• ১৪ কার্তিক ১৪৩২, সোমবার ০৩ নভেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Social

বিদেশ

নেপালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধকরণে উত্তাল কাঠমান্ডু

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধকরণের সিদ্ধান্তে উত্তাল নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু। সোমবার হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে এদিন ব্যাপক বিক্ষোভ দেখায়। ঘটনায় অন্তত ২০ জন নিহত এবং আড়াইশোরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।সরকারি নির্দেশে ফেসবুক, এক্স (টুইটার) এবং ইউটিউব-সহ একাধিক জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম বন্ধ করে দেওয়া হয়। কারণ এগুলি রাষ্ট্রীয় নিয়মে নিবন্ধিত হয়নি। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।বিক্ষোভকারীরা নিউ বানেশ্বর এলাকায় ব্যারিকেড ভেঙে সংসদ ভবন ঘেরাও করে। পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। দাঙ্গা পুলিশকে পিছু হটতে বাধ্য করা হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ার গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করে নিরাপত্তা বাহিনী। এতে একজন নিহত এবং অন্তত ৮০ জন আহত হন, যাদের মধ্যে দুই সাংবাদিকও রয়েছেন। তবে সার্বিকভাবে হতাহতের সংখ্যা আরও বেড়ে ২০ জন নিহত ও প্রায় ২৫০ জন আহত হয়েছেন বলে সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে।সোমবার রাতের পর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও প্রশাসনের আশঙ্কা, মঙ্গলবার ফের বিক্ষোভ হতে পারে। সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনীকে গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় মোতায়েন রাখা হয়েছে।এদিকে প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলির নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই ঘটনার তদন্তে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়েছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে না। তার দাবি, সরকারের সিদ্ধান্তে মন্ত্রীদের প্রকাশ্যে সমর্থন জানাতে হবে।এই অবস্থানে ক্ষুব্ধ হয়ে জোটসঙ্গী নেপালি কংগ্রেসের মন্ত্রীরা বৈঠক থেকে ওয়াক আউট করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে জরুরি বৈঠকের ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই ঘটনার জেরে জোট সরকারের ভেতরকার টানাপোড়েন আরও প্রকট হয়ে উঠেছে।

সেপ্টেম্বর ০৮, ২০২৫
কলকাতা

সোশাল মিডিয়ায় যুবতীর ছবি পোস্ট, সেক্টর ফাইভের অফিস থেকে যুবক গ্রেফতার

আইটি কর্মীর নামে ভুয়ো সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট খুলে অশ্লীল ছবি পোস্টের অভিযোগ। আইটি কর্মী যুবতীর অভিযোগের ভিত্তিতে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করল বিধান নগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, সল্টলেকের সেক্টর ফাইভ এর একটি আইটি সংস্থায় কাজ করতেন এক যুবতী। কিছু বছর আগে এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান তিনি। সেই যুবকও তার সঙ্গে একই অফিসে কাজ করতে বলে পুলিশকে জানান তিনি। এরপরই তার সাথে একই জায়গায় থাকতে শুরু করে তারা। কেষ্টপুর এলাকায় একটি ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতেন তারা বলে পুলিশ সূত্রে খবর।এরপরেই যুবতীর সঙ্গে যুবকের সম্পর্ক বিচ্ছেদ হয়ে যায়। তার কিছুদিন পরে যুবতী জানতে পারে এই যুবতীর নামে একটি সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট তৈরি করে কেউ বা কারা তার কিছু গোপনীয় ছবি প্রকাশ করছে। ঘটনা তদন্ত শুরু করে পুলিশ লোকেশন ট্র্যাক করে সল্টলেকের সেক্টর ফাইভ এর একটি অফিসে হানা দিয়ে বিহারের বাসিন্দা সুভাষ বলে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। আজ তাকে বিধাননগর আদালতে তোলা হবে। পুলিশ তাকে নিজেদের হেফাজতের নেওয়ার আবেদন জানাবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। কি কারনে এই ধরনের ঘটনা তিনি ঘটিয়েছিলেন সে বিষয়ে তদন্ত করে দেখছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ।

এপ্রিল ০৬, ২০২৪
প্রযুক্তি

নিজে থেকেই লগ আউট! ফেসবুক ইনস্টা -র অস্বাভাবিক আচরণে বিভ্রান্ত ব্যবহারকারীরা

রাত ৮-৩০ টার পর থেকে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুক, ইনস্টা হটাৎ করে নিজে থেকেই লগআউট হয়ে যাচ্ছে। এহেন আচরণে প্রথম দিকে অনেকেই ভাবছিলেন তাঁদের পাসওয়ার্ডের কোনও সমস্যা হয়েছে, বা ভুল হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এই নিয়ে বেশ বিপাকে এই দুই সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীরা। জানা যায়, এ সমস্যা শুধুমাত্র বাংলা বা ভারতেই নয়, বিশ্ব জুড়ে স্তব্ধ এই পরিষেবা। অনেকেই তাঁদের এক্স হ্যন্ডেলে বা হোয়াটসঅ্যাপে পোস্ট করে জানাচ্ছেন। বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলেও জানা যায়নি সমস্যার মূল কারণ। এই নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনও বিবৃতি দেয়নি মূল সংস্থা মেটা।ফেসবুক ইনস্টা-র ব্যবহারকারীরা জানাচ্ছেন, হঠাৎ করেই এই দুই পরিষেবা নিজে নিজেই অ্যাকাউন্ট থেকে লগ আউট হয়ে যাচ্ছে। কোনওভাবেই আর লগ ইন করা যাচ্ছে না। ব্যবহারকারীরা কেউই তাঁদের কোনও পোস্ট, গ্যালারী, কমেন্ট কিছুই দেখতে পাচ্ছেন না।বিশিষ্ট সাইবার বিশেষজ্ঞ বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিটার বিভাগের অধ্যাপক ডঃ শিবকালি গুপ্ত জনতার কথা কে বলেন, মেটা কর্তৃপক্ষ এখনও বিবৃতি দিয়ে এই দুর্বিপাক সম্বন্ধে কোনও কিছু জানায়নি। তিনি বলেন, এমনও হতে পারে কোনও বড়সড় সাইবার অ্যাটাক হয়েছে বা হতে পারে সেই আন্দাজ করে সমস্ত ব্যবহারকারীদের লগ আউট করে দিয়েছেন মেটা কর্তৃপক্ষ তাঁদের ডাটা সুরক্ষিত রাখার জন্য। আথবা কোনও রূটিন মেনটেনেন্সও হতে পারে।ডঃ শিবকালি গুপ্ত আরও জানান, যদি রূটিন মেনটেনেন্স হয় সে ক্ষেত্রে মেটা-র মত সংস্থা অগ্রীম নোটিফিকেশন করে রাখত। তাঁর ধারণা এটা কোনও ধরনের সাইবার অ্যাটাক। এখন অপেক্ষা করা ছাড়া কোনও উপায় নেই।

মার্চ ০৫, ২০২৪
কলকাতা

সোশ্যাল মিডিয়া চাকরির প্রলোভন, লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা

চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে লক্ষধিক টাকা প্রতারণা। এই ঘটনায় তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করলো বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ।পুলিশ সূত্রে খবর, রাজারহাট এলাকার বাসিন্দা রাজীব গোস্বামী বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ করেন যে তিনি সোশ্যাল মিডিয়া মারফত একটি চাকরির এসএমএস পান। সেই সূত্র ধরে তিনি যোগাযোগ করলে তাকে একটি সোশ্যাল মিডিয়া গ্রূপে অ্যাড করা হয়। সেখানে তাকে বিভিন্ন প্রিপেড টাস্ক করতে বলা হয় যেখান থেকে তিনি রোজগার করতে পারবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। তিনি সেই প্রিপেড টাস্ক করতে গিয়ে ১৬ লক্ষ টাকা দিয়ে দেন। এরপরই টাকা চাইতে গেলে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় প্রতারকরা।ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ জানতে পারে অভিযোগকারীর সেই টাকা গিয়ে পৌঁছেছিল বেশকয়েকজনের অ্যাকাউন্টে। এরপরই গতকাল নোয়াপাড়া এবং জগদ্দলে হানা দিয়ে কৌশিক বোস, সন্তোষ কুমার সাউ এবং চন্দন কুমার সাউকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আজ অভিযুক্তদের বিধাননগর আদালতে তোলা হবে। পুলিশ তাদেরকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এই ঘটনার মূল অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ।

ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৪
নিবন্ধ

কেন‌ সমাজতন্ত্র: অ্যালবার্ট আইনস্টাইন

বিশ্ব জুড়ে এখন আলোচনায় ক্রিস্টোফার নোলান (Christopher Nolan) পরিচালিত সিনেমা ওপেনহাইমার (Oppenheimer)। ভারত ও তার ব্যাতিক্রম নয়। এদেশে মুক্তির প্রথম সাতদিনে ওপেনহাইমারের বক্স অফিস হিসেব ৭৩.১৫ কোটি টাকা। দেশ জুড়ে ১৯২৩ টি স্ক্রিনে মুক্তি পেয়েছে ওপেনহাইমার। শুধু ইংরেজি ভাষায় নয়, হিন্দিতে ও ডাব করে ভারতে দেখানো হচ্ছে এই সিনেমা। পরমাণু বোমার জনক ওপেনহাইমারের সাফল্য ব্যার্থতার পাশাপাশি তাঁর জীবনে নানা ঘাত প্রতিঘাত দক্ষতার সঙ্গে ফুটিয়ে তুলেছেন পরিচালক। সিনেমায় বিভিন্ন দৃশ্যে পরিচালক অ্যালবার্ট আইনস্টাইন কে এনেছেন। আইনস্টাইন এবং ওপেনহাইমার দুজনেই ইহুদী। দুজনে ই পদার্থ বিজ্ঞানী। এছাড়াও নানা ভাবে ওপেনহাইমারের জীবনে এই শ্রেষ্ঠ পদার্থ বিজ্ঞানীর প্রভাব রয়েছে। ১৯৩৩ এ জার্মানিতে হিটলার ক্ষমতায় আসেন। আইনস্টাইন সেই সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন। তিনি আর দেশে ফেরেন নি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আবহে হিটলারের জার্মানি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন আইনস্টাইন। তিনি সেই সময়ের মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডি. রুজভেল্ট (Franklin D Roosevelt) কে সতর্ক করে চিঠি লেখেন। চিঠিতে আইনস্টাইন মার্কিন প্রেসিডেন্ট কে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পরীক্ষা শুরু করা উচিত বলে পরামর্শ দেন। তাঁর এই চিঠি থেকেই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পরীক্ষাগার ম্যানহাটন প্রজেক্ট (Manhattan Project) তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়। এই প্রোজেক্টের ডাইরেক্টর (Director) হন ওপেনহাইমার। এছাড়াও আমেরিকার প্রিন্সটনে ইনস্টিটিউট ফর অ্যাডভান্সড স্টাডিজ এ (Institute for Advanced Studies in Princeton) দীর্ঘ দিন কাজ করেন ওপেনহাইমার। সেই সুত্রেও আইনস্টাইনের সঙ্গে তাঁর নিকট সম্পর্ক হয়। আমি অত্যন্ত মুর্খ। তবে বিজ্ঞানী আইনস্টাইন সম্পর্কে লিখতে বসার মতো মুর্খ নই। তাই আমার এই লেখার বিষয় বিজ্ঞানী নয়, সমাজতন্ত্রে বিশ্বাসী আইনস্টাইন।প্রখ্যাত বিজ্ঞানীরা সাধারণত নিজেদের গবেষণা ও আবিষ্কারের বাইরে পা রাখেন না। আইনস্টাইন এই দিক থেকেও উজ্জ্বল ব্যাতিক্রম। অবসর সময়ে শুধু ভায়োলিনের ছড়েই নয় তাঁর সমান মনোযোগ ছিল দেশ দুনিয়ার রাজনীতি, সমাজনীতি, অর্থনীতির দিকেও। তিনি মনে প্রানে ইহুদীদের জন্য পৃথক দেশ চেয়েছিলেন। কিন্তু সেই দেশ আরব বা প্যালেস্তিনীয়দের ধ্বংস করে গড়ে উঠুক তা চান নি। তাই ইসরায়েলের আগ্রাসী পদক্ষেপের তীব্র প্রতিবাদ করে Zionist movement এর নেতাদের তিনি চিঠি লিখেছিলেন। পুঁজির মৃগয়াক্ষেত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাস করেও তাঁর বিশ্ব ভ্রাতৃত্ব ও মানবতা এবং নীতিবোধ যে পুঁজি বাদ নয় সমাজতন্ত্র ই চায় তা প্রকাশ করতে দ্বিধা করেননি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিভৎস ক্ষত তখনও পৃথিবীর বুকে জেগে রয়েছে। সেই অন্ধকার দিনে ১৯৪৯ সালের মে (May) মাসে নিউ ইয়র্কের (New York) Monthly Review পত্রিকায় আইনস্টাইন লিখলেন Why Socialism। নিখাদ পন্ডিত আর পান্ডিত্য কে চেনাতে রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন পাথরের আছে ভার, আলোর আছে দীপ্তি। মহান দ্রষ্টার এই আলোক সংকেত আমাদের শেখায় পান্ডিত্যের সঙ্গে যে বিনয় থাকে তার দীপ্তি হীরের মতো দ্যুতি ছড়ায়। আর পন্ডিতের অহংকার পাথরের মতো ভারী হয়ে সমাজের বুকে চেপে বসে। বিশ্ব কবির এই উচ্চারনই অক্ষর হয়ে ফুটে উঠেছে Why Socialism প্রবন্ধের শুরুতে। আইনস্টাইন লিখেছেন আর্থিক ও সামাজিক বিষয়ে বিশারদ নন, এমন কোনো ব্যক্তির কি সমাজতন্ত্র নিয়ে মত প্রকাশ করা ঠিক? নানা কারণে আমি বিশ্বাস করি হ্যাঁ ঠিক। বিশ্ব শ্রেষ্ঠ এই বিজ্ঞানী যে মানবজাতির সংকট নিয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন ছিলেন তা তাঁর এই প্রবন্ধ পড়লে বোঝা যায়। এই সংকট থেকে পরিত্রাণে তিনি কিন্তু বিজ্ঞানকে বেদিতে বসাননি। প্রবন্ধে তিনি লিখেছেন সমাজতন্ত্রের অভিমুখ সমাজনৈতিকতার দিকে। বিজ্ঞান কোনো লক্ষ্যর জন্ম দিতে পারে না। কোনো লক্ষ্য মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতেও পারে না। বিজ্ঞান পারে কোন লক্ষ্যে পৌঁছানোর পথ নির্দেশ করতে।সভ্যতার সংকট যে মানুষ কে কতটা হতাশার দিকে নিয়ে গিয়েছিল তা বোঝাতে তিনি লিখেছেন সম্প্রতি এক বুদ্ধিমান বন্ধুর সঙ্গে যুদ্ধের আতঙ্ক নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। আমি বলেছিলাম আর একটি যুদ্ধ মানুষের অস্তিকেই বিপন্ন করবে। একটি Supranational institution ই এই বিপদ থেকে মানুষ কে উদ্ধার করতে পারে। আমার এই বক্তব্য শুনে বন্ধু শান্ত স্বরে বলেছিলেন, মানবজাতির বিনাশে আপনি বিরোধিতা করছেন কেন? বন্ধুর এই উত্তর এক ব্যাথাদীর্ণ বিচ্ছিন্নতারই প্রকাশ। এর থেকে মানুষের পরিত্রাণের পথ কী?। তবে সমাজ সম্পর্কে শিক্ষিত বুদ্ধিমান মানুষের এই উদাসীনতা তাঁকে ব্যাথিত করেছিল। প্রবন্ধে তিনি লিখেছেন সমাজ ই মানুষকে খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান ও কাজ করার যন্ত্রপাতি যোগায়। তাকে ভাবপ্রকাশের রূপ - ভাষা দেয়। মানুষের ভাবনার বিষয় বস্তুর বেশিরভাগটাই দেয় সমাজ। সমাজ, এই ছোট শব্দটির ভিতরে থাকে অতীত ও বর্তমানের লক্ষ লক্ষ মানুষের শ্রম ও কাজ। তার ফলে মানুষের জীবন যাপন সম্ভব হয়। প্রবন্ধে আইনস্টাইন দ্বিধাহীন ভাবে পুঁজিবাদকে ই কাঠগড়ায় তুলেছেন। তিনি লিখেছেন, আমার মতে পুঁজিবাদী সমাজের অর্থনৈতিক নৈরাজ্যই যত নষ্টের গোড়া। পুঁজিবাদ চালিত পদ্ধতিতে ব্যাক্তিগত সম্পত্তি অল্প কিছু মানুষের হাতে জড়ো হয়। তাই হতাশা নয় সামাজিক শক্তির উপরেই আস্থা রেখে লিখেছেন, যতই বিপদ আসুক না কেন সমাজের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেই মানুষ জীবনের অর্থ খুঁজে পেতে পারে।প্রবন্ধের শেষ দিকে আইনস্টাইন লিখেছেন, আমি স্থির নিশ্চিত এই অনাসৃষ্টি দূর করার একটিই মাত্র পথ আছে, সেই পথ হল সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির প্রতিষ্ঠা। তার সঙ্গে প্রয়োজন সামাজিক লক্ষ্যের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে চলার মত শিক্ষা ব্যবস্থা। তবে সমাজ তন্ত্রের প্রয়োজনীয়তা বোঝানোর পাশাপাশি সেই ব্যবস্থার বিপদের দিকগুলি ও তিনি চিহ্নিত করেছিলেন। তাই প্রবন্ধে লিখেছেন, একটি পরিকল্পিত অর্থনীতি মানেই সমাজতন্ত্র নয়। পরিকল্পিত অর্থনীতি মানুষ কে গোলাম বানাতেও পারে। সমাজতন্ত্রে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতার কেন্দ্রীভবনের ফলে সর্ব শক্তিমান আমলাতান্ত্রিক ও হয়ে উঠতে পারে। ব্যাক্তির অধিকার কি ভাবে সংরক্ষিত হবে? আমলাতান্ত্রিকতার বিপরীতে গণতান্ত্রিক ক্ষমতা কিভাবে নিশ্চিত করা যাবে? আইনস্টাইনের এই দূরদৃষ্টি আমাদের পরবর্তী কালের সোভিয়েত পতন এবং বর্তমান চীনের সামাজিক পরিস্থিতি মনে করায়।ওপেনহাইমার সিনেমায় আইনস্টাইন বিভিন্ন দৃশ্যে এলেও হলিউড তার ধর্মমতে এই মহা বিজ্ঞানীর সমাজতন্ত্রে আস্থাকে এড়িয়ে গিয়েছেন। এইসময় পৃথিবীর বিভিন্ন গোলার্ধে সমাজতন্ত্রের পতন হলেও তা যে সমাজতন্ত্রের মৃত্যু গাথা নয় সেই বিশ্বাস জাগিয়ে রাখে, আমাদের সামনে দিকচিহ্ন হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে Why Socialism।

আগস্ট ০৪, ২০২৩
রাজনীতি

বাংলায় ক্ষমতায় থাকার কৌশল বদলেছে সময়ের তালে, রাজনৈতিক সংঘর্ষের বীজ লুকিয়ে অতীতের ছায়ায়

বিশেষজ্ঞদের মতে মনিপুর মেইতি আর কুকিদের মধ্যে সংঘর্ষ দুই সম্প্রদায়ের ক্ষমতা দখলের লড়াই নয়। সারা দেশে যে সংখ্যাগুরুবাদের রাজনীতির প্রতিষ্ঠা হচ্ছে তারই ফল। অনেকেই এখন পশ্চিমবঙ্গের সাম্প্রতিক পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসার ঘটনার সঙ্গে মনিপুরের তুলনা টানছেন। আমার মতে এই তুলনা স্থান-কাল বিচারে অত্যন্ত ভুল। কয়েক দশক ধরেই এই রাজ্যে রাজনৈতিক হিংসা প্রায় প্রতিদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর উৎস খুঁজতে হলে ফিরতে হবে ছয়ের দশকের শেষ দিকে। অনেকেই পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক হিংসার উৎস খুঁজতে গিয়ে নকশাল আন্দোলনের কথা বলেন। এই দিকচিহ্নেও অনেক ভ্রান্তি রয়েছে। এই রাজ্যের রাজনৈতিক হিংসার উৎস মুখ রয়েছে ছয়ের দশকের গ্ৰাম বাংলায় অর্থ সামাজিক ও সামাজিক রাজনৈতিক পরিবেশের এক বড় পরিবর্তনের মধ্যে।১৯৪২সালে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর গনদেবতা উপন্যাসে এই পরিবর্তনের ভিত্তিভূমির ছবিটি নিপুণ শৈলীতে এঁকেছিলেন। তাঁর উপন্যাসে যে জনপদের পরিচয় পাওয়া যায় সেখানে প্রকৃতি অফুরান সম্পদ নিয়ে ছড়িয়ে আছে আর সমাজকাঠামো এক কঠিন নিগড়ে বাঁধা। সেই জনপদে আদিগন্ত বিস্তৃত জমি আছে আর সে জমিতে যারা খাটে তাদের কারো সামান্য জমিও নেই। সেখানে নাপিত সারাদিন খেটেও পেট ভরার অন্ন যোগাতে পারে না। ধাইমা সম্পন্ন ঘরের সাস্থবান পুত্র-কন্যার জন্মের সহায়ক কিন্তু তার সন্তানদের শরীর অপুষ্টিতে ভরা। কামার উদয়াস্ত খাটে তবু তার পেট চালাতে মহাজনের কাছে চড়া সুদে ধার নিতে হয়। ছুতর এর অবস্থা আরওই বেহাল।এমন এক নির্মম আর্থসামাজিক ব্যাবস্থার সামনে আমাদের দাঁড় করায় তারাশঙ্করের গনদেবতা উপন্যাস। এই উপন্যাস লেখকের কল্পনা থেকে জন্ম নেয়নি, আজকের টেলিভিশনের ভাষায় গ্রাউন্ড জিরোতে দাঁড়িয়ে লেখা। ছয়ের দশকের কথায় ফিরি। যুগান্তর সংবাদ পত্রে ১৯৬৩ সালে ২৭শে জুলাই থেকে ১৯৬৮ সালের ২৭শে মে পর্যন্ত প্রকাশিত হয় তারাশঙ্করের গ্রামের চিঠি, সেখানে গ্ৰাম বাংলার সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিবর্তনের যে রিপোর্টিং রয়েছে তার অনেক নামী সাংবাদিক কে লজ্জায় ফেলবে। গ্রাম বাংলার রাজনৈতিক পরিস্থিতি বদলের যে লেখচিত্র তারাশঙ্করের গ্রামের চিঠিতে রয়েছে তার উপরিকাঠামোয় রাখতে হবে ১৯৬৭ সালের রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনকে।১৯৬৭ সালে বামপন্থীরা প্রথম ক্ষমতায় আসে। তার পেছনে ছিল ১৯৫১সাল থেকে একটার পর একটা আন্দোলনের ইতিহাস। ১৯৬৭ সালে শেষবারের মতো একসঙ্গে লোকসভা ও সমস্ত রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন হয়েছিল। ১৯৫১ সাল থেকে যে গত আন্দোলনগুলিতে রাজ্য উত্তাল হয়েছিল তার পেছনে ছিল তারাশঙ্করের উপন্যাসের গ্রাম বাংলার খেটে খাওয়া মানুষের একটি বড় অংশ। এই আন্দোলনগুলো কংগ্রেস নামের মহীরুহকে ধাক্কা দিতে শুরু করেছিল। যার ফলে ১৯৬৭ থেকে ১৯৭২ সালের মধ্যে পাঁচ বছরে রাজ্যে চারবার বিধানসভা ভোট হয়।১৯৬৭ থেকে ৭২ এই চার বছরে চার বার রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হয়। যা ভারতের আর কোথাও হয়নি। ১৯৬৭ সাল থেকে রাজনৈতিক ভারসাম্যের পরিবর্তন শুরু হলেও তখন শাসক শাসিতের দ্বন্দ্ব ছিল পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে বিরোধী রাজনীতির। এই দ্বন্দ্বে দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের হিংসাত্মক সংঘর্ষের চেহারাটা প্রথম ধরা পড়ে ৭০ সালে বাংলায় হরতালের দিনে। ১৯৭০ সালের ১৭ই মার্চ বাংলায় হরতাল হয়েছিল। নৈহাটির গৌরিপুর চটকলে সিপিএম - আইএনটিউসির সংঘর্ষে চার জনের মৃত্যু হয়। সেদিনই বর্ধমানে সাঁই বাড়ির ঘটনা হয়। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ব্যাপক রাজনৈতিক সংঘর্ষ হয়। সেই সংঘর্ষে একদিনে চৌত্রিশ জনের মৃত্যু হয়। কংগ্রেস বনাম বামপন্থীদের রাজনৈতিক সংঘর্ষে সেখান থেকেই ক্রমশ জটিল আকার নেয়। এই হিংসার আবহে নতুন মাত্রা যোগ করে নকশালপন্থিরা।তবে গ্রাম বাংলায় বামপন্থীরা কংগ্রেসী আধিপত্যের বেদী ইউনিয়ন বোর্ডে ধাক্কা দিতে শুরু করে। কংগ্রেস সমর্থক জোতদার, জমিদার ও গ্রামীন ব্যাবসায়ী দের আধিপত্যে ভিত ও বামপন্থীদের নেতৃত্বে আন্দোলনে কাঁপতে শুরু করে। এই উত্তাল সময় বিস্তৃত আলোচনা সংক্ষিপ্ত পরিসরে সম্ভব নয়। তাই চলে আসি ১৯৭৭ সালে। সেই বছর জুন মাসে বামফ্রন্ট সরকার ক্ষমতায় আসে। ভাগ চাষীদের উচ্ছেদ রুখতে ও ফসলের ন্যায্য ভাগ দিতে সরকার শুরু করে অপারেশন বর্গা। শুরু হয় হাজার হাজার একর বেনামী জমি উদ্ধার করে ভূমিহীন চাষীদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া। ১৯৭৩ সালে সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়ের সরকার পঞ্চায়েত আইন করলেও তারা পঞ্চায়েত নির্বাচন করতে পারেনি। ১৯৭৮ সালের ৪ঠা জুন বামফ্রন্ট সরকার প্রথম পঞ্চায়েত নির্বাচন করে। পঞ্চায়েত ভোটের পরে গ্রাম বাংলার গরীব ও প্রান্তিক মানুষের যে রাজনৈতিক, সামাজিক ও আর্থিক ক্ষমতায়নের পর্ব শুরু হয় তা সারা দেশে আগে দেখা যায় নি। এর দুই তিন দশক পরে গ্রাম বাংলায় কম্যুনিস্ট পার্টি হয়ে ওঠে দাতা, আর সাধারণ মানুষ হয় গ্রহীতা। সেদিন থেকেই রাজ্যের মানুষের সিটিজেন থেকে বেনিফিসিয়ারী তে পরিণত হওয়া শুরু। একটি দলের রাজনৈতিক আধিপত্য সর্বগামী হওয়ায় কোথাও কোথাও মানুষের স্বাধীন পছন্দের উপরে নির্ভরতা কমে পেশীবলে ক্ষমতা দখলের পর্ব শুরু হয়। এর ফলে শুধু বিরোধী দল নয় বামফ্রন্টের শরিক দলের সঙ্গে ও সিপিআইএম এর রাজনৈতিক সংঘর্ষ শুরু হয়। এরই মাঝে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতের বিভিন্ন প্রকল্পে আর্থিক বরাদ্দ বিপুল হারে বাড়তে থাকা ক্ষমতা ব্যবহার করে পঞ্চায়েত দখলে রাখা দস্তুর হয়ে পড়ে।সাতের দশক থেকে রাজ্যের যুবশক্তি ব্যবহারেও পরিবর্তন আসে। বামপন্থী ছাত্র যুব দলের মোকাবিলায় রাজ্যের নব কংগ্রেস যুব কংগ্রেস ও ছাত্রপরিষদের ছাতার তলায় যুবকদের সংঘটিত করে। এই যুবশক্তি কে আর্থিক সুবিধা দিতে পথে নামে মিনিবাস। সিদ্ধার্থ সরকারের বদান্যতায় রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কের ঋনে মিনিবাসের মালিক হয় তারা। জানা যায়, সেই ঋনের প্রায় নব্বই শতাংশই ফেরত পায়নি ব্যাঙ্ক। এর পরে বামফ্রন্টের আমলে বাম দলের ছাতার তলায় থাকা বেকার, অল্পশিক্ষিত বা অশিক্ষিত যুবকের সংখ্যা পথে নামে অটো রিক্সা ও টোটো। বর্তমানে তৃনমূলের আমলে এই সংখ্যা বিপুল পরিমাণে বাড়ায় সেই জায়গা নিয়েছে অবৈধ বালি খাদান, পাথর খাদান, কয়লা খাদান ও সিন্ডিকেট ব্যবসা। এরই পাশাপাশি বেড়ে উঠেছে বামফ্রন্ট আমলে সৃষ্টি হওয়া প্রোমোটার রাজ। যার অবসম্ভাবী ফল রাজনীতিতে পেশীশক্তি ব্যাবহারের প্রথমাবস্থা পার করে পর্বতের আকার নেওয়া।এখন এই রাজনৈতিক ক্ষমতা ধরে রাখতে এবং এই সব সুবিধা পাইয়ে দিতে গ্রাম বাংলায় ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত জোরালো হাতিয়ার। তাই রাজনৈতিক দলমত নির্বিশেষে আদর্শ নয় ক্ষমতা ধরে রাখাই পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক সংঘর্ষের জন্ম দিয়ে চলেছে। এর শেষ কোথায়, কী ভাবে হবে সেই প্রশ্নের উত্তর রয়েছে ভবিষ্যতের গর্ভে। তবে রাজনীতি তো সমাজ নিরপেক্ষ নয়। আমরা যারা সমাজে বাস করি, সরাসরি রাজনীতিতে যুক্ত নই তারাও এর দায় এড়াতে পারি না। আমাদের এড়িয়ে চলার মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে ক্ষমতার দর্শনের মান্যতা। আমরা মুখে বলি ভারতবর্ষ শান্তির পথ যাত্রী আমরা বুদ্ধদেব, মহাবীর, শিবের পূজারী। অথচ এই উচ্চারনে বিপরীত মেরুতে আমাদের অবস্থান।প্রাক্তন রাজ্যপাল ও প্রখ্যাত কূটনীতিবিদ গোপালকৃষ্ণ গান্ধী সম্প্রতি এক দৈনিক ইংরেজি সংবাদপত্রে তাঁর লেখা আমাদের দ্বিচারিতার ছবিটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, রোজ সকালে যে পার্কে তিনি হাঁটতে যান সেখানে অনেক দুর্লভ প্রজাতির গাছ রয়েছে। তার পাশাপাশি রয়েছে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর অস্ত্রাগারে থাকা বিভিন্ন ক্ষেপনাস্ত্র, বিবিধ ট্যাঙ্ক ও অস্ত্রের রেপ্লিকা। সেখানে তিনি দেখেন অনেক বাবা-মায়েরা ছেলেমেয়েদের নিয়ে ওই পার্কে আসেন। পার্কে এসে তাঁরা সন্তানদের সেই সব রেপ্লিকার সামনে দাঁড় করিয়ে গর্বিত মুখে ছবি তোলেন। অনেকে সেলফি ও তোলেন। কিন্তু কেউই পার্কে থাকা দূর্লভ বনানীকুলের কাছে ছেলেমেয়েদের নিয়ে গিয়ে পরিচয় করান না। মহাত্মা গান্ধীর বংশধরের এই অনুভব কি আমাদের কিছু শিখতে বলে? আমরা কি তাঁর সেই অনুভবের সামনে মনের দরজা খুলে দাঁড়াবো?

জুলাই ৩১, ২০২৩
বিনোদুনিয়া

ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় কি লিখেলেন সব্যসাচী?

কয়েক হাজার মানুষের নিঃস্বার্থ ভালোবাসার জন্য এতখানি লেখা প্রয়োজন ছিল। একটু কষ্ট করে পড়ে নিও। পরশুদিন সকালে ঐন্দ্রিলার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়, চোখের সামনে দেখলাম ওর হার্টরেট ড্রপ করে চল্লিশের নিচে নেমে তলিয়ে গেলো, মনিটরে ব্ল্যাঙ্ক লাইন, কান্নার আওয়াজ, তার মাঝে ডাক্তাররা দৌড়াদৌড়ি করছেন। কয়েক মিনিটের মধ্যে হৃদস্পন্দন ফের ফিরে এলো বিভিন্ন সাপোর্টে, হার্টবিট ১২০। তারপরই কে যেন একটা অদৃশ্য বালিঘড়ি উল্টো করে ঝুলিয়ে দিলো, ঝুরো বালির মতন সময় ঝরে পড়ছে, সাথে স্থিরভাবে একটা একটা করে হার্টবিট কমছে, কমছে রক্তচাপ, কমছে ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস। ডাক্তাররা জবাব দিয়েছেন, হসপিটালের নিচে পুলিশ পোস্টিং, বিভিন্ন বিশিষ্ট মানুষ এসে সমবেদনা জানাচ্ছেন, কিছু উত্তেজিত ইউটিউবার এবং মিডিয়ার লোকজন নিচে ঘোরাঘুরি করছেন। শেষ চেষ্টার জন্য অন্য হাসপাতালের এক নামকরা নিউরোসার্জনকে ডেকে আনা হলো, তিনি খানিক নাড়াচাড়া করে জানালেন যে ও চলে গেছে অনেক আগেই, শুধুশুধু এইভাবে আটকে রাখছেন কেন? এমনিতেও কালকের মধ্যে সব থেমেই যাবে। লেট্ হার গো পিসফুলিরাত বাড়লো, দাঁতে দাঁত চিপে একটা ছোট্ট অসাড় হাত ধরে বসে আছি, চোখদুটো অনেক আগেই ডাইলেটেড হয়ে গেছে, একটা করে বিট কমছে আর অসহায়তা বাড়ছে, আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব আগেই দেখা করে গেছে। লোকজন মাঝেমধ্যেই ফোন করে জিজ্ঞাসা করছে যে আজ রাতেই হবে? নাকি সকালে আসবো? ইতিমধ্যে ফেসবুকের কল্যাণে কারা যেন মাঝরাতে ছড়িয়ে দিয়েছে যে ঐন্দ্রিলা আর নেই। বানের জলের মতন হুহু করে ফোন ঢুকতে শুরু করলো, সৌরভ শুটিংয়ে বাইরে গেছে, দিব্য একা সামলাতে পারছে না। অগত্যা ঠেকা দেওয়ার জন্য আমি পোস্ট করতে বাধ্য হলাম, মিনিট কুড়ির মধ্যে আবার সব শান্ত। সকাল থেকে রক্তচাপ কমতে শুরু করলো, ওর বাবা-মা কে ডাকলাম, বাকিদের খবর দিলাম। গতকাল আর বাধা দিইনি কাউকে, সারাদিন ধরে কাছের মানুষরা এসেছে, ওকে ছুঁয়েছে, ডুকরে কেঁদেছে। কত স্মৃতিচারণ, কত গল্প। বিকেলের পর দেখলাম হাত, পা, মুখ ফুলছে ঐন্দ্রিলার, শরীর ঠান্ডা। হার্ট রেট কমতে কমতে ৪৬, বিপি ৬০/৩০। আগের দিনের ডাক্তারের কথাটা কেবলই আমার মাথায় ঘুরছিলো, ওর শরীরটাকে এভাবে আটকে রাখার জন্য নিজেকেই অপরাধী মনে হচ্ছে, থাকতে না পেরে ওর মাকে বললামও যে এত কষ্ট আর দেখতে পারছি না, কি দরকার ছিল এত কিছু করার, শান্তিতে যেত। মুখে বলছি বটে, কিন্তু ছাড়তে কি আর পারি, মায়ার টান বড় কঠিন। ঠিক রাত আটটায় যখন আমি বিমর্ষমুখে নিচে দাঁড়িয়ে, হঠাৎ হাত নড়ে ওঠে ঐন্দ্রিলার। খবর পেয়ে দৌড়ে গিয়ে দেখি হার্টরেট এক লাফে ৯১, রক্তচাপ বেড়ে ১৩০/৮০, শরীর ক্রমশ গরম হচ্ছে। কে বলে মিরাকেল হয় না? কে বলে ও চলে গেছে? এক প্রকার অনন্ত শূন্য থেকে এক ধাক্কায় ছিটকে ফিরে এলো মেয়েটা। গেছে বললেই ও যাবে না কি, যেতে দিলে তো যাবে। এই মুহূর্তে ঐন্দ্রিলা একপ্রকার সাপোর্ট ছাড়াই আছে, এমন কি ভেন্টিলেশন থেকেও বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে। আগে ক্লিনিক্যালি সুস্থ হোক, নিউরোর কথা পরে ভাববো।ঈশ্বর ফেসবুক করেন না আমি জানি, তাই লিখেছিলাম মন থেকে প্রার্থনা করুন, ফোন থেকে করুন লিখিনি। চিকিৎসাশাস্ত্রে যে বিজ্ঞানই শেষ কথা, আমি সে কথাও জানি। তবে পর পর তিনজন নিউরোসার্জন যদি বলেন ঈশ্বরকে ডাকুন, তাহলে আর না ডেকে উপায় কি? ওনাদের তুলনায় আমি নিতান্তই অশিক্ষিত। তবে কেবল আমি একা নই, মুর্শিদাবাদের প্রতিটা মন্দির, প্রতিটা মসজিদে মানুষ ওর জন্য প্রার্থনা করেছে। বিভিন্ন ধর্মের বিভিন্ন প্রসাদ এবং অজস্র আশীর্বাদী হাসপাতালে এসেছে নিয়মিত। তোমাদের সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে আমি ছোট করতে পারবো না। অনেকে অবশ্য হেসেছে বা অপমান করেছে, তাতেও আমি বিন্দুমাত্র কিছু মনে করিনি। এই ক্ষুদ্র জীবনে বহুবার কাদায় পড়েছি তো, তাই গায়ের চামড়া বেশ মোটা হয়ে গেছে। তবে হ্যাঁ, কিছু কথা বলা প্রয়োজন।প্রথমত, এ কথা ঠিক যে ঐন্দ্রিলার প্রথম থেকে যা যা হয়েছে তা যথেষ্টই অপ্রাকৃত। কিন্তু তা বলে সেটা নিয়ে এত মাতামাতি করলে তা বাকি পেশেন্টদের একপ্রকার অপমান করা হয় বলে আমি মনে করি। দ্বিতীয়ত, চিকিৎসার খরচ নিয়ে লেখালিখি বন্ধ করা উচিত, পরিবারের সামর্থ্য অনুযায়ীই চিকিৎসা হবে, এখনো অবধি কারোর কাছে এক পয়সাও অর্থসাহায্য চাওয়া হয়নি অথবা কারোর থেকে এক পয়সাও গ্রহণ করা হয়নি। তাই এটা নিয়ে লেখা মানে ঐন্দ্রিলাকে অপমান করা এবং তার পরিবারকে ছোট করা। নিজের অপমান গায়ে মাখি না ঠিকই কিন্তু ওর অপমানে আমার গায়ে ফোস্কা পড়ে।তৃতীয়ত, একটা সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ চেষ্টা করে তার কাছের মানুষের পাশে থাকতে, বিপদে পড়লে খড়কুটো অবধি আঁকড়ে ধরতে। সেটাই তো এতদিন স্বাভাবিক বলে জেনে এসেছি। আমার মা অসুস্থ হলে, বাবা যেমন দৌড়াদৌড়ি করেন, গত দুই বছর ধরে আমিও সেটাই করেছি। তাই কিছু পুরোনো ছবি আর ভিডিও সাজিয়ে, গান বাজিয়ে সেটাকে গ্লোরিফাই করা বন্ধ করা উচিত। এমন কি একটা লকডাউনের সময়কার তারাপীঠের ভিডিও পর্যন্ত ঐন্দ্রিলার নাম করে ঘুরপাক খাচ্ছে দেখলাম। আমি ঠিক জানি না, এগুলো করে বোধহয় তোমাদের চ্যানেল বা পেজ পয়সা পায় কিন্তু বিষয়টা আমার চোখে খুবই দৃষ্টিকটু লাগে। ইহ জীবনে কয়েক শত জুটিকে দেখেছি এসএসকেএমএর বাইরের ফুটপাথে রাত কাটাতে, ভালোবাসে বলেই তারা থাকে। তবু পরিচিত মুখ বলে আমরা চর্চিত হই, তারা নয়। আসলে কি জানো, সে খবর বিক্রি হয় না। সর্বশেষে বলি, মানুষের গায়ে আজকাল বড়ই শকুন শকুন গন্ধ পাই। গত দুইদিন ধরে হাসপাতালের নিচে বেশ ভিড় জমেছিলো, ওর অবস্থার উন্নতি ঘটাতে কাল রাত থেকে একেবারে খাঁ খাঁ করছে। তবে গত দুদিনের এত নেগেটিভিটির মাঝে একটামাত্র মানুষ আমায় কিছু তথ্য দিয়ে প্রথম আলোর দিশা দেখায়, যার সাথে সারাদিন নির্দ্বিধায় চিকিৎসা নিয়ে আলোচনা করি, তিনি অরিজিৎ সিং। ঐন্দ্রিলা আছে। ঐন্দ্রিলা থাকবে। রাখে বড়মা, তো মারে কোন..

নভেম্বর ১৯, ২০২২
বিনোদুনিয়া

সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের পাশে অভিনেতা নীল ও পরিচালক সৌম্যজিত

সমাজে পিছিয়ে পড়া মহিলাদের পাশে এবার এনজিও ক্যালকাটা সোশ্যাল প্রজেক্ট। ৫০ বছরের পূর্তিতে ক্রাফট সেন্টার ডিপার্টমেন্ট থেকে আয়োজিত করা হয় এক অনুষ্ঠান, যার নাম শিল্প নৈপুণ্যর গল্প। অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা মাননীয়া বর্ষা মুখার্জী জানান ঊনিশ ছিয়াত্তর সালের জানুয়ারি মাসে কয়েকজন দু:স্থ মহিলাদের নিয়ে শুরু হয় এই সংস্থা। উদয় অস্ত অন্ন সংস্থানের জন্য পরিশ্রম করতে করতে তারা জানতেই পারেনি, তাদের মধ্যে লুকিয়ে আছে এক শিল্পী মন। জানতেই পারেনি সূচীশিল্পের নির্মান প্রতিভার অধিকারী তারা। তাদের সুপ্ত প্রতিভাকে জাগিয়ে তোলাই এই সংস্থার প্রধান প্রচেষ্ঠা। বছরে বছরে তারা যখন তাদের হাতের কাজের নানাবিধ সম্ভার সাজিয়ে তোলে এবং তা যখন বহু প্রশংসিত হয়, তখন তাদের আত্মবিশ্বাস তাদের প্রেরনা যোগায়। তাদের সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার শক্তি দেয়। নানা বাধাবিঘ্ন অতিক্রম করে তারা নিশ্চয়ই এগিয়ে যাবে নতুনতর পথে-জীবনের মূল লক্ষ্যে। পাল্টাতে থাকবে তাদের শিল্প নৈপুন্যের গল্প।এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রিয় অভিনেতা নীল ভট্টাচার্য ও পরিচালক সৌম্যজিত আদক। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পেরে তারা খুব খুশী।এছাড়াও সমাজের নানা সমাজকল্যান মূলক কাজ করে চলেছেন এনজিও ক্যালকাটা সোশ্যাল প্রজেক্ট। এই অনুষ্ঠানে অভিনেতা নীল ভট্টাচার্য বলেন এই সমস্ত সমাজকল্যান মূলক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সমাজে পিছিয়ে পড়া নাড়ীদের অনুপ্রেরণা জাগানো একমাত্র কাজ মনে করেন ক্যালকাটা সোশাল প্রজেক্ট।

সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২২
রাজ্য

পুলিসকর্তার নামে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়া অ্যাকাউন্ট তৈরি করে তোলাবাজির অভিযোগ

পুলিসের পদস্থ কর্তার নামে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়া অ্যাকাউন্ট তৈরি করে তোলাবাজির অভিযোগের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদাতে। পুরো বিষয়টি জানতে পেরে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী প্রতারকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব।জেলার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব বলেন, পুলিশের নামে ভুয়ো প্রোফাইল তৈরির ঘটনা দেখা যাচ্ছে। দুষ্কৃতীরা প্রোফাইলে নজরদারি চালিয়ে প্রোফাইল তৈরি করে নিচ্ছে। এরপরে ফ্রেন্ডলিস্টে থাকা মানুষদের সঙ্গে কথাবার্তা বলে তাদের ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করছে প্রতারকেরা। এবিষয়ে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় মালদার কয়েকজন পুলিশ অফিসারের নামে ভুয়ো একাউন্ট তৈরি করার অভিযোগ উঠেছে। প্রতারক চক্র এই কাজ করছে বলে অভিযোগ। এবং সেই প্রতারকের দল পুলিশ অফিসারের পরিচয় দিয়ে নতুন নতুন মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব তৈরি করছে। তারপরে নানা অছিলায় টাকার দাবি করা হচ্ছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্ল্যাকমেইল করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এই ভুয়ো একাউন্টের বিষয়টি জানতে পেরেই এখন নড়েচড়ে বসেছে জেলা পুলিশ ও প্রশাসন।

আগস্ট ২৮, ২০২২
রাজ্য

অভিনব অঙ্কনে বাল্যবিবাহ রোধে প্রচার সরকারি আধিকারিকের

বাল্যবিবাহ তৃতীয় বিশ্বের এক ভয়ানক ব্যাধি। এর কু-প্রভাব সুদুরপ্রসারী। সাধারণভাবে বাল্যবিবাহ হল অপ্রাপ্তবয়স্ক দুই মানুষের মধ্যে আনুষ্ঠানিক ভাবে বা বিনা অনুষ্ঠানের বিবাহ। বর্তমান ভারতবর্ষে বিবাহের জন্য ছেলেদের আইনত বয়স হতে হবে ২১ বৎসর, এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে ১৮। ১৯৩০ এ বিবাহের জন্য নুন্যতম বয়স ছিল ছেলেদের ১৮ ও মেয়েদের ১৪। ভারতবর্ষ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৪৯ এ মেয়েদের ক্ষেত্রে বয়স বেড়ে হল ১৫। ১৯৭৮ এ এই নিয়ম আবার পরিবর্তন হয়ে বর্তমান নিয়ম লাঘু হয়।বাল্যবিবাহে ছেলে এবং মেয়ে উভয়ের উপরই যথেষ্ট প্রভাব পড়ে। তবে মেয়েরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, বিশেষত নিম্ন আর্থসামাজিক পরিস্থিতির কারণে মেয়েদের বাল্য বয়সেই বিবাহ দেওয়ার প্রবণতা অনেক যায়গায় দেখা যায়। যে যে কারণে বাল্যবিবাহ হয় তাঁর মধ্যে অন্যতম, দারিদ্রতা, পণপ্রথা (যৌতুক), কিছু সামাজিক প্রথা, ধর্মীয় ও সামাজিক চাপ, অঞ্চলভিত্তিক রীতি, অবিবাহিত থাকার শঙ্কা, নিরক্ষরতা এবং মেয়েদের উপার্জনে অক্ষম ভাবা।স্ত্রী-রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, অল্প বয়সে মেয়েদের বিবাহ দিলে, তাঁরা স্বাভাবিক কারণেই অল্প বয়সেই সন্তান ধারণ করে। ওই বয়সে সন্তান প্রসব করানো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। সেটা শিশু ও মা উভয়ের জন্যই। তাঁরা আরও জানান, স্বল্প বয়সে মা হওয়ার জন্য অনেক ক্ষেত্রেই বাচ্চা পুষ্টির অভাবে ভোগে। মায়েরও একই সমস্যা হতে পারে। এর ফলে খুব অল্প বয়সে বার্ধক্য নেমে আসে।২০১৯ এ এক কেন্দ্রীয় সমীক্ষায় দেখা গেছে, পশ্চিমবঙ্গে ২৪ থেকে ২৫ বছরের বয়সী মেয়েদের মধ্যে ৪১.৬০ শতাংশের বিয়ে হয়েছে ১৮-র কম বয়সে। কেন্দ্রীয় পরিবার ও স্বাস্থ্য পরিষেবা মন্ত্রকের সাম্প্রতিক সমীক্ষায় জানা গেছে কলকাতা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, হাওড়া, হুগলি, বাঁকুড়া, বীরভূমের মতো জেলায় উদ্বেগজনক ভাবে বাল্য বিবাহের হার বাড়ছে। এবং কন্যাশ্রীর মতো জনমুখী প্রকল্প সত্ত্বেও দেশে বাল্যবিবাহে এগিয়ে পশ্চিমবঙ্গই।বাল্যবিবাহের কুপ্রভাব নিয়ে সারা দেশ জুড়ে নানা ভাবে প্রচার চালানো হচ্ছে। কোনও ক্ষেত্রে সরকারের তরফ থেকে, কোথাও বা সেচ্ছাসেবী সংস্থা দ্বারা, আবার ব্যক্তিগত উদ্যোগেও এর বিরুদ্ধে প্রচার চলছে। তেমনই এক অভিনব প্রচার সামাজিক মাধ্যমে সাড়া ফেলে দিয়েছে। পুর্ব-বর্ধমান জেলার বর্ধমান-১ ব্লকের অধিকর্তা অভিরূপ ভট্টাচার্য তাঁর সামাজিক মাধ্যমে একটি ছবি পোস্ট করে বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। ছবিটিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এগিয়ে যাও বড় হও বক্তব্যকে তুলে ধরে তিনি বলতে চেয়েছেন, স্বল্প বয়সে বিয়ে না করে একটি মেয়ের অনেক কিছুই করার আছে।তিনি তাঁর সামাজিক মাধ্যমে তাঁর এই প্রয়াস সমন্ধে লিখেছেন, বাল্যবিবাহ একটি সামাজিক অপরাধ। যেকোনো মূল্যে বাল্যবিবাহ নির্মূল করতে হবে। বাল্য বিবাহের খারাপ প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য আমার দ্বারা করা একটি খুব দ্রুত চিত্রকর্ম।অভিরূপ ভট্টাচার্য তাঁর ছবির মাধ্যমে বলতে চেয়েছেন, মেয়েরা শুধুমাত্র সন্তান প্রসবের যন্ত্র নয়। একটা মেয়ে সে পাইলট হতে পারে, হতে পারে চিকিৎসক, একজন আইএএসও হতে পারে, হতে পারে শিক্ষক, জগৎ বিখ্যাত নৃত্যশিল্পী হতে পারে, যোগদান করতে পারে পুলিস প্রশাসনে, বা পি ভি সিন্ধু, মিরাভাই চানু-র মত উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে উঠতে পারে ক্রীড়াক্ষেত্রে। তিনি এটাই হয়ত বলতে চেয়েছেন যে, বিবাহ ছাড়াও অনেক কিছুই করা যায় যা করলে সমাজ মনে রাখবে। অভিরূপ ভাট্টাচার্যের এই পোস্টারে কন্যাশ্রীর প্রকল্পের অবয়ব অঙ্কনের মাধ্যমে বোঝাতে চেয়েছেন যে, প্রকল্পকটিকে জাতিসংঘ সমাদর করে পুরস্কৃত করার পিছনে এক সুদুর প্রসারি ভাবনা আছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে দেশের মধ্যে সবচেয়ে তৎপর পশ্চিমবঙ্গ।বাল্য বিবাহের প্রবণতা থেকে দূরে রাখতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দুটি জনমুখী প্রকল্প বর্তমানে খুবই জনপ্রিয়। হয়ে উঠেছে, প্রথমটি রুপশ্রী, এই প্রকল্পে একটি মেয়ে তাঁর বিবাহের সময় এককালীন মোটা টাকার অনুদান পায় সরকারের থেকে। এক্ষেত্রে মেয়ের বয়স অবশ্যই ১৮ উর্ধ হতে হবে। আরেকটি মেয়েদের পড়াশোনার সুবিধার্থে কন্যাশ্রী। দুটি প্রকল্পেরই মূল লক্ষ্য বাল্য বিবাহ রোধ। বিশেষজ্ঞদের ধারনা এই দুই প্রকল্পের সুবিধা পেতে মেয়েরা স্কুল ও কলেজ মুখী হয়ে উঠবে।

আগস্ট ১০, ২০২২
রাজ্য

মুখ্যমন্ত্রীর নামে অশ্লীল পোস্ট সোশাল মিডিয়ায়, অভিযোগে পূর্ব বর্ধমানে গ্রেফতার যুবক

সামাজিক মাধ্যমে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নামে অশ্লীল পোষ্টকে তুলকালাম বর্ধমানে। এই অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করলো পূর্ব বর্ধমানের দেওয়ানদিঘী থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম বিজয় মণ্ডল ওরফে বিজয় মল্লিক। দেওয়ানদিঘী থানার কুড়মুন নতুনপল্লীতে তার বাড়ি।পুলুশ সূত্রে খবর, ধৃতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৫ নম্বর ধারার ২ নম্বর উপধারায় মামলা রুজু করে ৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন করে মঙ্গলবার তাকে বর্ধমান আদালতে তোলা হয়। এদিকে এই ঘটনাকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর। বিরোধীদের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে তৃণমূল। পূর্ববর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস জানান, এসব বিরোধীদের চক্রান্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টির জন্য তারা পরিকল্পিতভাবে এধরনের নোংরামি করছে।আমরা দোষীর উপযুক্ত শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।তৃণমূলের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে গেরুয়া শিবির। যদিও বিজেপি বর্ধমান জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্রের দাবি, বিজেপি এই ধরনের ঘটনাকে প্রশ্রয় দেয় না বা সমর্থনও করে না। এই ঘটনার সঙ্গে যে বা যারা যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নিক এটা আমরাও চাই।

আগস্ট ০৯, ২০২২
বিনোদুনিয়া

মানবিক কাজে মিমি চক্রবর্তী

মিমি চক্রবর্তী অভিনেত্রী হিসাবে সফলভাবে তার কাজ করে গেছেন। তার একাধিক ছবি দর্শকমহলে প্রশংসিত হয়েছে। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে মিনি। অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনীতির ময়দানেও তিনি সফল। প্রয়োজনেই মানুষ তাকে কাছে পেয়েছে। এবার তার উদ্যোগেই এক মানবিক কর্মসূচী আয়োজিত হয়। যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের ১১০ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষ, বিনামূল্যে আয়োজিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং চক্ষু পরীক্ষা শিবিবে ৩৪০ জন মানুষ এই পরিষেবার সুবিধা পেলেন। বহু মানুষ বিনামূল্যে সঙ্গে সঙ্গে চশমাও পান। যাদের চোখে ছানি ধরা পরেছে তাদের কিছুদিনের মধ্যেই অপারেশন করিয়ে দেওয়া হবে।এই অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন যাদবপুর বিধানসভার বিধায়ক মাননীয় দেবব্রত (মলয়) মজুমদার। অনুষ্ঠানটি ১১০ নম্বর ওয়ার্ডের পৌরপিতা স্বরাজ কুমার মন্ডলের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হয়।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডে পৌরমাতা অনন্যা ব্যানার্জী, ১০২ নম্বর ওয়ার্ডে পৌরমাতা সীমা ঘোষ, ৯৯ নম্বর ওয়ার্ডের পৌরমাতা মিতালী ব্যানার্জী, ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডের পৌরপিতা অরিজিৎ দাস ঠাকুর। এছাড়াও ছিলেন ওয়ার্ডে একাধিক রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও সাধারণ মানুষ। অভিনেত্রী ও সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর আরোও একটি মানবিক কাজের জন্য সকলে তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

মে ২৩, ২০২২
রাজ্য

ডিভের্সের নোটিশ পেয়েই স্ত্রীর আপত্তিকর ছবি ফেসবুকে দিল স্বামী

স্ত্রীর আপত্তিকর ছবি তুলে রেখে তা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠলো স্বামীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরে। অপমানিত বধূ তাঁর স্বামী কামাল শেখের দৃষ্টান্ত মূলক সাজার দাবি করে বৃহস্পতিবার মন্তেশ্বর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। দায়ের হওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যুবক কামাল শেখের বাড়ি মন্তেশ্বরের কুসুমগ্রাম এলাকায়। তিনি ম্যারেজ রেজিস্ট্রি করে একই এলাকা নিবাসী বছর ২০ বয়সী ওই তরুণীকে বিয়ে করেন। তরুণী পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি এখন মন্তেশ্বর কলেজে পড়েন। কামাল শেখ নিজেকে উচ্চশিক্ষিত বলে তাঁকে জানিয়েছিল। সেই কথা তিন বিশ্বাস করেছিলেন। চলতি বছরের মার্চ মাসে ম্যারেজ রেজিস্ট্রি করে তাঁর সঙ্গে কামালের বিয়ে হয়। যদিও রেজিস্ট্রি বিয়ের পর তিনি বাপের বাড়িতেই থাকতেন। কিছুদিন যাওয়ার পর তিনি জানতে পারেন কামাল স্কুলের গন্ডিও পেরোয়নি। নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে মিথ্যা কথা বলে তাঁকে বিয়ে করেছে কামাল। তাই সে তার ওই স্বামীকে ডিভোর্সের নোটিশ পাঠায়। আর তার পরেই কামাল বেঁকে বসে।তরুণী দাবী করেছে, ডিভোর্সের নোটিশ পাওয়ার পর তাঁদের বাড়িতে হাজির হয়ে কামাল অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে যায়। পাশাপাশি হুমকি দিয়ে বলে যায়, তাঁর যে সব আপত্তিকর ছবি সে তুলে রেখেছিল সেগুলি ফেসবুকে ছেড়ে দেবে। হুমকি মতোই কামাল সেই কাজটাই করেছে। তার জন্য তিনি সামাজিক ভাবে অসন্মানিত হয়েছেন বলে তরুণী পুলিশকে জানিয়েছেন। মন্তেশ্বর থানার এক পুলিশ অফিসার বলেন, অভিযোগ জমা পড়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মে ২১, ২০২২
বিনোদুনিয়া

অভিনয় ছেড়ে নতুন কাজ শুরু করলেন তিয়াশা, এখন কি করছেন তিনি?

জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক কৃষ্নকলি তে শ্যামার চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের মন জিতে নিয়েছেন অভিনেত্রী তিয়াশা রায়। তবে ধারাবাহিক শেষ হওয়ার পর তাকে আর নতুন ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে না। ভক্তদের মনে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগছিল আবার কবে তিনি অভিনয়ে ফিরবেন। কবে অভিনয়ে ফিরবেন সেই উত্তর সকলের অজানা। তবে এর মধ্যে অন্য একটা খুশির খবর দিলেন অভিনেত্রী। ইউটিউব চ্যানেল খুললেন তিয়াশা। তিয়াশার ইউটিউব চ্যানেলের নাম Explore Tiyasha। ইতিমধ্যে তিনটি ভিডিও পোস্ট করেছেন তিনি। সাবস্ক্রাইবার ১০০০ এর কাছাকাছি। মিষ্টি হাবে গিয়ে খাওয়া থেকে শুরু করে তার শারমেয়কে নিয়ে ঘুরতে যাওয়া, বাংলা নববর্ষের ভুরিভোজ সবকিছুই রয়েছে ইউটিউব ভ্লগে। আগামী দিনে তার চ্যানেলে আরও ইউটিউব ভ্লগ দেখার অপেক্ষায় রয়েছে তিয়াশার ভক্তরা।

মে ১৩, ২০২২
বিনোদুনিয়া

সোশ্যাল মিডিয়ায় কি এমন লিখলেন দেব? নেটিজেনদের মন কাড়ল

২৯ এপ্রিল মুক্তি পেয়েছে দেব এন্টারটেইনমেন্ট ভেঞ্চার্স এর প্রযোজনায় পরিচালক রাহুল মুখার্জির ছবি কিশমিশ। কিশমিশ এর মাধ্যমে বেশ কয়েক বছর পর ফিরে এলো রোম্যান্টিক দেব। ছবিটি নিয়ে দর্শকদের মধ্যে আলাদাই উন্মাদনা রয়েছে।কিশমিশ দেখে সকলেই ভালো ফিডব্যাক দিচ্ছেন। এর মধ্যেই দেব সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা আনন্দের কথা শেয়ার করে নিলেন। যা সুপারস্টারের অগুণিত ভক্তদের মুগ্ধ করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় দেব একটা ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, আজ পর্যন্ত আমার ৩৯ বছরের এই জীবনে আমার বাবা আমাকে একটি চিঠিও লেখেনি, প্রতিটা সিনেমার মতো আজকেও আমার বাবা এবং আমার পরিবার এসেছিলো Kishmish সিনেমাটি দেখতে, সিনেমা শেষ হওয়ার পর ব্যস্ততার কারণে বাবার কাছে জানতে পারিনি কেমন লেগেছে সিনেমাটা, সব শেষে যখন বাড়ি ফিরলাম তখন দেখলাম দরজার বাইরে বাবা লিখেছে Kishmish Super duper Hetes। আজকে যেন মনে হলো বাবাকে জীবনে প্রথমবার গর্ববোধ করাতে পারলাম, #Kishmish আপনাদের কতটা ভাল লাগবে তা আমার জানা নেই, কিন্তু আজকের দিনের এই অনুভূতিটা আমার কাছে কিশমিশের মত মিষ্টি হয়ে থাকবে সারা জীবন। সিনেমার ভাষায় আজ যেনো অস্কার পেলাম।তাঁর এই পোস্ট সবাইকে মুগ্ধ করে দিয়েছে। আরও অনেকের কাছে কিশমিশ এর মতো মিষ্টি হয়ে গেছেন টলি সুপারস্টার।

মে ০১, ২০২২
রাজনীতি

সোশাল মিডিয়ায় কী লিখলেন দেবাংশু? পোস্ট ঘিরে তৃণমূল কংগ্রেসে তুলকালাম, মুহূর্তে ডিলিট

গত ২০২১-এ এই দিনে উত্তেজনায় টগবগ করছিল সারা বাংলা। পরের দিন ছিল বিধানসভা নির্বাচনের গণনা। ২ মে ফল প্রকাশের পর দেখা গেল টানা তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যে ক্ষমতাসীন হতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস। ২১৩টি আসন পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস, বিজেপি ৭৭টি। কংগ্রেস ও সিপিএম কোনও আসনেই জয় পায়নি। এরইমধ্যে সিপিএমের জোটসঙ্গী আব্বাস-উদ্দিনের দল ভাঙড়ের আসনে জয়লাভ করে।তৃণমূলের জয়ের পর বিজেপি থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে ঘরে ফিরতে শুরু করে। তাঁদের না ফেরানো নিয়ে আগেই মন্তব্য করেছিলেন যুব তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। ফের এদিন সোশাল মিডিয়ায় সেই আবহের কথা তুলে ধরে গঙ্গা জলের সঙ্গে ড্রেনের জলের তুলনা টেনেছেন দেবাংশু। বিতর্ক শুরু হতেই ফের সেই পোস্ট ডিলিটও করে দিয়েছেন তিনি। তবে সেটা যে তৃণমূল কংগ্রেসের অনেকেরই মনে কথা, তা নিয়ে দলের অভ্যন্তরে চর্চা অভ্যাহত।এদিন দেবাংশু লিখেছেন, গত বছর ঠিক আজকের দিন পর্যন্ত রাজ্যে যে তৃণমূলটা ছিল, সেটাই নিষ্কলুষ। ধান্দাবাজহীন, অকৃত্রিম, প্রকৃত তৃণমূল। তারপর তো বন্যা এল! গঙ্গার জল, ড্রেনের জল সব মিলেমিশে একাকার! তবুও দলে একটা স্ট্রং ফিল্টার আছে বলেই বিশ্বাস। তারা পিছনের সারিতেই থাকবেন, সেটাও বিশ্বাস করে দলের কর্মীরা। তৃণমূল ফের ক্ষমতায় আসার পর লাইন দিয়ে ঘরওয়াপসি শুরু হয়ে যায়। অনেক পদও পেয়ে গিয়েছেন। দেবাংশুর এই পোস্ট ঘিরে শোরগোল পড়তেই বিতর্ক এড়াতে সেটাও ডিলিট করে দেন তরুন তুর্কি এই যুব নেতা। রাজনৈতিক মহলের মতে, পোস্টের ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে ফের আর একটা পোস্ট করেন দেবাংশু। একসময় এই যুবনেতা হুঙ্কার ছেড়েছিল, বিজেপি থেকে দলে ফিরলে তিনি গদ্দারদের আটকাতে তৃণমূল ভবনের দরজায় শুয়ে থাকবেন। যদি পাল পালে তৃণমূলে ফিরলেও তিনি আটকাতে পারেননি।বিতর্ক বাড়তেই পোস্ট ডিলিট দেবাংশুরধাপে ধাপে একাধিক বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। কৃষ্ণনগরের বিধায়ক মুকুল রায়কে দিয়ে এই ঘরে ফেরার পালা শুরু হয়েছিল। ইদানিং ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ পাট শিল্প নিয়ে বিদ্রোহ করেছেন কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে আন্দোলনে রাজি বলেও তিনি ঘোষণা করেন। চিঠি দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ফের জল্পনা শুরু হয়ে যায় তাঁর তৃণমূলে ফেরা নিয়ে। কারণ এর আগে বাংলার মানুষ দেখেছে কীভাবে দলনেত্রীসহ তৃণমূল নেতৃত্বকে কড়া সমালোচনা করেও দলে দলে বিজেপি থেকে ঘাসফুল শিবিরে ফিরে গিয়েছেন। এমনকী অর্জুন সিংয়ের ভাইপো ভাটপাড়া পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সৌরভ সিং যিনি রাজনীতিতে তাঁর ডানা হাত বলে পরিচিত ছিলেন, তিনিও তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। এমন অনেকেই ফের তৃণমূলে পা বাড়িয়ে রয়েছেন বলে মনে করে রাজনৈতিক মহল।বিতর্ক বাড়তেই পোস্ট ডিলিট দেবাংশুরপোস্ট ঘিরে বিতর্ক বাড়তেই তা ডিলিট করে দেন দেবাংশু। ফের তিনি পোস্ট করে লেখেন, শেষ পোষ্টের অর্থ হয়ত ঠিকঠাক বোঝাতে পারিনি। অকারণ বিতর্ক হচ্ছে। তাই পোস্ট ডিলিট করলাম। কর্মীরাই দলের সম্পদ। সবাইকে নিয়ে চলতে হবে। তৃণমূল কংগ্রেস শৃঙ্খলাবদ্ধ দল। দলের সিদ্ধান্তের উপর ভরসা রাখতে হবে। এই দলে কর্মীদের স্বার্থ সবার আগে দেখা হয়। কারণ, এই দলের নেত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পোস্ট, ডিলিট, ফের পোস্ট যাই হোক না কেন তৃণমূল নেতা-কর্মীদের একাংশের মনে কথা দেবাংশু লিখেছেন বলে তাঁরা মনে করছেন।

মে ০১, ২০২২
বিনোদুনিয়া

কুড়ি কোটি টাকায় কার্তিক আরিয়ান কে বিয়ে করতে চান এক ভক্ত, কার্তিক ও দিলেন মজার উত্তর

কার্তিক আরিয়ানকে বিয়ে করলেই পেয়ে যেতে পারেন ২০ কোটি টাকা। কার্তিক আরিয়ানের সামনে এই প্রস্তাবটা রেখেছেন তাঁর এক মহিলা অনুরাগী। সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে লুডো খ্যাত ইনায়াত বর্মার সঙ্গে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন কার্তিক। সেখানে দেখা যাচ্ছে ইনায়াতকে কার্তিকের ছবির সংলাপ। কয়েক সেকেন্ডের ভিডিয়োটি মনে ধরেছে নেটাগরিকদের। কিন্তু সব চেয়ে বেশি নজর কেড়েছে এক অনুরাগীর মন্তব্য।কী লিখেছেন তিনি? কমেন্ট বক্সে সেই মহিলা কার্তিককে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, আচ্ছা, আপনি আমাকে বিয়ে করলে আমি আপনাকে ২০ কোটি টাকা দেব। এই মন্তব্য কার্তিকের নজর এড়িয়ে যায়নি। এর পরেই মজা করে কার্তিক লেখেন, কখন?দুজনের এই খুনসুটি কার্তিকের অনুরাগীদের মন ছুঁয়ে গেছে। তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন মজার কমেন্ট ও এসেছে। এই ঘটনা প্রথম নয়। কার্তিক আরিয়ান কে এর আগেও তার ফ্যানদের সঙ্গে অনেকবার মজা করতে দেখা গেছে।

মার্চ ১১, ২০২২
রাজ্য

বিশ্বব্যাংকের জয়জয়কার মমতার সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামাজিক সুরক্ষা ভাতা প্রকল্পগুলিকে মান্যতা দিল বিশ্ব ব্যাংক। সামাজিক সুরক্ষা বিষয়ক প্রকল্প গুলি যাতে মসৃণভাবে এগোতে পারে, সে কথা মাথায় রেখে ১কোটি ২৫ লক্ষ ডলার বা ১০০০ কোটি টাকা ঋণ অনুমোদন করলো বিশ্ব ব্যাংক। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে সমাজের দূর্বল মানুষের সহায়তায় মুখ্যমন্ত্রী র পরিকল্পনায় প্রায় ৪০০ টি প্রকল্প চলছে। রাজ্য সরকারের কন্যাশ্রী, স্বাস্থ্যসাথীর মতো উন্নয়ন কর্মসূচিতে এটি বড় আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।এই প্রকল্প গুলি চালাতে যাতে কোনোও সমস্যা না হয়, তাই বিশ্ব ব্যাংক এই ঋণ দিচ্ছে।World Bank has appreciated excellent work being done by West #Bengal in implementation of Rashtriya Swasthya Bima Yojana Mamata Banerjee (@MamataOfficial) May 11, 2015প্রথম তৃণমূল সরকারের সময় থেকেই মহিলাদের ক্ষমতায়ন এবং সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে একের পর এক প্রকল্প গ্রহণ করেছে রাজ্য। সরকারের দাবি, বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী বা হালে লক্ষ্মীর ভান্ডার মহিলাদের ক্ষমতায়নের পথে সহায়ক প্রকল্প। এতে যেমন মহিলাদের আয় সুনিশ্চিত করা সম্ভব, তেমনই তা নারী শিক্ষা-স্বাস্থ্যের উন্নতি, বাল্যবিবাহ রোধ বা সামগ্রিক অর্থনীতি সচল করার পথে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।দুয়ারে সরকারের মাধ্যমে ভাতা প্রাপকদের দ্রুত চিহ্নিত করে সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। বিশ্ব ব্যাংক এ ব্যাপারে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া শুধু সামাজিক প্রকল্পই নয়, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে টেলি মেডিসিন পদ্ধতিতে চিকিৎসা ব্যাবস্থা র উন্নতি করা যাবে।এর আগে সামাজিক সুরক্ষার প্রশ্নে বিধবা, বিশেষ ভাবে সক্ষম মহিলাদের জন্য রাজ্যের পদক্ষেপ এবং কন্যাশ্রী, রূপশ্রীর মতো মহিলাদের ক্ষমতায়ন প্রকল্পগুলিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ভূমিকার প্রশংসাও করেছিল বিশ্ব ব্যাংক।

জানুয়ারি ২২, ২০২২
বিনোদুনিয়া

সমাজসেবার বিশেষ পুরস্কার মোহনলাল রশিদের

মুর্শিদাবাদ জেলা তথা বহরমপুরের বিশিষ্ট সমাজসেবী মোহনলাল রশিদ সম্মানিত হলেন ডক্টর অফ ফিলোসফি উপাধিতে। বহরমপুরের বাসিন্দা মোহনলাল রশিদ ডক্টর অফ ফিলোসফি উপাধি পাওয়ার পর খুশির হাওয়া মুর্শিদাবাদ জেলা তথা শহর বহরমপুর জুড়ে। জানা যাচ্ছে, তিনি মূলত সমাজ সেবার জন্য এই উপাধি পান। উক্ত অনুষ্ঠানটি দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অতিমারীর উর্ধমুখী সংক্রমণের কারণে গাজিয়াবাদের দ্য মোনার্ক ইন্দিরাপুরম হ্যাবিটাল সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশেষ ভাবে উল্ল্যেখ, করোনার প্রকোপে সর্বত্র যখন লকডাউন শুরু হয়, সেই সময় তিনি নিঃস্বার্থ ভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন অসহায় মানুষদের দিকে। দিনের পর দিন মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজে রোগীর পরিজনদের কাছে পৌঁছে দেন খাদ্য। এছাড়াও প্রত্যেক সপ্তাহের শুক্রবার করে বহরমপুরে অসহায়দের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয় তারই সাহায্যে ও সহযোগিতায়। শুধু তাই নয়, অসুস্থ দের কাছে খাদ্য সহ প্রয়োজনীয় ওষুধ থেকে শুরু করে পরিবেশ রক্ষার্থে বিভিন্ন ভূমিকা পালন করতে দেখা গেছে তাঁকে। কাজেই এই বিশেষ উপাধি অর্জন করে শুধু বহরমপুরই নয়, তিনি গর্বিত করেছেন সমগ্র জেলাবাসীকে।

জানুয়ারি ১২, ২০২২
বিনোদুনিয়া

Celebrity 2022: তারকাদের বর্ষবিদায় কে কি জানালেন দেখে নেওয়া যাক

করোনার চোখরাঙানি। সঙ্গে চিন্তার কারণ ওমিক্রণ। তার মধ্যেও আমরা ২০২১ কে বিদায় জানিয়ে নতুন বছর ২০২২ কে স্বাগত জানিয়েছি। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সেলিব্রিটি সকলেই বর্ষশেষের আনন্দে মেতে উঠে নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছে। কোন সেলিব্রিটি কেমনভাবে নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছেন চলুন দেখে নেওয়া যাক। অভিনেতা কার্তিক আরিয়ান তার শুয়ে থাকার একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন,হ্যাপি নিউ ইয়ার।ঋত্বিক রোশন লিখেছেন,২০২২ লেটস লিভ ইট ওয়েল। অভিনেত্রী সুস্মিতা সেন জিম করার ছবি পোস্ট করে লিখেছেন,ব্যাক টু বেসিকস।অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিত সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন ২০২২ এ তিনি একটি নতুন অধ্যায় শুরু করছেন। সঙ্গে একটি ছোট ভিডিও শেয়ার করেছেন তিনি।অভিনেত্রী জুহি চাওলা দোপাট্টা পরে একটি ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখেন, সবাইকে শুভ নববর্ষের শুভেচ্ছা। এই ছবির দোপাট্টার মতোই আপনার জীবন খুশির রঙে ভরে উঠুক। হ্যাশট্যাগে লেখেন #হ্যাপিনিউইয়ার।বলিউডের তারকাদের মতো টলিউডের তারকারাও নতুন বছরকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। টলি অভিনেতা দেব সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন এই বছর ২৩ ডিসেম্বর নতুন ছবি প্রজাপতি নিয়ে সকলের কাছে আসবেন।অভিনেত্রী শুভশ্রী গাঙ্গুলী লেখেন ,সফল হোক সবার ২০২২। তিনি ২০২২ কে মাস্ক দিয়ে ঢেকে সকলকে সাবধানতা অবলম্বন করার বার্তা-ই দিতে চেয়েছেন।অভিনেত্রী কোয়েল মল্লিক নতুন বছরে সকলকে ভালোবাসা ছড়িয়ে দিতে বলেছেন। সকলের জন্য শান্তি ও আনন্দ কামনা করেছেন তিনি।

জানুয়ারি ০২, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ›

ট্রেন্ডিং

খেলার দুনিয়া

মান্ধানার রেকর্ডে কাঁপল বিশ্ব! ফাইনালে কি লেখা হবে নতুন ইতিহাস?

মুম্বইয়ের ডিওয়াই পাটিল স্টেডিয়াম যেন অপেক্ষা করছে ইতিহাসের জন্মের সাক্ষী হওয়ার। গ্যালারিতে ঢেউ তুলছে নীল সাগর। কোটি ভারতবাসীর নিশ্বাস যেন একসঙ্গে আটকে। কারণ, মহিলা বিশ্বকাপের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে জয়ের লক্ষ্য ২৯৯ রান ছুঁড়ে দিয়েছে ভারত। ৩০০-এর দোরগোড়াহাতের নাগালেই ছিল। কিন্তু যেই দুই ব্যাটারকে দেখার অপেক্ষায় ছিল সমর্থকেরা, সেই স্মৃতি মান্ধানা আর হরমনপ্রীতের ব্যাট আজ বড় কিছু লিখতে পারল না।সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৮৯ রানের ইনিংসে আগুন ঝরিয়েছিলেন নকআউট কুইন হরমনপ্রীত। আজ ফাইনালে এসে থেমে গেলেন ২০ রানে। দুইটি বাউন্ডারি মারলেও নিজের সেরাটুকু দেখাতে পারলেন না অধিনায়ক। ফ্যানদের আশাহতাশার মিশেল রয়ে গেল মাঠ জুড়ে।তবু ভারতীয় ক্রিকেটের অন্য নক্ষত্র জ্বলল উজ্জ্বল আলোয়। স্মৃতি মান্ধানা ফাইনালে করলেন ৫৮ বলে ৪৫ রানহ্যাঁ, হাফসেঞ্চুরি হাতছাড়া। কিন্তু সেই সঙ্গেই গড়লেন এক বিশাল রেকর্ড। মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ ইতিহাসে এক সংস্করণে সর্বাধিক রান করার নজির ভাঙলেন তিনি। মিতালি রাজের ২০১৭ সালের ৪০৯ রানকে টপকে স্মৃতির সংগ্রহ এখন ৪৩৪।মান্ধানাশেফালি জুটি দারুণ ছন্দে এগোচ্ছিল। ১৭তম ওভারেই এল ভাঙন। ক্লোয়ি ট্রায়নের বল তুলে দিয়ে ক্যাচ ফিরিয়ে দিলেন ভারতীয় ওপেনার। আর ৩৮তম ওভারে ফিরে যান হরমনপ্রীত। দুজনই যদি আর কিছুক্ষণ উইকেটে দাঁড়াতে পারতেনস্টেডিয়ামের স্কোরবোর্ড হয়তো অন্য গল্প বলত।কিন্তু এখনও সব শেষ নয়। ভারতীয় স্পিন, দর্শকদের গর্জন, আর মাঠজুড়ে নীল আকাশএই তিন শক্তি কি এনে দেবে প্রথম নারী বিশ্বকাপ? চোখ রাখল ভারত।আজ রাতেই উত্তর।

নভেম্বর ০২, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

নীলে রাঙা দেশ! বিশ্বকাপফাইনালে শেফালি–ঝড়, ২৯৮ রান তুলে ইতিহাসের দোরগোড়ায় ভারত

ভারতের আকাশ আজ নীলের উৎসবে ঢেকে। নবি মুম্বইয়ের ডি ওয়াই পাটিল স্টেডিয়ামে নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপের মহারণে নামতেই যেন বৃষ্টির ফোঁটা হয়ে দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ল আবেগ। সেই বৃষ্টি ধুয়ে দিল শুধু মাটি নয়, যেন দেশের কোটি স্বপ্নকে। কারণ, আজ ইতিহাস লেখা সম্ভব উইমেন ইন ব্লু-র। হরমনপ্রীত কৌরদের কাঁধে ভারতীয় ক্রিকেটের অপূর্ণতা মুছার দায়িত্ব। আর ব্যাট হাতে সেই পথে বড় পদক্ষেপই রাখল ভারত।প্রথমে ব্যাট করে ভারত থামল ২৯৮ রানে। ৭ উইকেট হারিয়ে তোলা এই রানকে কি বিশ্বজয়ের রান বলা যায়? দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিংয়ের বিরুদ্ধে ভারতীয় ব্যাটারদের সাহসী ইনিংস, দর্শকদের গর্জন, আর মাঠজুড়ে নীল আবেগসব মিলিয়ে দিনটা ইতিহাসের পাতায় ওঠার অপেক্ষায়।ইনিংসের শুরুতেই স্মৃতি মন্ধানা ও শেফালি বর্মার ব্যাটে নজর কাড়া সূচনা। বৃষ্টিভেজা উইকেটে সতর্ক শুরু হলেও শিগগিরই বদলে গেল রঙ। বড় শট, নির্ভয়ে রান রোটেশনদুটিতেই সামনে শেফালি। এক সময় সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে পড়লেও শেষে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ৮৭ রানে। কী দারুণ ইনিংস! তিন বছর ধরে ওয়ানডেতে হাফসেঞ্চুরি নেইএ কথা ভুলিয়ে দিলেন বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে। বিশ্বকাপ স্কোয়াডেও প্রথমে জায়গা ছিল নাএকেবারে সিনেমার চিত্রনাট্য।স্মৃতি মন্ধানা ৪৫ রানে আউট হন। জেমাইমা রদ্রিগেসের ২৪ রান, অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌরের ২০যেখানে সবাই শুরু করেও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি, সেখানে দুই ভারতীয় ভরসা দীপ্তি শর্মা ও রিচা ঘোষ সামলালেন ইনিংস। দীপ্তির অর্ধশতরান, আর রিচার দাপুটে ২৪ বলে ৩৪ রানে ভারত ৩০০ ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখেছিল। কয়েকটা শট আর সাহসে হয়তো ২৫-৩০ রান আরও বাড়ানো যেতসেটা নিয়েই এখন আলোচনা।এখন প্রশ্ন একটাইএই রান কি যথেষ্ট? স্পিন বোলিং আর দর্শকদের গর্জন কি দেশকে এনে দেবে প্রথম নারী বিশ্বকাপ? দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক বলেই দিয়েছিলেন, এই পিচে রান তাড়া সহজ। তাই ম্যাচ এখন পুরোপুরি বোলারদের হাতে।স্টেডিয়ামের শব্দঅর্কেস্ট্রা, নীল পতাকার ঢেউ এবং লক্ষ মুখে একটাই ডাকচলো মেয়েরা! রোহিতবিরাটদের অসম্পূর্ণ গল্প কি এবার মেয়েরাই পূর্ণ করবেন?

নভেম্বর ০২, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

স্বপ্নভঙ্গের দাগ এখনও টাটকা! ফাইনালের আগে হরমনদের পাশে দাঁড়ালেন কোহলি-বুমরাহ-সূর্য

দুই বছর আগে ঠিক এই মঞ্চেই স্বপ্ন ভেঙেছিল ভারতীয় মহিলাদের। বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠে ট্রফি ছোঁয়ার এতটা কাছে গিয়েও ফিরে আসতে হয়েছিল খালি হাতে। সেই ব্যথা এখনও জাগ্রত। তাই ২০২৫এর আরেক মহাযুদ্ধের আগে হরমনপ্রীত কৌরদের দিকে তাকিয়ে গোটা দেশ। সেই সঙ্গে পাশে দাঁড়িয়ে গেলেন ভারতীয় পুরুষ দলের তারকারাও। কোহলি, সূর্যকুমার যাদব থেকে শুরু করে জশপ্রীত বুমরাহসবাই একসুরে জানিয়ে দিলেন, ভয় নেই, এগিয়ে যাও।ফাইনাল ম্যাচের আগে BCCIর প্রকাশ করা ভিডিওতে দেখা গেল গৌতম গম্ভীরকে। শান্ত অথচ দৃঢ় কণ্ঠে গম্ভীর বললেন, ভারতীয় ক্রিকেট পরিবার ধন্যবাদ জানাচ্ছে মেয়েদের। তিনি বলেন, ফাইনাল উপভোগ করো, সাহসিকতার সঙ্গে খেলো। ভুল করলেও ভয় পেয়ো না। তোমরা ইতিমধ্যেই দেশকে গর্বিত করেছ। গম্ভীরের বার্তায় স্পষ্টচাপ নয়, আনন্দই দিক নির্দেশ করবে।অন্যদিকে বিরাট কোহলি ও সূর্যকুমার যাদবও বার্তা পাঠিয়েছেন। সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্তিশালী দলকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠার জন্য মহিলা দলের প্রশংসা করেছেন তাঁরা। সূর্য বলেছেন, নিজেদের মত করে খেলে যাও, টুর্নামেন্ট জুড়ে তোমরা অসাধারণ খেলেছ। এমনকি জশপ্রীত বুমরাহর কথায়ও একই সুর। অস্ট্রেলিয়া থেকে বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, জীবনে অনেক ফাইনাল আসে না, তাই বাড়তি চাপ না নিয়ে নিজের সেরাটা দাও। নিজের খেলায় বিশ্বাস রাখো। ফল ঠিকই আসবে।২০১৭তে মিতালি রাজের দল, এরপর ২০২৩এ রোহিত শর্মাদের স্বপ্নভঙ্গভারতীয় পুরুষ ও মহিলা দল দুইই ফাইনালের যন্ত্রণা চেনেন। কিন্তু এবার প্রত্যাশা ভরা চোখে মানুষ অপেক্ষা করছে নতুন ইতিহাসের জন্য। ভারতীয় ক্রিকেটাররাও বিশ্বাস রাখছেন, হরমনপ্রীতস্মৃতিরিচাদের হাতেই এবার বিশ্বজয়ের গল্প লেখা হবে।দেশজুড়ে উত্তেজনা তুঙ্গে। প্রত্যেক ভারতীয়র মনে একই প্রার্থনাএবার ট্রফি ফিরেই আসুক দেশের মাটিতে।

নভেম্বর ০২, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

নবি মুম্বইয়ে বৃষ্টি, ফাইনাল কি পিছিয়ে যাবে? দুশ্চিন্তায় ক্রিকেটপ্রেমীরা

ইতিহাসের সামনে দাঁড়িয়ে হরমনপ্রীত কৌরদের ভারত। নবি মুম্বইয়ের মাঠে আজই হওয়ার কথা ছিল বিশ্বজয়ের লড়াই। প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু এমন উত্তেজনার দিনে ভাগ্য যেন একটু খারাপই খেলল টিম ইন্ডিয়ার সঙ্গে। দুপুর গড়াতেই নামল মৌসুমবহির্ভূত বৃষ্টি, আর সেই সঙ্গে থমকাল মহিলা ওয়ানডে বিশ্বকাপের মহারণ।ভারতীয় সময় বিকেল সাড়ে তিনটায় ম্যাচ শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ক্রমাগত বৃষ্টি নামায় টস পর্যন্ত হয়নি। গ্যালারিতে বসা দর্শক থেকে শুরু করে টিভির সামনে বসা ক্রিকেটপ্রেমীরাসবাই এখন শুধু অপেক্ষা করছেন আকাশ পরিষ্কার হওয়ার।এখন প্রশ্ন একটাইযদি বৃষ্টি কমেই না? তবে কি বিশ্বকাপ ফাইনাল মাঠেই নামবে না? ভারতীয় সমর্থকদের মনে তাই উৎকণ্ঠা, আর চোখ ঝুলছে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, ম্যাচ আজই শেষ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা হবে। প্রয়োজন হলে দুদলের ওভার কমিয়ে দেওয়া হবে। একই দিনে ফলাফল করতে হলে কমপক্ষে ২০ ওভার করে খেলতেই হবে দুদলকে। যদি বৃষ্টি সেই সুযোগও না দেয়, তবে প্রস্তুত আছে রিজার্ভ ডে।আগামীকাল অর্থাৎ সোমবার রাখা হয়েছে চূড়ান্ত দিন। যদি আজ ম্যাচ অসম্পূর্ণ থাকে, সেখান থেকেই কাল আবার খেলা শুরু হবে। তবে যদি এক বলও না গড়ায় আজ, সোমবার পুরো ৫০ ওভারের নতুন ম্যাচ আয়োজনের সম্ভাবনাও রয়েছে। এই মুহূর্তে তাই ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের একটাই আশাআকাশটা একটু পরিষ্কার হোক, আর বিশ্বকাপের মঞ্চে দেখা যাক হরমনপ্রীত কৌরদের দাপট। সেমিতে দুরন্ত ফর্মে থাকা রিচা ঘোষ, স্মৃতি মন্ধানা, শেফালিসবাই প্রস্তুত ইতিহাস লেখার জন্য। বাকি শুধু মাঠে নামা।এদিকে স্টেডিয়ামের ছাদেও ঠাসা উত্তেজনা। কেউ মন্ত্রজপ করছেন, কেউ মোবাইলে আবহাওয়া আপডেট দেখছেন, আবার কেউ পতাকা হাতে বৃষ্টি থামার অপেক্ষায়। বিশ্বকাপের দিনই যদি বৃষ্টি আসে, তা কি মানা যায়? এখন সবই নির্ভর করছে আকাশের দিকে। ভারতীয়দের মনে একটাই স্বপ্নআজ হোক, কাল হোক, কিন্তু হাতে উঠুক সেই সোনার ট্রফি।

নভেম্বর ০২, ২০২৫
দেশ

"অপারেশন সিঁদুর ভুলতে পারেনি পাকিস্তান-কংগ্রেস", নতুন করে বিস্ফোরক মন্তব্য মোদির

বিহারের আরায়ায় রবিবার নির্বাচনী প্রচারে এসে কংগ্রেস ও আরজেডিকে একযোগে আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর বক্তব্যে বারবার উঠে এল জাতীয় নিরাপত্তা, কাশ্মীর, এবং অতীতের রাজনৈতিক সহিংসতার প্রসঙ্গ।মোদি বলেন, অপারেশন সিঁদুরের পর থেকে পাকিস্তান ও কংগ্রেসদুই পক্ষই এখনও ধাক্কা সামলাতে পারেনি। পাকিস্তানে বিস্ফোরণের সময় কংগ্রেসের রাজপরিবারর ঘুম নষ্ট হয়েছিল বলে দাবি করেন তিনি। তাঁর মন্তব্যআমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম সন্ত্রাসীদের ঘরে ঢুকে মারব। অপারেশন সিঁদুর সেই অঙ্গীকার পূরণ করেছে। সঙ্গে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের কথাও স্মরণ করিয়ে দেন মোদি। বলেন, এটি তাঁর গ্যারান্টি ছিল এবং আজ তা বাস্তব।বিহার রাজনীতিতে মহাগঠবন্ধনের দিকে কটাক্ষ ছুঁড়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেস কখনওই তেজস্বী যাদবকে মুখ্যমন্ত্রী মুখ করতে চাইনি। কিন্তু আরজেডির চাপেই কংগ্রেসকে রাজি হতে হয়েছে। তাঁর ভাষায়আরজেডি বন্দুক ঠেকিয়ে কংগ্রেসকে সিএম প্রার্থী ঘোষণা করাতে বাধ্য করেছে।মোদি দাবি করেন, কংগ্রেস-আরজেডির মধ্যে গভীর বিরোধ আছে, এবং নির্বাচন শেষে তারা পরস্পরকে দোষারোপ করবে। তাই তাঁদের উপর আস্থা রাখা যায় না। মহাগঠবন্ধনের ইস্তেহারকে তিনি মিথ্যার আর প্রতারণার দলিল আখ্যা দেন। এনডিএর ঘোষণাপত্রকে বলেন সত্ ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন, যা বিহারের উন্নয়নের জন্য তৈরি।এদিন ১৯৮৪র শিখবিরোধী দাঙ্গার কথাও টেনে আনেন মোদি। তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেস আজও সেই সময়ের দোষীদের সম্মান দিচ্ছে। তিনি বলেনআরজেডির নাম জঙ্গলরাজের সঙ্গে জড়িত, আর কংগ্রেসের পরিচয় শিখ গণহত্যার সঙ্গে। বিহার ভোটমাঠে শেষ দফা প্রচারে তাই তীব্র হচ্ছে ভাষার লড়াই। একদিকে এনডিএর উন্নয়নের দাবি, অন্যদিকে পরিবর্তনের ডাকদুই পক্ষের জোর প্রচারের মধ্যেই প্রস্তুতি নিচ্ছে ভোটযুদ্ধের ময়দান।

নভেম্বর ০২, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

ইতিহাস গড়তে নামছে হরমনদের বাহিনী, রিচা ঘোষে বুক বাঁধছে গোটা বাংলা

শুধু পুরুষ ক্রিকেট নয়মেয়েরাও পারে! ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের আত্মবিশ্বাস এখন আকাশছোঁয়া। আর মাত্র এক রাতের অপেক্ষা। রবিবারই ওডিআই বিশ্বকাপের ফাইনালে নামছে হরমনপ্রীত কউররা। শেষ লড়াই দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। আর গোটা দেশ যেমন উত্তেজনায় ফুটছে, বাংলায় সেই উত্তেজনার কেন্দ্র শিলিগুড়ি। কারণ ফাইনালের মাঠে থাকছেন শহরেরই মেয়ে রিচা ঘোষ।বয়স মাত্র ২২। কিন্তু মন? যেন সহাস্য যোদ্ধা। এই বিশ্বকাপেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্বে ঝড় তুলেছিলেন রিচামাত্র হাতে গোনা ডেলিভারি পেলে খেলেছিলেন ৯৪ রানের ধ্বংসাত্মক ইনিংস। সেই ম্যাচে ভারত হেরে গেলেও, রিচার ব্যাটে আলোর রেখা দেখেছিল দেশ।সেই তারকার জন্য এখন বুক বেঁধে অপেক্ষা শিলিগুড়ির। শহরের রাস্তায় উত্তেজনা, দেওয়ালে পোস্টার, আর মানুষের মুখে একটাই প্রশ্নরিচা কেমন করবে কাল? শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদ ইতিমধ্যেই বিগ স্ক্রিনে ফাইনাল দেখানোর আয়োজন করে ফেলেছে। শহরের একাধিক জায়গায় লাগানো হচ্ছে ফ্লেক্স, তৈরি হচ্ছে উৎসবের আবহ।রিচার পুরনো দিনেও আলো। ২০১৩১৪ সালে বাঘাযতীন ক্লাবের হয়ে খেলতেন সে সময়কার ছোট্ট মেয়ে রিচা। কোচ বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায় এখন আগের সেই দৃঢ় আত্মবিশ্বাস মনে করছেন। তাঁর মুখে গর্বওকে প্রথম দিন থেকেই আলাদা লাগত। ব্যাট ধরার ভঙ্গি, শরীরী ভাষা, মনোভাবসবেতেই ছিল বড় খেলোয়াড়ের স্পষ্ট আভাস।একই কথা বলছেন রিচার বন্ধু ও প্রাক্তন সতীর্থ অঙ্কিতা মোহন্তও। তিনি স্মিতহাস্যে বলছেন, রিচা সব সিদ্ধান্ত খুব পরিষ্কারভাবে নেয়। আমাদের সময়ও ও পরামর্শ দিত। এখন দেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছে ব্যাটে। আগামিকাল ও দেখাবেমেয়েরাও পারে!মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের ক্রিকেট সচিব ভাস্কর দত্ত মজুমদার আরও খোলামেলাআমাদের শহরের মেয়ে! তাই তো গর্ব। কাল গোটা শহর স্ক্রিনের সামনে এক হবে। রিচার জন্য শুভেচ্ছা।এখন শুধু অপেক্ষা ফাইনালের। শিলিগুড়ি, বাংলা আর ভারতসকলেরই চোখ এক ব্যাটে, এক মেয়ের উপর। ইতিহাস রচনার মুহূর্ত কি তাহলে আর কয়েক ঘণ্টা দূরেই?

নভেম্বর ০২, ২০২৫
বিদেশ

চলন্ত ট্রেনে রক্তঝড়! যাত্রীদের উপর ছুরি হামলা, আতঙ্কে থমকাল ট্রেন

লন্ডনগামী একটি ট্রেনের ভিতর শনিবার রাতে তৈরি হল আতঙ্কের আবহ। হঠাৎই কয়েকজন যাত্রীর উপর ধারালো ছুরি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে দুষ্কৃতীরা। মুহূর্তেই চিৎকার, রক্ত, দৌড়ঝাঁপসব মিলিয়ে ট্রেনের কামরাটি পরিণত হয় বিভীষিকার দৃশ্যে। বাঁচার জন্য যাত্রীরা ছুটতে ছুটতে শৌচাগারে লুকিয়ে পড়েন। কেউ কেউ পা পিছলে পড়ে আহত হন। কামরার মেঝে রক্তে ভরে যায়।ঘটনাটি ঘটেছে কেমব্রিজের কাছে। রাত ৭টা ৩৯ মিনিট নাগাদ পুলিশ ফোন পায় ট্রেনে ছুরি নিয়ে হামলার খবর। খবর পেয়েই সশস্ত্র বাহিনী পৌঁছে যায় নিকটবর্তী স্টেশন হান্টিংডনে। এরপর ট্রেনটিকে মাঝপথেই থামানো হয়। স্টেশনে দাঁড়াতেই দৌড়ে ওঠে বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী। আতঙ্কগ্রস্ত যাত্রীদের নিরাপদে বার করে নিয়ে আসা হয়। অনেকে তখনও লুকিয়ে ছিলেন ট্রেনের বাথরুমে। পুলিশ তাঁদের একে একে উদ্ধার করে।প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, এক নয়, একাধিক ব্যক্তি হাতে লম্বা ছুরি নিয়ে যাত্রীদের উপর হামলা চালায়। তাঁদের কথায়, আক্রমণকারী চলতে চলতে দৌড়ে এগিয়ে আসছিল, আর চারদিকে ছড়িয়ে ছিল রক্ত। আতঙ্কে সবাই পালাতে শুরু করে। ট্রেন থামতেই একজন হামলাকারী বড় ছুরি হাতে নেমে আসার চেষ্টা করে, কিন্তু পুলিশ সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে কাবু করে ফেলে।এ ঘটনায় ইতিমধ্যেই দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আহতদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে নিকটবর্তী হাসপাতালে। যদিও ব্রিটিশ পুলিশ এখনও পর্যন্ত আহতের আনুষ্ঠানিক সংখ্যা জানাতে পারেনি, সূত্রের দাবিকমপক্ষে দশজন ছুরিকাহত।হঠাৎ এই হামলার উদ্দেশ্য এখনও পরিষ্কার নয়। সন্ত্রাস দমন বিভাগও তদন্তে নেমেছে। পুরো দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্ত করা হয়েছে। ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার। তিনি বলেছেন, নিরীহ মানুষকে টার্গেট করে এমন হামলা বরদাস্ত করা হবে না।সাধারণ যাত্রার একটি রাত যে এমন রক্তাক্ত দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে, তা ভাবেননি কেউই। ব্রিটেনে এখন একটাই প্রশ্নট্রেনে এই হামলার পিছনে কারা, এবং কেন?

নভেম্বর ০২, ২০২৫
দেশ

ভোটের উত্তাপে বিস্ফোরণ, গুলির আতঙ্ক! জন সূরজ পার্টির কর্মী খুনে ধরা জেডিইউ নেতা

বিহার বিধানসভা নির্বাচন ২০২৫-এর আগেই উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। রাজনৈতিক আক্রমণপ্রতিআক্রমণের মাঝেই এবার সামনে এল রক্তাক্ত ঘটনা। প্রশান্ত কিশোরের দল জন সূরজ পার্টির কর্মী দুলারচন্দ যাদবের মৃত্যুর মামলায় গ্রেফতার হলেন ক্ষমতাসীন জেডিইউ-র মোকামা কেন্দ্রের প্রার্থী অনন্ত সিং। পটনা পুলিশের হাতে শনিবার, ১ নভেম্বর তাঁকে আটক করা হয়। তাঁর দুই ঘনিষ্ঠ সহযোগীকেও পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে।ুীদুলারচন্দ যাদব গত বৃহস্পতিবার মোকামায় জন সূরজ পার্টির প্রার্থী পীযূষ প্রিয়দর্শীর সঙ্গে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে গিয়েছিলেন। সেই ভরা সভাতেই মৃত্যু হয় তাঁর। প্রথমে গুলিবিদ্ধ হওয়ার কথা শোনা গেলেও ময়নাতদন্তে প্রকাশগুলি নয়, গুরুতর শারীরিক আঘাত, বিশেষত পাঁজরের হাড় ভেঙে যাওয়া ও ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।দুলারচন্দ অনেক দিন আরজেডি-র প্রভাবশালী নেতা ছিলেন। লালু প্রসাদ যাদবের ঘনিষ্ঠ হিসেবেও পরিচিত। পরে PKর জন সূরজ পার্টিতে যোগ দেন।প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, সভার মাঝেই দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধেছিল। সেই বিশৃঙ্খলার মধ্যেই ঘটে এই মৃত্যুর ঘটনা। এবং সে সময় ঘটনাস্থলেই ছিলেন জেডিইউ প্রার্থী অনন্ত সিং।গ্রেফতারের পর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে পীযূষ প্রিয়দর্শী বলেন, পুলিশ ঠিক কাজ করেছে। তবে এই পদক্ষেপ আরও আগে হওয়া দরকার ছিল। এটা কোনো হঠাৎ ঘটনা নয়। এফআইআর হওয়ার পরই গ্রেফতার হওয়া উচিত ছিল। দেরিতে হলেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, এখন দেখার তদন্ত কতদূর এগোয়।অন্য দিকে গ্রেফতারির আগে অনন্ত সিং দাবি করেন, তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে। প্রাক্তন সাংসদ সূরজভান সিংকে দায়ী করেন তিনি। উল্লেখ্য, সূরজভান সিংয়ের স্ত্রী বীণা দেবী এবার আরজেডি-র প্রার্থী।ঘটনার গুরুত্ব দেখে ইতিমধ্যেই নড়েচড়ে বসেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। জেলা নির্বাচন আধিকারিকের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আদর্শ আচরণবিধি কড়াভাবে বজায় রাখতে হবে এবং রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন বিন্দুমাত্র নষ্ট না হয়।বিহারের ভোটযুদ্ধ এখনও শুরুই হয়নি, আর তার আগেই রক্তঝরা সংঘর্ষে জর্জরিত রাজনৈতিক ময়দান। আগামীর দিনগুলো যে আরও উত্তপ্ত হতে চলেছে, তা বলাই বাহুল্য।

নভেম্বর ০২, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal