• ৯ পৌষ ১৪৩২, রবিবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

TRAI

বিদেশ

চীনে ইতিহাস! ৭০০ কিমি/ঘন্টা গতিতে ছুটল সুপারকন্ডাক্টিং ম্যাগলেভ ট্রেন

চীন বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে তাদের নতুন সুপারকন্ডাক্টিং ম্যাগলেভ ট্রেন পরীক্ষার মাধ্যমে। মাত্র দুই সেকেন্ডে ট্রেনটি ৭০০ কিমি/ঘন্টা গতিতে পৌঁছায়, যা এখন পর্যন্ত বিশ্বের দ্রুততম ম্যাগলেভ ট্রেন।জাতীয় প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ৪০০ মিটার দীর্ঘ ট্র্যাকে পরীক্ষাটি চালান। এক টন ওজনের এই ট্রেনটি দ্রুতগতিতে ছুটে পৌঁছায় রেকর্ড গতিতে, তারপর নিরাপদে থামানো হয়। পরীক্ষার ভিডিওতে ট্রেনটি যেন রূপালি আলোয় এক ঝলক দেখায়, চোখে ধরা প্রায় অসম্ভব, যা দেখলে মনে হয় কোনো বিজ্ঞান কল্পকাহিনী হচ্ছে।ট্রেনটি ট্র্যাকের উপরে ভাসে সুপারকন্ডাক্টিং চুম্বকের সাহায্যে, ফলে রেলরেলের সঙ্গে কোনো সংস্পর্শ নেই এবং ঘর্ষণহীন গতিতে চলে। পরীক্ষায় ব্যবহৃত ইলেকট্রোম্যাগনেটিক সিস্টেম এতটাই শক্তিশালী যে গবেষকরা বলছেন, এটি তাত্ত্বিকভাবে রকেট উৎক্ষেপণেও ব্যবহার করা যেতে পারে।এমন উচ্চ গতিতে, দূরবর্তী শহরের মধ্যে যাত্রার সময় কয়েক মিনিটে সীমিত করা সম্ভব। ভবিষ্যতে হাইপারলুপ বা ভ্যাকুয়াম টিউব ট্রান্সপোর্টের মতো আধুনিক প্রযুক্তির জন্যও এটি নতুন দিশা দেখাচ্ছে।দক্ষিণ চায়না মর্নিং পোস্টের খবর অনুযায়ী, এই সিস্টেম অনেক প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জকে কাটিয়ে উঠেছে। এর মধ্যে রয়েছে উচ্চ গতির ইলেকট্রোম্যাগনেটিক প্রপালশন, সঠিক সাসপেনশন ও গাইডেন্স, শক্তিশালী পাওয়ার স্টোরেজ এবং উচ্চ-ফিল্ড সুপারকন্ডাক্টিং চুম্বক ব্যবহারের মতো বিষয়। অধ্যাপক লি জি বলেন, সফল পরীক্ষার ফলে চীনের উচ্চগতির ম্যাগলেভ গবেষণা অনেক দ্রুত এগোবে।গবেষণা দল প্রায় দশ বছর ধরে এই প্রকল্পে কাজ করছে। এর আগে, এই একই ট্র্যাকে জানুয়ারিতে ৬৪৮ কিমি/ঘন্টা গতি অর্জন করা হয়। প্রায় ৩০ বছর আগে বিশ্ববিদ্যালয় চীনের প্রথম মানুষ বহনকারী একক বগির ম্যাগলেভ ট্রেন তৈরি করেছিল, যার ফলে চীন বিশ্বে তৃতীয় দেশ হিসেবে ম্যাগলেভ প্রযুক্তিতে দক্ষতা অর্জন করে।

ডিসেম্বর ২৭, ২০২৫
রাজ্য

তাহেরপুরে প্রধানমন্ত্রীর সভার আগে মর্মান্তিক ঘটনা, কুয়াশায় প্রাণ গেল চারজনের

এসআইআর আবহের মধ্যেই শনিবার পশ্চিমবঙ্গে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নদিয়ার তাহেরপুরে তাঁর সভা রয়েছে। সকাল থেকেই সভাস্থলের দিকে ভিড় জমতে শুরু করেছিল। ঠিক সেই সময়েই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। ট্রেনের ধাক্কায় চার জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দুজন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকে শক্তিনগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।জানা গিয়েছে, মৃত ও আহত সকলের বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলায়। তাঁরা প্রধানমন্ত্রী মোদির সভায় যোগ দিতেই নদিয়ার তাহেরপুরে এসেছিলেন। ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছন রেল ও পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।শনিবার ভোরে তাহেরপুর স্টেশনের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে মুর্শিদাবাদের বড়ঞার সাবলদহ গ্রাম থেকে প্রায় ৪০ জন তাহেরপুরে আসেন। ভোরবেলা তাঁদের মধ্যে কয়েক জন রেললাইনের ধারে প্রাতঃকৃত্য সারতে যান। সেই সময় আচমকাই দ্রুতগতির একটি ট্রেন চলে আসে। ট্রেনের ধাক্কায় চার জন লাইনের উপর ছিটকে পড়েন। আঘাত এতটাই গুরুতর ছিল যে ঘটনাস্থলেই তাঁদের মৃত্যু হয়।একই ঘটনায় আরও দুজন আহত হন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। অন্য জনের চিকিৎসা চলছে। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, ভোরের ঘন কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা অনেকটাই কম ছিল। সেই কারণেই ট্রেন আসছে বুঝতে না পারায় এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তবে অন্য সম্ভাবনাগুলিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।মতুয়াগড় হিসেবে পরিচিত নদিয়ার তাহেরপুরে এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদির সভা ঘিরে রাজনৈতিক উত্তেজনা তুঙ্গে। তার মধ্যেই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
দেশ

ভোরের ট্র্যাজেডি... চোখের সামনে ছিন্নভিন্ন দেহ, ট্র্যাকে লুটিয়ে পড়লেন পুণ্যার্থীরা

উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুরে ভোরের শান্ত সকাল মুহূর্তে পরিণত হল বিভীষিকায়। কার্তিক পূর্ণিমার পুণ্যস্নান শেষ করে স্টেশনে ফিরছিলেন বহু ভক্ত। সকালের ব্যস্ততার মাঝেই ঘটে গেল মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনা। প্ল্যাটফর্মের উল্টো দিকে নামতে গিয়ে হাওড়া-কালকা মেলের তলার তলায় চলে গেলেন তাঁরা। মুহূর্তের মধ্যে প্রাণ গেল অন্তত ছয় পুণ্যার্থীর, আহত একাধিক। চিৎকারে, কান্নায় আর আতঙ্কে ছড়িয়ে পড়ে ভীতি, স্তব্ধ হয়ে যায় চুনার স্টেশন।বুধবার ভোরবেলা ঘটনাটি ঘটেছে মির্জাপুর জেলার চুনার রেলওয়ে স্টেশনে। কার্তিক মাস হওয়ায় বহু পুণ্যার্থী সেখানে জড়ো হয়েছিলেন। রেলসূত্রে জানা যাচ্ছে, ভোরের সেই ভিড়ে অনেকেই প্ল্যাটফর্মের বিপরীত পাশে নেমে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। ঠিক সেই সময় দ্রুতগতিতে এসে পড়ে হাওড়া-কালকা মেল। আর তারই ধাক্কায় থেঁতলে যান পুণ্যার্থীরা। সেকেন্ডের মধ্যেই মৃত্যু, লুটিয়ে পড়ে নিথর দেহ, চারদিকে শুধু আর্তনাদ আর শোকের হাহাকার।ঘটনার পরই স্টেশন জুড়ে চরম বিশৃঙ্খলা। পুলিশ ও রেল আধিকারিকরা দ্রুত পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করেন। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রেল প্রশাসন ইতিমধ্যেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেকেন মানুষজন ট্র্যাক দিয়ে নামলেন, স্টেশনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যাপ্ত ছিল কি না, সব কিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে।এই ভয়াবহ ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে দ্রুত সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। এসডিআরএফ ও এনডিআরএফ-কে উদ্ধারকাজে নেমে পড়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। আহতদের যত্নসহকারে চিকিৎসা নিশ্চিত করতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।উল্লেখ্য, মাত্র একদিন আগেই ছত্রিশগড়ের বিলাসপুরের কাছে মালগাড়ি ও যাত্রীবাহী ট্রেনের সংঘর্ষে প্রাণ যায় ১১ জনের। তার রেশ কাটার আগেই ফের ট্র্যাজেডি। রেল নিরাপত্তা নিয়ে দেশজুড়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠছে, উদ্বেগ বাড়ছে সাধারণ মানুষের মনে।

নভেম্বর ০৫, ২০২৫
বিদেশ

চলন্ত ট্রেনে রক্তঝড়! যাত্রীদের উপর ছুরি হামলা, আতঙ্কে থমকাল ট্রেন

লন্ডনগামী একটি ট্রেনের ভিতর শনিবার রাতে তৈরি হল আতঙ্কের আবহ। হঠাৎই কয়েকজন যাত্রীর উপর ধারালো ছুরি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে দুষ্কৃতীরা। মুহূর্তেই চিৎকার, রক্ত, দৌড়ঝাঁপসব মিলিয়ে ট্রেনের কামরাটি পরিণত হয় বিভীষিকার দৃশ্যে। বাঁচার জন্য যাত্রীরা ছুটতে ছুটতে শৌচাগারে লুকিয়ে পড়েন। কেউ কেউ পা পিছলে পড়ে আহত হন। কামরার মেঝে রক্তে ভরে যায়।ঘটনাটি ঘটেছে কেমব্রিজের কাছে। রাত ৭টা ৩৯ মিনিট নাগাদ পুলিশ ফোন পায় ট্রেনে ছুরি নিয়ে হামলার খবর। খবর পেয়েই সশস্ত্র বাহিনী পৌঁছে যায় নিকটবর্তী স্টেশন হান্টিংডনে। এরপর ট্রেনটিকে মাঝপথেই থামানো হয়। স্টেশনে দাঁড়াতেই দৌড়ে ওঠে বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী। আতঙ্কগ্রস্ত যাত্রীদের নিরাপদে বার করে নিয়ে আসা হয়। অনেকে তখনও লুকিয়ে ছিলেন ট্রেনের বাথরুমে। পুলিশ তাঁদের একে একে উদ্ধার করে।প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, এক নয়, একাধিক ব্যক্তি হাতে লম্বা ছুরি নিয়ে যাত্রীদের উপর হামলা চালায়। তাঁদের কথায়, আক্রমণকারী চলতে চলতে দৌড়ে এগিয়ে আসছিল, আর চারদিকে ছড়িয়ে ছিল রক্ত। আতঙ্কে সবাই পালাতে শুরু করে। ট্রেন থামতেই একজন হামলাকারী বড় ছুরি হাতে নেমে আসার চেষ্টা করে, কিন্তু পুলিশ সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে কাবু করে ফেলে।এ ঘটনায় ইতিমধ্যেই দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আহতদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে নিকটবর্তী হাসপাতালে। যদিও ব্রিটিশ পুলিশ এখনও পর্যন্ত আহতের আনুষ্ঠানিক সংখ্যা জানাতে পারেনি, সূত্রের দাবিকমপক্ষে দশজন ছুরিকাহত।হঠাৎ এই হামলার উদ্দেশ্য এখনও পরিষ্কার নয়। সন্ত্রাস দমন বিভাগও তদন্তে নেমেছে। পুরো দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্ত করা হয়েছে। ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার। তিনি বলেছেন, নিরীহ মানুষকে টার্গেট করে এমন হামলা বরদাস্ত করা হবে না।সাধারণ যাত্রার একটি রাত যে এমন রক্তাক্ত দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে, তা ভাবেননি কেউই। ব্রিটেনে এখন একটাই প্রশ্নট্রেনে এই হামলার পিছনে কারা, এবং কেন?

নভেম্বর ০২, ২০২৫
রাজ্য

শিয়ালদা–বনগাঁ ও শিয়ালদা–কৃষ্ণনগর রুটে নতুন দুটি এসি লোকাল ট্রেন শীঘ্রই চালু, কখন ছাড়বে? কখন পৌঁছাবে?

শিয়ালদা থেকে রাণাঘাট এসি লোকাল চালু হয়েছে। এবার আরও দুটি এসি লোকাল চালু করতে চলেছে রেল। ইস্টার্ন রেলওয়ের শিয়ালদা বিভাগ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আগামী ৫ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ থেকে শিয়ালদাবনগাঁরানাঘাট এবং শিয়ালদাকৃষ্ণনগর রুটে দুটি নতুন এয়ার-কন্ডিশন্ড (এসি) লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু করা হবে। দৈনন্দিন যাত্রী ও দূরপাল্লার ভ্রমণকারীদের জন্য আরও আরামদায়ক, প্রিমিয়াম ও কার্যকর ভ্রমণ অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে এই পরিষেবা চালু হচ্ছে। পরিষেবা সপ্তাহে ছয় দিন চলবে। রবিবার বাদে এই এসি ট্রেনের পরিষেবা বন্ধ হবে।কখন ছাড়বে এসি ট্রেন? কখন পৌঁছাবে স্টেশনে? নতুন রানাঘাটবনগাঁশিয়ালদা এসি লোকাল সকাল ০৭:১১ টায় রানাঘাট থেকে ছাড়বে, সকাল ০৭:৫২ টায় বনগাঁ পৌঁছাবে এবং সকাল ০৯:৩৭ টায় শিয়ালদা পৌঁছাবে। ফেরার পথে ট্রেনটি শিয়ালদা থেকে সন্ধ্যা ১৮:১৪ টায় ছাড়বে, রাত ২০:০৪ টায় বনগাঁ পৌঁছাবে এবং রাত ২০:৪১ টায় রানাঘাটে পৌঁছে যাবে।এই রানাঘাটবনগাঁশিয়ালদা এসি লোকাল বিশেষভাবে বিমানযাত্রীদের জন্য উপকারী হবে। যাত্রীরা এখন দমদম ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন-এ নামতে পারবেন, যা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একেবারে নিকটে অবস্থিত। এর ফলে সিয়ালদহ পর্যন্ত যাওয়ার ঝক্কি এড়ানো যাবে এবং সময়ও অনেকটা বাঁচবে।এছাড়াও, নতুন শিয়ালদহকৃষ্ণনগর এসি ইএমইউ পরিষেবা শিয়ালদহ থেকে সকাল ০৯:৪৮ টায় ছাড়বে এবং দুপুর ১২:০৭ টায় কৃষ্ণনগরে পৌঁছাবে। ফেরার পথে কৃষ্ণনগর থেকে দুপুর ১৩:৩০ টায় ছেড়ে বিকেল ১৫:৪০ টায় শিয়ালদা পৌঁছাবে।এই সিয়ালদহকৃষ্ণনগর এসি ইএমইউ পরিষেবা বিশেষ করে মায়াপুরের ইস্কন মন্দির দর্শন করতে আসা ভক্ত ও পর্যটকদের জন্য অত্যন্ত সুবিধাজনক হবে। গরম ও আর্দ্র আবহাওয়ায় আরামদায়ক এসি যাত্রা তীর্থযাত্রাকে আরও মনোরম করে তুলবে। এই নতুন পরিষেবাগুলির মাধ্যমে যাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধা বৃদ্ধি পাবে, ভ্রমণের সময়ও কম লাগবে এবং যাত্রীরা ব্যস্ততম রুটে একটি প্রিমিয়াম অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে পারবেন।

সেপ্টেম্বর ০৩, ২০২৫
রাজ্য

পর্যটনে জোর, পূর্ব বর্ধমান জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলি তুলে ধরতে শিবির

পর্যটন শিল্পকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে একাধিক উদ্যোগ নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করতে আধুনিক পরিকাঠামো, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রচারে ঢালাও জোর দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে শুধু রাজস্ব বৃদ্ধিই নয়, বাড়ছে স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগও। রাজ্য সরকারের সাথে সাথে জেলা প্রশাসন ও নানা উদ্যোগ নিচ্ছে পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে।পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন দুদিনের প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করল। বৃহস্পতি ও শুক্রবার জেলার সদরে নিউ কালেক্টর বিল্ডিংর রাসবিহারী সভাকক্ষে এই শিবিরে যোগ দেন পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমান পর্যটন আধিকারিক ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা। বাংলার পর্যটন মানচিত্রে অবিভক্ত বর্ধমানের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলির প্রচার ও প্রসার করতেই এই আয়োজন বলে জানানো হয়। শিবিরে যোগদান করেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যটন বিভাগের অধ্যাপক মীর আব্দুল শফিক, দিলীপকুমার দাস, পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং (আইএএস)।দুদিনের শিবিরে পর্যটন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ঘিরে সার্কিট ট্যুরিজমের পরিকল্পনা নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়। এছাড়াও বাঁকুড়া, বীরভুম, পশ্চিম বর্ধমান, নদীয়ার মত লাগোয়া জেলাগুলির পর্যটন কেন্দ্রগুলির সঙ্গেও পূর্ব বর্ধমানকে কি ভাবে জোড়া যেতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়। পৌরানিক মত অনুযায়ী সারা দেশের যে সতীর ৫১টি বা ৫২টি মূল শক্তিপীঠের তালিকা পাওয়া যায় তাতে পূর্ব বর্ধমানের একাধিক শক্তিপীঠ আছে। এছাড়াও অম্বিকা কালনা ও বর্ধমান শহরে দুটি ১০৮ শিব মন্দির, বিজয় তোড়ণ (কার্জন গেট), শের আফগান, কুতুবুদ্দিন ও নুরজাহানের সমাধির মতো ঐতিহাসিক স্থানও রয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং বলেন, জেলায় এতিহাসিক গুরুত্বের অনেক পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। সেগুলি সংস্কারে উদ্যোগ করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদেরও পর্যটনে শিল্পে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্পে নতুন জোয়ার এনেছে রাজ্য সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগ। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পাহাড়, সমুদ্র, অরণ্য ও ঐতিহাসিক স্থানের আধুনিকীকরণ থেকে শুরু করে পরিবেশবান্ধব পর্যটনের উপরও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি রাজ্যের সংস্কৃতি, হস্তশিল্প এবং লোকসংগীতকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন জেলার পর্যটন শিল্পকে তুলে ধরতে ইতিমধ্যেই একটি ভিডিও তৈরি করেছে।রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন জানিয়েছেন, পর্যটন শুধু অর্থনীতির চাকা ঘোরায় না, এটি স্থানীয় সংস্কৃতি ও পরিচয়কে তুলে ধরার অন্যতম মাধ্যম। তাই আমরা একাধারে পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের যুক্ত করে পর্যটনের প্রসারে কাজ করছি।বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে গাইড প্রশিক্ষণ, হোমস্টে উন্নয়ন এবং পরিবেশবান্ধব পর্যটনের দিকে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। উত্তরবঙ্গ, সুন্দরবন, দার্জিলিং, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, বীরভুম সর্বত্র পর্যটনের নবজাগরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. শিবকালি গুপ্ত জনতার কথাকে জানান, পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সাহায্য করে। এটা যেমন কিছু মানুষের বিনোদন আবার বহু মানুষের জীবিকাতে বিরাট প্রভাব ফেলে। তিনি আরও জানান, আগে প্রত্যন্ত গ্রামে পর্যটক সেভাবে আসত না, এখন বহু বিদেশি পর্যটকও প্রত্যন্ত গ্রামে ভ্রমন করেন। তাঁরা হস্তশিল্প কিনছেন, খাবার খাচ্ছেন। সাথে গ্রামীন অর্থনীতিতে জোয়াড় আনতে সাহায্য করছেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের জেলায় পর্যটন অকর্ষনের অভাব নেই, জেলাকে ঘিরে আছে তিন তিনটে নদী (দামদর, ভাগীরথী, অজয়)। বিস্তীর্ন বনাঞ্চল, ঐতিহাসিক স্থাপত্য, হস্তশিল্প, লোকশিল্প। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের শম্ভুনাথ কলেজের ভুগোলের অধ্যাপক ড. কুনাল চক্রবর্তী বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে নানাবিধ প্রকল্প ঘোষনা করছে। রাজ্য সরকার Experience Bengal ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে। এতে বিভিন্ন সনামধন্য পর্যটন কেন্দ্রের সাথে সাথে বহু গ্রামীন পর্যটন কেন্দ্রেও মানুষের আনাগোনা বেড়েছে। তাঁর মতে পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তিনি বলেন, এই ধারা বজায় থাকলে আগামী পাঁচ বছরে বাংলার পর্যটন শিল্প দেশের অন্যতম বড় আয়ের উৎস হয়ে উঠবে।

জুন ২৫, ২০২৫
রাজ্য

নতুন বছরের শুরু থেকে পূর্ব রেলওয়ের নতুন টাইম টেবিল, বাড়ছে ট্রেনের গতি

রেলওয়েতে নতুন টাইম টেবিল চালু হতে চলেছে নতুন বছরের শুরুর দিন থেকে। এর ফলে ট্রেন চালানোর অ্যালগরিদমের যথেষ্ট উন্নতির পাশাপাশি পথের অপ্টিমাইজেশনের ফলে ভ্রমণের সময় উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করা। ভ্রমণের সময় এই হ্রাস পরিচালনমূলক নমনীয়তা বৃদ্ধি করবে এবং অদূর ভবিষ্যতে আরও ট্রেনের ব্যবস্থা করার ব্যবস্থা করবে। কলকাতার পুরাতন কৈলাঘাট বিল্ডিং-এ তার সভা কক্ষে মঙ্গলবার প্রিন্সিপাল চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার, ইস্টার্ন রেলওয়ে, উদয় শঙ্কর ঝা, এক সাংবাদিক বৈঠকে পূর্ব রেলের নতুন টাইম টেবিলের বৈশিষ্ট্যগুলি ব্যাখ্যা করেন।উদয় শঙ্কর ঝা আরও ব্যাখ্যা করেছেন যে, এই উন্নতি হল সারা বছর ধরে পরিচালিত নিবেদিত রক্ষণাবেক্ষণ কাজের ফলাফল এবং পূর্ব রেলের বিভিন্ন বিভাগে 3য়/4র্থ লাইন চালু করার ফলে যাত্রীরা দ্রুত এবং আরও উন্নতমানের ট্রেনযোগের জন্য অপেক্ষা করতে পারে। যাত্রা অবকাঠামো এবং ট্র্যাকগুলির আপগ্রেডগুলি ভ্রমণের সময়কে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করবে, রেল ভ্রমণে আরও আকর্ষণীয় বিকল্পগুলি তৈরি করবে। মেল/এক্সপ্রেস, প্যাসেঞ্জার ট্রেন এবং লোকাল ট্রেনের সময়ে বড় পরিবর্তনের সাথে সাথে নতুন ট্রেনের প্রবর্তন, ডাইভারশন, সময় পরিবর্তন, ফ্রিকোয়েন্সি বৃদ্ধি, ট্রেনের পুনঃসংখ্যা ইত্যাদি যা নতুন সময় সারণীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। শ্রী ঝা যাত্রীদের সুবিধার জন্য আরও ভাল পরিষেবা বজায় রাখার জন্য বৈধ যাত্রার টিকিট নিয়ে ভ্রমণ করার জন্য যাত্রীদের প্রতি আহ্বান জানান।নতুন টাইম টেবিলের প্রধান বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে একটি নতুন কৃষ্ণনগর-রানাঘাট লোকাল এবং দুটি হাওড়া-সিঙ্গুর লোকালের (একটি তারকেশ্বর পর্যন্ত এবং অন্যটি হরিপাল পর্যন্ত) এর বর্ধিতকরণের ব্যবস্থা রয়েছে যা যাত্রীদের শহরতলির বিভাগের প্রয়োজন অনুসারে। ৪২টি গুরুত্বপূর্ণ মেল/এক্সপ্রেস ট্রেনের সময় পরিবর্তন করা হয়েছে এবং ভ্রমণের সময় উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করা হয়েছে। অধিকন্তু, ৭২টি মেল/এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রার সময় ০৫ মিনিট থেকে কমিয়ে ৫৫ মিনিটে এবং ৮টি যাত্রীবাহী ট্রেনের গতি বাড়ানো হবে (EMU/MEMU/DEMU সহ) তাদের যাত্রার সময় ০৬ মিনিট থেকে ২০ মিনিটে কমবে।উল্লেখ্য যে, ৮৬টি প্যাসেঞ্জার ট্রেন, ৪৪টি DEMU যাত্রী এবং ১৪৬টি MEMU যাত্রী একটি নতুন নম্বর দিয়ে চলবে।

ডিসেম্বর ৩১, ২০২৪
বিনোদুনিয়া

পায়েল চৌধুরীর ইংরাজি স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবির ট্রেলার মুক্তি পেল

পায়েল চৌধুরীর চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় জয়দীপ চক্রবর্তী ও সাবিত্রী প্রোডাকশন প্রযোজিত ইংরাজি স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি দ্য ফোনেক্স। জয়দীপ চক্রবর্তীর লেখা এই ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন জয়দীপ চক্রবর্তী, বোধিসত্ত্ব মজুমদার ও ত্রিপর্ণা বর্ধন। অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন রোশনি, পায়েল, ইন্দ্রজিৎ, সরোজ, সৌমিত ও সুকন্যা। কলকাতা প্রেস ক্লাবে ছবিটির ট্রেলার ও গান মুক্তি পেল। উপস্থিত ছিলেন পায়েল চৌধুরী, জয়দীপ চক্রবর্তী, বোধিসত্ত্ব মজুমদার সহ অন্যান্যরা। কলাকুশলীদের এদিন খোশমেজাজেই দেখা গেল।কলকাতা, তার পাশ্ববর্তী এলাকা ও মন্দারমনিতে শুটিং হয়েছে ছবিটির। সাবিত্রী প্রোডাকশনের ইউটিউব চ্যানেলে ছবিটির টিজার প্রকাশের পর এই ছবির ট্রেলার প্রকাশিত হল।ছবির প্রয়োজক ও অভিনেতা জয়দীপ চক্রবর্তী বর্তমানে আবুধাবির বাসিন্দা। তাই দুবাইতেও এই ছবি মুক্তির পরিকল্পনা নিয়েছেন তিনি।

ডিসেম্বর ০৩, ২০২৪
রাজ্য

নিত্যযাত্রীদের জন্য বিরাট সুখবর, পূর্ব রেলের উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা

নিত্যযাত্রীরা বিশেষত অর্থাৎ যারা অফিস, আদালত, স্কুল, কলেজ বা ব্যবসার কাজে রোজই একটু দূরে বিশেষত কলকাতা বা সংলগ্ন অঞ্চলে যাতায়াত করে থাকেন, তাঁদের দীর্ঘ দিনের চাহিদা পূরণে ইন্টারসিটি ধরণের মাঝারি দূরত্বের এক্সপ্রেস ট্রেনগুলিতে অতিরিক্ত রিজার্ভড (সংরক্ষিত ) কোচ জুড়তে চলেছে পূর্বরেল। এই রিজার্ভড কোচ সংযুক্তির ফলে তাদের যাতায়াত আরও সুগম হয়ে উঠবে যা আর্থসামাজিক উন্নয়নেরও সহায়ক। পাঁচটি ট্রেন যেমন ১২৩৩৭/১২৩৩৮ হাওড়া - বোলপুর - হাওড়া শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেস, ১২৩৩৯/১২৩৪০ হাওড়া - ধানবাদ - হাওড়া কোলফিল্ড এক্সপ্রেস, ১২৩৪১/১২৩৪২ হাওড়া - আসানসোল - হাওড়া অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস, ১৩০১১/১৩০১২ হাওড়া - মালদা - হাওড়া ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস এবং ০৩০৪৭/০৩০৪৮ হাওড়া - রামপুরহাট - হাওড়া বিশ্বভারতী ফাস্ট প্যাসেঞ্জার ট্রেনগুলিতে লাগছে একটি করে অতিরিক্ত দ্বিতীয় শ্রেণীর চেয়ার কার। এই অতিরিক্ত কোচের সংযোজন ২৭ থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যেই উভয় প্রান্ত থেকে কার্যকর হবে। এছাড়াও, ১৩০৪৫/১৩০৪৬ হাওড়া - দেওঘর - হাওড়া ময়ূরাক্ষী এক্সপ্রেসে লাগছে একটি অতিরিক্ত সাধারণ দ্বিতীয় শ্রেণীর রিজার্ভড কোচ। এই ট্রেনে অতিরিক্ত কোচ সংযুক্তি হাওড়া থেকে ৩০শে নভেম্বর এবং দেওঘর প্রান্ত থেকে ১লা ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে। ২২৩২১/২২৩২২ হাওড়া - সিউড়ি - হাওড়া হুল এক্সপ্রেসে যাত্রীদের জন্য আরও সুখবর। তারা পাচ্ছেন একটি অতিরিক্ত এসি ৩ টায়ার কোচের সংযোজন। এতদিন পর্যন্ত এই গাড়িতে যাত্রীরা কেবলমাত্র বসেই যাতায়াত করতে পারতেন, কিন্তু এখন এসি ৩ টায়ার কোচের সংযোজনের ফলে যাত্রীরা শুয়ে অথবা ঘুমিয়ে যাতায়াত করতে পারবেন। অতিরিক্ত কোচের সংযুক্তির ফলে হুল এক্সপ্রেসের কোচ সংখ্যাও ১৩টি কোচ থেকে ১৪ টি কোচে বৃদ্ধি পেলো। এই এসি ৩ টায়ার কোচের সংযোজন উভয় প্রান্ত থেকেই ৩০শে নভেম্বর থেকে কার্যকর হবে। নিত্যযাত্রীদের চাহিদা পূরণে পূর্বরেল সর্বদাই সচেষ্ট। সময়বিশেষে দ্বিতীয় শ্রেণীর অতিরিক্ত কোচ সংযোজনের ফলে সাধারণ যাত্রীরা সাশ্রয়কারী যাতায়াতের মাধ্যম হিসেবে রেলের উপর বিশেষ নির্ভরশীল। রেলের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন নিত্য যাত্রীরা।

নভেম্বর ২৬, ২০২৪
রাজ্য

শিয়ালদা ডিভিশনে ৩০ সেকেন্ড লোকাল ট্রেনের স্টপেজ, সময় সংক্রান্ত বিভ্রান্তিকর খবর, জানাল রেল

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া সহ বিভিন্ন মাধ্যমে শিয়ালদা ডিভিশনের লোকাল ট্রেনের স্টপেজ সময় কমিয়ে ৩০ সেকেন্ড করা হয়েছে বলে একটি বিভ্রান্তিকর খবর ছড়িয়ে পড়েছে। এই তথ্য সম্পূর্ণ অসত্য এবং বিভ্রান্তিমূলক। যাত্রীদের কাছে বিনীত অনুরোধ করা হচ্ছে, এমন ধরনের অপপ্রচারে বিশ্বাস করবেন না এবং বিভ্রান্ত হবেন না।লোকাল ট্রেনগুলি আগের মতোই প্রতিটি স্টেশনে তাদের নির্ধারিত সময়ের জন্য দাঁড়াবে, এবং যাত্রীদের ওঠানামার জন্য পর্যাপ্ত সময় থাকবে। যাত্রীদের আরামদায়ক এবং নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে পূর্ব রেলওয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।যাত্রীদের অনুরোধ করা হচ্ছে, ধৈর্য ও সতর্কতার সঙ্গে ট্রেনে ওঠানামা করুন এবং যেকোনো ধরনের গুজবে কান দেবেন না। পূর্ব রেলওয়ের লোকাল ট্রেনের স্টপেজের সময় যেমন ছিল, তেমনই থাকবে।

অক্টোবর ১৯, ২০২৪
ভ্রমণ

ট্রেন যাত্রার অগ্রিম সংরক্ষণের সময়সীমা কমিয়ে হল ৬০ দিন

এতদিন ধরে ১২০ দিনে কবে রিজারভেশন হবে এই নিয়ে মানুষের মনে একটি বিভ্রান্তি বা কনফিউশন থাকত, কিন্তু ভারতীয় রেল সেই কনফিউশন দূর করে ১২০ দিনের পরিবর্তে এবার ৬০ দিনে রিজারভেশন চালু করেছে যা যাত্রীদের জন্য একটি সুসংবাদ। এমন অনেক যাত্রী রয়েছেন যারা বেশ কিছু সীমাবদ্ধতার কারণে তাদের যাত্রার অনেক আগে পরিকল্পনা করতে অসুবিধা বোধ করেন। যাত্রীসুবিধায় রেলওয়ে ট্রেন যাত্রার জন্য অ্যাডভান্সড রিজার্ভেশন পিরিয়ড (এআরপি) ১২০ দিন থেকে কমিয়ে ৬০ দিন করেছে। সংশোধিত নতুন এআরপি নিম্নরূপ কার্যকর হবে:১. অ্যাডভান্সড রিজার্ভেশন পিরিয়ড (এআরপি) হবে ৬০ দিন (যাত্রার দিন বাদে) যা ০১.১১.২০২৪ থেকে কার্যকর এবং সেই অনুযায়ী বুকিং করা হবে। তবে, ১২০ দিনের এআরপি-র অধীনে ৩১.১০.২০২৪ পর্যন্ত করা সমস্ত বুকিং বৈধ থাকবে।২. ৬০ দিনের এআরপি-র বাইরে করা আগের বুকিং থাকলে তা বাতিল করা যাবে।৩. তাজ এক্সপ্রেস, গোমতী এক্সপ্রেস ইত্যাদির মতো নির্দিষ্ট দিনের সময়ের এক্সপ্রেস ট্রেনের ক্ষেত্রে কোনও পরিবর্তন হবে না যেখানে অগ্রিম সংরক্ষণের জন্য নিম্ন সময়সীমা বর্তমানে কার্যকর রয়েছে।৪. বন্ধন এক্সপ্রেস ও মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের মতো আন্তর্জাতিক ট্রেনে বিদেশি পর্যটকদের ৩৬৫ দিনের বুকিংয়ের সময়সীমার ক্ষেত্রে কোনও পরিবর্তন হবে না।

অক্টোবর ১৭, ২০২৪
উৎসব

পুজোতে ভরসা ট্রেনই, বাঙালির ভ্রমণের মাধ্যম হিসেবে প্রথম পছন্দ

ভ্রমণপ্রিয় বাঙালি পুজোর সময় বেড়াতে যাবেই। পুজোর সময় ট্রেনে প্রচুর ভিড় হয় এবং ওয়েটিং লিস্টও থাকে প্রচুর। অনেকেই হয়তো অনেকদিন আগে থেকে প্ল্যান করেও টিকিট পান না কারণ টিকিটের চাহিদা সবসময়ই তুঙ্গে থাকে। ট্রেন যেহেতু খুবই সাশ্রয়ী একটি পরিবহণের মাধ্যম, তাই অনেকেই ট্রেন পথটিকেই নিজেদের প্রথম পছন্দের তালিকায় রাখেন এবং তা প্রাপ্ত অকুপেন্সি পজিশনের লিস্ট থেকেই পরিষ্কার। যেমন, কলকাতা - আগরতলা গরিব রথ এক্সপ্রেসে অকুপেন্সি পজিশন প্রায় ১৮৫% অর্থাৎ মানুষ একটি বার্থে একাধিকবার ভ্রমণ করেছেন। তেমনি কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসেও প্রায় ১৮০% অকুপেন্সি রয়েছে। আবার জম্মু তাওয়াই এক্সপ্রেস যেটি কলকাতা থেকে ছাড়ে সেটিরও অকুপেন্সি প্রায় ১৬৫% এই পুজোর ৭ দিনে। কামরূপ এক্সপ্রেস যেটি ডিব্রুগড় যায় সেটির চাহিদা তো বরাবর থাকে, এই ট্রেনটির অকুপেন্সিও প্রায় ১৬৪% অর্থাৎ একটি বার্থ একাধিকবার ব্যবহার করা হয়েছে। তেমনি মুম্বাই মেল, হাওড়া - অমৃতসর মেল যেগুলির অকুপেন্সি প্রায় ১৫০% অর্থাৎ ট্রেনের উপর মানুষের যে অগাধ ভরসা সেটা পুজোর এই ৭ দিনের পরিসংখ্যান থেকেই প্রমাণিত। অমৃতসরগামী অকালতখ্ত এক্সপ্রেসের অকুপেন্সি প্রায় ১৫০%, হাওড়া - বিকানির সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস অকুপেন্সি প্রায় ১৪৩% । এছাড়া পূর্বা এক্সপ্রেস, উপাসনা এক্সপ্রেস এগুলির অকুপেন্সি ১৪০% । এরপর আসা যাক মালদা - দিঘা এক্সপ্রেস, এই ট্রেনটিতেও অকুপেন্সি ১৩০% অর্থাৎ এই ট্রেনটিতেও প্রচুর মানুষ ঘুরতে গেছেন। রাধিকাপুরগামী কুলিক এক্সপ্রেস ১২১%, তিস্তা - তোর্সা এক্সপ্রেস ১২৫%, মালদা - আনন্দ বিহার যেই ট্রেনটির মাধ্যমে প্রচুর মানুষ মালদা থেকে দিল্লী যান সেটির অকুপেন্সি ১২৪%, কলকাতা - শিলঘাট কাজিরাঙা এক্সপ্রেসেও ১২২% অকুপেন্সি, রাজধানী এক্সপ্রেসে ১১৪% অকুপেন্সি , পুজোর চারদিনে দার্জিলিং মেলে অকুপেন্সি ১১৪%। যে ট্রেনটির কথা উল্লেখ না করলেই নয়, সেটি হল হাওড়া - নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। এই ট্রেনটিতেও অকুপেন্সি ১০৫% । শিয়ালদহ - নিউ দিল্লী দুরন্ত এক্সপ্রেসেও অকুপেন্সি প্রায় ১১০% । বাঙালি পুরী যাবে না এটা তো হতে পারে না, কলকাতা - পুরী স্পেশাল ট্রেনটির অকুপেন্সিও ১০০ শতাংশের উপরে। অর্থাৎ প্রতিবারের মতো এবারের পুজোতেও বাঙালির ভ্রমণের মাধ্যম হিসেবে প্রথম পছন্দ ট্রেন। মানুষ ট্রেনের উপরেই ভরসা রেখেছেন এবং এই পরিসংখ্যানই তার প্রমাণ।

অক্টোবর ১৬, ২০২৪
রাজ্য

বিনা টিকিটে ট্রেনে ভ্রমণকারীরা সাবধান, হঠাৎ অভিযান চালাচ্ছে কর্তৃপক্ষ

পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশনের বাণিজ্যিক বিভাগ সম্প্রতি টিকিট পরীক্ষা অভিযানে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে, যা রাজস্ব সংগ্রহ এবং বিধিনিষেধে উল্লেখযোগ্য উন্নতির প্রতিফলন। আগস্ট ২০২৪ মাসে, টিকিট পরীক্ষক কর্মীরা প্রায় ১.৯ কোটি টাকা জরিমানা আদায় করেছে। টিকিটবিহীন ভ্রমণ ও অনিয়মিত টিকিটের প্রায় ৭২,৭৯০টি মামলা সনাক্ত করেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এটি একটি উল্লেখযোগ্য উন্নতি, যেখানে মামলার সংখ্যা ১০.৩২% বৃদ্ধি পেয়েছে (৬৫,৯৭৯ থেকে)।হাওড়া ডিভিশনের বাণিজ্যিক বিভাগ নিয়মিত এবং আকস্মিক টিকিট পরীক্ষা অভিযান চালিয়ে এই উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি নিশ্চিত করেছে। পূর্ব রেলের তরফ থেকে যাত্রীদের টিকিট কাউন্টার, স্বয়ংক্রিয় টিকিট বিক্রয় যন্ত্র (ATVM), IRCTC ওয়েবসাইট এবং UTS মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইনে টিকিটিং সহ বিভিন্ন সুবিধাজনক টিকিটিং বিকল্পগুলি ব্যবহার করার জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে। নিরবিচ্ছিন্ন ও মসৃণ লেনদেনের জন্য, যাত্রীরা QR কোড পেমেন্ট মোডও ব্যবহার করতে পারেন।পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বৈধ টিকিট কেনার উপর জোর দিয়ে বলেন, টিকিট ছাড়া ভ্রমণ শুধুমাত্র একটি বড় অঙ্কের জরিমানা নয়, সমাজে নিজের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করে। তিনি সমস্ত যাত্রীদের জরিমানা এড়াতে এবং একটি সুন্দর যাত্রা নিশ্চিত করতে একাধিক টিকিটিং বিকল্প ব্যবহারের আহ্বান জানান।

সেপ্টেম্বর ০৯, ২০২৪
রাজ্য

ট্রেনে তো যাতায়াত করেন, হাওড়া ও শিয়ালদহ থেকে শহরতলির ট্রেন সংখ্যা কত জানেন? জানলে অবাক হবেন!

হাওড়া ও কলকাতা থেকে শহরতলির বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগের সবচেয়ে সহজ ও সাশ্রয়ী উপায় হল পূর্ব রেলের সাব-আরবান ট্রেন রুটগুলি। প্রতিদিন লাখো লাখো মানুষ এই ট্রেনগুলির উপর নির্ভর করে তাদের দৈনন্দিন যাতায়াতের জন্য। কিন্তু আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন, হাওড়া বা শিয়ালদহ থেকে সারাদিনে ঠিক কতগুলো সাবারবান ট্রেন চলাচল করে? পরিসংখ্যানটা জেনে আপনি অবাক হবেন। পূর্ব রেলের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সারাদিনে অর্থাৎ ভোর থেকে মধ্যরাত্রি পর্যন্ত হাওড়া ও শিয়ালদহ থেকে প্রতিদিন ১২৬৫টি সাব-আরবান ট্রেন যাতায়াত করে। হাওড়া থেকে ৩৮০ এবং শিয়ালদহ থেকে ৮৮৫টি ট্রেন প্রতিদিন যাত্রীদের নিয়ে গন্তব্যের পথে রওনা দেয়। শহরতলির বিভিন্ন এলাকায় যোগাযোগের জন্য এই ট্রেনগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাহলে আসুন শিয়ালদহ ডিভিশনের কিছু উল্লেখযোগ্য রুটের সাব-আরবান ট্রেন চলাচলের সম্বন্ধে একটু বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।শিয়ালদহ ডিভিশনে শিয়ালদহ এবং ব্যারাকপুর এর মধ্যে ১৩টি আপ এবং ১৪টি ডাউন, শিয়ালদহ থেকে নৈহাটির মধ্যে ১৭টি আপ ১৮ টি ডাউন, শিয়ালদহ থেকে বনগাঁও এর মধ্যে ২৬ টি আপ ২৪ টি ডাউন এবং উভয় দিকে একটি করে মাতৃভূমি লোকাল, শিয়ালদহ থেকে ডানকুনির মধ্যে আপ এবং ডাউনে ২০টি করে, শিয়ালদহ থেকে গেদের মধ্যে ১০টি আপ এবং ৯টি ডাউন, শিয়ালদহ থেকে ক্যানিং এর মধ্যে ২৪টি আপ এবং ২২টি ডাউন এবং উভয় দিকে একটি করে মাতৃভূমি লোকাল, শিয়ালদহ থেকে বারুইপুরের মধ্যে ১৯টি আপ এবং ১৯টি ডাউন ও উভয় দিকে একটি করে মাতৃভূমি লোকাল, শিয়ালদহ থেকে ডায়মন্ড হারবার-এর মধ্যে ২৬টি আপ এবং ২৫টি ডাউন, শিয়ালদহ থেকে বজবজের মধ্যে উভয় দিকেই ২৫টি, শিয়ালদহ থেকে লক্ষীকান্তপুর এর মধ্যে ২৪টি আপ এবং ২৩টি ডাউন, শিয়ালদহ থেকে হাসনাবাদ-এর মধ্যে ১২টি আপ ১৪টি ডাউন এছাড়াও রানাঘাট থেকে বনগাঁও এর মধ্যে ১৭টি আপ এবং ১৬টি ডাউন ট্রেন যাতায়াত করে।হাওড়া ডিভিশনের কিছু উল্লেখযোগ্য সাব-আরবান ট্রেন রুটের পরিসংখ্যান নিম্নরূপ -হাওড়া-বর্ধমান ভায়া কর্ড রুটে ২৩টি আপ এবং ২০টি ডাউন, হাওড়া-বর্ধমান মেন রুটে ২৪টি আপ ২২টি ডাউন, হাওড়া-ব্যান্ডেল রুটে ৪২টি আপ এবং ৪১টি ডাউন এবং উভয় দিকে একটি করে মাতৃভূমি লোকাল, হাওড়া থেকে শেওড়াফুলির মধ্যে ১১টি আপ ১১টি ডাউন, হাওড়া থেকে কাটোয়ার মধ্যে উভয়দিকেই ৯টি করে, হাওড়া থেকে তারকেশ্বরের মধ্যে ২০টি আপ এবং ২৩টি ডাউন, এছাড়াও বর্ধমান কাটোয়া রুটে উভয়দিকেই ৬টি করে এবং ব্যান্ডেল নৈহাটি রুটে উভয় দিকে ১৯টি করে ট্রেন যাতায়াত করে।হাওড়া ও শিয়ালদহ থেকে এই বিপুল সংখ্যক ট্রেনের চলাচল শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে তুলেছে। পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের নিরাপত্তা ও আরামের কথা মাথায় রেখে প্রতিনিয়ত ট্রেন পরিষেবা উন্নত করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। আমরা আশা করি, ভবিষ্যতেও এই সাবারবান ট্রেনগুলির মাধ্যমে আরও বেশি সংখ্যক যাত্রী সাশ্রয়ী ও নির্ভরযোগ্য যাতায়াতের সুবিধা পাবেন।

আগস্ট ৩০, ২০২৪
রাজ্য

ফের রাঙাপানিতে দুর্ঘটনার কবলে রেল, এখানেই ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল কাঞ্চনজঙ্ঘা

সেই রাঙাপানিতে ফের রেল দুর্ঘটনা। মাস দেড়েক আগেই ফাঁসিদেওয়ার রাঙাপানিতে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। বুধবার সেই জায়গাতেই আবারও রেল দুর্ঘটনা ঘটল। এবার লাইনচ্যুত হল মালগাড়ি।মঙ্গলবারই ঝাড়খণ্ডের চক্রধরপুর ডিভিশনের বারাবাম্বুতে মালগাড়ি লাইনচ্যুত হয়। সেই লাইনচ্যুত মালগাড়ির বগিতে পিছন থেকে ধাক্কা মারে হাওড়া-মুম্বই মেল। বেলাইন হয়ে ছিটকে পড়ে মুম্বই মেলের ১৮টি কামরা। দুর্ঘটনায় দুইজন যাত্রী নিহত হন, আহত হন শতাধিক। তার পরদিনই আবার লাইনচ্যুত হল মালগাড়ি। রেলের দুর্ঘটনা যেন লেগেই রয়েছে।বুধবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ রাঙাপানি স্টেশনের কাছেই দুর্ঘটনা হয়। গত ১৭ জুন, এই রাঙাপানিতেই মালগাড়ির সঙ্গে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের সংঘর্ষে ১০ জনের মৃত্যু হয়। মৃতদের মধ্যে মালগাড়ির চালকও ছিলেন। একই জায়গায় বারবার কেন দুর্ঘটনা, প্রশ্নের মুখে রেলের ভূমিকা।এদিকে এদিনের ট্রেন দুর্ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে এক পোস্টে লিখেছেন, আজ আরেকটি রেল দুর্ঘটনা, উত্তরবঙ্গের সেই একই, রাঙ্গাপানি এলাকায়, যেখানে মাত্র ছয় সপ্তাহ আগে সবচেয়ে মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনার সাক্ষী থেকেছিলাম আমরা! যা ঘটছে তা নিয়ে আমরা খুব উদ্বিগ্ন!!এদিকে, ঝাড়খণ্ডের চক্রধরপুর ডিভিশনের বারাবাম্বুতে স্টেশনের কাছে দুর্ঘটনাগ্রস্ত মুম্বই মেলের লাইনচ্যুত কামরাগুলি সরানোর কাজ চলছে। সরানো হচ্ছে বেলাইন হওয়া মালগাড়ির বগিও। আজ একটি লাইন দিয়ে ট্রেন চালানোর চেষ্টা চালাচ্ছে দক্ষিণ-পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ।মঙ্গলবার ভোরে দুর্ঘটনা কবলে মুম্বই-হাওড়া মেল। রেললাইনে পড়ে থাকা মালগাড়ির বগির সঙ্গে ধাক্কা লাগে এক্সপ্রেস ট্রেনের। ২ জনের মৃত্যু হয়। এখনও ৮ জন আহত যাত্রী চক্রধরপুরের হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

জুলাই ৩১, ২০২৪
রাজ্য

গভীর রাতে শিয়ালদহে পৌঁছল কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস, চোখেমুখে আতঙ্ক যাত্রীদের

অভিষপ্ত রেল যাত্রা শেষ। গন্তব্যে পৌঁছাল কাঞ্চনজঙ্ঘা। সোমবার রাত ৩.১৬ মিনিট নাগাদ শিয়ালদহ স্টেশনে পৌঁছল দুর্ঘটনাগ্রস্ত কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের অক্ষত অংশ। তখনও ট্রেন যাত্রীদের চোখেমুখে আতঙ্কে লর স্পষ্ট ছাপ।সেইসময় স্টেশনে হাজির ছিলেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং পূর্ব রেলের কর্তারা। ছিলেন শিয়ালদহ ডিভিশনের ডিআরএম দীপক নিগম এবং অন্য আধিকারিকরা। শিয়ালদহে যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন ফিরহাদ এবং রেল আধিকারিকরা। কারও কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না খোঁজ নেন তাঁরা। যাত্রীদের খাবার এবং জলের বোতল দেওয়া হয়।সোমবার গা শিউরে ওঠার মতো দুর্ঘটনার কবলে পড়ে শিয়ালদহগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। ফাঁসিদেওয়ার রাঙাপানি স্টেশনের কাছে সকাল ৮টা ৫০ মিনিট নাগাদ আচমকা ওই ট্রেনে পিছন দিক থেকে একটি মালগাড়ি এসে ধাক্কা মারে। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের চারটি কামরা লাইনচ্যুত হয়। এখনও পর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যুর খবর রেল জানিয়েছে। আহতের সংখ্যা ৪১। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয় উদ্ধারকাজ। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন ছাড়ার পর কিছুটা দূরেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে শিয়ালদহগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস।

জুন ১৮, ২০২৪
রাজ্য

কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত বেড়ে ৯, ক্ষতিপূরণ ঘোষণা রেলের, ছুটলেন রেলমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী

গা শিউরে ওঠার মতো দুর্ঘটনার কবলে শিয়ালদহগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। সময় যত গড়াচ্ছে এই দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ততই বাড়ছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলেছে উদ্ধারকাজ। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন ছাড়ার পর কিছুটা দূরেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে শিয়ালদহগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস।ওই লাইনে পিছন থেকে আসা একটি মালগাড়ির সজোরে ধাক্কায় দুমড়ে মুচড়ে দলা পাকিয়ে যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুটি কামরা। ঘটনার জেরে এখনও পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়েছে মৃতদেহগুলি। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের গার্ড ও মালগাড়ির দুই চালক।রেলের তরফে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত এই দুর্ঘটনার পর তদন্তে নেমে অনুমান করা হচ্ছে যে মালগাড়ির চালকের ভুলেই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। যদিও সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপরণ দেওয়ার ঘোষণা রেলের। গুরুতর আহতদের পরিবারকে আড়াই লক্ষ টাকা এবং অল্প আহতদের ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করেছে রেল।রাঙাপানি স্টেশনের কাছে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে শিয়ালদহগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। ট্রেনের ২টি কামরা দুমড়ে মুচড়ে যায়। ট্রেনটির বাকি কামরাগুলিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মালদা টাউন স্টেশনের দিকে।ফাঁসিদেওয়ায় ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। শিলিগুড়ি থেকে ফাঁসিদেওয়ায় পৌঁছোন রেলমন্ত্রী। বাইকে চেপে দুর্ঘটনাস্থলে যান রেলমন্ত্রী। অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, কাল সকালের মধ্যে উদ্ধারকাজ শেষ হয়ে যাবে।কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার খবর পেয়েই বিকেলে দুর্ঘটনা স্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। তিনি বলেন, জেলাশাসক, এসপি, ডাক্তার, অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধার কাজ চলছে। পাশাপাশি রেলের সুরক্ষা নিয়েও প্রশ্ন তুলে বলেন, রেল এখন অভিভাবকহীন, রেলের পরিষেবা এখন অত্যন্ত নীচে নেমে গিয়েছে, খাবার থেকে শৌচাগার নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে রয়েছে নানান অভিযোগ। সময়মতো উদ্ধারকার্য্য শুরু না হলে আরও অনেকের মৃত্যু হতে পারত। যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যে কোন খেয়াল রাখা হয়নি। অ্যান্টি কোশিলন ডিভাইস আমি তৈরি করে দিয়ে এসেছিলাম। এখন রেলের বাজেট নেই, উঠিয়ে দিয়েছে।

জুন ১৭, ২০২৪
রাজ্য

বড়সড় দুর্ঘটনার কবলে শিয়ালদামুখী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস

ফিরল করমন্ডল এক্সপ্রেসের ছবি। বড়সড় দুর্ঘটনার কবলে শিয়ালদামুখী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন পেরানোর পরেই কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসেকে সজোরে ধাক্কা মারে মালগাড়ি। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুটি কামরা সম্পূর্ণ দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে। বহু যাত্রীর আহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পিছনের দুটি কামরা লাইনচ্যুত। মালগাড়ির ইঞ্জিনের ওপর উঠে গেল কাঞ্চনজঙ্ঘার দুটি কামরা। স্থানীয় মানুষজন উদ্ধারের কাজে হাত লাগায়।৫ জনের মত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জখম হয়েছেন ২৫-৩০ জন। একই লাইনে মালগাড়ি ও কাঞ্চনজঙ্ঘা, উত্তরবঙ্গে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনায় মৃত্যু ৫

জুন ১৭, ২০২৪
রাজ্য

যাত্রীদের কষ্টের দিন শেষ, শীঘ্রই শিয়ালদহ মেইন সেকশনে সমস্ত ১২ কোচের লোকাল ট্রেন

শিয়ালদহ মেইন ও নর্থ সেকশনে সমস্ত EMU লোকালগুলিকে ১২ কোচের করার জন্য শিয়ালদহ মেইনের সাবার্বান প্লাটফর্মগুলি অর্থাৎ ১ থেকে ৫ নং প্লাটফর্মের দৈর্ঘবৃদ্ধির কাজ জোরকদমে এগিয়ে চলেছে। শিয়ালদহ স্টেশনের ইয়ার্ডের জটিলতা সত্ত্বেও চ্যালেঞ্জগুলি কাটিয়ে, ডেডিকেটেড প্রজেক্ট টিম 24X7 অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছে নির্দিষ্ট যাতে সময়সীমার মধ্যে কাজ সম্পন্ন করা যায়। নতুন ট্র্যাক, বৈদ্যুতিক লাইন ইত্যাদি স্থাপনের কাজ সহ এমন একটি বিশাল প্রকল্প সম্পন্ন করার জন্য সুবিন্যস্ত পরিকল্পনা এবং সুস্পষ্ট সমন্বয় গুরুত্বপূর্ণ। এই নতুন লে আউটে ইলেকট্রিক ট্রাকশনের বন্দোবস্ত এবং সিগন্যালিং মডিফিকেশনের কাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ধৈর্যসাপেক্ষ ব্যাপার। ট্রেন চলাচল চালু রেখে এসমস্ত কাজ করা যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং এবং দক্ষ রেলকর্মীরা এই বাধা অতিক্রম করে এগিয়ে চলেছেন। গ্রীষ্মের ভয়ঙ্কর তাপপ্রবাহ সত্ত্বেও, নিবেদিত প্রজেক্ট টিম বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠছে এবং ওভারহেড বৈদ্যুতিক তার এবং সিগন্যালিং সরঞ্জামগুলির জন্য নতুন খুঁটি স্থাপন করা হচ্ছে। নিরাপত্তা বৃদ্ধি এবং নতুন পরিকাঠামোর নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করার জন্য এই কাজটি নির্ভুলতার সাথে করা হচ্ছে। দিনের যাত্রী চলাচলে ব্যাঘাত কমাতে এবং ধুলা দূষণ কমাতে রাতে নির্মাণ কাজ চালানো হচ্ছে।যাত্রীদের অসুবিধা কমানোর জন্য, দিনের বেলায় যাত্রীদের চলাচলের সুবিধার্থে প্ল্যাটফর্ম ১,২,৩ এবং ৪ এর কাছে অতিরিক্ত অস্থায়ী এক্সেস রুট খোলা হয়েছে।প্রতি রাতেই রেলসেবা নিবৃত্তির পরেই পূর্বরেলের কর্মীরা কোমর বেঁধে কাজে নেমে পড়ছেন কারণ ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে প্রথম ট্রেন চলার আগেই কাজ শেষ করতে হবে যাতে যাত্রীসাধারণ কোনওরকম অসুবিধার সম্মুখীন না হন। শিয়ালদহের সমস্ত সংশ্লিষ্ট বিভাগই প্রত্যেকে প্রত্যেকের বিভাগীয় কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে নিয়ে চলতে বদ্ধপরিকর যাতে খুব শীঘ্রই শিয়ালদহ মেইন এবং নর্থ এর সমস্ত লোকাল ট্রেনই ১২ বগির করে তোলা যায়। প্রকল্পটি শিয়ালদহে সামগ্রিক পরিচালন নমনীয়তা এবং যাত্রীদের সুবিধা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এপ্রিল ১৮, ২০২৪
নিবন্ধ

আপনি কোন ট্রেনে চাপেন EMU নাকি MEMU? জানেন তাদের পার্থক্য?

কলকাতা ও হাওড়ার শহর ও শহরতলীর বাসিন্দরা EMU লোকাল ট্রেনগুলিতে চড়েননি, এরকম যাত্রী খুব কমই আছেন। অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য এই যাতায়াত মাধ্যম এই অঞ্চলের দ্রুত নগরায়নের সহায়ক হিসেবেও বলা যেতে পারে। EMU ট্রেনগুলি শহরতলির অংশগুলির মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থার সুবিধাকে ত্বরান্বিত করে। দ্রুতগতির ত্বরণ, চওড়া কোচ, চওড়া দরজা - জানালা, ফলে ভালোভাবে হাওয়া চলাচলের ব্যবস্থা এবং কোচের অভ্যন্তরে হাই স্পিড ফ্যানগুলি যাত্রী স্বাচ্ছন্দের সহায়ক। এই অঞ্চলে প্রথম EMU ট্রেন চলাচল শুরু হয় হাওড়া - শেওড়াফুলি সেকশনে ১৯৫৭ সালে। EMU ট্রেনে অনেকগুলি করে ইউনিট থাকে। প্রত্যেকটি unit এ থাকে দুটি ট্রেইলার কোচ এবং একটি মোটর কোচ এবং EMU ট্রেনে কোচের সংখ্যা সচরাচর তিনের গুণিতকে হয়। বর্তমানে ৯ কোচ বা ১২ কোচ EMU ট্রেনের চলাচল পূর্ব রেলের অধিক্ষেত্রে দেখা যায়। এর প্রত্যেকটি ট্রেইলার কোচে ১১৩ জন যাত্রী বসতে পারে যেখানে মোটর কোচে বসতে পারে ৯৮ জন যাত্রী। এছাড়া EMU ট্রেনগুলিতে স্থানীয় পণ্যের সহজে বাজারজাত করার জন্য vendor কোচ ও যুক্ত থাকে যেখানে ৮৬ জন যাত্রী বসতে পারে। ২৫ KV AC ট্র্যাকশন এবং কনভার্টার এর সাহায্যে এই ট্রেনের DC মোটরগুলিকে চালানো হয়। পূর্বরেলের অধিক্ষেত্রে কলকাতা, হাওড়ার শহর এবং শহরতলীর যোগাযোগব্যবস্থা বজায় রাখতে রোজ প্রায় ১২৭২ টি EMU লোকাল চলাচল করে। এর মধ্যে হাওড়া ডিভিশনে চলে ৩৮৬ টি লোকাল ট্রেন এবং শিয়ালদহ ডিভিশনে ৮৮৬ টি লোকাল ট্রেন। এছাড়াও প্রায় একইরকম দেখতে MEMU বা Mainline EMU ট্রেন চলাচল করে। এই MEMU ট্রেনগুলি সচরাচর শহরতলীর বাইরের অঞ্চলে স্বল্প এবং মাঝারি দূরত্বের ট্রেন হিসেবে চালানো হয়। EMU ট্রেন এর মতোই MEMU ট্রেনগুলিরও আলাদা কোনও ইঞ্জিন থাকে না। মোটর কোচগুলি এখানে ইঞ্জিনের কাজ করে। যদিও MEMU ট্রেনের দৈর্ঘ্য সাধারণত EMU ট্রেনের তুলনায় বেশি হয়। কারণ, MEMU ট্রেনগুলিতে কোচের সংখ্যা সচরাচর EMU ট্রেনগুলির তুলনায় বেশি হয়। বর্তমানে পূর্ব রেলে মোট ১৪১ টি MEMU ট্রেন চলাচল করে। এর মধ্যে হাওড়া ডিভিশনে চলে ৪৫ টি, শিয়ালদহ ডিভিশনে ১৩ টি, আসানসোলে ৮৫ টি এবং মালদা ডিভিশনে ৬ টি। ১৯৯৫ সালে আসানসোল-আদ্রা বিভাগে MEMU পরিষেবা প্রথম শুরু হয়েছিল।এছাড়াও আছে DEMU ট্রেন। তবে এগুলি চলে ডিজেল মোটরে। পূর্ব রেলে এখন মোট ৫০ টি DEMU সার্ভিস চলাচল করে। এরমধ্যে ১১ টি হাওড়া ডিভিশন, ৩৯ টি মালদা ডিভিশনে চলে। এই EMU /MEMU /DEMU ট্রেনগুলি পূর্বরেলের অধিক্ষেত্রে স্বল্প ও মাঝারি দূরত্বে কম খরচে যাতায়াতের জন্য সকল শ্রেণীর মানুষের কাছে সমাদৃত। সর্বনিম্ন ভাড়া ৫ টাকায় লোকাল ট্রেনে চড়ে যতটা দূরত্বে যাওয়া যেতে পারে, তা অকল্পনীয়। এর পরিবর্তে যে কোনও স্থল পরিবহনের মাধ্যমে সমদূরুত্বে যাতায়াত করতে ২০ টাকা দিতে হতে পারে। বাংলার আর্থ সামাজিক উন্নতিতে পূর্ব রেল এই সাবার্বান ট্রেনগুলির পরিচালনায় অত্যন্ত তৎপর এবং গণপরিবহনের মাধ্যমের উপর সঠিক গুরুত্ব আরোপ করে যথাযতভাবে চালাতে সর্বদা সচেষ্ট।

এপ্রিল ১১, ২০২৪
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • ›

ট্রেন্ডিং

বিদেশ

চীনে ইতিহাস! ৭০০ কিমি/ঘন্টা গতিতে ছুটল সুপারকন্ডাক্টিং ম্যাগলেভ ট্রেন

চীন বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে তাদের নতুন সুপারকন্ডাক্টিং ম্যাগলেভ ট্রেন পরীক্ষার মাধ্যমে। মাত্র দুই সেকেন্ডে ট্রেনটি ৭০০ কিমি/ঘন্টা গতিতে পৌঁছায়, যা এখন পর্যন্ত বিশ্বের দ্রুততম ম্যাগলেভ ট্রেন।জাতীয় প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ৪০০ মিটার দীর্ঘ ট্র্যাকে পরীক্ষাটি চালান। এক টন ওজনের এই ট্রেনটি দ্রুতগতিতে ছুটে পৌঁছায় রেকর্ড গতিতে, তারপর নিরাপদে থামানো হয়। পরীক্ষার ভিডিওতে ট্রেনটি যেন রূপালি আলোয় এক ঝলক দেখায়, চোখে ধরা প্রায় অসম্ভব, যা দেখলে মনে হয় কোনো বিজ্ঞান কল্পকাহিনী হচ্ছে।ট্রেনটি ট্র্যাকের উপরে ভাসে সুপারকন্ডাক্টিং চুম্বকের সাহায্যে, ফলে রেলরেলের সঙ্গে কোনো সংস্পর্শ নেই এবং ঘর্ষণহীন গতিতে চলে। পরীক্ষায় ব্যবহৃত ইলেকট্রোম্যাগনেটিক সিস্টেম এতটাই শক্তিশালী যে গবেষকরা বলছেন, এটি তাত্ত্বিকভাবে রকেট উৎক্ষেপণেও ব্যবহার করা যেতে পারে।এমন উচ্চ গতিতে, দূরবর্তী শহরের মধ্যে যাত্রার সময় কয়েক মিনিটে সীমিত করা সম্ভব। ভবিষ্যতে হাইপারলুপ বা ভ্যাকুয়াম টিউব ট্রান্সপোর্টের মতো আধুনিক প্রযুক্তির জন্যও এটি নতুন দিশা দেখাচ্ছে।দক্ষিণ চায়না মর্নিং পোস্টের খবর অনুযায়ী, এই সিস্টেম অনেক প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জকে কাটিয়ে উঠেছে। এর মধ্যে রয়েছে উচ্চ গতির ইলেকট্রোম্যাগনেটিক প্রপালশন, সঠিক সাসপেনশন ও গাইডেন্স, শক্তিশালী পাওয়ার স্টোরেজ এবং উচ্চ-ফিল্ড সুপারকন্ডাক্টিং চুম্বক ব্যবহারের মতো বিষয়। অধ্যাপক লি জি বলেন, সফল পরীক্ষার ফলে চীনের উচ্চগতির ম্যাগলেভ গবেষণা অনেক দ্রুত এগোবে।গবেষণা দল প্রায় দশ বছর ধরে এই প্রকল্পে কাজ করছে। এর আগে, এই একই ট্র্যাকে জানুয়ারিতে ৬৪৮ কিমি/ঘন্টা গতি অর্জন করা হয়। প্রায় ৩০ বছর আগে বিশ্ববিদ্যালয় চীনের প্রথম মানুষ বহনকারী একক বগির ম্যাগলেভ ট্রেন তৈরি করেছিল, যার ফলে চীন বিশ্বে তৃতীয় দেশ হিসেবে ম্যাগলেভ প্রযুক্তিতে দক্ষতা অর্জন করে।

ডিসেম্বর ২৭, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

হরমনপ্রীত কৌরের রেকর্ড জয়ের ধারা! মহিলাদের টি-টোয়েন্টিতে ইতিহাস গড়ল ভারত

ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর এবার টি-টোয়েন্টিতেও মেয়েদের ক্রিকেটে ভারতের জয়যাত্রা অব্যাহত। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে তৃতীয় ম্যাচেও জয় পেয়ে সিরিজ নিজেদের পকেটে ভরিয়েছে ভারতীয় দল। আর এই জয়যাত্রার মধ্যে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর।ভারতীয় মেয়েদের ক্রিকেটে হরমনপ্রীত ১৩০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন, যার মধ্যে ৭৭টি ম্যাচ জিতেছেন। অর্থাৎ জয়ের হার ৫৮.৪৬ শতাংশ। এটি মহিলাদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বোচ্চ টি-টোয়েন্টি জয়ের রেকর্ড। আগের রেকর্ডটি অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক লেগ ল্যানিংয়ের নামে ছিল, যিনি ১০০টি ম্যাচে ৭৬টি জিতেছিলেন। যদিও ভারতের ঝুলিতে এখনও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আসেনি, হরমনপ্রীতের নেতৃত্বে ভারতীয় দল যে পারফরম্যান্স দেখাচ্ছে, তাতে ভক্তরা আশা করছেন টি-টোয়েন্টিতেও সাফল্য আসবে।পুরুষদের ক্রিকেটেও এই রেকর্ড এখনও কারও নেই। রোহিত শর্মা ৬২ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে ৪৯টি জয় পেয়েছেন। মহেন্দ্র সিং ধোনি ৭২ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে ৪১টি জয় পেয়েছিলেন।শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দুরন্ত ফর্মে ছিলেন দীপ্তি শর্মা। মাত্র ১৮ রান দিয়ে তিনটি উইকেট তুলে নেন তিনি। এই জয়ে তাঁর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মোট উইকেট সংখ্যা দাঁড়াল ৩৩৩। এর ফলে তিনি অস্ট্রেলিয়ার এলসি পেরিকে (৩৩১ উইকেট) ছাপিয়ে গেছেন। সব ফরম্যাট মিলিয়ে বর্তমানে দীপ্তি তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী, শীর্ষে রয়েছেন ঝুলন গোস্বামী, যাঁর উইকেট সংখ্যা ৩৫৫।মহিলাদের ক্রিকেটে এই রেকর্ড ও পারফরম্যান্স ভারতের খেলা ভক্তদের মধ্যে উচ্ছ্বাস ছড়াচ্ছে, এবং আশা জাগাচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সাফল্যের।

ডিসেম্বর ২৭, ২০২৫
বিদেশ

ঢাকার কেরানিগঞ্জে মাদ্রাসা ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নারী-শিশুসহ চারজন আহত

ঢাকার কেরানিগঞ্জ থানার হাসনাবাদ এলাকায় উম্মাল কুরা ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার একতলা ভবনে শুক্রবার দুপুরে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে নারী ও শিশু-সহ চারজন আহত হন। মুহূর্তের মধ্যে ভবনের কয়েকটি কক্ষের দেয়াল উড়ে যায়। দুই কক্ষের দেয়াল সম্পূর্ণ ধসে পড়ে এবং ছাদ ও বিমে ফাটল দেখা দেয়। পাশের ভবনের দেয়াল ও জানালাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।মাদ্রাসায় প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করত। তবে শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় কোনও শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন না, ফলে প্রাণহানির ঘটনা এড়ানো গেছে।বিস্ফোরণে মাদ্রাসার পরিচালক শেখ আল আমিন (৩২), তার স্ত্রী আছিয়া বেগম (২৮) এবং দুই ছেলে উমায়েত (১০) ও আবদুল্লা (৭) আহত হয়েছেন। আহতদের প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, বিস্ফোরণে তাদের ভবনের কিছু অংশ ফেটে গেছে এবং ঘরের আসবাবপত্রও ভেঙে পড়েছে। এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, তিনি গাড়ি গ্যারেজে রাখার সময় ইটের আঘাতে অজ্ঞান হয়ে যান।ভবনের মালিক পারভীন বেগম জানিয়েছেন, তিন বছর ধরে মাদ্রাসাটি ভাড়া নিয়ে পরিচালনা করতেন মুফতি হারুন। তিনি মাঝে মাঝে মাদ্রাসায় আসতেন, কিন্তু ভবনের আড়ালে কী ঘটছিল, তা বুঝতে পারেননি। পুলিশ ভবনের ভেতর থেকে ককটেল, দাহ্য পদার্থ ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে।দক্ষিণ কেরানিগঞ্জ থানার ওসি সাইফুল আলম জানিয়েছেন, বম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ঘটনাস্থলে কাজ করেছে এবং ঘটনার প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটনে ক্রাইম সিন ইউনিট ও বম্ব ডিসপোজাল ইউনিট তদন্ত চালাচ্ছে।

ডিসেম্বর ২৭, ২০২৫
দেশ

দিল্লিতে কুয়াশা ও দূষণের তাণ্ডব, জারি করা হল হলুদ সতর্কতা

দিল্লিতে কুয়াশা ও দূষণের জেরে স্বাভাবিক জীবন আজও ব্যাহত। মৌসম ভবনের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী দিনগুলোতেও আকাশ কুয়াশাচ্ছন্ন থাকবে। ২৮ ও ২৯ ডিসেম্বর ঘন কুয়াশা দেখা যাবে, তবে ৩০ ডিসেম্বর থেকে তা কমতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।শুক্রবার সকালেই দিল্লির বাতাসের সামগ্রিক গুণমান সূচক (AQI) ৩৩২-তে পৌঁছেছে, যা নির্দেশ করে রাজধানীর বাতাস প্রায় ভয়াবহ পর্যায়ে। সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি দেখা গেছে নরেলা ও জাহাঙ্গীরপুরী (৪১৭), নেহরুনগর (৪০২), মুন্ডকা (৩৭৫), জেএলএন স্টেডিয়াম (৩৪০), আইজিআই বিমানবন্দর ও দ্বারকা সেক্টরে (২৪৮)।ধোঁয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা অনেকাংশে কমে গেছে, জনজীবনও ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়েছে। শিশু ও প্রবীণদের জন্য বাতাস বিশেষভাবে ক্ষতিকারক হয়েছে, অনেকেই চোখজ্বালা ও ক্রমাগত কাশির সমস্যায় ভুগছেন।দূষণ মোকাবিলার জন্য দিল্লিতে সর্বোচ্চ স্তরের নিয়ন্ত্রণবিধি জারি রয়েছে। প্রশাসন জল স্প্রে করে দূষণ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। এছাড়া, ক্লাউড সিডিং-এর তিনটি ট্রায়াল ব্যর্থ হয়েছে, যার ফলে প্রায় ১.০৭ কোটি টাকা খরচ হয়েছে, কিন্তু দূষণ কমানো সম্ভব হয়নি।শনিবারও দিল্লি ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা। মৌসম ভবন হলুদ সতর্কতা জারি করেছে রবিবার ও সোমবারের জন্য। ভোরের সময় দৃশ্যমানতা কম থাকার কারণে ট্রেন ও বিমান চলাচলে সমস্যা দেখা দিতে পারে। যাত্রীদের বিমান ছাড়ার আগে সময় দেখে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

ডিসেম্বর ২৭, ২০২৫
দেশ

জম্মুর পাহাড়ি অঞ্চলে লুকিয়ে ৩০-৩৫ পাক জঙ্গি, তল্লাশি শুরু সেনার

জম্মুর উঁচু পাহাড়ি অঞ্চলে লুকিয়ে আছে প্রায় ৩০-৩৫ পাক জঙ্গি। গোপন সূত্রে খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভারতীয় সেনা তল্লাশি অভিযান জোরদার করেছে। উপত্যকার কিস্তওয়ার ও দোদা জেলায় শুরু হয়েছে জঙ্গিদমন অভিযান।সূত্রের মতে, চলতি বছরের এপ্রিলে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর সেনার অভিযান বাড়ায় পাক জঙ্গিদের স্থানীয় নেটওয়ার্ক দুর্বল হয়ে পড়েছে। এই কারণে তারা পাহাড়ি অঞ্চলে লুকিয়েছে। শীতকালে সেই সব জায়গা বরফে ঢাকা থাকে এবং জনবসতিও নেই। তাই জঙ্গিরা নিরাপদে লুকোনোর জন্য পাহাড়ি এলাকা বেছে নিয়েছে।সেনা সূত্রে খবর, জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ, সিআরপিএফ, স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ, ফরেস্ট গার্ড ও ভিলেজ ডিফেন্স গার্ড যৌথভাবে এই অভিযান চালাচ্ছে। যৌথ বাহিনীর লক্ষ্য লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের কোণঠাসা করে দ্রুত নিধন করা। নইলে তারা সুযোগ পেলে জনবসতিপূর্ণ এলাকায় ঢুকে হামলা চালাতে পারে।প্রসঙ্গত, এপ্রিলে কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এরপর সেনা পাল্টা অভিযান চালিয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীর এবং পাকিস্তানের মূল ভূখণ্ডে নটি জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করে। এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছিল অপারেশন সিঁদুর। ভারতীয় সেনার এই অভিযানের পর পাকিস্তানি সেনাও ভারতে হামলা চালায়, তবে দুদেশ সীমান্তে দিন দুয়েকের টানাপড়েনের পর সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয়।

ডিসেম্বর ২৭, ২০২৫
রাজ্য

মন্ত্রীর কন্যার নাম ভোটার তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও রি-ভেরিফিকেশনের নোটিশ! নতুন করে চাঞ্চল্য

মালদহের মোথাবাড়ির বিধায়ক ও রাজ্যের সেচ ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের বড় মেয়ের নামে এসআইআর-এ রি-ভেরিফিকেশনের জন্য নোটিশ ইস্যু করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রী খুবই ক্ষুব্ধ। তাঁর অভিযোগ, এই ধরনের নোটিশ সাধারণ মানুষকেও হয়রানির দিকে ঠেলে দিচ্ছে।মন্ত্রী জানিয়েছেন, তাঁর বড় মেয়ে ফিজা বিনতে আলম বর্তমানে আমেরিকায় পড়াশোনা করছেন। ইউএসএ-তে প্রায় দুই বছর ধরে তিনি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় তাঁর নাম থাকার কথা নয়। ২০২৫ সালের তালিকায় নাম রয়েছে। সম্প্রতি এসআইআর শুরুর পর নিয়ম মেনে ফর্ম পূরণ করেছেন ফিজা। বাবার নাম এবং ভোটার কার্ড সংযুক্ত করেছেন তিনি। তারপরও খসড়া ভোটার তালিকায় তাঁর নাম এসেছে এবং হিয়ারিংয়ের জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছে।মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, এভাবেই বিজেপির প্রভাবেই কমিশন সাধারণ মানুষকে হয়রানি করছে। আমার মেয়ের নাম-ই শুধু নয়, অনেক সাধারণ ভোটার যথেষ্ট নথি দেওয়ার পরও হিয়ারিংয়ে নোটিশ পাচ্ছেন। এভাবে মানুষকে হয়রানি করে রাজ্যের বিধানসভা ভোটে কেউ জয়ী হতে পারবে না।এই ঘটনায় জেলা রাজনীতিতে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। জেলা বিজেপি নির্বাচন কমিশনের পাশে দাঁড়ালেও, তৃণমূল কংগ্রেস প্রকৃত ভোটারদের নাম বাদ না করার দাবিতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।ফিজা বিনতে আলমের পরিবার সম্পর্কে জানা গেছে, মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের স্বামী মহম্মদ মেহবুব আলম কালিয়াচকের একজন ব্যবসায়ী। তাঁদের দুই মেয়ে রয়েছে, বড় মেয়ে বিদেশে পড়াশোনা করছেন। সাবিনা নিজে মোথাবাড়ি কেন্দ্রের বিধায়ক হলেও কালিয়াচকের চাঁদপুরের বাসিন্দা।

ডিসেম্বর ২৭, ২০২৫
বিদেশ

রকস্টার জেমসের শোয়ে তাণ্ডব, স্কুলের অনুষ্ঠানে আচমকা হামলায় আহত বহু

শুধু ভারতীয় শিল্পী নয়, এ বার বাংলাদেশি শিল্পীরাও হামলার মুখে। বাংলাদেশের জনপ্রিয় রকস্টার জেমসের অনুষ্ঠানে হামলার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। শুক্রবার ফরিদপুর জেলার এক স্কুলের ১৮৫তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে পারফর্ম করতে গিয়েছিলেন জেমস ও তাঁর ব্যান্ড। সেই অনুষ্ঠান চলাকালীনই আচমকা হামলা চালায় একদল লোক।আয়োজকদের দাবি, কয়েকজন বহিরাগত জোর করে স্কুল চত্বরে ঢুকে অনুষ্ঠান দেখার চেষ্টা করছিল। বাধা দেওয়া হলে তারা ইট ও পাথর ছুড়তে শুরু করে। এর পর হামলাকারীরা মঞ্চের দিকে এগিয়ে গিয়ে জেমসের স্টেজ দখল করার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।ইট-পাথরের হামলার মধ্যে কোনও রকমে রক্ষা পান জেমস। তবে ঘটনায় অন্তত ১৫ জন পড়ুয়া আহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আহতরা সবাই অনুষ্ঠান দেখতে এসেছিল। হামলার পর পড়ুয়াদের বিক্ষোভ শুরু হলে হামলাকারীরা ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়।পরিস্থিতি সামাল দিতে জেলা প্রশাসনের তরফে অনুষ্ঠান বাতিল করে দেওয়া হয়। যদিও গায়ক জেমস আহত হননি বলে জানিয়েছে স্থানীয় সূত্র। ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।উল্লেখ্য, সম্প্রতি ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ছায়ানট ও উদীচীর মতো সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছিল। তার রেশ কাটতে না কাটতেই এ বার জেমসের অনুষ্ঠানে হামলার ঘটনা বাংলাদেশের শিল্প ও সংস্কৃতির নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলে দিল।

ডিসেম্বর ২৭, ২০২৫
রাজ্য

বারাসতের সাংসদের দুই ছেলে, মা ও বোনও হিয়ারিংয়ে, ক্ষোভ উগড়ে দিলেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার

এসআইআর প্রক্রিয়া তাড়াহুড়ো করে করা হচ্ছে বলে প্রথম থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের অসন্তোষ। কেন দুই বছরের কাজ মাত্র দুই মাসে করা হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের পর থেকেই নানা অসঙ্গতি ধরা পড়েছে। ডানকুনির পৌরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর সূর্য দে-র নামের পাশে মৃত লেখা রয়েছে।এবার এসআইআর শুনানিতে ডাকা হয়েছে খণ্ডঘোষের তৃণমূল বিধায়ক নবীনচন্দ্র বাগের মা, ভাই ও ভাইয়ের স্ত্রীকে। একইসঙ্গে বারাসতের তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের দুই পুত্র, মা ও বোনকেও শুনানিতে ডাকা হয়েছে। কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, খসড়া তালিকা দেখার সময় দেখা যায়, আমার দুই পুত্রের নাম নেই। হিয়ারিংয়ের জন্য ডাক এসেছে। আমরা রাজনৈতিক পরিবার, কিন্তু সাধারণ মানুষ কীভাবে এই প্রক্রিয়ায় হয়রানির মুখে পড়ছে, তা ভাবলে ভয় লাগে। প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ, যাদের যোগাযোগ কম, তারা হিয়ারিংয়ে কী চাইছে তা বুঝতে পারছে না। তাদের জবরদস্তি নাম বাদ দিয়ে বিপদে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমার মা ও বোনও অন্য বুথের ভোটার, তাঁদেরও নাম নেই।তবে ওই বুথের বিএলও কপিল আনন্দ হালদার জানিয়েছেন, সাংসদের পরিবারের সবার নাম খসড়া তালিকায় রয়েছে। হয়তো অন্য কোনও সংশোধনের জন্য ডাকানো হয়েছে। কাকলি ঘোষ দস্তিদারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পাল্টা কটাক্ষ করেছে বিজেপি। নেতা সজল ঘোষ বলেন, হেনস্থা করতে চাইলে সাংসদকেই ডাকতো। উনি কি মঙ্গল গ্রহ থেকে এসেছেন? এত মানুষকে ডাকা হয়েছে। তারপরও উনি হেনস্থা হচ্ছে বলছেন।এসআইআর প্রক্রিয়া ও শুনানিতে ডাকার ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জানা গেছে, সাংসদের পরিবারের ওই সদস্যরা এদিন বিডিও অফিসে হাজির হন।

ডিসেম্বর ২৭, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal