• ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, রবিবার ০১ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Water

রাজ্য

কুইন্টাল কুইন্টাল জল! আবার মাস্টার প্ল্যন! শেষমেশ বিজেপি মন্ডল সভাপতির সঙ্গে ছবি, রচনার বন্যা-পরিদর্শন

বলাগড় প্লাবিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন হুগলির তৃণমূল সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিনেত্রী সাংসদ বললেন, কুইন্টাল কুইন্টাল জল ছাড়ায় মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। বাড়ি ঘর কিছু নেই। মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে এসেছেন। তৃণমূল সাংসদদের এমন মন্তব্য়ে চারিদিকে বিতর্কের ঝড় শুরু করেছে। কটাক্ষ করতে ছাড়ছেন না বিরোধীরা। কুইন্টাল কুইন্টাল জল! এমন মন্তব্য় জনপ্রতিনিধিরে মুখ থেকে বেরিয়ে আসায় সমালোচনা সর্বত্র। এদিন বাজার থেকে ওল কেনেন সাংসদ। ওল কিনে রচনা জিজ্ঞেস করেন, গলা ধরবে না তো।এদিন দুপুরে হঠাতই হুগলির তৃণমূল সাংসদ রচনা ব্যানার্জি তাঁর সঙ্গীসাথী দের নিয়ে চলে যান বাঁশবেড়িয়ার বিজেপি মন্ডল সভাপতি সুমিত অধিকারী বিরিয়ানির দোকানে। তখনও বিরিয়ানি রান্না সম্পূর্ণ হয়নি। তাই লাঞ্চ হল না। বিজেপি সভাপতিকে সঙ্গে নিয়ে ছবিও তুললেন তৃণমূল সাংসদ রচনা। আর এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় রাজনৈতিক মহলে। এদিন হুগলির শ্রীপুর বলাগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের চাঁদরা কলোনী, মিলনগর গ্রামে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে যান তৃণমূল সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। সব দেখে তিনি বলেন, মাত্র তিনমাস এসেছি সাংসদ হয়ে। চেষ্টা করছি। বলাগড় থেকে চন্দননগর পর্যন্ত নদী বরাবর পাড় ভাঙছে দ্রুত। এই বিশাল জায়গা সামাল দিতে মাস্টার প্ল্যান দরকার এবং একা রাজ্যের দ্বারা সম্ভব নয়। কেন্দ্রের সাহায্য দরকার। আমি দিল্লি গিয়ে এবিষয়ে দরবার করবো সংশ্লিষ্ট জায়গায়। তাঁর অভিযোগ,আগের বিজেপি সাংসদ এলাকার জন্য কিছুই করেনি। এলাকাবাসীদের ক্ষোভের মুখেও পড়েছেন তৃণমূল সাংসদ।রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তিনমাস আগে যেখানে দাঁড়িয়ে প্রচার করে গিয়েছি সেই জায়গা তলিয়ে গিয়েছে। কয়েকটি বাড়ি, রাস্তাও গঙ্গায় মিশে গিয়েছে। খুবই খারাপ অবস্থা। এলাকার মানুষকে ত্রান দিয়েছি। গঙ্গা ভাঙন রোধ একটা বড় ব্যাপার। আমি লোকসভায় বলেছি। আবারও বলব। কেন্দ্রের সাহায্য ছাড়া হবে না। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের আদলে বলাগড় মাস্টার প্ল্যান করতে হবে।

সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৪
টুকিটাকি

তীব্র গরমে কি খাবেন কি আর কি খাবেন না, জেনে নিন

২০২৪ র উষ্ণতম মাস এপ্রিল। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছে জনজীবন। ভয়ঙ্কর দাবদহে রাস্তাঘাট শুনশান। পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়ায় অতিরিক্ত আদ্রতার কারনে এই সময় শরীর থেকে প্রচুর ঘাম ঝড়ে। অতিরিক্ত ঘামের কারনে শরীরে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। এর ফলে শরীরে ক্লান্তি, অস্বস্তি, মাথা যন্ত্রণা, মাথা ঘোড়ার মতো একাধিক উপসর্গ দেখা দেয়। তাই শরীরের জলের ভারসাম্য বজায় রাখতে নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে জল বা পানীয় এবং জল যুক্ত ফল খেতে হবে।এই তীব্র গরমে কী কী ধরনের খাবার আমাদের শরীরের জন্য উপাদেয়, সে প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পুষ্টিবিদ অতসী সাহা দত্ত এই গরমেও শরীরকে সুস্থ্য রাখতে বেশ কিছু খাবারের কথা উল্লেখ করেছেন, যা এই তীব্র দাবদহেও শরীরকে সুস্থ রাখবে। দেখে নেওয়া যাক সেই সমস্ত খাবারের তালিকাঃজলঃপূর্ণবয়স্ক একজন নারীর সারাদিনে অন্তত ২.৫লিটার থেকে ৩ লিটার ও একজন পূর্ণবয়স্ক পুরুষ মানুষের দিনে ৩ লিটার থেকে ৩.৫ লিটার পরিশুদ্ধ জল পান করা উচিত। যাঁরা কিডনি রোগে ভুগছেন তাঁরা চিকিৎসকের সাথে কথা বলে তাঁর পরামর্শমত জল পান করবেন।এই তীব্র দাবদহে পাতিলেবু বা অন্য যেকোনও ফলের শরবত খাওয়া যেতে পারে। ডাবের জল, তরমুজ খুবই কার্যকর এইসময়ে। এই ধরনের ফল খুব সহজেই মানুশের শরীরের জলের চাহিদা পূরণ করে। ডাব বা ফলের শরবত খেলে জলের সাথে সাথে আমাদের শরীরের যে খনিজ লবণের প্রয়োজন তার চাহিদাও পূরণ হয়।সবজিঃফল বা জলের সাথে সাথে বেশ কিছু সব্জীও আমাদের শরীরে জলাভাব কাটাতে সাহায্য করে। যেমন, কাঁচা পেঁপে, পটল, ধুন্দুল, ঝিঙ্গে, শসা, চিচিঙ্গা, গাজর, কুমড়ো, লাউ, পালংশাক, টমেটোতেও জলের পরিমাণ বেশি থাকে। শরীরে জলাভাব কমাতে এই ধরনের সব্জী আমাদের অবশ্যই খাবার তালিকায় রাখাতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, এই সময় রান্না যেন কোনোমতেই রিচ না হয়। এইসময়, আম বা তেঁতুল দিয়ে রান্না করা টক ডাল, সজনে ডাঁটা দিয়ে ডাল শরীর ঠান্ডা রাখতে খুব সাহায্য করে।মরসুমি ফলঃআমঃ এই সময় বাজারে খুব-ই সহজলভ্য কাঁচা আম। কাঁচা আম দিয়ে তৈরি ডাল, শরবত, বা কাঁচা আম পুড়িয়ে শরবত, আম পান্না শরীরের জল শূন্যতা দূর করার জন্য খুব উপকারি। কাঁচা আমে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে। এছাড়া কাঁচা আমে ম্যাগনেশিয়াম ও ভিটামিন সি ও আছে, যা মানব দেহ ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।তরমুজঃ এছাড়া এই সময় বাজারে প্রচুর পরিমাণে তরমুজ পাওয়া যায়, এই তরমুজ ও শরীর ঠান্ডা করার জন্য খুব উপকারি। তরমুজে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও খনিজ লবণ, যা এই গরমে শরীরের জন্য ভীষণ দরকার।পেঁপেঃ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এবং যারা শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে চান (ওবেসিটি) তাদের জন্য ভিটামিনের একটি চমৎকার উৎস হতে পারে পেঁপে। কোলেস্টেরল কমাতে এবং রোগ প্রতিরোধ বাড়াতেও এই ফলের জুড়ি মেলা ভার। পেঁপেতে আছে ভিটামিন সি, ফাইবার এবং ভরপুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে।আখের রসআখের রস-ও শরীরকে ঠান্ডা রাখতে খুবই কার্যকরী। আখের রসের সাথে বিট নুন, পুদিনাপাতা এবং পাতি লেবুর রস মিশিয়ে খেলে এর স্বাদও বৃদ্ধি পায়, সাথে সাথে পুষ্টিগুণও অনেকগুন বেড়ে যায়।বেলের শরবতবেলের আরেক নাম অমৃত ফল। একটি পাকা বেল রোজ খেলে বহু রোগ নিরাময় হয় বলে জানা যায়। বেলে আছে বিটা-ক্যারোটিন, প্রোটিন, রিবোফ্লাভিন, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি-১ এবং বি-২, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম ও ফাইবার। বেলের শরবত পাকস্থলী ঠান্ডা রাখতে খুব কার্যকর।পুদিনার শরবতশরীরকে ভেতর থেকে ঠান্ডা রাখতে ও পাকস্থলীতে গ্যাস নিয়ন্ত্রণে পুদিনার জুড়ি মেলা ভার। শরীর সতেজ রাখার জন্য পুদিনার শরবত অতুলনীয়।যা খাবেন নাকোনও ভাবেই তীব্র দাবদাহ মাথায় নিয়ে ঠান্ডা পানীয় পান করবেন না। সাময়িক আরাম আপনার ভয়ঙ্কর বিপদ ডেকে আনতে পারে। এই ধরনের কার্বনেটেড বেভারেজ (স্ফট ড্রিঙ্ক) আমরা গরমের সময় প্রচুর খেয়ে থাকি, যা একেবারেই স্বাস্থ্য সম্মত নয়। রোদ্দুরে দাঁড়িয়ে গরম চা বা কফি বা গরম কোনও খাবার এই সময় না খেলেই মঙ্গল।খাবেন নাঃ# বাইরের খোলা শরবত,# ঝাল মশালা যুক্ত খাবার,# ফাস্ট ফুড / জাঙ্ক ফুড# ভাজা বা পোড়া খাবার

এপ্রিল ১৯, ২০২৪
রাজ্য

বর্ধমান স্টেশনে জলের ট্যাঙ্কের দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা, পূর্ব রেল নিল নজরকাড়া সিদ্ধান্ত

স্টেশন চত্বরে কিংবা প্ল্যাটফর্মে থাকা পুরনো লৌহ নির্মিত জলাধারগুলিকে ভেঙ্গে ফেলা কিংবা অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূর্ব রেল। ইতিমধ্যে পূর্ব রেলের বিভিন্ন ডিভিশনে থাকা জলাধারগুলিকে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং সেই অনুযায়ী কাজও শুরু হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই পূর্ব রেলের এই সিদ্ধান্ত।প্রথম ধাপে, পূর্ব রেলের অন্তর্গত বিভিন্ন স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে থাকা পুরনো জলাধারগুলিকে সম্পূর্নরূপে ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে এবং যাত্রীদের পানীয় জলের সরবরাহ অব্যাহত রাখতে নতুন করে স্টেশন চত্বরের বাইরে অন্যত্র জলাধার নির্মান করা হবে।পরবর্তী ধাপে বিভিন্ন স্টেশন চত্বরে থাকা পুরনো জলাধারগুলি চিহ্নিত করে সেগুলি ভেঙে ফেলা হবে । এছাড়াও সিমেন্ট-কংক্রিট নির্মিত জলাধারগুলির মধ্যে যেগুলির পরিস্থিতি খারাপ বা সংস্কারের দরকার রয়েছে সেগুলি প্রয়োজনানুযায়ী সংস্কার করা হবে এবং ৬০ বছরের পুরনো জলাধারগুলি সম্পূর্ণরূপে ভেঙে ফেলে নতুন রুপে নির্মান করা হবেবিভিন্ন স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে থাকা পূর্ব রেলের ৪ টি ডিভিশনের মোট ১২ টি পুরনো জলাধারকে চিহ্নিত করা হয়েছে যা প্রাথমিকতার সঙ্গে ভেঙে ফেলা হবে এবং এই কাজ ইতিমধ্যে শুরুও হয়েছে। যার মধ্যে হাওড়া ডিভিশনে রয়েছে ৩ টি, আসানসোল ডিভিশনে রয়েছে ৮ টি এবং মালদা ডিভিশনে রয়েছে ১ টি জলাধার।পরবর্তীতে পূর্ব রেলের অধীনে বিভিন্ন স্টেশন চত্বরে থাকা পুরনো জলাধারগুলি ভেঙে ফেলার কাজ শুরু হবে। ইতিমধ্যেই এমন ৪৮ টি জলধার চিহ্নিত করা হয়েছে। যার মধ্যে শিয়ালদহ ডিভিশনে রয়েছে ৭ টি, আসানসোল ডিভিশনে রয়েছে ২৩ টি, হাওড়া ডিভিশনে রয়েছে ১৪ টি এবং মালদা ডিভিশনে রয়েছে ৪ টি। এই কাজগুলি আগামী ১ বছরের মধ্যে সম্পন্ন করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক শ্রী কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, পূর্ব রেলের অধীনে বিভিন্ন স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে থাকা পুরনো জলাধারগুলি ভেঙে ফেলার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। আশা করা হচ্ছে আগামী ১ বছরের মধ্যে স্টেশন চত্বরে থাকা জলাধারগুলিও ভেঙে ফেলার কাজ সম্পন্ন করা যাবে । এই কাজ চলাকালীন যাত্রী পরিষেবা যাতে বিঘ্নিত না হয় তার জন্য সদা সচেষ্ট থাকবে পূর্বরেল।

ডিসেম্বর ১৮, ২০২৩
রাজ্য

বড়সড় দুর্ঘটনা বর্ধমান রেল স্টেশনে, আশঙ্কা মৃত ৩

ইস্টার্ন রেলওয়ের ব্যস্ততম স্টেশন বর্ধমান। তখন ২ ও ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে বহু যাত্রী। আচমকা ঘটে গেল হাড় হিম হওয়া ঘটনা। প্রাণ গেল ৩ জনের। এই দুর্ঘটনায় জখম বহু, চরম আতঙ্কে যাত্রীরা। ফের প্রশ্নের মুখে রেল স্টেশনে যাত্রী সুরক্ষা।বুধবার দুপুর ১২টা বেজে ৮ মিনিটে বর্ধমান রেল স্টেশনে করোগেটেড শিটের তৈরি জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে বড়সড় বিপত্তি ঘটে যায়। ট্যাঙ্ক ভেঙে প্ল্যাটফর্মে ট্রেনের অপেক্ষায় থাকা তিন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত তিন জনের মধ্যে দুজন হলেন মফিজা খাতুন এবং ক্রান্তি কুমার। একজনের নাম জানা যায়নি। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী জখমের সংখ্যা কমপক্ষে ২৭ জন। দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছায় আরপিএফ এবং দমকল। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলে উদ্ধারকাজ। আহতদের নিয়ে যাওয়া হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।স্থানীয় সূত্রে খবর, বর্ধমান স্টেশনের ২ এবং ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের মাঝে যে জলের ট্যাঙ্কটি ছিল, আচমকাই তা হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। কী করে ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়ল তা এখনও পরিষ্কার নয়। বর্ধমান স্টেশনে এর আগে ২০২০ সালে ৪ জানুয়ারি সন্ধ্যায় হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছিল স্টেশনের ব্রিটিশ আমলে নির্মিত ঝুল বারান্দা।স্থানীয় সূত্রে খবর, বর্ধমান স্টেশনের ২ এবং ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের মাঝে যে জলের ট্যাঙ্কটি ছিল, আচমকাই তা হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। কী করে ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়ল তা এখনও পরিষ্কার নয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, বিকট শব্দের পরই আর্তনাদ শুনে বোঝা যায়, বেশ কয়েকজন চাপা পড়েছেন ধ্বংসস্তূপের নীচে। তাঁদের উদ্ধারের জন্য শুরু হয় ছোটাছুটি। ততক্ষণে আরপিএফ ও জিআরপিও ছুটে এসে উদ্ধার কাজে হাত লাগায়। এ পর্যন্ত প্রায় ২৭ জনকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানেই ৩ জনকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২৩
রাজ্য

খাল সংস্কারের মাটি দিয়ে জলাশয় ভরাট নিউটাউনে, অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্য, ঘটনায় তোলপাড়

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে নিউটাউনের বাগজোলা খাল ও কেষ্টপুর খালের সংস্কার শুরু করেছে সেচ দপ্তর। প্রতি বছর সামান্য বৃষ্টি হলেই জলমগ্ন হয় নিউটাউন, সল্টলেকের বিস্তীর্ণ এলাকা। অভিযোগ, বাগজোলা খাল সংস্কারের মাটি দিয়ে একাধিক জলাশয় ভরাট হচ্ছে নিউটাউনে পাথরঘাটা পঞ্চায়েতের ছাপনা এলাকায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, পাথরঘাটা পঞ্চায়েতের সদস্য জইরুল হাজরা সহ স্থানীয় নেতাদের মদতে রাতের অন্ধকারে সেই মাটি গিয়ে পড়ছে এলাকার জলাশয় গুলিতে। তবে বিডিও, বিধায়ক ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জলাশয় ভরাটের ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছেন।রাজারাহটের বিডিও ঋষিকা দাস বলেন, বিষয়টি দেখার জন্য স্থানীয় টেকনো সিটি থানার পুলিশ সহ সেচ দপ্তরের আধিকারিককে আমি চিঠি করেছি। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে। রাজারহাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রবীর কর বলেন, সেচ দফতর খাল কাটছে। আর সেই খাল কাটা মাটি নিয়ে জলাভূমি ভরাটের ঘটনাটা আমার কানে এসেছে। পাথরঘাটা পঞ্চায়েতের প্রধানকে বলেছি যে কারা করছে তাদের নোটিশ ধরাতে এবং ভরাট কাজ বন্ধ করাতে। জলাশয় ভরাট করার আইন নেই যদি সেটা রেকর্ড নাও থাকে তাও জলাশয় ভরাট করা যায় না। এক্ষেত্রেও আমি আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। যদি ভরাট করা হয়ে থাকে এক্ষেত্রেও মাটি তুলে দেওয়া হবে। দলের উচ্চ নেতৃত্বকে এবিষয়ে জানাবো।রাজারহাট নিউটাউন বিধায়ক তাপস চ্যাটার্জি বলেন, স্থানীয় প্রধান, সভাপতি এবং বিডিও সবাইকে বলেছি বিষয়টা দেখতে জলাভূমিতে যদি মাটি পড়ে থাকে ভরাট করা যাবে না। এর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেব আমরা পুলিশকেও বলছি। কোটি কোটি টাকা খরচা করে খাল কাটা হচ্ছে মানুষকে ভালো রাখার জন্য। মেম্বার হলেও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে তিনি আইনের উর্ধ্বে নন। কোন মেম্বারের জন্য যদি দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ডিসেম্বর ২৯, ২০২২
রাজ্য

বোরো ও রবি চাষে ডিভিসি-র জল কবে থেকে কতটা এবং কত দিন ধরে দেওয়া হবে জেনে নিন

আগামী বোরো ও রবির মরশুমে ডিভিসির জল বন্টন করা নিয়ে সোমবার এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়ে গেল বর্ধমান জেলা সার্কিট হাউসে। ডিভিশনাল কমিশনার বিজয় ভারতীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয় এই বৈঠক। এই বৈঠকে পাঁচটি জেলার আধিকারিকরা অংশ নেন। এছাড়াও কৃষি দপ্তর ও ডিভিসির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগামী ২৬ শে ডিসেম্বর থেকে বোরো চাষে জল দেওয়া শুরু হবে। ২৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে রবিচাষের জল দেওয়া। বিজয় ভারতী জানান, এবারে মোট ২.৩৫ লক্ষ একর ফিট জল পাওয়া যাবে। গত মরশুমে এই পরিমাণ ছিল ৩.৩০ লাখ একর। গতবারের চেয়ে এবারে প্রায় ১০ শতাংশ এলাকায় কম জল মিলবে। এই পরিমাণ গতবারের চেয়ে কিঞ্চিৎ কম হলেও তাতে তেমন বড় অসুবিধা হবে না বলে মনে করেন আধিকারিকরা। তিনি জানান, পশ্চিম বর্ধমানে ১৬৫০ একর ফিট; বাকুড়ায় ১০০০০ একর ফিট, হুগলী জেলায় ২০০০০ একর ফিট এবং হাওড়া জেলায় ২৮০০ একরে জল দেওয়া হবে।জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা জানান, ডিভিশনাল কমিশনার বিজয় ভারতীর নেতৃত্বে আজ আগামী বোরো ও রবি চাষের জন্য জেলায় কবে থেকে কতটা জল ছাড়া তার সিদ্ধান্ত হলো। তিনি জানান, পূর্ব বর্ধমান জেলায় মোট ৪৭৫৫০ একর ফিট জল দেওয়া হবে। প্রিয়াঙ্কা সিংলা জানান, ১লা ডিসেম্বর সভাধিপতি পক্ষ থেকে একটা মিটিং আছে, সেখানে সিদ্ধান্ত হবে কোন কোন ক্যানালে কবে কতটা জল ছাড়া হবে। তিনি জানান, ২৬ ডিসেম্বর যে জল ছাড়া হবে তা ২৮ ডিসেম্বর নাগাদ পূর্ব বর্ধমানে এসে পৌছাবে। এছাড়া ২৫ জানুয়ারি থেকে রবি চাষের যে জল দেওয়া হবে তা শেষ হবে ৩০ এপ্রিল। জানা গেছে বোরো চাষে ১০ দিন অন্তর মোট ৫ বার জল দেওয়া হবে। রবিতে দেওয়া হবে মোট ৩ বার।

নভেম্বর ২৮, ২০২২
রাজ্য

পাইপ আছে জল নাই, জলের দাবীতে পথ অবরোধ বর্ধমানের ভাতারে

পানীয় জলের দাবীতে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভে সামিল হলেন গ্রামবাসীরা। পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের ভূমসোর গ্রামের ঘটনা। সোমবার বর্ধমান কাটোয়া রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান গ্রামের মহিলারাও। ভাতারের ভূমসোর গ্রামে বছরখানেক আগে সজল ধারা প্রকল্পের পাইপলাইন বাড়ি বাড়ি সংযোগ হয়। গ্রামবাসীদের দাবি, বাড়ি বাড়ি সংযোগ হলেও তাতে জল আসেনা। বর্তমানে চরম জল কষ্টে ভুগছেন তারা। বারবার পঞ্চায়েত প্রধানকে জানিও কোন সুরাহা মেলেনি। অবশেষে পানীয় জলের দাবিতে পথ অবরোধে সামিল হয়েছেন তারা। ঘন্টাখানেক ধরে চলে অবরোধ। আটকে পড়ে বহু গাড়ি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ভাতার থানার পুলিশ। পুলিশ বিক্ষুব্ধ জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করে। পুলিশ সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিলে গ্রামবাসীরা অবরোধ তোলেন। তবে আগামীদিনে সমস্যা সমাধান না হলে পুনঃরায় অবরোধে নামার হুঁশিয়ারি গ্রামবাসীদের। ভাতারের বিডিও অরুণ কুমার বিশ্বাসের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন বিষয়টি খতিয়ে দেখে সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা করা হবে।

অক্টোবর ১০, ২০২২
রাজ্য

কল আছে জল নেই, জল সঙ্কটে হাহাকার ভাতারের শিলাকোট গ্রাম

কল আছে জল নেই। সত্যিই জল পড়ে না। ক্ষোভে ফুঁসছেন গ্রামবাসীরা।পানীয়জলের জন্য হাহাকার গ্রাম জুড়ে। পূর্ব বর্ধমানের ভাতাড়ের শিলাকোট গ্রামে বছর দুয়েক আগে পিএইচই মাধ্যমে গ্রামে জলের পাইপ বসানো হয়।গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে পাইপের কানেকশন ও ট্যাপকলও দেওয়া হয়। কিন্তু কাকস্য পরিবেদনা জল কোথায়! না এখনও গ্রামে পানীয় জল পৌঁছায় নি। গ্রামের দাসপাড়া, মালিক পাড়া ও আদিবাসী পাড়ার মানুষজন সব থেকে বেশী সমস্যায় পড়েছেন। পাড়ার টিউবওয়েলগুলিও দীর্ঘদিন ধরে অকেজো হয়ে পড়ে আছে।ফলে তারা বাধ্য হয়েই পুকুরের জল ব্যবহার করছেন।ভাতাড়ের ওড়গ্রামের ফরেস্টের কাছে পিএইচই পাম্প বসানো হয়েছে। পরিকল্পনা ওই জায়গা থেকে এলাকার চার পাঁচটি গ্রামে পানীয় জল সরবরাহ করা হবে।কিন্তু পরিকল্পনা অনুযায়ী এখনো কাজ হয় নি।শিলাকোর গ্রামে কমবেশি তিন হাজার মানুষের বাস। গ্রামের আদিবাসী পাড়ার বাসিন্দা সরমণি মুর্মু বলেন, বাড়িতে পাইপ বসানো হয়েছে দুবছর আগে। কলের ট্যাপও লাগানো আছে। কিন্তু তাতে জল আসে না। পাড়ার টিউবওয়েলও খারাপ হয়ে পড়ে থাকায় জলের জন্য খুব সমস্যা হচ্ছে। একই সমস্যার কথা বলেন, কৈবর্ত পাড়ার বাসিন্দা অলকা দাস। তিনি বলেন, পানীয় জলের পাইপ বসানোর কাজ হয়েছে বছর দুয়েক আগে। কিন্তু জল আসছে না।এই বিষয়ে সাহেবগঞ্জ ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিনয় কৃষ্ণ ঘোষের সাফাই জল ট্রাঙ্ক তৈরি না হওয়া পর্যন্ত এই সমস্যার সমাধান হবে না। কারণ ওড়গ্রামের থেকে শিলাকোট গ্রাম বেশ খানিকটা উঁচু। তাই পাইপলাইনের মাধ্যমে জল পৌঁছাচ্ছে না।

সেপ্টেম্বর ১১, ২০২২
রাজ্য

বর্ধমানে রেলের আন্ডারপাসে জল জমে দুর্ভোগ, রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন

রেলের আণ্ডারপাশে জল জমে দুর্ভোগে এলাকার বাসিন্দারা। ক্ষুদ্ধ বাসিন্দারা আণ্ডারপাশে অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন।বর্ধমান কাটোয়া ন্যারোগেজ রেলপথ ব্রডগেজে রূপান্তরিত হওয়ার পর পালিতপুরে তৈরি হয় আণ্ডারপাশ।তারপর থেকেই সমস্যায় পড়েছেন স্থানীয়রা। এমনি সারাবছর চলাচলের ক্ষেত্রে তেমন সমস্যা না হলেও বর্ষা শুরু হলেও দুর্ভোগ শুরু হয় এলাকার বাসিন্দাদের।আণ্ডারপাশে জল জমে যায়।ফলে বড় গাড়ি চলাচলের ক্ষেত্রে সমস্যা না হলেও বাইক,সাইকেল, টোটো বা ছোট গাড়ি পারাপারের ক্ষেত্রে চরম সমস্যা হয়।প্রতিবাদে শনিবার এলাকার বাসিন্দারা আণ্ডারপাশে জমায়েত হয়ে অবরোধ করেন।তাদের দাবী রেল কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে এখানে জল বের করার ব্যবস্থা করুক। আণ্ডারপাশ তৈরি হওয়ার সময়েই রেলকে সমস্যার কথা জানানো হয়। কিন্তু তাদের দাবী মানা হয় নি।রেল যদি কোন ব্যবস্থা না নেয় তাহলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে সামিল হবেন।

আগস্ট ২৭, ২০২২
রাজ্য

দামোদরের জলস্তর হটাৎ বৃদ্ধি হওয়ায়, অল্পের জন্য প্রান বাঁচল দুই যুবকের

দামোদর নদের জল হটাৎ বাড়ায় অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলো দুই যুবক। ঘটনা টি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের রায়না ২ নম্বর ব্লকের হিজলনার বামুনিয়া ফেরিঘাটে। বেশ কয়েকদিনের বৃষ্টিতে জল বেড়েছে দামোদর নদের। কিন্তু শনিবার বিকেলে হঠাৎ করেই জলস্তর বেড়ে যায়। ফেরিঘাট পারাপারের সময় বাঁশের অস্থায়ী সেতু জলের তোড়ে ভেঙে যাওয়ার কারণেই ঘটে বিপত্তি। তিন কিলোমিটার মোটরবাইক নিয়ে ভাসমান অবস্থায় যাওয়ার পর, ফেরি ঘাটের মালিক ও স্থানীয় মানুষজন নৌকা নিয়ে ওই দুই যুবককে উদ্ধার করেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকা জুড়ে চঞ্চল্য ছড়ায়।উল্লেখ্য প্রতি বছরই বর্ষার আগেই এই আস্থায়ী সেতু গুলো ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয় ফেরী ঘাট গুলিকে, আবার অক্টোবরের শেষের দিকে সরকারি অনুমতি নিয়ে সেতু গুলি পুনঃনির্মান করা হয়। এখন স্থানীয় মানুষজনের প্রশ্ন স্ম্যসীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরও সেতু চালু ছিলো কি করে? দামোদর ভ্যালী কর্তৃপক্ষ দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার আগে দামোদর উপকুলবর্তি সকল ব্লক ও গ্রাম পঞ্চায়েত গুলিকে নোটিশ করে। সেক্ষেত্রে এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার পিছনে দায়িত্বে অবহেলাকেই প্রথমিক কারন হিসাবে ধরা হচ্ছে।

আগস্ট ২১, ২০২২
রাজ্য

দেওয়ানদিঘীতে পানীয় জলপ্রকল্পের উদ্বোধন করলেন কাকলি তা গুপ্ত

বর্ধমানের দেওয়ানদিঘীতে সর্বসাধারণের জন্য পানীয় জলপ্রকল্পের উদ্বোধন করলেন বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারপার্সন কাকলি তা গুপ্ত। সরাইটিকর গ্রাম পঞ্চায়েতের সহযোগিতায় এই প্রকল্পটি রূপায়ন করেছে বর্ধমান রোটারি ক্লাব। সাধারণ মানুষের ব্যবহারের সুবিধার্থে এই জল প্রকল্প কাজে আসবে বলে জানিয়েছেন কাকলি তা গুপ্ত। পানীয় জল পেয়ে খুশি সাধারণ মানুষ।দেওয়ানদিঘী মোড়ে বহু মানুষের যাতায়াত। এখান থেকে অনেকেই দূরদূরান্তের বাসে যাতায়াত করেন। নানা কাজে দেওয়ানদিঘী এলাকায় বহু সাধারণ মানুষের আনাগোনা। তীব্র গরমে পথিকদের স্বার্থে এই পানীয় জলপ্রকল্প খুবই উপযোগী, বলেন বিডিএ-র চেয়ারপার্সন কাকলি তা গুপ্ত। ব্যক্তিগত ভাবে এই প্রকল্প রূপায়নের জন্য তিনি উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এদিনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবী ডা. গোলাম মহম্মদ, বর্ধমান ১-এর সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক অভিরূপ ভট্টাচার্য।

জুন ২৩, ২০২২
বিবিধ

ক্ষুদ্র কচ্ছপের আগ্রাসনে পিছু হটছে পশুরাজ, এই ভিডিও দেখতে ইচ্ছা করবেই

বিশালাকার মুথ। তার ইয়া লম্বা লাল রঙা কেশর। দেখলেই গা ছমছম করে উঠবে। সিংহের কেশরসহ মাথাটাই এত বড় যে তাতেই গায়ে কাটা দিয়ে উঠতে বাধ্য। দেখতেও দর্শনধারী। সেই সিংহই কীনা ছোট্ট একটা কচ্ছপের ভয়ে জল পান করতে করতে জলাধার থেকে উঠে যাচ্ছে। রীতিমতো পিছু হটেছে। নেট মিডিয়ায় এই ছবি রীতিমতো ভাইরাল।মানবজীবনের মতো জঙ্গলে পশুপাখীর নানান ধরনেই ভিডিও বেশ আকর্ষণীয়। এই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, জলাধারে জলপান করছে সিংহটি। তার সামনে আসছে একটি কচ্ছপ। ক্ষুদ্র কচ্ছপটি মুখ বের করে সিংহের মুখ না একেবারে জিহবার দিকে এগোতে থাকে। ওই জিহবা বাড়িয়েই জল খাচ্ছিল পশুরাজ। কিন্তু পশুরাজ ছোট্ট কচ্ছপের আগ্রাসনে পিছিয়ে যেতে শুরু করে। মনে হচ্ছে যেন কচ্ছপ তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে পশুরাজকে। আকর্ষণীয় এই ভিডিও ইতিমধ্যে দেখে ফেলেছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। এ ছবি যে কারও ভাল লাগতে বাধ্য।

মে ০৪, ২০২২
বিবিধ

তীব্র দাবদাহে জলের ট্যাঙ্কেই ডুব হনুমানের দলের, রইল ভিডিও

তীব্র দাবদাহে ওদেরও কষ্ট হয়। ওদের ঘর নেই। শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের বিষয়ও নেই। পাখাও চলে না। রোদে-গরমে, গাছের ছায়ায়, গাছের ডালে ডালেই জীবন কেটে যায়। তাছাড়া এবাড়ি ওবাড়ির ছাদ তো আছেই। কখনও এক গাছের আম, আরেক গাছের জাম খেয়েই জীবনটা কেটে যায়।সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে হনুমানের দল ছাদের ডাকনা খোলা দুটি জলের ট্যাঙ্কে স্নানে মেতে উঠেছে। গোটা চারেক হনুমান একবার জলের ট্যাঙ্কের ভিতর ঢুকছে আর ডুব দিয়ে ওপরে উঠে আসছে। একেবারে আনন্দে আত্মহারা হনুমানের দল। অনবরত স্নান করে যাচ্ছে গরমের হাত থেকে বাঁচতে। এত সহজে শরীর ঠান্ডা করার উপায় পেয়ে কেউ কি ছেড়ে দেয়? সেই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী করেছেন কেউ। সোশাল মিডিয়ায় তা রীতিমতো ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।বাড়ির মালিক জানতেও পারছে না তাঁদের ছাদের ওপরে জলের ট্যাঙ্কে এমন আজব কান্ড ঘটছে। সেই জলেই হয় তো নিত্যদিনের কাজ সারছেন বাড়ির লোকজন! খোলা ট্যাঙ্কে দহণের জ্বালা মেটাচ্ছে হনুমানের দল। জলের ট্যাঙ্ক ঢেকে না রাখলে হনুমানে স্নানজলই পান করতে হতে পারে! সতর্ক হওয়া দরকার।

এপ্রিল ২৮, ২০২২
রাজ্য

জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণে নয়ানজুলি বোজানোয় ডিভিসির জলে ডুবলো আলু জমি, অবরোধ ক্ষুব্ধ চাষীদের

জাতীয় সড়কের সম্প্রসারণ কাজের জন্য নয়ানজুলি বুজে থাকায় ভিভিসি (Damodar Valley Corporation) জল ছাড়তেই জলে ডুবলো আলু চাষের জমি। এরই প্রতিবাদে মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়ে ২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে রেখে বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন ক্ষুব্ধ চাষীরা। ঘন্টা খানেকের অবরোধ বিক্ষোভের জেরে এদিন সকালের দিকে জাতীয় সড়কে যানবাহন চলাচল একপ্রকার স্তব্ধ হয়ে যায়। দূর পাল্লার বাস সহ বিভিন্ন যানবাহন জাতীয় সড়কে যানজটে আটকে পড়ে। খবর পেয়ে শক্তিগড় থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া চাষিদের সঙ্গে কথা বলে । পরে প্রশাসন ও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন চাষিরা।প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে শক্তিগড় এলাকায় জোরকদমে চলছে ২ নম্বর জাতীয় সড়কের সম্প্রসারণের কাজ। সেই কাজ করতে গিয়ে চাষের জমিতে সেচের জল যাবার জন্য জাতীয় সড়কের ধারে থাকা নয়ানজুলি বুজিয়ে দেওয়া হয়। এরই মধ্যে বোরোধান চাষের জন্য ডিভিসির সেচ খালে জল ছাড়া হয়। নয়ানজুলি বুজে থাকার জন্য সেই জল প্রবাহিত হতে না পেরে বদ্ধ নয়ানজুলি থেকে উপচে গিয়ে সোমবার রাতে অসপাশের ফলন্ত আলু জমিতে ঢুকে পড়ে। তার কারণে শক্তিগড়, আমড়া ও বড়শুল এলাকার বিঘের পর বিঘে আলুর জমি জলে ডুবে যায়। মঙ্গলবার সকালে ফলন্ত আলু জমি জলে ঢুবে থাকতে দেখে কার্যত মাথায় হাত পড়ে যায় আলুচাষীদের। ফসলের এই ক্ষতি মেনে নিতে না পেরে ক্ষিপ্ত চাষিরা এর পরেই ২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করে দেন।ক্ষতিগ্রস্ত আলুচাষী সেখ নজরুল ইসলামআমড়া এলাকার বাসিন্দা আলুচাষী সেখ নজরুল ইসলাম বলেন, প্রথমে জমিতে আলুচাষ করার পর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে চাষীরা চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রবল বর্ষণে আলুর জমি ডুবে যায়। পচে যায় আলুগাছ। তারপর ফের তারা জমি তৈরি করে আলু চাষ করেন। আর এখন নয়ানজুলি বুজে থাকার জন্য ডিভিসির সেচখালে ছাড়া জল আলুর জমিতে ঢুকে গিয়ে পাকা আলু জমির অপূরণীর ক্ষতির করে দিল। তিনি দাবী করেন আমড়া, শক্তিগড় ও বড়শুল নিয়ে কম করে একশো বিঘে আলু জমিতে জল ঢুকেছে। সমস্ত আলু জমি এরজন্য ক্ষতিগ্রস্ত হল।এলাকার অপর আলুচাষী বাবুল মণ্ডল বলেন, এখন সবেমাত্র জমি থেকে আলু তোলার মরশুম শুরু হয়েছে। আলু জমি জলে ঢুবে যাওয়ায় এখন চাষীরা চরম সংকটে পড়লেন। এবছর আলুর দামও এমনিতে উর্দ্ধমুখী। বর্তমানে একবস্তা (৫০ কেজি) আলুর দাম ৯০০ থেকে ১০০০ টাকা। এই অবস্থায় জমিতে জল দাঁড়িয়ে গেলে পাকা আলু পচে যাবে। চাষীরা এবছর এমনিতেই সমস্যায় জেরবার। শীতে বারে বারে অকাল বর্ষণে দুবার করে আলু চাষ করতে হয়েছে। তাতে বাজারে ও মহাজনী ধারদেনা হয়েছে। প্রশাসন ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা না করলে চাষীরা মহা সংকটে পড়বে।জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া বলেন, চাষীদের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে ভাবতে হবে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে। আমরা এই বিষয়ে ওদের সঙ্গে আলোচনা করছি। চাষীদের ক্ষতি মেনে নেওয়া যাবে না।

মার্চ ০১, ২০২২
রাজ্য

স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের তৈরি কচুরিপানার হস্তশিল্প সামগ্রী বিক্রী করবেন মন্ত্রী

কচুরিপানা নিয়ে হেলাফেলা করার দিন শেষ হতে চলেছে। এইবার কচুরিপানা দিয়েই তৈরি হবে নজরকাড়া হস্তশিল্প সামগ্রী। দুই মাস ধরে প্রশিক্ষণ নেওয়া পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীর স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে ওইসব হস্তশিল্প সামগ্রী তৈরী করবেন। এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ নিজে উদ্যোগ নিয়ে পূর্বস্থলী ১ ব্লকের বড়কোবলা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে মহিলাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন। প্রশিক্ষণ কতটা সার্থক হয়েছে তা খতিয়ে দেখতে সোমবার মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পৌছান। সেখানে তাঁর সঙ্গেই বিডিও দেবব্রত জানা ও রিজিওনাল হ্যান্ডিক্র্যাফটস প্রমোশন অফিসার পীযূস সিংহ ও উপস্থিত থাকেন। মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ এদিন বলেন, কচুরিপানা পরিবেশ বান্ধব। সেই কচুরিপানা দিয়ে হস্তশিল্প তৈরি করার জন্য প্রথম পর্যায়ে কুড়িজন মহিলাকে বেছে নেওয়া হয়। তাঁদের ২ মাস ধরে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সব কিছু খতিয়ে দেখে তাঁদের আরও দু-সপ্তাহ প্রশিক্ষন দেওয়ার সিদ্ধান্ত এদিন নেওয়া হয়। তারপর স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর ওই মহিলারাই কচুরিপানা দিয়ে নজরকাড়া নানান হস্তশিল্প সামগ্রী তৈরী করবেন। উৎপাদিত সেইসব হস্তশিল্প সামগ্রী বিপণনের ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি কালনা নবদ্বীপ ও বর্ধমান শহরেও তা বিক্রির ব্যবস্থা করা হবে। মন্ত্রী জানিয়ে দেন, কচুরিপানা দিয়ে তৈরি হস্তশিল্প সামগ্রীর জন্য তিনি নিজে সেলসম্যানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হবেনপুকুর কিংবা জলাশয়ে কচুরিপানা ভরে থাকলে তা কিভাবে কাজে লাগানো যায় এতদিন সেই ভাবে কেউ মথা ঘামাননি। কিন্তু কচুরিপানা দিয়েও যে হস্তশিল্প সামগ্রী তৈরি করা যায় সেই দিশা প্রথম দেখায় পূর্বস্থলীর যুবক রাজু বাগ। পূর্বস্থলী ১ ব্লকের বাঁশদহ বিল সহ এলাকার খালবিলে জন্মানো কচুরিপানা দিয়ে রাজু নজরকাড়া ডিজাইনের ঘর সাজানোর সামগ্রী তৈরি করে তাক লাগিয়ে দেয়। কচুরিপানা ভালোভাবে শুকিয়ে সেগুলি দিয়ে সে বিভিন্ন ডিজাইনের ঝুড়ি, ম্যাট, ব্যাগ সহ ঘর সাজানোর জিনিস তৈরী করে দেখায়। যুবক রাজুর এই শিল্প কীর্তি এলাকার বিধায়ক তথা মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের তা নজরে আসতেই তিনি নড়েচড়ে বসেন। কিছুদিন আগে খালবিল ও চুনোমাছ উৎসবে রাজুর তৈরী করা সেই হস্তশিল্পের একটি প্রদর্শনীরও ব্যবস্থা করে দেন মন্ত্রী। কচুরিপানা দিয়ে তৈরী হস্তশিল্পের সেই কাজ শিখে এলাকার মহিলা ও অন্যান্যরা স্বনির্ভর হতে পারবে ধরে নিয়ে মন্ত্রী তাঁর বিধানসভা এলাকায় প্রশিক্ষণ কেন্দ্রও খোলান। খালবিল ওয়েলফেয়ার সেসাইটি ওই প্রশিক্ষণ শিবিরের যাবতীয় খরচ বহন করে।

ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২২
রাজ্য

Chotkhanda: 'কথা দিয়ে' বিধায়ক না আসায় মেমারির দুর্গাপুর পঞ্চায়েত অফিসের সামনে বিক্ষোভে উত্তাল

গ্রামে পানীয় জলের সংকট মেটানো নিয়ে সোমবার গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে বৈঠক করবেন বলে গিয়েছিলেন বিধায়ক। কিন্তু কথা দিয়েও পূর্ব বর্ধমানের মেমারির দুর্গাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে এদিন যাননি তৃণমূল বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য। তা নিয়ে এদিন বিকালে পঞ্চায়েত অফিসের সামনে দাড়িয়ে থাকা চোটখণ্ড গ্রামের বাসিন্দারা পঞ্চায়েত প্রধান ও বিধায়কের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগরে দেন। পাশাপাশি তাঁরা অভিযোগ করেন, বিধায়কের সঙ্গে কথা বলার জন্য পঞ্চায়েত অফিসের সামনে জড়ো হয়েছিলেন বলে তাঁদের পুলিশ দিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছে। তাঁকে ক্ষোভের আগুনে ঘৃতাহুতি পড়ে। ক্ষুব্ধ চোটখণ্ড গ্রামের বাসিন্দারা এরপরেই হুঁশিয়ারি দেন, তাঁদের গ্রামে পানীয় জলের সংকট সমাধানে পঞ্চায়েত দ্রুত ব্যবস্থা নি নিলে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন।বিধায়ক যদিও দাবি করেছেন, কোভিড বিধির কথা মাথায় রেখেই তিনি এদিন পঞ্চায়েত অফিসে বৈঠকে করতে যাননি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে অবশ্যই তিনি বৈঠক করবেন বলেন জানিয়ে দেন।আরও পড়ুনঃ ঝঞ্ঝার দাপটে আজ থেকে শুরু বৃষ্টিএলাকা সূত্রে খবর, বিধানসভা ভেটের সময়ে দেওয়া প্রতিশ্রুতি মতো চোটখণ্ড গ্রামে পানীয় জলের সমস্যার সমাধান হয়নি। এমনকি গ্রামের রাস্তা-ঘাট ও নিকাশী-ব্যবস্থারও কোন উন্নতি হয়নি। তা নিয়ে চোটখণ্ড সহ আশেপাশের বনশেঁকরা, তালগেঁড়া প্রভৃতি গ্রামের বাসিন্দা মহলে ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। পরিস্থিতি বিষয়ে খোঁজ খবর নিতে গত বৃহস্পতিবার দুর্গাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত গিয়ে জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন। পর তিনি পঞ্চায়েত অফিস লাগোয়া চোটখণ্ড গ্রামেও যান। ওই দিন চোটখণ্ড গ্রামের মানুষজন বিধায়ককে বিধানসভা ভোটের সময়ে তাঁর দেওয়া প্রতিশ্রুতির কথা স্মরণ করিয়ে দেন।আরও পড়ুনঃ করোনা রুখতে ৫ জেলাকে সতর্ক করল নবান্নপ্রথমে প্রতিশ্রুতির কথা অস্বীকার করলেও পরে বিধায়ক তাঁর প্রতিশ্রূতির কথা স্বীকার করে নেন। ওই দিনই তিনি গ্রামবাসীদের বলে যান গ্রামের মানুষজনের দাবিদাওয়ার বিষয়টি নিয়ে সোমবার তিনি দুর্গাপুর পঞ্চায়েত অফিসে বৈঠকে বসবেন। সেই মতো এদিন গ্রামের বাসিন্দারাও দুপুর থেকে পঞ্চায়েত অফিসের সামনে জড়ো হন। কিন্তু দুপুর গড়িয়ে বিকাল হয়ে গেলেও বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য আর পঞ্চায়েত অফিসে না আসায় গ্রামবাসীরা পঞ্চায়েত অফিসের সামনে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। গ্রামের বাসিন্দা অনাথ ক্ষেত্রপাল, বাপি ক্ষেত্রপাল বলেন, বিধায়ককে সমস্যার কথা জানাবেন বলে তাঁরা পঞ্চায়েত অফিসের সামনে জড়ো হয়েছিলেন বলে তাঁদের পুলিশের হুমকির মুখে পড়তে হয়। এমনটি তাঁরা প্রত্যাশা করেননি। তাই তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আর আবেদন নিবেদন নয়। গ্রামে পানীয় জলের সংকট নিরসন ও এলাকার উন্নয়নে পঞ্চায়েত দ্রুত ব্যবস্থা নি নিলে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন।

জানুয়ারি ১১, ২০২২
রাজ্য

MLA Protests: পানীয় জলের প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ, পূর্ব বর্ধমানে তৃণমূল বিধায়ককে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ

প্রতিশ্রুতি মত গ্রামে পানীয় জলের সমস্যার সমাধান হয়নি। একই ভাবে হয়নি গ্রামের রাস্তা-ঘাট ও নিকাশী-ব্যবস্থার উন্নতিও। এরই প্রতিবাদে পূর্ব বর্ধমানের মেমারির দুর্গাপুর পঞ্চায়েতের চোটখণ্ড গ্রামের বাসিন্দাদের ক্ষোভের মুখে পড়লেন মেমারির তৃণমূল বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য। ভোটের সময়ে দেওয়া প্রতিশ্রুতির কথা প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে বিধায়ক প্রতিশ্রুতি দেওয়ার কথা স্বীকার করে নেন। তা নিয়ে এখন মেমারিতে শুরু হয়ে গিয়েছে শাসক ও বিরোধীদের রাজনৈতিক চাপান-উতোর।মেমারি-১ পঞ্চায়েত সমিতির আন্তর্গত দুর্গাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস চোটখণ্ড গ্রামে অবস্থিত। গ্রামের বাসিন্দা অনাথ ক্ষেত্রপাল বলেন, এই গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে পানীয় জলেরও সমস্যা রয়েছে। গ্রামের অধিকাংশ রাস্তাই কাঁচা। নিকাশী বাবস্থা ভালো না থাকায় বর্ষায় চোটখণ্ড গ্রামের মানুষজনের দুর্ভোগ চরমে ওঠে। তিনি জানান বিধানসভা ভোটে প্রার্থী হয়ে মধুসূদন ভট্টাচার্য্য আমাদের চোটখণ্ড গ্রামে প্রচারে আসেন। ওই সময়ে গ্রামের জগৎগৌরি মন্দির তলায় বসে মধুসূদন বাবু প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান ভোটে জিতলে তিনি হয় সজল ধারা প্রকল্পে চোটখণ্ড গ্রামে পানীয় জলের ব্যবস্থা করে দেবেন। পাশাপাশি এলাকার উন্নয়নেও উদ্যোগ নেবেন বলে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু ভোটে জিতে বিধায়ক হওয়ার পর মধুসূদনবাবু তাঁর দেওয়া সব প্রতিশ্রুতির কথা সব ভুলে গিয়েছেন। পানীয় জলের হাহাকার আজও চোটখণ্ড গ্রামে রয়েই গিয়েছে। তাই বৃহস্পতিবার বিকালে বিধায়ক মধুসূদনবাবু যখন চোটখণ্ড গ্রামে আসেন তখন গ্রামের সকলে তাঁর কাছে পানীয় জলের ব্যবস্থা না হওয়ার কথা তুলে ধরেন। ভোটের সময়ে দেওয়া প্রতিশ্রুতির কথাও বিধায়ককে স্মরণ করিয়ে দেন গ্রামবাসীরা। ওই সময়ে বিধায়ক প্রথমে প্রতিশ্রুতির কথা অস্বীকার করেও পরক্ষণেই তা স্বীকার করে নিয়ে বিধায়ক পানীয় জলের সমস্যা সমাধানে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে যান। গ্রামবাসীদের অভিযোগের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন দুর্গাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান নিতাই ঘোষ। শুক্রবার সংবাদ মাধ্যমকে তিনি জানান, চোটখণ্ড ছাড়াও হঠাৎপাড়া, বনশেঁকরা তালগেঁড়া প্রভৃতি এলাকায় রাস্তা ঘাট সত্যি অত্যন্ত খারাপ রয়েছে। ওইসব গ্রামে পানীয় জলের সমস্যাও রয়েছে। এইসব সমস্যার সমাধান কোন ভাবেই করা যাচ্ছে না। গ্রামবাসীদের একটু ধৈর্য্য ধরার কথা বলা হয়েছে। বিধায়ককে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানোর কারণ প্রসঙ্গে উপ প্রধান বলেন, গ্রামবাসীরা বলছে বিধানসভা ভোটের সময়ে মধুসূদনবাবু নাকি চোটখণ্ড গ্রামে সজল ধারা প্রকল্পে পানীয় জলের ব্যবস্থা করে দেওয়ার ও গ্রামের রাস্তা-ঘাটের উন্নতি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু পানীয় জলের ব্যবস্থা আজ আবধি হয়নি। তাই তাঁরা বৃহস্পতিবার বিধায়ককে কাছে পেয়ে বিক্ষোভ দেখান।বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন, ভোট বৈতরণী পার হবার জন্য আমরা নির্দিষ্ট কিছু করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মানুষের কাছে ভোট চাই না। ওই গ্রামে টিউবওয়েল আছে। জলস্তর নীচে থাকা বা অন্য কোনও কারণে ওইসব কল থেকে হয়তো ঠিকঠাক জল উঠছে না। গ্রামবাসীরা পানীয় জলের সমস্যা সমাধানের দাবি জানিয়েছে। সমস্যার দ্রুত সমাধান কি করে করা যায় সেই বিষয়টি দেখা হচ্ছে।এই বিষয়ে সিপিএম মেমারি ১ (পূর্ব) এরিয়া কমিটির সদস্য অভিজিৎ কোঙার বলেন, বাম আমলে ওই পঞ্চায়েতটি রাজ্যের সেরা ও দেশের সের পঞ্চায়েতের স্বীকৃতি পেয়েছিল। এখন ওই পঞ্চায়েতটি করে খাওয়ার জায়গা হয়ে উঠেছে। রাজ্যে উন্নয়নের জোয়ার বইছে বলে তৃণমূলের তরফে যে প্রচার করা হয় তা যে আসলে ভাঁওতা সেটা চোটখণ্ড গ্রামের বাসিন্দাদের ক্ষোভ-বিক্ষভেই প্রমাণ করে দিয়েছে। মেমারির বিজেপি নেতৃত্বও দাবি করেছে, তৃণমূল উন্নয়নের নামে যা প্রচার করে তা আসলে ধাপ্পা ছাড়া আর কিছুই নয়।

জানুয়ারি ০৭, ২০২২
রাজ্য

Water Drowned: ঠাকুমার সঙ্গে মাছ ধরতে নেমে অজয় নদের গভীর জলে তলিয়ে গেল ৯ বছরের নাতি

অজয় নদে জল একটু কমতেই ঠাকুমার সঙ্গে মাছ ধরতে নেমেছিল নাতি। কিন্তু তাঁর মাছ ধরা আর হয়ে উঠলো না। ঠাকুমার চোখের সামনেই অজয়ের গভীর জলে তলিয়ে গেল ৯ বছর বয়সী তাঁর নাতি আনন্দ থান্ডার। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের নতুনহাট এলাকায়। এই খবর পেয়েই মঙ্গলকোট থানার পুলিশ ও ব্লকের বিডিও জগদীশচন্দ্র বারুই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছেন। প্রশাসনের নির্দেশে এনডিআরএফ টিম অজয় নদে বালকের খোঁজ চালানো শুরু করে দেয়। কিন্তু এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত অজয় নদে তলিয়ে যাওয়া বালকের কোনও হদিশ না মেলায় উৎকন্ঠায় কাটাচ্ছেন পরিবার সদস্যরা।প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলকোটের নতুনহাটের লোচন দাস এলাকার বাসিন্দা সান্তনা থান্ডার। তাঁর মেয়ে পূজা থান্ডারের ছেলে আনন্দ থান্ডার। এই বালকের বাবা বুদ্ধদেব থান্ডার কর্মসূত্রে ভিন রাজ্যে থাকেন। বালক আনন্দ থান্ডার নতুনহাট এলাকায় তাঁর দাদু ঠাকুমার কাছেই থাকতো। সান্তনাদেবী এদিন দুপুরে তাঁর নাতিকে সঙ্গে নিয়েই অজয় নদে মাছ ধরতে যান। মাছ ধরার ফাঁকেই আচমকা অজয়ের গভীর জলের মধ্যে পড়ে যায় আনন্দ। তার পর থেকে জলে নাতিকে আর খুঁজে পান না সান্তনাদেবী। তিনি চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করতেই স্থানীয় মানুষজন ঘটনাস্থলে পৌছান। স্থানীয়দের মাধ্যমে বালক আনন্দ থান্ডারেরঅজয় নদে তলিয়ে যাওয়ার খবর পেয়েই মঙ্গলকোট থানার পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌছান। খবর দেওয়া হয় এনডিআরএফকে। এনডিআরএফ টিম ঘটনাস্থলে পৌছে অজয় নদে বালকের খোঁজ চালানো শুরু করে। সন্ধ্যা পর্যন্ত খোঁজ চালিয়েও তারা বালকের কোনও হদিশ পাননি। বালকের খোঁজে এনডিআরএফ টিম রবিবার ফের অজয়ে তল্লাশী চালাবে বলে প্রশাসনিক কর্তাদের কথায় জানা গিয়েছে।

অক্টোবর ০২, ২০২১
রাজ্য

Electrified Death: খড়দায় চার্জ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু বাবা-মা-ছেলের

বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হল একই পরিবারের তিন সদস্যের। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে খড়দার রহড়া থানার পাতুলিয়া সরকারি আবাসনে। মৃতদের নাম রাজা দাস (৩৫), পৌলমী দাস (৩০) ও শুভ দাস (১১)। রাজা পেশায় গাড়ি চালক ছিলেন। গোটা ঘটনার একমাত্র সাক্ষী পাঁচ বছরের আবির খাটের ওপর বসেছিল। ছোট্ট আবির খাটে বসেই জানলা দিয়ে পড়শি বৃদ্ধকে দাদু দাদু বলে ডাকে এবং বলে বাবা-মা পড়ে আছে। পড়শি বৃদ্ধ ছুটে এসে দরজা ধাক্কা দিয়ে দেখেন পরিবারের তিনজন ঘরে জলের মধ্যে ভাসছে। এরপর তিনি আবাসনের অন্যান্য আবাসিকদের খবর দেন। স্থানীয়রা ছুটে এসে তিনজনকে ব্যারাকপুর বিএন বসু হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে। এক পড়শি শীলা সরকার বলেন, খবর পেয়ে ছুটে এসে দেখি জলপূর্ণ ঘরের মধ্যে তিনজন পড়ে রয়েছে। ওনাদের ছোট ছেলে খাটে বসে রয়েছে। তিনজনকে খাটে তোলা হয়। তারপর ওদেরকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কি করতে গিয়ে রাজা প্রথমে বিদ্যুৎপৃষ্ট হল, তা জানি না।আরও পড়ুনঃ আত্মহত্যা না খুন? আখড়া পরিষদ প্রধানের মৃত্যুতে ঘুরছে নানা তত্ত্বপড়শিদের একাংশের দাবি, বাড়িতে জমা জলের মধ্যে দাঁড়িয়ে ফ্রিজে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে গিয়েই এই বিপত্তি। আবার কারও মতে, টেবিল ফ্যানে সুইচ দিতে গিয়েই এই ঘটনা। কেউ বললেন, মোবাইলে চার্জ দিতে গিয়েই এই বিপত্তি। তবে অধিকাংশ বাসিন্দারা জানান, কিছু চার্জ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎপিষ্ট হন রাজা। স্বামীকে বাঁচাতে এসে স্ত্রীও বিদ্যুৎপিষ্ট হন। বাবা-মাকে বাঁচাতে এসে দশ বছরের শুভও বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়। ঘটনার পর বিদ্যুৎ পর্ষদের লোকজন এসে আবাসনের বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়েই পরিবারের তিন সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। একই পরিবারের তিন সদস্যের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পাতুলিয়া সরকারি আবাসনে। ঘটনার পর জলজমা নিয়ে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন আবাসনের বাসিন্দারা। স্থানীয়দের অভিযোগ, টানা ৩২ বছর ধরে এই জলযন্ত্রণা। দু-দিনের টানা বৃষ্টিতে এক কোমর জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে। সবার ঘর জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। তবুও কারও হেলদোল নেই।

সেপ্টেম্বর ২১, ২০২১
রাজ্য

Waterlogged Carshed: টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন হাওড়া ও টিকিয়াপাড়া কারশেড, বাতিল একাধিক ট্রেন

রাতভর ব্যাপক বৃষ্টিতে জল জমেছে রেললাইনে। জলমগ্ন হাওড়া ও টিকিয়াপাড়া কারশেড। তার ফলে ব্যাহত হয়েছে রেল পরিষেবা। হাওড়া স্টেশনের দুই শাখায় খুব ধীরগতিতে চলছে ট্রেন। বেশ কিছু ট্রেন বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা। জানা গিয়েছে, রাতের বৃষ্টিতে টিকিয়াপাড়া এবং হাওড়া কারশেডে জমেছে জল। ফলে কারশেড থেকে ট্রেন বের করতে সমস্যা হচ্ছে। তাই জল না নামলে অনেক ট্রেনই চালান সম্ভব হবে না। জল জমে যাওয়ার কারণে আটকে রয়েছে হাওড়া জব্বলপুর স্পেশ্যাল ট্রেনও। তবে ঠিক কোন কোনও ট্রেনের ক্ষেত্রে পরিষেবা ব্যহত হয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। শুধু হাওড়া নয়, একই অবস্থা কলকাতা স্টেশনেরও। স্টেশনে ঢোকার মুখে জল জমেছে। কলকাতা স্টেশন থেকে যে সমস্ত দূরপাল্লার ট্রেন ছাড়ে কিংবা কলকাতা স্টেশনে আসে সেই সব ট্রেনও বাতিল হতে পারে বা দেরি হতে পারে।আরও পড়ুনঃ মুখ থেঁতলানো রক্তাক্ত মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার, ব্যাপক চাঞ্চল্য জামালপুরেজল না নামলে বেশ কিছু ট্রেন বার করা যাবে না বলেই খবর। সকাল থেকে যে ট্রেনগুলি চলছে তার গতিও খুব ধীরে। তার ফলে বেশির ভাগ ট্রেনেরই গন্তব্যে পৌঁছতে দেরি হচ্ছে। সমস্যায় পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা। শুধু হাওড়া নয়, শিয়ালদহ ও কলকাতা স্টেশনের অবস্থাও অনেকটা একই। কলকাতা স্টেশনে ঢোকার মুখে জল জমেছে। শিয়ালদহ স্টেশনের দক্ষিণ শাখায় বেশ কিছু জায়গায় রেললাইনে জল জমায় ব্যাহত হয়েছে ট্রেন চলাচল। রেললাইনে জল জমায় চক্ররেল পরিষেবাও ব্যাহত হয়েছে। জানিয়েছে, আগামী কয়েক ঘণ্টায় কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বৃষ্টি হবে। বৃষ্টি চলতে পারে দুই মেদিনীপুরেও। আলিপুর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গে সক্রিয় হয়েছে মৌসুমী অক্ষরেখা। তার জেরেই বেড়েছে বৃষ্টির দাপট।কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস আগেও হয়েছিল। আর সেই বৃষ্টিপাতের জেরেই ব্যহত রেল পরিষেবা। কয়েকদিন আগেও বৃ্ষ্টি জেরে একাধিক ট্রেন বাতিল হতে দেখা গিয়েছিল। এবার ফের হাওড়া বা কলকাতা স্টেশন থেকে একাধিক ট্রেন বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সেপ্টেম্বর ২০, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

চন্দননগরে একই পরিবারের ৩ সদস্যের রহস্যমৃত্যু, তদন্তে নেমেছে পুলিশ

চন্দননগর, ৩০ মে: হুগলির চন্দননগরে বৃহস্পতিবার সকালে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনার সাক্ষী থাকলো স্থানীয় বাসিন্দারা। একই পরিবারের তিন সদস্যের রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে ছড়িয়েছে ব্যাপক উত্তেজনা। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন পরিবারের কর্তা, তাঁর স্ত্রী এবং তাঁদের কিশোর পুত্র। সূত্রের খবর, এদিন সকালে চন্দননগরের শ্রীপল্লি এলাকার একটি বাড়ি থেকে তিনজনের নিথর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয়রা জানান, সকালবেলা দরজা না খোলায় সন্দেহ জাগে প্রতিবেশীদের। তারা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার করে।সূত্রের খবর, বুধবার ভোর ২টার দিকে চন্দননগর থানা কোলুপুকুর গড়েরধর এলাকায় তিন পরিবারের সদস্যের অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তারা প্রতিমা ঘোষ (৪৬) এবং তার মেয়ে পৌষালী ঘোষ (১৩) এর মৃতদেহ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন, মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রতিমার স্বামী বাবলু ঘোষ (৬২) কে দড়ি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। তদন্তের সময় পুলিশ জানতে পারে যে বাবলু একটি টিনের বাক্স তৈরির কারখানায় কাজ করত। তবে, কিছু সময়ের জন্য, সে টোটো (তিন চাকার গাড়ি) চালানো শুরু করে এবং অবশেষে তার বাড়িতেই একটি ছোট দোকান শুরু করে।প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এটি হয় আত্মহত্যা, নয়তো পরিকল্পিত খুন। তবে ঘটনার প্রকৃত কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। বাড়ির ভিতরে কোনোরকম লুটপাটের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। প্রতিবেশীদের অনেকেই জানিয়েছেন, পরিবারটি সদ্য আর্থিক সমস্যায় পড়েছিল এবং কিছুদিন ধরে মানসিক চাপের মধ্যে ছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দেহগুলি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে এবং ঘটনার ফরেনসিক তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ পরিবারের আত্মীয়-পরিজন ও প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।চন্দননগর কমিশনারেটের এক উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক জানান, আমরা সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছিআত্মহত্যা, পারিবারিক কলহ, অথবা বাইরের কোনো দুষ্কৃতীর হাত। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

মে ৩০, ২০২৫
রাজ্য

আইসিকে কদর্য ভাষা অনুব্রতর, FIR, শেষমেশ ক্ষমা প্রার্থনা

তৃণমূল নেতা অনুব্রত মন্ডলের একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হতেই রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় পড়ে যায়। সেই অডিওর শোনা যাচ্ছে, বীরভূম জেলা তৃণমূল কোর কমিটির অন্যতম সদস্য অনুব্রত মণ্ডল বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছেন। দুদিন আগে এই অডিও ক্লিপটি যে কোনও কারণেই ভাইরাল হয়ে যায়। তারপরেই জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ সিং, অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার বোলপুর রানা মুখোপাধ্যায় বৈঠক ডেকে আইসি লিটন হালদারকেও ডেকে পাঠান। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বোলপুর এসডিপিও রিকি আগরওয়াল সহ চার পুলিশ কর্তা। উল্লেখ্য, গতকালই অর্থাৎ বৃহস্পতিবার নাগরিক কমিটির ডাকে বোলপুর থানায় এক বিক্ষোভ কর্মসূচি নেওয়া হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামীরা। অভিযোগ, আইসি লিটন হালদার বিভিন্ন জনের কাছ থেকে তোলাবাজি অর্থ দাবি করেন। অনুব্রত মণ্ডলকেও, এ ব্যাপারে সোচ্চার হতে দেখা যায়। যদিও এ ব্যাপারে পুলিশের তরফে কোন বক্তব্য জনসমক্ষে আসেনি। অনুব্রতর কদর্য বক্তব্য সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পরই তীব্র নিন্দা হয় বিভিন্ন মহল থেকে। এমনকি বিজেপির রাজ্য শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্ব শাসকদলকে আক্রমণ করার হাতিয়ার পেয়ে যায়। একইসঙ্গে তৃণমূল দল থেকে নিজস্ব হ্যান্ডেলে অনুব্রত মণ্ডলের ঘটনার নিন্দা করা হয়। বলা হয় যে, অনুব্রত মণ্ডল একজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন তার সঙ্গে আমাদের দল সম্পূর্ণ দ্বিমত প্রকাশ করছে। এবং এই মন্তব্যকে ও সমর্থন করছে না। পাশাপাশি, দল তাকে নির্দেশ দেয় যে আগামী চার ঘণ্টার মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা না চাইলে তার বিরুদ্ধে দল শোকজ নোটিশ জারি করবে। ইতিমধ্যে, পুলিশের তরফে একটি মুখবন্ধ খামে চিঠি এসে পৌঁছায় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে। অন্যদিকে, বোলপুর থানায় বিএনএস এর ৭৫, ১৩২, ২২৪ ও ৩৫১ ধারায় অনুব্রতর বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়। পাশাপাশি, অডিও ক্লিপটি কিভাবে ভাইরাল হল তা নিয়ে তদন্ত করা হবে বলে জানান, বীরভূমের পুলিশ সুপার আমানদীপ সিং। অবমাননাকর মন্তব্যের তদন্ত শুক্রবার বোলপুর দলীয় কার্যালয়ে অনুব্রত মণ্ডল একটি ভিডিও বার্তায় সকলের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করে বলেন, যে নানুরের শিঙ্গিতে তার এক দলীয় কর্মীর পা ভেঙে গুড়ো করে দেওয়া হয় সে ব্যাপারে তিনি আইসিকে দেখার অনুরোধ করেন। অনুব্রত বলেন, যে নুরুল নামে সেই দলীয় কর্মী গুরুতর অবস্থায় আহত হন। তারপর সেখান থেকে তাকে ফোন করা হয়। রাত্রি দশটায় ঘুমের ওষুধ খেয়ে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। ফোনে ঘুম ভেঙে যাওয়ার পর, তিনি আইসিকে বলেন যে, ওই আহত ব্যক্তিকে বাঁচানোর জন্য আপাতত হাসপাতালে ভর্তি করুন। একইভাবে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ ও আইসিকে অনুরোধ করেন। কিন্তু আইসি তাকে একটি খারাপ কথা বলেন। যেটা তিনি আর বলতে চাইছেন না। তার পক্ষে (অনুব্রতর) এ ধরনের ভাষা ব্যবহার করা উচিত হয়নি। তিনি ক্ষমা চাইছেন।

মে ৩০, ২০২৫
রাজ্য

বিধানসভা ভোটের দামামা বাজিয়ে দিলেন মোদী, শিক্ষা থেকে হিংসা উঠে এল ভাষণে

২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বাজিয়ে দিয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আলিপুরদুয়ারের জনসভায় কড়া ভাষায় আক্রমণ শানালেন তৃণমূল কংগ্রেসকে। এই সরকারকে উৎখাতের ডাক দিয়েছেন মোদী। পাশাপাশি তাঁর ভাষণে উঠে এসেছে মুর্শিদাবাদ, মালদার হিংসার কথা, রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা বরবাদ বলেও উল্লেখ করেছেন মোদী।বৃহস্পতিবার নরেন্দ্র মোদী বলেন, মুর্শিদাবাদ, মালদায় যা হল তা এখানকার সরকারের নির্মমতা। দাঙ্গায় গরিব মা-বোনেদের জীবনভরের পুঁজি লুঠ হয়ে গেল। তুষ্টিকরণের রাজনীতি চলছে, গুন্ডাদের খোলামেলা ছুট দিয়ে রেখেছে সরকার। সরকারে থাকা লোকজন, পার্টির লোকজন মানুষের ঘর চিহ্নিত করে জ্বালাচ্ছে, পুলিশ দাঁড়িয়ে তামাশা দেখছে। এখানে কী পরিস্থিতি চলছে সেটা কল্পনাও করতে পারছি না। সরকার এভাবে চালাতে হয়? গরিব মানুষের উপর অত্যাচার হলেও সরকারের ভ্রুক্ষেপ নেই। সব কিছুতেই এখানে আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। বাংলার মানুষেরও আর তৃণমূলের সরকারের উপর ভরসা নেই। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ একাধিক সংকটে জেরবার বলেও দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। একের পর এক ইস্যু তুলে ধরতে থাকেন নরেন্দ্র মোদী। এই ইস্যুতেও তৃণমূল পরিচালিত সরকারকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন মোদী। তাঁর কথায়, সংকটে জেরবার বাংলা। প্রথম সংকট, একদিকে হিংসা-অরাজকতা চলছে। দ্বিতীয়, মা-বোনেদের ওপর অত্যাচার চলছে। তৃতীয়ত, যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘোরতর নিরাশা তৈরি হয়েছে, কর্মহীনতার যন্ত্রণায় ভুগছে যুবরা। চতুর্থত, বেপরোয়া দুর্নীতি চলছে। পঞ্চম সংকট হল, এই রাজ্যের গরিবের অধিকার ছিনিয়ে নিচ্ছে শাসকদলের রাজনীতি।এরই পাশাপাশি অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিরা যা করেছে, সারা ভারতের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের লোকেদেরও তুমুল আক্রোশ ছিল। আপনাদের সেই আক্রোশ আমি ভালোই বুঝেছি। জঙ্গিরা আমাদের মা-বোনেদের সিঁদুর মোছানোর দুঃসাহস দেখিয়েছিল। আমাদের বীর সেনারা ওদের সিঁদুরের শক্তি কী সেটা বুঝিয়ে দিয়েছে। আমরা জঙ্গি ঘাটি ধ্বংস করেছি। পাকিস্তান এটা কল্পনাও করতে পারিনি। জঙ্গিদের ঠিকানা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এমন শিক্ষা পাবে পাকিস্তান কল্পনাও করেনি। সন্ত্রাসের লালন পালন করে পাকিস্তান। ১৯৪৭-এর পর থেকেই ভারতে সন্ত্রাস পাকিস্তানের। বাংলাদেশে পাকিস্তানের অত্যাচার ভোলবার নয়। তিনবার পাকিস্তানকে ঘরে ঢুকে মেরেছে ভারত।SSC-এর নিয়োগ দুর্নীতির জেরে এই রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয়েছে। শাসকদল তৃণমূলের তাবড় নেতা-মন্ত্রী পাহাড়-প্রমাণ এই দুর্নীতিতে আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারের সভামঞ্চ থেকে রাজ্যের এই নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। শিক্ষাক্ষেত্রে এমন দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যের শাসকদলকে বেনজির নিশানা করেছেন নমো।প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেছেন, তৃণমূলের নেতারা এত বড় পাপ করেও নিজেদের ভুল মানতে নারাজ। হাজার-হাজার পরিবারকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলা হয়েছে। গরিব পরিবারের ছেলে-মেয়েদের অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের পুরো শিক্ষা ব্যবস্থা বরবাদ। শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেও তৃণমূলের নেতারা মানতে নারাজ। বাংলায় হাজার-হাজার শিক্ষকের কেরিয়ার বরবাদ। এখানকার যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘোরতর নিরাশা তৈরি হয়েছে। কর্মহীনতার যন্ত্রণায় ভুগছে যুবরা। বেপরোয়া দুর্নীতি নিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে লাগাতার মানুষের বিশ্বাস কমছে।

মে ৩০, ২০২৫
রাজ্য

মেয়ের প্রথম জন্মদিনে রক্তদান শিবির! সাধুবাদ মালদা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের

মেয়ের প্রথম বছরের জন্মদিনের মাধ্যমে মালদা মেডিকেল কলেজের ব্লাড ব্যাংকের রক্ত সংকট মেটানোর বার্তা নিয়ে এগিয়ে এলেন দাস পরিবার। বুধবার সকাল থেকেই বাড়ির একমাত্র মেয়ের প্রথম বছরের এই জন্মদিনকে ঘিরেই ধুমধাম ভাবে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে ইংরেজবাজার পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের পুরাটুলি এলাকার দাস পরিবার। বাড়ির সামনেই জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের ভ্রাম্যমান রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয় দাস পরিবারের পক্ষ থেকে। আর এই রক্তদান শিবিরের প্রথম রক্তদাতা হিসাবে ছোট্ট এক বছরের আদিক্সা দাসের বাবা দেবাশীষ দাস স্বেচ্ছায় রক্তদান দিয়ে কর্মসূচি সূচনা করেন। এদিন এই জন্মদিন উপলক্ষে বিকেল পর্যন্ত দেবাশীষবাবুর আত্মীয় পরিজন, বন্ধু বান্ধব মিলিয়ে প্রায় ৫০ জন স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন। দেবাশীষবাবুর এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে মালদা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ , স্বাস্থ্য দপ্তর এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।মালদা মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল ডাঃ পার্থপতিম মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এটি খুব ভালো উদ্যোগ। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, বিভিন্ন সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন , নানান রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলি মাঝে মধ্যেই স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করছেন। এদিন ইংরেজবাজার পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের পুরাটুলি এলাকায় এক বছরের ছোট্ট আদিক্সা দাসের জন্মদিন উপলক্ষেই এই রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছিলেন তাঁর বাবা দেবাশীষ দাস। সঙ্গ দিয়েছিলেন দেবাশিষবাবুর স্ত্রী কোয়েল সাহা দাস। এদিন জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর এবং মালদা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা নিয়ে ভ্রাম্যমান ব্লাড ডোনেশন ক্যাম্পের একটি বড় গাড়ি ছোট্ট মেয়ে আদিক্সা দাসের বাড়ির সামনে গিয়ে হাজির হয়। সেই ভ্রাম্যমান গাড়িতেই স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় ব্যবসায়ী দেবাশিষবাবুর পুরাটুলি এলাকায় নিজস্ব বাড়ি রয়েছে। পরিবারের একমাত্র মেয়ে আদিক্সার জন্মদিনে এমন পরিকল্পনা অনেক আগে থেকে নিয়েছিলেন দেবাশিষবাবু এবং তার স্ত্রী কোয়েল সাহা দাস । আর সেটা কার্যত বাস্তবে করে দেখালেন। ব্যবসায়ী দেবাশিষ দাস বলেন, মেডিকেল কলেজে চিকিৎসারত রোগীর আত্মীয়েরা এক ইউনিট রক্তের জন্য কিভাবে ব্লাড ব্যাংকে ছোটাছুটি করছে। মাঝেমধ্যেই দেখি মেডিকেল কলেজের রক্তের সংকট রোগীদের হয়রানির মুখে পড়তে হচ্ছে। আমিও একসময় হয়রানির শিকার হয়েছিলাম। তাই এদিন মেয়ের জন্মদিনে এমন ভাবেই স্বেচ্ছায় রক্তদানের শিবির করেছি। আমার আত্মীয় পরিজন বন্ধু-বান্ধবরা অনেকেই এগিয়ে এসে স্বেচ্ছায় রক্তদান করেছেন। ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছবি দাস জানিয়েছেন, এটা খুব ভালো উদ্যোগ । আমার এলাকার দাস পরিবার তাদের বাড়ির একমাত্র মেয়ের প্রথম জন্মদিনে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছেন । তাদের এই কর্মসূচিকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। এভাবেই সকলকে এগিয়ে আসা উচিত।

মে ২৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

বিশ্বের তারকা ফুটবলার ইয়ামালকে মনে আছে? বিশ্বের অন্যতম বড় ক্লাবে ১০ নম্বর জার্সির মালিক ১৭ বছরেই

মনে আছে লামিল ইয়ামালের কথা? গত বিশ্বকাপ ফুটবলে স্পেনের নাবালক তারকা ফুটবলার। জার্মানীর মাঠ কাঁপিয়ে দিয়েছিল এই ইয়ামাল। আগামী ২০৩১ পর্যন্ত ইয়ামাল লা লিগাতে বার্সেলোনার হয়েই খেলবেন। এই বয়সে মাল্টি মিলিয়নের চুক্তি হয়েছে বার্সেলোনার সঙ্গে ইমামালের। লা লিগাতে এই মরসুমে নিজে শুধু ১৮টি গোল করেননি, গোল করতে সহায়তা করেছেন আরও ১৩টি ক্ষেত্রে। বিপক্ষের ডিফেন্সে রীতিমতো ত্রাস সৃষ্টি করেন এই স্পেনের এই ফুটবলার। খ্যাতি পয়েছেন গত জার্মানী বিশ্বকাপে। স্পেনের দলে প্রয়োজনীয় ফুটবলার ছিলেন তিনি। জার্মানী শ্রম আইন অনুযায়ী ফাইন দিয়েও তাকে দলে রেখেছিল স্পেন। তার ফায়দাও পেয়েছিল তারা। এবার বার্সেলোনার সঙ্গে তার চুক্তি হয়েছে প্রতি মরসুমে তিনি পাবেন বেসিক হিসাবে ১৫ মিলিয়ন ইউরো, যা বোনাস নিয়ে ২০ মিলিয়নে দাঁড়াতে পারে। বার্সেলোনার হয়ে তিনি ইতিমধ্যে মোট ১০৬টি গোল করেছেন। মাত্র ১৭ বছরবয়েস ইয়ামাল যে অর্থ পাচ্ছেন তা যে কারও কাছে বড় স্বপ্ন। তা আগে কেউ পায়নি। তাছাড়া এই মরসুমে ইয়ামাল দলের ১০ নম্বর জার্সি পরবেন।

মে ২৯, ২০২৫
রাজ্য

মেমারিতে বাবা-মাকে খুন করে বনগাঁয় গিয়ে তান্ডব, গ্রেফতার গুণধর ছেলে, ধুন্ধুমার কাণ্ড

শুরু মেমারিতে, যার শেষ হল বনগাঁতে। গুনধর ইঞ্জিনিয়ার ছেলে বাবা-মাকে নৃশংস ভাবে খুন করে পালিয়েছিল বনগাঁয়। সেখানে গিয়ে এলোপাথারি ছুরি চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে জখম করেছে। তাকে জোর করে বের করার জন্য থানা আক্রমণ করেছে স্থানীয় ক্ষুব্ধ জনতা। পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। ধুন্ধুমার কাণ্ড। বুধবার সকালে গলার নলি কাটা অবস্থায় বাড়ির সামনের রাস্তা থেকে উদ্ধার হয় বৃদ্ধ মা ও বাবার রক্তাত মৃতদেহ। মোস্তাফিজুর রহমান (৬৫) ও মমতাজ পারভীন (৫৫)। ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমানের মেমারি পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাশিয়ারা মুক্তারবাগান এলাকায়। জোড়া খুনের খবর পেয়ে জেলার পুলিশ সুপার সায়ক দাস দলবল নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। তবে মৃত দম্পতির ছেলে বাড়িতে না থাকায় পুলিশের সন্দেহ বাড়তে থাকে। তবে এটা যে খুনের ঘটনা তা নিয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত ছিল পুলিশ। খুনের পর বৃদ্ধ দম্পতিকে ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে বাইরে বের করে আনা হয়েছিল। সেই কারণে গোটা নানা জায়গায় রক্তের দাগ দেখা গিয়েছে। রাতে দিকে এই ঘটনার আঁচ গিয়ে পড়ে সীমান্ত এলাকায় উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয়। জানা গিয়েছে, ওই দম্পতির ছেলে হুমায়ূন কবির বাইরে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতো। হুমায়ুনের মানসিক সমস্যা আছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। তাছাড়া বাড়ির সিসিটিভির হার্ড ডিস্ক উধাও বলে জানা গিয়েছে। বৃদ্ধ দম্পতির দেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা নমুনা সংগ্রহ করেছেন। এদিকে বুধবার সন্ধ্যায় অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি বনগাঁ খান শরীফে ঢুকে বেশ কয়েকজনের ওপরে ছুরি নিয়ে আক্রমণ করে। এই ঘটনায় কয়েকজন আহত অবস্থায় বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওই অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। বনগাঁ খান শরীফের সামনে কিছুক্ষণ অবস্থান করে সংখ্যালঘুরা। জানা গিয়েছে, একদল বনগাঁ থানায় এসে আসামিকে ছাড়ানোর জন্য চেষ্টা করে এবং বনগাঁ থানায় ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং কয়েকজনকে আটক করেছে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছান বনগাঁর এসপি দীনেশ কুমার। পরে পুলিশ জানতে পারে ওই যুবক মেমারিতে বাবা-মাকে খুন করে বনগাঁয় এসে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।বনগাঁ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার সাংবাদিকদের জানান, আক্রমণকারী যুবকের নাম হুমায়ন কবির। বয়স ৩৫ বছর, বাড়ি বর্ধমানের মেমারি। আজ সকালে এই ব্যক্তি তার বাবা-মাকে খুন করে এখানে এসেছে। তারা ছুরির আঘাতে চার জন আহত হয়েছে। এদিকে থানা ভাঙচুরের ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আঘাত পেয়েছেন একজন কনস্টেবল ও একজন এএসআই। এদিকে রাতেই মেমারি থানার পুলিশ পৌঁছে গিয়েছে বনগাঁ থানায়।

মে ২৯, ২০২৫
রাজ্য

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জের, যুবকের মাথা ফাটিয়ে, হাত কেটে দিল গৃহবধূ

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাওয়ায় যুবকের উপরে আক্রমণ ও তার বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ প্রতিবেশী গৃহবধূর বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বনগাঁয়। প্রতিবেশী গৃহবধূর সঙ্গে যুবকের চার বছরের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক। সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাওয়ায় যুবকের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া, ব্লেড দিয়ে হাত কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক গৃহবধূর বিরুদ্ধে। শুধু যুবকের উপর হামলা করেই থামেনি প্রতিবেশী ওই গৃহবধূ। যুবকের পরিবারের অভিযোগ, ওই গৃহবধূ তাদের বাড়ির খাবারে বিষ মিশিয়ে দিয়েছে এবং বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগণার বনগাঁ থানার সভাইপুর এলাকায়। সোমবার বনগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করে যুবক। যুবকের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত গৃহবধূকে গ্রেফতার করেছে বনগাঁ থানার পুলিশ। অভিযুক্ত গৃহবধূকে মঙ্গলবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করে পুলিশ।

মে ২৮, ২০২৫
রাজ্য

গভীর রাতে বোমাবাজি ও গুলি হরিহরপাড়ায়, জখম এক, গ্রেফতার ৪

সোমবার গভীর রাতে মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থানার অন্তর্গত নাজিরপুর পূর্বপাড়া এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। অভিযোগ, ওই রাতে একদল দুষ্কৃতী এলাকায় বোমাবাজি চালানোর পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দা নাজিমউদ্দিন শেখ ওরফে কালুকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।গুলিতে তাঁর পায়ে গুরুতর আঘাত লাগে। স্থানীয়রা তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে হরিহরপাড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ ও পরে কলকাতার একটি হাসপাতালে রেফার করা হয়।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জমি দখলকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছিল। সেই বিবাদের জেরেই এই হামলা বলে প্রাথমিক অনুমান। উল্লেখযোগ্য যে, দুই পক্ষই শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত বলে এলাকাবাসীর দাবি।এই ঘটনায় হরিহরপাড়া থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই চারজনকে গ্রেফতার করেছে। এলাকায় উত্তেজনা থাকলেও বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তদন্ত চলছে।হরিহরপাড়া থানার নাজিরপুর পূর্বপাড়া এলাকায় বোমাবাজি ও গুলি চালানোর ঘটনায় আগ্নেয়াস্ত্র গুলি উদ্ধারসহ চার জনকে গ্রেফতার করে বহরমপুর জেলা জজ আদালতে পাঠানো হলো। ধৃতদের তিনজনের বাড়ি নাজিরপুর পূর্বপাড়া এলাকায় একজনের বাড়ি চোয়া এলাকায়

মে ২৮, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal