• ৫ আষাঢ় ১৪৩২, রবিবার ২২ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Moon

বিনোদুনিয়া

মুনমুনের ভালোবাসায় আপ্লুত শ্রীলেখা! রাজনৈতিক মতাদর্শ ভুলে এ এক অন্য জোট

একঝলকে দেখে মনে হতে পারে শ্রীলেখা মিত্রের মায়ের চরিত্রে মুনমুন সেন! হঠাৎ মেয়ের বাড়িতে এসে ঘর অগোছালো দেখে কোমর বেঁধে পরিপাটি করে ঘর গোছাতে শুরু করলেন। না! এটা কোনও সিনেমার শুটিং নয়। কোনও নাটকের রিহার্সাল-ও নয়। বাস্তবেই এমন ঘটেছে। এবং অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র সেই আবেগঘন দৃশ্য নিজের সমাজমাধ্যমে ভাগ করে নিয়েছেন। তিনি এই বিরল মুহূর্ত চাক্ষুষ করে অবিভুত।অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র যে ভিডিও শেয়ার করেছেন তাতে দেখা যাচ্ছে, একদা বাংলা সিনেমার হার্টথ্রব সুচিত্রা তনয়া মুনমুন সেন ছাই রঙের ফুলছাপ শাড়ি ও স্লিভলেস ব্লাউজ পরে আঁচল কোমরে গুঁজে পরিপাটি ডাইনিং টেবিলে রাখা মিনারেল ওয়াটারের বোতলগুলি খাট লাগোয়া ছোট টেবিলে গুছিয়ে রাখছেন। মুনমুন বোতলগুলি সরাতে সরাতে বলে ওঠেন, আমি পেটিকোট খুঁজে পাচ্ছি না। মুনমুনের কান্ড দেখে কিংকর্তব্যবিমূঢ় শ্রীলেখা। অভিনেত্রী বলে ওঠেন আমার ঘর গুছিয়ে দিচ্ছেন কে দেখো! এই ভদ্রমহিলা আমার ঘর গুছিয়ে দিচ্ছেন। কোনও মানে হয়! আমি করতেও দিচ্ছি। ভিডিয়ো করছি, তবু গোছাতে নিষেধ করছি না! বলতে বলতে দুজনেই উচ্চস্বরে হেঁসে ওঠেন।কোনও কিছুকে পাত্তা না দিয়ে মুনমুন সেন ঘর গুছিয়েই চলেছেন। শ্রীলেখাও সেই অমূল্য মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করে চলেছেন। সুচিত্রা সেন তনয়া তাঁর ঘর গোছাচ্ছেন, এইসব দেখে শ্রীলেখা তারস্বরে কান্নার ভঙ্গী করে বলে ওঠেন, আমার লজ্জা করছে। ভীষন লজ্জা করছে, কী মিষ্টি মহিলা! কোনও কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না মুনমুনকে। একের পর এক জলের বোতল এনে বিছানার পাশে টেবিলে রাখছেন তিনি। তখন বাধ্য হয়ে শ্রীলেখাই বলেন, এ বার তুমি থামো তো! শুধু জলের বোতলের স্থান পরিবর্তন করেই ক্ষান্ত হননি মুনমুন। এর পর শ্রীলেখার মাতৃসমা মুনমুন হাত দেন শ্রীলেখার কস্টিউম বক্সে। জিজ্ঞেস করে চলেন কোনটা কী। শ্রীলেখাও আন্তরিক ভাবে তার প্রতিটা প্রশ্নের উত্তর দিতে থাকেন। শ্রীলেখা বলতে থাকেন কোন শাড়ির সঙ্গে কোন গয়না কিনেছেন তিনি। পরিস্থিতি দেখে বোঝা যায়, এটি কোনও হোটেলের ঘরে দৃশ্য।অভিনেত্রীকে যোগাযোগ করা হলেও পাওয়া যায়নি। অনেকেরই ধারনা এই দুই অভিনেত্রী একসঙ্গে কোনও শুটিংয়ে গিয়েছেন! এই ভিডিয়ো শেয়ার করে সমাজমাধ্যমে শ্রীলেখা লিখেছেন, কোনও মানে হয়! এত ভালবাসা নিয়ে কী করি! কেউ দেয়নি।বাম মনোভাবাপন্ন শ্রীলেখার সাথে প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ মুনমুনের এই আবেগঘন মুহুর্তের পোস্টে অনেকেই আপ্লুত। রাজনৈতিক মতাদর্শ যাইহোক পেশাগত ক্ষেত্রে তার উর্ধে ওঠাটাই কাম্য। চিত্র-বিনোদন জগতে আমরা-ওরা মুলত ওই শিল্পক্ষেত্রের-ই ক্ষতি করছে বলে মনে করেন বিদগ্ধজন। এই আবেগঘন পোস্ট মুহুর্তে ছড়িয়ে পড়ে সমাজমাধ্যমে। দুই প্রবাদপ্রতিম অভিনেত্রীকে একান্ত ঘরোয়া পরিবেশে এত স্বাভাবিক কথোপকথন দৃশ্য অনুধাবন করে মুগ্ধ আপামোর নেটরসিক। দুজনের একান্ত দৃশ্য যদি কোনও সিনেমার শুটিংয়ের জন্য গিয়ে থাকেন সেই চমকের দিকেই তাকিয়ে দুই অভিনেত্রীর অনুরাগী মহল।

মার্চ ১৫, ২০২৫
দেশ

মাসের শেষদিনে সাক্ষী থাকুন এক অভুতপূর্ব দৃশ্যর, দেখুন পূর্নিমার ‘নীল চাঁদ’

আগামী বৃস্পতিবার ৩১ অগস্ট পৃথিবীর আকাশ থেকে দেখা যাবে এক অভুতপূর্ব দৃশ্য! এক বিরল ঘটনার সাক্ষী হবে পৃথিবীবাসি। ৩১ অগস্ট রাতের আকাশে নীল চাঁদ দেখার সৌভাগ্য হবে পৃথিবীবাসির। চন্দ্রালোকের মূর্ছনায় ভরে যাবে এই ধরাতল। হয়ত এরকমই কোনও এক জ্যোৎস্না রাতের অপুর্ব সুন্দর চাঁদের আলোয় মুগ্ধ হয়ে কবিগুরু গেয়ে উঠেছিলেন, চাঁদের হাসির বাঁধ ভেঙেছে, উছলে পড়ে আলো। ও রজনীগন্ধা, তোমার গন্ধসুধা ঢালো॥ মহাজাগতিক নিয়মে অমাবস্যার ১৫ দিন পর পূর্নিমা তিথির আগমন হয়, সেক্ষেত্রে একই মাসে দুইবার পূর্নিমার মত বিরল ঘটনা খুব কমই দেখা যায়।শেষ এই দৃশ্য দেখা গিয়েছিল ২০১৮-র জানুয়ারি মাসে। ঠিক পাঁচ বছর পর ২০২৩ র অগস্টের ১ তারিখে দেখা গিয়েছিল সুপারমুন, ২৮শে আগস্ট দেখা যাবে নীল চাঁদ। যেকোনও পুর্নিমার রাতই মনোরম। চাঁদ, জ্যোৎস্না নিয়ে বাংলা গান ও কবিতা খুঁজতে বসলে রাত কাবার হয়ে যাবে। সাহিত্যপ্রেমীরা বলে থাকেন, চাঁদ বাংঙ্গালীর প্রেমের অবতার। যেকোনো পুর্নিমার চাঁদই জ্যোৎস্নায় পৃথিবীর আকাশ ভরিয়ে তোলে। একটি পুর্নিমার জন্য অপেক্ষা করতে হয় কমপক্ষে ৩০টি দিন। পুর্নিমাকে তো আর রোজ রোজ পাওয়া যায় না। এই অগস্টেই অপুর্ণ সাধ পুড়ন হতে যাচ্ছে,যদি না আকাশ মুখ ভার করে। জোড়া পূর্ণিমার মাসের শেষ দিনে আকাশ ভরা তারার মাঝে রানির মত বিচরণ করবে নীল চাঁদ।আগস্টে জোড়া পূর্ণিমা, আর এই দুটি পূর্ণিমাতেই সুপারমুন দেখা যাবে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, অগস্ট মাসের ১ লা দেখা গিয়েছিলো প্রথম সুপারমুনের। ভর সন্ধ্যায় পুব আকাশে মস্ত থালার মতো উজ্জ্বল চাঁদ উঠেছিল। মাসের শেষদিন ৩১ শেআবার সুপারমুন দর্শণ মিলবে। তবে এবারে পুর্নিমার রাতেদ আকাশে যে সুপারমুনের দেখা মিলবে তার রং হবে হালকা নীলাভ, যাকে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ব্লু মুন বলে অবিহিত করছেন।এর আগে লাল চাঁদ, গোলাপি চাঁদ, কমলা চাঁদের কথা শুনেছি বা দেখেছিও। জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের ব্যখা, সূর্য রশ্মির প্রতিসরণে চাঁদের গায়ে যে রং পড়ে চাঁদ তারই প্রতিফলন পৃথিবীর ওপর পড়ে। বিভিন্ন সময় এই রঙের রকমফের হয়। লালচে আভা তৈরি করলেই ব্লাড মুন (Blood Moon) বলে। সাধারণত পূর্ণগ্রাস গ্রহণে লাল রশ্মির প্রতিসরণে চাঁদকে লালচে দেখায়। নীল চাঁদ কি সত্যিই নীল বর্ণের দেখতে হয়? পূর্ণিমার চাঁদের আকার সাধারণ দিনের থেকে বড় হয়, চাঁদের আকার দেখতে গোল থালার মতো। এর রঙ কোনভাবেই নীল নয়, পুর্নিমার চাঁদের রং দুগ্ধ সাদা ই বেশির ভার ক্ষেত্রে লক্ষ করা যায়। ব্লু মুন বা নীল চাঁদে এই নামের পিছনে অনেক গল্প চালু আছে। কেউ বলে থাকেন, ব্লু মুন হল হান্টার মুন, পুর্নিমার রাতে চাঁদের জ্যোৎস্নায় আগেকার দিনে রাতে শিকারিরা শিকার করতে বেরোতেন। তাই এমন নাম দেওয়া হয়েছিল। আবার অন্য অনেক ধারনাও প্রচলিত আছে। যে ধারনাই থাকুক না কেনো, বর্তমানে কোনও মাসে দুটি পূর্ণিমা পড়ে গেলে, দ্বিতীয়টিকে ব্লু মুন বলা হয়।

আগস্ট ২৮, ২০২৩
দেশ

জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠ আসন ভারতের, চন্দ্র অভিযানে ইতিহাস গড়ল ইসরো

ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (ইসরো) দ্বিতীয় দফার প্রচেষ্টা সফল। চন্দ্রযান-৩ বিক্রম ল্যান্ডার সফট ল্যান্ডিং করল চাঁদের পৃষ্ঠে। ইতিহাস গড়ে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফল অবতরণ করল চন্দ্রযান ৩। বুধবার সকাল থেকে টানটান উত্তেজনা ছিল দেশজুড়ে। সারা বিশ্ব তাকিয়ে ছিল ভারতের চন্দ্র অভিযানের দিকে। এরইমধ্যে রাশিয়ার দ্রুত গতির চন্দ্র অভিযান ব্যর্থ হয়েছে। চার বছরের মাথায় সফল ইসরো। চাঁদের সহজেই দক্ষিণ মেরুতে সফল অবতরণ করল চন্দ্রযান ৩।ইতিহাসে নাম লেখাতেই দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একইসঙ্গে ইসরোর বিজ্ঞানীদের কৃতিত্বকে কুর্নিশ জানিয়েছে মোদী। ইসরো প্রধান সোমনাথ আজ সকালেই মিশন সম্পর্কে বলেন, চার বছরের কম সময়ে আমরা আমাদের মিশন উন্নত করতে এবং একটি ব্যাকআপ পরিকল্পনা তৈরিতে আমাদের বিজ্ঞানীরা সাফল্যের সঙ্গে কাজ করেছেন। এই মিশনে এখন পর্যন্ত আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী সবকিছুই ঠিক ঠাক হয়েছে। আমরা বিভিন্ন স্তরে সিস্টেম যাচাই করে অবতরণের প্রস্তুতি নিয়েছি এবং ল্যান্ডারের স্বাস্থ্য একেবারে ঠিক আছে। পাশাপাশি তিনি বলেন, চন্দ্রযান-২ মিশনের ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে আগের সকল ভুল সংশোধন করেছে ISRO।১৪ জুলাই ইতিহাস গড়ার অভিযানে নেমেছিল ইসরো। শেষমেশ সফল অবতরণ। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে এই প্রথম কোনও দেশ অভিযানে সক্ষম হল। এই অবতরণে সফল হয়ে ইতিহাসে নাম লেখাল ভারত।চন্দ্রযান-২, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯-এ চাঁদে অবতরণের প্রক্রিয়া চলাকালীন ব্যর্থ হয়েছিল, যখন এর ল্যান্ডার বিক্রম একটি প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে চন্দ্রপৃষ্ঠে ভেঙে পড়ে। ভারতের প্রথম চন্দ্র মিশন চন্দ্রযান-১ ২০০৮ সালে চালু হয়েছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চিন এবং প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়নের পরে ভারত মুন মিশনে বিশ্বের চতুর্থ দেশ হয়ে হয়ে উঠেছে। ১৪ দিন সেখানে ঘুরে ফিরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে চন্দ্রযান-৩-এর রোভার প্রজ্ঞান। এই ১৪ দিন চাঁদের জমিতে থাকা জল ও নমুনা সংগ্রহ করবে রোভার।

আগস্ট ২৩, ২০২৩
দেশ

ইসরোর বিক্রমে ‘হাতের মুঠোয় চাঁদ’, জোছনা এবার আড়ি করেনি

ইতিহাসের সাক্ষী থাকলো সারা বিশ্ববাসী। অন্তরীক্ষে ইতিহাস ভারতের। বিশ্বের প্রথম দেশ হিশাবে চাঁদের বুকে বীর বিক্রমে রোভার প্রজ্ঞানকে পেটে নিয়ে চাঁদের বুকে পা রাখলো ভারত। বুধবার ঠিক সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিটে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করল চন্দ্রযান-৩। অবতরণের শেষ ২০ মিনিট নিয়ে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরোর বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা ও দুশ্চিন্তায় কেটেছে। শেষ ভালো যার সব ভালো। কোনওরকম সমস্যা তৈরি না করে সমস্ত কিছুই পরিকল্পনা মাফিক হয়ে চাঁদের বুকে সফট ল্যান্ডিং করল সম্পূর্ন ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ল্যান্ডার বিক্রম। চাঁদের মাটি ছুঁয়েই ল্যান্ডারের বিক্রম ভারতকে অভিনন্দন বার্তা পাঠালো। এবার বিক্রমের পেট থেকে বেরিয়ে রোভার প্রজ্ঞান কি কি আজানা খবর দেয় তার দিকেই তাকিয়ে ইসরো-র বিজ্ঞানীরা।উল্লেখ্য, ২০২৩ এর ১৪ জুলাই ভারতের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে রওনা করে ছিল চন্দ্রযান-৩। ইসরোর তৈরি মহাবলী মার্ক-৩ রকেটে চড়ে কক্ষপথে পাড়ি দেয় এই মহাকাশ যানটি। যাত্রাপথে ৩ লক্ষ ৮৪ হাজার কিলোমিটারে পথ নির্বিঘ্নে প্রতিটি ধাপ সে সফলভাবে পেরিয়েছে। আগস্ট মাসের ৫ তারিখ চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছয় চন্দ্রযান-৩। ১৯ আগস্ট মূল মহাকাশ যান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে চন্দ্রাভিযানের উদ্দশ্যে রওনা দেয় ল্যান্ডার বিক্রম।Chandrayaan-3 Mission:All set to initiate the Automatic Landing Sequence (ALS).Awaiting the arrival of Lander Module (LM) at the designated point, around 17:44 Hrs. IST.Upon receiving the ALS command, the LM activates the throttleable engines for powered descent.The pic.twitter.com/x59DskcKUV ISRO (@isro) August 23, 2023ইসরো বিজ্ঞানীদের হয়ত বা চার বছর আগের ব্যর্থতার সেই মহুর্তে বার বার মনে আসছিলো। তীরে এসে তরী ডুববে না তো? ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবারের চন্দ্রযানকে এরর -ফ্রী করে তুলে ইসরোর মহাকাশ বিজ্ঞানীরা যে চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখেনি তা বলাই বাহুল্য। এবারের অভিযান নিয়ে প্রথম থেকেই আত্মবিশ্বাসে ভরপুর ছিলেন বিজ্ঞানীরা।২০১৯ র অভিযানে ইসরোর ডিরেক্টর কে সিভান চাঁদের বুকে রুক্ষ মাটিতে চন্দ্রযান-২ আছড়ে পড়ার পর যে ভাবে কান্নায় ভেঙে পরেছিলেন সে দৃশ্য সারা দেশ আজও ভুলতে পারেনি। আজকের দিনে সমস্ত যায়গায় তিনিই ছিলেন আলোচনার কেন্দবিন্দুতে। সেই প্রাক্তন ইসরোর প্রধান কে সিভান কিন্তু এবারের অভিযানের সফলতার প্রতি সম্পূর্ন আস্থা ও আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। তিনি বলেছিলেন, দ্বিতীয় চন্দ্রযানের করা ভুল তৃতীয় আর পুনরাবৃত্তি করবে না। তিনি কতটা ঠিক ছিলেন তা অক্ষরে অক্ষরে মিলে গেল।

আগস্ট ২৩, ২০২৩
দেশ

সরাসরি দেখুন ইসরোর 'চন্দ্রযান ৩' এর চন্দ্রপৃষ্টে অবতরণের মুহূর্ত, সাক্ষী হন ইতিহাসের

চূড়ান্ত মুহূর্তের অপেক্ষায় সমগ্র দেশবাসী। ইতিহাস স্পর্শ করতে আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। কাউন্টডাউন শুরু। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে বুধের সন্ধ্যায় চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করবে ভারতের সম্পূর্ন নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি চন্দ্রযান ৩। কথায় আছে, মঙ্গলে ঊশা-বুধে পা, প্রবাদকে সামনে রেখে বুধে-র সাফল্যের দিকেই তাকিয়ে আপামর ভারতবাসী।রাশিয়ার স্বপ্নভঙ্গ কিছুটা হলেও ইসরো-ও বিজ্ঞানীদের আরও বেশি সতর্ক করে দিয়েছে। রাশিয়ার তৈরি লুনা-২৫ রবিবার চাঁদ ছুঁতে গিয়ে স্বপ্নভঙ্গ করে দিয়েছে। চাঁদের বুকে ভেঙে পড়েছে রুশ মহাকাশযান লুনা -২৫। এখনও অবধি কোনও দেশই চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে মহাকাশযান সফল অবতরণ করাতে পারেনি। সেই দিক থেকে ভাবলে, বুধবার ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর কাছে এ এক অগ্নিপরীক্ষা। ক্রমশ চাঁদের আরও কাছে পৌঁছে যাচ্ছে চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডার বিক্রম। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো সামাজিক মাধ্যমে টুইট করে চন্দ্রযান-৩-এর অবতরণের দিনক্ষণ জানিয়ে দিল। এই মুহূর্তটা ইসরোর কাছে ক্রিকেট খেলার স্লগ ওভারের মত। বল গুনে গুনে খেলা, মুহুর্তের অসাবধানতা - সব শেষ।ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো রবিবার দুপুর ২টো ১২মিনিটে টুইট করে জানিয়ে দিয়েছে, বুধবার ঠিক সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিটে চাঁদের মাটিতে অবতরণ করবে ভারতীয় মহাকাশযান। সমগ্র দেশবাসীর কাছে সুখবর, তাঁরা এবারের চন্দ্রযানের অবতরণের মুহূর্ত সরাসরি সাক্ষাৎ করতে পারবেন। যে যে মাধ্যমে এই বিরল দৃশ্য সরাসরি দেখা যাবে তার লিঙ্কও ইসরো জানিয়ে দিয়েছে। চন্দ্রযান ৩-এর অবতরণের সরাসরি সম্প্রচার করে হবেঃ ইসরো অফিসিয়াল সাইট, ইসরো ফেসবুক, ইসরো ইউটিউব।Chandrayaan-3 Mission:🇮🇳Chandrayaan-3 is set to land on the moon 🌖on August 23, 2023, around 18:04 Hrs. IST.Thanks for the wishes and positivity!Lets continue experiencing the journey togetheras the action unfolds LIVE at:ISRO Website https://t.co/osrHMk7MZLYouTube pic.twitter.com/zyu1sdVpoE ISRO (@isro) August 20, 2023অপেক্ষা আর মাত্র দুটি দিন, তার পরই সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। রবিবার ইসরোর টুইট করার কিছু মুহূর্ত পরেই রাশিয়ার তৈরি লুনা-২৫ ভেঙে পড়ার খবর সামনে আসে। সেই খবরের জেড়ে ইসরোর শিরদাঁড়ায়ও চোরা স্রোত বইছে বলে বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা। ২০১৯-এর ভারতের চন্দ্রযান ২-এর বেদনাময় স্মৃতি ইসরোকে উস্কে দিচ্ছে বলেও তাঁরা মনে করছে। ২০১৯ -এ সারা দেশের অধীর রাতজাগা যে ভাবে ব্যর্থ হয়ে চাঁদের বুকে দেশের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছিল সে কথাই এখন বারবার উঠে আসছে। তবুও ইসরোর সঙ্গে দেশবাসীও আশায় বুক বেঁধেছেন।এবারের চন্দ্রাভিযানের প্রথম থেকেই কোমর বেঁধে নেমেছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। ২০১৯ এর করুন পরিণতি থেকে শিক্ষা নিয়ে এ বার ইসরো অনেক সাবধানেই চাঁদের বুকে পা রাখার পরিকল্পনা করেছে। এখনও পর্যন্ত সব ঠিক ঠাকই চলছে বলে তাঁদের ধারণা। চাঁদের অনেক কাছে পৌঁছে গিয়েছে ল্যান্ডার বিক্রম। মূল মহাকাশযান থেকে বিচ্ছেদের পর গতি কমিয়ে দিয়েছে চন্দ্রযান ৩। রবিবার আবার দ্বিতীয় দফায় গতি নিয়ন্ত্রণ করা হবে। ইসরো এবারের অবতরণ পদক্ষেপে অনেক পরিবর্তন করেছে বলে বিশেষজ্ঞরা জানান। তাঁরা জানান, এবারের ভারতীয় চন্দ্রযান চন্দ্রযান ৩ কে পাখির পালকের মতো আলতো করে চাঁদের মাটিতে অবতরণ করানো হবে। ঘন অন্ধকারে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে এই সফ্ট ল্যান্ডিং করা যে কোনও মহাকাশযানের কাছেই বিরাট চ্যালেঞ্জ। কয়েক মহুর্ত আগে রুশ চন্দ্রযান লুনা-২৫ যা করতে ব্যর্থ হয়েছে। এখন ভারতের চন্দ্রযান বুধবার সেই লক্ষ্যপূরণ করতে পারে কি না, সেটাই লাখ টাকার প্রশ্ন!উল্লেখ্য, ১৪ ই জুলাই চাঁদের দেশে পাড়ি দিয়েছিল সম্পুর্ণ ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ভারতীয় চন্দ্রযান ৩। প্রায় এক মাস অতিক্রান্ত করে চাঁদের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় রাশিয়ার মহাকাশযান লুনা-২৫। লুনা-২৫ চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছিল ১০ ই অগস্ট ২০২৩। সোমবার ২১শে আগস্ট চাঁদের মাটিতে অবতরণের কথা এই রুশ মহাকাশযানের। ভরতের থেকে কম সময়ে চাঁদে সফল অবতরণ নিয়ে নানা মহলে জল্পনা তৈরি হয়। অনেকের মনেই এই জল্পনা চলছিল, ভারতকে টেক্কা দিয়ে কি পুতিনের দেশ রাশিয়া ইতিহাস তৈরি করে ফেলবে? ব্যর্থ হয় সেই অভিযান! রবিবার রাশিয়ার সেই স্বপ্ন ভেঙে খানখান হয়ে পরে। লক্ষ্যপূরণে ব্যর্থ হয় তাঁরা। এখন সারা বিশ্বের দৃষ্টি ইসরোর কেরামতির দিকে। ভারতের চন্দ্রযানের কি হাল হয় তার দিকেই তাকিয়ে সারা বিশ্ব। বুধবার কি ইতিহাস তৈরি হবে? অপেক্ষার কাউন্টডাউন শুরু...... ২৩ আগস্ট, বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিটের অধীর অপেক্ষায় সমগ্র ভারতবাসী।

আগস্ট ২০, ২০২৩
দেশ

কবে চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করবে চন্দ্রযান-৩, মহাকাশযান এখন কোথায় অবস্থান করছে?

চন্দ্রযান-৩ নিয়ে বিজ্ঞানীদের যেমন আশা রয়েছে তেমনই উৎসাহ দেশবাসীর। মঙ্গলবার চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযান পৃথিবীর চারপাশে তার সর্বোচ্চ কক্ষপথে পৌঁছে গিয়েছে। এখানে এটি চাঁদের দিকে যাত্রা শুরু করার আগে আরও ছয় দিন থাকবে। ভারতীয় স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন (ইসরো) জানিয়েছে যে পঞ্চম এবং চূড়ান্ত কক্ষপথে ওঠার কৌশলটি মঙ্গলবার বিকেলেই সেরে ফেলেছে চন্দ্রযান-৩। মহাকাশযানটি বর্তমানে রয়েছে একটি উপবৃত্তাকার কক্ষপথে। যার দূরত্ব পৃথিবীর পৃষ্ঠ থেকে সবচেয়ে বেশি ১,২৭,৬০৯ কিলোমিটার। আর, সবচেয়ে কাছের ২৩৬ কিলোমিটার। এর আগে, মহাকাশযানটি পৃথিবীর চারপাশে ৭১,৩৫১x২৩৩ কিলোমিটার উপবৃত্তাকার কক্ষপথে ছিল।গত ১৪ জুলাই উৎক্ষেপিত হয়েছে চন্দ্রযান-৩। পরিকল্পনা অনুযায়ী এই মহাকাশযান আগামী মাসে চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণ করবে। বর্তমানে উপবৃত্তাকার কক্ষপথে পৃথিবীর চারপাশে ঘুরছে এটি। ক্রমশই এর কক্ষপথের দৈর্ঘ্য বাড়াচ্ছে। ১ আগস্ট, এটি পৃথিবীর কক্ষপথ থেকে বেড়িয়ে যাবে। আর, সরাসরি চাঁদের দিকে যেতে শুরু করবে। একবার চাঁদের কাছাকাছি যাওয়ার জন্য এই মহাকাশযান চাঁদের একের পর এক কক্ষপথে প্রবেশ করবে। সেই জন্যও বেশ কিছুদিন সময় লাগবে। অবশেষে ২৩ বা ২৪ আগস্টের কাছাকাছি প্রায় ১০০ কিলোমিটার বৃত্তাকার কক্ষপথ থেকে চন্দ্রযান চাঁদের পৃষ্ঠে চূড়ান্ত অবতরণ করবে।চন্দ্রযান-৩ সমগ্র ভ্রমণকে অর্থনৈতিক দিক থেকে সাশ্রয়ী করার জন্য সরাসরি চাঁদে চলে যাওয়ার পরিবর্তে একটি বৃত্তাকার পথে সেদিকে যাচ্ছে। চাঁদে এই মহাকাশযান সরাসরি যেতেই পারত। সেজন্য এর প্রায় চার দিন বেশি সময় লাগত। কিন্তু, সেজন্য চন্দ্রযান-৩ এর অনেক ভারী রকেট এবং বিপুল পরিমাণ জ্বালানির প্রয়োজন হত। যার খরচ ছিল ব্যাপক। সেই কারণে খরচ বাঁচাতে চন্দ্রযান-৩ কে পৃথিবীর কাছাকাছি একটি কক্ষপথে প্রথম পাঠানো হয়। সেখান থেকে এই মহাকাশযান গতি অর্জনের জন্য অভিকর্ষ বল ব্যবহার করে। তারপরে ফায়ার থ্রাস্টারগুলোকে ত্বরান্বিত করে একের পর এক কক্ষপথে পৌঁছেছে। এই প্রক্রিয়ায় অনেক কম পরিমাণে জ্বালানি লাগছে। কিন্তু, চাঁদে পৌঁছতে অনেক বেশি সময়ও লাগছে।

জুলাই ২৬, ২০২৩
দেশ

চন্দ্রযান ‘থ্রী’ দলে সামিল বীরভূমের কৃষক পরিবারের সন্তান বাংলার গর্ব

চাঁদে যান পাঠানোর কর্মযজ্ঞে সামিল বীরভূমের প্রত্যন্ত গ্রামের বিজয় কুমার দাই। ইসরোর গবেষনাগারে বসে চন্দ্রযান থ্রীর সফল উৎক্ষেপনে অংশ নিয়েছেন মল্লারপুর থানার দক্ষিণগ্রামের দাই পাড়ার বিজয় কুমার দাই। তপশিলী দরিদ্র চাষী পরিবারে জন্ম নেওয়া বিজয় দারিদ্রতাকে জয় করে চাঁদে যান পাঠানোর কর্মযজ্ঞে সামিল হলেন তিনি। বিশ্বজোড়া খ্যাতির কর্মকাণ্ডে ছেলের অংশগ্রহণে গর্বিত বিজয়ের বাবা-মা ও তার গ্রামের মানুষজন। চন্দ্রযান টু সফল না হলেও চন্দ্রযান থ্রী সফলভাবে চাঁদের মাটিতে অবতরণ করবে বলে আশা বিজয় কুমার দাই এর বাবা ও মার।২০০০ সালে মল্লারপুর থানার দক্ষিণগ্রাম জগততারিণী বিদ্যায়তন থেকে ৮৯ শতাংশ নম্বর নিয়ে মাধ্যমিক পাশ করেন বিজয় কুমার দাই। উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন বেলুড় রামকৃষ্ণ মঠ থেকে। তারপর কল্যানী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার ডিগ্রী লাভ করেন। তারপরেই চাকরি পেয়ে যান ইসরোতে। সেখানেই চন্দ্রযান ২ এবং চন্দ্রযান থ্রি উৎক্ষেপনে অংশ গ্রহন করেন তিনি। বিজয় কুমার দাই এর এই সাফল্যে খুশী দক্ষিণগ্রামের মানুষজনও। খুশী দক্ষিণগ্রাম জগততারিণী বিদ্যায়তনের শিক্ষককেরাও।মা শ্যামলী দাই বলেন, আমার তিন ছেলের মধ্যে বিজয় মেজো। বড় ছেলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। বড় ছেলের দেখানো পথেই মেজো ছেলে ইসরোতে পৌঁছেছে। বড় ছেলে সব সময় ভাইকে গাইড করত। খুব ভালো লাগছে।স্কুলের প্রধান শিক্ষক উৎপল মণ্ডল বলেন, আমরা গর্বিত। আমাদের স্কুলের একজন ছাত্র ইসরো বিজ্ঞানী হয়েছে এটাতো গর্বের বিষয়। আমরা ঠিক করেছি এবার বাড়ি ফিরলে স্কুলে অনুষ্ঠান করে তাকে সম্বর্ধিত করব। পাশাপাশি তাঁর মাধ্যমে বর্তমান ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহিত করব।

জুলাই ১৬, ২০২৩
রাজ্য

Kojagori: নিশীথে বরদা লক্ষ্মীঃ জাগরত্তীতিভাষিণী

আজ কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো। শরৎ পূর্ণিমার দিনে বাংলার ঘরে ঘরে লক্ষ্মীপুজো করা হয়। দুর্গাপুজার কয়েকদিন বাদেই আশ্বিন মাসের শেষের পূর্ণিমাতে যে লক্ষ্মী পুজো পালিত হয়, তাকে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো বলা হয়। এই পুজা কোজাগরী নামে প্রচলিত হলেও অনেকেই এই কোজাগরী / কোজাগর কথার অর্থ জানেন না।কোজাগরী মানে কি?শরৎ-কালের পূর্ণিমার রাত্রিই সাধারণ ভাবে বছরের সবচেয়ে উজ্জ্বল রাত্রি বলে ধরা হয়। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী এই রাত্রে ধনসম্পদ, প্রাচুর্য, সৌন্দর্য ও সমৃদ্ধির দেবী মা-লক্ষ্মী স্বর্গের বিষ্ণুলোক হতে ধরাধামে আসেন এবং মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে কে জেগে আছ? এই প্রশ্ন করেন। নিশীথে বরদা লক্ষ্মীঃ জাগরত্তীতিভাষিণী।তস্মৈ বিত্তং প্রযচ্ছামি অক্ষৈঃ ক্রীড়াং করোতি যঃ।।নিশীথে বরদাত্রী লক্ষ্মীদেবী কে জেগে আছ বলে সম্ভাষণ করেন। যে সেই রাতে লক্ষ্মীব্রত করে জেগে থাকে দেবী তার কাছ থেকে সাড়া পান এবং তার গৃহে প্রবেশ করে সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য প্রদান করেন। আশ্বিন মাসের পূর্ণিমা তিথি এবং ঐ তিথিতে অনুষ্ঠিত লক্ষ্মীপূজাকে যথাক্রমে কোজাগরী পূর্ণিমা এবং কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা বলে অভিহিত করা হয়। কথিত আছে লক্ষ্মী দেবী ধরায় এলে, প্যাঁচা আনন্দিত মনে সারারাত কোলাহল করে বেড়ায় দেবীর সাথে। ভোরের আলো দেখে প্যাঁচা গাছের কোটরে ঢুকে পড়লে কাঠঠোকরা ওই কোঠর থেকে বেরিয়ে যায়। কাঠঠোকরাকে দেখে দেবী ভাবলেন ইনিই তাঁর বাহন। খুশি মনে মুকুট দিলেন কাঠঠোকরার মাথায়। জন্ম হলো এক চাকমা প্রবাদের- প্যাঁচায় কুড়কুড়ায়,খোড়ইল্যা সোনার তুক পায়।বিভিন্ন তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, কোজাগরী শব্দটির উৎপত্তি কো জাগতী থেকে। এর আক্ষরিক অর্থ কে জেগে আছো? আরও কথিত আছে, কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর দিনে ধন-সম্পদের দেবী লক্ষ্মী স্বর্গ থেকে মর্ত্যে অবতরণ করেন এবং বাড়ি বাড়ি গিয়ে সকলকে আশীর্বাদ দেন। কিন্তু যার বাড়ির দরজা বন্ধ থাকে, তাঁর বাড়িতে লক্ষ্মী প্রবেশ করেন না ও সেখান থেকে ফিরে চলে যান। তাই লক্ষ্মী পুজোর রাতে জেগে থাকার রীতি প্রচলিত আছে। সারারাত জেগে লক্ষ্মী আরাধনাই এই পুজোর বিশেষত্ব। আবার প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, শরৎ পূর্ণিমার রাতে যে জেগে অক্ষক্রীড়া অর্থাৎ পাশা খেলেন, লক্ষ্মী তাঁকে ধনসম্পদ দান করেন। আবার দক্ষিণবঙ্গের অনেক জায়গায় কিছু মানুষ কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর দিন অন্যের বাগান থেকে ফল বা শস্য চুরি করে থাকে। তাঁদের ধারণা, এর ফলে লক্ষ্মী তাঁদের আশীর্বাদ দেবেন।নানান রূপে লক্ষ্মী:লক্ষ্মীর মূর্তি পুজো ছাড়াও আরও নানান ভাবে লক্ষ্মীকে কল্পনা করে এদিন তাঁকে পুজো করা হয়। যেমন- আড়ি লক্ষ্মী। এ ক্ষেত্রে ধান ভর্তি ঝুড়ির ওপর কাঠের লম্বা দুটি সিঁদূর কৌটো লালচেলিতে মুড়ে মা লক্ষ্মীর রূপ দেওয়া হয়। আবার কলার পেটোর তৈরি নৌকা বানিয়ে লক্ষ্মী আরাধনার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই প্রথাকে কে সপ্ততরী বলা হয়ে থাকে। বাণিজ্যিক নৌকার প্রতীক হল এই সপ্ততরী। অনেকেই পুজোর সময় এই সপ্ততরীতে টাকা, শস্য, হরিতকি, কড়ি, হলুদ রেখে মা লক্ষ্মীর উদ্দশ্যে নিবেদন করা হয়।আবার প্রকারভেদে সরায় (মাটির পাত্র) পটচিত্রের সাহায্যেও লক্ষ্মীপুজো করা হয়ে থাকে। যেমন-ঢাকাই সরা, ফরিদপুরি সরা, সুরেশ্বরী সরা ও শান্তিপুরি সরা। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় লক্ষ্মীসরা আঁকা হয়। অঞ্চল ভেদে এই সরায় তিন, পাঁচ, সাতটি পুতুল আঁকা হয়। এতে থাকে লক্ষ্মী, জয়া ও বিজয়া-সহ লক্ষ্মী, রাধাকৃষ্ণ, সপরিবার দুর্গা ইত্যাদি। সুরেশ্বরী সরায় মহিষাসুরমর্দিনী আঁকা থাকেন আর এই সরার নীচের দিকে থাকেন সবাহন লক্ষ্মী। আবার কলার বের ও লক্ষ্মীর মুখ সমন্বিত পোড়া মাটির ঘটকেও অনেকে দেবী লক্ষ্মী রূপে কল্পনা করে পুজো করে থাকেন। এই ঘটে চাল বা জল ভরে সেটিকে লক্ষ্মী মনে করে পুজো করা হয়ে থাকে।

অক্টোবর ২০, ২০২১

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

নৌকো ডুবিতে প্রাণ বাঁচল ১৩ জনের, নিখোঁজের তল্লাশিতে ডুবুরি

মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান ফেরিঘাটে মধ্যরাতে নৌকায় পারাপারে ঘটলো বড়সড় বিপত্তি। ১৩ জন প্রাণে বাঁচলেও নিখোঁজ এক শ্রমীক। স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ১২ জন শ্রমীক ধুলিয়ান কলাবাগান সংলগ্ন ফেরিঘাট আসে মালদা যাওয়ার জন্য। ঘাটের নৌক রাত ৯ টার পর বন্ধ থাকায় দুই জন মৎস্যজীবীকে বলে নদী পারাপার করারা জন্য।জানা গিয়েছে, দুই মৎস্যজীবী রাজি হয়ে যায় ৮০০ টাকার বিনিময়ে। কিন্তু তাঁদের নিজের নৌক না থাকায়, রঞ্জন মন্ডলকে না জানিয়ে তাঁর নৌকা নিয়ে তাঁদের পারাপার করতে যায়। প্রশাসনের নিয়মকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে নৌকা ঘাট বন্ধ থাকায় ছোট নৌকা করে প্রায় ১২ জন শ্রমীক নিয়ে ধুলিয়ান কলাবাগান সংলগ্ন ফেরিঘাট থেকে পারলালপুর ঘাটের উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় হঠাৎ নৌকা উল্টে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটি আসে সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ, বিএসএফ ও স্থানীয় মাঝিরা। রাতে জীবিত ১৩ জনকে উদ্ধার করা গেলেও নিখোঁজ হয়ে যায় এক ব্যাক্তি। নিখোঁজ ব্যক্তির পরিবার সুত্রে জানা যায়, নিখোঁজ ব্যক্তির নাম জাহাঙ্গীর শেখ। বয়স ৩৫ বছর। বাবার নাম লিয়াকত আলি। বাড়ি মালদা জেলার বৈষ্ণবনগর থানার বাখরাবাদ গ্রাম। সকাল থেকে নিখোঁজ শ্রমিকের পরিবার ও পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগ ডুবুরি টিম গঙ্গায় তল্লাশি চালাতে থাকে।পুলিশ সুত্রে জানা যায়, দুই জন মৎসজীবীকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল রাতে ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ ও বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ। সকালে ডুবরির টিম তল্লাশি করছে। ইতিমধ্যে ডুবে যাওয়া নৌকা টিকে উদ্ধার করেছে সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ । পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।

জুন ২১, ২০২৫
রাজ্য

বারাসতে ভয়াবহ আগুন, মুহূর্মুহু বিস্ফোরণের শব্দ, ঘটনাস্থলে দমকলের ২০টি ইঞ্জিন

ভয়াবহ অগ্নিকান্ড বারাসাত। বিধ্বংসী আগুনে জ্বলছে বামনমুড়ায় প্যাম্পার্স ফ্যাক্টরি। আগুনের ফলে বন্ধ করা হয়েছে বারাসাত টাকি রোডের যান চলাচলও। প্রথমে স্থানীয় আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেও ব্যর্থ। দমকলের ২০টি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।শনিবার সন্ধ্যায় হঠাৎই আগুনের লেলিহান শিখা দেখা যায় বারাসাতের বামুনমুড়া এলাকায়। অগুন নজরে আসতেই প্রথমে স্থানীয়রা আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। ২০টি দমকল ইঞ্জিন পৌঁছালেও এখনও পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। গলগল করে ধোঁয়া বের হতে থাকে। আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি। ব্যাপক ক্ষয়খতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

জুন ২১, ২০২৫
রাজ্য

শৌচাগারের ট্যাঙ্কি বানাতে গিয়ে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা, মৃত দুই

নির্মীয়মান বাড়ির শৌচাগারের ট্যাঙ্কি ভেঙে মৃত্যু হল দুই ভাইয়ের। এই ঘটনায় জখম হয়েছে আরও একজন শ্রমিক । তাঁর চিকিৎসা চলছে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। শনিবার সন্ধ্যা ছটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে ইংরেজবাজার শহরের সুকান্তপল্লি এলাকায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত দুই ভাইয়ের নাম উজ্জল মন্ডল (২৮) এবং অসিত মন্ডল (২৫)। তাঁদের বাড়ি ইংরেজবাজার থানার বাগবাড়ি বাগরড এলাকায়। আহত হয়েছেন অমল মন্ডল(২৫)। তার বাড়ি রতুয়ার করমনি এলাকায়। এদিন তিনজন সুকান্তপল্লি এলাকার একটি নির্মীয়মান বাড়ির শৌচাগারের ট্যাঙ্কির ভেতরে সাটারিং খুলছিল। সেই সময় হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে সাটারিংয়ের কাঠ এবং কংক্রিটের চাঙর । এই দুর্ঘটনার সময় তিনজন জখম হলে তাদেরকে মালদা মেডিকেল কলেজে স্থানীয়রা উদ্ধার করে নিয়ে আসে। মেডিকেল কলেজের কর্তব্যরত চিকিৎসাকেরা দুইজন শ্রমিককে মৃত বলে জানিয়ে দেয়। পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, বাড়ির মালিকের নাম প্রসেনজিৎ বর্মন। পেশায় তিনি স্কুল শিক্ষক। সেখানেই তিনি একটি নতুন বাড়ি তৈরি করছিলেন। পুলিশ বাড়ির মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।শৌচাগারের ট্যাঙ্কি বানাতে গিয়ে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা, মৃত দুই

জুন ২১, ২০২৫
রাজ্য

জলমগ্ন একাধিক গ্রাম, জল ছাড়ছে ডিভিসি, দুর্গাপুর ব্য়ারেজ পরিদর্শন সেচমন্ত্রীর

দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে মঙ্গলবার থেকে ভারি বৃষ্টিপাত চলছে। পাঞ্চেত, মাইথন থেকে জল ছাড়ার পরে দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকেও যথারীতি জল ছাড়া শুরু হয়েছে। আজ, শুক্রবার ৪৬ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে বলে সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া জানিয়েছেন। সেচমন্ত্রী মানস ভুইয়া দুর্গাপুর ব্যারাজের সংস্কারের কাজের পর চালু ব্যারাজ রাস্তা পরিদর্শনে আসেন। সেচমন্ত্রী বলেন, ৪৫ দিনের মধ্যেই কাজ শেষ করা হয়েছে। বর্ষা এসে গিয়েছে। ফলে বাকি যেসব কাজ রয়েছে তা বর্ষার পরেই শুরু হবে।দুর্গাপুর ব্যারাজের পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সেচমন্ত্রী বাংলার প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের ইচ্ছাকৃত বঞ্চনার কথা তুলে ধরেন। সেচমন্ত্রী বারবার বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের যে দায়িত্ব রয়েছে তা পালন করছে না এবং রাজ্যের হকের টাকা কেন্দ্র দিচ্ছে না। তাই ড্রেজিং করা সম্ভব হচ্ছে না। রাজ্য ও ডিভিসির মধ্যে বারবার জল ছাড়া নিয়ে যে বিতর্ক দেখা দেয় তা নিয়ে কোন মন্তব্য না করে সেচমন্ত্রী বলেন, এই মুহুর্তে এই বিতর্কে যাব না। ৪৫ দিনের মধ্যেই কাজ শেষ করা হয়েছে। মাঝে ছয় দিন প্রচন্ড বৃষ্টি হয়েছিল বলে কাজে কিছু অসুবিধা দেখা দিয়েছিল। তবু কাজ ৪৫ দিনের মধ্যেই শেষ করা গিয়েছে। হায়দ্রাবাদ থেকে রাবার সিল আসছে তা দিয়ে কাজ করা হবে।সেচমন্ত্রী বলেন, দেড় মাস দুর্গাপুর ব্যারাজে জল ধরে রাখা হয়। এরপরে দুর্গাপুর, মাইথন ও পাঞ্চেত নিয়ে একটি সেল গঠন করা হয়েছে এবং মনিটরিং করা হচ্ছে জল ছাড়া নিয়ে যেন মানুষের ক্ষতি না হয়। সেচমন্ত্রী বলেন, প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছে এবং বিভিন্ন জেলা এবং ঝাড়খণ্ডের জল নামছে ফলে সমস্ত বিষয়ের উপরে নজর রাখা হয়েছে।তেনুঘাট নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সেচমন্ত্রী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী, সেচ দপ্তরের কর্তারা এবং আমি নিজে বারবার কথা বলেছি। তেনুঘাটকে নিয়ন্ত্রণে রেখে অপারেট করা যায়।সেচমন্ত্রী একাধিকবার বলেন, মুখ্যমন্ত্রী এবং সেচ দপ্তর মাইথন, পাঞ্চেত এবং দুর্গাপুর ব্যারাজের জল ছাড়া নিয়ে নজর রেখেছেন । আজ ৪১ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। বন্যার যন্ত্রণা যাতে পেতে না হয় তার প্রতি সজাগ রয়েছেন প্রশাসনিক কর্তারা এবং আজ বাঁকুড়ায় আসছেন পরিস্থিতি নিয়ে আলচনা করতে। রাস্তার বিষয় নিয়ে তিনি বলেন, পি ডাব্লু ডিকে নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বৃষ্টি কমলেই।সেচমন্ত্রী ব্যারাজগুলির গভীরতা কমে যাওয়ার জন্য কার্যত কেন্দ্রীয় সরকারের টাকা না দেওয়ার কথা তুলে ধরেন। সেচমন্ত্রী বলেন, ১২ বছর ধরে কেন্দ্রের জলসম্পদ দপ্তর, প্রধানমন্ত্রীকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার দেখছি দেখছি করে পার করে দিচ্ছে কিন্তু রাজ্যের হকের টাকা দিচ্ছে না। সেচমন্ত্রী বিজেপি সরকারের বাংলাকে বঞ্চনা করার কথা তুলে ধরেন। বন্যার প্রসঙ্গে সেচমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রার্থনা করছি যেন বন্যার মুখে পড়তে না হয় কিন্তু দেড় মাস জল ধরে রাখা হয় আর তারপরে রয়েছে প্রচন্ড বৃষ্টি, ফলে জলের চাপ বাড়ছে, সেদিকেই নজর রাখতে হচ্ছে।দুর্গাপুর ব্যারাজের এক নম্বর গেটে বেশ কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে । সাংবাদিকেরা এ নিয়ে সেচমন্ত্রীকে প্রশ্ন করলে সেচমন্ত্রী বলেন, সব দিক নজরে রাখা হয়েছে, সংস্কার হবে। তিনি এরপরে আবার বলেন, কেন্দ্রিয় সরকারের কাছ হতে এক কানা কড়ির সাহায্য পাইনি। মুখ্যমন্ত্রী নিজের রাজ্যের কোষাগার থেকেই খরচ করে কাজ করছেন। তিনি এরপরেই পরিসংখ্যান তুলে ধরেন কিভাবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সীমিত আর্থিক ক্ষমতায় এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার পরেও কাজ করে চলেছেন। সেচমন্ত্রী জোড়ের সাথে বলেন, একটা নয়া পয়সা কেন্দ্রের সরকার দেয় নি। তবু একের পর এক কাজ হচ্ছে এবং এটাও করা হবে।

জুন ২০, ২০২৫
রাজ্য

সাতসকালে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা পুরুলিয়ায়, মৃত্যু মিছিল

সাতসকালে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ৯ জনের ৷ পুরুলিয়ায় ১৮ নম্বর জাতীয় সড়কের নামশোল এলাকায় আজ, শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি বোলেরোর সংঘর্ষে ঘটে। তার ফলেই জেরেই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ৷ গাড়িতে থাকা ৯ জনেরই প্রাণ গিয়েছে ৷ এরা সকলেই ঝাড়খন্ডের বাসিন্দা। বিয়ে বাড়ি থেকে ফিরছিলেন বলে জানা গিয়েছে।জানা গিয়েছে, আজ শুক্রবার সকালে পুরুলিয়ার দিক থেকে চারচাকা বোলেরো গাড়িটি বলরামপুরের অভিমুখে যাচ্ছিল। সেই সময় গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টো দিক থেকে আসা একটি ট্রাককে সরাসরি ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বলরামপুর থানার পুলিশ। প্রথমে জখম সকলকে উদ্ধার করে স্থানীয় বাঁশগড় ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায় পুলিশ। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা আহতদের সকলকেই ঘোষণা করেন।

জুন ২০, ২০২৫
রাজ্য

দামোদরে বালি তুলতে গিয়ে বিরাট বিপত্তি, জলে ভাসছে ১৫টি লরি

দামোদরে বালি তোলায় কোনও লাগাম নেই। ডিভিসি থেকে জল ছাড়ার খবর থাকা সত্বেও বালি তোলার কাজ চলছিল। লরি নেমেছিল একেবারে নদের ভিতরে। জল ভরে টুইটুম্বুর হওয়ায় ভেসে গেল ১৫টি বালি বোঝাই লরি। পূর্ব বর্ধমানের গলসির গোহগ্রামের এই ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে। পরে লরিগুলিকে উদ্ধারের তৎপরতা শুরু হয়।দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার কথা ডিভিসি ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগাম ঘোষণা করা হয়েছিল। মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে বুধবার জল ছাড়া হয় ৪০ হাজার কিউসেক। এরই মধ্যে নিম্ন দামোদর অববাহিকায় দুদিন ধরে টানা বৃষ্টি চলেছে। এই সব কারণে বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ দামোদর নদে জলের পরিমাণ বেশ বেড়ে যায়। এতেই ঘটে যায় বিপত্তি।স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ১৫টি বালি বোঝাই লরি দামোদর নদের জলে ভাসতে থাকে। তার উপর বৃহস্পতিবার বেলা বাড়তে নদের জল আরও হু হু করে বাড়তে শুরু হয়। বিপদ বুঝে লরিগুলি নদী থেকে তোলার জন্য তৎপরতা শুরু করে চালকরা । ওই সময়েই সামনে থাকা দুটি লরি বিকল হয়ে যাওয়ায় লরি গুলি নদ থেকে পাড়ে তোলা আর সম্ভব হয়নি। জেসিবি মেশিন ব্যবহার করেও কাজ হয়নি। জল কমা পর্যন্ত লরিগুলো তুলতে অপেক্ষা করতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

জুন ১৯, ২০২৫
রাজ্য

"কেশরী: চ্যাপ্টার ২" তে ক্ষুদিরাম বসু সহ বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অপমান, প্রতিবাদে গর্জে উঠল বাংলা পক্ষ

সম্প্রতি কেশরী: চ্যাপ্টার ২ নামের এক বলিউডি হিন্দি সিনেমায় ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সশস্ত্র সংগ্রামের উজ্জ্বল ইতিহাস তথা বীর বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পরিচয় ও ভূমিকা বিকৃত করে এক মনগড়া মিথ্যা ইতিহাস তুলে ধরার অভিযোগ উঠেছে। সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে যে ক্ষুদিরাম সিং ও বারীন্দ্র কুমার নামক দুই বিপ্লবী বৃটিশ পুলিশকর্তা কিংসফোর্ডকে বোমা মেরে হত্যার চেষ্টা করে ও তাদের বোমা তৈরীর প্রশিক্ষণ দেয় কৃপাণ সিং! যার সাথে বাস্তবের কোন মিল নেই। প্রকৃত পক্ষে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে বাঙালি বিপ্লবীদের সশস্ত্র সংগ্রামের ইতিহাসের এক যুগান্তকারী ঘটনা কিংসফোর্ড হত্যার প্রচেষ্টা ও পরবর্তীতে মানিকতলা বোমা মামলার ঘটনার কথা সম্পূর্ণ বিকৃত ভাবে এই সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে।সশস্ত্র সংগ্রামের লক্ষ্যে কলকাতার মানিকতলার যুগান্তর গুপ্ত সমিতিতেই অরবিন্দ ঘোষের নেতৃত্বে বোমা তৈরীর কর্মশালা গড়ে ওঠে, ইউরোপ থেকে বোমা তৈরী শিখে এসে এখানে বোমা তৈরী করে বিপ্লবীদের সরবরাহ করতেন হেমচন্দ্র কানুনগো, যিনি বলিউডের দৌলতে হয়েছেন কৃপাণ সিং। এই গুপ্ত সমিতির পক্ষেই ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকী কিংসফোর্ডকে বোমা নিক্ষেপ করে হত্যার চেষ্টা করেন। মেদিনীপুরের বীর বাঙালি কিশোর ক্ষুদিরাম বসুর পদবী সিনেমায় হয়েছে সিং অন্যদিকে প্রফুল্ল চাকীর নামই মুছে গেছে, শোনা গেছে জনৈক বারিন্দর কুমারের নাম, যেকোন ইতিহাস সচেতন ব্যক্তিই বলতে পারবেন এই নাম আসলে মানিকতলা বোমা মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ও পরবর্তীতে আন্দামানে দ্বীপান্তরিত বারীন্দ্র ঘোষের, যিনি সম্পর্কে অরবিন্দ ঘোষের ভাই। এই মানিকতলা বোমা মামলায় বিপ্লবীদের পক্ষে কোর্টে আইনি লড়াই করেন আরেক মহান বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামী দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ। এই গৌরবজনক অধ্যায় সম্পূর্ণ ভাবে বিকৃত করা হয়েছে, যা বাঙালি জাতি তথা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি চূড়ান্ত অবমাননা।এই বিকৃতির বিরুদ্ধে বাঙালির ক্ষোভের প্রকাশ দেখা যাচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থেকে সংস্কৃতি জগতের নানান ব্যক্তিত্ব এই ইতিহাস তথা মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নাম বিকৃতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। ভারতীয় বাঙলির জাতীয় সংগঠন বাংলা পক্ষও সরব হয়েছে, আজ তারা পথে নেমে প্রতিবাদ করল কলকাতার বাংলা একাডেমী সংলগ্ন রানুছায়া মঞ্চে। এই প্রতিবাদ সভায় বাংলা পক্ষর সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি বলেন, কেশরী ২ সিমেমার মূখ্য অভিনেতা অক্ষয় কুমার, তিনি কাদের স্বার্থে বিকৃত ইতিহাস প্রচার করে সিনেমা তৈরি করেন এটা আমাদের সকলের জানা৷ বিজেপি ও বলিউডের উদ্দেশ্য বাঙালির গৌরবজনক বীরত্বের ইতিহাস মুছে দেওয়া। সেই উদ্দেশ্যেই বারবার এই ধরনের ঘটনা দেখা যাচ্ছে। বলিউড এর আগেও অভয় ২ সিরিজে বীর শহীদ ক্ষুদিরাম বসুকে ক্রিমিনাল, জঙ্গি হিসাবে দেখিয়েছিল। বাংলা পক্ষ তখন Zee5 কে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছিল এবং সল্টলেকে Zee5 এর অফিসে বিক্ষোভ করেছিল। পরবর্তীতে Zee5 ক্ষমা চেয়ে সেই অংশ বাদ দিতে বাধ্য হয়। শীর্ষ পরিষদ সদস্য অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় বলেন যতক্ষণ না পর্যন্ত কেশরী ২ সিনেমার নির্মাতারা ক্ষমা না চায়, বাংলা পক্ষর লড়াই চলবে। ক্ষমা চেয়ে এই দৃশ্য বাদ দিতে হবে। বাঙালি বিদ্বেষীদের কিভাবে ক্ষমা চাওয়াতে হয় সেটা বাংলা পক্ষ ভালো ভাবে জানে।শীর্ষ পরিষদ সদস্য সৌম্যকান্তি ঘোড়ই বলেন, ক্ষুদিরাম বসুকে অপমান মানে বাঙালিকে অপমান। প্রফুল্ল চাকীকে অপমান মানে বাঙালিকে অপমান৷ বীর বিপ্লবী বারীন ঘোষদের অপমানের বিরুদ্ধে এই লড়াই চলবে। অক্ষয় কুমারকে ক্ষমা চাইতেই হবে।এছাড়াও আজকের প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন কলকাতা জেলার সম্পাদক সৌম্য বেরা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক কুশনাভ মন্ডল, শিল্পী পক্ষর অধিকর্তা প্রবাল চক্রবর্তী প্রমুখ। এর আগে বিধাননগর দক্ষিণ থানায় এই সিনেমা নিয়ে একই ইস্যুতে এফআইআর হয়েছে। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন বাঙালি বীর বিপ্লবীদের ইতিহাস বিকৃতি করার জন্য।

জুন ১৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

লর্ডসের ঐতিহাসিক শতরানের আলোতেও সমুজ্জ্বল বোলার সৌরভের পারফরম্যান্স

লর্ডসে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও রাহুল দ্রাবিড়ের। দিনটা ছিল ১৯৯৬ র ২০ জুন। এই টেস্টের কথা উঠলেই মহারাজকীয় শতরানের কথাই সবার আগে মনে আসে। যা এসেছিল ২২ জুন।তবে ২০ জুন বল হাতে কামাল দেখিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ইংল্যান্ডের তৃতীয় ও চতুর্থ উইকেট পড়েছিল চার রানের ব্যবধানে। দলের ৯৮ রানের মাথায় সৌরভের প্রথম শিকার হন তিন নম্বরে নামা নাসের হুসেন। ১১০ বলে ৩৬ রান করে তিনি ফেরেন বিক্রম রাঠোরের হাতে ক্যাচ দিয়ে। ১০২ রানে ইংল্যান্ডের চতুর্থ উইকেট পড়ে। ৯ বলে ১ রান করে গ্রেম হিক সৌরভের বলেই জাভাগল শ্রীনাথের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। প্রথম ইনিংসে সৌরভের বোলিং ফিগার ছিল ১৫-২-৪৯-২। বেঙ্কটেশ প্রসাদ পাঁচটি, শ্রীনাথ তিনটি ও সৌরভ ২টি উইকেট পান। পরশ মামব্রে, অনিল কুম্বলে ও সচিন তেন্ডুলকর উইকেট পাননি। দ্বিতীয় ইনিংসে সৌরভ তুলে নিয়েছিলেন প্রথম ইনিংসে শতরানকারী জ্যাক রাসেলের উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে মহারাজ ৩ ওভারে মাত্র ৫ রানের বিনিময়ে একটি উইকেট পেয়েছিলেন। ফলে লর্ডসের ঐতিহাসিক শতরানের আলোতেও সমুজ্জ্বল বোলার সৌরভের পারফরম্যান্স।

জুন ১৯, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal