• ১০ পৌষ ১৪৩২, সোমবার ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Rish

শিক্ষা

উচ্চমাধ্যমিকে জয়জয়কার নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের, পাশের হারে এগিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর

এবার উচ্চমাধ্যমিকেও পাশের হারে প্রথম স্থান পূর্ব মেদিনীপুরের। প্রথম দশে মেধা তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে মোট ৮৭ জন। তার মধ্যে হুগলি জেলারই ১৮ জন। এর পাশাপাশি নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন স্কুল তাক লাগানো ফল করেছে। মেধা তালিকায় প্রথম স্থানাধিকারী শুভ্রাংশু সর্দার দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই স্কুলেরই ছাত্র। ওই তালিকায় নাম রয়েছে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের আরও ৮ জন পড়ুয়ার। উচ্চমাধ্যমিকে ৪৯৫ নম্বর পেয়ে যুগ্মভাবে দ্বিতীয় হয়েছেন বাঁকুড়ার সুষমা খান ও উত্তর দিনাজপুরের আবু সামা।গড়পড়তা নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্ররা বরাবরই ভাল রেজাল্ট করে। এবারের ফল আরও নজরকাড়া। ছাত্রদের সাফল্যে খুশি শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা। স্কুলের প্রধান শিক্ষক স্বামী ইষ্টেশানন্দ বলেন, স্কুলের ছাত্রদের এই সাফল্য খুবই আনন্দের খবর। আমরা আশা করেছিলাম যে ২০১৫ সালের পর ফের এবার হয়তো মেধা তালিকায় আমাদের কোনও ছাত্রের নাম দেখা যাবে। শুভ্রাংশু ভাল ফল করবে তা প্রত্যাশিতই ছিল। তবে উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম স্থানে আসবে তা আমরা বুঝতে পারিনি। প্রথম দশে আমাদের স্কুলের ৯ জন ছাত্র আছে। আমরা গর্বিত।নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের কোন কোন ছাত্র মেধা তালিয়ায় কোন স্থান পেয়েছে-প্রথম- শুভ্রাংশু সরদার ( নম্বর ৪৯৬)চতুর্থ- নরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ( নম্বর ৪৯৩)ষষ্ঠ- অর্কদীপ ঘরা (নম্বর ৪৯১)সপ্তম- বিতান শাসমল ( নম্বর ৪৯০)সপ্তম- অর্ক ঘোষ ( নম্বর ৪৯০)সপ্তম- অভিরূপ পাল ( নম্বর ৪৯০)অষ্টম- সৈয়দ সাকলাইন কবীর ( নম্বর ৪৮৯)নবম- সায়ন সাহা ( নম্বর ৪৮৮)নবম- অর্কপ্রতিম দে ( নম্বর ৪৮৮)

মে ২৪, ২০২৩
রাজ্য

বিডিও দফতরে তৃণমূলের ভার্চুয়াল বৈঠকে বিধায়কসহ নেতৃত্ব, শোরগোল রাজ্য-রাজনীতিতে

রাজ্যের কোথাও বিডিও অফিসে বসে অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়ের ভার্চুয়াল বৈঠকে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব আবার কোথাও থানার ওসিকে পরিবার তুলে হুমকি বিজেপি সাংসদের। রাজ্যের দুই প্রান্তে এমন দুই ঘটনায় বেকায়দায় তৃণমূল ও বিজেপি। একটি ঘটনা বাঁকুড়ার সোনামুখিতে, অন্যটি মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলায়।অফিসের বাইরে ভগবানগোলা ২ নং ব্লকের বিডিও। তাঁর চেয়ারে বসেই অভিষেকের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক সারলেন মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলার তৃণমূল বিধায়ক ইদ্রিশ আলি। বিধায়ক ছাড়াও ওই বৈঠকে ছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক চাঁদ মহম্মদ-সহ দলের আরও ৮ নেতা। সরকারি দফতরে বসেই রাজনৈতিক বৈঠকে অংশ নেওয়ায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেছেন, অভিযোগটি শুনেছি। কেউ যদি সত্যিই বিডিও-র চেয়ারে বসে রাজনৈতিক বৈঠক করেন সেটা উচিত হয়নি।বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের কটাক্ষ, ওদের নেত্রীই তো প্রতিটি প্রশাসনিক বৈঠককে সরকারি খরচায় রাজনৈতিক মঞ্চ বানিয়েছেন। ওটা একটা প্রান্তিক অঞ্চলের বিধায়ক। সরল মনে বিডিও অফিসে গিয়ে বৈঠক করেছেন। পার্টি অফিসে ইন্টারনেট স্লো তাই বিডিও দফতরে বৈঠক, সাফাই দিয়েছেন ইদ্রিশ। ভগবানগোলার বিডিও মহম্মদ ওয়ারসিদ খান সংবাদমাধ্যমে বলেন, প্রথমে ভেবেছিলাম ওটা প্রশাসনিক বৈঠক। পরে জানতে পারি ওটা দলীয় বৈঠক হয়েছে।

এপ্রিল ১১, ২০২৩
রাজ্য

দোকানপাট বন্ধ, থমথমে, বৃহস্পতিবারও গুমোট পরিবেশ কাটেনি রিষড়ায়

রিষড়া পরিদর্শন করে এসেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। গন্ডগোলের জেরে ট্রেন বন্ধও রাখতে হয়েছিল। বুধবারও রিষড়া ছিল থমথমে। অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ। পুলিশি পিকেট। রয়েছে ১৪৪ ধারা। তারই মধ্যে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটে মিছিল করে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। জমা দিয়েছেনন স্মারকলিপিও।রামনবমীর শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়েছিল রিষড়া। দেওয়ালির মত বোমা বাজি চলেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। ক্ষুব্ধ জনতা পুড়িয়ে দিয়েছে পুলিশের গাড়ি। কিন্তু এখনও স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে পারেনি হুগলির এই শিল্পাঞ্চল। যেখানে সাইরেনের শব্দে মানুষ হাজিরা দেবে কারখানায় সেখানে ধর্মীয় উন্মাদনাকে কেন্দ্র করে রক্তাক্ত হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার লোকাল ট্রেনে রিষড়া গিয়েছেন লকেট। যদিও সেখান থেকেই তাঁকে ফেরত পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘটনাস্থলে যেতে দেওয়া হয়নি বিজেপি সাংসদকে। হাওড়ার শিবপুরের পরিস্থিতি ক্রমশ ফিরেছে।

এপ্রিল ০৫, ২০২৩
রাজ্য

সিট খোঁজা নিয়ে দুই স্কুলের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষে উত্তাল হরিশ্চন্দ্রপুর

পরীক্ষা কেন্দ্রের সিট খোঁজা নিয়েও সংঘর্ষ শনিবার দুই স্কুলের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের মধ্যে সিট নিয়ে তুমুল সংঘর্ষে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ালো হরিশ্চন্দ্রপুর থানার ভিঙ্গল গ্রামের ভিঙ্গল হাইস্কুলে। শনিবার সকালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার শুরুর কিছুক্ষণ আগেই এই সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। তাতে তিনজন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী গুরুতর জখম হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। এই সংঘর্ষের খবর পেয়েই ভিঙ্গল হাইস্কুলে পৌঁছায় হরিশ্চন্দ্রপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশ হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। যদিও দুই স্কুলের পরীক্ষার্থীদের পক্ষ থেকেই সংশ্লিষ্ট থানায় মারধরের ঘটনার লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।উল্লেখ্য, শনিবার ছিল উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার তৃতীয় দিন। এই স্কুলে সিট পড়েছে কনুয়া হাই মাদ্রাসা এবং চন্ডিপুর হাই স্কুলের ছাত্রদের। পরীক্ষা শুরুর আগে সিট খোঁজা নিয়ে দুই স্কুলের কয়েকজন ছাত্রের মধ্যেে ঝামেলা শুরু হয়। কনুয়া হাই মাদ্রাসার এক পরীক্ষার্থীর অভিযোগ চন্ডিপুর হাই স্কুলের ছাত্ররা তাদের এক ছাত্রকে প্রথমে মারধর করে। তারপরেই শুরু হয় ঝামেলা। এতে মাথা ফেটে যায় এক ছাত্রের। আরো দুইজন ছাত্র চোট আঘাত পেয়েছে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সাথে সাথে পরিস্থিতির সামাল দেয়। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি দেওদূত গজমেরের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে এসে পৌঁছায় পরীক্ষা কেন্দ্রে। পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে শুরু হয় পরীক্ষা। ভিঙ্গল হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক রাজেন্দ্র প্রসাদ সাহা জানিয়েছেন, সঠিক সময়ে পরীক্ষা শুরু হয়েছে। পরীক্ষা চলাকালীন আর কোনরকম অশান্তি হয় নি। তবে স্কুলের বাইরে গোলমাল হয়েছে তাই এই ব্যাপারে পরিষ্কার করে কিছু বলতে পারব না।এদিকে পুলিশে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে দুটি স্কুলেরই সিট পড়েছে ভিঙ্গল হাইস্কুলে। এদিন ক্লাসে পরীক্ষার সিট খোঁজা নিয়েই প্রথমে কয়েকজন পরীক্ষার্থীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। আর সেই থেকে ঝামেলার সূত্রপাত। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি দেওদূত গজমের জানিয়েছেন, পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এবং সঠিক সময় পরীক্ষা শুরু হয়। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে

মার্চ ১৮, ২০২৩
রাজ্য

কালিঘাটের কাকু সিবিআইতে, কুন্তলের স্ত্রী ইডিতে, দিল্লির হাজিরা এড়ালেন অনুব্রত কন্যা

শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির তদন্তে এবার সিবিআইয়ের তলবে নিজাম প্যালেসে হাজির হয়েছেন কালিঘাটের কাকু তথা সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। একইদিনে ইডির তলবে সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সে তদন্তকারীদের মুখোমুখি হন নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তলের স্ত্রী জয়শ্রী ঘোষ। অন্যদিকে মনীশ কোঠারিকে ৬ দিনের ইডি হেফাজত দিয়েছে দিল্লির আদালত। তাঁকে গতকাল হাসতে দেখা গেলেও এদিন চোখে জল দেখা যায় মনীশের। তবে ইডি তলব করলেও এদিন দিল্লি যাননি অনুব্রত কন্য়া সুকন্যা মন্ডল। তা তিনি মেইল করে জানিয়ে দেন ইডিকে। এদিন নিজাম প্যালেসে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে তিন ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। গোপাল দলপতি ও তাপস মন্ডল সুজয়কৃষ্ণ ঘোষের নাম করে। তাঁরা তাঁকে কালীঘাটের কাকু বলে সম্বোধন করেছিল। এদিন দুজন আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে সিবিআই দফতরে আসেন কালিঘাটের কাকু সুজয়কৃষ্ণ। তিনি বলেন, কেন সিবিআই ডাকল জানি না। একটা ছোট্ট কাগজে নোটিস দিয়েছে চলে এসেছি। স্ত্রী অসুস্থ তাও এসেছি। তা সত্বেও তো বলবে সহযোগিতা করছি না।

মার্চ ১৫, ২০২৩
রাজ্য

রং তুলির মেলবন্ধনে মেতে উঠলো রাঢ়-বঙ্গের শিল্প কর্মশালা

রাঢ় কৃষ্টি ওয়েলফেয়ার সংস্থার আয়োজিত দুদিনের আর্ট ওয়ার্কশপ শুক্রবার শুরু হল। বর্ধমান শহরে বইমেলা প্রাঙ্গণে এই আর্ট ওয়ার্কশপ-র শুভ উদ্বোধন করেন বর্ধমান সদর দক্ষিণের মহকুমা শাসক কৃষ্ণেন্দু মণ্ডল। এবছর রাঢ় কৃষ্টি ওয়েলফেয়ার সংস্থার আর্ট ওয়ার্কশপ৬ষ্ট বর্ষে পদার্পন করলো। মোট ৪২ জন স্বনামধন্য শিল্পী এই শিল্প কর্মশালার অংশগ্রহন করছেন।শিল্প পদর্শনীবাইমেলা শুরুর দিন থেকেই মেলা প্রাঙ্গণে তাঁদের শিল্প পদর্শনী চলছে। বিভিন্ন নামী শিল্পীরা সশরীরে উপস্থিত হয়ে ক্যানভাস তুলি রং নিয়ে কর্মশালা আলো করে তুলেছেন। কেউ জল মাধ্যমে তো কেউ অ্যাক্রেলিক তো কেউ ডোকরা করতে ব্যাস্ত। প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করে মহকুমাশাসক বলেন, তাঁকে ছোট বেলায় ওড়িয়া ভাষা শিখতে হয়েছিলো। কিন্তু তাঁর ইচ্ছা ছিলো আদিবাসী (অলচিকি) ভাষা শেখা এবং তিনি তা শিখেও ছিলেন। তিনি আরও বলেন শুক্রবারের এই কর্মশালায় এসে বিভিন্ন শিল্পীদের সহচর্য পেয়ে মনে এই শিল্প কর্ম শেখার ইচ্ছা জাগছে। আজকের অনুষ্ঠানের উপরি পাওনা মহকুমা শাসক কৃষ্ণেন্দু মণ্ডলের গলায় লোকগীতি আমায় ডুবাইলি রে-আমায় ভাসাইলি রে...।শিল্পী শ্যমল মুখোপাধ্যায়মহকুমা শাসক কৃষ্ণেন্দু মণ্ডল তাঁর বক্তব্যে এই সংস্থার শ্রীবৃদ্ধি কামনা করেন, আগামীদিনে আরও বড় কর্মশালার আয়োজনের শুভেচ্ছা জানান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজকর্মী ও শিল্পপতি সন্তোষ সাহাশিকদার, প্রথিতযশা চিত্রকর শ্যমল মুখোপাধ্যায়। শিল্পী শ্যমল মুখোপাধ্যায় জানান, তিনি তিন তিন বার অকৃতকার্য হয়ে শান্তিনিকেতন থেকে শিল্প শিক্ষা গ্রহণ করে চিত্রশিল্পী হয়েছেন। তিনি জানান, তাঁর শিল্পকর্ম নিয়ে তিনি ৪২টি দেশে চিত্র পদর্শনী করেছেন।শ্যমল মুখোপাধ্যায়, প্রদ্যুত পাল ও সহশিল্পীরাঢ় কৃষ্টি ওয়েলফেয়ার সংস্থার অন্যতম সদস্য শিল্পী প্রদ্যুত পাল বলেন, এবছর আমরা বইমেলায় এই প্রদর্শনী ও কর্মশালার আয়োজন করলাম, খুবই ভালো সাড়া পাচ্ছি। সামনের বছর এই অনুষ্ঠান আরও বড়ো করে করার চেষ্টা করবো। এবছর বর্ধমান সহ সারা বাংলার মোট ৪২ জন শিল্পী অংশগ্রহণ করেছেন। ঝাড়খণ্ড থেকেও একজন শিল্পী এই কর্মশালার এসেছেন।

জানুয়ারি ১৩, ২০২৩
বিনোদুনিয়া

রবীন্দ্র সদন প্রেক্ষাগৃহে অনুষ্ঠিত হলো "রসবিলাসা"

রবীন্দ্র সদন প্রেক্ষাগৃহে অনুষ্ঠিত হলো রসবিলাসা। অনুষ্ঠানের সমগ্র দ্বায়িত্বে ও তত্ত্বাবোধনে ছিলেন শ্রী রাজীব ভট্টাচার্য। রসবিলাসা ছিল ধ্রুপদী নৃত্য শৈলী ওড়িশি, কত্থক ও ভরতনাট্যম এর মেলবন্ধনে সমৃদ্ধ একটি উপস্থাপনা। ওড়িশি নৃত্য গুরু অলোকা কানুঙ্গের পরিচালনায়, শিঞ্জন নৃত্যালয়ের শিল্পীদের প্রথম নৃত্যপদটি ছিল দেশ রাগের ওপর আধারিত বন্দে মাতরম । অপূর্ব নৃত্যবিন্যাস ও সঞ্চারীভাব সহযোগে দেশমাতৃকার সুন্দর রূপ ও বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য ভবনটিকে সাবলিল ভাবে মেলে ধরবার জন্য নৃত্য গুরু অলোকা কানুঙ্গকে সাধুবাদ জানাই। হিমাংশু শেখর সোয়াইনের তালবিন্যাস ও লয়বিন্যাস উপস্থাপনাটিতে ভিন্ন মাত্রা যোগ করে। শিঞ্জন নৃত্যালয়ের দ্বিতীয় নৃত্য পদটি ছিল মহাবিদ্যা যেটিতে শক্তিরুপিনী দেবী ভিন্ন ভিন্ন রূপে বন্দিত হন। গুরু অসীমবন্ধু ভট্টাচার্যের কত্থক নৃত্য আঙ্গিকে আধারিত মেলবন্ধন ছিল ধামার তালে নিবদ্ধ বিশুদ্ধ একটি নাচ। অভিজ্ঞ নৃত্য গুরু শ্রী অসীমবন্ধু ভট্টাচার্যের সহ শিল্পী রূপে অভীক চাকী দর্শকদের মন কেড়ে নেয়। কৌশলগত পদকর্মে গুরু শিষ্য পরম্পরাটি বিশেষ ভাবে প্রাধান্য পায়। শিল্পীর শিল্প কলাকে পাথেয় করে আরাধ্য দেবতার কাছে শান্তি ও মৈত্রী স্থাপনের চিরন্তন আকুতি মূর্ত হয়ে ওঠে জনাব নিদা ফজলের রচিত গরজ বরস পিয়াসী ধরতি ঘাজালটিতে আধারিত ইবাদাত নৃত্য উপস্থাপনাটিতে। প্রদ্যুৎ সরকারের দরাজ কণ্ঠ ও অসীমবন্ধুর অসামান্য মুখ অভিনয় ও শরীরী বিভঙ্গ দর্শক অঙ্গনে এক স্বর্গীয় অনুভূতির সঞ্চার করে।অনুষ্ঠানের শেষ অর্ধে কলাসৃষ্টির শিল্পীবৃন্দরা পরিবেশন করে কৌত্তুভম ও সিন্ধুভৈরবী রাগে আধারিত তিল্লানা। উভয় নৃত্য পদে তারা ভরতনাট্যম নৃত্যের বিশুদ্দ আঙ্গিকের ধারাবাহিকতা অক্ষুন্ন রাখে।নৃত্য ও অভিনয়ের সংমিশ্রণে অষ্টমাতৃকার আরাধনায় শিল্পীদের পরিশীলিত ও পরিমার্জিত অঙ্গ সঞ্চালনা বিশেষ ভাবে প্রশংসনীয়। নৃত্য গুরু সুজাতা রমালিঙ্গমের নৃত্য ভাবনা ও নৃত্য পরিকল্পনা কুর্নিশ করার মতন। এই মনগ্রাহী অনুষ্ঠানের মূল কান্ডারী শ্রী রাজীব ভট্টাচার্য এর বক্তব্যে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে। এর মধ্যে মিনিস্ট্রি অফ কালচার , গভর্নমেন্ট অফ ইন্ডিয়া, দেববানী ছেত্রী, শী প্রসাদ ছেত্রী, অহনা রায় চৌধুরী , স্বপ্নশ্রী চৌধুরি, প্রকাশ পাসওয়ান , ইমন বোস, রুশিতা মন্ডল, মন্দিরা বোস ও কমল বোস বিশেষভাবে উল্লেখ্য।

নভেম্বর ২৩, ২০২২
রাজ্য

শুভেন্দুর কনভয়ে দুর্ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই মারিশদা-সহ একাধিক থানার ওসি বদল, জোর জল্পনা পূর্ব মেদিনীপুরে

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার একাধিক থানায় প্রশাসনিক স্তরে রদবদল হল। মারিশদা থানার ওসি বদল নিয়ে নতুন জল্পনা। জেলার রাজনৈতিক মহলের ধারণা, একাধিকবার দুর্ঘটনার কবলে বিরোধী দল নেতার গাড়ি। তাই কি মারিশদা থানার ওসি বদল? না, শুধু মারিশদা থানা নয়, বদল হয়েছে একাধিক থানার ওসি। মারিশদা থানা থেকে ওসি রাজু কুণ্ডুকে সরিয়ে পাঠানো হয়েছে পটাশপুরে। সেখানেও তিনি ওসি পদেই কর্মরত। মারিশদায় পাঠানো হয়েছে কাঁথি থানার এসআই সৌমেন গুহকে। ওসি পটাসপুর দীপক চক্রবর্তীকে পাঠানো হয়েছে দীঘা মোহনা থানায়। ওসি দীঘা মোহনা অমিত দেব খেজুরি থানার দায়িত্বে এসেছেন। তিনি এখানে ওসি পদে কর্মরত। খেজুরি থানার ওসি কামের হাসিদকে কাঁথি থানায় পাঠানো হয়েছে।মঙ্গলবার রাত ১১টা নাগাদ একটি বদলি নির্দেশিকা পাওয়া গিয়েছে জেলা পুলিশ সূত্রে। এক্ষেত্রে একটি বিষয় উল্লেখ্য, মারিশদা থানার বেতালিয়াতে বিকেল চারটায় পনেরো নাগাদ বিরোধী দল নেতা কাঁথি থেকে কলকাতা যাওয়ার পথে একটি দুর্ঘটনা ঘটে। কয়েকদিন আগেই এই থানা এলাকায় রথের দিন দুরমুঠের সামনে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। একটি ট্রাক মুখোমুখি চলে আসে। শুভেন্দুর কনভয়ে থাকা শেষ গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লেগে যায়। তবে সেই গাড়িতে ছিলেন না বিরোধী দলনেতা। ঠিক ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ওই এলাকার থানার ওসি বদল ঘিরে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। একাংশের মতে, বারবার বিরোধী দলনেতার গাড়ি এভাবে দুর্ঘটনার মুখে পড়ার ফলেই কি ওসি বদল হল? তবে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশসুপার অমরনাথ কে ফোনে জানিয়েছেন, এটি রুটিন মাফিক বদল। এতে কোনও অস্বাভাবিকত্ব নেই।

আগস্ট ২৪, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ঋষভ ও হার্দিকের দাপটে একদিনের সিরিজও ভারতের

ঋষভ পন্থের অসাধারন ব্যাটিং, হার্দিক পান্ডিয়ার দুরন্ত অলরাউন্ড পারফরমেন্স। তৃতীয় একদিনের ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ৫ উইকেটে হারিয়ে একদিনের সিরিজ জিতে নিল ভারত। সিরিজের ফল ভারতের পক্ষে ২১। জয়ের জন্য ২৬০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৪২.১ ওভারেই জযের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ভারত। একসময় ৭২ রানে ৪ উইকেট পড়ে গিয়েছিল ভারতের। সেখান থেকে হার্দিক পান্ডিয়া ও ঋষভ পন্থের ১১৫ বলে ১৩৩ রানের পার্টনারশিপ ভারতের জয়ের ভিত গড়ে দেয়।টস জিতে ইংল্যান্ডকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল ভারত। এদিনও পুরো ৫০ ওভার খেলতে পারেনি জস বাটলারের দল। ৪৫.৫ ওভারে ২৫৯ রানে গুটিয়ে যায় বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। জস বাটলার সর্বাধিক ৬০ রান করেন। হার্দিক পান্ডিয়া নেন ৪ উইকেট, যুজবেন্দ্র চাহাল ৩টি ও মহম্মদ সিরাজ দুটি উইকেট পান।শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে ইংল্যান্ড। ১২ রানে ২ উইকেট হারায়। জনি বেয়ারস্টো ও জো রুট দুজনকে ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই আউট করেন মহম্মদ সিরাজ। ইংল্যান্ডের এই দুই ব্যাটারই তিন বলে শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন। চার উইকেট পড়ে গিয়েছিল ৭৪ রানে। সেখান থেকে পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দেন মঈন আলি ও জস বাটলার। অধিনায়ক বাটলারের ৮০ বলে ৬০ রানের ইনিংসে রয়েছে তিনটি চার ও দুটি ছয়। সাতটি চারের সাহায্যে ওপেনার জেসন রয় করেন ৩১ বলে ৪১। মঈন আলি দুটি করে চার ও ছক্কার সাহায্যে করেন ৪৪ বলে ৩৪। ৩৩ বলে ৩২ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন নয়ে নামা ক্রেগ ওভার্টন। বেন স্টোকস ২৯ বলে ২৭, লিয়াম লিভিংস্টোন ৩১ বলে ২৭ রান করেন। ১৫ বলে ১৮ রান করেন ডেভিড উইলি।জয়ের জন্য ২৬০ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে ভারত। ২.১ ওভারে দলগত ১৩ রানের মাথায় শিখর ধাওয়ান রিস টপলির প্রথম শিকার হন। ৩ বলে ১ রানে শিখর ধাওয়ান আউট হন। চারটি চারের সাহায্যে ১৭ বলে ১৭ করেন রোহিত শর্মা। বিরাট কোহলি ২২ বলে ১৭ রান করেন, তিনি তিনটি চার মারেন। ৮.১ ওভারে ৩৮ রানে ভারতের তৃতীয় উইকেট পড়েছিল। প্রথম পাওয়ারপ্লে-র শেষে ১০ ওভারে স্কোর ছিল ৩ উইকেটে ৪৩। ১৬.২ ওভারে সূর্যকুমার যাদব (২৮ বলে ১৬) ক্রেগ ওভার্টনের বলে কট বিহাইন্ড হন। ৭২ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় ভারত। এরপর দলকে টেনে নিয়ে যান ঋষভ ও হার্দিক। ৫৫ বলে ৭১ রান করে আউট হন হার্দিক। ১১৩ বলে ১২৫ রান করে অপরাজিত থাকেন ঋষভ। ৩৫ রানে ৩ উইকেট নেন টপলি।

জুলাই ১৭, ২০২২
খেলার দুনিয়া

কলকাতা ছেড়ে এবার বেঙ্গালুরু পাড়ি দিচ্ছেন বাগানের এই তারকা স্ট্রাইকার

মরশুম শেষেই এটিকে মোহনবাগানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছিলেন। মাঝে শোনা গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গলে যোগ দিতে পারেন। অনেকেই মনে করেছিলেন হয়তো অস্ট্রেলিয়ার পুরনো ক্লাবেই ফিরে যাবেন রয় কৃষ্ণা। সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে এদেশেই থেকে যাচ্ছেন ফিজির এই তারকা ফুটবলার। তবে কলকাতায় নয়, রয় কৃষ্ণাকে সামনের মরশুমে দেখা যেতে পারে বেঙ্গালুরু এফসির জার্সি গায়ে।২০১৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার এ লিগের দল ওয়েলিংটন ফিনিক্স থেকে ভারতীয় ফুটবলে আগমন ঘটেছিল রয় কৃষ্ণার। তিনি যোগ দিয়েছিলেন এটিকেতে। সেই মরশুমে দলকে আইএসএলে চ্যাম্পিয়ন করতে তিনি মুখ্য ভুমিকা নেন। এরপর মোহনবাগানের সঙ্গে এটিকের সংযুক্তি ঘটে। সবুজমেরুণেই থেকে যান রয় কৃষ্ণা। গত দুই মরশুম এটিকে মোহনবাগানে কাটানোর পর তিনি সবুজমেরুণের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন।আন্তোনীয় লোপেজ হাবাসের সঙ্গে দারুণ সম্পর্ক ছিল রয় কৃষ্ণার। জুয়ান ফেরান্দো এটিকে মোহনবাগানের দায়িত্ব নেওয়ার পর চিত্রনাট্যে বদল ঘটে। রয় কৃষ্ণার সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হতে থাকে কোচের। আইএসএলের একাধিক ম্যাচে রিজার্ভ বেঞ্চে বসতে হয়েছিল ফিজির এই তারকা ফুটবলারকে। দলের কর্তারাও ওই বিষয়ে রয় কৃষ্ণার পাশে দাঁড়াননি। তাই একরাশ অভিমান নিয়েই এটিকে মোহনবাগানেরস সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন রয় কৃষ্ণা।গত মরশুমে রয় কৃষ্ণর পারফরম্যান্স আহামরি কিছু ছিল না। যদিও বারবার রয় নিজের সেরা পারফরম্যান্স তুলে ধরে দলকে টেনে গিয়েছেন। তিনি মানেই ছিল বাগানের তারকার তারকা, গোলের জন্য সমর্থকরা তাঁর দিকে চেয়ে থাকতেন।আইএসএল কেরিয়ারে ৬০ ম্যাচে ৩৬ গোল করেছেন রয়। ১৮টি গোলের পাসও দিয়েছেন তিনি। গত কয়েক মরশুম ধরে খুব একটা ভাল ছন্দে নেই বেঙ্গালুরু এফসি। এ বার ট্রফি জয়ের লক্ষ্যে অভিজ্ঞ প্লেয়ারদের দলে নিয়ে বাজিমাত করতে চাইছে তারা। সেই লক্ষ্যেই টিম গড়ছে বেঙ্গালুরু।সুনীল ছেত্রি তো রয়েছেনই, প্রবীর দাস যোগ দিয়েছেন। এছাড়া জাভি হার্নান্ডেজকে সই করিয়েছে বেঙ্গালুরু এফসি।

জুলাই ১৭, ২০২২
রাজ্য

মা সারদা নিয়ে তৃণমূল বিধায়কের মন্তব্যে কড়া প্রতিক্রিয়া বেলুড় মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের

মন্তব্যের পাঁচ দিন পর কড়া জবাব বেলুড় মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের। তৃণমূল বিধায়ক নির্মল মাজি বলেছিলেন, মৃত্যুর কয়েকদিন আগে স্বামী বিবেকানন্দর কয়েকজন সতীর্থ মহারাজ মা সারদাকে বলেছিলেন, পরবর্তীতে কালীঘাট মন্দির এলাকায় মনুষ্যরূপে জন্ম নেব। সেই জন্মের পর ত্যাগ, তিতিক্ষার মাধ্যমে সামাজিক কাজে যুক্ত হব। রাজনৈতিক কাজকর্মও করব। ওই বিধায়ক আরও বলেছিলেন, সময়, সংখ্যাতত্ত্ব মিলিয়ে দেখা যাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই মা সারদা। কারণ দুর্গাপুজোর অষ্টমী-নবমী তিথির সন্ধিক্ষণে তাঁর জন্ম। দিদি-ই মা সারদা, দিদি-ই সিস্টার নিবেদিতা, দিদি-ই ঘরের দুর্গা। নির্মল মাজির এই মন্তব্যে চারিদিকে আলোড়ন পড়ে যায়। ভক্তদের বিরূপ প্রতিক্রিয়া পেয়েছে বেলুড় মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশন। তাঁদেরকে ভক্তরা জানিয়েছেন, বিধায়কের ওই বক্তব্যে তাঁরা আঘাত পেয়েছেন।শুক্রবার তৃণমূল বিধায়কের ওই মন্তব্যের বিরুদ্ধে মুখ খোলে বেলুড় মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশন। মঠের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবিরানন্দজি মহারাজ বলেছেন, ওই রাজনৈতিক নেতার উক্তি মা সারদার মর্যাদাকেই ভুলুণ্ঠিত করেছে।স্বামী সুবিরানন্দজি মহারাজ বলেছেন, সম্প্রতি কোনও এক রাজনৈতিক নেতা তাঁর বক্তৃতায় বলেছেন, শ্রী শ্রী মা সারদা দেবী নাকি দেহত্যাগের আগে রামকৃষ্ণ মিশনের মহারাজদের বলে গিয়েছেন, তিনি এর পরে মানবী রূপে দক্ষিণ কলকাতায় আবির্ভূত হবেন। তখন তিনি ত্যাগ, তিতিক্ষা, সামাজিক কাজকর্মের সঙ্গে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডেও জড়িয়ে যাবেন। শ্রী শ্রী মাকে নিয়ে রামকৃষ্ণ মঠ-মিশন ও অন্যান্যদের থেকে প্রামাণিক যে যে গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে তাতে এরকম কোনও তথ্য নেই। তাহলে ওই নেতা কীভাবে এমন অদ্ভুত তথ্য পেলেন কোথায়? কী ভাবে তা প্রকাশ্য সভায় বললেন? তা আমাদের বুদ্ধির অগোম্য।রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠের সকল সন্ন্যাসী ব্রহ্মচারী অত্যন্ত দুঃখ-ক্ষোভের সঙ্গে মনে করছে ওই নেতার বক্তব্যের দ্বারা আমাদের পরম আরাধ্যা শ্রী শ্রী মায়ের মর্যাদা হানি করেছেন। আমাদের সকলের মায়ের এই অসম্মান আমাদের দুঃসহ বলে মনে হচ্ছে। এই দুঃসাহস যেন আর কেউ না দেখায়।

জুন ৩০, ২০২২
বিনোদুনিয়া

মুক্তি পেল ‘রিষ’, বাবার চরিত্রে সৌরভ দাস

প্রীতম মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় নতুন বাংলা ছবি রিষ। এই ছবির গল্প আবর্তিত হয়েছে ছোট একটি মেয়েকে ঘিরে। আবির ও মন্দিরার কন্যা সন্তান ফিওনার গল্পকেই ছবিতে তুলে ধরেছেন পরিচালক। মেয়েটির বাবার চরিত্রে অভিনয় করেছেন সৌরভ দাস। মায়ের চরিত্রে দেখা যাবে দর্শনা বণিক কে। রূপক চট্টোপাধ্যায়ের প্রযোজনায়, থিঙ্কট্যাঙ্ক এন্টারটেইনমেন্টের ব্যানারে এই ছবিটি।গত ১৩ জুন এই ছবি মুক্তি পাওয়ার কথা থাকলেও বিভিন্ন কারণে মুক্তি পায়নি। অবশেষে ছবিটি আজ মুক্তি পেল। টলিউডে সেভাবে ভুতের ছবি দেখতে পাননা দর্শকরা। রিষ এ অন্যরকম ভূতের ছবি দেখতে পাবেন দর্শকরা। এই ছবিতে সিধু, পটার গান ছবিটিতে আলাদা মাত্রা এনে দিয়েছে।সৌরভ দাস ও দর্শনা বণিক ছাড়াও এই ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে চান্দ্রেয়ী ঘোষ, রুমকি চট্টোপাধ্যায়, কিয়ানা মুখোপাধ্যায়, পিয়ালি মুখোপাধ্যায়, অমিতাভ চট্টোপাধ্যায়, স্বাতী মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। ছবির গল্প ও চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন দেবারতি ভৌমিক। চিত্রগ্রাহকের দায়িত্ব সামলেছেন আবির দত্ত।

জুন ২৪, ২০২২
খেলার দুনিয়া

সিরিজ নির্ণায়ক ম্যাচের আগে ঋষভকে নিয়ে কেন চিন্তা ভারতীয় শিবিরে?‌

দারুণ জমে উঠেছে ভারতদক্ষিণ আফ্রিকা টি২০ সিরিজ। প্রথম দুটি ম্যাচ জিতে সিরিজে এগিয়ে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। বিশাখাপত্তনম ও রাজকোটে জিতে সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে ভারত। রবিবার বেঙ্গালুরুতে সিরিজ নির্ণায়ক ম্যাচ। ছন্দে ফেরা ভারত যে এগিয়ে থেকে মাঠে নামবে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে এখনও টি২০ সিরিজ জিততে পারেনি ভারত। রবিবার বেঙ্গালুরুতে জিতলে নজির গড়বে ঋষভ পন্থের দল। ২০১৫ সালে ভারত সফরে এসে দক্ষিণ আফ্রিকা তিন ম্যাচের টি২০ সিরিজ জিতেছিল ২০ ব্যবধানে। ২০১৯ সালের টি২০ সিরিজ ১১ ড্র হয়। এছাড়া ২০১৬ সালে টি২০ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে ওয়াংখেড়েতেও ভারতকে ৪ রানে হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। চলতি সিরিজে ধারাবাহিকতার অভাবে ভুগছে প্রোটিয়ারা। সিরিজের প্রথম ম্যাচে দিল্লিতে ভারতের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড গড়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। আর আগের ম্যাচে রাজকোটে দক্ষিণ আফ্রিকা টি২০ আন্তর্জাতিকে সবচেয়ে কম রানের রেকর্ড গড়েছে। তবে সিরিজ নির্ণায়ক ম্যাচে যে অন্য লড়াই হবে, সেকথা নিশ্চিতভাবে বলা যায়। তবে ভারতীয় বোলারদের বিরুদ্ধে চাপে থাকবে প্রোটিয়ারা। যার প্রমাণ আগের দুটি ম্যাচেই দেখা গেছে। বিশাখাপত্তনম ও রাজকোটে দক্ষিণ আফ্রিকা পুরো ২০ ওভারও ব্যাট করতে পারেনি। দারুণ দাপট দেখিয়েছিলেন আবেশ খানরা। বোলাররা দারুণ ছন্দে থাকলেও ব্যাটিং নিয়ে চিন্তায় ভারত। অস্বস্তির কারণ অধিনায়ক ঋষভ পন্থের ফর্ম এবং তাঁর আউট হওয়ার ধরণ। শ্রেয়স আয়ারও সেরা ছন্দে নেই। ঋতুরাজ গায়কোয়ারের ব্যাটেও ধারাবাহিকতার অভাব। তবে টি২০ বিশ্বকাপের দলে জায়গা পাওয়ার লক্ষ্যে বেঙ্গালুরুতে নিজেদের প্রমাণ করতে মুখিয়ে থাকবেন শ্রেয়স আয়ার ও ঋতুরাজ গায়কোয়াড়। আগের ম্যাচে টপ অর্ডারের ব্যর্থতা ঢেকে দিয়েছিলেন দীনেশ কার্তিক ও হার্দিক পান্ডিয়া। বেঙ্গালুরুতে এই দুই ব্যাটারের দিকে তাকিয়ে টিম ম্যানেজমেন্টন। দক্ষিণ আফ্রিকাকে ঘুরে দাঁড়াতে গেলে পারফরমেন্সে উন্নতি ঘটাতে হবে। রাজকোটে কাগিসো রাবাডা ও ওয়েন পার্নেলের অভাব প্রকট হয়েছে ডেথ ওভারে। শেষ পাঁচ ওভারে ভারত ৭৩ রান তুলে ফেলে। অধিনায়ক তেম্বা বাভুমা ব্যাট হাতে তেমন কিছু করতে না পারলেও তাঁর অধিনায়কত্বের প্রশংসা অনেকেই করছেন। আগের ম্যাচে চোট পেয়ে তিনি অনিশ্চিত। যদি একান্তই খেলতে না পারেন, তাঁর আভাব বোধ করবে দক্ষিণ আফ্রিকা। সেক্ষেত্রে দলকে নেতৃত্ব দেবেন কেশব মহারাজ।

জুন ১৮, ২০২২
খেলার দুনিয়া

সিরিজের সমতা ফেরানোর আগে ঋষভকে নিয়ে কেন বিশেষ ক্লাস দ্রাবিড়ের?‌

প্রথম দুটি ম্যাচ জিতে সিরিজে ২০ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। বিশাখাপত্তনমে তৃতীয় ম্যাচ জিতে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে ভারতীয় শিবিরে। আজ রাজকোটে সিরিজে সমতা ফেরানোর লড়াই ঋষভ পন্থদের সামনে। প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে মাঠে নামার আগে ভারতীয় শিবিরকে চিন্তায় রাখছে ব্যাটারদের ফর্ম। ব্যাটারদের রানে ফেরার পাশাপাশি মন্থর পিচের দিকেও তাকিয়ে ভারত। কারণ, মন্থর পিচে প্রোটিয়া ব্যাটারদের কাবু করার পরিকল্পনা। ধারাবাহিকতার অভাবে ভুগছে ভারতীয় দলের ব্যাটিং। প্রথম ম্যাচে বড় রান করলেও কটকে দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যর্থ। বিশাখাপত্তনমে তৃতীয় ম্যাচে ঋতুরাজ গায়কোয়াড় ও ঈশান কিষান বড় রানের ভিত গড়ে দিলেও মিডল অর্ডার চূড়ান্ত ব্যর্থ। বিশেষ করে একেবারেই চেনা ছন্দে নেই অধিনায়ক ঋষভ পন্থ ও শ্রেয়স আয়ার। শ্রেয়স আয়ার তিনে নেমে দিল্লি ম্যাচে ২৭ বলে ৩৬ রান, কটকে ৩৫ বলে ৪০, বিশাখাপত্তনমে ১১ বলে ১৪ করেন। শ্রেয়স তিন ম্যাচে যেভাবে খেলেছেন তাতে বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদবরা এসে গেলে তাঁর প্রথম একাদশে জায়গা ধরে রাখা কঠিন হয়ে যাবে। পেসারদের বিরুদ্ধে তাঁকে আগ্রাসী হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। চলতি সিরিজে পেসারদের ৪৬ বলে ৩৮ রান করেছেন শ্রেয়স। স্পিনারদের বিরুদ্ধে তিনি ২৭ বলে করেছেন ৫২। এই অবস্থায় আজ রাজকোটের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে শ্রেয়সের দিকে থাকবে নজর।ঋষভ পন্থও চেনা ছন্দে নেই। চলতি বছর ফেব্রুয়ারির পর থেকে সাদা বলের ক্রিকেটে তাঁর অর্ধশতরান নেই। এমনকি আইপিএলেও হাফ সেঞ্চুরি পাননি। ভারতের এখন বাকি দুটি ম্যাচই ডু অর ডাই। চার নম্বরে পন্থ যাতে ব্যাট হাতে স্বমহিমায় ফেরেন সেজন্য বৃহস্পতিবার নেটে তাঁর ক্লাস নিতে দেখা গিয়েছে হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড়কে। ব্যাটিং স্টান্স কেমন হবে, কীভাবে কোন শট মারতে হবে সেই সংক্রান্ত পরামর্শই পন্থকে দিয়েছেন দ্রাবিড়। এই ক্লাসের সুফল আজ দেখা যাবে কিনা তা বলবে সময়।এদিকে সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে ভারত তাকিয়ে মন্থর উইকেটের দিকে। সেই কথাই শোনা গেছে দলের জোরে বোলার হর্ষাল প্যাটেলের মুখে। তিনি বলেন, আমরা মন্থর পিচে খেলতে ভালবাসি। এই ধরণের উইকেটে লড়াইয়ের সুযোগ থাকে। যদিও রাজকোটে গতিময় উইকেটে খেলতে হবে না দুই দলকে। রাজকোটের উইকেটে রান আছে। ফলে বড় স্কোরের ম্যাচ হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। ভারত প্রথম দুটি ম্যাচে হেরে যাওয়ার পরেও তৃতীয় টি ২০ আন্তর্জাতিকে প্রথম একাদশে বদল আনেনি। ফলে ধরে নেওয়াই যায় রাজকোটে উইনিং কম্বিনেশনই ধরে রাখবে ভারত। ফলে উমরান মালিক ও অর্শদীপ সিংকে অভিষেকের জন্য আরও অপেক্ষা করতে হবে।

জুন ১৭, ২০২২
খেলার দুনিয়া

সম্পর্ক ছিন্ন করে এটিকে মোহনবাগান সমর্থকদের উদ্দেশ্যে কী বললেন রয় কৃষ্ণা?‌

শুক্রবারই টুইট করে রয় কৃষ্ণার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা ঘোষণা করেছে এটিকে মোহনবাগান। রয় কৃষ্ণাকে শুভেচ্ছাও জানানো হয়। টুইটারে লেখা হয়েছে, সমস্ত স্মৃতির জন্য ধন্যবাদ রয়! বিদায় এবং শুভকামনা রইল! পুরনো ক্লাবের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে ভোলেননি ফিজির এই তারকা। সবুজমেরুণ সমর্থক, টিম ম্যানেজমেন্ট ও কর্তাদের কাছ থেকে মাঠে এবং মাঠের বাইরে যে ভালবাসা পেয়েছেন, তার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।এটিকে মোহনবাগানের সঙ্গে ৩১ মে চুক্তি শেষ হয় রয় কৃষ্ণার। ফলে ১ জুন থেকেই ফ্রি এজেন্ট তিনি। অবশেষে ৩ জুন সরকারি ভাবে রয় কৃষ্ণার দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করে এটিকে মোহনবাগান। এটিকে মোহনবাগানের টুইটের পরই এক আবেগঘন টুইট করেন রয় কৃষ্ণা। সেই টুইটে তিনি লিখেছেন, এটিকে মোহনবাগানের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ হওয়ার পর আমি কেমন অনুভব করছি, তা কোনও শব্দই ব্যাখ্যা করতে পারবে না। ক্লাব, অনুগামী এবং শুভাকাঙ্ক্ষীরা মাঠে এবং মাঠের বাইরে যেভাবে আমাকে ভালবাসা উপহার দিয়েছেন, তারজন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। সবাই আমাদের জন্য যা করেছেন, তা আমার পরিবার এবং আমি সত্যিই প্রশংসা করি। সমর্থকদের যে ভালবাসা পেয়েছি, তা মিস করব। তবে এই স্মৃতিগুলিকে সারাজীবন লালন করব।সবুজমেরুণ ছেড়ে ফিজির এই তারকা ফুটবলার কোন ক্লাবে যোগ দিচ্ছেন, তা নিয়ে অবশ্য এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। রয় কৃষ্ণর কাছে এই মুহূর্তে ইস্টবেঙ্গল, মুম্বই সিটি এফসিসহ আইএসএলের একাধিক ক্লাবের প্রস্তাব রয়েছে। বেঙ্গালুরু এফসিও এই তারকা স্ট্রাইকারকে নিতে আগ্রহ দেখিয়েছে। এছাড়া তাঁর পুরনো ক্লাব অস্ট্রেলিয়ার এ লিগের ক্লাব ওয়েলিংটন ফনিক্সেরও প্রস্তাব রয়েছে। সেখান থেকেই ভারতে খেলতে এসেছিলেন তিনি। তবে কোথায় খেলবেন তাএখনও ঠিক করেননি রয় কৃষ্ণা।এটিকে এবং মোহনবাগানের হয়ে তিন মরশুমে ৬০ টি ম্যাচ খেলেছেন রয় কৃষ্ণা। গোল করেছেন ৩৬টি। তাঁর পাস থেকে ১৮টি গোল এসেছে। যা তাঁর ক্লাবের হয়ে সবচেয়ে বেশি। সামগ্রিকভাবে ৩৪ বছর বয়সী বার্থলোমিউ ওগবেচে (৩৬), সুনীল ছেত্রী (৫১) এবং ফেরান করোমিনাসের (৪৮) পরে আইএসএলের সর্বকালের ইতিহাসে চতুর্থ সর্বোচ্চ গোলদাতা রয় কৃষ্ণা। ২০১৯২০ মরশুমে ১৫টি গোল করে এটিকেকে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন। ২০২০২১ মরশুমে এটিকে মোহনবাগানকে ফাইনালে তোলার পেছনে তাঁর অবদান ছিল যথেষ্ট। ১৪ গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতার সম্মান ছিনিয়ে নিয়েছিলেন রয় কৃষ্ণা।

জুন ০৪, ২০২২
খেলার দুনিয়া

আমাদের খবরই সত্যি হল, এটিকে মোহনবাগানের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ রয় কৃষ্ণার

ইঙ্গিতটা আগেই ছিল। জনতার কথা নিউজ পোর্টালেও খবরটা প্রকাশিত হয়েছিল, এটিকে মোহনবাগান ছাড়বেন রয় কৃষ্ণা। আমাদের খবর মান্যতা পেল। এটিকে মোহনবাগানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করলেন রয় কৃষ্ণা। এদিনই তিনি সরকারি ভাবে সবুজমেরুনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা ঘোষণা করলেন। এবছর আইএসএল চলাকালীন শেষদিকে চোট পেয়েছিলেন রয় কৃষ্ণা। ফিট হয়ে উঠলেও কোচ জুয়ান ফেরান্দো ভরসা রাখেননি রয় কৃষ্ণার ওপর। তখন থেকেই কোচের সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে ফিজির এই তারকার। ৩১ মে এটিকে মোহনবাগানের সঙ্গে চুক্তি শেষ হয় রয় কৃষ্ণার। ফলে ১ জুন থেকেই ফ্রি এজেন্ট তিনি। অবশেষে ৩ জুন সরকারী ভাবে রয় কৃষ্ণার দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করল এটিকে মোহনবাগান।এক নিকট আত্মীয় মারা যাওয়ায় এএফসি কাপের যোগ্যতা অর্জনকারী পর্বের ঠিক আগে দেশে ফিরে গিয়েছিলেন রয় কৃষ্ণা। সূত্রের খবর, কোচ জুয়ান ফেরান্দোর সঙ্গে মনোমালিন্যর জন্যই নাকি ফিজি চলে গিয়েছিলেন রয় কৃষ্ণা। তাঁর সম্পর্কে কোনও প্রশ্ন করলে এড়িয়ে যেতেন ফেরান্দো। কোচের সঙ্গে রয় কৃষ্ণার সম্পর্কে অবনতি যে হয়েছে তা স্বষ্ট ছিল। গ্রুপ পর্বের ম্যাচে যদিও পেশাদারিত্ব দেখিয়ে রয় কৃষ্ণা জ্বলে ওঠেন।শুক্রবার এটিকে মোহনবাগানের মিডিয়া টিমের পক্ষ থেকে সরকারি ভাবে রয় কৃষ্ণার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা জানানো হয়। এটিকে মোহনবাগানের পক্ষ থেকে টুইট করে রয় কৃষ্ণাকে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। টুইটারে লেখা হয়েছে, সমস্ত স্মৃতির জন্য ধন্যবাদ রয়! বিদায় এবং শুভকামনা রইল! রয় কৃষ্ণর কাছে এই মুহূর্তে ইস্টবেঙ্গল, মুম্বই সিটি এফসিসহ আইএসএল-এর একাধিক ক্লাবের প্রস্তাব রয়েছে। এছাড়া তাঁর পুরনো ক্লাব অস্ট্রেলিয়ার এ লিগের ক্লাব ওয়েলিংটন ফনিক্সেরও প্রস্তাব রয়েছে। সেখান থেকেই ভারতে খেলতে এসেছিলেন তিনি। তবে কোথায় খেলবেন তাএখনও ঠিক করেননি রয় কৃষ্ণা।

জুন ০৩, ২০২২
খেলার দুনিয়া

‌মাজিয়াকে উড়িয়ে এএফসি কাপের আঞ্চলিক পর্বের সেমিফাইনালে এটিকে মোহনবাগান

এএফসি কাপের প্রথম ম্যাচে গোকুলাম এফসির কাছে হারটা যে দুর্ঘটনা ছিল, প্রমাণ হয়ে গেল। প্রথম ম্যাচে হারের পর দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন। বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে ৪২ ব্যবধানে জয়। গ্রুপ লিগের শেষ ম্যাচে মালদ্বীপের মাজিয়া স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন ক্লাবকে ৫২ ব্যবধানে উড়িয়ে এএফসি কাপের আঞ্চলিক পর্বের সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল এটিকে মোহনবাগান। জোড়া গোল করে জয়ের নায়ক জনি কাউকো। ১টি করে গোল করেন রয় কৃষ্ণা, শুভাশিস বোস ও কার্ল ম্যাকহিউ।এটিকে মোহনবাগান সেমিফাইনালে জায়গা করে নিতে পারবে কিনা নির্ভর করছিল এদিন গোকুলাম এফসি ও বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংসের ম্যাচের ওপর। গোকুলাম জিতলে এটিকে মোহনবাগান ও মাজিয়া ম্যাচ নিয়মরক্ষার ম্যাচে পরিণত হত। কিন্তু প্রথম ম্যাচে বসুন্ধরা কিংস ২১ ব্যবধানে জিতে যাওয়ায় ড্র করলেও চলত এটিকে মোহনবাগানের। কিন্তু মাজিয়াকে উড়িয়েই সেমিফাইনালে জায়গা করে নিল।এদিন ম্যাচে ২৬ মিনিটে এটিকে মোহনবাগানের হয়ে প্রথম গোলটি করেন জনি কাউকো। এই গোলের ১১ মিনিটের মধ্যে দ্বিতীয় গোলটি করেন তিনি। ২০ গোলে এগিয়ে যাওয়া এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে মাজিয়ার হয়ে ব্যবধান কমান টানা। দ্বিতীয়ার্ধে ৫৬ মিনিটে রয় কৃষ্ণ গোল করে এটিকে মোহনবাগানের পক্ষে লিড ডবল করেন। দুমিনিটের মধ্যে চতুর্থ গোলটি করেন শুভাশিস বসু ৫৮ মিনিটে। ৭১ মিনিটে কার্ল ম্যাকহিউ পঞ্চম গোলটি করেন এটিকে মোহনবাগানের হয়ে। ৭৩ মিনিটে টানা আরও একটি গোল মাজিয়ার হয়ে করলেও কোনও লাভ হয়নি মলদ্বীপের দলটির। শেষ পর্যন্ত এটিকে মোহনবাগানের পক্ষে ৫২ গোলেই শেষ হয় ম্যাচ।

মে ২৪, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ডিআরএসের ব্যাপারে ঋষভ পন্থ কি পারবেন রোহিতের ভরসা হতে?‌‌

মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে হেরে প্লে অফের স্বপ্ন শেষ হয়ে গিয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালসের। দিল্লি ক্যাপিটালসের প্লে অফে উঠতে না পারার পেছনে অনেকেই অধিনায়ক ঋষভ পন্থকে দায়ি করেছেন। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ম্যাচে তাঁর ভুলের মাশুল দিতে হয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালসকে। প্রথমে শার্দূল ঠাকুরের বলে তিনি ডিওয়াল্ড ব্রেভিসের ক্যাচ ফেলেছিলেন। পরের বলেই টিম ডেভিভের ক্যাচ তালুবন্দী করেন। আম্পায়ার ডেভিসকে আউট দেননি। কিন্তু ডিআরএস নেননি ঋষভ। যার মাশুল দিতে হয়েছিল দিল্লিকে। দুর্দান্ত ইনিংস খেলে ১১ বলে ৩৪ রান করে মুম্বইকে জয় এনে দিয়েছিলেন ডেভিস।দলের চরম বিপর্যয়ের মুখে দাঁড়িয়ে ৩৯ রানের ইনিংস খেলেছিলেন ঋষভ পন্থ। তাঁর ইনিংসের সৌজন্যে লড়াই করার অক্সিজেন পেয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। কিন্তু ঋষভের নেতৃত্বের ভুলেই ম্যাচ থেকে ছিকটে যেতে হয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালসকে। টিম ডেভিসের ক্যাচের সময় ঋষভ ডিআরএস নিলে হয়তো প্লে অফ থেকে ছিটকে যেতে হত না দিল্লিকে।ডিআরএসের ব্যাপারে ঋষভকে আরও পরিনত হতে হবে। না হলে ভবিষ্যতে ভারতীয় দলকে সমস্যায় পড়তে হবে। ভারতীয় দলে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলির মতো ঋষভকেই ডিআরএসের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কারণ, উইকেটের পেছনে দাঁড়িয়ে তিনিই সবথেকে ভাল পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন। ঋষভ যদি ভুল সিদ্ধান্ত নেন, তার মাশুল দিতে হবে ভারতীয় দলকে।ঋষভকে নিয়ে ডিআরএস প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন স্পিনার ব্র্যাড হগ বলেছেন, ডিআরএস নেওয়ার ক্ষেত্রে রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির মতো ভারতীয় শিবিরের পন্থই একমাত্র সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী। পন্থ বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মার কাছে গিয়ে বলতে পারবে না, ও আউট হয়েছে, ডিআরএসের সিদ্ধান্ত তোমরা নাও। রিভিউ নেওয়ার দায়িত্ব শুধুমাত্র ঋষভ পন্তের। এই বলে দায়িত্বও এড়িয়ে যেতে পারবে না। রিভিউ নেওয়ার দায়িত্ব কেবলমাত্র ঋষভ পন্থের ওপর নির্ভর করবে।হগ আরও বলেছেন, টিম ডেভিডের ক্যাচ ধরে ঋষভ পন্থ ও শার্দূল ঠাকুর দারুণ প্রভাবিত হয়েছিল। কিন্তু আম্পায়ার আউট দেয়নি। ঋষভের উচিত ছিল ডিআরএস নেওয়া। ডেভিড ওঅসময় আউট হলে মুম্বইয়ের পক্ষে জেতা সম্ভব হত না। টিম ডেভিড দলকে এগিয়ে নিয়ে গিয়ে দিল্লি ক্যাপিটালসকে প্লে অফের লড়াই থেকে বাদ দিয়েছিলেন। কেন তিনি আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত পর্যালোচনার জন্য যাননি? এই প্রসঙ্গে ঋষভ বলেন, বৃত্তের ভিতরে বেশিরভাগ সতীর্থর মনে হয়নি বল ডেভিডের ব্যাটে লেগেছিল।

মে ২৩, ২০২২
খেলার দুনিয়া

বসুন্ধরার কোচ অস্কারেরও তাচ্ছিল্য!‌ জবাব দিতে পারবে মোহনবাগান?‌

আইএসএলে ব্যর্থতার পর এএফসি কাপকেই পাখির চোখ করেছিলেন এটিকে মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো। আঞ্চলিক পর্বের নক আউটে ওঠার তাঁর সেই স্বপ্ন এখন বিশ বাঁও জলে। নক আউট পর্বে যাওয়ার স্বপ্নে জোরালো ধাক্কা দিয়ে গেছে গোকুলাম এফসি। গ্রুপ লিগের প্রথম ম্যাচে কেরালার এই দলের কাছে ৪২ ব্যবধানে হেরে গভীর সঙ্কটে পড়ে গেছে এটিকে মোহনবাগান। শনিবার গ্রুপ লিগের দ্বিতীয় ম্যাচে সামনে বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংস। পরের পর্বে যাওয়ার আশা জিইয়ে রাখতে গেলে জেতা ছাড়া সামনে রাস্তা নেই সবুজমেরুণের সামনে। গ্রুপ লিগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মালদ্বীপের মাজিয়া স্পোর্টসকে হারিয়ে ভাল জায়গায় রয়েছে বসুন্ধরা কিংস। বাংলাদেশের এই দলের বিরুদ্ধে জেতাটা কিন্তু সহজ হবে না এটিকে মোহনবাগানের কাছে। দুদলের মধ্যে এএফসি কাপের আগের সাক্ষাৎকার ড্র হয়েছিল। এবার অনেকটাই শক্তি বাড়িয়ে এসেছে বসুন্ধরা কিংস। বেশ কয়েকজন নতুন বিদেশি সই করিয়েছে। দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার। বসুন্ধরা সিংসের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে গোকুলাম ম্যাচ মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে চাইছে সবুজমেরুণ শিবির। বসুন্ধরা কিংস ম্যাচে নতুন করে শুরু করতে চায়। বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে জুয়ান ফেরান্দো বলেন, গোকুলাম ম্যাচে হারের জন্য কোনও অজুহাত দিতে চাই না। প্রথমার্ধে যদি গোলের সুযোগ কাজে লাগাতে পারতাম, তাহলে ফল অন্যরকম হত। বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে নতুন লড়াই। আমাদের এখনও ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ আছে। ফুটবলারদের ওপর ভরসা রাখছি। আশা করছি আগের ম্যাচের মতো ভুল করবে না। ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য ওরা তৈরি। তবে আগের ম্যাচে তিরির চোট পেয়ে উঠে যাওয়াটা প্রভাব ফেলেছিল বলে জানিয়েছেন ফেরান্দো। তিনি বলেন, দলের গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার চোট পেয়ে উঠে গেলে তার প্রভাব পড়ে। আমাদের খেলাতেও পড়েছিল। বসুন্ধরার বিরুদ্ধে তিরি না থাকায় কার্ল ম্যাকহিউকে রক্ষণে খেলানোর কথা ভাবছেন জুয়ান ফেরান্দো। আশুতোষ মেহতার মতো ফুটবলারকে নামানোর মতো ভুল আর করতে চান না সবুজমেরুণ কোচ। দীপক টাংরিকে শুরু থেকে নামাতে পারেন। হুগো বোমাসের খেলার সম্ভাবনা প্রবল। আসলে বসুন্ধরার বিরুদ্ধে ডু অর ডাই ম্যাচে কোনও রকম ত্রুটি রাখতে চাইছেন না জুয়ান ফেরান্দো। এদিকে গোকুলাম এফসি কোচ আলবার্তোর পর বসুন্ধরা কিংস কোচ অস্কার ব্রুজোঁর মুখেও এটিকে মোহনবাগানকে নিয়ে তাচ্ছিল্য। জুয়ান ফেরান্দোর দলের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে তিনি বলেন, এটিকে মোহনবাগানকে নিয়ে চিন্তিত নই। কত গোল জিতব, সেটা নিয়েই ভাবছি। জুয়ান ফেরান্দোর দলের তুলনায় হাবাসের দল অনেক বেশি ভাল ফুটবল খেলেছিল। এই দলটার মধ্যে কোনও ছন্দ নেই। আমার কাছে বেশি গুরুত্ব গ্রুপ লিগের শেষ ম্যাচ গোকুলাম। এখন দেখার, সবুজমেরুণ ব্রিগেড এই তাচ্ছিল্যের জবাব দিতে পারে কিনা।

মে ২০, ২০২২
খেলার দুনিয়া

সামনে গোকুলাম, রয় কৃষ্ণাদের নিয়ে কেন স্ট্র‌্যাটেজি গোপন রাখলেন বাগান কোচ ফেরান্দো?‌

আইএসএলের লিগ পর্যায়ে দুরন্ত পারফরমেন্স করেও শেষরক্ষা হয়নি। সেমিফাইনাল থেকেই বিদায় নিতে হয়েছিল এটিকে মোহনবাগানকে। আইএসএল থেকে বিদায় নেওয়ার পর বাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো পাখির চোখ করেছিলেন এএফসি কাপকে। বুধবার গ্রুপ লিগে এটিকে মোহনবাগানের সামনে আই লিগ চ্যাম্পিয়ন গোকুলাম এফসি। জয় দিয়ে এবারের এএফসি কাপ অভিযান শুরু করতে মরিয়া সবুজমেরুণ শিবির। এটিকে মোহনবাগানের গ্রুপে গোকুলাম এফসি ছাড়াও রয়েছে বাংলাদেশের লিগ চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস ও মালদ্বীপের ধিবোহী লিগ চ্যাম্পিয়ন মাজিয়া স্পোর্টস ক্লাব। দুটি দলই যথেষ্ট শক্তিশালী। তাই গোকুলাম এফসির বিরুদ্ধে গ্রুপ লিগের প্রথম ম্যাচে জয় তুলে নিয়ে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নিতে চায় এটিকে মোহনবাগান। গতবছর এএফসি কাপে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরের পর্বে উঠেছিল সবুজমেরুণ ব্রিগেড। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। এবছরও ডি গ্রুপে এটিকে মোহনবাগান ফেবারিট। তবে বিপক্ষ শিবিরকে হালকাভাবে নিতে মোটেই রাজি নন সবুজমেরুণ কোচ।গোকুলাম এফসির বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে জুয়ান ফেরান্দো বলেন, গ্রুপের তিনটি দলই নিজেদের দেশের লিগে চ্যাম্পিয়ন। সুতরাং হালকাভাবে নেওয়ার প্রশ্নই নেই। প্রত্যেকে চ্যালেঞ্জ জানাতে তৈরি। গ্রুপের তিনটি দলকেই সমান গুরুত্ব দিতে হবে। গোকুলাম এফসি খেলার মধ্যে রয়েছে। মাত্র কদিন আগেই আই লিগ জিতেছে। ফলে ওদের মনোবল তুঙ্গে রয়েছে। গোকুলামের আক্রমণ ও রক্ষণে দারুণ ভারসাম্য রয়েছে। ফলে লড়াই সহজ হবে না। আই লিগে একমাত্র শ্রীনিধি এফসির কাছে হেরেছিল গোকুলাম। ফলে বিপক্ষকে যথেষ্ট সমীহ করছেন জুয়ান। যদিও রয় কৃষ্ণারা নিজেরদের সেরা খেলা তুলে ধরলে জয় পেতে সমস্যা হবে না এটিকে মোহনবাগানের। কিছুদিন আগেই এএফসি কাপের প্রাথমিক পর্বে রয় কৃষ্ণাকে ছাড়াই শ্রীলঙ্কার ফাইভ স্টার ও বাংলাদেশের বসুন্ধরার বিরুদ্ধে দারুণ জয় তুলে নিয়েছিল এটিকে মোহনবাগান। এবার রয় কৃষ্ণাকে পাচ্ছেন জুয়ান ফেরান্দো। তাঁর সঙ্গে যোগ হয়েছেন কার্ল ম্যাকহিউ। ফলে অনেকটাই শক্তি বাড়িয়ে এবার মাঠে নামছে এটিকে মোহনবাগান। এছাড়া তিরি, জনি কাউকো, ডেভিড উইলিময়ামস, হুগো বোমাসরাও রয়েছেন। ৪ বিদেশিকে মাঠে নামানো যাবে। ৬ বিদেশির মধ্যে কোন ৪ বিদেশিকে প্রথম একাদশে রাখবেন, তা খোলসা করেননি জুয়ান ফেরান্দো। তিনটি ম্যাচে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সব বিদেশিকেই মাঠে নামাতে চান।

মে ১৭, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • ›

ট্রেন্ডিং

কলকাতা

গীতা হাতে আদালতে হাজির মেসি অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা! ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ

হাতে গীতা নিয়ে আদালতে ঢুকলেন শতদ্রু দত্ত। রবিবার তাঁর পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তাঁকে বিধাননগর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়। আদালতে ঢোকার সময় দেখা যায়, ডান হাতে গীতা ধরে রয়েছেন তিনি। মুখ গম্ভীর, ধীর পায়ে আদালতের দিকে এগোতে দেখা যায় মেসির কলকাতা সফরের অন্যতম উদ্যোক্তাকে। তবে রবিবারও জামিন পেলেন না শতদ্রু।গত ১৩ ডিসেম্বর যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে লিওনেল মেসির অনুষ্ঠান ঘিরে চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। সেই দিনই বিমানবন্দর থেকে শতদ্রুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর তাঁকে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হয়। পাশাপাশি রিষড়ায় তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালায় বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ। তল্লাশির পর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত নথি খতিয়ে দেখেন সিটের আধিকারিকরা। তদন্তের ভিত্তিতে শতদ্রুর প্রায় ২২ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়।পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর রবিবার আদালতে তোলা হলে সরকারি আইনজীবীরা তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ তোলেন। অভিযোগ করা হয়, সরকারি অনুমতি পাওয়ার আগেই খাদ্য ও পানীয় সরবরাহকারী সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছিল। পাশাপাশি প্রায় ২৩ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগও তোলা হয়। সরকারি পক্ষের দাবি, শতদ্রু যথেষ্ট প্রভাবশালী ব্যক্তি, তাই তাঁকে জামিন দেওয়া উচিত নয়।দীর্ঘ সওয়াল-জবাবের পর আদালত জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়। আগামী ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত তাঁকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও শতদ্রুর আইনজীবীর দাবি, আইনি লড়াইয়ে তাঁর মক্কেল এগিয়ে রয়েছেন। অন্যান্য শহরের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, কোনও সংস্থার তরফেই নিয়ম ভাঙা হয়নি। উল্লেখ্য, পুলিশি জেরায় শতদ্রু ইতিমধ্যেই একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এবার তাঁকে পাঠানো হল জেল হেফাজতে।

ডিসেম্বর ২৮, ২০২৫
দেশ

কাশ্মীরে গা-ঢাকা ৩০-র বেশি পাক জঙ্গি! শীতের মধ্যেই বড় অপারেশন সেনার

শীত নামার আগেই সীমান্ত এলাকায় তৎপরতা বাড়ায় ভারতীয় সেনা। কারণ, শীত পড়ার আগেই বিপুল সংখ্যায় জঙ্গিদের ভারতে ঢোকানোর চেষ্টা করা হয়। শীতের সময় বরফে ঢাকা সীমান্ত পেরিয়ে কাশ্মীরে অনুপ্রবেশ করা কঠিন হয়ে পড়ে। কিন্তু গোয়েন্দা সূত্রে খবর, এ বছর শীতের শুরুতেই কাশ্মীরে ৩০ জনেরও বেশি পাক জঙ্গির উপস্থিতি টের পাওয়া গিয়েছে।গোয়েন্দাদের দাবি, এই জঙ্গিরা মূলত মাঝারি ও উঁচু পাহাড়ি এলাকায় ঘাঁটি গেড়েছে। ওই সব এলাকায় সাধারণ মানুষের বসবাস খুব কম। কিশ্তওয়ার ও ডোডা এলাকায় জঙ্গিদের আনাগোনা বেড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রবল ঠান্ডাকে কাজে লাগিয়ে তারা উপত্যকায় নাশকতার ছক কষছে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।এই তথ্য সামনে আসার পরই বড়সড় অভিযান শুরু করেছে ভারতীয় সেনা। শীতের জন্য বিশেষভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইউনিট মোতায়েন করা হয়েছে। বরফে ঢাকা দুর্গম এলাকায় নজরদারির জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে বিশেষ ড্রোন ও সেন্সর। সেনা সূত্রে জানানো হয়েছে, এই অভিযানের লক্ষ্য জঙ্গিদের এমন জায়গায় কোণঠাসা করা, যেখানে রসদ জোগাড় করা প্রায় অসম্ভব।সেনা কর্তাদের বক্তব্য, পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের জন্য এই অভিযান একটি স্পষ্ট বার্তা। শীতের সুযোগ নিয়ে আর জঙ্গিদের ভারতে লুকিয়ে থাকার সুযোগ দেওয়া হবে না। গোয়েন্দাদের অনুমান, চিল্লাই কালানের ৪০ দিনের প্রবল শীতের সময় জঙ্গিরা লুকিয়ে থেকে নিজেদের পরিকল্পনা সাজাতে চাইছে। সেই কারণেই আগেভাগে অভিযান শুরু করা হয়েছে।এই জঙ্গি দমন অভিযানে সেনার পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ, সিআরপিএফ, বন দপ্তর-সহ একাধিক নিরাপত্তা বাহিনী একযোগে অংশ নিয়েছে। জঙ্গিদের গতিবিধির উপর নজর রেখে দ্রুত এবং কড়া পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী।

ডিসেম্বর ২৮, ২০২৫
বিদেশ

হাদি হত্যা মামলায় নতুন মোড়, সীমান্ত পেরিয়ে মেঘালয়ে আশ্রয় অভিযুক্তদের

হাদি হত্যাকাণ্ডে বড় তথ্য সামনে আনল ঢাকা মহানগর পুলিশ। রবিবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিক বৈঠকে অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এন এন মহম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, এই মামলার মূল দুই অভিযুক্ত ফয়জ়ল করিম ওরফে দাউদ এবং আলমগীর শেখ বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে গিয়েছে। তাঁর দাবি, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট সীমান্ত দিয়ে ভারতে ঢুকে তারা মেঘালয়ে গা-ঢাকা দিয়েছে।ঢাকা পুলিশের বক্তব্য অনুযায়ী, এই পালানোর পুরো ঘটনায় আরও দুই জন সহযোগিতা করেছিল। তাদের নাম পুত্তি এবং সামী। এই দুজনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ভারতে ঢোকার পর পুত্তি প্রথমে ফয়জ়ল ও আলমগীরের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এরপর সামী নামে আর এক সহযোগীর ট্যাক্সিতে ওঠে তারা। সেই ট্যাক্সিতেই তারা মেঘালয়ের তুরা পৌঁছয়।প্রশ্ন উঠছে, হাদি হত্যার পর সারা বাংলাদেশে হাই অ্যালার্ট জারি থাকা সত্ত্বেও কীভাবে পুলিশের চোখ এড়িয়ে পালিয়ে গেল অভিযুক্তরা। এই প্রসঙ্গে নজরুল ইসলাম জানান, একাধিক জবানবন্দিতে উঠে এসেছে যে হত্যার পরেই ফয়জ়ল ও আলমগীর প্রথমে আমিনবাজারে যায়। সেখান থেকে তারা মানিকগঞ্জের কালামপুরে পৌঁছয়। সেখানে আগে থেকেই একটি ট্যাক্সি তাদের জন্য অপেক্ষা করছিল। সেই গাড়িতেই তারা হালুয়াঘাট সীমান্তের দিকে রওনা দেয়।পুলিশের দাবি, সীমান্তের কাছে ফয়জ়ল ও আলমগীরের সঙ্গে পরিচয় হয় ফিলিপ ও সঞ্জয়ের। তারাই দুই অভিযুক্তকে ভারতে অনুপ্রবেশ করতে সাহায্য করে। এরপর তারা মেঘালয়ের দিকে চলে যায়।এই হত্যাকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত মোট ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা পুলিশ। তাদের মধ্যে ছজনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই আগামী সাত থেকে দশ দিনের মধ্যে চার্জশিট পেশ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে মূল দুই অভিযুক্ত এখন ঠিক কোথায় রয়েছে, তা এখনও নিশ্চিত নয়।এদিকে, ভারতের মাটিতে হাদি হত্যার দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে ঢাকা পুলিশ। মেঘালয় পুলিশের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগের মাধ্যমে এই গ্রেফতার সম্ভব হয়েছে বলে দাবি। যদিও ফয়জ়ল ও আলমগীর এখনও পলাতক। পুলিশের অনুমান, মেঘালয় সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের কোথাও তারা লুকিয়ে রয়েছে।

ডিসেম্বর ২৮, ২০২৫
রাজ্য

ডিউটির পর কোয়ার্টারে গিয়েছিলেন, ফেরেননি আর—মহিলা হোমগার্ডের রহস্যমৃত্যু

থানার কোয়ার্টার থেকেই উদ্ধার হল এক মহিলা হোমগার্ডের দেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। বারুইপুর পুলিশ জেলার ক্যানিং থানার পুলিশ কোয়ার্টার থেকে উদ্ধার হয়েছে ২২ বছরের গুলজান পারভিন মোল্লা ওরফে রেশমির দেহ। তাঁর বাড়ি ক্যানিং ২ নম্বর ব্লকের জীবনতলা থানার উত্তর মৌখালী এলাকায়।পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার ডিউটি শেষ হওয়ার পর ক্যানিং থানার পিছনের দিকে থাকা কোয়ার্টারে যান রেশমি। তারপর থেকেই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বারবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। শনিবার সারাদিন চেষ্টা করেও কোনও সাড়া না পেয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। শেষ পর্যন্ত তাঁরা ক্যানিং থানায় পৌঁছন।রেশমির বোন রুকসানা খাতুন থানার কোয়ার্টারে গিয়ে দরজা খুলতেই ভয়াবহ দৃশ্য দেখতে পান। সিলিং থেকে গলায় ওড়না জড়ানো অবস্থায় ঝুলছিল রেশমির দেহ। চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। খবর পেয়ে ক্যানিং থানার পুলিশ দ্রুত দেহ উদ্ধার করে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপর দেহ ময়নাতদন্তের প্রস্তুতি শুরু হয়।প্রসঙ্গত, প্রায় দুবছর আগে পঞ্চায়েত ভোটের সময় ভাঙড়ে গিয়ে খুন হন রেশমির বাবা রশিদ মোল্লা। সেই ঘটনার পর পরিবারের বড় মেয়ে হিসেবে রেশমিকে হোমগার্ডের চাকরি দেওয়া হয়েছিল। এখন তাঁর অকালমৃত্যুতে গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।তবে রেশমির পরিবার এই মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে মানতে নারাজ। মৃতার পরিবারের পক্ষ থেকে ক্যানিং থানার সাব ইন্সপেক্টর সায়ন ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পরিবারের দাবি, রেশমির সঙ্গে ওই পুলিশ আধিকারিকের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসায় রেশমিকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। মৃতার কাকা ছয়েদ মোল্লা অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই মৃত্যুর পিছনে ঠিক কী কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ডিসেম্বর ২৮, ২০২৫
রাজ্য

১৯৬৭ সালের অ্যাডমিট কার্ড হাতে শুনানিতে হাজির ৭৫ বছরের বৃদ্ধা, চমকে গেল এসআইআর কেন্দ্র

শুরু হয়ে গিয়েছে এসআইআর-এর দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ। প্রতিটি বিধানসভা ক্ষেত্র পিছু একাধিক জায়গায় চলছে শুনানি। স্কুল ও সরকারি অফিসে তৈরি করা হয়েছে শুনানি কেন্দ্র। প্রথম পর্যায়ে মূলত আনম্যাপড ভোটারদেরই শুনানিতে ডাকা হয়েছে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর।এই শুনানির মাঝেই নজর কাড়লেন শ্রীরাম মন্দির লেনের বাসিন্দা ৭৫ বছর বয়সী ভারতী দে। ফর্মে নামের ক্ষেত্রে সামান্য ভুল থাকায় তাঁকে শুনানিতে ডাকা হয়। শুনানিতে এসে নিজের সঙ্গে নিয়ে আসেন ১৯৬৭ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড এবং রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট। এত পুরনো নথি, তাও আবার এত ভালো অবস্থায় দেখে হতবাক হয়ে যান উপস্থিত অনেকে।নির্বাচন কমিশনের এসআইআর যাচাই প্রক্রিয়ায় দশটিরও বেশি নথি দেখানোর সুযোগ রয়েছে। মাধ্যমিক সংক্রান্ত নথির পাশাপাশি আরও একাধিক পরিচয়পত্র গ্রহণ করা হয়। সেই প্রেক্ষিতেই এত বছরের পুরনো অ্যাডমিট কার্ড এবং শংসাপত্র অক্ষত অবস্থায় দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেন অনেকে। তবে ভারতী দেবীর কথায়, পড়াশোনার সব কাগজপত্র তিনি সযত্নে রেখে দিতে ভালোবাসেন। কিন্তু সেগুলি যে একদিন এত কাজে লাগবে, তা তিনি ভাবেননি।কেন তাঁকে শুনানিতে ডাকা হয়েছে, সে প্রসঙ্গে ভারতী দেবী বলেন, নামের ক্ষেত্রে হয়তো কোনও ভুল ছিল। তাই শুনানির নোটিস এসেছিল। তবে সেখানে পৌঁছনোর পর তাঁকে জানানো হয়, বাড়িতেই নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা যাচাই করতে আসবেন। তিনি আরও জানান, বিগত প্রতিটি নির্বাচনেই তিনি ভোট দিয়েছেন এবং ২০০২ সালের ভোটার তালিকাতেও তাঁর নাম ছিল।বয়সের ভারে শরীর এখন দুর্বল। শারীরিক অসুস্থতা থাকলেও এদিন পায়ে হেঁটেই শুনানি কেন্দ্রে সময়মতো পৌঁছন তিনি। গণভবন থেকে বেরিয়ে মন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেন ওই বৃদ্ধা।অন্যদিকে, চেতলা গার্লস স্কুলে নির্বাচন কমিশনের তরফে একটি শুনানি কেন্দ্র করা হয়েছে। তার কাছেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে একটি সহায়তা ক্যাম্প বসানো হয়। সেখানে সাধারণ মানুষ এসে নিজেদের সমস্যা ও প্রশ্ন জানাচ্ছেন। বাড়ি থেকে বেরিয়ে এলাকার কাউন্সিলর ও কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ওই ক্যাম্পে যান এবং দীর্ঘক্ষণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন।

ডিসেম্বর ২৮, ২০২৫
রাজ্য

ছেলেকে আটক করতেই ক্ষোভে ফেটে পড়লেন হুমায়ুন, থানায় যাওয়ার হুমকি বিধায়কের

ছেলেকে আটক করার পরেই ফের ক্ষোভে ফেটে পড়লেন রতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। শক্তিনগর থানায় যাওয়ার পথে তিনি পুলিশকে হুমকি দেন বলেও অভিযোগ। হুমায়ুন কবীর বলেন, শক্তিনগর থানার পুলিশ তাঁর বাড়ি ঘিরে রেখেছে। তাঁর অভিযোগ, যদি পুলিশ কোনও অশালীন আচরণ করে, তবে আগামী বৃহস্পতিবার বহরমপুর জেলা পুলিশ অফিস ঘেরাও করা হবে।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হুমায়ুন কবীরের দেহরক্ষী ছিলেন পুলিশ কনস্টেবল জুম্মা খান। অভিযোগ, সেই দেহরক্ষীকেই মারধর করেছেন বিধায়কের ছেলে গোলাম নবী আজাদ ওরফে রবীন। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই শক্তিনগর থানার পুলিশ বিধায়কের বাড়িতে পৌঁছয় এবং বাড়ি ঘিরে ফেলে। পরে রবীনকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।জানা গিয়েছে, গোলাম নবী আজাদ তৃণমূল পরিচালিত একটি পঞ্চায়েতের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ। যদিও হুমায়ুন কবীর নতুন দল জনতা উন্নয়ন পার্টি তৈরি করলেও তাঁর ছেলে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে বাবার দলে যোগ দেননি। রাজনৈতিক পরিচয়ের পাশাপাশি এই ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে।এই প্রসঙ্গে অরূপ চক্রবর্তী বলেন, হুমায়ুন কবীর একটি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন যে ওই দেহরক্ষী বছরের শেষে ছুটি চেয়েছিলেন। ছুটি না মঞ্জুর হওয়াতেই তাঁকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। অরূপ চক্রবর্তীর বক্তব্য, একজন সরকারি পুলিশ কর্মীর গায়ে হাত তোলা আইনত অপরাধ। কেউ বিধায়ক হলেও পুলিশকে হেনস্থা করা যায় না।এদিকে, বিধায়কের বাড়িতে পুলিশ যাওয়া নিয়ে আগেই অভিযোগ তুলেছিলেন হুমায়ুন কবীর। তাঁর দাবি ছিল, শক্তিনগর থানার পুলিশ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে তাঁর বাড়ি ঘিরে রেখেছে। তবে পুলিশ জানিয়েছে, দেহরক্ষীকে মারধরের অভিযোগের ভিত্তিতেই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

ডিসেম্বর ২৮, ২০২৫
রাজ্য

নদীতে পড়ল মালগাড়ির কামরা, একের পর এক ট্রেন বাতিল ও ডাইভার্ট

আসানসোল ডিভিশনে ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা। সিমেন্ট বোঝাই একটি মালগাড়ি লাইনচ্যুত হয়ে যায় বিকট শব্দে। মোট ১৯টি বগি দুর্ঘটনায় পড়ে। বেশ কয়েকটি কামরা পাশের বরুয়া নদীতে গিয়ে পড়ে এবং বাকি কামরাগুলি পাশের লাইনে উল্টে যায়। শনিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ বিহারের শিমুলতলা স্টেশনের কাছে তেলিয়াবাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, মালগাড়িটি জাসিডিহ থেকে ঝাঝার দিকে যাচ্ছিল। তেলিয়াবাজার হল্ট স্টেশনের কাছে ৬৭৬ নম্বর সেতুর উপর হঠাৎই ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। দুর্ঘটনার সময় মালগাড়িটির ঠিক পিছনেই ছিল পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেস। দুর্ঘটনার পর সঙ্গে সঙ্গে ওই যাত্রীবাহী ট্রেনটিকে মাঝপথে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। তবে এই ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর নেই বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।এই দুর্ঘটনার জেরে ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়েছে রেল চলাচল। একের পর এক দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। বাতিল ট্রেনের মধ্যে রয়েছে হাওড়া-দেরাদুন কুম্ভ এক্সপ্রেস, শিয়ালদহ-বালিয়া এক্সপ্রেস, মোকামা-হাওড়া এক্সপ্রেস-সহ একাধিক মেমু ও লোকাল ট্রেন। পাশাপাশি বহু দূরপাল্লার ট্রেনের যাত্রাপথ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে এবং বেশ কয়েকটি ট্রেনকে বিকল্প পথে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে।রুট পরিবর্তন করা ট্রেনগুলির মধ্যে রয়েছে টাটানগর-বক্সার এক্সপ্রেস, হাওড়া-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেস, হাওড়া-পাটনা বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, কলকাতা-গোরখপুর পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেস, যশীদিহ-পুনে সাপ্তাহিক এক্সপ্রেস, আসানসোল-মুম্বই সিএসএমটি এক্সপ্রেস, রক্সৌল-হায়দরাবাদ এক্সপ্রেস, পাটনা-ধনবাদ ইন্টারসিটি, বলিয়া-শিয়ালদহ এক্সপ্রেস, পাটনা-হাটিয়া পাটলিপুত্র এক্সপ্রেস, কাঠগোদাম-হাওড়া বাঘ এক্সপ্রেস, বক্সার-বিলাসপুর সুপারফাস্ট, রক্সৌল-হাওড়া এক্সপ্রেস এবং গোরখপুর-আসানসোল এক্সপ্রেস।বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ক্ষেত্রেও রুট পরিবর্তন করা হয়েছে। বারাণসী-দেওঘর এবং দেওঘর-বারাণসী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস নির্ধারিত রুটের বদলে গয়া ও কোডারমা হয়ে চলাচল করছে।রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যাত্রীদের অসুবিধার জন্য তারা দুঃখিত। তবে যাত্রী নিরাপত্তা এবং দ্রুত স্বাভাবিক রেল পরিষেবা চালু করার জন্য এই সাময়িক পরিবর্তন জরুরি। যাত্রীদের যাত্রার আগে এনটিইএস বা আইআরসিটিসি অ্যাপ এবং নিকটবর্তী স্টেশন থেকে সর্বশেষ তথ্য জেনে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

ডিসেম্বর ২৮, ২০২৫
কলকাতা

খসড়া তালিকায় নাম নেই! এসআইআর শুনানির নোটিস সাংসদ কাকলির পরিবারে, ব্যাখ্যা কমিশনের

খসড়া ভোটার তালিকায় নাম নেই। এসআইআর প্রক্রিয়ার শুনানিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে বারসতের তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের দুই পুত্রকে। শুধু তাই নয়, হাজিরার জন্য নোটিস পাঠানো হয়েছে তাঁর মা এবং বোনকেও। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সরব হয়েছেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরেই মুখ খুলেছে নির্বাচন কমিশন।সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, কেন সাংসদের পরিবারের সদস্যদের শুনানিতে ডাকা হয়েছে। কমিশনের দাবি, এনুমারেশন ফর্মে লিঙ্কেজ সংক্রান্ত সমস্যার কারণেই তাঁদের ডেকে পাঠানো হয়েছে। টুইট করে স্পষ্ট করা হয়েছে, এটি কোনও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত পদক্ষেপ নয়। পাশাপাশি কমিশন জানিয়েছে, সাংসদের বৃদ্ধা মাকে শুনানির জন্য বাইরে আসতে হবে না। বাড়িতেই গিয়ে তাঁর শুনানি সম্পন্ন করা হবে।এই নিয়ে আগে থেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার। তিনি জানিয়েছিলেন, খসড়া ভোটার তালিকা দেখতে গিয়ে দেখা যায়, তাঁর দুই ছেলের নাম নেই। তাঁদের শুনানির জন্য ডাকা হয়েছে। কাকলির কথায়, তাঁদের বাবা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সুদর্শন ঘোষ দস্তিদার। তিনি নিজে চারবারের সাংসদ। তাঁর দুই পুত্র সরকারি চাকুরে। তা সত্ত্বেও শুনানিতে ডাকা হচ্ছে। এতে এসআইআর প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।কাকলি আরও বলেন, তাঁর মা এবং বোন অন্য বুথের ভোটার। অথচ তাঁদের নামও খসড়া তালিকায় নেই। তাঁর অভিযোগ, সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে প্রত্যন্ত এলাকার যাঁদের তেমন যোগাযোগ বা ধারণা নেই, তাঁরা শুনানির নামে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। জোর করে নাম বাদ দিয়ে সমস্যায় ফেলার চেষ্টা চলছে বলেও অভিযোগ তৃণমূল সাংসদের।খসড়া তালিকায় নাম না ওঠা নিয়ে প্রথম থেকেই এসআইআর প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার। তাঁর বক্তব্য, তিনি দীর্ঘদিন ধরে একই বুথের ভোটার। তাঁর দুই পুত্র প্রতিষ্ঠিত চিকিৎসক। তা সত্ত্বেও কীভাবে একসঙ্গে পরিবারের চার জনের নাম বাদ পড়ে এবং শুনানির ডাক আসে, সেই প্রশ্নের স্পষ্ট উত্তর চান তিনি।

ডিসেম্বর ২৮, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal