দোতলা বাসের উদ্বোধন করবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার বাসের উদ্বোধন করবেন তিনি। ১৫ বছর পর এই দোতলা বাস কলকাতার রাস্তায় এই বাস চলবে। ্কলকাতার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রতীক মনে করা হয় এই বাসকে। ২০২০ সালের কোভিড আবহে এই দোতলা বাস পথে নামলে সাধারণ মানুষের মনে খুশির বাতাস বয়ে যাবে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। আরও পড়ুন ঃ ষষ্ঠীতে বঙ্গবাসীকে ভারচুয়াল শুভেচ্ছা জানাবেন মোদি
এবার কোভিড বদলে দিয়েছে সবকিছুই। তাই এবার সব পুজোর ভার্চুয়াল উদ্বোধন হবে নবান্ন থেকে। সোমবার নজরুল মঞ্চে তৃণমূলের মুখপত্র জাগো বাংলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে একথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী , আগামী ১৬ অক্টোবর উত্তর কলকাতার প্রতিমা ভার্চুয়ালি উদ্বোধন হবে। তার পরেরদিন অর্থাৎ ১৭ অক্টোবর দক্ষিণ কলকাতা এবং ১৮ অক্টোবর বেহালা ও যাদবপুরের প্রতিমা ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করা হবে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন করোনা সংক্রমণ বাড়ছে,সংক্রমণ আটকাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। পুজো প্যান্ডেলে যাওয়ার সময় মাস্ক পরুন। আরও পড়ুন ঃ বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড , পুড়ে ছাই প্লাস্টিক কারখানা তাঁর কথায় , প্রচুর মানুষ এই সময় কাজ হারিয়েছেন। অনেকেই আট মাস বাড়িতে বসে বসে ডিপ্রেশনে চলে গিয়েছেন। তাই পুজো উপভোগ করুন। কিন্তু, বাড়ি থেকে বেরোবেন না। কোভিড প্রটোকল মেনে চলার জন্যও আবেদন করেন তিনি। মাইকে গানের পাশাপাশি কোভিড সতর্কতা জারির কথাও বলেছেন তিনি। পুজো কমিটিগুলোর উদ্দেশে তিনি বলেন, মাস্ক না পরলে প্যান্ডেলে ঢুকতে দেবেন না। প্রয়োজনে প্যান্ডেলে ঢোকার সময় স্যানিটাইজার, মাস্ক দিন। ব্যবস্থাপনা দেখে বিশ্ববাংলা শারদ সম্মানে অতিরিক্ত পয়েন্ট দেওয়া হবে। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, দিল্লিতে একটা পুজোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে, অন্য রাজ্য তো দেয়ইনি, আমি কিন্তু দিলাম। বাংলায় পুজো হবে, কিন্তু সংক্রমণও আটকাতে হবে।
দিল্লির বাসভবনে নিয়ে আসা হয় কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রী রামবিলাস পাসওয়ানের মরদেহ । তাঁকে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা । অন্যান্য দলের রাজনৈতিক নেতারা তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। রামবিলাসকে শ্রদ্ধা জানিয়ে শুক্রবার রাষ্ট্রপতিভবন এবং সংসদে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে । শনিবার বিহারে তাঁর শেষকৃ্ত্য সম্পন্ন হবে বলে জানা গিয়েছে। আরও পড়ুনঃ পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির একটি মামলায় জামিন লালুপ্রসাদ যাদবের প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রী তথা লোক জনশক্তি দলের নেতা ছিলেন রামবিলাস পাসওয়ান । বৃহস্পতিবার দিল্লির এইমসে তাঁর মৃত্যু হয় । বিগত কয়েকদিন ধরেই শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন বর্ষীয়ান এই নেতা । সম্প্রতি দিল্লির এক হাসপাতালে হার্ট সার্জারিও হয়েছিল তাঁর । টুইট করে তাঁর মৃত্যু সংবাদ জানান ছেলে চিরাগ পাসোয়ান। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করে তিনটি টুইট করেন প্রধানমন্ত্রী । টুইটে তিনি লেখেন, শোকপ্রকাশ করার ভাষা নেই । আমার এক বন্ধু, এক সহকর্মীকে হারালাম । গরিবরা যাতে সম্মানের সঙ্গে জীবন কাটাতে পারে, তা নিশ্চিত করেছিলেন তিনি ।
মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে আটক বিজেপির তিন মহিলা কর্মী। জয় শ্রীরাম স্লোগানও তারা দিতে থাকেন। সঙ্গে সঙ্গে সেখানে উপস্থিত পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ধরপাকড় শুরু করে দেয়। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে বিক্ষোভে বসেন বিজেপি মহিলা মোর্চার সমর্থকরা। আরও পড়ুনঃ বর্তমান শিক্ষার হালহকিকত নিয়ে বিকল্প ইস্তেহার প্রকাশ এসএফআইয়ের বিক্ষোভকারীরা কালীঘাট মন্দিরে যাওযার দিকের রাস্তা দিয়ে ঢোকেন বলেই পুলিশ সূ্ত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে।এরপর বড় রাস্তার ওপরেই প্ল্যাকার্ড হাতে বসে পড়েন, তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ এসে তিন বিক্ষোভকারীকে সরিয়ে দেয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় ইতিমধ্যেই প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
চেন্নাই-মুম্বই থেকে লরি আসে। এই লরির চাকায় জীবাণু ছড়াচ্ছে। যেমন কাপড়জামা, বাজারের থলি থেকে ছড়ায়। তেমন হলে মাঝেমধ্যে চাকার ফরেন্সিক পরীক্ষাও করা যেতে পারে। বুধবার ঝাড়গ্রামে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি এই বিষয়ে বলতে গিয়ে আরও বলেন, বাইরের রাজ্য থেকে আসা লরি ড্রাইভারদের যদি ধাবায় বসে খেতে হয়, সেক্ষেত্রে কোভিড বিধি মেনে পুরোপুরি স্যানিটাইজ করার ব্যবস্থা করতে হবে। এই পুরো বিষয়টি নজরে রাখার জন্য প্রশাসনকে বলেন তিনি। মমতা বলেন,এখানে অনেককেই দেখছি মাস্ক ব্যবহার করছেন না। তাদের বলছি মাস্ক পরুন। যাঁরা গরীব, টাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করতে পারছেন না, তাঁদের সবাইকে মাস্ক কিনে দেওয়ার জন্য সরকারি আধিকারিকদের নির্দেশ দেন তিনি। এছাড়াও তিনি বলেন, পথশ্রী প্রকল্পের কাজে বাধা দেবেন না। টেন্ডার নিয়ে কোনও গন্ডগোল যেন না হয়। সব পঞ্চায়েত, সব রাজনৈতিক নেতৃত্বকে বলছি। সরকারি প্রকল্পের সুবিধা দেওয়ার বিনিময়ে কেউ টাকা চাইলে সোজা থানায় যান। সরকার জনগণের। কোনও রাজনৈতিক দলের নয়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ঝাড়গ্রামে অনেক কাজ হয়েছে। তা সত্ত্বেও যারা বড় বড় কথা বলছেন তারা আগে নিজেরা একটু কাজ করে দেখান। নির্বাচনের আগে যাতে নতুন করে ঝাড়গ্রামে কোনও অশান্তির পরিবেশ তৈরি না হয় সেদিকে নজর রাখুন। এছাড়াও এদিন মাটির সৃষ্টি প্রকল্প নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। তিনি বলেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রচুর কর্মসংস্থান হবে। কমপক্ষে ৫ লক্ষ মানুষ কাজ পাবেন। এছাড়াও তিনি ঘোষণা করেন, ঝাড়গ্রামে সাংবাদিকদের জন্য ভবন তৈরি হবে। ভবনের জন্য পাঁচ কাটা জমি দেওয়া হয়েছে । খরচ দেবে রাজ্য সরকার।
কোভিড আবহে সোমবার নবান্ন সভাঘরে রাজ্যের বোর্ড পরীক্ষার কৃতীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ছিল ভারচুয়ালি।সেখানে কৃতীদের উদ্দেশে একাধিক বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা, স্কলারশিপ সহ সমস্ত বিষয় নিয়ে বক্তব্য পেশ করেন।নেতাজির বিখ্যাত স্লোগান জয় হিন্দ নামে একটি নতুন বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করা হবে বলে জানালেন তিনি।এদিন তিনি কেন্দ্রের নয়া জাতীয় শিক্ষানীতির সমালোচনা করে বলেন, মেধাতালিকা না থাকলে, কেউ নিজেদের ফলাফল নিয়ে গর্ববোধ করবে কীভাবে? এসব রেজাল্ট তো ছাত্রছাত্রীদের জীবনের সম্পদ। আমার মনে হয়, যে যেভাবেই পাশ করুক, একটা মেধাতালিকা দরকার।
ফুলবাগান মেট্রো স্টেশনের ভারচুয়াল উদ্বোধন করলেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। রবিবার দুপুর তিনটেয় দিল্লি থেকে তিনি মেট্রো স্টেশনের উদ্বোধন করলেন। সোমবার থেকে শুরু হবে যাত্রী পরিষেবা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রেলমন্ত্রী বলেন, আজ কলকাতা মেট্রোর মুকুটে নয়া পালক যুক্ত হল। কলকাতার একপ্রান্তের সঙ্গে আরেক প্রান্ত জুড়বে এই মেট্রো। এই প্রকল্পে অনেক বাধা ছিল, কিন্তু ইঞ্জিনিয়াররা অসীম দক্ষতায় সব বাধা পেরিয়েছেন। দিল্লি থেকে অনলাইনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় ও দেবশ্রী চৌধুরী । অন্যদিকে কলকাতায় ফুলবাগান মেট্রো স্টেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন বিজেপি নেতা সব্যসাচী দত্ত, মুকুল রায়, কৈলাস বিজয়বর্গীয়। কৈলাস বিজয়বর্গীয় কলকাতায় প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করেন। সোমবার থেকে শুরু হবে যাত্রী পরিষেবা। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কেউ উপস্থিত ছিলেন না। প্রসঙ্গত,ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয় ফুলবাগানই হতে চলেছে প্রথম ভূগর্ভস্থ স্টেশন। কারণ সেক্টর ফাইভ থেকে সল্টলেক স্টেডিয়াম পর্যন্ত লাইন ছিল মাটির উপরে। কিন্তু স্টেডিয়াম থেকেই ট্রেন প্রথম সুড়ঙ্গে প্রবেশ করবে। সেক্টর ফাইভ থেকে ফুলবাগান পৌঁছতে সময় লাগবে প্রায় ১৬ মিনিট। ভাড়া পড়বে ২০ টাকা। এদিন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল আশাপ্রকাশ করেন, ২০২১ সালের ডিসেম্বরের আগেই ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণরূপে সমাপ্ত হয়ে যাবে।
বাসভবনে সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় পড়ে যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। এরপরই তাঁকে শিলিগুড়ির এক বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করেন পরিবারের সদস্যরা।এর জেরে শনিবার নাটাবাড়িতে মন্ত্রীর একাধিক দলীয় কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে।পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে,এদিন সকালে বাসভবনে সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় পড়ে যান মন্ত্রী। বেশ কয়েকদিন ধরেই তিনি অসুস্থ বোধ করছিলেন।ফলে শিলিগুড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর মিটিংয়ের দ্বিতীয় দিন সেখানে না থেকেই বাড়ি ফিরে আসেন।
শুক্রবার গোটা দেশে জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর ১৫১ তম জন্মদিন পালন করা হয়। এদিন রাজঘাটে গিয়ে জাতির জনকের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দও। মহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে টুইটারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লেখেন, আমরা গান্ধী জয়ন্তীতে শ্রদ্ধেয় বাপুকে প্রণাম জানাই । তাঁর জীবন এবং মহৎ চিন্তা থেকে অনেক কিছু শেখার আছে । সমৃদ্ধ ভারত গঠনে বাপুর আদর্শ আমাদের পথ দেখায় ।মহাত্মা গান্ধীকে শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ লেখেন, আসুন আমরা সবাই আবার গান্ধীজয়ন্তীর শুভ উপলক্ষে সংকল্প করি যে, আমরা সত্য ও অহিংসার পথ অনুসরণ করে সর্বদা জাতির কল্যাণ ও অগ্রগতির বিষয়ে নিজেদের এগিয়ে নিয়ে যাই৷ পরিচ্ছন্ন, সমৃদ্ধ, শক্তিশালী এবং অন্তর্ভুক্ত ভারত তৈরির মাধ্যমে গান্ধীজীর স্বপ্নগুলি উপলব্ধি করার কথা বলেন রাষ্ট্রপতি।রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ট্যুইট করেন, গান্ধীজয়ন্তীর দিন আমি জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীর প্রতি কৃতজ্ঞ ও সবার পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানাই। তাঁর সত্য, অহিংসা এবং ভালবাসার বার্তা সমাজে সম্প্রীতি ও সম্প্রীতির যোগাযোগ করে সমগ্র বিশ্বের কল্যাণের পথ সুগম করে।মহাত্মা গান্ধীকে প্রণাম জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও৷ এই বিশেষ অনুষ্ঠানে তিনি ট্যুইট করেছেন, গান্ধীজির অসাধারণ ব্যক্তিত্ব এবং আধ্যাত্মিক জীবন বিশ্বকে শান্তি, অহিংসা এবং সম্প্রীতির পথ দেখিয়েছিল। স্বদেশীর ব্যবহার বাড়ানোর তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আজ মোদি জি-র স্বনির্ভর ভারতের সংকল্প নিয়ে পুরো দেশ স্বদেশী ভাবধারা গ্রহণ করছে।
প্রয়াত বিজেপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য তথা বাজপেয়ী মন্ত্রিসভার সদস্য যশবন্ত সিং। রবিবার ২৭ সেপ্টেম্বর দিল্লির সেনা হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮২। বেশ কিছুদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। গত ২৫ জুন থেকে এই হাসপাতালে ছিলেন। এদিন সকালে প্রয়াত হন। যশবন্তের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। টুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, "প্রথমে একজন সেনা ও পরে একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে দেশসেবা করেছেন। অটলবিহারী বাজপেয়ী মন্ত্রিসভায় সামলেছেন অর্থ, বিদেশ ও প্রতিরক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রিত্ব।" যশবন্তের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করে পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ১৯৩৮ সালের ৩ জানুয়ারি রাজস্থানের জসোল গ্রামে জন্ম যশবন্ত সিংয়ের। পঞ্চাশ দশকের শেষ দিকে যোগ দেন সেনাবাহিনীতে। মেজর পদেও কর্মরত ছিলেন। আশির দশকে যোগ দেন রাজনীতিতে। ১৯৯৬ সালে অটলবিহারী বাজপেয়ীর সংক্ষিপ্ত রাজত্বকালে অর্থ মন্ত্রকের দায়িত্ব সামলেছিলেন। ২০০২ সালে ফের বাজপেয়ী মন্ত্রিসভায় অর্থ মন্ত্রকের দায়িত্ব পান। ১৯৯৮ সাল থেকে দীর্ঘ ৪ বছর দায়িত্ব সামলান বিদেশ মন্ত্রকেরও। ২০০০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০০১-এর অক্টোবর অবধি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্বও সামলেছেন। পরিকল্পনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যানও হয়েছিলেন। প্রাক্তন সতীর্থর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন বর্তমান প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। রাজ্যসভা ছাড়াও চারবারের লোকসভা সাংসদ ছিলেন যশবন্ত। ২০০৯ সালে দার্জিলিং কেন্দ্র থেকে লোকসভায় যান তিনি। তবে ২০১৪ সালে দল টিকিট না দেওয়ায় বিজেপি থেকে পদত্যাগ করেন। রাজস্থানের বারমেড় থেকে নির্দল সদস্য হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান। ওই বছরেই বাথরুমে পড়ে যান যশবন্ত। মাথায় গুরুতর চোট পান। ভর্তি করা হয় দিল্লির সেনা হাসপাতালে। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর প্রয়াণে রাজনৈতিক মহলে নেমেছে শোকের ছায়া। তাঁর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করে টুইটে পরিবার ও অনুরাগীদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
করোনা আক্রান্ত হলেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। কিছু দিন আগে তাঁর এক দাদা ও ভাইপো করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। জানা গেছে বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর করোনা রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে। ঘনিষ্ঠ মহলে শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, তার গতকাল সামান্য জ্বর থাকলেও শুক্রবার তার জ্বর নেই। মৃদু উপসর্গ রয়েছে। বাড়িতে বয়স্ক বাবা থাকায় তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হাসপাতলে ভর্তি হবেন। একইসঙ্গে জানা গেছে, তার মায়েরও রিপোর্ট কোভিড পজেটিভ এসেছে। তিনি ভর্তি রয়েছেন একটি বেসরকারি হাসপাতালে। এর আগে রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী, তৃণমূল বিধায়ক, সাংসদ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় শিশির অধিকারীকে ফোন করেন। তিনি খোঁজ নেন শুভেন্দু অধিকারীর স্বাস্থ্য়ের। তাঁর পরিবারের সকলের খোঁজ-খবর নেন।
কয়েকদিন আগেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে নতুন কৃষিনীতির সমর্থন করেছিলেন। এমন কী হলো হঠাৎ সুর বদলে কৃষিনীতিরই বিরোধিতা করে ইস্তফা দিলেন হরসিমরত কউর বাদল? এ নিয়ে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে জল্পনা। মোদী মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফার কারণ হিসেবে প্রধানত তিনটি বিষয়কে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন কউর। কৃষি পরিষেবা ও কৃষিপণ্যের মূল্য নিশ্চয়তার বিষয় যেমন আছে, তেমনই আছে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইন সংশোধন সংক্রান্ত বিষয়টিও। একই সঙ্গে পদত্যাগী মন্ত্রী বিরোধিতা করেছেন কৃষিপণ্যের বাণিজ্য সংক্রান্ত অধ্যাদেশও। এই তিনটি বিষয় কউর পদত্যাগের কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। অধ্যাদেশে কৃষিপণ্যের বাণিজ্য সংক্রান্ত বিষয়ে বলা হয়েছে, কৃষকরা নিজেদের এলাকা ছাড়াও অন্যত্র উৎপাদিত পণ্য বিপণনের সুযোগ পাবেন। অর্থাৎ বাংলার কৃষক তাঁর পণ্য যেমন অন্য রাজ্যে বিপণন করতে পারবেন, তেমন উল্টোটাও সত্য। তবে চাল, গম-সহ বেশ কিছু পণ্য নোটিফায়েড এলাকার বাইরে বিক্রি করতে পারবেন না। এ ছাড়া বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে চাষিরা চুক্তি করে কৃষিপণ্যের উৎপাদনের সংস্থানের বিষয় রাখা হয়েছে অধ্যাদেশে। কিন্তু গোল বেঁধেছে অন্যত্র। যদি অতিবৃষ্টি বা অনাবৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতি হয় সেক্ষেত্রে কৃষকরা কী করবেন? অন্যত্র বিপণনের সুযোগ তো থাকছেই না, সেই সঙ্গে সরকারের যে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য তা থেকে বঞ্চিত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে। শুধু তাই-ই নয়, বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করলে সেক্ষেত্রেও কৃষক তাঁর জমি তথা ফসলের অধিকার হারাতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর ফলে সবচেয়ে ক্ষতির শিকার হতে পারেন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিরা। যদিও অধ্যাদেশ নিয়ে সাফাই দিয়েছেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর। সরকারি ন্যূনতম সহায়ক মূল্য থেকে বঞ্চিত হওয়ার অধ্যাদেশ উড়িয়ে দিয়ে আশ্বস্ত করেছেন কৃষকদের। সেই সঙ্গে সমর্থন করেছেন বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে চুক্তির বিষয়টিও। এতে কৃষি ও কৃষিপণ্যের আধুনিকীকরণ সম্ভব হবে বলে মনে করছেন তোমর। একই সঙ্গে চুক্তির সুফল হিসেবে একদিকে যেমন কৃষিপণ্যের বেশি দাম পড়বে, তেমনই উন্নতমানের বীজ ও সার মিলবে বলে জানিয়েছেন তোমর। শেষ পর্যন্ত অধ্যাদেশ অর্ডিন্যান্সে পরিণত হলে ফোঁড়েরা সবচেয়ে অসুবিধায় পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। তেমনই এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত অনেকেরই কাজ হারানোর আশঙ্কা। যদিও নতুন কৃষিনীতি নিয়ে বসে নেই সরকারও। পাঞ্জাব, হরিয়ানায় নতুন কৃষিনীতির বিরোধিতা করে শুরু হয়েছে আন্দোলন। এক্ষেত্রে বিরোধীরা আন্দোলনকে উস্কানি দিচ্ছে বলে রেকর্ড বাজাচ্ছে। তবে নয়া নীতির পক্ষে যতই সওয়াল করা হোক না কেন, হরসিমরতের ইস্তফা চাপে ফেলেছে মোদী সরকারকে। সামনে বিহার নির্বাচন। কৃষিনীতি জনদরদী হলে, কেন প্রথমে সমর্থন করে পরে সরে দাঁড়ালেন হরসিমরত, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
পদত্যাগ করলেন কেন্দ্রীয় খাদ্য প্রক্রিয়াকরণমন্ত্রী হরসিমরত কৌর বাদল। কৃষকস্বার্থ বিরোধী অর্ডিন্যান্স আনার প্রতিবাদেই তাঁর এই পদত্যাগ। বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর সংসদে কৃষি বিল নিয়ে আলোচনা চলাকালীন এর তীব্র বিরোধিতা করেন শিরোমণি অকালি দলের প্রধান সুখবীর সিং বাদল। কংগ্রেস, তৃণমূল, ডিএমকে-সহ বিরোধী দলগুলিও এই বিলের বিরুদ্ধে মত পোষণ করে। বাদল বলেন, দেশে খাদ্যভাণ্ডার সুনিশ্চিত করতে পাঞ্জাবের কৃষকদের অবদান অনস্বীকার্য। কিন্তু কৃষক স্বার্থবিরোধী এই অধ্যাদেশ কৃষকদের ৫০ বছরের বেশি সময়কার তপস্যা বরবাদ করে দেবে। এই বিলকে সমর্থন করবে না অকালি দল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় শিরোমণি অকালি দলের একমাত্র সদস্য পদত্যাগ করবেন। এর কিছু পরেই টুইট করে পদত্যাগের ঘোষণা করে দেন হরসিমরত। I have resigned from Union Cabinet in protest against anti-farmer ordinances and legislation. Proud to stand with farmers as their daughter sister. Harsimrat Kaur Badal (@HarsimratBadal_) September 17, 2020
আজ নরেন্দ্র মোদীর জন্মদিন। সেই জন্মদিনেই প্রধানমন্ত্রী কি ধরা দিলেন নতুন অবতারে? সাইক্লিস্ট হিসেবে? ছবি দেখলে তেমনটাই মনে হচ্ছে। বাস্তবে তা নয়। প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে দিল্লিতে বৃহস্পতিবার ১৭ সেপ্টেম্বর সাইকেল র্যালির সূচনা করেন সাংসদ অরুণ সিং। সেখানেই এক সাইক্লিস্ট এসেছিলেন মোদীর মুখোশ আর সানগ্লাস পরে। দূর থেকে দেখে তাই এই ভুল হতেই পারে যে, নরেন্দ্র মোদী সাইক্লিস্ট অবতারে অবতীর্ণ হয়েছেন।
দশ দিনেই করোনাকে জয় করলেন অসমের শতায়ু প্রবীণা মাই হান্দিক। হাতিগাঁর মাদারস ওল্ড এজ হোমের এই আবাসিক দিন দশেক আগে করোনা আক্রান্ত হন। গুয়াহাটির মহেন্দ্র মোহন চৌধুরী হাসপাতাল থেকে এই শতায়ু করোনাজয়ী ছাড়া পেলেন বুধবার ১৬ সেপ্টেম্বর। তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে টুইট করেছেন অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। মাই হান্দিক প্রত্যুত্তরে সাংবাদিকদের বলেছেন, আমাদের স্বাস্থ্যমন্ত্রী খুব ভালো কাজ করছেন করোনা মোকাবিলায়। চাই এভাবেই তিনি মানুষের পাশে থাকুন। মাই হান্দিক বৃদ্ধাবাসে ফেরার আগে তাঁকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানান হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্সরা। আনন্দে বেশ কয়েকটি অহমিয়া গান গেয়ে ওঠেন এই শতায়ু করোনাজয়ী। কেমন কাটল হাসপাতালের দিনগুলি? হাসপাতালে সকলের প্রিয় হয়ে ওঠা আইতা (ঠাকুমা) বললেন, খুব ভালো। ডাক্তার, নার্স সকলেই যত্ন নিয়েছেন, তাঁরা খুব ভালো। খাবার-দাবারও খুব ভালো। কলা আর ডিম রোজ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও বেশিরভাগ দিন খাদ্যতালিকায় ছিল হয় মাছ নয়তো মাংস। সঙ্গে রুটি, সব্জি। ১০০ বছরের এই করোনাজয়ী নিঃসন্দেহে সকলের মনোবল বাড়াবেন করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে। তিনি যে বৃদ্ধাবাসে থাকেন সেখানকার ১২ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে ইতিমধ্যেই ছাড়া পেয়েছেন ৫ জন।
সালটা ২০১১। সেন্ট জেমসের ছাত্র আতিফ জাহিদ ১৬ বছর বয়সে এক পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান। পুত্রশোকের যন্ত্রণাবিদ্ধ তপসিয়ার বাসিন্দা মহম্মদ জাহিদ এবার শিক্ষক দিবসের প্রাক্কালেই নিলেন এক অনন্য উদ্যোগ। জীবনে চলার পথে বহু চড়াই-উতরাইয়ের সাক্ষী থেকেছেন, উপলব্ধি করেন অভাবের যন্ত্রণা। তাঁর কথায়, আমার খুব ছোটবেলায় বাবা মারা যান। কিন্তু বাবা জীবিত থাকাকালীন আমাদের কোনও অভাব রাখেননি। তিনি জাহাজে কাজ করতেন। আয়-রোজগারও তাঁর ভালোই ছিল। কিন্তু বাবা হঠাৎ মারা যাওয়ায় আমাদের পরিবারটা এক ধাক্কায় পথে বসে গিয়েছিল। আত্মীয় স্বজনদের তখন চিনতে শুরু করলাম। কেউ বললেন আমাদের মাসের সংসার খরচের চাল দেবেন, কেউ বললেন অন্য খরচ দেবেন। কিন্তু সেটা দেওয়া নিয়েও চলতে শুরু করল নানা রসিকতা। আমি তখন নিতান্ত ছোট। তাও বলে দিলাম, কাউকে কিছু দিতে হবে না। আমাদের খাওয়ার পয়সা আমিই জোগাড় করে নিতে পারব। শুরু হলো আমার জীবনের আর একটা অধ্যায়। বাজারে গিয়ে সায়া, ব্লাউজ বিক্রি শুরু করলাম। কোনও দিন খাওয়া জুটতো, কোনও দিন জুটতো না। সেই ব্যবসা ভালো চলত না। তাই একদিন সব বিক্রি করে দিয়ে এক ভদ্রলোকের মাধ্যমে চামড়ার ব্যবসা শুরু করলাম। তখন এক পিস চামড়া বিক্রি করতে পারলে ৫ টাকা কমিশন পেতাম। আজ আমি চু লি ট্যানারি, মুমতাজ লেদার ওয়ার্কস, আথিফ লেদার ইন্ডাস্ট্রি এবং স্ট্যান্ডার্ড লেদার -এর মালিক। কয়েক কোটি টাকার টার্নওভার, সরকারকে ট্যাক্স দিয়ে সোজা পথেই আমার ব্যবসা চলছে। তবে এরই মধ্যে আমার ছেলে আতিফ চলে গেল। পুত্রশোক আমায় অনেকটাই থমকে দেয়। পুত্র আতিফের স্মরণেই শুক্রবার ৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ দুঃস্থ শিশুদের জন্য নিখরচায় কম্পিউটার ট্রেনিংয়ের স্কুল খুললেন মহম্মদ জাহিদ। কলকাতার ৬০ নম্বর ওয়ার্ডে। লকডাউনে ৯ হাজার মানুষের অন্নসংস্থান, বস্ত্রদানের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি এবার মহরমেও প্রতি বছরের মতো তিন হাজার মানুষকে অন্নদানের ব্যবস্থা করেছেন মহম্মদ জাহিদ। তবে সবচেয়ে তৃপ্তি পেলেন কম্পিউটার শিক্ষাদানের স্কুল করতে পেরে। ক্লাস ফোর থেকে বিভিন্ন ক্লাসের পড়ুয়ারা ৬ মাসের সার্টিফিকেট কোর্সে ভর্তি হতে আবেদন করেছে। বছরখানেকের মধ্যে ১০০টি কম্পিউটার বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে যেখানে রেস্তোরাঁকে তিনি রূপান্তরিত করেছেন কম্পিউটার স্কুলে। দুঃস্থ, নিম্নবিত্ত আয়ের পরিবারের সন্তানদের নিখরচায় কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দিতে চারজন প্রশিক্ষক রেখেছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই প্রতি ব্যাচে ২০ জন করে শিক্ষার্থী নেওয়া হবে। তাদের মধ্যে থেকে মেধাবিদের শিক্ষার সমস্ত খরচও বহন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মহম্মদ জাহিদ। এখানকার শিক্ষার্থীদের মধ্যেই নিজের সন্তানকে খুঁজে পেতে চান সন্তানহারা যন্ত্রণাবিদ্ধ স্নেহশীল এই পিতা। ইন্ডিয়ান স্কুল অফ কম্পিউটার লার্নিং, ১২, জাননগর রোড, কলকাতা-৭০০০১৭
সনাতনী ধর্মের তীর্থস্থান হবে কোলাঘাটে। এ জন্য ১ টাকায় জমি দিয়েছে রাজ্য সরকার। আমার কাছে সনাতনী হিন্দুধর্মের প্রতিনিধিরা এসেছিলেন, কথা বলেছি। তাঁরা বলেছেন, সনাতন ধর্মের অনেক ব্রাহ্মণ পুরোহিত আর্থিক দুরবস্থায় রয়েছেন। রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তত ৮ হাজার দরিদ্র পুরোহিতকে পুজোর মাস থেকে ১ হাজার টাকা সাম্মানিক দেওয়া হবে। বাড়ি যাঁদের নেই, তাঁদের আবাস যোজনায় বাড়ি করে দেওয়া হবে। এটাকে কেউ অন্যভাবে দেখবেন না। ওয়াকফ বোর্ড তাঁদের তহবিল থেকে ইমাম-মোয়াজ্জেনদের ভাতা দেয়। আমার কাছে সব ধর্ম সমান। কারও কোনও প্রয়োজন থাকলে সরকার পাশে থাকবে। সব ধর্মের মানুষজনকেই সাহায্য করতে প্রস্তুত সরকার। সোমবার ১৪ সেপ্টেম্বর নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আরও জানান, কালীঘাটে স্কাইওয়াক হচ্ছে। নবদ্বীপ, কোচবিহারকে হেরিটেজ টাউন গড়ার কাজ চলছে। নবদ্বীপে সংস্কৃতিচর্চা কেন্দ্র হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, ২৫ সেপ্টেম্বর পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠক হবে। ইতিমধ্যেই পুজো নিয়ে গ্লোবাল অ্যাডভাইসরি বোর্ডের প্রস্তাব জমা পড়েছে। ঠাকুরের জায়গাটুকু ঘুরে প্যান্ডেল খোলা রাখতে বলা হয়েছে, যাতে হাওয়া চলাচল করে। প্যান্ডেলে কীভাবে, কত মানুষ ঢুকবেন, কীভাবে অঞ্জলি হবে তা পরে ঠিক করা হবে। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের নাম না নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কেউ কেউ বলছেন করোনা চলে গেছে, মিটিং মিছিল করব। এরা কোনও নিয়ম মানছে না! ছাই থেকেও আগুন জ্বলে উঠে সব শেষ করে দেয়। করোনা সংক্মণেরর দ্বিতীয় ঢেউ এলে যাতে সামলানো যায় সেজন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। হিন্দি দিবসে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, ২০১১ সালে রাজ্য সরকার হিন্দি আকাদেমি গঠন করেছিল। এখন তার কাজ ব্যাপকভাবে করতে হবে। তাই বিবেক গুপ্তার নেতৃত্বে হিন্দি আকাদেমি পুনর্গঠন করা হলো। বাংলা আমাদের মাতৃভাষা, কিন্তু আমরা কোনও ভাষাকেই অবজ্ঞা করি না। দলিত সাহিত্য আকাদেমি গঠনের কথাও এদিন ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
করোনা জয় করে মাসখানেক বাদে বাড়িতে ফিরেই উন্নয়নের কাজে নেমে পড়লেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। সোমবার ১৪ সেপ্টেম্বর পূর্বস্থলী ১ নং পঞ্চায়েত সমিতির বেশ কিছু রাস্তার শিলান্যাস করলেন তিনি। উপস্থিত ছিলেন মহকুমাশাসক সুমনসৌরভ মোহান্তি, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিলীপ মল্লিক প্রমুখ।
ভারতীয় সেনাবাহিনীতে রাফাল। আম্বালায় ভারতীয় বায়ুসেনার এয়ারবেসে সর্বধর্ম পূজায় কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। রয়েছেন ফ্রান্সের আর্মড ফোর্সের মন্ত্রী ফ্লোরেন্স পার্লি।
হুগলিতে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা। শিলিগুড়ির ডাবগ্রাম থেকে বৃহস্পতিবার ১০ সেপ্টেম্বর রাতে রওনা দিয়ে বেহালার পর্ণশ্রীর বাড়িতে ফেরার সময় শুক্রবার ১১ সেপ্টেম্বর সকালে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার দেবশ্রী চট্টোপাধ্যায়-সহ ৩ জন। ২ নং জাতীয় সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে তাঁদের স্করপিও গাড়িটি। দুর্ঘটনায় দেবশ্রীদেবী ছাড়াও প্রাণ হারান তাঁর নিরাপত্তারক্ষী তাপস বর্মণ ও চালক মনোজ সাহা। শোকবার্তায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার দেবশ্রী চ্যাটার্জির মৃত্যুতে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি আজ হুগলির দাদপুরে এক পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান। বয়স হয়েছিল ৪৫ বছর। দক্ষ এই পুলিশ আধিকারিক পরিশ্রম ও নিষ্ঠার গুণে ডেপুটি কমিশনার পর্যায়ে উন্নীত হন। রাজ্য পুলিশেও তিনি কর্মকৃতির স্বাক্ষর রাখেন। মানবপাচার রোধে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য তিনি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পান। তাঁর মৃত্যুতে আমরা এক দক্ষ পুলিশ অফিসারকে হারালাম। আমি দেবশ্রী চ্যাটার্জির পরিবার-পরিজন ও অনুরাগীদের আমার আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি। দেবশ্রী চট্টোপাধ্যায় বর্তমানে কমান্ডিং অফিসার পদে কর্মরত ছিলেন, তিনি কলকাতা পুলিশের প্রথম মহিলা ওসি হয়েছিলেন। ২০১৬ সালে উত্তরবঙ্গে বদলি হন। পথ দুর্ঘটনায় বাকি দুই মৃতের পরিবার-পরিজন ও অনুরাগীদের জন্যও সমবেদনা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।