• ২৩ আষাঢ় ১৪৩২, বৃহস্পতি ১০ জুলাই ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Trophy

খেলার দুনিয়া

অভিমন্যু ঈশ্বরণদের সাম্প্রতিক ফর্ম আশা জাগাচ্ছে রনজিতে, টানা তৃতীয় জয়ের সামনে দাঁড়িয়ে বাংলা

বছর দুয়েক আগে তীরে এসে তরী ডুবেছিল বাংলার। রনজি ফাইনালে উঠেও শেষরক্ষা হয়নি। সৌরাষ্ট্রের কাছে কাছে হেরে রানার্স হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল বাংলাকে। এবছর চ্যাম্পিয়ন হতে পারবে কিনা, সময়ই বলবে। তবে অভিমন্যু ঈশ্বরণদের সাম্প্রতিক ফর্ম দেখে আশাবাদী হতেই পারেন বাংলার ক্রিকেটপ্রেমীরা। বরোদা ও হায়দরাবাদকে প্রথম দুই ম্যাচে হারানোর পর চণ্ডীগড়ের বিরুদ্ধেও চালকের আসনে বাংলা। বাংলার ৪৩৭ রানের জবাবে চণ্ডীগড় প্রথম ইনিংসে শেষ ২০৬ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ৮ উইকেটে ১৮১ ইনিংস সমাপ্তি ঘোষণা করে বাংলা। জয়ের জন্য ৪১২ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় দিনের শেষে চণ্ডীগড় তুলেছে ১৪/২।প্রথম ইনিংসে ২৩১ রানে এগিয়ে যায় বাংলা। সুযোগ ছিল চণ্ডীগড়কে ফলোঅন করানোর। সেই রাস্তায় হাঁটেনি বাংলা। ব্যাটারদের প্র্যাকটিসের সুযোগ দিকেই আবার ব্যাট করতে নামে। প্রথম ইনিংসে চণ্ডীগড় যে বেশিক্ষণ লড়াই করতে পারবে না, দ্বিতীয় দিনের শেষেই ছবিটা পরিস্কার হয়ে গিয়েছিল। ৬ উইকেটে ১৩৩ রানে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছিল। অঙ্কিত কৌশিক ৩০ রানে ও গৌরব গম্ভীর ১১ রানে ক্রিজে ছিলেন। গৌরভ গম্ভীরকে (১৩) দিনের শুরুতেই তুলে নেন মুকেশ কুমার। দলের ২০৬ রানের মাথায় ঈশান পোড়েলের বলে অঙ্কিত কৌশিক আউট হন। তিনি করেন ৬৩। একই ওভারে শ্রেষ্ঠ নির্মোহিকে (০) তুলে নেন ঈশান। জশকরণদীপ সিংকে (৩১) তুলে নিয়ে চণ্ডীগড়কে ২০৬ রানে গুটিয়ে দেন শাহবাজ আমেদ। বাংলার হয়ে নীলকন্ঠ দাস ৩টি, মুকেশ কুমার, ঈশান পেড়েল ও সায়নশেখর মণ্ডল ২টি করে উইকেট নেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলা। নবম ওভারেই ফিরে যান অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরন। তিনি মাত্র ১৪ রান করে আউট হন। বাংলার রান তখন ১৮। আর এক ওপেনার সুদীপ ঘরামি (১৩), তিন নম্বরে নামা ঋত্বিক রায়চৌধুরীও (৬) ব্যর্থ। ৩৯ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলা। মনোজ তেওয়ারিও(১৩) রান পাননি। অনুস্টুপ মজুমদার (৪৩) কিছুটা লড়াই করেন। ১২০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলা। অভিষেক পোড়েল (৩৮) ও শাহবাজ আমেদ (৩২) কিছুটা লড়াই করেন। ৮ উইকেটে ১৮১ তুলে দ্বিতীয় ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষণা করে বাংলা। জয়ের জন্য ৪১২ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে চণ্ডীগড়ও শুরুতে ধাক্কা খায়। সপ্তম ওভারে আর্সলান খানকে (৪) তুলে নেন মুকেশ কুমার। আর এক ওপেনার হারনুর সিংকে (১০) ফেরান ঈশান পোড়েল। দিনের শেষে চন্ডীগড় ২ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ১৪। শেষদিনে জয়ের জন্য বাংলার প্রয়োজন ৮ উইকেট।

মার্চ ০৫, ২০২২
খেলার দুনিয়া

সেঞ্চুরি হাতছাড়া সায়নশেখরের, টানা ৩ ম্যাচ জয়ের পথে বাংলা

এবছর রনজি ট্রফিতে দুরন্ত ছন্দে বাংলা। প্রথম দুটি ম্যাচে বরোদা ও হায়দরাবাদকে হারানোর পর চণ্ডীগড়ের বিরুদ্ধেও জয়ের পথে অভিমন্যু ঈশ্বরণরা। দ্বিতীয় দিনের শেষে চালকের আসনে বাংলা। বাংলার প্রথম ইনিংসে ৪৩৭ রানের জবাবে চণ্ডীগড় তুলেছে ৬ উইকেটে ১৩৩। এখনও পর্যন্ত ৩০৪ রানে পিছিয়ে রয়েছে চণ্ডীগড়। প্রথম দিনের ৩২৯/৬ রান হাতে নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে বাংলা। আগের দিন মনোজ তেওয়ারি ৪২ রানে অপরাজিত ছিলেন। এদিন মাত্র ১১ রান যোগ করে তিনি আউট হন। মনোজ যখন আউট হন, বাংলার রান ৩৫০/৭। এরপর দলকে টেনে নিয়ে যান সায়নশেখর মণ্ডল ও মুকেশ কুমার। জুটিতে ওঠে ৭২ রান। এই জুটিই বাংলাকে ৪০০ রানের গন্ডি পার করে দেন। ২৮ রান করে গুরিন্দার সিংয়ের বলে আউট হন মুকেশ কুমার। পরের বলেই ফেরেন ঈশান পোড়েল (০)। নীলকন্ঠ দাসও (১) বেশিক্ষণ ক্রিজে কাটাতে পারেননি। ফলে সঙ্গীর অভাবে সেঞ্চুরি অধরা থেকে যায় সায়নশেখর মণ্ডলের। ১৪২ বলে ৯৭ রান করে তিনি অপরাজিত থাকেন। ৪৩৭ রানে শেষ হয়ে যায় বাংলার ইনিংস। সেঞ্চুরি হাতছাড়া হলেও আক্ষেপ নেই সায়নশেখরের। ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি চণ্ডীগড়ের। পঞ্চম ওভারে মুকেশ কুমারের বলে বোল্ড হন অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ খেলে আসা হার্নুর সিং (১৫)। এরপর চণ্ডীগড়কে টেনে নিয়ে যান অধিনায়ক মনন ভোরা ও আর্সলান খান। দুজনে ৫০ রানের জুটি গড়ে তোলেন। ১ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারানো চণ্ডীগড় ১০৫ রানের মাথায় হারায় ষষ্ঠ উইকেট। ৯৭ রানে পড়েছিল চতুর্থ উইকেটটি। মনন ৩৫, অমৃত লাল লুবানা ১০, জসকরন সোহি শূন্য ও গুরিন্দর সিং ৪ রানে আউট হন। অঙ্কিত কৌশিক ৩০ ও গৌরব গম্ভীর ১১ রানে অপরাজিত রয়েছেন। নীলকণ্ঠ দাস ১৪ ওভারে ৪টি মেডেন-সহ ২৫ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট দখল করেন। সায়নশেখর মণ্ডল ১০ রান দিয়ে ২টি উইকেট পান। মুকেশ কুমার পেয়েছেন ১টি উইকেট।

মার্চ ০৪, ২০২২
খেলার দুনিয়া

‌দুরন্ত অভিমন্যু ও অনুষ্টুপের ব্যাটে বড় রানের স্বপ্ন বাংলার

বিগত কয়েক মরশুম ধরে বাংলার মূল সমস্যা ছিল ব্যাটিং। বোলাররা জ্বলে উঠলেও ব্যাটারদের ব্যর্থতায় সাফল্য আসেনি। এবছরও রনজির প্রথম দুটি ম্যাচে বরোদা ও হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে দলকে জয় এনে দিয়েছিলেন বোলাররা। গ্রুপ লিগের তৃতীয় ম্যাচে চণ্ডীগড়ের বিরুদ্ধে জ্বলে উঠলেন ব্যাটাররা। অভিমন্যু ঈশ্বরণ ও অনুষ্টুপ মজুমদারের দুরন্ত ব্যাটিংয়ের সুবাদে বড় রানের পথে বাংলা। এই জুটির তৈরি ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে প্রথম দিনের শেষে বাংলার সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৩২৯। আগের দুটি ম্যাচে ওপেনাররা নির্ভরতা দিতে পারেনি বাংলাকে। তৃতীয় ম্যাচেও ছবিটা বদলায়নি। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই ধাক্কা খায় বাংলা। দিনের চতুর্থ বলে ফিরে যান ওপেনার সুদীপ ঘরামি। কোনও রান না করেই জগজিৎ সিংয়ের বলে তিনি বোল্ড হন। এরপর দলকে কিছুটা টানেন অভিমন্যু ও তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা ঋত্ত্বিক রায়চৌধুরি। উইকেটে থিতু হয়েও ব্যর্থ ঋত্ত্বিক। ১২ রান করে তিনি জসকরণ সিংয়ের বলে তিনি বোল্ড হন। ৪২ রানে ২ উইকেট হারায় বাংলা। এরপর অভিমন্যুর সঙ্গে দলের হাল ধরেন অনুষ্টুপ মজুমদার। এই দুই ব্যাটারের দাপটে ব্যাকফুটে চলে যান চণ্ডীগড়ের বোলাররা। দুর্দান্ত ব্যাটিং করে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন অভিমন্যু। শেষ পর্যন্ত ১৭২ বলে ১১৪ রান করে জগজিৎ সিংয়ের বলে আউট হন। এর পরপরই আউট হন অনুষ্টুপ। তিনি যেভাবে ব্যাট করছিলেন, সেঞ্চুরি নিশ্চিত ছিল। গৌরব গম্ভীরের ভেতরে ঢুকে আসা বলে লাইন মিস করে এলবিডব্লু হন অনুষ্টুপ। ১৪৯ বলে ৯৫ রান করে আউট হন তিনি। অভিমন্যু ও অনুষ্টুপের জুটিতে ওঠে ১৯৩। অনুষ্টুপ ফিরে যাওয়ার পরপরই ধস নামে বাংলার ইনিংসে। আগের দুটি ম্যাচে নজরকাড়া অভিষেক পোড়েল (০) ও শাহবাজ আমেদ (৬) রান পাননি। দ্রুত ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলা। একসময় বাংলার স্কোর দাঁড়ায় ২৬৮/৬। সেখান থেকে দলকে টেনে নিয়ে নিয়ে যান মনোজ তেওয়ারি ও সায়নশেখর মণ্ডল। দুজনের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে উঠেছে ৬১। দিনের শেষে মনোজ ৪২ রানে ও সায়নশেখর ৩৩ রানে অপরাজিত রয়েছেন। চণ্ডীগড়ের হয়ে জগজিৎ সিং ৫৩ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন।

মার্চ ০৩, ২০২২
রাজ্য

আবার ব্যাটিং বিপর্যয় বাংলার, জমে উঠেছে ম্যাচ

নাটকীয়ভাবে জমে উঠেছে বাংলা-হায়দরাবাদ রনজি ম্যাচ। চতুর্থ দিন জয়ের জন্য হায়দরাবাদের দরকার ২৩৫ রান। অন্যদিকে, বাংলার প্রয়োজন ৯ উইকেট। বেশ কয়েকবছর ধরে ব্যাটিং বিপর্যয় বাংলার রোগে পরিনত হয়েছে। এই মরশুমেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে কোনও ইনিংসেই আড়াইশো রানের গন্ডি টপকাতে পারল না বাংলা। প্রথম ইনিংসে তুলেছিল ২৪২। দ্বিতীয় ইনিংসে গুটিয়ে গেল মাত্র ২০১ রানে। অনুস্টুপ মজুমদার ও শাহবাজ আমেদের জন্যই ২০০ রানের গন্ডি টপকাতে সমর্থ হয় বাংলা।দ্বিতীয় ইনিংসে হায়দরাবাদের ঘাড়ে বাংলা বড় রানের বোঝা চাপাতে পারত। কিন্তু আবার ব্যাটিং বিপর্যয়ের জন্য সম্ভব হলে না। আগের দিন দ্বিতীয় ইনিংসের প্রথম ওভারে আউট হয়েছিলেন সুদীপ ঘরামি। তৃতীয় দিন ১৫.৩ ওভারে দলের ৩৪ রানের মাথায় অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরনের উইকেট হারায় বাংলা। ২৪ রান করেন ঈশ্বরন। ৬৯ রানের মাথায় পড়ে তৃতীয় উইকেট। ১৭ রান করে আউট হন সায়নশেখর মণ্ডল। প্রাক্তন অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি আবার ব্যর্থ। মাত্র ১৭ বল ক্রিজে ছিলেন। ১০ রান করে তিনি রান আউট হন। ৮১ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় বাংলা। ঋত্বিক রায়চৌধুরি (৪১) মিডল অর্ডারে কিছুটা লড়াই করেন।১১৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলা। এরপর রুখে দাঁড়ান অনুস্টুপ মজুমদার ও শাহবাজ আমেদ। জুটিতে ৬৫ রান তুলে দলের মান বাঁচান। ৪২ রান করে তনয় ত্যাগরাজনের বলে অনুস্টুপ আউট হন। পরপরই রান আউট হন অভিষেক পোড়েল (০)। বাংলার সপ্তম উইকেট পড়ে ১৮৩ রানে। সেখান থেকে ২০১ রানে অল আউট হয়ে যায় বাংলা। ৮৭ বলে শাহবাজ আহমেদ ৫১ রান করে ধারাবাহিকতার পরিচয় দেন। তনয় ত্যাগরাজন ও তিলক ভর্মা ৩টি করে উইকেট নেন। ২৩৯ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারের প্রথম বলেই মুকেশ কুমারের শিকার হন অধিনায়ক তন্ময় আগরওয়াল। দিনের শেষে হায়দরাবাদ ১ উইকেট হারিয়ে চার রান তুলেছে।

ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২২
খেলার দুনিয়া

বাংলার জোরে বোলারদের দাপটে বেকায়দায় হায়দরাবাদ

বল হাতে জ্বলে উঠেছেন মুকেশ কুমার। যোগ্য সহায়তা ঈশান পোড়েল ও আকাশ দীপের। হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফির গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে প্রথম ইনিংসে এগিয়ে গেল বাংলা। বাংলার ২৪২ রানের জবাবে হায়দরাবাদের প্রথম ইনিংস ২০৫ রানে শেষ হয়। দ্বিতীয় দিনের শেষে বাংলা ১ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ১৬। এখনও পর্যন্ত বাংলা দু ইনিংস মিলিয়ে ৫৩ রানে এগিয়ে রয়েছে।আগের দিনের ২ উইকেটে ১৫ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে হায়দরাবাদ। মুকেশ কুমার, ঈশান পোড়েল ও আকাশ দীপের বিধ্বংসী বোলিংয়ের সামনে হায়দরাবাদের ব্যাটাররা বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়। ২৮ রানের মাথায় মুকেশ কুমার তুলে নেন হিমালয় আগরওয়ালকে (১৬)। ৪০ রানের মাথায় চতুর্থ উইকেট হারায় হায়দরাবাদ। প্রতীক রেড্ডিকেও(৬) ফেরান মুকেশ। রাহুল বুদ্ধি ৪ রান করে আকাশ দীপের বলে কট বিহাইন্ড হন। হায়দরাবাদ পঞ্চম উইকেট হারায় ৪৫ রানে। ৬১ রানে পড়ে ষষ্ঠ উইকেট। অধিনায়ক তন্ময় আগরওয়াল ৮০ বলে ২৯ রান করে ঈশান পোড়েলের বলে মনোজ তিওয়ারির হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন। হায়দরাবাদের সপ্তম উইকেট পড়ে ৭০ রানে। মিকি জয়সোয়াল ২ রান করে সায়নশেখর মণ্ডলের বলে বোল্ড হন। ৭০ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পরে হায়দরাবাদ। মনে হচ্ছিল ১০০ রানও পার করতে পারবে না। এরপর রবি তেজা ও তন্ময় ত্যাগরাজন রুখে দাঁড়ান। অষ্টম উইকেট জুটিতে তাঁরা যোগ করেন জুটি ভাঙেন মনোজ তিওয়ারি। তুলে নেন তন্ময়কে। তিনি ১০৩ বলে ৫২ রান করে আউট হন। রবি তেজার লড়াকু ব্যাটিংয়ের সৌজন্যে শেষ পর্যন্ত ৮০ ওভারে ২০৫ রানে শেষ হয় হায়দরাবাদের ইনিংস। ১৯৬ বলে ৮১ রানে অপরাজিত থাকেন রবি তেজা। মুকেশ কুমার ৪৯ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট নেন। ঈশান পোড়েল, আকাশ দীপ, সায়নশেখর মণ্ডল, শাহবাজ আহমেদ ও মনোজ তিওয়ারি ১টি করে উইকেট নেন। ৩৭ রানে এগিয়ে থেকে খেলতে নেমে প্রথম ওভারেই ধাক্কা খায় বাংলা। রক্ষণ রেড্ডির বলে শূন্য রানে আউট হন সুদীপ ঘরামি। দিনের শেষে বাংলা ৮ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ১৬ রান তুলেছে। অভিমন্যু ঈশ্বরন ১০ ও ঋত্ত্বিক রায়চৌধুরী ৩ রানে ক্রিজে রয়েছেন।

ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২২
খেলার দুনিয়া

এভাবেও ফিরে আসা যায়!‌ দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন, জয় দিয়ে রনজি অভিযান শুরু বাংলার

এভাবেও ফিরে আসা যায়! রনজি ট্রফিতে প্রত্যাবর্তনের সেরা উদাহরণ হতে পারে বাংলা। প্রথম ইনিংসে মাত্র ৮৮ রানে গুটিয়ে গিয়ে বরোদার বিরুদ্ধে যেভাবে ৪ উইকেটে জয় তুলে নিল, এককথায় অবিশ্বাস্য। বাংলার জয়ের নায়ক শাহবাজ আমেদ ও অভিষেক পোড়েল। টসে জিতে বরোদাকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন বাংলার অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরণ। প্রথম ইনিংসে ১৮১ রান তোলে বরোদা। জবাবে মাত্র ৮৮ রানে গুটিয়ে যায় বাংলার প্রথম ইনিংস। দ্বিতীয় ইনিংসে বরোদা তোলে ২৫৫। জয়ের জন্য বাংলার সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৪৯। বাংলার সামনে লক্ষ্যটা খুব একটা সহজ ছিল না। চতুর্থ ইনিংসে সাড়ে তিনশো রান তাড়া করা যে কোনও দলের কাছেই কঠিন। সেই কঠিন কাজটাই সহজ করে দিলেন বাংলার দুই ব্যাটার শাহবাজ আমেদ ও অভিষেক পোড়েল।জয়ের জন্য ৩৪৯ রান তাড়া করতে নেমে তৃতীয় দিনের শেষে বাংলার রান ছিল ২ উইকেটে ১৪৬। অভিমন্যু ঈশ্বরণ ৭৯ রানে ও অনুষ্টুপ মজুমদার ২২ রানে অপরাজিত ছিলেন। এদিন শুরুতেই ফিরে যান অভিমন্যু। আগের দিনের সঙ্গে কোনও রান যোগ করতে পারেননি। অনুষ্টুপ মজুমদারও (৩৩) দলকে বেশিক্ষণ টানতে পারেননি। সুদীপ চ্যাটার্জিও (১৮) ব্যর্থ। মনোজ তেওয়ারি (৩৭) কিছুক্ষণ দলকে টানার চেষ্টা করেন। একসময় ২৪২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলা। এরপরই মঞ্চে আবির্ভূত হন অভিষেক পোড়েল। প্রথম ইনিংসে বড় রান করতে না পারলেও গুরুত্বপূর্ণ সময়ে রুখে দাঁড়ালেন। শাহবাজ আমেদের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন অভিষেক পোড়েল। রনজি অভিষেকেই যেভাবে চাপ সামলালেন, এককথায় অনবদ্য। শাহবাজ ও অভিষেকের অসমাপ্ত জুটিতে ওঠে ১০৮ রান। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে ৩৫০ রান তুলে ম্যাচ জিতে নেয় বাংলা। শাহবাজ আমেদ ৭১ ও অভিষেক পোড়েল ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন।

ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ব্যাট হাতে মন্ত্রীমশাইয়ের অবদান শূন্য, চূড়ান্ত ব্যাটিং বিপর্যয় বাংলার

দীর্ঘদিন ক্রিকেটের মধ্যে না থাকার ফল যে কী হতে পারে, বাংলাবরোদা রনজি ম্যাচে তারই প্রমান পাওয়া গেল। বরোদার বিরুদ্ধে চূড়ান্ত ব্যাটিং বিপর্যয় বাংলার। ৫ জন ব্যাটারের নামের পাশে শূন্য। তালিকায় রয়েছেন দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মনোজ তেওয়ারি। বরোদার ১৮১ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে বাংলা গুটিয়ে গেল মাত্র ৮৮ রানে। জবাবে দ্বিতীয় দিনের শেষে বরোদার সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৪৪। সব মিলিয়ে ২৩৭ রানে এগিয়ে বরোদা। কটকে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে টস জিতে বৃহস্পতিবার বরোদাকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন বাংলার অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরণ। বাইশ গজে ঘাসের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত। বাংলার জোরে বোলারদের দাপটে মাত্র ১৮১ রানে গুটিয়ে যায় বরোদা। ইশান পোড়েল ৪০ রানে ৪ উইকেট নেন। মুকেশ কুমার ৩৩ রানে ৩টি ও আকাশ দীপ ৬৩ রানে ২ উইকেট নেন। প্রথম দিনের শেষে বাংলার রান ছিল ১৩ ওভারে ২৪/১। দ্বিতীয় দিনের শুরু থেকেই ধস নামে বাংলার ইনিংসে। দিনের তৃতীয় ওভারেই ফিরে যান সুদীপ চ্যাটার্জি (১১)। পরের ওভারেই ১ বলের ব্যাবধানে অনুষ্টুপ মজুমদার (০) ও মনোজ তেওয়ারিকে (০) তুলে নেন অতীত শেঠ। ওপেন করতে নামা সুদীপ ঘরামিও (২১) দলকে বেশিক্ষণ টানতে পারেননি। এরপর সাময়িকভাবে কিছুটা রুখে দাঁড়ান রনজিতে অভিষেককারী অভিষেক পোড়েল ও শাহবাজ আমেদ। অভিষেক (২১) ফিরতেই ধস বাংলার ইনিংসে। পরপর ফিরে যান ঋত্ত্বিক চ্যাটার্জি (৯), আকাশ দীপ (০), মুকেশ কুমার (০), শাহবাজ আমেদ (২১)। শেষ পর্যন্ত ৩৪.৩ ওভারে ৮৮ রানে গুটিয়ে যায় বাংলার ইনিংস। বরোদার হয়ে অতীত শেঠ ৪৪ রানে ৫ উইকেট নেন। লুকমান মেরিওয়ালা ১৫ রানে নেন ৩ উইকেট। ৯৩ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ভাল শুরু করে বরোদা। ওপেনিং জুটিতে ওঠে ৪১। জ্যোৎস্নিল সিংকে (১২) তুলে নিয়ে প্রথম ধাক্কা দেন ইশান পোড়েল। অন্য ওপেনার কেদার দেবধরকে (৪১) ফেরান শাহবাজ আমেদ। ক্রূণাল পান্ডিয়াকে (১০) তুলে নেন আকাশ দীপ। দিনের শেষে বরোদার সংগ্রহ ১৪৪/৫।

ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২২
খেলার দুনিয়া

‌দু’‌বছর পর আবার রনজি, কী বলছেন লক্ষ্মী, সৌরাশিসরা?‌

যতই আইপিএল কিংবা অন্য ফর্ম্যাটের খেলা হোক না কেন, দেশের সেরা ঘরোয়া ক্রিকেট প্রতিযোগিতা যে রনজি ট্রফি, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। করোনার প্রকোপে দুমরশুম রনজি ট্রফি বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। এই মরশুমে আবার রনজি ট্রফি আয়োজনের ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছে। সচিব জয় শাহ জানিয়ে দিয়েছেন এ বছর দুটি পর্যায়ে রনজি ট্রফি আয়োজন করা হবে। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন ঘরোয়া ক্রিকেটাররা। তেমনই বোর্ডের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা ও সৌরাশিস লাহিড়ীর মতো বাংলার প্রাক্তন ক্রিকেটাররা।বাংলার প্রাক্তন অধিনায়ক তথা অনূর্ধ্ব ২৫ দলের কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লা বলছিলেন, রনজি ট্রফি দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের স্তম্ভ। দু বছর পর আবার রনজি ট্রফি হচ্ছে এর থেকে ভাল আর কিছু হতে পারে না। ভারতীয় বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলিকে অসংখ্য ধন্যবাদ। মহারাজদা ক্রিকেট প্রশাসনে আসার পর থেকেই সবসময় ক্রিকেটারদের স্বার্থের কথা গুরুত্ব দিয়ে এসেছে। করোনা পরিস্থিতিতেও রনজি ট্রফি আয়োজনের কথা ভেবেছ, এটা দারুণ ব্যাপার। দীর্ঘদিন মাঠে নামতে না পেরে ক্রিকেটাররা হতাশ হয়ে পড়েছিল। মানসিকভাবেও ভেঙে পড়েছিল। এই খবরে ওরা বাড়তি উদ্যম পাবে। রনজি ট্রফি না হওয়ায় ক্রিকেটাররা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। লক্ষ্মীর মতে ভারতীয় বোর্ডের পদক্ষেপে ক্রিকেটাররা উপকৃত হবেন।বাংলার আর এক প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা বাংলা সিনিয়র দলের সহকারী কোচ সৌরাশিস লাহিড়ীও রনজি ট্রফি আয়োজনের খবরে দারুণ খুশি। সৌরাশিস বলছিলেন, যতই আইপিএল হোক না কেন, রনজি ট্রফি হল দেশের সেরা ক্রিকেট প্রতিযোগিতা। দেশের ক্রিকেটাররা এই প্রতিযোগিতা খেলেই উঠে আসে। রনজিতেই ক্রিকেটারদের আসল দক্ষতা বিচার হয়। দুবছর পর আবার সেই প্রতিযোগিতা ফিরছে এর থেকে ভাল কিছু আর হতে পারে না। দুবছর রনজি না হওয়ায় নতুন ক্রিকেটার উঠে আসছে না। সৌরাশিস আরও বলেন, ক্রিকেটাররা রনজি খেলার সুযোগ না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছিল। ওরা হাঁফ ছেড়ে বাঁচবে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে ধন্যবাদ জানাতেই হবে। বোর্ড প্রেসিডিন্ট সৌরভ গাঙ্গুলির জন্যই এটা সম্ভব হয়েছে। ইতিমধ্যেই বাংলার রনজি ট্রফির প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে।

জানুয়ারি ২৯, ২০২২
খেলার দুনিয়া

‌অবশেষে ট্রফির খরা কাটল পিভি সিন্ধুর, মুকুটে সৈয়দ মোদি খেতাব

ইন্ডিয়ান ওপেনের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল পিভি সিন্ধুকে। সৈয়দ মোদি আন্তর্জাতিক ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতায় দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ালেন। মালবিকা বাঁসোদকে হারিয়ে মহিলাদের সিঙ্গলসে চ্যাম্পিয়ন পিভি সিন্ধু। সৈয়দ মোদি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দীর্ঘদিনের ট্রফি খরা কাটালেন ভারতের এই মহিলা ব্যাডমিন্টন তারকা।ইন্ডিয়ান ওপেনে সাইনা নেহালকে ছিটকে দিয়ে চমক দেখিয়েছিলেন মালবিকা বাঁসোদ। কিন্তু সৈয়দ মোদি আন্তর্জাতিক ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতায় পিভি সিন্ধুর সামনে দাঁড়াতেই পারলেন না মালবিকা। মাত্র ৩৫ মিনিটেই তাঁকে হারিয়ে খেতাব জিতে নিলেন পিভি সিন্ধু। ম্যাচের ফল ২১১৩, ২১১৬।ম্যাচের শুরু থেকেই দাপট ছিল সিন্ধুর। প্রথম গেমে একসময় ১১১ ব্যবধানে এগিয়ে যান। এরপর মালবিকা কিছুটা খেলায় ফিরলেও তা যথেষ্ট ছিল না। শেষ পর্যন্ত ২১১৩ ব্যবধানে প্রথম গেম জিতে নেন পিভি সিন্ধু। দ্বিতীয় গেমে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ান মালবিকা। তবে সিন্ধুর সামনে তা যথেষ্ট ছিল না। একসময় ১৩৫ ব্যবধানে এগিয়ে যান সিন্ধু। ব্যবধান কমিয়ে ২০১৫ করে ফেলেন মালবিকা। কিন্তু শেষরক্ষা করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ২১১৬ ব্যবধানে দ্বিতীয় গেম জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়ে যান সিন্ধু। মহিলাদের সিঙ্গলসে সিন্ধু চ্যাম্পিয়ন হলেও পুরুষদের সিঙ্গলসের ফাইনাল ঘিরে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। ফাইনালে মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল আর্নন্ড মার্কলে ও লুকাস ক্লেয়ারবাউটের। এদের মধ্যে একজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যজন করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে এসেছিলেন। ফলে রবিবার ফাইনাল বাতিল করা হয়। এই পরিস্থিতিতে কাকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হবে, তা এখনও ঠিক হয়নি। পুরুষদের সিঙ্গলসের বিজয়ীর ব্যাপারে আন্তর্জাতিক ব্যাডমিন্টন সংস্থা পরে সিদ্ধান্ত নেবে। মিক্সড ডাবলসে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারতের ইশান ভাটনগর ও তানিশা ক্রাস্টোর জুটি। ফাইনালে এই জুটি ২১১৬, ২১১২ ব্যবধানে হারিয়েছে ভারতের টি হেমা নগেন্দ্র ও শ্রীবেদ্য জুটিকে।

জানুয়ারি ২৩, ২০২২
খেলার দুনিয়া

Ranji Trophy : ‌রনজি ট্রফি স্থগিত করবে বোর্ড?‌ বাংলা শিবিরে করোনা হানায় আশঙ্কার মেঘ

করোনার বাড়বাড়ন্তে এবছরও স্থগিত হয়ে যাবে না তো রনজি ট্রফি? দেশের এই কুলীন প্রতিযোগিতা ঘিরে তৈরি হয়েছে আশঙ্কার বাতাবরণ। যেভাবে বিভিন্ন রাজ্যে করোনার প্রকোপ বাড়তে তাতে চিন্তার ভাঁজ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কর্তাদের কপালে। চিন্তা আরও বাড়িয়েছে বাংলা রনজি দলের ৭ জন ক্রিকেটারের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবরে।রনজির জন্য বেশ কয়েকদিন আগেই বাংলার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস মাঠে অনুশীলন করছিল বাংলা শিবির। এর মাঝেই বাংলা দলের সব সদস্যের করোনা পরীক্ষা করা হয়। রবিবার রাতে রিপোর্ট আসে। রিপোর্টে দেখা যায় ৬ জন ক্রিকেটার ও একজন সাপোর্ট স্টাফ করোনায় আক্রান্ত। এই ৬ ক্রিকেটারের মধ্যে রয়েছেন অনুষ্টুপ মজুমদার, সুদীপ চ্যাটার্জি, কাজি জুনাইদ সইফি, গীত পুরি, প্রদীপ্ত প্রামানিক, সুজিত যাদব। এদের সঙ্গে সহকারী কোচ সৌরাশিস লাহিড়ীর রিপোর্টও পজিটিভ এসেছে। ক্রিকেটারদের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার পরপরই জরুরি ভিত্তিতে রবিবার রাতেই বৈঠকে বসেন সিএবি কর্তারা। বৈঠকে ঠিক হয়, আপাতত প্রথম ও দ্বিতীয় ডিভিশন ক্লাব ক্রিকেট, জেলা ক্রিকেট স্থগিত রাখা হবে। পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করতে মঙ্গলবার অ্যাপেক্স কাউন্সিলের বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেই বৈঠকেই স্থানীয় ক্লাব ক্রিকেটের ভবিষ্যত ঠিক করা হবে।অনুষ্টুপ মজুমদার, সৌরাশিস লাহিড়ীদের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এলেও কারও কোনও উপসর্গ নেই। শনিবার সব ক্রিকেটারই প্রস্তুতি ম্যাচে অংশ নিয়েছিলেন। কারও সমস্যা দেখা যায়নি। কিন্তু আরটিপিসিআর(RTPCR) পরীক্ষার পর জানা যায় দলের ৭ জন সদস্য করোনায় আক্রান্ত। বাংলা শিবিরে করোনা হানা দেওয়ায় চিন্তায় পড়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। এর আগে বিজয় হাজারে ট্রফি শুরুর আগে মুম্বই দলের কয়েকজন সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাঁদের বাদ দিয়েই বিজয় হাজারে ট্রফি খেলতে গিয়েছিল বাংলা।রনজির ট্রফির প্রস্তুতির জন্য বাংলা দলের সঙ্গে প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলাতে আজই কলকাতায় আসার কথা ছিল মুম্বইয়ের। দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কথা। প্রথমটা ৪৫ জানুয়ারি, দ্বিতীয়টা ৬৭ জানুয়ারি। কিন্তু বাংলা শিবিরে করোনা হানা দেওয়ায় মুম্বই প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচ বাতিল করেছে। দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচও খেলবে কিনা, তা এখনও মুম্বইয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি।এবছর রনজি শুরু হতে আর মাত্র ১০ দিন বাকি। দেশে হু হু করে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এই অবস্থায় আদৌও রনজি ট্রফি আয়োজন করা সম্ভব কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। যদিও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে সরকারিভাবে এখনও কিছু জানানো হয়নি। কলকাতাতেও একটা গ্রুপের খেলা হবে। কিন্তু রাজ্য সরকার বেশকিছু বিধিনিষেধ জারি করেছে। এই পরিস্থিতিতে কলকাতায় রনজি ম্যাচ আয়োজন করা সম্ভব কিনা, তা নিয়ে চিন্তিত বোর্ড কর্তারাও।

জানুয়ারি ০৩, ২০২২
খেলার দুনিয়া

Asian Champions Trophy Hockey : পাকিস্তানকে আবার হারাল ভারত, তবে ব্রোঞ্জ জিতেই সন্তুষ্ট থাকতে হল মনপ্রীতদের

টোকিও অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ জিতে ভারতীয় হকিকে নতুন দিশা দেখিয়েছিলেন মনপ্রীত সিংরা। এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতীয় দলকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেছিলেন হকিপ্রেমীরা। অন্যতম ফেবারিট হিসেবেও প্রতিযোগিতায় খেলতে নেমেছিলেন মনপ্রীতরা। কিন্তু সেমিফাইনালে জাপানের কাছে হেরে স্বপ্নপূরণ হয়নি। ব্রোঞ্জের লড়াইয়ে নামতে হয়েছিল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। শেষপর্যন্ত পাকিস্তানকে ৪৩ ব্যবধানে হারিয়ে ব্রোঞ্জ জিতল ভারত।সেমিফাইনালে জাপানের কাছে ৫৩ ব্যবধানে হেরে মনোবল অনেকটাই ভেঙে পড়েছিল ভারতীয় দলের। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন। তবে ব্রোঞ্জ জিততে ভারতীয় দলকে যথেষ্ট লড়াই করতে হল। সেমিফাইনালে হারের হতাশা ঝেড়ে ফেলে এদিন দারুণভাবে শুরু করেছিল ভারত। প্রথম মিনিটেই হরমনপ্রীত সিংয়ের গোলে এগিয়ে যায়। শুরুতেই গোল পেয়ে যাওয়ায় আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায় ভারতীয় দলের। একের পর এক আক্রমণ তুলে নিয়ে আসে পাকিস্তান গোলমুখে। কিন্তু তিনকাঠির নীচে পাকিস্তান গোলকিপার আমজাদ আলি অপ্রতিরোধ্য হওয়ায় ব্যবধান বাড়াতে পারেনি ভারত। উল্টে প্রতি আক্রমনে উঠে এসে ১০ মিনিটে গোল করে পাকিস্তানকে সমতায় ফেরান আফ্রাজ। প্রথম কোয়ার্টারে ৫টি পেনাল্টি কর্ণার আদায় করে একটিও কাজে লাগাতে পারেনি ভারত। দ্বিতীয় কোয়ার্টারে আধিপত্য বজায় রাখলেও ব্যবধান বাড়াতে পারেননি মনদীপ সিংরা।দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও ভারতের আক্রমনের চাপ ছিল ভারতের। খেলার গতির বিরুদ্ধে ৩৩ মিনিটে পেনাল্টি কর্ণার থেকে পাকিস্তানকে এগিয়ে দেন আব্দুল রানা। এরপর মরিয়া হয়ে ওঠে ভারত। ৪৫ মিনিটে সমতা ফেরান সুমিত। তৃতীয় কোয়ার্টারে ম্যাচের ফল ছিল ২২। ৫৩ মিনিটে পেনাল্টি কর্ণার থেকে গোল করে ভারতকে ৩২ ব্যবধানে এগিয়ে দেন বরুণ কুমার। ৫৭ মিনিটে ললিত উপাধ্যায়ের পাস থেকে ৪২ করেন আকাশদীপ সিং। প্রায় সঙ্গে সঙ্গে পাকিস্তানের হয়ে ব্যবধান কমান আহমেদ নাদিম। শেষদিকে সমতা ফেরানোর জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে পাকিস্তান। কিন্তু কাজের কাজ কিছু করতে পারেনি। এই নিয়ে প্রতিযোগিতায় পাকিস্তানেরল বিরুদ্ধে দুবার জিতল ভারত।

ডিসেম্বর ২২, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Asian Champions Trophy Hockey : জাপানি ‘‌সুনামি’‌তে উড়ে গেল ভারত, ফাইনালের স্বপ্ন অপূর্ণ মনপ্রীতদের

এ যেন গ্রুপ লিগের উল্টোপূরান। এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগ হকির গ্রুপ লিগের ম্যাচে জাপানকে হাফডজন গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল ভারত। সেমিফাইনালে সেই জাপানেরই মুখোমুখি হয়েছিলেন মনপ্রীতরা। গ্রুপ লিগের ফলাফলে হয়তো একটু বেশিই আত্মতুষ্ট হয়ে পড়ছিল ভারতীয় শিবির। অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের খেসারত দিতে হল মনপ্রীতদের। জাপানের কাছে হেরে ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন চূরমার হয়ে গেল টোকিও অলিম্পিকে ব্রোঞ্জজয়ীদের। ভারতকে ৫২ ব্যবধানে হারিয়ে গ্রুপ লিগে হারের মধুর প্রতিশোধ নিল জাপান। একই সঙ্গে পৌঁছে গেল এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হকির ফাইনালে। গ্রুপ লিগে মনপ্রীতরা শুরু থেকেই ঝাঁপিয়ে পড়ে জাপানকে মাথা তুলে দাঁড়ানোর সুযোগ দেয়নি। সেমিফাইনালে ভারতের বিরুদ্ধে সেই একই স্ট্র্যাটেজি নিয়েছিল জাপান। শুরু থেকেই ভারতীয় রক্ষণে আক্রমণের ঝড় তোলে। ১ মিনিটের মধ্যেই পেনাল্টি কর্ণার আদায় করে। যা কাজে লাগিয়ে জাপানকে এগিয়ে দেন সোতা ইয়ামাদা। প্রথম মিনিটে গোল খাওয়ার ধাক্কা ভারত সামলে ওঠার আগেই ব্যবধান বাড়ায় জাপান। দ্বিতীয় মিনিটে আবার পেনাল্টি কর্ণার আদায় করে। যা থেকে গল করে আবার ব্যবধান বাড়ায় জাপান। শুরু থেকেই একের পর এক আক্রমণ তুলে নিয়ে এসে ভারতের রক্ষণকে ব্যতিব্যস্ত করে দেয় জাপান। ম্যাচের প্রথম ৬ মিনিটের মধ্যে ৬টি পেনাল্টি কর্ণার আদায় করে। প্রথম কোয়ার্টারে কোনও আক্রমণ গড়ে তোলার সুযোগ পায়নি ভারত। দ্বিতীয় কোয়ার্টারে শুরুতেই প্রথম আক্রমণে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন মনপ্রীতরা। ১৬ মিনিটে ভারতের হয়ে ব্যবধান কমান দিলপ্রীত সিং।এরপর মনপ্রীত সিংদের খেলা দেখে মনে হচ্ছিল ম্যাচে ফিরতে পারে ভারত। জাপানি আক্রমণ সামলে মাঝে মাঝে প্রতি আক্রমণে উঠে আসছিল। কিন্তু ভারতের ম্যাচে ফেরার স্বপ্নে আবার ধাক্কা দেয় জাপান। ২৯ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ব্যবধান বাড়ান কেনতা তানাকা। ম্যাচের প্রথমার্ধে ৩১ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল জাপান। ৩৫ মিনিটে ভারতীয় রক্ষণের ভুলে ৪১ করে জাপান। ৪১ মিনিটে জাপানকে ৫১ গোলে এগিয়ে দেন গ্রিম। ৫৩ মিনিটে পেনাল্টি কর্ণার থেকে ব্যবধান কমান হরমনপ্রীত সিং। ৫২ হওয়ার পর শেষদিকে মরিয়া হয়ে ওঠে ভারত। একের পর এক পেনাল্টি কর্ণার আদায় করে। কিন্তু কাজে লাগাতে পারছিলেন না হরমনপ্রীতরা। ৬০ মিনিটে হার্দিক সিং ৫৩ করেন।

ডিসেম্বর ২১, ২০২১
খেলার দুনিয়া

India Hockey : ‌জাপানকে হাফডজন গোল, এশিয়ান হকিতে ভারতের দাপট চলছেই

চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে হারিয়ে আগেই সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছিল ভারতীয় হকি দল। আগের ম্যাচে পাকিস্তানকে হারানোর পর আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল মনদীপ সিংদের। লিগের শেষ ম্যাচে জাপানের বিরুদ্ধে ড্র করলেই শীর্ষস্থানে পৌঁছে যেত ভারত। কিন্তু মনপ্রীতদের লক্ষ্য ছিল জাপানকে হারিয়েই শীর্ষস্থান দখল করা। সেই লক্ষ্যে সফল ভারতীয় হকি দল। জাপানকে ৬০ ব্যবধানে উড়িয়ে এশিয়ান হকি চ্যাম্পিয়নশিপে লিগ টেবিলে শীর্ষস্থান দখল করল ভারত।প্রতিযোগিতায় মনপ্রীত সিংরা যে দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন আগের দুটি ম্যাচেই প্রমাণ পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ, পাকিস্তান ম্যাচের মতো জাপানের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক মেজাজে শুরু করেছিল ভারত। ৬ মিনিটের মধ্যেই দুদুটি পেনাল্টি কর্ণার আদায় করে নেয়। যদিও কাজে লাগাতে পারেনি। জাপানও প্রতি আক্রমণে উঠে এসে ৭ মিনিটে একটা পেনাল্টি কর্ণার আদায় করে নেয়। তারাও কাজে লাগাতে পারেনি। অবশেষে ১০ মিনিটে তৃতীয় পেনাল্টি কর্ণার কাজে লাগিয়ে ভারতকে এগিয়ে দেন হরমনপ্রীত সিং। ১৫ মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সহজ সুযোগ পেয়েছিলেন ললিত উপাধ্যায়। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেননি। প্রথম কোয়ার্টারে খেলার ফল থাকে ১০।দ্বিতীয় কোয়ার্টারেও ভারতের সেই আধিপত্য বজায় থাকে। জাপানও মাঝে মাঝে প্রতি আক্রমণে উঠে এসে ভারতীয় রক্ষণে হানা দিচ্ছিল। কিন্তু ভারতীয় রক্ষণভাগের খেলোয়াড়দের দৃঢ়তায় গোল করতে পারেনি। ২৩ মিনিটে মনপ্রীত সিংয়ের পাস থেকে ২০ করেন দিলপ্রীত সিং। দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে ফেরার মরিয়া চেষ্টা করে জাপান। কিন্তু মনপ্রীতরা কোনও সুযোগ দেননি। ৩৪ মিনিটে জারমানপ্রীত সিংয়ের গোলে ব্যবধান বাড়ায় ভারত।৩৬ মিনিটে পেনাল্টি কর্ণার পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি জাপান। পরের মিনিটেই ভারতীয় গোলকিপার সুরজ কারকেরা একটি নিশ্চিত গোল বাঁচান। চতুর্থ কোয়ার্টারে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে ভারত। ৪৬ মিনিটে ৪০ করেন সুমিত। ৫৩ মিনিটে পেনাল্টি কর্ণার কাজে লাগিয়ে ব্যবধান বাড়ান হরমনপ্রীত সিং। ১ মিনিট পরেই শীলানন্দ লাকড়ার পাস থেকে ৬০ করেন সামশের সিং। ৪ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট পেয়ে শীর্ষে পৌঁছে যায় ভারত।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২১
খেলার দুনিয়া

India vs Pakistan Hockey : পাকিস্তানকে হারিয়ে দুর্দান্ত জয় ভারতের, পৌঁছে গেল এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে

এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হকিতে শুরুটা ভাল হয়নি ভারতের। লিগের প্রথম ম্যাচেই কোরিয়ার কাছে আটকে যেতে হয়েছিল অলিম্পিকে ব্রোঞ্জজয়ীদের। পরের ম্যাচে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন। বাংলাদেশকে উড়িয়ে দিয়েছিল ৯০ ব্যবধানে। তৃতীয় ম্যাচেও দারুণ জয়। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে ৩১ ব্যবধানে হারিয়ে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হকির সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করল ভারত। দীর্ঘদিন একে অপরের মুখোমুখি হয়নি দুই দল। শেষবার মুখোমুখি হয়েছিল ২০১৮ সালে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির গ্রুপ লিগে। ৩১ ব্যবধানে জিতেছিল ভারত। দুই দল ফাইনালে উঠলেও ম্যাচ ভেস্তে গিয়েছিল। তারপর আর দুই দল একে অপরের বিরুদ্ধে খেলেনি। দীর্ঘ ৩ বছর পর আবার সেই এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির লিগ পর্যায়ে মুখোমুখি হল ভারতপাকিস্তান। সেই ৩ বছর আগের ম্যাচের পুনরাবৃত্তি। ৩১ ব্যবধানে জিতে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করল ভারত।সাম্প্রতিক পারফরমেন্সের ভিত্তিতে এদিন ফেবারিট হিসেবেই মাঠে নেমেছিল ভারত। শুরু থেকেই পাকিস্তানের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন মনপ্রীতরা। ৭ মিনিটে পেনাল্টি কর্ণার কাজে লাগিয়ে ভারতকে এগিয়ে দেন হরমনপ্রীত সিং। প্রথম কোয়ার্টারে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ এসেছিল ভারতের সামনে। সুমিতের শট একবার পোস্টে লেগে ফিরে আসে। আর মনপ্রীত সিংয়ের প্রয়াস রুখে দেন পাকিস্তানের গোলকিপার। ২১ মিনিটে রাজকুমার পাল গোল করার সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেননি। ম্যাচের প্রথমার্ধে ১ গোলের ব্যবধানেই এগিয়েছিল ভারত।দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেও সেই ভারতের আধিপত্য। ৪ মিনিটের মধ্যেই দু-দুটি সুযোগ পেয়েছিলেন মনপ্রীতরী। কিন্তু পাকিস্তানের রক্ষণভাগের দৃঢ়তায় গোল আসেনি। ৪২ মিনিটে ব্যবধান বাড়ায় ভারত। লাকড়া ৩ জন পাকিস্তান খেলোয়াড়কে ড্রিবল করে বল সাজিয়ে দেন আকাশদীপ সিংকে। গোল করতে ভুল করেননি আকাশদীপ। মিনিট তিনেক পরেই ব্যবধান কমায় পাকিস্তান। জুনেইদ মঞ্জুর পাকিস্তানের হয়ে গোল করেন। তৃতীয় কোয়ার্টারে খেলার ফল থাকে ভারতের পক্ষে ২১।সমতা ফেরানোর জন্য চতুর্থ কোয়ার্টারের শুরু থেকেই মরিয়া হয়ে ওঠে পাকিস্তান। চতুর্থ কোয়ার্টারের শুরুতেই একটি পেনাল্টি কর্ণার আদায় করে। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি। ৫১ মিনিটে সহজ সুযোগ পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন আকাশদীপ সিং। পরের মিনিটেই পেনাল্টি কর্ণার পায় পাকিস্তান। জুনেইদ মঞ্জুরের শট আটকে দেন ভারতের গোলকিপার। ৫৩ মিনিটে পেনাল্টি কর্ণার থেকে ৩১ করেন ভারতের ড্রাগফ্লিকার হরমনপ্রীত সিং। শেষদিকে দুই দলই একটি করে পেনাল্টি কর্ণার পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Vijoy Hazare Trophy: ‌শেষ ম্যাচে কর্ণাটককে হারিয়েও বিজয় হাজারে থেকে বিদায় বাংলার

আগের ম্যাচে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে দুরন্ত জয়ে লাইফ লাইন পেয়েছিল বাংলা। এমন একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল গ্রুপ লিগের শেষ ম্যাচে কর্ণাটককে হারালে নক আউটের ছাড়পত্র মিলবে। অঙ্কও একটা ছিল। সেক্ষেত্রে বরোদার বিরুদ্ধে তামিলনাডুকে এবং পন্ডিচেরীর বিরুদ্ধে মুম্বইকে জিততে হবে। বাংলা জিতলেও বাকি দুটি অঙ্ক মিলল না। বরোদার কাছে তামিলনাডুর হার বিজয় হাজারে ট্রফির গ্রুপ লিগ থেকেই ছিটকে দিল বাংলাকে। কর্ণাটককে ৪ উইকেটে হারিয়েও শেষরক্ষা হল না। এলিট গ্রুপ বিতে ১২ পয়েন্টে শেষ করল তামিলনাডু, কর্ণাটক, বাংলা ও পন্ডিচেরী। যদি দুটি দল ১২ পয়েন্টে শেষ করত, তাহলে মুখোমুখি ফলাফলের ভিত্তিতে ঠিক হত কোন দল নক আউটে যাবে। কিন্তু ৪টি দল ১২ পয়েন্টে শেষ করায় নেট রান রেট দেখা হয়েছে। নেট রান রেটে সবার ওপরে রয়েছে তামিলনাডু (+১.০৫২)। দ্বিতীয় স্থানে কর্ণাটক (+০.৭৮৯), তৃতীয় স্থানে বাংলা (-০.২৩৫), চতুর্থ স্থানে পন্ডিচেরী (-১.৩৬০)। ফলে এই গ্রুপ থেকে প্রথম ও দ্বিতীয় হয়ে তামিলনাডু ও কর্ণাটক নক আউটের টিকিট পেয়েছে।নক আউটে যাওয়ার জন্য বাংলা ও কর্ণাটকের কাছে এদিনের ম্যাচ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন কর্ণাটক অধিনায়ক মণীশ পাণ্ডে। শুরুটা তেমন আহামরি হয়নি কর্ণাটকের। ১০.১ ওভারে ৩৫ রানের মধ্যেই ২ উইকেট হারায়। দশম ওভারে রবিকুমার সমর্থকে (১৭) তুলে নিয়ে কর্ণাটককে প্রথম ধাক্কা দেন আকাশ দীপ। পরের ওভারেই কৃষ্ণমূর্তি সিদ্ধার্থকে (১) ফেরার ঋত্ত্বিক চ্যাটার্জি। এরপর রোহন কদম ও অধিনায়ক মণীশ পাণ্ডের জুটি কর্ণাটককে টেনে নিয়ে যায়। ৫৫ বলে ৩৭ রান করে আউট হন রোহন কদম। তাঁকে ফেরান ঋত্ত্বিক চ্যাটার্জি। দলে ১৬১ রানের মাথায় আউট হন মণীশ পাণ্ডে। ৮৫ বলে তিনি করেন ৯০। করুণ নায়ার ২৫ রান করেন। ২৯ বলে অপরাজিত ৩৭ রান করে প্রবীন দুবে কর্ণাটককে ২৫২/৮ রানে পৌঁছে দেন।ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু করেছিল বাংলা। ৭ ওভারেই ৫০ রানে পৌঁছে যায়। এরপরই ধাক্কা। ফিরে যান রনজ্যোৎ সিং খাইরা (৭)। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা অনুষ্টুপ মজুমদার (৮) ব্যর্থ। ৪৮ বলে ৫৮ রান করে আউট হন অভিষেক দাস। এরপর বাংলাকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান অধিনায়ক সুদীপ চ্যাটার্জি ও ঋত্ত্বিক রায় চৌধুরি। ৫৬ বলে ৬৩ রান করে কারিয়াপ্পার বলে আউট হন সুদীপ। ৬২ বলে ৪৯ রান করেন ঋত্ত্বিক রায় চৌধুরি। ২৬ বলে ২২ রান করেন শুভঙ্কর বল। বাংলাকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন শাহবাজ আমেদ (অপরাজিত ২৬) ও ঋত্ত্বিক চ্যাটার্জি (অপরাজিত ১০)। ৪৮.৩ ওভারে ২৫৩/৬ তুলে ম্যাচ জিতে নেয় বাংলা। জিতেও অবশ্য নক আউটের ছাড়পত্র এল না।

ডিসেম্বর ১৪, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Vijoy Hazare Trophy : ‌‌‌‌মুম্বইকে হারিয়ে বিজয় হাজারের নক আউটের লাইফ লাইন পেল বাংলা

বাংলার টিম ম্যানেজমেন্ট যতই তারুণ্যকে প্রাধান্য দিতে চায় না কেন, অভিজ্ঞতার যে বিকল্প নেই প্রমাণ হয়ে গেল। তামিলনাডুর বিরুদ্ধে ব্যাটিং ব্যর্থতার জন্য ডুবতে হয়েছিল বাংলাকে। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে মরণবাঁচন ম্যাচে সেই অভিজ্ঞতার দ্বারস্থ হতে হল টিম ম্যানেজমেন্টকে। প্রথম একাদশে ফেরানো হল অনুষ্টুপ মজুমদারকে। তাঁর দুরন্ত ব্যাটিং বিজয় হাজারে ট্রফিতে লাইফ লাইন দিল বাংলাকে। ভিজেডি নিয়মে মুম্বইকে ৬৭ রানে হারিয়ে নক আউট পর্বে যাওয়ার সম্ভাবনা জিইয়ে রাখল বাংলা। শেষ ম্যাচে কর্ণাটককে বড় ব্যবধানে হারালে পরের রাউন্ডের টিকিট মিলতেও পারে সুদীপ চ্যাটার্জিদের। তবে অনেক অঙ্কের সামনে পড়তে হবে বাংলাকে।রবিবার বাংলামুম্বই ম্যাচ দুই দলের কাছেই ছিল ডু অর ডাই। যে দল হারবে, প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে যাবে। এই পরিস্থিতিতে টস জিতে বাংলাকে ব্যাট করতে পাঠায় মুম্বই। মরণবাঁচন ম্যাচে বেশ কয়েকটা পরিবর্তন করেছিল বাংলা। শ্রীবৎস গোস্বামীকে প্রথম একাদশের বাইরে রাখা হয়। তাঁর পরিবর্তে দলে আসেন শুভঙ্কর বল। কাইফ আমেদ, সুমন্ত গুপ্তর বদলে প্রথম একাদশে অনুষ্টুপ মজুমদার ও রনজোৎ সিং খৈরা। এতদিন তাঁকে বসিয়ে রেখে টিম ম্যানেজমেন্ট যে ভুল করেছিল, প্রমাণ করে দিলেন অনুষ্টুপ মজুমদার।শ্রীবৎসর পরিবর্তে এদিন অভিষেক দাসের সঙ্গে ওপেন করতে নেমেছিলেন সুদীপ চ্যাটার্জি। ব্যাটিং অর্ডার বদলেও ছন্দে ফিরতে পারলেন না বাংলার অধিনায়ক। ৫ রান করে মোহিত অবস্তির বলে বোল্ড হন সুদীপ। এরপর ব্যাট হাতে বাইশ গজে আবির্ভাব অনুষ্টুপ মজুমদারের। আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাট করতে থাকেন দুজনেই। ১০ ওভারেই ৮০ রানে পৌঁছে যায় বাংলা। এরপর আবার ধাক্কা। ৩৬ বলে ৩৮ রান করে আউট হন অভিষেক। ব্যাটিং অর্ডারে এগিয়ে আসা ঋত্ত্বিক রায় চৌধুরি (৪) ব্যর্থ। শাহবাজ আমেদকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাকে এগিয়ে নিয়ে যান অনুষ্টুপ। ৫২ বলে ৫০ রান পূর্ণ করেন তিনি। ৩৫.৫ ওভারে ২০০ রানে পৌঁছে যায় বাংলা। ১১০ বলে সেঞ্চুরি করেন অনুষ্টুপ। শেষ পর্যন্ত ১২২ বলে ১১০ রান করে আউট হন তিনি। শাহবাজের সঙ্গে জুটিতে তোলেন ১২৯। এই জুটিই বাংলার বড় রানের ভিত গড়ে দেয়।অনুষ্টুপ আউট হওয়ার পর ঋত্ত্বিক চ্যাটার্জিকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাকে এগিয়ে নিয়ে যান শাহবাজ। ৯৫ বলে ১০০ রান পূর্ণ করেন তিনি। মোহিত অবস্তিকে ৬ মেরে পরের বলেই আউট হন শাহবাজ (১০৬)। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ৩১৮ রান তোলে বাংলা। ২৭ বলে ৩৩ রান করেন ঋত্ত্বিক চ্যাটার্জি।জয়ের জন্য ৩১৯ রানের লক্ষ্য সহজ ছিল না মুম্বইয়ের সামনে। মুম্বইয়ের ব্যাটিংও তেমন শক্তিশালী নয়। একমাত্র ভরসা সূর্যকুমার যাদব। কিন্তু মুম্বই ব্যাটিংয়ের এই স্তম্ভ ভাল শুরু করেও শেষরক্ষা করতে পারেননি। ৩৪ বলে ৪৯ রান করে তিনি প্রদীপ্ত প্রামানিকের বলে স্টাম্পড হন। তার আগেই আউট হন যশস্বী জয়সোয়াল (১৯) ও আকারশীট গোয়েল (৩৩)। আরমান জাফর করেন ৪৭। ৪১ ওভারে মুম্বই ৮ উইকেটে ২২৩ রান করার পর বৃষ্টির জন্য খেলা বন্ধ হয়ে যায়। ভিজেডি নিয়মে ৬৭ রানে জেতে বাংলা। বাংলার হয়ে প্রদীপ্ত প্রামানিক ৩৩ রানে ৩ উইকেট নেন।

ডিসেম্বর ১২, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Vijoy Hazare Trophy: ‌‌তামিলনাডুর কাছে বিধ্বস্ত, বিজয় হাজারেতে অস্তিত্ব সংকটে বাংলা

সৈয়দ মুস্তাক আলি টি২০ প্রতিযোগিতায় ব্যর্থতা। কোয়ার্টার ফাইনালে কর্ণাটকের কাছে হেরে প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় নিতে হযেছিল বাংলাকে। বিজয় হাজারে ট্রফিতে তো আরও খারাপ অবস্থা। গ্রুপ পর্যায়ের বাধা টপকানোই অসম্ভব হয়ে পড়েছে বাংলার কাছে। শনিবার তামিলনাডুর কাছে অস্তিত্ব সংকটে বাংলা। দীনেশ কার্তিকদের কাছে ১৪৬ রানে বিধ্বস্ত হলেন সুদীপ চ্যাটার্জিরা। তরুণ ক্রিকেটারদের নিয়ে সাফল্যের যে স্বপ্ন দেখেছিল বাংলার টিম ম্যানেজমেন্ট, এককথায় সেই স্বপ্ন ধুলিস্যাৎ হয়ে গেল। একদিন আগেই পুদুচেরির কাছে ডাকওয়ার্থ ও লুইস নিয়মে হারের ধাক্কা বাংলা যে কাটিয়ে উঠতে পারেনি, তা পরিস্কার। তাছাড়া প্রথম দুটি ম্যাচে বাংলাকে তেমন কঠিন প্রতিপক্ষর সামনে পড়তে হয়নি। তামিলনাডুর মতো শক্ত প্রতিপক্ষর মুখে পড়ে বাংলার ক্রিকেটের অন্তঃসারশূন্যতা প্রকট হয়ে উঠল। বোঝা গেল বাংলার ক্রিকেট যে তিমিরে ছিল, সেই তিমিরেই রয়েছে।ত্রিবান্দমের গ্রিনফিল্ড স্টেডিয়ামে এদিন টসে জিতে তামিলনাডুকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল বাংলার অধিনায়ক সুদীপ চ্যাটার্জি। শুরুটা ভাল হয়নি তামিলনাডুর। বাংলার দুই জোরে বোলার মুকেশ কুমার ও আকাশ দীপের আঁটোসাঁটো বোলিংয়ের সামনে সেভাবে আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতে পারেননি তামিলনাডুর দুই ওপেনার সাই সুদর্শন ও অধিনায়ক নারায়ন জগদেশন। নবম ওভারের দ্বিতীয় বলে সুদর্শনকে (১২) বোল্ড করেন মুকেশ কুমার। পরের বলেই তুলে নেন ওয়াশিংটন সুন্দরকে (০)। পরপর দুবলে দুটি উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় তামিলনাডু। ৫০ রান আসে ১৬ ওভারে। এক ওভার পরেই অধিনায়ক নারায়ন জগদেশনকে (৩১) তুলে নেন শাহবাজ আমেদ। এইসময় মনে হচ্ছিল তামিলনাডুর পক্ষে বড় রান তোলা কঠিন হয়ে যাবে। কিন্তু রুখে দাঁড়ান বাবা ইন্দ্রজিৎ ও দীনেশ কার্তিক। তাঁদের ১০৫ রানের জুটি চাপমুক্ত করে তামিলনাডুকে। ৭৩ বলে ৬৪ রান করে প্রদীপ্ত প্রামানিকের বলে শ্রীবৎসর হাতে ক্যাচ দেন বাবা ইন্দ্রজিৎ। ইন্দ্রজিৎ আউট হলেও মনঃসংযোগ হারাননি দীনেশ কার্তিক। দলকে টেনে নিয়ে যান এই অভিজ্ঞ উইকেটকিপারব্যাটার। শেষ পর্যন্ত ৯৫ বলে ৮৭ রান করে আকাশ দীপের বলে শ্রীবৎসর হাতে ক্যাচ দেন কার্তিক। এরপর গ্রিনফিল্ড স্টেডিয়ামের বাইশ গজে ঝড় তোলেন জগদীশন কৌশিক ও শাহরুখ খান। এই দুজনের ঝড়ে উড়ে যান মুকেশ কুমার, আকাশ দীপরা। শেষ ৭ ওভারে তামিলনাডু তোলে ৯৭ রান। ৩১ বলে ৫০ রান করেন কৌশিক। শাহরুখ ১২ বলে করেন ৩২। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৯৫ রান তোলে তামিলনাডু। মুকেশ কুমার ৭১ রানে ও আকাশ দীপ ৬৪ রানে ৩টি করে উইকেট নেন। সামনে বড় রানের লক্ষ্য দেখে চাপে পড়ে যায় বাংলা। তার ওপর দ্বিতীয় ওভারেই ধাক্কা খায়। রঘুপতি সিলাম্বরসনের বলে আউট হন শ্রীবৎস গোস্বামী (১)। অভিষেক দাস ও তিন নম্বরে নামা ঋত্ত্বিক চ্যাটার্জি বাংলাকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ১১.২ ওবারে আউট হন অভিষেক (৩০)। পরের ওভারেই ফেরেন ঋত্ত্বিক (১৬)। এরপর নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়তে থাকায় আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি বাংলা। সুদীপ চ্যাটার্জি (১৫), কাইফ আমেদ (১০), ঋত্ত্বিক রায় চৌধুরি (১২), শাহবাজ আমেদরা (৫) ব্যর্থ। সুমন্ত গুপ্ত (২৫) ও প্রদীপ্ত প্রামানিক (২৮) কিছুটা লড়াই করেন। ৩৯.১ ওভারে ১৪৯ রাননে গুটিয়ে যায় বাংলার ইনিংস। রঘুপতি সিলাম্বরসন ২৮ রানে ৪ উইকেট নেন। ৩ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট পেয়ে গ্রুপ শীর্ষে তামিলনাডু। ৩ ম্যাচে কর্ণাটকের পয়েন্ট ৮, বাংলার ৪। বাংলাকে পরের দুটি ম্যাচে খেলতে হবে মুম্বই ও কর্ণাটকের বিরুদ্ধে।

ডিসেম্বর ১১, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Vijoy Hazare Trophy: ‌‌পুদুচেরীর বিরুদ্ধে সহজ ম্যাচে বাংলার পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়াল বৃষ্টি

বিজয় হাজারে ট্রফির প্রথম ম্যাচেই শক্তিশালী বরোদার বিরুদ্ধে দুর্দান্ত জয়। বাংলা শিবিরের আশা ছিল দ্বিতীয় ম্যাচে পুদুচেরীকে হারিয়ে লিগ টেবিলে এগিয়ে যাওয়া। স্বপ্নপূরণ হল না সুদীপ চ্যাটার্জির। বাংলার পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়াল বৃষ্টি। বড় রান তুলেও জয় অধরা থেকে গেল। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে বাংলার পরাজয় ৮ রানে। বরোদার বিরুদ্ধে বাংলার ম্যাচ ছিল গ্রীনফিল্ড স্টেডিয়ামে। এদিন পুদুচেরী ম্যাচ ছিল মঙ্গলাপূরমে। উইকেট একেবারে অজানা। কেমন আচরণ করবে সে সম্পর্কে কোনও ধারণা ছিল না বাংলা শিবিরের কাছে। তাই টস জিতে ঝুঁকি নেননি বাংলার অধিনায়ক সুদীপ চ্যাটার্জি। প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন। প্রথম ম্যাচে রান পাওয়া অভিষেক দাস এদিন ব্যর্থ। মাত্র ৮ রান করে তিনি আউট হন। কাইফ আমেদও (০) এদিন রান পাননি। শ্রীবৎস গোস্বামী (৪৫) অবশ্য প্রথম ম্যাচের ব্যর্থতা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ালেন। একের পর এক উইকেট পড়লেও তিনি একপ্রান্ত ধরে রেখেছিলেন। সুদীপ চ্যাটার্জি (২৭), ঋত্ত্বিক রায় চৌধুরিরা (৩২) দ্রুত ফিরে যান। একসময় ১১৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল বাংলা। সেখান থেকে শাহবাজ আমেদের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে টেনে নিয়ে যান সুমন্ত গুপ্ত (২২)। শেষদিকে ঝড় তোলেন শাহবাজ। ৮টি চার এবং ৪টি ছয়ের সাহায্যে তিনি ৬০ বলে ৮৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। তাঁর দাপটে ৫০ ওভারে ২৬৪/৮ রানে পৌঁছে যায় বাংলা। বড় ইনিংস গড়লেও ভাগ্য এদিন বাংলার সহায় ছিল না। তৃতীয় ওভারেই পুদুচেরীর প্রথম উইকেট তুলে নেন মুকেশ কুমার। ফেরান অধিনায়ক দামোদরন রোহিতকে (০)। একাদশতম ওভারে অপর ওপেনার রামচন্দ্রন রঘুপতিকে (১৫) তুলে নেন শাহবাজ আআমেদ। এরপর দলকে টেনে নিয়ে যান পবন দেশপান্ডে (অপরাজিত ৬২) ও পরশ ডোগরা (অপরাজিত ৪১)। ৩০ ওভার খেলা হওয়ার পর বৃষ্টি নামে। তখন পুদুচেরীর রান ছিল ২ উইকেটে ১৩২। পরে বৃষ্টি থামলেও মাঠ ভেজা থাকায় আর খেলা শুরু করা যায়নি। সেই সময় ডাকওয়ার্থ ও লুইস নিয়মে পুদুচেরীর সামনে জয়ের জন্য লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩০ ওভারে ১২৫। ৮ রানে ম্যাচ জিতে যায় পুদুচেরী।

ডিসেম্বর ০৯, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Vijoy Bazare Trophy : ‌বরোদাকে ২৮ রানে হারিয়ে বিজয় হাজারে ট্রফি অভিযান শুরু করল বাংলা

সৈয়দ মুস্তাক আলি টি২০ প্রতিযোগিতার ব্যর্থতা কাটিয়ে বিজয় হাজারে ট্রফিতে দারুণ শুরু করল বাংলা। প্রথম ম্যাচে বরোদাকে হারাল ২৮ রানে। বাংলার জয়ে মুখ্য ভুমিকা নিলেন বোলাররা। ত্রিবান্দ্রমের গ্রিনফিল্ড স্টেডিয়ামে টস জিতে বাংলাকে ব্যাট করতে পাঠান বরোদা অধিনায়ক কেদার দেবধর। শুরুটা ভাল হয়নি বাংলার। প্রথম ওভারেই মেরিওয়ালার বলে লেগ বিফোর হন শ্রীবৎস গোস্বামী (০)। স্কোর বোর্ডে কোনও রান ওঠার আগেই শ্রীবৎস ফিরে যাওয়ায় সতর্কভাবে ব্যাট করতে থাকেন অন্য ওপেনার অভিষেক দাস ও তিন নম্বরে নামা অধিনায়ক সুদীপ চ্যাটার্জি। ১২.৫ ওভারে ৫০ রান পূর্ণ হয় বাংলার। এরপর আবার ধাক্কা বাংলা শিবিরে। ১৫ নম্বর ওভারের শেষ বলে অতীত শেঠের বলে ভার্গব ভাটের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন সুদীপ চ্যাটার্জি। ৪০ বলে তিনি করেন ১৪। এরপর বাংলাকে টেনে নিয়ে যান অভিষেক দাস ও কাইফ আমেদ। ৯০ বলে ৬২ রান রান করে ক্রূণাল পান্ডিয়ার বলে প্রত্যুষ কুমারের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন অভিষেক। বাংলার রান তখন ৩০.৫ ওভারে ১১৫। সুমন্ত গুপ্ত (১৬) বড় রান পাননি।মিডল অর্ডারে ঝড় তোলেন ঋত্ত্বিক রায় চৌধুরি। ৩৬ বলে ৪৮ রান করে তিনি আউট হন। লোয়ার অর্ডারের ব্যর্থতায় বড় ইনিংস গড়তে পারেনি বাংলা। ৪৯.৪ ওভারে ২৩০ রানে গুটিয়ে যায় বাংলার ইনিংস। শাহবাজ আমেদ (৫), ঋত্ত্বিক চ্যাটার্জি (২), আকাশ দীপ (০), গীত পুরিরা (০) রান পাননি। বরোদার হয়ে অতীত শেঠ ৬২ রানে ৪টি ও লুকমান মেরিওয়ালা ৩৩ রানে ৩ উইকেট নেন। ক্রূণাল পান্ডিয়া ৩৪ রানে ২ উইকেট পান।জয়ের জন্য ২৩১ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে বরোদাও শুরুতে ধাক্কা খায়। দ্বিতীয় ওভারেই ফিরে যান শ্বাশত রাওয়াত (০)। আকাশ দীপের বলে তিনি উইকেটের পেছনে শ্রীবৎসর হাতে ক্যাচ দেন। এরপর কেদার দেবধর ও প্রত্যুষ কুমার বরোদাকে টেনে নিয়ে যান। দুজনে মিলে জুটিতে তোলেন ৭৪। কেদারকে (৩৫) তুলে নিয়ে জুটি ভাঙেন ঋত্ত্বিক চ্যাটার্জি। ১ ওভার পরেই ফেরান প্রত্যুষকে (৩৮)। বিষ্ণু সোলাঙ্কি (১০) রান আউট হতেই রান তোলার গতি কমে যায় বরোদার। একসময় ১১৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল বরোদা। ক্রূণাল পান্ডিয়া ও কার্তিক কাকাদে দলকে ম্যাচে ফেরান। এই জুটি বরোদাকে জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছিল। কাকাদেকে (২৮) তুলে নিয়ে জুটি ভাঙেন মুকেশ কুমার। পরের ওভারেই ক্রূণাল পান্ডিয়াকে ফেরান (৩৯) শাহবাজ আমেদ। তখনই জয়ের আশা শেষ হয়ে যায় বরোদার। ৪৮.২ ওভারে ২০৩ রানে গুটিয়ে যায় বরোদার ইনিংস। বাংলার হয়ে আকাশ দীপ ৩৯ রানে ৩টি, মুকেশ কুমার ৪১ রানে ২টি, ঋত্ত্বিক চ্যাটার্জি ৩২ রানে ২টি ও শাহবাজ আমেদ ৪৮ রানে ২টি উইকেট নেন।

ডিসেম্বর ০৮, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Vijoy Hazare Trophy: ‌হতাশা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে বাংলা?‌ বিজয় হাজারেতে সামনে বরোদা

সৈয়দ মুস্তাক আলি টি২০ প্রতিযোগিতা ঘিরে স্বপ্ন দেখেছিল বাংলা। ভাল পারফরমেন্স আশা করেছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। গ্রুপ লিগে দুর্দান্ত পারফরমেন্স করে শীর্ষে থেকে পৌঁছে গিয়েছিল নক আউটে। কিন্তু কোয়ার্টার ফাইনালে শেষরক্ষা হয়নি। দুর্দান্ত লড়াই করেও কর্ণাটকের কাছে হেরে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল বাংলাকে। সৈয়দ মুস্তাক আলি টি২০ প্রতিযোগিতায় ব্যর্থতার আক্ষেপ রয়েছে। তবে হতাশা কাটিয়ে বিজয় হাজারে ট্রফিতে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া বাংলা। এলিট বি গ্রুপের প্রথম ম্যাচে বাংলার সামনে বরোদা। বিজয় হাজারে প্রতিযোগিতার দল গঠনে তারুণ্যের পাশাপাশি অভিজ্ঞতার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে বাংলা। দলে ফেরানো হয়েছে সৈয়দ মুস্তাক আলি টি২০ প্রতিযোগিতায় সুযোগ না পাওয়া অনুষ্টুপ মজুমদার, শ্রীবৎস গোস্বামীদের। যদিও ঋদ্ধিমান সাহার না থাকাটা বাংলার কাছে বড় ধাক্কা। বরোদার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে মাঠে নামার আগে অনুষ্টুপ মজুমদার, শ্রীবৎস গোস্বামী, সুদীপ চ্যাটার্জিদের অভিজ্ঞতার ওপর ভরসা করেছেন বাংলার হেড কোচ অরুণলাল। বরোদার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে মাঠে নামার আগে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন পর আমরা এই ফরম্যাটে খেলতে নামছি। ভাল প্রস্তুতি হয়েছে। দলেও দারুণ ভারসাম্য রয়েছে। তরুণদের পাশাপাশি অনুষ্টুপ, সুদীপ, শ্রীবৎসদের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা রয়েছে। ওদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে। সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে শ্রীবৎস গোস্বামী, অনুষ্টুপ মজুমদারের মতো অভিজ্ঞদের বাইরে রেখেই দল গড়েছিল বাংলা। অভিজ্ঞতার অভাবে বাংলাকে ডুবতে হয়েছিল। সৈয়দ মুস্তাক আলির ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে আবার অনুষ্টুপদের ফেরানো হয়েছে। মাঠে নিয়েও চিন্তা রয়েছে বাংলা শিবিরে। ত্রিবান্দমের গ্রিনফিল্ড স্টেডিয়ামে বরোদার বিরুদ্ধে খেলতে নামবে বাংলা। দীর্ঘদিন এই স্টেডিয়ামে কোনও ম্যাচ হয়নি। ফলে স্টেডিয়ামের বাইশ গজ কেমন আচরণ করবে, সে ব্যাপারে কোনও ধারণা নেই বাংলা শিবিরের। অরুণলাল বাইশ গজ সম্পর্কে বলেন, দীর্ঘদিন এই মাঠে খেলা হয়নি। উইকেট কেমন হবে তা বুজতে পারছি না। দেখে ভাল মনে হয়েছে। তবে কেমন আচরণ করবে সেটাই দেখার।দীর্ঘদিন পর ৫০ ওভারের ম্যাচ খেলতে নামলেও চিন্তিত নয় বাংলা শিবির। সহকারী কোচ সৌরাশিস লাহিড়ী বলেন, দলের সব ক্রিকেটার দারুণ ফোকাসড। আমরা ত্রিবান্দ্রমে আসার আগে ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে ৫টা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছি। দল দারুণ তৈরি। ভাল প্রস্তুতির জন্য ম্যাচ প্র্যাকটিসের কোনও বিকল্প হয় না। বরোদাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন সৌরাশিস। তিনি বলেন, হার্দিক পান্ডিয়া না থাকলেও বরোদা যথেষ্ট শক্তিশালী দল। ক্রূণাল পান্ডিয়াসহ আরও ভাল ভাল ক্রিকেটার রয়েছে। আশা করছি ভাল লড়াই হবে।

ডিসেম্বর ০৭, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • ›

ট্রেন্ডিং

খেলার দুনিয়া

খেলার ফাঁকে দিদার হাতের খিচুড়ি-পাঁপড়! বেহালা ফ্রেন্ডসের অনুষ্ঠানে সৌরভের অজানা অধ্যায়

খিচুড়ি-পাঁপড় থেকে ফাইভ স্টারের খাবার। বাংলার ক্রিকেটের উত্তরণকে এভাবেই তুলে ধরলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। এক অজানা গল্পের মধ্যে দিয়ে। আলিপুরের ধনধান্য অডিটোরিয়ামে, বেহালা ফ্রেন্ডসের ৮৫ বছর পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে।সৌরভ বলেন, কলকাতায় রিকশ দেখা যায় ব্রহ্ম সমাজ রোডে। আমার দাদুর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল বেহালা ফ্রেন্ডসের কর্তাদের সঙ্গে। ছোটবেলায় গরমের ছুটিতে মামার বাড়ি যেতাম। দেখতাম আমার দিদা নিজের হাতে বড়িশা স্পোর্টিং আর বেহালা ফ্রেন্ডসের ক্রিকেটারদের জন্য রান্না করে পাঠাতেন। আমি যখন বড়িশায় খেলি তখনও দিদা রিকশ করে ডেচকিতে খিচুড়ি, পাঁপড় পাঠাতেন। আর এখন দেখি ইডেনে সিক্স বালিগঞ্জ প্লেস, বিজলি গ্রিলের খাবার ক্রিকেটারদের জন্য।বেহালা ফ্রেন্ডসের শীর্ষকর্তা তথা সিএবির অবজারভার কমিটির চেয়ারম্যান শ্রীমন্ত কুমার মল্লিকের প্রশংসা করে সৌরভ বলেন, বেহালা মানেই ফ্রেন্ডস! শ্রীমন্তদা আমার পাড়ার মানুষ, আমরা ভালো বন্ধু। ওঁর জন্যেই আজ এই ক্লাব এই জায়গায় পৌঁছেছে। দ্বিতীয় ডিভিশন চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল খেলেছে। আরও এগিয়ে চলুক।সৌরভের জন্মদিন ছিল মঙ্গলবার। তবে বুধবারেও এই অনুষ্ঠানে সৌরভকে জন্মদিনের কেক কাটতে হলো। শ্রীমন্ত কুমার মল্লিক মহারাজকে কেক খাওয়ালেন, তাঁকে জড়িয়ে ধরলেন সৌরভ। এদিন ক্রিকেটারদের সংবর্ধিত করল বেহালা ফ্রেন্ডস। ছিল মনোময় ভট্টাচার্যের মনোজ্ঞ সংগীতানুষ্ঠান। উপস্থিত ছিলেন সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়, বিধায়ক দেবাশিস কুমার, সিএবির ট্যুর ও ফিক্সচার ও টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান সঞ্জয় দাস, আম্পায়ার কমিটির চেয়ারম্যান প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ সিএবির প্রাক্তন ও বর্তমান একাধিক পদাধিকারী।

জুলাই ০৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

লড়াই লর্ডসে, বুমরাহ ফিরছেন ভারতের একাদশে, ইংল্যান্ডের বাজি আর্চার

পাঁচ টেস্টের সিরিজ এখন ১-১। বৃহস্পতিবার থেকে তৃতীয় টেস্ট লর্ডসে। উইকেটে এখনও ঘাস আছে। ফলে প্রথমদিকে পেসাররা ফায়দা আদায় করে নিতে পারবেন। ভারতীয় একাদশে ফিরছেন জসপ্রীত বুমরাহ। ফলে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণকে বসতে হবে। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই কুলদীপ যাদবকে খেলানোর পক্ষে সওয়াল করেছেন। তাঁর কথায়, পেস সহায়ক উইকেট হলে নিশ্চিতভাবেই পেসার কমানো হবে না। কিন্তু তা না হলে ওয়াশিংটন সুন্দর বা নীতীশ কুমার রেড্ডির জায়গায় কুলদীপকে খেলানো উচিত। যেভাবে বোলাররা এজবাস্টন টেস্টে ২০ উইকেট নিয়েছেন, তাতে ভারতীয় দলের মনোবল তুঙ্গে থাকবে। ইংল্যান্ডে টেস্ট জিততে চারশো রান করতে হবে বলেও জানান মহারাজ।ইংল্যান্ড দলে একটিই পরিবর্তন। জোফ্রা আর্চারকে আনা হলো। দুটি টেস্টে ১১টি শিকার ঝুলিতে পুরে সর্বাধিক উইকেটশিকারী জশ টংকে ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের কারণে বসানো হলো। ইংরেজ অধিনায়ক বেন স্টোকস টস জিতলে ফের রান তাড়ার চ্যালেঞ্জ নেন কিনা সেদিকে নজর থাকবে। বৃহস্পতিবার বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই।লর্ডসে ভারত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ১৯টি টেস্ট খেলে জিতেছে তিনটিতে, ইংল্যান্ডের জয় ১২টিতে। ভারত ২০১৪ ও ২০২১ সালে ইংল্যান্ডকে হারিয়েছে ক্রিকেটের মক্কায়। ২০২১ সালের টেস্টটিতে লোকেশ রাহুল শতরান করেছিলেন, মহম্মদ সিরাজ নেন ৮ উইকেট।

জুলাই ০৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

কয়েক কোটি টাকা নয়ছয়! সিএবি যুগ্ম সচিব দেবব্রতর বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড়, ওম্বুডসম্যানের দৃষ্টি আকর্ষণ

ফের বিতর্কে সিএবির যুগ্ম সচিব দেবব্রত দাস। যাঁর কথায় মারাত্মকভাবে আহত হয়ে বাংলা ছেড়ে ত্রিপুরায় চলে গিয়েছিলেন ঋদ্ধিমান সাহা। ম্যাচ গড়াপেটা-সহ নানা কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত হন সিএবির এই যুগ্ম সচিব। এবার তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক কেলেঙ্কারির গুরুতর অভিযোগ তুলে সিএবিকে চিঠি পাঠাল আদিত্য স্কুল অব স্পোর্টস। এমনকী সিএবির ওম্বুডসম্যানের কাছেও জমা পড়ল অভিযোগ, আর্জি জানানো হলো তদন্ত শুরুর। সবমিলিয়ে কয়েক কোটি টাকার আর্থিক কেলেঙ্কারি বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।গত এপ্রিল মাসে সিএবিতে চিঠিটি পাঠিয়েছে আদিত্য স্কুল অব স্পোর্টস। যার প্রতিলিপি আমাদের হাতে এসেছে। কী অভিযোগ? দেখে নেওয়া যাক। আদিত্য স্কুল অব স্পোর্টস ম্যানেজমেন্টের তরফে চিঠিতে স্বাক্ষর রয়েছে সচিন ধন্দগের (Sachin Dhondge)। অভিযোগ, এই সংস্থার থেকে চার লক্ষ টাকা নিয়েছেন দেবব্রত। বিনিময়ে তিনি আশ্বাস দেন, আদিত্য স্কুল অব স্পোর্টস সিএবি স্বীকৃত ক্লাবের মর্যাদা পাবে। সংস্থাটি ভেবেছিল এর ফলে শিক্ষার্থীরা সিএবি অনুমোদিত বিভিন্ন টুর্নামেন্ট খেলার সুযোগ পাবেন এবং মিলবে যথাযথ স্বীকৃতি।যদিও দুই বছর পেরিয়ে গেলেও দেবব্রত দাস প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেননি বলে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনেছে আদিত্য স্কুল অব স্পোর্টস। এমনকী এই সময়কালে সংস্থার তরফে দেবব্রত দাসকে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি, মেসেজের উত্তর দেননি। ফলে বিশ্বাসভঙ্গের পাশাপাশি দেবব্রত দাস নিজের পদের অপব্যবহার করেছেন বলে চিঠিতে উল্লেখ। সিএবির মতো প্রতিষ্ঠানকে এমন কেলেঙ্কারিতে যেভাবে জড়ানোর চেষ্টা হলো তাতে বিস্মিত আদিত্য স্কুল অব স্পোর্টস।সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে চিঠিতে যথোপযুক্ত পদক্ষেপের আর্জি জানানো হয়েছে। অভিযুক্ত দেবব্রত দাসের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চালানোর পাশাপাশি চার লক্ষ টাকা তাঁর কাছ থেকে আদায় করে ফেরত দেওয়ার আবেদন জানিয়েছে সংস্থাটি। এই ধরনের স্পর্শকাতর বিষয়ে যথাযথ শৃঙ্খলাজনিত পদক্ষেপ সিএবি করবে এবং ন্যায়বিচার সুনিশ্চিত করবে বলে আশা আদিত্য স্কুল অব স্পোর্টসের। চিঠিটি পাঠানো হয়েছে এপ্রিল মাসে। তারপর মাস দুয়েক পেরিয়ে গেলেও বহাল তবিয়তে দেবব্রত দাস ঘুরছেন বলে জানতে পেরেছে সংস্থাটি। এমনকী বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানেও তাঁকে দেখা গিয়েছে। এর মধ্যেই গত ২ জুলাই সিএবির ওম্বুডসম্যানের কাছে জমা পড়ল চাঞ্চল্যকর একাধিক অভিযোগ। টাউন ক্লাবের সভাপতি বিশাখ ঘোষের তরফে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ, দল নির্বাচনী বৈঠকে তিনি উপস্থিত থাকেন এবং নির্বাচকদের প্রভাবিত করেন বলে দাবি করে দেবব্রত বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের কাছ থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা নিয়েছেন। বাংলার বিভিন্ন দলে সুযোগ করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে এই টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ। সেই সংক্রান্ত আর্থিক লেনদেনের নথিও জমা পড়েছে ওম্বুডসম্যানের কাছে।নিজের পদের অপব্যবহার করে বিশেষ করে বছর দেড়েক ধরে দেবব্রত যে অনৈতিক কাজ চালাচ্ছেন, দুর্নীতি করছেন, শৃঙ্খলাভঙ্গ করছেন তা টাউন ক্লাব ও সিএবির গরিমায় আঘাত বলে উল্লেখ।টাউন ক্লাবের তরফে আরও অভিযোগ, সৌম্যদীপ মণ্ডল, গীত পুরীর মতো ক্রিকেটারদের দেবব্রত বাধ্য করেছেন টাউন ক্লাবের হয়ে খেলার জন্য। তাঁদের আশ্বাস দেন টাউনের হয়ে খেললে বাংলা দলে সুযোগ মিলবে। তবে তাঁদের যে অর্থের বিনিময়ে টাউন ক্লাবের হয়ে খেলতে বলা হয়েছিল সেই অর্থ বকেয়া রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ। আবার এমন অভিযোগও আছে যে, অনেকের কাছ থেকে দেবব্রত এই আশ্বাস দিয়ে টাকা নিয়েছেন যে তাঁদের সিএবি অনুমোদিত ক্লাবে খেলার বন্দোবস্ত করে দেবেন। প্রতারিত হয়ে, বিশ্বাসভঙ্গের শিকার হয়ে আর্থিক লেনদেনের কপি-সহ ক্রিকেটার ও অভিভাবকরা অভিযোগ জানিয়েছেন টাউন ক্লাবে।এমনকী টাউন ক্লাবের ক্রিকেটারদের খাবারের বিল তিনি সিএবির ক্যান্টিন বিলে যোগ করেছেন বলে অভিযোগ। সেই বিলগুলিতে দেবব্রত নিজেই স্বাক্ষর করেছেন। এ বিষয়ে ওম্বুডসম্যানের কাছে যথাযথ তদন্তের আবেদন জানানো হয়েছে। আদিত্য স্কুল অব স্পোর্টসের মতো মুর্শিদাবাদের মিলন, কালীঘাট ক্লাবের সমীরণ দাস, রিয়াল এস্টেটের মালিক অমিত গুপ্ত সিএবির যুগ্ম সচিবের বিরুদ্ধে আর্থিক কেলেঙ্কারি ও প্রতারণার অভিযোগ এনেছেন সিএবি সভাপতির কাছে। বিষয়টি জানতে পেরেছে টাউন ক্লাবও।একাধারে সিএবির যুগ্ম সচিব, অন্যদিকে টাউন ক্লাবের কর্তা হিসেবে দেবব্রত দাস যে কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন তাতে তা স্বার্থের সংঘাত বলে দাবি করেছে টাউন ক্লাব। দেবব্রতকে শোকজ করা ও তাঁর বিরুদ্ধে উপযুক্ত তদন্ত শুরু করে যথোপযুক্ত পদক্ষেপের অনুরোধ জানানো হয়েছে টাউন ক্লাবের কাছে। এই অভিযোগ নিয়ে দেবব্রতর প্রতিক্রিয়া মেলেনি। সিএবিতে বার্ষিক সাধারণ সভা তথা নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। এই আবহে এমন গুরুতর অভিযোগে শোরগোল বঙ্গ ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থায়।

জুলাই ০৮, ২০২৫
দেশ

ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা, ট্রেনের ধাক্কা স্কুল বাসকে, মৃত দুই, জখম বহু

ট্রেনের ধাক্কা স্কুল বাসে। ট্রেন ও বাসের সংঘর্ষে ২ জন শিক্ষীর্থীর মৃত্য়ু হয়েছে। বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে তামিলনাড়ুর কুড্ডালোর জেলায় রেলক্রসিংয়ে একটি স্কুল ভ্যান ও ট্রেনের ধাক্কায় দুই শিক্ষার্থীর মত্যু হয় এবং চারজন আহত হয়েছে। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ট্রেনটি রেলগেট বন্ধ না করেই যাচ্ছিল। সেই কারণেই সম্ভবত স্কুল বাসটি রেল লাইনে চলে আসে।সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, সকাল ৭.৪৫ মিনিটে ভ্যানটি কুমারপুরমের কৃষ্ণস্বামী বিদ্যানিকেতন সিনিয়র সেকেন্ডারি স্কুলে শিশুদের নিয়ে যাওয়ার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। কুড্ডালোরের পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট এস জয়াকুমার জানিয়েছেন, ভিল্লুপুরম-মায়িলাদুথুরাই যাত্রীবাহী ট্রেনটি গাড়িটিকে ধাক্কা দেয়।দুর্ঘটনায় ১৬ বছর বয়সী এক ছাত্রী এবং ১২ বছর বয়সী এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। আহতদের মধ্যে ভ্যানের চালক, দুই শিশু, আরেকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। একজন স্থানীয় বাসিন্দাও আহত হয়েছেন। জানা গিয়েছে, এই ব্যক্তি উদ্ধার অভিযানের সময় বৈদ্যুতিক শক খেয়েছিলেন।

জুলাই ০৮, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

এজবাস্টনে ইতিহাস ভারতের, ক্যানসার আক্রান্ত দিদির মুখে হাসি ফোটাতে পেরে তৃপ্ত আকাশ

এজবাস্টনে সকালের বৃষ্টিতে ১০ ওভার কমলেও শেষ দিনের দ্বিতীয় সেশনেই ঐতিহাসিক জয় ছিনিয়ে নিল ভারত। ম্যাচের সেরা শুভমান গিল ভারতের প্রথম অধিনায়ক যাঁর নেতৃত্বে বার্মিংহামে এই প্রথম টেস্ট জিতল ভারত। আগামী বৃহস্পতিবার শুরু লর্ডস টেস্ট। তার আগে পাঁচ টেস্টের সিরিজ আপাতত ১-১।দ্বিতীয় টেস্টের শেষ দিনে ভারতের দরকার ছিল ৭ উইকেট। এদিন আকাশ দীপকে প্রান্ত বদলে আক্রমণে আনেন গিল। তবে তাতে আকাশের অভ্রান্ত নিশানায় বদল আসেনি। অলি পোপকে (২৪) বোল্ড করে দেন। কিছু সময় পর হ্যারি ব্রুককে (২৩) দুরন্ত ডেলিভারিতে লেগ বিফোর। মধ্যাহ্নভোজের বিরতির ঠিক আগে ওয়াশিংটন সুন্দরের শিকার ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস (৩৩)।কিছুটা লড়াই চালালেন প্রথম ইনিংসে শতরান তথা সর্বাধিক রান করা জেমি স্মিথ (৮৮)। তিনি আকাশের পঞ্চম শিকার। আকাশের বলে ব্রাইডন কার্স (৩৮)-এর ক্যাচ গিলের হাতে জমা পড়তেই ভারতের ৩৩৬ রানে জয় নিশ্চিত হয়ে যায়। ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংস গুটিয়ে গেল ২৭১ রানে। আকাশ ৯৯ রানের বিনিময়ে ৬ উইকেট পেলেন, ম্যাচে ১০ শিকার। এই প্রথম টেস্টে ১০ উইকেট ও ইনিংসে পাঁচ উইকেট পেলেন। একটি করে উইকেট ঝুলিতে পুরলেন মহম্মদ সিরাজ, রবীন্দ্র জাদেজা, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ ও ওয়াশিংটন সুন্দর। সিরাজ ম্যাচে সাত উইকেট দখলের পাশাপাশি দুরন্ত ক্যাচও ধরলেন। রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, জসপ্রীত বুমরাহর অনুপস্থিতিতেও বড় জয় নিশ্চিতভাবেই গোটা সিরিজে মনোবল বাড়াল গিলদের।ম্যাচের শেষে বাংলার পেসার আকাশ দীপ জানালেন, তাঁর দিদি মাস দুয়েক ধরে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই চালাচ্ছেন। এ কথা এতদিন কাউকে বলেননি। এখন দিদি স্থিতিশীল, কিছুটা ভালো। যখন বল হাতে নিচ্ছিলেন তখন বারবার দিদির মুখ মনে পড়ছিল। আকাশ এই পারফরম্যান্স দিদিকেই উৎসর্গ করছেন। আকাশের বিশ্বাস, তাঁর বোলিং দেখে খুশি হয়েছেন দিদি। তাঁর মুখে হাসি ফোটানোই লক্ষ্য। দিদির পাশে সব সময় থাকার বার্তাও দেন আকাশ। এদিকে, ইংল্যান্ড তৃতীয় টেস্টের দলে নিল গাস অ্যাটকিনসনকে। বোঝা যাচ্ছে, বোলিং বিভাগ জোরদার করতে চান স্টোকসরা। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, ইংল্যান্ডের চেয়ে ভারতীয় বোলিংকে অনেক শক্তিশালী দেখিয়েছে। অনবদ্য ব্যাটিং পারফরম্যান্সের প্রশংসাও করেন মহারাজ। গিলদের জয়ে উচ্ছ্বসিত বিরাট কোহলিও।মনোজিৎ মৌলিক

জুলাই ০৬, ২০২৫
রাজ্য

বর্ধমান জেলা তৃণমূল সভাপতি ও বিধায়কের প্রাণনাশের আশঙ্কায় তোলপাড়, বোমায় উড়েছে বাড়ি, মৃত্যু একজনের

পরিত্যক্ত বাড়িতে বোমা বাঁধার সময় বিরাট বিস্ফোরণে উড়ে গিয়েছে একাধিক বাড়ি। জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে বোমা বাঁধতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে এক দুস্কৃতীর। জখম হয়েছে আরও তিন সদস্য। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার রাজৌর গ্রামে। এই বিষ্ফোরণের পর প্রাণনাশের আশঙ্কায় আতঙ্কিত খোদ পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ও কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। জেলা তৃণমূলের শীর্ষনেতার আশঙ্কায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে।রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, আমার ওপর হামলা হতে পারে। আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা হতে পারে। তার জন্য়ই বোমা বাঁধা হচ্ছিল। স্থানীয় বাসিন্দা তুফান চৌধুরী বোমা বাঁধছিল। তুফানের মাথার ওপর হাত ছিল জঙ্গল শেখের। বোমা ফেটে বাড়ি উড়ে যায় কাটায়োরার রাজৌর গ্রামে। জঙ্গল শেখের পরিকল্পানা ছিল পার্টি অফিসে আক্রমণ করা। পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার রাত আনুমানিক ৯ টা নাগাদ রাজৌর গ্রামে ভয়ঙ্কর বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফেরণে মৃত্যু হয় বরকত শেখের(২৮)। এই দুষ্কৃতীর বাড়ি বীরভূমের নানুর থানার সিয়ালা গ্রামে। জখমরা হল সেখ তুফান চৌধুরী, ইব্রাহিম সেখ ও সফিক মণ্ডল। জখম তিন জনই রাজৌর গ্রামের বাসিন্দা। পুলিশ রাতেই চিকিৎসার জখম তিনজনকে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে তুফানকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পুলিশ তুফান চৌধুরীকে করেছে। এই তুফানই বোমা বাঁধার মূল পান্ডা। জানা গিয়েছে, তারা লম্বু শেখের বাড়িতে বোমা বাঁধছিল। গোটা ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ। ঘটনাস্থল ঘিরে রাখা হয়েছে। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, বালি খাদানে দখলদারি করার উদ্দেশ্যেই এই বোমা বাঁধা হচ্ছিল। এতে নাম জড়িয়েছে প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর জঙ্গল শেখের। তার নির্দেশে তুফানরা বোমা বাঁধছিল বলে অভিযোগ। বোমা বেশ উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বলে মনে করা হচ্ছে। জঙ্গল শেখের নেতৃত্বে বোমা বাঁধা হচ্ছিল বলে দাবি করেছেন তৃণমূল জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। ২০১৫ সালে কাটোয়া পুরসভা নির্বাচনে তৃণমূলের কাউন্সিলর হয়েছিলেন জঙ্গল শেখ। এমনকী পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছিলেন। তখন রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় কংগ্রেসের বিধায়ক ছিলেন। পরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। জঙ্গল শেখ দীর্ঘ দিন জেলে ছিলেন। এখন জামিনে ছাড়া পেয়েছেন।

জুলাই ০৫, ২০২৫
কলকাতা

কিছু দিন আগে ধাক্কা, সেই গাড়ি ধরে ব্যাপক ভাঙচুর, প্রকাশ্যে সিসিটিভি ফুটেজ

রাজারহাট চৌমাথায় প্রাইভেট চারচাকা গাড়ি ভাঙচুর। প্রকাশ্যে সিসিটিভি ফুটেজ। বাস লাঠি ইট দিয়ে ভাঙচুর করা হয় গাড়িটি। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার সাতজন।পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় প্রাইভেট চারচাকা গাড়িটি বেশ কয়েকদিন আগে রায়গাছি এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় এক ব্যক্তিকে ধাক্কা মারে। এলাকার মানুষ গাড়িটিকে আটকানোর চেষ্টা করলেও গাড়িটি দ্রুত গতিতে পালিয়ে যায়। এলাকার মানুষ সেই গাড়িটির ছবি মোবাইল বন্দি করে। গতকাল ওই গাড়িটিকে আবার দেখা যায় রাজারহাট জগারডাঙ্গা এলাকায় সে সময় স্থানীয়রা সেই গাড়িটিকে থামিয়ে ভাঙচুর করার চেষ্টা করে এরপর সেই গাড়িটি কোনভাবে পালিয়ে রাজারহাট চৌমাথায় ট্রাফিক বুথের সামনে গিয়ে দাঁড়ালে ধাওয়া করে সেখানে ৫০ থেকে ৬০ জন গিয়ে গাড়িটা কি ঘিরে ধরে বাস লাঠি পাথর দিয়ে গাড়িটি ভাঙচুর চালায়। আর সেই ভিডিও ধরা পড়ে সিসিটিভি ক্যামেরায়। ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে সাতজনকে গ্রেফতার করা হয় রাজারহাটের বিভিন্ন এলাকা থেকে। বাকিদের খোঁজ চালাচ্ছে রাজারহাট থানার পুলিশ।

জুলাই ০৪, ২০২৫
রাজ্য

এক বছর পুলিশের পোশাক পড়ে ঘোরাঘুরি , সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট, অবশেষে গ্রেফতার যুবক

পুলিশ কনেস্টেবলের পোশাক বানিয়ে সেই পোশাক পড়ে বিভিন্ন যায়গায় ঘোরাঘুরি করত যুবক। নিজেকে এলাকায় পুলিস বলে পরিচয় দিত। পুলিশের পোশাক পরে বিভিন্ন ধরনের ছবি তুলে সোস্যাল মিডিয়া পোস্ট করত। অবশেষে পুলিশের জালে ভুয়ো পুলিশ কনেস্টেবল। মঙ্গলবার তাকে গ্রেফতার করে গাইঘাটা থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে ধৃতের নাম অঙ্কিত ঘোষ। বাড়ি গাইঘাটা থানার শিমুলপুর চৌরঙ্গী এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানাগিয়েছে, সম্প্রতি গাইঘাটা থানার পুলিশের কাছে খবর আসে গাইঘাটা চৌরঙ্গী এলাকার এক যুবক পুলিশের পরিচয় দিয়ে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে। খবর পেয়ে অঙ্কিতের গতিবিধির উপরে নজর রাখছিল গাইঘাটা থানার পুলিশ। তার গতিবিধিতে সন্দেহ হয় আজ অঙ্কিতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গাইঘাটা থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদে তার কথায় একাধিক অসঙ্গতি দেখা যায়। তখন পুলিশ তার কাগজপত্র দেখতে চায়। কিন্তু পুলিশে চাকরি করার মত কোন নথি সে দেখাতে পারেনি। পরবর্তীতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।পুলিশ সূত্রে খবর ধৃতের কাছ থেকে একাধিক পুলিশের পোশাক, নেম প্লেট সহ একাধিক ভুয়ো নথি উদ্ধার হয়েছে। পরিবারের দাবি, পুলিশের জন্য পরীক্ষা দিয়েছিল। তারপরে তাদের জানায় সে চাকরি পেয়ে গিয়েছে। প্রতিদিন বাড়ি থেকে পুলিশের পোশাক পরে ডিউটিতে যাচ্ছি বলে বাড়ি থেকে বেরোতে। বিকাশ ভবনে পোস্টিং রয়েছে বলে পরিবার জানত ।

জুলাই ০৪, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal