• ১১ পৌষ ১৪৩২, সোমবার ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Zoo

কলকাতা

নতুন বছরে শীতের আমেজে ভিড়ে ঠাসা ইকোপার্ক থেকে চিড়িয়াখানা, কাশীপুর উদ্যানবাটী..কোথায় কত দর্শনার্থী?

ফি বছর বছরের শেষ সপ্তাহ থেকে নয়া বছর শুরুর সপ্তাহ পর্যন্ত কলকাতার রাস্তা-ঘাট, মেট্রোতে ভিড় লেগেই থাকে। এবারও তার ব্য়তিক্রম হয়নি। ২৫ ডিসেম্বর বড় দিনে ভিড়ের সূত্রপাত হয়। তারপর বছরের শেষ দিন ৩১ ডিসেম্বর, আর তার পরের দিন ১ জানুয়ারি নতুন বছরের শুরুর দিন। কলকাতার দর্শনীয় স্থানে পর্যটকেরা ভিড় করে থাকে। তবে ইকো পার্ক ও চিড়িয়াখানা সবাইকে এবার ভিড়ে টক্কর দিয়েছে। এবার অবশ্য কাশীপুর উদ্যানবাটি কিছুটা জায়গা করে নিয়েছে। প্রতিবছরই এই দিনগুলিতে আলিপুর চিড়িয়াখানায় ব্যাপক ভিড় হয়। হাটাচলাই সেখানে দায় হয়ে পড়ে। মানুষের তুলনায় যেন জায়গা কম পড়ে যায়। এবার নতুন বছরে খোলামেলা জায়গাকেই বেছে নিল আমজনতার বেশিরভাগ অংশ। মানুষ ভিড় জমাল ইকো পার্কে। পরিবার, বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে নতুন বছরে কলকাতার রাস্তায় বেরিয়ে পড়াই দস্তুর। এদিন ঠান্ডার আমেজই ছিল যথেষ্ট।ভিড়ের হিসেবে সকলকে টেক্কা দিয়েছে নিউ টাউনের ইকো-ট্যুরিজ়ম পার্ক। এই পার্কে ভিড় করেছেন ৯১ হাজার ৬৮৩ জন। অবশ্য তারপরেই আছে আলিপুর চিড়িয়াখানা। তবে বরাবর প্রথম স্থানে থাকে এই চিড়িয়াখানা। এবার সেখানে ভিড় জমিয়েছে ৮৫ হাজারের বেশি। দর্শনার্থীদের সংখ্যায় উত্তর কলকাতার কাশীপুর উদ্যানবাটীও ইংরেজি নববর্ষে অন্য অনেক জায়গার থেকে এগিয়ে থেকেছে। কারণ কল্পতরু উৎসবকে কেন্দ্র করে এখানে মানুষ ভিড় করে থাকে। এবারও সেই আকর্ষণে ভিড় করেছেন ভক্ত ও দর্শনার্থীরা। ভিক্টোরিয়ায় বছরের প্রথম দিনে ৩৮ হাজারের বেশি পর্যটক হাজির হয়েছিলেন। সায়েন্সসিটিতে ছিলেন ৩০হাজারের কিছু বেশি দর্শনার্থী। কলকাতা জাদুঘরেও কয়েক হাজার মানুষ ভিড় করেছেন। তবে তা ১০হাজার অতিক্রম করতে পারেনি।

জানুয়ারি ০২, ২০২৫
বিবিধ

দার্জিলিং চিড়িয়াখানায় নয়া অতিথি, জন্ম দুটি তুষার চিতা, চারটে রেড পান্ডার

ক্যাপটিভ ব্রিডিংয়ে এশিয়ায় যে সেরা তা ফের একবার প্রমান করল দার্জিলিংয়ের পদ্মজা নাইডু চিড়িয়াখানা। এই চিড়িয়াখানার অধীনে তোপকেদ্বারা ব্রিডিং সেন্টারে চারটি রেড পান্ডা এবং দুটি তুষার চিতা শাবকের জন্ম হয়েছে। মাস খানেক আগে জন্ম হলেও ছয়টি শাবকই সুস্থ সবল রয়েছে বলে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। গত জুলাই মাসের শেষের দিকে রেডপান্ডা নিক্কি এবং প্রন্নের চার শাবকের জন্ম হয়েছে।অন্যদিকে, প্রায় একই সময়ে তুষার চিতা রাহানার দুই শাবকের জন্ম হয়েছে দার্জিলিং চিড়িয়াখানা সূত্রে জানা গিয়েছে। আপাতত মায়েদের সঙ্গেই রাখা হয়েছে ওই শাবকদের। ২৪ ঘণ্টাই খুদে অতিথিদের নজরদারি চালাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। নতুন চারটি শাবকের জন্মের পর বর্তমানে চিড়িয়াখানায় রেড পান্ডার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯। অন্যদিকে, তুষার চিতার সংখ্যা বেড়ে ১১ হল। আগে ৯টি তুষার চিতা ছিল দার্জিলিংয়ের পদ্মজা নাইডু হিমালয়ান জুলজিকাল পার্কে। দার্জিলিং চিড়িয়াখানার ডিরেক্টর বাসবরাজ হোলেইচির বক্তব্য,ক্যাপটিভ ব্রিডিংয়ে সফল ভাবে আরও চারটি রেড পান্ডা এবং দুটি তুষার চিতা শাবক জন্ম নিয়েছে এবং প্রত্যেকেই সুস্থ রয়েছে।গোটা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় দার্জিলিং চিড়িয়াখানাতেই একমাত্র গত ৩০ বছর ধরে সাফল্যের সঙ্গে রেড পান্ডা এবং তুষার চিতার ক্যাপটিভ ব্রিডিং প্রক্রিয়া চলছে। এর বাইরে আরও আটটি বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী রয়েছে, যেগুলি আইউসিএন-এর লাল তালিকভুক্ত রয়েছে। সেই প্রানীগুলিরও ক্যাপটিভ ব্রিডিং হচ্ছে। ওই তালিকায় রয়েছে হিমালয়ান থার, ব্লু শিপ, হিমালয়ান উলফের মতো প্রাণী। তোপকেদ্বারা ব্রিডিং সেন্টারে চলছে এই প্রজনন প্রকল্প। প্রকল্প শুরু হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত এই ব্রিডিং সেন্টারে ৭৯টি রেডপান্ডার জন্ম হয়েছে। তার মধ্যে ২০২৩ সালে সর্বোচ্চ ৬টি রেড পান্ডার একসঙ্গে জন্ম হয়েছিল। ওই সময়ের সবগুলিই শাবকই সুস্থ রয়েছে। যা এই ব্রিডিং প্রক্রিয়ার ইতিহাসে প্রথম বলেই পার্ক সূত্রে জানা গিয়েছে। নতুন চারটি রেড পান্ডা শাবকের জন্ম হওয়ায় আরও কয়েকটি রেড পান্ডাকে সিঙ্গালিলার জঙ্গলে ছাড়া হতে পারে বলে পার্ক সূত্রে জানা গিয়েছে।দার্জিলিং চিড়িয়াখানার এই প্রকল্পের উদ্দেশ্যেই ছিল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় রেড পান্ডার সংখ্যা বাড়ানো। সেইমতো প্রতিবছরই নিয়ম করে দুটি থেকে তিনটি রেড পান্ডাকে কলার পরিয়ে সিঙ্গালিলা ন্যাশনাল পার্কের জঙ্গলে ছাড়া হয়। এরপর সেগুলির গতিবিধির ওপর বিশেষ নজর রাখা হয়। কোথায় যাচ্ছে, কতটা যাচ্ছে সেইসমস্ত বিষয় ট্র্যাক করা হয়। পাশাপাশি নতুন করে জঙ্গলে রেড পান্ডার জন্ম হচ্ছে কিনা সেই বিষয়টিও নজরে রাখা হয়।

আগস্ট ৩১, ২০২৪
দেশ

জুলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার ১০৮তম প্রতিষ্ঠা দিবস উদ্বোধন করবেন কেন্দ্রীয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী

কেন্দ্রীয় বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব জুলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার ১০৮ তম প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপনের সূচনা করবেন ১লা জুলাই, সল্টলেকের নিক্কো পার্ক সংলগ্ন ইস্ট প্যাভিলিয়নে। এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে তিনি অ্যানিম্যাল ট্যাক্সোনোমি সামিট ২০২৩- শীর্ষক এক সম্মেলনেরও সূচনাও করবেন। এই অনুষ্ঠানে কেন্দ্র সরকারের মিশন লাইফ ভাবনাকে নিয়ে জেডএসআইয়ের কর্মকান্ডকে উপস্থাপন করা হবে। পরিবেশ রক্ষার বার্তা দিতে এক বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করার পরিকল্পনাও গৃহীত হয়েছে।এই অনুষ্ঠানে মন্ত্রী অ্যানিম্যাল ডিসকভারিজ ২০২২ শীর্ষক একটি পুস্তক প্রকাশ করবেন, যেখানে দেশ জুড়ে আবিষ্কৃত ৬০০ নতুন প্রজাতির সন্ধান থাকবে এই বইয়ে। তাছাড়া স্বাধীনতার ৭৫ বছরকে স্মরণ করতে ও আজাদি কি অমৃত মহোৎসবের অঙ্গ হিসেবে ৭৫ ওয়েটল্যান্ড ফনা অফ ইন্ডিয়া এবং ৭৫ এন্ডেমিক বার্ডস অফ ইন্ডিয়া শীর্ষক দুটি প্রামান্য বই প্রকাশিত হবে। অনুষ্ঠানে দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী অশ্বিণী কুমার চৌবে এবং বন দপ্তরের ডিরেক্টর জেনারেল তথা দপ্তরের বিশেষ সচিব চন্দ্র প্রকাশ গোয়েল উপস্থিত থাকবেন। ১০৮ তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অ্যানিম্যাল ট্যাক্সোনমি সামিট ২০২৩-এ দেশ বিদেশের চার শতাধিক প্রাণীবিদ্যা বিশেষজ্ঞ যোগদান করবেন। লন্ডনের ন্যাচারেল হিস্ট্রি মিউজিয়ামের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকবেন। এই সম্মেলনে ১২ জন খ্যাতনামা বিশেষজ্ঞ পশু শ্রেণীকরণ, বায়োজিওগ্রাফি সহ বিভিন্ন বিষয়ে বক্তব্য রাখবেন। এই সম্মেলনে উপস্থাপিত গবেষণাপত্র সমূহ শতাব্দী প্রাচীন ইন্ডিয়ান জুলজি পত্রিকাতেও পরবর্তীতে প্রকাশিত হবে। জেডএসআই-এর প্রথম মহিলা নির্দেশক ধৃতী বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সংস্থা ভুটান সরকারের সঙ্গে কয়েকটি মৌ চুক্তিও স্বাক্ষর করবে। ভবিষ্যত গবেষণার আদান-প্রদানের লক্ষ্যেই এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। অ্যানিম্যাল ট্যাক্সোনোমি সামিট চলবে ৩রা জুলাই পর্যন্ত। এই উপলক্ষে কলকাতা প্রেস ক্লাবে একটি সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

জুলাই ০৭, ২০২৩
কলকাতা

কলকাতার পাশেই এবার দ্বিতীয় চিড়িয়াখানা, দেখা মিলবে জিরাফ, জেব্রার সঙ্গে

আলিপুর চিড়িয়াখানা দেখার আক্ষেপ ভুলিয়ে দেবে নিউটাউনের চিড়িয়াখানা। নতুন চিড়িয়াখানায় নতুন জীবজন্তু দেখার সুযোগ নিউটাউনে। এই চিড়িয়াখানার সূত্রপাত হয়েছিল ২০১৬- তে। তখন সেটা ছিল ডিয়ার পার্ক। এখন আস্ত চিড়িয়াখানা।২০১৬-তে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিউটাউনে উদ্বোধন করেছিলেন হরিণালয়ের। যেখানে এতদিন শুধু দেখা মিলত হরিণের দলের। এবার হরিণালয় বদলে গেল চিড়িয়াখানায়। এখন হরিণের সঙ্গে জিরাফ, জেব্রা, ম্যাকাও, কালো রাজহাঁস, নানান রঙিন পাখি, সবই দেখা যাবে সেখানে। খুব শীঘ্রই নিয়ে আসা হবে বাঘও।বৃহস্পতিবার দুপুরে এই চিড়িয়াখানার ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নয়া চিড়িয়াখানার উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক সহ বন দপ্তরের আধিকারিকরা। দ্বিতীয় এই চিড়িয়াখানাটি তৈরি করতে খরচ হয়েছে ১৯ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা। এদিন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, এই চিড়িয়াখানার আকর্ষণ বাড়াতে বাঘ , সিংহ, শিম্পাঞ্জি সহ বিভিন্ন প্রজাতির বানর আনা হবে। আপাতত ঠিক হয়েছে আলিপুর চিড়িয়াখানার প্রবেশ মূল্যর সাথে সামঞ্জস্য রেখেই এখানে প্রবেশ টিকিটের মূল্য ধার্য করা হবে।

ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২৩
কলকাতা

এবার জেব্রার দেখা মিলবে নিউটাউনে, নতুন বছরে আসছে আরও অতিথি

নিউটাউনের একের পর এক চিত্তাকর্ষক আয়োজন করছে এনকেডিএ। এবার জেব্রা দর্শন করতে পারবেন নিউ টাউন বাসী। এতদিন হরিণ, কুমির, বিভিন্ন প্রজাতির পাখি দেখার সুযোগ ছিল নিউটাউনে।সেগুলির পাশাপাশি সাদা কালো জেব্রা দর্শন করতে পারবেন নিউ টাউন বাসী। আলিপুর চিড়িয়াখানা থেকে একটি জেব্রা আনা হয়েছে নিউ টাউনের হরিণালয়ে। আপাতত লোকচক্ষুর আড়ালে রয়েছে জেব্রাটি। এখনই সাধারণ মানুষের দর্শন করার সুযোগ থাকছে না। তবে এক সপ্তাহ পরে জেব্রাটিকে দেখতে পাবেন হরিনালয় মিনি চিড়িয়াখানার সব দর্শকরা। এরপর আরও সুখবর আসছে। নতুন বছরের শুরুতে জিরাপ ও হিপোপটেমাস দেখার সুযোগ থাকছে নিউটাউনে। আসতে পারে বাঘ-সিংহ, চিতাও। সেজন্য দ্রুততার সঙ্গে এনক্লোজার তৈরির কাজে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মিনি চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।২০১৬ সালে নিউ টাউনের ইকোপার্ক লাগোয়া ৬ নম্বর গেটের পাশে একটি হরিণালয় তৈরি করে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। এজন্য প্রায় ১৩ একরের বেশি জমি দান করে হিডকো। প্রথমদিকে এটি হরিণালয় করার চিন্তাভাবনা থাকলেও পরে দর্শকদের চাহিদা ভেবে আরও কিছু পশু পাখি আনার চিন্তা ভাবনা করে কর্তৃপক্ষ। সেই মতো একে একে বিভিন্ন ধরনের পাখি কুমির এবং একাধিক প্রজাতির হরিণ রাখা হয়েছে পার্কে।আগামী দিনে এখানে বেঙ্গল টাইগার, লেপার্ড, সিংহ, জিরাফ, রেড ক্যাঙ্গারু, হিপোপটেমাস প্রভৃতি রাখার পরিকল্পনা করেছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। এই মিনি চিড়িয়াখানার প্রবেশ মূল্য মাত্র ৩০ টাকা। সোমবার ছাড়া সপ্তাহে বাকি ৬ দিন খোলা থাকে পার্ক। ইতিমধ্যেই সপ্তাহান্তে বহু দর্শক ভিড় জমাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।

ডিসেম্বর ২১, ২০২২
রাজ্য

দেশের সেরা চিড়িয়াখানার শিরোপা পেল পশ্চিমবঙ্গের চিড়িয়াখানা

দেশের মধ্যে সেরা চিড়িয়াখানার শিরোপা পেল দার্জিলিংয়ের পদ্মজা নাইডু হিমালয়ান জুওলজিকাল পার্ক। দেশের প্রায় দেড়শোটা অন্যতম চিড়িয়াখানার মধ্যে সেরার শিরোপা ছিনিয়ে নিয়েছে দার্জিলিংয়ের চিড়িয়াখানা। আর সেরার শিরোপা পেতেই উচ্ছ্বসিত পার্কের আধিকারিকদের থেকে কর্মীরা। পাশাপাশি কলকাতার আলিপুর চিড়িয়াখানা চতুর্থ স্থান অধিকার করেছে। সম্প্রতি ১০ সেপ্টেম্বর ওড়িশার ভুবনেশ্বরে দেশের সমস্ত চিড়িয়াখানা ও সাফারি পার্কের ডিরেক্টরদের কনফারেন্সের আয়োজন হয়েছিল। সেই কনফারেন্সেই সেন্ট্রাল জু অথরিটি ওই তালিকা প্রকাশ করে। সেই তালিকাতেই দার্জিলিং চিড়িয়াখানা প্রথম স্থান অধিকার করেছে বলে জানা যায়। পাশাপাশি চেন্মাইয়ের চিড়িয়াখানা দ্বিতীয় ও মাইশোরের চিড়িয়াখানা তৃতীয় স্থান অধিকার করে।মূলত পদ্মজা নাইডু চিড়িয়াখানার অন্যতম আকর্ষণ রেড পান্ডা, হিমালয়ান ব্ল্যাক বিয়ার, স্নো লেপার্ড, গোরাল, হিমালয়ার টার, নীল হরিণের মতো প্রানী। পাশাপাশি তোপকেদাড়া প্রজনন কেন্দ্র, রেড পান্ডা অগমেনটেশন প্রোগ্রামের মতো প্রক্রিয়ায় অন্যতম জায়গা করে নিয়েছে দার্জিলিং চিড়িয়াখানা। যেকারণে ওই চিড়িয়াখানা দেশের বড় বড় চিড়িয়াখানাকে পিছনে ফেলে দিয়েছে। শুধু স্থানীয় দর্শক নয়। দার্জিলিং চিড়িয়াখানা দেখতে দেশের বিভিন্ন রাজ্য ও বিদেশি পর্যটকদের ব্যাপক ঢল নামে।দার্জিলিং চিড়িয়াখানার ডিরেক্টর বাসবরাজ হোলিইয়াচি বলেন, আমরা খুব আনন্দিত এই ফলে। এই কৃতিত্ব চিড়িয়াখানার সমস্ত কর্মীদের।

সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২২
রাজ্য

আলিপুর জু-এর মতো দত্তক শুরু বর্ধমানের রমনাবাগানে, শিশু হলেন অভিভাবক

এক শিশু সহ চার পক্ষীপ্রেমি দত্তক নিলেন বর্ধমানের রমনাবাগান জুয়োলজিক্যাল পার্কে থাকা চারটি পাখির। পাখিগুলির মধ্যে রয়েছে ২ টি ময়ূর, ১টি এমু ও ১টি প্যারাকিট টিয়া। বর্ধমান রমনাবাগান কর্তৃপক্ষ বুধবার-ই প্রথম চার পক্ষীপ্রেমীর হাতে চারটি পাখির দত্তক সংক্রান্ত শংসাপত্র তুলে দিলেন। সাথে সাথে এদিন থেকেই পক্ষী প্রেমীরা চারটি পাখির যাবতীয় দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নিন।আর এরই পরিপ্রেক্ষিতে পশু-পাখি দত্তক দেওয়ার ক্ষেত্রে আলিপুর জু এর পাশাপাশি এবার বর্ধমানের রমনাবাগান জুয়োলজিক্যাল পার্কও জায়গা করে নিল। রমনাবাগান জুয়োলজিক্যাল পার্ক কর্তৃপক্ষের কথায় জানা গিয়েছে, যে চারজন এদিন পাখি দত্তক নিয়েছেন তাঁদের মধ্যে তিনজন বর্ধমানের বাসিন্দা।শুধুমাত্র বাবা মায়ের সাথে আসা শিশুটির বাড়ি কলকাতায়। তাঁরা প্রত্যেকেই বেশ কিছুদিন আগে পাখিগুলির দায়িত্ব অর্থাৎ দত্তক নেওয়ার জন্য বর্ধমান বনদপ্তরে আবেদন করেছিলেন। তাঁদের সেই আবেদনের স্বীকৃতি এদিন বনদপ্তরের পক্ষ থেকে দেওয়া হল। পাখির দত্তক নেওয়া সংক্রান্থ শংসাপত্র এদিন বন আধিকারিক নিশা গোস্বামী চারজনের হাতে তুলে দেন।পাখি দত্তক নেওয়াদের মধ্যে একজন হলেন অর্নব দাস। তিনি বলেন ছোট থেকেই আমি পশু-পাখিদের নিয়ে কাজ করছি।পশু-পাখিদের নিয়ে আমার থাকতে ভালো লাগে। পাখিদের প্রতি ভালোবাসা থেকেই এক বছরের জন্য একটি ময়ূর আমি দত্তক নিয়েছি ।এক বছরের জন্য ময়ূরটির খাবার, রক্ষনাবেক্ষন সবেরই দায়িত্ব আমি আমার কাঁধে তুলে নিয়েছি। অর্ণব দাস এও বলেন, দেশের জাতীয় পাখির দত্তক নিতে পেরে আমি নিজেকে গর্বিত মনে করছি। অন্যদিকে কলকাতা নিবাসী শিশু সৌর্য দেবের বাবা সর্ণব দেব বলেন,আমি আমার শিশু পুত্রের পছন্দ মত এমু পাখিটি দত্তক নিয়েছি। আর আমার পুত্র সৌর্যের জীববৈচত্র্যের প্রতি ভীষণ আগ্রহ রয়েছে। তাই পুত্রের ইচ্ছানুসারে একটি ময়ূরের দায়িত্বও নিয়েছি। পূর্বে রমনাবাগান জুয়োলজিক্যাল পার্কে বেড়াত এসেছিলাম।এখানকার পাখিদের দেখে খুব ভালো গেলেছিল। তার পরেই এখানকার পাখি দত্তক নেবাব ব্যাপারে মনস্থির করি ।এদিন সেই কাজ সম্পূর্ণ হল ।পেশায় অধ্যাপিকা সৌর্য্যের মা সঞ্চারীদেবী বলেন,আমাদের বেঁচে থাকতে গেলে চারপাশের প্রাণী জগৎকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। ছোট বয়সেই হয়তো এটা বুঝতে পেরে গিয়ে আমার ছেলের পশু পাখিদের প্রতি একটা ভালোবাসা তৈরি হয়েছে। ছেলে বইয়ের পাতা উলটে পাখির ছবি দেখতেও খুব ভালোবাসে ।ছেলের পাখিদের প্রতি এই ভালোবাসা দেখে আমরা স্বামী স্ত্রী মিলে ছেলেকে রমনাবাগান জুয়োলজিক্যাল পার্কে নিয়ে এসে পাখি দত্তক নিতে পেরে খবই খুশি হয়েছি।আমাদের সন্তান সৌর্যও বেজায় খুশি হয়েছে ।পশু পাখি প্রেমী সকল মানুষ জন আমাদের মত এইভাবে এগিয়ে আসলে বনের প্রাণীরা বাঁচবে । জীববৈচিত্রও অটুট থাকবে ।পূর্ব বর্ধমান জেলার বন আধিকারিক নিশা গোস্বামী বলেন, বর্ধমানের রমনাবাগান জুয়োলজিক্যাল পার্কে এদিন থেকেই প্রথম পশুপাখি দত্তক দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হল। এদিন চারজন চারটি পাখি দত্তক নিয়েছেন। এনাদের দেখে অন্যদেরও উৎসাহ বাড়বে। প্রত্যাশা রয়েছে পশু পাখি দত্তক নেওয়া জন্য আগামী দিনে আরো অনেকে এগিয়ে আসবেন।

ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২২
খেলার দুনিয়া

virat kohli : কোহলির হয়ে গলা ফাটাচ্ছেন পাকিস্তানের ক্রিকেটারের স্ত্রী?‌ সত্যিই আজব ব্যাপার

টি২০ বিশ্বকাপে ভারতপাকিস্তান লড়াই। আর কোহলির হয়ে গলা ফাটাচ্ছেন কিনা পাকিস্তানের এক ক্রিকেটারের ঘরণী! সত্যিই অবাক হওয়ার কথা। তবে পাকিস্তানের ক্রিকেটারের ওই ঘরণী বিরাট কোহলির হয়ে গলা ফাটালেও নিজের স্বামীর দেশেরই জয় চান। সত্যিই আজব ব্যাপার। পাঠকবর্গের খুব জানতে ইচ্ছে করছে কোন ক্রিকেটারের ঘরণী বিরাট কোহলির ভক্ত? তাঁর নামই বা কী। এবার খোলসা করা যাক।পাকিস্তানের জোরে বোলার হাসান আলির স্ত্রী শামিয়া আরজু কোহলির দুর্দান্ত ভক্ত। শামিয়ার কোহলি প্রেমের মধ্যে কোনও অস্বাভাবিকতা নেই। কারণ কোহলির আবেগ,আগ্রাসনে মুগ্ধ অগনিত ক্রিকেটপ্রেমী। শুধু ক্রিকেট প্রেমীই বা বলি কি করে। ক্রিকেটের বাইরেও অনেক ভক্ত রয়েছে কোহলির। নিজগুনে মহিলাদের মনেও জায়গা করে নিয়েছেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক।শামিয়া আরজুর কোহলি প্রীতির মধ্যে রয়েছে অন্যরকম গল্প। আদতে ভারতের মেয়ে শামিয়া আরজু। হরিয়ানার ছান্দেনি গ্রামে বেড়ে ওঠা। ফরিদাবাদের মানব রচনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি টেক পাশ করেন। অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক হওয়ার পর জেট এয়ারওয়েজে এয়ার হোস্টেস হিসেবে যোগ দেন। কিছুদিন সেখানে কাজ করার পর এমিরেটস এয়ারলাইনসে ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ারের পদে যোগ দেন। দুবাইতে কর্মরত অবস্থাতেই হাসান আলির সঙ্গে পরিচয়। দুবছর ধরে চলে প্রেম পর্ব। তারপর বিয়ে। ২০১৯ সালে দুবাইতেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন দুজনে।তিনি যে বিরাট কোহলির ভক্ত ভারতপাকিস্তান ম্যাচের আগে শামিয়া আরজু জানাতে দ্বিধা করেননি। বিরাটের ব্যাটে সাফল্য চাইলেও হাসান আলির স্ত্রী অবশ্য পাকিস্তানের জয় চান। পাকিস্তানের আর এক ক্রিকেটার শোয়েব মালিকের স্ত্রী সানিয়া মির্জা অবশ্য শামিয়া আরজুর মতো খুল্লামখুল্লা নন। ভারতপাকিস্তান ম্যাচের আগে তিনি মুখে কুলুপ এঁটেছেন। সোশ্যাল মিডিয়া থেকেও অনেক দুরে সরে রয়েছেন। ইনস্টাগ্রামে এক প্রশ্নোত্তর পর্বে শামিয়া আরজু তাঁর কোহলি প্রেমের কথা জানিয়েছেন।

অক্টোবর ২৪, ২০২১
কলকাতা

আলিপুর চিড়িয়াখানায় সিংহের খাঁচায় ঢুকে জখম ব্যক্তি

মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল শুক্রবার কলকাতার আলিপুর চিড়িয়াখানায়। আচমকাই সিংহের খাঁচায় ঢুকে পড়েন এক ব্যক্তি। আর এরপরই সিংহের আঁচড়ে রক্তাক্ত হন তিনি। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে আপাতত এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে। তবে ওই ব্যক্তির পরিচয় এখনও জানা যায়নি। আর এই ঘটনা রীতিমতো উস্কে দিয়েছে সেই শিবার স্মৃতি। যেখানে শিবা নামের রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের গলায় মালা পরাতে গিয়ে বেঘোরে প্রাণ হারিয়েছিলেন এক যুবক।প্রত্যক্ষদর্শী এবং নিরাপত্তা আধিকারিকদের মতে, এদিন আর পাঁচজন সাধারণ দর্শকের মতোই ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু কেউ কিছু বোঝার আগেই আচমকা ঢুকে পড়েন সিংহের খাঁচায়। প্রথমে গাছে উঠে সামনের পাঁচিল টপকান। তারপর উঁচু ফেন্সটি টপকে ভিতরে ঢুকে পড়েন। এরপর সামনের ছোট নালা পেরিয়ে সিংহের এনক্লোজারে ঢুকে পড়েন। সেসময় একটি সিংহ ছাড়া ছিল। সেই পশুরাজই ওই ব্যক্তিকে আক্রমণ করে। এরপর ছোট আরেকটি ঘরে ওই ব্যক্তিকে টেনে নিয়ে যাওয়ার সময় নিরাপত্তাকর্মী এবং সিংহের দায়িত্বে থাকা কর্মীদের বিষয়টি নজরে আসে। তাঁরাই ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করেন। দেখা যায়, সিংহের থাবা এবং আঁচড়ে ক্ষতবিক্ষত ওই ব্যক্তির সারা শরীর। এরপরই তাঁকে তড়িঘড়ি এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই আপাতত চিকিৎসাধীন তিনি। জানা গিয়েছে, গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন ওই ব্যক্তি। এদিকে, এই ঘটনা আরও একবার আলিপুর চিড়িয়াখানার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।

মার্চ ১৯, ২০২১
কলকাতা

নিয়োগপত্র সত্ত্বেও কাজে যোগ দিতে বাধা, আলিপুর চিড়িয়াখানায় বিক্ষোভ

আলিপুর চিড়িয়াখানার বন সহায়ক পদে কাজে যোগ দেওয়ার নিয়োগপত্র হাতে রয়েছে। কিন্তু তাদের কাজে যোগ দিতে বাধা দেওয়া হয়। এরপরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন চাকরিপ্রার্থীর্। গেটের বাইরে তারা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, তাঁদের কাছে বনসহায়ক পদের নিয়োগপত্র রয়েছে। আজ তাঁদের কাজে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। সেই মতো শুক্রবার সকালে চিড়িয়াখানায় যান চাকরিপ্রার্থীরা। অভিযোগ, সেই সময় তাঁদের অন্যায়ভাবে বাধা দেওয়া হয়েছে। তারপরেই শুরু হয়ে যায় বিক্ষোভ। আরও পড়ুন ঃ অপমানজনক মন্তব্যের প্রতিবাদ, পরেশ পালকে আইনি নোটিশ শ্রেয়ার পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। অনেক চেষ্টায় তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। তাঁদের সামনেও বিক্ষোভ চলতে থাকে। এদিনের এই ঘটনায় সমস্যায় পড়েছেন চিড়িয়াখানার দর্শনার্থীরা। ভিতরে বহু মানুষ আটকে পড়েন। জানা গিয়েছে, এদিনের ঘটনার জেরে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে চিড়িয়াখানা কর্মী সংগঠন। জানানো হয়েছে, এই মুহূর্তে বন্ধ থাকবে আলিপুর চিড়িয়াখানা।

ডিসেম্বর ০৪, ২০২০

ট্রেন্ডিং

কলকাতা

গীতা হাতে আদালতে হাজির মেসি অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা! ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ

হাতে গীতা নিয়ে আদালতে ঢুকলেন শতদ্রু দত্ত। রবিবার তাঁর পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তাঁকে বিধাননগর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়। আদালতে ঢোকার সময় দেখা যায়, ডান হাতে গীতা ধরে রয়েছেন তিনি। মুখ গম্ভীর, ধীর পায়ে আদালতের দিকে এগোতে দেখা যায় মেসির কলকাতা সফরের অন্যতম উদ্যোক্তাকে। তবে রবিবারও জামিন পেলেন না শতদ্রু।গত ১৩ ডিসেম্বর যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে লিওনেল মেসির অনুষ্ঠান ঘিরে চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। সেই দিনই বিমানবন্দর থেকে শতদ্রুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর তাঁকে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হয়। পাশাপাশি রিষড়ায় তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালায় বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ। তল্লাশির পর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত নথি খতিয়ে দেখেন সিটের আধিকারিকরা। তদন্তের ভিত্তিতে শতদ্রুর প্রায় ২২ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়।পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর রবিবার আদালতে তোলা হলে সরকারি আইনজীবীরা তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ তোলেন। অভিযোগ করা হয়, সরকারি অনুমতি পাওয়ার আগেই খাদ্য ও পানীয় সরবরাহকারী সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছিল। পাশাপাশি প্রায় ২৩ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগও তোলা হয়। সরকারি পক্ষের দাবি, শতদ্রু যথেষ্ট প্রভাবশালী ব্যক্তি, তাই তাঁকে জামিন দেওয়া উচিত নয়।দীর্ঘ সওয়াল-জবাবের পর আদালত জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়। আগামী ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত তাঁকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও শতদ্রুর আইনজীবীর দাবি, আইনি লড়াইয়ে তাঁর মক্কেল এগিয়ে রয়েছেন। অন্যান্য শহরের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, কোনও সংস্থার তরফেই নিয়ম ভাঙা হয়নি। উল্লেখ্য, পুলিশি জেরায় শতদ্রু ইতিমধ্যেই একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এবার তাঁকে পাঠানো হল জেল হেফাজতে।

ডিসেম্বর ২৮, ২০২৫
দেশ

কাশ্মীরে গা-ঢাকা ৩০-র বেশি পাক জঙ্গি! শীতের মধ্যেই বড় অপারেশন সেনার

শীত নামার আগেই সীমান্ত এলাকায় তৎপরতা বাড়ায় ভারতীয় সেনা। কারণ, শীত পড়ার আগেই বিপুল সংখ্যায় জঙ্গিদের ভারতে ঢোকানোর চেষ্টা করা হয়। শীতের সময় বরফে ঢাকা সীমান্ত পেরিয়ে কাশ্মীরে অনুপ্রবেশ করা কঠিন হয়ে পড়ে। কিন্তু গোয়েন্দা সূত্রে খবর, এ বছর শীতের শুরুতেই কাশ্মীরে ৩০ জনেরও বেশি পাক জঙ্গির উপস্থিতি টের পাওয়া গিয়েছে।গোয়েন্দাদের দাবি, এই জঙ্গিরা মূলত মাঝারি ও উঁচু পাহাড়ি এলাকায় ঘাঁটি গেড়েছে। ওই সব এলাকায় সাধারণ মানুষের বসবাস খুব কম। কিশ্তওয়ার ও ডোডা এলাকায় জঙ্গিদের আনাগোনা বেড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রবল ঠান্ডাকে কাজে লাগিয়ে তারা উপত্যকায় নাশকতার ছক কষছে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।এই তথ্য সামনে আসার পরই বড়সড় অভিযান শুরু করেছে ভারতীয় সেনা। শীতের জন্য বিশেষভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইউনিট মোতায়েন করা হয়েছে। বরফে ঢাকা দুর্গম এলাকায় নজরদারির জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে বিশেষ ড্রোন ও সেন্সর। সেনা সূত্রে জানানো হয়েছে, এই অভিযানের লক্ষ্য জঙ্গিদের এমন জায়গায় কোণঠাসা করা, যেখানে রসদ জোগাড় করা প্রায় অসম্ভব।সেনা কর্তাদের বক্তব্য, পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের জন্য এই অভিযান একটি স্পষ্ট বার্তা। শীতের সুযোগ নিয়ে আর জঙ্গিদের ভারতে লুকিয়ে থাকার সুযোগ দেওয়া হবে না। গোয়েন্দাদের অনুমান, চিল্লাই কালানের ৪০ দিনের প্রবল শীতের সময় জঙ্গিরা লুকিয়ে থেকে নিজেদের পরিকল্পনা সাজাতে চাইছে। সেই কারণেই আগেভাগে অভিযান শুরু করা হয়েছে।এই জঙ্গি দমন অভিযানে সেনার পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ, সিআরপিএফ, বন দপ্তর-সহ একাধিক নিরাপত্তা বাহিনী একযোগে অংশ নিয়েছে। জঙ্গিদের গতিবিধির উপর নজর রেখে দ্রুত এবং কড়া পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী।

ডিসেম্বর ২৮, ২০২৫
বিদেশ

হাদি হত্যা মামলায় নতুন মোড়, সীমান্ত পেরিয়ে মেঘালয়ে আশ্রয় অভিযুক্তদের

হাদি হত্যাকাণ্ডে বড় তথ্য সামনে আনল ঢাকা মহানগর পুলিশ। রবিবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিক বৈঠকে অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এন এন মহম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, এই মামলার মূল দুই অভিযুক্ত ফয়জ়ল করিম ওরফে দাউদ এবং আলমগীর শেখ বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে গিয়েছে। তাঁর দাবি, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট সীমান্ত দিয়ে ভারতে ঢুকে তারা মেঘালয়ে গা-ঢাকা দিয়েছে।ঢাকা পুলিশের বক্তব্য অনুযায়ী, এই পালানোর পুরো ঘটনায় আরও দুই জন সহযোগিতা করেছিল। তাদের নাম পুত্তি এবং সামী। এই দুজনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ভারতে ঢোকার পর পুত্তি প্রথমে ফয়জ়ল ও আলমগীরের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এরপর সামী নামে আর এক সহযোগীর ট্যাক্সিতে ওঠে তারা। সেই ট্যাক্সিতেই তারা মেঘালয়ের তুরা পৌঁছয়।প্রশ্ন উঠছে, হাদি হত্যার পর সারা বাংলাদেশে হাই অ্যালার্ট জারি থাকা সত্ত্বেও কীভাবে পুলিশের চোখ এড়িয়ে পালিয়ে গেল অভিযুক্তরা। এই প্রসঙ্গে নজরুল ইসলাম জানান, একাধিক জবানবন্দিতে উঠে এসেছে যে হত্যার পরেই ফয়জ়ল ও আলমগীর প্রথমে আমিনবাজারে যায়। সেখান থেকে তারা মানিকগঞ্জের কালামপুরে পৌঁছয়। সেখানে আগে থেকেই একটি ট্যাক্সি তাদের জন্য অপেক্ষা করছিল। সেই গাড়িতেই তারা হালুয়াঘাট সীমান্তের দিকে রওনা দেয়।পুলিশের দাবি, সীমান্তের কাছে ফয়জ়ল ও আলমগীরের সঙ্গে পরিচয় হয় ফিলিপ ও সঞ্জয়ের। তারাই দুই অভিযুক্তকে ভারতে অনুপ্রবেশ করতে সাহায্য করে। এরপর তারা মেঘালয়ের দিকে চলে যায়।এই হত্যাকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত মোট ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা পুলিশ। তাদের মধ্যে ছজনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই আগামী সাত থেকে দশ দিনের মধ্যে চার্জশিট পেশ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে মূল দুই অভিযুক্ত এখন ঠিক কোথায় রয়েছে, তা এখনও নিশ্চিত নয়।এদিকে, ভারতের মাটিতে হাদি হত্যার দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে ঢাকা পুলিশ। মেঘালয় পুলিশের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগের মাধ্যমে এই গ্রেফতার সম্ভব হয়েছে বলে দাবি। যদিও ফয়জ়ল ও আলমগীর এখনও পলাতক। পুলিশের অনুমান, মেঘালয় সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের কোথাও তারা লুকিয়ে রয়েছে।

ডিসেম্বর ২৮, ২০২৫
রাজ্য

ডিউটির পর কোয়ার্টারে গিয়েছিলেন, ফেরেননি আর—মহিলা হোমগার্ডের রহস্যমৃত্যু

থানার কোয়ার্টার থেকেই উদ্ধার হল এক মহিলা হোমগার্ডের দেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। বারুইপুর পুলিশ জেলার ক্যানিং থানার পুলিশ কোয়ার্টার থেকে উদ্ধার হয়েছে ২২ বছরের গুলজান পারভিন মোল্লা ওরফে রেশমির দেহ। তাঁর বাড়ি ক্যানিং ২ নম্বর ব্লকের জীবনতলা থানার উত্তর মৌখালী এলাকায়।পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার ডিউটি শেষ হওয়ার পর ক্যানিং থানার পিছনের দিকে থাকা কোয়ার্টারে যান রেশমি। তারপর থেকেই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বারবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। শনিবার সারাদিন চেষ্টা করেও কোনও সাড়া না পেয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। শেষ পর্যন্ত তাঁরা ক্যানিং থানায় পৌঁছন।রেশমির বোন রুকসানা খাতুন থানার কোয়ার্টারে গিয়ে দরজা খুলতেই ভয়াবহ দৃশ্য দেখতে পান। সিলিং থেকে গলায় ওড়না জড়ানো অবস্থায় ঝুলছিল রেশমির দেহ। চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। খবর পেয়ে ক্যানিং থানার পুলিশ দ্রুত দেহ উদ্ধার করে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপর দেহ ময়নাতদন্তের প্রস্তুতি শুরু হয়।প্রসঙ্গত, প্রায় দুবছর আগে পঞ্চায়েত ভোটের সময় ভাঙড়ে গিয়ে খুন হন রেশমির বাবা রশিদ মোল্লা। সেই ঘটনার পর পরিবারের বড় মেয়ে হিসেবে রেশমিকে হোমগার্ডের চাকরি দেওয়া হয়েছিল। এখন তাঁর অকালমৃত্যুতে গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।তবে রেশমির পরিবার এই মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে মানতে নারাজ। মৃতার পরিবারের পক্ষ থেকে ক্যানিং থানার সাব ইন্সপেক্টর সায়ন ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পরিবারের দাবি, রেশমির সঙ্গে ওই পুলিশ আধিকারিকের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসায় রেশমিকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। মৃতার কাকা ছয়েদ মোল্লা অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই মৃত্যুর পিছনে ঠিক কী কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ডিসেম্বর ২৮, ২০২৫
রাজ্য

১৯৬৭ সালের অ্যাডমিট কার্ড হাতে শুনানিতে হাজির ৭৫ বছরের বৃদ্ধা, চমকে গেল এসআইআর কেন্দ্র

শুরু হয়ে গিয়েছে এসআইআর-এর দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ। প্রতিটি বিধানসভা ক্ষেত্র পিছু একাধিক জায়গায় চলছে শুনানি। স্কুল ও সরকারি অফিসে তৈরি করা হয়েছে শুনানি কেন্দ্র। প্রথম পর্যায়ে মূলত আনম্যাপড ভোটারদেরই শুনানিতে ডাকা হয়েছে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর।এই শুনানির মাঝেই নজর কাড়লেন শ্রীরাম মন্দির লেনের বাসিন্দা ৭৫ বছর বয়সী ভারতী দে। ফর্মে নামের ক্ষেত্রে সামান্য ভুল থাকায় তাঁকে শুনানিতে ডাকা হয়। শুনানিতে এসে নিজের সঙ্গে নিয়ে আসেন ১৯৬৭ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড এবং রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট। এত পুরনো নথি, তাও আবার এত ভালো অবস্থায় দেখে হতবাক হয়ে যান উপস্থিত অনেকে।নির্বাচন কমিশনের এসআইআর যাচাই প্রক্রিয়ায় দশটিরও বেশি নথি দেখানোর সুযোগ রয়েছে। মাধ্যমিক সংক্রান্ত নথির পাশাপাশি আরও একাধিক পরিচয়পত্র গ্রহণ করা হয়। সেই প্রেক্ষিতেই এত বছরের পুরনো অ্যাডমিট কার্ড এবং শংসাপত্র অক্ষত অবস্থায় দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেন অনেকে। তবে ভারতী দেবীর কথায়, পড়াশোনার সব কাগজপত্র তিনি সযত্নে রেখে দিতে ভালোবাসেন। কিন্তু সেগুলি যে একদিন এত কাজে লাগবে, তা তিনি ভাবেননি।কেন তাঁকে শুনানিতে ডাকা হয়েছে, সে প্রসঙ্গে ভারতী দেবী বলেন, নামের ক্ষেত্রে হয়তো কোনও ভুল ছিল। তাই শুনানির নোটিস এসেছিল। তবে সেখানে পৌঁছনোর পর তাঁকে জানানো হয়, বাড়িতেই নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা যাচাই করতে আসবেন। তিনি আরও জানান, বিগত প্রতিটি নির্বাচনেই তিনি ভোট দিয়েছেন এবং ২০০২ সালের ভোটার তালিকাতেও তাঁর নাম ছিল।বয়সের ভারে শরীর এখন দুর্বল। শারীরিক অসুস্থতা থাকলেও এদিন পায়ে হেঁটেই শুনানি কেন্দ্রে সময়মতো পৌঁছন তিনি। গণভবন থেকে বেরিয়ে মন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেন ওই বৃদ্ধা।অন্যদিকে, চেতলা গার্লস স্কুলে নির্বাচন কমিশনের তরফে একটি শুনানি কেন্দ্র করা হয়েছে। তার কাছেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে একটি সহায়তা ক্যাম্প বসানো হয়। সেখানে সাধারণ মানুষ এসে নিজেদের সমস্যা ও প্রশ্ন জানাচ্ছেন। বাড়ি থেকে বেরিয়ে এলাকার কাউন্সিলর ও কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ওই ক্যাম্পে যান এবং দীর্ঘক্ষণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন।

ডিসেম্বর ২৮, ২০২৫
রাজ্য

ছেলেকে আটক করতেই ক্ষোভে ফেটে পড়লেন হুমায়ুন, থানায় যাওয়ার হুমকি বিধায়কের

ছেলেকে আটক করার পরেই ফের ক্ষোভে ফেটে পড়লেন রতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। শক্তিনগর থানায় যাওয়ার পথে তিনি পুলিশকে হুমকি দেন বলেও অভিযোগ। হুমায়ুন কবীর বলেন, শক্তিনগর থানার পুলিশ তাঁর বাড়ি ঘিরে রেখেছে। তাঁর অভিযোগ, যদি পুলিশ কোনও অশালীন আচরণ করে, তবে আগামী বৃহস্পতিবার বহরমপুর জেলা পুলিশ অফিস ঘেরাও করা হবে।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হুমায়ুন কবীরের দেহরক্ষী ছিলেন পুলিশ কনস্টেবল জুম্মা খান। অভিযোগ, সেই দেহরক্ষীকেই মারধর করেছেন বিধায়কের ছেলে গোলাম নবী আজাদ ওরফে রবীন। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই শক্তিনগর থানার পুলিশ বিধায়কের বাড়িতে পৌঁছয় এবং বাড়ি ঘিরে ফেলে। পরে রবীনকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।জানা গিয়েছে, গোলাম নবী আজাদ তৃণমূল পরিচালিত একটি পঞ্চায়েতের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ। যদিও হুমায়ুন কবীর নতুন দল জনতা উন্নয়ন পার্টি তৈরি করলেও তাঁর ছেলে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে বাবার দলে যোগ দেননি। রাজনৈতিক পরিচয়ের পাশাপাশি এই ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে।এই প্রসঙ্গে অরূপ চক্রবর্তী বলেন, হুমায়ুন কবীর একটি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন যে ওই দেহরক্ষী বছরের শেষে ছুটি চেয়েছিলেন। ছুটি না মঞ্জুর হওয়াতেই তাঁকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। অরূপ চক্রবর্তীর বক্তব্য, একজন সরকারি পুলিশ কর্মীর গায়ে হাত তোলা আইনত অপরাধ। কেউ বিধায়ক হলেও পুলিশকে হেনস্থা করা যায় না।এদিকে, বিধায়কের বাড়িতে পুলিশ যাওয়া নিয়ে আগেই অভিযোগ তুলেছিলেন হুমায়ুন কবীর। তাঁর দাবি ছিল, শক্তিনগর থানার পুলিশ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে তাঁর বাড়ি ঘিরে রেখেছে। তবে পুলিশ জানিয়েছে, দেহরক্ষীকে মারধরের অভিযোগের ভিত্তিতেই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

ডিসেম্বর ২৮, ২০২৫
রাজ্য

নদীতে পড়ল মালগাড়ির কামরা, একের পর এক ট্রেন বাতিল ও ডাইভার্ট

আসানসোল ডিভিশনে ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা। সিমেন্ট বোঝাই একটি মালগাড়ি লাইনচ্যুত হয়ে যায় বিকট শব্দে। মোট ১৯টি বগি দুর্ঘটনায় পড়ে। বেশ কয়েকটি কামরা পাশের বরুয়া নদীতে গিয়ে পড়ে এবং বাকি কামরাগুলি পাশের লাইনে উল্টে যায়। শনিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ বিহারের শিমুলতলা স্টেশনের কাছে তেলিয়াবাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, মালগাড়িটি জাসিডিহ থেকে ঝাঝার দিকে যাচ্ছিল। তেলিয়াবাজার হল্ট স্টেশনের কাছে ৬৭৬ নম্বর সেতুর উপর হঠাৎই ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। দুর্ঘটনার সময় মালগাড়িটির ঠিক পিছনেই ছিল পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেস। দুর্ঘটনার পর সঙ্গে সঙ্গে ওই যাত্রীবাহী ট্রেনটিকে মাঝপথে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। তবে এই ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর নেই বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।এই দুর্ঘটনার জেরে ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়েছে রেল চলাচল। একের পর এক দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। বাতিল ট্রেনের মধ্যে রয়েছে হাওড়া-দেরাদুন কুম্ভ এক্সপ্রেস, শিয়ালদহ-বালিয়া এক্সপ্রেস, মোকামা-হাওড়া এক্সপ্রেস-সহ একাধিক মেমু ও লোকাল ট্রেন। পাশাপাশি বহু দূরপাল্লার ট্রেনের যাত্রাপথ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে এবং বেশ কয়েকটি ট্রেনকে বিকল্প পথে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে।রুট পরিবর্তন করা ট্রেনগুলির মধ্যে রয়েছে টাটানগর-বক্সার এক্সপ্রেস, হাওড়া-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেস, হাওড়া-পাটনা বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, কলকাতা-গোরখপুর পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেস, যশীদিহ-পুনে সাপ্তাহিক এক্সপ্রেস, আসানসোল-মুম্বই সিএসএমটি এক্সপ্রেস, রক্সৌল-হায়দরাবাদ এক্সপ্রেস, পাটনা-ধনবাদ ইন্টারসিটি, বলিয়া-শিয়ালদহ এক্সপ্রেস, পাটনা-হাটিয়া পাটলিপুত্র এক্সপ্রেস, কাঠগোদাম-হাওড়া বাঘ এক্সপ্রেস, বক্সার-বিলাসপুর সুপারফাস্ট, রক্সৌল-হাওড়া এক্সপ্রেস এবং গোরখপুর-আসানসোল এক্সপ্রেস।বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ক্ষেত্রেও রুট পরিবর্তন করা হয়েছে। বারাণসী-দেওঘর এবং দেওঘর-বারাণসী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস নির্ধারিত রুটের বদলে গয়া ও কোডারমা হয়ে চলাচল করছে।রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যাত্রীদের অসুবিধার জন্য তারা দুঃখিত। তবে যাত্রী নিরাপত্তা এবং দ্রুত স্বাভাবিক রেল পরিষেবা চালু করার জন্য এই সাময়িক পরিবর্তন জরুরি। যাত্রীদের যাত্রার আগে এনটিইএস বা আইআরসিটিসি অ্যাপ এবং নিকটবর্তী স্টেশন থেকে সর্বশেষ তথ্য জেনে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

ডিসেম্বর ২৮, ২০২৫
কলকাতা

খসড়া তালিকায় নাম নেই! এসআইআর শুনানির নোটিস সাংসদ কাকলির পরিবারে, ব্যাখ্যা কমিশনের

খসড়া ভোটার তালিকায় নাম নেই। এসআইআর প্রক্রিয়ার শুনানিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে বারসতের তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের দুই পুত্রকে। শুধু তাই নয়, হাজিরার জন্য নোটিস পাঠানো হয়েছে তাঁর মা এবং বোনকেও। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সরব হয়েছেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরেই মুখ খুলেছে নির্বাচন কমিশন।সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, কেন সাংসদের পরিবারের সদস্যদের শুনানিতে ডাকা হয়েছে। কমিশনের দাবি, এনুমারেশন ফর্মে লিঙ্কেজ সংক্রান্ত সমস্যার কারণেই তাঁদের ডেকে পাঠানো হয়েছে। টুইট করে স্পষ্ট করা হয়েছে, এটি কোনও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত পদক্ষেপ নয়। পাশাপাশি কমিশন জানিয়েছে, সাংসদের বৃদ্ধা মাকে শুনানির জন্য বাইরে আসতে হবে না। বাড়িতেই গিয়ে তাঁর শুনানি সম্পন্ন করা হবে।এই নিয়ে আগে থেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার। তিনি জানিয়েছিলেন, খসড়া ভোটার তালিকা দেখতে গিয়ে দেখা যায়, তাঁর দুই ছেলের নাম নেই। তাঁদের শুনানির জন্য ডাকা হয়েছে। কাকলির কথায়, তাঁদের বাবা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সুদর্শন ঘোষ দস্তিদার। তিনি নিজে চারবারের সাংসদ। তাঁর দুই পুত্র সরকারি চাকুরে। তা সত্ত্বেও শুনানিতে ডাকা হচ্ছে। এতে এসআইআর প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।কাকলি আরও বলেন, তাঁর মা এবং বোন অন্য বুথের ভোটার। অথচ তাঁদের নামও খসড়া তালিকায় নেই। তাঁর অভিযোগ, সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে প্রত্যন্ত এলাকার যাঁদের তেমন যোগাযোগ বা ধারণা নেই, তাঁরা শুনানির নামে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। জোর করে নাম বাদ দিয়ে সমস্যায় ফেলার চেষ্টা চলছে বলেও অভিযোগ তৃণমূল সাংসদের।খসড়া তালিকায় নাম না ওঠা নিয়ে প্রথম থেকেই এসআইআর প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার। তাঁর বক্তব্য, তিনি দীর্ঘদিন ধরে একই বুথের ভোটার। তাঁর দুই পুত্র প্রতিষ্ঠিত চিকিৎসক। তা সত্ত্বেও কীভাবে একসঙ্গে পরিবারের চার জনের নাম বাদ পড়ে এবং শুনানির ডাক আসে, সেই প্রশ্নের স্পষ্ট উত্তর চান তিনি।

ডিসেম্বর ২৮, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal