লাঠি–ব্যাট–উইকেট নিয়ে মারামারি, ক্ষমতার দখল নিয়ে ধুন্ধুমার মোহনবাগান তাঁবু
কয়েক ঘন্টা পরেই আইএসএলের প্রথম পর্বের সেমিফাইনালে খেলতে নামবে এটিকে মোহনবাগান। তার কয়েকঘন্টা আগেই কিনা ক্ষমতার দখল নিয়ে ধুন্ধুমার কান্ড সবুজমেরুণ তাঁবুতে! হ্যাঁ, শনিবার এইরকম ঘটনারই সাক্ষী থাকল মোহনবাগান ক্লাব তাঁবু। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তাঁবুর বাইরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ল দুই পক্ষ। ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই মোহনবাগান ক্লাবের নির্বাচন নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ঠান্ডা লড়াই চলছিল। শনিবার ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষদিন। শেষদিনে হঠাৎ করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। লাঠি, ক্রিকেট ব্যাট, উইকেট নিয়ে মারপিটে জড়িয়ে পড়ে দুই বিবাদমান গোষ্ঠী। একে অপরের দিকে তেড়ে যায়। লাঠিউইকেট নিয়ে আঘাত করে। ইটপাথরও ছোঁড়ে। ঘটনায় কয়েকজন সমর্থক আহত হন। পরিস্থিতি যখন চরমে ওঠে, ক্লাব তাঁবুর ভেতরে থাকা কর্তারা পুলিশকে ফোন করেন। গন্ডোগোলের খবর পেয়েই দ্রুত ছুটে আসে ময়দান থানার পুলিশ। লালবাজার থেকেও পুলিশের বিশাল বাহিনী হাজির হয়। লাঠি চালিয়ে দুই বিবাদমান গোষ্ঠীকে ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ। কেন হঠাৎ করে এইরকম অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হল, তা নিয়ে অন্ধকারে ক্লাব কর্তারা। শনিবার ছিল ক্লাবের নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষদিন। বিকেল ৫ পর্যন্ত মনোনয়ন জমা দেওয়া যেত। কিন্তু দুপুর হতে না হতেও বেশকিছু সদস্যসমর্থক ক্লাব তাঁবুর বাইরে জড়ো হতে শুরু করেন। এরপরই সদস্যসমর্থকরা বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। তারপর শুরু হয়ে যায় হাতাহাতি। একে অপরের দিকে লাঠি নিয়ে তেড়ে যায়। ক্লাব সচিব সত্যজিৎ চ্যাটার্জির গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পুলিশ এসে সব তথ্য সংগ্রহ করে। কেন দুই গোষ্ঠী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ল, এই সংঘর্ষের নেপথ্যে কারা রয়েছে, তা জানার জন্য তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। সদস্যসমর্থকদের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ার ব্যাপারে মোহনবাগানের শীর্ষ কর্তা দেবাশিস দত্ত বলেন, ক্লাব তাঁবুর বাইরে ঝামেলা হয়েছে। কারা ঝামেলা করেছে, কেন করেছে আমরা জানি না। ক্লাবের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। কার সঙ্গে কী সমস্যা হয়েছে বলতে পারব না। পুলিশ তদন্ত করছে। একই কথা শোনা গেছে সত্যজিৎ চ্যাটার্জির মুখেও। গাড়ি ভাঙচুর নিয়ে পুলিশে তিনি কোনও অভিযোগও করছেন না।