Vijoy Hazare Trophy: পুদুচেরীর বিরুদ্ধে সহজ ম্যাচে বাংলার পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়াল বৃষ্টি
বিজয় হাজারে ট্রফির প্রথম ম্যাচেই শক্তিশালী বরোদার বিরুদ্ধে দুর্দান্ত জয়। বাংলা শিবিরের আশা ছিল দ্বিতীয় ম্যাচে পুদুচেরীকে হারিয়ে লিগ টেবিলে এগিয়ে যাওয়া। স্বপ্নপূরণ হল না সুদীপ চ্যাটার্জির। বাংলার পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়াল বৃষ্টি। বড় রান তুলেও জয় অধরা থেকে গেল। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে বাংলার পরাজয় ৮ রানে। বরোদার বিরুদ্ধে বাংলার ম্যাচ ছিল গ্রীনফিল্ড স্টেডিয়ামে। এদিন পুদুচেরী ম্যাচ ছিল মঙ্গলাপূরমে। উইকেট একেবারে অজানা। কেমন আচরণ করবে সে সম্পর্কে কোনও ধারণা ছিল না বাংলা শিবিরের কাছে। তাই টস জিতে ঝুঁকি নেননি বাংলার অধিনায়ক সুদীপ চ্যাটার্জি। প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন। প্রথম ম্যাচে রান পাওয়া অভিষেক দাস এদিন ব্যর্থ। মাত্র ৮ রান করে তিনি আউট হন। কাইফ আমেদও (০) এদিন রান পাননি। শ্রীবৎস গোস্বামী (৪৫) অবশ্য প্রথম ম্যাচের ব্যর্থতা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ালেন। একের পর এক উইকেট পড়লেও তিনি একপ্রান্ত ধরে রেখেছিলেন। সুদীপ চ্যাটার্জি (২৭), ঋত্ত্বিক রায় চৌধুরিরা (৩২) দ্রুত ফিরে যান। একসময় ১১৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল বাংলা। সেখান থেকে শাহবাজ আমেদের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে টেনে নিয়ে যান সুমন্ত গুপ্ত (২২)। শেষদিকে ঝড় তোলেন শাহবাজ। ৮টি চার এবং ৪টি ছয়ের সাহায্যে তিনি ৬০ বলে ৮৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। তাঁর দাপটে ৫০ ওভারে ২৬৪/৮ রানে পৌঁছে যায় বাংলা। বড় ইনিংস গড়লেও ভাগ্য এদিন বাংলার সহায় ছিল না। তৃতীয় ওভারেই পুদুচেরীর প্রথম উইকেট তুলে নেন মুকেশ কুমার। ফেরান অধিনায়ক দামোদরন রোহিতকে (০)। একাদশতম ওভারে অপর ওপেনার রামচন্দ্রন রঘুপতিকে (১৫) তুলে নেন শাহবাজ আআমেদ। এরপর দলকে টেনে নিয়ে যান পবন দেশপান্ডে (অপরাজিত ৬২) ও পরশ ডোগরা (অপরাজিত ৪১)। ৩০ ওভার খেলা হওয়ার পর বৃষ্টি নামে। তখন পুদুচেরীর রান ছিল ২ উইকেটে ১৩২। পরে বৃষ্টি থামলেও মাঠ ভেজা থাকায় আর খেলা শুরু করা যায়নি। সেই সময় ডাকওয়ার্থ ও লুইস নিয়মে পুদুচেরীর সামনে জয়ের জন্য লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩০ ওভারে ১২৫। ৮ রানে ম্যাচ জিতে যায় পুদুচেরী।