওস্তাদ জাকির হুসেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোর একটি হাসপাতালে পরলোক গমন করেন। তাঁর দেহ আমেরিকার ৩০১, টেনেসি ভ্যালি রোড, মিল ভ্যালি তে ফার্নউড কবরস্থানে সমাধিস্থ করা হয়। অসংখ্য গুণগ্রাহী ছাড়াও পৃথিবীর সমস্ত স্তরের সঙ্গীত শিল্পীরা শোকসন্তপ্ত হয়ে পরেন। ওস্তাদ জাকির হুসেন ১৯৫১ র ৯ই মার্চ ভারতের বোম্বেতে (বর্তমান মুম্বই) জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ছিলেন প্রবাদ প্রতিম তবলা বাদক ওস্তাদ আল্লা রাখা। মাত্র তিন বছর বয়স থেকে জাকির হোসেন তাঁর পিতার কাছে তবলা বাজানোর তালিম নেওয়া শুরু করেন।ভারতবর্ষ থেকে কয়েক হাজার যোজন দূরে এই মহামানবের সমাধিস্থল দর্শনের সৌভাগ্য খুব কম জনেরই হয়েছে। বৃহস্পতিবার ৮ মে প্রথিতযশা তবলিয়া পণ্ডিত হিন্দোল মজুমদার তাঁর সমাধিস্থলে শ্রদ্ধার্ঘ জ্ঞ্যাপন করতে যান। তিনি তাঁর সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট করেন তাতে দেখা যাচ্ছে হিন্দোল মজুমদার জাকির হোসেনের সমাধির সামনে দাঁড়িয়ে তবলার বোল উচ্চাড়ন করে তাঁকে শ্রদ্ধার্ঘ দিচ্ছেন। এই অভুতপূর্ব দৃশ্য দেখে অনেকেই আবেগ প্রবন হয়ে পরেন। প্রসঙ্গত, জাকির হোসেনের পিতা ওস্তাদ আল্লা রাখা এক সাক্ষাতকারে জানিয়েছিলেন, জাকিরের জন্মের পর তাঁদের প্রথা মত পিতার সন্তানের কানে আজানের বানি শোনানোর পরিবর্তে আল্লা রাখা জাকিরের কানে তিনতালের বোল শুনিয়েছিলেন। হিন্দোলের এই শ্রদ্ধার্ঘ অনেককেই সেই নাস্টালজিয়ার কথা স্মরণ করিয়ে দিলো।Posted by Hindole Majumdar on Thursday, May 8, 2025তিনি তাঁর সামাজিক মাধ্যমে লেখেন, আজ আমি ওস্তাদ জাকির হোসেন জির সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে পেরেছি, কখনও ভাবিনি কিংবদন্তিকে এইভাবে দেখব, এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না যে সঙ্গীতের জগৎ তাকে ছাড়া থাকবে - তাঁর আত্মা চির শান্তিতে বাস করুক-ওম শান্তি। হিন্দোল মজুমদার কে জাকিরজির সমাধিস্থলে নিয়ে আসার জন্য প্রতিভাবান সরোদ বাদক সৌরদীপ ভট্টাচার্যকে বিশেষ ধন্যবাদ জানান।পণ্ডিত হিন্দোল মজুমদার জনতার কথাকে জানান, জাকির জি আমাদের মতো তবলিয়াদের কাছে একজন পথিকৃৎ বা মশিয়াহ। তাঁকে এবং পন্ডিত স্বপন চৌধুরী জি মত তবলিয়া কে সামনে রেখেই আমাদের বেড়ে ওঠা। তিনি জানান জাকির জি ছিলেন আমার খলিফা। আমার গুরু প্রয়াত পন্ডিত শঙ্খ চট্টোপাধ্যায় ছিলেন ওস্তাদ আল্লা রাখার শিষ্য। তিনি আরও জানান তবলা কে যে উচ্চতায় জাকির জি নিয়ে গেছেন সেটা অনুধাবন করার মত সময় এখনো আসেনি। হিন্দোল মজুমদার আরও জানান, জাকির জি ও পণ্ডিত স্বপন চৌধুরী কে দেখেই তাঁদের সমসাময়িক তবলা শিল্পীরা ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের প্রচার ও প্রসারে আমেরিকা ও ইউরোপে এসে নারা বাঁধেন। সেই পরম্পরা আজও চলছে। আমরা তাঁদের দেখানো পথই অনুসরন করে চলেছি।তিনি জানান, জাকির জি বছরের বেশীরভাগ সময়ই পরিবারের সাথে আমেরিকাতে কাটাতেন, ২-৪ মাস ভারতে এসে বিভিন্ন কনসার্টে অংশগ্রহণ করতেন। আরও জানান, জাকির জির সাথে বহুবার সাক্ষাত হয়েছে। তাঁর মত গুরু, অগ্রজ, উদারমনা মানুষ বিরল। হিন্দোল মজুমদার বলেন, জাকির জির রসিকতা বোধ ও ছিলো অসাধরণ। তিনি আরও জানান জানান, জাকির জির মৃত্যুর কয়েক মাস আগেই আমার গুরু পন্ডিত শঙ্খ চট্টোপাধ্যায় প্রয়াত হন। পরপর দুটি ধাক্কা সামলানো খুব-ই কঠিন ছিলো আমার কাছে। অনেকদিন ধরেই জাকির জির সামাধি স্থল দর্শন করার ইচ্ছা ছিল, সেই সুযোগ পেলাম। তাঁকে তবলার বোল ছাড়া কি দিয়েই বা শ্রদ্ধা জানাতে পারি? তাই সমাধিস্থলের পাশে দাঁড়িয়ে ওনার পিতা ওস্তাদ আল্লা রাখা জির কম্পোজিসন করা রুপক তালের ওপর একটি বোল পাঠ করি।পণ্ডিত হিন্দোল মজুমদার জাকির হোসেনের সামাধিস্থল ঘুরে এসে কিছুটা ব্যথিত-ও। তিনি জনতার কথা কে জানান, তাঁর মত মানুষের সমাধি এতটা মলিন, এটা মেনে নেওয়া খুব কষ্টকর। তিনি জানান, আমার স্থির বিশ্বাস তাঁর অগণিত গুনাগ্রাহী এই দৃশ্য দেখে ভীষণভাবে মর্মাহত হবেন। তিনি আরও বলেন, আমার বিশ্বাস এই সমাধি তাঁর জন্মস্থান ভারতে হলে সেটাই আজ একটা দর্শনীয় স্থানে পরিণত হত। তবে তিনি জানিয়েছেন জাকির জির পরিবারের সাথে কথা বলে জাকির প্রেমী মানুষজনকে নিয়ে কিছু একটা ব্যবস্থা করার চেষ্টা করবেন। অন্তত একটা সাইনেজ ও যেন লাগানো যায়, যাতে কেউ শ্রদ্ধা জানাতে এসে জায়গাটাকে সঠিকভাবে সনাক্ত করতে পারেন।

মে ০৯, ২০২৫
নিবন্ধ

গল্প হলেও সত্যি কি? (অন্তিম পর্ব )

ঐশী নিজের গল্প শেষ করলো, সৈকত এতক্ষন মন্ত্র মুগ্ধের মত গল্পটি শুনছিল, এবার সে বললো, ব্যাপারে, এবারের সফরটা মনে থেকে যাবে, যা একটা গল্প শোনালেন। একই গল্পে এই ধরণের অসুখ আর নরখাদক, এখনো ভাবতে পারছিনা আমি ঠিক কি শুনে নিলাম ,সেরা লেখেন আপনি। এই গল্প বেস্ট সেলার হবেই মিলিয়ে নেবেন আপনি।ঐশী: ধন্যবাদ।সৈকত: আচ্ছা । গল্পটা বই আকারে কবে পাবো ?ঐশী: আসা করি খুব তাড়াতাড়ি পেয়ে যাবেন।দেখতে দেখতে কেটে গেলো সেদিনের রাত, পরেরদিন বিকালে দুরন্ত এক্সপ্রেস এসে থামলো যশবন্তপুর স্টেশনে। সবার মতোই সৈকত আর ঐশীও নিজেদের লাগেজ নিয়ে ট্রেন থেকে বেরিয়ে এলো। সৈকত: আচ্ছা আপনার বোন কই ?ঐশী: চলুন দেখা করিয়ে দি, বাইরে আছে ওরা।সৈকত ঐশী স্টেশন এর বাইরে বেরোতেই একটা মেয়ে দৌড়ে এসে জড়িয়ে ধরলো ঐশীকে। ঐশী সৈকতের দিকে তাকিয়ে বললো, এই যে তিথি।সৈকত: Hi তিথি ! Nice to meet you.তিথি সৈকতের দিকে তাকিয়ে বললো, same to you, আপনি ?ঐশী: আমার নতুন বন্ধু। ট্রেনে দেখা হলো, তোর গল্প বলতে বলতে এতদূর চলে এলাম।তিথি: oo wow. New friend ! নাম কি এই নতুন বন্ধুর ?সৈকত: সৈকত সেন, পেশায় সাংবাদিক।তিথি: আমি তিথি পেশায় নার্স।সৈকত: great তিথি ম্যাম।তিথি: আমাদের বাড়ি পর্যন্ত যেতে হবে কিন্তু।সৈকত কিছু একটা বলতেই যাবে এমন সময় কেও একজন বলে উঠল, আজকে হবেনা, ওনাকে অন্যদিন আসতে বলিস।সৈকত দেখলো তিথির পিছনে বছর ৩৫ এর এক মহিলা, চেহারা দেখে মনে হচ্ছে হয় তিনি খেলাধুলার সাথে যুক্ত নাহলে পুলিশ। তিথি বললো: কিন্তু দিদি কেনো?মহিলাটি বললেন: আজকে বাড়িতে একটু অসুবিধা আছে রে।সৈকত: আচ্ছা তিথি অন্য কোনো একদিন আসা যাবে নাহয়।ঐশী: ও আমাদের তিন বোনের মধ্যে সবচেয়ে বড় বোন প্রিয়া। তিথির সাথে ও চলে এসেছিল এখানে। আগে পুলিশ ছিল, এখন সেচ্ছাবসর নিয়েছে।সৈকত: আচ্ছা তাহলে এবার আমি আসি, দেখি ট্যাক্সি কোথায় পাই!ঐশী: বাই।তিথি: বাই দাদা।সৈকত: বাই ঐশী, বাই তিথি।সৈকত দেখলো প্রিয়ার চোখে যেনো তার প্রতি এক রাশ অবিশ্বাস, সৈকত অবশ্য বেশি ভাবলনা, পুলিশ ছিল হয়ত সেই জন্যই শুরুতেই কাওকে বিশ্বাস করতে পারেন না নিজেকে এই সান্তনা দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে গেলো সে।সৈকত বাইরে বেরিয়ে একটা টাক্সি করে নিল। একটা হোটেল আগেই বুক করে রাখা আছে, ওখানেই গিয়ে উঠবে সে। টাক্সিতে যেতে যেতে ঐশীর বলা গল্পটা তার মনে পড়তে থাকলো। কি সুন্দর গল্প লেখে আর বলে মেয়েটা, সত্যিই সে ফ্যান হয়ে গেছে ঐশীর। হটাৎ তার মনে একটা যুদ্ধ শুরু হয়ে গেলো, আচ্ছা তিথী মানসিক রোগী ছিল, তিথী অনেক বছর ছিলনা এদের সাথে, সেখানে খেতেও নাকি পেতোনা ঠিক করে..... এদিকে ওর বড়দিদি একজন পুলিশ অফিসার ছিলেন যিনি শ্রেয়ার মতই সেচ্চাবসর নিয়েছেন। ঐশী নিজেই গার্গীর মতই মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ। আজ থেকে কয়েক বছর আগে মালদায় একটা এইরকম সিরিয়াল কিলিং এর ঘটনাও ঘটেছিল, তাহলে কি ঐশী নিজের জীবনের গল্পই এইভাবে তাকে বলে দিলো?সৈকত ফোন করলো নিজের বন্ধু এবং বর্তমান লালবাজারের ACP সুবীরকে । সুবীর ফোন ধরতেই সৈকত প্রথম প্রশ্ন করলো, আচ্ছা সুবীর , মালদায় আজ থেকে ৫ বছর আগে যে মানুষ গায়েব হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছিল, সেখানে কি ACP সুদীপ সেন নিখোঁজ হয়েছিলেন না মারা গিয়েছিলেন ?সুবীর: জানা যায়নি , তবে যতদূর শুনেছি উনিও গায়েব হয়েছিলেন বডি পাওয়া যায়নি বলেই তোদের ফ্যামিলির হাতে দাদাকে তুলে দেওয়া যায়নি। আর অস্বাভাবিক ভাবেই তোর দাদার পর আর কেও গায়েব হয়নি।সৈকত: আমি জানতে পেরে গেছি সুবীর, কে ছিলো আসলে এইসব মানুষ দের গায়েব হওয়ার পিছনে?সুবীর: কি বলছিস ?সৈকত: যা বলছি ঠিক বলছি। আমি পেয়ে গেছি ওই রাক্ষুসী তার ঠিকানা, ও মানুষ নয়, নরখাদক যে বেচেঁ গেছে তার দুই বোনের জন্য কিন্তু আমার দাদার মৃত্যুর প্রতিশোধ আমি নেবোই।হটাৎ এইসময় সৈকতের ট্যাক্সি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গিয়ে ধাক্কা মারে আর একটা গাড়িকে, সৈকত বুঝে ওঠার আগেই গাড়ির ফ্রন্ট সিটে সজোরে ধাক্কা খেয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে সে।২ মাস পর:আদ্রিতা: ডক্টর কি বুঝছেন ? ও ঠিক হয়ে যাবে তো?ডক্টর চৌধুরী: দেখুন ম্যাম সৈকতের শারীরিক সমস্যা সমাধান তো ডক্টর উদয়ন দাস করেই দিয়েছেন কিন্তু সৈকতের মানসিক সমস্যার সমাধান হতে আরো সময় লাগবে।আদ্রিতা: ওর schizophrenia আবার ফিরে এসেছে?ডক্টর চৌধুরী: ফিরে আসার জন্য কোনোদিন সে যায়নি এইরোগ থেকে মুক্তি নেই আদ্রিতা । সে থেকেই গিয়েছিল সবার অজান্তে শুধু সময় পেতেই আবার নিজের খেলা দেখিয়েছে।আদ্রিতা: কিছু কি করা যায়না? ওকে যে এই কষ্টে আর দেখতে পারিনা আমি।ডক্টর চৌধুরী: ওর দাদাই ছিল ওর সবচেয়ে কাছের বন্ধু, ওর জীবনের যেকোনো সমস্যা ওর দাদাই সমাধান করে দিত, সুদীপ এর অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর থেকেই ও নানারকম গল্প ভাবতে থাকে নিজের মাথায়, ভেবে নিতে থাকে সেই সমস্ত চরিত্র যারা হয়ত সত্যি নেই এই দুনিয়ায় কোথাও । ও সেই চরিত্রগুলোকে মেরে নিজের দাদার মৃত্যুর প্রতিশোধ তোলে। এর আগেও বহুবার ও এইরকম করেছে, এবারেও একই কাজ করলো আর ওর মধ্যে এই জিনিষ তখনই দেখা যায় যখন ও নিজেকে একা মনে করে। যেমন এবারের ট্রেন জার্নি র সময় ওই বার্থে যার আসার কথা ছিল সে আসেইনি, পুরো রাস্তা সৈকত একা একা কাটিয়েছে আর ভেবে নিয়েছে একটা গল্প। এখন ও আবার ঠিক আছে কিন্তু যখনই ও আবার নিজেকে একা মনে করবে তখনই আবার এই রোগ জাকিয়ে বসবে, আদ্রিতা, তুমি ওর স্ত্রী তোমাকেই দায়িত্ত্ব নিতে হবে যাতে ও কোনোদিন নিজেকে একা অনুভব না করে, সবসময় ওর সাথে থাকতে হবে তোমাকে। পারলে তুমিই পারবে ওকে সম্পূর্ণ সুস্থ করে তুলতে।আদ্রিতা: আমি অবশ্যই চেষ্টা করবো স্যার, আমি চেষ্টা করবো যাতে সৈকতের মনে বেড়ে ওঠা এই মিথ্যা গল্প গুলো দূর হয়ে যায় আর ও সত্যি দুনিয়ায় বেঁচে থাকতে পারে।এমনসময় কেবিনে এলো সৈকত, আদ্রিতা, তুমি আমায় যে এখানে কেন আনো, সেই সিডেটিভ দিয়ে কি কি বলিয়ে নেয় আমাকে দিয়ে।সৈকত আরো কিছু বলতেই যাচ্ছিলো, কিন্তু আদ্রিতা সুযোগ দিলো, উঠে দাঁড়িয়ে জড়িয়ে ধরলো ওকে আর কানের মধ্যে বললো, শান্ত হও সৈকত, আমি আছি তো তোমার সাথে সবসময়, তোমার বেস্টফ্রেন্ড। ~সমাপ্ত~লেখকঃ সায়ন্তন গোস্বামী। (Sayantan Goswami)

মে ০৯, ২০২৫
দেশ

পাকিস্থানে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ধবংস, জম্মু সহ দেশের বহু শহরে ব্ল্যাক আউট, ৩টে পাক যুদ্ধবিমান ভূপাতিত

অপারেশন সিন্দুরের পর লাহোরে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ধ্বংস করে পাকিস্তানকে উপযুক্ত জবাব দিয়েছে ভারত। পহেলগাঁওয়ে বর্বরোচিত জঙ্গি হামলার জবাবে ভারত অপারেশন সিন্দুর-এর মাধ্যমে তার যোগ্য জবাব দিয়েছে। ভারত গতকাল পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে নির্ভুল হামলা চালানো হয়। সন্ধ্যের পর থেকে জম্মু-কাশ্মীর ও গুজরাটের বহু শহর ব্ল্যাক আউট করা হয়েছে। জম্মুতে ক্ষেপনাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে পাকিস্তান। দুটি যুদ্ধ বিমান গুলি করে ধ্বংস করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। ৭ ও ৮ মে মধ্য রাতে পাকিস্তান ভারতের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার চেষ্টা করে। অবন্তীপুরা, শ্রীনগর, জম্মু, পাঠানকোট, অমৃতসর, জলন্ধর, লুধিয়ানা, আদমপুর, চণ্ডীগড়, ভুজ সহ ১৫টি শহরে এই হামলার চেষ্টা করা হয়। তবে, ভারতের কাউন্টার ইউএএস (Unmanned Aerial System) ও এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থা সফলভাবে এই আক্রমণগুলিকে প্রতিহত করে। এদিকে ভারতের পাল্টা পদক্ষেপে লাহোরে পাকিস্তানের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে লাহোরে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এই তথ্য নিশ্চিত করে। অন্যান্য সীমান্তবর্তী এলাকাতেও বিস্ফোরণের খবর আসে। লাহোরে এয়ার ডিসেন্স সিস্টেম গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর কুপওয়ারা, বারামুল্লা, উরি, পুঞ্চ, মেন্ধার ও রাজৌরি সেক্টরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মর্টার শেল নিক্ষেপে মৃত্যু হয়েছে ১৬ জন নিরীহ নাগরিকের। তাদের মধ্যে রয়েছেন ৩ জন মহিলা ও ৫ জন শিশু। পাশাপাশি সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, পাকিস্তান ৭ মে রাতে অবন্তীপুরা, শ্রীনগর, জম্মু, পাঠানকোট, অমৃতসর, কাপুরথালা, জলন্ধর, লুধিয়ানা, বাথিন্ডা, চণ্ডীগড়, এবং ভুজ-এর মতো উত্তর ও পশ্চিম ভারতের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থান লক্ষ্য করে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলার চেষ্টা করে। তবে ভারতীয় সেনাবাহিনী সেই হামলাগুলি সফলভাবে প্রতিহত করে।

মে ০৮, ২০২৫
রাজ্য

উচ্চ মাধ্যমিকে রাজ্যে প্রথম বর্ধমানের রুপায়ন পাল, জয়জয়কার পূর্ব বর্ধমানের

ভারতীয় সেনাারা অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে গুড়িয়ে দিয়েছে ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি। মঙ্গলবার ভোররাতের ওই ঘটনায় বেজায় খশি এবছর উচ্চ মাধ্যমিকে রাজ্যে প্রথম স্থান পাওয়া বর্ধমান সিএমএস হাই স্কুলের ছাত্র রুপায়ন পাল। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৭ (৯৯.৪ শতাংশ)। বুধবার ফল প্রকাশের পর কৃতী ছাত্র রুপায়ন সাংবাদিকদের বলে, ভারতীয় সেনারা যে প্রত্যাঘাত করেছে সেটা যথেষ্টই প্রশংসনীয়। প্রত্যেক ভারতীয় জন্য এটা গর্বের। উচ্চ মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় স্থান করে নিয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলার আরও ছয় কৃতী ছাত্র ছাত্রী।রুপায়ন পালেদের আদি বাড়ি ভাতারের খেড়ুর গ্রামে। তবে এখন তাঁরা থাকেন বর্ধমান শহরের সুভাষপল্লী কালীতলায়। রূপায়ণের বাবা রবীন্দ্রনাথ পাল জামালপুর থানার জৌগ্রাম হাই স্কুলের শিক্ষক। মা জয়শ্রী পাল ভাতারের ভাটাকুল স্বর্ণময়ী হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা।রুপায়ন জানিয়েছে, মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় আমি পঞ্চম স্থানে ছিলাম।উচ্চ-মাধ্যমিক পরীক্ষা ভাল হলেও মেধা তালিকার একেবারে প্রথম স্থানে আমি থাকব, এতটা আমি আশা করিনি।রুপায়ন জানিয়েছে, তাঁর এই সাফল্যের পিছনে সবথেকে বড় অবদান রয়েছে তাঁর বাবা ও মায়ের।পাঠ্য পুস্তক পড়ার পাশাপাশি গল্পের বই পড়ার প্রতিও যথেষ্ট ঝোকঁ রয়েছে রুপায়নের। তাঁর প্রিয় লেখক শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রিয় চরিত্র ব্যোমকেশ। উচ্চ মাধ্যমিকে ভাল ফল করার জন্য দৈনিক ১২-১৩ ঘন্টা পড়াশুনা করেছে রুপায়ন। কৃতী এই ছাত্র ডাক্তার হতে চায়। তার জন্য সে জয়েন্ট পরীক্ষাও দিয়েছে বলে জানিয়েছে। ডাক্তার হতে চাওয়ার কারণ ব্যাখ্যাও করেছে রুপায়ন।তবে শুধু রুপায়ন পালই নয়, মাধ্যমিকের মতই উচ্চ মাধ্যমিকের মেধা তালিকাতে পূর্ব বর্ধমান জেলার একাধীক স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা জায়গা করে নিয়েছে। মেধা তালিকার পঞ্চম স্থানে রয়েছে জেলার কাটোয়া কাশীরাম দাস ইনস্টিটিউশনের ছাত্র ঋদ্ধিত পাল এবং ভাতার এম পি হাইস্কুলের ছাত্র কুন্তল চৌধুরী। তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৩ (৯৮.৬ শতাংশ)। এছাড়াও ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে কাটোয়া ডি ডি সি গার্লস হাই স্কুলের ছাত্রী দেবদত্তা মাঝি ও মেমারির ভি এম ইনস্টিটিউশন (শাখা ১) এর ছাত্র জয়দীপ পাল। তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর-৪৯২ (৯৮.৪ শতাংশ)। ২০২৩ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় দেবদত্তা ৭০০ নম্বরে মাধ্যম ৬৯৭ নম্বর পেয়ে রাজ্যে প্রথম হয়েছিল।ইতিমধ্যেই এবছর জয়েন্ট এন্ট্রান্সের (JEE মেন) প্রথম সেশনের পর দ্বিতীয় সেশনেও ১০০-য় ১০০ পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছে কাটোয়ার দেবদত্তা মাঝি। এবছরের উচ্চ মাধ্যমিকের মেধা তালিকার সপ্তম স্থানে এবং দশম স্থানে জায়গা করে নিয়েছে বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল হাই স্কুলে দুই কৃতী ছাত্র শুভম পাল ও অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায়। সপ্তম স্থানাধিকারী শুভমের প্রাপ্ত নম্বর - ৪৯১ (৯৮.২ শতাংশ)। আর দশম স্থান থাকা অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৮ (৯৭.৬ শতাংশ)।

মে ০৭, ২০২৫
দেশ

জৈশ এ মহম্মদের মাথা মাসুদ আজহারের ডেরায় আক্রমণ, তাঁর পরিবারের ১৪ জন নিহত

অপারেশন সিন্দুরের সবচেয়ে বড় লক্ষ্যবস্তু ছিল বাহাওয়ালপুরে অবস্থিত জইশ-ই-মোহাম্মদের সদর দপ্তর, যার নেতৃত্বে ছিলেন কুখ্যাত সন্ত্রাসী মাসুদ আজহার। আজহারকে শেষবার বাহাওয়ালপুরে সংগঠনটির মাদ্রাসার কাছে দেখা গিয়েছিল, যেখানে ওই মাদ্রাসাটি একটি নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে কাজ করত, পাশাপাশি সন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য তহবিল সংগ্রহের উৎসও ছিল। ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্রগুলি হাফিজ সাইদের লস্কর-ই-তৈয়বার সাথে সম্পর্কিত মুরিদকেতে সন্ত্রাসী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র সহ এই মাদ্রাসাটি ধ্বংস করে দিয়েছে। সূত্রের খবর, মাসুদ আজহারের পরিবারের ১৪জন সদস্য নিহত হয়েছেন। তাঁর ভাই এি হামলায় মারা গেছেন বলে খবর। প্রাথমিক অনুমান অনুসারে প্রায় ৭০ জন জঙ্গিকে নির্মূল করা হয়েছে এবং ভারতীয় ভূখণ্ডে আক্রমণ চালানোর জন্য ব্যবহৃত গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ধ্বংস করা হয়েছে। ভারতীয় বাহিনীও পাকিস্তানের বিমান হামলার প্রতিশোধমূলক লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে, পাকিস্তানি F-16 এবং JF-17 যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে, যার মধ্যে একটি JF-17 ,আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ব্যবহার করে ভূপাতিত করা হয়েছে।প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মূল্যায়ন অনুসারে, এই হামলার আকার এবং নির্ভুলতা ভারতের নিরাপত্তা নীতিতে একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে। এটি প্রথমবারের মতো অভিযানগুলিকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে সীমাবদ্ধ রাখার পরিবর্তে ভারত পাকিস্তানের মূল ভূখণ্ডের গভীরে, পাঞ্জাব প্রদেশে, আক্রমণ করেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন যে এই পদক্ষেপটি স্পষ্ট করে দিয়েছে যে ভারত সীমান্তবর্তী সন্ত্রাসবাদকে মেনে নেবে না এবং তার নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য কঠোর পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত।

মে ০৭, ২০২৫
দেশ

পহেলগাঁওয়ের বদলা নিল ভারত, পাকিস্তানের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা

অবশেষে চরম বদলা নিল ভারত। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পাল্টা পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে গুড়িয়ে দিল ভারতীয় সেনা। একেবারে বেছে বেছে নির্দষ্ট ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে বিধ্বংসী হামলা চালানো হয়েছে। ভারত এই অপারেশনের নাম দিয়েছে অপারেশন সিন্দুর। এই বদলার খবর ভারতীয় সেনার তরফেই প্রকাশ করা হয়েছে।ভারত পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে যে ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে তার মধ্যে ৪টি পাকিস্তানের পাঞ্জাবের বাহাওয়ালপুর এবং মুরিদকে এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে মুজাফফরাবাদ এবং কোটলিতে। এই সমস্ত এলাকাই সন্ত্রাসবাদীদের ঘাঁটি। এদিকে জম্মু বিভাগের কমিশনারের জারি করা নির্দেশ অনুযায়ী, আজ, ৭ মে (বুধবার) জম্মু, সাম্বা, কাঠুয়া, রাজৌরি এবং পুঞ্চ জেলায় সব সরকারি ও বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। বিশেষ করে পুঞ্চ জেলায় নিরাপত্তা সতর্কতা জারি হওয়ার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের তরফে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে পুঞ্চ জেলার সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যালয় আজ, ৭ মে ২০২৫, বন্ধ থাকবে।আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর জন্য গর্বিত।OperationSindoor হল পহেলগামে আমাদের নিরীহ ভাইদের নৃশংস হত্যার প্রতি ভারতের প্রতিক্রিয়া। ভারত এবং তার জনগণের উপর যে কোনও আক্রমণের উপযুক্ত জবাব দিতে মোদী সরকার বদ্ধপরিকর। ভারত সন্ত্রাসবাদকে তার মূল থেকে নির্মূল করতে দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।এদিকে পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গিঘাঁটিতে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর পাকিস্তানি বাহিনীর আন্তঃসীমান্ত গোলাবর্ষণে জম্মু ও কাশ্মীরে কমপক্ষে সাতজন নাগরিক নিহত এবং ৩৮ জন আহত হয়েছেন। পাক গোলাবর্ষণে মেন্ধরে একজন এবং পুঞ্চে ৬ জন নিহত হয়েছেন। ২০২৫ সালের ৬-৭ মে রাতে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণ রেখা এবং জম্মু ও কাশ্মীরের বিপরীতে আন্তর্জাতিক সীমান্তের পোস্ট থেকে কামান থেকে গোলাবর্ষণ সহ নির্বিচারে গুলিবর্ষণ শুরু করে। এই তথ্য জানিয়েছেন উত্তরাঞ্চলীয় কমান্ডের জনসংযোগ কর্মকর্তা (প্রতিরক্ষা) লেফটেন্যান্ট কর্নেল সুনীল বারাতওয়াল।

মে ০৭, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal