• ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, সোমবার ০২ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

POK

কলকাতা

বাংলার ছেলেমেয়েদের বঞ্চিত করে ডোমিসাইল বি-র মাধ্যমে মেডিক্যালে ভর্তির প্রতিবাদে বাংলা পক্ষ-র ডেপুটেশন

বাংলার ছেলেমেয়েদের বঞ্চিত করে অন্য রাজ্যের ছেলেমেয়ের ডোমিসাইল বি-র মাধ্যমে রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজ গুলোয় রাজ্যের কোটায় ভর্তি করা যাবে না। এই দাবিতে আজ দুপুর ১ টায় স্বাস্থ্যভবনে গিয়ে ডেপুটেশন জমা দেয় বাংলা পক্ষ।বাংলা ভাষা ও বাঙ্গালির আস্তিত্ব রক্ষায় বাংলা পক্ষ নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের বহু প্রতিবাদের ফসল-ও ফলতে শুরু করেছে। আজ তাঁরা পশ্চিমবঙ্গের ডাক্তারি পড়ার আসনে পশ্চিমবঙ্গ কোটায় অন্য রাজ্যের ছাত্র ছাত্রীদের ভর্তি আটকাতে ডোমিসাইল বি বাতিলের দাবিতে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন।কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক গর্গ চট্টোপাধ্যায়, শীর্ষ পরিষদ সদস্য কৌশিক মাইতি, ডঃ অরিন্দম বিশ্বাস, উত্তর চব্বিশ পরগনা শহরাঞ্চল সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক পিন্টু রায়, দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার সম্পাদক প্রবাল চক্রবর্তী, উত্তর চব্বিশ পরগনা গ্রামীনের সম্পাদক দেবাশীষ মজুমদার, হাওড়ার সম্পাদক জয়দীপ দে, উত্তর চব্বিশ শিল্পাঞ্চলের সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ সামাজিক মাধ্যম সমন্বায়ক সায়ন মিত্র প্রমুখ।পাঁচ জনের প্রতিনিধি দল (গর্গ চট্টোপাধ্যায়, কৌশিক মাইতি, তড়িৎ দত্ত, পিন্টু রায়, প্রীতি মিত্র) স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা ডঃ দেবাশীষ ভট্টাচার্য এবং স্বাস্থ্য সচিব মাননীয় নারায়ণ স্বরূপ নিগমের সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং স্মারকলিপি জমা দেন।

ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২২
রাজ্য

সাধারণতন্ত্রদিবস উপলক্ষে বিএসএফ এর ভিডিও বিভ্রান্তি

সাধারণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বিএসএফ (BSF) এর ভিডিও বার্তা নিয়ে তোলপাড় বাংলা। বিএসএফ-র সাধারণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে অফিসিয়াল ভিডিওতে নর্থ বেঙ্গল (North Bengal) বলে একটি রাজ্যের নাম উল্লেখ করা হয়েছিল। সম্প্রতি সমগ্র পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে বাংলা ভাষা রক্ষা-র দাবিতে জোরালো আন্দোলন চলছে। সেই আন্দোলনের মুখ্য সংগঠন বাংলাপক্ষ বিএসএফ-র ভিডিও নিয়ে জোরালো প্রশ্ন তোলে, তাহলে বিএসএফ কি বাংলা ভাগ করতে চায়? তাঁরা বলেন, সে ভিডিওতে নানা ভাষা ব্যবহৃত হলেও কেউ বাংলা ভাষায় কথা বলেনি। অথচ বাংলার বর্ডার বিএসএফের সবচেয়ে বড় এলাকা। সেই কারণে বাংলা পক্ষ-র তরফ থেকে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমিত শাহকে চিঠি দিয়েছে বলে কৌশিক মাইতি জনতার কথাকে জানান। এবং তাঁরা এবিষয়ে সামাজিক মাধ্যম টুইটার-এ প্রচার-ও চালাচ্ছেন হ্যাসট্যাগ- #AntiBengalBSFvideoতাদের সমবেত প্রতিবাদের ঝড়ে পিছু হঠতে বাধ্য হল বিএসএফ, চাপে পড়ে বিএসএফ কতৃপক্খ পুনরায় বাংলা সহ নতুন তিনটে ভাষায় সাধারণতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছা জানালো। এবং শুধুমাত্র বাংলা ভাষার জন্য আলাদা আরও একটা ভিডিও বের করেছে। এটা তাঁদের নৈতিক জয় বলে মনে করছে বাংলা পক্ষ। বাংলা পক্ষের তরফে কৌশিক মাইতি আরও জানান সেই ভিডিও-তে রাজ্যের নাম নর্থ বেঙ্গল (North Bengal) মুছে দিয়ে, রাজ্যের নাম পশ্চিমবঙ্গ-ই (West Bengal) লিখেছে বিএসএফ। তিনি বলেন বিএসএফ চরম প্রতিবাদের সন্মুখে পিছু হঠে ভুল স্বীকার করে নিয়েছে, কারণ বাঙালি জেগে গিয়েছে। বাংলা পক্ষ দাবী তোলে, বিএসএফ কেন বারবার বাংলা ও বাঙালি ইস্যুতে বিতর্কে জড়াচ্ছে? এই ভিডিও বানানোর দায়িত্বে কে ছিল? তাঁকে চিহ্নিত করে তদন্ত শুরু করা হোক। শুধু মাত্র বহুল শুধরে নিলেই শেষ হ্যনা। এর পিছনে কোনও চক্রান্ত আছে কিনা তা খূজে বার করা হোক। বাংলা ভাগের গুরুতর বিষয়কে ইন্ধন দেওয়া বাঙালি কখনই ভালো ভাবে নেবে না। ভবিষ্যতে এমন হলে সমস্ত বাঙালি রাস্তায় নেমে লড়াই করবে।

জানুয়ারি ২৮, ২০২২
রাজ্য

ভারতীয় সেনায় বাঙালি রেজিমেন্টের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি বাংলা পক্ষর

ভারতীয় সেনায় বাঙালি রেজিমেন্টের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রীকে চিঠি দিল বাংলা পক্ষ। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে যাতে এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া হয় সেই আবেদন জানিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিবকেও চিঠি দিয়েছে বাংলা পক্ষ। নেতাজি সুভাষ চন্দ্রের জন্মজয়ন্তীতে ফের এই দাবি তুলেছে বাংলা পক্ষ। দীর্ঘ দিন ধরেই এই দাবি করে আসছে বাঙালির জন্য লড়াই করা এই সংগঠন।গতকাল ট্যুইটার ক্যাম্পেনও করেছিল বাংলা পক্ষ।হ্যাসট্যাগ ছিলঃ#Bengali_Regiment_in_Indian_Armyবাংলা পক্ষর দাবি, ভারতীয় সেনায় বাঙালি রেজিমেন্ট চাই। ভারতীয় সেনাবাহিনীতে চাকরির পরীক্ষা বাংলা ভাষায় দেওয়ার সুযোগ চাই। বাংলার সরকার দিল্লির যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের কাছে এই দাবি জানাক।সংগঠনের দাবি, এই ঘোষণা হলে তবেই বীর সুভাষ চন্দ্র বসু ও অসংখ্য বাঙালি বিপ্লবীদের প্রকৃত শ্রদ্ধা জ্ঞাপন হবে। এদিন রাজ্য জুড়ে মহাসমারোহে বীর সুভাষের ১২৫ তম জন্মজয়ন্তী পালন করে বাংলা পক্ষ। নানা জেলায় ট্যাবলো বেরিয়েছে এবং শোভাযাত্রা হয়েছে।

জানুয়ারি ২৩, ২০২২
রাজ্য

দিল্লিতে সাধারণতন্ত্র দিবসে বাংলার ট্যাবলো বাতিলের প্রতিবাদে হাওড়ায় বাংলা পক্ষর বিক্ষোভ কর্মসূচি

দিল্লিতে ২৬ শে জানুয়ারী সাধারণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বাংলার তৈরি ট্যাবলো বাতিল করেছে বাঙালির শত্রু বিজেপি শাসিত কেন্দ্র সরকার। বিজেপি শাসিত দিল্লি সুভাষের শত্রু। বাংলা ও বাঙালির শত্রু বিজেপি। এর প্রতিবাদে বাংলা পক্ষ হাওড়া জেলার পক্ষ থেকে বিক্ষোভ কর্মসূচি হল হাওড়ার রামরাজাতলায় কলাবাগান এলাকায় নতুন রাস্তার মোড়ে সুভাষচন্দ্র বসুর মূর্তির পাদদেশে।থ্রেডে যাও, ভোট দাও। #AntiNetajiBJP https://t.co/WTLVWScKpd বাংলা পক্ষ Bangla Pokkho (@BanglaPokkho) January 17, 2022বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে দাবি ওঠে, বাংলাকে বঞ্চনা করা চলবে না। বাংলার ট্যাবলোকে দিল্লির কুচকাওয়াজে স্থান দিতে হবে। সুভাষচন্দ্র বসু সারা ভারতের, কিন্তু তিনি অনেকের কাছে রাজনীতির কাঁচামাল মাত্র। কিন্তু বাংলা ও বাঙালির কাছে হৃদয় সম্রাট তিনি। স্বাধীনতা আন্দোলনে বাঙালির অবদান সবথেকে বেশি ছিল। তাই বাংলার তৈরি সুভাষ চন্দ্র বসু ও আজাদ-হিন্দ-ফৌজ কেন্দ্রিক ট্যাবলোর অনুমতি দিতে হবে। না-হলে লড়াই চলবে।

জানুয়ারি ১৭, ২০২২
রাজ্য

"নেতাজি" সুভাষচন্দ্র বসু-র ট্যাবলো বাতিল করলো কেন্দ্র সরকার, প্রতিবাদে মুখর 'বাংলা পক্ষ'

একদিকে যখন বিজেপি শাসিত কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করছে এই বছর ২৩ জানুয়ারি থেকেই সাধারণতন্ত্র দিবস পালন শুরু হবে, সরকার আরও জানিয়েছে, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মবার্ষিকীকে মর্যাদা দিতেই তাঁরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়া ২০১৯ এ নেতাজির জন্মবার্ষিকীকে পরাক্রম দিবস হিসেবে পালন করার কথা ঘোষণা করেছিল মোদি সরকার, এবং এই উপলক্ষে কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমরিয়াল হলে এক মনোজ্ঞ অনুষ্টানের আয়োজন করে। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।অদ্ভুত ভাবে সেই সরকারই ২৬ শে জানুয়ারী-র সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ উপলক্ষে বীর সুভাষ ও আজাদ-হিন্দ-ফৌজ-কে কেন্দ্র করে তৈরি বাংলার ট্যাবলো বাতিল করেছে। একই সরকারের এই দ্বিমুখী আচরণে অবাক সাধারন মানুষ থেকে শুরু করে বিদ্বজন।এই আচরণের তীব্র বিরোধিতা করে বাংলা পক্ষ। বেশ কিছুদিন ধরেই বাংলা ও বাঙালি বিদ্বেষি কোনও ঘটনার প্রতিবাদে মুখর হয়ে উঠেছে এই বাংলা প্রেমী সংগঠন। তাঁরা তাদের টুইটার হ্যাণ্ডেল থেকে প্রতিবাদের ঝড় তুলেছে। জনতার কথার প্রতিনিধি কে বাংলা পক্ষ জানিয়েছে, বাঙালির শত্রু বিজেপি শাসিত দিল্লির কেন্দ্র সরকার। বিজেপি ও হিন্দি সাম্রাজ্যবাদী কেন্দ্র সরকারের সর্বদাই বাংলা ও বাঙালি বিরোধী চরিত্র দেখি আমরা।আরও পড়ুনঃ নেতাজির জীবন নিয়ে লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলেবাংলা পক্ষ-এর তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে, যখন বাঙালি বীর সন্তানরা ভারতের স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দিচ্ছে তখন আরএসএস ব্রিটিশের দালালি করতো। ইতিহাসক্রমেই বিজেপি ও আরএসএস (RSS) সুভাষ বিরোধী। এবার সাধারণতন্ত্র দিবসে সুভাষের নামাঙ্কিত বাংলার ট্যাবলো বাতিল হওয়ায় দিল্লির সুভাষ বিরোধিতা আরও প্রকট ভাবে প্রকাশিত হল। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বাঙালি বিরোধী বিজেপি ও কেন্দ্র সরকারকে ধিক্কার জানিয়ে ট্যুইটার প্রচার শুরু করেছে বাংলা পক্ষ। যদিও এবিষয়ে আরএসএসের কোনও মন্তব্য মেলেনি।বাংলা পক্ষর শীর্ষ পরিষদ সদস্য কৌশিক মাইতি জানিয়েছেন, বাঙালিদের তাঁরা আহ্বান জানাচ্ছেন #AntiNetajiBJP হ্যাসট্যাগ ব্যবহার করে ট্যুইটারে ঝড় তোলার জন্য। এছাড়াও আরও একটি হ্যাসট্যাগ #BengalNetajibannedinDelhi তাঁরা ব্যবহার করছেন এই প্রচারে। হাজার হাজার ট্যুইটের মাধ্যমে সুভাষচন্দ্রের অমর্যাদার প্রতিবাদে গর্জে ওঠার আবেদন তাঁরা রাখছেন সমগ্র ভারতীয়দের কাছে। তাঁরা জানিয়েছেন সুভাষচন্দ্র শুধু বাঙালির গর্ব নয় সমগ্র ভারতবর্ষের অলঙ্কার।কৌশিক মাইতি আরও জানিয়েছেন, তাঁরা বাংলা পক্ষ এই ট্যুইটার প্রচারে আরও কয়েকটি দাবি রেখেছে সেগুলি হলঃ১. সুভাষ চন্দ্র বসু সম্পর্কিত সমস্ত ফাইল প্রকাশ করতে হবে।২. ভারতীয় সেনায় বাঙালি রেজিমেন্ট চাই।৩. ভারতীয় সেনাবাহিনীর পরীক্ষা বাংলা ভাষায় দেওয়ার সুযোগ চাই।

জানুয়ারি ১৬, ২০২২
কলকাতা

Bangla Pokkho: বড়বাজারে বাঙালির নিরাপত্তার দাবিতে বাংলা পক্ষর টুইটার ক্যাম্পেন

বাংলার সব থেকে বড় বাজার হলো কলকাতার বড়বাজার। সেখান থেকেই সমগ্র বাংলা জুড়ে মাল সরবরাহ হয়। কিন্তু বাংলার এই বিপুল সরবরাহে বাঙালির অংশীদারত্ব নগন্য। সমগ্র বড়বাজার এখন বহিরাগতদের দখলে। বাঙালি শূন্য করার চেষ্টা চালাচ্ছে বহিরাগতরা। এমতাবস্থায় বাঙালিদের বড়বাজারে বারবার হেনস্থার শিকার হতে হয়। সম্প্রতি বাঙালি ভাই রামেশ্বর হালদারকে বড়বাজারে বেওসায়ী রূপী বহিরাগত গুন্ডারা মেরেছে বাংলায় কথা বলার অপরাধে, বাংলায় কথা বলার জন্য বাঙালি বোন ফতেমা আখতারকে হেনস্থা ও শ্লীলতাহানি করেছে বহিরাগত বেওসায়ী আনুরাগ আগরওয়াল।বড়বাজার তৈরি করেছিল শীল, বসাক-সহ বাঙালি ব্যবসায়ীরা। বহিরাগতরা বড়বাজার দখল করে বাঙালিদের মারে, বাঙালিকে অপহরণ করে, বাঙালির দোকান জ্বালায়, ভয় দেখায়, জাতি তুলে গালি দেয়। এর প্রতিবাদ করেছিল বীর বাঙালি শহিদ সব্যসাচী মণ্ডল। বহিরাগত গুন্ডা, মাফিয়াদের হাতে তাকে খুন হতে হয়।বড়বাজারে বাঙালি ব্যবসায়ীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। বড়বাজার বাংলায় অবস্থিত কিন্তু বড়বাজারে বাংলায় কথা বলা যায় না। বাঙালি বিদ্বেষের এই অবস্থার বদল চেয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বাংলা পক্ষ টুইটার ক্যাম্পেইনের ডাক দেয়। #AntiBengaliBarabazar এই হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তর এবং প্রধানকে মেনশন করা হয় টুইটে। টুইটারে অংশগ্রহণ করে বাংলা পক্ষর বহু সহযোদ্ধা- সমর্থক। টুইটারে অংশগ্রহণকারী সাধারণ বাঙালীর সংখ্যাও ছিলো চোখে পড়ার মতো। বাংলা পক্ষর নেতৃত্বে সকল বাঙালি এক হচ্ছে। আগামীদিনে বড়বাজারের মাটি হবে বাঙালির ঘাঁটি। যতদিন পর্যন্ত বাঙালির ক্ষোভ ত্রাসে পরিণত হবে বহিরাগত গুন্ডাদের ততদিন পর্যন্ত বাংলা পক্ষর লড়াই চলবে।

জানুয়ারি ১০, ২০২২
কলকাতা

Bangla Pokkho: সিনেমা হলের প্রাইম টাইমে বাংলা সিনেমা দেখানো বাধ্যতামূলক করার দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে স্বাক্ষর বিশিষ্ঠ শিল্পী-পরিচালকদের

বাংলা সিনেমা বাংলা তথা বিশ্বের গর্ব। বাংলায় একের পর এক কালজয়ী সিনেমা তৈরি হয়েছে ও হচ্ছে। বাংলার সংস্কৃতি ও ইতিহাসকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দেওয়ার একমাত্র মাধ্যম বাংলা সিনেমা। কিন্তু দুঃখের কথা হল অধিকাংশ বাঙালি পরিচালকরা জানান, বাংলা সিনেমা হল পাচ্ছে না। যে বাংলার চিত্র জগতের প্রবাদপ্রতিম সত্যজিৎ রায়, মৃণাল সেন, ঋত্বিক ঘটক, উত্তম কুমার, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, সুচিত্রা সেন এর মতো তারা-রা সারা ভারত বর্ষের আকাশকে আলোকিত করে ছিলো সেই বাংলা সিনেমাকে বাংলার সিনেমা হলে জায়গা দেওয়া হচ্ছে না! জায়গা পেলেও প্রাইম টাইমে জায়গা দেওয়া হচ্ছে না। হিন্দি সাম্রাজ্যবাদী বলিউডি সিনেমার কাছে বাংলা সিনেমার পেরে ওঠা সম্ভব নয়। তাই বাংলা সিনেমাকে বাঁচিয়ে রাখতে সরকারি নিয়ম ও সাহায্য খুবই প্রয়োজন।দক্ষিণ ভারত ও মহারাষ্ট্রের মত রাজ্যগুলোতে এ-বেপারে সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নেয়। নানা রাজ্যে প্রাইম টাইমে সেই রাজ্যের সিনেমা দেখানো বাধ্যতামূলক। বাংলাতেও একই নিয়ম কার্যকর করার দাবি করা হয়েছে। নিজের মাটিতেই কেন বঞ্চিত হবেন অভিনেতা-অভিনেত্রী- পরিচালক ও কলাকুশলীরা?বাংলার সমস্ত সিনেমা হলে প্রতিদিন প্রাইম টাইমে ৫০ শতাংশ স্লটে বাংলা সিনেমা দেখানো বাধ্যতামূলক করা হোক এমনই আবেদন করজোড়ে বাংলা পক্ষ-র তরফে জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠানো হচ্ছে।বাংলার সব সিনেমা হলে প্রাইম টাইমে বাংলা সিনেমা দেখানো বাধ্যতামূলক করতে হবে- এই দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা বাংলা পক্ষ-র চিঠিতে সই করলেন বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক অরিন্দম শীল, অরিন্দম ভট্টাচার্য, শৈবাল মিত্র, জেনি দীপায়ন, অমিতাভ ভট্টাচার্য, সৌম্য সেনগুপ্ত এবং অভিনেতা রজতাভ দত্ত, স্বনামধন্য পরিচালক গৌতম ঘোষও। প্রদীপ্ত ভট্টাচার্য, অয়ন চক্রবর্তীও সই করেছেন। বাংলা পক্ষের তরফ থেকে জানানো হয় আরও অনেক বিশিষ্ট মানুষ এই চিঠিতে সই করবেন।

ডিসেম্বর ২৯, ২০২১
রাজ্য

Bangla Pokkho: বাংলা পক্ষর আন্দোলনে বড় সাফল্য, পোস্ট অফিসে পাওয়া যাবে বাংলা ভাষায় পরিষেবা

বাংলা পক্ষ-র পশ্চিম বর্ধমান জেলার লড়াইয়ের ফলে বড়ো সাফল্য এল। এখন থেকে পোস্ট অফিসে বাংলা ভাষায় পরিষেবা পাওয়া যাবে। বাংলা পক্ষ কিছুদিন আগেই আসানসোল ও রানিগঞ্জ পোস্ট অফিসে ডেপুটেশন জমা দেয়। আজ পোস্ট বিভাগ বাংলায় পরিষেবা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে রানিগঞ্জ শাখার সম্পাদক দীপায়ন মুখার্জী, আসানসোল উত্তর শাখার সম্পাদক ঋষিক গাঙ্গুলি এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলার জেলা সম্পাদক অক্ষয় বন্দ্যোপাধ্যায়।সমস্ত ব্যাংক, পোস্ট অফিস এবং বীমা পরিষেবায় বাংলা চাই, এই দাবিতে বাংলা পক্ষ-র লড়াই চলছে বাংলা জুড়ে। বাংলা পক্ষর পশ্চিম বর্ধমান জেলার এই সাফল্য, পুরো বাংলা পক্ষ সংগঠনকে আরও উজ্জীবিত করবে লড়াইয়ের ময়দানে।

ডিসেম্বর ২৭, ২০২১
রাজ্য

Bangla Pokkho: ভূমিপুত্র সংরক্ষণ আইন পাশের দাবিতে ও বাংলা ভাগের বিরুদ্ধে বাংলা পক্ষ উত্তর ২৪ পরগনা শিল্পাঞ্চল শাখার পথসভা

বর্তমান ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিটা রাজ্যই তাদের রাজ্যের ভূমিপুত্রদের স্বার্থ সুরক্ষিত করতে সমস্ত কাজে ভূমিপুত্র সংরক্ষণের পথে হাঁটছে। কর্নাটক, গোয়া, মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানা, এমনকি গুজরাতেও ভূমিপুত্র সংরক্ষণের আইন পাশ হয়েছে বা আইন পাশের ঘোষণা হয়েছে। সমস্ত পরিসংখ্যান বলে বাংলায় কাজ আছে, বাঙালি-সহ ভূমিপুত্রদের কাজ নেই।পাশাপাশি, বিজেপি সাংসদ জন বার্লা, বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা, সৌমিত্র খাঁ, বিজেপি বিধায়ক গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা-সহ একাধিক নেতা বারবার বাংলা ভাগের পক্ষে সওয়াল করেছেন ও ক্রমাগত উস্কানি দিয়েছেন। তাই অন্যান্য রাজ্যের মতো বাংলাতেও অবিলম্বে ভূমিপুত্র সংরক্ষণ আইন পাশের দাবিতে এবং বাংলা ভাগের ঘৃণ্য চক্রান্তের বিরুদ্ধে ভারতের বাঙালির জাতীয় সংগঠন বাংলা পক্ষ যে লড়াই লড়ছে তারই অংশ হিসেবে বাংলা পক্ষ উত্তর ২৪ পরগণা শিল্পাঞ্চল শাখার উদ্যোগে ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২১( রবিবার )বেলা ২-৩০ টেয় সোদপুর স্টেশনের ১ নং প্ল্যাটফর্মের দিকে সংহতি ক্লাবের সামনে থেকে শুরু করে আগরপাড়া ঘোষপাড়া মোড় পর্যন্ত একটি মিছিল ও মিছিল শেষে এক পথসভার আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।এই সভায় বাংলা পক্ষর সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায়, বাংলা পক্ষর শীর্ষ পরিষদের অন্যতম সদস্য ডঃ অরিন্দম বিশ্বাস, কালাচাঁদ চট্টোপাধ্যায়, মনন মণ্ডল-সহ বিভিন্ন জেলা সংগঠনের সম্পাদক ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।উক্ত সভায় বাংলা পক্ষর সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন, বাংলার সব চাকরিতে বাঙালী-সহ ভূমিপুত্রদের অগ্রাধিকার আছে। কিছুদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক সভায় বাংলার কাজে ভূমিপুত্র সংরক্ষণের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। কিন্তু শুধু মুখের কথায় কাজ হবে না, বাংলা পক্ষ ভূমিপুত্র সংরক্ষণ আইন পাশ না হওয়া পর্যন্ত লড়াই থামাবে না। তিনি আরো বলেন, অন্যান্য রাজ্যের মত বাংলার সব সরকারি চাকরিতে অবিলম্বে বাংলা ভাষার লিখিত পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে। বাংলা পক্ষর শীর্ষ পরিষদের অন্যতম সদস্য মনন মণ্ডল বলেন, বাংলা ভাগের সমস্ত চক্রান্তের বিরুদ্ধে বাঙালীকে একজোট করে এই চক্রান্ত ব্যর্থ করবে বাংলা পক্ষ। বাংলা পক্ষ শিল্পাঞ্চলের সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, উত্তর ২৪ পরগণা শিল্পাঞ্চলের কারখানাগুলোতে ভূমিপুত্র কে কাজে নেওয়া হয় না, বাইরের রাজ্য থেকে কর্মী নিয়ে আসা হয়। তাই ভূমিপুত্র সংরক্ষণ আইন চালু না হওয়া পর্যন্ত বাংলা পক্ষ উত্তর ২৪ পরগণা শিল্পাঞ্চল লড়াই চালিয়ে যাবে। আগামীতে আরো বড় কর্মসূচির পরিকল্পনা আছে।

ডিসেম্বর ২৭, ২০২১
রাজ্য

Bangla Pokkho: বঞ্চিত ভূমিপূত্রদের অধিকারের দাবিতে বাংলা পক্ষর হাওড়া জেলার সাংগঠনিক সমাবেশে

রবিবার হাওড়ার সালকিয়া সুইমিং পুলের ক্লাবে হাওড়া জেলা বাংলা পক্ষর জেলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত ছিলেন বাংলা পক্ষর সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায়, শীর্ষ পরিষদ সদস্য কৌশিক মাঝি, অমিত সেন, মনন মণ্ডল, এবং সোয়েব আমিন। এছাড়াও পার্শ্ববর্তী জেলা হুগলির সম্পাদক দর্পণ ঘোষ ও উঃ ২৪ পরগণা শহরাঞ্চলের সম্পাদক পিন্টু রায় উপস্থিত ছিলেন। হাওড়া জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাংলা পক্ষর কয়েকশো সহযোদ্ধা সমর্থকরা উপস্থিত হয়েছিলেন।আরও পড়ুনঃ বাংলা পক্ষের চাপে পড়ে বড় সিদ্ধান্ত পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ বিভাগেরসমাবেশে যে যে বিষয়ে আলোচনা হয় তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল, অন্য রাজ্য থেকে এসে হাওড়া জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাঙালিদের বেদখল করে এলাকা দখল করছে বহিরাগতরা, হাওড়ার বিভিন্ন কারখানায় ভূমিপুত্রদের বঞ্চিত করে উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ওডিশা এসে লোক এসে কাজ দেওয়া হচ্ছে, হাওড়া পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার পদগুলো বহিরাগতরা দখল করছে, পুরসভার চাকরি টেন্ডার, ঠিকাকাজ, হকারিস্পট, অটোলাইল, টোটোলাইন বহিরাগতরা দখল করছে ইত্যাদি।হাওড়া জেলায় হিন্দি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির তীব্র নিন্দা জানান অধ্যাপক গর্গ চট্টোপাধ্যায়। হাওড়ার বিভিন্ন স্কুলে আমিষ খেতে না দেওয়ার বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন কৌশিক মাইতি। আগামী দিনে বাংলা পক্ষ হাওড়া জেলা স্থানীয় জমি, চাকরি, বাজার, ব্যাবসা, হকারিস্পট-সহ অর্থ উপার্জনের সব ক্ষেত্র বাঙালির হাতে ফেরানোর জন্য লড়াই করবে। আসন্ন পুরভোটে সব কাউন্সিলর যাতে বাঙালি হয় সেই দাবিতে আন্দোলন করবে হাওড়ার সহযোদ্ধারা।আরও পড়ুনঃ প্রত্যেক দিনই কমছে তাপমাত্রার পারদ, বড়দিনের আগে শুক্রবারই মরশুমের শীতলতম দিনহাওড়ার জেলা সম্পাদক জয়দীপ দে জানান, বাংলা পক্ষর মূল দাবিগুলোর মধ্যে বেসরকারি চাকরিতে ভূমিপুত্র সংরক্ষণ আইন ও সরকারি চাকরিতে বাংলা ভাষার বাধ্যতামূলক পেপার করার দাবিতে আন্দোলন, জনমত গঠন করার পাশাপাশি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দাবিপত্র পেশ করবে হাওড়া জেলা সংগঠন।

ডিসেম্বর ২০, ২০২১
রাজ্য

BanglaPokkho: বাংলা পক্ষের চাপে পড়ে বড় সিদ্ধান্ত পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ বিভাগের

পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ দপ্তর ১৬ ডিসেম্বর ২০২১ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তাদের এই সিদ্ধান্ত জানালেন। বংলাপক্ষে-র তরফ থেকে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালানো হচ্ছিলো যাতে সরকারি বিভিন্ন বিজ্ঞপ্তি ও নির্দেশিকা বাংলায় প্রকাশ করা হয়। বাংলাপক্ষের প্রথম সারির ব্যাক্তিত্ব কৌশিক মাঝি দাবি করেন তাদের আন্দোলনকে মান্যতা দিয়েই এই সিদ্ধান্ত। পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ দপ্তর বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে তাদের ত্রৈমাসিক বিলের স্পট প্রিন্টিং এবার থেকে বাংলায় করার সিদ্ধান্ত নিলো। তবে এটা ঐচ্ছিক, স্পট মিটার রিডিং নেওয়ার পর তারা গ্রাহকের চাহিদা মতো বাংলা অথবা ইংরাজি তে প্রিন্ট করে দেবেন।বাংলাপক্ষের পক্ষ থেকে কৌশিক মাঝি জনতার কথা কে জানান গ্রাম বাংলার সাধরণ মানুষ ইংরাজি ভাষায় ততটা সড়্গড় নন, ইংরাজি ভাষায় বিল বোঝাটা তাদের পক্ষে খুব সমস্যার কারণ হ্যে ওঠে, সেই সমস্ত মানুষজনকে অন্যের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হয় বিলটা বোঝা জন্য। এবার থেকে তাঁরা নিজেদের বিল নিজেরাই বুঝে নিতে পারবেন। আমরা সাধুবাদ জানাচ্ছি বিদ্যুৎ দপ্তরের এই সিদ্ধান্ত-কে। তিনি জনতার কথা কে আরও জানান যে বিদ্যুৎ দপ্তরের বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা ডব্লু বি এস ই ডি সি এল (WBSEDCL) -র চাকরি বহিরাগতরা দখল করে নিচ্ছিল দীর্ঘ আন্দোলনের ফলে বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার চাকরির পরীক্ষায় বাংলা ভাষার পরীক্ষা বাধ্যতামূলক হয়েছে। এর ফলে আরও বেশী করে বাংলার মানুষ এই দপ্তরে চাকরির সুবিধা পাবেন।তিনি সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট করে দাবী করেছেন, পশ্চিমবঙ্গ বাংলাপক্ষ দীর্ঘদিন ধরে লাগাতার আন্দোলন চলিয়ে যাচ্ছেন সরকারি ক্ষেত্রে বাংলা ভাষার ব্যবহার বাড়ানোর জন্য। তাঁদের দাবি, তাঁদের আন্দোলের ফলে কলকাতা মেট্রোরেলের স্মার্ট কার্ডে ও রেলের টিকিটে বাংলা ফিরে এসেছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ৯০% ভূমিপুত্র সংরক্ষণ চালু হয়েছে, বাংলার পুলিস কনস্টেবল নিয়োগের পরীক্ষায় বাংলা ভাষা বাধ্যতামূলক হয়েছে (পরীক্ষা বাংলা ও নেপালী ভাষায় হয়), এছাড়া বাংলা জুড়ে বিভিন্ন ব্যাংকে ও পোস্ট অফিসে বাংলা ভাষায় পরিষেবার দাবিতে ডেপুটেশন দেওয়ার ফলে নানা ব্যাংকের ফর্ম, এটিএমে বাংলা এসেছে। শিলিগুড়ি পোস্ট অফিস সহ অন্যান্য জায়গায় বাংলা ভাষায় পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভূমিপুত্র সংরক্ষণ চালু হয়েছে, ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েসন অফ বেঙ্গল এর প্রথম ডিভিশন ও দ্বিতীয় ডিভিশনে ভূমিপুত্র সংরক্ষণ চালু হয়েছে, বাংলা ভাষায় সাইনবোর্ড লেখা বাধ্যতামূলক করে আসানসোল কর্পোরেশনে আইন পাশ হয়েছে যাতে সমস্ত দোকান ও কোম্পানীতে এই নির্দেশ মানে। কৌশিক মাঝি আরও জানান তাঁদের আন্দোলের ফলে সমস্ত বেসরকারি চাকরি, ঠিকা কাজ ও টেন্ডারে ৯০% ভূমিপুত্র সংরক্ষণের দাবিতে বাংলা পক্ষর ক্রমাগত লড়াইয়ের ফলে নানা কারখানা ও কোম্পানীতে বাঙালিরা কাজ পাচ্ছে। তাঁরা বিধানসভায় আইন পাশের দাবিতে লড়াই চলাচ্ছেন। তিনি বলেন সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে অহিন্দি জাতির ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ে সুপ্রীম কোর্টের রায়ের কপি বাংলা ভাষায় পাওয়া যাচ্ছে, বাংলার বিমানবন্দর গুলোয় বাংলায় ঘোষণা শুরু হয়েছে, ব্যাংকে চাকরির পরীক্ষা বাংলা সহ ভারতের ২২ টি সরকারি ভাষায় দেওয়ার সুযোগ এসেছে এবং সর্বভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারিং জয়েন্ট পরীক্ষা বাংলা ভাষায় দেওয়া যায়।কৌশিক মাঝি বলেন তাঁদের দাবি হিন্দি ভারতের রাষ্ট্রভাষা-এই মিথ্যে প্রচার বাংলা পক্ষর জোরালো প্রচারেই ধ্বংস হয়েছে। বাঙালির কাছে এখন এই সত্য পরিষ্কার -হিন্দি ভারতের রাষ্ট্রভাষা না, ভারতের কোনো রাষ্ট্রভাষা নেই। বহিরাগত নানা কোম্পানীতে কাজ করে বাঙালি হেনস্থার শিকার হলে, কাজ হারালে এবং বেতন না পেলে বাংলা পক্ষর চাপে নানা জায়গায় বাঙালি তার অধিকার ফিরে পাচ্ছে। রাজ্য সরকারি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারি অধ্যাপক নিয়োগের চাকরির জন্য স্টেট ইলিজিবিলিটি (SET) পরীক্ষা প্রথমবার বাংলা ভাষায় দেওয়ার সুযোগ পাবে বাঙালি। এটা বাংলা পক্ষর আন্দোলনেরি ফসল। তিনি জানান বাংলা পক্ষর আন্দোলনে এমাজন (Amazon), ফ্লিপকার্ট (Flipkart) সহ নানা কোম্পানীর পরিষেবা বাংলায় পাওয়া যাচ্ছে। কোকোকলা (Coca-Cola), নেস্টলে (Nestle), বিসলেরি (Bisleri) সহ নানা বড় কোম্পানীর পণ্যের লেবেল বাংলা ভাষাই ছাপছে। তাদের উল্লেখযোগ্য দাবী বর্তমান বাংলার রাজনীতি আজ বাঙালিময়। বাঙালি জাতীয়তাবাদ বাংলার রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে তার কাণ্ডারী বাংলা পক্ষ।

ডিসেম্বর ১৮, ২০২১
রাজ্য

Bangla Pokkho: ভূমিপুত্র সংরক্ষণের দাবিতে বাংলা পক্ষর সভা কোলাঘাটে

এতদিন বাংলায় হিন্দু-মুসলিম, তপসিলি জাতি-উপজাতি-সহ জাতপাতের ভোট ব্যাংক নিয়ে লড়াই চলছে। এবার বাংলার ভূমিপুত্রদের সংরক্ষণের দাবিতে কোলাঘাটে জনসভা করলো পূর্ব মেদিনীপুর বাংলা পক্ষ। এরাজ্যের ভূমিপুত্রদের বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই আন্দোলন করছে বাংলা পক্ষ।এই মুহূর্তে ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যে সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে ভূমিপুত্রদের সংরক্ষণের আইন জারি হয়েছে। এবার বাংলাতেও তা চালু হোক দাবি বাংলা পক্ষের। শনিবার কোলাঘাটে হলদিয়া মোড়ে ভূমিপুত্র সংরক্ষণের দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে সংগঠনের তরফে বাংলা পক্ষের সাধারণ সম্পাদক ডক্টর গর্গ চ্যাটার্জি বলেন, কংগ্রেস শাসিত রাজস্থান, কংগ্রেস-শিবসেনা শাসিত মহারাষ্ট্র, বিজেপি জোট শাসিত হরিয়ানা, বিজেপি শাসিত গুজরাত, ওয়াই এসআর কংগ্রেস শাসিত অন্ধ্রপ্রদেশ, তাছাড়া তেলঙ্গানা, কর্নাটক-সহ প্রায় প্রতিটি রাজ্য চাকরি ক্ষেত্রে ভূমিপুত্র সংরক্ষণ করেছে। কোথাও ৭৫ শতাংশ। কোথাও ৮০ থেক ৮৫ শতাংশ। সরকারি বা বেসরকারি দুই ক্ষেত্রেই।কিন্তু কারা বাংলার ভূমিপুত্র? ১৫-২০ বছর যাঁরা বাংলায় আছে তাঁরাই ভূমিপুত্র। সেক্ষেত্রে সাঁওতাল, কোচ, নেপালি এমনকী বিহারী, মারোয়াড়ীরাও ভূমিপুত্র। তাঁদের সমস্ত কিছুতেই অধিকার আছে। এবং কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষ পরিষদ সদস্য কৌশিক মাইতি বলেন, বাংলাপ ক্ষের দাবি, বাঙালির মাইগ্রেশন ৪.৮ শতাংশ। অথচ বাংলায় কমপক্ষে ৩০ শতাংশের ওপর অবাঙালী চাকরি করে। কোনো কোনো শিল্পাঞ্চলে ৭০-৮০% বহিরাগত। এই পরিস্থিতিতে বাংলা পক্ষের দাবি, সরকারি ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দাকে চাকরি দিতে হবে। বিভিন্ন বেসরকারি ঠিকা কাজ, টেন্ডার, ক্যাবের লাইসেন্স ক্ষেত্রে ৯০ শতাংশ ভূমিপুত্রদের সংরক্ষণ করতে হবে।কোলাঘাটে উপস্থিত ছিলেন বাংলা পক্ষের শীর্ষ পরিষদ সদস্য ডক্টর অরিন্দম বিশ্বাস, সোয়েব আমিন, কালাচাঁদ চট্টোপাধ্যায়, অমিত সেন ও আরো নেতৃবর্গ। জেলা সম্পাদক সুতনু পণ্ডিত এই মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলেন, আগামী দিন এই ভূমিপুত্র সংরক্ষণ নিয়ে জোরদার আন্দোলন পূর্ব মেদিনীপুর জেলাজুড়ে চলবে। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ তিনি স্থানীয়দের চাকরির কথা বলেছেন। তিনি যা মুখে বলেছেন, আমরা তা আইন হিসাবে চাই। কর্মসূচীর দায়িত্বে ছিলেন কোলাঘাটের সহযোদ্ধা বাপি গুড়ে।

ডিসেম্বর ১২, ২০২১
রাজ্য

Bangla Pokkho: বাংলায় ভূমিপুত্রদের অগ্রাধীকারের বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগকে স্বাগত জানায় বাংলা পক্ষ

মালদায় প্রশাসনিক বৈঠকে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়েছেন, বাংলায় যে কর্মসংস্থান হচ্ছে, তাতে অগ্রাধিকার পাবে বাংলায় যার ঠিকানা এবং যে বাংলা ভাষা বলতে পারে। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এটা বেসরকারি কর্মসংস্থানের প্রেক্ষিতে যেমন সত্য তেমনি সকল রাজ্য সরকারি চাকরির ক্ষেত্রেও সত্যি। এই মর্মে মুখ্যসচিবকে কমিশন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও তিনি ঘোষণা করেছেন। স্বাধীনতার পর এই প্রথম বাংলার কোন মুখ্যমন্ত্রীর মুখে বাংলার ভূমিপুত্রদের অগ্রাধিকারের প্রশ্নে প্রকাশ্যে নৈতিক শিলমোহর এলো। ভারতে বাঙালির জাতীয় সংগঠন বাংলা পক্ষ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্যকে সাধুবাদ জানিয়েছে। একই সঙ্গে বাংলা পক্ষ বাংলায় সকল বেসরকারি কাজে ৯০% ভূমিপুত্র সংরক্ষণ এবং রাজ্য সরকারি কাজে বাংলা ভাষার পরীক্ষা দিয়ে ১০০% ভূমিপুত্র সংরক্ষণের ব্যবস্থা চালু করতে অবিলম্বে আইন প্রণয়ন করার দাবি জানায়।গত ৪ বছর ধরে বাংলা পক্ষ বাংলার প্রতিটি জেলায় সভা, মিটিং, লিফলেট, সাংবাদিক সম্মেলন, বিক্ষোভ, প্রতিবাদ, স্মারকলিপি প্রদান, সামাজিক মাধ্যমে প্রচার এবং ১৭ শে জানুয়ারি ২০২১ কলকাতার ধর্মতলায় হাজার হাজার বাঙালির মহাসমাবেশ করেছে বাংলায় কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে ভূমিপুত্র সংরক্ষণের দাবিতে। এর ফলে ভূমিপুত্র সংরক্ষণ আজ বাংলায় বাঙালি জাতির তথা সকল ভূমিপুত্রর গণদাবিতে রূপান্তরিত হয়েছে। বাংলার সরকারের দায়িত্ব বাংলায় বাঙালি-সহ বাংলার সকল মানুষের গণদাবিকে বাংলায় আইনে রূপান্তরিত করা।বাংলায় কাজ আছে, বাঙালির কাজ নেই। যেহেতু বাঙালির কাজ নেই, বাঙালি ভাবে বাংলায় কাজ নেই। এর কারণ বাংলার সকল শিল্পাঞ্চলে পুঁজি, ব্যবসা, টেন্ডার বহিরাগতদের দখলে এবং এই মালিকানা থেকে শুরু করে কর্মচারী, শ্রমিক, ঠিকাদার সবক্ষেত্রে তারা বহিরাগত স্বজাতীয়দের নেয়। বঞ্চিত হয় বাংলা ও বাঙালি। হাওড়ার প্রশাসনিক মিটিং এ পাঁচলার বিধায়ক গুলশন মল্লিকের বক্তব্যে উঠে এসেছে, কিভাবে হাওড়ার কারখানাগুলোতে বিহার, ওডিশার লোকজনের কর্মসংস্থান হচ্ছে ৯৯ শতাংশ এবং বাঙালির ১ শতাংশ। বাংলায় বর্তমানে যে বিপুল সংখ্যক শিল্প এবং কর্মসংস্থান রয়েছে সেখানে কাজ পাওয়া বাঙালির শতাংশ নগণ্য এবং প্রায় সকল ক্ষেত্রে ভূমিপুত্রদের সচেতনভাবে বঞ্চিত করে বহিরাগতদের ডেকে এনে কাজ দেওয়া হয়।এটা আসানসোল শিল্পাঞ্চল, দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল, খড়্গপুর শিল্পাঞ্চল, হলদিয়া শিল্পাঞ্চল, হাওড়া শিল্পাঞ্চল, ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল, বৃহত্তর কলকাতা, শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, ইসলামপুর সকল ক্ষেত্রে সত্য। এবং ভূমিপুত্র সংরক্ষণ না হলে বাংলায় আগামীতে লক্ষ লক্ষ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে যে তাজপুর বন্দর, যে দেউচা পাচামি কয়লাখনি কে কেন্দ্র করে, যে অশোকনগরের তেলের খনিকে কেন্দ্র করে, যে হাওড়ায়-উত্তর ২৪ পরগনায়-নদিয়ায় লজিস্টিকস হাব গুলিকে কেন্দ্র করে সেখানেও বাঙালি তথা অন্য ভূমিপুত্রর কোন জায়গা থাকবেনা। অবস্থা হবে লিলুয়া, ভাটপাড়া, টিকিয়াপাড়া, শিলিগুড়ি, বানারহাট, জয়গাঁ, রানীগঞ্জ, কুলটি, রাজাবাজার, বড়বাজার, পানাগড়, ধুলাগড়, টিটাগড়, খিদিরপুর, দুর্গাপুরের মতই। বাংলার ভূমিপুত্ররা এই সব এলাকায় কাজ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং এলাকার পর এলাকা বহিরাগত অনুপ্রবেশের ফলে জনবিন্যাস বদলে গিয়ে সামাজিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে, নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে ও অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধির ফলে আইন শৃঙ্খলা সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।বেসরকারি কাজে ভূমিপুত্র সংরক্ষণ আইন পাশ হয়েছে বা মুখ্যমন্ত্রী দ্বারা ঘোষণা হওয়া রাজ্যের তালিকায় রয়েছে মহারাষ্ট্র, গুজরাত, হরিয়ানা, রাজস্থান, পঞ্জাব, ঝাড়খনণ্ড, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানা, গোয়া, কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, তামিলনাড়ু ইত্যাদি। বাংলা ছাড়া ভারতের অন্য সব রাজ্যে রাজ্য সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে সেই রাজ্যের প্রধান ভাষার পেপার মূল পরীক্ষায় বাধ্যতামূলক। ভারতে সর্বত্র যে নিয়ম চালু সেই একই নিয়ম পশ্চিমবঙ্গে চাই। বাংলার মাটিতে সব বেসরকারি ও সরকারি কাজে ভূমিপুত্র সংরক্ষণ আইন চাই। কারণ মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধ সত্ত্বেও কর্ম সংস্থানে ভূমিপুত্রের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি বলেও বাংলা পক্ষ-র তরফ দাবি করা হয়েছে।

ডিসেম্বর ০৯, ২০২১
রাজ্য

শিরোমণি প্যাসেঞ্জার ও হাটিয়া প্যাসেঞ্জার পুনরায় চালুর দাবিতে বাংলা পক্ষ-র ডেপুটেশন

শিরোমণি প্যাসেঞ্জার ও হাটিয়া প্যাসেঞ্জার পুনরায় চালুর দাবিতে বাংলা পক্ষর ডেপুটেশন কর্মসূচির আয়োজন করা হয। রবিবার বাংলা পক্ষ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গড়বেতা শাখার পক্ষ থেকে শিরোমণি প্যাসেঞ্জার ও হাটিয়া প্যাসেঞ্জার পুনরায় চালু করা ও চক্রধরপুর লোকালের গড়বেতা স্টপেজ পুনরায় চালুর দাবিতে স্মারকলিপি তুলে দেওয়া হল স্টেশন মাস্টারের হাতে। দুটি নতুন ট্রেনের দাবি- সহ বাংলা ভাষার ব্যবহারের মতো গুরুত্বপূর্ণ দাবিসমূহ-ও ছিল স্মারকলিপিতে। এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সুমিত দে, দসর জানা, জামাল খানের মতো জেলার সহযোদ্ধারা। এই স্মারকলিপির সাথে ৩৫ জন সাধারণ মানুষের স্বাক্ষরও তুলে দেওয়া হয় স্টেশন মাস্টারের হাতে। এই দাবি না মানা হলে স্থানীয় মানুষ নিয়ে আরও বৃহত্তর আন্দোলন হবে বলে জানায় সহযোদ্ধারা। আগামী দিনে জেলার অন্যান্য স্টেশন থেকেও এক-ই দাবিতে আন্দোলনে নামবে বাংলা পক্ষ, এমনটাই জানায় বাংলা পক্ষের সহযোদ্ধা সুমিত দে। সাম্প্রতিক কালে বেশ কিছু ট্রেন বাতিল হয়ে যাওয়ায় এলাকার মানুষ খুবই সমস্যার মধ্যে পড়েছে। চাকরিজীবি, ব্যবসায়ী ও ছাত্রছাত্রীদের নানান কাজে তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে প্রচণ্ড সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।। এই সমস্যার প্রভাব পড়েছে স্থানীয় অর্থনীতিতে। একই ভাবে বিভিন্ন স্টেশনে বাংলা ভাষার ব্যবহার কমিয়ে দেওয়ার ফলে স্থানীয় মানুষের যথেষ্ট অসুবিধা হচ্ছে। আমরা এই সমস্যাগুলির সমাধানে নিম্নোক্ত দাবিগুলি জানিয়েছে বাংলা পক্ষ।১. শিরোমণি ও হাটিয়া প্যাসেঞ্জার পুনরায় চালু করতে হবে।২. বিগত দশকের দাবি মেনে গড়বেতা পর্যন্ত দুটি নতুন লোকাল ট্রেন চালু করতে হবে অথবা হাওড়া-মেদিনীপুর লোকালের যে-কোনো দুটি ট্রেন গড়বেতা পর্যন্ত সম্প্রসারিত করতে হবে।৩. চক্রধরপুর লোকালের গড়বেতায় স্টপেজ পুনরায় চালু করতে হবে।৪. মেমু প্যাসেঞ্জার ট্রেনগুলির ভাড়া এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়া করা যাবে না।৫. রূপসী বাংলা ট্রেনের রুট বর্ধমান হয়ে পরিবর্তন করা যাবে না।৬. গড়বেতা রেল স্টেশনকে পুনরায় আগের মতো কার্যক্ষম করে তুলতে হবে৷৭. ইদানিং গড়বেটা স্টেশনে লক্ষ্য করা যাচ্ছে বাংলা ভাষার ব্যবহার কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে, যা বন্ধ করতে হবে এবং বাংলা ভাষার সঠিক ব্যবহার ও মর্যাদা দিতে হবে।

নভেম্বর ২৯, ২০২১
কলকাতা

Protest: অপসংস্কৃতির বিরোধিতায় বাংলা পক্ষ-র প্রতিবাদ প্রদর্শন

বাংলা ধারাবাহিক ও প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানে বাঙালি জাতির সংস্কৃতি নষ্ট করার বিরুদ্ধে এবার পথে নামতে চলেছে ভারতের বাঙালি জাতির জাতীয় সংগঠন বাংলা পক্ষ।সংগঠনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, জি বাংলা চ্যানেলের বেশ কিছু বাংলা ধারাবাহিক ও প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানে ক্রমাগতভাবে হিন্দি গান জুড়ে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন পর্বে। এছাড়া তাদের আরও অভিযোগ, বাংলা ও বাঙালি জাতির ইতিহাস বিকৃত করে দেখানো হচ্ছে করুণাময়ী রানি রাসমণি নামক ধারাবাহিকে। সংগঠনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে এই পথ যদি না শেষ হয় নামক ধারাবাহিকে দেখানো হচ্ছে যে করবা চৌত নামক প্রথা নাকি বাঙালি সমাজে প্রচলিত। এছাড়াও বাঙালি বৌ অবাঙালি বর এবং রাখিবন্ধন নামক ধারাবাহিকও এই তালিকায় আছে।বাংলা পক্ষ আরো জানিয়েছে যে জনপ্রিয় ক্রিকেটার পরিচালিত দাদাগিরি নামক অনুষ্ঠান, ডান্স বাংলা ডান্স এবং সারেগামাপা নামক অনুষ্ঠানেও অনিয়ন্ত্রিতভাবে হিন্দি গান বাজানো ও প্রচার চালানো হয়। সংগঠনের তরফ থেকে উত্তর ২৪ পরগনা শহরাঞ্চল জেলা শাখার সম্পাদক পিন্টু রায় সরাসরি বলেছেন, আমরা কখনোই হিন্দি গান বা হিন্দিভাষী কলাকুশলীদের বিরোধী নই আমরা কেবল বাঙালি সংস্কৃতির ওপর হিন্দি সংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়ার চ্যানেল গুলির যে প্রবণতা তার বিরোধী।তিনি এও বলেন আমাদের জেলার অন্তর্গত রাজারহাটের ডিআরআর স্টুডিওতে এই সমস্ত ধারাবাহিক ও অনুষ্ঠান গুলির শুটিং হয় তাই ওখানে গিয়ে ডেপুটেশন প্রদান ও শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে রবিবার ২১শে নভেম্বর সকাল ১১ টায়।

নভেম্বর ২২, ২০২১
কলকাতা

Bangla Pokkho: বাংলা ধারাবাহিকে বাঙালি সংস্কৃতি নষ্ট করার প্রতিবাদে পথে নামছে বাংলা পক্ষ

জি বাংলা-সহ নানা বাংলা চ্যানেলের বেশ কিছু বাংলা ধারাবাহিক ও প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানে ক্রমাগত ভাবে হিন্দি গান জুড়ে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন পর্বে। এছাড়া আরো অভিযোগ বাংলা ও বাঙালি জাতির ইতিহাস বিকৃত করে দেখানো হচ্ছে করুণাময়ী রানী রাসমণি নামক ধারাবাহিকে। এই পথ যদি না শেষ হয় নামক ধারাবাহিকে দেখানো হচ্ছে যে করবা চৌথ নামক প্রথা নাকি বাঙালি সমাজে প্রচলিত। এছাড়াও বাঙালি বৌ, অবাঙালি বর- এই কম্বিনেশন দেখানো হচ্ছে সর্বত্র, উল্টোটা নয় এবং রাখিবন্ধন নামক ধারাবাহিকও এই তালিকায় আছে।এছাড়া জনপ্রিয় ক্রিকেটার পরিচালিত দাদাগিরি নামক অনুষ্ঠান, ডান্স বাংলা ডান্স এবং সারেগামাপা নামক অনুষ্ঠানেও অনিয়ন্ত্রিতভাবে হিন্দি গান বাজানো ও প্রচার চালানো হয়।সংগঠনের তরফ থেকে উত্তর ২৪ পরগনা শহরাঞ্চল জেলা শাখার সম্পাদক পিন্টু রায় সরাসরি বলেছেন, আমরা কখনোই হিন্দি গান বা হিন্দি ভাষি কলাকুশলীদের বিরোধী নই। আমরা কেবল বাঙালি সংস্কৃতির ওপর হিন্দি সংস্কৃতি (নিম্ন রুচির উত্তর ভারতীয় সংস্কৃতি) চাপিয়ে দেওয়ার চ্যানেল গুলির যে প্রবণতা তার বিরোধী।তিনি এও বলেন, আমাদের জেলার অন্তর্গত রাজারহাটের ডিআরআর স্টুডিও তে এই সমস্ত ধারাবাহিক ও অনুষ্ঠান গুলির শুটিং হয় তাই ওখানে গিয়ে আমরা ডেপুটেশন প্রদান ও শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবো আগামী রবিবার ২১শে নভেম্বর সকাল ১১ টায়।তিনি আরও বলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ডাঃ গর্গ চট্টোপাধ্যায় এই কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকবেন এবং উপস্থিত থাকবে বাঙালি সুশীল সমাজ ও দর্শকদের সমর্থন।

নভেম্বর ২১, ২০২১
রাজ্য

Bangla Pokkho: বাংলা পক্ষের গুটখাবিরোধী বাইক মিছিল কামালগাজীতে

সারা রাজ্যে গুটখা বিক্রি বন্ধ করবার রাজ্য সরকারি সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে এবং এই সিদ্ধান্তের কঠোর প্রয়োগের দাবিতে রবিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা বাংলা পক্ষের উদ্যোগে বিকেল ৩টের সময়ে কামালগাজী মোড় থেকে একটি বাইকমিছিলের আয়োজন করা হয়। মিছিলটি কামালগাজী মোড় থেকে শুরু হয়ে, শীতলা মন্দির, ব্রহ্মপুর, রানিয়া, ৩০ ফুট, নতুনহাট, কালীবাজার হয়ে আবার কামালগাজীতে ফিরে এসে উড স্কোয়ার মলের সামনে একটি পথসভা করা হয়। এই কর্মসূচিতে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সহযোদ্ধারা হাজির হন। এছাড়াও প্রতিবেশী জেলার সহযোদ্ধারা তথা বাংলা পক্ষের শীর্ষ পরিষদের সদস্যরাও অংশগ্রহণ করেন। এই বাইক মিছিল রানিয়া তিরিশ ফুট অঞ্চলে পৌঁছালে এলাকায় যথেষ্ট চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। মিছিল থেকে মুহুর্মুহু স্লোগান ওঠে গুটখা হাটাও, বাংলা বাঁচাও। বাংলা পক্ষের সাধারণ সম্পাদক ডঃ গর্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন, গুটখা থাকতে দিলে আলসার, বাড়তে দিলে ক্যান্সার। অবিলম্বে বাংলার জীবনের প্রতিটি অঙ্গ থেকে গুটখাকে চিরতরে দূর করতে হবেই। সভায় বক্তব্য রাখেন হুগলী বাংলা পক্ষের সম্পাদক দর্পন ঘোষ, দলের শীর্ষ পরিষদের সদস্য কৌশিক মাইতি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সহ সম্পাদক মহঃ হুমায়ুন মোল্লা প্রমুখ। পথসভার শেষে গুটখার প্যাকেট পুড়িয়ে এবং স্লোগানের মাধ্যমে কর্মসূচি শেষ হয়।

নভেম্বর ০৭, ২০২১
কলকাতা

Protest: বাংলাদেশের ঘটনার প্রতিবাদে বাংলা পক্ষের প্রতিবাদ কর্মসূচি

বাংলা পক্ষ ভারতের বাঙালির অধিকার আদায়ের জাতীয় সংগঠন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশে সদ্য ঘটা সাম্প্রদায়িক বিশৃঙ্খলার প্রতিবাদে উত্তর ২৪ পরগনা শহরাঞ্চল সাংগঠনিক জেলার উদ্যোগে বরানগর বিধানসভার অন্তর্ভুক্ত টবিনরোড অঞ্চলে এক বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে। সংগঠনের প্রধান বক্তা গর্গ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বাংলাদেশে কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, ফেনী-সহ নানা জেলায় সংখ্যালঘু হিন্দু বাঙালিদের দুর্গাপুজোয় সাম্প্রদায়িক গুন্ডা আক্রমণকে ধিক্কার! বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নিরাপত্তা নিশ্চিত না করতে পারা বাংলাদেশ সরকারকে ধিক্কার! জামাত-এ-ইসলামি ও পাকিস্তান চেতনার বাহক সকল বাঙালি-বিরোধী শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করো!আরও পড়ুনঃ ছেলেকে দেখতে জেলে ছুটলেন শাহরুখঅন্যদিকে, বাংলা পক্ষের শীর্ষ পরিষদ সদস্য কৌশিক মাইতি বলেন, ভারতের হিন্দি বলয়জুড়ে উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়ে দুর্গাপুজোয় আক্রমণ ও খুনকে ধিক্কার! পশ্চিমবঙ্গের ব্যারাকপুর এলাকায় বহিরাগত বিএসএফ জওয়ান দ্বারা দুর্গাপুজোয় গুলি চালানোকে ধিক্কার ! সংগঠনের ওপর শীর্ষ পরিষদ সদস্য অমিত সেন বলেন, আব্বাস সিদ্দিকী, তরুণজ্যোতি তিওয়ারি-সহ ধর্মীয় হিংসার সকল উস্কানীদাতাকে গ্রেপ্তার করতে হবে !বাংলাদেশকে তিস্তার জল দিতে চাওয়া পশ্চিমবঙ্গ-বিরোধীদের ধিক্কার! তিস্তা চুক্তি ধ্বংস করো! পশ্চিমবঙ্গের ১০০০০ একর জমি বাংলাদেশকে দিয়ে দেওয়া কেন্দ্রীয় সরকার ধিক্কার! ওই জমি ফেরত চাই! বাংলাদেশে ২০১৪-র পর ধর্মীয় নির্যাতনের বলি হয়ে ভারতে আসা বাঙালিকে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী বানানো সিএএ আইন বাতিল করো!বাংলাদেশ থেকে নিপীড়িত হয়ে ভারতে আসা বাঙালিদের ডিটেনশন ক্যাম্পে ঢোকানো বন্ধ করো! কার স্বার্থে ভারত-বাংলাদেশ বর্ডার সম্পূর্ণ সিল করছেনা বিএসএফ, অমিত শা জবাব দাও! বার বার সংখ্যালঘুর উপর আক্রমণ সত্ত্বেও বাংলাদেশকে কোটি কোটি ডলার দেওয়া কেন্দ্রীয় সরকারকে ধিক্কার!

অক্টোবর ২১, ২০২১
বিনোদুনিয়া

Shohorer Upokotha : মুক্তি পেল শহরের উপকথা

দীর্ঘ অপেক্ষা। মুক্তি পেল বাদল সরকারের বাকী ইতিহাস নাটক অবলম্বলে বাপ্পার নির্মিত পূর্ণদৈর্ঘ্যের ছবি শহরের উপকথা। ছবির প্রিমিয়ারে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক, অভিনেতা, অভিনেত্রী থেকে শুরু করে অন্যান্য কলাকুশলীরা। প্রিমিয়ারে পরিচালক বাপ্পা জানালেন,আজ প্রথম দিন। যতদিন না পর্যন্ত দর্শকদের কাছে ছবিটা ছড়িয়ে পড়ে একটা টেনশন তো থাকেই। তবে ভালো লাগছে। সবাই প্রশংসা করছে। বাদল সরকারের চরিত্রে এই ছবিতে দেখা যাবে শুভাশিস মুখোপাধ্যায়কে। তিনি জানালেন,খুবই ভালো লাগছে। একটা উত্তেজনা আছে। আবার ভয়ও কাজ করছে। দর্শকরা কিভাবে নেবেন। নাটক থেকে সিনেমা। যেটা বাংলা সিনেমায় সচরাচর হয়না। পরিচালকের প্রথম ছবি, প্রযোজকের প্রথম ছবি, আমি বাদল সরকারের চরিত্র রূপদান করছি। সব মিলিয়ে বড় একটা উত্তেজনা। অভিনেতা জয় সেনগুপ্ত জানালেন, প্রত্যেক অভিনেতা এমন একটা কাজ করতে চায় যেটা করে তার স্যাটিসফেকশন লেভেল অনেক হাই হবে এবং এমন একটা কাজ করবে যেটা আজকে নয়, কালকে নয়, পরশু এবং তার পরে মনে রাখবে। এই ছবিটা দর্শক মনে রাখবে। এই ছবিতে যা বলা হচ্ছে, যেভাবে বলা হচ্ছে সেটা কোনোভাবে সিনেমার ল্যাঙ্গোয়েজকে, নাটকের ল্যাঙ্গোয়েজকে, সাহিত্যের ল্যাঙ্গোয়েজকে, অভিনয়ের ল্যাঙ্গোয়েজকে একটা অন্য মাত্রা দিয়েছে।

সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২১
বিনোদুনিয়া

Shohorer Upokotha : 'শহরের উপকথা' নিয়ে পোর্শিয়া

আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর মুক্তি পাচ্ছে বাপ্পার পরিচালিত ফিচার ফিল্ম শহরের উপকথা। বাদল সরকারের বাকী ইতিহাস অবলম্বনে এই ছবি নির্মাণ করছেন পরিচালক। আর এখানেই টাইটেল ট্র্যাক গেয়েছেন পোর্শিয়া সেন। সৌম্য ঋত এই ছবির সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন।আরও পড়ুনঃ দুর্গাপুজোর আগে দ্য টেরেসে ফ্যাশন কার্নিভালছবিতে গান গাওয়ার অভিজ্ঞতা খুবই ভালো। এমনটাই জানিয়েছেন পোর্শিয়া। এই প্রসঙ্গে তিনি জানালেন,সৌম্য ঋত দার সঙ্গে অনেকদিন ধরেই ভাবছি কাজ করবো। কিন্তু কানেকশনটা ঠিকমতো না হলে কাজটা ঠিক হয়না। তারপর একদিন দাদা বললো চলে এসো একটা রেকর্ডিং আছে। তার আগে গানটা পাঠালো। শুনে বললাম গানটা খুব ভালো। গেলাম, গাইলাম।আরও পড়ুনঃ এমডিজে জোড়ি নাম্বার ওয়ানের গ্র্যান্ড ফিনালশহরের উপকথা তিনি আরও কথা শেয়ার করলেন। বললেন,আমি ভেবেছিলাম সিনেমাটা হয়তো আরেকটু সময় নেবে রিলিজ করতে। কিন্তু তাড়াতাড়িই রিলিজ করে যাচ্ছে। তবে গানের ফিডব্যাক খুব ভালো পাচ্ছি। কাছের মানুষ অনেকেরই খুব ভালো লেগেছে। আবার অনেকে নিজে থেকে শুনে টেক্সট করেছে। তো গানের রেসপন্স এখনও অবধি ভালোই।

সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

চন্দননগরে একই পরিবারের ৩ সদস্যের রহস্যমৃত্যু, তদন্তে নেমেছে পুলিশ

চন্দননগর, ৩০ মে: হুগলির চন্দননগরে বৃহস্পতিবার সকালে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনার সাক্ষী থাকলো স্থানীয় বাসিন্দারা। একই পরিবারের তিন সদস্যের রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে ছড়িয়েছে ব্যাপক উত্তেজনা। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন পরিবারের কর্তা, তাঁর স্ত্রী এবং তাঁদের কিশোর পুত্র। সূত্রের খবর, এদিন সকালে চন্দননগরের শ্রীপল্লি এলাকার একটি বাড়ি থেকে তিনজনের নিথর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয়রা জানান, সকালবেলা দরজা না খোলায় সন্দেহ জাগে প্রতিবেশীদের। তারা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার করে।সূত্রের খবর, বুধবার ভোর ২টার দিকে চন্দননগর থানা কোলুপুকুর গড়েরধর এলাকায় তিন পরিবারের সদস্যের অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তারা প্রতিমা ঘোষ (৪৬) এবং তার মেয়ে পৌষালী ঘোষ (১৩) এর মৃতদেহ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন, মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রতিমার স্বামী বাবলু ঘোষ (৬২) কে দড়ি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। তদন্তের সময় পুলিশ জানতে পারে যে বাবলু একটি টিনের বাক্স তৈরির কারখানায় কাজ করত। তবে, কিছু সময়ের জন্য, সে টোটো (তিন চাকার গাড়ি) চালানো শুরু করে এবং অবশেষে তার বাড়িতেই একটি ছোট দোকান শুরু করে।প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এটি হয় আত্মহত্যা, নয়তো পরিকল্পিত খুন। তবে ঘটনার প্রকৃত কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। বাড়ির ভিতরে কোনোরকম লুটপাটের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। প্রতিবেশীদের অনেকেই জানিয়েছেন, পরিবারটি সদ্য আর্থিক সমস্যায় পড়েছিল এবং কিছুদিন ধরে মানসিক চাপের মধ্যে ছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দেহগুলি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে এবং ঘটনার ফরেনসিক তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ পরিবারের আত্মীয়-পরিজন ও প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।চন্দননগর কমিশনারেটের এক উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক জানান, আমরা সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছিআত্মহত্যা, পারিবারিক কলহ, অথবা বাইরের কোনো দুষ্কৃতীর হাত। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

মে ৩০, ২০২৫
রাজ্য

আইসিকে কদর্য ভাষা অনুব্রতর, FIR, শেষমেশ ক্ষমা প্রার্থনা

তৃণমূল নেতা অনুব্রত মন্ডলের একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হতেই রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় পড়ে যায়। সেই অডিওর শোনা যাচ্ছে, বীরভূম জেলা তৃণমূল কোর কমিটির অন্যতম সদস্য অনুব্রত মণ্ডল বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছেন। দুদিন আগে এই অডিও ক্লিপটি যে কোনও কারণেই ভাইরাল হয়ে যায়। তারপরেই জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ সিং, অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার বোলপুর রানা মুখোপাধ্যায় বৈঠক ডেকে আইসি লিটন হালদারকেও ডেকে পাঠান। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বোলপুর এসডিপিও রিকি আগরওয়াল সহ চার পুলিশ কর্তা। উল্লেখ্য, গতকালই অর্থাৎ বৃহস্পতিবার নাগরিক কমিটির ডাকে বোলপুর থানায় এক বিক্ষোভ কর্মসূচি নেওয়া হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামীরা। অভিযোগ, আইসি লিটন হালদার বিভিন্ন জনের কাছ থেকে তোলাবাজি অর্থ দাবি করেন। অনুব্রত মণ্ডলকেও, এ ব্যাপারে সোচ্চার হতে দেখা যায়। যদিও এ ব্যাপারে পুলিশের তরফে কোন বক্তব্য জনসমক্ষে আসেনি। অনুব্রতর কদর্য বক্তব্য সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পরই তীব্র নিন্দা হয় বিভিন্ন মহল থেকে। এমনকি বিজেপির রাজ্য শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্ব শাসকদলকে আক্রমণ করার হাতিয়ার পেয়ে যায়। একইসঙ্গে তৃণমূল দল থেকে নিজস্ব হ্যান্ডেলে অনুব্রত মণ্ডলের ঘটনার নিন্দা করা হয়। বলা হয় যে, অনুব্রত মণ্ডল একজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন তার সঙ্গে আমাদের দল সম্পূর্ণ দ্বিমত প্রকাশ করছে। এবং এই মন্তব্যকে ও সমর্থন করছে না। পাশাপাশি, দল তাকে নির্দেশ দেয় যে আগামী চার ঘণ্টার মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা না চাইলে তার বিরুদ্ধে দল শোকজ নোটিশ জারি করবে। ইতিমধ্যে, পুলিশের তরফে একটি মুখবন্ধ খামে চিঠি এসে পৌঁছায় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে। অন্যদিকে, বোলপুর থানায় বিএনএস এর ৭৫, ১৩২, ২২৪ ও ৩৫১ ধারায় অনুব্রতর বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়। পাশাপাশি, অডিও ক্লিপটি কিভাবে ভাইরাল হল তা নিয়ে তদন্ত করা হবে বলে জানান, বীরভূমের পুলিশ সুপার আমানদীপ সিং। অবমাননাকর মন্তব্যের তদন্ত শুক্রবার বোলপুর দলীয় কার্যালয়ে অনুব্রত মণ্ডল একটি ভিডিও বার্তায় সকলের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করে বলেন, যে নানুরের শিঙ্গিতে তার এক দলীয় কর্মীর পা ভেঙে গুড়ো করে দেওয়া হয় সে ব্যাপারে তিনি আইসিকে দেখার অনুরোধ করেন। অনুব্রত বলেন, যে নুরুল নামে সেই দলীয় কর্মী গুরুতর অবস্থায় আহত হন। তারপর সেখান থেকে তাকে ফোন করা হয়। রাত্রি দশটায় ঘুমের ওষুধ খেয়ে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। ফোনে ঘুম ভেঙে যাওয়ার পর, তিনি আইসিকে বলেন যে, ওই আহত ব্যক্তিকে বাঁচানোর জন্য আপাতত হাসপাতালে ভর্তি করুন। একইভাবে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ ও আইসিকে অনুরোধ করেন। কিন্তু আইসি তাকে একটি খারাপ কথা বলেন। যেটা তিনি আর বলতে চাইছেন না। তার পক্ষে (অনুব্রতর) এ ধরনের ভাষা ব্যবহার করা উচিত হয়নি। তিনি ক্ষমা চাইছেন।

মে ৩০, ২০২৫
রাজ্য

বিধানসভা ভোটের দামামা বাজিয়ে দিলেন মোদী, শিক্ষা থেকে হিংসা উঠে এল ভাষণে

২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বাজিয়ে দিয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আলিপুরদুয়ারের জনসভায় কড়া ভাষায় আক্রমণ শানালেন তৃণমূল কংগ্রেসকে। এই সরকারকে উৎখাতের ডাক দিয়েছেন মোদী। পাশাপাশি তাঁর ভাষণে উঠে এসেছে মুর্শিদাবাদ, মালদার হিংসার কথা, রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা বরবাদ বলেও উল্লেখ করেছেন মোদী।বৃহস্পতিবার নরেন্দ্র মোদী বলেন, মুর্শিদাবাদ, মালদায় যা হল তা এখানকার সরকারের নির্মমতা। দাঙ্গায় গরিব মা-বোনেদের জীবনভরের পুঁজি লুঠ হয়ে গেল। তুষ্টিকরণের রাজনীতি চলছে, গুন্ডাদের খোলামেলা ছুট দিয়ে রেখেছে সরকার। সরকারে থাকা লোকজন, পার্টির লোকজন মানুষের ঘর চিহ্নিত করে জ্বালাচ্ছে, পুলিশ দাঁড়িয়ে তামাশা দেখছে। এখানে কী পরিস্থিতি চলছে সেটা কল্পনাও করতে পারছি না। সরকার এভাবে চালাতে হয়? গরিব মানুষের উপর অত্যাচার হলেও সরকারের ভ্রুক্ষেপ নেই। সব কিছুতেই এখানে আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। বাংলার মানুষেরও আর তৃণমূলের সরকারের উপর ভরসা নেই। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ একাধিক সংকটে জেরবার বলেও দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। একের পর এক ইস্যু তুলে ধরতে থাকেন নরেন্দ্র মোদী। এই ইস্যুতেও তৃণমূল পরিচালিত সরকারকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন মোদী। তাঁর কথায়, সংকটে জেরবার বাংলা। প্রথম সংকট, একদিকে হিংসা-অরাজকতা চলছে। দ্বিতীয়, মা-বোনেদের ওপর অত্যাচার চলছে। তৃতীয়ত, যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘোরতর নিরাশা তৈরি হয়েছে, কর্মহীনতার যন্ত্রণায় ভুগছে যুবরা। চতুর্থত, বেপরোয়া দুর্নীতি চলছে। পঞ্চম সংকট হল, এই রাজ্যের গরিবের অধিকার ছিনিয়ে নিচ্ছে শাসকদলের রাজনীতি।এরই পাশাপাশি অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিরা যা করেছে, সারা ভারতের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের লোকেদেরও তুমুল আক্রোশ ছিল। আপনাদের সেই আক্রোশ আমি ভালোই বুঝেছি। জঙ্গিরা আমাদের মা-বোনেদের সিঁদুর মোছানোর দুঃসাহস দেখিয়েছিল। আমাদের বীর সেনারা ওদের সিঁদুরের শক্তি কী সেটা বুঝিয়ে দিয়েছে। আমরা জঙ্গি ঘাটি ধ্বংস করেছি। পাকিস্তান এটা কল্পনাও করতে পারিনি। জঙ্গিদের ঠিকানা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এমন শিক্ষা পাবে পাকিস্তান কল্পনাও করেনি। সন্ত্রাসের লালন পালন করে পাকিস্তান। ১৯৪৭-এর পর থেকেই ভারতে সন্ত্রাস পাকিস্তানের। বাংলাদেশে পাকিস্তানের অত্যাচার ভোলবার নয়। তিনবার পাকিস্তানকে ঘরে ঢুকে মেরেছে ভারত।SSC-এর নিয়োগ দুর্নীতির জেরে এই রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয়েছে। শাসকদল তৃণমূলের তাবড় নেতা-মন্ত্রী পাহাড়-প্রমাণ এই দুর্নীতিতে আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারের সভামঞ্চ থেকে রাজ্যের এই নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। শিক্ষাক্ষেত্রে এমন দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যের শাসকদলকে বেনজির নিশানা করেছেন নমো।প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেছেন, তৃণমূলের নেতারা এত বড় পাপ করেও নিজেদের ভুল মানতে নারাজ। হাজার-হাজার পরিবারকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলা হয়েছে। গরিব পরিবারের ছেলে-মেয়েদের অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের পুরো শিক্ষা ব্যবস্থা বরবাদ। শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেও তৃণমূলের নেতারা মানতে নারাজ। বাংলায় হাজার-হাজার শিক্ষকের কেরিয়ার বরবাদ। এখানকার যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘোরতর নিরাশা তৈরি হয়েছে। কর্মহীনতার যন্ত্রণায় ভুগছে যুবরা। বেপরোয়া দুর্নীতি নিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে লাগাতার মানুষের বিশ্বাস কমছে।

মে ৩০, ২০২৫
রাজ্য

মেয়ের প্রথম জন্মদিনে রক্তদান শিবির! সাধুবাদ মালদা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের

মেয়ের প্রথম বছরের জন্মদিনের মাধ্যমে মালদা মেডিকেল কলেজের ব্লাড ব্যাংকের রক্ত সংকট মেটানোর বার্তা নিয়ে এগিয়ে এলেন দাস পরিবার। বুধবার সকাল থেকেই বাড়ির একমাত্র মেয়ের প্রথম বছরের এই জন্মদিনকে ঘিরেই ধুমধাম ভাবে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে ইংরেজবাজার পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের পুরাটুলি এলাকার দাস পরিবার। বাড়ির সামনেই জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের ভ্রাম্যমান রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয় দাস পরিবারের পক্ষ থেকে। আর এই রক্তদান শিবিরের প্রথম রক্তদাতা হিসাবে ছোট্ট এক বছরের আদিক্সা দাসের বাবা দেবাশীষ দাস স্বেচ্ছায় রক্তদান দিয়ে কর্মসূচি সূচনা করেন। এদিন এই জন্মদিন উপলক্ষে বিকেল পর্যন্ত দেবাশীষবাবুর আত্মীয় পরিজন, বন্ধু বান্ধব মিলিয়ে প্রায় ৫০ জন স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন। দেবাশীষবাবুর এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে মালদা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ , স্বাস্থ্য দপ্তর এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।মালদা মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল ডাঃ পার্থপতিম মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এটি খুব ভালো উদ্যোগ। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, বিভিন্ন সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন , নানান রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলি মাঝে মধ্যেই স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করছেন। এদিন ইংরেজবাজার পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের পুরাটুলি এলাকায় এক বছরের ছোট্ট আদিক্সা দাসের জন্মদিন উপলক্ষেই এই রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছিলেন তাঁর বাবা দেবাশীষ দাস। সঙ্গ দিয়েছিলেন দেবাশিষবাবুর স্ত্রী কোয়েল সাহা দাস। এদিন জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর এবং মালদা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা নিয়ে ভ্রাম্যমান ব্লাড ডোনেশন ক্যাম্পের একটি বড় গাড়ি ছোট্ট মেয়ে আদিক্সা দাসের বাড়ির সামনে গিয়ে হাজির হয়। সেই ভ্রাম্যমান গাড়িতেই স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় ব্যবসায়ী দেবাশিষবাবুর পুরাটুলি এলাকায় নিজস্ব বাড়ি রয়েছে। পরিবারের একমাত্র মেয়ে আদিক্সার জন্মদিনে এমন পরিকল্পনা অনেক আগে থেকে নিয়েছিলেন দেবাশিষবাবু এবং তার স্ত্রী কোয়েল সাহা দাস । আর সেটা কার্যত বাস্তবে করে দেখালেন। ব্যবসায়ী দেবাশিষ দাস বলেন, মেডিকেল কলেজে চিকিৎসারত রোগীর আত্মীয়েরা এক ইউনিট রক্তের জন্য কিভাবে ব্লাড ব্যাংকে ছোটাছুটি করছে। মাঝেমধ্যেই দেখি মেডিকেল কলেজের রক্তের সংকট রোগীদের হয়রানির মুখে পড়তে হচ্ছে। আমিও একসময় হয়রানির শিকার হয়েছিলাম। তাই এদিন মেয়ের জন্মদিনে এমন ভাবেই স্বেচ্ছায় রক্তদানের শিবির করেছি। আমার আত্মীয় পরিজন বন্ধু-বান্ধবরা অনেকেই এগিয়ে এসে স্বেচ্ছায় রক্তদান করেছেন। ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছবি দাস জানিয়েছেন, এটা খুব ভালো উদ্যোগ । আমার এলাকার দাস পরিবার তাদের বাড়ির একমাত্র মেয়ের প্রথম জন্মদিনে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছেন । তাদের এই কর্মসূচিকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। এভাবেই সকলকে এগিয়ে আসা উচিত।

মে ২৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

বিশ্বের তারকা ফুটবলার ইয়ামালকে মনে আছে? বিশ্বের অন্যতম বড় ক্লাবে ১০ নম্বর জার্সির মালিক ১৭ বছরেই

মনে আছে লামিল ইয়ামালের কথা? গত বিশ্বকাপ ফুটবলে স্পেনের নাবালক তারকা ফুটবলার। জার্মানীর মাঠ কাঁপিয়ে দিয়েছিল এই ইয়ামাল। আগামী ২০৩১ পর্যন্ত ইয়ামাল লা লিগাতে বার্সেলোনার হয়েই খেলবেন। এই বয়সে মাল্টি মিলিয়নের চুক্তি হয়েছে বার্সেলোনার সঙ্গে ইমামালের। লা লিগাতে এই মরসুমে নিজে শুধু ১৮টি গোল করেননি, গোল করতে সহায়তা করেছেন আরও ১৩টি ক্ষেত্রে। বিপক্ষের ডিফেন্সে রীতিমতো ত্রাস সৃষ্টি করেন এই স্পেনের এই ফুটবলার। খ্যাতি পয়েছেন গত জার্মানী বিশ্বকাপে। স্পেনের দলে প্রয়োজনীয় ফুটবলার ছিলেন তিনি। জার্মানী শ্রম আইন অনুযায়ী ফাইন দিয়েও তাকে দলে রেখেছিল স্পেন। তার ফায়দাও পেয়েছিল তারা। এবার বার্সেলোনার সঙ্গে তার চুক্তি হয়েছে প্রতি মরসুমে তিনি পাবেন বেসিক হিসাবে ১৫ মিলিয়ন ইউরো, যা বোনাস নিয়ে ২০ মিলিয়নে দাঁড়াতে পারে। বার্সেলোনার হয়ে তিনি ইতিমধ্যে মোট ১০৬টি গোল করেছেন। মাত্র ১৭ বছরবয়েস ইয়ামাল যে অর্থ পাচ্ছেন তা যে কারও কাছে বড় স্বপ্ন। তা আগে কেউ পায়নি। তাছাড়া এই মরসুমে ইয়ামাল দলের ১০ নম্বর জার্সি পরবেন।

মে ২৯, ২০২৫
রাজ্য

মেমারিতে বাবা-মাকে খুন করে বনগাঁয় গিয়ে তান্ডব, গ্রেফতার গুণধর ছেলে, ধুন্ধুমার কাণ্ড

শুরু মেমারিতে, যার শেষ হল বনগাঁতে। গুনধর ইঞ্জিনিয়ার ছেলে বাবা-মাকে নৃশংস ভাবে খুন করে পালিয়েছিল বনগাঁয়। সেখানে গিয়ে এলোপাথারি ছুরি চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে জখম করেছে। তাকে জোর করে বের করার জন্য থানা আক্রমণ করেছে স্থানীয় ক্ষুব্ধ জনতা। পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। ধুন্ধুমার কাণ্ড। বুধবার সকালে গলার নলি কাটা অবস্থায় বাড়ির সামনের রাস্তা থেকে উদ্ধার হয় বৃদ্ধ মা ও বাবার রক্তাত মৃতদেহ। মোস্তাফিজুর রহমান (৬৫) ও মমতাজ পারভীন (৫৫)। ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমানের মেমারি পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাশিয়ারা মুক্তারবাগান এলাকায়। জোড়া খুনের খবর পেয়ে জেলার পুলিশ সুপার সায়ক দাস দলবল নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। তবে মৃত দম্পতির ছেলে বাড়িতে না থাকায় পুলিশের সন্দেহ বাড়তে থাকে। তবে এটা যে খুনের ঘটনা তা নিয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত ছিল পুলিশ। খুনের পর বৃদ্ধ দম্পতিকে ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে বাইরে বের করে আনা হয়েছিল। সেই কারণে গোটা নানা জায়গায় রক্তের দাগ দেখা গিয়েছে। রাতে দিকে এই ঘটনার আঁচ গিয়ে পড়ে সীমান্ত এলাকায় উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয়। জানা গিয়েছে, ওই দম্পতির ছেলে হুমায়ূন কবির বাইরে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতো। হুমায়ুনের মানসিক সমস্যা আছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। তাছাড়া বাড়ির সিসিটিভির হার্ড ডিস্ক উধাও বলে জানা গিয়েছে। বৃদ্ধ দম্পতির দেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা নমুনা সংগ্রহ করেছেন। এদিকে বুধবার সন্ধ্যায় অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি বনগাঁ খান শরীফে ঢুকে বেশ কয়েকজনের ওপরে ছুরি নিয়ে আক্রমণ করে। এই ঘটনায় কয়েকজন আহত অবস্থায় বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওই অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। বনগাঁ খান শরীফের সামনে কিছুক্ষণ অবস্থান করে সংখ্যালঘুরা। জানা গিয়েছে, একদল বনগাঁ থানায় এসে আসামিকে ছাড়ানোর জন্য চেষ্টা করে এবং বনগাঁ থানায় ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং কয়েকজনকে আটক করেছে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছান বনগাঁর এসপি দীনেশ কুমার। পরে পুলিশ জানতে পারে ওই যুবক মেমারিতে বাবা-মাকে খুন করে বনগাঁয় এসে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।বনগাঁ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার সাংবাদিকদের জানান, আক্রমণকারী যুবকের নাম হুমায়ন কবির। বয়স ৩৫ বছর, বাড়ি বর্ধমানের মেমারি। আজ সকালে এই ব্যক্তি তার বাবা-মাকে খুন করে এখানে এসেছে। তারা ছুরির আঘাতে চার জন আহত হয়েছে। এদিকে থানা ভাঙচুরের ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আঘাত পেয়েছেন একজন কনস্টেবল ও একজন এএসআই। এদিকে রাতেই মেমারি থানার পুলিশ পৌঁছে গিয়েছে বনগাঁ থানায়।

মে ২৯, ২০২৫
রাজ্য

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জের, যুবকের মাথা ফাটিয়ে, হাত কেটে দিল গৃহবধূ

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাওয়ায় যুবকের উপরে আক্রমণ ও তার বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ প্রতিবেশী গৃহবধূর বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বনগাঁয়। প্রতিবেশী গৃহবধূর সঙ্গে যুবকের চার বছরের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক। সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাওয়ায় যুবকের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া, ব্লেড দিয়ে হাত কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক গৃহবধূর বিরুদ্ধে। শুধু যুবকের উপর হামলা করেই থামেনি প্রতিবেশী ওই গৃহবধূ। যুবকের পরিবারের অভিযোগ, ওই গৃহবধূ তাদের বাড়ির খাবারে বিষ মিশিয়ে দিয়েছে এবং বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগণার বনগাঁ থানার সভাইপুর এলাকায়। সোমবার বনগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করে যুবক। যুবকের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত গৃহবধূকে গ্রেফতার করেছে বনগাঁ থানার পুলিশ। অভিযুক্ত গৃহবধূকে মঙ্গলবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করে পুলিশ।

মে ২৮, ২০২৫
রাজ্য

গভীর রাতে বোমাবাজি ও গুলি হরিহরপাড়ায়, জখম এক, গ্রেফতার ৪

সোমবার গভীর রাতে মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থানার অন্তর্গত নাজিরপুর পূর্বপাড়া এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। অভিযোগ, ওই রাতে একদল দুষ্কৃতী এলাকায় বোমাবাজি চালানোর পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দা নাজিমউদ্দিন শেখ ওরফে কালুকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।গুলিতে তাঁর পায়ে গুরুতর আঘাত লাগে। স্থানীয়রা তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে হরিহরপাড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ ও পরে কলকাতার একটি হাসপাতালে রেফার করা হয়।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জমি দখলকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছিল। সেই বিবাদের জেরেই এই হামলা বলে প্রাথমিক অনুমান। উল্লেখযোগ্য যে, দুই পক্ষই শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত বলে এলাকাবাসীর দাবি।এই ঘটনায় হরিহরপাড়া থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই চারজনকে গ্রেফতার করেছে। এলাকায় উত্তেজনা থাকলেও বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তদন্ত চলছে।হরিহরপাড়া থানার নাজিরপুর পূর্বপাড়া এলাকায় বোমাবাজি ও গুলি চালানোর ঘটনায় আগ্নেয়াস্ত্র গুলি উদ্ধারসহ চার জনকে গ্রেফতার করে বহরমপুর জেলা জজ আদালতে পাঠানো হলো। ধৃতদের তিনজনের বাড়ি নাজিরপুর পূর্বপাড়া এলাকায় একজনের বাড়ি চোয়া এলাকায়

মে ২৮, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal