• ৪ পৌষ ১৪৩২, মঙ্গলবার ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

TMC

রাজনীতি

জরুরি ভিত্তিতে কালীঘাটের বাসভবনে বৈঠক ডাকলেন মমতা

চার পুরনিগমের ভোটগ্রহণের দিন শনিবার। এদিনই জরুরি ভিত্তিতে কালীঘাটের বাসভবনে বৈঠক ডাকলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মুহূর্তে দলের সর্বস্তরে যে গণ্ডগোল ও মনোমালিণ্যের পালা চলছে তা নিয়েই আলোচনা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। আগামিকাল কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে বিকেল ৫ টা নাগাদ তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠক রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, পার্থ চট্ট্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, সুব্রত বক্সী ও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে।সূত্রের খবর, ১০৮ পুরসভার প্রার্থী তালিকা নিয়ে জেলায় জেলায় বিক্ষোভ চলছে। একাধিক জেলার নেতারা রয়েছেন দ্বিধাবিভক্ত, সেই পরিস্থিতির সামাল কীভাবে দিতে হবে তা নিয়ে বিস্তরা আলোচনা হতে পারে। এছাড়াও দলের বর্তমানে একাধিক নীতি নিয়ে চিন্তায় জেলার নেতারা। নতুন নিয়ম কার্যকর না হলেও পুরানো নিয়ম বজায় থাকবে কি না তা নিয়ে বারবার সুব্রত বক্সী ও পার্থ চট্ট্যোপাধ্যায়ের কাছে ফোন আসছে বিভিন্ন জেলা থেকে। তা নিয়েও আলোচনা হতে পারে। দলে আদৌ এক ব্যক্তি এক পদ নীতি বজায় থাকবে কি না তা নিয়েও আলোচনা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। এছাড়াও ইদানিং সৌগত রায়, মদন মিত্র কিংবা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় দলের বিভিন্ন আভ্যন্তরীন বিষয় নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলছেন, তা নিয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় তাও উঠবে এই জরুরি বৈঠকে। এছাড়াও আগামী দিনে জাতীয় স্তরে দলের সংগঠন কীভাবে এগোবে, তা নিয়েও রূপরেখা তৈরি করতে আলোচনা হবে বলেও জানা যাচ্ছে।

ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২২
রাজনীতি

টুইটার বিতর্কে বিবৃতি আইপ্যাকের

আইপ্যাকের সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক এমন তলানিতে হয়ত এই প্রথমবার। একেবারে কাদা ছোড়াছুড়ির পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। তৃণমূলের এক ব্যক্তি এক পদ নীতি নিয়ে বিতর্ক চরমে পৌঁছেছে। আসরে নামতে হয়েছে ফিরহাদ হাকিমের মতো প্রথম সারির নেতাদের। আর এই চলতে থাকা বিতর্কের মধ্যেই রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল (টুইটার ও ফেসবুক পেজ) থেকে এক ব্যক্তি, এক পদ নীতির সমর্থনে পোস্ট। তাও আবার কভার ফটো। যদিও মন্ত্রী দাবি করেন, তাঁর জ্ঞাতসারে বিষয়টি হয়নি। আইপ্যাক তাঁকে না জানিয়েই এই কাজ করেছে। আইপ্যাকের বিরুদ্ধে ওঠা এই বিতর্কের মধ্যেই এবার নিজের অবস্থান স্পষ্ট করল ভোট কুশলী সংস্থা।উল্লেখ্য, আইপ্যাক ও তৃণমূলের মধ্যে বিগত কিছুদিন ধরে সম্পর্কের যে অবনতি ঘিরে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল, তারপর থেকে এই প্রথমবার গোটা বিতর্ককে ঘিরে নিজেদের অবস্থান জানাল আইপ্যাক। সেই সঙ্গে আইপ্যাকের তরফে আরও বলা হয়েছে, কীভাবে তৃণমূলের নেতা-নেত্রীদের ডিজিটাল হ্যান্ডেল অপব্যবহারের অভিযোগ উঠছে, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্যও তৃণমূল শিবিরকে পরামর্শ দিয়েছে আইপ্যাক। রাজ্যের মন্ত্রীর টুইটার হ্যান্ডেল থেকে যে পোস্ট ঘিরে এত বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল, তার দায় আইপ্যাকের উপর চাপিয়ে দিয়েছিলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তাঁর সেই প্রতিক্রিয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই অফিশিয়াল বিবৃতি দিয়ে নিজেদের অবস্থান জানিয়েছে আইপ্যাক।

ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২২
রাজনীতি

পুরভোটে তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বের আবহে '২০১৯' মনে করালেন দেবাংশু ভট্টাচার্য

রাজ্যে ১০৮ পুরসভা নির্বাচনের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দেওয়াও সম্পূর্ণ হয়েছে। এই নির্বাচনী আবহে প্রধান আলোচনায় বিষয়ে হয়ে উঠেছে তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব। গত কয়েকদিনে সংঘাতের যথেষ্ট ইঙ্গিত মিলেছে। আর এবার সেই বিতর্ক আরও বাড়িয়ে দিলেন তৃণমূলের অন্যতম মুখপাত্র তথা যুব সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু ভট্টাচার্য।একদিকে যখন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে তৃণমূল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ে উৎসবে মেতেছে, তখন দেবাংশু মনে করিয়ে দিলেন, ২০১৯ কিন্তু সময়ের অপেক্ষা। বৃহস্পতিবার ফেসবুকে এক বিস্ফোরক পোস্ট করেছেন তিনি। এমনকী কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিও জানিয়েছেন তিনি, যা দল- বিরোধী মত বলেই দাবি রাজনৈতিক মহলের। তাঁর এই পোস্ট ঘিরে চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।শুধু তাই নয়, দেবাংশু বলেছেন, আরেকবার ২০১৮ হলে আরেকটা ২০১৯ কিন্তু সময়ের অপেক্ষা.. বারবার সবটা ২০২১ এর মতো হবে না। তাঁর উল্লেখ করা এই সবকটি বছরের একটা বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে।২০১৮-তে পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসক দলের বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি অভিযোগ উঠেছিল। বিভিন্ন জায়গায় মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি বিরোধীরা। আর তারপরই ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বড়সড় ধাক্কা খায় তৃণমূল শিবির। বাংলায় চমক দিয়ে ১৮ টি আসন পায় বিজেপি। রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করে, পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসক দলের দাদাগিরিই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল।আর এবার পুরভোটের ক্ষেত্রেও সেই ছায়া দেখা যাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা। ইতিমধ্যেই একাধিক জায়গায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে তৃণমূল। সেই আবহেই ২০১৯-এর কথা মনে করিয়ে কোনও বিশেষ ইঙ্গিত দিয়ে রাখেলন দেবাংশু।

ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২২
রাজ্য

পৌরভোটে প্রার্থী হতে না পেরে কেঁদে ভাসালেন বর্ধমানের ডাকাবুকো তৃণমূল নেতা

অনেক প্রত্যাশা থাকলেও পৌরসভা নির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে প্রতিদ্বন্দিতা করার টিকিট মেলেনি। তাই বুধবার বর্ধমান শহরে থাকা জেলাশাসকের দফতরের সামনে দাঁড়িয়ে কেঁদে ভাসালেন শহরের ডাকাবুকো তৃণমূল নেতা আব্দুল রব। শুধু কেঁদে ভাসানোই নয়, চোখের জল মুছতে মুছতে তিনি আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেও ফেললেন তাঁর দল তাঁর সঙ্গে সুবিচার করলো না। আব্দুল রবের কান্না দেখে সতীর্থরা তাঁকে সান্তনা দেন। তবে প্রার্থী হতে না পারার জন্য দলের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা না করার জন্য তৃণমূলের নেতারা তাঁকে বার্তা দিয়েছেন। আব্দুল রব শহর বর্ধমানের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন। এদিন তিনি বলেন, দীর্ঘ ৩৮ বছর ধরে রাজনীতি করছি। তৃণমূল কংগ্রেস দল করার জন্য সি পি এমের আমলে পাঁচ বার জেল খেটেছি। এতকিছুর পরেও দল তাঁর প্রতি সুবিচার করলো না। ৩ নম্বর ওয়ার্ড এবার মহিলা সংরক্ষিত হওয়ার দলের তরফে এবার তাঁর স্ত্রী তনুজা বেগমকে প্রার্থী করবে বলে আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু দল অন্য একজনকে প্রার্থী করে তালিকা প্রকাশ করে। তার পরেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল প্রার্থী পরিবর্তন করে তাঁর স্ত্রীকেই প্রার্থী করা হবে বলে। শেষমেশ সেটাও দল করেনি বলে আব্দুল রব আক্ষেপ প্রকাশ করে কান্নায় ঙেঙে পড়েন। আর প্রার্থীপদ না পেয়ে তৃণমূলের ডাকাবুকো নেতাকে কেঁদে ভাসাতে দেখে কার্যতই হতবাক হয়েযান বর্ধমান শহরবাসী। এদিকে প্রার্থী হতে না পেরে আব্দুল রব এদিন যখন কেঁদে ভাসাচ্ছেন সেই সময়ে বর্ধমান পৌরসভার ছয়টি ওয়ার্ডে মণোনয়ন জমা দেন ছয় জন গোঁজ প্রার্থী। তার মধ্যে আব্দুল রবের স্ত্রী তনুজা ছাড়াও ৫ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের ঘোষিত প্রার্থী চামেলী বেগমের স্বামী ইফতিকার আহমেদও রয়েছেন। এবিষয়ে বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক জানান, এবার বর্ধমান পৌরসভার ৩৫ টি ওয়ার্ডে টিকিটের দাবিদার অনেকেই ছিলেন।

ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২২
কলকাতা

আসন্ন পুরভোটে পার্থ-সুব্রতর তালিকাকেই চূড়ান্ত ঘোষণা করলেন মমতা

আসন্ন পুর নির্বাচনে সুব্রত বক্সী এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সই করা প্রার্থী তালিকাই চূড়ান্ত বলে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন। সমাজবাদী পার্টির সমর্থনে প্রচারে উত্তরপ্রদেশ রওনা হওয়ার আগে সোমবার কলকাতায় তিনি বলেন এই নিয়ে কোনও বিভ্রান্তি নেই। এইদিকে দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন সবাইকে প্রার্থী করা সম্ভব নয়। সব দিক বিচার করে দল যাকে প্রার্থী করেছে তার সমর্থনে দলের সব স্তরের কর্মীদের একজোট হয়ে প্রচারে নামার বার্তা দিয়েছেন তিন।শুক্রবার তৃণমূলের প্রার্থীতালিকা প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই দলের নীচুতলায় বেশ বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়ে। এর মূল কারণ ছিল দুটি তালিকা প্রকাশ হওয়ার ঘটনা। এদিন লখনউ রওয়ানা দেওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সামনে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি সুব্রত বক্সির সই করা যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে সেই তালিকাই চূড়ান্ত। একইসঙ্গে এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও এক সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়ে দেন, সবাইকে খুশি করা সম্ভব নয়, সবাইকে প্রার্থী করাও সম্ভব নয়। আর ক্ষোভ বিভ্রান্তি থাকা উচিত নয়। এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলনে আরও জানান, এই ১০৮টি পুরসভা নির্বাচনে দলের হয়ে কোঅর্ডিনেটর করার জন্য দলনেত্রী জেলা ধরে ধরে কিছু নেতানেত্রীকে দায়িত্ব দিয়েছেন। তাঁরা জেলা কমিটি ও পুরসভাগুলিতে থাকা দলের কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলবেন। এরপরেই পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, পুলক রায়কে হাওড়া, হুগলি ও পূর্ব বর্ধমান জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শুভাশিষ চক্রবর্তী ও অরূপ বিশ্বাস দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার দায়িত্ব পেয়েছেন। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা দেখবেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, পার্থ ভৌমিক ও তিনি নিজে। ফিরহাদ হাকিম দেখবেন মালদা, মুর্শিদাবাদ ও উত্তর দিনাজপুর জেলা। সুব্রত বক্সি দেখবেন কোচবিহার ও পূর্ব মেদিনীপুর এই দুই জেলা। ঝাড়গ্রাম দেখবেন তিনি নিজে। দার্জিলিং জেলার দায়িত্বে থাকছেন গৌতম দেব। শশী পাঁজা দেখবেন দক্ষিণ দিনাজপুর। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য দেখবেন আলিপুরদুয়ার জেলা। জলপাইগুড়ি দেখবেন সৌরভ চক্রবর্তী। নদিয়া দেখবেন সুখেন্দু শেখর রায়, ব্রাত্য বসু ও তিনি নিজে। পশ্চিম মেদিনীপুর দেখবেন মানস ভুঁইয়া ও অজিত মাইতি। মলয় ঘটক দেখবেন পশ্চিম বর্ধমান, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া জেলা। লক্ষ্যণীয় বিষয় বীরভূমের ক্ষেত্রে কিন্তু কোনও কো-অর্ডিনেটর এদিন নিয়োগ করার কথা জানানো হয়নি। অর্থাৎ সেখানে অনুব্রত মণ্ডলের হাতেই সব কিছু ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।

ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২২
রাজনীতি

অনুব্রত কি সুব্রত বক্সি ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের থেকেও বড় নেতা? প্রশ্ন খোদ তৃণমূলেরই প্রাক্তন কাউন্সিলারের

অনুব্রত মণ্ডল কি সুব্রত বক্সি ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের থেকেও বড় তৃণমূল নেতা হয়ে গেল নাকি? এই প্রশ্ন তুলেই রবিবার বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন পূর্ব বর্ধমানের গুসকরা পৌরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর মল্লিকা চোঙদার। পৌরসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী হিসাবে নাম ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পরেও নাম বাদ যাওয়ায় তিনি যে অপমানিত হয়েছেন তাও এদিন স্পষ্ট করে দেন মল্লিকা। একই সঙ্গে তিনি দাবি করেন, তৃণমূল কংগ্রেসের দুই বলিষ্ঠ নেতা সুব্রত বক্সি ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সই থাকা তালিকায় প্রার্থী হিসাবে তাঁর নাম ছিল। তা সত্ত্বেও তাঁর নাম বাদ দেওয়া করিয়ে বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল নিজের পছন্দের লোককে প্রার্থী করা করিয়েছেন।মল্লিকা চোঙদারের এমন বক্তব্য বিরোধী মহলের পাশাপাশি তৃণমূল শিবিরেও যথেষ্ট শোরগোল ফেলে দিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে পৌরসভা নির্বাচনে যাঁরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন সেই সব প্রার্থীদের নামের তালিকা শুক্রবার প্রকাশ করেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তারপর দলের ওয়েবসাইটে একটি প্রার্থী তালিকা আপলোড হয়। সেই প্রার্থী তালিকা নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে ক্ষোভ বিক্ষোভ। তা দেখে দলীয় নেতৃত্ব ফের নতুন করে পার্থী তালিকা প্রকাশ করে জানিয়ে দেন, যে প্রার্থী তালিকায় দলের দুই বলিষ্ঠ নেতা সুব্রত বক্সি ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সই রয়েছে সেটাই দলের নির্দিষ্ট প্রাথী তালিকা। এই তালিকাও আপলোড করে দেওয়া হয় দলের ওয়েবসাইটে। দলীয় নেতৃত্বতারপর ঘোষণা করেন দলীয় ওয়েবসাইটে প্রথম আপলোড হওয়া প্রাথী তালিকাটি দলের নির্দিষ্ট প্রার্থী তালিকা নয়। সুব্রত বক্সি ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ে সই থাকা প্রার্থী তালিকাটাই দলের সঠিক প্রার্থী তালিকা । এদিন সেই রকমই গুসকরা পৌরসভার একটি প্রার্থী তালিকা সংবাদ মাধ্যমকে দেখান মল্লিকা চোঙদার। সেই প্রার্থী তালিকা দেখিয়ে তিনি দাবী করেন, সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের ওয়েবসাইটেও এই প্রার্থী তালিকা আপলোড হয়েছে।তৃণমূলের হয়ে গুসকরা পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দীতা করার জন্য তাঁর নাম পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও সুব্রত বক্সির সই করা তালিকায় উল্লেখ থাকে। তার পরেও তাঁর নাম আবার বাদ চলে যায়। এই ভাবে তালিকায় নাম ওঠা ও নাম বাদ যাওয়া নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রাক্তন কাউন্সিলার মল্লিকা চোঙদার এদিন সরাসরি অনুব্রত মণ্ডলকেই দায়ী করেন। মল্লিকা জানান, পর পর পাঁচ বার তিনি গুসকরা পৌরসভার কাউন্সিলর ছিলেন। এমনকি একবার ভাইস চেয়ারম্যানও ছিলেন। যেহেতু তাঁর সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের মতের মিল হয় না, তাই অনুব্রত মণ্ডলের পছন্দের তালিকাতেও তিনি নেই।সেই কারণে তাঁর নাম বাদ দেওয়া করিয়েছেন বীরভূমে বসে পূর্ব বর্ধমানের গুসকরা চালানো অনুব্রত মণ্ডল বলে মল্লিকা চোঙদার অভিযোগ করেছেন। এই বিষয়টি নিয়ে নিজের অসন্তোষের কথা দলের উচ্চ নেতৃত্বকে জানিয়েছেন বলে মল্লিকা এদিন দাবী করেন।একই সঙ্গে এদিন তিনি বলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও সুব্রত বক্সির থেকেও অনুব্রত মণ্ডল বড় নেতা হয়ে গেলেন কিনা তাও তিনি বুঝে উঠতে পারছেন না! মল্লিকা চোঙদারে এমন অভিযোগের বিষয়ে বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল কিছু বলতে অস্বীকার করেন। তবে পূর্ব বর্ধমান জেলা বিজেপি নেতা কল্লোল নন্দন বলেন, তৃণমূলে এখন সার্কাস চলছে। তাই ওদের সার্কাস নিয়ে তাঁর কিছু বলার নেই। তবে জেলার মানুষ তৃণমূলে সার্কাস দেখছেন। পৌরসভা ভোটে জেলার মানুষই এর যোগ্য জবাব দিয়ে দেবেন বলে কল্লোল নন্দন মন্তব্য করেছেন।

ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২২
রাজনীতি

প্রার্থী বদল নিয়ে তুমুল হট্টগোল তৃণমূলে, এলাকায় এলাকায় বিক্ষোভ

প্রার্থী বদল নিয়ে অসন্তোষের জেরে এলাকায় এলাকায় বিক্ষোভ অব্যাহত। শনিবার তা কার্যত ধর্মঘটের আকার নেয় কিছু জায়গায়। কামারহাটি পুরসভার ১ থেকে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী বদলের দাবিতে রবিবার কারখানা বন্ধেরও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।১০৮টি পুরসভার (দার্জিলিং ছাড়া) নির্বাচনের জন্য তৃণমূলের প্রার্থিতালিকা প্রকাশ করা হয় শুক্রবার বিকেলে। পরিস্থিতি ঘোরালো হয় তার পরেই। তৃণমূলের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ এবং মিডিয়া গ্রুপে বিশদ প্রার্থিতালিকা প্রকাশিত হয়। তার পরেই রাজ্যের নানা জায়গা থেকে বিক্ষোভ, অবরোধ, প্রতিবাদের খবর আসতে থাকে। একাধিক নেতা, মন্ত্রী, সাংসদ-বিধায়ক তাঁদের অসন্তোষের কথা জানাতে থাকেন দলের উপরতলায়। এর পর রাতেই প্রার্থিতালিকা প্রকাশে বিভ্রান্তি স্বীকার করে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব জানায়, চূড়ান্ত তালিকা জেলা সভাপতিদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতেও রাজ্যজুড়ে কর্মীদের ক্ষোভ প্রশমিত হয়নি। শনিবার দিনভর তার রেশ দেখা গেল জেলায় জেলায়।হুগলিরও রিষড়া, চুঁচুড়া ও তারকেশ্বর পুরসভা এলাকায় তুমুল বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মীরা। রিষড়ার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে ঝুম্পা দাস সরকারের নাম না থাকা নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তারকেশ্বর পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর মহম্মদ নইমের পরিবর্তে প্রার্থী করা হয়েছে অমরেন্দ্রনাথ সাঁপুইকে। এর প্রতিবাদে পদ্মপুকুর এলাকায় রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান দলের কর্মীরা। পূর্ব বর্ধমান জেলার বিভিন্ন প্রান্তে প্রার্থী বদলের দাবি উঠছে জোড়াফুল শিবির থেকে। মেমারি পুরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী বদলের দাবিতে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল কর্মীদের একাংশ। বর্ধমান পুরসভাতেও কয়েকজন প্রার্থী বদল করার দাবি উঠেছে। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বর্ধমান রাজবাড়ির সামনে পথ অবরোধও করেন বিক্ষোভকারীরা।প্রার্থী পছন্দ না হওয়ায় ক্ষোভের আবহ বাঁকুড়াতেও। বাঁকুড়া-দুর্গাপুর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান দলীয় কর্মীদের একাংশ। প্রার্থী-ক্ষোভে শনিবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মেদিনীপুর শহরও। শহরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের রাঙামাটি এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মীদের একাংশ। পুরভোটে প্রার্থী হওয়ার জন্য ক্ষোভ-বিক্ষোভের পর্ব চলছে তৃণমূলে।দক্ষিণবঙ্গের মতো প্রার্থীতালিকা নিয়ে ক্ষোভের আঁচে ফুটছে উত্তরবঙ্গের তৃণমূল শিবিরও। উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী বদলের দাবিতে তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মীরা। ক্ষোভের আবহ ডালখোলা পুরসভার তৃণমূল শিবিরেও। সেখানে কয়েক জন প্রার্থী বদলের দাবি তুলে মিছিল করেন তৃণমূল কর্মীদের একাংশ। প্রার্থী বদলের দাবিতে কোচবিহার চার নম্বর ওয়ার্ডে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মীদের একাংশ। কামেশ্বরী রোডে টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। ঘণ্টাখানেক অবরোধের ফলে যানজট তৈরি হয়। ঘটনাস্থলে কোচবিহার কোতোয়ালি থানার পুলিশ পৌঁছে অবরোধ তুলে দেয়।

ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২২
রাজ্য

প্রার্থী নিয়ে ক্ষোভবিক্ষোভে কোনও প্রভাব পড়বে না, মন্তব্য তৃণমূল সাংসদ শতাব্দীর

পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থিদের নামের তালিকা তৃণমূল কংগ্রেস প্রকাশ করতেই রাজ্য জুড়ে শুরু হয়ে যায় ক্ষোভ বিক্ষোভ। যার ব্যতিক্রম পূর্ব বর্ধমান জেলাতেও ঘটেনি। যদিও এইসব ক্ষোভ বিক্ষোভ প্রদর্শনের বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়ার কিছুই দেখছেন না তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেত্রী শতাব্দী রায়। তাঁর মতে এইসব ক্ষোভ বিক্ষোভ প্রদর্শন করে কিছু লাভ হবে না।শনিবার পূর্ব বর্ধমানের রায়নার ধারান বুড়োপীর প্রগতি সংঘের সরস্বতী পূজার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান মঞ্চের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দেন শতাব্দী রায়। উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সাংসদ শতাব্দী রায় বলেন, পৌরসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব শুক্রবার দলের প্রার্থীদের নামের তালিকা প্রকাশ করছে। তারপর থেকে যাঁরা ক্ষোভ বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন তাঁদের উদ্দেশ্য করে শতাব্দী রায় বলেন, অনেকে ভেবে রাখে তাঁর প্রাথী হবেন। কিন্তু তাঁদের ভাবনা যখন মেলে না তখন একটা অভিযোগ তৈরি হয়। তাঁরাএখন কিভাবে অভিযোগটা প্রকাশ করবে সেটা তাঁদের উপর নির্ভর করছে। যদি দলের প্রতি ভালোবাসা থাকে তাহলে দলের ঘোষিত প্রার্থীকে মেনে নিয়েই তাঁদের কাজ করাটা উচিত।টিকিট পাওয়ার আশা তো সবারই থাকে। কিন্তু টিকিটতো সবাই পায় না। কিন্তু এখন কেউ টিকিট না পেলেই এই সমস্যাটা দেখা যায়। তিনি আরো বলেন, এই বিক্ষোভ দলের উপরে কোনো প্রভাব ফেলবে না।কারণ তৃণমূল কংগ্রেস দলে এখন বহু মানুষের সমর্থন রয়েছে। বহু ভালো মানুষের সমর্থনও রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতি। তাই আমি মনে করি এইসব ক্ষোভবিক্ষোভে আগেও কোনও প্রভাব পড়েনি। আর এখনো কোনো প্রভাব পড়বে না।

ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২২
রাজ্য

তৃণমূলের প্রার্থী নিয়ে ক্ষোভবিক্ষোভ সামাল দিতে বর্ধমানে নামাতে হল র‍্যফ

পৌরসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হতেই পূর্ব বর্ধমানেও শুরু হয় যায় ক্ষোভ বিক্ষোভ। শনিবার সকাল থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের ক্ষোভবিক্ষোভে উত্তাল হয় শহর বর্ধমান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে র্যফও নামাতে হয়।একইরকম ভাবে ক্ষোভবিক্ষোভে উত্তপ্ত হয় জেলার মেমারি, কালনা ও গুসকরা পৌরসভা এলাকাও। মূলত প্রার্থী পরিবর্তনের দাবীতেই তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা এদিন সকাল থেকে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেদেন। মেমারির ৫ নম্বর ওর্য়াডের তৃণমূল কর্মীদের একাংশ এদিন বিক্ষোভে সামিল হন কৃষ্ণপদ বিশ্বাসকে প্রার্থীপদ থেকে সরানোর জন্য। প্রার্থী বদলের দাবিতে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের নাগরিকবৃন্দের ব্যানারে পোস্টার দেওয়া হয়।বিক্ষোভে অংশ নেওয়া তৃণমূল কর্মীদের দাবী ৫ নম্বর ওয়ার্ডে বহিরাগত প্রার্থী তাঁরা চান না। অবিলম্বে প্রার্থীপদ পরিবর্তন করে ওয়ার্ডের বাসিন্দাকেই প্রার্থী করতে হবে। একই ভাবে এদিন জেলার গুসকরা পৌরসভা এলাকাতেও প্রার্থী বদলের দাবিতে সকাল থেকেই বিভিন্ন জায়গায় রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে শুরু হয় বিক্ষোভ। এখানকার তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের একাংশ ৩, ৫, ৯ ও ১৬ ওয়ার্ডের প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে স্বোচ্চার হন। দল গুসকরার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী চণ্ডীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রার্থী করলেও প্রাক্তন কউন্সিলার জগা তুরিকেই ফের প্রার্থী করার দাবি উঠেছে। অন্যদিকে প্রার্থী বদলের দাবি নিয়ে এদিন শহর বর্ধমানের মেহেদিবাগান এলাকাতেও ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। জিটি রোড অবরোধ করে চলে বিক্ষোভ প্রদর্শন। তারই মধ্যে বর্ধমান পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রার্থী চায়না কুমারীর সমর্থনে প্রচারে বের হন তার অনুগামীরা। তখনই তাদের ঘিরে বিরোধী গোষ্ঠী বিক্ষোভ দেখানো শুরু করলে সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়। খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ ও র্যফ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি সামাল দেয়। একইদিনে বর্ধমান রাজবাড়ির সামনে পথ অবরোধে সামিল হল তৃণমূল কর্মীদের একাংশ। তাঁরা বর্ধমান শহরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে প্রাক্তন কাউন্সিলার শাহাবুদ্দিন খানের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, শাহাবুদ্দিন এলাকায় কোন উন্নয়নমূলক কাজ করেননি। উনি দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। এমনকি এলাকার এক তৃণমূল কর্মীকে খুনের ঘটনাতেও শাহাবুদ্দিন খান পরোক্ষভাবে যুক্ত ছিল বলে বিক্ষুব্ধরা অভিযোগ করেন। দল এবারেও শাহাবুদ্দিন খানকে প্রার্থী করেছে।তাঁকে প্রার্থীপথ থেকে সরানোর দাবি তুলে পথে নামেন তৃণমূল কর্মীদের একংশ। ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের পাশাপাশি ৩ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডও বিক্ষোভে উত্তাল হয়। ৭ নম্বর ওয়ার্ডে দলের নেত্রী মিঠু সিংহের নাম প্রার্থী তালিকায় ঘোষিত হয়েছে। তাঁকে প্রার্থীপদ থেকে সরিয়ে ওয়ার্ডের দলীয় কর্মীকে প্রার্থী করার দাবী তুলেছেন বিক্ষুব্ধরা। তারা শহরের পার্কাস রোডে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান। প্রার্থী বদলের দাবিতেও শ্লোগানও দেন। প্রার্থী নিয়ে এদিন জেলার কালনা পৌরসভা এলাকাতেও বিক্ষোব ছড়ায়। কালনার ১৩ নম্বর ওয়াডের প্রার্থী মঞ্জু হালদারের বদলের দাবীতে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তৃণমূলের একাংশ। তৃণমূলের মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্য শনিবার কালনার জুবলি স্টারের পুজো প্যান্ডেলের উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, প্রার্থী তালিকা বেরনোর পর অনেক জায়গায় ক্ষোভ দেখা গেছে, কর্মীদের আমি বলব সংযত থাকতে, যদি প্রার্থী পছন্দ না হয়ে থাকে তাহলে দলের নেতৃত্বকে জানান। পাশাপাশি তিনি আরও সংযোজন করেন অনেকেই ভোটের আগে দুনৌকাতে পা দিয়েছিলেন, সেই সমস্ত মানুষ যদি প্রার্থী হয়ে যান তাহলে এটা হওয়া স্বাভাবিক। তবে জেলার কাটোয়া ও দাঁইহাট পৌরসভায় প্রার্থী নিয়ে অসন্তোষ থাকলেও তা আপাতত প্রকাশ্যে আসেনি।তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস জানান, এটা অভিমান।একে বিক্ষোভ বলা যাবে না। আর দলই প্রার্থী ঠিক করেছে। সেটা দলের সিদ্ধান্ত। সবাইকে মেনে নিতে হবে। গুসকরা পৌরসভার প্রার্থী ঘোষণার পর থেকেই লাগাতার বিক্ষোভের জেরে দুটি ওর্য়াডে প্রার্থী বদল করল তৃণমূল কংগ্রেস। শনিবার বিকালে বোলপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ে বৈঠকে প্রার্থী বদলের সিদ্ধান্ত নেয় গুসকরা পৌরসভার পর্যবেক্ষ অনুব্রত মণ্ডল। ৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী দীর্ঘদিনের পাঁচবারের কাউন্সিলর মল্লিকা চোংদারের বদলে পূর্নিমা চৌধুরীকে প্রার্থী করা হয়। ৫ ওয়ার্ডের প্রার্থী মুনমুন মালিকের বদলে রিঙ্কু মালিক প্রার্থী করা হয়

ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২২
রাজনীতি

প্রার্থী হয়েছেন বিজেপি ও 'দাদার অনুগামী'রা, অনুমোদন পায়নি আমার তালিকা', রাজ্যের মন্ত্রীর কথায় থামল বিক্ষোভ

মন্ত্রীর বক্তব্যের পর বিক্ষোভ থামল পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে। কাঁথি ও এগার পুরসভার নির্বাচন পরিচালন কমিটির আহ্বায়ক পদ থেকে পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি। মন্ত্রীর পাঠানো তালিকা যে অনুমোদন পায়নি সেকথাও জানিয়েছেন অখিল গিরি। পাশাপাশি বিজেপি ও দাদার অনুগামীরা প্রার্থী তালিকায় জায়গা পেয়েছে বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।এদিন তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করার পর থেকে রাজ্যের নানা দিকে ক্ষোভ-বিক্ষোভ শুরু হয়। এদিন রাতে কাঁথিতে রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরির বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মীরা। তিনি বলেন, কাঁথি ও এগরার নির্বাচন কমিটির কনভেনর আমি। আমি যে প্রার্থী তালিকা পাঠিয়েছি দল সেই তালিকা অনুমোদন দেয়নি। যা তালিকা এসেছে আমার কাছে সেই তালিকা আমার নয়। আমার কাছে কপি আছে আপনারা দেখতে পারেন। আপনাদের নিশ্চিত ভাবে ক্ষোভ আছে।শেষমেশ মন্ত্রীর কথাতেই বিক্ষোভকারীরা শান্ত হন। একই সঙ্গে মন্ত্রীর দাবি, প্রার্থী তালিকায় বিজেপির দুএকজন আছে। দাদার অনুদামী হিসাবে চিহ্নিত, দাদার সঙ্গে যোগাযোগ আছে তারাও প্রার্থাী তালিকায় রয়েছে। তারা কিভাবে জাযগা পেল আমি জানি না। আমি নিজেই এই তালিকা দেখে মর্মাহত। আমি নিজে নির্বাচন কমিটির কনভেনরশিপ কালই ছেড়ে দেব। আপনারা শান্ত হোন বাড়ি যান।

ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২২
কলকাতা

পুরভোটের পরিবারতন্ত্র থেকেও সরে গেল তৃণমূল

কলকাতা পুরনিগমের নির্বাচন মিটেছে কিছুদিন আগেই। নির্বাচনে জয় প্রাপ্তি হলেও প্রার্থী তালিকায় পরিবারতন্ত্রকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল বলে সমালোচনার মুখে পড়তে হয় শাসক দলকে। এমনকী একই পরিবারের একাধিক সদস্যকে টিকিট দেওয়ার নজিরও দেখা যায়। আর এবার সেই নীতি থেকে সরে এল তৃণমূল।আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি ১০৮টি পুরসভার নির্বাচন ঘোষণা করা হয়েছে। তার আগে, শুক্রবারই প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল তৃণমূল। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, নতুনদের সুযোগ দিতে একই পরিবারের একাধিক সদস্যকে টিকিট দেয়নি তৃণমূল। শুধু তাই নয়, এবার কোনও বিধায়ককেও টিকিট দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে কলকাতা পুরনিগমের ভোটে টিকিট পেয়েছিলেন ফিরহাদ সহ একাধিক বিধায়ক।প্রসঙ্গত, বিধানসভা ভোটের পর তৃণমূল এক ব্যক্তি, এক পদ নীতির কথা ঘোষণা করলেও কলকাতা পুরভোটে দেখা যায় একাধিক মন্ত্রী ও বিধায়ক কাউন্সিলর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। যদিও প্রথমে ঠিক হয়েছিল, ফিরহাদ হাকিম-সহ মোট পাঁচ বিধায়ককে পুরভোটে টিকিট দেওয়া হবে না। কিন্তু শেষমুহূর্তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা যায়নি।পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, কয়েকটি আসন বাদ দিয়ে ১০৮ টি পুরসভার সব আসনের প্রার্থীর তালিকা চূড়ান্ত করে ফেলেছে তৃণমূল। প্রায় তিন হাজার প্রার্থীর নাম বাছাই করা হয়েছে। পার্থ জানান, সুব্রত বক্সি, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, ফিরহাদ হাকিম-সহ দলের শীর্ষ নেতৃত্ব খতিয়ে দেখেই প্রার্থী তালিকা তৈরি করেছে। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও দীর্ঘ সময় ধরে এই তালিকা দেখেছেন। পাশাপাশি, প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাকের সঙ্গেও তালিকা নিয়ে কথা হয়েছে বলে জানান পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তবে, সব শেষে তালিকা পাঠানো হয়েছিল তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। তিনিই চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছেন।

ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২২
রাজ্য

তৃণমূল- বিজেপিকে টেক্কা, পূর্ব বর্ধমানের ৬টি পৌরসভায় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা বামেদের, তৃণমূল বিধায়কের প্রার্থী তালিকা ফাঁস মেমারিতে

রাজ্য রাজনীতিতে ২০১১ সালে পালাবদলের পর থেকে প্রতিটি নির্বাচনে ভোটক্ষয় হয়ে চলেছিল বামেদের। সদ্য সমাপ্ত কলকাতা পুরনিগমের নির্বাচনে সেইভোটক্ষয়ে কিছুটা লাগাম পরাতে সক্ষম হয় বামেরা। আসন সংখ্যার নিরিখে না হলেও ভোট প্রাপ্তির শতাংশ হারের বিচারে তিলোত্তমা কলকাতায় বিজেপিকে পিছনে ফেলে দিয়েছে বামেরা। আর কলকাতা পুরভোটে অক্সিজেন পেয়েই এবার একদা বাম দুর্গ পূর্ব বর্ধমানের ছয়টি পৌরসভার নির্ফাচনেও জয় ছিনিয়ে নিতে মরিয়া সিএপিএম। রাজ্য নির্বাচন কমিশন বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিক ভাবে পৌরসভা নির্বাচনের নির্ঘন্ট ঘোষণা করে। এর ঠিক পরেই জেলার ৬ টি পৌরসভার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে দিয়েই শাসক দলকে চ্যালেঞ্জ জানাতে ভোট প্রচারে নেমে পড়েন সিপিএম নেতা কর্মী ও প্রার্থীরা। শাসক নেতৃত্ব বামেদের প্রার্থি ঘোষণার বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দিতে না চাইলেও বিধায়কের তৈরি করা প্রার্থী তালিকা নিয়ে মেমারির তৃণমূল শিবিরে এখন ক্ষোভ বিক্ষোভ চরমে উঠেছে। বাম আমলে বলিষ্ঠ সিপিএম নেতা বিনয় কোঙারের গড় হিসাবেই পরিচিত ছিল মেমারি। সেই মেমারির দলীয় কার্যালয়ে থেকেই এদিন মেমারি পৌরসভার ১৬টি আসনের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে সিপিএম নেতৃত্ব। যদিও তৃণমূল কংগ্রেস বা বিজেপি কেউ এদিন প্রর্যন্ত তাঁদের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করতে পারেনি ।প্রার্থীদের নাম ঘোষণা কেরেই নিবাসী সিপিআইএম জেলা নেতা তাপস চট্টোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, এদিন থেকেই তাঁরা ভোট যুদ্ধে নেমে পড়বেন। যেমন কথা তেমনই কাজ। প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে দিয়েই বাম নেতা কর্মীদের একদল দেওয়াল লিখন আর অন্য দল বাড়ি বাড়ি প্রচার চালানো শুরু করেদেন।তবে বামেদের আগে তৃণমূলের মেমারিতে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে না পারাটা শাসক দলের নিচু তলার কর্মীদের যথেষ্টই হতাশ করেছে। গত পৌরসভা নির্বাচনে মেমারি পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছিলেন সিপিএম প্রার্থী।৪ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী এবং ৫ নম্বর ওয়ার্ডের জয়ী হয়েছিলেন সিপিএম প্রার্থী। এছাড়াও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছিলেন কংগ্রেস সমর্থিত নির্দল প্রার্থী এবং ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছিলেন পিডিএস সমর্থিত নির্দল প্রার্থী ।বাকি সব আসনে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূলের প্রার্থীরা।এখনও মেমারি পৌরসভা পরিচালনার দায়িত্বে তৃণমূলের মনোনীতরাই রয়েছেন।এদিকে দল মেমারি পুরসভার প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূলের প্রার্থীদের নামের তালিকা প্রকাশ না হলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে মেমারির তৃণমূল বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্যের নির্দিষ্ট করা প্রার্থীদের নাম। যা নিয়ে মেমারির পৌর এলাকার তৃণমূল শিবিরে যথেষ্টই ক্ষোভ বিক্ষোভ ছড়িয়েছে। বিক্ষুদ্ধদের দাবি, মেমারির বিধায়ক মধুসূদনবাবু নিজের অনুগতদের মেমারি পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থী হিসাবে চিহ্নিত করেছেন।যাঁদের তিনি চিহ্নিত করেছেন তাঁদের নাম, ফোন নম্বার ও কোন ওয়ার্ডে কে কে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তার তালিকা নিজের বিধায়ক প্যাডে ছাপিয়েছেন। তাতে স্বাক্ষর ও শিলমোহর দিয়ে মধুসূদনবাবু ওই নামের তালিকার লোকজনকেই মেমারির প্রার্থী হিসাবে মনোনীত করার জন্য সুপারিশ করে ১৭ জানুয়ারি রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পাঠিয়েছেন। ওই সুপারিশ পত্রে মেমারি পৌরসভার দুবারের চেয়ারম্যান ও বর্তমান অ্যাডমিনিস্ট্রেটর স্বপন বিষয়ীকে দুর্নীতিগ্রস্ত ও তোলাবাজ বলে অবিহিত করেছেন। আর তা নিয়েই পৌরসভা ভোটের প্রাক্কালে মেমারি শহর জড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে ব্যাপক ক্ষোভ বিক্ষোভ ছড়িয়েছে। শুক্রবার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার কথা। তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব যদি মেমারির তৃণমূল বিধায়কের সুপারির করা ব্যক্তিদেরই পুরভোটে প্রার্থি করে তবে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হবে বলে মনে করছেন দলেরই অনেকে। তেমনটা হলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তৃণমূলের লড়াইয়ে জমজমাট হবে মেমারি পৌরসভার নির্বাচন। ওই তালিকা বিষয়ে মেমারির বিধায়ক মধূসূদন ভট্টাচার্য্যের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন , নিজের অবজারভেশন মোতাবেক প্রার্থী প্রস্তাবপত্র তৈরী করে ছিলেন। তারপর দলের উচ্চ নেতৃত্ব জানিয়ে দেন তারাই মেমারি পর ভোটের প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে সার্ভে করছেন। তাই তিনি আর তার প্রস্তাব পত্র রাজ্যে পাঠাননি। বর্তমান অ্যাডমিনিস্ট্রেটার স্বপন বিষয়ী সন্মন্ধে যেসব যে অভিমত লিখেছেন তার প্রসঙ্গে মধুসূদন বাবু বলেন ,অ্যালিগেশন নিয়ে পাবলিকের মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে ওনার বিরুদ্ধে আমার পার্সোনাল অবজারভেশন আমি লিখেছি। স্বপন বিষয়ী যদিও বিধায়কের করা প্রার্থী নির্বাচন তালিকা নিয়ে কোন মন্তব্য করতে চাননি। তিনি শুধু বলেন, দলের রাজ্য নেতৃত্ব যথা সময়েই মেমারির পৌর ভোটে প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীদের নাম ঘোষনা করবেন। প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে তৃণমূলের অভ্যন্তরীন বিরোধ যখন তুঙ্গে সেই সময়েই মেমারির পর বর্ধমান, গুসকরা, কাটোয়া,কালনা ও দাঁইহাট পৌরসভার প্রার্থী তালিকাও প্রকাশ করেদেন সিপিএম নেতারা। এদিন বিকালে সিপিএমের পূর্ব বর্ধমানের জেলা দপ্তরে সাংবাদিক সম্মেলনে করে নেতারা ওইসব পৌরসভার বামফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষনা করেন। সাংবাদিক সম্মেলনে তাপস সরকার, অপূর্ব চ্যাটার্জি সহ অন্যান্য নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন। বর্ধমান পৌরসভার নির্বাচনে লড়াইয়ের জন্য বামেদের এবারের প্রার্থী তালিকায় বেশ কিছু নতুন মুখ স্থান পেয়েছে। তালিকায় ফরোয়ার্ড ব্লকের ৪ জন এবং আর এস পির ২ জনের নাম রয়েছে। মোট ৩৫ টি ওয়ার্ডের প্রার্থীদের নাম ঘোষিত হয়েছে। দলের দুই ছাত্র নেতা অনির্বাণ রায়চৌধুরী; অতনু হুই; অরিন্দম মৌলিক; মুনমুন হালদারের মত তরুণ মুখের প্রতিনিধিরা রয়েছেন এবারের ভোট যুদ্ধে । ২০১৩ সালে বর্ধমান পুরসভা ভোটের দিন সকালেই সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে সব প্রার্থী তুলে নেয় বামেরা। তারা জানিয়েছেন ; এবারে প্রশাসন তার দায়িত্ব পালন করুক।তা সত্বেও তারা শেষ অবধি ময়দানে থাকবেন।গুসকরা, কাটোয়া,কালনা ও দাঁইহাটের প্রার্থী তালিকায় বাম নেতৃত্ব পুরনোদের পাশাপাশি বহু নতুন মুখকে নিয়ে এসেছেন। একেবারে তরুণ প্রজন্মের অনেকেই জেলার ৬ টি পৌরসভার প্রার্থী তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে।

ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২২
রাজ্য

অবৈধ বালি খাদান ও ওভারলোড গাড়ি নিয়ে সরব তৃণমূলের একাংশ, বর্ধমানে হামলার মুখে সরকারি আধিকারিকরা, ছড়াল উত্তেজনা

নদ-নদী থেকে বালি লুট ও বালির ওভার লোডিং বন্ধে প্রশাসনকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ আগেই দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু কে কার কথা শোনে। মুখ্যমন্ত্রী যে নির্দেশ দিয়েছেন তার কোন কিছুই পূর্ব বর্ধমান জেলায় মানা হচ্ছে না বলে এতদিন জেলাবাসী অভিযোগ করে আসছিলেন। এবার বিষয়টি নিয়ে খোদ খণ্ডঘোষ পঞ্চায়েত সমিতির ভূমি ও ভূমি রাজস্ব কর্মাধ্যক্ষ জেলা প্রশাসনের দফতরে অভিযোগ জানালেন। পাশাপাশি জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ তথা তৃণমূল নেতা ভূতনাথ মালিকও ওভারলোড বালির লরি চলাচল নিয়ে প্রতিবাদে সরব হয়েছে। তারই মধ্যে বৃহস্পতিবার বর্ধমানের ইদিলপুরের বালি খাদানে বালির গাড়ির চালান চেক করতে গিয়ে হামলার মুখে পড়েন ভূমি দফতরের আধিকারিকা। যা নিয়ে প্রশাসনিক মহলেও তোলপাড় পড়ে গিয়েছে।খণ্ডঘোষ পঞ্চায়েত সমিতির ভূমি ও ভূমি রাজস্ব কর্মাধ্যক্ষ শ্যামল কুমার পাঁজা ১ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসনের দফতরে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন। ওই অভিযোগপত্রে তিনি দাবি করেছেন, খণ্ডঘোষের শশঙ্গা অঞ্চলে দামোদর নদে বেশ কয়েকটি অবৈধ খাদান চলছে। তার মধ্যে গৈতানপুর মৌজায় থাকা একটি অবৈধ বালি খাদান দীর্ঘদিন যাবৎ ধারাবাহিক ভাবে অনুপম পাঁজা নামে এক ব্যক্তি চালিয়ে যাচ্ছেন।গত ২৮ জানুয়ারি খণ্ডঘোষ বিএলআরও এবং এসডিএলআরও দফতরের আধিকারিকগণও ওই বালি খাদান খতিয়ে দেখতে আসেন। সবকিছু খতিয়ে দেখে তাঁর প্রমাণ করেন খাদানটি সম্পূর্ণ অবৈধ ভাবেই চলছে। তার পরেও ওই অবৈধ খাদান থেকে আরও বেশি পরিমাণে খননকার্য চলছে। শ্যামলবাবু তাঁর অভিযোগে আরও জানিয়েছেন, এলাকার মানুষজন অবৈধ বালি খাদান বন্ধ করার কথা অনুপম পাঁজাকে বলেছিলেন। প্রত্যুত্তরে অনুপম পাঁজা এলাকার মানুষজনকে স্পষ্ট জানিয়ে দেন তাঁর খাদান নিয়ে কেউ কিছু করতে পারবে না। অনুপম পাঁজার এমন বক্তব্যে এলাকার বাসিন্দা মহলে ব্যাপক ক্ষোভ বিক্ষোভ তৈরি হয়েছে। ওই অবৈধ বালি খাদান নিয়ে যে কোনওদিন এলাকায় বড়সড় অশান্তির ঘটনা ঘটে যেতে পারে।এমন আশঙ্কার কথাও প্রশাসনকে জানিয়েছেন, খণ্ডঘোষ পঞ্চায়েত সমিতির ভূমি ও ভূমি রাজস্ব কর্মাধ্যক্ষ।অবৈধ বালি খাদানযদিও এইসব অভিযোগ মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে দাবি করেছেন অনুপম পাঁজা। তিনি বালির চালান দেখিয়ে দাবি করেন বৈধ ভাবে লিজ পেয়েই তিনি তাঁর খাদান চালাচ্ছেন। তাঁর খাদান অবৈধ বলে যিনি দাবি করছেন তিনি সঠিক বলছেন না। বিএলআরও দফতরের লোকজন একদিন তাঁর বালি খাদান মাপজোক করতে এসেছিলেন। সেই কাজে তিনিও তাঁদের সাহায্য করেছিলেন। কোনও অনিয়ম ধরা পড়ার কথা বিএলআরও দফতরের কেউ তাঁকে জানায়নি। অনুপম পাঁজা এও জানান, শ্যামল পাঁজা এমন অভিযোগ আগেও তাঁর বিরুদ্ধে করেছিলেন। কারণ ওনার ব্যক্তিগত কিছু দাবিদাওয়া আছে। যা তিনি পূরণ করেননি। তাই শ্যামল পাঁজা প্রশাসনের কাছে এইসব মিথ্য অভিযোগ করছেন বলে অনুপম পাঁজা মন্তব্য করেছেন। খণ্ডঘোষ ব্লকের বিএলআরও রোহিত রঞ্জন ঠাকুর জানিয়েছেন, শশঙ্গা অঞ্চলে অবৈধ বালি খাদান চলছে এমন কোন অভিযোগের এদিন পর্যন্ত পঞ্চায়েত সমিতির ভূমি কর্মাধ্যক্ষ ব্লক ভূমি দফতরে কিছু জানাননি। তবে তাঁরা অনুপম পাঁজার খাদান নিয়ে এনকোয়ারি করে ছিলেন। সব খতিয়ে দেখে তাঁরা অনিয়ম কিছু পাননি। সেই রিপোর্ট জেলার ভূমি আধিকারিককে (এডিএম এলআর ) পাঠিয়ে দিয়েছেন।পরে এসডিএলআরও দফতর থেকেও আধিকারিকরা এসে অনুপম পাঁজার খাদান খতিয়ে দেখে যান। ওনারা কি রিপোর্ট দিয়েছেন সেই বিষয়ে কিছু জানেন না বলে খণ্ডঘোষের বিএলঅরও জানিয়েছেন।অবৈধ বালি খাদান চলার অভিযোগ শুধু খণ্ডঘোষের বাসিন্দারাই অভিযোগ তুললেন এমনটা নয়।জামালপুরের জোড়বাঁধ, পুলমাথা ও সারাংপুর এলাকায় অবৈধ বালিখাদান চলছে বলে ইতিপূর্বে জেলা প্রশাসনের দফতরে অভিযোগ জমা পড়েছিল।এখনও জোড়বাঁধ এলাকায় দামোদর থেকে দেদার চলছে বালি লুট। এই বিষয়ে ওই বালি খাদানের প্রাক্তন লিজ হোল্ডার বাসুদেব মাজি ওরফে হোবেকে ফোন করা হলে তিনি জানান, জোড়বাঁধে দামোদর থেকে বালি তোলার লিজ এবার কেউ পায়নি। তাই তিনি জোড়বাঁধ থেকে বালি তোলেন না। স্থানীয় কাঁঠালতলা এলাকায় যাঁর বালি খাদান রয়েছে তাঁরাই জোড়বাঁধ থেকে এখন বালি তোলেন। বালি কারবারি বাসুদেব মাঝির এই বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট হয়ে যায় জোড়বাঁধে দামোদর থেকে বালি লুটের অভিযোগ মোটেই অসত্য নয়। জোড়বাঁধের পাশাপাশি জামালপুরের বেরুগ্রাম অঞ্চলের বাসিন্দারাও অবৈধ বালিখাদান ও ওভারলোড বালির লরি চলাচল নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, বেরুগ্রাম অঞ্চলেও প্রকাশ্যে অবৈধ বালি খাদান চলছে। বিষয়টি জানার পর সম্প্রতি জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ ভূতনাথ মালিক নিজে ব্লকের ভূমি দফতরে গিয়ে অবৈধ বালি খাদান বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। এই অঞ্চলে দামোদরে নৌকা নামিয়েও বালি তুলে পাচারের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে পুলিশি অভিযানে বালি চোর ধরা পড়ার পর। বেরুগ্রাম অঞ্চলের ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা ছাড়াও ভূতনাথ মালিক অভিযোগ করেছেন, প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে শয়ে শয়ে ওভারলোড পাথর ও বালির লরি কালাড়াঘাট থেকে পলেমপুর যাওয়ার সড়ক পথ দিয়ে যাতায়াত করছে। বহু সংখ্যায় ওভারলোড বালির লরি যাতায়াতের কারণে সদ্য তৈরি হওয়া ওই পাকা পিচ রাস্তা সম্পূর্ণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গিয়েছে। অথচ প্রশাসনের কেউ এই বিষয়টি নিয়ে হেলদোল দেখাচ্ছেন না। ক্ষুব্ধ জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ ভূতনাথ মালিক বলেন, রাস্তা বাঁচাতে এরপর হয়তো জামালপুরের জনপ্রতিনিধিদেরই পথে নেমে ওভারলোড বালি ও পাথরের লরি ধরতে হবে।সরকার ওভারলোড গাড়ি চলাচল বন্ধে কড়া বার্তা দেওয়ার পরেও কিভাবে ওভার লোড বালির লরি সড়ক পথে চলাচল করছে তা নিয়ে তদন্ত হওয়া দরকার বলেও ভূতনাথ মালিক জানিয়েছেন।বিরোধীরা যদিও দাবি করেছে, কোথায় কিভাবে বালি লুট হচ্ছে তার সবই জানেন পুলিশ ও শাসক দলের জনপ্রতিনিধিরা। তার পরেও জনপ্রতিনিধিদের যে সব অভিযোগ করছেন সেটা নাটক ছাড়া আর কিছু নয়। জনপ্রতিনিধিদের আনা এইসব অভিযোগের মাঝেই বৃহস্পতিবার বর্ধমানের ইদিলপুরে বালি ঘাটে বালির চালান খতিয়ে দেখতে গিয়ে হেনস্থার শিকার হলেন ভূমি দফতরের আধিকারিকরা। চালান বিহীন বালি বোঝাই একটি ট্র্যাক্টর ধরা নিয়ে বালিঘাটে থাকা লোকজন ভূমি দফতরের আধিকারিদের উপরে চড়াও হয়। তাঁরা আধিকারিকদের গাড়িতেও ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ডিএসপি(হেডকোয়ার্টার) অতনু ঘোষালের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পাশাপাশি শুরু হয়েছে ধরপাকড়। কয়েকদিন আগে তেলিপুকুর সংলগ্ন এলাকায় বলিঘাট পরিদর্শনে এগিয়ে একই ভাবে হেনস্তার শিকার হয়েছিলেন ভূমি দফতরের আধিকারিকরা। অভিযানে বেরিয়ে বারে বারে ভূমি দফতরের আধিকারিকদের এইভাবে হেনস্থার শিকার হওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রশাসনের কর্তারা। অতিরিক্ত জেলা শাসক (এডিএম এলআর) ঋদ্ধি ব্যানার্জী জানিয়েছেন, খণ্ডঘোষের শশাঙ্গা অঞ্চলে অবৈধ বালি খাদান চলছে এমন অভিযোগ কেউ তাঁকে জানায়নি। তবে গৈতানপুরে থাকা অনুপম পাঁজার বালি খাদান নিয়ে খণ্ডঘোষ পঞ্চায়েত সমিতির ভূমি কর্মাধ্যক্ষ অভিযোগ করেছিলেন। বিএলআরও এবং এসডিএলআরও দফতরের আধিকারিকরা ওই খাদান নিয়ে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। রিপোর্ট এখনও দেখা হয়নি। রিপোর্ট খতিয়ে দেখার পরে ওই খাদানের বিষয়ে জানাতে পারবেন। জামালপুরের জোড়বাঁধ ও বেরুগ্রাম অঞ্চলে অবৈধ ভাবে বালি খাদান চলা ও কালাড়াঘাট থেকে পলেমপুর যাওয়ার রাস্তায় ওভারলোড বালির গাড়ি অতিমাত্রায় চলছে এমন অভিযোগও কেউ তাঁর দফতরে জানায়নি। আভিযোগ পেলে কড়া ব্যবস্থা নেবেন বলে অতিরিক্ত জেলাশাসক জানিয়েছেন। এদিনের ইদিলপুরের ঘটনা নিয়ে অতিরিক্ত জেলাশাসক বলেন, বালির গাড়ির চালান দেখতে চাইলেও বালির গাড়ির লোকেদের গাত্রদাহ হচ্ছে। সেই জন্য তারা বারে বারে ভূমি দফতরের লোকজনের উপর চড়াও হচ্ছে। এদিনের ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশকে বলা হয়েছে বলে অতিরিক্ত জেলাশাসক জানিয়েছেন।

ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২২
রাজ্য

ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই মেমারি পুরসভার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ সিপিএমের

সিপিআইএম র প্রাক্তন বিধায়ক তাপস চ্যাটার্জি, জেলা কমিটির সদস্য অভিজিৎ কোঙার, জেলা কমিটির সদস্য সনৎ ব্যানার্জি, প্রশান্ত কুমার কুমার, পিযুষ বিশ্বাসের উপস্থিতিতে মেমারি পুরসভার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হল। শাসকদল না পারলেও পুরসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা সাথে সাথে পূর্ব বর্ধমানের মেমারি পৌরসভায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের নামের তালিকা ঘোষণা করল সিপিআইএম নেতৃত্ব।বৃহস্পতিবার মেমারির দলীয় কার্যালয়ে থেকে তারা পৌরসভার ১৬টি আসনের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। যদিও রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস বা বিজেপি কেউ এখনও পর্যন্ত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করতে পারেননি। সিপিআইএম নেতৃত্ব প্রার্থী ঘোষণা করেই জানিয়ে দেন এ দিন থেকেই তারা ভোট যুদ্ধে নেমে পড়বেন। শুরু করে দেবেন বাড়ি বাড়ি প্রচার।সিপিএমের প্রার্থী তালিকামেমারি পৌরসভা পরিচালনার দায়িত্বে এখন তৃণমূলের মনোনিতারাই রয়েছে। গত পৌরসভা নির্বাচনে মেমারি পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছিলেন সিপিএম প্রার্থী। ৪ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী এবং ৫ নম্বর ওয়ার্ডের জয়ী হয়েছিলেন সিপিএম প্রার্থী। এছাড়াও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছিলেন কংগ্রেস সমর্থিত নির্দল প্রার্থী এবং ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছিলেন পিডিএস সমর্থিত নির্দল প্রার্থী। বাকি সব আসনে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূলের প্রার্থীরা।

ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২২
রাজ্য

অনুব্রতর বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত জারি রাখতে নির্দেশ হাইকোর্টের

বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে তদন্ত জারি রাখতে সিবিআইকে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে মামলার শুনানি হয়। তখন বিচারপতি এই নির্দেশ দেন সিবিআইকে। একই সঙ্গে তিনি জানান, অনুব্রত মণ্ডল প্রধান অভিযুক্ত নন। তাঁর নাম এফআইআর-এ নেই। তবে তাঁকে বোলপুর বা দুর্গাপুরে ডেকে জিজ্ঞাসা করতে পারবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।গত ২ মে একুশের নির্বাচনের ফলপ্রকাশের দিন বীরভূমের গোপালনগর গ্রামে খুন হন বিপ্লব সরকার নামে এক বিজেপি কর্মী। অভিযোগ, বাড়ির অদূরেই তাঁর ওপর হামলা চালায় কয়েকজন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী। বাঁশ, লাঠি, লোহার রড নিয়ে চলে হামলা। রাস্তায় ফেলে বেপরোয়া মারধর করা হয় তাঁকে। মাথায়, বুকে পিঠে একাধিক ক্ষত তৈরি হয় বিপ্লব সরকারের। মাথায় অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণের জেরে মৃত্যু হয় তাঁর। চিকিৎসকরা তেমনই জানিয়ে দেন রিপোর্টে। ঘটনায় উঠে আসে বীরভূম তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের নাম। ঘটনার তদন্তে নেমে প্রাথমিকভাবে গ্রেপ্তার করা হয় দিলীপ মৃধা নামে এক ব্যক্তিকে। তদন্ত যত এগোয়, উঠে আসে একাধিক তৃণমূল নেতার নাম। নোটিস পাঠানো হয় ইলামবাজারের তৃণমূলের সম্পাদককে। অনুব্রত মণ্ডলের নামেও জারি হয় নোটিস।গত শুক্রবার ২৮ জানুয়ারিও অনুব্রত মণ্ডলকে তলব করে সিবিআই। কিন্তু অসুস্থতার কারণ দর্শিয়ে সেই হাজিরা এড়িয়ে যান অনুব্রত। সিবিআইকে চিঠি দিয়ে তিনি জানিয়ে দেন, শারীরিকভাবে তিনি অসুস্থ। তিনি সিবিআই-এর বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার মতো পরিস্থিতি তাঁর নেই। হাজিরা দেওয়ার জন্য বেশ কিছুটা সময় চেয়ে নেন তিনি।এর পরই বুধবার গ্রেপ্তারি থেকে রক্ষাকবচ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অনুব্রত। আদালতকে তিনি জানান, তদন্তে সিবিআইকে সমস্ত রকম সহায়তা করতে রাজি। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ যেন না করা হয়।

ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২২
কলকাতা

‘দল একটাই – তৃণমূল,' সাংগঠনিক নির্বাচনের পর গোষ্ঠীকোন্দল নিয়ে সতর্কবাণী মমতার

দলের মধ্যে যে অন্তর্কলহ রয়েছে, তা বুধবার কার্যত বকলমে স্বীকার করে নিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বললেন, কথা দিতে হবে পরস্পরের মধ্যে দ্বন্দ্ব হবে না। বুধবার তৃণমূলের সাংগঠনিক নির্বাচন ছিল। নেতাজি ইন্ডোরে তা নিয়ে সকাল থেকেই তৎপরতা ছিল তুঙ্গে। তৃণমূলের ভিতরে আলাদা কোনও গোষ্ঠী নেই। দল একটাই। গ্রুপও একটাই।বুধবার দলের সাংগঠনিক নির্বাচনের মাধ্যমে চেয়ারপার্সন পদে পুনর্নির্বাচিত হয়ে কর্মীদের স্পষ্ট বার্তা দিলেন সর্বোচ্চ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের সর্বময় নেত্রীর কথায়, নেতা জন্মায় না। নেতা তৈরি হতে হয়। অর্থাৎ, নেতাকে একটা পদ্ধতির মধ্য দিয়ে তৈরি হতে হয়। কেউ জন্মেই নেতা হয় না। কিছুদিন আগে পর্যন্তও দলের মধ্যে অন্তর্কলহের এক চূড়ান্ত ছবি দেখা গিয়েছিল তৃণমূলে। এবার আর নিচু তলার কর্মীরা নন, একেবারে সামনের সারির নেতাদের মধ্যে কলহ। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কুণাল ঘোষের মধ্যে সেই সাম্প্রতিক দ্বন্দ্বের কথা এখনও বিরোধীদের মুখে মাঝে মধ্যেই শোনা যায়। পরিস্থিতি এমন হয়েছিল, তাতে হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হয়েছিলেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কামারহাটির বিধায়ক তথা মমতার অন্যতম প্রিয় পাত্র মদন মিত্রও সম্প্রতি দলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটিকে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন কিছুদিন আগে। আর এরই মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতাজি ইন্ডোর থেকে এই বার্তা যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।তিনি আরও বলেন, বাংলায় আরও বাড়তে হবে। আজ আমি যখন এখানে আসছিলাম, তখন আমার কাছে খবর আসছিল, সাত-আট জন বিজেপি বিধায়ক আরও আসতে চান। তাঁরা উন্নয়নে আমাদের সঙ্গে নিশ্চয়ই কাজ করতে পারেন। আরও অনেকেই আসতে চান। তাঁরা আসুন, উন্নয়নে কাজ করুন, সেটা আমরা নিশ্চয়ই চাই। তবে জোর করে যে দলে কাউকে আনা হচ্ছে না, তাও স্পষ্ট করে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে আগামী দিনে লড়াই আরও জোরদার হবে, সেই কথাও দলীয় নেতা ও কর্মীদের উদ্দেশে জানিয়ে রাখলেন তিনি।

ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২২
রাজ্য

ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সিবিআই তলব এড়ালেন 'অসুস্থ' অনুব্রত মণ্ডল

ভোট পরবর্তী হিংসা বীরভূমের বিজেপি কর্মী খুনে এ বার তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে তলব করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। যদিও শুক্রবার অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তিনি হাজিরা এড়িয়েছেন বলে খবর। জানা গিয়েছে, সিবিআই আধিকারিকদের অনুব্রত মণ্ডল জানান, তাঁর শরীর ভাল নয়। তাই এই দিন তিনি দেখা করতে পারছেন না।উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা ভোটে রাজ্যের যে সমস্ত জায়গায় হিংসার অভিযোগ তোলেন বিরোধীরা, তার মধ্যে অন্যতম বীরভূম। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশের পর একাধিকবার বীরভূমে এসেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। ঘটনাক্রমে ইলামবাজারে বিজেপি কর্মী গৌরব সরকার খুনের মামলায় তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে তলব করা হয়।বিধানসভা ভোটের ফলপ্রকাশের দিন অর্থাৎ, গত ২ মে গৌরব সরকারকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে। ইতিমধ্যে এই খুনের মামলায় বেশ কয়েক জন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই। কয়েক দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ইলামবাজার পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ-সহ একাধিক তৃণমূল নেতাকে। এর পর বিজেপি কর্মী খুনের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয় স্বয়ং দলের জেলা সভাপতিকে।

জানুয়ারি ২৮, ২০২২
দেশ

গোয়ার ভোটে তৃণমূলের প্রার্থীপদ থেকে সরে দাঁড়ালেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফেলেইরো

গোয়ায় বিধানসভা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন তৃণমূলের প্রার্থী তথা সে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরো। শুক্রবার সকালে প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করে ফেলেইরো জানান, ফাতোরদা বিধানসভা কেন্দ্রে তাঁর পরিবর্তে তৃণমূলের প্রার্থী হবেন এক মহিলা। কিছুক্ষণ পরে তাঁর পরিবর্তে ফাতোরদা কেন্দ্রে আইনজীবী শেইলা অভিলিয়া ভাসের নাম ঘোষণা করে তৃণমূল।Rumours of my resignation from @AITCofficial are false, mischievous malicious.This is propaganda being spread by those rattled by the support blessings that the people of Goa have showered on my party.Goa TMC is the only party that will fight for Goa emerge victorious! Luizinho Faleiro (@luizinhofaleiro) January 27, 2022সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে ফেলেইরো বলেছেন, আমি গোয়ার ফাতোরদা বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করছি। আমার পরিবর্তে এক মহিলা সেখানে প্রার্থী হবেন। তিনি একজন পেশাদার। আমাদের দলের নীতি, মহিলাদের ক্ষমতায়ন।কংগ্রেসের বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়ে গত সেপ্টেম্বরে কলকাতায় এসে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন ফেলেইরো। তাঁকে দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি করা হয়। পরে অর্পিতা ঘোষের ছেড়ে যাওয়া আসনে তিনি তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদও হন।

জানুয়ারি ২৮, ২০২২
রাজনীতি

নির্বাচনের স্ট্র্যাটেজি নির্ধারণে ৩ দিনের সফরে আজ গোয়ায় অভিষেক

নজরে বিধানসভা ভোট। সোমবার ফের তিন দিনের গোয়া সফরে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ।দলীয় সূত্রে খবর, সৈকত রাজ্যে নির্বাচন স্ট্র্যাটেজি নিয়ে সাংগঠনিক বৈঠক করবেন অভিষেক। এছাড়াও তৃতীয় দফার প্রার্থী তালিকা নিয়েও নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে খবর। খতিয়ে দেখবেন গোয়ার ভোট প্রস্তুতিও। ২৬ জানুয়ারি রাজ্যে ফিরবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।নির্বাচনের প্রাক্কালে তিন দিনের এই গোয়া সফর স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। দুদফায় ইতিমধ্যেই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তিন দিনের এই গোয়া সফরের মধ্যেই আরও বেশ খানিকটা প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে তৃণমূল কংগ্রেস। পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকাও প্রকাশিত হওয়ায় সম্ভাবনা থাকছে।অভিষেকের এই সফরে রয়েছে সাংগঠনিক কর্মসূচি। একইসঙ্গে কংগ্রেসের পি চিদাম্বরম বনাম তৃণমূল কংগ্রেসের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বৈরথ গোয়ার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে, তাতে হতে পারে ঘৃতাহুতিও। কংগ্রেস বরাবর অভিযোগ করে আসছে, গোয়ায় আপ, তৃণমূল কংগ্রেসে ভোট লড়তে নেমে আসলে বিজেপি বিরোধী ভোটই ভাগ করতে চাইছে। অন্যদিকে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় গোয়াবাসীকে বার্তা দিয়েছেন, কংগ্রেসকে ভোট দেওয়া মানে বিজেপির হাত শক্ত করা।

জানুয়ারি ২৪, ২০২২
রাজ্য

বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থায় নেই স্থানীয় বিধায়ক, দায়িত্বে কাকলি

বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার (BDA) নতুন চেয়ারপার্সন ঘোষণা করলো রাজ্য পৌর ও নগরোন্নয়ন দফতর। শুক্রবার বিজ্ঞপ্তিতে একজন চেয়ারপার্সন ও ৯ জন সদস্যের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু নতুন কমিটিতে সদস্য পর্যন্ত করা হয়নি বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাসকে। এই নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে।এর আগে বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান ছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক রবিবঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। তাঁর মৃত্যুর পর পদটি দীর্ঘদিন ফাঁকা ছিল। বিডিএ-র দায়িত্ব দূরের কথা সদস্য়ও করা হয়নি বর্ধমানের বিধায়ক খোকন দাসকে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী নতুন চেয়ারপার্সন হয়েছেন কাকলি তা গুপ্ত। ৯ জন সদস্যের মধ্যে রয়েছেন, পুর্ব-বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি, রাজ্য সরকারের অর্থ দফতরের প্রতিনিধি, পৌর ও নগরোন্নয়ন দফতরের প্রতিনিধি, পুর্ব-বর্ধমান জেলাশাসক, পুর্ব-বর্ধমান পুলিশসুপার, বর্ধমান পৌরসভার চেয়ারম্যান, বর্ধমান উত্তর বিধানসভার বিধায়ক নিশীথ মালিক, শুভব্রত মুখোপাধ্যায় ও বিডিএর চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার।প্রসঙ্গত কাকলি তা গুপ্ত দীর্ঘদিন তৃণমূল দলের সক্রিয় রাজনীতির সাথে যুক্ত। তিনি বর্ধমান-১ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত-কর্মাধক্ষের দ্বায়িত্ব সামলেছেন। বর্তমানে তিনি বর্ধমান-১ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য।

জানুয়ারি ২১, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 23
  • 24
  • 25
  • 26
  • 27
  • 28
  • 29
  • ...
  • 55
  • 56
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাস খু.নের ঘটনায় ১৩ জন দোষী সাব্যস্ত, রায় মঙ্গলবার

সামসেরগঞ্জের জাফরাবাদ গ্রামে হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাস খু.ন কাণ্ডে ধৃত ১৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করলো জঙ্গিপুর আদালত। চলতি বছর তাঁদের নৃশংস ভাবে খুন করা হয়। এই মামলা রায়দান করা হবে মঙ্গলবার। রায়ের দিকে নজর রয়েছে সাধারণ মানুষের।দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গিপুর আদালতে এই মামলার শুনানি চলে। ফরেনসিক রিপোর্ট, একাধিক সাক্ষী, পুলিশি তদন্ত রিপোর্ট এবং অন্যান্য তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীন আদালতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য উঠে আসে। যার ফলে মামলা গুরুত্বপূণ মোড় নেয়। চলতি বছরের ১২ ই এপ্রিল সামসেরগঞ্জের জাফরাবাদ গ্রামে খুন করা হয় হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাসকে। সেই সময় হিংত্মাক আন্দোলন চলছিল ওই মুর্শিদাবাদের এই এলাকায়। দীর্ঘ শুনানির পর অবশেষে জঙ্গিপুর আদালতে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে ১৩ জনকে। এদিন রায় ঘোষণা ও দোষী সাব্যস্ত করার ঘটনায় ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজনীতি

হুমায়ুন কবীরের নতুন দল ‘জেইপি’, মঞ্চ থেকেই একের পর এক হুঁশিয়ারি, ব্রিগেডে জনসভা জানুয়ারিতে

মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা খাগারুপাড়া মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করল হুমায়ুন কবীরের নতুন রাজনৈতিক দল জে ইউ পি (JUP)। দল গঠনের সঙ্গে সঙ্গেই সভাপতি হিসেবে নিজের নাম ঘোষণা করেন হুমায়ুন কবীর। সভার মঞ্চ থেকেই আগামী বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে একের পর এক বড় রাজনৈতিক ঘোষণা করেন তিনি।হুমায়ুন কবীর জানান, জেইউপি দলের হয়ে তিনি বেলডাঙা ও রেজিনগর, এই দুই বিধানসভা কেন্দ্রেই প্রার্থী হবেন এবং ৩০ হাজার ভোটে দুটি আসনেই জয়লাভ করবেন। পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ জেলার আরও ছয়টি বিধানসভা আসনে দলের প্রার্থী ঘোষণা করেন তিনি।সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি আক্রমণ করে হুমায়ুন কবীর বলেন, আপনি সাড়ে সাত লক্ষ কোটি টাকার ঋণের বোঝা বাংলার মানুষের মাথায় চাপিয়েছেন। এর জবাব ২০২৬ সালে বাংলার মানুষ দেবে।কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ব্রিগেডে সভা করব। ফিরহাদ হাকিম বেশি বাড়াবাড়ি করলে ব্রিগেড থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ নিয়ে মেয়র অফিস ঘেরাও করা হবে।সভায় উপস্থিত কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে হুমায়ুন কবীর বলেন, আজ যারা এখানে এসেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে যদি মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়, জেলায় হলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ডেপুটেশন, জেলার বাইরে হলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে থানার ইট খুলে নেব।তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করে হুমায়ুন কবীর ঘোষণা করেন, মুর্শিদাবাদ থেকে তৃণমূলকে নিশ্চিহ্ন করে দেব।একই সঙ্গে বিজেপিকেও সতর্ক করে তিনি বলেন, বিধানসভা থেকে মুসলিম বিধায়কদের চ্যাদোলা করে বাইরে ফেলবে, এমন স্বপ্ন দেখবেন না। বিরোধী দলনেতাকেও আক্রমণ করে বলেন, ২০০টি আসনে প্রার্থী দিলে ১০০টি আসন জিতব, তার মধ্যে ২০ জন হিন্দু বিধায়ক থাকবেন।মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হুমায়ুন কবীর বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যদি আপনার সৎ সাহস থাকে, তাহলে আপনার প্রিয় চ্যানেলে বসুন, আমার মুখোমুখি। সেদিন বাংলার মানুষ দেখবে আপনার মিথ্যাচার।সভা শেষে তিনি আগামী দিনের কর্মসূচিও ঘোষণা করেন৪ জানুয়ারি: ডোমকল জনকল্যাণ মাঠে জনসভা৫ জানুয়ারি: হরিহরপাড়া এলাকার একটি মাঠে জনসভাএদিনের সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে বহু কর্মী-সমর্থক জে ইউ পি দলে যোগদান করেন, যা দলটির ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের ইঙ্গিত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজ্য

ভোটের আগে তৃণমূলে বড় ধাক্কা, আজ নতুন দল ঘোষণা হুমায়ুন কবিরের

বঙ্গ রাজ্য রাজনীতিতে আজ, সোমবার নয়া জল্পনা ও চমক। সাসপেন্ড তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর আগামিকাল মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গায় আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা করতে চলেছেন। বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে তাঁর এই পদক্ষেপ ঘিরে জেলা ও রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়েছে তীব্র আলোচনা।জানা গিয়েছে, বেলডাঙ্গায় আয়োজিত ওই জনসভা থেকেই নতুন দলের নাম, প্রতীক ও রাজনৈতিক রূপরেখা প্রকাশ করবেন হুমায়ুন কবির। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বের সঙ্গে মতবিরোধে জড়িয়েছিলেন। দলবিরোধী মন্তব্য ও কার্যকলাপের অভিযোগে তাঁকে দল সাসপেন্ড করে। সেই ঘটনার পর থেকেই আলাদা রাজনৈতিক পথ নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে আসছিলেন তিনি। পাশাপাশি নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা করবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছিলেন হুমায়ুন।হুমায়ুন কবিরের নতুন দলে কারা কারা যোগ দেবেন, তৃণমূল বা অন্য দল থেকে কোনও পরিচিত মুখ তাঁর সঙ্গে থাকবেন কি না, এই প্রশ্নগুলো ঘিরেই রাজনৈতিক মহলে কৌতূহল তুঙ্গে। বিশেষ করে মুর্শিদাবাদ জেলার রাজনীতিতে তাঁর প্রভাব বিবেচনা করলে, এই নতুন দলের আত্মপ্রকাশ স্থানীয় রাজনৈতিক সমীকরণে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্ব বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য না করলেও পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে বিজেপি ও অন্যান্য বিরোধী দলও হুমায়ুন কবিরের ঘোষণার দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখছে।গত ৬ ডিসেম্বর হুমায়ুন বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করেছেন। তারপর থেকে নতুন দল গঠনের জন্য প্রস্তুতি বৈঠকও সেরেছেন। ভোটের আগে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ কতটা প্রভাব ফেলতে পারে, তা অনেকটাই নির্ভর করবে হুমায়ুন কবিরের সংগঠিনক শক্তি ও জনসমর্থনের উপর। আগামিকালের বেলডাঙ্গার সভা থেকেই স্পষ্ট হবে, এই নতুন দল রাজ্য রাজনীতিতে কতটা তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। তবে বঙ্গ রাজনীতিতে ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনে নবাবের মুর্শিদাবাদ যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে তাঁর ঈঙ্গত রয়েছে।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজ্য

নরেন্দ্র মোদীর পর এবার রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ, ৩০ ডিসেম্বর বৈঠক করবেন নেতৃত্বের সঙ্গে

একদিন আগেই রাজ্যে এসেছিলেন বিজেপির পোস্টারবয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আগামী ৩০ডিসেম্বর বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে তিনি বৈঠক করবেন। ওই বৈঠকে আগামী ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের কৌশল রচনা করবেন। তারপর সাংবাদিক বৈঠক করবেন অমিত শাহ। যদিও তাঁর এই বঙ্গসফরকে পাত্তা দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁদের বক্তব্য, বাংলায় নরেন্দ্র মোদী হোক বা অমিত ষশাহ হোক, এঁরা কেউ এখানে বিজেপির জয় এনে দিতে পারবেন না। আগেও নির্বাচনের আগে বারে বারে এসেছেন এবারও আসবেন। তবে ব্যর্থ হবেন বলেই দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
রাজনীতি

বর্ধমানে পৌঁছল বিহারের ৫৫টি বাইক, উদ্দেশ্য ঘিরে তৃণমূল–বিজেপি সংঘাত তুঙ্গে

রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতির মধ্যেই পূর্ব বর্ধমানে শুরু হয়ে গেল রাজনৈতিক চাপানউতোর। শনিবার বিহারের নম্বর প্লেটযুক্ত ৫৫টি পুরনো মোটরবাইক বর্ধমান জেলা বিজেপি দলীয় অফিসের ঠিকানায় এসে পৌঁছানোকে ঘিরে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বাইকগুলি ট্রেন থেকে নামিয়ে বর্ধমান রেল স্টেশনের ইস্টার্ন রেলওয়ের পার্সেল অফিসের সামনে রাখা হয়।এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাস। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দলের একাধিক নেতা ও কর্মী। বর্ধমান রেল স্টেশনে পার্সেল অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে তৃণমূল। বাইকগুলির মালিকানা, পরিবহণ সংক্রান্ত নথি এবং কেন শুধুমাত্র বিজেপির বর্ধমান জেলা অফিসের ঠিকানায় এই বাইক পাঠানো হয়েছে। তা প্রকাশ্যে আনার দাবি তোলেন বিধায়ক।বিক্ষোভে অংশ নেওয়া তৃণমূল নেতাদের অভিযোগ, বিহারের রাজেন্দ্রনগর থেকে সুনীল গুপ্তা নামের এক ব্যক্তির নামে এই ৫৫টি বাইক পাঠানো হয়েছে। তাঁদের দাবি, বিধানসভা ভোটের আগে পরিকল্পিতভাবেই বাইকগুলি রাজ্যে ঢোকানো হচ্ছে। তৃণমূল নেতৃত্বের আশঙ্কা, আগামী দিনে এই বাইক ব্যবহার করে বাইরের লোকজন বা দুষ্কৃতীদের রাজ্যে ঢোকানোর চেষ্টা হতে পারে। জানা গিয়েছে, এই ৫৫টি নয়, ২৩ জেলা মিলিয়ে প্রায় ৬০০০ মোটর বাইক আসার কথা।বিধায়ক খোকন দাস স্পষ্ট ভাষায় জানান, এতগুলো বাইক বিহার থেকে কী উদ্দেশ্যে বাংলায় আনা হয়েছে, তা পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। ভোটের আগে এই বাইক ব্যবহার করে রাজ্যে অশান্তি ছড়ানোর পরিকল্পনা থাকতে পারে। একই সঙ্গে তিনি রেল ও জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেন। দলের বর্ধমান শহর সভাপতি তন্ময় সিংহ রায়ও বাইকগুলির সম্পূর্ণ তথ্য জনসমক্ষে আনার দাবি জানান। তাঁর বক্তব্য, রেল কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি জেলা ও রাজ্য প্রশাসনকে এই পরিবহণের বিস্তারিত জানাতে হবে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রয়োজনীয় নথি প্রকাশ না হলে বাইকগুলি পার্সেল অফিস থেকে ছাড়তে দেওয়া হবে না।অন্যদিকে, তৃণমূলের সব অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে বিজেপি। জেলা বিজেপি নেতা দেবজ্যোতি সিংহরায় বলেন, কিছুদিন আগেই বিহারে নির্বাচন হয়েছিল। সেই সময় দলীয় কর্মীদের কাজে ব্যবহারের জন্য এই বাইকগুলি ব্যবহার করা হয়েছিল। বিহারের ভোট শেষ হওয়ায় সেগুলি এখন পশ্চিমবঙ্গে আনা হয়েছে। তিনি আরও জানান, বর্ধমান জেলা বিজেপি অফিস রাঢ়বঙ্গ জোনের কেন্দ্রীয় অফিস হওয়ায় এখানকার ঠিকানাতেই বাইক পাঠানো হয়েছে। বিজেপির দাবি, প্রতি নির্বাচনের আগেই এভাবেই বাইক আনা হয় এবং বিষয়টি জেনেও তৃণমূল অহেতুক বিতর্ক তৈরি করছে। বাইক বিতর্কে প্রশাসনের ভূমিকা কী হয়, তা নিয়েই এখন রাজনৈতিক মহলে বাড়ছে কৌতূহল।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

এশিয়া কাপ ফাইনালে স্বপ্নভঙ্গ, দুবাইয়ে পাকিস্তানের কাছে লজ্জার হার ভারতের

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়ল ভারত। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৩৪৮ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আয়ুষ মাত্রের দল গুটিয়ে গেল মাত্র ১৫৬ রানে। ফলে ১৯১ রানের বড় ব্যবধানে হার স্বীকার করেই শিরোপা হাতছাড়া করতে হল টিম ইন্ডিয়াকে।টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। কিন্তু শুরু থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় পাকিস্তান। দলের হয়ে বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন সামির মিনহাস। মাত্র এক ইনিংসেই তিনি করে ফেলেন ১৭২ রান। উসমান খানের সঙ্গে ৯২ রানের এবং আহমেদ হুসেনের সঙ্গে ১৩৭ রানের দুটি বড় জুটিতে ভর করে দ্রুত ৩০০ রানের গণ্ডি পেরিয়ে যায় পাকিস্তান।বিশেষজ্ঞদের মতে, একসময় পাকিস্তানের ইনিংস ২৭০২৮০ রানের মধ্যেই থামতে পারত। কিন্তু মিনহাসের ব্যাটে ভর করেই ৪৩ ওভারের মধ্যেই ৩০০ ছুঁয়ে ফেলে তারা। পরে তাঁর আউট হওয়ার পর পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ে ধস নামে। ৩০২/৩ থেকে ৩২৭/৮ মাত্র ২৫ রানের মধ্যে পাঁচ উইকেট হারালেও ততক্ষণে ম্যাচ কার্যত একপেশে হয়ে গিয়েছিল।লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ভারতীয় ব্যাটিং সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ে। বৈভব সূর্যবংশী, আয়ুষ মাত্রে, অভিজ্ঞান কুণ্ডুর মতো পরিচিত নাম থাকলেও কেউই দায়িত্ব নিতে পারেননি। আশ্চর্যজনকভাবে দলের সর্বোচ্চ রান আসে ১০ নম্বর ব্যাটার দীপেশ দেবেন্দ্রনের ব্যাট থেকে। তিনি মাত্র ১৬ বলে ৩৬ রান করে লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিলেও তা যথেষ্ট ছিল না।এই হার যেন সাম্প্রতিক সিনিয়র দলের বিশ্বকাপ ফাইনালের স্মৃতি ফিরিয়ে আনল। সেবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে, এবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মঞ্চ ফাইনাল, ফলাফলও প্রায় একই রকম হতাশাজনক।উল্লেখযোগ্যভাবে, ফাইনালে ওঠার আগে টুর্নামেন্টে একমাত্র অপরাজিত দল ছিল ভারত অনূর্ধ্ব-১৯। গ্রুপ পর্বে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, মালয়েশিয়া ও পাকিস্তানকে হারিয়েছিল তারা। অন্যদিকে পাকিস্তান গ্রুপে ভারতের কাছেই একমাত্র হেরেছিল। কিন্তু ফাইনালের মঞ্চে সম্পূর্ণ ভিন্ন রূপে ধরা দেয় তারা। শেষ পর্যন্ত দুবাইয়ে দাপটের সঙ্গে জয় ছিনিয়ে নিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ নিজেদের ঝুলিতে ভরল পাকিস্তান। আর ফাইনালে বারবার হোঁচট খাওয়ার প্রবণতা নিয়ে বড় প্রশ্নচিহ্ন থেকে গেল ভারতীয় যুব দলের সামনে।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
বিদেশ

প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারে হামলার পরও অকুতোভয় কর্তৃপক্ষ, সন্ত্রাসের নিন্দার ঝড় বিশ্বের সর্বত্র

বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠল ঢাকায় প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের অফিসে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে। দেশের দুটি প্রথম সারির সংবাদপত্রের দফতরে এই হামলার অভিযোগ সামনে আসতেই তীব্র প্রতিক্রিয়া ছড়িয়েছে সাংবাদিক মহল, নাগরিক সমাজ এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলির মধ্যে। বাংলাদেশ ছাড়িয়ে নিন্দার ঝড় বয়েছে অন্যত্র।ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর বাংলাদেশে আসার পর থেকেই উত্তাল হয়ে ওঠে দেশ। পরবর্তীতে হিংসা ছড়িয়ে পরে নানা জায়গায়। নৃশংস ভাবে হিন্দু যুবক খুন থেকে সংস্কৃতি সংগঠনের ওপর হামাল। সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের ওপর ক্রমাগত হামলা চলতে থাকে।প্রাথমিক অভিযোগ অনুযায়ী, ঢাকায় অবস্থিত প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের অফিসে একদল দুষ্কৃতী হামলা চালায়। তারা অফিসে ঢুকে ভাঙচুর চালায় এবং কর্মরত সাংবাদিক ও কর্মীদের হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। আগুন লাগিয়ে দেয় এই অফিসদুটিতে। যদিও এই ঘটনায় বড় ধরনের শারীরিক ক্ষতির খবর নেই, তবে আচমকা হামলায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং কিছু সময়ের জন্য সংবাদকর্ম ব্যাহত হয়। সংবাদপত্র প্রকাশনা বন্ধ রাখতে হয়। বৃহস্পতিবার রাতে অনলাইন পোর্টালেও আর খবর আপলোড করা যায়নি।হামলার ঘটনার পরপরই বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন ও সম্পাদকীয় মহল একে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত বলে উল্লেখ করেছে। তাদের বক্তব্য, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা গণতন্ত্রের অন্যতম ভিত্তি, আর সংবাদমাধ্যমকে ভয় দেখিয়ে কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা গভীর উদ্বেগজনক। এই দুই সংবাদপত্র গোষ্ঠীও জানিয়ে দেয় তারা ভয় পায় না। খবর প্রকাশ করতে কোনও পরোয় তারা করবে না। এমনকী দফতরের সামনে মানব বন্ধন কর্মসূচি পালন করে।ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রশাসনের তরফে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারীদের চিহ্নিত করতে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের অফিসে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।এই ঘটনার পর প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের পক্ষ থেকে পৃথক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হুমকি বা হামলার মাধ্যমে সত্য প্রকাশ থামানো যাবে না। তারা দ্রুত, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে প্রশাসনের কাছে।আন্তর্জাতিক স্তরেও এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সাংবাদিক সংগঠন ও মানবাধিকার সংস্থা বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এবং মুক্ত সাংবাদিকতার পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে। প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের অফিসে হামলার ঘটনা শুধু দুটি সংবাদপত্রের ওপর আঘাত নয়, বরং বাংলাদেশের সামগ্রিক গণতান্ত্রিক পরিবেশ ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ভবিষ্যৎ নিয়েই বড় প্রশ্ন তুলে দিল। এখন দেখার, প্রশাসনিক পদক্ষেপ কতটা দ্রুত ও কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হয়।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

লাইভ মঞ্চে লগ্নজিতা চক্রবর্তীকে হেনস্থার অভিযোগ, গ্রেপ্তার অভিযুক্ত, ওসির ভূমিকা নিয়েও তদন্ত

লাইভ পারফরম্যান্স চলাকালীন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী লগ্নজিতা চক্রবর্তীকে হেনস্থার অভিযোগে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি ও সাংস্কৃতিক মহল। পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরে একটি বেসরকারি স্কুলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করতে গিয়ে এই ঘটনার মুখে পড়েন তিনি। ঘটনার পর পুলিশ অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে, যার নাম তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে জড়িয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সন্ধ্যায় ভগবানপুরের একটি বেসরকারি স্কুল প্রাঙ্গণে। অভিযোগ অনুযায়ী, লগ্নজিতা চক্রবর্তী যখন জাগো মা গানটি পরিবেশন করছিলেন, তখন অনুষ্ঠানের প্রধান উদ্যোক্তা ও ওই স্কুলের মালিক মেহবুব মল্লিক আচমকাই মঞ্চে উঠে আসেন। শিল্পীর অভিযোগ, তিনি গালিগালাজ করেন এবং চিৎকার করে বলেন, অনেক হয়েছে জাগো মা, এবার কিছু সেকুলার গান গাও। পাশাপাশি মারধরের হুমকি ও শারীরিকভাবে আক্রমণের চেষ্টাও করা হয় বলে অভিযোগ।পরিস্থিতি দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে উঠলে অনুষ্ঠান কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। পরে লগ্নজিতা চক্রবর্তী ভগবানপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তিনি জানান, প্রথমে থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আসার পর মামলা রুজু হয় এবং অভিযুক্ত মেহবুব মল্লিককে গ্রেপ্তার করা হয়।পূর্ব মেদিনীপুরের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মিতুন দে জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে ভগবানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক এবং আরও এক পুলিশকর্মীর ভূমিকা নিয়েও বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের গাফিলতির প্রমাণ মিললে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তরজাও তীব্র হয়েছে। বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য। বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পাণ্ডা অভিযোগ করেন, একজন শিল্পী কি গান গাইবেন, সেটাও শাসক দলের লোক ঠিক করে দিচ্ছে। এটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত। তিনি আরও দাবি করেন, পুলিশ প্রথমে অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেছিল। যদিও এই ঘটনার বিষয়ে এখনও পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।লাইভ মঞ্চে একজন শিল্পীর গান বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিয়ে ওঠা এই প্রশ্ন এখন আর শুধু ব্যক্তিগত অভিযোগে সীমাবদ্ধ নয়। সাংস্কৃতিক পরিসরে মতপ্রকাশের অধিকার, প্রশাসনের নিরপেক্ষতা এবং রাজনৈতিক প্রভাব সব মিলিয়ে এই ঘটনা রাজ্যজুড়ে বড় বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal