• ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, রবিবার ০১ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Purba Bardhaman

রাজ্য

Memari: মেমারী শহর তৃণমূল যুব কংগ্রেসের উদ্যোগে ২১জুলাই পালন

তৃতীয়বার বাংলা বিজয়ের পর ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে ২১ জুলাই শহিদ দিবস পালন করার কথা ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের। করোনা পরিস্থিতিতে গতবছরের মতো এবারও ভার্চুয়ালি পালন করা হয় শহিদ দিবস। ভার্চুয়াল বক্তব্যে দিল্লি জয়ে বিরোধীদের সার্বিক জোটের ডাক দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলায় জেলায় বড় এলইডি স্ক্রিণের মাধ্যমে সম্প্রচার করা হয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমোর ভাষণ। সেখানেই ভিড় জমিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা-কর্মীরা।আরও পড়ুনঃ শহিদ শ্রদ্ধাঞ্জলি দিবসেই পদ্মশিবিরে বড়সড় ভাঙন, জামালপুরে যোগ তৃণমূলেমেমারী শহর তৃণমূল যুব কংগ্রেস মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভার্চুয়াল বক্তব্য সম্প্রচারের ব্যবস্থা করে। সেখানে শহরের যুব নেতৃত্ব হাজির ছিলেন। এদিন দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। নেতৃত্ব শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ করেন। মেমারী শহর যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সৌরভ সাঁতরা জানান, ২১ জুলাই উপলক্ষ্যে মেমারী বামুনপাড়া মোড়ে শতাধিক বাচ্চাকে দুধ, বিস্কুট প্রদান করা হয়েছে। তৃণমুল কংগ্রেসের চোটখণ্ড গ্রাম কমিটির সহ-সভাপতি পল্লব সিংহরায় জনতার কথাকে জানান, মেমারী শহর যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সৌরভ সাঁতরার উদ্যোগে দুঃস্থ ও কর্মহীন অসহায় মানুষদের কম্যুনিটি-কিচেন তাঁরা চালিয়ে যাচ্ছেন। যুব তৃণমূলের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে মেমারীবাসী।

জুলাই ২২, ২০২১
রাজ্য

Discipline : ছাত্রীর শ্লীলতাহানী, শ্রীঘরে ঠাই কীর্তিমান শিক্ষকের

প্রাইভেট টিউশন পড়তে যাওয়া দশম শ্রেণীর ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন এক স্কুল শিক্ষক। ধৃতের নাম অখিলেশ্বর সরকার। তার বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের কালনা শহরের শ্যামগঞ্জপাড়ায়। স্কুল শিক্ষকের কুকীর্তির কথা জানাজানি হতেই এলাকায় নিন্দার ঝড় উঠেছে। ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ পকসো আইনে মামলা রুজু করে তদন্তে নেমে স্কুল শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার ধৃতকে পেশ করা হয় কালনা মহকুমা আদালতে। বিচারক ধৃতের জামিন নামাঞ্জুর করে ১৪ দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে ছাত্রীর পরিবার।আরও পড়ুনঃ মুখে কাপড় বেঁধে শিশু কন্যাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ, উত্তেজনা ভাতারেপুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কালনা শহরের আমলাপুকুর এলাকায় বাড়ি দশম শ্রেণীর ছাত্রীর। ছাত্রীটি সোমবার সকালে কালনা শহরের সরকারি স্কুলের শিক্ষক অখিলেশ সরকারের বাড়িতে প্রাইভেট টিউশন পড়তে যায়। অভিযোগ, ওই সময়ে ছাত্রীকে একা পেয়ে ওই শিক্ষক ঘরের দরজা বন্ধ করে তার শ্লীলতাহানি করে। শিক্ষকের যৌন লালসার হাত থেকে বাঁচতে ছাত্রীটি চিৎকার শুরু করে। তখনই ছাত্রীকে ছেড়ে দিলেও কাউকে ঘটনার কথা জানালে পরিণতি ভয়ংকর হবে বলে শিক্ষক ছাত্রীকে হুমকি দেয়। এই ঘটনা বিষয়ে ওই দিনই ছাত্রীর পরিবার কালনা থানায় শিক্ষক অখিলেশ্বর সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। মামলা রুজু করে তদন্তে নেমে এর পরেই পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে।

জুলাই ২০, ২০২১
রাজ্য

Murder: সন্তান না হওয়ায় বধূহত্যা, অভিযোগ স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে

সন্তান না হওয়ায় বধূকে প্রাণে মেরে দেওয়ার অভিযোগ উঠলো স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। মৃতার নাম সুদীপা কুণ্ডু (২৩)। পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বর থানার জোকারি পাড়ায় বধূর শ্বশুর বাড়ি। সোমবার সকালে শ্বশুর বাড়ির ঘর থেকে উদ্ধার হয় মৃতদেহ।বধূর বাবার বাড়ির লোকজনের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মামলা রুজু করে মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন বধূর বাবা কৃষ্ণচন্দ্র ঘোষ।আরও পড়ুনঃ স্ত্রীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের জেরে প্রৌঢ় খুনে গ্রেফতার অভিযুক্ত প্রতিবেশীবধূ সুদীপার বাবা কৃষ্ণচন্দ্র ঘোষ পুলিশকে জানিয়েছেন,তাঁদের পাড়ারই যুবক মানস কুন্ডুর সঙ্গে তাঁর মেয়ে সুদীপার বিয়ে হয় পাঁচ বছর আগে।বিয়ের সময়ে পাত্র পক্ষের দাবি মতো তিনি নগদ ২ লক্ষ টাকা, মোটরবাইক, বেশ কয়েক ভরি সোনার গহনা, খাট, বিছানা, ও অন্য দানসামগ্রী দিয়েছিলেন। তবে শ্বশুর বাড়ির লোকজন যত ভরি সোনার গহনা দাবি করেছিলেন ততটা তিনি দিতে পারেননি। সেই কারণে বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন সুদীপার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতো। কৃষ্ণচন্দ্র বাবু বলেন, সেই অত্যাচার মেনে নিয়েও সুদীপা সংসার করছিল। তারই মধ্যে আবার শুরু হয় বিয়ের পাঁচ বছর পরেও সুদীপা সন্তানের মা হতে না পারার অত্যাচার। সেই জন্য সুদীপাকে প্রাণে মেরে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হতো বলে কৃষ্ণচন্দ্র বাবু অভিযোগ করেছেন।আরও পড়ুনঃ মুখে কাপড় বেঁধে শিশু কন্যাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ, উত্তেজনা ভাতারেএদিন সকালে সুদীপার বাবার বাড়িতে ফোন করে শ্বশুরবাড়ির লোকজন জানায় সুদীপা গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলে আত্মঘাতী হয়েছে। সেই খবর পেয়ে বধূর বাবার বাড়ির লোকজন জামাইয়ের বাড়িতে গিয়ে দেখেন সেখানে সুদীপা মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। মেয়েকে মৃত অবস্থায় দেখেই কৃষ্ণচন্দ্র ঘোষ অভিযোগ করেন, তাঁর মেয়েকে প্রাণে মেরে ঝুলিয়ে দিয়েছে জামাই সহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন। এমনটা দাবি করে কৃষ্ণচন্দ্র বাবু এদিনই মন্তেশ্বর থানায় লিখিত অভিযোগ জানান। অভিযোগ জমা পড়ার কথা জানতে পেরেই গা ঢাকা দেয় বধূর স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন। কালনায় এসডিপিও সপ্তর্ষি ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, বধূ মৃত্যুর ঘটনায় পরিবার অভিযোগ দায়ের করেছে। তার ভিত্তিতে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

জুলাই ২০, ২০২১
রাজ্য

Murder: স্ত্রীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের জেরে প্রৌঢ় খুনে গ্রেফতার অভিযুক্ত প্রতিবেশী

স্ত্রীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া প্রতিবেশীকে হামাল দিস্তা থেঁতলে খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন এক ব্যক্তি। নূর আলম মিদ্দে (৬৫) কে খুনের ঘটনার চার দিনের মধ্যে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হলেন মহম্মদ মুসা শেখ। নিহত ও ধৃত দুজনেরই বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বর থানার দীর্ঘনগর গ্রামে। সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ সোমবার ধৃতকে পেশ করে কালনা মহকুমা আদালতে। খুনের ঘটনার পুনর্নির্মাণ ও আরও তদন্তের প্রয়োজনে পুলিশ এদিন ধৃতকে ৭ দিনের জন্য নিজেদের হেপাজতে নিয়েছে। অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে মৃতর পরিজন ও প্রতিবেশীরা।আরও পড়ুনঃ নিশীথের নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্নচিহ্নপুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৪ জুলাই সকালে দীর্ঘনগরের বাড়ির কাছে থাকা গাড়ির সার্ভিস সেন্টার থেকে উদ্ধার হয় নূর আলম মিদ্দের রক্তাত মৃতদেহ। তাঁর শরীরের একাধিক জায়গায় ছিল আঘাতের ক্ষত। এই মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে প্রথমে অভিযোগের আঙুল ওঠে মৃতের মেয়ের স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। মৃতের পরিবার তিনজনের নামে মন্তেশ্বর থানায় অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশ সেই অভিযোগের তদন্তে নামতেই উঠে আসে অন্য এক কাহিনী। এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ মৃতের প্রতিবেশী মহম্মদ মুসা শেখের নাম জানতে পারে। সূত্রের খবর, পুলিশ মুসা শেখকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। ম্যারাথন জেরায় ভেঙে পড়ে শেষপর্যন্ত মুসা শেখ পুলিশের কাছে নূর আলম মিদ্দেকে খুনের কথা কবুল করে।আরও পড়ুনঃ তারাপীঠ যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু কলকাতার যুবকের, বরাত জোরে রক্ষা বন্ধুরপুলিশকে মুসা শেখ জানায়, তাঁর স্ত্রী প্রতিবেশী নূর আলম মিদ্দের বাড়িতে যাওয়া আসা করতো। নূর আলমের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর গভীর মেলামেশা নিয়ে তার সন্দেহ হয়। মুসার দাবি, সে নূর আলম মিদ্দে ও তাঁর স্ত্রীকে একদিন ঘনিষ্ঠ অবস্থাতেও দেখে ফেলে। এর পরেই সে নূর আলমকে খুনের পরিকল্পনা কষে । পরিকল্পনা অনুযায়ী হামাল দিস্তা দিয়ে আঘাত করে নূর আলম মিদ্দেকে খুন করেছে বলে মুসা শেখ পুলিশকে জানায় । এই কথা কবুল করার পরেই পুলিশ মুসা শেখকে গ্রেপ্তার করে।আরও পড়ুনঃ আতিউলের সাইকো থ্রিলারে থাকছে চমককালনার এসডিপিও সপ্তর্ষি ভট্টার্য্য জানিয়েছেন, টানা জেরায় মুসা শেখ খুনের কথা কবুল করার পরেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে উঠে এসেছে খুন হওয়া ওই প্রৌঢ়ের সঙ্গে ধৃতের স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের বিষয়টি। ধৃতকে হেপাজতে নিয়ে খুনের ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হবে।

জুলাই ১৯, ২০২১
রাজ্য

Attempt Murder: বিজেপি করায় দম্পতিকে মারধর করে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা, অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের

বিজেপি করার অপরাধে এক দম্পতিকে মারধর করে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ উঠলো শাসক দলের লোকজনের বিরুদ্ধে। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কালনা থানার পিন্ডিরা পঞ্চায়েতের কৈগড়িয়া গ্রামে। মারধরের বিষয়ে আক্রান্ত বিজেপি কর্মী স্বপন দাস কালনা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করলেও এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। কালনার তৃণমূল নেতৃত্ব যদিও ঘটনার দায় অস্বীকার করেছে।আরও পড়ুনঃ ছাদ থেকে পড়ে বৃদ্ধার মৃত্যু, আত্মহত্যা না দুর্ঘটনা?পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানা গিয়েছে, স্বপন দাস কালনা ২ ব্লকের কৈগড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা।স্বপনবাবু পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি বিজেপি পার্টি করেন। সেই কারণে রবিবার সকালে তিনি যখন কাজে যাচ্ছিলেন তখন তৃণমূলের ৬ জন তাঁর উপরে হামলা চালায়। স্বপনবাবু দাবি করেছেন, তাঁকে খুন করার উদ্দেশ্যেই লোহার রড, বাঁশের লাঠি দিয়ে মারধর করে তৃণমূলের দুস্কৃতিরা। সেই সময়ে তাঁর স্ত্রী বাঁধা দিতে গেলে তাঁকেও মারধর করা হয়। স্বপনবাবুর অভিযোগ, তাঁর স্ত্রীকে অর্ধনগ্ন করা হয়।এরপর তাঁদের পুড়িয়ে মারার জন্য কেরোসিন তেল নিয়ে আসে তৃণমূলের দুস্কৃতিরা। বাঁচার জন্য তাঁরা চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করলে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাঁদের উদ্ধার করেন।আরও পড়ুনঃ শ্রীময়ীর পোস্ট নিয়ে ধোঁয়াশাবিজেপির পূর্ব বর্ধমান কাটোয়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষ বলেন, রাজ্য জুড়েই তৃণমূল সন্ত্রাস জারি রেখেছে। ওদের মন্ত্রীও এখন সেই সন্ত্রাসের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। তিনি বলেন, স্বপন দাস ও তাঁর স্ত্রীকে মারধরের বিষয়ে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বকে জানানো হবে। বিজেপি কর্মীর এই অভিযোগ প্রসঙ্গে কালনা ২ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি প্রণব রায় বলেন, অভিযোগ সত্য নয়। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই এইসব অসত্য অভিযোগ আনা হচ্ছে।

জুলাই ১৯, ২০২১
রাজ্য

Upa-Pradhan: তৃণমূলের কর্মীদের হাতে প্রহৃত হলেন পঞ্চায়েতের উপপ্রধান

২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি মিটিয়ে যোগ দিতে যাওয়ার পথে নিজের দলের কর্মীদের হাতে প্রহৃত হলেন তৃণমূলের পঞ্চায়েতের উপপ্রধান। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের গলসি থানার ডুমুর গ্রামের কাছে। আক্রান্ত গলসির গোহগ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বিমল ভক্ত ঘটনা সবিস্তার উল্লেখ করে রবিবার রাতে গলসি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।উপপ্রধান বিমল ভক্ত পুলিশকে জানিয়েছেন, ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি মিটিংয়ে যোগ দিতে এদিন তিনি ডুমুর গ্রামে যাচ্ছিলেন। মোটর বাইক চালিয়ে দামোদরের বাঁধ ধরে যাবার সময়ে তাঁর দলের কর্মীরা তার পথ আটকায়। তাঁকে লাথি মেরে মোটর সাইকেল সহ নদীর বাঁধের নিচে ফেলে দেওয়া হয়। তারপর তাঁকে কিল, ঘুষি, লাথি মারা হয়। এমনকি গাছের ডাল দিয়েও তাঁকে মারা হয়। মারধরে তাঁর হাত, পা ও পেটে আঘাত লেগেছে বলে তিনি জানান। উপপ্রধানের আরও অভিযোগ, তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়েছে। কিছুদিন আগে গোহগ্রাম পঞ্চায়েতের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হওয়ায় তাঁকে একই রকম ভাবে মারধর ও হেনস্তা করা হয়েছিল বলে উপপ্রধানের অভিযোগ।এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য মুখপাত্র দেবু টুডু বলেন, ঘটনার বিষয়ে তিনি খোঁজ খবর নেবেন। তবে তিনি এই ঘটনা দলের গোষ্ঠী কোন্দল বলে মানতে অস্বীকার করেছেন।

জুলাই ১৯, ২০২১
রাজ্য

Mysterious Lady: রহস্যময়ী যুবতীর ফাঁদে পড়ে হাইজ্যাক গাড়ি, গ্রেফতার ৩

যাত্রী সেজে গাড়ি ভাড়া করে গাড়ি হাইজ্যাকের অভিযোগ গ্রেপ্তার হল ৩ যুবক। ধৃতদের নাম নূর হাসমত মির্জা ওরফে ভুটান, রানা মেটে এবং মীর আমির আলি ওরফে জুয়েল আলি। ধৃতদের মধ্যে প্রথম দুজনের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের ঝিলুগ্রামে। অপর ধৃত আমীর আলি বীরভূম জেলার নানুর থানার মুরুন্ডি গ্রামের বাসিন্দা। মঙ্গলকোট থানার পুলিশ ৩ গাড়ি হাইজ্যাকরকে গ্রেফতার করলেও গাড়ি এখনও উদ্ধার হয়নি। পুলিশ রবিবার ধৃতদের কাটোয়া মহকুমা আদালতে পেশ করে। হাইজ্যক হওয়া গাড়ি উদ্ধার ও ঘটনায় জড়িত বাকিদের ধরার জন্য পুলিশ ৩ ধৃতকে নিজেদের হেপাজতে নিতে চেয়ে এদিন আদালতে আবেদন জানায়। বিচারক ধৃতদের ৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। আরও পড়ুনঃ তারাপীঠ যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু কলকাতার যুবকের, বরাত জোরে রক্ষা বন্ধুরপুলিশ জানিয়েছে,গাড়িটির চালক শেখ সাজুর বাড়ি বর্ধমান থানার দুবরাজদিঘি এলাকায়। গত বৃহস্পতিবার বর্ধমান স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় তিনি তাঁর চারচাকা গাড়িটি দাঁড় করিয়ে রেখে যাত্রীর জন্যে অপেক্ষা করছিলেন। ওই সময়ে এক অপরিচিত যুবতী চালকের কাছে আসে। মঙ্গলকোটের পালিশগ্রামে যাবার কথা জানিয়ে যুবতী তাঁর গাড়িটি ভাড়া করে। তারপর তিনি যুবতীকে নিয়ে পালিশগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। পথে ঝিলু মোড়ে একটি মদের দোকানের কাছাকাছি পৌছাতেই ওই যুবতী গাড়িটি দাঁড় করানোর কথা বলে চালককে। চালক শেখ সাজুর অভিযোগ, ওই সময়ে আশেপাশে অপেক্ষা করছিল মহিলার পরিচিত দুই যুবক। তারা গাড়ির কাছে আসা মাত্রই তিন জনে মিলে শেখ সাজুকে মারধোর করে গাড়ি কেড়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। তিনি স্থানীয় লোকজনদের সঙ্গে নিয়ে দুদিন ধরে গাড়ির খোঁজ চালান। কিন্তু কোথাও গাড়ির সন্ধান না পেয়ে শেষে গত শনিবার শেখ সাজু মঙ্গলকোট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিশ ওই দিন গভীর রাত থেকে রবিবার ভোর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তিন জনকে গ্রেপ্তার করে। তিন ধৃতকে হেপাজতে নিয়ে পুলিশ হাইজ্যাক হওয়া গাড়িটি উদ্ধারের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।

জুলাই ১৮, ২০২১
রাজ্য

Suicide: প্রেমিক বিয়েতে অস্বীকার করায় আত্মঘাতী কলেজ ছাত্রী

বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করার পরেও প্রেমিক বিয়ে করতে না চাওয়ায় আত্মঘাতী হল এক কলেজ ছাত্রী। এমনই অভিযোগ করেছে মৃতার পরিবার। বছর ১৮ বয়সী ওই ছাত্রীর বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানার চাঁচাই এলাকায়।মেমারি থানার পুলিশ শনিবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে উদ্ধার করে কলেজ ছাত্রীর ঝুলন্ত মৃতদেহ। এদিন বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে ছাত্রীর মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয়। ছাত্রীর বাবার দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। প্রেমিক সৌরভ বিশ্বাসের কঠোর শাস্তির দাবি করেছে মৃতার পরিজন।আরও পড়ুনঃ ছাদ থেকে পড়ে বৃদ্ধার মৃত্যু, আত্মহত্যা না দুর্ঘটনা?পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ছাত্রীটি মেমারি কলেজে দ্বিতীয় বর্ষে পড়াশুনা করতো। ছাত্রীর বাবা পুলিশকে জানিয়েছে, পাল্লা এলাকার এক যুবকের সঙ্গে তাঁর মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ওই যুবক বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর মেয়ের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে ছিল। তারপরও ওই যুবক তাঁর মেয়েকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে। তার কারণে গলায় দড়ির ফাঁস দিয়ে ঝুলে কলেজ ছাত্রী মেয়ে আত্মঘাতী হয় বলে ছাত্রীর বাবা জানিয়েছে। পুলিশ প্রেমিক যুবকের খোঁজ শুরু করেছে।

জুলাই ১৮, ২০২১
রাজ্য

Heritage School: হেরিটেজ বিদ্যালয় ভবন সংস্কারে মেলেনি সরকারী অনুদান, প্রতিবাদে সরব প্রাক্তনীরা

হেরিটেজ বিদ্যালয় ভবন সংস্কারের দাবিতে সরব হলেন প্রাক্তনীরা। তাঁরা দাবি করেছেন, সরকারী অনুদানে সংস্কার করা হোক ভগ্নদশা তৈরি হওয়া পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীর নীলমনি ব্রহ্মচারি ইন্সটিউট। সংস্কার কাজে সরকারী অনুদান না মিললে প্রাক্তনীরা ব্যক্তিগত ভাবে অর্থ দেওয়ার ব্যপারেও ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন। ঐতিহ্যশালী বিদ্যালয় ভবন সংস্কারের দাবিতে প্রাক্তনীদের এই ভাবে সরব হওয়ায় প্রশাসনের কর্তারা ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস না দিয়ে পারেননি।আরও পড়ুনঃ কান্দাহারে নিহত পুলিৎজার জয়ী ভারতীয় চিত্রসাংবাদিকবিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও প্রাক্তনীদের কথায় জানা গিয়েছে, নীলমনি ব্রহ্মচারি ইন্সটিউটটি ১৮৮৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক স্তরে পড়ানোর স্বীকৃতি পায়। তাদানিন্তন সময়ে স্কুলটি ভিক্টরিয়া ইন্সটিটিউশন নামে পরিচিত ছিল। পরবর্তী সময়ে কালাজ্বরের ওষুধের আবিস্কারক উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারির পিতা নীলমনি ব্রহ্মচারির নামে ওই স্কুলের নামকরণ হয়। বর্তমানে এই বিদ্যালয়ের মূল ভবনটির বয়স ১৭২ বছর। সরকার বেশ কয়েক বছর আগে বিদ্যালয়টিকে হেরিটেজ ঘোষনা করেছেন। কিন্তু হেরিটেজ ঘোষনা হলেও ভগ্নদশা তৈরি হওয়া বিদ্যালয় ভবন সংস্কারের কোন উদ্যোগ আজ অবধি নেওয়া হয়নি।আরও পড়ুনঃ কফি ডেটে যেতে চান শ্রীলেখা! কিন্তু কার সঙ্গে?নীলমনি ব্রহ্মচারি ইন্সটিউট কর্তৃপক্ষ এক দশক ধরে ব্লকের উন্নয়ন আধিকারিক, জেলাশাসক থেকে রাজ্যস্তর পর্যন্ত বারবার আবেদন জানিয়ে আসছে। কিন্তু লাভের লাভ ও কিছুই হয়নি। এরইমধ্যে ওই ভবনের ৪০ শতাংশ অংশ ভেঙে পড়েছে। অনেক শিক্ষক চাকরি থেকে অবসরও নিয়েছেন। কিন্তু হেরিটেজ বিল্ডিং সংস্কারের জন্য এক টাকাও বরাদ্দ হয়নি। এই নিয়ে প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা চরম ক্ষুব্ধ। তারা চাইছেন সরকার যত তাড়া তাড়ি সম্ভব বিদ্যালয় ভবন সংস্কারে উদ্যোগী হোক।আরও পড়ুনঃ মঙ্গলকোট-কাণ্ডে তদন্তভার সিআইডি-রইন্সটিটিউটের একদল প্রাক্তন ছাত্র তাঁদের দাবির বিষয়টি নিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মদনমোহন ঘোষের সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন। প্রাক্তনী অনিন্দ্য দাস জানান, তাঁরা প্রাক্তন ছাত্ররা প্রধান শিক্ষককে জানিয়েছেন তাঁরা ১০জন মিলিতভাবে বিদ্যালয়ের হেরিটেজ বিল্ডিং সংস্কারে জন্য ২ লক্ষ টাকা দিতে চান। পাশিপাশি সংস্কারের বাকি অর্থের জন্য তারা অন্যান্য প্রাক্তন ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানান। প্রাক্তনীরা মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য প্রধান শিক্ষকের হাতে একটি স্মারকলিপিও তুলে দিয়েছে।আরও পড়ুনঃ আতিউলের সাইকো থ্রিলারে থাকছে চমকএই বিষয়ে জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি দেবু টুডু বলেন, বিষয়টি শুনেছি। কিভাবে বিদ্যালয় ভবন সংস্কার করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

জুলাই ১৮, ২০২১
রাজ্য

Bird Nest: নাদনঘাট থানার বটবৃক্ষে জড়ো হওয়া পাখির দল পুলিশের মনজয় করে পেল বাসস্থান

পাখিরাও বোধহয় ভেবে নিয়েছে কিচির মিচির ডাকে পুলিশ বাবুদের খুশি করতে পারলে তারা নিরাপদ আশ্রয় পাবে! পাখিদের সেই ভাবনা যে ভুল ছিল না তা শনিবার স্বচক্ষে দেখা গেল পূর্ব বর্ধমানের নাদনঘাট থানায় পৌছে। পাখিদের কিচির মিচির ডাকে খুশি হয়ে পুলিশ বাবুরাই এদিন অসংখ্য ঝুড়ি থানা চত্তরে থাকা প্রকাণ্ড বটগাছটির ডালে ডালে ঝুলিয়ে দিলেন তাদের বাসা তৈরির সুবিধার্থে। পুলিশবাবুদের এমন পক্ষি প্রেম এলাকার মানুষজনের মন কেড়ে নিয়েছে। নাদনঘাট থানার সকল পুলিশ কর্মীরাও চাইছেন তাঁদের থানা চত্ত্বরে থাকা বটবৃক্ষই হয়ে উঠুক সকল পাখিদের নিরাপদ আশ্রয় স্থল। আর তারা যেন সকল বিকাল কিচির মিচির ডাকেই পুলিশ কর্মীদের মন ভরিয়ে রাখে।আরও পড়ুনঃ মুকুল রায়ের বিধায়কপদ খারিজ শুনানি: এবার আদালতেরও আশ্রয় নেব, বললেন শুভেন্দুনাদানঘাট থানার অদূরে রয়েছে পূর্বস্থলীর চুপীর পাখিরালয়। প্রতিবছর শীত পড়তেই দেশ বিদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে উড়ে এসে ওই পাখিরালয়ে ভিড় জমায় প্রায় ৬০-৭০ প্রজাতির পাখি। পর্যটকরা ওই সময়ে রঙ বে রঙের পাখি দেখার টানে চুপীর পাখিরালয়ে হাজির হন। পর্যটকরা পাখি দেখে মুগ্ধ হন। তবে শীত না পড়লেও এই সময়ে অদ্ভুত ভাবেই দলে দলে পাখি আশ্রয় নিয়েছে নাদনঘাট থানা চত্ত্বরে থাকা প্রকাণ্ড বটবৃক্ষটিতে। আর তাতেই খুশিতে মাতোয়ারা থানার বড়বাবু থেকে শুরু করে সকল পুলিশ কর্মী। খুশি এলাকাবাসীও।আরও পড়ুনঃ নিশীথের নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্নচিহ্ননাদনঘাট থানার পুলিশ কর্মীদের কথায় জানা গিয়েছে, কিছুদিন হল তাঁদের থানা চত্ত্বেরে থাকা প্রকাণ্ড বটগাছটিতে বিভিন্ন ধরণের পাখির আনাগোনা শুরু হয়। দিন গড়ানোর সাথে সাথে বটগাছটিতে পাখিদের ভিড় আরও বড়তে শুরু করে। বিভিন্ন পাখির বিভিন্ন রকম ডাক মন ভরিয়ে দেয় থানার পুলিশ কর্মীদের। পুলিশ কর্মীরাও তাই পাখিদের নিয়ে কিছু একটা করায় ব্যাপারে উদগ্রীব হয়ে ওঠেন। কারণ পুলিশ কর্মীরা কেউ চাইছিলেন না থানা চত্ত্বরের বট গাছ ছেড়ে পাখিরা অন্য কোথাও চলে যাক। ওসি সুদীপ্ত মুখোপাধ্যায় তাই নিজে উদ্যোগ নিয়ে এদিন পাখিদের বাসস্থান গড়ার সুবিধার্থে বটগাছটির ডালে ডালে ঝুড়ি ঝুলিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। পাখিদের পিপাসা মেটানোর জন্যে বটগাছ সন্নিকটে মাটির পাত্রে জল রাখার ব্যবস্থাও করে দেওয়া হয়েছে।আরও পড়ুনঃ হিজবুল মুজাহিদিনের নামে হুমকির সিডি রায়গঞ্জে, হুঙ্কার প্রাথমিকে নিয়োগ নিয়েওসি সুদীপ্ত মুখোপাধ্যায় বলেন, কিছুদিন যাবৎ বিভিন্ন রঙের পাখি বট গাছটিতে বসতে শুরু করে। পরে পাখিদের আনঅগোনা বাড়ে। তা দেখে থানার সকলেই খুশি হন। । নিরাপদ ও সহায়ক পরিবেশ পেলে তাঁদের থানা চত্ত্বরের বটবৃক্ষে আরও অনেক পাখি জড়ো হবে, পাখিরা পুলিশ কর্মীদের পাশাপাশি এলাকাবসীকেও মুগ্ধ করবে। এমন প্রত্যাশা নিয়েই এদিন গাছের ডালে ডালে পাখিদের বাসা তৈরীর সুবিধার্থে ঝুড়ি ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে ।

জুলাই ১৮, ২০২১
ভ্রমণ

Rakhal Raja: রাখাল রাজের দেশে, বিস্তীর্ণ প্রান্তর যেথায় দিগন্তে গিয়ে মেশে

বহু দিন ধরে বহু ক্রোশ দূরেবহু ব্যয় করি বহু দেশ ঘুরেদেখিতে গিয়েছি পর্বতমালা,দেখিতে গিয়েছি সিন্ধু।দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়াঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়াএকটি ধানের শিষের উপরেএকটি শিশিরবিন্দু। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কবির প্রকৃতি প্রেম খুব সুন্দর করে এই পংক্তি গুলির মধ্যে ফুটে উঠেছে। সত্যিই তো আমাদের চারপাশে ছড়িয়ে আছে অসংখ্য দর্শনীয় স্থান, প্রকৃতি যেখানে জিঅকৃপণ ভাবে নিজেকে সাজিয়ে রেখেছে, তার কতটুকুই বা আমরা জানি। লকডাউনের বিধিনিষেধ দূর ভ্রমণে বাধা হলেও, অদূর ভ্রমণের সুযোগ করে দিয়েছে। মুক্তির স্বাদ খুব অল্প সময়ের হলেও তা প্রাপ্তির ভাণ্ডার কে পরিপূর্ণ করে তোলে। প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে গিয়ে অপার আনন্দ অনুভব করার এমনই এক ঠিকানা রাখাল রাজার মন্দির।প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী মন্দিরময় স্থান কালনা। কালনার ই বৈদ্যপুর রথতলা থেকে মিনিট ১৫ গেলেই গোপালদাসপুর গ্রামে অবস্থিত এই রাখাল রাজ মন্দির। নিরিবিলি পরিবেশ, চারদিকে বিস্তীর্ণ সবুজ প্রান্তর, পাখির কলকাকলিতে মুখরিত, তার মাঝখানে লাল ইটের তৈরি প্রাচীন মন্দিরে রাখাল রাজ বিরাজমান। প্রকৃতি এখানে রাখাল রাজের খেলার উপযুক্ত স্থান হিসাবেই নিজেকে সাজিয়ে রেখেছে। মন্দির এর সামনে বিস্তৃত নাট মন্দির, তার দেয়ালে শ্রীকৃষ্ণের বাল্য লীলার নানান কাহিনী যেমন পুতনা বধ, ননী চুরি, কংস বধ ইত্যাদি ছবির মাধ্যমে বর্ণিত আছে।মন্দিরের গর্ভগৃহে তিনটি মূর্তি রয়েছে, সবচেয়ে বড় রাখাল রাজের মূর্তি, আকাশী নীল গায়ের রঙ, বড় বড় টানা চোখ, বাম হাতে নাড়ু আর ডান হাতে লাঠি নিয়ে গোপবালকদের দলপতির মত সমস্ত কিছু পরিচালনা করছেন। দুপাশে সাদা গাভী। তাঁর ডানদিকে ছোট রঘুনাথ মূর্তি, গায়ের রঙ সবুজ আর বামদিকে গোপীনাথজী আকাশী নীল গায়ের রঙ। মূর্তিগুলি অপরূপ মায়াময়, তাকিয়ে থাকলে প্রশান্তিতে মন ভরে যায়। পুরোহিতের সাথে কথা বলে যা ইতিহাস জানা গেল তা প্রায় ৫০০ বছর আগের, বেশিরভাগটাই জনশ্রুতির উপর ভিত্তি করে।কাহিনীটি অনেকটা এরকম, বর্ধমানের খাতুন্দীর বাসিন্দা গোপীনাথ ভক্ত রামকানাই গোস্বামী বর্গী আক্রমণের ভয়ে বা পারিবারিক কলহের কারণে আরাধ্য দেবতাকে সাথে নিয়ে বৃন্দাবনের উদ্দেশ্যে রওনা হন।পথে ঘন জঙ্গল পড়ে, এদিকে গোপীনাথকেও ও ভোগ দেওয়ার সময় হয়ে আসায়, রামকানাই গোস্বামী জঙ্গলেই কাঠ কুটো জ্বালিয়ে রান্নার ব্যবস্থা করেন। এই সময়েই রাজা গোপালদাস তার সঙ্গী সাথীদের নিয়ে মৃগয়া করতে এসেছিলেন, পথে ক্লান্ত হয়ে ফেরার সময় দেখলেন জঙ্গলে এক জায়গা থেকে ধোঁয়া উঠছে। রাজা সেখানে সপারিষদ উপস্থিত হতে, গোস্বামী মহাশয় তাদের সাদর অভ্যর্থনা জানান, ও খেয়ে যেতে বলেন। গোপীনাথজী র অসীম কৃপায় একটা ছোট হাঁড়ির ভোগেই সবাই পরিতৃপ্তির সাথে খাওয়া সম্পূর্ণ করেন। রাজা গোপীনাথ এর মাহাত্ম্য বুঝতে পারেন এবং উনি রামকানাই গোস্বামীকে কিছু জমি দান করেন। মন্দির নির্মাণ করেন। তার নামানুসারে এই গ্রামের নাম গোপালদাসপুর।সেই দিন রাত্রে রামকানাই গোস্বামী স্বপ্নাদিষ্ট হন যে রাখাল রাজ বালকের বেশে তাকে বলছেন তার আর বৃন্দাবন যাত্রার প্রয়োজন নেই। পরের দিন পাশের যমুনা পুষ্করিণী তে যে কাঠ ভেসে থাকবে তাই নিয়ে নদীয়ার বাঘনাপারার এক পাঁচ বছরের বালকের কাছে গেলে, সে রাখাল রাজার মূর্তি তৈরি করে দেবে। স্বপ্নাদেশ পেয়ে রামকানাই পরের দিন পুষ্করিনী থেকে কাঠ সংগ্রহ করে, বাঘনাপাড়ায় গিয়ে সেই বালক, নাম মহাদেব, কে দিয়ে মূর্তি তৈরি করান, সেই মূর্তিই আজও পূজিত হয়ে আসছে। সেই বালকের বংশধরেরাই এখনো মাঘী পূর্ণিমার দিন মূর্তির অঙ্গরাগ করেন। পাশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন গোপীনাথ।রামনবমী ও জন্মাষ্টমী তে বড় উৎসব অনুষ্ঠিত হয়, প্রচুর ভক্ত সমাগম ঘটে। মূল মন্দিরের পাশে আছে দোল মন্দির এখানে দোল উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। একটু দূরে আছে সাধক রামকানাই গোস্বামী র সমাধি মন্দির।সকাল থেকে মোট চারবার ভোগ নিবেদন করা হয়। দুপুরে থাকে অন্নভোগ। মন্দিরে এসে আগে থেকে কুপন কেটে রাখলে ভোগ খাবার ব্যবস্থা আছে।বিকেল বেলা শীতল ভোগ হয়ে গেলে, মন্দির ও তার চারপাশে কেউ যায়না, মানা হয় এই সময় রাখাল রাজা স্বয়ং তার সঙ্গী সাথীদের নিয়ে খেলা করেন। ভক্তজনের বিশ্বাস আর ভক্তিতেই তিনি সদা জাগ্রত। এই সব কাহিনী শুনতে শুনতেই রাখাল রাজের লাঞ্চ এর সময় হয়ে গেল। আরতির পর তিনি খেতে বসলেন, সাথীদের নিয়ে। আরতি দর্শন করে ও দুপুরের ভোগ খেয়ে পরিপূর্ণ হৃদয়ে বাড়ির পথে রওনা দিলাম আমরা।প্রকৃতি ও ঈশ্বরকে অনুভব করার অপূর্ব অনুভূতি মনের মণিকোঠায় উজ্জ্বল হয়ে থাকবে অনেকদিন।ডঃ ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়সহকারী অধ্যাপকচন্দ্রপুর কলেজ (বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়)কিভাবে যাবেনবর্ধমান থেকে হাওড়া গামী মেন লাইন লোকাল ট্রেন ধরে নামতে হবে বৈঁচি স্টেশনে। সেখান অম্বিকা কালনা অভিমুখে যে বাস যাচ্ছে সেই বাসে উঠে নামতে হবে বৈদ্যপুর বাজার। সেখান থেকে গোপালদাসপুর যাওয়ার টোটো ধরতে হবে। গোপালদাসপুরে যে কেউ দেখিয়ে দেবে রাখালরাজার মন্দির। কেউ যদি থাকতে চান তাহলে বৈদ্যপুরে হোটেল বা লজে থাকতে পারেন। বৈদ্যপুর থেকে কুড়ি কিলোমিটার দূরে কালনা শহরে থাকার জন্য অনেক হোটেল আছে।

জুলাই ১৮, ২০২১
রাজ্য

DVC: ২৪ জুলাই থেকে খরিফ মরসুমের জন্য জল ছাড়বে ডিভিসি

এই রাজ্যের দুই বর্ধমান ,হাওড়া, হুগলি ও বাঁকুড়া জেলায় খরিফ মরশুমে চাষে সেচের জলের কোন সমস্যা হবে না। ডিভিসির জলাধার থেকে আগামী ২৪ জুলাই সেচের জল ছাড়া শুরু হবে। যা চলবে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত। পাঁচ জেলার ১ লক্ষ ২৭ হাজার হেক্টর চাষ জমি সেচের জল পাবে। শুক্রবার বর্ধমানে পাঁচ জেলার আধিকারিকদের বৈঠক শেষে এমনটাই জানালেন বর্ধমান ডিভিশনের কমিশনার বিজয় ভারতী।আরও পড়ুনঃ কান্দাহারে নিহত পুলিৎজার জয়ী ভারতীয় চিত্রসাংবাদিকখরিফ মরশুমে সেচের জল সরবরাহের বিষয় নিয়ে এদিন বর্ধমান সার্কিট হাউসে অনুষ্ঠিতহয় গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। দুই বর্ধমান, বাঁকুড়া, হাওড়া, হুগলি ও বীরভূম এই পাঁচ জেলার আধিকারিকরা বর্ধমান সার্কিট হাউসে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দেন। বৈঠক শেষে বিজয় ভারতী জানান, এবছর ডিভিসি জলাধারে গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি জল সংরক্ষিত রয়েছে। ডিভিসি কর্তৃপক্ষ জল ছড়া সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে একটি অ্যাপ আনতে চলেছে। www.dvc.gov.in এই অ্যাপে কোন ব্লকে কতটা জল ছাড়া হবে এবং কখন সেই জল পৌঁছবে তার যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাবে। একই সঙ্গে তিনি জানান, গত খরিফ মরশুমে এই পাঁচ জেলার বেশ কয়েকটি সেচ খালে জল কম দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু এই বছর বর্ষা ভালো হওয়ায় ডিভিসির জলাধারে গতবারের তুলনায় অনেক বেশি জল রিজার্ভ আছে। সেই কারণে এ বছর সেই সমস্যা হবে না বলে বিজয় ভারতী জানিয়ে দেন। হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি সেখ মেহবুব রহমান জানিয়েছেন,পাঁচ জেলার ১ লক্ষ ২৭ হাজার হেক্টর জমির জন্যেই সেচের জল দেওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে।আরও পড়ুনঃ মঙ্গলকোট-কাণ্ডে তদন্তভার সিআইডি-রপূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা জানান, এই জল ছাড়ার ফলে খরিফ মরশুমে এই পাঁচ জেলায় দামোদর নদ তীরবর্তী অঞ্চলগুলিতে চাষের জলের কোনো সমস্যা এবছর হবে না। এছাড়াও এই বৈঠকে বিভিন্ন সেচখালের ড্রেজিংজনিত সমস্যা ও তার প্রতিকারের উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে।

জুলাই ১৭, ২০২১
রাজ্য

Self-Reliance: এক টাকার চপ বেচেই বিত্তশালী হিমাংশু আত্মনির্ভরতার দিশা দেখাচ্ছেন যুবকদের

অতিমারির মধ্যেও জ্বালানির আঁচে জ্বলছে গোটা দেশ। অগ্নিমূল্য সবেরই বাজার দর। কিন্তু তাতে কি !এই সব নিয়ে বিশেষ মাথাই ঘামাতে চান না পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার পাঁচড়ার চপ-তেলেভাজা বিক্রেতা হিমাংশু সেন। বরং তিনি মনে করেন, এই কঠিন অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যেও ষোল আনা অর্থাৎ ১ টাকা পিস দরে চপও অন্য তেলে ভাজা বিক্রি করেও বিত্তশালী হওয়া যায়। শুধু মনে করাই নয়,বাস্তবে সেটা তিনি করেও দেখিয়ে চলেছেন।আরও পড়ুনঃ মঙ্গলকোট-কাণ্ডে তদন্তভার সিআইডি-রচপ বিক্রেতা হিমাংশুবাবুর এমন ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডই এলাকার বেকার দের আত্মনির্ভর আর্থিক রোজগারে দিশা দেখাচ্ছে। যা চাক্ষুষ করে অনেকে এখন বলতে শুরু করেছেন,মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চপ শিল্প নিয়ে হক কথাই বলেছিলেন । জামালপুরের পাঁচড়া গ্রামের দক্ষিনপাড়ায় বাস হিমাংশু সেনের। বাড়ির কাছেই রয়েছে তাঁর প্রসিদ্ধ চপ-তেলে ভাজার দোকান। প্রতিদিন দুপুর ৩ টায় খুলে যায় তাঁর চপের দোকান। তারপর থেকেই পরিবারের সবাই মিলে দোকান চালান। দোকানের এক ধারে বসে গ্যাসের উনানে গরম তেলের কড়াইয়ে ফুলুড়ি, সিঙ্গারা, ভেজিটেবিল চপ, আলুর চপ এই সবকিছুই ভাজেন হিমাংশু বাবু। এছাড়াও ঘুগনি এবং অল্পস্বল্প করে রসোগোল্লা, পান্তুয়া, ল্যাংচা ও মাখা সন্দেশও বিক্রির জন্য তিনি তৈরি করেন। তবে চপ বিক্রিই তাঁর মূল ব্যবসা।দোকান খোলার কিছু সময় পর থেকেই খরিদ্দারের ভিড় বাড়তে শুরু করে শিমাংশুবাবুর দোকানে ।খরিদ্দার সামলান হিমাংশু বাবুর স্ত্রী বন্দনাদেবী, ছেলে কাশিনাথ ও পুত্রবধূ শম্পা। চপ ভাজা থেকে শুরু করে চপ, ঘুগনি বিক্রি এই দুই কাজে রাত ৯ টা পর্যন্ত সেন পরিবারের কেউ একমুহুর্ত ফুরসত পান না। প্রায় ৩০ বছর ধরে ১ টাকা মূল্যে চপ-তেলেভাজা বিক্রি করেই হিমাংশুবাবু ও তাঁর পরিবার এখন এলাকার বিত্তশালীদের মধ্যে একজন হয়ে উঠেছেন। যা দেখে অনেকের ঈর্ষা হয় ঠিকই। কিন্তু তারা হিমাংশুবাবুর ব্যবসায়িক বিচক্ষণতার কাছে মাথা নত না করে পারেন না।আরও পড়ুনঃ কফি ডেটে যেতে চান শ্রীলেখা! কিন্তু কার সঙ্গে?দুর্মূল্যের বাজারেও ১টাকা পিস দরে চপ-তেলে ভাজা বিক্রি করে লাভের মুখ দেখার ব্যবসায়িক রহস্যটা কি? এই প্রশ্নের উত্তরে হিমাংশু সেন বলেন, আমাদের পরিবার এক সময়ে আর্থিক ভাবে অত্যন্ত দুর্বল ছিল। রোজগারের বিকল্প আর কোনও পথ সেভাবে খুঁজে না পেয়ে বাবা বিশ্বনাথ সেন অনেক বছর আগে বাড়ি লাগোয়া জায়গায় চপের দোকান খুলে বসেন। তাঁর বাবা এলাকার মানুষের আর্থিক পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে তখন ৮০ পয়সা পিস দরে চপ-তেলে ভাজা বিক্রী করা শুরু করেছিলেন। এর পর বেশ কয়েক বছর হল তিনি মাত্র ২০ পয়সা দাম বাড়িয়ে ১ টাকা পিস দরেই চপ-তেলেভাজা বিক্রি করে চলেছেন। শুধু এক প্লেট ঘুগনির দাম ২ টাকা নেন বলে হিমাংশু বাবু বলেন। হিমাংশুবাবু দাবি, এলাকার গরিব, নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তরাই তাঁর দোকানের ১ টাকা মূল্যের চপ-তেলেভাজা ও ২ টাকা প্লেটের ঘুগনির সবথেকে বড় ক্রেতা। এছাড়াও দুর-দুরান্তের ক্রেতা তো রয়েইছে।প্রতিদিন ১০ কেজি বেসনের চপ- তেলেভাজা বিক্রি হয় হিমাংশুবাবুর দোকানে। শুধু ১০ কেজি বেসনই নয়। এর সঙ্গে প্রতিদিন লাগে ১ বস্তা আলু, ৫ কেজি মটর, হাজার টাকার সরষের তেল সহ অন্যান্য সামগ্রী। হিমাংশু বাবু জানান, এইসব সামগ্রী কিনে দোকান চালানোর জন্য প্রতিদিন তার প্রায় ৩৫০০ টাকা খরচ হয়। ১ টাকা পিস দরে চপ- তেলেভাজা আর ২ টা প্লেট দরে ঘুগনি বিক্রি করেও গড়ে প্রতিদিন ৫০০- ৭০০ টাকা লাভ থাকে বলে হিমাংশু বাবু জানান। সেই লাভের পয়সাতেই তিনি সংসার চালানোর পাশাপাশি মেয়ে কেয়াকে উচ্চশিক্ষিত করেছেন। এম এ, বিএড পাস করা মেয়ের বিয়েও তিন বছর আগে ধুমধাম করে দিয়েছেন। ছেলের ছেলে অর্থাৎ নাতি কুশল ও নাতনি কৃত্তিকাকেও উচ্চশিক্ষিত করার স্বপ্ন নিয়ে গ্রামের প্রথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করেছেন হিমাংশুবাবু। এছাড়াও চপ বিক্রির লাভের পয়সা দিয়েই তিনি পরিবারের সাবেকি বাড়িটিকে ঝাঁ চকচকে বানিয়েছেন। একই সঙ্গে চপের দোকানের লাগোয়া জায়গায় সম্প্রতি নতুন একটি সুন্দর দোতলা বাড়িও তৈরি করেছেন। নূন্যতম মূল্যে অধীক বিক্রি-ই তাঁর ব্যবসায়িক সাফল্যের চাবিকাঠি বলে হিমাংশু সেন জানিয়েছেন। পাঁচড়া গ্রামের বাসিন্দা প্রেমনাথ ঘোষাল বলেন, অর্থনীতিবিদরা বলছেন ভারতসহ গোটা বিশ্ব এখন অর্থনৈতিক মন্দায় ধুুঁকছে। ভারতীয় জিডিপির পতনের প্রভাব পুরো বিশ্বের অর্থনীতিতে পড়বে বলেও অর্থনীতিবিদরা আশঙ্কার কথা শোনাচ্ছেন।আরও পড়ুনঃ নিয়মে বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে আসছে দ্য হান্ড্রেড ক্রিকেটদেশের এমন অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যেও ১ টাকা মূল্যে চপ বিক্রী করে হিমাংশু সেন কোন যাদুতে লাভের মুখ দেখছেন সেটাই সবচেয়ে আশ্চর্য্যের বিষয়। হিমাংশু সেনের ব্যবসায়ীক সাফল্যের বিষয়টি হয়তো অর্থনীতিবিদদেরও ভাবাবে । কারণ এই কঠিন অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যেও হিমাংশু সেনের ব্যবসায়ীক কর্মকাণ্ড এখন এলাকার বেকার দের আত্মনির্ভর আর্থিক রোজগারে দিশা দেখাচ্ছে বলে প্রেমনাথ ঘোষাল মন্তব্য করেন। পাঁচড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান লালু হেমব্রম জানান, চপ-তেলেভাজার দোকান করে জীবনে বড় হওয়া যায় বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন। তার জন্য বিরোধীরা ব্যাঙ্গ বিদ্রুপ করতে ছাড়েননি ।কিন্তু বাস্তবেই পাঁচড়ার হিমাংশু সেন প্রমাণ করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ভুল কিছু বলেননি। মুখ্যমন্ত্রী হক কথাই বলেছিলেন। হিমাংশুবাবুর ব্যবসায়িক স্ট্রাটেজির কথা জেনে তারিফ করেছেন অর্থনীতি নিয়ে পড়া শুনা জামালপুর ব্লকের বিডিও শুভঙ্কর মজুমদার।

জুলাই ১৭, ২০২১
রাজ্য

Galsi: গলসিতে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩

তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। ধৃতদের নাম আনিসুর মণ্ডল ওরফে কালো, চণ্ডীচরণ দাস ও শেখ নূর আলম। পূর্ব বর্ধমানের গলসি থানার বোলপুর গ্রামে চণ্ডীদাসের বাড়ি। অপর দুই ধৃত গলসির কড়কডাল গ্রামের বাসিন্দা। গলসি থানার পুলিশ বুধবার রাতে বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে। বৃহস্পতিবার ধৃতদের বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়।আরও পড়ুনঃ বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় জখম বিজেপি নেত্রীপুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁশের তৈরি বসার মাচা ভেঙে দেওয়া নিয়ে বুধবার বিকালে কড়কডাল গ্রামে শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে ৪ মহিলা-সহ উভয়পক্ষে ১০ জন জখম হন।জখমদের মধ্যে ৭ জনকে পুরষা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। আঘাত গুরুতর থাকায় সেখান থেকে কয়েকজনকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।আরও পড়ুনঃ কেন দ্বিতীয় বিয়ে করলেন না পূজা ভাট!আক্রান্ত শেখ নূর আলম পুলিশকে জানিয়েছেন, ঘটনার দিন বিকাল ৪টে নাগাদ লাঠি, রড, শাবল প্রভৃতি নিয়ে তাঁর বাড়িতে ঢুকে হামলা চালায়। হামলাকারীরা তাঁর বোন, মা, স্ত্রী ও অন্যান্য আত্মীয়দের মারধর করার পাশাপাশি তারা তাঁর বাড়িতে থাকা ২ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে পালায়। অপরদিকে সফিকুল মল্লিকের অভিযোগ, ঘটনার দিন বিকাল সাড়ে ৪টে নাগাদ তিনি বাড়ি থেকে খলসেগড় বাজারে যাচ্ছিলেন। সেই সময় তাঁর উপর হামলা চালানো হয়। তাঁর আর্তনাদ শুনে ভাই ছুটে আসেন। তাঁকেও মারধর করা হয়। দুই পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে গলসি থানার পুলিশ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে। সিজেএম ধৃতদের বিচার বিভাগীয় হেপাজতে পাঠিয়ে সোমবার ফের আদালতে পেশের নির্দেশ দিয়েছেন।

জুলাই ১৫, ২০২১
রাজ্য

Bamboo Structure: বাঁশের তৈরি বসার মাচা দখল নিয়ে গলসিতে সংঘর্ষ, জখম ৪ মহিলা সহ ৮

বাঁশের তৈরি বসার মাচা ভাঙা নিয়ে গ্রামের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে জখম হলেন ৪ মহিলা সহ ৮ জন। বুধবার বিকালে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের গলসির পারাজের করকডাল গ্রামে। খবর পেয়ে গলসি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। উত্তেজনা থাকায় এলাকায় জারি রয়েছে পুলিশ টহল। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার গ্রামে থাকা বাঁশের তৈরি একটি মাচা ভেঙে দেওয়া নিয়েই দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধের সূত্রপাত ঘটে। ওই দিন থেকেই উত্তপ্ত হয়েছিল গলসির পারাজ পঞ্চায়েতের করকডাল গ্রাম। ওই মাচা ভাঙা নিয়েই শেষ পর্যন্ত এদিন বিকালে দুই গোষ্ঠী সংঘর্ষ মারপিটে জড়িয়ে পড়ে। এলাকাবাসীর দাবি, সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়া ব্যক্তিদের এক পক্ষ ব্লক তৃণমূল সভাপতি জনার্দ্দন চট্টোপাধ্যায়ের গোষ্ঠীর লোক। অপর পক্ষ জেলা সংখ্যালঘু সেলের সহ সভাপতি মহম্মদ মোল্লা গোষ্ঠীর অনুগামী। মারপিটে জনার্দন গোষ্ঠীর ৪ মহিলা সহ ৬ জন জখম হয়েছেন। অন্যদিকে মহম্মদ মোল্লা গোষ্ঠীর দুজন জখম হয়েছেন। সকলকেই রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুরষা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার জন্যে পাঠানো হয়।তৃণমূল নেতা জনার্দ্দন চট্টোপাধ্যায়ের অনুগামী বলে পরিচিত সেখ মন্টু ও তাঁর পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, তাঁদের গ্রামে থাকা বাঁশের তৈরী বসার মাচাটি ভেঁঙে দেয় মহম্মদ মোল্লার লোকজন। যারা ভাঙে তারা করকডাল, ভিমসারা, বোলপুর ও রানাডি এলাকার বাসিন্দা। এরপর ওরা এদিন বিকালে বাড়ির পাঁচিল টপকে ঢুকে তাঁদের বাড়ির মহিলা ও আত্মীয়দের বাঁশ দিয়ে মারধর করা হয়। মারধরে পরিবারের দুজন পুরুষ ও চারজন মহিলা জখম হয়। যদিও মহম্মদ মোল্লার অনুগামী রাফিজুল মল্লিক দাবি করেন, পারিবারিক বিবাদের জেরে সেখ মণ্টুর পরিবারের সঙ্গে মারামারি হয়। মন্টুর পরিবারের লোকজনএদিন সশস্ত্র অবস্থায় তাঁদের উপর চড়াও হয়। তাঁকে ও তাঁর পরিবারের আরও একজনকে মেরে জখম করে । তাঁরা হামলা প্রতিরোধ করতে গেলে সংঘর্ষ বেঁধে যায় । রফিজুল দাবি করেন, তাঁরা রাজনীতি করলেও ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই । অপর পক্ষ অহেতুক এই ঘটনা নিয়ে রাজনীতি টেনে আনছেন । গলসির তৃণমূলের কোনও নেতা এদিনের ঘটনা নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি। তবে পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ পেলে তাঁরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।

জুলাই ১৫, ২০২১
রাজ্য

Murdered: সম্পত্তি হাতাতে শ্বশুরকে খুনের অভিযোগ জামাইয়ের বিরুদ্ধে, ধৃত এক

শ্বশুরে সম্পত্তি ফিরিয়ে নেওয়ায় তাঁকে নৃশংস ভাবে খুনের অভিযোগ উঠলো জামাইয়ের বিরুদ্ধে। বুধবার চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বর থানার দীর্ঘনগর এলাকায়। মন্তেশ্বর থানার পুলিশ এদিনই মৃত শ্বশুর নূর আলম মিদ্দে (৬৫) এর মৃতদেহ বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ মর্গে পাঠায়। মৃতর মেয়ে হাসিরা বেগম তাঁর বাবার মৃত্যুর জন্য তাঁর স্বামী নসরত শেখসহ তিন জনের নামে এদিনই মন্তেশ্বর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তার ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করে পুলিশ তদন্তে নেমে অভিযুক্তদের খোঁজ শুরু করেছে।আরও পড়ুনঃ সংক্রমণ নিম্নমুখী হলেও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে মৃত্যুহার, কি বলছে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট? জানুনপুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,মন্তেশ্বরের দীর্ঘনগর এলাকাতেই বাড়ি নূর আলম মিদ্দের। এদিন সকালে বাড়ি সংলগ্ন সার্ভিসিং সেন্টারের মধ্যে ওই বৃদ্ধকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন পরিবারের লোকজন। ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে মন্তেশ্বর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছায়। মৃতদেহ খতিয়ে দেখে পুলিশ ও স্থানীয় মানুষজন নিশ্চিৎ হয় ভারী কিছু বস্তু দিয়ে মুখ ও শরীরের বিভিন্ন অংশ থেঁতলে দিয়ে নূর আলম মিদ্দেকে খুন করা হয়েছে।আরও পড়ুনঃ করোনা প্রতিরোধে নতুন দিশা, বাজারে আসছে ন্যাজাল স্প্রেমৃতর মেয়ে হাসিরা বেগম পুলিশকে জানিয়েছে, ৮ বছর আগে মন্তেশ্বরের আজহারনগর গ্রামের যুবক নসরত শেখের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তাঁদের তিন সন্তান। একমাত্র মেয়ে হাসিরা ও জামাই নসরতের জীবন যাতে সুখের হয় তার জন্যে নূর আলমবাবু দীর্ঘনগরের বাড়ির সামনেই জামাইকে একটি গাড়ি সার্ভিসিং সেন্টারও করে দেন। পাশাপাশি কয়েকবছর আগে জমি বিক্রি করে কয়েক লক্ষ টাকা দিয়ে জামাইকে একটি পিকআপ ভ্যান গাড়িও কিনে দেন নূর আলম। এত কিছু দিয়েও জামাইকে সন্তুষ্ট করতে পারেননি নূর আলম। এরপর থেকে জমি, বাড়িসহ যাবতীয় সম্পত্তি তাঁর নামে করে দেওয়ার জন্য নসরত তাঁর শ্বশুরকে চাপ দেওয়া শুরু করে।আরও পড়ুনঃ আন্তর্জাতিক টেনিসে ঐতিহাসিক সাফল্য বাঙালি তরুণেরমেয়ের ভবিষ্যৎতের কথা ভেবে নূর আলম তাঁর সব সম্পত্তি জামাইকে দিয়েও দেন। এর পর শ্বশুরের দেওয়া জমি ও বাড়ি বন্ধক দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা লোন নেওয়ার জন্য নসরত উঠেপড়ে লাগে। হাসিরা জানান, সম্প্রতি তাঁর বাবা নূর আলম জানতে পারেন সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়ার পর নসরত মোজাহারনগর গ্রামের অন্য এক মহিলাকে বিয়ে করেছে। তা নিয়ে অশান্তি চরমে উঠলে হাসিরা তাঁর স্বামী নসরতের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের মামলা দায়ের করেন। সেই কথা জানতে পেরেই নসরত গা ঢাকা দেয়। জামাইয়ের কীর্তিকলাপ মেনে নিতে না পেরে নূর আলম জামাইকে লিখে দেওয়া সব সম্পত্তি ফিরিয়ে নেন নিজের মেয়ে হাসিরাকে দেবেন বলে। হাসিরা জানান, এই কথা জানতে পারার পর থেকেই নসরত ফেনে তাঁর বাবাকে হুমকি দেওয়া শুরু করে। হাসিরার উপরেও নির্যাতন চালানো শুরু করে নসরত। মেয়ের জীবন সংশয় হতে পারে আশঙ্কা করে হাসিরাকে তার শ্বশুর বাড়ি থেকে নিজের বাড়িতে নিয়ে চলে আসেন নূর আলম। অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতেও ফোন করে নূর আলমকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় নসরত।তারপরেই এদিন সকালে নূর আলমের রক্তাত ক্ষত বিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার হয় । হাসিরা বলেন, আমি নিশ্চিৎ যে সম্পত্তি ফিরিয়ে নেওয়ার বদলা নিতেই তাঁর বাবাকে নৃশংস ভাবে খুন করা হয়েছে । খুনের ঘটনায় তাঁর স্বামীই জড়িত।আরও পড়ুনঃ নিয়মে বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে আসছে দ্য হান্ড্রেড ক্রিকেটমৃত ব্যক্তির ভাইপো আব্বাস শেখ বলেন, জামাইকে দেওয়া সব সম্পত্তি নুর আলম তাঁর মেয়ের নামে ঘুরিয়ে নিয়েছে বলে মঙ্গলবার তিনি তাঁদের জানিয়েছিলেন। এরপর থেকে জামাই নসরত বারবার নূর আলমকে প্রাণে মেরে দেওয়ার হুমকি দিতে থাকে। সেই কারণে নূর আলম কেসও করে দেন। জমি, সম্পত্তি লোভ ছাড়তে না পেরে জামাই নসরত-ই তাঁর বৃদ্ধ শ্বশুর নূর আলমকে খুন করেছে বলে দাবি করেছেন মৃতর ভাইপো। এসডিপিও সপ্তর্ষি ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, বৃদ্ধ খুনের ঘটনায় তিন জনের নামে অভিযোগ জমা পড়েছে। একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।

জুলাই ১৪, ২০২১
রাজ্য

Cruel Neighbour: কান্নাকাটির 'অপরাধে' একরত্তি শিশুকে মারধর, গ্রেপ্তার 'নিষ্ঠুর ' প্রতিবেশী

বাড়িতে গিয়ে কান্নাকাটি করায় ১৫ মাস বয়সী শিশুকে মারধরের অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন প্রতিবেশী। ধৃতের নাম সঞ্জিৎ সাউ। তার বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানার কেন্না গ্রামের সায়েরপাড়ায়। মেমারি থানার পুলিশ সোমবার রাতে বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। শিশুকে মারধরের ঘটনায় জড়িত নিষ্ঠুর প্রতিবেশীর কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন সায়েরপাড়ার সকল বাসিন্দারা।আরও পড়ুনঃ গুগল পিসেমশাই জন্মদিনের তারিখ ভুল বলছে মনামীরপুলিশ জানিয়েছে, শিশুর পরিবারের বসবাস কেন্না গ্রামের সায়েরপাড়াতেই। শিশুর বাবা কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। শারীরিক অসুস্থতার কারণে শুক্রবার সকালে শিশুটি খুব কান্নাকাটি করছিল। কান্নাকাটি করতে করতে শিশুটি প্রতিবেশী সঞ্জিৎ সাউয়ের বাড়িতে ঢুকে পড়ে। বাড়িতে ঢুকে শিশুটি কান্নাকাটি করায় সঞ্জিত শিশুটিকে প্রচণ্ড মারধর করে। এমনকি তিনি শিশুটিকে লাথি পর্যন্ত মারেন বলে অভিযোগ। মায়রধোর সহ্য করতে না পেরে শিশুটি আরও গলা ফাটিয়ে কাঁদতে শুরু করে। কান্নার শব্দ শুনে শিশুটির মা ওই প্রতিবেশীর বাড়িতে ছুটে যান। অভিযোগ, তাঁকেও মারধর করে সঞ্জিত। বাচ্চা নিয়ে চলে যেতে। হুমকি দেওয়া হয় কান্নাকাটি করা শিশুকে নিয়ে চলে না গেলে শিশুটিকে মেরে ফেলা হবে। অভিযোগ, মায়ের কোল থেকে শিশুটিকে কেড়ে নিয়ে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়ার হুমকি পর্যন্ত দেয় সঞ্জিত। শিশুর মা স্থানীয় হাসপাতালে শিশুটির চিকিৎসা করান।আরও পড়ুনঃ বাড়িতে জগন্নাথ বন্দনা করলেন সাংসদ-অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীশনিবার তিনি ঘটনার কথা জানিয়ে মেমারি থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ সঞ্জিতকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ মঙ্গলবার ধৃতকে পেশ করে বর্ধমান আদালতে। তবে পুলিশ জামিনযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করায় সিজেএম ধৃতের জামিন মঞ্জুর করেন।

জুলাই ১৩, ২০২১
রাজনীতি

Dilip Ghosh: "তোলাবাজ ও চামচাবাজদের নিয়ে দল চলছে", অভিযোগ বর্ধমানের বিজেপি নেতার

কার্যকারিনী সভায় যোগ দিতে গিয়ে ঘাড় ধাক্কা খেয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলা বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগরে দিলেন বিজেপির যুব নেতা। মঙ্গলবার বর্ধমান সদর জেলা বিজেপির যুব মোর্চার সহ-সভাপতি ইন্দ্রনীল গোস্বামী বলেন, বিজেপি দলটা অকৃতজ্ঞ হয়ে গিয়েছে। কতকগুলো তোলাবাজ ও চামচাবাজকে নিয়ে জেলা বিজেপির নতুন সভাপতি এখন দলটা চালাচ্ছে। ইন্দ্রনীলবাবু একইসঙ্গে দাবি করেন, বিজেপি এখন আদর্শ বিচ্যুত হয়েছে। তাই তিনি সংগঠন ছেড়ে দিয়ে দলের এই তেলাবাজি, নোংরামি ও ভ্রষ্টাচারির বিরুদ্ধে আলাদা মঞ্চ গড়ে আন্দোলনে নামবেন। বিধানসভা ভোটে পূর্ব বর্ধমানে বিজেপির ভরাডুবি হওয়ার পর ওই দলেরই এক যুব নেতার আনা এমন বিস্ফোরক অভিযোগ রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় ফেলে দিয়েছে। বিজেপি যুব নেতা ইন্দ্রনীল গোস্বামীর এদিনের বক্তব্য প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যের মুখপত্র দেবু টুডু বলেন, ভোটে ভরাডুবির পর এখন বিজেপি নেতারাই বিজেপির আসল স্বরূপ প্রকাশ্যে আনতে শুরু করে দিয়েছেন । যত দিন যাবে রাজ্যের মানুষ মিস কল পার্টি বিজেপি নেতাদের মুখ থেকে এমন আরও নানা বিস্ফোরক অভিযোগ শুনতে পাবেন। তার থেকেই পরিস্কার হয়ে যাবে রাজ্যের মানুষ কেন বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। আগামী দিনে গোটা দেশের মানুষ মিস কল পার্টি বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করবেন।আরও পড়ুনঃ পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির অভিনব প্রতিবাদ, ডোঙার সাহায্যে জল সেচ তৃণমূল বিধায়কেরবর্ধমান জেলা বিজেপি কার্যালয়ে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয় কার্যকারিনী সভা। সেই সভায় যোগ দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। জেলা পার্টি অফিসে এদিন দিলীপ ঘোষের সঙ্গে দেখা করতে যান বর্ধমান সদর জেলা বিজেপি যুব মোর্চার সহ-সভাপতি ইন্দ্রনীল গোস্বামী। তাঁকে পার্টি অফিসে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ইন্দ্রনীলবাবুর অভিযোগ, আরও পড়ুনঃ ইংল্যান্ডের স্বপ্ন চুরমার করে ইউরো চ্যাম্পিয়ন ইতালিদিলীপ ঘোষের সামনেই পার্টি অফিসে থাকা বিজেপি কর্মীরা আমাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়। এর পর জেলা বিজেপি পার্টি অফিস থেকে বাইরে বেরিয়ে এসেই ইন্দ্রনীল গোস্বামী জেলা বিজেপির সভাপতি, সহ- সভাপতির বিরুদ্ধে তাঁর ক্ষোভ উগরে দেন। ইন্দ্রনীলবাবু এও বলেন, জেলা সভাপতি তাঁর কিছু পেটোয়া লোকেদের পদে রেখে দলের ক্ষতি করছেন। এমনকি তোলাবাজিও করছেন বলে ইন্দ্রনীল গোস্বামী অভিযোগ করেন।আরও পড়ুনঃ আন্তর্জাতিক টেনিসে ঐতিহাসিক সাফল্য বাঙালি তরুণেরএদিকে ইন্দ্রনীল গোস্বামী প্রকাশ্যে সংবাদ মাধ্যমের কাছে এইসব অভিযোগ করার পরেই পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নামেন জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক এস আর ব্যানার্জি। তিনি বলেন, ইন্দ্রনীল গোস্বামী দলের যুব সহ-সভাপতি পদে রয়েছেন। এদিন দিলীপ ঘোষ দলের যে সকল কার্যকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করবেন বলেছিলেন তার তালিকা তৈরি করা হয়েছিল। সেখানে যুব মোর্চার কারও অংশগ্রহণ করার কথা ছিল না। সে কারণেই ইন্দ্রনীলকে মিটিংয়ে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এস আর ব্যানার্জী একই সঙ্গে জানান, ইন্দ্রনীলবাবুর কাউকে তোলাবাজ মনে হতে পারে। কিন্তু তাঁর কোনও মাপকাঠি বা গ্রহনযোগ্যতা নেই। মিটিংয়ে যাদের অংশগ্রহণ করার কথা ছিল তাঁদেরকেই শুধুমাত্র এদিন পার্টি অফিসে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে।আরও পড়ুনঃ উচ্চ মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ এ মাসেইজেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক এমনটা বললেও কার্যকারিণী সভা শেষে দিলীপ ঘোষ বিক্ষুব্ধ যুব নেতা ইন্দনীল গোস্বামীর সঙ্গে দেখা করেন। তাঁদের মধ্যে মিনিট খানেক আলোচনাও হয়। দিলীপবাবু মিটিং শেষে চলে যাবার পরেই ইন্দ্রনীল গোস্বামী ভোল বদলান। তিনি ফের সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন , আমাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বার করে দেওয়ায় আমি আবেগের বসে সাংবাদিকদের কাছে দলের কিছু আভ্যন্তরীণ কথা বলে ফেলেছিলাম।কিন্তু দিলীপ দা আমাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। এই সব নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ যদিও কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

জুলাই ১৩, ২০২১
রাজ্য

Petrol Hike: পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির অভিনব প্রতিবাদ, ’ডোঙার' সাহায্যে জল সেচ তৃণমূল বিধায়কের

জ্বালানির আঁচে জ্বলছে গোটা দেশ। ১০০ পেরিয়েছে লিটার প্রতি পেট্রোলের দাম। ডিজেলের দামও ১০০ ছুঁইছুঁই। জ্বালানির এই অগ্নিমূল্যের প্রভাবে সংকট তীব্র হবে রাজ্যের কৃষিক্ষেত্র। সেচের কাজে পাম্প মেশিন ছেড়ে চাষিদের ফের ডোঙা ব্যবহারেই ফিরতে হবে। সোমবার রথযাত্রার দিন ডোঙায় জল সেচ করে নিজের চাষজমি কর্ষণ কাজের শুভারম্ভ ঘটিয়ে সেই বার্তাই দিলেন বর্ধমান উত্তরের তৃণমূল বিধায়ক নিশীথ মালিক। বিধায়কের এই বার্তা রাজ্যের শস্যগোলা বলে পরিচিত পূর্ব বর্ধমান জেলার কৃষক মহলকেও ভাবিয়ে তুলেছে। তবে বিধায়কের এদিনের কর্মকাণ্ডকে নাটক বলেই মনে করছেন বিজেপি নেতৃত্ব।বর্ধমান ২ ব্লকের গোবিন্দপুর পঞ্চায়েতের হাটকান্ডা গ্রামে বাড়ি বিধায়ক নিশীথ মালিকের। তাঁর পরিবারের সকলেই কৃষিজীবী। পরিবারের চাষবাস বিধায়ক নিজেই দেখেন । বরাবরই জমিতে নেমে চাষ-আবাদের কাজ তিনি নিজেই তদারকি করেন ।প্রতিবছরের মতো এবছরও রথযাত্রা উৎসবের দিন বিধায়ক নিশীথ মালিক তাঁদের পারিবাবিক চাষ জমির কর্ষণ কাজ শুরু করেন । এদিন বাড়িতে থাকা সাবেকি আমলের ডোঙা কাঁধে নিয়েই বিধায়ক জমির উদ্দেশ্যে রওনা নেন । বহুকাল পর ডোঙা নিয়ে নিশীথ মালিককে চাষের জমির দিকে যেতে দেখে এলাকার অন্য চাষিরা কার্যত তাজ্জব বনে যান । ডোঙা নিয়ে জমিতে পৌছে বিধায়ক নিশীথ মালিক প্রথমে ডোঙার সাহায্যে তাঁদের ধান জমিতে জল সেচ করেন। এর পরেই শুরু হয় তাঁর জমির কর্ষণ কাজ। কর্ষণ কাজ পুরোপুরি শেষ হবার পর জমিতে আউশ ধান রোয়ার কাজ শুরু হবে।বেশ কয়েক বছর ধরে পাম্প মেশিনের সাহায্যে জমিতে জল সেচ করে চাষাবাদের কাজ করে আসছেন নিশীথ মালিক ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু হঠাৎ করেই পাম্প মেশিন ছেড়ে বাবা ঠাকুরদার আমলের ডোঙা নিয়ে জমিতে কেন জল সেচ করতে হল? এই প্রশ্নের উত্তরে বিধায়ক নিশীথ মালিক বলেন, দেশে পেট্রোল, ডিজেল ও রান্নার গ্যাস এখন অগ্নিমূল্য। পেট্রোলের লিটার প্রতি মূল্য ১০০ পার হবার পর এখন ডিজেলও ১০০ ছুঁইছুঁই । অগ্নিমূল্য জ্বালানি তেল পাম্প মেশিনে ভরে জল সেচ করে ধান চাষ করতে গেলে চাষের খরচ বহুগুণ বেড়ে যাবে। খরচ বেড়ে গেলে চাষিরা চাষ করেও লাভের মুখ দেখতে পাবেন না। নিশীথ বলেন, পেট্রোপণ্যের এমন মূল্য বৃদ্ধির কারণে তিনি বাবা ঠাকুরদার আমলে সেচের কাজে ব্যবহৃত ডোঙা দিয়েই তাই জমিতে সেচের কাজ সারলেন ।একই সঙ্গে তিনি জেলার কৃষিজীবী মহলকে এই বার্তাও দিলেন, কেন্দ্রে মোদি সরকারের দৌলতে পেট্রোল, ডিজেলের দাম এখন যে জায়গায় পৌঁছেছে তাতে সবাইকেই এবার সেই ডোঙা নিয়েই চাষের কাজে ফিরতে হবে । ডোঙা নিয়ে জমিতে জল সেচ করাটা একপ্রকার তাঁর পেট্রৌপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ বলেও এদিন বিধায়ক নিশীথ মালিক মন্তব্য করেন। তৃণমূল বিধায়কের এমন প্রতিবাদকে নাটক বলে বলে কটাক্ষ করেছেন জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি প্রবাল রায়। তিনি দাবি করেন, দেশের কৃষকদের স্বার্থের কথা কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন সরকার ভাবে বলেই কৃষকদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠাচ্ছেন। কৃষকদের প্রতি দরদ থাকলে নাটক, প্রতিবাদ ছেড়ে এই রাজ্যের সরকার নিজেদের অংশের কর কমাচ্ছেন না কেন? পাল্টা সেই প্রশ্ন রেখেছেন জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি।

জুলাই ১২, ২০২১
রাজনীতি

Minister WB: বিজেপিকে রুখতে ঝাঁড়ফুক বা পানিপোড়া, নাহলে ৭০-৮০ ডিগ্রির দাওয়াই, হুঙ্কার রাজ্যের মন্ত্রীর

প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়পেট্রোপণের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ কর্মসূচীতে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ভারতের কু-পুত্র বলে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। রবিবার নিজের বিধানসভা এলাকা পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরের কুসুমগ্রাম ও সাতগেছিয়া বাজার এলাকায় হওয়া দলের প্রতিবাদ কর্মসূচীতে যোগ দেন সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। সেই কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখতে উঠে নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপিকে কার্যত তুলোধনা করেন গ্রন্থাগার মন্ত্রী। মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। সারা রাজ্যের পাশাপাশি এদিন পেট্রোপণ্যের লাগামছাড়া মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মন্তেশ্বরের সাতগেছিয়া ও কুসুমগ্রামে প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করা হয় । সেই কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী এদিন আরও বলেন, সেই সব গ্রাম আমি চিনি যেখানে বিজেপির কর্মীরা অনেক মুসলমান বাড়ির সামনে কাঁফন রেখেছিল। যারা রেখেছিল তারাও মুসলমান। তাদেরও টুপি আছে, দাড়িও আছে।নামাজ তারাও পড়ে। তবে তারা কুড়ি হাজার টাকায় বিক্রি হয়ে গিয়েছে। সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী ওইসব বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশ্য করে এরপরেই হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আমরা প্রথমে ওদের ঝাড়ফুঁক তেল ও পানি পোড়া দেব । তাতে যদি ঠিক হয়ে যায় তো ঠিক আছে। না হলে ৭০ ডিগ্রি বা ৮০ ডিগ্রির বিষয়টি পরে ভেবে দেখা হবে।পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ কর্মসূচীতে যোগ দিয়ে এইসব বিস্ফোরক মন্তব্য করার পাশাপাশি দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ভারতের কু-পুত্র বলেও কটাক্ষ করেন রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী।বিজেপির কাটোয়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষ রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর এমন বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সংবিধানের শপথ নেওয়া রাজ্যের একজন মন্ত্রী যে ভাষায় দেশের প্রধানমন্ত্রীকে আপমান করছেন তা কার্যত নজিরবিহীন। একই সঙ্গে কৃষ্ণ ঘোষ বলেন, মন্ত্রীর বক্তব্য থেকেই পরিস্কার হয়ে যাচ্ছে এই রাজ্যে বিরোধীদের নিকেশ করতে চায় শাসক দল।তারই ইঙ্গিত স্বরুপ মন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে ঝাড়ফুঁক, তেলপোড়া, পাণি পোড়া, ৭০ডিগ্রি, ৮০ডিগ্রির প্রসঙ্গ তুলেছেন। তবে এই সব হুঁশিয়ারী দিয়ে লাভ কিছু হবে না। কারণ দেশের আইনি শাসন ব্যবস্থা অনুযায়ী বিরোধীদেরও রাজনীতি করার ও মত প্রকাশের আধিকার রয়েছে।

জুলাই ১০, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 24
  • 25
  • 26
  • 27
  • 28
  • 29
  • 30
  • 31
  • 32
  • 33
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

চন্দননগরে একই পরিবারের ৩ সদস্যের রহস্যমৃত্যু, তদন্তে নেমেছে পুলিশ

চন্দননগর, ৩০ মে: হুগলির চন্দননগরে বৃহস্পতিবার সকালে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনার সাক্ষী থাকলো স্থানীয় বাসিন্দারা। একই পরিবারের তিন সদস্যের রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে ছড়িয়েছে ব্যাপক উত্তেজনা। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন পরিবারের কর্তা, তাঁর স্ত্রী এবং তাঁদের কিশোর পুত্র। সূত্রের খবর, এদিন সকালে চন্দননগরের শ্রীপল্লি এলাকার একটি বাড়ি থেকে তিনজনের নিথর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয়রা জানান, সকালবেলা দরজা না খোলায় সন্দেহ জাগে প্রতিবেশীদের। তারা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার করে।সূত্রের খবর, বুধবার ভোর ২টার দিকে চন্দননগর থানা কোলুপুকুর গড়েরধর এলাকায় তিন পরিবারের সদস্যের অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তারা প্রতিমা ঘোষ (৪৬) এবং তার মেয়ে পৌষালী ঘোষ (১৩) এর মৃতদেহ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন, মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রতিমার স্বামী বাবলু ঘোষ (৬২) কে দড়ি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। তদন্তের সময় পুলিশ জানতে পারে যে বাবলু একটি টিনের বাক্স তৈরির কারখানায় কাজ করত। তবে, কিছু সময়ের জন্য, সে টোটো (তিন চাকার গাড়ি) চালানো শুরু করে এবং অবশেষে তার বাড়িতেই একটি ছোট দোকান শুরু করে।প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এটি হয় আত্মহত্যা, নয়তো পরিকল্পিত খুন। তবে ঘটনার প্রকৃত কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। বাড়ির ভিতরে কোনোরকম লুটপাটের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। প্রতিবেশীদের অনেকেই জানিয়েছেন, পরিবারটি সদ্য আর্থিক সমস্যায় পড়েছিল এবং কিছুদিন ধরে মানসিক চাপের মধ্যে ছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দেহগুলি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে এবং ঘটনার ফরেনসিক তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ পরিবারের আত্মীয়-পরিজন ও প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।চন্দননগর কমিশনারেটের এক উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক জানান, আমরা সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছিআত্মহত্যা, পারিবারিক কলহ, অথবা বাইরের কোনো দুষ্কৃতীর হাত। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

মে ৩০, ২০২৫
রাজ্য

আইসিকে কদর্য ভাষা অনুব্রতর, FIR, শেষমেশ ক্ষমা প্রার্থনা

তৃণমূল নেতা অনুব্রত মন্ডলের একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হতেই রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় পড়ে যায়। সেই অডিওর শোনা যাচ্ছে, বীরভূম জেলা তৃণমূল কোর কমিটির অন্যতম সদস্য অনুব্রত মণ্ডল বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছেন। দুদিন আগে এই অডিও ক্লিপটি যে কোনও কারণেই ভাইরাল হয়ে যায়। তারপরেই জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ সিং, অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার বোলপুর রানা মুখোপাধ্যায় বৈঠক ডেকে আইসি লিটন হালদারকেও ডেকে পাঠান। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বোলপুর এসডিপিও রিকি আগরওয়াল সহ চার পুলিশ কর্তা। উল্লেখ্য, গতকালই অর্থাৎ বৃহস্পতিবার নাগরিক কমিটির ডাকে বোলপুর থানায় এক বিক্ষোভ কর্মসূচি নেওয়া হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামীরা। অভিযোগ, আইসি লিটন হালদার বিভিন্ন জনের কাছ থেকে তোলাবাজি অর্থ দাবি করেন। অনুব্রত মণ্ডলকেও, এ ব্যাপারে সোচ্চার হতে দেখা যায়। যদিও এ ব্যাপারে পুলিশের তরফে কোন বক্তব্য জনসমক্ষে আসেনি। অনুব্রতর কদর্য বক্তব্য সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পরই তীব্র নিন্দা হয় বিভিন্ন মহল থেকে। এমনকি বিজেপির রাজ্য শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্ব শাসকদলকে আক্রমণ করার হাতিয়ার পেয়ে যায়। একইসঙ্গে তৃণমূল দল থেকে নিজস্ব হ্যান্ডেলে অনুব্রত মণ্ডলের ঘটনার নিন্দা করা হয়। বলা হয় যে, অনুব্রত মণ্ডল একজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন তার সঙ্গে আমাদের দল সম্পূর্ণ দ্বিমত প্রকাশ করছে। এবং এই মন্তব্যকে ও সমর্থন করছে না। পাশাপাশি, দল তাকে নির্দেশ দেয় যে আগামী চার ঘণ্টার মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা না চাইলে তার বিরুদ্ধে দল শোকজ নোটিশ জারি করবে। ইতিমধ্যে, পুলিশের তরফে একটি মুখবন্ধ খামে চিঠি এসে পৌঁছায় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে। অন্যদিকে, বোলপুর থানায় বিএনএস এর ৭৫, ১৩২, ২২৪ ও ৩৫১ ধারায় অনুব্রতর বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়। পাশাপাশি, অডিও ক্লিপটি কিভাবে ভাইরাল হল তা নিয়ে তদন্ত করা হবে বলে জানান, বীরভূমের পুলিশ সুপার আমানদীপ সিং। অবমাননাকর মন্তব্যের তদন্ত শুক্রবার বোলপুর দলীয় কার্যালয়ে অনুব্রত মণ্ডল একটি ভিডিও বার্তায় সকলের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করে বলেন, যে নানুরের শিঙ্গিতে তার এক দলীয় কর্মীর পা ভেঙে গুড়ো করে দেওয়া হয় সে ব্যাপারে তিনি আইসিকে দেখার অনুরোধ করেন। অনুব্রত বলেন, যে নুরুল নামে সেই দলীয় কর্মী গুরুতর অবস্থায় আহত হন। তারপর সেখান থেকে তাকে ফোন করা হয়। রাত্রি দশটায় ঘুমের ওষুধ খেয়ে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। ফোনে ঘুম ভেঙে যাওয়ার পর, তিনি আইসিকে বলেন যে, ওই আহত ব্যক্তিকে বাঁচানোর জন্য আপাতত হাসপাতালে ভর্তি করুন। একইভাবে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ ও আইসিকে অনুরোধ করেন। কিন্তু আইসি তাকে একটি খারাপ কথা বলেন। যেটা তিনি আর বলতে চাইছেন না। তার পক্ষে (অনুব্রতর) এ ধরনের ভাষা ব্যবহার করা উচিত হয়নি। তিনি ক্ষমা চাইছেন।

মে ৩০, ২০২৫
রাজ্য

বিধানসভা ভোটের দামামা বাজিয়ে দিলেন মোদী, শিক্ষা থেকে হিংসা উঠে এল ভাষণে

২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বাজিয়ে দিয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আলিপুরদুয়ারের জনসভায় কড়া ভাষায় আক্রমণ শানালেন তৃণমূল কংগ্রেসকে। এই সরকারকে উৎখাতের ডাক দিয়েছেন মোদী। পাশাপাশি তাঁর ভাষণে উঠে এসেছে মুর্শিদাবাদ, মালদার হিংসার কথা, রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা বরবাদ বলেও উল্লেখ করেছেন মোদী।বৃহস্পতিবার নরেন্দ্র মোদী বলেন, মুর্শিদাবাদ, মালদায় যা হল তা এখানকার সরকারের নির্মমতা। দাঙ্গায় গরিব মা-বোনেদের জীবনভরের পুঁজি লুঠ হয়ে গেল। তুষ্টিকরণের রাজনীতি চলছে, গুন্ডাদের খোলামেলা ছুট দিয়ে রেখেছে সরকার। সরকারে থাকা লোকজন, পার্টির লোকজন মানুষের ঘর চিহ্নিত করে জ্বালাচ্ছে, পুলিশ দাঁড়িয়ে তামাশা দেখছে। এখানে কী পরিস্থিতি চলছে সেটা কল্পনাও করতে পারছি না। সরকার এভাবে চালাতে হয়? গরিব মানুষের উপর অত্যাচার হলেও সরকারের ভ্রুক্ষেপ নেই। সব কিছুতেই এখানে আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। বাংলার মানুষেরও আর তৃণমূলের সরকারের উপর ভরসা নেই। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ একাধিক সংকটে জেরবার বলেও দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। একের পর এক ইস্যু তুলে ধরতে থাকেন নরেন্দ্র মোদী। এই ইস্যুতেও তৃণমূল পরিচালিত সরকারকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন মোদী। তাঁর কথায়, সংকটে জেরবার বাংলা। প্রথম সংকট, একদিকে হিংসা-অরাজকতা চলছে। দ্বিতীয়, মা-বোনেদের ওপর অত্যাচার চলছে। তৃতীয়ত, যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘোরতর নিরাশা তৈরি হয়েছে, কর্মহীনতার যন্ত্রণায় ভুগছে যুবরা। চতুর্থত, বেপরোয়া দুর্নীতি চলছে। পঞ্চম সংকট হল, এই রাজ্যের গরিবের অধিকার ছিনিয়ে নিচ্ছে শাসকদলের রাজনীতি।এরই পাশাপাশি অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিরা যা করেছে, সারা ভারতের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের লোকেদেরও তুমুল আক্রোশ ছিল। আপনাদের সেই আক্রোশ আমি ভালোই বুঝেছি। জঙ্গিরা আমাদের মা-বোনেদের সিঁদুর মোছানোর দুঃসাহস দেখিয়েছিল। আমাদের বীর সেনারা ওদের সিঁদুরের শক্তি কী সেটা বুঝিয়ে দিয়েছে। আমরা জঙ্গি ঘাটি ধ্বংস করেছি। পাকিস্তান এটা কল্পনাও করতে পারিনি। জঙ্গিদের ঠিকানা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এমন শিক্ষা পাবে পাকিস্তান কল্পনাও করেনি। সন্ত্রাসের লালন পালন করে পাকিস্তান। ১৯৪৭-এর পর থেকেই ভারতে সন্ত্রাস পাকিস্তানের। বাংলাদেশে পাকিস্তানের অত্যাচার ভোলবার নয়। তিনবার পাকিস্তানকে ঘরে ঢুকে মেরেছে ভারত।SSC-এর নিয়োগ দুর্নীতির জেরে এই রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয়েছে। শাসকদল তৃণমূলের তাবড় নেতা-মন্ত্রী পাহাড়-প্রমাণ এই দুর্নীতিতে আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারের সভামঞ্চ থেকে রাজ্যের এই নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। শিক্ষাক্ষেত্রে এমন দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যের শাসকদলকে বেনজির নিশানা করেছেন নমো।প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেছেন, তৃণমূলের নেতারা এত বড় পাপ করেও নিজেদের ভুল মানতে নারাজ। হাজার-হাজার পরিবারকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলা হয়েছে। গরিব পরিবারের ছেলে-মেয়েদের অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের পুরো শিক্ষা ব্যবস্থা বরবাদ। শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেও তৃণমূলের নেতারা মানতে নারাজ। বাংলায় হাজার-হাজার শিক্ষকের কেরিয়ার বরবাদ। এখানকার যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘোরতর নিরাশা তৈরি হয়েছে। কর্মহীনতার যন্ত্রণায় ভুগছে যুবরা। বেপরোয়া দুর্নীতি নিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে লাগাতার মানুষের বিশ্বাস কমছে।

মে ৩০, ২০২৫
রাজ্য

মেয়ের প্রথম জন্মদিনে রক্তদান শিবির! সাধুবাদ মালদা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের

মেয়ের প্রথম বছরের জন্মদিনের মাধ্যমে মালদা মেডিকেল কলেজের ব্লাড ব্যাংকের রক্ত সংকট মেটানোর বার্তা নিয়ে এগিয়ে এলেন দাস পরিবার। বুধবার সকাল থেকেই বাড়ির একমাত্র মেয়ের প্রথম বছরের এই জন্মদিনকে ঘিরেই ধুমধাম ভাবে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে ইংরেজবাজার পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের পুরাটুলি এলাকার দাস পরিবার। বাড়ির সামনেই জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের ভ্রাম্যমান রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয় দাস পরিবারের পক্ষ থেকে। আর এই রক্তদান শিবিরের প্রথম রক্তদাতা হিসাবে ছোট্ট এক বছরের আদিক্সা দাসের বাবা দেবাশীষ দাস স্বেচ্ছায় রক্তদান দিয়ে কর্মসূচি সূচনা করেন। এদিন এই জন্মদিন উপলক্ষে বিকেল পর্যন্ত দেবাশীষবাবুর আত্মীয় পরিজন, বন্ধু বান্ধব মিলিয়ে প্রায় ৫০ জন স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন। দেবাশীষবাবুর এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে মালদা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ , স্বাস্থ্য দপ্তর এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।মালদা মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল ডাঃ পার্থপতিম মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এটি খুব ভালো উদ্যোগ। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, বিভিন্ন সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন , নানান রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলি মাঝে মধ্যেই স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করছেন। এদিন ইংরেজবাজার পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের পুরাটুলি এলাকায় এক বছরের ছোট্ট আদিক্সা দাসের জন্মদিন উপলক্ষেই এই রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছিলেন তাঁর বাবা দেবাশীষ দাস। সঙ্গ দিয়েছিলেন দেবাশিষবাবুর স্ত্রী কোয়েল সাহা দাস। এদিন জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর এবং মালদা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা নিয়ে ভ্রাম্যমান ব্লাড ডোনেশন ক্যাম্পের একটি বড় গাড়ি ছোট্ট মেয়ে আদিক্সা দাসের বাড়ির সামনে গিয়ে হাজির হয়। সেই ভ্রাম্যমান গাড়িতেই স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় ব্যবসায়ী দেবাশিষবাবুর পুরাটুলি এলাকায় নিজস্ব বাড়ি রয়েছে। পরিবারের একমাত্র মেয়ে আদিক্সার জন্মদিনে এমন পরিকল্পনা অনেক আগে থেকে নিয়েছিলেন দেবাশিষবাবু এবং তার স্ত্রী কোয়েল সাহা দাস । আর সেটা কার্যত বাস্তবে করে দেখালেন। ব্যবসায়ী দেবাশিষ দাস বলেন, মেডিকেল কলেজে চিকিৎসারত রোগীর আত্মীয়েরা এক ইউনিট রক্তের জন্য কিভাবে ব্লাড ব্যাংকে ছোটাছুটি করছে। মাঝেমধ্যেই দেখি মেডিকেল কলেজের রক্তের সংকট রোগীদের হয়রানির মুখে পড়তে হচ্ছে। আমিও একসময় হয়রানির শিকার হয়েছিলাম। তাই এদিন মেয়ের জন্মদিনে এমন ভাবেই স্বেচ্ছায় রক্তদানের শিবির করেছি। আমার আত্মীয় পরিজন বন্ধু-বান্ধবরা অনেকেই এগিয়ে এসে স্বেচ্ছায় রক্তদান করেছেন। ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছবি দাস জানিয়েছেন, এটা খুব ভালো উদ্যোগ । আমার এলাকার দাস পরিবার তাদের বাড়ির একমাত্র মেয়ের প্রথম জন্মদিনে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছেন । তাদের এই কর্মসূচিকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। এভাবেই সকলকে এগিয়ে আসা উচিত।

মে ২৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

বিশ্বের তারকা ফুটবলার ইয়ামালকে মনে আছে? বিশ্বের অন্যতম বড় ক্লাবে ১০ নম্বর জার্সির মালিক ১৭ বছরেই

মনে আছে লামিল ইয়ামালের কথা? গত বিশ্বকাপ ফুটবলে স্পেনের নাবালক তারকা ফুটবলার। জার্মানীর মাঠ কাঁপিয়ে দিয়েছিল এই ইয়ামাল। আগামী ২০৩১ পর্যন্ত ইয়ামাল লা লিগাতে বার্সেলোনার হয়েই খেলবেন। এই বয়সে মাল্টি মিলিয়নের চুক্তি হয়েছে বার্সেলোনার সঙ্গে ইমামালের। লা লিগাতে এই মরসুমে নিজে শুধু ১৮টি গোল করেননি, গোল করতে সহায়তা করেছেন আরও ১৩টি ক্ষেত্রে। বিপক্ষের ডিফেন্সে রীতিমতো ত্রাস সৃষ্টি করেন এই স্পেনের এই ফুটবলার। খ্যাতি পয়েছেন গত জার্মানী বিশ্বকাপে। স্পেনের দলে প্রয়োজনীয় ফুটবলার ছিলেন তিনি। জার্মানী শ্রম আইন অনুযায়ী ফাইন দিয়েও তাকে দলে রেখেছিল স্পেন। তার ফায়দাও পেয়েছিল তারা। এবার বার্সেলোনার সঙ্গে তার চুক্তি হয়েছে প্রতি মরসুমে তিনি পাবেন বেসিক হিসাবে ১৫ মিলিয়ন ইউরো, যা বোনাস নিয়ে ২০ মিলিয়নে দাঁড়াতে পারে। বার্সেলোনার হয়ে তিনি ইতিমধ্যে মোট ১০৬টি গোল করেছেন। মাত্র ১৭ বছরবয়েস ইয়ামাল যে অর্থ পাচ্ছেন তা যে কারও কাছে বড় স্বপ্ন। তা আগে কেউ পায়নি। তাছাড়া এই মরসুমে ইয়ামাল দলের ১০ নম্বর জার্সি পরবেন।

মে ২৯, ২০২৫
রাজ্য

মেমারিতে বাবা-মাকে খুন করে বনগাঁয় গিয়ে তান্ডব, গ্রেফতার গুণধর ছেলে, ধুন্ধুমার কাণ্ড

শুরু মেমারিতে, যার শেষ হল বনগাঁতে। গুনধর ইঞ্জিনিয়ার ছেলে বাবা-মাকে নৃশংস ভাবে খুন করে পালিয়েছিল বনগাঁয়। সেখানে গিয়ে এলোপাথারি ছুরি চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে জখম করেছে। তাকে জোর করে বের করার জন্য থানা আক্রমণ করেছে স্থানীয় ক্ষুব্ধ জনতা। পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। ধুন্ধুমার কাণ্ড। বুধবার সকালে গলার নলি কাটা অবস্থায় বাড়ির সামনের রাস্তা থেকে উদ্ধার হয় বৃদ্ধ মা ও বাবার রক্তাত মৃতদেহ। মোস্তাফিজুর রহমান (৬৫) ও মমতাজ পারভীন (৫৫)। ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমানের মেমারি পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাশিয়ারা মুক্তারবাগান এলাকায়। জোড়া খুনের খবর পেয়ে জেলার পুলিশ সুপার সায়ক দাস দলবল নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। তবে মৃত দম্পতির ছেলে বাড়িতে না থাকায় পুলিশের সন্দেহ বাড়তে থাকে। তবে এটা যে খুনের ঘটনা তা নিয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত ছিল পুলিশ। খুনের পর বৃদ্ধ দম্পতিকে ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে বাইরে বের করে আনা হয়েছিল। সেই কারণে গোটা নানা জায়গায় রক্তের দাগ দেখা গিয়েছে। রাতে দিকে এই ঘটনার আঁচ গিয়ে পড়ে সীমান্ত এলাকায় উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয়। জানা গিয়েছে, ওই দম্পতির ছেলে হুমায়ূন কবির বাইরে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতো। হুমায়ুনের মানসিক সমস্যা আছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। তাছাড়া বাড়ির সিসিটিভির হার্ড ডিস্ক উধাও বলে জানা গিয়েছে। বৃদ্ধ দম্পতির দেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা নমুনা সংগ্রহ করেছেন। এদিকে বুধবার সন্ধ্যায় অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি বনগাঁ খান শরীফে ঢুকে বেশ কয়েকজনের ওপরে ছুরি নিয়ে আক্রমণ করে। এই ঘটনায় কয়েকজন আহত অবস্থায় বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওই অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। বনগাঁ খান শরীফের সামনে কিছুক্ষণ অবস্থান করে সংখ্যালঘুরা। জানা গিয়েছে, একদল বনগাঁ থানায় এসে আসামিকে ছাড়ানোর জন্য চেষ্টা করে এবং বনগাঁ থানায় ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং কয়েকজনকে আটক করেছে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছান বনগাঁর এসপি দীনেশ কুমার। পরে পুলিশ জানতে পারে ওই যুবক মেমারিতে বাবা-মাকে খুন করে বনগাঁয় এসে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।বনগাঁ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার সাংবাদিকদের জানান, আক্রমণকারী যুবকের নাম হুমায়ন কবির। বয়স ৩৫ বছর, বাড়ি বর্ধমানের মেমারি। আজ সকালে এই ব্যক্তি তার বাবা-মাকে খুন করে এখানে এসেছে। তারা ছুরির আঘাতে চার জন আহত হয়েছে। এদিকে থানা ভাঙচুরের ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আঘাত পেয়েছেন একজন কনস্টেবল ও একজন এএসআই। এদিকে রাতেই মেমারি থানার পুলিশ পৌঁছে গিয়েছে বনগাঁ থানায়।

মে ২৯, ২০২৫
রাজ্য

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জের, যুবকের মাথা ফাটিয়ে, হাত কেটে দিল গৃহবধূ

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাওয়ায় যুবকের উপরে আক্রমণ ও তার বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ প্রতিবেশী গৃহবধূর বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বনগাঁয়। প্রতিবেশী গৃহবধূর সঙ্গে যুবকের চার বছরের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক। সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাওয়ায় যুবকের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া, ব্লেড দিয়ে হাত কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক গৃহবধূর বিরুদ্ধে। শুধু যুবকের উপর হামলা করেই থামেনি প্রতিবেশী ওই গৃহবধূ। যুবকের পরিবারের অভিযোগ, ওই গৃহবধূ তাদের বাড়ির খাবারে বিষ মিশিয়ে দিয়েছে এবং বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগণার বনগাঁ থানার সভাইপুর এলাকায়। সোমবার বনগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করে যুবক। যুবকের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত গৃহবধূকে গ্রেফতার করেছে বনগাঁ থানার পুলিশ। অভিযুক্ত গৃহবধূকে মঙ্গলবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করে পুলিশ।

মে ২৮, ২০২৫
রাজ্য

গভীর রাতে বোমাবাজি ও গুলি হরিহরপাড়ায়, জখম এক, গ্রেফতার ৪

সোমবার গভীর রাতে মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থানার অন্তর্গত নাজিরপুর পূর্বপাড়া এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। অভিযোগ, ওই রাতে একদল দুষ্কৃতী এলাকায় বোমাবাজি চালানোর পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দা নাজিমউদ্দিন শেখ ওরফে কালুকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।গুলিতে তাঁর পায়ে গুরুতর আঘাত লাগে। স্থানীয়রা তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে হরিহরপাড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ ও পরে কলকাতার একটি হাসপাতালে রেফার করা হয়।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জমি দখলকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছিল। সেই বিবাদের জেরেই এই হামলা বলে প্রাথমিক অনুমান। উল্লেখযোগ্য যে, দুই পক্ষই শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত বলে এলাকাবাসীর দাবি।এই ঘটনায় হরিহরপাড়া থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই চারজনকে গ্রেফতার করেছে। এলাকায় উত্তেজনা থাকলেও বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তদন্ত চলছে।হরিহরপাড়া থানার নাজিরপুর পূর্বপাড়া এলাকায় বোমাবাজি ও গুলি চালানোর ঘটনায় আগ্নেয়াস্ত্র গুলি উদ্ধারসহ চার জনকে গ্রেফতার করে বহরমপুর জেলা জজ আদালতে পাঠানো হলো। ধৃতদের তিনজনের বাড়ি নাজিরপুর পূর্বপাড়া এলাকায় একজনের বাড়ি চোয়া এলাকায়

মে ২৮, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal