• ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, শুক্রবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Sandeshkhali

রাজ্য

জেল থেকেই খুনের ছক? তার মাঝেই সিবিআইয়ের রিপোর্টে বেরিয়ে এল আরও ভয়ানক তথ্য!

আদালতে সাক্ষ্য দিতে যাওয়ার পথে মারাত্মক দুর্ঘটনার শিকার হন শেখ শাহজাহানের অন্যতম সাক্ষী ভোলানাথ ঘোষ। সেই দুর্ঘটনায় তাঁর ছেলে এবং গাড়ির চালকের মৃত্যু হয়। এরপরই নতুন করে শাহজাহানের নাম ঘিরে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। অভিযোগ উঠছে, জেলের ভিতর থেকেই এই খুনের পরিকল্পনা করেছেন শাহজাহান। রাজনীতিতে তাপমাত্রা আরও বাড়ছে।এদিকে মঙ্গলবার সন্দেশখালিকাণ্ডে শাহজাহানের বিপদ আরও বাড়িয়ে দিল সিবিআই। জমি দখল মামলার অনুসন্ধান রিপোর্ট কলকাতা হাইকোর্টে জমা করেছে তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআইয়ের দাবি, এতদিন এলাকায় ক্যাম্প অফিস করে এবং গ্রামের মানুষদের কাছ থেকে একের পর এক অভিযোগ সংগ্রহ করে যে তদন্ত চালানো হয়েছিল, তাতে প্রায় তিন হাজার অভিযোগের মধ্যেই শক্ত প্রমাণ মিলেছে।সিবিআই সূত্র জানিয়েছে, জমি দখলের ঘটনায় শাহজাহানের বাহিনী সরাসরি যুক্ত ছিল। অনুসন্ধানে আরও উঠে এসেছেএই পুরো দখলচক্রের নেতৃত্ব দিতেন শাহজাহানের ভাই। হাইকোর্টে জমা দেওয়া রিপোর্টে এই অভিযোগগুলির সারবত্তা রয়েছে বলেই দাবি তদন্তকারীদের।আইনজীবীদের মতে, আদালতে এই রিপোর্ট সত্য বলে প্রমাণিত হলে শাহজাহানের উপর চাপ আরও বাড়বে। তাঁর জামিন পাওয়াও কঠিন হয়ে যেতে পারে।উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে রেশন দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে প্রথমবার ইডি সন্দেশখালিতে বাধার মুখে পড়ে। সেই ঘটনার পর থেকেই ধীরে ধীরে উঠে আসে জমি দখল, ভয় দেখানো, দাদাগিরিঅসংখ্য অভিযোগ। এবার সিবিআইয়ের রিপোর্টে সেগুলির অনেকটাই পোক্ত প্রমাণ পেয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

ডিসেম্বর ১১, ২০২৫
রাজ্য

যা ভাবছেন, সত্যি নয়! দুরন্তকে ধরতে যে কৌশল ব্যবহার করল সিবিআই, অবাক হবেন

দীর্ঘ দুই বছর ধরে লুকিয়ে লুকিয়ে চলা জীবন শেষ পর্যন্ত দমল না। বহু অনুসন্ধানের পর অবশেষে সিবিআইয়ের জালে ধরা পড়লেন শেখ শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী দুরন্ত মোল্লা। সন্দেশখালিতে ইডি-র উপর হামলার ঘটনায় যাঁর নাম ও ছবি প্রকাশ্যে এসেছিল, সেই দুরন্তকে মঙ্গলবার রাতে বসিরহাটের একটি গোপন আস্তানা থেকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বুধবার তাঁকে বসিরহাট আদালতে তোলা হবে।২০২৪ সালের ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালির তৎকালীন তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েছিলেন ইডির আধিকারিকরা। সেইসময় তাঁদের উপর হামলা হয়। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের উপরেও হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনার পর থেকেই এলাকায় ক্ষোভ ছড়ায়, সামনে আসে শাহজাহান-ঘনিষ্ঠদের নানা অভিযোগ ও নানা কীর্তি। ৫৫ দিনের মাথায় গ্রেফতার হন শাহজাহান।হামলার ভিডিও ও ছবিতে দুরন্ত মোল্লার পরিচয় সামনে আসে। কিন্তু এরপর থেকেই তিনি কার্যত হাওয়ার মতো উধাও। সিবিআই বারবার অভিযান চালালেও তাঁর হদিশ মিলছিল না। এমনকি তাঁর বাড়িতে নোটিস দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তিনি তখনও পালাতেই থাকেন। ইডি সূত্রের খবর, দুরন্ত বারবার গোপন আস্তানা বদল করছিলেন যাতে তদন্তকারী সংস্থার চোখ এড়িয়ে যেতে পারেন।অবশেষে সিবিআইয়ের কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে বসিরহাট এলাকায় লুকিয়ে আছেন তিনি। এরপরই রাতেই অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।সিবিআই বুধবার আদালতে তুলে দুরন্তের হেফাজত চাইবে। তদন্তকারী সংস্থার অন্যতম লক্ষ্য তাঁকে জেরা করে ইডি-র উপর হামলার ঘটনার নেপথ্যে আরও কারা ছিলেন, এবং কোনও নতুন তথ্য তাঁর কাছ থেকে পাওয়া যায় কি না। দুরন্তের গ্রেফতার হওয়ায় সন্দেশখালি কাণ্ড নতুন করে আবার চর্চায়। এখন নজর আদালত ও সিবিআইয়ের পরবর্তী পদক্ষেপে।

নভেম্বর ২৬, ২০২৫
রাজনীতি

অবশেষে সন্দেশখালি যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেখানে কর্মসূচির কথা ঘোষণা করলেন নবান্ন থেকে

লোকসভা নির্বাচনের আগে সন্দেশখালি নিয়ে উত্তপ্ত ছিল রাজ্য রাজনীতি। নির্বাচনে প্রচারে সেখানে যাননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তিনি বলেছিলেন সন্দেশখালি যাবেন। শেষমেষ বছর শেষে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই দিন প্রশাসনিক জনসভা থেকে সাধারণ মানুষকে পরিষেবা বিতরণ করা হবে। সেই অনুষ্ঠানেই হাজির থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে একথা ঘোষণা করেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার নবান্নে ছিল মন্ত্রিসভার বৈঠক। সেই বৈঠকের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, আগামী ৩০ ডিসেম্বর সন্দেশখালি যাব। সাধারণ মানুষের কাছে সরকারি পরিষেবা তুলে দেওয়া হবে। নির্বাচনের আগে অনেকে জিজ্ঞেস করেছিল, দিদি আপনি সন্দেশখালি গেলেন না। আমি বলেছিলাম পরে যাব। ওই দিন দুপুর ১ টায় সরকারি পরিষেবা অনুষ্ঠানে হাজির থাকব। প্রায় ২০ বাজার মানুষকে ওই প্রশাসনিক জনসভা থেকে সরকারি পরিষেবা তুলে দেওয়া হবে।এদিকে আগামী ১ জানুয়ারি তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবসে মা মাটি মানুষ দিবস পালন করা হবে। প্রতিবছর করে থাকি। বিভিন্ন জায়গায় রক্তদান শিবির হবে। ওই দিন মা মাটি মানুষকে উৎসর্গ করে থাকি। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, ২ জানুয়ারি নবান্নে প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠক হব। রাজ্য স্তর থেকে জেলা ও ব্লক স্তর পর্যন্ত পর্যালোচনা হবে বৈঠকে। পাশাপাশি আগামী ৬ জানুয়ারি গঙ্গাসাগর যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে প্রস্তুতি পর্যালোচনা করবেন।

ডিসেম্বর ২৬, ২০২৪
রাজ্য

সন্দেশখালি কাণ্ডে একের পর ভাইরাল ভিডিও ঘিরে তুলকালাম, তুঙ্গে বিতর্ক

সন্দেশখালি কাণ্ডে একের পর ভাইরাল ভিডিও ঘিরে অস্বস্তি বেড়েছে পদ্মশিবিরে। এবার আরও অস্বস্তি বাড়াল পুলিশ। সন্দেশখালিতে যৌন নির্যাতন-ধর্ষণের ঘটনা সাজানো বলছেন স্থানীয় বিজেপি নেতা গঙ্গাধর কয়াল। সেই ভাইরাল ভিডিওর রেশ কাটতে না কাটতেই নয়া ভিডিও সামনে এসেছে। যেখানে মহিলারা দাবি করছেন, ভুল বুঝিয়ে সাদা কাগজে সই করিয়ে নিয়েছিল মহিলা মোর্চার নেত্রী। তাঁরা কোনও ধর্ষণের অভিযোগ করেননি। এবার সেই ঘটনায় বিজেপি নেত্রী মাম্পি দাসকে সমন পাঠাল সন্দেশখালি থানার পুলিশ। তাঁকে জেরা করতে চায় পুলিশ।সন্দেশখালিতে ধর্ষণ কিংবা যৌন নির্যাতনের ঘটনা কি সাজানো? এবার আরও একটি নতুন ভিডিও-য় চাঞ্চল্যকর কিছু দাবি করতে শোনা গিয়েছে কয়েকজন মহিলাকে। যদিও সেই ভিডিও-টির সত্যতা যাচাই করেনি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা।দিন কয়েক আগেই সন্দেশখালির (Sandeshkhali) BJP নেতা গঙ্গাধর কয়ালের বক্তব্য নিয়ে এটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। সেই ভিডিও প্রকাশ করে সন্দেশখালির গোটা ঘটনা নিয়ে BJP-কেই তুলোধনা করতে দেখা গিয়েছিল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে। বৃহস্পতিবার ভাইরাল হওয়া আরও একটি ভিডিও-য় সন্দেশখালিরই আরেক বিজেপি নেতা অনুপ দাসের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ শোনা গিয়েছে বসিরহাটের BJP প্রার্থী তথা সন্দেশখালি আন্দোলনের মুখ রেখা পাত্র সহ কয়েকজন মহিলাকে।এবার নতুন আরও একটি ভিডিও-য় মুখ খুলতে শোনা গিয়েছে কয়েকজন মহিলাকে। সেই ভিডিও-য় তিন মহিলার দাবি, ধর্ষণ-সহ যে বিভিন অভিযোগ করা হয়েছে তা সাজানো। এমনকী মহিলা কমিশন যেদিন সন্দেশখালিতে গিয়েছিল ওই দিন এক বিজেপি নেত্রী তাঁদের মিথ্যা অভিযোগ করতে বলেছিলেন বলেও দাবি তাঁদের। সাদা কাগজে তাঁদের দিয়ে সই করিয়ে নিয়ে মিথ্যা অভিযোগ তাতে লেখা হয়েছে বলে দাবি কয়েকজন মহিলার।আদৌ তাঁদের সঙ্গে ধর্ষণের মতো কোনও ঘটনা ঘটেনি বলে ওই ভাইরাল ভিডিও-য় দাবি করেছেন মহিলারা। যদিও সেই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা। বর্তমানে মিথ্যা মামলা তাঁরা তুলে নিতে চাইলে বিজেপি নেত্রী মাম্পি দাস ও এলাকার কয়েকজন বিজেপি নেতারা তাঁদের হুমকি দিচ্ছেন বলে তাঁরা অভিযোগ করেছেন। এই ঘটনায় মাম্পিকে জেরা করতে তাঁকে তলব করেছে পুলিশ।

মে ১০, ২০২৪
রাজনীতি

বিজেপির নারদ আদলে তৃণমূল ভবনে সন্দেশখালির ভাইরাল ভিডিও প্রদর্শন, ভয়ঙ্কর আক্রমণ অভিষেকের

নারদ-কাণ্ডে বিজেপি দফতরে ভিডিও ফুটেজ তুলে ধরে তৃণমূলকে নিশানা করেছিলেন গেরুয়া নেতারা। তখনও এরাজ্যে নির্বাচনী আবহ ছিল। এবার সন্দেশখালির ভাইরাল ভিডিও তোলপাড় ফেলতেই একই কায়দায় এবার বিজেপিকে পাল্টা দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পদ্ম বাহিনীকে কার্যত তুলোধনা করলেন তিনি। অভিষেকের সাফ কথা, নির্লজ্জতার সমস্ত নজির ভেঙে দিয়েছে। বিজেপির মণ্ডল সভাপতি বলছেন সাজানো ঘটনা। যাঁকে নির্যাতিত বলে দেখানো হচ্ছে। তিনি বলছেন, তাঁর সঙ্গে কিছু হয়নি। বাংলার সম্মান ভূলুণ্ঠিত হয়েছে। বিজেপির নেতারা বলতেন, সন্দেশখালি করবে তৃণমূলের চেয়ার খালি। আর আজকের ভিডিও বুঝিয়ে দিয়েছে বিজেপি দলটাই জালি।সন্দেশখালির ভাইরাল ভিডিও ঘিরে শনিবার রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পরে যায়। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে, সন্দেশখালি ২ নম্বর ব্লকের বিজেপি সভাপতি গঙ্গাধর কয়াল স্বীকার করছেন, মহিলাদের ধর্ষণের ঘটনা পুরোটাই সাজানো। সে জন্য তাঁদের টাকা দিয়ে সাহায্য করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।এরপরই এক্স বার্তায় সরব হয়েছিলেন অভিষেক। পরে সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি। অভিষেক বলেন, নির্লজ্জতার সমস্ত নজির ভেঙে দিয়েছে। বিজেপির মণ্ডল সভাপতি বলছেন সাজানো ঘটনা। যাঁকে নির্যাতিত বলে দেখানো হচ্ছে। তিনি বলছেন, তাঁর সঙ্গে কিছু হয়নি। ভিডিয়োতে উনি বলেছেন, তাবড় তাবড় মালকে গ্রেফতার করানোর কথা। গঙ্গাধর বলেছেন, শুভেন্দু তাঁদের বলেছেন, তাবড় তাবড় মাল গ্রেফতার না করালে তোমাদের কিছু হবে না। খবর যাচাই না করেই বাংলার নামে খবর প্রকাশ করেছে জাতীয় সংবাদমাধ্যমগুলি। তাতে বাংলার সম্মান ভূলুণ্ঠিত হয়েছে। এঁদের প্রত্যেকের উচিত বাংলায় এসে ক্ষমা চেয়ে যাওয়া।পরিকল্পনা করে সন্দেশখালিতে রোবটও নামিয়ে দিল ওরা। যেন মনে হচ্ছিল চাঁদে চন্দ্রযানের প্রজ্ঞান নামছে। এই সব কিছুই দেখানোর জন্য। সব পরিকল্পিত।গঙ্গাধর বলেছে ২০০০টাকা দিয়ে অভিযোগ দায়ের করিয়েছে বাংলায়। রেখা পাত্র যিনি ওই এলাকার লোকসভা ভোটের প্রার্থী তিনিও ওই ২০০০ টাকার বিনিময়েই অভিযোগ করেছিলেন। পিঠে পাটিসাপটা বানানো নিয়ে কত কথা বলেছিল সংবাদ মাধ্যম। কী ভাবে খবর প্রকাশ হয়েছিল! আর এখন এরা বলছে ধর্ষণই হয়নি। উল্টে ধর্ষণ নিয়ে যাতে কোনও পরীক্ষা দিতে না হয়, সে জন্য ৭ মাস আগের অভিযোগ দায়ের করেছে।বাংলাকে কলুষিত করার জন্য বিজেপির পাশাপাশি বিচারমাধ্যমের একাংশও দায়ী বলে মনে করি আমি। এ কথা বলার জন্য যদি আমি আদালত অবমাননার দায়ে পড়ি, তবে পড়ব, কিন্তু সত্যি কথা বলা থেকে আমাকে আটকানো যাবে না। বলেছেন অভিষেক। তিনি বলেন, যারা নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে মহিলাদের সম্ভ্রম ২০০০ টাকায় বিক্রি করেন, সেই দলকে ভোট দেওয়ার আগে দশবার ভাববেন।আমি চ্যালেঞ্জ করছি গঙ্গাধর কয়ালকে বিজেপি সাসপেন্ড করুক। এ ব্যাপারে সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যও মিলছে না। বিজেপির নেতারা আলাদা আলাদা কথা বলছেন। ওদের আসল চেহারা, ওদের নগ্নরূপ বেরিয়ে গেছে।বিজেপির নেতারা বলতেন, সন্দেশখালি করবে তৃণমূলের চেয়ার খালি। আর আজকের ভিডিয়ো বুঝিয়ে দিয়েছে বিজেপি দলটাই জালি।বাংলায় ওরা থাকছে, খাচ্ছে আর বাংলার নাম কলুষিত করছে। আসলে বাংলাকে কলুষিত করে দখল করার পরিকল্পনা ছিল বিজেপির। যেভাবে, রাজস্থান, কর্ণাটক দখল করেছে সে ভাবেই বাংলাও দখল করবে। কিন্তু বাংলার দখল নেওয়া অত সহজ নয়। খালি কয়েকটা ভোটের জন্য যা নয় তাই করা হচ্ছে। সমস্যা আদৌ হয়েছে কি না যাচাই না করেই সিবিআই হয়ে যাচ্ছে। সংবিধান মেনে পুলিশকে সুযোগও দেওযা হচ্ছে না। তদন্ত করার সুযোগই দেওয়া হচ্ছে না।ওর (শুভেন্দু অধিকারী) সিবিআইকে বলুন, যদি ক্ষমতা থাকে আমাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাবে। ওর সিবিআই দেখিয়ে রাজনীতি অন্য জায়গায় করতে বলবেন। সিবিআইয়ের তল্পিবাহকতা করার জন্য বাংলার মানুষ বেঁচে আছে। ওর যদি ক্ষমতা থাকে, তা হলে ওদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন? ওই বেইমানটাকে বলবেন, আমি ওকে বেইমান বলছি, গদ্দার বলছি, ঘুষখোর বলছি। কী করবে করে নিক।

মে ০৪, ২০২৪
রাজনীতি

সন্দেশখালি নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী যা বললেন.....

বিরোধী দলনেতার মদতেই হয়েছে। সন্দেশখালি সম্পর্কিত ভাইরাল ভিডিওতে সেই দাবিই শোনা গিয়েছে (সেই ভিডিও জনতার কথা যাচাই করেনি) বিজেপি নেতা গঙ্গাধর কয়ালের মুখ থেকে। এরপরই সরব হয়েছে তৃণমূল। শুভেন্দু অধিকারীকে তুলোধনা করেছেন তৃণমূলের সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের যুবরাজের সাংবাদিক বৈঠকের পরই এই ইস্যুতে মুখ খুললেন রাজ্যে বিরোধী দলনেতা। তিনি দাবি করলেন, সিবিআইয়ের ডিরেক্টরকে ই-মেল করে সন্দেশখালির বিজেপি নেতা গঙ্গাধর কয়াল তাঁর বক্তব্যের বিকৃত ভিডিও অভিযোগ আকারে পাঠিয়েছেন। একই সঙ্গে তাঁর দাবি, ইতিমধ্যেই সন্দেশখালি থেকে কলকাতায় পৌঁছে গিয়েছেন গঙ্গাধর।ভাইরাল ভিডিওতে বিজেপি নেতার মুখে একাধিকবার শোনা গিয়েছে শুভেন্দুর নাম। এ প্রসঙ্গে শুভেন্দুর দাবি, এই সব কিছু কয়লা ভাইপোর তৈরি। অর্থাৎ শুভেন্দুর নিশানায়, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।এর আগে এক্স বার্তায় এই ইস্যুতে দাবি করেছিলেন যে, ভোটে হারবেন বুঝেই এ সব করিয়েছেন। তাঁর নিশানায় ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।শনিবার সকালে স্টিং অপরেশনের একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসে। সেই ভিডিয়োতে বিজেপির সন্দেশখালির ২ নং মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়ালকে বলতে শোনা যাচ্ছে যে, সন্দেশখালিতে ধর্ষণের অভিযোগ সাজানো। এ নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করে তৃণমূল। শুভেন্দু সেই আক্রমণ উড়িয়ে দিয়ে দাবি করেছেন, ভিডিয়োটি বিকৃত।গঙ্গাধরের দাবি ওই ভিডিও বিকৃত। ভিডিওয় তাঁর ছবি এবং কথার মধ্যে কোনও মিল নেই। ভিডিয়োয় বক্তার মুখও স্পষ্ট নয়। এমন ভাবে ভিডিয়োটি এডিট করা হয়েছে, যাতে তা বোঝা না যায়। ভিডিও থেকে বক্তার ঠোঁটের নড়াচড়াও স্পষ্ট ভাবে বোঝা যাচ্ছে না বলেই দাবি গঙ্গাধরের। ভিডিয়োর শব্দ স্পষ্ট নয়। ইচ্ছাকৃত অসাধু উদ্দেশ্যেই এমনটা করা হয়েছে বলে অভিযোগ গঙ্গাধরের।

মে ০৪, ২০২৪
রাজ্য

সন্দেশখালিতে উদ্ধার বিপুল কার্তুজসহ আগ্নেয়াস্ত্র, সিবিআইয়ের তদন্তে এনএসজি

সন্দেশখালিতে এনএসজি-র বম্ব স্কোয়াড। উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরক। শুক্রবার বেলা বাড়তেই সন্দেশখালিতে হানা দেয় সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, শেখ শাহজাহান শেখের এক ঘনিষ্ঠ স্থানীয় তৃণমূল নেতার আত্মীয়ের বাড়িতে প্রচুর অস্ত্র ও বোমা মজুত রয়েছে। সেই খবর মিলতেই অভিযানে নামে সিবিআই। তল্লাশিতে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র মিলেছে বলে খবর। উদ্ধার করা হয়েছে ১২০টি নাইন এমএম বুলেট। বিভিন্ন ধরণের ৩৪৮টি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সিবিআই। পাশাপাশি উদ্ধার করা হয়েছে একাধিক বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র।বাড়িটিতে প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক জমা রয়েছে বলে সন্দেহ সিবিআই আধিকারিকদের। যে কোনও মুহূর্তে বড় বিপদ ঘটে যেতে পারে। সেই আশঙ্কায় NSG কম্যান্ডোদের ডাকা হয়। মাইন ডিটেক্টর থেকে রোবোটিক ডিভাইস দিয়ে অস্ত্রভাণ্ডারের তল্লাশি শুরু করে NSG কম্যান্ডোরা।সন্দেশখালির সরবেড়িয়ার মল্লিকপাড়ায় শাহজাহান-ঘনিষ্ঠ আবু আবু তালেব মোল্লার বাড়িতে এদিন তল্লাশি চালায় সিবিআই গোয়েন্দারা। তার বাড়িতেই লুকিয়ে রাখা রয়েছে প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক। এরপরই গোটা গ্রাম দখলে নেয় NSG কম্যান্ডোরা। ওই এলাকাটি ঘিরে নিয়ে তাঁদের নিজস্ব অত্যাধুনিক মেশিন, রোবট নিয়ে কাজ শুরু করেন তাঁরা।NSG কম্যান্ডোদের তল্লাশিতে সন্দেশখালি থেকে উদ্ধার হয়েছে ৭টি পিস্তল, দেশি বোমা, তিনটি বিদেশি রিভালবার, উদ্ধার হয়েছে একটি পুলিশের রিভালবার, মেঝে খুঁড়তেই উদ্ধার হয় বোমা-বারুদ। উদ্ধার করা হয়েছে ৩৫০ রাউন্ড কার্তুজ। পাশাপাশি মিলেছে বেশ কিছু নথি। যার সবের সঙ্গে যোগ রয়েছে শাহাজানের।এদিকে এই ঘটনার পরই তৃণমূলকে নিশানা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূলের সঙ্গে সিমি বা পিএফআইয়ের কোন ফারাক নেই। মমতা ব্যনার্জিকে গ্রেফতার করে তৃণমূলকে জঙ্গি সংগঠন ঘোষণার দাবি জানান তিনি। পাশাপাশি পুলিশ এই ঘটনায় সরাসরি যুক্ত বলেও দাবি করেন বিরোধী দল নেতা।এদিকে শুভেন্দুর পালটা তৃণমূলের কুণাল ঘোষ বলেন, ওখানে অস্ত্রভান্ডার ছিল নাকি কেউ বদনাম করার জন্য ওখানে রেখে গেছে তা তদন্তসাপেক্ষ। কী পাওয়া গেছে তা আমরা জানি না। অফিসিয়াল কোনও বিবৃতি নেই। তা পুরো বিষয়টাই একটা চিত্রনাট্য ছাড়া এই মুহূর্তে কিছুই মনে হচ্ছে না বলেও দাবি করেন তিনি।

এপ্রিল ২৬, ২০২৪
রাজ্য

ধরা পড়লেই বিজেপির চক্রান্ত, কেন বললেন দিলীপ ঘোষ

সরকারি কর্মী আন্দোলনের নেতা ভাষ্কর ঘোষকে মারধর প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, এটা প্রথম নয়। এই সরকার হিংসা আর দুর্নীতি দিয়েছে। আর কিছু দিতে পারেনি। আপনি কিছু চাইলে আপনাকে গলা ধাক্কা, কেস, অপমান। এর আগে ডিএ নিয়ে দাবি তোলায় একই ঘটনা ঘটেছিল। মহিলাদের ও ছাড়া হয়নি। আমরা দেখেছি, ওরা রাস্তায় শুয়ে আছে। জলে কাদায়। কি বাকি রেখেছেন? একটা গণতান্ত্রিক পদ্ধতির আন্দোলনে? তাদের কথা শোনার কেউ নেই। ভাস্করদের লড়াই থামবে না। এই লড়াই এই অত্যাচারী শাসককে একদিন লাইনে আনবে। পুলিশের যুক্তি ছেঁদো কথা। তারা কেউ পুলিশকে মারতে যায়নি। পুলিশ ওদের আন্দোলনে বাধা দিয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে কেস হাওয়া উচিৎ। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের গলা টিপে ধরলে মানুষ বিচার করবে। সব বিজেপির চক্রান্ত, বলছে শেখ শাহাজাহান। আপনি কি বলবেন?উনি যখন খুন করছিলেন, মহিলাদের ওপর অত্যাচার করছিলেন, তখন মনে ছিল না একদিন জেলের ভাত খেতে হবে। ধরা পড়লেও বিজেপির চক্রান্ত? ওখানে মহিলারা রাস্তায় ঝাঁটা নিয়ে বেরিয়েছিল কেন? কোথায় বিজেপি তখন? বিজেপি তো ঢুকতেই পারেনি। আপাতত জেলে থাকো। নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করলে বেরোতে পারবে। বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী করেছে কীর্তি আজাদকে। সেই প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে দিলীপ বলেন, ভালো তো। জিতে আসুন। ওনার দূর্ভাগ্য। ওনাকে তৃণমূল এমন ফাঁসিয়েছে, উনি আর বেরোতে পারছেন না। রেজাল্ট হলে বুঝতে পারবেন। কঠিন ফাঁদে পা দিয়েছেন। ওনার পার্টি ওনাকে সাহায্য করছে না। আমি যদি উল্টে বলি, ওনার পার্টির লোকেরা আমাকে সাহায্য করছে। কীর্তি আজাদের বাংলার রাজনীতি বুঝতে সময় লাগবে। উনি বারবার আমার পিছনে লাগছেন। লোক ভাবছে ও জিতলে আর ওকে দেখতে পাবো? দিলীপ ঘোষ মানুষের সঙ্গে আছে। আন্দামান আমার পুরোনো জায়গা। একদিনের জন্য আজ যাচ্ছি। কাল ফিরে আসব। রচনা-লকেট দ্বৈরথ নিয়ে তিনি বলেন, রচনা শিল্পের কি বোঝেন? সিনেমা করেন। সিনেমা শিল্প টাই দেখুন। লকেট এর সঙ্গে রচনার তুলনাই হয়না। লকেট সিনেমা করার পর কয়েক বছর ধরে সাফল্যের সঙ্গে রাজনীতি করছে। লোকসভায় জিতেছে। পার্টি স্বীকৃতি দিয়েছে। সাফল্যের সঙ্গে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছে। তাই লকেট অনেক এগিয়ে। বাকিটা ওখানকার মানুষ ঠিক করব।

এপ্রিল ০৬, ২০২৪
রাজ্য

সন্দেশখালি ইস্যুতে হাইকোর্ট: অভিযোগ ১ শতাংশ সত্যি হলেও লজ্জার

সন্দেশখালির মহিলাদের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগের আগে একটি হলফনামার বিষয়বস্তুতে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্ট বলেছে, অভিযোগ যদি এক শতাংশও সত্য হয় তবে এটি একেবারে লজ্জাজনক৷আদালত পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে মহিলাদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ স্থান বলে দাবি করার জন্যও তিরস্কার করেছে।সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতন এবং জমি দখলের অভিযোগের নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে যুক্তি শুনে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম মন্তব্য করেছেন, পুরো জেলা প্রশাসন এবং শাসকদের অবশ্যই নৈতিক দায়িত্ব পালন করতে হবে। এমনকি যদি (হলফনামা) ১% সত্য হয় তবে এটি একেবারে লজ্জাজনক। আর পশ্চিমবঙ্গ বলে নারীদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ? যদি একটি হলফনামা সঠিক বলে প্রমাণিত হয় তবে এই সব মিথ্যা হয়ে যাবে।হাইকোর্ট ফেব্রুয়ারিতে বন্দুকের মুখে মহিলাদের উপর যৌন নিপীড়নের দাবি এবং সন্দেশখালিতে আদিবাসীদের জমি জবরদখলের বিষয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করেছিল।মার্চ মাসে, আদালত সন্দেশখালিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) আধিকারিকদের উপর ৫ জানুয়ারি হামলার তদন্তের পাশাপাশি প্রধান অভিযুক্ত শাহজাহান শেখের হেফাজত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (সিবিআই) এর কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দেয়।ঘটনার সূত্রপাত, যখন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা যাঁরা সন্দেশখালিতে তৃণমূলের বরখাস্ত হওয়া জেলা পরিষদের সদস্য শক্তিশালী শেখ শাহজাহানের বাড়িচে ৫ জানুয়ারি তল্লাশি চালাতে এসেছিলেন, তাঁদের হেনস্থা করা হয়েছিল। শাহজাহান এবং তাঁর অনুগামীরা পলাতক থাকায়, ৮ ফেব্রুয়ারি, রেখা পাত্র-সহ এলাকার মহিলারা রাস্তায় নেমে আসেন, স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি, হামলা এবং জমি দখলের অভিযোগ তোলেন।এদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে কটাক্ষ করেছেন এবং দাবি করেছেন যে বিরোধী দল সন্দেশখালি ইস্যুতে ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে। আরও, বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ করে মমতা বলেছিলেন যে বাংলায় মহিলারা সবচেয়ে নিরাপদ।

এপ্রিল ০৪, ২০২৪
রাজ্য

শেখ শাহজাহানের বাড়িতে-মার্কেটে সিবিআই

কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে গেল সিবিআই। এই প্রথম সন্দেশখালি গেল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এদিন সিবিআই গিয়েছে সরবেড়িয়ায় তার মার্কেটেও। ৫ জানুয়ারি ইডির ওপর হামলার তদন্ত করতে সেখানে গিয়েছে সিবিআই। গতকালই আদালতের নির্দেশে সিআইডি শাহজাহানকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছে। এদিকে হামলার দিন শেখ শাহজাহান কাদের ফোন করেছিলেন? তা তদন্ত করে দেখছে সিবিআই। ইডি আধিকারিকদের কাছ থেকে সেদিনের ঘটনা জানা হচ্ছে। যে ইডি আধিকারিকের মাথা ফেটেছিল, তাঁর বয়ান নিয়েছে সিবিআই। পাশাপাশি ইডি কি তথ্য পেয়েছে তাও জানতে চাইছে সিবিআই। একইসঙ্গে নিজাম প্যালেসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে শেখ শাহজাহানকে।

মার্চ ০৭, ২০২৪
রাজ্য

শেষমেশ দীর্ঘ টালবাহানার পর সিআইডির হাত থেকে সিবিআইয়ের হেফাজতে শাহজাহান

বহু টালবাহানা, বিভ্রান্তি, শেষমেশ সন্দেশখালির তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শেখ শাহজাহনকে হেফাজতে পেল সিবিআই। কোর্টের নির্দেশে শাহজাহানকে সিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তরে বাধ্য হল সিআইডি।বুধবার সকালে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, শেখ শাহজাহানকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতেই হবে। বুধবার বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, ধৃত বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতাকে সিবিআইয়ের হাতে হস্তান্তর করতেই হবে। এদিকে এদিন ইডি শেখ শাহজাহানকে হস্তান্তরে রাজ্য সরকারের অসহযোগিতার বিষয়টি তুলে ধরে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করে। তারপরই বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, বুধবার বিকেল ৪.১৫-র মধ্যে শেখ শাহজাহানকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে হবে। সেই মত এদিন ৪টের মধ্যে ভবানী ভবনে পৌঁছে যান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা। কিন্তু তখনও সন্দেশখালির বাঘকে হাতে পায়নি সিবিআই গোয়েন্দারা। ফলে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের দৃষ্টি আকর্ষণে ফের উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছে সিবিআই।এসবের মধ্যেই সন্ধ্যার মুখে ভবানী ভবনের পিছনের দরজা দিয়ে শেখ শাহজাহানকে এসএসকেএম হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এরপরই শাহজাহানকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেয় সিআইডি।সন্দেশখালি কাণ্ডে মঙ্গলবার দুপুরেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এছাড়াও, মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টের মধ্যে ধৃত শেখ শাহজাহানকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে হবে বলে নির্দেশ দেয় আদালত। খারিজ করে দেওয়া হয়েছে, সন্দেশখালি কাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্টের একক বেঞ্চের বিশেষ তদন্তকারী দলগঠনের নির্দেশ। উচ্চ আদালতের নির্দেশ মত, বিকেলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ভবানী ভবনে চলে আসে কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিকরা। অবশেষে টালবাহানার পর সন্ধ্যা ৭টার কিছু আগে সিবিআইয়ের হাতে শাহজাহানকে তুলে দেয় পুলিশ। সূত্রের খবর, সুপ্রিম কোর্টে মামলা রয়েছে বলে সিবিআই-কে জানিয়ে দেয় পুলিশ।গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালি কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত শাহজাহান। গত বৃহস্পতিবার মিনাখাঁর বামনপুকুর থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপর থেকে সিআইডির হেফাজতে রাখা হয়েছে বহিষ্কৃত এই তৃণমূল নেতাকে। শাহজাহানের পুলিশি হেফাজের নির্দেশের পরই ইডি তাঁকে হেফাজতে চাইতে আদালতের দ্বারস্থ হয়। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি ছিল, সন্দেশখালিতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের উপর হামলার ঘটনার তদন্ত রাজ্য পুলিশে আস্থা নেই। সিবিআই ও রাজ্য পুলিশকে নিয়ে গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দলেও কোনও ভরসা নেই। কারণ, রাজ্য পুলিশ এই মামলায় সহযোগিতা করবে না। তাই এই তদন্তভার শুধু সিবিআইকেই দেওয়া হোক। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ সেই আবেদন মঞ্জুর করে।আদালত সূত্রে খবর, সন্দেশখালিতে ইডি অফিসারদের উপর হামলার ঘটনায় ন্যাজাট থানায় দুটি এফআইআর (৮ ও ৯ নম্বর) দায়ের হয়েছিল। এছাড়া বনগাঁ থানায় আরও একটি এফআইআর (১৮ নম্বর) দায়ের হয়। ওই মামলার প্রেক্ষিতেই এই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চ।হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দ্রুত শুনানির আর্জি জানিয়ে মঙ্গলবারই সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানায় রাজ্য। কিন্তু, বিচারপতি সঞ্জীব খান্না তাতে সাড়া দেননি। প্রক্রিয়া মেনে মামলা হবে বলে জানানো হয়। বুধবার প্রক্রিয়া মেনে আবেদন হলেও রাজ্যের আবেদনে সাড়া দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। হাইকোর্টের নির্দেশই বহাল রাখে।

মার্চ ০৬, ২০২৪
রাজ্য

গ্রেফতার হতেই শাহজাহানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ তৃণমূল কংগ্রেসের, ১০ দিনের পুলিশ হেফাজত

বৃহস্পতিবার ভোরে পুলিশ শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করেছে। সন্দেশখালির খাঁচাবন্দি বাঘ-কে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এরপরই শাহজাহানকে সাসপেন্ড করার কথা ঘোষণা ক তৃণমূল। দলীয় সব পদ থেকে তাকে সরানো হল। ৬ বছরের এই সাসপেনশনের ঘোষণা করেন সাংসদ ডেরেক ওব্রায়ান। ওই সাংবাদি বৈঠকে ছিলেন, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারও।বৃহস্পতিবার ওব্রায়েন বলেছেন, আমরা শেখ শাহজাহানকে ৬ বছরের জন্য দল থেকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা যা বলি তা করি। আমরা অতীতে এই নজির স্থাপন করেছি, বর্তমানেও সেটাই আবার করলাম।মন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, দলের কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে তৃণমূল যে পদক্ষেপ করে, এটাই তার প্রমাণ। কিন্তু বিজেপি তো আর তৃণমূল নয়। আমরা প্রধানমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করছি, শুভেন্দু অধিকারী, হিমন্ত বিশ্বশর্মা বা নারায়ণ রাণেকে সাসপেন্ড করে দেখান উনি। মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী, ব্রিজ ভূষণ বা অজয় মিশ্র টেনির ব্যাপারে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে?শাহজাহানকে তৃণমূলের সাসপেন্ড প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, এত দিন তো দোষী মানাই হচ্ছিল না ওকে। গ্রেফতার বা সাসপেন্ড সবই নাটক। মুখ বাঁচাতে শাহজাহানকে সাসপেন্ড করল তৃণমূল। যে ভাবে আদালতে ঢুকছিলেন তিনি, তাতে তো মনে হয়নি গ্রেফতার। মনে হচ্ছিল পুলিশকেই গ্রেফতার করেছেন শাহজাহান।সন্দেশখালিতে তৃণমূলের বাহুবলী নেতা শাহজাহান গত ৫৫ দিন ধরে ফেরার ছিলেন। বৃহস্পতিবার ভোরে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে। বসিরহাট আদালত শাহজাহানকে ১০ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।আদালত শাহজাহানকে পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর পর এই তৃণমূল নেতাকে সিআইডি-র সদর দফতর কলকাতার ভবানী ভবনে নিয়ে আসে পুলিশ। সন্দেশখালি মামলাটি সিআইডির কাছে হস্তান্তরিত হয়েছে বলে সূত্রের খবর।উত্তর ২৪ পরগণা জেলার সন্দেশখালিতে জমি, ভেড়ি দখল এবং মহিলাদের যৌন হেনস্থা মামলায় শেখ শাহজাহান এবং তার সাগরেদরা মূল অভিযুক্ত। গর্জে উঠেছেন সন্দেশখালির মহিলারা। তবে এদিন তাঁকে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মূলত ইডি আধিকারিকদের হামলা, কাজে বাধা দেওয়ার জন্য। মুখ পুড়ছে তৃণমূলের। সঙ্গে ভোটের আগে বাড়ছে চাপ। সম্ভবত সে জন্যই এবার সাসপেন্ডের পদক্ষেপ করে শাহজাহানের সঙ্গে দূরত্ব তৈরির চেষ্টায় রাজ্যের শাসক দল।

ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২৪
রাজ্য

সন্দেশখালী কাণ্ডে মাস্টারমাইন্ড শেখ শাহজাহান গ্রেফতার প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন......

পুলিশের একটা ছিঁচকে মস্তান ধরতে ৫৭ দিন লাগল। তাহলে রাঘব বোয়ালদের তো পুলিশ কোনোদিন ধরবে না। নেতারা বলছেন ১ সপ্তাহ। পার্টির নেতারা ঠিক করে দিচ্ছেন কাকে কখন ধরতে হবে। ওখানকার মানুষ নিরন্তর লড়াই করেছেন। সাধারণ মানুষের দাবী অবশেষে পুলিশ মেনেছে। শুভেন্দু অধিকারী বলে দিয়েছেন। খবর ছিল। এটা সবাই জানে। সর্বভারতীয় চাপের জন্য পুলিশ গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়েছে। সারা দেশ জুড়ে ন্যাশনাল চ্যানেলে এই নিয়ে চর্চা হচ্ছিল। সবাই আমরা জানতাম ওখানেই আছে।কোর্টের কানমলা খেয়ে অবশেষে ধরতে বাধ্য হল। পুলিশ কেই ধরতে হতো। ইডি ওখানে জলে জঙ্গলে গিয়ে ধরতে পারত না। মুস্কিল ছিল। পুলিশের হাতেই ছিল। পুলিশই ধরেছে। আমরা গোড়া থেকেই বলছিলাম, পুলিশ জানে ও কোথায়। এখন বাধ্য হয়ে তাকে ধরা হয়েছে। এটা আগে হলে বিষয়টা বাড়ত না। এবার ওখানকার লোকেরা ঠিক করবেন তাদের জমি বাড়ি সব টাকা লুঠ হয়েছে সেগুলো তারা কীভাবে ফেরত চাইবেন। আমাদের ৪ কর্মী খুন হয়েছে। আমরা শাহাজাহানের নামে FIR করতে চেয়েছিলাম। পুলিশ তখন নেয়নি। এবার নিতে হবে। হাজার হাজার কোটি লুঠ হয়েছে। এটা প্রসেস শুরু হল। তৃণমূল জানে এবার পরপর লিস্ট আসবে। একদিন না একদিন তাদের সবাইকেই ধরতে হবে।

ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২৪
রাজ্য

৫৬ দিনের মাথায় কুনাল ঘোষের ঘোষিত সময়সীমার মধ্যে গ্রেফতার শেখ শাহজাহান

অবশেষে গ্রেফতার হলেন সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহান। ৫৫ দিনের টালবাহানার শেষ, ৫৬ দিনের মাথায় ভোর ৫টায় নিখোঁজ শাহজাহানকে মিনাখাঁ থেকে গ্রেফতার করা হল, পুলিশ সূত্রে এরকমই দাবি করা হচ্ছে।শেখ শাহজাহানকে বসিরহাট আদালতে নিয়ে আসা হয়েছে। আপাতত তাঁকে বসিরহাট আদালতের লকআপে রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবারই শাহজাহানকে আদালতে হাজির করানো হবে। পুলিস সুত্রে জানা গেছে, সকাল ৯ টায় রাজ্য পুলিশের এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার মিনাখাঁ থানায় সাংবাদিক বৈঠক করবেন বিশদে জানাবেন।শেখ শাহজাহানের গ্রেপ্তারী প্রসঙ্গে সন্দেশখালির প্রাক্তন বাম বিধায়ক নিরাপদ সর্দার জানান, দলনেত্রী মনে করেছেন ওঁর গ্রেফতারি প্রয়োজন তাই হয়েছে, এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারনা আদালতে উপস্থিত হয়ে ইডি ও শেখ শাহজাহানকে তাঁদের হেফাজতে চাইতে পারে।বিস্তারিত আসছেঃ

ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২৪
রাজ্য

অশান্তির সন্দেশখালিতে বাদশা, দেবদূতরা, শুনলেন অত্যাচারিতদের কথা

অশান্তির স্রোত বইছে সন্দেশখালির আনাচ-কানাচে। শাহজাহানদের বাগে না পেয়ে তাদের ঘনিষ্ঠদের বাড়িতেই ফি দিন চড়াও হচ্ছেন ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। জমি দখল-লুঠতরাজ-শাসানির বিরুদ্ধে প্রতিবাদের সুর চড়া হচ্ছে দিনে-রাতে। সন্দেশখালির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এক রকম পালা করে দ্বীপাঞ্চলে ছুটে যাচ্ছেন ডান-বাম রাজনৈতিক দল, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধি থেকে শুরু করে একাধিক ব্যক্তিত্ব। আজ গিয়েছেলিন বাম মনোভাবাপন্ন সাংস্কৃতিক কর্মী, অভিনেতা, চলচ্চিত্র শিল্পীদের কয়েকজন।এবার সন্দেশখালির সাধারণ মানুষের যন্ত্রণা-অভিযোগের কথা নিজে কানে শুনে এলেন বাদশা মৈত্র, দেবদূত ঘোষ, সৌরভ পালোধীরা। অশান্তি নিয়ন্ত্রণে উত্তর ২৪ পরগনার এই এলাকার দিকে দিকে ১৪৪ ধারা (Section 144) জারি করেছে পুলিশ। আর তাই আইন মেনেই এদিন এই দলটি গিয়েছিল সন্দেশখালিতে। ১৪৪ ধারার নিয়ম মেনে চারজন-চারজন করে ভাগ হয়ে সন্দেশখালির বাড়ি-বাড়ি ঘুরেছেন বাদশারা। শেখ শাহজাহান, সিরাজউদ্দিন, শিবু-উত্তমদের বিরুদ্ধে ভুরি-ভুরি অভিযোগ তাঁদের কাছে জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা।এদিন বাড়ি-বাড়ি ঘুরে একদিকে যেমন গ্রামবাসীদের অভাব-অভিযোগের কথা শুনেছেন তাঁরা তেমনই প্ররোচনায় পা না দিয়েই লড়াইয়ে থাকার বার্তা দিতেও দেখা গিয়েছে বাদশা মৈত্র, দেবদূত ঘোষেদের। এদিন সন্দেশখালির একটি বাড়ির উঠোনে দাঁড়িয়ে এক মহিলার সঙ্গে কথা বলতে দেখা গিয়েছে বাদশা মৈত্রকে।ওই মহিলার উদ্দেশে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, আপনারা যে লড়াইটা লড়ছেন, রাজ্যের বাকি মানুষদের মতো আমরাও সেই লড়াইয়ে আপনাদের পাশে আছি। রাতারাতি সব কিছুর বদল হবে না। দলমত নির্বিশেষে এই লড়াই। আইন হাতে তুলে নেবেন না। কোনও প্ররোচনায় পা দেবেন না। সন্দেশখালির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বাদশা। সেখানেও তাঁকে বলতে শোনা যায়, সন্দেশখালির মানুষজন আমাদের বলেছেন, যে ওই মানুষগুলো আবারও গ্রামে ফিরে এলে আমরা আর বেঁচে থাকতে পারব না।মঙ্গলবার সাংস্কৃতিক কর্মীদের এই দলটিতে বাদশা মৈত্র, দেবদূত ঘোষ ছাড়াও ছিলেন সৌরভ পালোধী, জয়রাজ ভট্টাচার্য, বিমল চক্রবর্তী, সীমা মুখোপাধ্যায়-সহ অন্যরা। উল্লেখ্য, সন্দেশখালির একদা বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহান এখনও অধরা। প্রায় ২ মাস কেটে গেলেও শাহজাহানের টিকিও খুঁজে পায়নি পুলিশ।এর আগে শাহজাহানকে গ্রেফতারে আদালতের স্থগিতাদেশ বিষয়টি নিয়ে ধন্দ তৈরি হয়েছিল। আদালতের জন্যই শাহজাহানকে গ্রেফতার করা যাচ্ছে না বলেও বিবৃতি মেলে কারও কারও তরফে। যদিও গতকালই বিষয়টি স্পষ্ট করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতারে কোনও স্থগিতাদেশ নেই বলেই স্পট করে দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম।

ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৪
রাজ্য

সন্দেশখালিতে নির্যাতনের প্রতিবাদে অভিনব প্রতিবাদ মহিলা সমিতির

সন্দেশখালি নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে সাধারণ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সল্টলেক অভিনব প্রতিবাদ সর্বভারতীয় গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির। মঙ্গলবার বিকাল থেকে মুখে কালো কাপড় বেঁধে সল্টলেক সিটি সেন্টার মেট্রো স্টেশনের সামনে হাতে পোস্টার ব্যানার নিয়ে সন্দেশখালিতে মহিলাদের উপর অত্যাচার তথা সারা বাংলা জুড়ে সাধারণ মানুষের উপর তৃণমূলের অত্যাচারের প্রতিবাদে সামিল হয় সর্বভারতীয় গণতান্ত্রিক মহিলা সমিত। পাশাপাশি শেখ শাহজাহান এখনো অধরা, কুনাল ঘোষের বক্তব্য চাইলেই শেখ শাহজাহানকে এক সপ্তাহের মধ্যে ধরা যেতে পারে পরিপ্রেক্ষিতে বিক্ষোভকারীরা বলেন সরকারি মদতে শাহজাহানকে আশ্রয় দিয়ে রাখা হয়েছে।

ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৪
রাজ্য

গ্রামবাসীদের ক্ষোভের আগুন জ্বলছেই সন্দেশখালিতে, এবারও লক্ষ্য তৃণমূল নেতাদের বাড়ি

সন্দেসখালিতে ক্ষোভের আগুন অব্যাহত। তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে মুখর গ্রামের মহিলারা। রবিবার আটকের পর ইতিমধ্যেই গ্রেফতার তৃণমূল নেতা ও শিবপ্রসাদ হাজরাদের অনুগামী বলে পরিচিত অজিত মাইতি। সোমবার সকালে বেড়মজুরের তৃণমূল নেতা হলধর আড়ির বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে। পুলিশ গেলেও পরিস্থিতি থমথমে। বেলা গড়াতেই ফের অশান্ত বেড়মজুর। স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য শঙ্কর সর্দারের বাড়িতে ভাঙচুর চালালেন সন্দেশখালির বিক্ষোভকারী মহিলাদের একাংশ।অভিযোগ, শাসক দলের প্রতাপে অনেকের স্বামীকে খুন পর্যন্ত করেছেন শঙ্কর সর্দার। এছাড়াও রয়েছে, আদিবাসীদের জমি দখল, জব কার্ডের টাকা আত্মসাতের বহু অভিযোগ।শঙ্কর সর্দারের বাড়িতে হামলার খবর পেয়েই সেখানে পৌঁছায় পুলিশ। মারমুখী গ্রামবাসীদের পুলিশ বাধা দিতে গেলে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে তুমুল বচসা হয়। আইন নিজের হাতে তুলে না নেওয়ার জন্য সতর্ক করে পুলিশ। কিন্তু, গ্রামবাসীদের দাবি, শঙ্কর সর্দারকে গ্রেফতার না করা পর্যন্ত এই বিক্ষোভ চলবে।৫৩ দিন পরও এখনও বেপাত্তা শেখ শাহজাহান। এরপর পুলিশ শাহজাহান সহযোগী উত্তম সর্দার ও শিবপ্রসাদ হাজরাকে গ্রেফতার করে। পরে উত্তম জামিনে মুক্ত হলেও এখনও গারদে শিবপ্রসাদ। এঁদের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন ও মহিলাদের সম্মানহানির অভিযোগে গর্জে ওঠেন সন্দেশখালির মহিলা। লাঠি, ঝাঁটা হাতে পথে নামেন তারা। ক্ষোভের আগুন আঁচ করে এসবের মধ্যে অজিত মাইতিকে দলীয় পদ থেকে সরায় তৃণমূল। কিন্তু, তাতে রেহাই মেলেনি। রবিবার প্রাণ বাঁচাতে অজিত মাইতি নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। পরে তাঁকে আটক করে পুলিশ সোমবার সকালে গ্রেফতার করা হয় এই তৃণমূল নেতাকে। যদিও তাতে ক্ষোভ প্রশমিত হয়নি। গ্রামবাসীদের রোষে এবার সন্দেশখালির হলধর আড়ি ও শঙ্কর সর্দার।

ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৪
রাজনীতি

মার্চে তৃণমূলের জণগর্জন ব্রিগেডে, কে শাহজাহান? কেন গ্রেফতার নয়? খোলসা করলেন অভিষেক

১০ মার্চ ব্রিগেড সমাবেশের ডাক দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই সভার নাম দেওয়া হয়েছে জণগর্জন। আবাস যোজনার টাকা বন্ধ সহ কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে এই সমাবেশ করবে তৃণমূল। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ব্রিগেড সমাবেশের কথা ঘোষণা করেছেন। তবে এই সমাবেশে অন্য কোনও বিজেপি বিরোধী নেতৃত্বকে আমন্ত্রণ জানানো হবে না বলে অভিষেক জানিয়েছেন।অভিষেকের দাবি, এটা ট্রেলর। সিনেমা দেখা যাবে ভোটের সময়। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে এই সমাবেশ। একাধিক প্রকল্পের টাকা কেন্দ্রীয় সরকার বন্ধ করে দিয়েছে। বিজেপি ভোটের সময় মানুষকে ভুল বোঝাতে চাইছে।এদিন সন্দেশখালি নিয়ে মুখ খোলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে তিনি বলেছিলেন শাহজাহান কি করেছে? আজ বলেছেন, কে শাহজাহান? অভিষেক বলেন, কে শেখ শাহজাহান? পার্থ চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে রেয়াত করেনি। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছি ব্যবস্থা নিয়েছি। আদালত স্টে অর্ডার দিয়েছে তাই পুলিশ গ্রেফতার করতে পারছে না শেখ শাহজাহানকে। শেখ শাহজাহানকে জুডিশিয়ারি গার্ড করছে। বিজেপিকে ফুটেজ দিতে এই কাজ করছে। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন। কেউ যদি অন্যায় করে তৃণমূল কংগ্রেস রেয়াত করবে না।

ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৪
রাজনীতি

ফের তৃণমূলের দুুই মন্ত্রী সন্দেশখালিতে, ড্যামেজ কন্ট্রোলে মরিয়া চেষ্টা

৫১ দিনেও ধরা গেল না সন্দেশখালির ত্রাস শেখ শাহজাহানকে। ফুঁসছে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি। অগ্নিগর্ভ বেড়মজুর, ঝুপখালি অঞ্চল। ডিজি গেলেও কিন্তু ল গ্রামবাসীদের ক্ষোভে প্রলেপ পড়েনি। এলাকায় বিশাল পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বেশ কয়েকটি জায়গায় বসানো হয়েছে সিসিটিভি। সন্দেশখালির ঘটনায় শাহজাহান ঘনিষ্ঠ শিবু হাজরা গারদে থাকলেও তৃণমূলের অস্বস্তি ক্রমেই যেন ঊর্ধ্বমুখী। এই পরিস্থিতিতে শনিবার সকালে ফের সন্দেশখালি গিয়েছেন সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। সঙ্গে রয়েছেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। এদিকে, সন্দেশখালিতে ঢুকতে এদিন ডিওয়াইএফআই নেত্রী মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায় সহ বাম কর্মী, সমর্থকদের আটকে দিয়েছে পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েছেন এই বাম যুবনেত্রী। ১৪৪ ধারা জারির কারণেই মিনাক্ষীদের ঢুকেতে দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছে পুলিশ।শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে নারী নির্যাচনের অভিযোগে সোচ্চার সন্দেশখালি ও সংলগ্ন অঞ্চলের মহিলারা। লাঠি, বাঁশ হাতে তাঁদের চরম বিক্ষোভ দেখা গিয়েছে। অভিযোগ শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ দুই তৃণমূল নেতা শিবপ্রসাদ হাজরা, উত্তম সর্দাররা বহু স্থানীয়র জমি, ভেড়ির অংশ দখল করেছে। এমনকী সেচের খালও তাদের কব্জায়। তৃণমূলের তরফে অভিযোগ খতিয়ে দেখে সেসব ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ক্ষোভের আগুন তাতে কমছে না।শনিবার সকালে ফের সন্দেশখালি গিয়েছেন সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। সঙ্গে রয়েছেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। মূলত সেচের কোন খাল, জমি শাহজাহান বাহিনী দখল করেছে তা দেখতেই দুই মন্ত্রীর সেখানে য়াওয়া বলে সূত্রের খবর। এসবের মধ্যেই শেখ শাহজাহানের কথা উঠতেই দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু বলেছেন, আমাদের দল কাউকে রেয়াত করে না, এক্ষেত্রেও করবে না। তৃণমূল অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয় না। ইতিমধ্যেই আমাদের কাছে আড়াইশো অভিযোগ জমা পড়েছে। দেড়শোর কাছাকাছি অভিযোগের তদন্ত হয়েছে। একশোটি অভিযোগের সমাধান আমরা করেছি। জমি ফেরত দিয়েছি। এখন গ্রাবাসীদের সঙ্গে কথা বলছি। জানছি কার কিসে ক্ষোভ।এদিকে পুলিশকে লুকিয়ে এদিন ঘুরপথে সন্দেশখালিতে ঢোকার চেষ্টা করেন বাম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। ধৃত প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে যান তিনি। এরপর সন্দেশখালিতে ঢোকার মুখে বাধা দেওয়া হয় তাঁকে। পুলিশ জানায় ১৪৪ ধারা জারি থাকায় তাঁদের আর যেতে দেওয়া হবে না। পুলিশের সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন মিনাক্ষী। পুলিশকে তিনি প্রশ্ন করেন, কেন ভয় দেখাচ্ছেন? পার্থ ভৌমিক, সুজিত বসুরা কীভাবে সন্দেশখালিতে ঘুরছেন। কীভাবে ধানি জমিতে ভেড়ি হল? এতদিন কেন জমি ফেরৎ দেওয়া হল না? দুয়ারে সরকারে কেন এগুলো হল না? দুই মন্ত্রী হলেন শিবু, শাহজাহান, উত্তমদের দলের লোক। সিপিএম আমলে এরা মাথাচাড়া দেয়নি। তৃণমূলের বারো বছরে এইসব দুষ্কৃতীরা মাথায় উঠেছে। মানুষ অতিষ্ট।সন্দেশখালিতে ব্যাকফুটে তৃণমূল? জানা গিয়েছে, এদিন তৃণমূল নেতা বিনয় সর্দারের বাবা ও ভাইকে দেখেই তেড়ে যান গ্রামবাসীরা। উত্তেজনা ছড়ায়। এরপরই পুলিশ গিয়ে দুই গ্রামবাসীকে আটক করেছে।

ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৪
রাজ্য

সন্দেশখালিতে আটকাতেই পুলিশ নিয়ে সন্দেহ সিপিএমের মিনাক্ষীর! কেন?

ঘুরপথে সন্দেশখালিতে পৌঁছে গিয়েছিলেন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিল তাঁর দলবল। তবে, শেষরক্ষা হয়নি। সন্দেশখালির ভিতরের গ্রামে আর ঢুকতে দেওয়া হয়নি বাম সংগঠনের কর্মীদের। পুলিশ তাদের আটকে দেয়। উর্দিধারীরা মিনাক্ষীদের জানিয়ে দেন, ১৪৪ ধারা জারি থাকায় সন্দেশখালির মধ্যে তাঁরা যেতে পারবেন না। যা শুনেই পুলিশের সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়ান এই বাম নেত্রী। মীনাক্ষী পুলিশকে প্রশ্ন করতে থাকেন, কেন যাব না? আমরা কি তাহলে চলে যাব? থানায় যাব কি? কী করব.. আরে বলুন কিছু। জবাব দেয়নি পুলিশ। এরপরই তাঁর পথ আটকে রাখা বেশ কয়েকজনকে দেখে সন্দেশ প্রকাশ করেন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক।আগেই সন্দেশখালির মহিলাদের একাংশ দাবি করেছেন, রাত্রিবেলা পুলিশের পোশাকে এসে তাঁদের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। মিনাক্ষীর প্রশ্নে এই সেই সন্দেহ যেন ফের চাগিয়ে উঠল।একসময় একদিকে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, তাঁর ঠিক উল্টোদিকে পুলিশ ব়্যাফ। চলছে প্রবল বাদানুবাদ। তার মাঝেই হঠাৎ মিনাক্ষী বলে ওঠেন, তোমার নাম কী গো? তোমাদের নেমপ্লেট কোথায়? তারপরই বলে ওঠেন, ছবি তোল, পুলিশের পোশাকে তৃণমূল কর্মীরা এসেছে। মুখ ঢাকা কেন? এরা পুলিশ তো? তাঁর পথে বাধা হয়ে দাঁড়ানো পুলিশ কর্মীদের দেখে মিনাক্ষী বলেন, এদের নখ বড় কেন? নেলপলিশ পরে আছে পুলিশ কর্মী! এরা কেউ পুলিশের লোক নাকি। এদের নখ দেখলেই বোঝা যাচ্ছে এরা পুলিশের কর্মী নয়। সব তৃণমূল কর্মী।পরে মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলেন, পুলিশ কী চাইছে সেটা ওদের জিজ্ঞেস করে দেখা হোক। ১৪৪ ধারা যদি থাকেও তাহলে ১৪৪-এ একজন যেতে পারে তো? পুলিশ যেভাবে বলবেন সেভাবে যাব। মানুষের সঙ্গে কথা বলতে তো বাধা নেই। আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ আছে। মানুষ জমি ফেরত চায়, শেখ শাহজাহানদের শাস্তি চায়। পুলিশ, মানুষ, বিডিওর সঙ্গে কথা বলতে চাই। এভাবে বেআইনিভাবে আটকাতে পারে না পুলিশ। এটাই হচ্ছে এই রাজ্যের পুলিশের চরিত্র।বাম নেত্রীর হুঙ্কার, যদি চাষের জমি থেকে থাকে তাহলে তা কীভাবে ভেড়ি হয়ে গেল? আমাদের কাছে লিখিত সব রয়েছে। বেআইনি কাজ করছে। এই বেআইনি কাজের জন্য ওনার (পুলিশ আধিকারিক) বিরুদ্ধেই অভিযোগ করব। মহিলা কমিশনে ওনার বিরুদ্ধে কমপ্লেন করব, তারপর ওনার বিরুদ্ধে মামলা ঠুকব। তারপরে উনি কোন বাড়িতে থাকেন, কোন থানাতে থাকেন, সেই থানাতেও কর্মসূচি হবেএরাই রাতের অন্ধকারে, যারা কমপ্লেন করছে, তাদের বাড়ি ঘরদোর এরা ভাঙছে। যারাই অভিযোগ করছে, তাদের ফোন করে হুমকি দিচ্ছে। যারাই সাহস করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে, পুলিশের বিরুদ্ধে কথা বলছে তাদেরকেই এরা ভয় দেখাচ্ছে।

ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৪
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

ফলতায় মহিলাদের ক্ষোভের মুখে নির্বাচন পর্যবেক্ষক! ছাতা হাতে ধাওয়া, স্লোগানে উত্তেজনা

ফলতায় নির্বাচন কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষক সি মুরুগান বৃহস্পতিবার মহিলাদের প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়েন। বৃদ্ধ ভোটারদের তালিকা যাচাই করতে তিনি দেবীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পায়রাচালি এলাকায় যান। ৮৫, ৮৬ ও ৮৭ নম্বর বুথের ভোটাররা ঠিক আছেন কিনা, তাঁরা জীবিত কিনাসেটা খতিয়ে দেখতে তিনি বাড়ি বাড়ি যাচ্ছিলেন।ঠিক সেই সময় এলাকার তৃণমূল-সমর্থিত মহিলাদের একদল হঠাৎ বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। কেউ ছাতা হাতে তেড়ে যান, কেউ আঙুল তুলে স্লোগান দিতে থাকেন। অভিযোগ করতে থাকেনকেন গ্রামে রাস্তা হয়নি, কেন ঘর পাচ্ছেন না, কেন ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ। এসব উন্নয়নমূলক অভিযোগই তাঁরা পর্যবেক্ষকের সামনে তুলতে থাকেন।মুরুগান পরে জানান, এই ধরনের অভিযোগের সঙ্গে এসআইআর-এর কোনও সম্পর্ক নেই। এসআইআর হল ভোটার তালিকা সংক্রান্ত প্রক্রিয়া, উন্নয়ন বা সরকারি প্রকল্পের কাজ নয়এই বিষয়টি তিনি স্পষ্ট করেন। তবুও বিক্ষোভ থামেনি।ঘটনায় অসন্তুষ্ট মুরুগান জানান, তিনি পুরো ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট আজই জাতীয় নির্বাচন কমিশনে পাঠাবেন। তাঁর কথায়, আপত্তি থাকলেও এসআইআর-এর কাজ নিয়মমতো চলবে। বিক্ষোভের জেরে এলাকায় কিছুক্ষণ উত্তেজনা তৈরি হয়, তারপর পর্যবেক্ষক সেখান থেকে ফিরে আসেন।

ডিসেম্বর ১১, ২০২৫
কলকাতা

‘বাংলার দত্তক সন্তান হতে চাই’—ভোটার তালিকায় নাম চান রাজ্যপাল, আলোড়ন রাজ্যে

রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস বাংলার ভোটার হতে শেষ মুহূর্তে আবেদন করলেন। বৃহস্পতিবার এনুমারেশন ফর্ম জমা দেওয়ার শেষ দিনেই লোকভবনে গিয়ে বিএলও এবং সুপারভাইজারদের হাতে আবেদনপত্র তুলে দেন তিনি। রাজ্যপালের কথায়, তিনি বাংলার দত্তক সন্তান হতে চান। রবীন্দ্রনাথের বাংলায়, নেতাজির আদর্শে বড় হওয়া বাংলার সঙ্গে মানসিক ভাবে যুক্ত থাকতে চান তিনি। নিজে বোস পদবীর মানুষএই বাংলার ভোটার হওয়ার ইচ্ছা তাঁর অনেক দিনের।চৌরঙ্গী বিধানসভার ১৬২-র ৩৮ নম্বর পার্টের ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডে তাঁর নাম তোলা হবে। আজ সকালে ওই এলাকার বিএলও গৌরাঙ্গ মালাকার রাজ্যপালের কাছে গিয়ে প্রয়োজনীয় নথি ও ফর্ম নেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সুপারভাইজার অশোক তিওয়ারি ও জয়ন্ত ঘোষ। গৌরাঙ্গবাবু জানান, আগেই তাঁরা ফর্ম দিয়ে গিয়েছিলেন। এবার রাজ্যপাল নিজে নতুন ফর্ম পূরণ করে জমা দিয়েছেন।রাজ্যপাল হয়ে বাংলায় এসে আনন্দ বোস বারবারই জানিয়েছেন, বাংলা ভাষার প্রতি তাঁর গভীর টান আছে। বাংলা শেখার চেষ্টা করেছেন, সরস্বতী পুজোয় রাজভবনে হাতে খড়িও নিয়েছেন। তাঁর দায়িত্বের শুরুতে রাজনৈতিক মহলের ধারণা ছিল, রাজভবন ও রাজ্যের সম্পর্ক হয়তো স্বাভাবিক থাকবে। তবে পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয় এবং সেই সম্পর্কে ভাঙন দেখা দেয়।প্রথমে শোনা গিয়েছিল, তিনি কেরলের ভোটার হওয়ায় বাংলার ভোটার হতে চান না। কিন্তু পরে মত বদলে তিনি আগ্রহ দেখান। নিয়ম অনুযায়ী, রাজ্যপাল চাইলে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের ভোটার হতে পারেন। শুধু লোকভবন থেকে নির্বাচন কমিশনে একটি চিঠি গেলেই তাঁর নাম ভোটার তালিকায় যোগ হয়। সাধারণ নাগরিকের মতো যাচাইপ্রক্রিয়াও নেই।

ডিসেম্বর ১১, ২০২৫
দেশ

মহা টুইস্ট! বাইজুর বিরুদ্ধে ‘বিলিয়ন ডলারের ষড়যন্ত্র’? আদালতে বিস্ফোরক তথ্য ফাঁস

বাইজুর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে দেওয়া আগের রায় পাল্টে দিল ডেলাওয়ারের দেউলিয়া আদালত। প্রায় দুই সপ্তাহ আগে বাইজু রাভীন্দ্রনকে ১.০৭ বিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। অভিযোগ ছিল, বাইজুর সাবসিডিয়ারি Byjus Alpha-র টাকা অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। তবে নতুন শুনানিতে আদালত জানায়, ক্ষতিপূরণের পরিমাণ এখনো ঠিক হয়নি। জানুয়ারি ২০২৬-এ নতুন পর্বে শুরু হবে ক্ষতির হিসেব নির্ধারণের প্রক্রিয়া।এর আগে আদালত বলেছিল, একাধিকবার নির্দেশ অমান্য করেছেন রাভীন্দ্রন। তাই চারটি আলাদা গণনায় মোট ১.০৭ বিলিয়ন ডলার দিতে হবে এবং সম্পূর্ণ হিসেব দিতে হবে Alpha Funds-এর। Byjus Alpha তৈরি হয়েছিল ২০২১ সালে ১.২ বিলিয়ন ডলারের টার্ম লোন তোলার জন্য। ঋণদাতারা দাবি করেছিলেন, এর মধ্যে ৫৩৩ মিলিয়ন ডলার রাউন্ড-ট্রিপ করে রাভীন্দ্রন ও তাঁর সংস্থাগুলিতে গেছে। যদিও বাইজুর প্রতিষ্ঠাতা পক্ষ এই অভিযোগ নস্যাৎ করেছেন।নতুন সিদ্ধান্তের পরে রাভীন্দ্রনের আইনজীবীরা পাল্টা দাবি তুলেছেন যে ঋণদাতা GLAS Trust এবং অন্যান্যরা আদালত ও জনসাধারণকে ভুল তথ্য দিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, এই ভুল তথ্যের জেরে কোম্পানি ভেঙে পড়েছে, প্রায় ৮৫,০০০ মানুষ চাকরি হারিয়েছেন এবং ২৫ কোটি ছাত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাভীন্দ্রন জানিয়েছেন, তিনি আদালতে প্রমাণ দেখাবেন যে ৫৩৩ মিলিয়ন ডলার ব্যক্তিগত সুবিধার জন্য নয়, বরং নিয়ম মেনে Think Learn-এ বিনিয়োগ করা হয়েছিল।আইনজীবীদের দাবি, GLAS Trust জানতে না পারার যে দাবি করেছে, তা মিথ্যা। ২০২৫ সালের এপ্রিল থেকেই তাদের কাছে থাকা নথি প্রমাণ করে যে Alpha-তে পাঠানো টাকা ভারতীয় আইন মেনে কোম্পানিতে ফিরেই বিনিয়োগ হয়েছিল।রাভীন্দ্রন আরও বলেন, আদালতকে বিভ্রান্ত করা হয়েছে এবং এই ভুল তথ্যের জন্য GLAS Trust ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে তিনি নতুন আইনি ব্যবস্থা নিতে পারেন। তাঁর পক্ষের আইন উপদেষ্টা জানিয়েছেন, বছরের শেষের আগেই ২.৫ বিলিয়ন ডলারের পাল্টা মামলা দায়ের করা হবে।

ডিসেম্বর ১১, ২০২৫
দেশ

রাতবিরেতে ট্রেন থেকে তুলে নিয়ে গেল পুলিশ! কেন গ্রেপ্তার প্রাক্তন আইপিএস অমিতাভ ঠাকুর

লখনউ পুলিশ বুধবার ভোররাতে প্রাক্তন আইপিএস অফিসার অমিতাভ ঠাকুরকে গ্রেপ্তার করেছে। অভিযোগ, ১৯৯৯ সালে উত্তরপ্রদেশের ডোরিয়া জেলার পুলিশ সুপার থাকা অবস্থায় তিনি নিজের প্রভাব খাটিয়ে ভুয়ো নথি বানিয়ে স্ত্রীর নামে একটি শিল্প প্লট দখল করেছিলেন। সেই মামলাতেই তাঁর বিরুদ্ধে নতুন করে তদন্ত শুরু হয় এবং গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়।মঙ্গলবার গভীর রাতে তিনি ট্রেনে করে লখনউ হয়ে দিল্লি যাচ্ছিলেন। রাত প্রায় ২টোয় শাহজাহানপুর জংশনে তাঁকে আটক করে লখনউ পুলিশ। এরপর কঠোর নিরাপত্তায় তাঁকে ডোরিয়া নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা পরীক্ষা করানো হয় এবং পরে মুখ্য বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) আদালতে পেশ করা হয়। আদালত তাঁকে ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।পুলিশ জানিয়েছে, ডোরিয়া সদর কোতোয়ালি থানায় ১০২১/২৫ নম্বর মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪১৯, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৩৪ ও ১২০বি ধারায় অভিযোগ রয়েছে। মামলার মূল অভিযোগভুয়ো কাগজ দেখিয়ে অবৈধভাবে শিল্প প্লট দখল করা।আদালতে ঢোকার সময় অমিতাভ ঠাকুর দাবি করেন, তিনি সরকার ও প্রশাসনের দুর্নীতি প্রকাশ করেন বলেই তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। তাঁর আরও অভিযোগ, আমাকে খুন করার প্ল্যানও করা হতে পারে। ক্ষমতাবানদের বিরুদ্ধে কথা বললে এমনটাই হয়।তাঁর এই মন্তব্যে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে উত্তরপ্রদেশে।

ডিসেম্বর ১১, ২০২৫
বিদেশ

৯ কোটি দিলেই আমেরিকান? নাগরিকত্ব বিক্রির পথে ট্রাম্প, তীব্র বিতর্ক

আমেরিকায় এবার খোলাখুলি বিক্রি হবে নাগরিকত্বএমনই বিস্ফোরক ঘোষণা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার তিনি জানান, তাঁর তৈরি করা নতুন গোল্ড কার্ড বাজারে আসতে চলেছে। এই কার্ড কিনতে খরচ হবে ১ মিলিয়ন থেকে ৫ মিলিয়ন ডলার, অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৯ কোটি থেকে ১৮ কোটি টাকা।ট্রাম্পের দাবি, এই গোল্ড কার্ড আমেরিকায় বৈধভাবে থাকার সুযোগ দেবে এবং পরবর্তীতে নাগরিকত্ব পাওয়ার পথ আরও সহজ করবে। ইতিমধ্যেই সরকারি ওয়েবসাইটে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।এই গোল্ড কার্ড চালু হলে বাতিল হয়ে যাবে আগের ইবি-৫ ভিসা, যা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য তৈরি হয়েছিল ১৯৯০ সালে। ট্রাম্পের কথা অনুযায়ী, এবার শুধুমাত্র যোগ্য ও দক্ষ কর্মীরাই আমেরিকায় প্রবেশের সুযোগ পাবেন। পাশাপাশি কার্ড বিক্রির টাকা যাবে ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টে, যা দেশের উন্নয়নে কাজে লাগানো হবে।প্রথমে এই কার্ডের দাম ছিল ৫ মিলিয়ন ডলার। পরে তা কমিয়ে ১ মিলিয়ন ও ২ মিলিয়ন ডলারে নামানো হয়েছে। ট্রাম্প নিজেই বলেছেন, মূলত এটা গ্রিন কার্ড, তবে আরও শক্তিশালী, আরও সরাসরি নাগরিকত্ব পাওয়ার পথ।মার্কিন সংস্থাগুলি চাইলে এই কার্ড কিনে বিদেশি কর্মীদের নিয়োগ করতে পারবে। তবে আবেদনের শর্ত, সীমা বা কতজন আবেদন করতে পারবেন, সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানাননি ট্রাম্প।এরই মধ্যে ট্রাম্পের এই পরিকল্পনার তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। বিরোধীরা বলছেন, আর্থিক লাভের জন্যই ট্রাম্প নাগরিকত্ব বিক্রির পথ খুলে দিয়েছেন। তাঁর রাজনৈতিক ক্যারিয়ার গড়ে উঠেছে অভিবাসন ও সীমান্ত নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করেএবারেও তাঁর ক্যাম্পেইন স্লোগান ছিল মেক আমেরিকা গ্রেট এগেন। প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে তিনি হাজার হাজার বেআইনি অভিবাসীকে দেশে ফেরত পাঠিয়েছেন।

ডিসেম্বর ১১, ২০২৫
রাজ্য

শাহজাহানের সাক্ষীর ছেলের মৃত্যুর পরও কেন অভিযোগ নয়? ভোলার নীরবতায় তীব্র সন্দেহ

শেখ শাহজাহানের অন্যতম সাক্ষী ভোলানাথ ঘোষের গাড়ি দুর্ঘটনাকে ঘিরে প্রশ্নে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। এই দুর্ঘটনায় ভোলার ছোট ছেলে ও গাড়ির চালকের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, এত বড় ঘটনার পরও ন্যাজাট থানায় এখনও কোনও লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি। অথচ সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে ভোলানাথ একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ করে চলেছেন।ছেলে মারা গিয়েছে, চালকও নেইএত কিছু ঘটার পরও কেন পরিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করছে না, তা নিয়ে আরও প্রশ্ন উঠছে। বুধবার বিকেলে দুর্ঘটনার পরই পুলিশ প্রাথমিক তদন্ত শুরু করে। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ন্যাজাট থানার পুলিশ ও ফরেনসিক টিম নমুনা সংগ্রহ করে। আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজও সংগ্রহ করা হয়েছে।গাড়িতে তিনজন ছিলেনভোলানাথ, তাঁর ছোট ছেলে এবং চালক। বাকি দুজনের মৃত্যু হওয়ায় বেঁচে থাকা ভোলানাথই এই ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী। সাংবাদিকদের সামনে তিনি খোলাখুলি ঘটনার কথা বলেছেন। কিন্তু পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ না দেওয়ায় তদন্তও এগোতে পারছে না।মিনাখাঁর এসডিপিও কৌশিক বসাক জানিয়েছেন, এখনও কোনও অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তারপর তদন্ত শুরু হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা করলে তা শুরুতে অজ্ঞাতপরিচিতর বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগেই হবে। তাতে মৌখিক অভিযোগে যাদের নাম উঠে এসেছে, তাদের বিরুদ্ধে সরাসরি মামলা করা কঠিন হবে। সে কারণেই লিখিত অভিযোগ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।তবে সূত্র বলছে, অভিযোগ না এলেও পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করতে পারে। সেই সম্ভাবনাই বেশি।

ডিসেম্বর ১১, ২০২৫
রাজ্য

জেল থেকেই খুনের ছক? তার মাঝেই সিবিআইয়ের রিপোর্টে বেরিয়ে এল আরও ভয়ানক তথ্য!

আদালতে সাক্ষ্য দিতে যাওয়ার পথে মারাত্মক দুর্ঘটনার শিকার হন শেখ শাহজাহানের অন্যতম সাক্ষী ভোলানাথ ঘোষ। সেই দুর্ঘটনায় তাঁর ছেলে এবং গাড়ির চালকের মৃত্যু হয়। এরপরই নতুন করে শাহজাহানের নাম ঘিরে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। অভিযোগ উঠছে, জেলের ভিতর থেকেই এই খুনের পরিকল্পনা করেছেন শাহজাহান। রাজনীতিতে তাপমাত্রা আরও বাড়ছে।এদিকে মঙ্গলবার সন্দেশখালিকাণ্ডে শাহজাহানের বিপদ আরও বাড়িয়ে দিল সিবিআই। জমি দখল মামলার অনুসন্ধান রিপোর্ট কলকাতা হাইকোর্টে জমা করেছে তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআইয়ের দাবি, এতদিন এলাকায় ক্যাম্প অফিস করে এবং গ্রামের মানুষদের কাছ থেকে একের পর এক অভিযোগ সংগ্রহ করে যে তদন্ত চালানো হয়েছিল, তাতে প্রায় তিন হাজার অভিযোগের মধ্যেই শক্ত প্রমাণ মিলেছে।সিবিআই সূত্র জানিয়েছে, জমি দখলের ঘটনায় শাহজাহানের বাহিনী সরাসরি যুক্ত ছিল। অনুসন্ধানে আরও উঠে এসেছেএই পুরো দখলচক্রের নেতৃত্ব দিতেন শাহজাহানের ভাই। হাইকোর্টে জমা দেওয়া রিপোর্টে এই অভিযোগগুলির সারবত্তা রয়েছে বলেই দাবি তদন্তকারীদের।আইনজীবীদের মতে, আদালতে এই রিপোর্ট সত্য বলে প্রমাণিত হলে শাহজাহানের উপর চাপ আরও বাড়বে। তাঁর জামিন পাওয়াও কঠিন হয়ে যেতে পারে।উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে রেশন দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে প্রথমবার ইডি সন্দেশখালিতে বাধার মুখে পড়ে। সেই ঘটনার পর থেকেই ধীরে ধীরে উঠে আসে জমি দখল, ভয় দেখানো, দাদাগিরিঅসংখ্য অভিযোগ। এবার সিবিআইয়ের রিপোর্টে সেগুলির অনেকটাই পোক্ত প্রমাণ পেয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

ডিসেম্বর ১১, ২০২৫
দেশ

তিলোত্তমা কাণ্ডে আন্দোলনের মুখ, তাই কি বদলি? সুপ্রিম কোর্টে ফাঁস রাজ্যের বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ

অনিকেত মাহাতোকে নিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে বড় ধাক্কা দিল সুপ্রিম কোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের রায়ই বহাল থাকল দেশের সর্বোচ্চ আদালতে। বিচারপতি জে কে মাহেশ্বরীর ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেঅনেকের মতোই অনিকেতকে রায়গঞ্জ নয়, রাখতে হবে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজেই। রাজ্যের করা মামলা পুরোপুরিই খারিজ হয়ে গেছে সুপ্রিম কোর্টে।ঘটনার শুরু ২৭ মে ২০২৫-এ। সেই দিন এক বিজ্ঞপ্তিতে অনিকেত মাহাতোর পোস্টিং বদলে তাঁকে পাঠানো হয় রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে। অনিকেত দাবি করেন, তাঁর র্যাঙ্ক ২৪ এবং আরজি করের অ্যানাস্থেসিয়া বিভাগে ৪টি শূন্যপদ রয়েছে। তাঁর আগে থাকা একজনকে নিয়োগ দেওয়া হলেও বাকি পদে তাঁকে নেওয়া হয়নি। এরপরই তিনি মামলা করেন হাইকোর্টে।প্রথমে মামলাটি যায় একক বেঞ্চে, পরে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর ডিভিশন বেঞ্চে। সেখানেই বিচারপতি বসু স্পষ্ট বলেন, এসওপি (SOP) তৈরি হয় সকলের সমানাধিকারের জন্য। রাজ্য এসওপি না মেনে সংবিধানের ১৪ নম্বর ধারা লঙ্ঘন করতে পারে না। সেই যুক্তিতেই ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়অনিকেতকে আরজি করেই পোস্টিং দিতে হবে।রাজ্য এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেছিল সুপ্রিম কোর্টে। কিন্তু দেশের সর্বোচ্চ আদালতও হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছে। অর্থাৎ অনিকেতের পোস্টিং থাকবে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজেই।তিলোত্তমার ঘটনার পর চিকিৎসকদের আন্দোলনের অন্যতম মুখ ছিলেন অনিকেত মাহাতো। তিনি অনশনেও বসেছিলেন। তাই কি তাঁর বদলি রায়গঞ্জে হয়েছিল? অনিকেত নিজেও মনে করেন, আন্দোলনে সরব থাকার জন্যই হয়তো তাঁকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল।

ডিসেম্বর ১১, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal