• ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, রবিবার ০১ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Narayanpur

রাজ্য

রক্তাক্ত স্ত্রী ও মেয়ের পাশে স্বামীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, বিরাট রহস্য!

শনিবার দুপুরে নারায়ণপুর থানার ১০০ গজের মধ্যে অবস্থিত এক বহুতল আবাসনের নীচতলা থেকে উদ্ধার মহিলার গলা কাটা দেহ ও এক ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, সাগর মুখার্জি নামে এক ব্যক্তি তার স্ত্রী রুপা মুখার্জিকে গলা কেটে খুন করার পর কন্যা সন্তানের গলা কাটে। এরপর নিজে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হন। স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আবাসনের থেকে নিচতলার ঘরের মধ্যে থেকে সাগর মুখার্জি নামে ওই ব্যক্তির ও তার স্ত্রী দেহ উদ্ধার করে। কন্যা সন্তান জীবিত থাকায় তাকে চিনারপার্ক সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।ঘটনাস্থলে স্থানীয় বিধায়ক তাপস চ্যাটার্জি ও বিধাননগরের কমিশনার সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা এসে পৌঁছেছেন। বিধায়ক জানান, সাগর মুখোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি নিজের স্ত্রীকে গলা কেটে খুন করেন এবং সন্তানেরও গলা কাটেন। এরপরেই ওই ব্যক্তি গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়ে থাকতে পারেন। সাগর মুখোপাধ্যায় নামে ঐ ব্যক্তিকে তিনি চেনেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সুখী পরিবার হিসেবেই তাঁরা দেখেছেন মুখোপাধ্যায় দম্পতিকে। সাগর মুখোপাধ্যায় পেশায় ওষুধ ব্যবসায়ী বলেই জানা যাচ্ছে।

ডিসেম্বর ৩০, ২০২৩
রাজ্য

নারায়ণপুর শুট আউটের ঘটনায় গ্রেফতার দুই, কেন গুলি চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা?

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নারায়ণপুর থানা এলাকায় শুটআউট কাণ্ডে মূল পাডাসহ দুজন গ্রেফতার হয়েছে। ধৃতের নাম সুজয় দাস (নারায়ণ পুর ) ও বিক্রম মাহাত (ইছাপুর )। আজ দুপুরে নারায়ণ পুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আগামীকাল তাঁদের ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হবে।গতকাল সন্ধ্যায় দেবজ্যোতি ঘোষ (টাক বাবাই ) প্যারোলে ছাড়া পেয়ে নারায়ণপুর থানায় হাজিরা দিয়ে বাড়ি যাওয়ার সময় নারায়ণপুর ফায়ার ব্রিগেড মোড়ের কাছে দুটি বাইকে করে চারজন যুবক এসে গাড়ি দাঁড় করিয়ে এলোপাথারি গুলি চালায়। সেই গুলিতে মৃত্যু হয় দেবজ্যোতি ঘোষ (টাক বাবাই)-এর। এরপরই পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে। শুরু হয় দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় দেবজ্যোতি ঘোষের গাড়ির চালোককে। এরপরই গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সুজয় দাস ও বিক্রম মাহাতকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করে খুনের কথা।জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে এই সুজয় এক সময় দেবজ্যোতির ঘনিষ্ট সাকরেদ ছিল। বিভিন্ন অসামাজিক কাজের টাকা পয়সা নিয়ে ঝামেলার কারণে আলাদা হয়ে যায়। তীব্র ক্ষোভ ছিল দেবজ্যোতির ওপর। দীর্ঘদিন ধরে খুন করার ছক কষছিল। নির্জন জায়গা খুঁজছিলো। সেই মত তারা দেবজ্যোতির ওপর নজর রাখছিল। তারা জানতে পারে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যে বেলায় নারায়ণপুর থানায় হাজিরা দিতে যাবে দেবজ্যোতি। এবং থানার কাছেই একটি নির্জন অন্ধকার জায়গা রয়েছে। সেই মত সেখানে গাড়ি পৌঁছতেই গাড়ি আটকায় সুজয়, বিক্রম ও সঙ্গে থাকা আরও দুজন। গাড়ি দাঁড়াতেই এলোপাথারি গুলি চালানো হয়।বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। সূত্রের খবর, গাড়ির চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে সুজয়ের নাম জানতে পারে। এর পরই নারায়ণপুর থানা এলাকা থেকে সুজয় ও বিক্রমকে আজ দুপুরে গ্রেফতার করা হয়। বাকি দুজনের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

জুলাই ২১, ২০২৩
রাজ্য

ভর সন্ধ্যায় নারায়ণপুরে ঝাঁকে ঝাঁকে গুলি, মৃত্যু এক

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নারায়ণপুরের ফায়ার স্টেশনের সামনে একাধিক গুলি চলার ঘটনা। সূত্রের খবর একাধিক বাইকে করে এসে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। অপর একটি গাড়িতে থাকা দেবজ্যোতি ঘোষকে লক্ষ্য কয়েক রাউন্ড গুলি করে তারা। সুত্রের খবর একাধিক গুলির আঘাত নিয়ে তাকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে ডাক্তাররা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।দেবজ্যোতি ঘোষ সাজাপ্রাপ্ত আসামী। প্যারোলে মুক্তি পেয়ে ফিরছিলেন তিনি। নিয়ম মত প্রতিদিন তাকে নারায়নপুর থানায় হাজিরা দিতে হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতে নারায়ণপুর থানায় হাজিরা দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। ঘটনাস্থলে বিধান নগর পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। গাড়ির মধ্যে পড়ে রয়েছে একটি গুলি।

জুলাই ২০, ২০২৩
নিবন্ধ

দুর্ঘটনায় স্বামীর অকালমৃত্যুর পর হারিয়ে গেল নবমীসন্ধ্যার এই আনন্দবাসর ছেড়

ওং নমো বিষ্ণু নমো বিষ্ণু নমো বিষ্ণু/নমো, অপবিত্র পবিত্রবা/ সর্বাবস্থা গতহপিবা/ যৎস্মরেৎ পুণ্ডরীকাক্ষং সবাহ্যাঃ অভ্যন্তরশুচি/ ওং নমো বিষ্ণু নমো বিষ্ণু নমো বিষ্ণু।হাতের তালুতে গঙ্গাজল নিয়ে মুখে ছিটিয়ে রোজকার মতো অঞ্জলি শুরু হলো আজও। দেহমন শুচি করে নিয়ে দেবতার উদ্দেশ্যে আত্মনিবেদন... তাঁর করুণা-আনুকূল্য প্রার্থনা... সচন্দনপুষ্পবিল্বপত্রাঞ্জলির আনুষ্ঠানিকতা--- সব নিয়েই সমাধা হলো মহানবমীর সকালের পুষ্পাঞ্জলি। হালকা রোদ... ফুরফুরে হাওয়া... নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলায় শরৎ আজ মনহারানো খুশী নিয়ে এসে হাজির। আজ মূল পুজো দুপুরে। আমাদের গ্রামের অপেক্ষাকৃত বড় (আকারে ও জনসংখ্যায়) বর্ণহিন্দুপাড়াটি গ্রামের পশ্চিমাংশে। আমরা তাকে ওপাড়া বলে থাকি। সেখানে একটি বারোয়ারীপুজো হয়, গ্রামের অধিষ্ঠাত্রীদেবী মা তারা-র মন্দিরের কাছেই। মহানবমীর দুপুরে ছাগবলী হয় সেখানে। এপাড়া ওপাড়ার পুজোর চার ঢাকী একযোগে দ্রিমিদ্রিমি বোল তোলে সেখানে, সঙ্গে জুটে যায় পুজোর সেরা নতুন পোশাকটি চাপিয়ে গাঁয়ের ছেলে-মেয়ে-বৌ-ঝি-তরুণ-যুবকের দল। মহাপূজার সবচেয়ে জমজমাটি সময় এই গ্রামে নবমীর দুপুরটিই--- অনেক দুমফটাস -ফিসফিস-খিলখিল-রহস্যময়ীহাসির ঝিলিক এর ভাঁজে ভাঁজে!বলি শেষ হতেই বাজনা বাজাতে বাজাতে সবাই হৈ হৈ করে চলে আসে এপাড়ায়। চাতোর-এ ততক্ষণে শুরু হয়ে গেছে আরতি। ভিড়ে ভিড়াক্কার পুজোতলা.. ঢাকঢোলকাঁসরঘণ্টায় কান ঝালাপালা... অনেকক্ষণ ধরে আরতি। চলে যায় ওপাড়ার মানুষরা... শুরু হয় হোম... সুকৌশলে ছোট ছোট কাঠের টুকরো পাঁজা করে সাজিয়ে অগ্নিসংযোগ... একটানা সুরেলা মন্ত্রোচ্চারণসহ ফুল-বেলপাতা-ঘৃতাহুতি... হোম-এর ফোঁটা... শান্তিজল...সকালে অঞ্জলির পর গুছিয়ে নাস্তা হোলো মুড়ি-ঘুগনি-বোঁদে-চা দিয়ে। ঢালা বিছানায় একটু গড়াগড়ি। বর্ধমান থেকে গাড়ি হাঁকিয়ে এসে গেল অনীক-চিত্রা-সুকন্যা-বাদশাদা। খানিক গল্পগুজব করে ঠাকুর প্রণাম সেরে সবাই মিলে রওনা দিলাম পাশের গ্রাম রতনপুর-এর উদ্দেশে।নারায়ণপুর থেকে মাত্র দুকি.মি. দূরে রতনপুর। বেশ বর্ধিষ্ণু এই গ্রামে আছে এক সাধুবাবার আশ্রম। এঅঞ্চলে প্রখ্যাত এই সাধুবাবার উল্লেখ আছে ভারতের সাধক-এও । বছরে ছমাস তিনি থাকতেন রতনপুরে , বাকি ছমাস বোলপুরের শ্রীনিকেতনে ওনার আরেক আশ্রমে। লোকে বলতো দুশো-র বেশী বয়স ওনার। খুব ছোটবেলায় একবার এসেছিলাম এখানে । বিশাল বটগাছের ছায়ায় এক খুব বুড়োমানুষের মুখ মনে পড়ে আবছা ।মূল সড়ক থেকে গাঁয়ের পথে কি.মি.খানেক ঢুকে নিরালা এক প্রাচীরঘেরা আশ্রম। সুবিশাল এক বটবৃক্ষ পিতামহ ভীষ্মের মতো তার অসংখ্য ডাল ও ঝুরি মেলে ছায়ায় ঢেকে রেখেছে সম্পূর্ণ এলাকা। বটমূলে বাঁধানো বেদী, পাশেই ছোট্ট দোচালা ঘরে সাধুবাবার প্রতিকৃতি সাজানো; একমনে পুজো করছেন এক শ্বেতবস্ত্রধারী ভক্ত। গুটিকয় বাচ্চা সঙ্গ দিল আমাদের... ঘুরে ঘুরে ছবি তুললাম সেই মহাবটচ্ছায়ে... দাঁড়ালাম গিয়ে পিছনের নিরালা পুকুরের বাঁধানো ঘাটে... দেখে এলাম আরো পিছনে বাঁধানো চত্বরের প্রান্তে সাধুবাবার সুন্দর মূর্তি... কথা বললাম আশ্রমের দায়িত্বে থাকা সত্তরোর্ধ্ব মানুষটির সঙ্গে।আষাঢ়-এর গুরুপূর্ণিমায় অনুষ্ঠান হয় আশ্রমে, আর চৈত্রমাসে তিনদিনের হরিসংকীর্তনে পাত পড়ে হাজার হাজার মানুষের। কোনো ভক্ত বা স্থায়ী আশ্রমিকের বাস নেই এখানে; সাধুবাবাও দেহ রেখেছেন সেই ৮৫ সালে, তবু সেই হাস্যমুখ যোগীপুরুষের অদৃশ্য উপস্থিতি আজও যেন রয়ে গেছে এই ছায়াসুনিবিড়শান্তিরনীড়-এর প্রতিটি ডালে ডালে পাতায় পাতায়!ফিরে এলাম নারায়ণপুর। ওরা বিদায় নিল মধ্যাহ্নভোজ-এর সনির্বন্ধ অনুরোধে কান না দিয়ে। ততক্ষণে জ্যেঠতুতো দাদা-র সম্বন্ধী জয় এসে গেছে বর্ধমান থেকে দুই বন্ধু বন্ধন আর অভিজিতকে নিয়ে। সবাই একসঙ্গে বসে গল্পগুজব-গানবাজনা করতে করতেই ওপাড়া থেকে জগঝম্প সহযোগে পুজোর ভিড় এসে হাজির। হৈ হৈ করে শুরু হয়ে গেল আরতি, আর প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই আকাশ ভেঙে নামলো বৃষ্টি।সেই বৃষ্টিতে ঠাকুরঘর-মণ্ডপের ছাউনি-ছাতার তলায় ঠাসাঠাসি করে আমরা সবাই--- পাকাচুল প্রৌঢ়.. নুয়ে পড়া বৃদ্ধা.. টেরিবাগানো নবযুবক.. সালঙ্কারা নবোঢ়া তরুণী.. ফিটফাট গাঁয়ের জামাই.. সিকনি-গড়ানো বাচ্চা। একসময় বাদলধারা হলো সারা; হোম-শান্তিজল-ফোঁটা শেষ করে ফিরে এসে বিছানায় বডি ফেললাম তিনটে নাগাদ।আমাদের ছোটবেলায় নবমীর বিকেলে পাড়ায় নারকেল-কাড়াকাড়ি খেলা হতো। অনেকটা রাগবী খেলার স্টাইলে, একটা ঝুনো নারকেল নিয়ে পনেরো-বিশজন যুবকের টানাটানি, কে সেটা কুক্ষিগত করতে পারে। ঢাকঢোলকাঁসরের আবহসঙ্গীতে দারুন জমতো সেই নির্দোষ বলপ্রয়োগের খেলা। বহুদিন হলো উঠে গেছে সেই রীতি।তবে এখনও আছে নবমীর সন্ধ্যায় আরতি-র পর চাতোর-এ সিঁদুরখেলা। শুরু হয় সামাজিক প্রথা অনুযায়ী সধবাদের একে অন্যকে সিঁদুর পরানো দিয়ে, আর শেষ হয় হোলি-র মতো মুখে-গালে জবরদস্তি সিঁদুর মাখিয়ে দেওয়ার দুষ্টুমি দিয়ে। বেশ মজা লাগে দেখে; কিন্তু বছরকয়েক আগে এখানকার সিঁদুরখেলায় সবচেয়ে প্রাণোচ্ছল এক বৌদি, দুর্ঘটনায় স্বামীর অকালমৃত্যুর পর হারিয়ে গেল নবমীসন্ধ্যার এই আনন্দবাসর ছেড় --- তারপর থেকেই সিঁদুরখেলার আনন্দ-উচ্ছ্বাস-উচ্ছলতার আড়ালে বেশ কিছু দীর্ঘশ্বাস শুনতে পাই যেন!ডঃ সুজন সরকারবর্ধমান।

অক্টোবর ০৫, ২০২২
নিবন্ধ

সেই ঘচাংফু দেখতে আগে কচিকাঁচাদের ভিড়ে জুটে যেতাম আমিও

ঘুম ভেঙেছে অনেকক্ষণ, তাও এপাশ ওপাশ করতে করতে শেষতক যখন বিছানা ছাড়লাম, ঘড়ির কাঁটা সাতটা ছাড়িয়েছে। আদা-চা খেয়ে সংক্ষিপ্ত স্নান... নতুন পাঞ্জাবী... মেয়েকে টেনে তুলে স্নান করানো... তারপর সোজা মণ্ডপে।বুড়োদা-নুপুরদার যুগলবন্দীতে মহাষ্টমীর সকালের পুজো তখন মাঝপথে। বুড়োদা-র বাবা স্বর্গত ব্রজরাখাল মুখোপাধ্যায় আমাদের কুলপুরোহিত ছিলেন। দীর্ঘকায় কৃশ মানুষটিকে দাদামশাই বলতাম আমরা। পরিণত বয়সেও ঈষৎ ঝুঁকে দাঁড়িয়ে একহাতে ঘণ্টা নেড়ে তাঁর আরতি করা মনে পরে আজও।বাবার পর পুজোর দায়িত্ব নিল বুড়োদা, বংশীধর মুখোপাধ্যায়-- সেও হয়ে গেল তিন দশকের ওপর। স্বল্পভাষী প্রচারবিমুখ নির্লোভ মানুষটিকে বড় ভাল লাগে আমার; কী নিষ্ঠাভরে একমনে কোনো হাঁকডাক ছাড়াই পুজো করে যান, এই মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে-মার্কা আধুনিক দুনিয়ার সামনে তা একটা দৃষ্টান্ত হতে পারে!তন্ত্রীধারক পুরোহিত, অর্থাৎ যিনি পুঁথি দেখে মন্ত্রপাঠ করেন--- সেই ভূমিকায় দূরশৈশবে দেখতাম স্বর্গত প্রভাকর ভট্টাচার্য ওরফে হদেভটচাজ -কে। আবছা আবছা মনে পড়া সেই বৃদ্ধ মানুষটি আত্মহত্যা করার পর বহুবছর দায়িত্বে ছিলেন স্বঃ অজিত ভট্টাচার্য। তাঁর অবর্তমানে নুপুরদা, সে হবে বছরকুড়ি।চাতোর-এ বসে মন্ত্রোচ্চারণ শুনছি --অং মম হৃদয়ে, তং মম বাহুমূলে, নং মম জিহবায়, সং মম নাসিকায়...ইত্যাদি। মাথার ওপর অশ্বত্থগাছের পাতায় হাওয়া বইছে ঝিরঝিরিয়ে... পুবের আকাশে ঘনাচ্ছে ধূসর-কালো মেঘ... রোদ ওঠেনি এখনো... একসার প্যাঁকপেঁকে হাঁস পচাকাকার বাড়ি থেকে বেরিয়ে হেলেদুলে চলে গেল পাশের পুকুরের দিকে...কাছে বসা বিনুদা-র সাথে টুকটাক গল্প জুড়ে দিলাম। বিনুদা প্রতিবেশী, বছর আষ্টেক বড় আমার চেয়ে। সেলস-এর কাজে ছিল বর্ধমান-এর এক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে। সুদীর্ঘ কর্মজীবন ছেড়ে ইদানীং বসে গেছে গাঁয়ে। ছেলে সম্প্রতি দুর্গাপুরে কাজ পেয়ে চলে গেছে... মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে সে-ও বছরসাতেক হোলো... গ্রামে সময় কাটে না... লোকজন নেই... কথা বলার তেমন কেউ নেই...ঘরে বসেই টুকটাক কাজ করো না কেন বিনুদা?দূর দূর! ধারবাকিতেই খেয়ে নেবে সব।ঢাক বেজে উঠলো ঝমঝমিয়ে, সঙ্গে কাঁসরঘন্টা। সকালের আরতি শুরু। আশপাশের মেয়ে-বৌরা জুটতে লাগলো পুজোতলায় । বাটি হাতে রঙিন পুঁচকে... সদ্যতরুণী মায়ের কোলে ছটফটে বাচ্চা... স্খলিত পায়ে আমার বাবা-মায়ের মতো জনাকয় বয়স্ক মানুষ...উঠে দাঁড়ালাম গিয়ে ঢাকীর ঠিক পিছনে, এখান থেকে প্রদীপের আলোয় চকচকে মায়ের মুখ ভালো দেখা যায়।আরতি শেষ হতেই সকালের পুষ্পাঞ্জলি। পুজোর ঘরে ঢুকে পড়ে রূপা-তিস্তা-আমি বসে পড়লাম দেওয়াল ঘেঁষে। ঠাসাঠাসি ভীড়। হাতে হাতে গঙ্গাজল.. ফুল.. বেলপাতা। মন্ত্র বেশীরভাগই মুখস্থ হয়ে গেছে এত বছরে, বাকিটা কান খাড়া করে শুনে যা মনে আসে বলে দিলাম। মা নিজ গুণে ক্ষমা করে দেবেন!এক ব্যাচে সব কুলোলো না, আরেক ব্যাচ ঢুকলো ঘরে। পুরোহিত ঠাকুরকে প্রণাম করে বেরিয়ে এসে সিদ্ধান্ত হোলো: রূপা ডায়াবেটিক, তাই উপবাস আর দীর্ঘায়িত করবে না; মহাভক্ত তিস্তা আর আমি মহাষ্টমীর উপবাস টেনে দেব বিকেলে সন্ধিপুজা অবধি। আর সদা-উপবাসী আমার মা তো আছেই !সন্ধিক্ষণ আজ বিকেল সাড়ে তিনটেয়। আমাদের পুজো বৈষ্ণবমতে, তাই বলি নেই। তবে পাড়ার একপ্রান্তে সিংহবাড়ির পুজোয় (ওঁরা প্রতিমা ছাড়াই, শুধু মণ্ডপে মঙ্গলঘট স্থাপন করে পুজো করেন) চালকুমড়ো বলি হয়। সেই ঘচাংফু দেখতে আগে কচিকাঁচাদের ভিড়ে জুটে যেতাম আমিও।যুগ যুগ ধরে বর্ধমান শহরের প্রসিদ্ধ সর্বমঙ্গলা মায়ের মন্দিরের সামনের চক-এ রাখা কামান দাগা হোতো সন্ধিক্ষণে। সেই কামান-নির্ঘোষ শুনে আশপাশের সমস্ত গ্রামগঞ্জে সন্ধিপুজোর সূচনা হোতো। গত শতাব্দীর শেষের দিকে একবার কামান দাগার সময় দুর্ঘটনা ঘটে-- কামানটি ফেটে গিয়ে দুজন প্রাণ হারান। সেই ঘটনার পর থেকে বন্ধ হয়ে গেছে ধর্মীয় কারণে কামান দাগার রেওয়াজ--- বর্ধমানে তো বটেই, পরবর্তীকালে বাংলার অন্যত্রও। এখন ঘড়ির কাঁটাই নির্দেশ দেয় -- কোন মুহূর্তে কোথাও সন্ধিপুজোর আরতিতে ঢাকে কাঠি পড়বে, বা ঝলসে উঠবে বলির খড়গ অন্য কোথাও!দুপুরবেলা পুণ্যকামী চিত্তে উপোসী পাকস্থলী থেকে মনকে সরানোর প্রয়াস পাচ্ছি, এমন সময় আকাশ ভেঙে বৃষ্টি নামলো। সেই শুরু; অঝোরধারায় বর্ষণ চললো দুপুর গড়িয়ে বিকেল। আকাশের মুখ ঢাকা, ধোঁয়ামাখা চারিধার...দুলছে বাঁশবন, কলার ঝাড়...পাশের বাড়ির টিনের চালে অবিরাম ঝমাঝম... উঠোন জুড়ে জলের ধারা... ছাদ থেকে দৃশ্যমান দূরে হারানো সবুজ খেতের সর্বাঙ্গে বৃষ্টির ধূসর চাদর ...ডানপিটে বৃষ্টির মধ্যে শেষ পর্যন্ত ছাতা নিয়েই ঠাকুরতলায়। পুজোপাঠের পর শুরু হলো আরতি। এই দুর্যোগেও এসেছেন অনেকেই --- ঠাকুরঘরের বারান্দায়-ছাউনিতে-ছাতামাথায় গাছতলাতেও! জোড়া ঢাক- জোড়া কাঁসর -পেটাই ঘণ্টার সমবেত গুরুনাদে চাপা পড়ে গেছে বর্ষণগীত। ধুপধুনোর মৃদু ধূম্রজালের মধ্যে দিয়ে প্রদীপের আলো ঝিকমিক করছে মায়ের মুকুটে.. কানপাশায়.. ডাকের সাজে।বহুক্ষণ চললো আরতি। বৃষ্টি ধরে এলো ক্রমে; কমে আসছে দিনের আলোও। ততক্ষণে চোখ বুজে জোড়হাতে চেয়ে ফেলেছি সবার জন্য অনেক কিছু। রুপোর চামর দুলিয়ে আরতি শেষ করলো বুড়োদা। আমরাও জলকাদা-মাখা পা চাতোর-এর টিউবওয়েলে ধুয়ে এসে বসে পড়লাম পুষ্পাঞ্জলি দিতে। অঞ্জলির শেষে নতুন করে চাওয়ার মতো কিছু আর মনে এলো না। শুধু মনে মনে বললাম বারবার-- মা, আমাদের সবাইকে দেখো, ভালো রেখো , রক্ষা কোরো।ডঃ সুজন সরকার,বর্ধমান।

অক্টোবর ০৪, ২০২২
রাজ্য

রাঢ়ভূমি নারায়ণপুরের সরকার বাড়ির দু'শো বছরের পুরনো পুজো, দ্বিভুজা মা দুর্গার কার্তিক গণেশহীন মর্ত্যে আগমন

পুজো শুরু কাল। নারায়ণপুরে দেশের বাড়িতে দুশো বছরের বেশী পুরোনো পুজো আমাদের। এই পঞ্চান্ন বছরের জীবনে একবার ছাড়া কখনও গ্রামের বাইরে পুজো কাটাই নি। এটা আনন্দের চেয়েও বেশী একটা অভ্যাস... পরম্পরা... ঐতিহ্যরক্ষার দায়িত্ববোধ ।পেশাগত সব দায়িত্ব তাই গুটিয়ে ফেলেছি শুক্রবার রাতের মধ্যেই। আজ সকাল থেকেই বেরোনোর তোড়জোড়। মেয়ে কলকাতার বাসা থেকে বর্ধমান এসে পড়লো দুপুরেই। রূপা ওকে নিয়ে গাড়িতে লটবহর তুলে গ্রামের বাড়ি যাবে কাল সকালে। আমার যাওয়া আজই।সবদিক সামলে সুমলে স্কুটারের সামনে সুটকেস ঠেসে নিয়ে রওনা দিলাম, ঘড়িতে তখন বিকেল তিনটে পঁচিশ। বাড়ি থেকে আধ কি.মি. দূরেই জাতীয় সড়ক; আজ বিকেলে কেন কে জানে গাড়ির চাপ একটু কম। তবু গাঁক গাঁক করে ছুটে আসা ট্রাক-ডাম্পার-দূরপাল্লার বাস-পেরাইভেটদের থেকে সদাসন্ত্রস্ত আমি এগোলাম কোনোমতে। জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ চলছে; যেখানে সেখানে রাস্তার ধারে একমানুষ সমান খোঁড়াখুঁড়ি... কংক্রিটের বাফার... ক্রেন... পে লোডার। কোনোমতে গুড়গুড় করে বিশ মিনিটে সাড়ে সাত কি.মি. পাড়ি দিয়ে নবাবহাট মোড়--- দু নং জাতীয় সড়ক ছেড়ে উত্তরমুখী সিউড়ি রোডে ঢুকে পড়া গেল; যেন প্রাণ আসলো ধড়ে!মসৃণ পীচঢালা রাস্তা... গাড়ি কম... দুপাশ শ্যামলে শ্যামল, আকাশ নীলিমায় নীল। একশো আট শিবমন্দির-এ ভ্রমণার্থীদের ভিড়। তালিত রেলগেট হাট করে খোলা, অন্তহীন অপেক্ষা থেকে রেহাই পেলাম তাই। বাড়ি থেকে উনিশ কি.মি. আসার পর হলদী-র কাছে খড়ি নদীর সেতু পেরিয়ে ঢুকে পড়লাম ডানদিকে।বিস্ময়ের ওপর বিস্ময়! এই সদা-আহত রুগ্ন গ্রামীণ পথও এখন বেশ ঝাঁ চকচকে। পুরুষ্টু ধানের শীষে দোল খেয়ে যাচ্ছে বাতাস... তারে দোল খাচ্ছে ফিঙে- বাঁশপাতি-মাছরাঙা... মাঝেমাঝেই ঘুঘুদম্পতিদের উড়ে যাওয়া পথের এপাশ থেকে ওপাশে। এদিকের গ্রামগুলি বেশ সাফসুতরো; কিছু বাড়িতে রঙের পোঁচ পরেছে নতুন, কিছু বাড়ি মলিন ও পারিপাট্যহীণ... সম্ভবত বাসিন্দারা ভাগ্যান্বেষণে চলে গেছেন অন্যত্র। থৈ থৈ করছে পুকুরগুলি... ধারে বকবাবাজীদের একঠেঙে প্রার্থনা... কোথাও খোঁটায় বসে ডানা শুকাচ্ছে পানকৌড়ি...প্রকৃতিতে বেশ একটা শান্ত তৃপ্ত ভাব যেন আজ! শষ্যক্ষেত্রের সোনার গানে সমান তানে যেন যোগ দিয়েছে সবাই, সুর ভাসিয়ে দিয়েছে ভরন্ত পুকুরের অমল জলরাশিতে, প্রকৃতি যেন নিমগ্ন আজ মহাষষ্ঠীর পরম প্রেয় লগ্নের প্রত্যাশায়।মাহিনগর-মোহনপুর-হরিবাটি-কামারপাড়া-ধান্দলসা-বিঘড়ে পেরিয়ে এসে গেল নারায়ণপুর --- বাড়ি থেকে উনত্রিশ কি.মি. পথ পেরিয়ে, ঠিক সত্তর মিনিটের মাথায়। স্কুলমোড় দিয়ে ঢুকে গাঁয়ের মধ্যে কংক্রিট-বাঁধানো এক কি.মি. আঁকাবাঁকা পথ ধরে অবশেষে পৌঁছে গেলাম আমাদের সাবেক ভদ্রাসনে।জ্যেঠতুতো দাদারা ও ছোটকাকা এসে পড়েছে ইতিমধ্যেই। বাবা-মাকে তো পাঠিয়ে দিয়েছিলাম চতুর্থী-র দিনই। সবার সাথে দেখাশোনা কুশলবিনিময় হতে হতেই দিনের আলো নিভে এলো , বেজে উঠলো ঢাকের বাদ্যি।সকাল-সন্ধ্যায় ঠাকুরতলায় ঢাক-ঢোল-কাঁসি-র এই একপ্রস্থ বৃন্দবাদনকে এখানে বলা হয় ধেমুল। কোন শব্দের অপভ্রংশ এটা জানিনা, তবে শুনেছি ভোরবেলা এই বাজনা দিয়ে ঠাকুরের ঘুম ভাঙানো হয়, আর সাঁঝের ঝোঁকে এর উদ্দেশ্য দেবতার বন্দনা। ছোটোবেলায় এই ধেমুল-এর সাথে সন্ধ্যের মুখে প্রবল নাচানাচি করতাম একপাল সমবয়সী ছেলেপিলে মিলে; আর আজ বাজনদারেরা ঢাকের বোল তুললো প্রায় ফাঁকা মণ্ডপে।গ্রাম এখন বলতে গেলে শুনশান, বিশেষত আমাদের পাড়ায় স্থায়ী বাসিন্দা এখন বিরল। প্রায় পঁচিশটি পরিবারের মধ্যে অর্ধেক বাড়িতে কেউই থাকেন না, শহরবাসী হয়েছেন সবাই। বাকি বাড়িগুলিতে প্রৌঢ় দম্পতি বাপ-পিতেমো-র ভিটে আগলাচ্ছেন কোনোমতে, ছেলেমেয়েরা কর্মসূত্রে পাকাপাকিভাবে বাইরে। রাঢ়ভূমির গ্রামের পর গ্রামে এটাই এখন সাধারণ চিত্র। ভাবতে ভয় হয়, এই প্রজন্মের পর বাংলার গ্রামগুলি কি একেবারেই উজাড় হয়ে যাবে--- ছিয়াত্তরের মণ্বন্তর, বর্গীর আক্রমণ, বা ম্যালেরিয়া-ওলাউঠোয় ছাড়খার হয়ে যাওয়া বাংলার মতো?আমাদের এই পুজো ব্যতিক্রমী , কারণ মা এখানে পূজিতা হন মহিষাসুরমর্দিনী নয়, হরগৌরী-রূপে। মায়ের দুইটি হাত, বসে আছেন মহেশ্বরের পাশে, দুপাশে সরস্বতী ও লক্ষ্মীকে নিয়ে। সিংহ-অসুর-কার্তিক-গনেশ কেউ নেই, আছেন বরং নন্দী ও ভৃঙ্গী। নিপাট ঘরোয়া রূপে এই মাতৃপূজা চলছে কত কাল, সঠিক জানা নেই কারো। তবে লিখিত নথি আছে অন্ততঃ দুশো বছর আগে পর্যন্ত।ঠাকুরতলায় ছায়া দিচ্ছে যে বিশাল অশ্বত্থগাছটি, আমার সাতাশি বছর বয়সী বাবাও আজন্ম তাকে দেখে আসছেন ঠিক এমনটিই! একসময় বিকেলে তার ডালে ডালে অগুনতি টিয়াপাখির কলরবে মানুষের কথা শোনা যেত না, আজ সেখানে সম্পূর্ণ নীরবতা। সব টিয়া নাকি ধরে নিয়ে গেছে পাখিচোরেরা; আবার কারো কারো বক্তব্য গাছের কোটরে সাপ থাকে, তারাই নাকি পাখির ডিম খেয়ে খেয়ে বংশলোপ করে দিয়েছে!সন্ধ্যায় দেবীর বোধন। কুলপুরোহিত বুড়োদা ও নুপুরদা স্বল্পালোকিত মন্ডপে বসে নিষ্ঠাভরে ক্রিয়াকর্ম সারলেন। শুরু হয়ে গেল মাতৃবন্দনা। কাল সকাল সাতটায় নবপত্রিকা স্নান করাতে যাওয়া হবে পালকি চড়িয়ে।ডঃ সুজন সরকার,বর্ধমান।

অক্টোবর ০২, ২০২২
রাজ্য

Blood Donation: করোনা আবহে রক্তের অভাব মেটাতে পশ্চিম বর্ধমানের ক্লাবের বিশেষ উদ্যোগ

আপনার রক্তে বাঁচলে একটি প্রাণ,এই পৃথিবীতে আপনিই ভগবান।।করোনা অতিমারির ভায়াল পরিস্থিতিতে বিশ্ব জূড়ে রক্তের আকাল! এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন রুপনারায়নপুরের এক ক্লাব। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে যেকোনও মানুষের বিপদে তার পাশে দাঁড়ানো ও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া একজন আদর্শ মানুষের পরিচয়। প্রতি মুহূর্তে একবিন্দু রক্তের জন্য জীবনযুদ্ধে হার মানতে হচ্ছে কতশত মানুষকে। ব্লাড ব্যাঙ্কের সেই অভাবের পূরণ করতে হাত বাড়িয়ে দিলেন পশ্চিম-বর্ধমানের রুপনারায়নপুরের পশ্চিম রাঙ্গামাটিয়া ইয়ুথ ক্লাব।সংস্থার সভাপতি অরুপ রতন মণ্ডল জানান, করোনা অতিমারির পরিস্থিতিতে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা দ্বারা আয়োজিত রক্তদানের শিবিরের সংখ্যা বর্তমানে অনেক কমে গিয়েছে। সাধারণ মানুষ এই পরিস্থিতিতে বাইরে বেড়োতেও আতঙ্কিত বোধ করছেন। সেই কারণে সারা দেশ জূড়ে রক্তের আকাল তৈরি হয়েছে। বহু মানুষ রক্তের অভাবে প্রান হারাচ্ছেন। তিনি আরও জানান, রক্তের অভাবে সবচেয়ে বেশী বিপন্ন হচ্ছেন থ্যালাসেমিয়া ও ব্লাড ক্যানসারের রোগী ও তাঁর অভিভাবকেরা। তাঁরা ১৮ উর্দ্ধ সকল সচেতন নাগরিকদের এই মহান কর্মকান্ডে সামিল হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।রবিবার রুপনারায়নপুর ডাবর মোড়ে এই রক্তদান শিবিরের উদ্বোধন করেন স্থানীয় বারাবনি বিধানসভার বিধায়ক তথা পশ্চিম বর্ধমান তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বিধান উপাধ্যায়। তিনি স্বাগত ভাষণে ইয়ুথ ক্লাবকে তাঁদের এই মহান উদ্যোগে সামিল হওয়ার জন্য সাধুবাদ জানান। তিনি বলেন করোনার করাল থাবায় সমগ্র পৃথিবী টালমাটাল, রক্ত চিকিৎসা ব্যবস্থায় এক অমূল্য বস্তু। ইয়ুথ ক্লাব এই পরিস্থিতিতে এই রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে ব্লাড ব্যাঙ্ককে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এছাড়াও এই ক্লাব সারা বছর জুড়ে বিভিন্ন সামাজিক কাজে লিপ্ত থাকে। করোনা অতিমারিতেও মানুষের পাশে থেকে তাঁরা যে পরিসেবা দিয়েছেন তাঁর জন্য তাঁদের কে ধন্যবাদ।ইয়ুথ ক্লাবের সভাপতি জনতার কথাকে বলেন আসানসোল মহকুমা হাসপাতাল কতৃপক্ষ আমাদের এই শিবিরের রক্ত সংগ্রহের সম্পূর্ণ দ্বায়িত্ব নিয়েছেন। তাঁদের সহৃদয় সাহায্য না পাওয়া গেলে এই শিবির আয়োজন করা সম্ভব ছিল না। তিনি তাঁদের সংস্থার সদস্য ও স্থানীয় মানুষদেরও ধন্যবাদ জানান। সদস্যদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও স্থানীয় মানুষের শিবিরের যোগদান করে রক্তদান না করলে এই উদ্যোগ সফল হতো না। স্থানীয় মানুষকে এই পরিস্থিতিতে সাময়ীক আনন্দদানের উদ্দশ্যে বন্ধন গ্রুপের কচি সদস্যরা সামাজীক দূরত্ব মেনে সচেতনমূলক সাংস্কৃতীক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন।সংস্থার এক সদস্য বেসরকারি বিমা সংস্থার উর্দ্ধতন আধিকারিক কৌশিক লায়েক ও ক্লাবের সদস্য শিবাশীষ মণ্ডল জনতার কথাকে জানান, স্বেচ্ছায় রক্তদান করার মধ্য দিয়ে আমরা মানুষের প্রাণ বাঁচাতে সাহায্য করতে পারি। আমাদের স্বেচ্ছায় রক্তদানের পরিবর্তে একজন মানুষের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব এ নিয়েই আমাদের ইয়ুথ ক্লাবের আজকের এই স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির। তাঁরা আরও বলেন, মানব সভ্যতার উষালগ্ন থেকেই মানুষ একে অপরের ওপর নির্ভরশীলতার মাধ্যমে জীবন যুদ্ধে উত্তীর্ণ হয়েছে। পারস্পরিক নির্ভরশীলতা এবং পরস্পরকে সাহায্য ব্যতীত সভ্যতার অগ্রগতি সম্ভব নয়। তাই আমাদের জীবনে প্রত্যেকের প্রাথমিক কর্তব্য হলো বিপদে-আপদে মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং তাঁদের সাহায্য করা। কৌশিক লায়েক বলেন, কর্মসুত্রে দূরে থাকলেও মনটা এখানেই পড়ে থাকে। সারা বছর সে ভাবে সম্ভব না হলেও, এই বিশেষ দিনে উপস্থিত থেকে সর্বতোভাবে ক্লাবের পাশে থাকার চেষ্টা করছি। আমরা ক্লাবের কয়েকজন সদস্য যৌথভাবে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত কয়েকজন স্থানীয় বাচ্ছার দায়িত্ব নিয়েছি।এছাড়াও এইদিনের এই শিবিরে উপস্থিত ছিলেন সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ফাল্গুনী কর্মকার ঘাসি, জেলাপরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মহঃ আরমান, রূপনারায়নপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সন্তোষ মিশ্র সহ বিশিষ্ঠজনেরা।

সেপ্টেম্বর ১২, ২০২১

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

চন্দননগরে একই পরিবারের ৩ সদস্যের রহস্যমৃত্যু, তদন্তে নেমেছে পুলিশ

চন্দননগর, ৩০ মে: হুগলির চন্দননগরে বৃহস্পতিবার সকালে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনার সাক্ষী থাকলো স্থানীয় বাসিন্দারা। একই পরিবারের তিন সদস্যের রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে ছড়িয়েছে ব্যাপক উত্তেজনা। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন পরিবারের কর্তা, তাঁর স্ত্রী এবং তাঁদের কিশোর পুত্র। সূত্রের খবর, এদিন সকালে চন্দননগরের শ্রীপল্লি এলাকার একটি বাড়ি থেকে তিনজনের নিথর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয়রা জানান, সকালবেলা দরজা না খোলায় সন্দেহ জাগে প্রতিবেশীদের। তারা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার করে।সূত্রের খবর, বুধবার ভোর ২টার দিকে চন্দননগর থানা কোলুপুকুর গড়েরধর এলাকায় তিন পরিবারের সদস্যের অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তারা প্রতিমা ঘোষ (৪৬) এবং তার মেয়ে পৌষালী ঘোষ (১৩) এর মৃতদেহ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন, মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রতিমার স্বামী বাবলু ঘোষ (৬২) কে দড়ি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। তদন্তের সময় পুলিশ জানতে পারে যে বাবলু একটি টিনের বাক্স তৈরির কারখানায় কাজ করত। তবে, কিছু সময়ের জন্য, সে টোটো (তিন চাকার গাড়ি) চালানো শুরু করে এবং অবশেষে তার বাড়িতেই একটি ছোট দোকান শুরু করে।প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এটি হয় আত্মহত্যা, নয়তো পরিকল্পিত খুন। তবে ঘটনার প্রকৃত কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। বাড়ির ভিতরে কোনোরকম লুটপাটের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। প্রতিবেশীদের অনেকেই জানিয়েছেন, পরিবারটি সদ্য আর্থিক সমস্যায় পড়েছিল এবং কিছুদিন ধরে মানসিক চাপের মধ্যে ছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দেহগুলি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে এবং ঘটনার ফরেনসিক তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ পরিবারের আত্মীয়-পরিজন ও প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।চন্দননগর কমিশনারেটের এক উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক জানান, আমরা সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছিআত্মহত্যা, পারিবারিক কলহ, অথবা বাইরের কোনো দুষ্কৃতীর হাত। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

মে ৩০, ২০২৫
রাজ্য

আইসিকে কদর্য ভাষা অনুব্রতর, FIR, শেষমেশ ক্ষমা প্রার্থনা

তৃণমূল নেতা অনুব্রত মন্ডলের একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হতেই রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় পড়ে যায়। সেই অডিওর শোনা যাচ্ছে, বীরভূম জেলা তৃণমূল কোর কমিটির অন্যতম সদস্য অনুব্রত মণ্ডল বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছেন। দুদিন আগে এই অডিও ক্লিপটি যে কোনও কারণেই ভাইরাল হয়ে যায়। তারপরেই জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ সিং, অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার বোলপুর রানা মুখোপাধ্যায় বৈঠক ডেকে আইসি লিটন হালদারকেও ডেকে পাঠান। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বোলপুর এসডিপিও রিকি আগরওয়াল সহ চার পুলিশ কর্তা। উল্লেখ্য, গতকালই অর্থাৎ বৃহস্পতিবার নাগরিক কমিটির ডাকে বোলপুর থানায় এক বিক্ষোভ কর্মসূচি নেওয়া হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামীরা। অভিযোগ, আইসি লিটন হালদার বিভিন্ন জনের কাছ থেকে তোলাবাজি অর্থ দাবি করেন। অনুব্রত মণ্ডলকেও, এ ব্যাপারে সোচ্চার হতে দেখা যায়। যদিও এ ব্যাপারে পুলিশের তরফে কোন বক্তব্য জনসমক্ষে আসেনি। অনুব্রতর কদর্য বক্তব্য সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পরই তীব্র নিন্দা হয় বিভিন্ন মহল থেকে। এমনকি বিজেপির রাজ্য শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্ব শাসকদলকে আক্রমণ করার হাতিয়ার পেয়ে যায়। একইসঙ্গে তৃণমূল দল থেকে নিজস্ব হ্যান্ডেলে অনুব্রত মণ্ডলের ঘটনার নিন্দা করা হয়। বলা হয় যে, অনুব্রত মণ্ডল একজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন তার সঙ্গে আমাদের দল সম্পূর্ণ দ্বিমত প্রকাশ করছে। এবং এই মন্তব্যকে ও সমর্থন করছে না। পাশাপাশি, দল তাকে নির্দেশ দেয় যে আগামী চার ঘণ্টার মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা না চাইলে তার বিরুদ্ধে দল শোকজ নোটিশ জারি করবে। ইতিমধ্যে, পুলিশের তরফে একটি মুখবন্ধ খামে চিঠি এসে পৌঁছায় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে। অন্যদিকে, বোলপুর থানায় বিএনএস এর ৭৫, ১৩২, ২২৪ ও ৩৫১ ধারায় অনুব্রতর বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়। পাশাপাশি, অডিও ক্লিপটি কিভাবে ভাইরাল হল তা নিয়ে তদন্ত করা হবে বলে জানান, বীরভূমের পুলিশ সুপার আমানদীপ সিং। অবমাননাকর মন্তব্যের তদন্ত শুক্রবার বোলপুর দলীয় কার্যালয়ে অনুব্রত মণ্ডল একটি ভিডিও বার্তায় সকলের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করে বলেন, যে নানুরের শিঙ্গিতে তার এক দলীয় কর্মীর পা ভেঙে গুড়ো করে দেওয়া হয় সে ব্যাপারে তিনি আইসিকে দেখার অনুরোধ করেন। অনুব্রত বলেন, যে নুরুল নামে সেই দলীয় কর্মী গুরুতর অবস্থায় আহত হন। তারপর সেখান থেকে তাকে ফোন করা হয়। রাত্রি দশটায় ঘুমের ওষুধ খেয়ে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। ফোনে ঘুম ভেঙে যাওয়ার পর, তিনি আইসিকে বলেন যে, ওই আহত ব্যক্তিকে বাঁচানোর জন্য আপাতত হাসপাতালে ভর্তি করুন। একইভাবে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ ও আইসিকে অনুরোধ করেন। কিন্তু আইসি তাকে একটি খারাপ কথা বলেন। যেটা তিনি আর বলতে চাইছেন না। তার পক্ষে (অনুব্রতর) এ ধরনের ভাষা ব্যবহার করা উচিত হয়নি। তিনি ক্ষমা চাইছেন।

মে ৩০, ২০২৫
রাজ্য

বিধানসভা ভোটের দামামা বাজিয়ে দিলেন মোদী, শিক্ষা থেকে হিংসা উঠে এল ভাষণে

২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বাজিয়ে দিয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আলিপুরদুয়ারের জনসভায় কড়া ভাষায় আক্রমণ শানালেন তৃণমূল কংগ্রেসকে। এই সরকারকে উৎখাতের ডাক দিয়েছেন মোদী। পাশাপাশি তাঁর ভাষণে উঠে এসেছে মুর্শিদাবাদ, মালদার হিংসার কথা, রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা বরবাদ বলেও উল্লেখ করেছেন মোদী।বৃহস্পতিবার নরেন্দ্র মোদী বলেন, মুর্শিদাবাদ, মালদায় যা হল তা এখানকার সরকারের নির্মমতা। দাঙ্গায় গরিব মা-বোনেদের জীবনভরের পুঁজি লুঠ হয়ে গেল। তুষ্টিকরণের রাজনীতি চলছে, গুন্ডাদের খোলামেলা ছুট দিয়ে রেখেছে সরকার। সরকারে থাকা লোকজন, পার্টির লোকজন মানুষের ঘর চিহ্নিত করে জ্বালাচ্ছে, পুলিশ দাঁড়িয়ে তামাশা দেখছে। এখানে কী পরিস্থিতি চলছে সেটা কল্পনাও করতে পারছি না। সরকার এভাবে চালাতে হয়? গরিব মানুষের উপর অত্যাচার হলেও সরকারের ভ্রুক্ষেপ নেই। সব কিছুতেই এখানে আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। বাংলার মানুষেরও আর তৃণমূলের সরকারের উপর ভরসা নেই। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ একাধিক সংকটে জেরবার বলেও দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। একের পর এক ইস্যু তুলে ধরতে থাকেন নরেন্দ্র মোদী। এই ইস্যুতেও তৃণমূল পরিচালিত সরকারকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন মোদী। তাঁর কথায়, সংকটে জেরবার বাংলা। প্রথম সংকট, একদিকে হিংসা-অরাজকতা চলছে। দ্বিতীয়, মা-বোনেদের ওপর অত্যাচার চলছে। তৃতীয়ত, যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘোরতর নিরাশা তৈরি হয়েছে, কর্মহীনতার যন্ত্রণায় ভুগছে যুবরা। চতুর্থত, বেপরোয়া দুর্নীতি চলছে। পঞ্চম সংকট হল, এই রাজ্যের গরিবের অধিকার ছিনিয়ে নিচ্ছে শাসকদলের রাজনীতি।এরই পাশাপাশি অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিরা যা করেছে, সারা ভারতের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের লোকেদেরও তুমুল আক্রোশ ছিল। আপনাদের সেই আক্রোশ আমি ভালোই বুঝেছি। জঙ্গিরা আমাদের মা-বোনেদের সিঁদুর মোছানোর দুঃসাহস দেখিয়েছিল। আমাদের বীর সেনারা ওদের সিঁদুরের শক্তি কী সেটা বুঝিয়ে দিয়েছে। আমরা জঙ্গি ঘাটি ধ্বংস করেছি। পাকিস্তান এটা কল্পনাও করতে পারিনি। জঙ্গিদের ঠিকানা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এমন শিক্ষা পাবে পাকিস্তান কল্পনাও করেনি। সন্ত্রাসের লালন পালন করে পাকিস্তান। ১৯৪৭-এর পর থেকেই ভারতে সন্ত্রাস পাকিস্তানের। বাংলাদেশে পাকিস্তানের অত্যাচার ভোলবার নয়। তিনবার পাকিস্তানকে ঘরে ঢুকে মেরেছে ভারত।SSC-এর নিয়োগ দুর্নীতির জেরে এই রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয়েছে। শাসকদল তৃণমূলের তাবড় নেতা-মন্ত্রী পাহাড়-প্রমাণ এই দুর্নীতিতে আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারের সভামঞ্চ থেকে রাজ্যের এই নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। শিক্ষাক্ষেত্রে এমন দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যের শাসকদলকে বেনজির নিশানা করেছেন নমো।প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেছেন, তৃণমূলের নেতারা এত বড় পাপ করেও নিজেদের ভুল মানতে নারাজ। হাজার-হাজার পরিবারকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলা হয়েছে। গরিব পরিবারের ছেলে-মেয়েদের অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের পুরো শিক্ষা ব্যবস্থা বরবাদ। শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেও তৃণমূলের নেতারা মানতে নারাজ। বাংলায় হাজার-হাজার শিক্ষকের কেরিয়ার বরবাদ। এখানকার যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘোরতর নিরাশা তৈরি হয়েছে। কর্মহীনতার যন্ত্রণায় ভুগছে যুবরা। বেপরোয়া দুর্নীতি নিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে লাগাতার মানুষের বিশ্বাস কমছে।

মে ৩০, ২০২৫
রাজ্য

মেয়ের প্রথম জন্মদিনে রক্তদান শিবির! সাধুবাদ মালদা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের

মেয়ের প্রথম বছরের জন্মদিনের মাধ্যমে মালদা মেডিকেল কলেজের ব্লাড ব্যাংকের রক্ত সংকট মেটানোর বার্তা নিয়ে এগিয়ে এলেন দাস পরিবার। বুধবার সকাল থেকেই বাড়ির একমাত্র মেয়ের প্রথম বছরের এই জন্মদিনকে ঘিরেই ধুমধাম ভাবে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে ইংরেজবাজার পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের পুরাটুলি এলাকার দাস পরিবার। বাড়ির সামনেই জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের ভ্রাম্যমান রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয় দাস পরিবারের পক্ষ থেকে। আর এই রক্তদান শিবিরের প্রথম রক্তদাতা হিসাবে ছোট্ট এক বছরের আদিক্সা দাসের বাবা দেবাশীষ দাস স্বেচ্ছায় রক্তদান দিয়ে কর্মসূচি সূচনা করেন। এদিন এই জন্মদিন উপলক্ষে বিকেল পর্যন্ত দেবাশীষবাবুর আত্মীয় পরিজন, বন্ধু বান্ধব মিলিয়ে প্রায় ৫০ জন স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন। দেবাশীষবাবুর এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে মালদা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ , স্বাস্থ্য দপ্তর এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।মালদা মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল ডাঃ পার্থপতিম মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এটি খুব ভালো উদ্যোগ। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, বিভিন্ন সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন , নানান রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলি মাঝে মধ্যেই স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করছেন। এদিন ইংরেজবাজার পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের পুরাটুলি এলাকায় এক বছরের ছোট্ট আদিক্সা দাসের জন্মদিন উপলক্ষেই এই রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছিলেন তাঁর বাবা দেবাশীষ দাস। সঙ্গ দিয়েছিলেন দেবাশিষবাবুর স্ত্রী কোয়েল সাহা দাস। এদিন জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর এবং মালদা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা নিয়ে ভ্রাম্যমান ব্লাড ডোনেশন ক্যাম্পের একটি বড় গাড়ি ছোট্ট মেয়ে আদিক্সা দাসের বাড়ির সামনে গিয়ে হাজির হয়। সেই ভ্রাম্যমান গাড়িতেই স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় ব্যবসায়ী দেবাশিষবাবুর পুরাটুলি এলাকায় নিজস্ব বাড়ি রয়েছে। পরিবারের একমাত্র মেয়ে আদিক্সার জন্মদিনে এমন পরিকল্পনা অনেক আগে থেকে নিয়েছিলেন দেবাশিষবাবু এবং তার স্ত্রী কোয়েল সাহা দাস । আর সেটা কার্যত বাস্তবে করে দেখালেন। ব্যবসায়ী দেবাশিষ দাস বলেন, মেডিকেল কলেজে চিকিৎসারত রোগীর আত্মীয়েরা এক ইউনিট রক্তের জন্য কিভাবে ব্লাড ব্যাংকে ছোটাছুটি করছে। মাঝেমধ্যেই দেখি মেডিকেল কলেজের রক্তের সংকট রোগীদের হয়রানির মুখে পড়তে হচ্ছে। আমিও একসময় হয়রানির শিকার হয়েছিলাম। তাই এদিন মেয়ের জন্মদিনে এমন ভাবেই স্বেচ্ছায় রক্তদানের শিবির করেছি। আমার আত্মীয় পরিজন বন্ধু-বান্ধবরা অনেকেই এগিয়ে এসে স্বেচ্ছায় রক্তদান করেছেন। ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছবি দাস জানিয়েছেন, এটা খুব ভালো উদ্যোগ । আমার এলাকার দাস পরিবার তাদের বাড়ির একমাত্র মেয়ের প্রথম জন্মদিনে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছেন । তাদের এই কর্মসূচিকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। এভাবেই সকলকে এগিয়ে আসা উচিত।

মে ২৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

বিশ্বের তারকা ফুটবলার ইয়ামালকে মনে আছে? বিশ্বের অন্যতম বড় ক্লাবে ১০ নম্বর জার্সির মালিক ১৭ বছরেই

মনে আছে লামিল ইয়ামালের কথা? গত বিশ্বকাপ ফুটবলে স্পেনের নাবালক তারকা ফুটবলার। জার্মানীর মাঠ কাঁপিয়ে দিয়েছিল এই ইয়ামাল। আগামী ২০৩১ পর্যন্ত ইয়ামাল লা লিগাতে বার্সেলোনার হয়েই খেলবেন। এই বয়সে মাল্টি মিলিয়নের চুক্তি হয়েছে বার্সেলোনার সঙ্গে ইমামালের। লা লিগাতে এই মরসুমে নিজে শুধু ১৮টি গোল করেননি, গোল করতে সহায়তা করেছেন আরও ১৩টি ক্ষেত্রে। বিপক্ষের ডিফেন্সে রীতিমতো ত্রাস সৃষ্টি করেন এই স্পেনের এই ফুটবলার। খ্যাতি পয়েছেন গত জার্মানী বিশ্বকাপে। স্পেনের দলে প্রয়োজনীয় ফুটবলার ছিলেন তিনি। জার্মানী শ্রম আইন অনুযায়ী ফাইন দিয়েও তাকে দলে রেখেছিল স্পেন। তার ফায়দাও পেয়েছিল তারা। এবার বার্সেলোনার সঙ্গে তার চুক্তি হয়েছে প্রতি মরসুমে তিনি পাবেন বেসিক হিসাবে ১৫ মিলিয়ন ইউরো, যা বোনাস নিয়ে ২০ মিলিয়নে দাঁড়াতে পারে। বার্সেলোনার হয়ে তিনি ইতিমধ্যে মোট ১০৬টি গোল করেছেন। মাত্র ১৭ বছরবয়েস ইয়ামাল যে অর্থ পাচ্ছেন তা যে কারও কাছে বড় স্বপ্ন। তা আগে কেউ পায়নি। তাছাড়া এই মরসুমে ইয়ামাল দলের ১০ নম্বর জার্সি পরবেন।

মে ২৯, ২০২৫
রাজ্য

মেমারিতে বাবা-মাকে খুন করে বনগাঁয় গিয়ে তান্ডব, গ্রেফতার গুণধর ছেলে, ধুন্ধুমার কাণ্ড

শুরু মেমারিতে, যার শেষ হল বনগাঁতে। গুনধর ইঞ্জিনিয়ার ছেলে বাবা-মাকে নৃশংস ভাবে খুন করে পালিয়েছিল বনগাঁয়। সেখানে গিয়ে এলোপাথারি ছুরি চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে জখম করেছে। তাকে জোর করে বের করার জন্য থানা আক্রমণ করেছে স্থানীয় ক্ষুব্ধ জনতা। পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। ধুন্ধুমার কাণ্ড। বুধবার সকালে গলার নলি কাটা অবস্থায় বাড়ির সামনের রাস্তা থেকে উদ্ধার হয় বৃদ্ধ মা ও বাবার রক্তাত মৃতদেহ। মোস্তাফিজুর রহমান (৬৫) ও মমতাজ পারভীন (৫৫)। ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমানের মেমারি পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাশিয়ারা মুক্তারবাগান এলাকায়। জোড়া খুনের খবর পেয়ে জেলার পুলিশ সুপার সায়ক দাস দলবল নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। তবে মৃত দম্পতির ছেলে বাড়িতে না থাকায় পুলিশের সন্দেহ বাড়তে থাকে। তবে এটা যে খুনের ঘটনা তা নিয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত ছিল পুলিশ। খুনের পর বৃদ্ধ দম্পতিকে ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে বাইরে বের করে আনা হয়েছিল। সেই কারণে গোটা নানা জায়গায় রক্তের দাগ দেখা গিয়েছে। রাতে দিকে এই ঘটনার আঁচ গিয়ে পড়ে সীমান্ত এলাকায় উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয়। জানা গিয়েছে, ওই দম্পতির ছেলে হুমায়ূন কবির বাইরে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতো। হুমায়ুনের মানসিক সমস্যা আছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। তাছাড়া বাড়ির সিসিটিভির হার্ড ডিস্ক উধাও বলে জানা গিয়েছে। বৃদ্ধ দম্পতির দেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা নমুনা সংগ্রহ করেছেন। এদিকে বুধবার সন্ধ্যায় অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি বনগাঁ খান শরীফে ঢুকে বেশ কয়েকজনের ওপরে ছুরি নিয়ে আক্রমণ করে। এই ঘটনায় কয়েকজন আহত অবস্থায় বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওই অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। বনগাঁ খান শরীফের সামনে কিছুক্ষণ অবস্থান করে সংখ্যালঘুরা। জানা গিয়েছে, একদল বনগাঁ থানায় এসে আসামিকে ছাড়ানোর জন্য চেষ্টা করে এবং বনগাঁ থানায় ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং কয়েকজনকে আটক করেছে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছান বনগাঁর এসপি দীনেশ কুমার। পরে পুলিশ জানতে পারে ওই যুবক মেমারিতে বাবা-মাকে খুন করে বনগাঁয় এসে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।বনগাঁ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার সাংবাদিকদের জানান, আক্রমণকারী যুবকের নাম হুমায়ন কবির। বয়স ৩৫ বছর, বাড়ি বর্ধমানের মেমারি। আজ সকালে এই ব্যক্তি তার বাবা-মাকে খুন করে এখানে এসেছে। তারা ছুরির আঘাতে চার জন আহত হয়েছে। এদিকে থানা ভাঙচুরের ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আঘাত পেয়েছেন একজন কনস্টেবল ও একজন এএসআই। এদিকে রাতেই মেমারি থানার পুলিশ পৌঁছে গিয়েছে বনগাঁ থানায়।

মে ২৯, ২০২৫
রাজ্য

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জের, যুবকের মাথা ফাটিয়ে, হাত কেটে দিল গৃহবধূ

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাওয়ায় যুবকের উপরে আক্রমণ ও তার বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ প্রতিবেশী গৃহবধূর বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বনগাঁয়। প্রতিবেশী গৃহবধূর সঙ্গে যুবকের চার বছরের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক। সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাওয়ায় যুবকের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া, ব্লেড দিয়ে হাত কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক গৃহবধূর বিরুদ্ধে। শুধু যুবকের উপর হামলা করেই থামেনি প্রতিবেশী ওই গৃহবধূ। যুবকের পরিবারের অভিযোগ, ওই গৃহবধূ তাদের বাড়ির খাবারে বিষ মিশিয়ে দিয়েছে এবং বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগণার বনগাঁ থানার সভাইপুর এলাকায়। সোমবার বনগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করে যুবক। যুবকের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত গৃহবধূকে গ্রেফতার করেছে বনগাঁ থানার পুলিশ। অভিযুক্ত গৃহবধূকে মঙ্গলবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করে পুলিশ।

মে ২৮, ২০২৫
রাজ্য

গভীর রাতে বোমাবাজি ও গুলি হরিহরপাড়ায়, জখম এক, গ্রেফতার ৪

সোমবার গভীর রাতে মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থানার অন্তর্গত নাজিরপুর পূর্বপাড়া এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। অভিযোগ, ওই রাতে একদল দুষ্কৃতী এলাকায় বোমাবাজি চালানোর পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দা নাজিমউদ্দিন শেখ ওরফে কালুকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।গুলিতে তাঁর পায়ে গুরুতর আঘাত লাগে। স্থানীয়রা তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে হরিহরপাড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ ও পরে কলকাতার একটি হাসপাতালে রেফার করা হয়।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জমি দখলকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছিল। সেই বিবাদের জেরেই এই হামলা বলে প্রাথমিক অনুমান। উল্লেখযোগ্য যে, দুই পক্ষই শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত বলে এলাকাবাসীর দাবি।এই ঘটনায় হরিহরপাড়া থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই চারজনকে গ্রেফতার করেছে। এলাকায় উত্তেজনা থাকলেও বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তদন্ত চলছে।হরিহরপাড়া থানার নাজিরপুর পূর্বপাড়া এলাকায় বোমাবাজি ও গুলি চালানোর ঘটনায় আগ্নেয়াস্ত্র গুলি উদ্ধারসহ চার জনকে গ্রেফতার করে বহরমপুর জেলা জজ আদালতে পাঠানো হলো। ধৃতদের তিনজনের বাড়ি নাজিরপুর পূর্বপাড়া এলাকায় একজনের বাড়ি চোয়া এলাকায়

মে ২৮, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal