• ২ আষাঢ় ১৪৩২, বুধবার ১৮ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

District

রাজনীতি

"আমাকে বিধায়কের টিকিট দেওয়ার দরকার নেই"-শুভেন্দু

বিধানসভার টিকিট চান না সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর একটাই লক্ষ্য রাজ্যে পরিবর্তন আনা। পূর্বস্থলীতে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর প্রথম জনসভায় কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না তৃণমূল কংগ্রেসকে। তাঁর কথায় দেড় জনে মিলে তৃণমূল চালাচ্ছে। শনিবার মেদিনীপুরে এক জনসভায় অমিত শাহর(amit shah) হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari)। তারপর পূর্ব বর্ধমানে এটাই ছিল তাঁর প্রথম জনসভা। এই জনসভায় হাজির ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আরও পড়ুন--প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর শুভেন্দু বলেন, দলকে আমাকে বিধায়কের টিকিট দেওয়ার দরকার নেই। ২৪ ঘণ্টার মধ্য়ে ১৬ ঘণ্টা খাটবো। যেখানে বলবে সেখানে যাব। হারবই হারাব। আমরা জিতবই। নতুন বাংলা গড়ব, সোনার বাংলা গড়ব। পরিবর্তনের পরিবর্তন চাই। দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে যা নির্দেশ দেবে তা আমরা পালন করব। মীরজাফরের সঙ্গে তুলনা টানা হচ্ছে শুভেন্দু অধিকারীকে। বিজেপি যোগ নিয়েই তৃণমূল নেতৃত্ব তোপ দেগে চলেছে শুভেন্দুকে। প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী মীরজাফরের জবাবে বলেন, ১৯৯৮ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা হয়। ১৯৯৮-এ পঞ্চায়েত ভোট, ১৯৯৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের সঙ্গে কারা ছিল। সেদিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী তৃণমূল কংগ্রেসকে আশ্রয় না দিতেন, লালকৃষ্ণ আদবানী আশ্রয় না দিতেন এই দলটা ২০০১ সালেই উঠে চলে যেত। এটাকে অস্বীকার করতে পারবেন না। আরও পড়ুন--এক মাসেই ২২৩টি ধর্ষণের অভিযোগ নথিভুক্ত বাংলায়, টুইটে তোপ মালব্যের বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের যোগ নিয়ে তিনি আরও বলেন, ২০০৪ সালে তমলুক লোকসভায় কেউ লড়তে রাজি হয়নি। সেদিন আমি এনডিএ-র প্রার্থী হয়ে লড়েছিলাম। একদিকে বিজেপির ঝান্ডা অন্যদিকে তৃণমূলের ঝান্ডা নিয়ে লড়েছিলাম। ২০০৭ সালে নন্দীগ্রামের গণহত্য়ার দিন অন্য় কোনও রাজনৈতিক দলের নেতা আসেননি। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব পাশে ছিলেন।

ডিসেম্বর ২২, ২০২০
রাজ্য

দল ছেড়ে বিরাগভাজন শুভেন্দু, কোথাও পুড়েছে কাট-আউট, কোথাও ছবিতে কালি

মেদিনীপুর কলেজ ময়দানের জনসভায় অমিত শাহের উপস্থিতিতে পদ্মশিবিরে যোগ দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। এরপর থেকেই শুভেন্দু অধিকারীর পোস্টারে আগুন ধরিয়ে বিক্ষোভ হয় মালদার চাঁচলে। নানা জায়গায় ক্ষোভ উগরে শুভেন্দু অধিকারীর ছবি ও পোস্টার পুড়িয়ে বিক্ষোভ হয়। এবার হাওড়ার ইছাপুরে শুভেন্দুর পোস্টারে কালি লেপে দেওয়া ছবি দেখা গেল। ছবিতে লেখা চোর। তবে কে বা কারা এই ঘটনায় যুক্ত তা জানা যায়নি। কয়েকদিন আগেই আমরা দাদার অনুগামীর তরফে হাওড়ার ইছাপুর জলের ট্যাঙ্ক মোড় এলাকায় এই পোস্টার দেওয়া হয়েছিল। শুভেন্দু দল পাল্টে বিজেপিতে যেতেই তাঁর ছবিতে কালি লাগিয়ে তাঁকে চোর বলে আখ্যা দেওয়া হল। এই প্রসঙ্গে বিজেপির হাওড়া সদরের সভাপতি সুরজিৎ সাহা বলেন, আয়নায় দেখলে যেরকম লাগবে এটা ঠিক সেরকম। শুভেন্দুদার মুখে নয়, এটা কালি লেগেছে তৃণমূলের মুখেই। ওরা শুভেন্দুদার মতো একজন দক্ষ সংগঠককে ধরে রাখতে পারেননি। ওরা নিজেরাই চোর। তাই শুভেন্দুদার মতো লোককে চোর বলছে। এই প্রসঙ্গে হাওড়ার তৃণমূল চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তৃণমূল এই কাজ করেনি, উন্নয়নের কথা বলছি আমরা তাতেই সময় কেটে যাচ্ছে।

ডিসেম্বর ২১, ২০২০
রাজ্য

‘বিজেপি বহিরাগতদের এনে ব়্যালি করছে’, দাবি অনুব্রতর

ডাকবাংলো মোড় থেকে চৌরাস্তা গোটা রাস্তাতেই ব্যান্ড বাজছে। বাড়ির উপর থেকে ফুল পড়ছে। জনজোয়ারে ভেসে এগিয়ে চলেছেন অমিত শাহ। পরে শাহের জয় শ্রীরাম ধ্বনিতে যেন জনতার বাঁধ ভাঙল। বোলপুরে এ দিন অমিত শাহের মেগা ব়্যালিতে ভিড় ছিল উপচে পড়া। তবে, একে আমল দিতে নারাজ খোদ বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। উল্টে এখানেও বহিরাগত তত্ত্ব হাজির করলেন নেত্রীর আস্থাভাজন কেষ্ট। দলীয় বঙ্গধ্বনী কর্মসূচির মাঝেই নিজস্ব কায়দায় বললেন, বিজেপি বহিরাগতদের এনে এই ব়্যালি করছে। আমি জেলার লোক নিয়ে মিছিল করি। কয়েকটা ব্লক নিয়ে মিছিল করলেই এর থেকে বেশি ভিড় জমিয়ে দিতে পারি। আরও পড়ুন ঃ রোড শোতে উপচে পড়া ভিড়, হুডখোলা গাড়ি থেকে পরিবর্তনের ডাক শাহের এখানেই থেমে থাকেননি অনুব্রত। উল্টে কিছুটা চ্যালেঞ্জের সুরেই তাঁর দাবি, আগামী ৪ জানুয়ারি থেকে জেলার বিভিন্ন এলাকায় সভা শুরু হবে। প্রতিটা ব্লকে ৮০ হাজার করে লোক থাকবে। এরপরই তৃণমূল নেত্রীর পদযাত্রার প্রসঙ্গ উত্থাপ করে তিনি বলেন, মমতাদির সবা-মিছিল হলে পাঁচ-ছয়টা ব্লক থেকে মিছিল তাতেই চার-পাঁচ লাখ লোক হয়ে যায়। এসব আমাদের কাছে কোনও ব্যাপার নয়। বিজেপির এ দিনের কর্মসূচিতে যে ভিড় হয়েছে তাতে কি তিনি ভীত? অনুব্রত মণ্ডল বলেন, আমিত শাহ রোজ আসুন। এতে তৃণমূলের কোন ক্ষতি হবে না। উৎসাহিত হবে দলের কর্মীরা। একই সঙ্গে বলেন, শুভেন্দু হোক বা অন্য কেউ- তৃণমূল ছাড়লে ক্ষতি দলত্যাগীদের। ফের বাংলার ক্ষমতায় আসবে তৃণমূল।

ডিসেম্বর ২০, ২০২০
রাজ্য

বিজেপি কার্যালয়ে আগুন, দেওয়াল লিখন নিয়ে অশান্তি, দিনভর উত্তপ্ত বর্ধমান

বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে আগুন, দেওয়াল লিখন নিয়ে অশান্তি, তৃণমূল অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল বর্ধমান শহর। বিজেপি ও তৃণমূল একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ শানিয়েছে। রবিবার দিনভর উত্তেজনা ছড়িয়েছে শহরে। বর্ধমান শহরের শালবাগান এলাকায় বিজেপির মন্ডল কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে। এই ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপি কর্মীরা বিক্ষোভ দেখায়, পথ-অবরোধ করে। যদিও তৃণমূল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। সম্প্রতি শালবাগান থেকে নীলপুর বাজারের পথে রাস্তার পাশে বিজেপির ১২ নম্বর ওয়ার্ডের মণ্ডল কার্যালয়ের উদ্বোধন হয়। বিজেপির অভিযোগ, শনিবার গভীর রাতে তৃণমূল আশ্রিত দুস্কৃতীরা তাঁদের দলীয় কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুনে পুড়ে যায় চেয়ার, টেবিল, ফ্লেক্স ও কিছু আসবাবপত্র। এর প্রতিবাদে দলীয় কর্মীরা রাস্তা অবরোধ করেছেন। বিজেপি কর্মী পিঙ্কি সাহা বলেন, এর বিহিত চাই। দোষীদের শাস্তি দিতে হবে। অন্যদিকে তৃণমূল নেতা অনন্ত পাল বলেন, তৃণমূল এই রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। এদিকে রবিবার দুপুরে শহরের ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের ভাতছালা পীরতলা এলাকায় দেওয়াল লিখন নিয়ে অশান্তি হয়। তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, এদিন কয়েকজন বিজেপি কর্মী তাদের দেওয়াল লেখা কালি দিয়ে মুছে দেয়। ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর সনৎ বক্সী জানান, এদিন বিজেপি কর্মীরা জোর করে দেওয়াল লেখা শুরু করে। তাঁদের দলীয় প্রতীক ঘাসফুলের উপর কালি লেপে দেওয়া হয়। এলাকার দলীয় কর্মী সমর্থকরা খবর পেয়ে তাঁদের তাড়া করলে সবাই পালিয়ে যায়। বিজেপি তৃণমূলের অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা দাবি করেছে। বিজেপির বক্তব্য, তাঁদের দেওয়াল লেখার উপর তৃণমূল গায়ের জোর খাটিয়ে লিখেছে। স্থানীয় বিজেপি নেত্রী শুক্লা মণ্ডলের অভিযোগ, রবিবার ভাতছালায় দলীয় কর্মীরা দেওয়াল লিখতে গেলে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা তাঁদের আক্রমণ করে। বাইক ভাঙচুর করে। মহিলাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।বিজেপির লেখা দেওয়ালে কালি দিয়ে দেয়। এই ঘটনায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বর্ধমান থানার পুলিশ। অন্যদিকে বর্ধমান শহরের জাতীয় সড়কের ধারে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। তৃণমূলের অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি ফ্লেক্স ছিড়ে দেওয়া হয়, দরজা-জানালার কাঁচ ভাঙা হয়। বাইরে থেকে লোক এনে ঝামেলা করছে বিজেপি। বিজেপির জেলা যুব সভাপতি শুভম নিয়োগী এই অভিযোগ উড়িয়ে বলেন, তৃণমূলের অনেক গোষ্ঠী আছে। এছাড়া দাদার অনুগামীরাও আছেন। তাদেরই কারও কাজ হতে পারে। বিজেপি কোনওভাবেই এই ঘটনায় য়ুক্ত নয়।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২০
রাজনীতি

দিলীপ ঘোষ একটা ফোর টোয়েন্টি, দালালঃ অনুব্রত

বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে ফের নজিরবিহীন ভাষায় আক্রমণ করলেন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমানের আলিগ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ ভিত্তিক কর্মী সম্মেলন ছিল। এদিন আউশগ্রাম ১ ব্লকের গুসকরা-২, দিগনগর-১, দিগনগর-২ এবং বিল্বগ্রাম এই চারটি অঞ্চলের কর্মীদের নিয়ে বুথ সম্মেলন হয়। এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, দিলীপ ঘোষ একটা ফোর টোয়েন্টি দালাল। জানোয়ার, মহিলাদের সম্মান করতে জানে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নোংরা ভাষায় আক্রমণ করে। আরও পড়ুন ঃ এবার শুভেন্দুর সঙ্গে বর্ধমানের সাংসদের ছবি, তুঙ্গে বিতর্ক কয়েকদিন আগে দিলীপ ঘোষ স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন ওই কার্ড কোন কাজ করবে না।সাংবাদিকরা এই প্রসঙ্গ তুলতেই তিনি মেজাজ হারান। তিনি বলেন ও পাগল ছাগল লোক। এদিনও তিনি ঘোষণা করেন আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস ২০০ থেকে ২২০ টা আসনে জয়লাভ করবে। তিনি কেন্দ্রীয় কৃষিবিল নিয়েও তোপ দাগেন। রাজ্যে মমতা ব্যানার্জীর সরকার না থাকলে স্বাস্থ্য সাথী, সবুজসাথী, কন্যাশ্রী থাকবে না। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা মাটি মানুষের সরকারকে প্রয়োজন। একথা মানুষ জানেন। শুরু থেকেই সভা নরমে গরমে চলছিল।তার মধ্যে বেশ কয়েকজন দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সভায় বিষোদগার করেন বীরভূম জেলা সভাপতি। সম্মেলনে নেতা কর্মীদের বারে বারে নির্দেশ দেন মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর।পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে মানুষের কাছে সরকারি প্রকল্পের কথা সুবিধার কথা বলতে হবে।

ডিসেম্বর ০৮, ২০২০
রাজ্য

জল্পনা খারিজ করে তৃণমূলেই থাকবেন বলে জানিয়ে দিলেন মৌসম

মালদার জেলা সভাপতি মৌসম বেনজির নূরও শুভেন্দুর পথেই হাঁটছেন বলে গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল। কিন্তু সাংবাদিক বৈঠক করে শনিবার জানালেন, আমি তৃণমূলে আছি এবং তৃণমূলে থাকবো। মমতা ব্যানার্জি আমার নেত্রী। তাঁর নেতৃত্বেই মালদা জেলার সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করবো এবং আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ভালো ফল করে আমরা বুঝিয়ে দেব। এদিন তিনি বলেন, গত সপ্তাহে কলকাতায় মালদা জেলার তৃণমূল নেতৃত্বকে নিয়ে কোর-কমিটির বৈঠক ডেকেছিলেন দলের সর্বভারতীয় যুব সভাপতি অভিষেক ব্যানার্জি। সেই বৈঠকে আমি উপস্থিত হতে পারিনি। তার কারণ, আমার জ্বর হয়েছিল। যেহেতু আমি কোর কমিটির বৈঠকে উপস্থিত হতে পারিনি, তাই কেউ বা কারা সোশ্যাল-মিডিয়ায়-ভাইরাল করে দেয় যে, আমি নাকি দলের উপর বীতশ্রদ্ধ। সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করতে চাইছি। কিন্তু এটা সর্বাত্মক মিথ্যা। দলনেত্রী মমতা ব্যানার্জি আমাকে মালদা জেলার দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি সেই দায়িত্ব এখনো পালন করে চলেছি। আরও পড়ুন ঃ সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনের মামলায় মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ সিআইডির নেত্রীর নির্দেশ এই দলকে আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে। জেলা ও ব্লক কমিটি গঠন করা হয়েছে। যুব তৃণমূল কংগ্রেস কমিটি করা হয়েছে। আগামী বিধানসভায় আমরা ভালো ফল করব। জেলার ১২ টি আসনে তৃণমূলের জয় হবে। তিনি আরও বলেন, সরকার এবং দলকে বদনাম করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এর পিছনে বিজেপির উস্কানিও থাকতে পারে। বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি। প্রয়োজনে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ডিসেম্বর ০৫, ২০২০
রাজ্য

তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলরকে গ্রেফতারের দাবিতে থানায় বিক্ষোভ জেলা সাধারণ সম্পাদকের

শাসক দলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের জেরে অভিযুক্ত মহম্মদ সেলিমকে গ্রেফতারের দাবিতে থানা ঘেরাও হল বর্ধমানে। আর সেই থানা ঘেরাও কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন খোদ তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক খোকন দাস। ঘন্টা দেড়েক বিক্ষোভ চলার পর পুলিশি আশ্বাসে ঘেরাও কর্মসূচি উঠে যায়। আরও পড়ুন ঃ হাওড়ায় নতুন পুর কমিশনার ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার দুপুরে। বর্ধমানের লোকো কলোনীতে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে তৃণমূল কংগ্রেসের দুই বিবদমান গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয় । এই ঘটনায় দুই গোষ্ঠীরই বেশ কয়েকজন জখম হয়। বর্ধমানের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের রেলওয়ে বিদ্যাপীঠ স্কুলে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প বসেছিল। সেখানেই ক্যাম্পের দখলদারি নিয়ে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক খোকন দাস ও ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর মহম্মদ সেলিমের অনুগামীদের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। অভিযোগ , শিবু ঘোষ তার বৌদি ও স্ত্রীকে নিয়ে বিদ্যাপীঠ স্কুলে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডের জন্য দাঁড়িয়ে ছিল। তখন মহম্মদ সেলিমের অনুগামীরা খোকন দাসের অনুগামী শিবু ঘোষকে মারধর করে। এরপর এলাকার একটি বাড়িতে শিবু ঘোষ আশ্রয় নিলে সেখানেও ঢুকে মারধর করা হয়। পাশের দলীয় কার্যালয়ে হামলা হয় ও ভাঙচুর চালানো হয়। খোকন দাস পুলিশকে হুঁশিয়ারি দেন যদি বিকেলের মধ্যে অভিযুক্তদের না ধরা হয়, তাহলে তারা থানা ঘেরাও করবেন। পুলিশ প্রশাসন ঠিক মত কাজ করছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি। অন্যদিকে প্রাক্তন কাউন্সিলর মহম্মদ সেলিম বলেন, দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে হাজির হয়ে শিবু ঘোষের নেতৃত্বে কয়েকজন দাদাগিরি করছিল। এলাকার বাসিন্দারা প্রতিবাদ করলে প্রথমে বাদানুবাদ হয়।পরে স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের তাড়া করলে ছুটে পালাতে গিয়ে কেউ আহত হতে পারে। কেউ তাদের মারধর করেনি। আর ওখানে কোন তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিস নেই। শিবু ঘোষের দাবি, সেলিমের নেতৃত্বে একদল যুবক তাঁদের উপর হামলা করে। ব্যাপক মারধর করেছে।

ডিসেম্বর ০৫, ২০২০
রাজ্য

শুভেন্দুর জেলার তৃণমূল নেতার বিজেপিতে যোগ

প্রত্যাশামতোই বিজেপিতে যোগ দিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ সিরাজ খান। বুধবার তিনি মেচেদাতে বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন। তাঁরা সিরাজ খানের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন। কয়েকদিন আগেই তিনি কৈলাস বিজয়বর্গীয়র সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন বলে জানা গিয়েছিল। তিনি বলেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারীকে দেখেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, আমি একজন মৎস্যজীবী। আমাকে মৎস কর্মাধ্যক্ষ না দিয়ে খাদ্য দফতর দেওয়া হয়েছে। সেখানে কোন কাজ করতে পারছি না। এছাড়াও খাদ্য দফতরের বিরুদ্ধে তিনি গুরুতর দুর্নীতির অভিযোগও তুলেছিলেন। আরও পড়ুন ঃ কেন্দ্রের টাকা দিদির ভাইয়েরা লুটেপুটে নিচ্ছেঃ দিলীপ তাঁর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জল্পনা নিয়ে তোলপাড় পূর্ব মেদিনীপুরের রাজনৈতিক মহল। এদিকে শুভেন্দু অধিকারীর অরাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে দল বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা তলে বহু দিন ধরেই কোনও কর্মসূচিতে নন্দীগ্রামের বিধায়ককে দেখা যাচ্ছে না। এদিকে শুভেন্দুর সঙ্গেই দলের সাংসদ সৌগত রায়ের বৈঠক চলছে। এখনও পর্যন্ত কোনও রফাসূত্র মেলেনি বলেই জানা গিয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের এক মুসলিম তৃণমূল নেতার বিজেপিতে যোগ দেওয়া খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

নভেম্বর ২৫, ২০২০
রাজনীতি

অনুব্রতর গড়ে চ্যালেঞ্জ দিলীপের

বাংলাকে কাশ্মীরের সঙ্গে তুলনা করলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বুধবার সকালে বীরভূমের সিউড়িতে এক চা চক্রে যোগ দিয়ে দিলীপবাবু বলেন, পশ্চিমবঙ্গে এসে সব জঙ্গি আশ্রয় নিচ্ছে। মুর্শিদাবাদে ২৩ বার জঙ্গি ধরা পড়ল। সারা রাজ্যে জাল বিস্তার করেছে এই জঙ্গিরা। বীরভূমেও বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে। এখানেও জঙ্গি ধরা পড়েছে। কাশ্মীরেও এত জঙ্গি ধরা পড়ে না। পশ্চিমবঙ্গ হয়ে গিয়েছে দ্বিতীয় কাশ্মীর। এ জন্যই বাংলার মানুষ আগামী বিধানসভা ভোটে পরিবর্তন চাইছেন। তিনি আরও বলেন, পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে উপদ্রুত জেলা হচ্ছে বীরভূম। পার্টি অফিসে ঝুড়ি ঝুড়ি বোমা পাওয়া যাচ্ছে। এখানে পার্টির নেতার বাথরুমের মধ্যে বস্তায় বোমা পাওয়া যায়। একটাই কারখানা চলে, বোমার কারখানা। জেলাজুড়ে বোমা, আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। বীরভূমে দাঁড়িয়েই তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে চ্যালেঞ্জও ছুঁড়েছেন দিলীপ ঘোষ। বলেছেন, লোকসভা ভোটে সিউড়ি পুরসভার ২১টার মধ্যে ১৮টা আসনেই লিড নিয়েছে বিজেপি। দম থাকলে আগামি ইলেকশন জিতে দেখান। ওদের খাতা খোলাই সমস্যা করে দেব।আমি বীরভূমে দাঁড়িয়ে চ্যালেঞ্জ করে যাচ্ছি, ওদের খাতা খোলারও সমস্যা করে দেব। কে ঢাক বাজাবে, কে ধামসা বাজাবে সময় এলে দেখতে পাবেন। পাশাপাশি তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেন, পুলিশ প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখার চেষ্টা করছে ৷ যদি হিম্মত থাকত ১১৮টি পুরসভার নির্বাচন বাকি রয়েছে, সেগুলি করিয়ে দিত। আরও পড়ুন ঃ জনসভায় ধর্ষণ নিয়ে অশালীন মন্তব্য অগ্নিমিত্রার তিনি এদিন আরও বলেন, বিজেপির কর্মসূচি অনুসরণ করছে তৃণমূল। অমিত শাহ আদিবাসী পরিবারের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারার পর তাঁকে অনুসরণ করে মুখ্যমন্ত্রী গেলেন। রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের পালটা প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বলেছেন, যেখানে ক্ষমতায় নেই সেখানে কাশ্মীর দেখছে বিজেপি। আর যে রাজ্যে ক্ষমতায় আছে সেখানে কাশ্মীর করার চেষ্টা করছে বিজেপি। উত্তরপ্রদেশে এনকাউন্টার করে খুন করা হচ্ছে।

নভেম্বর ২৫, ২০২০
রাজনীতি

মঙ্গলকোটে অনুব্রত মণ্ডলের অনুগত হয়ে কাজ করতে প্রস্তুত নইঃ সিদ্দিকুল্লা

বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের অধীনে মঙ্গলকোটে কাজ করতে পারবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিলেন স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। মঙ্গলবার বর্ধমানে পুলিশ সুপার এবং জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। তিনি বলেন, দল বললে কাজ করতেই হবে। তাহলে আমাকে মঙ্গলকোটে কাজ করার পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে। আমি অনুব্রত মণ্ডলের অনুগত হয়ে কাজ করতে প্রস্তুত নই। এটা আমি পরিষ্কার বলে দিলাম। আমি ওর মেজাজ চিনি। জানি। আরও পড়ুন ঃ অগ্নিমিত্রা পলের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কড়া জবাব বৈশাখীর গত নির্বাচনেও তারা কী করেছে সকলে জানে। সংবাদমাধ্যম জানে। আমি মঙ্গলকোটে গেলে স্বাধীনভাবে কাজ করব। উনি বড় খেলোয়াড়। ওনার কথা আমি কী বলব? আমি ওই পর্যায়ের খেলোয়াড় নই। মারামারি করতে চাই না। কেউ করুক তাও চাই না। এভাবে আমি মঙ্গলকোটে হাত পোড়াতে যেতে পারব না। মঙ্গলকোটের বিধায়ক আরও বলেন, বিজেপির লোকেরা আমাকে খবর দিচ্ছে সাহেব নিরুপায় হয়ে বিজেপিতে গিয়েছি। আমরা আসলে বিজেপি না। তিনি আরও বলেন, মঙ্গলকোটের অজয় নদে ২২ টি বালি ঘাট আছে।এগুলি বৈধ ঘাট।কিন্তু সেখানে একই স্লিপ দিয়ে এক গাড়ির জায়গায় বেশী সংখ্যক বালি বোঝাই গাড়ি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এতে সরকারের রিভিনিউ মার খাচ্ছে। একের পর এক তার অনুগামীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। তাদের গাঁজা কেস দেওয়া হচ্ছে। এদিন তিনি পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখার্জির কাছে ৯ জনের তালিকা দেন। যাঁরা জেলে আছে।তারা সবাই তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থক। অথচ অনুব্রত মণ্ডলের প্রতিনিধিরা তাদের মামলা দিচ্ছে। মিথ্যা মামলায় তারা জেল খাটছে। অনেকেই এখনো ঘরছাড়া। তারা ভয়ে ঘর ঢুকতে পারছে না। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন। দলকে জানিয়েছেন। এখন তিনি ঘরছাড়া তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকদের ঘর ঢোকাতে পারেন।কিন্তু তাতে অশান্তি হতে পারে।সেই জন্য তিনি যাচ্ছেন না। এলাকার ৯০ শতাংশ লোক তাঁর সঙ্গে আছেন। শুধুমাত্র দশ শতাংশ লোক যাঁরা ক্ষমতায় আছেন তাঁরা ছাড়া।

নভেম্বর ২৪, ২০২০
রাজনীতি

বাঁকুড়া সফরে শুভেন্দুকে নিয়ে কীসের ইঙ্গিত মমতার?

বাঁকুড়া সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ফেব্রুয়ারি মাসে শেষবার তাঁর বাঁকুড়া সফরে সঙ্গী ছিলেন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। তবে এবার দলনেত্রী নিয়ে গিয়েছেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ফলাও করে সরকারি বিজ্ঞাপনে তাঁর নামও ছাপা হয়েছে। সেই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, যাঁর সঙ্গে বাগযুদ্ধ চলছে শুভেন্দুবাবুর। তাঁর মতো জননেতাকে কল্যাণের বিলো দ্য বেল্ট লাগাতার আক্রমণ ভালোভাবে নিচ্ছেন না তৃণমূলের অনেকেই। বিশেষ করে যখন সৌগত রায়ের আরও একবার শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা। শুভেন্দুবাবু দলনেত্রী সম্পর্কে কিছু বলেননি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেননি। তবে গাড়ি বা হেলিকপ্টারে তাঁর সঙ্গীদের দেখে অনেক বার্তা বোঝা যায়। কল্যাণকে সঙ্গে নিয়ে জেলা সফরে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী বার্তা দিলেন তা নিয়েই চর্চা চলছে।আরও পড়ুন- শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে গল্প বানিয়েই চলেছে বাংলা সংবাদমাধ্যমরবিবার তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, দলের অনেকেই দোদুল্যমান। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাথার উপর না থাকলে কার কত দম সেটাও বোঝা যাবে গোছের নাম না করে একটা বার্তা দেন তৃণমূল মহাসচিব। তারপরেই মমতা-কল্যাণ বাঁকুড়ায়। প্রশ্ন উঠছে, কল্যাণ যে শুভেন্দুবাবুকে পারিবারিক ও ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন (যা নিয়ে শেরপুরের সভায় নাম না করে কল্যাণকে অনিল বসুর সঙ্গে তুলনা করে প্রশ্ন রাখেন, এই কালচার আপনারা সমর্থন করেন?), তাহলে সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমর্থন করছেন? অভিজ্ঞমহলের মতে, নীরবতা এমনিতেই সম্মতি লক্ষ্মণ। সুব্রত বক্সী, ফিরহাদ হাকিম, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুভেন্দুবাবুকে নিয়ে বিবৃতি প্রত্যাহার করেনি দল। রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি তৃণমূল শুভেন্দুবাবুর সঙ্গে বিচ্ছেদ চাইছে?আরও পড়ুন- বিরসা মুন্ডার জন্মদিনে ছুটি ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীরশুভেন্দুবাবুকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে বাঁকুড়ার দুটো লোকসভা আসনে হারে তৃণমূল। শুভেন্দুবাবু কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিলে তৃণমূলের যে ঢাকিশুদ্ধ বিসর্জন হবে সে বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা নিশ্চিত। বিভিন্ন জেলা থেকেও তেমন ভাঙনের আভাস মিলছে। অনেকে বলছেন, দিদির ম্যাজিক যদি থাকত তাহলে বিয়াল্লিশে বিয়াল্লিশ ২২-এ থমকাতো না। এরপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। ভোটের ফলের চাবিকাঠি থাকবে পান্তা খাওয়া, গামছা পরা গ্রামের ছেলে নন্দীগ্রামের বিধায়কের হাতেই।

নভেম্বর ২৩, ২০২০
রাজ্য

প্রয়াত জেলা কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি আভাস ভট্টাচার্য্য

প্রয়াত হলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি আভাস ভট্টাচার্য্য। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। কয়েকদিন ধরে তিনি বর্ধমানে নার্সিংহোমে ভরতি ছিলেন। শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। রাত ২ টো ২০ মিনিট নাগাদ তিনি মারা যান। আরও পড়ুন ঃ সিপিএম নেতা সুশান্ত ঘোষকে গড়বেতায় ফেরার অনুমতি দিল সুপ্রিম কোর্ট প্রবীণ এই কংগ্রেস নেতার মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী , কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য্য , জেলা কংগ্রেস নেতা কাশীনাথ গাঙ্গুলি , গণেশ দাস , অভিজিৎ ভট্টাচার্য্য প্রমুখ। কাশীনাথ গাঙ্গুলি জানান , আভাস দা আমাদের অভিভাবক ছিলেন। দীর্ঘ বছর ধরে কংগ্রেসের আন্দোলনে সাথী ছিলেন তিনি। ওনার মৃত্যুতে দলের অনেক ক্ষতি হল।

নভেম্বর ১৮, ২০২০
কলকাতা

একাধিক আমলা ও জেলাশাসকের বদলির নির্দেশ নবান্নের

আচমকাই একাধিক আমলা ও জেলাশাসকের বদলির নির্দেশ দিল নবান্ন। এনিয়ে নবান্নে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে । পুরুলিয়ার জেলাশাসক ছিলেন রাহুল মজুমদার। তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের যুগ্মসচিব করা হল। পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক বিজয় ভারতীকে বীরভূমের জেলাশাসকের পদে বদলি করা হয়েছে। পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক হচ্ছেন এনামুল হক। সেখানকার জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসুকে জলপাইগুড়ির জেলাশাসক করা হয়েছে। জলপাইগুড়ির জেলাশাসক অভিষেক কুমারকে উচ্চশিক্ষা দপ্তরের যুগ্মসচিব করা হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পার্থ ঘোষকে নদিয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নদিয়ার জেলাশাসক ছিলেন বিভু গোয়েল । তিনি পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পদে নিযুক্ত হচ্ছেন। আরও পড়ুন ঃ ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে ট্রেন চালুর সম্ভাবনা বদলি করা হয়েছে দার্জিলিংয়ের জেলাশাসককেও। তাঁকে জয়েন্ট সেক্রেটারি এল অ্যান্ড এল আর পদে নিযুক্ত করা হয়েছে। দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন শশাঙ্ক শেঠি। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তীকে স্বরাষ্ট্র দপ্তরের বিশেষসচিব পদে আনা হল। ওই জেলার জেলাশাসক করা হল সুমিত গুপ্তাকে। তিনি ডব্লুবিআইডিসির এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর পদে ছিলেন। প্রাক্তন স্বাস্থ্যসচিব বিবেক কুমারকে পরিবেশদপ্তরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল আগেই। এবার তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হল রাজ্য ভ্যালুয়েশন বোর্ডের দায়িত্ব।

নভেম্বর ০৩, ২০২০
রাজ্য

উল্টানো দলীয় পতাকা! হুগলির হেভিওয়েটদের ফ্লপ সভায় প্রতিফলিত অনৈক্যের ছবিই

হুগলি জেলার বলাগড় আসন এখনও তৃণমূলের দখলে। তবে একুশে কী হবে? প্রতিবাদ সভার মঞ্চে তৃণমূলের উল্টানো পতাকাতেই কি সেই আভাস? এমনিতেই লোকসভা নির্বাচনে এই বিধানসভা ক্ষেত্রে ৩৪ হাজার ভোটে এগিয়ে ছিল বিজেপি। তৃণমূলের ছন্নছাড়া দশায় দলীয় কর্মীরাই আশার আলো দেখছেন না। তাঁদের আশঙ্কা, হয়তো কোর কমিটিই থাকবে, পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির কর্মীরাই গুরুত্ব না পেয়ে আর থাকবেন না। হুগলি জেলায় চরমে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মনে করায় নচিকেতার সেই গানের কথা, ...সবার হাতেই কাঠি। প্রশান্ত কিশোরের টিমের রিপোর্টের ভিত্তিতে গঠিত নতুন জেলা কমিটি গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কমানোর বদলে বাড়িয়ে দেয়। সম্প্রতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে জেলা নেতাদের সঙ্গে পিকের বৈঠকে পরিস্থিতি আরও ঘেঁটে ঘ হয়েছে। কোর কমিটি হয়েছে, ১০টি বিধানসভায় কোর কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে বিজেপির বিরুদ্ধে বিভিন্ন ইস্যুতে প্রতিবাদ সভার ডাক দেওয়া হয়। তার প্রথম সভা ছিল রবিবার ১ নভেম্বর, বলাগড় বিধানসভার ডুমুরদহের শেরপুর মাঠে। হেভিওয়েটরা অনেকে ছিলেন, কিন্ত সভা ডাহা ফ্লপ। সভা আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন বিধায়ক অসীম মাঝি। বক্তারা যেখানে ভাষণ দেবেন তার সামনেই দলের উল্টানো পতাকা কীভাবে নজর এড়িয়ে গেল? একে ছোট মাঠ, ব্যারিকেড দিয়ে তারও তিন ভাগের এক ভাগে সভা হলো। তবু মাঠ ভরল না। প্রধান বক্তা সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় যে একমাত্র বক্তা হবেন কে ভেবেছিল? মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত, অসীমা পাত্র থেকে শুরু করে বিধায়ক বেচারাম মান্না, সুবক্তা স্নেহাশিস চক্রবর্তী, জেলা সভাপতি দিলীপ যাদবরা বলার সুযোগই পেলেন না। কল্যাণ একাই একদা গাভাসকারের মতো ৬০ ওভার ধরে বিরক্তিকর ইনিংস খেলায়! রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে তিনিই যে একমাত্র লড়াই করছেন, নানা অঙ্গভঙ্গি করে তা বোঝানোর চেষ্টা চালালেন দেড় ঘণ্টার ভাষণে। যা মেরেকেটে হাজার খানেক লোক হয়েছিল তাঁরাও বিরক্তি নিয়ে ভাষণ চলাকালীন ঘরমুখো হতে থাকলেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের এক জেলা পদাধিকারীর কথায়, এই বলাগড়েই বিভিন্ন শাখা সংগঠনের কর্মীদের নিয়ে বহু বড়ো মিছিল, সভা হয়েছে। আজ সত্যিই মাথা হেঁট হয়ে গেল। কর্মীরা কেউ কল্যাণবাবুর নিজেকে জাহিরের কথা শুনতে আসেননি। উনি তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাও সেভাবে বললেন না। কর্মীরা দিদির বার্তা, উন্নয়নের কথা, ভোটের আগে হেভিওয়েট দলীয় নেতৃত্বর কাছ থেকে দিশা পেতে এসেছিলেন। তাঁদের হতাশ হয়েই ফিরতে হলো। জেলার রাজনীতিতে ব্লক সভাপতি বদলের হাওয়া ওঠায় বর্তমান ব্লক সভাপতি শ্যামাপ্রসাদ রায় বন্দ্যোপাধ্যায় আসেননি এদিনের সভায়। প্রচারের হোর্ডিংয়ে নাম থাকা বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল, তৃণমূল যুব কংগ্রেসের রাজ্য সহ সভাপতি শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ ব্লকের অনেক নেতাই আসেননি। আসেননি বলাগড়ের ১৩টি অঞ্চলে বুথ স্তরে কাজ করা কয়েক হাজার কর্মী। তাঁদের একজন বললেন, ২৩ মে ফল বেরোনোর পর যাঁরা পুলিশের নিরাপদ আশ্রয়ে ঘরে ছিলেন তাঁরাই এখন কোর কমিটিতে। আর যাঁরা সে সময় বিজেপির আক্রমণ উপেক্ষা করে কর্মীদের আগলে রেখেছিলেন, তাঁদের আজ দুর্নীতিগ্রস্ত বলে সরানো হচ্ছে। পদে বসানো হচ্ছে আসল দুর্নীতিবাজদের। আমফান বা লকডাউনের সময়েও বিপন্ন মানুষের পাশে দেখা যায়নি কোর কমিটির সদস্যদের। আর আরামবাগে তো এখনও দলের যুব সভাপতিই নেই! জেলায় ইতিমধ্যেই শুভেন্দু অধিকারীর সমর্থনে ব্যানার পড়তে শুরু করেছে। জেলার রাজনীতির চিত্র না বদলালে ভাঙন রোধ সম্ভব হবে না। তৃণমূলের এই দশা দেখে মুচকি হাসছে বিজেপি। দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখার লক্ষ্যে যে কোর কমিটির সভা আয়োজন তার প্রথমটাতেই এমন অনৈক্যের ছবি কিন্তু তৃণমূল নেতৃত্বকে উদ্বেগে রাখবে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের। বিধানসভা ভোটের আগে যে আভাস একেবারেই ভালো নয়। প্যানিক অ্যাটাকেই কি দলের উল্টো পতাকা হেভিওয়েটরা দেখতে পেলেন না? ভোটের আগে সব প্ল্যান উল্টো হওয়ার কি ইঙ্গিত এটাই? এককাট্টা হয়ে ভোটে লড়তে না পারলে জেলায় হতে পারে সবচেয়ে খারাপ ফল। দলের কাজকর্মে বিরক্ত অনেকে দলনেত্রীর উপর এখনও আস্থা রাখলেও পূর্ব মেদিনীপুরের দিকেও চোখ রাখছেন। তাসের ঘরের মতো দল ভেঙে পড়ুক, মন থেকে কেউ চাইছেন না। প্রশান্ত কিশোরের টিমের বিরুদ্ধে নানা প্রামাণ্য নথিও পৌঁছে দিচ্ছেন উপর মহল অবধি। যার ফলের উপরই নির্ভর করছে সেই প্রশ্নের উত্তর, হুগলিতে এবার ক'টা আসন পাবে তৃণমূল?

নভেম্বর ০১, ২০২০
স্বাস্থ্য

করোনা সংক্রমণের নিরিখে এগিয়ে কোন কোন জেলা ?

কলকাতায় করোনা সং ক্রমণ কমার কোনও লক্ষণই নেই । বরং প্রতিদিন তা বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে সর্বাধিক করোনা আক্রান্ত হয়েছে কলকাতায়। সেখানে ৮৯৬ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এর সামান্য পিছনেই রয়েছ উত্তর ২৪ পরগনা। সেখানে একদিনে আক্রান্ত হয়েছে ৮৮৬ জন। হাওড়ায় একদিনে সংক্রমিত হয়েছেন ২৭৪ জন। দক্ষিণ ২৪ পরগণায় একইদিনে আক্রান্ত বেড়ে হয়েছে ২৪৪ জন। হুগলিতে সংক্রমণ বেড়ে হয়েছে ১৯৭ জন। উত্তরে সর্বাধিক আক্রান্ত হয়েছে পর্যটকে ঠাসা দার্জিলিং-এ। সেখানে একদিনে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ১৮৯ জন। চিন্তা বাড়াচ্ছে নদিয়া ও জলপাইগুড়িও। নদিয়ায় একইদিনে আক্রান্ত বেড়ে হয়েছে ১৬১ জন। জলপাইগুড়িতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪২ জন। আরও পড়ুনঃ সমস্ত রেকর্ড ভেঙে বাংলায় একদিনে করোনা আক্রান্ত ৪১৫৭ অন্যদিকে , গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ৪,১৪৩ জন। এর ফলে রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৩ লক্ষ ৪১ হাজার ৪২৬ জন। এছাড়াও একইদিনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাংলায় করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩৬৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাজয়ীর সংখ্যা ৩,৬৭৬ জন। বাংলায় মোট করোনাজয়ীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২ লক্ষ ৯৮ হাজার ৫৮৭ জন। সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৮৭.৪৫ শতাংশ।

অক্টোবর ২৪, ২০২০
কলকাতা

সৌমিত্রকে অন্ধকারে রেখেই জেলা যুব মোর্চার সভাপতিদের পদ বাতিল করলেন দিলীপ

ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার সব জেলার সভাপতি পদ ও কমিটি বাতিল করা হল।পরবর্তী ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত বিজেপির জেলা সভাপতিরাই এই দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানানো হয়েছে। শুক্রবার এই ঘোষণা করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। উল্লেখ্য, বিজেপিতে নব্য ও আদিদের মধ্যে যে সমস্যা শুরু হয়েছে , তা দুর্গাপুজোর মধ্যেই সকলের সামনে চলে এল। আরও পড়ুনঃ সমস্ত অশুভ শক্তিকে সরিয়ে সকলকে ভয় মুক্ত করুন , প্রার্থনা ধনকড়ের এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সৌমিত্র খাঁ জানান, দলের এই সিদ্ধান্ত সম্পর্কে কিছুই জানি না। আলোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বিষ্ণুপুের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ যুব মোর্চার দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। মিলছিল গোষ্ঠী কোন্দলের আভাস। বিজেপি রাজ্য সভাপতির এদিনের এই ঘোষণার মধ্যে দিয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্বই ফের দলের মধ্যে ভেসে উঠল।

অক্টোবর ২৩, ২০২০
রাজ্য

ষষ্ঠীর সকাল থেকে নিম্নচাপের জের , শুরু বৃষ্টি

ষষ্ঠীর সকাল থেকে নিম্নচাপের জেরে কলকাতা সংলগ্ন বিভিন্ন জেলায় শুরু হয়ে গিয়েছে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি। পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বইতে থাকে ঝোড়ো হাওয়া। এদিন সকাল থেকেই বিভিন্ন জেলায় আকাশের মুখ ছিল ভার। এরপর শুরু হয়ে যায় বৃষ্টি।যার জেরে ব্যহত হয় জনজীবন। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, শুক্র ও শনিবার ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে কলকাতা, হাওড়া ও হুগলিতে। সর্বোচ্চ ৫০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। শনিবার পর্যন্ত ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সর্তকতা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আরও পড়ুনঃ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে অশুভ আঁতাত করছেনঃ অধীর জানা গিয়েছে , নিম্নচাপটি আরও শক্তি বাড়িয়ে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের কাছাকাছি এসে গেছে। মধ্য বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া এই নিম্নচাপের অভিমুখ ছিল অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল। কিন্তু স্থলভাগে না ঢুকে সেটি অভিমুখ পরিবর্তন করে আরও শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এবার এটি ওড়িশা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূল হয়ে বাংলাদেশের দিকে এগোবে। পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের কাছাকাছি এসে তা অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। এর ফলে সমুদ্র উত্তাল হবে। বইবে ঝোড়ো হাওয়া। ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

অক্টোবর ২২, ২০২০
রাজ্য

জেলা আদালত চালু না হওয়ায় হতাশ আলিপুরদুয়ারবাসী

২০১৮ সালে আলিপুরদুয়ারকে জেলা ঘোষণার পর জেলা প্রশাসনের সমস্ত পরিকাঠামো গড়ে তুলে আধিকারিকদের নিয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু চালু হয়নি জেলা আদালত। আলিপুরদুয়ার বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুহৃদ মজুমদার জানান, জেলা ঘোষণার পর জেলা আদালত চালু করার জন্য মহকুমা শাসকের দপ্তরটিতে জেলা আদালতের পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়। সাইনবোর্ডও লাগানো হয়। আরও পড়ুনঃ মিহির গোস্বামীকে নিয়ে বিশেষ মাথা ব্যথা নেই বিজেপিরঃ সায়ন্তন উচ্চ আদালতের প্রতিনিধি দল পরিদর্শণ করে জানায় যে এই পরিকাঠামো জেলা আদালত চালু করার জন্য সন্তোষজনক নয়। জেলা আদালত চালু করতে হলে নতুন ভবন নির্মাণ করতে হবে। সেই অনুযায়ী একটি সাততলা ভবনের প্ল্যান হাইকোর্টে পাঠানো হয়। এর ফলে হতাশ আলিপুরদুয়ারবাসী।

অক্টোবর ১৮, ২০২০
রাজ্য

কবর থেকে দেহ তুলে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতালে পাঠানো্র নির্দেশ বিচারকের

ময়লা ফেলা নিয়ে বিবাদকে কেন্দ্র করে খুন হয় ইশরার। তিনি আসানসোল উত্তর থানার রেলপাড়ের বাসিন্দা। তার পিতার নাম হাজি ইমতিয়াজ। ইশরারের শশুর মুস্তাফিজ আলম আসানসোল দক্ষিণ থানায় ইশরারকে খুন করার অভিযোগ দায়ের করেন।মামলা আদালতে গেলে বিচারক কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন। বৃহস্পতিবার আদালতের নির্দেশ পালন করতে গিয়ে স্থানীয় লো্কজনের বাধায় ফিরে আসতে হয় পুলিশকে। এরপর শুক্রবার বিশাল পুলিশ বাহিনী, বিচারক, চিকিৎসকের উপস্থিতিতে কবর থেকে মৃতদেহ তুলে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এই ঘটনায় পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি বলে জানা গিয়েছে। আরও পড়ুনঃ মণীশ শুক্লা খুনে গ্রেফতার আরও ১ জানা গিয়েছে, কাপড়ের দোকানের সামনে ময়লা ফেলা নিয়ে বিবাদ। সেই ঘটনার প্রতিবাদ জানায় ইশরার।এরপর মহঃ জালোর পাঁচ ছেলে মিলে ইশরারকে মারধর করে। ঘটনাটি ঘটেছে, গত রবিবার আসানসোল বাজারে। এরপর ইশরারকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানেই মারা যান তিনি। এরপর তার মৃতদেহ শীতলাডাঙ্গা কবরস্থানে কবর দেওয়া হয়।

অক্টোবর ০৮, ২০২০
স্বাস্থ্য

করোনায় মৃত্যু হাওড়া জেলা হাসপাতালের নার্সিং সুপারের

করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল হাওড়া জেলা হাসপাতালের নার্সিং সুপার প্রণীত দাসের(৫৮)। গত ২৯ সেপ্টেম্বর তাঁর করোনা পরীক্ষা হয়। পরীক্ষায় রিপোর্ট পজিটিভ আসায় পরের দিনই তাঁকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা। সেদিনই তিনি মারা যান। কয়েক মাস আগে হাওড়া জেলা হাসপাতালের সুপার করোনায় আক্রান্ত হন। চিকিৎসার পরে সুস্থ হয়ে আবার কাজে যোগ দেন তিনি। এছাড়াও হাওড়া জেলা হাসপাতালের অনেক চিকিৎসক ও কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আবার সুস্থ হয়ে কাজেও যোগ দিয়েছেন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, শারীরিক অসুস্থতা তোয়াক্কা না করে তিনি কাজ করছিলেন হাসপাতালে।

অক্টোবর ০১, ২০২০
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

রায়নার বিধায়কের কন্যার নামকরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী

রায়নার বিধায়ক শম্পা ধারার শিশু কন্যার নামকরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিধানসভাতেই বিধায়ক শম্পা ধারা কন্যা সন্তান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে হাজির হন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধায়ক শম্পা ধারার শিশু কন্যার নাম রাখেন ঐশী। আশাপূরণ হওয়ায় শম্পা ধারা বেজায় খুশি। মেয়ের অন্নপ্রাসন অনুষ্ঠানের দিনও নির্দিষ্ট করে ফেলেছেন বিধায়ক। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য শম্পা ধারা এদিন মুখ্যমন্ত্রী সহ সকল বিধায়ককে নিমন্ত্রণও করেন।শম্পা ধারার কন্যার এখন বয়স মাত্র সাড়ে চার মাস। বাংলার অগ্নিকন্যা তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্তত তাঁর কন্যার নামকরণ করে আশীর্বাদ করুন, এমনটাই স্বপ্ন ছিল রায়নার তৃণমূল বিধায়কের। সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষে নিজের শিশু কন্যাকে সঙ্গে নিয়ে সোমবার দুপুরে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরের সামনে পৌছে যান পূর্ব বর্ধমানের বিধায়ক। মুখ্যমন্ত্রী ঘর থেকে বের হতেই বিধায়ক শম্পা তাঁর কন্যার নামকরণ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেন। নিজের দলের বিধায়কের সেই অনুরোধ ফেরাননি মুখ্যমন্ত্রী।শম্পা ধাড়া জানান, চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি তাঁর কন্যা সন্তানের জন্ম হয়েছে। শম্পা ধারার কথা অনুযায়ী নাম করণ করে দেওয়ার পর তাঁর মেয়ের মাথায় হাত দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশীর্বাদ করেছেন। এটাই তো তাদের কাছে অনেক বড় পাওয়া। এর জন্য তিনি গর্বিত বোধ করছেন।তাঁর খুব আনন্দও হচ্ছে।

জুন ১৭, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

কেশরী চ্যাপ্টার টু, ইতিহাস বিকৃত করার ভয়ঙ্কর অভিযোগ

ইতিহাসের একটি পরিচিত অধ্যায় ইংরেজ শাসনের সময় বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী ও বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বোস ও প্রফুল্ল চাকী কুখ্যাত ইংরেজ জাজকে বধ করার চেষ্টা করেছিল। এর ভিত্তিতে ক্ষুদিরাম বোসের ফাঁসি হয়েছিল এবং প্রফুল্ল চাকীও পুলিশের হাতে যাতে ধরা না পড়ে তার জন্য নিজের প্রাণ নিজের হাতে নিয়েছিল। বিধাননগর দক্ষিণ থানাতে অভিযোগ এসেছে যে একটি সিনেমা ইদানিংকালে লাইভ স্ট্রিমিং হচ্ছে সিনেমাটির নাম হচ্ছে কেশরী চ্যাপ্টার টু। সেই সিনেমাটি জিও হটস্টারে দেখানো হচ্ছে লাইভ স্ট্রিমিং এর মাধ্যমে সেখানে একটা দৃশ্যে দেখানো হয়েছে যে ক্ষুদিরাম বোসের নামকে ক্ষুদিরাম সিং বলা হয়েছে এবং প্রফুল্ল চাকির সেখানে কোন উল্লেখ নেই।বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী অরবিন্দ ঘোষের ছোট ভাই বিরেন্দ্র কুমার ঘোষ তিনি ও বিপ্লবী ছিলেন উনার নামটাকে বারিন্দ্রা কুমার বলে বলা হচ্ছে। শুধুমাত্র ঐতিহাসিক তথ্যগুলোকে বিকৃত করা হয়নি, বরঞ্চ স্বাধীনতা সংগ্রামী যারা আছেন তাদের নামটাকে বিকৃত করে তাদের গরিমাটাকে কিছুটা হলেও ম্লান করার চেষ্টা হয়েছে এবং করা হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে একটা কেস করা হয়েছে। এটাও দেখানো হয়েছে খুদিরাম বোস এবং বারিন্দ্র ঘোষ ওনারা অমৃতসরের ছাত্র ছিলেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগটা করা হয়েছে। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বিধান নগর দক্ষিণ থানাতে একটি কেস রুজ করা হয়েছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে।

জুন ১৭, ২০২৫
কলকাতা

ভূয়ো কল সেন্টারের পর্দা ফাঁস, বাগুইআটিতে গ্রেফতার ৬

গোপন সূত্রে প্রাপ্ত সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে বাগুইহাটি থানা অধীনস্ত সৃষ্টি অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালায় বিধাননগর পুলিশের একটি দল এবং পর্দা ফাঁস করে একটি ভুয়ো কল সেন্টারের। অভিযুক্তরা বিভিন্ন রাজ্যে সমাজের প্রান্তিক শ্রেণীর মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগ করত এবং কম সুদে ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের কস্টার্জিত অর্থ হাতিয়ে নিতো।স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগের ভিত্তিতে বাগুইআটি থানায় কেস নাম্বার ৩৮২/২০২৫ মামলা রুজু হয়। এই অভিযানে মোট ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং উদ্ধার হয়েছে বহু বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন ইত্যাদি। এই মামলার তদন্ত চলছে। ধৃতদের আজ আদালতে পেশ করা হলে তাদের প্রত্যেকের সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন মঞ্জুর হয়। মামলার তদন্ত চলছে।

জুন ১৭, ২০২৫
রাজ্য

তৃণমূলের দলীয় বৈঠকে মমতাবালাকে কটুক্তির অভিযোগ, উপপ্রধানকে গ্রেফতারের দাবি

দলীয় বৈঠক তৃণমূল উপপ্রধানের গালাগাল ও কটুক্তির শিকার তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতা ঠাকুর। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন তৃণমূল কর্মী। সরব হলেন মতুয়া ভক্তরা। পার্থ ভৌমিকের সম্পর্কে কিছু কথা বলার জন্যে কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে, আর কিছু নয় বলে দাবি তৃণমূল জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসের।একুশে জুলাই এর প্রস্তুতি সভা ছিল সোমবার উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙ্গায়। অভিযোগ, সেখানে বক্তব্য রাখার সময় গোপালনগর চৌবেরিয়া ১ নাম্বার গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুনীল সরকার মমতা ঠাকুরকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করেন। এমনকি বৈঠক শেষে মমতা ঠাকুর বাইরে বের হলে তাঁকে উদ্দেশ্য করে সুনীলসহ আরও কয়েকজন কটুক্তি করে এবং অশ্লীল অঙ্গিভঙ্গি করে, এমনকি তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয়। এবং ছোট জাত বলে আক্রমণ করা হয়। এই মর্মে সোমবার রাতে সব্যসাচী ভট্ট নামে এক তৃণমূল কর্মী গাইঘাটা থানায় এফ আই আর দায়ের করেন। অভিযোগ করার সময় সব্যসাচীর সঙ্গে ছিলেন মতুয়া ভক্তরা ও গোসাইরা। অভিযুক্তর গ্রেফতারের দাবি করেন তারা। তারা বলেন, মাকে গালাগালি দেওয়া মানে আমাদের মতুয়া সমাজকে গালি দেওয়া। এটা আমরা কোনওভাবেই মেনে নেব না। ২৪ ঘন্টার মধ্যে যদি অভিযুক্তকে গ্রেফতার না করা হয় তাহলে তীব্র প্রতিবাদ হবে।এই বিষয়ে অভিযুক্ত চৌবেড়িয়া এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুনীল সরকার জানিয়েছেন, মমতা ঠাকুর বক্তব্য রাখতে গিয়ে নানা কথার মধ্যে দিয়ে জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস ও পার্থ ভৌমিককে আক্রমণ করছিল। আমি শুধু প্রতিবাদ করে বলেছি আপনাদের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের বৈঠকে এটা আলোচনা করবেন। আমি যদি উনাকে গালাগাল করে থাকি সেটা প্রমাণ করুক। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। যদিও বনগাঁ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস জানিয়েছেন, গতকাল একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় চেয়ারম্যান পার্থ ভৌমিক সম্পর্কে কিছু কথা বলাতে কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আর কিছু নয়। তৃণমূলের সভায় মমতা ঠাকুরকে উদ্দেশ্য করে গালাগাল ও জাত তুলে কটুক্তি নিয়ে কটাক্ষ করা প্রসঙ্গে শান্তনু ঠাকুর বলেন, ওদের নেত্রী হরিচাঁদ গুরুচাঁদ নিয়ে যা বলেছেন তাতে ছোট নেতা কি বলবে। মমতা ঠাকুর হারিকাঠে গলা দিয়েছে, কি হবে বুঝতে পারছে না। ওর লজ্জা ঘৃণা ভয় কিছু নেই। এই বিষয়ে মমতা ঠাকুরবালার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

জুন ১৭, ২০২৫
রাজ্য

জঙ্গিপুর হাসপাতালের ব্লাড সেন্টারে ঢুকে পড়ল সাপ। আতঙ্কিত ব্লাড সেন্টারের কর্মীরা।

জানা যায়, মঙ্গলবার প্রথমে ব্লাড সেন্টারের সাফাই কর্মী প্রথমে সাপ দেখতে পান।এরপর তিনি ব্লাড সেন্টারের কর্মীদের খবর দেন।সাপ থাকায় ফলে ব্লাড সেন্টারের স্বাভাবিক কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যায়।এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে ব্লাড সেন্টারে আসা রোগী সহ রোগীর আত্মীয়দের মধ্যে।পরবর্তীতে বনদপ্তরের কর্মীরা আসে ব্লাডা সেন্টারে এবং তারা সাপটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

জুন ১৭, ২০২৫
রাজ্য

বাজারে ঢুকলো মরশুমের প্রথম ইলিশ

বর্ষা ঢুকতেই ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ উঠতে শুরু করল। বাজারে ঢুকলো মরশুমের প্রথম ইলিশ। একদিনের ফিসিংয়ে প্রায় ২৫ টন ইলিশ বাজারে এসেছে। সোমবার সকালে নামখানার খেয়াঘাটে প্রায় ২৫টি ট্রলার ইলিশ নিয়ে ফিরেছে। মৎস্যজীবীরা জানিয়েছেন, মূলত আবহাওয়া অনুকূলে থাকার কারণে ট্রলার গুলি ভালো ইলিশ পেয়েছে। এই রূপ আবহাওয়া থাকলে আগামী কয়েক দিনের ভিতরে বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণের ইলিশ আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।কাকদ্বীপ ফিশারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজন মাইতি বলেন, প্রতিদিন কেউ কেউ দুই তিন টন ইলিস পাচ্ছে। ছশো থেকে আটসো গ্রামের ইলিশ মিলে

জুন ১৭, ২০২৫
বিদেশ

ইতিহাস গড়লেন ডোনা! কেমব্রিজে প্রথম ভারতীয় শাস্ত্রীয় নৃত্যের কর্মশালা সৌরভ জায়ার

কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের জেসাস কলেজের ঐতিহাসিক প্রাঙ্গণ আজ ভারতীয় শাস্ত্রীয় নৃত্যের চিরকালীন ছন্দে মুখরিত হলো, যেখানে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ওড়িশি নৃত্যশিল্পী প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ জায়া ডোনা গাঙ্গুলি পরিচালনা করলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম শাস্ত্রীয় নৃত্য কর্মশালা।কেমব্রিজের সাংস্কৃতিক ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় রচিত হলো এই কর্মশালার মাধ্যমে, যেখানে ছাত্রছাত্রী, অধ্যাপক ও শিল্পপ্রেমীরা ওড়িশি নৃত্যভারতের আটটি স্বীকৃত শাস্ত্রীয় নৃত্যধারার অন্যতমসম্পর্কে একটি গভীর ও বাস্তবধর্মী অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। অংশগ্রহণকারীরা শিখলেন এই শিল্পরূপের মূল ভঙ্গিমা, অভিব্যক্তি এবং এর দার্শনিক ভিত্তি, যা এর আধ্যাত্মিক মূল এবং দুই হাজার বছরের ঐতিহ্যের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।এই কর্মশালায় বিভিন্ন পটভূমি থেকে আগত অংশগ্রহণকারীরা অংশ নেন, যাঁদের অনেকেই প্রথমবারের মতো ভারতীয় শাস্ত্রীয় নৃত্য প্রত্যক্ষ করেন। সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও অন্তর্ভুক্তির উপর জোর দিয়ে এই অনুষ্ঠানটি এমন সকলকে স্বাগত জানায়, যাঁদের নৃত্যে পূর্বে কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না।এই উপলক্ষে শ্রীমতি ডোনা গাঙ্গুলি বলেন, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ওড়িশির উত্তরাধিকার ভাগ করে নিতে পারা আমার জন্য এক গৌরবের ও আবেগঘন অভিজ্ঞতা। এই নৃত্য কেবল ভঙ্গিমা নয়এটি এক ধ্যান, ভক্তি ও গল্প বলা। আমি খুবই আনন্দিত এমন উৎসাহী অংশগ্রহণ ও ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতি আগ্রহ দেখে। এটি কেবল একটি পরিবেশনা নয়, এটি এক ধরনের সাংস্কৃতিক সংযোগ যা শিল্পের মাধ্যমে তৈরি হয়।এই উদ্যোগ আন্তর্জাতিক পরিসরে ভারতীয় শাস্ত্রীয় ঐতিহ্যের প্রতি ক্রমবর্ধমান আগ্রহকে তুলে ধরে এবং কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও বৈশ্বিক সম্পৃক্ততার প্রতিশ্রুতিকে প্রতিফলিত করে। আয়োজকরা আশা প্রকাশ করেছেন, এটি কেবল শুরুভবিষ্যতে আরও এরকম অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ভারতীয় পারফর্মিং আর্টস নিয়ে আরও গভীর অনুসন্ধান চালানো সম্ভব হবে।কর্মশালাটি বিপুল সাড়া পায়; অংশগ্রহণকারীরা ডোনা গাঙ্গুলির উষ্ণতাপূর্ণ ও অনুপ্রেরণামূলক শিক্ষা এবং নৃত্যের সৌন্দর্যের প্রতি অকুণ্ঠ প্রশংসা জানান। ভবিষ্যতের জন্য আরও সহযোগিতা ও ভারতীয় সংস্কৃতির উপর ভিত্তি করে সম্প্রসারিত কর্মসূচির পরিকল্পনাও ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে।ডোনা গাঙ্গুলি খ্যাতনামা ওড়িশি নৃত্যশিল্পী ও দীক্ষা মঞ্জরি একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা, প্রখ্যাত গুরু পন্ডিত কেলুচরণ মহাপাত্রের শিষ্যা এবং ভারত ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সাংস্কৃতিক উৎসবে তাঁর নৃত্য পরিবেশনের জন্য প্রসিদ্ধ। ডোনা জানান তাঁর লক্ষ্য ওড়িশি নৃত্যের সৌন্দর্য ও দার্শনিক ভিত্তি আগামী প্রজন্মের কাছে বিশ্বব্যাপী পৌঁছে দেওয়া।

জুন ১৫, ২০২৫
রাজনীতি

২১ জুলাইয়ের পোস্টারে ছবি কার? কি সিদ্ধান্ত দলের?

২১ জুলাই শহীদ দিবস। ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে এবারের ২১ শে জুলাইকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। সভা সফল করতে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ঘাসফুল শিবির। শনিবার ভবানীপুরের দলীয় কার্যালয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করে তৃণমূল। সেই বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে দলীয় সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এবার ২১ জুলাইয়ের পোস্টারে থাকবে শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি থাকবে না। এটা অভিষেক নিজেই চেয়েছেন। উল্লেখ্য, অভিষেক ২০১১ সালে তৃণমূলে যোগ দেন এবং দলের যুব সংগঠনের সভাপতি হন। এরপর থেকে তিনি দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে উঠে আসেন। কিন্তু তাঁর ছবি পোস্টার থেকে বাদ যাওয়ার বিষয়টিকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে জল্পনার শেষ নেই। গত বছর নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলের সমাবেশে অভিষেকের ছবি না-থাকায় তৃণমূলের ভিতরেই বিক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। কুণাল ঘোষের মতো নেতারা সেই নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলেছিলেন। এবার যাতে তেমন কোন বিতর্ক না হয় তা নিয়ে আগে ভাগেই সতর্ক অবস্থান নিল দল। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সুদীপবাবু বলেন, ক্যামাক স্ট্রিটের দফতর থেকে যেসব পোস্টার পাঠানো হয়েছে, তাতে শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিই রয়েছে। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, অভিষেক নিজেই বলেছেন, যেহেতু তিনি ২১ জুলাইয়ের ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন না, তাই তাঁর ছবি পোস্টারে না থাকাই যুক্তিযুক্ত।রাজনৈতিক মহলের মতে, মমতা বারবার দলীয় সভায় স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, সরকার যেমন তাঁর হাতেই, সংগঠনেও তিনিও শেষ কথা। ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই, বাম সরকারের আমলে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন ১৩ জন তৃণমূল কর্মী। সেই শহিদদের স্মৃতিতে প্রতিবছর এই দিনটি পালন করে তৃণমূল। যেহেতু সেই সময় অভিষেক রাজনীতিতে ছিলেন না, তাই এবার তিনি নিজেই সরে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন এমনটাই দাবি সুদীপের-ফিরহাদদের।তবে এই ছবি বিতর্ক নতুন কোন ইস্যু নয়। ২০২৩ সালে নেতাজি ইন্ডোরের এক সভাতেও শুধু মমতার ছবি ছিল, অভিষেকের ছবি না-থাকায় কুণাল ঘোষ প্রশ্ন তুলেছিলেন। আবার ২০২৫-এর শুরুতে অভিষেকের দফতর থেকে প্রকাশিত ক্যালেন্ডারে তাঁর বিরাট ছবি ঘিরেও শুরু হয়েছিল বিতর্ক। পরে সেটি বদলে দেয় রাজ্য নেতৃত্ব। এরপর ফের ফেব্রুয়ারিতে নেতাজি ইন্ডোরের দলীয় সভায় দেখা যায় শুধুই মমতার ছবি। সব মিলিয়ে ২১ জুলাইয়ের সমাবেশকে ঘিরে যে রাজনৈতিক রূপরেখা তৈরি হচ্ছে, তাতে সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একক নেতৃত্বকেই সামনে তুলে ধরা হচ্ছে। আর অভিষেকের ছবি না-থাকা সেই বার্তাকেই আরও সুদৃঢ় করল বলেই মত রাজনৈতিক মহলের ।

জুন ১৫, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal