• ৩০ কার্তিক ১৪৩২, বুধবার ১৯ নভেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Afganistan

দেশ

লালকেল্লা বিস্ফোরণের ‘মাস্টারমাইন্ড’ চিকিৎসক আফগানিস্তানে? ইন্টারপোলের পাহারা বাড়াল ভারত

দিল্লির লালকেল্লা বিস্ফোরণ-কাণ্ডে নয়া মোড়। তদন্তে সামনে এসেছে দক্ষিণ কাশ্মীরের এক চিকিৎসকের নামমুজাফ্ফর রাঠার। তিনি এই মামলার অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের পর থেকেই পলাতক মুজাফ্ফর পাকিস্তান পেরিয়ে আফগানিস্তানে আশ্রয় নিয়ে থাকতে পারে। তাকে ধরতেই এবার ইন্টারপোলের দোরগোড়ায় পৌঁছেছে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। লক্ষ্যরেড কর্নার নোটিস জারি।মুজাফ্ফর রাঠার হলেন আরও এক অভিযুক্ত চিকিৎসক আদিল আহমেদ রাঠারের ভাই। জানা গিয়েছে, দুজনেই দক্ষিণ কাশ্মীরের কাজিগান্দ এলাকার বাসিন্দা। তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখেছেন, ফরিদাবাদের আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল মুজাফ্ফরের। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে তার নাম। পাশাপাশি সামনে এসেছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য২০২১ সালে উমর নবি এবং মুজাম্মিলের সঙ্গে তুরস্কে গিয়েছিলেন মুজাফ্ফর। সেখানে গিয়েই তিনজনের প্রশিক্ষণ নেওয়ার খবর মিলেছে তদন্তে।তদন্ত অনুযায়ী, গত আগস্ট মাস থেকেই দেশছাড়া মুজাফ্ফর। সেই থেকেই তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। নাম ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই জম্মুকাশ্মীর পুলিশ রেড কর্নার নোটিসের জন্য প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শুরু করেছে। তদন্তকারী দলের এক সদস্য জানিয়েছেন, বর্তমানে এই তদন্তের দায়িত্ব রয়েছে এসআইএ-র হাতে। তাই রাজ্য পুলিশ সরাসরি ইন্টারপোলের কাছে যেতে পারে না। কেন্দ্রীয় সংস্থার মারফতই রেড কর্নার নোটিসের আবেদন পাঠানো হবে।এর মধ্যেই লালকেল্লা বিস্ফোরণ-কাণ্ড আরও চাপ বাড়িয়েছে তদন্তকারীদের উপর। কয়েকদিন আগেই ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে ঐতিহাসিক লালকেল্লা চত্বর। মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১৩ জনের। ঘটনার পর থেকেই একাধিক রাজ্যে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার হয়েছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বেশ কিছু চিকিৎসক। শুক্রবার বাংলা থেকেও এক সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে এনআইএ।বিস্ফোরণের তদন্তে উঠে আসা চার চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় মেডিক্যাল কমিশন। লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে আদিল আহমেদ রাঠার, মুজাফ্ফর আহমেদ, মুজাম্মিল শাকিল এবং শাহিন সইদের। ফলে তাঁরা আর ভারতে কোনও হাসপাতাল অথবা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা পেশা চালাতে পারবেন না। তদন্তকারীরা মনে করছেন, এই বিস্ফোরণ-কাণ্ডের নেপথ্যে সংগঠিত নেটওয়ার্ক ছিল, যার আঁতুড়ঘর কাশ্মীর থেকে বিদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত।

নভেম্বর ১৫, ২০২৫
সম্পাদকীয়

অমানিশায় চন্দ্রকিরণ! দিন যাপনের প্রতিটি স্তরে যারা ভয়ঙ্কর দূষন

অমানিশায় চন্দ্রকিরণ! অমাবস্যায় চাঁদের উদয় এ আবার হয় নাকি? বাংলা সাহিত্যের পরম সম্পদ কালকুটের উপন্যাসে এই বিস্ময় জড়ানো প্রশ্নের উত্তর রয়েছে। কালকুট লিখেছেন এ হল তান্ত্রিক বাউল সম্প্রদায়ের সাধনার এক স্তরে পৌঁছনোর পরের উপলব্ধি। । এ কথা এখন তোলা থাক। সোমবার থেকে আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে শুরু হচ্ছে জলবায়ু সম্মেলন। ভিসা পেলেই সেই সম্মেলনে যোগ দিতে কূটনীতিকদের একটি দল পাঠাতে চায় আফগানিস্তান। যদিও জলবায়ু সংক্রান্ত সমস্যার তালিকায় তারা ছয় নম্বরে। তবু, দুষনরোধে অংশ নিতে চায় তালিবান। সাম্প্রতিক এই খবরে চোখ পড়তেই কালকুটের ওই উপন্যাসের কথা মনে এল। দুদিন আগে আরও একটি তালিবানি খবর চোখ টেনেছিল। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আফগানিস্তানের মেয়েদের জীবনযাপনে একের পর এক বেড়ি পরিয়ে চলেছে তালিবান সরকার। খবরে প্রকাশিত মেয়েদের ঘরে বা একান্তে অন্য মহিলার উপস্থিতিতে গলার স্বর যেন শোনা না যায়। কন্ঠ রোধের এই নয়া ফরমান জারি করেছে তালিবান। অনেক দিন আগেই মেয়েদের শিক্ষার অধিকার, জনসমক্ষে পা রাখার অধিকার কেড়ে নিয়েছে এই ধর্মোন্মাদ গোষ্টী। এবার নিভৃতেও মুখ দিয়ে শব্দ উচ্চারণে বারণ। স্বাধীন, সৃষ্টিশীল জীবন যাপনের স্বপ্ন শুধু মেয়েদের নয় সুস্থ বোধ সম্পন্ন সব মানুষের চোখ থেকেই মুছে দিয়েছে তালিবান। অন্ধ শাসনে নিষ্পেষিত হয়ে মানুষের নিভে যাওয়ার কাহিনীর পাহাড় জমছে আফগানিস্তানে। যে দেশে স্বস্তিতে নিঃশ্বাস নেওয়ার পরিবেশ উধাও সেই দেশ চলেছে বিশ্ব পরিবেশের উন্নয়নে। কালকুটের উপন্যাসে যে তন্ত্র সাধনায় চূড়ান্ত অমানিশা আর চন্দ্রকিরণের বৈপরীত্যের কথা বলা হয়েছে সেই বিপরীত অবস্থানের কথাই মনে করাচ্ছে তালিবান।দিন যাপনের প্রতিটি স্তরে যারা ভয়ঙ্কর দূষন ছড়িয়ে রেখেছে তারা হঠাৎ কেন পরিবেশ দূষণ নিয়ে এত আগ্রহী? এই প্রশ্নের উত্তর রয়েছে তালিবান সরকারের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্রের কথায়। তিনি বলেন, বিভিন্ন রাষ্ট্র তালিবান সরকারকে ব্রাত্য করে রেখেছে, তবে জলবায়ু নিয়ন্ত্রণের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনায় আমরাও অংশ নিতে চাই । যে দেশে জন্মভিটেতেই মানুষ ব্রাত্য, যে ভূখণ্ডে মানুষ আকাশ, পাখি বা পতঙ্গের অবাধ বিচরণের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে তাদের এই উলটপুরণ আসলে ওই ব্রাত্য দশা ঘোচানোর আপ্রাণ চেষ্টা। ২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে সই করেছিল আফগানিস্তান। কিন্তু, তালিবান ক্ষমতায় আসার পর থেকেই কোনো আন্তর্জাতিক সম্মেলনেই তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয় না। এই সমস্যা নিয়ে তালিবান সরকারের এক আমলা বলেছেন, জলবায়ু সমস্যা সমগ্ৰ মানবজাতির সমস্যা। তাই রাজনীতি কে এই বিষয়েটি থেকে সরিয়ে রাখা উচিত। ঢাকার কুট্টি গাড়োয়ানদের কথা যারা জানেন তাদের মনে হতে পারে দেশের মানব সম্পদ কে আস্তাকুঁড়ে ফেলে মানবজাতির সমস্যা নিয়ে এই চিন্তা শুনে কুট্টিদের ঘোড়া রাত অট্টহাস্য করত না মুচকি হাসলো?

নভেম্বর ১২, ২০২৪
খেলার দুনিয়া

TWO World Cup : আফগানদের ৮ উইকেটে হারিয়ে ভারতের সেমিফাইনালের স্বপ্ন শেষ করল কিউয়িরা

নিউজিল্যান্ডআফগানিস্তান ম্যাচের দিকেই তাকিয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরা। যদি কোনও ভাবে অঘটন ঘটে। ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের প্রত্যাশা পূরণ হল না। রবিবার আবু ধাবিতে ১১ বল বাকি থাকতে আফগানিস্তানকে ৮ উইকেটে হারিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিতীয় দল হিসেবে গ্রুপ ২ থেকে টি২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল নিউজিল্যান্ড। আফগানিস্তানকে কিউয়িরা হারিয়ে দিতেই টি২০ বিশ্বকাপ অভিযান শেষ হয়ে গেল ভারতের। ভারতের সঙ্গে ছিটকে গেল আফগানিস্তানও। নিউজিল্যান্ড জেতায় সোমবার নামিবিয়ার বিরুদ্ধে ভারতের ম্যাচ হয়ে দাঁড়াল নিয়মরক্ষার।রবিবার দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তান খেলতে নেমেছে স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে। বাবর আজমের দল যদি স্কটল্যান্ডের কাছে না হারে, তাহলে গ্রুপ ২ থেকে নিউজিল্যান্ড সেমিফাইনালে যাবে দ্বিতীয় দল হিসেবে। সেক্ষেত্রে সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ড খেলবে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। আর পাকিস্তান মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়ার।২০১৯ সালে একদিনের বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরেই ছিটকে গিয়েছিল ভারত। আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালেও কিউয়িদের কাছেই হারতে হয়েছে বিরাট কোহলির দলকে ভারত। টি২০ বিশ্বকাপ থেকেও বিরাট কোহলিদের ছিটকে দিল আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে কেন উইলিয়ামসনদের জয়। টি২০ বিশ্বকাপসহ আইসিসি ট্রফি অধরাই থেকে গেল ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলির কাছে।টস জিতে এদিন নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন আফগান অধিনায়ক মহম্মদ নবি। ৮ উইকেটে ১২৪ রানের বেশি তুলতে পারেনি আফগানরা। ৪৮ বলে সর্বাধিক ৭৩ রান করেন নাজিবুল্লাহ জারদান। তাঁর ইনিংসে রয়েছে ৬টি চার ও ৩টি ছয়। গুলবদিন নঈব ১৫ ও অধিনায়ক মহম্মদ নবি ১৪ রান করেন। ৪ ওভারে ১৭ রানে ৩ উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট। দুর্দান্ত বোলিং করে তিনিই ম্যাচের সেরা। টিম সাউদি ৪ ওভারে ২৪ রানে ২ উইকেট নেন। অ্যাডাম মিলনে, জিমি নিশাম, ইশ সোধি ১টি করে উইকেট নেন।ব্যাট করতে নেমে পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেট হারিয়ে ৪৫ রান তোলে নিউজিল্যান্ড। দলের ২৬ রানের মাথায় আউট হন ড্যারিল মিচেল (১২ বলে ১৭)। ৮.৫ ওভারের মাথায় আউট হন মার্টিন গাপটিল। ২৩ বলে তিনি করেন ২৮। এরপর দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন কেন উইলিয়ামসন (৪২ বলে ৪০) ও ডেভন কনওয়ে (৩২ বলে ৩৬)। ১৮.১ ওভারে ১২৫/২ তুলে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে নিউজিল্যান্ড।

নভেম্বর ০৭, ২০২১
খেলার দুনিয়া

T20 World Cup : আসিফের দুরন্ত ব্যাটিংয়ে কার্যত প্রথম দল হিসেবে সেমিফাইনালে পাকিস্তান

চাপের মুখে ভেঙে পড়ার পুরনো রোগ যে আর নেই, টি২০ বিশ্বকাপেই প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে। শুক্রবার আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে যেরকম কঠিন পরিস্থিতিতে ম্যাচ বার করে নিয়ে গেল, এক কথায় অসাধারণ। ম্যাচের নায়ক আসিফ আলি। ১৯ তম ওভারে ৪টি ৬ মেরে দলকে জেতালেন তিনি। এই নিয়ে টানা ৩ ম্যাচ জিতল পাকিস্তান। আফগানিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে সেমিফাইনালে ওঠা কার্যত নিশ্চিত করে ফেলল বাবর আজমের দল।টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় আফগানিস্তান। শুরুটা ভাল হয়নি। দ্বিতীয় ওভারেই ধাক্কা খায় আফগানরা। হজরতুল্লা জাজাইকে (০) নিজের প্রথম ওভারেই তুলে নেন ইমাদ ওয়াসিম। পরের ওভারেই অন্য ওপেনার মহম্মদ শাহজাদকে (৮) ফেরান ছন্দে থাকা শাহিন শাহ আফ্রিদি। এরপরই মাঠে নেমে ঝড় তোলার চেষ্টা করেন আসগার আফগান ও গুরবাজ। কিন্তু তাঁদের সেই ঝড় একেবারেই ক্ষণস্থায়ী। নিজের বলেই ক্যাচ ধরে আসগার আফগানকে (৭ বলে ১০) ফেরান হ্যারিস রউফ। পরের ওভারেই গুরবাজকে (৭ বলে ১০) তুলে নেন হাসান আলি। করিম জানাত (১৭ বলে ১৫) ও নাজিবুল্লাহ (২১ বলে ২২) কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।১২.৫ ওভারে ৭৬ রানের মাথায় ষষ্ঠ উইকেট হারায় আফগানিস্তান। এরপর ঝড় তোলেন অধিনায়ক মহম্মদ নবি ও গুলবাদিন। এই দুজনের দাপটে ২০ ওভারে ১৪৭ রানে পৌঁছয় আফগানিস্তান। অসমাপ্ত জুটিতে ওঠে ৮১। ৩২ বলে ৩৫ রান করে অপরাজিত থাকেন নবি। অন্যদিকে ২৫ বলে অপরাজিত ৩৫ রান করেন গুলবাদিন। পাকিস্তানের হয়ে ইমাদ ওয়াসিম ২৫ রানে ২ উইকেট নেন। শাহিন আফ্রিদি, হ্যারিস রউফ, হাসান আলি ও সাদাব খান ১টি করে উইকেট পান।পাকিস্তানের যা ব্যাটিং শক্তি ১৪৮ রানের লক্ষ্য খুব একটা কঠিন ছিল না। তৃতীয় ওভারে মহম্মদ রিজওয়ান (৮) আউট হওয়ার পর দলকে টেনে নিয়ে যান ফাকার জামান ও অধিনায়ক বাবর আজম। ২৫ বলে ৩০ রান করে ফাকার জামান আউট হন। মহম্মদ হাফিজ করেন ১০ বলে ১০। পাকিস্তানের হয়ে অ্যাঙ্করের ভুমিকা পালন করেন বাবর আজম। শেষ পর্যন্ত ৪৭ বলে ৫১ রান করে রশিদ খানের বলে তিনি আউট হন।একসময় জয়ের জন্য ২৩ বলে পাকিস্তানের দরকার ছিল ৩৮। রশিল খানকে ছয় মেরে চাপ কমান শোয়েব মালিক। এরপরই আউট হল বাবর আজম। পরের ওভারে শোয়েব মালিককে (১৫ বলে ১৯) তুলে নেন নবীনউলহক। জেতার জন্য শেষ ১২ বলে ২৪ রান দরকার ছিল পাকিস্তানের। ১৯ তম ওভারে করিম জানাতের প্রথম বলে ৬ মারেন আসিফ আলি। পরের বলে কোনও রান হয়নি। তৃতীয় বলে আবার ছক্কা। চতুর্থ বল ডট। পঞ্চম ও ষষ্ঠ বলে পরপর দুটি ছক্কা মেরে দলকে জিতিয়ে দেন আসিফ আলি। ১ ওভার বাকি থাকতেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় পাকিস্তান (১৪৮/৫)। ৭ বলে ২৫ রান করে অপরাজিত থাকেন আসিফ।

অক্টোবর ২৯, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Afganistan Volleybal : তালিবানদের নৃশংসতা, শিরোচ্ছেদ আফগান মহিলা ভলিবল খেলোয়াড়ের

আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখলের পরপরই তালিবানরা ফতোয়া জারি করেছিল, মহিলারা কোনও ধরণের খেলায় অংশ নিতে পারবে না। কিন্তু তালিবানরা যে এতটা নৃশংস হয়ে উঠবে, তা ছি কল্পনারও অতীত। তালিবানদের এক নারকীয় ঘটনা সামনে এসেছে। তাদের হাতই প্রাণ গেছে আফগানিস্তানের জাতীয় মহিলা জুনিয়র ভলিবল দলের এক খেলোয়াড়ের। তালিবানরা দেশের ক্ষমতা হাতে নেওয়ার পর থেকেই আতঙ্কিত আফগানিস্তানের মহিলা ক্রীড়াবিদরা। অনেকেই ইতিমধ্যে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। যারা এখনও দেশে রয়েছেন, রীতিমতো উৎকন্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন। যে কোনও মুহূর্তে প্রাণ হারানোর আশঙ্কা। যেমন শিরচ্ছেদ করা হয়েছে মাহজাবিন হাকিমির। দেশের হয়ে ভলিবল খেলার অপরাধেই তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। পার্সিয়ান ইন্ডিপেন্ডেন্ট পত্রিকায় তাঁর হত্যার খবর প্রকাশিত হয়েছে।কাবুল মিউনিসিপ্যালিটি ভলিবল ক্লাবের হয়ে খেলতেন মাহজাবিন হিকিমি। দলের মধ্যে তিনিই ছিলেন সেরা। এই ক্লাবে খেলতে খেলতেই আফগানিস্তান জাতীয় জুনিয়র দলে সুযোগ পান। দেশের হয়ে রীতিমতো নজর কেড়েছিলেন। জাতীয় সিনিয়র দলে সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন। তার আগেই দেশে পট পরিবর্তন। তালিবানরা ক্ষমতায় সেই মহিলেদের সব ধরণের খেলার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। মহিলা খেলোয়াড়দের খুঁজে বার করে তাঁদের ওপর অত্যাচার শুরু করেছে। অনেক মহিলা ক্রীড়াবিদ দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। এদের মধ্যে জাতীয় মহিলা ভলিবল দলের দুজন সদস্য রয়েছেন। মাহজাবিন হাকিমি পালাতে পারেননি। তাঁকে খুঁজে বার করে এই মাসের শুরুতে শিরোচ্ছেদ করেছে তালিবানরা।আফগানিস্তানের এক ভলিবল কোচ পার্সিয়ান ইন্ডিপেন্ডেন্টকে বলেছেন, এই মাসের শুরুর দিকে মাহজাবিনকে হত্যা করা হয়। তাঁর পরিবারের সদস্যদের হুমকিও দেয় তালিবানরা, যাতে এই ঘটনার কথা কাউকে না বলে। কিছুদিন আগে মাহজাবিনের নিথর দেহের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়আর পর সকলে জানতে পারে। আফগানিস্তানের মহিলা ভলিবল দলের ওই কোচ আরও বলেছেন, তালিবানরা আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখলের পরপরই দুজন মহিলা ভলিবল খেলোয়াড় দেশ ছেড়ে পালাতে সক্ষম হয়েছে। পালাতে না পেরে মাহজাবিনকে প্রাণ দিতে হয়েছে।আফগানিস্তানের দখল নেওয়ার পর তালিবানরা মহিলা অ্যাথলিটদের সন্ধানে নেমেছে। এমনকী মহিলা খেলোয়াড়দের পরিবারের সদস্যদেরও সন্ধান চালাচ্ছে। আফগানিস্তানের যেসব মহিলা ক্রীড়াবিদরা বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন, তাঁদের পরিবারের লোকজনদেরও খুঁজছে তালিবানরা। স্বাভাবিকভাবেই মহিলা ক্রীড়াবিদ ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা চরম উৎকন্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন। কেউ কেউ পালিয়ে বেড়াচ্ছেন, কেউ কেউ আবার আত্মগোপন করে রয়েছেন। আফগানিস্তানের মহিলা ভলিবল দলের সদস্যরা দেশ ছাড়তে চেয়ে আন্তর্জাতিক মহলের সাহায্য চেয়েও পাননি। আফগানিস্তানে ভলিবল মহিলাদের মধ্যে দারুণ জনপ্রিয়। সেই জনপ্রিয়তায় আঘাত করতেই মাহজাবিনকে হত্যা করে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করেছে তালিবানরা।

অক্টোবর ২০, ২০২১
বিদেশ

Taliban: নতি স্বীকার আফগান সরকারের, গজনি দখল নিল তালিবানরা

পতন ঠেকাতে এ বার তালিবানকে ক্ষমতার ভাগাভাগির প্রস্তাব দিয়েছে আফগান প্রেসিডেন্ট আশরফ গনির সরকার। সে দেশের সরকারের একটি সূত্রে এই খবর মিলেছে। ঘটনাচক্রে, বৃহস্পতিবারই গুরুত্বপূর্ণ গজনি শহরের দখল নিয়েছে তালিবান। শহরের পরিত্যক্ত সেনা ঘাঁটির ছবিও প্রকাশ করেছে তারা।আরও পড়ুনঃ পাকিস্তান ক্রিকেটে আবার ডামাডোল, বোর্ডের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ বাবর আজমদেরগজনি প্রদেশের রাজধানী শহরের অবস্থান কাবুল থেকে মাত্র ১৫০ কিলোমিটার দূরে। সামরিক অবস্থানগত দিক থেকেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই শহর। কাতারের রাজধানী দোহায় এর আগে একাধিক বার আমেরিকা এবং আফগানিস্তান সরকারের সঙ্গে শান্তি বৈঠক করেছেন তালিবান। শান্তি আলোচনার অন্যতম মধ্যস্থতাকারী গুলাম ফারুক মাজরো বৃহস্পতিবার বলেন, এ বার সরকারের তরফে যুদ্ধ বিরতির জন্য সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তালিবান প্রতিনিধিদের। ক্ষমতার ভাগাভাগিই সেই সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব বলে মনে করা হচ্ছে। বুধবার আমেরিকার প্রতিরক্ষা দপ্তরের এক আধিকারিক আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, আগামী তিন মাসের মধ্যেই দেশের রাজধানী কাবুল তালিবানের দখলে চলে যাবে। ইতিমধ্যেই গনি সরকারের দুজন মন্ত্রী দেশ ছেড়েছেন বলে পাকিস্তানের একটি সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে। এই পরিস্থিতিতে কান্দাহর-কাবুল এক্সপ্রেসওয়ের উপর অবস্থিত গজনি তালিবানের দখলে আসায় দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে গনি সরকারের যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল বলেই মনে করা হচ্ছে।বিগত কয়েকদিনে আফগানিস্তানের ৩৪টির প্রদেশের মধ্যে নটি প্রদেশের রাজধানী দখল করে ফেলেছে তালিবান। সেগুলি হল, জাজওয়ান প্রদেশের শেবেরঘান, নিমরুজ প্রদেশের জারাঞ্জ, জাজওয়ান প্রদেশের তালেকান, সামাঙ্গান প্রদেশের আইবক সিটি, কুন্দুজ প্রদেশের কুন্দুজ শহর, সর-এ-পুল প্রদেশের সর-এ-পুল শহর, বাদাখশান প্রদেশের ফৈজাবাদ ,তাখার প্রদেশের তালুকান, ফারাহ প্রদেশের ফারাহ সিটি। আর এ বার গজনি। গতকালই পেন্টাগনের এক আধিকারিক রয়টার্সকে এক গোপন রিপোর্টের কথা জানিয়েছেন। মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের আশঙ্কা, তালিবান যে ভাবে এগোচ্ছে তাতে তারা শক্তিশালী হয়ে উঠবে আর তিন মাসের মধ্যে কাবুল দখল করে ফেলবে।

আগস্ট ১২, ২০২১
বিদেশ

Taliban: আফগানিস্তানে আরও বিস্তার ঘটাল তালিবান

আফগানিস্তান থেকে আমেরিকার সেনা যত সরছে, ততই একের পর এক এলাকা দখল করছে তালিবান। শুক্রবার নিমরোজ প্রদেশের রাজধানী জারঞ্জ শহরের দখল নিয়েছে তালিবান বাহিনী। প্রদেশের ডেপুটি গভর্নর রোহ গুল খয়েরজাদ নিজেই সংবাদমাধ্যমকে এ কথা জানিয়েছেন। আফগানিস্তানে সাম্প্রতিক গৃহযুদ্ধ পর্বে এই প্রথম গুরুত্বপূর্ণ কোনও প্রাদেশিক রাজধানী দখল করল তালিবান। সম্প্রতি তালিবান মুখপাত্র জবিউল্লা মুজাহিদ দাবি করেছেন, তাঁরা এখন উত্তর আফগানিস্তানের বলখ প্রদেশের রাজধানী মাজার-ই-শরিফেরও উপকণ্ঠে পৌঁছে গিয়েছেন। প্রসঙ্গত, আফগানিস্তানের ওই পঞ্চম বৃহত্তম শহর থেকে ইতিমধ্যেই কনস্যুলেট সরিয়ে নিয়েছে ভারত।আরও পড়ুনঃ লোকার গোজ গ্লোবাল-এ বেকারত্ব দূরীকরণে বিশেষ পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীরখয়েরজাদ শনিবার বলেন, ইরান সীমান্তের অদূরে দক্ষিণ-পশ্চিম আফগানিস্তানের শহরটি কার্যত বিনা লড়াইয়ে তালিবান দখল করেছে। নেটমাধ্যমে প্রকাশিত ছবি এবং ভিডিওয় তালিবান জঙ্গিদের ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছে জারঞ্জের রাস্তায়। সরকারি সূত্রের খবর, তালিবান বাহিনীর হাতে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিতেই কার্যত বিনা যুদ্ধে পালিয়ে যায় শহর রক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত আফগান সেনা। মে মাসের শেষ পর্বে আমেরিকা সেনা আফগানিস্তান ছাড়া শুরু করতেই দেশের বিভিন্ন এলাকার দখল নিতে শুরু করেছে তালিবান। বিশেষভাবে ইরান, কাজাখস্তান, উজবেকিস্তান, তুর্কমানিস্তান এবং পাকিস্তান সীমান্ত ঘেঁষা শহরগুলি বিশেষ ভাবে নিশানা করেছে তারা। সীমান্তবর্তী এই শহরগুলি আফগানিস্তানের জাতীয় আয়ের অন্যতম উৎস। তাই এগুলোকেই জঙ্গিরা বিশেষভাবে নিশানা করছে বলে মনে করা হচ্ছে।

আগস্ট ০৭, ২০২১
দেশ

Photo Journalist: কান্দাহারে নিহত পুলিৎজার জয়ী ভারতীয় চিত্রসাংবাদিক

কান্দাহারে অশান্ত পরিস্থিতির ছবি তুলতে গিয়ে নিহত হলেন পুলিৎজার জয়ী ভারতীয় চিত্রসাংবাদিক দানিশ সিদ্দিকি। কয়েক আগেই সেখানে গিয়ে আফগান সেনাবাহিনীর সঙ্গে থেকে কাজ করছিলেন তিনি। শুক্রবার সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, কান্দাহারের স্পিন বোলডাক জেলায় সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে নিহত হয়েছেন দানিশ। তিনিই ভারতের প্রথম পুলিৎজার জয়ী চিত্রসাংবাদিক। ২০১৮ সালে সহকর্মী আদনান আবিদির সঙ্গে ফিচার ফোটোগ্রাফিতে পুলিৎজার পুরস্কার পেয়েছিলেন দানিশ। ভারতের রয়টার্সের আলোকচিত্রীদের দলটির প্রধান ছিলেন দানিশ।আরও পড়ুনঃ ফের উত্তপ্ত শ্রীনগর, খতম ২ লস্কর জঙ্গিআন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রধান চিত্র সাংবাদিক ছিলেন দানিশ। টুইটারে এক সাংবাদিকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বৃহস্পতিবার রাতেই গুরুতর জখম হয়েছিলেন দানিশ। তিনি আফগান সেনা শিবিরেই ছিলেন। তাঁকে আহত অবস্থায় শিবিরে রেখেই আফগান সেনারা তালিবান বিরোধী অভিযানে গিয়েছিলেন। কিন্তু শুক্রবার সকালে ফের তালিবানি হামলার মুখে পড়ে আফগান সেনারা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দানিশের। ওই সাংবাদিক নেট মাধ্যমে জানিয়েছেন, দানিশের দেহাবশেষের ছবিও এসেছে তাঁদের কাছে। কিন্তু তাঁরা তা প্রকাশ করছেন না। মুম্বইয়ে বাড়ি দানিশের। বয়স ৪০। জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার ছাত্র ছিলেন তিনি। টেলিভিশন সাংবাদিক হিসেবে কেরিয়ার শুরু করলেও পরে চিত্র সাংবাদিকতাকেই পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। ২০১০ সালে রয়টার্সে শিক্ষানবীশ চিত্র সাংবাদিক হিসেবে যোগ দেন। তার ছ বছরের মধ্যেই ইরাকের মসুলের যুদ্ধের ছবি তুলতে যান দানিশ। ২০১৫ সালে নেপালের ভূমিকম্পের ছবিও তোলেন। ২০১৯-২০তে হংকং প্রোটেস্ট, ২০২০ তে দিল্লির দাঙ্গার ছবিও তোলেন এই চিত্র সাংবাদিক।

জুলাই ১৬, ২০২১
দেশ

পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তানের সংখ্যালঘু শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু

নাগরিকত্ব আইন নিয়ে আন্দোলনের আগুন জ্বলেছে সারা দেশজুড়ে। ২০১৯ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন এখনও কার্যকরী করতে পারেনি কেন্দ্র। তার মধ্যেই নয়া নির্দেশিকা দিয়ে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান থেকে আসা শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দিতে চলেছে কেন্দ্র। বিজ্ঞপ্তি জারি করে সেই মর্মে একাধিক জেলাশাসকদের অবগত করেছে কেন্দ্র।কেন্দ্র গুজরাতের মোরবি, রাজকোট, পাটনা, ভদোদরা, ছত্তিশগড়ের দূর্গ, বলোদাবাজার, রাজস্থানের জলোর, উদয়পুর, পলি, বার্মার, সিরোহি, হরিয়ানার ফরিদাবাদ, পঞ্জাবের জলন্ধরের জেলাশাসককে ৫ নং ধারায় নাগরিকত্বের আবেদন সংগ্রহের নির্দেশ দিয়েছে। ২০০৯ সালের নাগরিকত্ব নিয়ম অনুযায়ী, পঞ্জাব, হরিয়ানার স্বরাষ্ট্রসচিবকেও এই মর্মে অবগত করেছে কেন্দ্র।নাগরিকত্বের আবেদন পদ্ধতি:১. নাগরিকত্বের আবেদন শুধুমাত্র অনলাইনের করা যাবে।২.আবেদনপত্র যাচাই করবেন জেলাশাসক অথবা সচিব। এরপর তা কেন্দ্রের হাতে পাঠানো হবে।৩. কোনও বিশেষ ক্ষেত্রে খতিয়ে দেখার প্রয়োজন হলে, সেই কাজ করবে কেন্দ্রীয় সরকার।৪, জেলাশাসক বা সচিব তথ্য সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নাগরিকত্ব দেবেন।উল্লেখ্য, এই নাগরিকত্ব প্রদান হবে ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন ও ২০০৫ সালের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের ভিত্তিতে। কেন্দ্র এখনও ২০১৯ সালের নিয়ম বলবৎ করতে পারেনি। যেখানে জানানো হয়েছিল, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে পর্যন্ত যেসব হিন্দু, জৈন, শিখ, পার্সি ও খ্রিস্টানরা ভারতে এসেছেন, তাঁদের নাগরিকত্ব দেবে কেন্দ্র। সংসদে এই আইন পাশ হওয়ার পর একাধিক রাজ্য এক বিরোধিতা করেছিল। পশ্চিমবঙ্গেরও রাজ্য সরকার জানিয়েছিল, এই আইন বাংলায় কার্যকরী হবে না।

মে ২৯, ২০২১
বিদেশ

আফগানিস্তানের মসজিদে বিস্ফোরণ, মৃত ৩০ তালিবান জঙ্গি

মসজিদে চলছিল বোমা বানানোর প্রশিক্ষণ। হাতে-কলমে সেটাই শেখানো হচ্ছিল। আর তখনই ঘটে যায় বিস্ফোরণ। আফগানিস্তানের বালখ প্রদেশের এই ঘটনায় প্রাণ গিয়েছে ৩০ তালিবানি জঙ্গি। এমনটাই জানানো হয়েছে আফগান সেনার পক্ষ থেকে।বিস্ফোরণের ঘটনায় আফগান সেনাবাহিনীর ২০৯ শাহিন কোরের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়। সেখানেই জানানো হয়, গত শনিবার বিস্ফোরণে ৩০ তালিবান জঙ্গি মারা গিয়েছে। তাতে আবার ছয় জন বিদেশিও রয়েছে। এরাই মাইন বিশেষজ্ঞ হিসেবে সেখানে অন্যদের বিস্ফোরক বানানোর প্রশিক্ষণ দিচ্ছিল। জানা গিয়েছে, বালখ প্রদেশের দৌলতাবাদ জেলার কুলতাক গ্রামের একটি মসজিদে ঘটনাটি ঘটেছে। সেখানেই ওই ছয় বিদেশির কাছ থেকে বিস্ফোরক বানানোর কৌশল শিখছিল জঙ্গিরা। তখনই আচমকা বিস্ফোরণ ঘটে। তার তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে ওই ছজনের পরিচয়ও জানা যায়নি। গোটা ঘটনায় ওই এলাকায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।দীর্ঘদিন ধরেই তালিবানের দৌরাত্ম্যে অশান্ত আফগানিস্তান। বছরখানেক ধরে শান্তি আলোচনা চলছে তালিবান ও আফগান সরকারের মধ্যে। মধ্যস্থতায় রয়েছে মার্কিন প্রশাসনও। অথচ তার মধ্যেই নিয়মিত হিংসার ঘটনা ঘটেই চলেছে। এমনকী বাইডেন প্রশাসনও সম্প্রতি তালিবানের বিরুদ্ধে চুক্তি না মানার অভিযোগ তুলেছে। এই পরিস্থিতিতে সে দেশে একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে তালিবান।

ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২১

ট্রেন্ডিং

বিনোদুনিয়া

শেষ জন্মদিনে স্ত্রীর কান্নাভেজা পোস্ট! ‘জন্মজন্মান্তরে আমাদের গল্প লিখব…’ জুবিনকে গরিমার শেষ চিঠি

প্রয়াণের পর প্রথম জন্মদিন। আজ ৫৩ বছরে পা দিতে পারতেন জনপ্রিয় গায়ক জুবিন গর্গ। তাঁর অকালমৃত্যুর ধাক্কা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি কেউইবিশেষত অসমের মানুষ। কিন্তু সবচেয়ে বেশি ভেঙে পড়েছেন তাঁর স্ত্রী গরিমা সাইকিয়া। স্বামীর জন্মদিনে অদেখা একগুচ্ছ ছবি সোশালে পোস্ট করে আবেগে ভাসলেন তিনি। ছবির ক্যাপশনে লিখলেনজন্মজন্মান্তরে আমি আমাদের কাহিনী লিখে যাব। ভালো থেকো জুবিন। সেই কয়েকটি লাইনে যেন গরিমার মনের সব কথা ফুটে উঠল। শুধু স্ত্রী নন, জীবনের বহু লড়াইয়ে জুবিনের সবচেয়ে কাছের বন্ধু, ছায়াসঙ্গীও ছিলেন গরিমা।গত মাসেই জুবিনের শেষ সিনেমা রই রই বিনালের মুক্তির জন্য নিরন্তর লড়াই করেছিলেন গরিমা। একদিকে গায়কের মৃত্যুর রহস্য নিয়ে যখন অসম জুড়ে ক্ষোভ আর বিক্ষোভ, তখন সেই চাপের মধ্যেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু তবুও শেষ কাজটি স্বামীর নামে সম্পূর্ণ করার জেদ ছাড়েননি তিনি।জন্মদিনে প্রিয় বন্ধুর স্মৃতিতে ডুবে গেলেন সঙ্গীত পরিচালক জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও। সোশালে তিনি লিখলেন, শুভ জন্মদিন আমার প্রিয় বন্ধু। কিছু মানুষ কখনও আমাদের ছেড়ে যান না, সঙ্গেই থেকে যান। তুমি তেমনই। তোমার সুরে তুমি বেঁচে থাকবে। তোমাকে আজ খুব মনে পড়ছে।জুবিনের মৃত্যু নিয়ে রহস্য এখনও কাটেনি। সিঙ্গাপুরে নর্থ ইস্ট ফেস্টিভ্যালে যোগ দিতে গিয়ে ঘটে যায় বিপদ। স্কুবা ডাইভিং করার সময় হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হয় তাঁর। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষরক্ষা হয়নি। পরদিনই ছিল তাঁর পারফরম্যান্স, কিন্তু তার আগেই হারিয়ে গেলেন অসমের তারকা। আজ তাঁর জন্মদিনে সেই ঘটনাই নতুন করে কষ্ট দিচ্ছে অনুরাগীদের। মনে পড়ছে গায়কের হাসি, গান আর অকৃত্রিম মায়াভরা উপস্থিতি।আজকের দিনটা তাই শুধুই জন্মদিন নয়অসমের মানুষের কাছে আজ স্মরণ, বেদনা আর গভীর ভালোবাসার দিন। জুবিন নেই, কিন্তু তাঁর সুর, তাঁর গল্প, তাঁর স্মৃতি আজও ভেসে বেড়ায় অনুরাগীদের হৃদয়ে।

নভেম্বর ১৮, ২০২৫
দেশ

“জেডিইউ ২৫ পার করলে সন্ন্যাস”—নিজের ভবিষ্যদ্বাণী ভুল প্রমাণিত, এবার নীতীশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ পিকে’র

বিহার নির্বাচনের আগেই প্রশান্ত কিশোর ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, জেডিইউ যদি ২৫টির বেশি আসন পায় তবে তিনি সন্ন্যাস নিয়ে নেবেন । কিন্তু সেই ভবিষ্যদ্বাণীকে সম্পূর্ণ ভুল প্রমাণ করে এনডিএ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে আর জেডিইউ এককভাবে জিতেছে ৮৫টি আসন। বিপরীতে পিকে গঠিত জন সুরজ পার্টির ঝুলিতে এসেছে বিশাল শূন্য। এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ক্ষোভ-অসন্তোষে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন দেশের অন্যতম ভোট-কুশলী।সাংবাদিকদের প্রশ্নে নিজের সন্ন্যাস সংক্রান্ত মন্তব্য থেকে কার্যত পিছিয়ে এসে পিকে বলেন, তিনি কোনও রাজনৈতিক পদে নেই, তাই পদত্যাগ বা সরে দাঁড়ানোর প্রশ্নই ওঠে না। হার সত্ত্বেও তিনি বিহারেই থাকবেন, বিহারের গ্রাম-শহরেই ঘুরে বেড়াবেন। হাসিমুখে দাবি করেন, তাঁর ভবিষ্যদ্বাণীর দ্বিতীয় অংশ অন্তত ঠিক হয়েছে, জন সুরজ যে হয় শীর্ষে থাকবে, নয়তো একেবারে নিচেঠিকই তাই হয়েছে, কারণ শূন্য আসন মানেই নিচে পৌঁছনো।কিন্তু হাসির আড়ালে লুকিয়ে ছিল তীব্র ক্ষোভ। সরাসরি নীতীশ কুমারের দিকে আঙুল তুলে পিকে অভিযোগ করেন, বিহারে টাকা বিলি করে ভোট কেনা হয়েছে। তাঁর দাবি, নির্বাচনের ঠিক আগে মুখ্যমন্ত্রী মহিলা রোজগার যোজনার নামে মহিলাদের কাছে ১০ হাজার টাকা পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল ভোট প্রভাবিত করার উদ্দেশ্যে। তিনি বলেন, কোনও উন্নয়ন প্রকল্পে এমন তড়িঘড়ি টাকা দেওয়ার নজির নেই, তাই এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভোট-লেনদেন ছাড়া আর কিছু নয়।প্রশান্ত কিশোর এখানেই থামেননি। তিনি নীতীশকে নতুন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন, সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী যদি ছমাস পর মহিলাদের হাতে ২ লক্ষ টাকা করে প্রকৃত অর্থে তুলে দেওয়া হয়, তবে তিনি শুধু রাজনীতি নয়বিহার রাজ্যটাই ছেড়ে দেবেন। তাঁর কথায়, ভোট কেনার জন্যই সরকারি প্রকল্পের নাম করে নগদ টাকা বিলি করা হয়েছে।জন সুরজের লজ্জার হারের দায়ও নিজের কাঁধে নিলেন পিকে। তিনি স্বীকার করেন, সততার সঙ্গে লড়াই করলেও তারা মানুষের বিশ্বাস অর্জন করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে, ফলে হারটাকে মেনে নিতে আপত্তি নেই। নির্দেশিত ২৩৮টি আসনে লড়াই করে ২৩৬টিতেই জন সুরজের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তবুও ভোট শতাংশের হিসেবে তারা বিএসপি, সিপিআই-এমএল, মিমসহ বেশ কিছু দলের থেকে বেশি ভোট পেয়েছে এবং ৩.৪ শতাংশ ভোট দখল করায় পিকে তা ভবিষ্যতের সম্ভাবনা হিসেবে দেখছেন।এত বড় রাজনৈতিক ধাক্কার পরও প্রশান্ত কিশোরের লড়াই থামছে না, বরং নতুন অভিযোগ, নতুন চ্যালেঞ্জে বিহারের রাজনীতিতে নতুন অস্থিরতা তৈরি হয়েছে বলেই রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

নভেম্বর ১৮, ২০২৫
বিদেশ

হাসিনার অনুপস্থিতিতেই মৃত্যুদণ্ড? রাষ্ট্রসংঘের কড়া প্রশ্ন বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থাকে

জুলাই বিক্ষোভে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে, সেই রায়ের বিরুদ্ধে এবার সরব হল রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কমিশন। আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন উঠছেএই বিচার কি আদৌ ন্যায়সঙ্গত? সব মিলিয়ে মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে তৈরি বিচারব্যবস্থা ও তাঁর ক্যাঙারু আদালত বলতে শুরু করেছেন অনেকেই। কারণ, আদালত ঘোষণার আগেই যেন স্ক্রিপ্ট লিখে ফেলা হয়েছিলহাসিনা ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের ফাঁসির সাজা।রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কমিশনের মুখপাত্র রবিনা সামদাসানি এক বিবৃতিতে জানান, এই রায় নিয়ে তাদের গভীর উদ্বেগ রয়েছে। তাঁর কথায়, গত বছরের বিক্ষোভ দমনের সময় যে ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছিল, সেই ঘটনার সঠিক বিচার অত্যন্ত প্রয়োজন। কিন্তু বাংলাদেশের আদালতের বিচারপ্রক্রিয়া সম্পর্কে রাষ্ট্রসংঘের হাতে যথেষ্ট তথ্য নেই। তবুও আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে বিচার হওয়া উচিতএটাই তাঁদের বার্তা।রবিনা আরও বলেন, অভিযুক্ত শেখ হাসিনা আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। অনুপস্থিতিতেই তাঁকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে রাষ্ট্রসংঘ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়যে পরিস্থিতির মধ্যেই হোক না কেন, তারা এমন বিচারকে সমর্থন করে না। তাঁদের আশা, বাংলাদেশ সত্যিকারের ন্যায়বিচারকে গুরুত্ব দিয়ে পরিস্থিতি সামলাবে।রাষ্ট্রসংঘের পাশাপাশি হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সংস্থার মহাসচিব অ্যাগনেস কালামার্ড একেবারে সরাসরি মন্তব্য করেছেনজুলাই বিক্ষোভের সময় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা সত্যিই ভয়াবহ ছিল, কিন্তু সেই অপরাধের বিচার হতে হবে সুষ্ঠুভাবে। এই বিচারপক্রিয়া না সঠিক, না আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে হয়েছে। তাঁর কথায়, মৃত্যুদণ্ড এমনিতেই অত্যন্ত নিষ্ঠুর, অমানবিক ও অপমানজনক শাস্তি। আধুনিক কোনও ন্যায়বিচার ব্যবস্থায় মৃত্যুদণ্ডের জায়গাই নেই।সব মিলিয়ে, আন্তর্জাতিক সমাজের একাংশের চোখে পুরো বিচার ব্যবস্থাটাই এখন প্রশ্নের মুখে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মাঝেই এই রায় আরও অস্থিরতা বাড়াতে পারে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।

নভেম্বর ১৮, ২০২৫
কলকাতা

পুর নিয়োগ দুর্নীতি: ইডির জালে এবার মন্ত্রীর মেয়ে! জানুন কী কী প্রশ্ন ঝুলছে

পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্তের গতিবেগ আরও তীব্র করল ইডি। দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর মেয়ে মোহিনী বসু মঙ্গলবার দুপুরে সল্টলেকের ইডি দফতরে হাজিরা দিলেন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর আইনজীবীও। ঠিক তার আগের দিনই সুজিত বসুর জামাইকে কয়েক ঘণ্টা জেরা করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ফলে আজ মোহিনীর জিজ্ঞাসাবাদ ঘিরে তৈরি হয় বিশেষ আগ্রহ।এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে ইতিমধ্যেই কলকাতার নানা জায়গায় অভিযান চালিয়েছে। তল্লাশি চলে মন্ত্রী সুজিত বসুর সল্টলেকের বাড়িতে, তাঁর অফিসে এবং তাঁর ছেলের রেস্তরাঁতেও। এই দীর্ঘ তল্লাশিতে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করার পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ নগদও পায় ইডি। তার পর থেকেই তদন্তের ফোকাস পরিবারে কার কী ভূমিকায় পড়েছে সেই দিকেও ঘুরে যায়।গত সপ্তাহেই মন্ত্রীর স্ত্রী, পুত্র ও কন্যাকে তলব করে পাঠায় ইডি। তাঁদের সবার কাছে চাওয়া হয়েছিল ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত নথি, ঋণের তথ্য এবং আর্থিক লেনদেনের ডকুমেন্টস। সেই নির্দেশ মেনেই মঙ্গলবার দুপুরে ইডির দপ্তরে হাজির হন মোহিনী বসু। তাঁর সঙ্গে বেশ কিছু নথিও ছিল বলে সূত্রের দাবি।হাজিরা দিতে গিয়ে সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্নের উত্তর দেননি তিনি। প্রায় কয়েক ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলেই ইডি সূত্রে খবর। তদন্তকারীদের দাবিপুর নিয়োগ দুর্নীতি থেকে যে টাকা উঠেছিল, তা কোথায় কোথায় বিনিয়োগ হয়েছে, কোন কোন ব্যবসায় ব্যবহার করা হয়েছে, বিশেষত হোটেল ও রেস্তরাঁ ব্যবসায় কোনও অর্থ ঢুকেছে কি নাতা খতিয়ে দেখতেই মন্ত্রীকন্যাকে তলব করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থেই তাঁর সঙ্গে থাকা নথিগুলি খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন আধিকারিকরা।ইডি মনে করছে, এই দুর্নীতির টাকায় একাধিক লেনদেন হয়েছে, এবং পরিবারের সদস্যদের অ্যাকাউন্টে তার ছাপ থাকতে পারে। তাই তদন্তে এই জিজ্ঞাসাবাদকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ মনে করা হচ্ছে।

নভেম্বর ১৮, ২০২৫
দেশ

নকশাল দমন অভিযানে ঐতিহাসিক সাফল্য! নিহত কুখ্যাত মদভি হিদমা ও তার স্ত্রী

ভারতের নকশালবিরোধী অভিযানে বড় সাফল্য। দীর্ঘদিন ধরে নিরাপত্তাবাহিনীর মাথাব্যথার কারণ হওয়া শীর্ষ মাওবাদী কমান্ডার মদভি হিদমা অবশেষে নিহত। অন্ধ্রপ্রদেশের আল্লুরী সীতারামারাজু জেলার গভীর জঙ্গলে সোমবার ভোরে তুমুল বন্দুকযুদ্ধের মধ্যেই শেষ হয় দেশের সবচেয়ে কুখ্যাত নকশাল নেতাদের এক জনের অধ্যায়। হিদমার সঙ্গে তার স্ত্রী রাজে ওরফে রাজাক্কাসহ মোট ছয় মাওবাদীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। নিহতদের মধ্যে আরও আছেন চেল্লুরি নারায়ণ ওরফে সুরেশ, এসজেডসিএম এবং টেক শঙ্কর।ঘটনাস্থল মারুদ পল্লি। পশ্চিম গোদাবরী জেলার গভীর অরণ্যের এক এমন জায়গা, যেখানে ছত্তীসগড়, তেলঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশের সীমানা মিলেছে। স্থানীয় সময় সকাল প্রায় ছটা। ঘন জঙ্গলের নিস্তব্ধতা ভেঙে গুলির শব্দে কেঁপে ওঠে তিন রাজ্যের মিলনসীমা। বিশ্বস্ত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নিরাপত্তাকর্মীরা রাতে থেকেই ওই এলাকায় কম্বিং অপারেশন শুরু করেছিলেন। জঙ্গলের ভেতরে মাওবাদীরা ক্যাম্প গেড়েছেএমন তথ্য পাওয়ার পরই যৌথ বাহিনী অভিযানে নামে। মুখোমুখি সংঘর্ষ শুরু হতেই দুপক্ষের মধ্যে টানা গুলির লড়াই চলে। সংঘর্ষ থামার পর ধীরে ধীরে জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসে হিদমাসহ ছয়জনের নিথর দেহ।পুলিশ জানিয়েছে, অভিযান এখনও চলছে। জঙ্গলের ভেতর আরও মাওবাদী লুকিয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ। তবে সবচেয়ে বড় খবরমদভি হিদমার মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ায় নিরাপত্তাবাহিনী ও গোয়েন্দা মহলে স্বস্তির হাওয়া। ১৯৮১ সালে ছত্তীসগড়ের সুকমায় জন্ম হিদমার মাথার দাম ছিল ৫০ লক্ষ টাকা। সিপিআই (মাওবাদী)-র সবচেয়ে প্রভাবশালী নেতাদের মধ্যে একসময় তার নাম প্রথম সারিতে ছিল। কমপক্ষে ২৬টি বড় হামলার মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে বহু বছর ধরে তার সন্ধানে ছিল দেশের বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থা। কয়েকটি রাজ্যের সীমান্তজুড়ে তার টিমের ত্রাসের জন্য তাকে ধরা প্রায় অসম্ভব বলে মনে করা হত। এবার সেই অধ্যায় শেষ।এই অভিযানের পরে গোটা অঞ্চলেই নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে। গ্রামবাসীদের নিরাপদ স্থানে সরানো হচ্ছে। পুলিশ সূত্রের দাবি, এ অপারেশন নকশাল নেটওয়ার্কে বড় ধাক্কা দেবে এবং আগামী দিনগুলোতে আরও একাধিক জঙ্গলের গভীরে একই ধরনের অভিযান চালানো হতে পারে।

নভেম্বর ১৮, ২০২৫
দেশ

২৫ জায়গায় একযোগে তল্লাশি, জেরা চেয়ারম্যান— আল ফালাহ নিয়ে কেন এত সন্দেহ?

দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই নতুন নতুন চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলছে। এবার সরাসরি তদন্তকারীদের নজর গিয়ে পড়ল ফরিদাবাদের আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে। মঙ্গলবার সকাল হতেই ইডি দিল্লির অফিসে হানা দিয়ে শুরু করে তল্লাশি। শুধু দিল্লি নয়, আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত মোট ২৫টি জায়গায় একযোগে তল্লাশি চালাচ্ছেন আধিকারিকরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান জাভেদ আহমেদ সিদ্দিকির বাড়িতেও পৌঁছে যায় ইডি। সেখানেই তাঁকে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত একাধিক প্রশ্নে জেরা করা হচ্ছে বলে খবর।আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে পিএমএলএ আইনে মামলা রুজু হয়েছে। তদন্তকারীদের সন্দেহ, বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক লেনদেনের বড় অংশই পরিষ্কার নয়। এমনকী কিছু টাকা বেআইনি কাজে বা জঙ্গি তৎপরতার চক্রে ঢুকে গিয়েছে কি না, সেদিকেও নজর দিচ্ছে ইডি। কারণ বিস্ফোরণকাণ্ডে ইতিমধ্যেই উঠে এসেছে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক চিকিৎসকের নাম উমর-উন-নবি, ডক্টর মুজাম্মিল, ডক্টর শাহীন সইদসহ আরও কয়েকজন। তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছেন, এই চিকিৎসকদের অ্যাকাউন্টে যে মোটা অঙ্কের লেনদেন ধরা পড়েছে, তা কোনওভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল থেকে গেছে কি না। যদি গিয়ে থাকে, তা কী উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছিল, তারও উত্তর খুঁজছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।শুধু ইডিই নয়, আলাদা ভাবে তদন্ত শুরু করেছে দিল্লি পুলিশের আর্থিক দুর্নীতিদমন শাখা। অন্যান্য কেন্দ্রীয় সংস্থাও পরিস্থিতি খুব কাছ থেকে নজর রাখছে। ফলে আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে একের পর এক প্রশ্ন আরও ঘনীভূত হচ্ছে।দিল্লির লালকেল্লার সামনে ১০ নভেম্বর ঘটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। সেই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তদন্তে নেমেছে এনআইএ। তারই মাঝেই বিশ্ববিদ্যালয়-সংক্রান্ত আর্থিক যোগসূত্র সামনে আসায় তদন্তকারীদের সন্দেহ আরও গভীর হয়েছে। বিস্ফোরণের পরবর্তী তদন্ত এখন একেবারে নতুন দিকের দিকে মোড় নিচ্ছে, এবং তাতে আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা এখন তদন্তের কেন্দ্রে।

নভেম্বর ১৮, ২০২৫
রাজ্য

ফর্ম না–পাওয়া নিয়ে উদ্বেগ, পূর্ব পুটিয়ারিতে বৃদ্ধার মৃত্যুর পর আলোচনায় প্রশাসনিক বিভ্রান্তি

কলকাতার পূর্ব পুটিয়ারিতে ঘটে গেল এক মর্মান্তিক ঘটনা। এনুমারেশন ফর্ম নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগতে থাকা এক বৃদ্ধা আগুনে পোড়া অবস্থায় প্রাণ হারালেনএমনই দাবি করেছেন তাঁর পরিবার। মৃতার নাম যমুনা মণ্ডল, বয়স ৬৭। পরিবার জানিয়েছে, বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এলাকায় ভোটার এনুমারেশন ফর্ম বিলি হচ্ছিল। আশপাশের বাড়িগুলিতে ফর্ম পৌঁছোলেও তাঁদের বাড়িতে পৌঁছায়নি। সেই কারণেই যমুনা দেবী অস্বাভাবিক আতঙ্কে ভুগছিলেন।যমুনার ছেলে মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডল বলেন, তাঁর মায়ের আগে থেকেই স্নায়ুর সমস্যা ছিল। ফর্ম না পাওয়ায় উদ্বেগ আরও বেড়ে যায়। গত শনিবার তাঁরা অবশেষে এনুমারেশন ফর্ম পান। কিন্তু তাতেও যমুনা দেবীর ভয়ের অবসান হয়নি বলে দাবি পরিবারের। সোমবার সকালে গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় তাঁকে এমআর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।এদিকে দক্ষিণ দমদম থেকেও সামনে এসেছে আর-একটি মর্মান্তিক ঘটনা। সেখানকার আরএন গুহ রোডের বাসিন্দা বৈদ্যনাথ হাজরা, বয়স ৪৬, কয়েকদিন ধরে এসআইআরসংক্রান্ত দুশ্চিন্তায় ভুগছিলেন বলে জানিয়েছেন তাঁর পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, বৈদ্যনাথ বাবুর ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম ছিল নাএই বিষয়টি তাঁকে মানসিকভাবে অস্থির করে তুলছিল। দুদিন আগে গভীর রাতে তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। তাঁর মোবাইল ফোন বাড়িতেই পড়ে ছিল। পরে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন। আজ তাঁর দেহ উদ্ধার হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। পরিবারের দাবি, এসআইআরনিয়ে তৈরি হওয়া ভয়ই তাঁকে চরম পদক্ষেপে ঠেলে দিয়েছে।এসআইআর প্রক্রিয়া শুরুর পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ভয় ও বিভ্রান্তির অভিযোগ উঠছে। এই ঘটনাগুলিকে কেন্দ্র করে তৃণমূল কংগ্রেস জাতীয় নির্বাচন কমিশন ও বিজেপিকে দায়ী করেছে। আবার বিজেপির অভিযোগ, আতঙ্ক ছড়িয়ে ভোট রাজনীতি করছে রাজ্যের শাসকদলই।ঘটনাগুলি নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক তরজা চরমে উঠেছে। কিন্তু দুই পরিবারের মর্মান্তিক ক্ষতি পাহাড়প্রমাণ প্রশ্ন তুলছেএসআইআরসম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে এত ভয় ও বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে কেন, এবং এই আশঙ্কা দূর করতে প্রশাসনের আরও সক্রিয় ভূমিকা প্রয়োজন কি না।(মানসিক চাপ বা সংকটে থাকলে যেকোনও সময় কিরণ ১৮০০-৫৯৯-০০১৯ হেল্পলাইনে সাহায্য পাওয়া যায়।)

নভেম্বর ১৮, ২০২৫
দেশ

দিল্লি বিস্ফোরণের আগেই ‘সুইসাইড বোমার’ হওয়ার প্রস্তুতি! জেরায় ফাঁস দানিশের চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি

দিল্লি বিস্ফোরণ-কাণ্ডে নয়া মোড়। আত্মঘাতী হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেনএমনই সন্দেহে পাকড়াও করা হল উমরের ঘনিষ্ঠ সহযোগী জাশির বিলাল ওয়ানিকে, যাঁকে দানিশ নামেই চিনত গোটা শ্রীনগর। এনআইএ-র একটি বিশেষ দল গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে প্রথমে তাঁকে শ্রীনগরেই আটক করে। পরে জেরা চলতে থাকতেই উঠে আসে বিস্ফোরণের দিনেদুজনের ভূমিকাসহ একাধিক চমকে দেওয়া তথ্য। দিন তিনেক আগে অনন্তনাগে গোপনে লুকিয়ে থাকা দানিশকে পাকড়াও করা হয়। তদন্তকারীদের মতে, দিল্লি বিস্ফোরণের পরিকল্পনা টেবিলে বসেই উমরের সঙ্গে মিলিতভাবে তৈরি করেছিলেন তিনি। শুধু পরিকল্পনাই নয়আত্মঘাতী হামলায় অংশ নেওয়ার জন্য মানসিকভাবে নিজেকে প্রস্তুত করছিলেন দানিশ নিজেও। শেষ মুহূর্তে কোনও অজানা কারণে সেই সিদ্ধান্ত আর বাস্তবায়িত হয়নি। কিন্তু তার আগেই হাতেনাতে ধরা পড়ে যায় শ্রীনগরের এই যুবক।তদন্তকারীদের কাছে দানিশ স্বীকার করেছেন, কাশ্মীরের একটি মসজিদে উমরের সঙ্গে প্রথম আলাপ। সেখান থেকেই সম্পর্ক ঘনিয়ে ওঠে। উমরের প্রভাবেই তাঁর মনে জিহাদের পথে পা বাড়ানোর ইচ্ছা জন্মায়। ধীরে ধীরে আত্মঘাতী হামলার জন্য নিজের মনকে তৈরি করতে শুরু করেন তিনি। তদন্তকারীরাও বিস্মিতকারণ দানিশ বুদ্ধিমত্তায় ও প্রযুক্তিগত দক্ষতায় অত্যন্ত চৌকস। ড্রোন, রকেট-লঞ্চারের মতো জটিল অস্ত্র তৈরি করতে তাঁর দক্ষতার কথাও উঠে এসেছে জেরায়। এমনকি, দিল্লি বিস্ফোরণের জন্য ব্যবহৃত মারাত্মক বিস্ফোরক তৈরিও দানিশই নাকি করেছিলেন, যা পরে তিনি তুলে দেন উমরের হাতে।এখন দফায় দফায় জেরা চলছে। দানিশের কাছ থেকে বেরিয়ে আসছে বিস্ফোরণ-কাণ্ডের নেপথ্যের অজানা সুত্র। কিন্তু ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে আর-একটি পতন ঘটে দানিশের পরিবারের উপরছেলের বিরুদ্ধে জঙ্গি-যোগের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই মানসিক চাপে ভেঙে পড়ে তাঁর বাবা। বাড়ির মধ্যেই আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। গোটা এলাকায় নেমে আসে স্তব্ধতা ও শোকের ছায়া।

নভেম্বর ১৮, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal