• ১২ আষাঢ় ১৪৩২, শনিবার ২৮ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Om

বিদেশ

ওম নমঃ শিবায় ধ্বনিতে মুখরিত ইজরায়েল

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের বিরুদ্ধে গোটা দেশ লড়ছে। আর সেই লড়াইয়ে বিশ্বের প্রথম সারির প্রায় সব দেশই কোনও না কোনও ভাবে ভারতকে সাহায্য করছে। সাহায্য এসে পৌঁছেছে ইজরায়েল থেকেও। তবে এবার ইজরায়েল যে ভাবে ভারতের পাশে থাকার বার্তা দিল তা মনে হয় অন্য কোনও দেশ ভেবেও দেখেনি।ইহুদিদের এই দেশ ভগবান শিবের কাছে প্রার্থনা করল ভারতের সুস্থ হয়ে ওঠার জন্য। ইজরায়েলের তেল আভিভে শহরে এক প্রার্থনা সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে কয়েকশো ইজরায়েলি জড়ো হয়ে ওম নমঃ শিবায় ধ্বনিতে প্রার্থনা করেন। প্রার্থনা করেন যাতে দ্রুত ভারত করোনা মুক্ত হয়ে ওঠে। ইজারায়েলিদের এই প্রার্থনা সভার ভিডিও তেল আভিভে ভারতীয় দূতাবাসের এক আধিকারিক পবন কে পাল তাঁর ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডলে পোস্ট করেছেন। আর এমন একটা ভিডিও পোস্ট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাল হয়ে যায়। প্রচুর নেটিজেন ভিডিওর কমেন্ট সেকশনে ইজারয়েলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এ ভাবে ভারতের পাশে থাকার জন্য। পবন ভিডিওর সঙ্গে পোস্টে লিখেছেন, যখন গোটা ইজরায়েল একত্রিত হয়ে আশার আলো দেখাচ্ছে।করোনার দ্বিতীয় ঢেউটের সঙ্গে ভারত এখনও রীতিমতো যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ লক্ষ ১৪ হাজারের বেশি মানুষ নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। মহারাষ্ট্র এবং কর্নাটকের অবস্থা সব থেকে খারাপ। তার পরেই রয়েছে কেরল এবং উত্তরপ্রদেশ। অন্যদিকে ইজরায়েল ইতিমধ্যেই করোনা পরিস্থিতি সামলে নিয়েছে। গত মাসেই সেখানে মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা তুলে দেওয়া হয়েছে।

মে ০৮, ২০২১
রাজ্য

ফের রাজ্য পুলিশের বড়সড় রদবদল, কম্পালসরি ওয়েটিংয়ে ৪ আইপিএস

রাজ্যে তৃতীয়বার সরকার গঠন করেই পুলিশ প্রশাসনে ব্যাপক রদবদল করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । বুধবারই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদে একাধিক রদবদল করা হয়েছিল। আর বৃহস্পতিবার নবান্নের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জেলাস্তরের পুলিশ আধিকারিকদের বদলির কথা জানানো হয়েছে। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার দেবেন্দ্র কুমার সিংকে সরিয়ে কলকাতার অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার পদে বহাল করা হল। অর্থাৎ তিনি কলকাতার পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্রকে সহায়তা করবেন। শিলিগুড়ি কমিশনারেটের ডিসির পদে গেলেন আইপিএস অমিতাভ মাইতি। কম্পালসরি ওয়েটিংয়ে পাঠানো হয়েছে ৪ আইপিএসকে। একঝলকে দেখে নিন রদবদল পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক , পুলিশ সুপারকে বদলি করা হয়েছিল বুধবার। জেলার নতুন পুলিশ সুপারের দায়িত্বে এলেন আইপিএস অমরনাথ কে। আইপিএস ধৃতিমান সরকারকে ঝাড়গ্রাম থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হল বারাকপুর নর্থের ডিসি পদে। সূর্যপ্রতাপ যাদবকে জঙ্গিপুরের পুলিশ সুপারের পদ থেকে সরিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হল বিধাননগরের। তিনি বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসির দায়িত্ব নিলেন। ক্লোজ করা হল মালদহের ইংরেজবাজারের আইসি মদনমোহন রায়কে। আইপিএস অজয় নন্দকে পাঠানো হল এডজি, সিআইএফ পদে। তিনি এতদিন বারাকপুরের সিপির দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন। এডিজি, পশ্চিমাঞ্চল রাজেশ কুমার, হাওড়া গ্রামীণের পুলিশ সুপার শ্রীহরি পাণ্ডে, আলিপুরদুয়ারের এসপি অমিত কুমার সিং, পূর্ব বর্ধমানের এসপি অজিত কুমার যাদব এই চারজনকে পাঠানো হয়েছে কম্পালসরি ওয়েটিংয়ে। নতুন জেলাশাসক হলেন বদলি করা হয়েছে মানিকতলা, পার্ক স্ট্রিটের ওসিদেরও। কালীঘাট থানার ওসি পদে পুনর্বহাল হয়েছেন শান্তনু সিনহা। তিনি এই পদে ছিলেন টানা তিন বছর। ভোটের আগে নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে অন্যত্র বদলি করে দেয় কমিশন। ভোট মিটতেই তাঁকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে আগের জায়গায়।পশ্চিম বর্ধমান ও দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক পদেও বদল হয়েছে। দার্জিলিংয়ের নতুন জেলাশাসক এস পুনামবালান, পশ্চিম বর্ধমানে বিভু গোয়েল। স্বরাষ্ট্র ও পুলিশ দপ্তর সাধারণত নিজের হাতেই রাখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃতীয়বারের মুখ্যমন্ত্রিত্বেও তাইই থাকার সম্ভাবনা। তাই পুলিশ প্রশাসনের রদবদলে তাঁর অনুমোদনই শেষ কথা। বুধবার ফের নবান্নে বসেই তিনি প্রয়োজনীয় রদবদল সারলেন। বৃহস্পতিবার আরও একপ্রস্ত বদলির বিজ্ঞপ্তি জারি হল। আরও ভালভাবে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য তাঁর এই পদক্ষেপ, মত ওয়াকিবহাল মহলের।

মে ০৬, ২০২১
রাজ্য

আজ থেকে গড়াবে না লোকাল ট্রেনের চাকা, সমস্যায় নিত্যযাত্রীরা

আপাতত ১৪ দিনের জন্য লোকাল ট্রেন বন্ধ। বুধবার রাজ্য সরকার বিবৃতি দিয়ে এ কথা জানিয়েছে। তবে রেলের তরফে জানানো হয়েছে, পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত রাজ্যের সমস্ত লোকাল ট্রেন পরিষেবা বৃহস্পতিবার থেকে বন্ধ থাকবে। লোকাল ট্রেনকে শহরতলির লাইফ লাইন বলা হয়। সেই গন পরিবহণ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেলে কিভাবে যাতায়াত করবেন, তাই নিয়ে ইতিমধ্যেই ভাবনায় পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা। অফিস পুরো খোলা, দোকান, বাজার আংশিক খোলা, সেই অবস্থায় লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ায় সমস্যা তৈরি হয়েছে। হাওড়া স্টেশনের মাধ্যমে কলকাতা-সহ আশেপাশের জেলায় রোজগার ও অন্যান্য নানান কাজের জন্যে ছুটে যান কয়েক লক্ষ মানুষ। শহর কলকাতার অনেক অফিসে চাকুরী করেন শহরতলীর বহু মানুষ। যাঁরা বাড়ি থেকে অফিসে যেতে মূলত লোকাল ট্রেনের ওপরেই নির্ভরশীল। লোকাল ট্রেন বন্ধ হয়ে গেলে তাঁরা কিভাবে অফিসে যাবেন তা ভেবে পাচ্ছেন না। শহরতলীর বিভিন্ন ছোটখাটো দোকান ও ব্যবসাদাররা নিয়মিতভাবে কলকাতার বিভিন্ন পাইকারি বাজার থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে নিয়ে যান, দোকান থেকে বিক্রি করার উদ্দেশ্যে। লোকাল ট্রেন বন্ধ হয়ে গেলে কিভাবে দোকান চালাবেন সেই কথাই ভাবছেন ব্যান্ডেলের বাসিন্দা অজিত মণ্ডল। অন্যদিকে কলকাতার এক বেসরকারি সংস্থার কর্মী শ্রীরামপুরের বাসিন্দা পায়েল ঘোষাল বলেন, অফিস খোলা রয়েছে। আমাকে অফিস যেতে হবে। লোকাল ট্রেন বন্ধ হয়ে গেলে কিভাবে অফিস যাবো ভেবে পাচ্ছি না। আমার আবেদন মুখ্যমন্ত্রী তাঁর এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করুন। করোনার সংক্রমণ যেভাবে বেড়ে চলেছে তা সামলাতে কঠোর পদক্ষেপ আমিও সমর্থন করি। কিন্তু লোকাল ট্রেন বন্ধ করলে বাসে যেভাবে ভিড় বাড়বে তাতে আগামী দিনে সংক্রমণ আরও বাড়ার আশঙ্কা থাকবে বলেও মনে করছেন তিনি। অন্যদিকে, দক্ষিণ-পূর্ব রেলের উলুবেড়িয়ার বাসিন্দা সুদেষ্ণা বসুর কথায়, লোকাল ট্রেনের নিত্যযাত্রীরা কোভিড নিয়মবিধি ভালোভাবেই মেনে চলছিলেন। কারণ তাঁরা গত বছরের লকডাউনের সময়ে লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ থাকায় চরম সমস্যায় পড়েছিলেন। তাই নিত্যযাত্রীরা তাঁদের নিয়ম না-মানার কারণে লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাক তা কেউই চাননি। পাশাপাশি চন্দনপুরের বাসিন্দা সরোজ ঘোষ জানালেন, তিনি গোরুর দুধ থেকে ছানা তৈরি করে লোকাল ট্রেনে করে হাওড়া হয়ে কলকাতার বড়বাজারে সরবরাহ করেন। লোকাল ট্রেন বন্ধ হয়ে গেলে গাড়িভাড়া করে হলেও তাঁকে নিয়মিত সরবরাহ চালু রাখতে হবে। যার ফলে খরচ অনেকটাই বেড়ে যাবে। বুধবার হাওড়া স্টেশনে এইভাবে লোকাল ট্রেন বন্ধের বিষয়ে নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানালেন নিত্যযাত্রীরা। গত বছরের স্মৃতি আবার ফিরছে। তবে পুরো ট্রেন পরিষেবা নয়, বন্ধ হচ্ছে শুধুমাত্র লোকাল ট্রেন পরিষেবা।

মে ০৫, ২০২১
রাজ্য

৬ মে থেকে রাজ্যে বন্ধ সব লোকাল ট্রেন, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে তৎপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার অর্থাৎ আগামিকাল থেকে বন্ধ লোকাল ট্রেন। সরকারি পরিবহণ এবং মেট্রো চলবে ৫০ শতাংশ। পরিবর্তন করা হল বাজার খোলা রাখার সময়েও। পরিবর্তন হচ্ছে ব্যাংক খোলার সময়ও। বুধবার শপথ গ্রহণের পরই রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৎপর মুখ্যমন্ত্রী। শপথগ্রহণের পরই জানিয়ে দিয়েছিলেন, আপাতত করোনা মোকাবিলায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন তিনি। সে কথা মাথায় রেখেই এদিন একাধিক নতুন নির্দেশ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এখনই লকডাউনের পথে হাঁটলেন না মুখ্যমন্ত্রী। তিনি ঘোষণা করলেন: কাল থেকে বন্ধ রাজ্যের সমস্ত লোকাল ট্রেন। সরকারি পরিবহণ এবং মেট্রো চলবে ৫০ শতাংশ। বিমানযাত্রা ও দূরপাল্লার বাসযাত্রায় আরটিপিসিআর পরীক্ষা বাধ্যতামূলক। বিমানযাত্রার ৭২ ঘণ্টা আগে আরটিপিসিআর পরীক্ষা করতে হবে। তবে রাজ্যে আসার পর ব়্যাপিড টেস্টে করোনা আক্রান্তের হদিশ পেলে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। এর ব্যবস্থা করবে বিমানবন্দর। বাজার খোলার সময় পরিবর্তন করা হল। সকাল ৭টা থেকে বেলা ১০টা, এবং বিকেল ৫টা থেকে সন্ধে সাতটা পর্যন্ত খোলা থাকবে। তবে বউবাজারের সোনার দোকান খোলা রাখার সময়ে ছাড় দেওয়া হয়েছে। সোনার দোকান দুপুর ১২টা থেকে ৩ পর্যন্ত খোলা থাকবে। ব্যাংক খোলা থাকবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত। সরকারি অফিসে ৫০ শতাংশ কর্মীর হাজিরা চালু। বেসরকারি অফিসে ওয়ার্ক ফ্রম হোমে জোর। কলকারখানা, নির্মাণ ক্ষেত্রে হাজিরা ৫০ শতাংশ করা হল। গ্রামে থাকা ২ লক্ষ ৭৫ হাজার কোয়াক চিকিৎসককে বিশেষ নির্দেশিকা পাঠানো হচ্ছে। যাতে তাঁরা কোভিড চিকিৎসা করতে পারেন। বন্ধই থাকছে রেস্তরাঁ, শপিং মল, জিম, সুইমিং পুল, বিউটি পার্লার, স্পা, পাব, বার। রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষামূলক সমস্ত জমায়েত নিষিদ্ধ। বিয়েবাড়িতে সর্বাধিক ৫০ জন অতিথি উপস্থিত থাকতে পারবেন। টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে পরিবহণকর্মী, সংবাদকর্মী ও হকারদের অগ্রাধিকার। প্রথম ডোজের চেয়ে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ায় গুরুত্ব বেশি। কোভিড সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে সন্দেহ থাকলে মৃতের ব়্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করা হবে। যার রিপোর্ট দু-তিনঘণ্টার মধ্যে মিলবে। ফলে মর্গে দেহ জমা থাকবে না। গুরুতর অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসায় জোর দেওয়া হবে। অর্থ সাহায্যের জন্য রাজ্যে দুটি ফান্ড চালু করা হল।এদিন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েই কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চিঠিতে অক্সিজেন, টিকা বন্টন নিয়ে স্বচ্ছ নীতি প্রণয়নের দাবি জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি কেন্দ্রের কাছে ৫০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। চিঠিতে দেশজুড়ে বিনামূল্যে টিকাকরণেরও দাবি জানিয়েছেন । ১০ হাজার রেমডেসেভির এবং তার বিকল্প হিসেবে টোসিজুমাব-এর হাজারটি ভায়াল চাওয়া হয়েছে। সবমিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কুরসিতে বসেই কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলেন মমতা।

মে ০৫, ২০২১
রাজ্য

স্বস্তির বৃষ্টিতে ভিজল দক্ষিণবঙ্গ, ২৪ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

স্বস্তির বৃষ্টিতে ভাসল কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গ। হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার দিনভর চলবে বৃষ্টি। কোথাও কোথাও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনাও রয়েছে। ২ মে ভোটের ফল ঘোষণার দিন হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছিল, চলতি সপ্তাহে বৃষ্টিতে ভাসবে বাংলা। ৩ মে থেকে ৪ তারিখের মধ্যে ওডিশায় তুমুল বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানানো হয়েছিল সেদিন। সতর্কতা জারি করা হয়েছিল বাংলায়। সেই পূর্বাভাস সত্যি করে রবিবার সন্ধেয় ছিঁটেফোঁটা বৃষ্টিতে ভিজেছিল তিলোত্তমা ও দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলি। সোমবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ ৬২ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যায় আলিপুরের উপর দিয়ে। মঙ্গলবার ভোররাতে থেকেই শুরু তুমুল বৃষ্টি। সকালেও পরিস্থিতি একই। অঝোরে বৃষ্টিপাত হচ্ছে দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায়।আবহাওয়া দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, আজ দিনভর চলবে বৃষ্টি। করোনা পরিস্থিতি এমনিতেই মানুষজন ঘরবন্দি। উল্লেখ্য, হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টা দক্ষিণবঙ্গে কালবৈশাখী ও ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি ও ঝড়ের সময় ঘর থেকে না বেরোনোর পরামর্শ দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। মঙ্গলবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি নিচে। সোমবার বিকেলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

মে ০৪, ২০২১
কলকাতা

ভোট পরবর্তী হিংসায় উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল, রিপোর্ট তলব কেন্দ্রের

রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরই ভোটপরবর্তী হিংসার আগুন জ্বলে উঠেছে বাংলায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শান্তি বজায় রাখার বার্তা দিলেও কার্যত তা উপেক্ষা করে নগ্ন প্রতিশোধের রাস্তা বেছে নিয়েছেন তৃণমূলীরা। যাতে নতুন করে উদ্বেগ দানা বেঁধেছে সমস্ত মহলেই।সাম্প্রতিক ঘটনা প্রবাহে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রাজ্য প্রশাসনকে হিংসা থামাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।রাজ্য সরকারের কাছে এনিয়ে রিপোর্ট তলব করেছে উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় সরকার। রবিবার রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে ২১৪ আসনে জিতে নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস।ফল ঘোষণার ২৪ ঘণ্টা পেরোতে না পেরোতেই রাজ্যে তাদের নেতা-কর্মী-সহ ৬ জন খুন হয়েছেন বলে দাবি করেছে বিজেপি।নন্দীগ্রাম থেকে শীতলকুচি, এমনকী খোদ কলকাতাতেও একের পর এক হিংসার ঘটনা সামনে এসেছে। বেলেঘাটা, শীতলকুচি-সহ বিভিন্ন জায়গায় ৬ জন খুন হয়েছেন বলে দাবি করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। নন্দীগ্রামের বিভিন্ন এলাকাতেও ভাঙচুরের ঘটনা চলছে। দিলীপ ঘোষ বলেন, আইএসএফের একজনকেও বোমার আঘাতে মেরে ফেলা হয়েছে। শতাধিক বাড়ি, পার্টি অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে। প্রশাসনকে অনুরোধ করব, অবিলম্বে শান্তি ফেরানোর ব্যবস্থা করা হোক। শান্তিপূর্ণভাবে এই ইস্যুতে আন্দোলনে নামবে বিজেপি। কাল রাস্তায় নেমে ধর্না দিয়েও প্রয়োজনে প্রতিবাদ জানানো হবে। এমনটাই জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে বিজেপি-র প্রতিনিধিদল বিকেলে রাজভবনেও যায়। রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলে বেরিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, হাজার হাজার বাড়ি, পার্টি অফিস ভাঙচুরের খবর পাচ্ছি, ভিডিও দেখছি। বেলেঘাটায় আমাদের কর্মীকে মেরে ফেলার পাশাপাশি পোষ্যদেরও মারা হয়েছে। বিজেপির পাঁচ কর্মী ও আইএসএফের এক কর্মী রাজনৈতিক সন্ত্রাসের বলি হয়েছেন। আমরা শক্তিশালী বিরোধী দলের দায়িত্বই পালন করতে চাই। তবে আমাদের পাশাপাশি অন্য দলের লোক, এমনকী সাধারণ মানুষও আক্রান্ত হচ্ছেন। এর প্রতিবিধান না হলে গণতান্ত্রিক উপায়ে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ হবে। রাজ্যপাল আমাদের কথা শুনেছেন।ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তিনি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতর, কলকাতা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই বিষয়ে জানিয়েছেন তিনি। নির্দেশ দিয়েছেন দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে। সোমবার রাজ্যপাল একটি টুইট করেন।সেখানে বলেন, হিংসার কথা জানতে পেরেছি। এ ব্যাপারে আমি উদ্বিগ্ন। রাজ্যের বিভিন্ন অংশ থেকে গোলমালের খবর পাওয়া যাচ্ছে পার্টি অফিস, বাড়ি, দোকান ভাঙচুর করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতি খুবই চিন্তাজনক। তিনি আরও লিখেছেন, এ সব থামাতে স্বরাষ্ট্র দপ্তর, রাজ্য পুলিশ, কলকাতা পুলিশকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছি। উল্লেখ্য দুপুরেই রাজভবনে পুলিশ কমিশন, ডিজিকে ডেকে পাঠান রাজ্যপাল।বিকেলে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। তার কাছেও হিংসা থামাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার আর্জি জানান রাজ্যপাল।এদিকে ভোট পরবর্তী হিংসার খবর পেতে নবান্নের কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। ভোটের ফলাফল প্রকাশ হতেই বিরোধী দলের রাজনৈতিক দলের উপর কেন হামলা তা নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে খবর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন পুনরায় রাজ্যবাসীর কাছে শান্তির আবেদন জানিয়েছেন।মমতা বলেন, নির্বাচনে হার-জিত রয়েছে। বিজেপি অনেক অত্যাচার করেছে। শান্ত থাকুন, পুলিশকে অভিযোগ করেছি। আইন সামলানোর দায়িত্ব পুলিশের। তৃণমূল কর্মীকে খুন করেছে বিজেপি। কোচবিহারে আক্রান্ত হয়েছে তৃণমূল।

মে ০৩, ২০২১
কলকাতা

ভোটগণনার আগে ব্যাপক বোমাবাজি, উত্তপ্ত বেলেঘাটা

আর মাত্র কয়েকঘণ্টার অপেক্ষা। কিছুক্ষণের মধ্যে স্পষ্ট হয়ে যাবে বাংলার দায়িত্ব যাচ্ছে কার হাতে, তৃণমূল না বিজেপি। তার আগে উত্তেজনা ছড়াল বেলেঘাটায়। বিজেপির বুথ এজেন্টের বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে কোচবিহার থেকে উদ্ধার হয়েছে তাজা বোমা। জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে বেলেঘাটা ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে এক বুথ এজেন্টের বাড়িতে হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। ব্যাপক বোমাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। এরপর বাইকে ১০ থেকে ১২ জন যুবক বেলেঘাটা মেন রোড এলাকার বেশ কয়েকটি পরিবারের সদস্যদের হুমকি দেয়। বোমাবাজি করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। সেইসময় অভিযুক্তরা পুলিশের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। মারধরও করা হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। দীর্ঘক্ষণ পর শান্ত হয় এলাকা। পুলিশের তরফে ইতিমধ্যেই বোমার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। শুরু হয়েছে তদন্ত। অন্যদিকে, ভোটগণনা শুরুর ঠিক আগের মুহূর্তে কোচবিহার মাথাভাঙ্গার পঞ্চানন মোড় এবং বাইশগুড়ি হাই স্কুল সংলগ্ন এলাকা থেকে উদ্ধার হয় তাজা বোমা। ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। খবর যায় পুলিশে। ইতিমধ্যেই বোমাটি উদ্ধার করা হয়েছে। বোমাবাজি হয়েছে বীরভূমের দুবরাজপুরে। এছাড়াও অন্যান্য জেলা থেকে প্রকাশ্যে এসেছে অশান্তির খবর। তবে পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত পুলিশ।

মে ০২, ২০২১
কলকাতা

ভোটের সকালে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ে বোমাবাজি

নির্বাচন অশান্তির আশঙ্কায় শহর কলকাতার নিরাপত্তায় বাড়তি নজর দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। মোতায়েন করা হয়েছিল অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনীও। কিন্তু তা সত্ত্বেও অশান্তি এড়ানো গেল না। সাতসকালে ভোট শুরু হতে না হতেই বোমাবাজির ঘটনা ঘটল সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের মহাজাতি সদনের সামনে। আর তার জেরে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল জোড়াসাঁকো কেন্দ্রের অন্তর্গত এই এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। আতঙ্কিত ভোটারদের সাহস জোগান তাঁরা। ওয়াকিবহাল মহলের মত, কলকাতায় ভোটের দিন এমন ঘটনা নজিরবিহীন।জানা গিয়েছে, সকাল ৭.৫০ নাগাদ আচমকাই প্রবল শব্দে কেঁপে ওঠে মহাজাতি সদনের সামনের ফুটপাথ। সেখানে কয়েকজন তখনও ঘুমিয়ে ছিলেন। প্রচণ্ড শব্দে ঘুম ভেঙে যায় তাঁদের। তাঁরা জানিয়েছেন, ২ টি বোমা ফেটেছে। চারিদিকে পড়ে রয়েছে তার খণ্ডাংশ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ বাহিনী। পৌঁছে যান জোড়াসাঁকো কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী বিবেক গুপ্তা। তিনি চারদিক খতিয়ে দেখেন। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, চলন্ত গাড়ি থেকে বোমা ছোঁড়া হয়েছে। স্প্লিন্টার জাতীয় কিছু ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। তবে ক্ষয়ক্ষতি তেমন হয়নি। তা সত্ত্বেও ভোটের সকালেই সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের মতো এলাকায় এ ধরনের ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে।জোড়াসাঁকোর বিজেপি প্রার্থী মীনাদেবী পুরোহিতের অভিযোগ, এই সময় তাঁর ওই এলাকায় যাওয়ার কথা ছিল। তাঁকে বাধা দিতেই এই বোমাবাজি করা হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি কাঠগড়ায় তুলেছেন তৃণমূলকেই। পাশাপাশি জানিয়েছেন, এসব বাধা উপেক্ষা করেই তিনি ঘটনাস্থলে যাবেন। এ নিয়ে তৃণমূল-বিজেপি তরজা শুরু হয়ে গিয়েছে। আতঙ্কিত সাধারণ ভোটাররা। তবে তাঁদের সাহস জোগাতে এলাকায় মোতায়েন বাড়তি নিরাপত্তা বাহিনী। এই ঘটনার খবর পেয়েই রিপোর্ট তলব করেছে নির্বাচন কমিশন। কে বা কারা এই ঘটনা ঘটাল, তার সন্ধানে নেমেছে পুলিশ।

এপ্রিল ২৯, ২০২১
রাজ্য

আজ শেষ দফার নির্বাচন, বিশেষ নজর উত্তর কলকাতায়

শেষ দফার ভোট শান্তিপূর্ণভাবে করতে বদ্ধপরিকর নির্বাচন কমিশন। শেষ দফায় ভোট রয়েছে উত্তর কলকাতায়। কলকাতা উত্তরে যে কোনও ধরণের অশান্তি রুখতে কড়া প্রশাসন। ভোটের অশান্তি রুখতে সেখানে মোতায়েন থাকছে ১০৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী । রাখা হয়েছে ৪০ নাকা চেকিং পয়েন্ট। বহিরাগতরা এসে যাতে কোনও অশান্তি পাকাতে না পারে তার জন্যে থাকছে কলকাতা পুলিশের বিশেষ নজর।উত্তর কলকাতার ২৯ টি থানা এলাকায় ভোটকেন্দ্র থাকছে ৫৪৭টি। বুথ থাকছে ২০৮৩টি। উত্তর কলকাতার ৭ বিধানসভাকে ভাগ করা হয়েছে ৯৮ সেক্টরে। আর গোটা এলাকা জুড়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকার পাশাপাশি থাকছে ৬ হাজার কলকাতা পুলিশ। যে সব জায়গা সংবেদনশীল, উত্তেজনাপ্রবণ সেই সব জায়গায় বাড়তি নজর দেওয়া হচ্ছে। মোট ২১ জন ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিক থাকবেন দায়িত্বে।রাস্তায় থাকবেন যুগ্ম পুলিশ কমিশনাররাও। উত্তর কলকাতার জন্যে থাকছে ৮৭ আর টি ভ্যান। ২৯ হেভি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড, ৯০ কুইক রেসপন্স টিম, থাকছে প্রায় ১০০০ বাইক। বিশেষ বাহিনীর প্রায় ১০০ টহলদারি গাড়িও থাকছে। এছাড়া গঙ্গার প্রতিটি ঘাটে নজর রাখবে জল পুলিশ। হাওড়া ব্রিজেও থাকছে নাকা চেকিং পয়েন্ট।যে ভোটকেন্দ্রে থাকবে ১টি বুথ, সেখানে হাফ সেকশন কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। যেখানে দুটি ও চারটি বুথে থাকবে সেখানে দুই সেকশন কেন্দ্রীয় বাহিনী, যেখানে নটি বুথে থাকবে, সেখানে থাকবে ৩ সেকশন কেন্দ্রীয় বাহিনী। উত্তর কলকাতার যে সব জায়গা নজরে রাখা হচ্ছে তার মধ্যে অন্যতম কাশীপুর-বেলগাছিয়া। কারণ, এখানে লাগাতার রাজনৈতিক সংঘর্ষ হয়েই চলেছে বেশ কয়েকদিন ধরে। নজর রয়েছে বেলেঘাটার দিকেও। নজরে রয়েছে ট্যাংরা, তপসিয়া, মাঠপুকুর, এন্টালি-সহ বেশ কিছু জায়গা। এছাড়া শিয়ালদা ও বউবাজারের বেশ কিছু হোটেলে চলছে নজরদারি। বড়বাজার, এসপ্ল্যানেড এলাকার গেস্ট হাউজ, হোটেলেও নজরদারি চালাচ্ছে কলকাতা পুলিশ।

এপ্রিল ২৯, ২০২১
রাজ্য

দিনভর লুকোচুরি, কমিশনকেই দুষলেন অনুব্রত

রাত পোহালেই রাজ্যে অষ্টম তথা শেষ দফার নির্বাচন। বীরভূম-সহ মোট চার জেলার ৩৫টি আসনে ভোট। তবে ভোটের ২৪ ঘণ্টা আগে খবরের শিরোনামে রইলেন সেই বীরভূমের জেলা সভাপতি তথা তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। নির্বাচন কমিশনের চোখে ধুলো দিয়ে বেলা ১২টা থেকে ঘুরে বেড়ালেন নানুর এবং সেই সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকা। শেষপর্যন্ত অবশ্য তারাপীঠের মন্দিরে তাঁর হদিশ মেলে। কিন্তু এজন্য যে তিনি দায়ী নন, পুরো দোষটাই নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের, বুধবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সেকথাই বললেন বীরভূমের কেষ্ট।সন্ধ্যেবেলা সাংবাদিক সম্মেলনে এভাবে উধাও হয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গে অনুব্রতকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এই ঘটনায় আমার দোষ কোথায়? এটা তো যাঁরা আমি আমাকে খুঁজে পায়নি, তাঁদের দোষ। আমি কি করব? আমি তারাপীঠে পুজো দিয়ে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলাম। শেষপর্যন্ত জেলাশাসক ফোন করলেন। আমি বললাম কোথায় আপনার লোক? উনি বললেন, যাচ্ছে যাচ্ছে। একটু দাঁড়ান। আমি যদি চলে যেতাম তাহলে আমাকে ধরতেই পারত না। আমিই অপেক্ষা করলাম।এরপরই নির্বাচন কমিশনের কাঠগড়ায় তুলে তাঁর মন্তব্য, বীরভূমে নির্বাচন কমিশনারের নির্দেশে পুলিশ প্রকৃত অপরাধীদের ছেড়ে সাধারণ লোককে, আমাদের সমর্থকদের থানায় ডেকে পাঠাচ্ছে। আমি চাই শান্তিপূর্ণ ভোট হোক। এখানে একজন আসামী আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘুরছে অথচ তাকে ধরছে না। আমাকে প্রতিবারই নজরবন্দি করে। তাতে আমি কিছু মনে করি না। কিন্তু এইভাবে সাধারণ লোককে হেনস্তা করছে সেটা খারাপ লাগছে। আর কদিনই বা করবে। ২ তারিখের পর তো আর পারবে না। আগামীকাল খেলা হবে। তবে কীভাবে খেলব সেটা বলব না। খেলা মানে তো ঝগড়া মারামারি নয়। ভালোভাবেও তো খেলা যায়।

এপ্রিল ২৮, ২০২১
দেশ

ভ্যাকসিনের ২ টি ডোজ না-নিলে গণনাকেন্দ্রে প্রার্থীকে প্রবেশাধিকার নয়: কমিশন

করোনা সংক্রমণের আবহে নতুন নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের। বুধবার তারা জানিয়েছে, প্রার্থীদের যদি টিকার ২টি ডোজ না নেওয়া থাকে, তবে গণনাকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না তাঁরা। দেখাতে হবে করোনা পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্টও। গণনার ৪৮ ঘণ্টা আগে করোনা পরীক্ষা করাতে হবে প্রার্থীদের। কমিশন জানিয়েছে, দেশে বাড়তে থাকা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখেই এই কোভিড-নির্দেশিকা।রবিবার, ২ মে পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের ৪ রাজ্য এবং একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভোট গণনা। এদিকে দেশে আঠারোর্ধ্বদের টিকাকরণ শুরু হবে ১ মে থেকে। পশ্চিমবঙ্গে আবার তৃতীয় পর্যায়ের টিকাকরণ শুরু হবে ৫ মে। কমিশনের এই নির্দেশে তাই প্রশ্ন উঠেছে ৪৫ বছরের কমবয়সি প্রার্থীদের গণনা কেন্দ্রে প্রবেশাধিকারের ব্যাপারেও। যে সব প্রার্থী এখনও টিকা নিতে পারেননি, তাঁরা কী করবেন।এর আগে মঙ্গলবারই দেশে করোনা পরিস্থিতির কারণ দেখিয়ে বাংলা, তামিলনাড়ু, কেরল, অসম এবং পুদুচেরিতে জয়ের উদযাপনেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কমিশন। বুধবার নতুন নির্দেশিকায় তারা জানিয়েছে, প্রার্থী এবং তাঁদের এজেন্টরা আরটি-পিসিআর টেস্টের নেগেটিভ রিপোর্ট দেখালে তবেই গণনা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন।এই রিপোর্ট কোনওভাবেই ৪৮ ঘণ্টার বেশি পুরনো হলে চলবে না। তবে আরটি-পিসিআর টেস্টের পাশাপাশি র্যা পিড অ্যান্টিজেন টেস্টের রিপোর্টও গ্রাহ্য হবে বলে জানিয়েছে কমিশন। এ ছাড়া প্রার্থীদের বলা হয়েছে, তাঁদের গণনা এজেন্টের তালিকাও গণনার তিন দিন আগে পেশ করতে হবে।বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গে অষ্টম ও শেষ দফার ভোট। ৪ জেলা মালদহ, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম এবং কলকাতায় ৩৫ টি কেন্দ্রে ভোট হবে। ৪ রাজ্য এবং একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে একমাত্র পশ্চিমবঙ্গ এবং অসমেই ভোট হয়েছে একাধিক দফায়। অসমে ৩ দফায় ভোট শেষ হলেও বাংলায় ৮ দফায় ভোটের ঘোষণা করে কমিশন। কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে ইতিমধ্যেই সমালোচনা করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী, মাদ্রাজ হাইকোর্টও জানিয়েছে, করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর দায় এড়িয়ে যেতে পারে না কমিশন। এ ব্যাপারে ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিল মাদ্রাজ হাইকোর্ট।

এপ্রিল ২৮, ২০২১
রাজ্য

শেষ দফাতেও মোতায়েন ৭৫৩ কোম্পানি বাহিনী

কোভিড আতঙ্ক ক্রমেই গ্রাস করছে। এর মধ্যেই আগামী বৃহস্পতিবার শেষ দফার ভোট। গত দুই দফার মত এবারও ঝামেলা, অশান্তি এড়াতে নির্বাচনে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা রাজ্য ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের অতি সতর্কতার সঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন। এই দফাতেও বাহিনী মোতায়েনে কোন ফাঁক রাখা হচ্ছে না।কমিশন সূত্রে খবর, এই দফায় মোট ৭৫৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। ভোট রয়েছে বীরভূম, কলকাতা উত্তর, মালদা এবং মুর্শিদাবাদ জেলায়। এরমধ্যে ২২৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে বীরভূম জেলায়, কলকাতা উত্তরে ৯৫ কোম্পানি, মালদায় মোতায়েন থাকবে ১১০ কোম্পানি আধাসেনা, মুর্শিদাবাদের জন্য রাখা হচ্ছে ২১২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। ভোট পরিচালনার জন্য বুথের দায়িত্বে থাকবে মোট ৬৪১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাকি ১১২ কোম্পানি ভোটের অন্যান্য কাজের মোতায়েন থাকবে। এবারের ভোট পর্বে মোট ১০৭১ কোম্পানি বাহিনী রাজ্যে এসেছিল। যার মধ্যে ৭৫৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়ে গিয়েছে। বাকি ৩১৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ইতিমধ্যেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর।শেষ দফায় ২৮৩ জন প্রার্থী ৩৫টি বিধানসভা আসনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। মোট বুথের সংখ্যা ১১ হাজার ৮৬০। সব কটি বুথ স্যানিটাইজার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ভোটের দিন কোভিড বিধি মানতে জেলা গুলিকে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, রাজ্যের প্রথম সাত দফার নির্বাচনেও মূলত কমিশনের উপরই ভরসা রেখেছিল নির্বাচন কমিশন। আর তাতে কমবেশি সাফল্যও এসেছে। বিশেষ করে সপ্তম দফায় মালদহ, মুর্শিদাবাদের মতো জেলাতেও লেটার মার্কস পেয়ে উতরে গিয়েছে কমিশন। শেষ দফাতেও মালদহ, মুর্শিদাবাদে ভোট। সঙ্গে আবার যোগ হয়েছে বীরভূম। সাম্প্রতিক অতীতে এই জেলায় ভোটে অশান্তির নজির আছে। শেষ দফাতেও সেই ভাবেই ভোট করানোর টার্গেট নিয়েছে কমিশন।

এপ্রিল ২৮, ২০২১
রাজ্য

বীরভূমের ভোটের আগে ফের নজরবন্দি অনুব্রত

ভোটের আগে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে ফের নজরবন্দি করল নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে ৩০ এপ্রিল সকাল ৭টা পর্যন্ত কমিশনের নজরবন্দি তিনি। কমিশনের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আইনি পথে হাঁটতে পারেন দাপুটে তৃণমূল নেতা ।অষ্টম দফায় অর্থাৎ ২৯ এপ্রিল বীরভূমে ভোটগ্রহণ। তার আগে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা থেকে সেই জেলার দাপুটে তৃণমূল নেতার উপর কড়া নজর রাখবে কমিশন। ভোটের মরশুমে এত দীর্ঘ সময় কোনও রাজনৈতিক নেতাকে নজরবন্দি করে রাখা নিঃসন্দেহে বেনজির সিদ্ধান্ত বলে দাবি করছে ওয়াকিবহাল মহল। উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে উনিশের লোকসভা নির্বাচনের সময় অনুব্রত মণ্ডলকে নজরবন্দি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কমিশন। তবে সেটা ছিল শুধুমাত্র ভোটের দিন। যদিও তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, সেবারের ভোটের সময়ে খোশমেজাজেই ছিলেন তিনি। কোথায় কেমন ভোট হচ্ছে, দিনভর সেই তথ্য নিজের নখদর্পণে রেখেছিলেন তিনি। এবারও ভোটের আগে থেকেই অনুব্রতকে নজরবন্দি করল কমিশন। যদিও কমিশনের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিচলিত নন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি। তাঁর কথায়, এটা তো কমিশনের রুটিন কাজ। প্রতিবারই করে। তবু খেলা হবে। ভয়ঙ্কর খেলা হবে। প্রয়োজনে সিআরপিএফের পায়ে বল দিয়ে দেব, ওঁরা খেলবে। কমিশনের বিরুদ্ধে আদালতে যাবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছিলেন, এবার অনুব্রতর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ হলে ও আদালতে যাবে। এদিন নেত্রীর কথা মনে করিয়ে অনুব্রত বলেন, আমি এবার কমিশনের বিরুদ্ধে আদালতে যাব।প্রসঙ্গত, এবার কমিশনের কড়া নজরে রয়েছে বীরভূম। ভোটের সময় জেলার পুলিশ সুপার করে পাঠানো হয়েছে নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠীকে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, ভোটের দিন কয়েক আগেই তৃণমূল নেতা অনুব্রতকে নোটিস পাঠিয়েছিল আয়কর দপ্তর। এমনকী, গোরুপাচার মামলায় তাঁকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সিবিআইও। যদিও কোভিড পরিস্থিতির দোহাই দিয়ে হাজিরা এড়িয়েছেন তিনি। এর পরই প্রকাশ্যে এল নির্বাচন কমিশনের এই নির্দেশিকা।

এপ্রিল ২৭, ২০২১
রাজ্য

দেশে ফিরতে না পেরে পেট্রাপোলে বিক্ষোভ বাংলাদেশি নাগরিকদের

পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই আচমকা বন্ধ ভারত-বাংলাদেশ পেট্রাপোল সীমান্ত। বন্ধ যাত্রী পারাপার। আর এর ফলে দিনভর পেট্রাপোল সীমান্তে আটকে পড়লেন কয়েকশো বাংলাদেশি নাগরিক। শেষপর্যন্ত দেশে ফিরতে না পেরে অবশেষে বিক্ষোভের পথ বেছে নিলেন মেডিক্যাল ভিসায় বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসা ওই যাত্রীরা৷ সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে পেট্রাপোল সীমান্ত চলছে বাংলাদেশি নাগরিকদের এই বিক্ষোভ।করোনার সংক্রমণ দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় সোমবার থেকে ভারত-বাংলাদেশ যাত্রী পারাপার বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ সরকার। ২৬ এপ্রিল থেকে ৯ মে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে যাত্রী পারাপার। সোমবার থেকে সেই নির্দেশ লাগু হয়েছে। পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই এই সিদ্ধান্ত হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন দুপারের যাত্রীরাই। ভারতে চিকিৎসা করতে এসে আটকে পড়েছেন কয়েকশো রোগী ও তাঁদের আত্মীয়রা৷ দেশে ফেরার জন্য সোমবার সকাল থেকে পেট্রাপোল বন্দরে এসেছিলেন কয়েকশো বাংলাদেশি নাগরিক। কিন্তু বর্ডার বন্ধ। তাঁরা দেশে ফিরতে পারলেন না। দিনভর অনেক অনুনয় বিনয় করেও কোনও ফল হয়নি। অবশেষে সন্ধের পর থেকে বাংলাদেশি যাত্রীরা পেট্রাপোল সীমান্তে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন। বিক্ষোভকারী বাংলাদেশি নাগরিকদের অনেকেরই সোমবার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়েছে। খরচ চালানোর মতো টাকাও তাঁদের হাতে নেই। তাই তাঁরা দেশে ফেরার জন্য বিক্ষোভ শুরু করেছেন। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে কয়েকজন রোগী ও স্কুলপড়ুয়া রয়েছেন বলে খবর।বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, ভিসার মেয়াদ শেষ। হাতে প্রয়োজনীয় টাকাও নেই। দেশে ফিরতে না পারলে এপারে না খেয়ে মরতে হবে। বাংলাদেশের কুষ্টিয়া থেকে চিকিৎসা করাতে ভারতে এসেছিলেন স্বপন কুমার বিশ্বাস। তিনি বলেন পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই আচমকা বাংলাদেশ সরকার যাত্রী পারাপারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করায় বিপাকে পড়েছি আমরা। এভাবে না খেয়ে মৃত্যুর থেকে জোর করে বাংলাদেশে ঢুকতে গিয়ে গুলি খেয়ে মরব। সংবাদমাধ্যমকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন ক্যান্সার আক্রান্ত মহিলার করিমুন্নেসাI তিনি বলেন, টাকাও শেষ হয়েছে। দেশে ফিরতে পারছি না। এখন কি করব। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাঁদের দেশে ফেরানোর আবেদন জানালেন নড়াইলের স্কুলছাত্রী রিয়া মণ্ডল। তিনি ভারতে অপারেশন করতে এসেছিলেন। পেট্রাপোল সীমান্তে অভিবাসন দপ্তরের আধিকারিক তরুণ বিশ্বাস জানান, বাংলাদেশ সরকার যাত্রী পারাপারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তাই বর্ডারের গেট বন্ধ আছে। যাঁরা বাংলাদেশ হাইকমিশনার থেকে এনওসি আনছেন। কেবল তাঁরাই বাংলাদেশের ফিরতে পারবেন।

এপ্রিল ২৭, ২০২১
রাজ্য

২ মে-র বিজয় মিছিলে নিষেধাজ্ঞা কমিশনের

দেশজুড়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। মহামারি আবহে দেশের পাঁচ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এহেন পরিস্থিতিতে ২ মে ফল ঘোষণার পর বিজয় মিছিলে নিষেধাজ্ঞা জারি করল নির্বাচন কমিশন।২ মে কেরল, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ, অসম ও পুদুচেরি বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হবে। সেক্ষেত্রে করোনা আবহেও বিজয়ী রাজনৈতিক দলগুলি যে জয়ের উল্লাসে হাজার হাজার সমর্থকদের নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়বে সেই আশঙ্কা ছিল। তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে এবার কড়া পদক্ষেপ করল কমিশন। সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ২ মে ভোটগণনার সময় ও পরে কোনও বিজয় মিছিল করা যাবে না। প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে আট দফায় বিধানসভা ভোট করানো নিয়ে গোড়া থেকেই প্রশ্নের মুখে পড়েছিল কমিশন। আগামী ২৯ এপ্রিল বাংলায় অষ্টম অর্থাৎ শেষ দফার ভোট। কিন্তু সংক্রমণের গ্রাফ বিপজ্জনকভাবে ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় প্রার্থীদের প্রচারে কাটছাঁট করেছে নির্বাচন কমিশন।উল্লেখ্য, করোনাকালে দেশে ভোটগ্রহণ চলছে। আর সেই সময়ে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে সোমবার তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে মাদ্রাজ হাইকোর্ট। কমিশনকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন মাদ্রাজ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, মহামারির দিকে নজর রেখে যথাযথ পদক্ষেপ না করলে গণনা বন্ধ করতে বাধ্য হবে আদালত। এছাড়া, কমিশনের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি। ফলে রীতিমতো চাপ বেড়েছে কমিশনের উপর। আর তার ফলেই এবার বিজয় মিছিলে রাশ টানা হয়েছে বলেই মত বিশ্লেষকদের।

এপ্রিল ২৭, ২০২১
রাজ্য

২ মে-র বিজয় মিছিলে নিষেধাজ্ঞা কমিশনের

দেশজুড়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। মহামারি আবহে দেশের পাঁচ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এহেন পরিস্থিতিতে ২ মে ফল ঘোষণার পর বিজয় মিছিলে নিষেধাজ্ঞা জারি করল নির্বাচন কমিশন।২ মে কেরল, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ, অসম ও পুদুচেরি বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হবে। সেক্ষেত্রে করোনা আবহেও বিজয়ী রাজনৈতিক দলগুলি যে জয়ের উল্লাসে হাজার হাজার সমর্থকদের নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়বে সেই আশঙ্কা ছিল। তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে এবার কড়া পদক্ষেপ করল কমিশন। সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ২ মে ভোটগণনার সময় ও পরে কোনও বিজয় মিছিল করা যাবে না। প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে আট দফায় বিধানসভা ভোট করানো নিয়ে গোড়া থেকেই প্রশ্নের মুখে পড়েছিল কমিশন। আগামী ২৯ এপ্রিল বাংলায় অষ্টম অর্থাৎ শেষ দফার ভোট। কিন্তু সংক্রমণের গ্রাফ বিপজ্জনকভাবে ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় প্রার্থীদের প্রচারে কাটছাঁট করেছে নির্বাচন কমিশন।উল্লেখ্য, করোনাকালে দেশে ভোটগ্রহণ চলছে। আর সেই সময়ে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে সোমবার তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে মাদ্রাজ হাইকোর্ট। কমিশনকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন মাদ্রাজ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, মহামারির দিকে নজর রেখে যথাযথ পদক্ষেপ না করলে গণনা বন্ধ করতে বাধ্য হবে আদালত। এছাড়া, কমিশনের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি। ফলে রীতিমতো চাপ বেড়েছে কমিশনের উপর। আর তার ফলেই এবার বিজয় মিছিলে রাশ টানা হয়েছে বলেই মত বিশ্লেষকদের।

এপ্রিল ২৭, ২০২১
দেশ

'এতদিন অন্য গ্রহে ছিলেন?', কমিশনকে তীব্র ভর্ৎসনা মাদ্রাজ হাইকোর্টের

করোনাকালে ভোট। আর সেই সময়ে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ মাদ্রাজ হাইকোর্ট। সোমবার কমিশনকে তীব্র ভর্ৎসনা করলেন মাদ্রাজ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, মহামারির দিকে নজর রেখে যথাযথ পদক্ষেপ না করলে গণনা বন্ধ করতে বাধ্য হবে আদালত। এছাড়া, কমিশনের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি।দেশজুড়ে আছড়ে পড়েছে করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ। দেশে মৃতের সংখ্যা প্রায় ১ লক্ষ ৯৫ হাজার। প্রতিদিনই নয়া নজির গড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। দৈনিক সংক্রমণ সাড়ে তিন লক্ষের গণ্ডি ছাপিয়ে গিয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে দেশের চারটি রাজ্যে ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে অনুষ্ঠিত হয় বিধানসভা নির্বাচন। অসম, তামিলনাড়ু, কেরল, পুদুচেরিতে গত ৬ এপ্রিল নির্বাচন শেষ হলেও পশ্চিমবঙ্গে আটদফা ভোট চলছে। এহেন পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক মিছিলে তুমুল জনসমাগম থেকেই সংক্রমণের মাত্রা বিপজ্জনকভাবে বেড়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এহেন পরিস্থিতিতে, নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করে মাদ্রাজ হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য মূলত নির্বাচন কমিশন দায়ী। নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা করা উচিত। যখন রাজনৈতিক মিছিল হচ্ছিল তখন কি অন্য গ্রহে ছিল কমিশন। করোনা বিধি মেনে ভোটগণনা কীভাবে হবে, তা নিয়ে কমিশনে প্রশ্ন করেন প্রধান বিচারপতি।তাঁর সাফ কথা, করোনা বিধি মেনে পদক্ষেপ করা না হলে গণনা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবে আদালত। এদিকে, আদালতের পর্যবেক্ষণকে সমর্থন জানিয়ে করোনা সংক্রমণের জন্য নির্বাচন কমিশনকে দায়ী করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, এর আগে করোনা বিধি লঙ্ঘন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের সমালোচনার মুখে পড়ে নির্বাচন কমিশন। গত বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিবি রাধাকৃষ্ণণ জানিয়েছিলেন, মহামারি পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র সার্কুলার দিয়ে জনগণকে সতর্ক করে দায় ঝেড়ে ফেলতে পারে না কমিশন। আদালতের মতে, নিজেদের ক্ষমতার সঠিক ব্যবহার করেনি কমিশন। এ প্রসঙ্গে আদালত আরও বলে, নির্বাচন কমিশন অসীম ক্ষমতার অধিকারী।কিন্তু কার্যক্ষেত্রে সেই ক্ষমতা প্রয়োগ করা হয়নি। কমিশনের আধিকারিক ও কুইক রেসপন্স টিমকে কাজে লাগানো হচ্ছে না।

এপ্রিল ২৬, ২০২১
দেশ

'এতদিন অন্য গ্রহে ছিলেন?', কমিশনকে তীব্র ভর্ৎসনা মাদ্রাজ হাইকোর্টের

করোনাকালে ভোট। আর সেই সময়ে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ মাদ্রাজ হাইকোর্ট। সোমবার কমিশনকে তীব্র ভর্ৎসনা করলেন মাদ্রাজ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, মহামারির দিকে নজর রেখে যথাযথ পদক্ষেপ না করলে গণনা বন্ধ করতে বাধ্য হবে আদালত। এছাড়া, কমিশনের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি।দেশজুড়ে আছড়ে পড়েছে করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ। দেশে মৃতের সংখ্যা প্রায় ১ লক্ষ ৯৫ হাজার। প্রতিদিনই নয়া নজির গড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। দৈনিক সংক্রমণ সাড়ে তিন লক্ষের গণ্ডি ছাপিয়ে গিয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে দেশের চারটি রাজ্যে ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে অনুষ্ঠিত হয় বিধানসভা নির্বাচন। অসম, তামিলনাড়ু, কেরল, পুদুচেরিতে গত ৬ এপ্রিল নির্বাচন শেষ হলেও পশ্চিমবঙ্গে আটদফা ভোট চলছে। এহেন পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক মিছিলে তুমুল জনসমাগম থেকেই সংক্রমণের মাত্রা বিপজ্জনকভাবে বেড়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এহেন পরিস্থিতিতে, নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করে মাদ্রাজ হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য মূলত নির্বাচন কমিশন দায়ী। নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা করা উচিত। যখন রাজনৈতিক মিছিল হচ্ছিল তখন কি অন্য গ্রহে ছিল কমিশন। করোনা বিধি মেনে ভোটগণনা কীভাবে হবে, তা নিয়ে কমিশনে প্রশ্ন করেন প্রধান বিচারপতি।তাঁর সাফ কথা, করোনা বিধি মেনে পদক্ষেপ করা না হলে গণনা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবে আদালত। এদিকে, আদালতের পর্যবেক্ষণকে সমর্থন জানিয়ে করোনা সংক্রমণের জন্য নির্বাচন কমিশনকে দায়ী করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, এর আগে করোনা বিধি লঙ্ঘন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের সমালোচনার মুখে পড়ে নির্বাচন কমিশন। গত বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিবি রাধাকৃষ্ণণ জানিয়েছিলেন, মহামারি পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র সার্কুলার দিয়ে জনগণকে সতর্ক করে দায় ঝেড়ে ফেলতে পারে না কমিশন। আদালতের মতে, নিজেদের ক্ষমতার সঠিক ব্যবহার করেনি কমিশন। এ প্রসঙ্গে আদালত আরও বলে, নির্বাচন কমিশন অসীম ক্ষমতার অধিকারী।কিন্তু কার্যক্ষেত্রে সেই ক্ষমতা প্রয়োগ করা হয়নি। কমিশনের আধিকারিক ও কুইক রেসপন্স টিমকে কাজে লাগানো হচ্ছে না।

এপ্রিল ২৬, ২০২১
দেশ

'এতদিন অন্য গ্রহে ছিলেন?', কমিশনকে তীব্র ভর্ৎসনা মাদ্রাজ হাইকোর্টের

করোনাকালে ভোট। আর সেই সময়ে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ মাদ্রাজ হাইকোর্ট। সোমবার কমিশনকে তীব্র ভর্ৎসনা করলেন মাদ্রাজ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, মহামারির দিকে নজর রেখে যথাযথ পদক্ষেপ না করলে গণনা বন্ধ করতে বাধ্য হবে আদালত। এছাড়া, কমিশনের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি।দেশজুড়ে আছড়ে পড়েছে করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ। দেশে মৃতের সংখ্যা প্রায় ১ লক্ষ ৯৫ হাজার। প্রতিদিনই নয়া নজির গড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। দৈনিক সংক্রমণ সাড়ে তিন লক্ষের গণ্ডি ছাপিয়ে গিয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে দেশের চারটি রাজ্যে ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে অনুষ্ঠিত হয় বিধানসভা নির্বাচন। অসম, তামিলনাড়ু, কেরল, পুদুচেরিতে গত ৬ এপ্রিল নির্বাচন শেষ হলেও পশ্চিমবঙ্গে আটদফা ভোট চলছে। এহেন পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক মিছিলে তুমুল জনসমাগম থেকেই সংক্রমণের মাত্রা বিপজ্জনকভাবে বেড়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এহেন পরিস্থিতিতে, নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করে মাদ্রাজ হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য মূলত নির্বাচন কমিশন দায়ী। নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা করা উচিত। যখন রাজনৈতিক মিছিল হচ্ছিল তখন কি অন্য গ্রহে ছিল কমিশন। করোনা বিধি মেনে ভোটগণনা কীভাবে হবে, তা নিয়ে কমিশনে প্রশ্ন করেন প্রধান বিচারপতি।তাঁর সাফ কথা, করোনা বিধি মেনে পদক্ষেপ করা না হলে গণনা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবে আদালত। এদিকে, আদালতের পর্যবেক্ষণকে সমর্থন জানিয়ে করোনা সংক্রমণের জন্য নির্বাচন কমিশনকে দায়ী করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, এর আগে করোনা বিধি লঙ্ঘন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের সমালোচনার মুখে পড়ে নির্বাচন কমিশন। গত বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিবি রাধাকৃষ্ণণ জানিয়েছিলেন, মহামারি পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র সার্কুলার দিয়ে জনগণকে সতর্ক করে দায় ঝেড়ে ফেলতে পারে না কমিশন। আদালতের মতে, নিজেদের ক্ষমতার সঠিক ব্যবহার করেনি কমিশন। এ প্রসঙ্গে আদালত আরও বলে, নির্বাচন কমিশন অসীম ক্ষমতার অধিকারী।কিন্তু কার্যক্ষেত্রে সেই ক্ষমতা প্রয়োগ করা হয়নি। কমিশনের আধিকারিক ও কুইক রেসপন্স টিমকে কাজে লাগানো হচ্ছে না।

এপ্রিল ২৬, ২০২১
দেশ

আগামী দিনেও বিনামূল্যে টিকা, আশ্বস্ত করলেন মোদি

কোভিড আতঙ্কে কাঁপছে গোটা দেশ। এমন পরিস্থিতিতে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । লকডাউন নিয়ে দেশবাসীকে আশ্বস্ত করেছেন তিনি। এবার রবিবার মন কি বাত অনুষ্ঠানেও দেশবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। বললেন সচেতন থাকুন। কুর্নিশ জানালেন করোনাযোদ্ধাদের সংগ্রামকে। আশ্বাস দিলেন বিনামূল্যে টিকাকরণ নিয়েও।এদিনের মন কি বাতে প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস, করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করার একমাত্র উপায় টিকাকরণ। ইতিমধ্যে দেশজুড়ে বিনামূল্যে টিকা দিচ্ছে কেন্দ্র সরকার। রাজ্যগুলিকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন পাঠানো হয়েছে। সেই টিকা পেয়েছেন ৪৫ ঊর্ধ্বরা। আগামী দিনেও এই কেন্দ্রীয় প্রকল্প চলবে। পাশাপাশি তিনি আরও জানান, এবার বেসরকারি সংস্থাগুলিও তাদের কর্মীদের টিকাকরণের ব্যবস্থা করতে পারবে।আরও একবার মনে করিয়ে দেন, ১ মে থেকে ১৮ ঊর্ধ্বে সকলেই টিকা পাবেন। একইসঙ্গে টিকাকরণ সংক্রান্ত গুজব থেকে দূরে থাকারও পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কথায়, করোনা মানুষের ধৈর্যের পরীক্ষা নিচ্ছে। তাই সহজে হেরে গেলে চলবে না। কোভিডের প্রথম ধাক্কা সফলভাবেই সামাল দিয়েছিল দেশ। যার জন্য দেশবাসীর আত্মবিশ্বাস বেড়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয় ধাক্কা দেশকে কাঁপিয়ে দিয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করেছি আমি। করোনা যোদ্ধাদের সংগ্রামকে কুর্নিশ জানাতে এদিন বিভিন্ন রাজ্যের চিকিৎসক, নার্স, অ্যাম্বুল্যান্স চালকদের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। দেশবাসীর তরফ থেকে তাঁদের ধন্যবাদও জানান তিনি।

এপ্রিল ২৫, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 28
  • 29
  • 30
  • 31
  • 32
  • 33
  • 34
  • ...
  • 41
  • 42
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

লালগোলা রাজবাড়ির ঐতিহাসিক রথযাত্রা, রাস্তায় মানুষের ঢল

সীমন্তের গঞ্জ শহর লালগোলা রাজবাড়ির রথযাত্রা উৎসবকে কেন্দ্র করে জেলার মানুষের বড় উন্মাদনা। ফলে রাজবাড়ির রথের রশি টানতে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজির হন সাধারন মানুষ থেকে ভক্তগন। নিয়ম মেনে রাজবাড়ির জগন্নাথ মন্দিরে পুজাপাঠের মধ্য দিয়ে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে রথ বাজারে মাসির বাড়ি পৌঁছয় জগন্নাথ দেব। সেই সঙ্গে রাজ বাড়ির রথকে ঘিরে বাসিন্দাদের উচ্ছ্বাস পরিনত হল সম্প্রীতির মহোৎসবে। রাজপরিবার সুত্রে জানা যায়, পুরীর আদলে পেতলের পাত দিয়ে মোড়া প্রায় ৪০ ফিট উচ্চতার ৬ চাকার এই রথটি ১৮৪০ সালে তৈরি করান লালগোলার মহারাজা মহেশ নারায়ণ রায়। অবশ্য এর আগে ১৮২৩ সালেও লালগোলায় একটি কাঠের রথ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল বলে জানা যায়। লালগোলা রাজ পরিবারের কূল দেবতা দধিমানব দেব। এই দেবতাকেই রথের দিন জগন্নাথ দেব হিসেবে পুজা করা হয়। রথের দিন তাঁকে রথ বাজারে মাসির বাড়ি নিয়ে আসা হয়, সেখানে বিধি মেনে সাত দিন পুজা করার পর উল্টো রথের দিন ফের রাজ বাড়ির জগন্নাথ মন্দিরে নিয়ে যাওয়ায় রীতি। রথ উপলক্ষ্যে বেশ কয়েক দিন মেলা বসে রাজ বাড়ি প্রাঙ্গনে। সাকার্স রথমেলার অন্যতম প্রধান আকর্ষণ। শিশু কিশোরদের জন্য বসে হরেক কিসিমের নাগরদোলা। মহিলাদর জন্য সংসারের টুকিটাকি থেকে আধুনিক রেস্তোরাঁ। যেখানে পাওয়া যায় ভিন রাজ্যের খাবারের হরেক পদ। লালগোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য অজয় ঘোষ বলেন , লালগোলার রথের ঐতিহ্য বাংলা জুড়ে। ফলে মানুষ এই দিনের অপেক্ষায় থাকেন।রথের কদিন শ্বশুর বাড়ি থেকে ছেলে মেয়েদের নিয়ে বাপের বাড়ি লালগোলাতে ফেরেন বিবাহিত মহিলারা। এখানেই লালগোলার রথের বিশেষ মাহাত্ম্য। এদিকে রথের দঁড়িতে টান দিতে অন্যান্যদের সঙ্গে সমবেত হন সারজামান শেখ, সাহিল শেখ, ফিরোজ হোসেনদের মতো অনেকেই। তাদের দাবি, রাজ বাড়ির রথের সঙ্গে এলাকার মানুষের শেকড়ের সম্পর্ক। এখানে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে থেকেও বড় হয়ে ওঠে ভাবের আদান প্রদান,সম্প্রদায়ের মেল বন্ধন। তাছাড়া রথের মেলা কে ঘিরে এলাকার ছোট বড় সব মানুষ মেতে ওঠেন সমান ভাবে। লালগোলা রাজবাড়ির রথের পাশাপাশি জিয়াগঞ্জের সাদক বাগ আঁকড়ার বৈষ্ণবীয় রথ কে ঘিরে জেলার মানুষের সমাগম লক্ষ্য করা যায়। নশিপুর রাজবাড়ির রথের ঐতিহ্য বেশ প্রাচীন। রথের মেলায় রকমারি ফুল ও ফলের গাছ পাওয়া যায়। ফলে গাছ প্রেমী মানুষের আকর্ষণ রয়েছে নশিপুর রাজবাড়ি মেলার প্রতি।

জুন ২৭, ২০২৫
কলকাতা

কলকাতার 'ল কলেজে ধর্ষণের গুরুতর অভিযোগ, গ্রেফতার ৩, তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি

কসবা ল কলেজের ক্যাম্পাসের ভিতরে এক আইনের ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের ছাত্র নেতা মনজিৎ মিশ্র সহ অন্যান্য দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অন্য অভিযুক্ত জাইব আহমেদ ও প্রমিত মুখার্জি। মনজিৎ মিশ্র ওই ল কলেজের প্রাক্তনী এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা ছিল এবং বাকি দুজন সেখানকার পড়ুয়া। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটানো হয় ২৫ জুন, বুধবার রাতে কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যেই। শুধু ধর্ষণই নয়, ধর্ষিতার মুখ বন্ধ রাখতে ভিডিও রেকর্ডিং করে ভয় দেখায় অভিযোগকারীরা। পরবর্তীতে ধর্ষিতা যাতে অভিযোগ না জানান, তার জন্যও নানাভাবে চাপ দেওয়া হয় এবং অভিযোগের এফআইআর কপিতে অভিযুক্তদের নাম দেওয়ার বদলে তাদের নামের আদ্যক্ষর দিয়ে অভিযোগ লেখা হয়। এমন ঘটনা বোধহয় কেবলমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই ঘটা সম্ভব। ভারতীয় জনতা পার্টি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায় এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে। বিজেপির দাবি, কসবার গণধর্ষণের ঘটনা কোনও বিচ্ছিন্ন অপরাধের ঘটনা নয়, এটি অভয়া ধর্ষণ কান্ডের পর এই রাজ্যের নারী নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলার ব্যর্থতার আবারও এক জলজ্যান্ত উদাহরণ।এই বিষয়ে রাজ্য সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ড. সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধকে ছোটখাটো বলে উপেক্ষা করেন, যা রাজ্যে এই ধরনের অপরাধ বৃদ্ধির জন্য দায়ী। তাঁর এই মনোভাব পুলিশ প্রশাসনকেও প্রভাবিত করে, যার ফলে অপরাধীরা নির্ভয়ে এই ধরনের কাজ করে। রাজ্যে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, কলকাতার মতো শহরে, যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর নিজের কার্যালয় রয়েছে, সেখানে এই ধরনের ঘটনা ঘটলে সাধারণ মানুষ কীভাবে নিরাপদ বোধ করবে?২০২৪ সালে আরজি কর মেডিকেল কলেজের এক নারী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার পর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি উঠেছিল। রাজ্য সভাপতি সেই ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, আরজি করের ঘটনায়ও মুখ্যমন্ত্রী পুলিশকে নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন। এখনও তিনি একই ভুল করছেন।পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ প্রশাসন মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি অতিরিক্ত আনুগত্য দেখায়, যার ফলে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। তিনি বলেন, পুলিশের কাজ অপরাধীদের ধরা, কিন্তু তারা শাসক দলের নেতাদের সুরক্ষা দিতে ব্যস্ত।এই বিষয়ে বিরোধী দলনেতা শ্রী শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এই ঘটনা শুধুমাত্র একটি অপরাধ নয়, এটি তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের নেতাদের দ্বারা শিক্ষাঙ্গনকে কলুষিত করার একটি জ্বলন্ত প্রমাণ। তৃণমূলের ছাত্র নেতারা বারবার তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভয় ও অরাজকতার পরিবেশ তৈরি করছে। তিনি আরও বলেন, ঘটনার জন্য পুলিশ দায়ী । মনোজ ভার্মা থেকে শুরু করে বিনীত গোয়েল এবং বাকি সব পুলিশ দিঘায় রয়েছে । পুরো কলকাতা পুলিশকে নিয়ে চলে গিয়েছে ওখানে। দিঘায় তো লোকই হয়নি৷ তাই জামা খুলিয়ে পুলিশকে দিয়ে হাঁটাবে। এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে থাকার যোগ্যতা নেই। বিজেপি এই বিষয়টা নিয়ে লড়বে। খুব বড় পদক্ষেপ করা হবে। সুপ্রিম কোর্টের এই সরকারকে উচিত শাস্তি দেওয়া উচিত।এদিনের ঘটনার প্রতিবাদে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন বিজেপির বিধায়ক এবং সাধারণ সম্পাদিকা শ্রীমতী অগ্নিমিত্রা পা ৷ তিনি বলেন, শিউরে ওঠার মতো ঘটনা। অভয়ার ঘটনার পরে দশ মাসও কাটেনি আজকে আরেক অভয়া বোনের গণধর্ষণ হয়ে গেল। এই ঘটনা ঘটেছে বুধবার।এদিকে তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে দলীয় নেতৃত্ব ল কলেজের ঘটনাকে ঘৃণ্য ঘটনা বলে উল্লেখ করেছে। অপরাধীদের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, অভিযুক্তরা কেউ তৃণমূল কংগ্রেস বা টিএমসিপির নেতৃত্বে নেই। দলের সঙ্গে এখন তাদের কোন সম্পর্ক নেই। আর অভিযুক্তদের সঙ্গে নেতাদের ছবি প্রসঙ্গে তৃমূলের দাবি, বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বহু অপরাধীদের ছবি দেখা গিয়েছে।

জুন ২৭, ২০২৫
রাজ্য

রথযাত্রা ও জিলিপি বাংলার সংস্কৃতির একটি মিষ্টি সংযোগ

রথ দেখতে গিয়ে কলা না বেচলেও জিলিপি খাননা এরকম মানুষ মেলা ভার। রথযাত্রা ও জিলিপির সম্পর্কটি বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির একটি মিষ্টি সংযোগ। বিশেষত পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশায়, রথযাত্রা মানেই একটি উৎসব, আর এই উৎসবের অনিবার্য অংশ হচ্ছে জিলিপি।কেন রথযাত্রায় জিলিপি খাওয়ার রেওয়াজ?ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি: জিলিপি একটি বহু পুরনো ও জনপ্রিয় ভারতীয় মিষ্টান্ন। রথযাত্রা উপলক্ষে ভোগ ও প্রসাদে মিষ্টির ব্যবহার প্রচলিত, এবং জিলিপি তার মধ্যে একটি প্রধান আইটেম।উৎসবের আনন্দে শামিল হওয়া: রথযাত্রার দিন সকালে বা রথ টানার পর জিলিপি খাওয়ার প্রথা বহু জায়গায় প্রচলিত। এটি যেন রথের আনন্দকে আরও বাড়িয়ে তোলে।জাগন্নাথদেবের ভোগ: ওড়িশার পুরীতে রথযাত্রার সময় জগন্নাথদেবের জন্য যে ৫৬ ভোগ দেওয়া হয়, তাতে নানা রকমের মিষ্টির মধ্যে জিলিপির মতো মিষ্টিও থাকে (যদিও সেখানে জিলিপিকে স্থানীয়ভাবে অন্য নামে ডাকা হতে পারে)।লোকাচার ও বাজার সংস্কৃতি: বাংলার বিভিন্ন মেলাতে যেমন রথের মেলা হয়, সেখানে জিলিপি ও অন্যান্য মিষ্টি খাবার বিক্রি হয় ব্যাপকভাবে। এটি এক ধরনের লোকাচার হয়ে দাঁড়িয়েছে রথ মানেই জিলিপি!রথ ও জিলিপির সম্পর্ক হলো উৎসব, ভক্তি ও ঐতিহ্যের এক অপূর্ব মেলবন্ধন। রথ টানার পর একগাদা গরম জিলিপি খাওয়ার আনন্দ বাঙালির হৃদয়ে বিশেষভাবে গেঁথে আছে।

জুন ২৭, ২০২৫
রাজ্য

শিশুর মাদকাশক্তি! উদ্ধারের উপায়? আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবসে আলোচনা সভা বর্ধমানের স্কুলের

প্রতি বছর ২৬ জুন আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী ও অবৈধ পাচার প্রতিরোধ দিবস পালিত হয়। এই বিশেষ দিনটি আমাদের স্মরণ করায় মাদক ব্যবহারের ফলে কি ক্ষতি হতে পারে এবং এবং অবৈধ মাদক পাচারের জন্য স্মাজের কি সমস্যা হয়। মাদক শরীর, মন এবং ভবিষ্যতকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। মাদক সেবনের ফলে যেরকম শরীরের ক্ষতি হয় ঠিক সেইভাবে মাদক সেবন একটি মানুষকে সমাজের মুল স্রোত থেকে দুরে ঠেলে সরিয়ে দিয়ে একাকী করে তুলতে পারে। মাদক সেবন মানুষকে অসুস্থ করে তোলে এবং সুখী জীবন যাপন করতে বাধা দেয়।একজন শিক্ষার্থী হিসেবে মাদক থেকে দূরে থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই মাদকের বিরুদ্ধে না বলতে হবে এবং বন্ধুদেরও মাদক থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করতে হবে। আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী উপলক্ষে আজ সিএসআর বক্স থেকে কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ে এসেছিলেন শ্রেয়া বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বয়ঃসন্ধির সময় ছাত্রছাত্রীরা প্রধানত বিদ্যালয়ে কিরকম সমস্যার মধ্যে পড়ে এবং কিভাবে তার সমাধান করা উচিত সে বিষয়ে বিসদে আলোচনা করলেন। শ্রেণিকক্ষে তথা বন্ধুবৃত্তে নানা মানসিকতার পড়ুয়া থাকে, কেউ কেউ বেশি বয়সেরও হয়। তারা নেশার মতো নানারকম ক্ষতিকর অভ্যাসের দিকে অন্যদের আকর্ষণ করে। সহপাঠীর কাছ থেকে খারাপ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাহলে উপায়?বক্তা মদ খাওয়ার বিভিন্ন ক্ষতি ব্যাখ্যা করেন - শারীরিক আর মানসিক স্তরে। এইরকম খারাপ বন্ধু যেন সীমা লঙ্ঘন না করে এটা আগে থেকে দেখা উচিত। তিনি বলেন, কেউ প্রতিরোধ না করতে পারলে তৎক্ষণাৎ তোমদের শিক্ষকদের এবিষয়ে জানানো উচিত। যদি কোনও শিশু জোরপূর্বক মাদকাসক্তির শিকার হন, তাহলে ১০৯৮ নম্বরে ফোন করে প্রথমে শিশু সুরক্ষার জন্য সহায়তা চাইতে পারে, এবং তারা তোমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করবে। ১০৯৮ নম্বরে নেশা নিয়ে সমস্যার বিষয়ে জানানো যায়। বা গুরুজনদের কাউকে অবশ্যই বলা উচিত।বর্ধমান শহরের কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক ড.সুভাষচন্দ্র দত্ত জনতার কথাকে জানান, এই জাতীয় প্রোগ্রাম আমরা সবসময়েই স্বাগত জানাই। সমাজে নেশার ক্রমবর্ধমান প্রকোপের দিকে তাকিয়ে তাদের রক্ষা করা আমাদের সবার কর্তব্য।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

অরিজিৎ সিং বর্ধমানে? শুটিংয়ের জায়গা খুঁজতে গেলেন বাংলা সিনেমার গ্রামে

মঙ্গলবার ঠিক সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ অরিজিৎ সিং এলেন পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের মৌখিড়া জমিদার বাড়ির কাছে। ঘুরে দেখলেন জেলার একমাত্র জঙ্গল মহলের কালিকাপুর রাজবাড়িও। ছবি তুললেন রাজবাড়ির পুরোহিত পিগলু ওরফে গোপাল চক্রবর্তীর সঙ্গে। তাকে নিরাপত্তাহীন জঙ্গলের বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরতে দেখে অবাক হন অনেকে। শোনা যায় সম্প্রতি অরিজিৎ সিং বোলপুরে এসেছেন এবার এলেন আউশগ্রামে হঠাৎই। জনপ্রিয় গায়ক অরিজিৎ সিং একটি নতুন ছবির শুটিংয়ের জন্য রেকি করতে এসেছেন বলে জানান চিত্রনাট্যকার, লেখক, আউশগ্রামের ভূমিপুত্র রাধামাধব মণ্ডল। তিনি আরও জানান, যে তিনি ইলামবাজার সংলগ্ন অঞ্চলে শুটিংয়ের জন্য বিভিন্ন জায়গা খুঁজছেন বেশ কয়েক দিন ধরেই। তাঁকে এদিন হঠাৎ করে আউশগ্রামের রাস্তায় দেখেই চমকে ওঠেন সকলে। যদিও তাঁর আশার বিষয়টি ছিল সম্পূর্ণ গোপনীয়।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

মুর্শিদাবাদের সীমান্ত এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশি গ্রেফতার

সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশী যুবককে গ্রেপ্তার করলো রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে রঘুনাথগঞ্জের তেঘরি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম কাইয়ুম রেজা (২৪)এবং জাহির রহমান(৩৫)। উভয়ের বাড়ি বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ। বুধবার ধৃতদের জঙ্গিপুর আদালতে পাঠায় পুলিশ। যদিও কি উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছিল ধৃতরা কিংবা কিভাবেই বা পার হয়ে এসেছে তারা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশের পক্ষ থেকে। ধৃতদের পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয়ে চিকিৎসার জন্য ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণা, গ্রেফতার দুই

অভিনব কায়দায় ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করলো বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে কয়েকজন পরিচিতের নাম বলে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার নিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছর নভেম্বর মাসের ২ তারিখে পেট্রাপোল থানার পুরাতন বনগাঁ এলাকার বাসিন্দা অমিত হালদার বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানিয়ে বলেন, অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে তার কয়েকজন পরিচিতের সুপারিশ নিয়ে তাকে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার দিতে বলেন। ঐ ব্যক্তি ফোন মারফত বলেন, তিনি ভারতে চিকিৎসা করাতে আসবেন তার জন্য টাকা প্রয়োজন এবং তাকে ধার দিতে অনুরোধ করেন, আশ্বাস দেন টাকা ফেরত দিয়ে দেবেন। অমিত বাবু তার কথায় তাকে ২১ লক্ষ টাকা ধার দেন এবং পরবর্তীতে প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অমিত বাবুর অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নেমে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত দুই প্রতারক প্রানতোষ বনিককে শিলিগুড়ি থেকে এবং বিকাশ তামাংকে দার্জিলিং এর মিরিক থেকে গতকাল গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের বুধবার ৬ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়ে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করেছে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে পুলিশ জানতে চায় এই প্রতারনার পিছনে আর কারা কারা জড়িত এবং এই প্রতারনার জাল কতদূর ছড়িয়েছে।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

পর্যটনে জোর, পূর্ব বর্ধমান জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলি তুলে ধরতে শিবির

পর্যটন শিল্পকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে একাধিক উদ্যোগ নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করতে আধুনিক পরিকাঠামো, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রচারে ঢালাও জোর দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে শুধু রাজস্ব বৃদ্ধিই নয়, বাড়ছে স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগও। রাজ্য সরকারের সাথে সাথে জেলা প্রশাসন ও নানা উদ্যোগ নিচ্ছে পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে।পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন দুদিনের প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করল। বৃহস্পতি ও শুক্রবার জেলার সদরে নিউ কালেক্টর বিল্ডিংর রাসবিহারী সভাকক্ষে এই শিবিরে যোগ দেন পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমান পর্যটন আধিকারিক ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা। বাংলার পর্যটন মানচিত্রে অবিভক্ত বর্ধমানের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলির প্রচার ও প্রসার করতেই এই আয়োজন বলে জানানো হয়। শিবিরে যোগদান করেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যটন বিভাগের অধ্যাপক মীর আব্দুল শফিক, দিলীপকুমার দাস, পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং (আইএএস)।দুদিনের শিবিরে পর্যটন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ঘিরে সার্কিট ট্যুরিজমের পরিকল্পনা নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়। এছাড়াও বাঁকুড়া, বীরভুম, পশ্চিম বর্ধমান, নদীয়ার মত লাগোয়া জেলাগুলির পর্যটন কেন্দ্রগুলির সঙ্গেও পূর্ব বর্ধমানকে কি ভাবে জোড়া যেতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়। পৌরানিক মত অনুযায়ী সারা দেশের যে সতীর ৫১টি বা ৫২টি মূল শক্তিপীঠের তালিকা পাওয়া যায় তাতে পূর্ব বর্ধমানের একাধিক শক্তিপীঠ আছে। এছাড়াও অম্বিকা কালনা ও বর্ধমান শহরে দুটি ১০৮ শিব মন্দির, বিজয় তোড়ণ (কার্জন গেট), শের আফগান, কুতুবুদ্দিন ও নুরজাহানের সমাধির মতো ঐতিহাসিক স্থানও রয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং বলেন, জেলায় এতিহাসিক গুরুত্বের অনেক পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। সেগুলি সংস্কারে উদ্যোগ করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদেরও পর্যটনে শিল্পে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্পে নতুন জোয়ার এনেছে রাজ্য সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগ। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পাহাড়, সমুদ্র, অরণ্য ও ঐতিহাসিক স্থানের আধুনিকীকরণ থেকে শুরু করে পরিবেশবান্ধব পর্যটনের উপরও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি রাজ্যের সংস্কৃতি, হস্তশিল্প এবং লোকসংগীতকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন জেলার পর্যটন শিল্পকে তুলে ধরতে ইতিমধ্যেই একটি ভিডিও তৈরি করেছে।রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন জানিয়েছেন, পর্যটন শুধু অর্থনীতির চাকা ঘোরায় না, এটি স্থানীয় সংস্কৃতি ও পরিচয়কে তুলে ধরার অন্যতম মাধ্যম। তাই আমরা একাধারে পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের যুক্ত করে পর্যটনের প্রসারে কাজ করছি।বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে গাইড প্রশিক্ষণ, হোমস্টে উন্নয়ন এবং পরিবেশবান্ধব পর্যটনের দিকে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। উত্তরবঙ্গ, সুন্দরবন, দার্জিলিং, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, বীরভুম সর্বত্র পর্যটনের নবজাগরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. শিবকালি গুপ্ত জনতার কথাকে জানান, পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সাহায্য করে। এটা যেমন কিছু মানুষের বিনোদন আবার বহু মানুষের জীবিকাতে বিরাট প্রভাব ফেলে। তিনি আরও জানান, আগে প্রত্যন্ত গ্রামে পর্যটক সেভাবে আসত না, এখন বহু বিদেশি পর্যটকও প্রত্যন্ত গ্রামে ভ্রমন করেন। তাঁরা হস্তশিল্প কিনছেন, খাবার খাচ্ছেন। সাথে গ্রামীন অর্থনীতিতে জোয়াড় আনতে সাহায্য করছেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের জেলায় পর্যটন অকর্ষনের অভাব নেই, জেলাকে ঘিরে আছে তিন তিনটে নদী (দামদর, ভাগীরথী, অজয়)। বিস্তীর্ন বনাঞ্চল, ঐতিহাসিক স্থাপত্য, হস্তশিল্প, লোকশিল্প। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের শম্ভুনাথ কলেজের ভুগোলের অধ্যাপক ড. কুনাল চক্রবর্তী বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে নানাবিধ প্রকল্প ঘোষনা করছে। রাজ্য সরকার Experience Bengal ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে। এতে বিভিন্ন সনামধন্য পর্যটন কেন্দ্রের সাথে সাথে বহু গ্রামীন পর্যটন কেন্দ্রেও মানুষের আনাগোনা বেড়েছে। তাঁর মতে পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তিনি বলেন, এই ধারা বজায় থাকলে আগামী পাঁচ বছরে বাংলার পর্যটন শিল্প দেশের অন্যতম বড় আয়ের উৎস হয়ে উঠবে।

জুন ২৫, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal