মেষ/ ARIES: মনে আজ কোনও কারণে ত্রাসের সৃষ্টি হতে পারে।বৃষ/ TAURUS: ক্ষোভের সঞ্চার হতে পারে আজ আপনার মনে।মিথুন/ GEMINI : আজকের দিনটি আপনার জন্য শুভ।কর্কট/ CANCER : কোনও কারণে আজ বাড়িতে গোলযোগ লাগতে পারে।সিংহ/ LEO: আজ ধর্মে মতি হতে পারে আপনার। কন্যা/ VIRGO: বাড়িতে ঝগড়ার সৃষ্টি হতে পারে।তুলা/ LIBRA: প্রেমপ্রণয়ের ক্ষেত্রে বিপত্তি দেখা দিতে পারে।বৃশ্চিক/ Scorpio: আজ দেহের কোনও অংশে কষ্ট হতে পারে। ধনু/ SAGITTARIUS: আজ আপনার মন ভালো নাও থাকতে পারে। মকর/ CAPRICORN: নতুন কোনও কাজে হাত দিতে পারেন। কুম্ভ/ AQUARIUS: হঠাৎ কোনও বিপদ দেখা দিতে পারে। মীন/ PISCES : আজকের দিনটি আপনার জন্য শুভ।
ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে নবান্ন-রাজভবন দ্বন্দ্বের আবহে দিল্লি উড়ে গিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ে সোমবারই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিজেপি বিধায়কদের একটি প্রতিনিধি দল দেখা করেছিল রাজ্যপালের সঙ্গে। তার পরেই রাজ্যপালের তিন দিনের এই দিল্লি-সফর স্বাভাবিকভাবেই জল্পনা বাড়িয়েছে।দিল্লিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে রাজ্যপাল দেখা করতে পারেন বলে জল্পনা। এমনকী, কানাঘুঁষো শোনা যাচ্ছে, রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও দেখা করতে পারেন ধনখড়। যদিও দিল্লিতে রাজ্যপালের কর্মসূচি কী হবে, সে ব্যাপারে রাজভবনের তরফে থেকে এখনও কিছুই জানানো হয়নি। তবে দিল্লির উদ্দেশে উড়ে যাওয়ার আগের ঘটনাক্রমের বিচারে মনে করা হচ্ছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে যদি রাজ্যপালের বৈঠক হয়, সেখানে বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসা-র প্রসঙ্গ উঠে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। দিল্লি গিয়ে বুধবার সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অরুণ কুমার মিশ্রের সঙ্গে দেখা করেছেন ধনখড়। তিনি বর্তমানে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারপার্সন। যদিও টুইটারে এই সাক্ষাৎ-কে সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ হিসেবেই ব্যাখ্যা করেছেন ধনখড়। এ ছাড়াও বুধবার কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি এবং পর্যটন মন্ত্রী প্রহ্লাদ সিং প্যা টেলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন তিনি। টুইটারে জানিয়েছেন, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তাঁরা। দেখা করেছেন কেন্দ্রীয় কয়লা, খনি এবং সংসদীয় মন্ত্রকের মন্ত্রীর সঙ্গে। বৃহস্পতিবার কলকাতায় ফিরে আসার আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করতে পারেন। প্রসঙ্গত, দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগেই বাংলায় রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া চিঠি দিয়েছেন রাজ্যপাল। মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো বিষয় নিয়ে সরব হয়ে চিঠিতে ধনখড় লিখেছেন, ভোটের পরে বহু মানুষ হিংসার কবলে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন। বিরোধীদের প্রচুর সম্পত্তি নষ্ট করা হয়েছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো ঘটনা অব্যাহত। চলছে নারী নির্যাতনও। রাজ্যের এই পরিস্থিতি নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও আপনি নীরব থেকেছেন। এমনকী, মন্ত্রিসভার বৈঠকেও এ নিয়ে কোনও আলোচনা করেননি।
মেষ/ ARIES: কোনও কারণে আজ স্বাস্থ্যহানি হতে পারে। বৃষ/ TAURUS: বাড়িতে টাকা আসতে পারে কোনও মাধ্যম থেকে।মিথুন/ GEMINI : আত্মীয়দের মধ্রে বিরোধ বাধতে পারে।কর্কট/ CANCER : কারুর কাছে সাহায্য চেয়ে আজ সাহায্য পেতে পারেন।সিংহ/ LEO: যে কাজই করুন না কেন আজ তাতে মিশ্রফল পাবেন।কন্যা/ VIRGO: খারাপ লোকের সংসর্গে পড়তে পারেন।তুলা/ LIBRA: আজ দানধ্যানে মন হতে পারে।বৃশ্চিক/ Scorpio: মনে শান্তি পাবেন আজ।ধনু/ SAGITTARIUS: যে কোনও কারণেই হোক আজ মন উদাসীন হতে পারে।মকর/ CAPRICORN: মিথ্যা অপবাদের মুখে পড়তে পারেন আপনি।কুম্ভ/ AQUARIUS: মনে কোনও কারণে উদ্বেগ দেখা দিতে পারে।মীন/ PISCES : আজ কোনও রমণীর প্রতি ভাললাগা জন্মাতে পারে।
মেষ/ ARIES: বাতের ব্যথায় কষ্ট পেতে পারেন।বৃষ/ TAURUS: আজ কোনও দায়িত্ব বৃদ্ধি পেতে পারে।মিথুন/ GEMINI : দালালিতে যুক্ত ব্যক্তিদের জন্য আজকের দিনটি ভাল। লাভের মুখ দেখতে পাবেন।কর্কট/ CANCER : কোনও কারণে মনে ঈর্ষা জাগতে পারে।সিংহ/ LEO: কোনও কারণে বিপর্যস্ত অবস্থা হতে পারে আপনার।কন্যা/ VIRGO: আজকের দিনে আপনার বুদ্ধিভ্রম হতে পারে।তুলা/ LIBRA: আজকের দিনে ভোগবিলাসে মজে থাকতে পারেন।বৃশ্চিক/ Scorpio: সংক্রমণের কারণে ভোগান্তি হতে পারে।ধনু/ SAGITTARIUS: কোনও বিষয়ে আজ আইনি পরামর্শের প্রয়োজন হতে পারে। মকর/ CAPRICORN: পরোপকার করে সুনাম পেতে পারেন। কুম্ভ/ AQUARIUS: মন আজ বিষাদগ্রস্ত হয়ে থঅকতে পারে। মীন/ PISCES : ভাইয়ের স্নেহ লাভ করতে পারেন আজ।
বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর (Netanyahu) এক যুগের শাসন শেষ হল ইজরায়েলে। রবিবার ১২০ আসনের সংসদে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মনোনীত হলেন নফতালি বেনেট (Naftali Benette)। গত ১২ বছর ধরে ইজরায়েলের মসনদ সামলে এসেছেন সত্তরোর্ধ্ব নেতানিয়াহু। তবে ইদানিং তাঁর জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়ে। আর সে কারণেই রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয় সে দেশে। অবশেষে সেই টালমাটাল পরিস্থিতির অবসান হল। নতুন সরকার গঠনে সম্মতি দিল ইজরায়েলের সংসদ।১২০ আসনের সংসদে এদিন ৫৯টি ভোট পড়ে নেতানিয়াহুর পক্ষে। নতুন জোট সরকার গড়ার পক্ষে ভোট পড়ে ৬০টি। সে দেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, নাফতালি ইতিমধ্যেই নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করেছেন। আন্তর্জাতিক স্তরে বহুলচর্চিত নাম বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। বিশ্ব রাজনীতিতে অত্যন্ত সক্রিয় তিনি। ইজরায়েলে সব থেকে বেশি সময় ধরে থাকা প্রধানমন্ত্রী তিনি। এবার সেই নেতানিয়াহু সংসদে বসবেন বিরোধী পক্ষের নেতা হিসাবে।একাধিক অভিযোগে অভিযুক্ত নেতানিয়াহু। ফিলিস্তিনিদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। গাজ়ায় বোমারু বিমানের হানাদারি নিয়েও তাঁর ভূমিকা প্রশ্নের মুখে পড়ে। এরপরই ধীরে ধীরে তাঁর ১২ বছরের গদি টলমল করা শুরু হয়। বাম-ডান নির্বিশেষে একত্রিত হয়ে নেতানিয়াহুকে ক্ষমতাচ্যুত করতে উদ্যোগী হয়। নেতানিয়াহুর ১২ বছরের শাসনের অবসানের খবরে এদিন তেল আভিভের রাস্তায় নামে হাজার মানুষের ঢল। আনন্দে মাতোয়ারা তাঁরা।নেতানিয়াহু ছিলেন দক্ষিণপন্থী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের চরমতম উদাহরণ। অভিযোগ, বিরোধীদের দমনপীড়ন থেকে শুরু করে, সরকার ও প্রশাসনকে নিজের ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন সিদ্ধহস্ত। রবিবার সংসদের ভোটে জিতেই প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন ৪৯ বছরের বেনেট। আর তাঁর আগমনেই নতুন সরকার গঠনের সঙ্গে ইতিহাস হয়ে থাকল ইজরায়েলের রাজনীতি। এই প্রথম ইহুদী (Jews) দেশের সরকারে যেমন অতি দক্ষিণপন্থীরা আছেন, তেমনই আরব মুসলিমরাও আছেন। অতি দক্ষিণপন্থীদের সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগি করে নিয়েছেন সে দেশে বসবাসকারী ২১ শতাংশ আরব মুসলিম (Islams)।২০০৯ সালে দ্বিতীয়বার ইজরায়েলের মসনদে বসেছিলেন নেতানিয়াহু। দুর্নীতির অভিযোগে ইতিমধ্যেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন সদ্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। জেরুজালেমের আদালতে তাঁর দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। ফলে, তাঁর জেলে যাওয়া এখন কার্যত সময়ের অপেক্ষা। এছাড়াও তাঁর লিকুদ পার্টির (Likud Party) বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধেও ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে রয়েছে। কূটনৈতিক মহলের দাবি, নেতানিয়াহুর বিদায়ে পশ্চিম এশিয়ার রাজনীতিতে নতুন যুগের সূচনা করবে। ভারতের সঙ্গে বরাবর সুসম্পর্ক রয়েছে ইজরায়েলের (India-Israel)। সে দেশের পালাবদল নিয়ে এদিন রাতে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি বিদেশ মন্ত্রক থেকে। তবে কূটনৈতিক মহলের দাবি, ভবিষ্যতে ভারত-ইজরায়েল সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে বলে আশা।
মেষ/ ARIES: অহংকারের খারাপ ফল ভোদ করতে হতে পারে।বৃষ/ TAURUS: আজ কোনও ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। মিথুন/ GEMINI : কোনও কাজ হাতে নিলে তাতে অগ্রগতি আসবে আজ।কর্কট/ CANCER : কোনও কারণে মানসিক কষ্ট পেতে পারেন।সিংহ/ LEO: সাহিত্যচর্চায় আজ মনোযোগ বাড়বে।কন্যা/ VIRGO: আজ দুর্ঘটনার মুখে পড়তে পারেন। সাবধানে চলাফেরা করবেন।তুলা/ LIBRA: কোনও কাজের চেষ্টা করে আজ সিদ্ধিলাভ হবে।বৃশ্চিক/ Scorpio: আর্থিক চিন্তা দেখা দিতে পারে আজ।ধনু/ SAGITTARIUS: মনে বিষন্নতার সৃষ্টি হতে পারে।মকর/ CAPRICORN: আজ প্রেমে সাফল্য লাভ করতে পারেন।কুম্ভ/ AQUARIUS: কোনও কারণে আজ স্বাস্থ্যহানি হতে পারে।মীন/ PISCES : আজ চাকরির সন্ধান করতে পারেন।
মেষ/ ARIES: আপনার নামের সুনাম নষ্ট হতে পারে।বৃষ/ TAURUS: আজ কোনও অনর্থ ঘটে যেতে পারে। মিথুন/ GEMINI : কোনও কারণে কারুর গঞ্জনা শুনতে হতে পারে।কর্কট/ CANCER : অনেক দিনের কোনও বাসনা পূরণ হতে পারে।সিংহ/ LEO: পিতার সঙ্গে মতের বিরোধ হতে পারে আজ।কন্যা/ VIRGO: বিদ্যার্থীদের জন্য আজকের দিনটি বেশ শুভ।তুলা/ LIBRA: পায়ের কষ্টে ভুগতে হতে পারে আজ।বৃশ্চিক/ Scorpio: মনে কোনও কারণে চঞ্চলতার সৃষ্টি হতে পারে।ধনু/ SAGITTARIUS: নৈতিকতার অবনতি হতে পারে আজকের দিনে।মকর/ CAPRICORN: ভাইয়ের সঙ্গে আজ বিরোধ হতে পারে কোনও বিষয় নিয়ে।কুম্ভ/ AQUARIUS: বাড়িতে অহেতুক অশান্তি ছড়াতে পারে।মীন/ PISCES : কোনও কারণে মনে উদাসীনতার সৃষ্টি হতে পারে।
প্রবল ঝড়বৃষ্টিতে রাজ্যের তিন জেলায় বাজ পড়ে মৃত্যু হল অন্তত ২৭ জনের। হুগলিতে ৯ জন, পূর্ব মেদিনীপুরে ২ জন এবং মুর্শিদাবাদে ন জন প্রাণ হারিয়েছেন। ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে টুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।মৃতদের পরিবারপিছু ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে কেন্দ্র।My thoughts are with all those who lost their near and dear ones due to lightning in parts of West Bengal. May the injured recover at the earliest. Narendra Modi (@narendramodi) June 7, 2021প্রাক বর্ষার প্রবল বৃষ্টিতে (Rain) ফের ভিজল দক্ষিণবঙ্গ। বিকেল চারটে থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয় ঝড়বৃষ্টি। সঙ্গে বজ্রপাতও হয়। হুগলির পোলবার এক বাসিন্দা প্রাণ হারান প্রথমে। পরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয় মোট ৯। মুর্শিদাবাদের ৯ জন এবং পূর্ব মেদিনীপুরের দুজনেরও মৃত্যু হয়েছে। আগামী কয়েকদিনও এমন আবহাওয়া জারি থাকবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। সোমবার বিকেলে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টিতে দক্ষিণবঙ্গ যে ভাসতে চলেছে সে আশঙ্কার কথা আগেই জানিয়েছিল হাওয়া অফিস। দুপুর গড়াতে না গড়াতে সেই আশঙ্কাই যেন সত্যি হল। কালো মেঘে ঢেকে যায় আকাশ। বিকেলেই যেন নেমে আসে সন্ধে। বইতে শুরু করে ঝোড়ো হাওয়া। তার সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি। কলকাতা-সহ হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ সর্বত্র প্রায় একই পরিস্থিতি। জমিতে কাজ করার সময় হঠাৎ ঝড়বৃষ্টি এবং বজ্রপাতে মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ থানার মির্জাপুরের নওদা এলাকায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়। পরে প্রাণ হারান আরও চারজন। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, প্রাক বর্ষার বৃষ্টিই চলছে দক্ষিণবঙ্গে। আগামী কয়েকদিন বিকেলের দিকে ঝড়বৃষ্টি হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। এদিকে, মৌসম ভবন সূত্রে প্রাপ্ত রেখাচিত্র অনুযায়ী, রবিবারই দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, কালিম্পং ও আলিপুরদুয়ারে সম্পূর্ণভাবে বর্ষা প্রবেশ করেছে।
ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা পাকিস্তানের (Pakistan) সিন্ধু প্রদেশে। দুটি প্যাসেঞ্জার ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হল অন্তত ৩০ জন যাত্রীর। আহত আরও ৫০ জন। এছাড়া দুর্ঘটনার জেরে লাইনচ্যুত হয়েছে দুটি ট্রেনের একাধিক কামরা। এর ফলে ওই এলাকায় স্তব্ধ রেল পরিষেবা। ইতিমধ্যে মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনাটির খবর পেয়ে টুইটে শোকপ্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (PM Imran Khan)।পাক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের ঘোটকি জেলার অন্তর্গত রেতি ও দাহরকি স্টেশনের মধ্যবর্তী জায়গায় মিল্লত ও স্যার সইদ এক্সপ্রেসের মুখোমুখি সংঘর্ষ। ওই সময় দুটি ট্রেন মিলিয়ে প্রায় ১১০০ জন যাত্রী ছিলেন। রেল আধিকারিকরা জানিয়েছেন, আগে থেকেই লাইনচ্যুত হয়েছিল মিল্লত এক্সপ্রেস। সেই সময়ই করাচি থেকে সারগোধাগামী স্যার সইদ এক্সপ্রেস সোজা এসে ধাক্কা মারে মিল্লতকে। এখনও দুর্ঘটনাগ্রস্ত কামরাগুলির মধ্যে অনেকে আটকে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ঘটনায় ৩০ জনের মৃত্যু খবর মিলেছে। আহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকার্যের প্রক্রিয়াও শুরু করেছে বিপর্যয় মোকাবিলা দল। ঘোটকি, ধারকি, ওবারো এবং মীরপুর মাথেলো এলাকার সমস্ত হাসপাতালে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি ওই রুটে সমস্ত ট্রেন চলাচল বাতিল করা হয়েছে। বগিগুলিকে কাটতে ভারী কাটার আনা হচ্ছে। এছাড়া পাঠানো হয়েছে রিলিফ ট্রেনও।ইতিমধ্যে এই ঘটনায় টুইটে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)। তিনি লেখেন, আজ সকালে ঘোটকিতে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় ৩০ জনের মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে এবং নিহতদের পরিবারকে সহায়তা করতে ইতিমধ্যেই রেলমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছি। রেল নিরাপত্তার গাফিলতি থাকলে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি।
ঘূর্ণিঝড়ের আগাম ক্ষতিপূরণ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ফের এরাজ্যের প্রতি বিমাতৃসুলভ আচরণের অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আসন্ন ঘূর্ণিঝড় যশের মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর ডাকা বৈঠকে ওডিশা ও অন্ধ্রপ্রদেশের তুলনায় এ রাজ্যকে কম অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। ওই বৈঠকের পরে নবান্নে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ওডিশা এবং অন্ধ্রপ্রদেশকে ৬০০ কোটি করে বরাদ্দ করার কথা ঘোষণা করেছেন । সেখানে এ রাজ্যকে ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। আয়তনের দিক থেকে বৃহৎ এই রাজ্যকে কম অর্থ বরাদ্দ করা অযৌক্তিক বলে মুখ্যমন্ত্রী মনে করেন। গতবছরের আম্ফান পর্বে কেন্দ্রীয় সহায়তা বাবদ প্রতিশ্রুত অর্থসাহায্য ও ঠিকমতো মেলেনি বলেও তিনি আজ অভিযোগ করেছেন।কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করার পর নবান্নে ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করেন মমতা। পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আম্ফানের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়েই এবারের আসন্ন ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। গতবছর আম্ফানের সময় ১০ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে গিয়ে প্রাণহানি রোখা গিয়েছিল। এবারও একই লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে। এজন্য ৪ হাজার ত্রাণশিবির খুলে লোককে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। অতিমারির আবহে ত্রাণ শিবির গুলিতে করোনা বিধি যাতে কঠোরভাবে মানা হয় সেদিকেও নজর রাখা হচ্ছে।মুখ্যমন্ত্রী জানান, নবান্ন এবং উপান্ন কাল থেকে ৪৮ ঘণ্টা সারাক্ষণ নজরদারি চলবে। উদ্ধারকার্য চালানোর জন্য দল তৈরি করা হয়েছে। তিনি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে গোটা বিষয়টি তদারক করবেন। দক্ষিণবঙ্গে ঘূর্ণি ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি বেশি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে । মানুষকে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকার জন্য মুখ্যমন্ত্রী পরামর্শ দিয়েছেন। একইসঙ্গে ব্লক ব্লকে সচেতনতা মূলক প্রচার এবং মৎস্যজীবীদের মধ্যে সমুদ্রের না যাওয়ার বিষয়ে নিরন্তর প্রচার চালানোর জন্য তিনি প্রশাসনকে নির্দেশ দেন।
কবে হবে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা? সেই উত্তরের খোঁজে এখনও দিশেহারা কয়েক লক্ষ পড়ুয়া এবং তাদের অভিভাবকরা। সম্ভাব্য দিনক্ষণ সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত করে কিছুই বলতে পারলেন না শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি জানান, কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেই পরীক্ষা হবে। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই নেবেন বলেও জানালেন শিক্ষামন্ত্রী। গত বছর মার্চ থেকেই রাজ্যে দাপট দেখাচ্ছে করোনা। অতিমারি পরিস্থিতিতে সেই সময় থেকেই বন্ধ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সাধারণত বছরের শুরুতে এই দুই পরীক্ষা হয়ে যায়। তবে করোনার জেরে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে চলছে টানাপোড়েন। ভোট মেটার পর এই দুই পরীক্ষা হবে বলেই দিনক্ষণ স্থির করা হয়েছিল। তবে কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে মাধ্যমিকের দিনক্ষণ বদল করা হয়। যদিও উচ্চমাধ্যমিকের দিনক্ষণ অপরিবর্তিতই।কিন্তু বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে এই দুই পরীক্ষা কবে হবে সে বিষয়ে সামান্য ইঙ্গিত দিলেন তিনি। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু স্পষ্ট জানালেন, এখনই মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক হচ্ছে না। অতিমারী পরিস্থিতি কেটে গেলেই দুই পরীক্ষা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। তবে কি মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকও বাতিল হতে চলেছে, এমন গুঞ্জনও চতুর্দিকে শোনা যাচ্ছে। তবে সেই জল্পনায় জল ঢাললেন শিক্ষামন্ত্রী। কোনওভাবেই মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা বাতিল হবে না বলেই জানিয়ে দিলেন ব্রাত্য বসু। তবে পরীক্ষার দিনক্ষণ সংক্রান্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেবেন বলেই জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। উল্লেখ্য, উচ্চমাধ্যমিক হোম সেন্টারে হবে বলে ইতিমধ্যেই পর্ষদের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে হোম সেন্টার হবে কিনা, সে বিষয়েও এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
কবে হবে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা? সেই উত্তরের খোঁজে এখনও দিশেহারা কয়েক লক্ষ পড়ুয়া এবং তাদের অভিভাবকরা। সম্ভাব্য দিনক্ষণ সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত করে কিছুই বলতে পারলেন না শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি জানান, কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেই পরীক্ষা হবে। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই নেবেন বলেও জানালেন শিক্ষামন্ত্রী। গত বছর মার্চ থেকেই রাজ্যে দাপট দেখাচ্ছে করোনা। অতিমারি পরিস্থিতিতে সেই সময় থেকেই বন্ধ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সাধারণত বছরের শুরুতে এই দুই পরীক্ষা হয়ে যায়। তবে করোনার জেরে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে চলছে টানাপোড়েন। ভোট মেটার পর এই দুই পরীক্ষা হবে বলেই দিনক্ষণ স্থির করা হয়েছিল। তবে কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে মাধ্যমিকের দিনক্ষণ বদল করা হয়। যদিও উচ্চমাধ্যমিকের দিনক্ষণ অপরিবর্তিতই।কিন্তু বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে এই দুই পরীক্ষা কবে হবে সে বিষয়ে সামান্য ইঙ্গিত দিলেন তিনি। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু স্পষ্ট জানালেন, এখনই মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক হচ্ছে না। অতিমারী পরিস্থিতি কেটে গেলেই দুই পরীক্ষা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। তবে কি মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকও বাতিল হতে চলেছে, এমন গুঞ্জনও চতুর্দিকে শোনা যাচ্ছে। তবে সেই জল্পনায় জল ঢাললেন শিক্ষামন্ত্রী। কোনওভাবেই মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা বাতিল হবে না বলেই জানিয়ে দিলেন ব্রাত্য বসু। তবে পরীক্ষার দিনক্ষণ সংক্রান্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেবেন বলেই জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। উল্লেখ্য, উচ্চমাধ্যমিক হোম সেন্টারে হবে বলে ইতিমধ্যেই পর্ষদের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে হোম সেন্টার হবে কিনা, সে বিষয়েও এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
মারণ করোনা ভাইরাসের থাবা এবার খোদ মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেজো ভাই অসীম বন্দ্যোপাধ্যায়ের। যদিও ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি কালী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেই পরিচিত। সূত্রের খবর, গত একমাস ধরে তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়ে বাইপাসের ধারে মেডিকা হাসপাতালে ভরতি ছিলেন বলে খবর। কোভিডের বিরুদ্ধে যুদ্ধে আজ সকালে তিনি হার মানলেন। খবর পেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারে যথারীতি শোকের ছায়া। কালীঘাটেই থাকতেন কালী বন্দ্যোপাধ্যায়। ষাটোর্ধ্ব কালীবাবু মাস খানেক আগে করোনায় আক্রান্ত হন। মেডিকা সুপারস্পেশ্যাালিটি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই এতদিন লড়াই চালিয়েছিলেন। কিন্তু শেষমেশ হার। শনিবার সকাল ৯টা ২০ নাগাদ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। খবর নিশ্চিত করেছেন মেডিকার চেয়ারম্যান ডা. অলোক রায়। কোভিড বিধি মেনে যথাযথভাবে নিমতলা মহাশ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য হবে বলে জানা গিয়েছে।
রাজ্যে জেলাশাসক স্তরে এদিস ফের রদবদল হলো। বীরভূম জেলার নতুন জেলাশাসক হলেন বিধানচন্দ্র রায়। তিনি খাদ্য দপ্তরের যুগ্ম সচিব ছিলেন। এখনকার জেলাশাসক ডিপি কারানাম ক্ষুদ্র ও কুটীর শিল্প দপ্তরের অধিকর্তা হলেন। এই দায়িত্বে ছিলেন নিখিল নির্মল। তাঁকে বস্ত্র অধিকর্তা করা হলো। হাওড়া পুরসভার কমিশনার অভিষেক তিওয়ারিকে স্বাস্থ্য দপ্তরের যুগ্ম সচিব করা হলো। তাঁর জায়গায় এলেন দাভাল জৈন। তাঁকে হাওড়া জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসকের দায়িত্বও দেওয়া হলো। বুধবার এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে কর্মীবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার দপ্তর।এদিন আইপিএস স্তরেও বেশ কিছু রদবদল হয়েছে। শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার দেবেন্দ্র প্রকাশ সিং আইজি, উত্তরবঙ্গ হলেন। এই পদে ছিলেন আইপিএস বিশাল গর্গ। তাঁকে কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত নগরপাল করা হলো। কম্পালসারি ওয়েটিংএ থাকা আইপিএস শ্রীহরি পাণ্ডেকে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের নর্থ জোনের ডিসি করা হলো। রায়গঞ্জের ফোর্থ ব্যাটেলিয়ান স্যাপের সিও আইপিএস প্রদীপ কুমার যাদবকে রাজ্য পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের পুলিশ সুপার করা হলো।
করোনা পরিস্থিতিতে অনাড়ম্বরভাবেই মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । রাজ্য মন্ত্রিসভার শপথেও দেখা গেল না কোনও আড়ম্বর। কোভিড বিধি মেনে সোমবার রাজভবনে অনুষ্ঠিত হল মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠান। মোট ৪৩ জনকে শপথ বাক্য পাঠ করালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এদিন খোশমেজাজে দেখা গেল মমতা ও ধনখড়কে। এদিন রাজভবনে উপস্থিত ছিলেন ৪০ জন মন্ত্রী। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ অমিত মিত্র। সেই কারণে রাজভবনে হাজির হতে পারেননি তিনি। অন্যদিকে করোনা আক্রান্ত রথীন ঘোষ ও ব্রাত্য বসু। ফলে উপস্থিত হতে পারেননি তাঁরাও। তবে বাকি ২১ জন পূর্ণমন্ত্রীদের সঙ্গে একই সময়ে এদিন ভারচুয়ালি শপথ গ্রহণ করলেন এই তিন মন্ত্রী। পূর্ণমন্ত্রীদের তালিকায় রয়েছেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, সাধন পাণ্ডে, অরূপ রায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, শশী পাঁজা-সহ অন্যান্যরা। তারপরে শপথ নেন স্বাধীন দায়িত্ব প্রাপ্ত ১০ মন্ত্রী। শেষে শপথ নেন ৯ জন প্রতিমন্ত্রী। মাত্র ৭ মিনিটে শেষ হয় শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। মমতার তৃতীয় মন্ত্রিসভায় একাধিক নতুন মুখের ভিড়। মমতার তৃতীয় মন্ত্রিসভায় রয়েছে একাধিক নতুন মুখ। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বীরবাহা হাঁসদা, রয়েছেন জঙ্গলমহলের বিধায়ক জ্যোৎস্না মাণ্ডি, শ্রীকান্ত মাহাতো। শপথ নিলেন মনোজ তিওয়ারি, রত্না দে নাগ, আখরুজ্জামান, দিলীপ মণ্ডল, অখিল গিরি সহ-বেশ কয়েকজন। দীর্ঘদিন ধরেই দিদির সৈনিক অখিল গিরি। কিন্তু আগে কোনওদিনই মন্ত্রিসভায় ঠাঁই হয়নি তাঁর। শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্কচ্ছিন্ন হওয়ার পর দলে গুরুত্ব বাড়ে অখিল গিরির। তাঁর হাতেই পূর্ব মেদিনীপুরের ভার দিয়েছিল তৃণমূল। নন্দীগ্রাম হাতছাড়া হলেও বিধানসভা ভোটে পূর্ব মেদিনীপুরে মোটের উপর ভাল ফলই করেছে দল। পুরস্কারস্বরূপ এবার মন্ত্রিসভায় অখিল গিরি।
তৃতীয়বার পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় তৃণমূল সরকার। নন্দীগ্রাম থেকে কয়েকশো ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার নিজের মন্ত্রিসভা সাজিয়ে নেওয়ার পালা। রবিবারই সম্ভাব্য মন্ত্রীদের তালিকা প্রকাশ করেছেন তিনি। ১৬ নতুন মুখ-সহ মোট ৪৩ জন মন্ত্রীর শপথগ্রহণ হল আজ রাজভবনে। নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে তৈরি নয়া মন্ত্রিসভার সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।করোনা আক্রান্ত ব্রাত্য বসু রয়েছেন আইসোলেশনে। রাজভবনে নয়, ভার্চুয়াল মাধ্যমে তিনি শপথ নেন। একইভাবে শপথ নেস আরও দুই মন্ত্রী অমিত মিত্র, রথীন ঘোষ। অসুস্থতার কারণে এই সিদ্ধান্ত। রাজ্যপাল জগদীর ধনকড় সবাইকে শপথবাক্য পাঠ করান থ্রোন রুমে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজভবনে পৌঁছলে শপথের আগে তাঁকে প্রণাম করে আশীর্বাদ নিলেন বেশ কয়েকজন। কোভিড সকলে মেনে চলো, শপথ নিয়ে কেউ প্রণাম করতে এসো না, বললেন মুখ্যমন্ত্রী।এরপর শপথ অনুষ্ঠান শুরুর আগে শেষ মুহূর্তে আলোচনা সেরে নেন মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্যসচিব ও বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর পূর্ণমন্ত্রী, স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী পদে কে কে শপথ নেবেন, তার তালিকা পড়েন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং প্রতিমন্ত্রীদের একইসঙ্গে শপথ পড়ান রাজ্যপাল। নিজের জায়গায় দাঁড়িয়ে শপথ নিলেন তাঁরা। কোভিড আবহে অতি সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠান হয় এদিন। এতদিনের রীতি মেনেরাজ্যপালের পাশে দাঁড়িয়ে শপথ গ্রহণ করা হলনা এবার। ৭ মিনিটে ৪৩ জনের শপথ পর্ব শেষ হয়। অনুষ্ঠান শেষে একান্তে কথা বলেন রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রী।
করোনা অতিমারির আবহেই তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যে গঠিত হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। মুখ্যমন্ত্রী এবং অধ্যক্ষ-সহ বিধানসভার সদস্যদের শপথগ্রহণ পর্ব একে একে শেষ হয়েছে। এবার মন্ত্রিসভা গঠনের পালা। সোমবার রাজভবনে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে রাজ্য মন্ত্রিসভার ৪৩ জন সদস্য শপথ গ্রহণ করবেন বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে। এরমধ্যে ২৪জন পূর্ণমন্ত্রী, দশজন স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী এবং ৯জন প্রতিমন্ত্রী থাকছেন। তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রবিবার দুপুরে কালীঘাটে দলের কোর কমিটির বৈঠক বসে সেখানেই মন্ত্রিসভার সদস্যদের নাম চূড়ান্ত করা হয়।তৃতীয় তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের মন্ত্রিসভায় প্রবীণ এবং অভিজ্ঞদের পাশাপাশি নতুন কিছু মুখ স্থান পেয়েছে। পূর্ণ মন্ত্রীদের তালিকা নতুন উল্লেখযোগ্য নাম সাগরের দীর্ঘদিনের বিধায়ক বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা, মধ্যমগ্রামের বিধায়ক রথীন ঘোষ, উলুবেরিয়া দক্ষিণের বিধায়ক পুলক রায়, সবং এর বিধায়ক মানস ভুঁইয়া, উত্তরবঙ্গ থেকে হরিরামপুরের বিধায়ক বিপ্লব মিত্র এবং গোয়ালপখোরের বিধায়ক মোঃ গোলাম রব্বানীর। স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী তালিকায় নতুনদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রাক্তন আইপিএস আধিকারিক হুমায়ুন কবীর, রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি, প্রাক্তন সাংসদ রত্না দে নাগ প্রমুখ। রাজ্য মন্ত্রিসভার নতুন প্রতিমন্ত্রী হচ্ছেন ঝাড়গ্রাম থেকে বিধায়ক হওয়া ঝাড়খণ্ড পার্টি নরেনের প্রতিষ্ঠাতা নরেন হাঁসদার মেয়ে বীরবাহা হাঁসদা।টলিউডের তারকা মুখেরা ঠাঁই না পেলেও সাঁওতালি ছবির নায়িকা বীরবাহা সামিল হয়েছেন মন্ত্রিসভায়।এছাড়া দিলীপ মণ্ডল, আখোরুজ্জামান, জ্যোৎস্না মান্ডি, সাবানা ইয়াসমিন, ফরওয়ার্ড ব্লক থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে আসা প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারী প্রাক্তন ক্রিকেটার মনোজ তিওয়ারি রয়েছেন প্রতিমন্ত্রীদের তালিকায়।পুরনো ওজনদার সব মুখেরাই প্রায় এসরকারের পূর্ণ মন্ত্রী পদে থাকছেন।ক্যাবিনেট মন্ত্রী হিসাবে সোমবার শপথ নিতে চলেছেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অমিত মিত্র, অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিম, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, অরূপ রায়, সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী, সৌমেন মহাপাত্র, উজ্জ্বল বিশ্বাস, সাধন পাণ্ডে, চন্দ্রনাথ সিনহা, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, ব্রাত্য বসু, শশী পাঁজা, জাভেদ আহমেদ খান, গুলাম রব্বানী, মলয় ঘটক এবং স্বপন দেবনাথ।তবে এবার বাদ বিভিন্ন কারণে বেশ কিছু পুরনো হেভিওয়েট বাদ পড়েছেন। যার মধ্যে প্রাক্তন পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব এবং উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্র নাথ ঘোষ রয়েছেন। এদের দু-জনের একজনও এবার ভোটে জিততে পারেননি।উত্তরবঙ্গ লবি থেকে তাদের স্থান নিয়েছেন একদা তৃণমূল থেকে বিজেপিতে গিয়ে ফের দলে ফিরে আসা বালুরঘাটের হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা বিপ্লব মিত্র ও গোয়ালপোখরের গোলাম রব্বানী। আবার দলে স্বমিমায় প্রত্যাবর্তন এবং ভোটে বিপুল জনাদেশ লাভের পর মদন মিত্রর ফের একবার মন্ত্রী হওয়া নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছিল। কিন্তু রবিবার হবু মন্ত্রীদের যে তালিকা নবান্ন থেকে প্রকাশ হয়েছে, তাতে দেখা গেল মদন মিত্রর নাম নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম জমানায় পরিবহণ মন্ত্রী ছিলেন মদন। অর্থাৎ পূর্ণমন্ত্রী। একবার কাউকে পূর্ণমন্ত্রী করা হলে পরে আর তাঁকে প্রতিমন্ত্রী বা স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতি মন্ত্রী করলে দেখতে ভাল দেখায় না। কিন্তু মদনকে কোনও মন্ত্রীই করলেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।চিটফান্ড কাণ্ডে অতীতে সাড়ে তিন বছর জেলে ছিলেন মদন মিত্র। তাঁর সেই সব মামলার নিষ্পত্তি এখনও হয়নি। অনেকের মতে, সম্ভবত সেই কারণেই মদন মিত্রকে আর মন্ত্রিসভায় ফেরালেন না মুখ্যমন্ত্রী।কামারহাটির পাশের আসন বরাহনগরের বিধায়ক তথা প্রবীণ নেতা তাপস রায়কেও এ বার মন্ত্রিসভায় নেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাপস রায় বিধানসভা উপ মুখ্য সচেতক ছিলেন। সেই সঙ্গে মন্ত্রিসভায় প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। তাঁর ভাবমূর্তিও পরিচ্ছন্ন। তাঁকে কেন মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেওয়া হল তা অবশ্য অনেকের কাছে বিষ্ময়ের।উল্লেখযোগ্য ভাবে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েছেন নির্মল মাঝিও। গত মেয়াদের তাঁর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খুবই অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন বলেই খবর।মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েছেন অসীমা পাত্র, মন্টুরাম পাখিরা, গিয়াসউদ্দিন মোল্লা ও তপন দাশগুপ্ত। জঙ্গিপুর বিধানসভায় এখনও ভোট না হওয়ায় মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েছেন জাকির হোসেনও।সোমবার রাজভবনে শপথ শেষে নবান্নে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
ভোটের আগে নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর হামলার ঘটনার পরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তৎকালীন জেলাশাসক বিভু গয়ালকে সরিয়ে দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। জেলাশাসক হিসেবে নিয়ে আসা হয় স্মিতা পাণ্ডেকে। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা শপথ নেওয়ার পরেই স্মিতাকে সরিয়ে দিল রাজ্য সরকার। তাঁর জায়গায় নতুন জেলাশাসক হিসেবে আনা হয়েছে পূর্ণেন্দু মাজিকে। এ ছাড়া পুলিশ প্রশাসনেও হয়েছে একাধিক বদল। ডিজি পদে বীরেন্দ্র ও এডিজি আইনশৃঙ্খলা পদে জাভেদ শামিমকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে ।বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্য পুলিশে এই বদলের কথা জানান মমতা। কমিশনের নিয়োগ করা ডিজিকে দমকল বিভাগের ডিজি ও এডিজি জগমোহনকে সিভিল ডিফেন্সে বদলি করেছে নবান্ন। এই নির্দেশের কিছুক্ষণ পরে নবান্নের তরফে নির্দেশিকা জারি করে বলা হয় স্মিতাকে সরিয়ে পূর্ণেন্দুকে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক হিসেবে নিয়ে আসা হয়েছে। পূর্ণেন্দু এর আগে ইন্ডাস্ট্রিয়াল কর্পোরেশনের সচিব ছিলেন। অন্যদিকে স্মিতাকে ওয়েবল-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে। বদলি করা হয়েছে পুরুলিয়ার জেলাশাসক অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়কেও। তাঁকে পাঠানো হয়েছে কম্পালসরি ওয়েটিংয়ে। তাঁর জায়গায় নতুন জেলাশাসক হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে রাহুল মজুমদারকে।
তৃতীয়বারের জন্য বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৫ মে সকাল পৌনে ১১টায় রাজভবনে শপথগ্রহণ করবেন তিনি। কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ছোট করে সারা হচ্ছে শপথগ্রহণের অনুষ্ঠান। তবে আমন্ত্রিতদের তালিকায় রয়েছে একাধিক চমক।সূ্ত্রের খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে। যদিও শারীরিক অসুস্থতার জন্য তিনি উপস্থিতি থাকবেন না বলেই খবর। আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে বিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কেও। তিনি আসবেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।পাশাপাশি আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান, কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী, বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গা, বিজেপি সাংসদ তথা রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, রাজ্য বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসুকেও। এছাড়া শপথগ্রহণের অনুষ্ঠানে তৃণমূলের তরফে হাজির থাকতে পারেন বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায়, বিধায়ক সুব্রত মুখোপাধ্যায়, রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। তারকা সাংসদ দেব এবং শতাব্দী রায়কেও আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে। তবে এবার অন্যান্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বা নেতা-নেত্রীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। দেশের করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে বলে খবর।
রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরই ভোটপরবর্তী হিংসার আগুন জ্বলে উঠেছে বাংলায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শান্তি বজায় রাখার বার্তা দিলেও কার্যত তা উপেক্ষা করে নগ্ন প্রতিশোধের রাস্তা বেছে নিয়েছেন তৃণমূলীরা। যাতে নতুন করে উদ্বেগ দানা বেঁধেছে সমস্ত মহলেই।সাম্প্রতিক ঘটনা প্রবাহে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রাজ্য প্রশাসনকে হিংসা থামাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।রাজ্য সরকারের কাছে এনিয়ে রিপোর্ট তলব করেছে উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় সরকার। রবিবার রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে ২১৪ আসনে জিতে নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস।ফল ঘোষণার ২৪ ঘণ্টা পেরোতে না পেরোতেই রাজ্যে তাদের নেতা-কর্মী-সহ ৬ জন খুন হয়েছেন বলে দাবি করেছে বিজেপি।নন্দীগ্রাম থেকে শীতলকুচি, এমনকী খোদ কলকাতাতেও একের পর এক হিংসার ঘটনা সামনে এসেছে। বেলেঘাটা, শীতলকুচি-সহ বিভিন্ন জায়গায় ৬ জন খুন হয়েছেন বলে দাবি করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। নন্দীগ্রামের বিভিন্ন এলাকাতেও ভাঙচুরের ঘটনা চলছে। দিলীপ ঘোষ বলেন, আইএসএফের একজনকেও বোমার আঘাতে মেরে ফেলা হয়েছে। শতাধিক বাড়ি, পার্টি অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে। প্রশাসনকে অনুরোধ করব, অবিলম্বে শান্তি ফেরানোর ব্যবস্থা করা হোক। শান্তিপূর্ণভাবে এই ইস্যুতে আন্দোলনে নামবে বিজেপি। কাল রাস্তায় নেমে ধর্না দিয়েও প্রয়োজনে প্রতিবাদ জানানো হবে। এমনটাই জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে বিজেপি-র প্রতিনিধিদল বিকেলে রাজভবনেও যায়। রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলে বেরিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, হাজার হাজার বাড়ি, পার্টি অফিস ভাঙচুরের খবর পাচ্ছি, ভিডিও দেখছি। বেলেঘাটায় আমাদের কর্মীকে মেরে ফেলার পাশাপাশি পোষ্যদেরও মারা হয়েছে। বিজেপির পাঁচ কর্মী ও আইএসএফের এক কর্মী রাজনৈতিক সন্ত্রাসের বলি হয়েছেন। আমরা শক্তিশালী বিরোধী দলের দায়িত্বই পালন করতে চাই। তবে আমাদের পাশাপাশি অন্য দলের লোক, এমনকী সাধারণ মানুষও আক্রান্ত হচ্ছেন। এর প্রতিবিধান না হলে গণতান্ত্রিক উপায়ে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ হবে। রাজ্যপাল আমাদের কথা শুনেছেন।ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তিনি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতর, কলকাতা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই বিষয়ে জানিয়েছেন তিনি। নির্দেশ দিয়েছেন দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে। সোমবার রাজ্যপাল একটি টুইট করেন।সেখানে বলেন, হিংসার কথা জানতে পেরেছি। এ ব্যাপারে আমি উদ্বিগ্ন। রাজ্যের বিভিন্ন অংশ থেকে গোলমালের খবর পাওয়া যাচ্ছে পার্টি অফিস, বাড়ি, দোকান ভাঙচুর করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতি খুবই চিন্তাজনক। তিনি আরও লিখেছেন, এ সব থামাতে স্বরাষ্ট্র দপ্তর, রাজ্য পুলিশ, কলকাতা পুলিশকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছি। উল্লেখ্য দুপুরেই রাজভবনে পুলিশ কমিশন, ডিজিকে ডেকে পাঠান রাজ্যপাল।বিকেলে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। তার কাছেও হিংসা থামাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার আর্জি জানান রাজ্যপাল।এদিকে ভোট পরবর্তী হিংসার খবর পেতে নবান্নের কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। ভোটের ফলাফল প্রকাশ হতেই বিরোধী দলের রাজনৈতিক দলের উপর কেন হামলা তা নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে খবর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন পুনরায় রাজ্যবাসীর কাছে শান্তির আবেদন জানিয়েছেন।মমতা বলেন, নির্বাচনে হার-জিত রয়েছে। বিজেপি অনেক অত্যাচার করেছে। শান্ত থাকুন, পুলিশকে অভিযোগ করেছি। আইন সামলানোর দায়িত্ব পুলিশের। তৃণমূল কর্মীকে খুন করেছে বিজেপি। কোচবিহারে আক্রান্ত হয়েছে তৃণমূল।