• ২৩ আশ্বিন ১৪৩২, রবিবার ১২ অক্টোবর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Teacher

রাজ্য

স্কুল খোলার দাবিতে বর্ধমানে শিক্ষামন্ত্রীর কুশপুত্তলিকা পোড়ালো বাম শিক্ষক ও ছাত্র সংগঠন

বিদ্যালয়ে পঠন-পাঠন চালুর দাবীতে পথে নেমে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর কুশপুত্তলিকা পোড়ালো বাম ছাত্র ও শিক্ষক সংগঠনের সদস্যরা। স্কুল খোলার দাবিতে মঙ্গলবার বর্ধমানের কার্জনগেট চত্ত্বরে যৌথ ভাবে গণস্বাক্ষর সংগ্রহে নামে এবিটিএ,এবিপিটিএ, এসএফআই এবং বিএসপিএসের সদস্যরা। সেখানেই তারা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর কুশপুত্তলিকা দাহ করেন।সরকার দাবি না মানলে গোটা রাজ্যজুড়ে আইন অমান্য আন্দোলনে নামারও হুঁশিয়ারি এদিন দিয়েছেন এসএফআই নেতৃত্ব।আন্দোলনকারীরা এদিন অভিযোগ করেন, রাজ্যে মেলা,খেলা সবই চলছে। সর্বত্র স্বাভাবিক জীবনযাপনও চলছে। অথচ শুধু বন্ধ রয়েছে বিদ্যালয়গুলি। দাবি না মানলে গোটা রাজ্যজুড়ে এসএফ আই আইন অমান্য আন্দোলন করবে। পূর্ব বর্ধমান জেলা সম্পাদক সুদীপ্ত গুপ্ত বলেন, আমরা চাই সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা চালু হোক। আবার স্কুলমুখী হোক ছাত্রছাত্রীরা। পঠন পাঠন চালুর মধ্যে দিয়ে রাজ্যে পূর্বের শিক্ষা ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা হোক এটাই আমাদের মূল দাবি। সুদীপ্তবাবু আরও জানান, এবছর মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক টেস্ট পরীক্ষায় ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ ছাত্র-ছাত্রী অনুপস্থিত থেকেছে। বেড়েছে ড্রপ আউটের সংখ্যা। অনেক মেয়ে আছে যাদের অল্প বয়সে এই সময়ের মধ্যে বিয়ে হয়ে গেছে। এরকম অবস্থা যদি চালু থাকলে আগামি দিনে শিক্ষাব্যবস্থা আরও চরম সংকটে পড়বে। তাই তাঁরা চান অবিলম্বে পঠন-পাঠন শুরু হোক বিদ্যালয় গুলিতে। এসএফআইয়ের পূর্ব বর্ধমান জেলার সম্পাদক অনির্বাণ রায় চৌধুরী জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে রাজ্যের সমস্ত স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দাবি তুলেছে বামপন্থী শিক্ষক এবং ছাত্র সংগঠন গুলি। রাজ্যের ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ ও মানবসম্পদের কথা মাথায় রেখে অবিলম্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি খুলতে হবে। এই দাবিতে আগামী ২৭ তারিখ গোটা রাজ্য জুড়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে খোলা আকাশের নিচে ওপেন এয়ার ক্লাসরুম করবেন।

জানুয়ারি ২৫, ২০২২
রাজ্য

খুদেদের পাঠ্যপুস্তকের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে, বাড়ি বাড়ি ছুটছেন শিক্ষকরা

কোভিডের কারণে দীর্ঘ প্রায় দুবছর ধরে বন্ধ রাজ্যের সমস্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়। খুদে পড়ুয়ারা দীর্ঘদিন ধরে স্কুল বিমুখ থাকার কারণে পাঠ্যপুস্তকের সঙ্গে তাঁদের দূরত্ব তৈরি হচ্ছে। শুধু দূরত্ব তৈরী হওয়াই নয়, বইয়ের প্রতি অনীহাও বাড়ছে খুদে পড়ুয়াদের। এমনকি লেখাপড়া শেখার প্রতি শিশুরা আগ্রহও হারাতে বসেছে। শহর হোক কিংবা গ্রাম সর্বত্রই ধরা পড়ছে এমনই ছবি। যা নিয়ে রীতিমত উদ্বিগ্ন শিক্ষকরা। এই পরিস্থিতিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খুদে পড়ুয়াদের পাঠ্যপুস্তকের প্রতি আগ্রহ জাগিয়ে রাখতে আসরে নামলেন বর্ধমানের একদল মানুষ তৈরির কারিগর। শিক্ষকদের এই মহতি উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন অবিভাবক ও বর্ধমানে শিক্ষানুরাগীরা।শহর বর্ধমানে শ্যামসায়র এলাকার শ্রীরামকৃষ্ণ সারদা বিদ্যাপীঠের শিক্ষক-শিক্ষিকারা দল বেঁধে পাড়ায় পাড়ায় ঘুরছেন। তাঁরা পড়ুয়াদের অবিভাবকদের বোঝাচ্ছেন, যাতে করে পড়ুয়ারা বাড়িতে পড়াশুনার অভ্যাসের মধ্যে থাকে। পাশাপাশি এই শিক্ষকরা পাঠ্যপুস্তকের প্রতি ভালবাসা না হারানোর জন্য পড়ুয়াদেরও অনরোধ করে চলেছেন। শ্রী রামকৃষ্ণ বিদ্যাপিঠের পড়ুয়ারা মূলত শহর বর্ধমানের রসিকপুর, বাবুরবাগ, সুভাসপল্লী, খোসবাগান, পাওয়ার হাউসপাড়া সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় থাকে। এই সকল এলাকায় গিয়ে ছাত্রছাত্রীদের বাড়ি বাড়ি পৌছে শিক্ষক শিক্ষিকারা পড়ুয়াদের অভিভাবকদের প্রতিনিয়ত বোঝাচ্ছেন। বার্তা একটাই, বইয়ের বিকল্প নেই তাই পাঠ্যফুস্তক পড়ার অভ্যাস বজায় রাখতে হবে। একই সাথে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে চলছে ছাত্রছাত্রীদের বই ও স্কুল ড্রেস দেবার কাজও।স্কুলের প্রধান শিক্ষক পলাশ চৌধুরী বলেন, কোভিড পরিস্থিতিতে ছাত্রছাত্রীরা দীর্ঘদিন স্কুলে আসতে পারছে না। স্কুলের তরফে আমরা পড়ুয়াদের সাথে যোগাযোগ রাখাছি। ওদের পড়াশোনার অভ্যাসের মধ্যে রাখতে সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে ক্লাস করানোর ব্যবস্থা হয়েছে। তবে ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে এসে সরাসরি শিক্ষকদের কাছে শিক্ষাগ্রহণ আর সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে শিক্ষাগ্রহণ, এই দুটো যে এক নয় তা এক বাক্যে স্বীকার করে নেন পলাশ বাবু। তিনি আরও বলেন, আমরা স্কুলের সকল শিক্ষক শিক্ষিকারা যৌথ ভাবে প্রচেষ্টা চালচ্ছি যাতে ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনার অভ্যাসের মধ্যে থাকে। সেকারণেই আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে অভিভাবকদের সাথে দেখা করছি। সরকারি স্কুলে বিনামূল্যে বই, পোষাক, মিড ডে মিল, কম্পিউটার শিক্ষা সহ একাধিক সুবিধা পাওয়া যায়, এই বিষয়গুলি নিয়েও অভিভাবকদের কাছে যাওয়া হচ্ছে বলে জানান বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা হেমা চৌধুরী।শিক্ষক শিক্ষিকাদের এই প্রয়াসকে সাধুবাদ জানিয়েছে অভিভাবকরা। করোনা আবহে তাদের ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার ক্ষতি হওয়ার পাশাপাশি বইয়ের প্রতি অনীহা বেড়েছে বলে স্বীকার করেন অভিভাবকেরা। স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের এই উদ্যোগ দেখে তাঁর সন্তানকে বেসরকারি স্কুল থেকে সরকারি স্কুলে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বেশ কয়েকজন অভিভাবক। নরেশ ধীবর নামে এলাকার এক ব্যক্তি বলেন, দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় বাড়ছে স্কুল ছুটের সংখা, এমন সময়ে শিক্ষক শিক্ষিকাদের এই প্রয়াস সত্যিই প্রসংসার দাবি রাখে।

জানুয়ারি ১৬, ২০২২
রাজ্য

Theft of money: অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের বাড়ি থেকে টাকা, সোনার গয়না ও ডলার চুরি, গ্রেফতার এক

অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের বাড়ি থেকে টাকা, সোনার গয়না ও ডলার চুরির অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করলো পুলিশ। ধৃতের নাম সত্যেন্দর রায়। তাঁর বাড়ি বুদবুদ থানার হরিনারায়ণপল্লীতে। পূর্ব বর্ধমানের আউসগ্রাম থানার পুলিশ মঙ্গলবার দুপুরে বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশের দাবি, চুরির কথা ধৃত ব্যক্তি কবুল করেছে। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ এও জানতে পেরেছে চুরির ঘটনায় আরও একজন জড়িত রয়েছে। সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ, বুধবার ধৃতকে বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়। চুরির মালপত্র ও টাকা উদ্ধার এবং অপর জড়িতের হদিশ পেতে তদন্তকারী অফিসার এদিন ধৃতকে ৫ দিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানান। বিচারক ধৃতের তিনদিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করেছেন।পুলিশ জানিয়েছে, আউশগ্রাম থানার মাজুড়িয়ার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক হিমাংশু চক্রবর্তী কিছুদিন আগে এক আত্মীয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সপরিবারে বাঁকুড়ায় গিয়েছিলেন। তাঁর ঘর তালাবন্ধ ছিল। এক মহিলাকে ঘর দেখভালের দায়িত্ব দিয়েছিলেন তিনি। রাতে দরজা ও আলমারির তালা এবং লক ভেঙে সোনার গয়না, টাকা ও দুটি ইউএস ডলার নিয়ে পালায় চোর। দেখভালের দায়িত্বে থাকা মহিলা পরেরদিন সকালে চুরির বিষয়টি জানতে পারেন। বাড়ি ফিরে হিমাংশুবাবু চুরির ঘটনা নিয়ে আউসগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

ডিসেম্বর ২৯, ২০২১
কলকাতা

TMC-Teacher: তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন বিষপানকারী শিক্ষিকারা

বদলির প্রতিবাদে গত অগস্ট মাসে বিকাশ ভবনের সামনে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন পাঁচ শিক্ষক। তাঁরাই এ বার তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন। সূত্রের খবর, আগামী ২১ নভেম্বর, রবিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবারের রবীন্দ্র ভবনে তৃণমূলের সভায় শিক্ষক ঐক্য মুক্তি মঞ্চ-এর লক্ষাধিক সদস্য তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন। ওই সভায় হাজির থাকবেন বিধায়ক তথা শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং তৃণমূলের ডায়মন্ড হারবার-যাদবপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী, বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা শক্তি মণ্ডল প্রমুখ।গত ২৪ অগস্ট সল্টলেকের বিকাশ ভবনের সামনে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন পাঁচ শিক্ষক, পুতুল জানা মণ্ডল, অনিমা নাগ, ছবি চাকী দাস, শিখা দাস এবং জ্যোৎস্না টুডু। তড়িঘড়ি তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। চিকিৎসার পর সুস্থ হন তাঁরা। শিক্ষক ঐক্য মুক্তি মঞ্চ-এর ব্যানারে শিক্ষকদের বদলি-সহ একাধিক দাবিতে আন্দোলন করছিলেন তাঁরা। সেই সংগঠনই এ বার তৃণমূলে বিলীন হতে চলেছে।বিষপানকারী এক শিক্ষিকা ছবি চাকী দাস বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা খুশি। আমাদের সংগঠন তাই তৃণমূলে মিশে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

নভেম্বর ১৯, ২০২১
রাজ্য

Hoogly Murder: বাবা-মা-বোনকে খুন করে আত্মহত্যার চেষ্টা শিক্ষকের

মা, বাবা এবং বোনকে খুন করে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন এক যুবক। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হুগলি জেলার ধনিয়াখালির দশঘড়া রায়পাড়ায়। পরিবারের লোককে খুন করে আত্মহত্যার চেষ্টা করা ওই যুবকের নাম প্রমথেশ ঘোষাল। পেশায় তিনি গৃহশিক্ষক। দীর্ঘ দিন ধরেই সিরোসিস অব লিভারে ভুগছিলেন তিনি। স্থানীয়দের দাবি, বাবা, মা এবং বোনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা, হাতের শিরা কেটে খুন করেন প্রমথেশ। তার পর নিজের হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে ধনিয়াখালি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই চলছে চিকিৎসা। খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে পুলিশ যায় প্রমথেশের বাড়ি। তারা গিয়ে দেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।পুলিশ জানিয়েছে, মৃতেরা হলেন অসীম ঘোষাল (৬৮), শুভ্রা ঘোষাল (৬০) এবং পল্লবী চট্টোপাধ্যায় (৩৩)। দীর্ঘ ৪০ বছর ধরেই তাঁরা ধনিয়াখালির দশঘড়ার বাসিন্দা। প্রমথেশের বোন পল্লবী ভাইফোঁটা উপলক্ষে এসেছিলেন বাপের বাড়ি। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, পেশায় গৃহশিক্ষক প্রমথেশ আর্থিক অনটনে পড়েছিলেন। তার উপর বাবা, মা এবং নিজের চিকিৎসার খরচ চালাতে হিমশিম খেয়ে মানসিক অবসাদেও ভুগছিলেন তিনি। আর্থিক অনটনের জেরেই এই ঘটনা বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। তবে প্রমথেশকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

নভেম্বর ০৯, ২০২১
রাজ্য

Teachers at Doors: পূর্ব বর্ধমানে ’দুয়ারে শিক্ষক“-এ শিক্ষকদের মানবিকতা ও মাতৃভক্তির পাঠ মন্ত্রীর, তুঙ্গে বিতর্ক

দুয়ারে শিক্ষক শীর্ষক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে শিক্ষকদের মাানবিকতা ও মাতৃভক্তি সংক্রান্ত পাঠ বিলেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ।শুক্রবার পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার রবীন্দ্র পরিষদে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, করোনা অতিমারিতে শিক্ষকরা ঘরে বসেই প্রতি মাসের বেতন পেয়ে গেছেন। তাঁরা নিজের পরিবারের জন্য নিয়মিত বাজার করেছেন। কিন্তু অতিমারিতে দুঃস্থ মানুষের পাশে শিক্ষকরা সেভাবে দাঁড়াননি। এটা তিনি লক্ষ্য করেছেন বলে স্বপন দেবনাথ জানান। একই সঙ্গে শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, শিক্ষকরা মাটির দুর্গাকে প্রণাম করেন, পুষ্পাঞ্জলি দেন। কিন্তু নিজের বাড়িতে মাকে অভুক্ত রাখেন। বাড়িতে বসে থাকা জ্যান্ত মা কেন অভুক্ত থাকবেন? কেন অনাদরে পড়ে থাকবেন? মন্ত্রী দাবি করেন, নিজের মাকে অনাদরে রাখার সংখ্যা কম নয়। মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ এদিন শিক্ষকদের উপদেশ দেন, দুর্গামাকে প্রণাম করুন। কোনও অসুবিধা নেই। কিন্তু গর্ভধারিণী মাকে যেন অভুক্ত রাখবেন না। জ্যান্ত মাকে হাসিখুশি রাখুন। শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রীর করা এমন মন্তব্য শিক্ষক মহলে যেমন শোরগোল ফেলে দিয়েছে তেমনই তৈরি হয়ছে বিতর্ক।আরও পড়ুনঃ শারদঅর্ঘ্যঅনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ পুজোর সময়ে শিক্ষকদের দুঃস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বানও জানান। স্বপনবাবু বলেন, মাধ্যমিক ও প্রাথমিক মিলিয়ে জেলায় ২০ হাজারের বেশী শিক্ষক রয়েছেন। প্রত্যেক শিক্ষক যদি দুটো করে জামা-প্যান্ট দুঃস্থ শিশুদের কিনে দেন তাহলে অনেক শিশু পুজোয় নতুন জামা পরতে পারবে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিক্ষকগণ মন্ত্রীর এই আবেদনের সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন ঠিকই। তবে মন্ত্রীর করা বাকি বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না।আরও পড়ুনঃ রেললাইনের ধার থেকে উদ্ধার নিখোঁজ যুবকের মৃতদেহজেলা শিক্ষক সমিতির সম্পাদক বিশ্বনাথ সাহা এদিন দাবি করেন, করোনা অতিমারির সময়ে কাটোয়ার বিধায়কের উদ্যোগে কাটোয়ার শিক্ষকরা সর্বোতভাবে দুঃস্থ মানুষ জনের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। অন্যদিকে নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সমিতির সদস্য কৌশিক দে দাবি করছেন, করোনা অতিমারি কালে শিক্ষকরা মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে নিজেদের সাধ্য মতো দান করেছেন। বহু শিক্ষক ব্যক্তিগত উদ্যোগেও মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তারপরেও মন্ত্রী তাঁর মন্তব্যের মধ্য দিয়ে গোটা শিক্ষক সমাজকে ছোট করলেন।

অক্টোবর ০৯, ২০২১
রাজ্য

Letter to CM: বিদ্যাসাগরের জন্মদিনকে 'বাংলার জাতীয় শিক্ষক দিবস' করার আবেদন বাংলার পক্ষ'র

২৬ সেপ্টেম্বর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মদিনকে বাংলার জাতীয় শিক্ষক দিবস উপলক্ষে পালন করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চিঠি লিখেছেন বাংলা পক্ষ সংগঠন। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলার চিন্তাশীলতার পরিসরে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদান অনস্বীকার্য। তিনি শুধু নবজাগরণের কাণ্ডারিই নন, আধুনিকতার পথপ্রদর্শকও। বাংলা তথা গোটা ভারতবর্ষ এখনও এই মহাপুরুষের যথেষ্ট মূল্যায়ন ও সম্মান করতে পারেনি। আর তাই এই অন্ধকারের আবহে বিদ্যাসাগরের আলোকবর্তিকা বাঙালি জাতিকে অনুপ্রেরণা জোগাবে। সুতরাং বিদ্যাসাগরের জন্মদিনটিকে বিশেষভাবে উল্লেখ করার জন্য এই আবেদন। এমনকী, বাংলার জনপ্রতিনিধিদের কাছেও আবেদন করা হয়েছে বিষয়টিকে সংসদে পেশ করে ২৬ সেপ্টেম্বর দিনটিকে বিশেষভাবে মর্যাদা দেওয়ার যেন আবেদন করা হয়। আরও পড়ুনঃ মাইলস্টোনের ম্যাচে ব্যর্থ কোহলি, দ্বিতীয় পর্বে দারুণ শুরু কলকাতা নাইট রাইডার্সেরইতিমধ্যেই ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মদিন ২৬ শে সেপ্টেম্বরকে যাতে বাংলার জাতীয় শিক্ষক দিবস হিসাবে ঘোষণা করা হয়, সেই দাবিপত্রে ইতিমধ্যেই সমর্থন জানিয়ে নাম দিয়েছেন কবি জয় গোস্বামী, সুবোধ সরকার, শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার, নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী, তপোধীর ভট্টাচার্য, সবুজকলি সেন, চলচিত্র পরিচালক সৃজিত মুখার্জি, সঙ্গীতশিল্পী রূপম ইসলাম, রূপঙ্কর বাগচী, রাঘব চট্টোপাধ্যায়, ইমন সেন, সৌমিত্র রায়, উজ্জয়িনী ভট্টাচার্য প্রমুখ।

সেপ্টেম্বর ২১, ২০২১
রাজ্য

Teacher Hanged: ঘরের দরজা ভেঙে শিক্ষিকার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার

দরজা বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার হল শিক্ষিকার ঝুলন্ত মৃতদেহ। মৃতার নাম সুনন্দা বন্দ্যোপাধ্যায়। মধ্য বয়স্ক শিক্ষিকার বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের কালনা শহরের প্রফেসার কলোনিতে। বুধবার রাতে কালনা থানার পুলিশ শিক্ষিকার বাড়ির একটি ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পায়। মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য কালনা মহকুমা হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। কালনা থানার পুলিশ শিক্ষিকার মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সুনন্দা বন্দ্যোপাধ্যায় কালনার একটি মাদ্রাসা স্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন। তাঁর স্বামী কয়েক বছর আগে প্রয়াত হয়েছেন। দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়া মৃতার ছেলে সম্ভ্রম বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন জানায়, সে পড়াশোনা গাফিলতি করায় গত মঙ্গলবার দুপুরে তাঁর মা রেগে যায়। মায়ের সঙ্গে তাঁর কথা কাটাকাটি হয়। তার পরেই তাঁর মা ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন। সম্ভ্রম বলেন ,এই ঘটনার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও তাঁর ঘরের দরজা খুলে আর বাইরে হয় না। তাঁর মা কোন সাড়া শব্দও দিচ্ছিল না। এই ভাবে মঙ্গলবার রাত পেরিয়ে যাবার পর বুধবার সাকালে ফের দরজা ধাক্কাধাক্কি করও সম্ভ্রম তাঁর মায়ের সাড়া পায়নি। এই পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত হয়ে সম্ভ্রম কলকাতায় তাঁর মামার বাড়িতে গিয়ে পুরো ঘটনা মামাদের খুলে বলে। বুধবার রাতে মামাদের সঙ্গে নিয়ে সম্ভ্রম কালনা থানায় গিয়ে পুলিশকে ঘটনার কথা জানায়। কালনা থানার পুলিশ দরজা ভেঙে ঘরের মধ্যে ঢুকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় সুনন্দাদেবীর ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পায়। প্রাথমিক ভাবে এটি একটি আত্মহত্যায় ঘটনা বলেই পুলিশের অনুমান। তবে পাড়া প্রতিবেশীকে কিছু না জানিয়ে সম্ভ্রম কেন কলকাতায় মামার বাড়িতে গেল তাঁদেরকে ঘটনার কথা জানালো সেই বিষয়টি পুলিশ খতিয়ে দেখছে।

সেপ্টেম্বর ০৯, ২০২১
রাজ্য

High Court: নথি যাচাই না করেই ১২ জন শিক্ষক নিয়োগ, প্রশ্নের মুখে রাজ্যের ভূমিকা

নথি যাচাই না করেই ১২ জন শিক্ষক নিয়োগে ঘটনায় রাজ্য সরকারকে একহাত নিল হাইকোর্ট। প্রয়োজনীয় নথি না থাকা সত্ত্বেও এক ব্যক্তি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকের চাকরি পেয়েছিলেন। পরে ত্রুটি ধরতে পারে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। ওই শিক্ষককে টেটের প্রয়োজনীয় নথি জমা দিতে বললেও তিনি তা দিতে পারেননি বলে অভিযোগ ওঠে। এরপরই তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করেন তিনি।আরও পড়ুনঃ অসমে বড়সড় জঙ্গি হামলায় মৃত কমপক্ষে ৫আদালতে শুনানি চলাকালীন হাইকোর্ট প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের ভূমিকায় উষ্মা প্রকাশ করে। নথি না দেখে চাকরি দেওয়ার ঘটনায় অসন্তোষ প্রকাশ করে। কিন্তু পরে নথি না পেয়ে চাকরি থেকে বরখাস্তের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানায়। এর পরই ওই অভিযুক্ত শিক্ষক আরও ১২ জনের নামের তালিকা আদালতের কাছে জমা দেন। অভিযোগ, এই ১২ জনের কারও প্রয়োজনীয় নথি না থাকা সত্ত্বেও তাঁরা এখনও চাকরি করছেন স্কুল শিক্ষক হিসাবে।এ রাজ্যে শিক্ষা ব্যবস্থা এবং শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ নিয়ে ভুরি ভুরি অভিযোগ। প্রাথমিক থেকে উচ্চ প্রাথমিক কিংবা বৃত্তিমূলক শিক্ষাক্ষেত্র, এমনকী শিক্ষক-চিকিৎসক নিয়োগ নিয়েও চূড়ান্ত অস্বচ্ছতার অভিযোগ উঠেছে এ রাজ্যে। কিছুদিন আগেই মেডিক্যাল কলেজগুলিতে শিক্ষক-চিকিৎসক নিয়োগে ব্যাপক বেনিয়মের অভিযোগে তোলপাড় শুরু হয় রাজ্যে। এমডিএমএসদের এড়িয়ে এমবিবিএসরা নিয়োগ পেয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। চিকিৎসা সংগঠনের একাংশ দাবি করে, এমবিবিএসকে সুযোগ করে দিতেই এই পথ অবলম্বন করেছে নিয়োগ সংক্রান্ত বোর্ড। এ নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি।

আগস্ট ২৭, ২০২১
কলকাতা

Bratya Basu: আন্দোলনকারী শিক্ষিকাদের বিজেপির ক্যাডার বলে তোপ শিক্ষামন্ত্রীর

বদলির প্রতিবাদে বিকাশ ভবনের সামনে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করা পাঁচ শিক্ষিকাকে বিজেপি ক্যাডার বলে তোপ দাগলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এই ঘটনা অনভিপ্রেত বলে ফেসবুকে একটি দীর্ঘ ফেসবুক পোস্ট করেছেন তিনি। প্রসঙ্গত, ওই পাঁচ শিক্ষিকার বিরুদ্ধে পুলিশ জামিন অযোগ্য ধারায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে। তাঁরা সকলেই আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।অন্যায়ভাবে বদলির প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকাশ ভবনের সামনে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন এসএসকে এবং এমএসকে শিক্ষিকারা। বদলির অস্বচ্ছতার দাবি তুলে রাস্তায় নামে শিক্ষক ঐক্য মঞ্চ। বিকাশ ভবনের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েই সেই বিক্ষোভ। তারপর তাঁরা মুখে কিছু ঢেলে দেন। এরপর মুখ দিয়ে গ্যাজলা বেরোতে থাকেন। যে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে তাঁদের বিক্ষোভ, সেই ব্রাত্য বসুই তাঁদের বিজেপির ক্যাডার বলে তোপ দাগলেন।আরও পড়ুনঃ পেগাসাস ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা রাজ্যেরশিক্ষামন্ত্রী ফেসবুকে দাবি করেন, বাম সরকারের আমলে পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন বিভাগের অধীনে এসএসকে এবং এমএসকে-র সহায়ক-সহায়িকা, সম্প্রসারক-সম্প্রসারিকরা নামমাত্র সাম্মানিকের বিনিময়ে কাজ করতেন। কাজের নিশ্চয়তা, আর্থিক নিরাপত্তা এবং অবসরকালীন সুযোগ সুবিধা বলে কিছু ছিল না। কিন্তু মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল সরকার শিক্ষা বিভাগের অধীনে এনে তাঁদের একটি সুসংবদ্ধ রূপ দেয়। সহায়ক-সহায়িকাদের সাম্মানিক বাড়িয়ে মাসিক ১০,৩৪০ টাকা এবং সম্প্রসারক সম্প্রসারিকাদের সাম্মানিক বাড়িয়ে ১৩,৩৯০ টাকা করা হয়েছে। এছাড়াও বাৎসরিক ৩ শতাংশ বৃদ্ধি বা ইনক্রিমেন্ট চালু করা হয়েছে। তাঁদের প্রত্যেককে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের অধীনে নিয়ে আসা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। শিক্ষামন্ত্রী দাবি করেন, যাঁরা ৬০ বছর বয়সে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন, তাঁদের অবসরের সময়ে প্রত্যেকের জন্য ৩ লক্ষ টাকা এককালীন অবসর-ভাতা চালু করা হয়েছে। এত কিছুর পরও যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁরা শিক্ষক শিক্ষিকা নন, বিজেপি ক্যাডার।

আগস্ট ২৫, ২০২১
কলকাতা

Bikash Bhaban: বিকাশ ভবনের সামনে ধুন্ধুমার, বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা ৫ শিক্ষিকার

বদলির প্রতিবাদে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন পাঁচ শিক্ষিকা। মঙ্গলবার বিকাশ ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন আন্দোলনকারী শিক্ষকেরা। পুলিশ তাঁদের বাধা দিতে গেলে আচমকাই বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তাঁরা। সঙ্গে সঙ্গে অসুস্থও হয়ে পড়েন। পুলিশ পাঁচ জনকেই হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছে। ওই পাঁচ জনের মধ্যে চার জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।আরও পড়ুনঃ বেড পেতে গেলে আরেকটি শিশুর মৃত্যু অবধি অপেক্ষা করতে হবে!অসুস্থ পাঁচ শিক্ষিকাই ঐক্য মঞ্চের সদস্য। শিক্ষকদের এই সংগঠন বেশ কিছু দিন ধরেই শিক্ষকদের বদলি ইস্যুতে আন্দোলন করছে। এর আগে নবান্নের সামনে এমনকী, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর বাড়ির সামনেও বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তাঁরা। শিক্ষকদের অভিযোগ, আন্দোলন করার শাস্তি হিসেবেই বদলি করে দেওয়া হয়েছে তাঁদের। এই অভিযোগ নিয়েই মঙ্গলবার বিকাশ ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছিলেন তাঁরা।পুলিশ জানিয়েছে, আন্দোলনকারীরা মূল ফটক পেরিয়ে ভিতরে প্রবেশ করলে তাঁদের বাধা দেওয়া হয়। সেই সময় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও হয় আন্দোলনকারীদের। এর পর আচমকাই ব্যাগ থেকে বিষ বার করে খেতে শুরু করেন। পুলিশ তাঁদের বাধা দেয়।অভিযোগ, মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলার শিক্ষিকা ফাজিলাকে বদলি করে দেওয়া হয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুরে বদলি করে দেওয়া হয়েছে। মুর্শিদাবাদের অপর শিক্ষিকাকে বদলি করে দেওয়া হয়েছে জলপাইগুড়িতে। জ্যোৎস্না টুডু নামে এক শিক্ষিকাকে মেদিনীপুর থেকে বদলি করা হয়েছে জলপাইগুড়িতে। শিখা দাসকে পূর্ব মেদিনীপুর থেকে বদলি করা হয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুরে বদলি করা হয়েছে। পুতুল মণ্ডল নামে এক শিক্ষিকাকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে কেচাবিহারে বদলি করা হয়েছে। বৃত্তিমূলক শিক্ষিকাদের এই বদলি অনৈতিক বলে দাবি করছে শিক্ষক ঐক্যমঞ্চ।

আগস্ট ২৪, ২০২১
নিবন্ধ

Blood Relation: রক্তের টান - অন্তিম পর্ব

আমরা তখন ইউনিভার্সিটির ছাত্র। মাষ্টার্স করছি। আমি আর দীপ্ত স্কুল থেকে একসাথে পড়ি। কলেজ আর ইউনিভার্সিটিতে ও এক সাথেই থাকি। দীপ্ত খুব ভালো গান করে বরাবর। ইউনিভার্সিটির একটা কম্পিটিশনে যুগ্ম প্রথম হয় ফিজিক্সের দীপ্ত সেন আর ইংরাজীর মধুছন্দা ব্যানার্জী।তারপর ওদের মধ্যে বন্ধুত্ব হয়। ধীরে ধীরে সেই বন্ধুত্ব ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে পরিনত হয়।মধুর বাড়ি শিলিগুড়ি। ওর বাবা ওখানকার সুপ্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। তার উপর ওরা ব্রাহ্মণ। ওদের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা বন্ধুরা খুব চিন্তিত ছিলাম। মধু বড়লোকের মেয়ে ওর কাছে এটা ছেলে খেলা এরকম অনেক কিছু আমরা ভাবতাম। মাস্টার্স কমপ্লিট করে দীপ্ত পিএইচডি করার প্রস্তুতি নিতে থাকে। মধুও মাস্টার্স শেষ করে শিলিগুড়ি গিয়ে একটি স্কুলে চাকরি পায়। এরমধ্যে দীপ্ত পিএইচডিতে যোগ দেয়। কিন্তু মধুর বাবা ওর বিয়ে ঠিক করেন। তখনই সমস্যা শুরু হয়। মধু ওর মা, বাবাকে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করে। কিন্তু ওর মা বুঝলেও বাবা বোঝে না।অগত্যা মধু পালিয়ে চলে আসে দীপ্তর কাছে। আমরা বন্ধুরা তখন বুঝতে পারি মধুর ভালোবাসা কত গভীর। ওরা বিয়ে করে। তখন দীপ্ত কয়েকটি টিউশন পড়ায় মাত্র, আর স্কলারশিপের কটা টাকা।আমার বাড়ি যেহেতু এখানে আর আমার বাবারও কিছু নামডাক ছিল তাই বাবাকে বলে একটা স্কুলে মধুর একটা চাকরির ব্যবস্থা করে দিই।বেশ আনন্দের মধ্যে দিয়ে কাটতে থাকে ওদের জীবন। স্বাচ্ছন্দ্য স্বচ্ছলতা না থাকলেও আনন্দ ছিল।অনিমেষবাবুর সাথে কথা বলার পর মেহুলের মনের মধ্যে তোলপাড় চলে। কি করবে ও এখন? কিভাবে দুটো বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া মানুষকে সামনাসামনি আনবে? যখন আবার একটা মানুষ অসুস্থ। বলা যায় এটা ওই মানুষটার শেষ ইচ্ছা। এইসব ভাবতে ভাবতে বাড়ি ফেরে।ওকে দেখে মাধুরীদেবী মানে ওর দিয়া বলে ওঠে কি ব্যাপার দিদি ভাই আজ এত দেরি কেন? কোথায় গিয়েছিলে? তোমাকে এত গম্ভীর দেখাচ্ছে কেন?বলছি সব বলছি। আগে ফ্রেশ হয়ে আসি। তোমার সঙ্গে আজ অনেক কথা আছে। আলোচনাও আছে অনেক। বলে মেহুল বাথরুমে ঢুকে পড়ে।মাধুরীদেবী ভাবেন কি বলবে মেহুল!একটু পরেই মেহুল বেরিয়ে এসে মাধুরী দেবীকে নিয়ে নিজের ঘরে এসে বসে।শোনো দিয়া আজ আমি যা যা জানতে চাইব সব আমাকে বলবে। কোনও কিছু আমার কাছে লুকিয়ে রাখবে না। অনেক দেরি হলেও একটা চেষ্টা আমাকে করতেই হবে।কি বলছিস আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না।বুঝতে পারবে বললে বুঝতে পারবে।সেদিন আমি যখন তোমাকে জিজ্ঞাসা করলাম সৌরীশ সেন নামে কাউকে চেনো কিনা? তুমি চমকে উঠেছিলে আমি সেটা লক্ষ্য করেছি। তার মানে তুমি চেনো।হ্যাঁ না মানে হ্যাঁ চিনি।এবার আমি যা বলছি দেখো সব ঠিক বলছি কিনা?অবাক চোখে তাকায় মাধুরীদেবী মেহুলের দিকে।মেহুল একে একে সব বলে যা শুনেছে অনিমেষ বাবুরকাছে। এবার বলো মা কে কি তোমরা আবার বিয়ে দিতে পেরেছিলে?না না কোলকাতা থেকে ফিরে গিয়ে তোর মা খুব অসুস্থ হয়ে পড়ে। তখন আমাদের ফ্যামিলি ডাক্তার তোর আসার খবর শোনায়। এও বলেন যে তোর মাকে খুব সাবধান থাকতে হবে। শরীরের অবস্থা খুব খারাপ কোনওরকম উত্তেজনা চলবে না। তাই আমরা আর তোর বাবাকে খবর দিতে পারিনি। আর তোর দারুণ চায়নি মাও না। মাধুরীদেবী বলেন আমি জানতাম কোথাও একটা মস্ত ভুল হচ্ছে। বারবার বলেছিলাম মেয়েটাকে দীপ্তকে একবার বলার সূযোগ দিতে।না মেয়ে শুনলে না মেয়ের বাবা। এখন আমি কি করি?? বলে কপাল চাপড়াতে লাগলেন। মাঝখানে তুই কত কষ্ট ভোগ করলি। পারবে ওরা এখন তোকে সেসব ফিরিয়ে দিতে?সেসব এখন ছাড়ো। এখন যেটা করতে হবে মা কে আনতে হবে কলকাতায়। একমাত্র আমার শরীর খারাপ শুনলেই আসবে।তুমি ফোন করে বলো আমার খুব জ্বর। কিছুতেই জ্বর ছাড়ছে না।সেরকমই করলেন মাধুরীদেবী। মধুছন্দাকে ফোন করে বলেন মেহুলের খুব জ্বর।সেকথা শুনে পরদিনই ফ্লাইট ধরে মধুছন্দা চলে আসে। মেহুল একটু নাটক করে শরীর খারাপের।বিকেলে প্ল্যান অনুযায়ী অনিমেষবাবু মেহুলকে দেখতে আসে।অনিমেষ বাবুকে দেখে মধুছন্দা একটু ঘাবড়ে যায়। মেহুল পরিচয় করাতে গেলে অনিমেষ বলেন ওনারা পূ্র্ব পরিচিত। মধুছন্দা এড়িয়ে যেতে চান কিন্তু অনিমেষ বাবু চেপে ধরেন। এবং বলেন সৌরীশ অর্থাৎ দীপ্ত খুব অসুস্থ। প্রথমে শুনতে চায় না তখন মেহুল জোর করে।বলে মা ভুল বুঝে আর কত কষ্ট দেবে মানুষটাকে আর তুমি আমি সবাই কেন আর কষ্ট পাব। একবার বলার সূযোগ তো দিতে হবে।মধুছন্দা বলে তুমি ছোটো যা জানো না তা নিয়ে বড়দের মাঝে কথা বলো না।মেহুল কিন্তু থামে না বলে আর আমি ছোট নেই। আর আমি এখন পুরোটাই জানি। আমার মনে হয় তোমারও জানা উচিত। যে মানুষটা জীবনের শেষ পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে সে কখনও মিথ্যা বলবে না।মধুছন্দা বলে মানে? কে জীবনের শেষ পর্যায়ে?অনিমেষ বাবু বলেন দীপ্ত; ওর ব্রেইনে একটা টিউমার হয়েছে অপারেশন করতে হবে। তাতে ও নাও বাঁচতে পারে। তাই আমাদের সবার অনুরোধ তুমি একবার সত্যিটা শোনো।তারপর সব শোনে মধুছন্দা।মেহুল বলে আমি তো স্যারের ঘরে তোমার অতো বড় একটা ছবি দেখে অবাক হয়ে গেছিলাম। তারপর আঙ্কেল আমাকে সব বলেন।মধুছন্দা অঝোরে কাঁদতে থাকে। বলে সে কি আমাকে ক্ষমা করতে পারবে?অনিমেষ বলেন সব হবে তুমি চলো আমাদের সাথে।সবাই মিলে চলে সৌরীশ সেনের বাড়িতে। অনিমেষ বাবু মল্লিকাকেও ডেকে নেন।অনিমেষ বাবুর সাথে মধুছন্দাকে দেখে অবাক হয়ে যান সৌরীশ।মধু মেহুলকে এগিয়ে দিল ; তোমার মেয়ে, আমি এতদিন আগলে রেখে ছিলাম এবার তুমি সামলে রাখবে। তাড়াতাড়ি তোমাকে সুস্থ হতে হবে। বলে মধুছন্দা কাঁদতে থাকে। মল্লিকা এর মধ্যে খাবার দাবার নিয়ে হাজির। মধুছন্দা মল্লিকার কাছেও ক্ষমা চায়।মল্লিকা বলে, না বৌদি আমার কাছে নয় তুমি দাদার কাছে ক্ষমা চেয়েছ ওতেই হবে। দুঃখ শুধু একটাই ভুল বুঝে তুমি মেয়েটাকে বাবার থেকে দূরে রাখলে। যাক পুরনো সব ভুলে আবার নতুন করে শুরু করো। দাদা তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুক আর আমার কিছু চাই না।অপরাধ বোধে ভুগতাম তোমাদের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার জন্য নিজেকে দায়ী মনে হত। আজ এতদিন পরে আবার সব ঠিক হল। এবার সবাই একটু মিষ্টি মুখ করো। মল্লিকা প্লেটের মধ্যে মিষ্টি নিয়ে সবাইকে দেয়।মেহুল গিয়ে বাবার পাশে বসে। সৌরীশবাবু ওকে বুকের মধ্যে টেনে নেন।অনিমেষ বাবু বলেন, দীপ্ত একেই বলে রক্তের টান।-সমাপ্ত- লেখিকাঃ রাখি রায়আরও পড়ুনঃ রক্তের টান - প্রথম পর্বআরও পড়ুনঃ রক্তের টান - দ্বিতীয় পর্বআরও পড়ুনঃ রক্তের টান - তৃতীয় পর্ব

আগস্ট ১৫, ২০২১
নিবন্ধ

Blood Relation: রক্তের টান - তৃতীয় পর্ব

হ্যালো, আঙ্কেল আমি মেহুল বলছি। ...... হ্যাঁ, ঠিক চিনেছেন। ........ হ্যাঁ আমি যাই তো। আপনার সঙ্গে দেখা হয়নি। আমি তো কলেজ থেকে যাই। .........বলছিলাম আপনার সাথে খুব জরুরি একটা দরকার আছে। একদিন দেখা করতে চাই। ......... আপনার সুবিধা মত বলুন আমি ঠিক হাজির হয়ে যাব। ......... ঠিক আছে আঙ্কেল তাহলে কাল দেখা হচ্ছে। এখন রাখি। এই বলে মেহুল ফোন রেখে দিলে। পরের দিন ঠিক সময়ে অনিমেষ বাবু আর মেহুল হাজির নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট জায়গায়। বসো, কি খাবে বলো? কিছু না। একটু কফি। আচ্ছা তাহলে কোল্ড কফি হয়ে যাক। বললেন অনিমেষ বাবুতাই হোক। দুটো কোল্ড কফি অর্ডার দিয়ে জমিয়ে বসলেন। বলো তো মা কি দরকার এই বুড়োটাকে? ঠিক বুঝতে পারছি না কিভাবে কথাটা বলবো? কোনো দ্বিধা না করে বলো। আমার মনেও একটা কৌতূহল জেগেছে তোমার কৌতূহলের সাথে মিলে যেতেও পারে। তাই বলছি বলে ফেলো, কোনও সংকোচ করো না। স্যারের বাড়িতে যাওয়ার পর থেকেই এই প্রশ্নগুলো জেগেছে। কিন্তু স্যারকে জিজ্ঞাসা করতে পারছি না। আর যাকে জিজ্ঞাসা করতে পারি সে তো কাছে থাকে না, তাই ভাবলাম আপনি তো স্যারের খুব কাছের বন্ধু তাই ভাবলাম আপনার কাছেই জানতে পারব। বেশ বেশ বলো না কি জানতে চাও। বলছি স্যারের তো নিজের বলতে কেউ নেই শুনছি, তবে ওনার ঘরে ওই ছবিটি কার? আপনি কি চেনেন ছবির ওই ভদ্র মহিলা কে? অনিমেষ বাবু মেহুলের প্রশ্নে একটু যেন চমকে গেলেন; সাথে সাথে নিজেকে ঠিক করে নিয়ে বলেন আমার মনে যে কথাটি এসেছে তার সাথে তোমার প্রশ্ন রিলেটেড। মেহুল এবার চমকে যায়, মানে? আমার প্রশ্ন হলো তুমি কে? কি তোমার পরিচয়? আর তোমার এই কৌতূহল কেন? তুমি কি চেন? কাকে চেনার কথা বলছেন? ছবির সঙ্গে তোমার মিল আমি সেদিনই খেয়াল করেছি যেদিন হাসপাতালে তোমাকে দেখি। বলতে পারো চমকে গেছিলাম তোমাকে দেখে। তারপর ভাবলাম মানুষে মানুষে তো মিল হয়। তাই চুপ করে ছিলাম। আজ তোমার কথায় আবার সেটা ফিরে এল। বলো চেনো ছবির ওই ভদ্রমহিলাকে? চুপ করে থেকো না বলো!! মেহুল বলে----- হ্যাঁ চিনি। কে হন উনি? আ আ-- মার মা----ঠিক আন্দাজ করেছিলাম আমি। বলেন অনিমেষ বাবু। আপনি আমার মাকে চেনেন? হ্যাঁ খুব চিনি। তা তিনি এখন কোথায়? শিলিগুড়িতে? নাকি অন্য কোথাও? মা সাউথের একটা স্কুলে পড়ায়। আমি দাদু দিদার কাছে বড়ো হয়েছি। মা ছুটিতে আমাদের কাছে আসে। অনিমেষ বাবু এবার জিজ্ঞাসা করেন তোমার বাবা? মেহুলের মুখটা কালো হয়ে যায়। বলতে থাকে, আমি জানি না কে আমার বাবা। কারণ সব জায়গায় মায়ের নাম দেওয়া আছে। যেখানে বাবার নাম দরকার হয়েছে শুধু লেখা আছে ডি. সেন। এর বেশি আমি কিছু জানি না। খুব ছোট বেলায় একবার মাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম বাবার কথা। মা খুব কেঁদে ছিল আর বলেছিলেন বাবা হারিয়ে গেছে। তারপর থেকে কোনও দিন কাউকে আর জিজ্ঞাসা করতে পারিনি। স্যারের ঘরে মায়ের ছবি দেখে মনের কোণে তাই এত প্রশ্ন।এখানে কোথায় থাক? কার কাছে?আমি আর আমার দিদা ইউনিভার্সিটির কাছে একটা ভাড়া বাড়িতে থাকি।এবার আঙ্কেল আপনি বলুন আমার মায়ের ছবি স্যারের ঘরে কেন?সেটা জানতে গেলে তোমাকে একটা গল্প শুনতে হবে। অত সময় আছে তো তোমার কাছে?হ্যাঁ আমার কাছে সময় আছে। শুধু একবার বলে দিই দেরি হবে ফিরতে।বলে মেহুল ওর দিকে ফোন করে বলে দেয়। এবার আপনার গল্প শুরু করে দিন।অনিমেষ বাবু বলেন এবার কিছু অর্ডার না করলে এরা তুলে দেবে। তাছাড়া খিদেও পেয়েছে কি বলো?মেহুল ওনার কথা শুনে হেসে ফেলে। বলে তাহলে এদের চিকেন কাটলেটটা খুব ভালো। বলে ও ওয়েটারকে ডেকে দুটি কাটলেট অর্ডার দেয়।এবার আপনার গল্প শুরু করুন আঙ্কেল।গল্প শুরু করেন অনিমেষ বাবু ...............ক্রমশঃলেখিকাঃ রাখি রায়আরও পড়ুনঃ রক্তের টান - প্রথম পর্বআরও পড়ুনঃ রক্তের টান - দ্বিতীয় পর্ব

আগস্ট ০৮, ২০২১
নিবন্ধ

Blood Relation: রক্তের টান - দ্বিতীয় পর্ব

কিরে দিদিভাই কি ভাবছিস? কদিন ধরে দেখছি তুই কেমন অন্যমনস্ক! কি হয়েছে? তোদের গ্রূপের বন্ধুদের সঙ্গে কিছু হয়েছে?কিরে উত্তর দিচ্ছিস না কেন?হুঁ?কি হ্যাঁ হ্যুঁ করছিস?ও হ্যাঁ, বলো কি বলছো?আমি যে এতক্ষণ বকে যাচ্ছি তোর কানে কিছুই ঢোকেনি!?না মানে খেয়াল করিনি; বলো।বলছি তোর কি হয়েছে? কেমন চুপচাপ হয়ে গেছিস! আমার দিদিভাই তো এত চুপচাপ থাকার মেয়ে নয়।না গো তেমন কিছু হয়নি। একটা প্রশ্ন খুব ঘুরপাক খাচ্ছে মাথার মধ্যে।কি প্রশ্ন? আমাকে বলা যাবে?আচ্ছা দিয়া তুমি সৌরীশ সেন নামে কাউকে চেনো?কী!! সৌ-- রীশ সেন? সে --সে আবার কে? আমি চিনব কি করে?না না তুমি চেনো বলিনি। জিজ্ঞাসা করছি চেনো কিনা?না না আমি ঐ নামে কাউকে চিনি না। একটু যেন উত্তেজিত হয়ে পড়লেন মাধুরীদেবী।আরে বাবা ওরকম করছো কেন! উনিইতো স্যার যাকে হসপিটালে ভর্তি করেছিলাম।তাকে আমি চিনব কি করে?না মানে মা ও তো এখানেই পড়ে ছিল। ওনার বয়স মায়ের কাছাকাছি হবে আর উনি ওখানেই পড়ে ছিলেন। তাই জিজ্ঞাসা করলাম।না না আমি চিনব কেমন করে?মেহুল বুঝতে পারলো মাধুরীদেবী র কাছে কোনও সদুত্তর পাওয়া যাবে না। উঠে পড়ল খাবার টেবিল থেকে।মনে আবার একটা খটকা -------- দিয়া এতটা রিয়্যাক্ট করলো কেন?নামটা শুনে যেন একটু চমকেই উঠলো মনে হলো। কিন্তু কেন?মেহুল কলেজে চলে গেল। মাধুরীদেবী মনে মনে মেহুলের বলা কথা গুলো ভাবতে লাগলেন। আরও ভাবলেন মধু এসব শুনলে মেয়েটার পড়া বন্ধ করে নিয়ে না চলে যায় এখান থেকে। ভাবলেন মেহুল যদি ওর মাকে এই কথাগুলো বলে তাহলে আর রক্ষা থাকবে না। মনে মনে বললেন ----- কি যে করি? আমার হয়েছে যত জ্বালা। সারা জীবন বাপ বেটি জ্বালালো এখন নাতনীও সামিল হয়েছে।এদিকে মেহুল কলেজে দুটি ক্লাস করার পর আর ভালো লাগলো না ও রিমা আর সৈকতকে বললো যাবি স্যারকে দেখতে?ওরা ক্লাস আছে বলে গেল না।কিন্তু মেহুল কলেজে আর থাকতে পারল না।রোজ একবার এস. এস. এর বাড়ি না গেলে ওর মন ভালো লাগে না। অদ্ভুত একটা টান অনুভব করে ও। মনে যে ফাঁকা জায়গাটা আছে, যে কষ্টটা আছে সেটা ভুলে যায় ওনার কাছে গেলে।ওদিকে সৌরীশবাবুও অধীর হয়ে মেহুলের পথ চেয়ে থাকেন। ওনার মধ্যে যেন পিতৃ সত্ত্বা জাগৃত হয়েছে মেহুল কে পেয়ে।এইভাবে বেশ কিছু দিন কাটল। কিন্তু মেহুল ওর প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাওয়ার পথ বের করতে পারছে না। ওর শেষ পর্যন্ত মনে এল অনিমেষ বাবুর কথা।ক্রমশঃলেখিকাঃ রাখি রায়আরও পড়ুনঃ রক্তের টান - প্রথম পর্ব

আগস্ট ০১, ২০২১
নিবন্ধ

Blood Relation: রক্তের টান - প্রথম পর্ব

হ্যালো, হ্যাঁ হ্যাঁ মনে আছে। আজ স্যার কে ছেড়ে দেবে। আমি কালকেই হসপিটালে সব কাগজ পত্র রেডি করে রাখতে বলেছি, যাতে বেশি দেরি না হয়।হ্যাঁ রে বাবা বাড়িতে খবর দেওয়া আছে। বাড়িতে তো আছে শুধু সবসময়ের কাজের লোক বিশু দা! ওনার বাড়িতে খবর দিতে গিয়ে পাড়ার চায়ের দোকানে শুনলাম একা মানুষ, বিশুদা থাকে সঙ্গে।ঠিক আছে আমি আধাঘণ্টার মধ্যে পৌঁছে যাব। রাখছি।বলে ফোন কেটে রেডি হতে লাগল মেহুল।মেহুল সেন, যাদবপুর ইউনিভার্সিটিতে মাসকম্যুনিকেশন নিয়ে পড়ে। তার সাথে সমাজসেবা করে ওর কয়েকজন বন্ধু মিলে।মেহুলকে রেডি হতে দেখে ওর দিদা বলে উঠল আজ আবার হসপিটাল যাবি এখন? কখন ফিরবি? দিন দিন বাউন্ডুলে হয়ে যাচ্ছিস।ডার্লিং মানুষের সেবা করতে চাইছি আর তুমি বলছো বাউন্ডুলে!!তোমার তো জানা আছে আমাদের যে স্যারকে রাস্তায় অসুস্থ হতে দেখে হসপিটালে ভর্তি করেছিলাম ওনার কেউ নেই। একা থাকেন। খুব ভালো মানুষ। আজ ওনাকে ডিসচার্জ করে দেবে। তাই ওনাকে বাড়ি দিয়ে আসতে যাচ্ছি।ঠিক আছে সময় মতো বাড়ি ফিরে এসো। তোমার মা ফোন করলে কৈফিয়ত দিতে পারব না।কুল ডার্লিং; ম্যায় হু না। তোমাকে কিছু বলতে হবে না। যা বলার আমি বলব।ঠিক আছে; খেয়ে যেও। বলে মেহুলের দিদা মাধুরী দেবী ওর ঘর থেকে বেরিয়ে গেলেন।কিছুক্ষণের মধ্যেই মেহুল বেরিয়ে পড়ল। হসপিটালে গিয়ে দেখল ওরা যেমন এসব কাজে যুক্ত তাদের দুতিন জন হাজির আর স্যার মানে প্রফেসর সৌরীশ সেনের বন্ধু অনিমেষ রায় দাঁড়িয়ে। এ কদিন উনিই রোজ এসেছেন। স্যার নিষেধ করায় আর কাউকে মানে ডিপার্টমেন্টে খবর দেওয়া হয়নি।হসপিটালে সব মিটিয়ে একটা ক্যাব ভাড়া করে অনিমেষবাবু আর মেহুল সৌরীশ বাবুকে নিয়ে রওনা দিলেন। বাকিরা নিজের কাজে গেল।গাড়ি চলতে লাগলো। অনিমেষ বাবু বললেন এই কদিন এই বাচ্চা ছেলে-মেয়েগুলো যা করল ভাবা যায় না। কে বলে এখনকার ছেলে মেয়েরা স্বার্থপর?ওরা সব বিষয়ে কি ভীষন দক্ষ। সেদিন তো এই মেহুল না থাকলে তোকে বাঁচাতে পারা যেত না। এটি আমি বলছি না ডাক্তারবাবু বলেছেন।সৌরীশবাবু ক্লান্ত শরীর গাড়ির ব্যাক সিটে এলিয়ে দিয়ে বসেছেন। এতক্ষণ বন্ধুর কথা শুনছিলেন।উনি ক্লান্ত গলায় বললেন এখনকার ছেলেমেয়েদের ভালো না যারা বলে খুব ভুল বলে।এবার মেহুলকে বলেন তুমি এবং তোমার বন্ধুরা নিশ্চয়ই পড়াশোনা করো?হ্যাঁ স্যার যাদবপুরেই পড়ি। অন্য ডিপার্টমেন্ট। আপনার পরিচয় জানি আপনার গান শুনে। আপনার গান খুব ভালো লাগে আমার।তুমি ও কি গান করো?হ্যাঁ, মায়ের কাছে শিখেছি।কথাবার্তা বলতে বলতে সৌরীশবাবুর বাড়ি এসে পড়ে।মেহুল আর অনিমেষবাবু দুজনে মিলে একদম ওনার শোওয়ার ঘরে নিয়ে যায় সৌরীশবাবুকে।ওনাকে বিছানায় বসিয়ে সোজা দাঁড়াতেই মেহুলের চোখ চলে যায় দেয়ালে টাঙানো একটা ছবির দিকে।কি হলো মা বসো।হুঁ - হ্যাঁ বসছি। আপনি চুপ করে শুয়ে বিশ্রাম নিন। অনেকটা পথ এসেছেন।আমি বিশুদাকে সব বুঝিয়ে দিই, আপনিও একটু ওষুধ গুলো দেখে নিন।তুমি বিশুকে চিনলে কি করে?আপনাকে হসপিটালে ভর্তি করার পর আপনার ব্যাগে রাখা ছোট ডায়েরিটা থেকে আপনার ঠিকানা নিয়ে খবর দিতে এসে বিশুদার সঙ্গে পরিচয় হয়।স্যরি স্যার আপনার ব্যাগে হাত দেওয়ার জন্য।না না স্যরি হওয়ার কি আছে। এছাড়া কি-ই বা করার ছিল।ঠিক আছে স্যার আপনি দেখুন আর বিশুদা তুমিও দেখে নাও- মেহুল কথা বলছে ঠিকই কিন্তু চোখ বারবার চলে যাচ্ছে ছবিটার দিকে;সেটা খেয়াল করলেন অনিমেষবাবু। উনি নিজেও কম অবাক হননি মেহুলকে দেখার পর। তবুও ভেবেছেন মানুষে মানুষে মিল তো থাকে। তবুও মনের কোনে একটা প্রশ্ন বারবার উঁকি দিচ্ছে।মেহুল সব বুঝিয়ে দিয়ে আবার আসার কথা দিয়ে বেরিয়ে পড়ে সৌরীশবাবুর বাড়ি থেকে।ভদ্রলোকের জন্য খুবই মায়া হচ্ছে, অসুস্থ মানুষ, একা, দেখাশোনা করার এক ঐ কাজের লোক ছাড়া কেউ নেই। এইসব সাত পাঁচ ভাবছে আর মনের মধ্যে উঁকি দিচ্ছে ছবিটা।বারবার মনে হচ্ছে কোথায় পেলেন ঐ ছবি উনি!!এমন সময় ফোন বেজে উঠলোহ্যাঁ ডার্লিং আসছি একঘন্টার মধ্যে, বলে ফোনটা কেটে একটা ট্যাক্সি ধরলো।ক্রমশ....লেখিকাঃ রাখি রায়

জুলাই ২৫, ২০২১
রাজ্য

Utsoshree: শিক্ষকদের মমতার উপহার 'উৎসশ্রী' আসলে কী? জানুন

রাজ্যের শিক্ষকদের কথা ভেবে এবার মুখ্যমন্ত্রী উপহার উৎসশ্রী। রাজ্যের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে বৃহস্পতিবার নতুন প্রকল্পের কথা ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মূলত যে শিক্ষকরা বদলি চান, তাঁদের কথা মাথায় রেখেই এই প্রকল্পের সূচনা বলেন জানান মুখ্যমন্ত্রী। এই নতুন প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে উৎসশ্রী। এই প্রকল্পের সাহায্যে কোনও শিক্ষক যদি বাড়ির কাছাকাছি বদলি চান, তবে আবেদন জানাতে পারেন। যদিও সবাই মিলে একসঙ্গে বদলি চাইলে সেই দাবি পূরণ করা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেন মমতা।আরও পড়ুনঃ রাজ কুন্দ্রা গ্রেফতারের পর ইনস্টাগ্রাম পোস্ট দিলেন শিল্পামুখ্যমন্ত্রীর কথায়,উৎসশ্রী প্রকল্পটা মূলত শিক্ষকদের জন্য। যারা হয়তো নিজের জেলায়, বা বাড়ির সামনে বদলি চায় তাঁদের জন্য। তবে একটা স্কুলের ১০ জন শিক্ষকের মধ্যে ১০ জনই যদি একই জায়গায় বদলি চায় সেটা দেওয়া সম্ভব হবে না। কিন্তু এটা যেভাবে হোক অ্যাডজাস্ট করে আমরা করে দেব। এই বিষয়ে রাজ্যের একটা নীতি আমরা আগেই বলেছিলাম। শিক্ষকদের যাতে অনেক দূরে যেতে না হয়, যতটা কাছাকাছি তাদের পোস্টিং করা যায়, সেই চেষ্টা আমরা করব।বদলির আবেদন জানানোর জন্য উৎসশ্রী নামের একটি পোর্টাল তৈরি করা হচ্ছে বলে এ দিন ঘোষণা করেন মমতা। সেই পোর্টালে শিক্ষকরা নিজেরাই বদলির আবেদন জানাতে পারবেন। সেটা দেখার পর রাজ্য সরকার এবং শিক্ষা দপ্তর বদলির বিষয়ে নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নেবে। কিন্তু এই পোর্টালের নাম উৎসশ্রী কেন? ব্যাখা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যেহেতু এটা শিক্ষার ব্যাপার। এবং শিক্ষা সমস্ত কিছুর উৎস, এবং উৎস সবকিছুর শ্রী-বৃদ্ধি করে, তাই এটার নাম দেওয়া হয়েছে উৎসশ্রী।

জুলাই ২৩, ২০২১
রাজ্য

Discipline : ছাত্রীর শ্লীলতাহানী, শ্রীঘরে ঠাই কীর্তিমান শিক্ষকের

প্রাইভেট টিউশন পড়তে যাওয়া দশম শ্রেণীর ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন এক স্কুল শিক্ষক। ধৃতের নাম অখিলেশ্বর সরকার। তার বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের কালনা শহরের শ্যামগঞ্জপাড়ায়। স্কুল শিক্ষকের কুকীর্তির কথা জানাজানি হতেই এলাকায় নিন্দার ঝড় উঠেছে। ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ পকসো আইনে মামলা রুজু করে তদন্তে নেমে স্কুল শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার ধৃতকে পেশ করা হয় কালনা মহকুমা আদালতে। বিচারক ধৃতের জামিন নামাঞ্জুর করে ১৪ দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে ছাত্রীর পরিবার।আরও পড়ুনঃ মুখে কাপড় বেঁধে শিশু কন্যাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ, উত্তেজনা ভাতারেপুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কালনা শহরের আমলাপুকুর এলাকায় বাড়ি দশম শ্রেণীর ছাত্রীর। ছাত্রীটি সোমবার সকালে কালনা শহরের সরকারি স্কুলের শিক্ষক অখিলেশ সরকারের বাড়িতে প্রাইভেট টিউশন পড়তে যায়। অভিযোগ, ওই সময়ে ছাত্রীকে একা পেয়ে ওই শিক্ষক ঘরের দরজা বন্ধ করে তার শ্লীলতাহানি করে। শিক্ষকের যৌন লালসার হাত থেকে বাঁচতে ছাত্রীটি চিৎকার শুরু করে। তখনই ছাত্রীকে ছেড়ে দিলেও কাউকে ঘটনার কথা জানালে পরিণতি ভয়ংকর হবে বলে শিক্ষক ছাত্রীকে হুমকি দেয়। এই ঘটনা বিষয়ে ওই দিনই ছাত্রীর পরিবার কালনা থানায় শিক্ষক অখিলেশ্বর সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। মামলা রুজু করে তদন্তে নেমে এর পরেই পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে।

জুলাই ২০, ২০২১
শিক্ষা

Teacher Recruitment: বড় খবরঃ রাজ্যে ৩২হাজার শিক্ষক নিয়োগের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

এবার ঢালাও শিক্ষক নিয়োগ করতে চলেছে রাজ্য সরকার। সোমবার নবান্নে এই ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে আন্দোলন চলছে। তারওপর আদালতেও নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা চলছিল। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণায় স্বস্তি মিলেছে কর্মপ্রার্থীদের।এদিন নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, দুর্গাপুজোর মধ্যে ১৪০০০ আপার প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ করবে রাজ্য সরকার। তাছাড়া আরও ১০৫০০ প্রাথমিক শিক্ষক নেওয়া হবে। এরই পাশাপাশি তিনি ঘোষণা করেন, পুজোর পর আগামী মার্চের মধ্যে আরও ৭৫০০ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করবে রাজ্য। অর্থাৎ রাজ্যে মোট ৩২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করা হবে।শিক্ষকপদে নিয়োগ নিয়ে এর আগে যোগ্যতা নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধাই হবে একমাত্র বিচার্য বিষয়। আদালতে মামলার দরুন নিয়োগ আটকে ছিল। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণায় আশার আলো দেখতে পাচ্ছে কর্মপ্রার্থীরা। তবে তাঁদের একটাই দাবি, যোগ্য়তাই যেন মানদন্ড হয়।

জুন ২১, ২০২১
কলকাতা

পড়ুয়া ও শিক্ষকদের বিনামূল্যে করোনা টিকা দেবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়

অতিমারির জেরে দীর্ঘদিন বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। অনলাইনেই চলছে লেখাপড়া। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলি নতুন করে অনিশ্চয়তার ফাঁদে পড়েছে। কবে পড়ুয়াদের জন্য খুলবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দরজা, তা বলা ক্রমেই কঠিন হয়ে পড়ছে। তবে এই মারণ ভাইরাসের দাপট রুখতে পড়ুয়াদের জন্য প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। শুক্রবার কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, পড়ুয়া, গবেষক-সহ ৪৫ বছরের নিচে সমস্ত শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী এবং আধিকারিকদের ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ দ্রুত শুরু হবে।সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে কলকাতাই প্রথম পড়ুয়াদের ভ্যাকসিনের আওতায় আনল। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় এখবর নিশ্চিত করে জানান, যত দ্রুত সম্ভব, পড়ুয়া, গবেষক থেকে ৪৫ বছরের কমবয়সি শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত সকলকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। উল্লেখ্য, এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৫-এর ঊর্ধ্বে শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের টিকাকরণের বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। সেই লক্ষ্যপূরণ সফলভাবেই পূরণ করা গিয়েছে। এবার পড়ুয়াদের করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষাই উদ্দেশ্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন উদ্যোগে স্বাভাবিকভাবেই খুশি পড়ুয়ারা।

জুন ০৫, ২০২১
কলকাতা

মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ এসএসসি চাকরি প্রার্থীদের

ভোটের আঁচে পুড়ছে রাজ্য। এর মাঝেই মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখালেন এসএসসি চাকরি প্রার্থীরা । মেধা তালিকায় নাম ওঠার পরও কেন চাকরি পেলেন না? এই প্রশ্ন তুলে মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী বাড়ির সামনের রাস্তায় শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ দেখালেন এসএসসি প্রার্থীরা।দীর্ঘদিন ধরে এসএসসির এই চাকরি প্রার্থীদের নিয়োগ আটকে রয়েছে। মেধা তালিকায় নাম ওঠার পরও তাঁদের নিয়োগ করা হয়নি। ২ বছর আগে মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু সেই কথা রাখা হয়নি বলেই অভিযোগ তুলেছেন ওই চাকরি প্রার্থীরা। গত দুমাস ধরে তাঁরা সল্টলেকে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা। কিন্তু তাঁদের দাবি নিয়ে কেউ কথা বলতেও আসেননি বলে অভিযোগ। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য রাস্তায় শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। তাঁদের বিক্ষোভ জেরে সংশ্লিষ্ট এলাকা রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে যায়। যানজটে নাকাল হন নিত্যযাত্রী। যদিও কিছুক্ষণের মধ্যে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিক্ষোভকারীদের আটক করে তাঁরা। এদিক কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে বিক্ষোভ কলেজ সার্ভিস কমিশনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান আরেকদল চাকরিপ্রার্থী।

মার্চ ২৩, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • ›

ট্রেন্ডিং

খেলার দুনিয়া

১৪ বছর পর কলকাতায় মেসি! “মাঠ কাঁপাবে” ডিসেম্বরে?

কলকাতার ফুটবলপ্রেমীদের জন্য এক বিশাল সুখবর! ফুটবল কিংবদন্তি লিওনেল মেসি (Lionel Messi) তাঁর বহু প্রতীক্ষিত GOAT Tour of India 2025-এর জন্য এ বছরের ডিসেম্বর মাসে কলকাতা ময়দান মাতাতে আসছেন। ১৪ বছর পর বিশ্বকাপজয়ী এই মহাতারকার ভারতে ফেরা নিঃসন্দেহে এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত হতে চলেছে।আগামী ডিসেম্বরে আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি তাঁর ভারত সফরের সূচনা করবেন কলকাতাতেই। আয়োজকদের ঘোষণা অনুযায়ী, তিনি ১২ই ডিসেম্বর রাতে মহানগরে পৌঁছাবেন এবং ১৩ই ডিসেম্বর কলকাতায় বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।কলকাতার আইকনিক সল্টলেক স্টেডিয়ামে (যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন) মূল অনুষ্ঠানগুলি হবে, যেখানে ২০১১ সালে মেসি আর্জেন্টিনার হয়ে ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে একটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ফুটবল ম্যাচে খেলেছিলেন।GOAT কনসার্ট এবং GOAT কাপ, ১৩ই ডিসেম্বর এই দুটি প্রধান ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। GOAT কাপ হবে একটি সেলিব্রেটর সেভেন-এ-সাইড (seven-a-side) সফট-টাচ ফুটবল ম্যাচ। বেশ কয়েকজন ভারতীয় কিংবদন্তির উপস্থিতির সম্ভবনা ওই খেলায়, সুত্রের খবর, এই বিশেষ ম্যাচে মেসির সঙ্গে মাঠে নামতে পারেন ভারতীয় ক্রীড়া জগতের তারকারা, যেমন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, বাইচুং ভুটিয়া এবং লিয়েন্ডার পেজ প্রমুখ।ম্যচের শেষে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে মেসিকে বিশেষ সংবর্ধনা দেওয়া হতে পারে। এছাড়াও এই সফরের অঙ্গ হিসাবে কলকাতা শহরে মেসির একটি মূর্তি উন্মোচন-র আয়োজন চলছে।এই সফরে নানাবিধ অনুষ্ঠানের মধ্যে, ফুড অ্যান্ড টি ফেস্টিভ্যালঅনুষ্ঠিত হবে। কলকাতায় তাঁর প্রিয় পানীয় আর্জেন্তিনীয় ভেষজ চা মাটে-এর সঙ্গে আসামের চায়ের ফিউশন করে একটি বিশেষ খাদ্য ও চা উৎসবের আয়োজন করা হবে।কলকাতা ছাড়াও মেসি ভারতে আরও কয়েকটি শহর সফর করবেন, সেকারনে তাঁর নিরাপত্তা ব্যবস্থাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কলকাতার পর মেসি আরও চারটি-শহরে সফর করবেন। যেগুলি হল আহমেদাবাদ, মুম্বাই এবং নয়া দিল্লী। ১৫ই ডিসেম্বর তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করে তাঁর ভারত সফর শেষ করবেন। এই সফরের ইভেন্টগুলোর টিকিটের মূল্য ৩,৫০০ টাকা থেকে শুরু হতে পারে বলে জানা গেছে।মেসির প্রতিক্রিয়াদীর্ঘ ১৪ বছর পর ভারতে আসা নিয়ে মেসি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। একটি সরকারি বিবৃতিতে তিনি বলেন, এই সফর করতে পারা আমার জন্য খুবই সম্মানের। ভারত খুব স্পেশাল একটি দেশ, এবং ১৪ বছর আগে আমার সেখানে কাটানো মুহূর্তগুলোর খুব ভালো স্মৃতি আছে এখানকার ভক্তরা ছিল অসাধারণ। ভারত ফুটবল প্রেমী দেশ (passionate football nation), এবং আমি ফুটবলের প্রতি আমার ভালোবাসা নতুন প্রজন্মের ভক্তদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছি।২০২৫ এর ডিসেম্বর মাসে ফুটবল কিংবদন্তির আগমন শুধু কলকাতার নয়, গোটা ভারতের ক্রীড়াপ্রেমীদের কাছে এক বিশাল উৎসবের বার্তা নিয়ে আসছে।

অক্টোবর ০৭, ২০২৫
রাজ্য

সাংসদের ওপর হামলায় রাজ্যকে নিয়ে বড় প্রশ্ন মোদির, কড়া জবাব মমতার

বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের ওপর হামলা নিয়ে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার পাল্টা কড়া জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সোশ্যাল মিডিয়া লিখেছেন, এটা খুবই দুর্ভাগ্যের এবং গভীর উদ্বেগের বিষয় যে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী একটি প্রাকৃতিক বিপর্যয় নিয়ে রাজনীতি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, কোনো উপযুক্ত অনুসন্ধানের জন্য অপেক্ষা না করেই তা-ও আবার যখন উত্তরবঙ্গের মানুষ ভয়াবহ বন্যা ও ধসের সঙ্গে যুঝছেন।যখন সমগ্র স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ ত্রাণ ও উদ্ধারের কাজে ব্যস্ত হয়ে আছে, তখন বিজেপি নেতারা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়েছিলেন বিপুল সংখ্যক গাড়ির কনভয় নিয়ে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা নিয়ে এবং স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনকে কোনো খবর না দিয়ে। রাজ্য প্রশাসন, স্থানীয় পুলিশ বা তৃণমূল কংগ্রেসকে কীভাবে এই ঘটনার জন্য দায়ী করা যাবে?এখানেই থামেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী পদের গরিমা নিয়েও। প্রশ্ন তুলেছেন মোদির নৈতিকতা নিয়েও। তাছাড়া কোনও প্রমান ছাড়াই প্রধানমন্ত্রী তৃণমূল কংগ্রেসকে দায়ী করেছে বলে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী তৃণমূল কংগ্রেস এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ওপর দোষারোপ করেছেন কিছুমাত্র প্রমাণ ছাড়া, আইনানুগ কোনো তদন্ত ছাড়া এবং কোনো প্রশাসনিক রিপোর্ট ছাড়া। এটা শুধু রাজনৈতিক নিম্নতা স্পর্শ করল না, যে সাংবিধানিক নৈতিকতা তুলে ধরতে প্রধানমন্ত্রী শপথ নিয়েছেন, সেই নৈতিকতারও লঙ্ঘন হল। যে কোনো গণতন্ত্রে আইন তার নিজস্ব পথ নেয় এবং কোনো ঘটনার দায় নির্ধারিত হয় যথাযথ প্রক্রিয়ায় -কোনো রাজনৈতিক বেদীর উচ্চতা থেকে করা একটি ট্যুইটের মাধ্যমে নয়।উত্তরবঙ্গ কাল যাবো, আজ কার্নিভাল !!!কার্নিভাল নাকি বাংলার ঐতিহ্য ! তা দশমীর চার দিন পর সরকারি অনুদান আর প্রশাসনিক চোখ রাঙানির জেরে প্রতিমা নিরঞ্জন আটকে রেখে, মিছিল করিয়ে ঘাটে যাওয়া কবে থেকে বাংলার ঐতিহ্য হয়ে গেলো?আর মুখ্যমন্ত্রী চটজলদি উত্তরবঙ্গ যেতে আগ্রহী নন কেন, pic.twitter.com/mD0TeqWIaz Suvendu Adhikari (@SuvenduWB) October 5, 2025মমতা বলেছেন, সংশ্লিষ্ট ঘটনা ঘটেছিল একটি কেন্দ্রে, যেখানে মানুষ নিজেরাই বিজেপির একজন বিধায়ককে নির্বাচন করেছেন। তথাপি এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের তথাকথিত শক্তিমত্তা দেখায় প্রধানমন্ত্রী দ্বিচারিতা অনুভব করলেন না। এই ধরনের অসার এবং অতি-সরলীকৃত সাধারণীকরণ শুধু অপরিণতই নয়, তা দেশের সর্বোচ্চ পদের সঙ্গে মানানসইও নয়।

অক্টোবর ০৭, ২০২৫
রাজ্য

বিজেপি সাংসদ ও বিধায়কের ওপর হামলা, নিন্দা নরেন্দ্র মোদীর, ফোন রাজনাথ সিংয়ের

বন্যা ও ভমি ধ্বসে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ। এরই মধ্যে নাগরাকাটায় বন্যা পরিস্থিতি দেখতে গিয়েছিলেন মালদা উত্তরের সাংসদ খগেন মুর্মু ও শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। তাঁদের ওপর তৃণমূল কংগ্রেস প্রাণঘাতী হমলা করেছে বলে অভিযোগ। মাথা ফেটে রক্তাক্ত হয়েছেন খগেন মুর্মু। আঘাত পেয়েছেন শঙ্কর ঘোষ। যদিও তৃণমূল অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এবার এই ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খুললে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জখম সাংসদের সঙ্গে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং।প্রধানমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আক্রমণের তীব্র নিন্দা করেছেন। নরেন্দ্র মোদী এক্স হ্যান্ডেলে বলেছেন, যেভাবে আমাদের দলের সহকর্মীরাযাদের মধ্যে একজন বর্তমান সাংসদ ও বিধায়কও রয়েছেনপশ্চিমবঙ্গে বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সেবা করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এটি তৃণমূল কংগ্রেসের অসংবেদনশীলতা এবং রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার করুণ রূপের স্পষ্ট প্রতিফলন।যেভাবে আমাদের দলের সহকর্মীরাযাদের মধ্যে একজন বর্তমান সাংসদ ও বিধায়কও রয়েছেনপশ্চিমবঙ্গে বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সেবা করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এটি তৃণমূল কংগ্রেসের অসংবেদনশীলতা এবং রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার করুণ রূপের স্পষ্ট প্রতিফলন।আমার Narendra Modi (@narendramodi) October 6, 2025আমার একান্ত কামনা পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও তৃণমূল কংগ্রেস এই কঠিন পরিস্থিতিতে হিংসায় লিপ্ত না হয়ে মানুষের সাহায্যে আরও মনোযোগী হোক। আমি বিজেপি কার্যকর্তাদের আহ্বান জানাই, তারা যেন জনগণের পাশে থেকে চলতি উদ্ধার কাজে সহায়তা করে যান।এদিকে নাগরাকাটায় বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়ে সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের ওপর হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংজি। রাজ্য বিজেপি সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য এক্স হ্যান্ডেলে বলেছেন, তিনি টেলিফোনে আমার সঙ্গে কথা বলে ঘটনার বিস্তারিত জানতে চান এবং স্পষ্ট বার্তা দেন রাজনীতিতে হিংসার কোনো স্থান নেই। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ এই অন্যায় ও অত্যাচার কখনো মেনে নেবে না। সবাই মিলে এই হিংসার রাজনীতি প্রতিহত করতে হবে। বাংলার মানুষ গণতন্ত্রের শক্তিতে বিশ্বাস রাখে।

অক্টোবর ০৭, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal