IPL : কোহলি রান পেলেও হেরে গভীর সঙ্কটে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স
প্লে অফে যাওয়ার জন্য চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে জেতা জরুরি ছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বাঙ্গালোরের। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ধোনিদের কাছে ৬ উইকেটে হেরে গভীর সঙ্কটে বিরাট কোহলিরা। যদিও ম্যাচের শুরুটা দেখে মনে হয়নি কোহলিদের এই পরিস্থিতিতে পড়তে হবে। ভাল শুরু করেও হারতে হল।শারজায় মাঝে মাঝেই মরু ঝড় দেখা যায়। শুক্রবার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বাঙ্গালোর ও চেন্নাই সুপার কিংস ম্যাচের আগে তেমনই মরু ঝড়। চারিদিক ধুসর। মরু ঝড়ের জন্য নির্ধারিত সময়ের আধ ঘণ্টা পর টস। খেলা শুরু হয় ১৫ মিনিট দেরিতে। টসে জিতে চেন্নাই অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত। এদিন পাহাড় প্রমাণ চাপ নিয়ে চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ক্রিকেটপ্রেমীরা প্রত্যাশা করেছিলেন, মরু ঝড়ের মতোই ঝড় উঠবে কোহলির ব্যাটিংয়ে। রান পেলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ক্যাপ্টেন। দলকে বড় রানের জন্য শক্ত ভিতও গড়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু বাকিরা কাজে লাগাতে পারেননি।এদিন ভাল শুরু করেছিলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের দুই ওপেনার বিরাট কোহলি ও দেবদত্ত পাড়িক্কল। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বিনা উইকেটে তোলে ৫৫। ১০ ওভারে ওঠে ৯২। ১০০ রানে পৌঁছয় ১১.১ ওভারে। ১৩.২ ওভারে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের ওপেনিং জুটি ভাঙেন ডোয়েন ব্র্যাভো। তুলে নেন বিরাট কোহলিকে। ৬টি ৪ ও ১টি ৬এর সাহায্যে ৪১ বলে ৫৩ রান করেন তিনি। কোহলির আগে ৩৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন দেবদত্ত পাড়িক্কল। ১৬ ওভারের শেষে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের রান ছিল ১ উইকেটে ১৩১। ১৭তম ওভারে দুটি উইকেট তুলে নেন শার্দুল ঠাকুর। পঞ্চম বলে আউট করেন এবি ডিভিলিয়ার্সকে। রায়নার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ১১ বলে ১২ রান করেন তিনি। পরের বলেই আউট হন দেবদত্ত পাড়িক্কল। পাঁচটি চার ও তিনটি ছয়ের সাহায্যে ৫০ বলে ৭০ রান করে আউট হন তিনি। পাড়িক্কল আউট হওয়ার পর পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নামেন টিম ডেভিড। সিঙ্গাপুরের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে এদিন আইপিএল অভিষেক হল তাঁর। যদিও অভিষেকে নজর কাড়তে ব্যর্থ ডেভিড। ৩ বলে ১ রান করে দীপক চাহারের শিকার হলেন তিনি। শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে ডোয়েইন ব্র্যাভোর বলে জাদেজার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ৯ বলে ১১ রান করেন তিনি। ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৬ রানের বেশি এগোতে পারেনি বিরাট কোহলির দল। ডোয়েন ব্র্যাভো ৪ ওভারে ২৪ রানের বিনিময়ে তিন উইকেট নেন। শার্দুল ঠাকুর চার ওভারে ২৯ রানের বিনিময়ে দুটি উইকেট পেয়েছেন। দীপক চাহার একটি উইকেট দখল করেন।জয়ের জন্য ১৫৭ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে ভাল শুরু করেছিলেন চেন্নাইয়ের দুই ওপেনার রুতুরাজ গায়কোয়াড় ও ফাফ ডুপ্লেসি। ওপেনিং জুটিতে ওঠে ৭১। রুতুরাজ গায়কোয়াড়কে তুলে নিয়ে জুটি ভাঙেন যুজবেন্দ্র চাহাল। ২৬ বলে ৩৮ করেন রুতুরাজ। পরের ওভারেই ডুপ্লেসিকে (২৬ বলে ৩১) তুলে নেন ম্যাক্সওয়েল। এরপর দলকে টেনে নিয়ে যান মঈন আলি ও অম্বাতি রায়ডু। মঈন ২৩ ও রায়ডু ৩২ রান করে আউট হন। চেন্নাইকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন ধোনি (অপরাজিত ১১) ও সুরেশ রায়না (অপরাজিত ১৭)। ১৮.১ ওভারে ৪ উইকেটে ১৫৭ তুলে ম্যাচ জিতে নেয় চেন্নাই।