EURO 2020: স্পেনকে হারানোর পর স্বপ্ন বেড়ে গিয়েছে অভিমানী মানচিনির
নাসরীন সুলতানা২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে না পারার কী শাপমোচন হতে চলেছে ইতালির? প্রায় কাছাকাছি পৌঁছে গেছে রবার্তো মানচিনির দল। মঙ্গলবার রাতে লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে লুই এনরিকের স্পেনকে রোমাঞ্চকর, রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে টাইব্রেকারে ৪২ গোলে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে গেছে ইতালি। সামনে মাত্র আর একটা হার্ডলস।আরও পড়ুনঃ মার্টিনেজ যেন ১৯৯০ র গাইকোচিয়া। কোপা ফাইনালে মেসি-নেইমারএকসময় ইতালি ছিল বিশ্ব ফুটবলে রীতিমতো সাড়া জাগানো দল। মাঝে শক্তিক্ষয় করে অনেকটা পেছনের সারিতে চলে গিয়েছিল। ২০১৮ বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন করতে না পারাটা ইতালির কাছে ছিল একটা বড় ধাক্কা। ১৯৫৮ সালের পর সেবছর প্রথম বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি ইতালি। ইওরো কাপে ইতালি যে চমক দেখাতে পারে, বছর দুয়েক আগেও অতিবড় আজুরি সমর্থকও ভাবতে পারেননি। কিছুদিন আগে পর্যন্তও ইতালি ছিল বিদ্রুপের উপাদান। ইতালি যে সাফল্য পেতে পারে কেউ বিশ্বাস করেনি। রবার্তো মানচিনির কোচিংয়ে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় ইতালি। স্পেন বধের পর বিশ্বাসটা বেড়েছে।আরও পড়ুনঃ স্প্যানিশ তারকা এডু গার্সিয়াকে ছেড়ে দিচ্ছে এটিকেমোহনবাগানস্পেনকে হারানোর পর কিছুটা যেন অভিমানী ইতালির কোচ রবার্তো মানচিনি। তিনি বলেন, আমাদের ওপর তো কারও ভরসা ছিল না। কেউ ভাবেনি আমরা এই পর্যন্ত পৌঁছতে পারি। তবুও একটা ফাইনালে পৌঁছে গেলাম। মানচিনি আরও বলেন, ফুটবলাররা এই ইওরো কাপে কিছু একটা করে দেখাতে চেয়েছিল। ওরা চেয়েছিল এমন ফুটবল উপহার দিতে, যাতে দর্শকরা উপভোগ করতে পারে। স্পেনের বিরুদ্ধেও উপভোগ্য ফুটবল খেলেছে। সব ম্যাচ যে সহজেই জিতব, এটা হতে পারে না। প্রচুর পরিশ্রম করে জিততে হয়। সেমিফাইনালেও আমাদের জিততে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। জানতাম স্পেনের বিরুদ্ধে আমাদের কঠিন লড়াইয়ের মুখে পড়তে হবে। সেটাই হয়েছে।আরও পড়ুনঃ ৯৬ বছর বয়সে মারা গেলেন হকির কিংবদন্তী কেশব দত্তফুটবলারদের পাশাপাশি সমর্থকদের কৃতজ্ঞতা জানাতে ভোলেননি ইতালির কোচ। মানচিনি বলেন, সমর্থকরাই প্রেরণা। প্রতিটা ম্যাচে মাঠে হাজির থেকে যেভাবে গোটা দলকে উদ্বুদ্ধ করে গেছে, কৃতজ্ঞতা জানাতেই হবে। স্পেনকে হারিয়ে স্বপ্ন বেড়ে গেছে ইতালির কোচের। এখন চ্যাম্পিয়নের স্বপ্ন দেখা শুরু করে দিয়েছেন। ৩৩ ম্যাচ অপরাজিত থাকার পর মানচিনির লক্ষ্য সেটা ৩৪এ নিয়ে যাওয়া।