কোলকাতায় ডেঙ্গুর দেরিতে ঊর্ধ্বগতি, হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা বাড়ছে!
কোলকাতায় মৌসুমের শেষের দিকে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা হঠাৎ বেড়ে গেছে, যার ফলে শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে।সূত্রের খবর থেকে জানা যাচ্ছে যে, কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (KMC) এলাকায় গত তিন সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা ৯৩২ থেকে বেড়ে ১,১০৬ হয়েছে। বিধাননগর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (BMC) জানিয়েছে, বিধাননগরএলাকায় নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই ৩২টি নতুন কেস ধরা পড়েছে; চলতি বছরের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৩৭।বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেও ভর্তি বাড়ছে জানা গিয়েছে, পিয়ারলেস হাসপাতালে বর্তমানে ১১ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন।ম্যানিপাল হাসপাতাল (ঢাকুরিয়া) তে গত এক সপ্তাহে ৮ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন, যার মধ্যে ২ জনের অবস্থা গুরুতর এবং তারা আইসিইউতে আছেন।কেন বাড়ছে সংক্রমণ?বিশেষজ্ঞদের মতে, মৌসুমের শেষ দিকেও অবিরাম ও ছিটেফোঁটা বৃষ্টি মশার প্রজননের জন্য আদর্শ পরিবেশ তৈরি করছে। ফলে, সাধারণত অক্টোবরের শেষের দিকে যেখানেই সংক্রমণ কমে আসে, এ বছর সেটি নভেম্বরেও অব্যাহত রয়েছে।আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত দুই সপ্তাহ ধরে শহরে গড়ে প্রতিদিন সামান্য বৃষ্টি হয়েছে, যা মশার প্রজননস্থল নষ্ট করতে বাধা দিচ্ছে।চিকিৎসকরা বলছেন, বেশিরভাগ ডেঙ্গু রোগী হালকা থেকে মাঝারি মাত্রার জ্বরে আক্রান্ত হলেও, উপেক্ষা করলে তা গুরুতর হতে পারে।ডাঃ সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেনঃঅনেকেই জ্বরকে সাধারণ ভাইরাল জ্বর ভেবে অবহেলা করছেন। কিন্তু জ্বরের সঙ্গে শরীর ব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা বা র্যাশ দেখা দিলে দ্রুত রক্ত পরীক্ষা করানো উচিত।ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে কি কি সতর্কতা অবলম্বন করবেন?১) KMC ও রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর যৌথভাবে মশা দমন অভিযান শুরু করেছে। নাগরিকদের প্রতি তাদের আহ্বান ২) ঘর ও আশপাশে জমে থাকা জল ফেলে দিন,৩) জলের পাত্র সপ্তাহে অন্তত একবার পরিষ্কার করুন,৪) পুরো দেহ ঢাকা পোশাক পরুন,৫) এবং দিনের বেলায় মশার কামড় থেকে নিজেকে বাঁচান।স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে, শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে নজরদারি দল কাজ করছে এবং আক্রান্ত এলাকায় বিশেষ স্প্রে অভিযান চলছে বিশেষজ্ঞদের মতে, এখনই সাবধান না হলে শহরে ডেঙ্গুর প্রভাব আরও বাড়তে পারে। তাই সাধারণ মানুষকে সচেতনতা ও প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে কারণ ডেঙ্গুর কোনো নির্দিষ্ট ওষুধ নেই, তবে সচেতনতা ও সময়মতো চিকিৎসাই একমাত্র কার্যকর প্রতিরোধ।

