অনন্য নজির রেল পুলিসের। শুক্রবার বর্ধমান জিআরপি থানায় এক ছোট্ট অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ২৩ জন প্রাপকের হাতে তাদের মোবাইল ফিরিয়ে দেওয়া হল। এই অনুষ্ঠানের নাম দেওয়া হয়েছিল ফিরে পাওয়া।অনুষ্ঠানে জি আর পি; ও.সি চিন্তাহরণ সিনহা সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। হারিয়ে পাওয়া মোবাইল পেয়ে প্রাপকেরা জানান; তারা খুব খুশি। বারবার রেল পুলিশকে ধন্যবাদ জানান তারা।
পূর্ব রেলের অন্যতম ব্যস্ততম জংশন স্টেশন বর্ধমান। অথচ নিরাপত্তার বিষয়ে একেবারেই ঢিলেঢালা বলে সাধরন মানুষের অভিযোগ। নাম কা ওয়াস্তে সুরক্ষা ব্যবস্থা ছাড়া আর কিছুই নেই। অথচ বর্ধমানের খাগড়াগড়ের বিস্ফোরণের পর রেলের পক্ষ থেকে সুরক্ষা ব্যবস্থা মজবুত করার জন্য একগুচ্ছ পরিকল্পনা নেওয়া হয়। সেই পরিকল্পনার বাস্তবায়িত হয় কোভিড ও লকডাউনের সময়। স্টেশনে ঢোকা ও বের হওয়ার জন্য প্রধান দুটি গেটে বসানো হয় ডোর ফ্রেম মেটাল ডিটেক্টর বা ডিএফএমডি। স্টেশনের ১ নম্বর প্লাটফর্মে ঢোকার প্রধান গেটে দুটি ডোর ফ্রেম মেটাল ডিটেক্টর বসানোর পাশাপাশি বসানো হয় লাগেজ স্ক্যানার। রেল সুরক্ষা বাহিনী বা আরপিএফের জওয়ানদের লাগেজ স্ক্যানের ক্ষেত্রে দায়িত্ব দেওয়া হলেও ডোর ফ্রেম মেটাল ডিটেক্টর কার্যত অসুরক্ষিত অবস্থায় পড়ে আছে। অন্যদিকে ২ নম্বর গেটে অর্থাৎ বুকিং কাউণ্টারের ঠিক সামনেও দুটি ডোর ফ্রেম মেটাল ডিটেক্টর বসানো হয় বছর তিনেক আগে। কিন্তু দুটি ডিএফএমডি-ই অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে দীর্ঘদিন ধরে। যাত্রীদের অভিযোগ রেল কর্তৃপক্ষ সুরক্ষার বিষয়ে চরম উদাসীন।ট্রেন যাত্রী সৌরেন দাস বলেন, স্টেশনে নিরাপত্তার বন্দোবস্ত নেই। একেবারেই খারাপ অবস্থা। যাত্রীদের সুরক্ষার বিষয়ে রেলের জোর দেওয়া উচিত। গড়ে প্রতিদিন বর্ধমান স্টেশন দিয়ে ১ লক্ষ ১০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করেন।মেল, এক্সপ্রেস ও লোকাল মিলিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৩০০ টি ট্রেন চলাচল করে বর্ধমান স্টেশন দিয়ে। তাই স্বাভাবিক ভাবেই বর্ধমান জংশন স্টেশনের গুরুত্ব ও ব্যস্ততা হাওড়া স্টেশনের পরেই। স্টেশন ম্যানেজার স্বপন অধিকারী বলেন, ১ নম্বর গেটে লাগেজ স্ক্যানারের পাশাপাশি ডোর ফ্রেম মেটাল ডিটেক্টর দুটি বসানো হয়েছে। দুটিই কাজ করে। তবে ২ নম্বর গেটের দুটি ডোর ফ্রেম মেটাল ডিটেক্টর খারাপ হয়েছে। ইতিমধ্যেই আরপিএফের পক্ষ থেকে দায়িত্বে থাকা সংস্থাকে বলা হয়েছে মেরামতের জন্য। খুব তাড়াতাড়ি মেরামত করা হবে।অন্যদিকে স্টেশনের প্লাটফর্মে থাকা ডিসপ্লে বোর্ডের অবস্থাও তথৈবচ। ১ ও ২ নম্বর প্লাটফর্মের ডিসপ্লে বোর্ডগুলি কাজ করলেও বাকী প্লাটফর্মগুলিতে ঠিকঠাক করে না। স্টেশন ম্যানেজার স্বপন অধিকারী বলেন, খুব তাড়াতাড়ি সিআইবি বা কোচ ইণ্ডিকেশন বোর্ড লাগানো হবে স্টেশনের সব প্লাটফর্মেই।ফলে খুব তাড়াতাড়ি এই সমস্যা মিটে যাবে বলে তিনি জানান।
স্বাধীনতার ৭৫ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ঝাড়গ্রামে সি আর পি এফ ১৮৪ নং বেটেলিয়ানের পক্ষ থেকে ঝাড়গ্রাম শহরজুড়ে হাতে জাতীয় পতাকা নিয়ে মিছিলের আয়োজন করা হয়। উদ্যোক্তা সিও জানিয়েছেন, ভারত সরকারের নির্দেশে সারা জেলা জুড়ে হর ঘর তিরাঙ্গা কর্মসূচি মাধ্যমে মানুষকে আহ্বান করছেন তারা। এদিনের এই মিছিলে সিআরপিএফ ১৮৪ বেটেলিয়ানের জওয়ান ও স্কুল পড়ুয়ারা হাতে জাতীয় পতাকা নিয়ে শহর পরিক্রমা করে ফের সি আরপিএফ ক্যাম্পে ফিরে আসেন। প্রত্যেকে জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে হর ঘর তিরঙ্গার স্লোগান দিয়ে দেশবাসীকে জাগ্রত করতে এই মিছিল করেন।
মদ্যপ অবস্থায় জগদ্দল স্টেশনের চার নম্বর প্ল্যাটফর্মের চার নম্বর লাইনে বোমা মারার অভিযোগ উঠল এক মদ্যপ যুবকের বিরুদ্ধে । শুক্রবার রাতের ঘটনা এক মদ্দপ যুবক জগদ্দল রেল স্টেশন সংলগ্ন অঞ্চলে বমাবাজি করে বলে পুলিস সুত্র খবর। প্রাথমিক আতঙ্ক কেটে গেলে রেলপাড়ের বস্তি এলাকার মানুষজন চারদিক থেকে ওই যুবককে ঘিরে রাখে । খবর পেয়ে নৈহাটি জিআরপি থানা এবং জগদ্দল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। ওই যুবকের পকেট থেকে পুলিশ আরও তিনটি তাজা বোমা উদ্ধার করেছে। প্রাথমিক জেরায় ধৃত যুবক জানিয়েছে, তার নাম পিন্টু নন্দী। সূত্রের খবর, ধৃতের বাড়ি জগদ্দলের গুপ্তার বাগান এলাকায়। কি কারনে ওই যুবক বোমা মারলো, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
কচ্ছপ পাচার করতে গিয়ে রেল পুলিশের হাতে ধরা পড়ল ভিন রাজ্যের দুই মহিলা। রবিবার সকালে বর্ধমান স্টেশনে কর্তব্যরত জিআরপি ও আরপিএফ আলাদা আলাদা ভাবে অভিযানে নেমে কচ্ছপ উদ্ধার করে।কচ্ছপ পাচারের ঘটনার জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে দুই মহিলা। ধৃতদের নাম পান্নি ও সিমা। তাঁদের বাড়ি উত্তরপ্রদেশের পাকড়ী থানার সুলতানপুরে। সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে এদিনই ধৃতদের পেশ করা হয় বর্ধমান আদালতে। বিচারক ধৃতদের বিচারবিভাগীয় হেফাজতো পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। আরপিএফের তরফে জানানো হয়েছে, এদিন সকালে আরপিএফ বর্ধমান স্টেশনে রুটিন তল্লাশি চালানোর সময় ডাউন হাওড়া-চম্বল এক্সপ্রেসের এস-১ কম্পার্টমেন্টে দুটি ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখে। সন্দেহ হওয়ায় আরপিএফ দুটি ব্যাগ উদ্ধার করে। ব্যাগগুলির মুখ খোলা হলে তার ভিতর থেকে উদ্ধার হয় ৩৯ টি কচ্ছপ।অন্যদিকে এদিন সকালে জিআরপি বর্ধমান স্টেশনে স্পেশাল চেকিং চালানোর সময় ৪ ও ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মের হাওড়ার দিকে দুটি থলি ও পিটব্যাগ নিয়ে থাকা দুই মহিলাকে দেখে। সন্দেহ হওয়ায় জিআরপি ওই মহিলাদের কাছে থাকা ব্যাগে তল্লাশি চালায়। তল্লাশিতে ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় ৭২টি কচ্ছপ। কচ্ছপ পাচারের অভিযোগে জিআরপি দুই মহিলাকে গ্রেপ্তার করে।
রেল পুলিশের তৎপরতায় পাচারের আগেই বর্ধমান স্টেশন থেকে উদ্ধার হল দুই শতাধিক টিয়া পাখি। টিয়া পাখি পাচারের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে রেল পুলিশ একবাল খাঁন নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। তার বাড়ি শহর বর্ধমানের আলুডাঙা এলাকায়। ধৃতকে সোমবার পেশ করা হয়েছে বর্ধমান আদালতে। রেল পুলিশ এদিন ২২৭টি টিয়া পাখি তুলে দিয়েছে বর্ধমান বন দফতরের হাতে। রেল পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, টিয়া পাখিগুলিকে ব্যাগ বন্দি করে ডাউন দানাপুর এক্সপ্রেসের জেনারেল কামরায় চাপিয়ে বর্ধমানে আনা হচ্ছিল। সোমবার সকালে ট্রেনটি বর্ধমান স্টেশনে দাঁড়াতেই রেল পুলিশ ট্রেনের কামরায় চেকিং চালায়। ওই সময়ে একটি কামরায় চটের ব্যাগে বন্দি অবস্থায় কিছু রয়েছে দেখে রেল পুলিশের সন্দেশ হয়। রেল পুলিশ ব্যাগ খুলে তল্লাশি চালাতেই উদ্ধার হয় ২২৭ টি টিয়া পাখি। টিয়া পাখি পাচারের অভিযোগে কামরা থেকেই রেল পুলিশ একবাল খাঁনকে গ্রেফতার করে। বর্ধমান রেঞ্জের বন আধিকারিক নিশা গোস্বামী জানিয়েছেন, আরপিএফ ২২৭ টি টিয়া পাখি উদ্ধার করেছে। টিয়া পাচারের অভিযোগে ধৃতকে এদিন আদালতে পেশ করা হয়েছে। আদালতে নির্দেশ পেলে উদ্ধার হওয়া টিয়া পাখিগুলি ছেড়ে দেওয়া হবে।
সহকর্মীর গুলিতে প্রাণ হারালেন সহকর্মীরাই। ঘটনাটি ঘটেছে ছত্তিশগড়ের সুকমার মারাইগুড়া পুলিশ ক্যাম্পে। এক জওয়ান আচমকাই এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। তাতেই মৃত্যু হয় ৪ সিআরপিএফ জওয়ানের, আহত হন বেশ কয়েকজন। আহত জওয়ানদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। তাঁদেরকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত জওয়ানকে পুলিশি হেপাজতে নেওয়া হয়েছে। আহত চার জওয়ানদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। সাধারণত ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকেই এমন ঘটনা ঘটে থাকে। তবে এক্ষেত্রে গুলি চালানোর কারণ এখনও জানা যায়নি।সূত্রের খবর, রাতে প্রত্যেকেই ঘুমোচ্ছিলেন। এমন সময় আচমকাই রীতেশ রঞ্জন রাত ৩.১৫ নাগাদ উঠে নিজের সার্ভিস রিভলভার দিয়ে গুলি চালাতে শুরু করেন। মৃত চার জনের এক জওয়ান রাজীব মণ্ডল এই রাজ্যের বাসিন্দা। তবে কী কারণে এই ঘটনার সূত্রপাত স্পষ্ট নয়। কোনওরকম মানসিক অবসাদ নাকি বচসার জেরে এমন কাণ্ড তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দাবি মতো টাকা দিতে অস্বীকার করায় এক ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগ উঠলো আরপিএফের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সকালে ব্যাপক ক্ষোভ-বিক্ষোভ ছড়ায় পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী স্টেশান এলাকায়। ক্ষুব্ধ এলাকার মানুষজন আরপিএফের জুলুমবাজির প্রতিবাদে ট্রেন আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করে দেন। তা নিয়ে স্টেশন চত্ত্বরে উত্তেজনা চরমে ওঠে। সেই খবর পেয়ে পূর্বস্থলী থানার আইসির নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী ও পূর্বস্থলী উত্তরের বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় ঘটনাস্থলে পৌছে বিক্ষোভ সামাল দেন। আরপিএফের মারধরে জখম সেলুন মালিক জুয়েল শেখকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় পূর্বস্থলী ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। প্রতিবাদে এদিন দুপুর পর্যন্ত জারি থাকলেও ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক থাকে।পূর্বস্থলী স্টেশন বাজার এলাকার ব্যবসায়ী বিজন দত্ত এদিন বলেন, গত দুবছর ধরে রেল স্টেশন এলাকার ব্যবসায়ীদের উপরে চুড়ান্ত জুলুমবাজি চালানো শুরু করেছে আরপিএফ। দোকানে একটা পেরেক পুঁতলেও আরপিএফকে পয়সা দিতে হয়। এদিন পূর্বস্থলী স্টেশন বাজারে থাকা সেলুনের মালিক জুয়েল শেখ তাঁর দোকানের একটি ঝাঁপ সারানোর প্রস্তুতি নিতেই আরপিএফ পরিচয় দিয়ে কয়েকজন তাঁর কাছে এসে পাঁচ হাজার টাকা দাবি করে। জুয়েল শেখ তা দিতে অস্বীকার করায় আরপিএফ বাহিনী তাঁকে প্রচণ্ড মারধর শুরু করে। এমনকি জোরপূর্বক জুয়েল শেখকে সকালের আপ ট্রেনে চাপিয়ে নিয়ে আরপিএফ অফিসে নিয়ে যাওয়ারও চেষ্টা করে আরপিএফ বাহিনী। তা দেখে সমস্ত ব্যবসায়ীরা রুখে দাঁড়ায়। তাঁরা আপ ট্রেন অবরোধ করে রাখেন। মিনিট দশেক অবরোধ চলে। সেই খবর পেয়ে পূর্বস্থলী থানার আইসি এবং পূর্বস্থলী উত্তর বিধানসভার বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় ঘটনাস্থলে পৌছান। তাঁদের সাথেও আরপিএফ বাহিনী বাকবিতণ্ডা শুরু করে দেয়। প্রতিবাদ চরম আকার নিলে শেষ পর্যন্ত জুয়েল শেখকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় আরপিএফ।এর পর জুয়েলকে পূর্বস্থলী ব্লক হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করানো হয়। অপর বিক্ষুব্ধ ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা চাঞ্চল্যকর অভিযোগে এনেছেন আরপিএফের বিরুদ্ধে। তাঁদের অভিযোগ, এলাকার সবজি চাষিদের মান্থলি টিকিট করা থাকে। তবুও তাঁরা যখন সবজি অন্যত্র বিক্রি করতে নিয়ে যাওয়ার জন্য ট্রেনে তোলেন তখন চাষিদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকার দাবি করে আরপিএফের লোকজন। টাকা না দিলে ট্রেনে সবজি তুলতে দেওয়া হয় না। আরপিএফের এমন কাজ-কারবারের জন্য চাষিদের বিপাকে পড়তে হচ্ছে। এদিনের ঘটনার প্রতিবাদে স্টেশন এলাকার সবজি বাজার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বন্ধ রাখেন ব্যবসায়ীরা। এদিনের ঘটনা নিয়ে আরপিএফ বাহিনীর কোন সদস্য সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কোনও কথা বলতে চাননি। তবে পূর্বস্থলী উত্তরের বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় আরপিএফের বিরুদ্ধে এদিন ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তিনি জানান, আরপিএফ সাধারণ মানুষের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে। তা জানার পর এদিন সকালে তিনি স্টেশন বাজারে এসেছিলেন। আরপিএফ বাহিনী তাঁর সঙ্গেও খারাপ ব্যবহার করেছে। আরপিএফ যে অরাজকতা চালাচ্ছে তা চলতে দেওয়া হবে না বলে বিধায়ক স্পষ্ট জানিয়েদেন।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে খুনের হুমকি দিয়ে ইমেল এল সিআরপিএফ-এর দপ্তরে। কয়েক দিন আগে এই ইমেল এলেও মঙ্গলবার সিআরপিএফ এই মেলের বিষয়ে সকলকে জানিয়েছে। দেশের দুই হেভিওয়েট নেতাকে এভাবে প্রাণনাশের হুমকির ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই উদ্বিগ্ন প্রশাসন।জানা গিয়েছে, কেবল যোগী ও অমিত শাহকে খুনের হুমকিই নয়, সেই সঙ্গে দেশজুড়ে ধর্মীয় স্থান ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলিতেও ধারবাহিক হামলার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ওই মেলে। এছাড়া দুই নেতাকে হত্যার হুমকি প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, ১১ জন সুইসাইড বম্বার প্রস্তুত রয়েছে ওই হামলা চালানোর জন্য। এই মেল পাওয়ার পর থেকেই শুরু হয়েছে তৎপরতা৷ বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা৷ সেই সঙ্গে কারা এই মেল পাঠাল, তার খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি৷ খতিয়ে দেখা হচ্ছে কোথা থেকে এসেছে সেটি।প্রসঙ্গত, এর আগেও যোগী আদিত্যনাথকে খুনের হুমকি দিয়ে মেসেজ এসেছিল। উত্তরপ্রদেশের ১১২ হেল্প ডেস্কের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে আসা সেই মেসেজে বলা হয়েছিল, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একে-৪৭ দিয়ে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হবে যোগীকে। সরাসরি হুমকি দিয়ে বলা হয়েছিল, ক্ষমতা থাকলে আমাকে খুঁজে বের করো। তারও আগে গত বছরের ২১ নভেম্বর ওই নম্বরেই আদিত্যনাথকে খুনের হুমকি বার্তা এসেছিল। তবে সেক্ষেত্রে অভিযুক্তের সন্ধান মিলেছিল। আগ্রা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। জানা গিয়েছিল, অভিযুক্ত একজন নাবালক।এবারের জোড়া হুমকি বার্তায় সতর্ক সিআরপিএফ। ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট এজেন্সিগুলিকে তাদের তরফে এই মেল সম্পর্কে জানানো হয়েছে।
ছত্তিশগড়ের বিজাপুরে জওয়ানদের উপর যেভাবে হামলা চালিয়েছে মাওবাদীরা, তাতে গোয়েন্দা ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। সেই দাবি উড়িয়ে দিয়ে সিআরপিএফের শীর্ষকর্তা কুলদীপ সিং জানিয়ে দিলেন, কোনও গোয়েন্দা বা অভিযান সংক্রান্ত (অপারেশনাল) ব্যর্থতা ছিল না। যদি থাকত তাহলে জওয়ানদের গুলিতে ২৫-৩০ জন মাওবাদীর মৃত্যু হত না। তাঁর দাবি, জওয়ানদের পালটা গুলিতে প্রায় ৩০ মাওবাদী নিকেশ হয়েছে। সোমবার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ছত্তিশগড় যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দেখা করবেন আহত জওয়ানদের সঙ্গে।শনিবার ছত্তিশগড়ে বিজাপুর ও সুকমার মাঝে জঙ্গলে দুপুর ১২টা থেকে শুরু হওয়া সেই সংঘর্ষ চলে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা। মাওবাদীরা যে ভাবে লড়াই চালায়, প্রতিরোধ গড়ে তোলে তাতে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে মাওবাদী শীর্ষ নেত্রী মাধবী হিদমার লুকিয়ে থাকার খবর ছড়িয়ে কি ফাঁদে ফেলা হল জওয়ানদের! কারণ জওয়ানরা সেখানে পৌঁছনর আগেই ওঁৎ পেতে বসেছিল মাওবাদীরা। এ ছাড়াও মাওবাদীদের হামলার ধরন এবং আরও কিছু বিষয় দেখে সন্দেহ করা হয় গোয়েন্দা ব্যর্থতার কারণেই কি ২২ জওয়ানকে প্রাণ হারাতে হল, আহত হলেন আরও অনেকে। এমনকী, শেষ পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে ১ জওয়ান এখনও নিখোঁজ।কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রবিবারই সিআরপিএফের ডিজি কুলদীপ সিংকে ছত্তিশগড় যাওয়ার নির্দেশ দেন। কুলদীপ এই মুহূর্তে সেখানেই আছেন। গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন। রায়পুরে তিনি বলেন, মাওবাদীরা অন্তত ৩টি ট্রাক্টর ব্যবহার করেছে তাদের আহত ও নিহত সঙ্গীদের নিয়ে যেতে। তা থেকেই মনে করা হচ্ছে, ২৫ থেকে ৩০ জন মাওবাদী নিহত হয়েছেন। আহত আরও অনেকে। ঠিক কত জন নিহত হয়েছে তা এখনই বলা সম্ভব নয়। তবে যদি গোয়েন্দা বা অপারেশনাল ব্যর্থতা থাকত তাহলে এত জন মাওবাদীর মৃত্যু হত না। তবে তিনি এও দাবি করেন, মাওবাদীরা ওঁৎ পেতে ছিল। তারা ৩ দিক থেকে ঘিরে জওয়ানদের উপর হামলা চালায়। যাতে প্রথমে কিছুটা হতচকিত হয়ে যান জওয়ানরা। কুলদীপ সিং জানিয়েছেন, নিহত জওয়ানদের মধ্যে ৭ জন সিআরপিএফ সদস্য রয়েছেন।
ছত্তিশগড়ের বিজাপুরে জওয়ানদের উপর যেভাবে হামলা চালিয়েছে মাওবাদীরা, তাতে গোয়েন্দা ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। সেই দাবি উড়িয়ে দিয়ে সিআরপিএফের শীর্ষকর্তা কুলদীপ সিং জানিয়ে দিলেন, কোনও গোয়েন্দা বা অভিযান সংক্রান্ত (অপারেশনাল) ব্যর্থতা ছিল না। যদি থাকত তাহলে জওয়ানদের গুলিতে ২৫-৩০ জন মাওবাদীর মৃত্যু হত না। তাঁর দাবি, জওয়ানদের পালটা গুলিতে প্রায় ৩০ মাওবাদী নিকেশ হয়েছে। সোমবার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ছত্তিশগড় যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দেখা করবেন আহত জওয়ানদের সঙ্গে।শনিবার ছত্তিশগড়ে বিজাপুর ও সুকমার মাঝে জঙ্গলে দুপুর ১২টা থেকে শুরু হওয়া সেই সংঘর্ষ চলে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা। মাওবাদীরা যে ভাবে লড়াই চালায়, প্রতিরোধ গড়ে তোলে তাতে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে মাওবাদী শীর্ষ নেত্রী মাধবী হিদমার লুকিয়ে থাকার খবর ছড়িয়ে কি ফাঁদে ফেলা হল জওয়ানদের! কারণ জওয়ানরা সেখানে পৌঁছনর আগেই ওঁৎ পেতে বসেছিল মাওবাদীরা। এ ছাড়াও মাওবাদীদের হামলার ধরন এবং আরও কিছু বিষয় দেখে সন্দেহ করা হয় গোয়েন্দা ব্যর্থতার কারণেই কি ২২ জওয়ানকে প্রাণ হারাতে হল, আহত হলেন আরও অনেকে। এমনকী, শেষ পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে ১ জওয়ান এখনও নিখোঁজ।কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রবিবারই সিআরপিএফের ডিজি কুলদীপ সিংকে ছত্তিশগড় যাওয়ার নির্দেশ দেন। কুলদীপ এই মুহূর্তে সেখানেই আছেন। গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন। রায়পুরে তিনি বলেন, মাওবাদীরা অন্তত ৩টি ট্রাক্টর ব্যবহার করেছে তাদের আহত ও নিহত সঙ্গীদের নিয়ে যেতে। তা থেকেই মনে করা হচ্ছে, ২৫ থেকে ৩০ জন মাওবাদী নিহত হয়েছেন। আহত আরও অনেকে। ঠিক কত জন নিহত হয়েছে তা এখনই বলা সম্ভব নয়। তবে যদি গোয়েন্দা বা অপারেশনাল ব্যর্থতা থাকত তাহলে এত জন মাওবাদীর মৃত্যু হত না। তবে তিনি এও দাবি করেন, মাওবাদীরা ওঁৎ পেতে ছিল। তারা ৩ দিক থেকে ঘিরে জওয়ানদের উপর হামলা চালায়। যাতে প্রথমে কিছুটা হতচকিত হয়ে যান জওয়ানরা। কুলদীপ সিং জানিয়েছেন, নিহত জওয়ানদের মধ্যে ৭ জন সিআরপিএফ সদস্য রয়েছেন।
সাধারণতন্ত্র দিবসের অশান্তির পর বুধবার সকাল থেকেই থমথমে রাজধানী দিল্লি। এদিন সকাল থেকে বেনজির নিরাপত্তার ঘেরাটোপে মুড়ে ফেলা হয়েছে রাজধানী দিল্লিকে। আধাসেনা, সিআরপিএফ-এর বহু জওয়ান এদিন সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় টহল দিচ্ছে। এদিন সকাল থেকে সিঙ্ঘু সীমান্তে কয়েক হাজার সিআরপিএফ জওয়ান মোতায়েন। আজও সিঙ্ঘু, গাজিপুর, টিকরি, মুকারবা চক, নাঙ্গলোইয়ের মতো এলাকায় বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা। আজ সকাল থেকেও দিল্লির লালকেল্লা এবং জামা মসজিদ মেট্রো স্টেশনের গেট বন্ধ রাখা হয়েছে। এদিকে, গতকালের ঘটনার পর বিক্ষোভকারী কৃষকরা অনেকটাই ছত্রভঙ্গ। বিক্ষোভের আগামী দিনের রূপরেখা ঠিক করতে সিঙ্ঘু সীমান্তে আজ নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসতে পারেন কৃষকনেতারা। তার আগেই অবশ্য বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে বক্তৃতা রাখতে পারেন কৃষক সংঠনের নেতারা।Delhi: Heavy security deployment at Tikri border where farmers are protesting against #FarmLaws. pic.twitter.com/pizT7EJDHU ANI (@ANI) January 27, 2021এদিকে গতকালের বিক্ষোভের ঘটনার তদন্তে নেমে দিল্লি পুলিশ একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, কৃষক বিক্ষোভের এই হিংসা পূর্বপরিকল্পিতও হতে পারে। কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইতের একটি ভিডিও ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। পুলিশ সূত্রের দাবি, ওই ভিডিও ছাড়াও আরও বেশ কিছু সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একাধিক জায়গায় বিনা প্ররোচনায় পুলিশের উপর চড়াও হয়েছে বিক্ষোভকারীরা। বেশ কিছু জায়গায় পুলিশকে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয়েছে। সব সিসিটিভ ফুটেজই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে দাবি, এই ঘটনায় ৩০০-র বেশি পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। এঁদের মধ্যে বেশ কয়েক জনের অবস্থা গুরুতর। দুজন ভর্তি আইসিইউতে। মোট ২৬টি এফআইআর দায়ের হয়েছে এই ঘটনায়। তার মধ্যে বেশ কয়েকটি জামিন অযোগ্য ধারায় রয়েছে।
ফের চলন্ত ট্রেনে উঠতে গিয়ে ট্রেন ও প্ল্যাটফর্মের মাঝে পড়ে গেলেন যাত্রী। আরপিএফ কর্মীর চেষ্টায় ওই যাত্রী প্রাণে বেঁচে গেলেন। ডিউটিতে থাকা আরপিএফ কর্মীর নাম মাইকেল সোরেন। যাত্রীর নাম বিপ্লব চ্যাটার্জি। তিনি বর্ধমানের বাসিন্দা। ঘটনাটি ঘটেছে, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ। আরও পড়ুন ঃ হাওড়ায় কেপমারি, প্রায় ২লক্ষ টাকার সোনার গহনা লুট হাওড়া স্টেশনের ওল্ড কমপ্লেক্সের চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে চলতে শুরু করা ৩৬৮৩৭আপ হাওড়া -বর্ধমান(মেন) লোকালে দৌড়ে এসে উঠতে যান তিনি। কিন্তু পা স্লিপ করায় প্ল্যাটফর্মে পড়ে যান বিপ্লববাবু। তাঁর পা কিছুটা চলে যায় ট্রেন ও প্ল্যাটফর্মের ভিতরে। সেই সময়ে ঘটনাস্থলে থাকা আরপিএফ কর্মী মাইকেল সোরেনের নজরে আসে বিষয়টি। সঙ্গে সঙ্গেই ছুটে গিয়ে নিজের জীবন বিপন্ন করে ওই যাত্রীকে উদ্ধার করেন তিনি বলে পূর্ব রেল সূত্রে জানা গিয়েছে। ওই আরপিএফ কর্মীর সাহসিকতার প্রশংসা করেন নিত্যযাত্রীরা।