• ৫ আষাঢ় ১৪৩২, রবিবার ২২ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Mamata Banerjee

রাজ্য

জুনিয়র চিকিৎসকদের ধরনা অবস্থানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

সল্টলেকে জুনিয়র চিকিৎসকদের অবস্থান বিক্ষোভে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুদিন আগে নবান্নে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল জুনিয়র চিকিৎসক ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। এদিন সল্টলেকে ছুটে যান মুখ্যমন্ত্রী। সহমর্মিতা প্রকাশ করেন মমতা। কাজে ফেরার আবেদন জানান। আপনাদের দাবি নিয়ে আলোচনা করবেন বলে জুনিয়র চিকিৎসকদের জানান। বলেন, তিলোত্তমার বিচার হোক। ৩ মাসে শাস্তি দিক সিবিআই, যেন ফাঁসির আদেশ হয়।

সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৪
রাজ্য

কর্মবিরতির জন্য বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু ২৯, ক্ষতিপূরণ ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির জেরে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে ২৯ জনের, দাবি রাজ্য সরকারের। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে ঘোষণা করেছেন, মৃত ২৯ জনের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেবে সরকার। মমতা এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির ফলে স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। যার ফলে ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এটা দুর্ভাগ্যজনক। মৃতদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে রাজ্য সরকার ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সহায়তা ঘোষণা করছে। ২৯ জন মৃতের পরিবারকে ওই টাকা দেওয়া হবে।রাজ্যের অভিযোগ, ডাক্তারদের কর্মবিরতির ফলে বহু মানুষ সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পাচ্ছেন না। অনেকে বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছেন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যের হিসাবে মৃতের সংখ্যা ২৯। তবে রাজ্যের এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন আন্দোলনকারী ডাক্তাররা। তাঁদের দাবি, কোনও হাসপাতালেই চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত হয়নি। সিনিয়র চিকিৎসকরা পরিষেবা দিচ্ছেন। বাড়তি পরিশ্রম করছেন। কোথাও বিনা চিকিৎসায় রোগীকে ফিরে যেতে হচ্ছে না।পাল্টা তাঁদের দাবি, রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার বেহাল দশাতেই এমনতিই বহু মানুষ প্রতিদিন উপযুক্ত চিকিৎসা পরিষেবার অভাবে মারা যান। সেই ব্যর্থতা ঢাকতেই আন্দোলনকারীদের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে রাজ্য সরকার। কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে কর্মবিরতিকে।

সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৪
রাজ্য

কেন নবান্নের বৈঠকে লাইভ স্ট্রিমিং নয়? কারণ জানালেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী

লাইভ স্ট্রিমিং প্রশ্নে জুনিয়র চিকিৎসক ও মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক ভেস্তে যাওয়ায় কড়া সমালোচনা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, মুখ্যমন্ত্রী যে ঘরে বসে অপেক্ষা করছিলেন, সেই ছবি সরকার প্রকাশ করলো আদালতকে প্রভাবিত করতে। লাইভস্ট্রিমিংয়ের সাথে সুপ্রিমকোর্টের রায়ের কোনো সম্পর্ক নেই। সুপ্রিমকোর্টের শুনানি তো লাইভস্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে সারা দেশ দেখছে। নবান্নের সভাঘরে যে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল তার সাথে আদালত অবমাননার কোনো সম্পর্ক নেই। নবান্নের সভাঘরে কি বিচার প্রক্রিয়া চলার কথা ছিল !নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, পুরোটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাটক, লাইভস্ট্রিমিংয়ে আসলে ওনার মুখোশ খুলে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল তাই জুনিয়র ডাক্তারদের ন্যায্য দাবি মানলেন না। জুনিয়র ডাক্তাররা স্বাস্থ্য দফতরের দুর্নীতি নিয়ে আলোচনা করতেন, তাতেই স্বাস্থ্য মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় পেয়ে যান। আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই চান না এই অচলাবস্থা কাটুক। পরবর্তী শুনানির আগে রাজ্যের উকিল কপিল সিব্বলের হাতে ভুয়ো যুক্তির অস্ত্র তুলে দিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নানা কৌশল অবলম্বন করছেন।নবান্ন থেকে জেলায় জেলায় প্রশাসনিক বৈঠকে লাইভ দেখতে অভ্যস্ত রাজ্যের মানুষ। মুখ্যমন্ত্রীর বকাঝকাও ওই বৈঠকগুলিতে দেখা গিয়েছে। শুভেন্দু লিখেছেন, যে মুখ্যমন্ত্রী প্রসাশনিক বৈঠক লাইভ স্ট্রিমিং করেন, তাহলে এত গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক লাইভ স্ট্রিমিং করতে তাঁর আপত্তি কোথায়? আইনের যে যুক্তি দিচ্ছেন তা পুরোপুরি ভুয়ো। মুখ্যমন্ত্রী আসলে লাইভ স্ট্রিমিং করতে ভয় পেয়েছিলেন এই ভাবনা থেকে যে প্রাথমিক পুলিশি তদন্তে যে ফাঁকফোকর রয়েছে, তদন্তের নামে প্রমাণ লোপাট করার চেষ্টা ও তাড়াহুড়ো করে দেহ দাহ করা হয়েছে, এই সংক্রান্ত কেনো প্রশ্ন উঠলে উনি জবাব দিতে পারতেন না।

সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৪
রাজ্য

জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনে রাজনীতির খেলা দেখছেন মন্ত্রী, কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে রাজ্য সরকার?

জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের পিছনে রাজনীতির খেলা দেখছে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি তাঁরা শর্ত রেখে বৈঠকে আসতে চাইছে। একথা বলছেন স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ কার্যকরী করতে পদক্ষেপ করবে রাজ্য। কি পদক্ষেপ তা পরে জানিয়ে দেবে রাজ্য। তাহলে জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতি তুলতে কি কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে রাজ্য সরকার? এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে সর্বত্র। ৯ অগাস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় রাজ্য তোলপাড় হয়ে যায়। টানা কর্মবিরতি করে চলেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আরজি কর সহ বিভিন্ন হাসপাতালে আন্দোলন চলছে। এর আগে কলকাতা পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগের দাবিতে লালাবাজার অভিযান করে জুনিয়র চিকিৎসকরা। প্রায় ২৪ ঘন্টা লালবাজারের সামনে অবস্থান করে তাঁরা। এদিকে গতকাল মঙ্গলবার থেকে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করে চলেছে জুনিয়র চিকিৎসকরা। এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকারের সঙ্গে তাঁদের কোনও আলোচনা হয়নি। শুধু মেইল চালাচালি চলছে। গতকাল রাজ্যর মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়ে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী দেড় ঘন্টা নবান্নে বসে থেকে বাড়ি চলে গিয়েছেন। জুনিয়র চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন যাঁর পদত্যাগ চাইছি সেই স্বাস্থ্য দফতরের প্রধান সচিব মেইল করে মিটিংয়ে ডেকেছেন। তাঁদের বক্তব্য, তাঁরা কি করে জানবেন মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকে থাকবেন। তা চিঠিতে উল্লেখ ছিল না। জুনিয়র চিকিৎসকদের আজ বৃহস্পতিবার দাবি ছিল, তাঁরা বৈঠকে ৩০ জন প্রতিনিধি যাবে। পুরো বৈঠক লাইভ টেলিকাস্ট হতে হবে। জুনিয়র চিকিৎসকদের বৈঠকের শর্ত রাজ্য মানবে না, জানান চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। শেষমেশ আজ জুনিয়র চিকিৎসক ও রাজ্য সরকারের বৈঠক ভেস্তে গিয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল মঙ্গলবার বিকেল ৫ টার মধ্যে জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতি তুলে নিতে হবে। নির্দেশ কার্যকর করতে রাজ্য সরকারকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। এদিন রাজ পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার ও মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে দুপাশে বসিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বৈঠকে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের গলায় কর্মবিরতি নিয়ে কড়া সুর শোনা গিয়েছে। এখনও অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে জুনিয়র চিকিৎসকরা।

সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৪
রাজ্য

নবান্নে অপেক্ষা করে চলে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী, সরকারের মেইলে অপমানিত জুনিয়র চিকিৎসকরা

রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের প্রধান সচিবের পক্ষে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের কাছে একটি মেল পাঠানো হয় সন্ধে ৬টা১০মিনিট নাগাদ। নবান্নে এসে সরকারের শীর্ষস্থানীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি দল এসে দেখা করতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে নবান্নে হাজির ছিলেন। কিন্তু স্বাস্থ্য দফতরের এই মেলকে ভালো ভাবে নেননি আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁরা এই মেলকে অপমানজনক বলে মনে করছেন। তাই মেইলের জবাব দেবে না বলেও তাঁরা জানিয়ে দিয়েছে। সরকারের তরফে মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক করার জন্য অপেক্ষা করে বেরিয়ে গিয়েছেন। আন্দোলনরত চিকিৎসকদের জন্য অপেক্ষা করে শেষ পর্যন্ত সাড়ে ৭টা নাগাদ নবান্ন ছেড়ে বেরিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ভবন অভিযানের ডাক দিয়েছিল জুনিয়র চিকিৎসকরা। এদিন তাঁরা ওই ভবনের সামনে অবস্থান করছে। মুখ্যমন্ত্রী যে ওই বৈঠকে থাকবেন তা চিঠিতে উল্লেখ ছিল না, বলছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। মঙ্গলবার ছিল রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক। সেই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যদের জানিয়ে দেন, আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা বা আন্দোলন, চিকিৎসকদের কর্মবিরতি নিয়ে যা বলার তিনিই বলবেন। বৈঠক শেষে তৎপরতা শুরু হয়। জানা গিয়েছে, তারপরেই স্বাস্থ্যসচিবের ইমেল থেকে মেল পাঠানো হয় আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের কাছে।জুনিয়র ডাক্তাররা বলেন, যাঁর পদত্যাগ দাবি করছি তিনি মেইল করছেন। এটা অত্যন্ত অপমানজনক। মেলের জবাব দেওয়ার কোন প্রশ্ন নেই, বলেন তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রী নাকি বৈঠকের জন্য নবান্নে অপেক্ষা করেছিলেন। আমাদের সে কথা বলা হয়নি। মেইলে তার কোনও উল্লেখ ছিল না। ইমেলে লেখা হয়েছে, রেসপেক্টেড স্যার। জুনিয়র চিকিৎসকরা বলেছেন, মনে রাখবেন, এই আন্দোলনে শুধু স্যারেরা নেই, ম্যাডামেরাও রয়েছেন।

সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৪
রাজ্য

'পুজোয় ফিরুন, উৎসবে ফিরুন', সাধারণ মানুষের কাছে আহ্বান মুখ্যমন্ত্রীর

আরজি কর কাণ্ডে নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে উত্তাল বাংলা। প্রতিবাদে গর্জে উঠেছে সারা দেশ। নজিরবিহীন প্রতিবাদের সাক্ষী থেকেছে গোটা বিশ্ব। আমেরিকা, গ্রেট ব্রিটেন সহ একাধিক দেশে আরজি কর কাণ্ডে বিক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। এসবের মাঝে মুখ্যমন্ত্রীর বড় বার্তা, পুজোয় ফিরুন, উৎসবে ফিরুন, সাধারণ মানুষের কাছে আহ্বান মুখ্যমন্ত্রীর।আরজি কর আবহে জেলা থেকে কলকাতা, পুজোর অনুদান ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে একাধিক ক্লাব। এনিয়ে নবান্ন থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে মমতা বলেন, যে সব পুজো কমিটি সরকারি অনুদান নেবে না, তাদের বাদ দিয়ে নতুন পুজো কমিটিকে অনুদান দেওয়া হবে। পাশাপাশি আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে রাম-বামের চক্রান্তের তত্ত্বের পক্ষেও এদিন জোরালো সওয়াল করেন তিনি। পুজোর সময় বাজার দর নিয়ন্ত্রণে রাখতে আধিকারিকদের এদিন নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার প্রতিবাদে উত্তাল দেশ। সেই ঘটনার জেরে রাজ্য সরকারের তরফের দেওয়া পুজোর অনুদান ফিরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা করেছে কিছু পুজো কমিটি। তার মাঝে নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বলেন, যে সব পুজো কমিটি সরকারি অনুদান নেবে না, তাদের বাদ দিয়ে নতুন পুজো কমিটিকে অনুদান দেওয়া হবে। এদিকে আরজি কর কাণ্ডে আন্দোলনরত জুনিয়ার ডাক্তারদের আগামীকাল বিকেল ৫টার মধ্যে কাজে ফেরার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।এদিন নবান্ন থেকে সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা আরজি কর ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন,আরজি কর কাণ্ডে কুৎসা চলছে। মেয়ের স্মৃতিতে ভাল কাজ করতে হলে বলবেন, এই কথা বলেছিলাম। পরিবারকে কোন টাকা দেওয়া হয়নি। প্রমাণ দিতে হবে কোথায় টাকা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। পালটা নির্যাতিতার পরিবারকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি তিনি এও বলেন, সিবিআইকে আরজি কর নিয়ে সমস্ত নথি দেওয়া হয়েছে। রাস্তা আটকে প্রতিবাদ করলে সকলেরই অসুবিধা হয়। পুজোয় ফিরুন, উৎসবে ফিরুন সাধারণ মানুষের কাছে আহ্বান মুখ্যমন্ত্রীর।

সেপ্টেম্বর ০৯, ২০২৪
রাজ্য

সন্দীপ ঘোষের রাজপ্রাসাদের সন্ধান মিলল ক্যানিং-এ

এবার সন্দীপ ঘোষের প্রাসাদোপম বাংলোর হদিশ মিলল। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ে প্রায় ২ বিঘা জায়গার উপর আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের আলিশান বাংলোর খোঁজ মিলেছে। মাঝেমধ্যেই সপরিবারে সেই বাংলোয় যেতেন সন্দীপ ঘোষ। এমনই জানাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ে আরজি কর কাণ্ডে ধৃত সন্দীপ ঘোষের বিরাট সাম্রাজ্যের হদিশ মিলল। ক্যানিংয়ের মধ্য নারায়নপুরে সন্দীপ ঘোষের আলিশান বাংলোর হদিশ মিলেছে। সন্দীপ ঘোষের সেই বাড়ির নাম সঙ্গীতা-সন্দীপ ভিলা। অনেক সময় বন্ধু-বান্ধবদের নিয়েও এই বাড়িতে আসতেন সন্দীপ ঘোষ, এমনও জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর তিনেক আগে ক্যানিংয়ে প্রায় ২ বিঘা জায়গার উপর ওই বিশাল বাংলোটি বাড়ি বানিয়েছিলেন সন্দীপ ঘোষ। ওই এলাকায় একটি বিরাট প্রকল্পের কাজ চলছিল। সেই প্রকল্প থেকেই প্রায় দুই বিঘা জায়গা কিনে নেন সন্দীপ। সেই জমির উপরেই তৈরি হয় তাঁর বিশাল বাংলো।আরজিকর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ থাকাকালীন প্রাসাদপম ওই বাংলো ক্যানিংয়ে তৈরি করেছিলেন সন্দীপ ঘোষ। ওই বাংলোর নিরাপত্তারক্ষী বলেন, মাঝেমধ্যে উনি আসতেন এখানে। ওনার বাবা-মা, ছেলে সবাই আসতেন। মাঝেমধ্যে এখানে এসে সন্ধের আগেই চলে যেতেন।

সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২৪
রাজ্য

আরজি কর আর্থিক দুর্নীতির মামলায় দিনভর ইডির তল্লাশি, উদ্ধার নথিও সোনার গয়না

এবার ইডির নজরে সন্দীপ ঘোষের সম্পত্তি। শুক্রবার সকালে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বেলেঘাটার বাড়িতে ED-র অভিযান। কয়েক ঘন্টা অপেক্ষার পর বাড়ির ভিতরে ঢুকতে সক্ষম হন ইডির আধিকারিকরা। শুধু সন্দীপ ঘোষই নন, তাঁর ঘনিষ্ঠ একাধিক ব্যক্তির বাড়িতে আজ সকালে হানা দেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আজি কর মেডিকেল কলেজের আর্থিক দুর্নীতির তদন্তে ইডির এই অভিযান। সুভাষগ্রামে সন্দীপ ঘনিষ্ঠ প্রসূন চট্টোপাধ্যায়কে আটক করে ED। আরজি কর মেডিক্যালের আর্থিক দুর্নীতির তদন্তে সাঁড়াশি অভিযানে ইডি। শুক্রবার সকালে সন্দীপ ঘোষের বেলেঘাটার বাড়িতে ইডির চার আধিকারিক পৌঁছে যান। এদিন সকাল ৬.৪০ মিনিট নাগাদ ইডির অফিসাররা সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে গিয়েছিলেন। তবে বহুক্ষণ ডাকাডাকির পরেও বাড়ির দরজা খোলা হয়নি। শেষমেষ ঘন্টা তিনেক অপেক্ষার পর বাড়ির দরজা খোলা হলে ইডির অফিসাররা ভিতরে ঢোকেন।আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতির তদন্তে সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ একাধিক ব্যক্তির বাড়িতে এদিন অভিযান চলে। হাওড়ার সাঁকরাইলে ভেন্ডর বিপ্লব সিংহের বাড়িতে এদিন অভিযানে যায় ইডি। বিপ্লব ঘনিষ্ঠ কৌশিক কোলের বাড়িতেও চলে অভিযান। সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ প্রসূন চট্টোপাধ্যায়কে আটক করে নিয়ে যাচ্ছে ইডি। সেই সঙ্গে এদিন ইডির অভিযান চলে সুভাষগ্রামে সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ প্রসূন চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতেও। সম্প্রতি আরজি কর মেডিকেল কলেজের সেমিনার হলের যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল সেই ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল প্রসূনকেও। প্রসূন নিজেকে সন্দীপ ঘোষের PA বলে দাবি করতেন। এদিন প্রসূনের বাড়িতে কয়েক ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালায় ইডি।আরজি করের আর্থিক অনিয়মের মামলায় আজ রাজ্যজুড়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তল্লাশি অভিযানে বেশ কিছু সম্পত্তির নথি এবং অন্য গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র উদ্ধার হয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর। সল্টলেকের বিই ব্লকের একটি বাড়ি থেকে তল্লাশি করে বেশকিছু সোনার গয়না উদ্ধার করেছে ইডি।

সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২৪
রাজ্য

চোর চোর স্লোগান তো ছিলই সঙ্গে জুটলো থাপ্পড়, সন্দীপের সিবিআই হেফাজত ৮ দিনের

চোর চোর, সঙ্গে থাপ্পর। এভাবেই দিন কাটলো আরজি করের প্রাক্তন প্রিন্সিপ্যাল সন্দীপ ঘোষের। পাশাপাশি ৮ দিনের সিবিআই হেফাজত হল আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ-সহ মোট ৪ জনের। গতকাল রাতেই আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছিলেন সন্দীপ ঘোষ-সহ ৪। আজ তাদের আলিপুর আদালতে তোলা হয়েছিল। বিচারক সন্দীপ ঘোষ-সহ বাকিদের ৮ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ সিবিআই হেফাজতে। একটানা দুসপ্তাহেরও বেশি দিন ডেকে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর গতকাল, সোমবার আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতির ঘটনায় সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করে সিবিআই। সেই সঙ্গে আরও ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গতরাতেই তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। এরপর আজ সন্দীপ-সহ বাকিদের আলিপুর আদালতে তোলে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। বিচারক ধৃতদের ৮ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। এদিন আলিপুর আদালতে তোলার সময় পিছনের দরজা দিয়ে সন্দীপ ঘোষ-সহ বাকিদের নিয়ে ঢোকে সিবিআই। ততক্ষণে কোর্ট চত্বর ফেটে পড়ছে চোর-চোর স্লোগানে। মাস্ক পরা অবস্থায় কাঠগড়ায় ওঠেন সন্দীপ ঘোষ। সন্দীপকে মাস্ক খুলতে বলেন উপস্থিত আইনজীবীরা। তুমুল হট্টগোল শুরু হয় কোর্ট চত্বরে। তখনই বিচারক চারজনকে সামনে ডেকে নেন। প্রবল অস্বস্তির মুখে কার্যত মাস্ক খুলে ফেলতে বাধ্য হন সন্দীপ।আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাহাড় প্রমাণ আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআই। দুর্নীতির শিকড়ে পৌঁছতে সন্দীপ-সহ বাকিদের জেরা অত্যন্ত প্রয়োজন বলে আদালতে দাবি করে সিবিআই। এদিন ১০ দিনের জন্য তাদের হেফাজতে চাওয়া হয়েছিল। বিচারক সন্দীপ ঘোষ-সহ চারজনকে ৮ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।এদিকে আজ বৃষ্টি মাথায় নিয়ে জাস্টিস ফর আরজি কর স্লোগানে ইএম বাইপাসে দীর্ঘ ১৪ কিলোমিটার মানববন্ধন করলেন চিকিৎসক, নার্স, অন্য স্বাস্থ্যকর্মী থেকে শুরু করে বহু সাধারণ মানুষ। তিলোত্তমা আজ দেখাল প্রতিবাদের অন্য ভাষা। রাস্তার ধারে সুশৃঙ্খলভাবে বাইপাস জুড়ে নজিরবিহীন মানববন্ধনের সাক্ষী থাকল শহর কলকাতা। রাস্তার ধারে অভিনব এই কর্মসূচি পালন করলেও সচল থাকল যান চলাচল। উল্টোডাঙা থেকে পাটুলি পর্যন্ত দীর্ঘ মানববন্ধন চলল কলকাতার একাংশে। ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই মানববন্ধনে বহু সিনিয়র চিকিৎসকরাও এদিন সামিল ছিলেন। সুশৃঙ্খল নীরব আন্দোলন চলল শহরে।

সেপ্টেম্বর ০৩, ২০২৪
রাজ্য

যাঁর পদত্যাগ দাবি তাঁকেই দিলেন স্মারকলিপি, অবস্থান উঠলেও আন্দোলন চলবে জুনিয়র চিকিৎসকদের

পুলিশ কমিশনারের কাছ থেকে কোনও সদুত্তর মেলেনি। সিপির পদত্যাগের দাবিতে জুনিয়র চিকিৎসকরা স্মারকলিপি দিয়েছে সিপিকেই। অবস্থান তুললেও আন্দোলন চলিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় । দেড় ঘণ্টা ধরে লালবাজারে আজ পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের সঙ্গে বৈঠক করেন চিকিৎসকদের ২২ জনের প্রতিনিধিদল। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ঘটনায় কলকাতা পুলিশের ব্যর্থতার দায়ে সিপি বিনীত গোয়েলের পদত্যাগের দাবিতে একটানা অবস্থান বিক্ষোভ চালাচ্ছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। আপাতত কলকাতা পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকের পর সেই অবস্থান চিকিৎসকরা তুলে নিয়েছেন।মঙ্গলবার লালবাজার থেকে বেরিয়ে এক চিকিৎসক প্রতিনিধি বলেন, আমরা আমাদের স্মারকলিপি সিপিকে দিয়েছি। উনি আমাদের স্মারকলিপি জমা নিয়েছেন। আমরা প্রতিটি পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করেছি। পুলিশ কমিশনার স্বীকার করেছেন পুলিশ ব্যর্থ হয়েছে। তথ্য-প্রমাণ লোপাটের ঘটনা নিয়েও আমরা আলোচনা করেছি। উনি বলেছেন তিনি তাঁর কাজে খুশি, তবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বললে তিনি পদত্যাগ করবেন।সোমবার রাতভর ফিয়ার্স লেনের উপরেই অবস্থানে বসে থাকেন জুনিয়র ডাক্তাররা। পুলিশ কমিশনার পদত্যাগ করুন, এই দাবিতে চলে অবস্থান বিক্ষোভ। ফিয়ার্স লেনে ট্রাম লাইনের উপর রাত পেরিয়ে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত বসে থাকেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা। পরে তাঁরা রওনা দেন লালবাজারের উদ্দেশে।জুনিয়র ডাক্তারদের মিছিল আটকাতে সবরকম প্রস্তুতি সেরে রেখেছিল কলকাতা পুলিশ। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন রুখতে লালবাজারের সামনে বসেছে ভারী, চওড়া ব্যারিকেড। যাতে সেই ব্যারিকেড ভেঙে এগোতে না পারেন আন্দোলনকারীরা। নবান্ন অভিযান থেকে শিক্ষা নিয়েই এবার এমন অভিনব প্রস্তুতি পুলিশের। আন্দোলনকারীদের সোমবার লালবাজারের আগেই মিছিল আটকে দেওয়ায় আন্দোলনকারীরা ফিয়ার্স লেনের সামনে পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের কুশপুতুল পোড়ান। তাঁদের দাবি, লালবাজারে কমিশনারের সঙ্গে তাঁদের দেখা করতে দিতে হবে। আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিরা কমিশনারকে ডেপুটেশন দিতে চান। বিনীত গোয়েলকে ইস্তফা দিতে হবে। নাহলে তাঁরা যাবেন না। মিছিল এগোতে না দিলে সেখানেই বসে থাকবেন তাঁরা।

সেপ্টেম্বর ০৩, ২০২৪
রাজ্য

দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার সন্দীপ ঘোষ, সিজিও কমপ্লেক্স থেকে নিয়ে যাওয়া হয় নিজাম প্যালেসে

অবশেষে ২৪ দিনের মাথায় গ্রেফতার আরজি করের প্রাক্তন প্রিন্সিপ্যাল সন্দীপ ঘোষ। তাকে গ্রেফতার করে সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখা। আরজি করের প্রাক্তন প্রিন্সিপ্যাল সন্দীপ ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করে চলেছে সিবিআই। টানা ১০-১২ ঘন্টা ধরে প্রতিদিন জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই। এরই মধ্যে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত করছে এই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সোমবার সিবিআই ক্রাইম ব্রাঞ্চ আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করছিল। তাঁকে আটক করে নিজাম প্যালেসে নিয়ে যায় সিবিআইয়ের অ্যান্টি করাপশনের অফিসাররা।সোমবার আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ জন্য ডাকে সিবিআই। সেখানেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছিল। এরপরেই আজ সন্ধ্যেবেলা সিজিও কমপ্লেক্সে এসে ক্রাইম ব্রাঞ্চ এর দপ্তর থেকে তাকে বের করে নিয়ে যায় সিবিআই এর অ্যান্টি করাপশন উইং। সিবিআইয়ের অ্যান্টি করাপশন উইং এর পক্ষ থেকে আরজিকর হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতি মামলা তদন্ত চালানো হচ্ছিল। সূত্রের খবর, সেই তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্যই সন্দীপ ঘোষকে আটক করলো সিবিআই এর অ্যান্টি করাপশন উইং।সিবিআইয়ের তৎপরতা চোখে পড়ার মতো। সেখানে বহু কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এদিনই লালবাজারে অভিযান করে জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁরা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের পদত্যাগ দাবি করে। ফিয়ার্স লেনে অবস্থানের সময় তাঁরা খবর পান সন্দীপ ঘোষ গ্রেফতার হয়েছে।

সেপ্টেম্বর ০২, ২০২৪
রাজ্য

কাকলির মন্তব্যে সমালোচনার ঝড়, ক্ষমা চাইলেন তৃণমূল সাংসদ

প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ চিকিৎসক কাকলি ঘোষ দস্তিদার। রীতিমতো সোশ্যাল মিডিয়ায় বিবৃতি দিয়ে মহিলা চিকিৎসকদের একাংশের উদ্দেশ্যে তাঁর করা মন্তব্যের জন্য ক্ষমা প্রার্থী বারাসাতের তৃণমূল সাংসদ। এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে কাকলি লিখেছেন, কারও ভাবাবেগে আঘাত দিয়ে থাকলে ক্ষমা চাইছি। আমি আমার মন্তব্য প্রত্যাহার করছি। আমি বরাবর মহিলাদের অধিকার ও কল্যাণের পক্ষে থেকেছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব।একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের টক শোতে গিয়ে মহিলা চিকিৎসকদের একাংশকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। তিনি বলেছিলেন, ছাত্রীদের কোলে বসিয়ে পাশ করিয়ে দেওয়ার একটা চল শুরু হয়েছিল। যার আমি তীব্র নিন্দা করি, ঘৃণা করি। আমার ছেলেরাও নিন্দা করেছিল বলে ওদের কম নম্বর দিয়েছিল। কিন্তু আজ তাঁরা এখন প্রথিতযশা চিকিৎসক। তবে কোলে বসিয়ে পাশ করিয়ে দেওয়ার চলটা যে এখন এখানে এসে দাঁড়াবে, মুখ খোলার সাহস করলে তাঁর থিসিস আটকে দেওয়া হবে, এটা ভাবতেও পারিনি।I am sorry for any statement made in ABP anondo talk show and apologize if my recent words have hurt anyones sentiments. I retract my statement. My intention has been and will always be to champion cause of well-being and rights of women. Dr. KakoliGDastidar (@kakoligdastidar) September 1, 2024আরজি কর আবহে মহিলা চিকিৎসকদের নিয়ে তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের এমন মন্তব্যে বিতর্কের ঝড় বয়ে যায়। সমাজের বিভিন্ন মহলে ওঠে তীব্র প্রতিবাদ। এমনকী ইন্ডিয়ান সাইক্রিয়াটিক সোসাইটির চিকিৎসকেরা বিবৃতি দিয়ে জানান, কাকলি ঘোষ দস্তিদারের এই মন্তব্য অত্যন্ত নিন্দনীয়। সাংসদের মন্তব্যে চিকিৎসকের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে শেষমেষ নিজের মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে বাধ্য হলেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার।

সেপ্টেম্বর ০১, ২০২৪
রাজ্য

আদালতের নির্দেশে মুক্ত সায়ন লাহিড়ী, জানিয়ে দিলেন বিচার না পাওয়া পর্যন্ত লড়াই চলবে

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে আজ বেলা ১.৪১ মিনিট নাগাদ মুক্তি দেওয়া হল পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের অন্যতম আহ্বায়ক সায়ন লাহিড়ীকে। জেল থেকে মুক্তি পেয়েই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সায়ন। আরজি করে নির্যাতিতা তরুণীর নৃশংস পরিণতির বিচার না হওয়া অবধি তাঁদের লড়াই চলবে বলে এদিন জানিয়েছেন সায়ন। তবে এই নির্দেশের বিরুদ্ধে এবার সুপ্রিম কোর্ট যাচ্ছে রাজ্য সরকার।আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ। নবান্ন অভিযানের দিন তুমুল অশান্তি ছড়ায় কলকাতা ও হাওড়ার দিকে দিকে। আন্দোলনকারী-পুলিশ সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন এলাকায়। পরবর্তী সময়ে একটি টিভি চ্যানেলের টক শো থেকে বাড়ি ফেরার পথে রাস্তায় গাড়ি আরকে গ্রেফতার করা হয় সায়ন লাহিড়ীকে। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চ সায়নকে মুক্তির নির্দেশ দেন। রাজ্যকে আজ বেলা ২টোর মধ্যে সায়নকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।উচ্চ আদালতের নির্দেশ মতো এদিন বেলা ১.৪১ মিনিট নাগাদ সায়নকে মুক্তি দেওয়া হয়। জেল থেকে বেরিয়ে সায়ন এদিন বলেন, পাশে থাকার জন্য শুভেন্দু অধিকারীকে ধন্যবাদ। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-বৃষ্টির ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। যতদিন পর্যন্ত নির্যাতিতা দিদি বিচার না পাবেন ততদিন আন্দোলন চলবে। হাইকোর্টের রায়ে খুশি। এদিন জেল থেকে বেরিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধেও সোচ্চার হয়েছেন সায়ন লাহিড়ী। পুলিশ দমন-পীড়নের ধারা তাঁর বিরুদ্ধে প্রয়োগ করেছিল বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। একই সঙ্গে নবান্ন অভিযানে ধৃত বাকিদের মুক্তির জন্যও তাঁদের লড়াই জারি থাকবে বলে এদিন সায়ন জানিয়েছেন।সায়নের গ্রেফতারি নিয়ে গতকালই বিচারপতি হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা রাজ্যকে তুলোধনা করেছিলেন। প্রভাবশালী যুক্তি দেখিয়ে সায়নের মুক্তি ঠেকাতে রাজ্য নানা যুক্তি খাড়া করেছিল। তবে কোনও যুক্তিই ধোপে টেকেনি। সায়নকে মুক্তির নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত। জানা গিয়েছে, এই নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে রাজ্য সরকার।

আগস্ট ৩১, ২০২৪
রাজ্য

কলকাতা পুলিশের এক আধিকারিকের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ বাম যুবনেত্রী মীনাক্ষীর

সিপিএম যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় এবার কলকাতা পুলিশের এক অফিসারের বিরুদ্ধে শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগ তুলেছেন। কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের কাছে মীনাক্ষীর অভিযোগ, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে বিক্ষোভ চলাকালীন একজন অফিসার তাঁকে ছু়ড়ে ফেলে দেন এবং তাঁকে শারীরিক নিগ্রহ করেছেন।৯ আগস্ট, আরজি কর মেডিক্যাল হাসপাতালের মহিলা পিজিটি ডাক্তারের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে, ডিওয়াইএফআই রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী, ডিওয়াইএফআই নেতা কলতান দাশগুপ্ত এবং কিছু সমর্থক ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং নির্যাতিতার দেহ বহনকারী শকট গাড়িটি থামান। মৃতদেহ শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। মীনাক্ষীরা তদন্ত ও ময়নাতদন্তের জন্য দেহ সংরক্ষণের দাবি জানান।সেই বিক্ষোভ চলাকালীন, পুলিশ মীনাক্ষীর সঙ্গে গাড়ির সামনে ধস্তাধস্তি করে বলে অভিযোগ। সেইসময় এক পুরুষ পুলিশ অফিসার তাঁকে ধাক্কা মারেন, মারধর করেন বলে অভিযোগ। একটি ছবি পরে অনলাইনে ভাইরাল হয়, যেখানে দেখা যাচ্ছে কোনও মহিলা পুলিশকর্মী উপস্থিত ছিলেন না।মীনাক্ষীর বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গে পুলিশ তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে। প্রশাসন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। আমাদের আন্দোলনের সময় আমরা প্রতিদিন এমন অপমানের সম্মুখীন হচ্ছি। কখনও কখনও মহিলা পুলিশের উপস্থিতিতেও পুরুষ পুলিশ আমাদের মহিলা কর্মীদের উপর হামলা চালায়। আমি জানি না আমরা কোন রাজ্যে বাস করছি,।তাঁর অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গে প্রতিদিনই ধর্ষণ এবং হত্যা ঘটে, এমনকি আরজি কর কাণ্ডের পরেও।মীনাক্ষী বলেছেন, গতকাল যদি ঘোলায় ঘটে থাকে, তবে পরশু কোচবিহারে ঘটেছিল। পুলিশ শুধু এ ধরনের অপরাধ বন্ধ করতেই ব্যর্থ হয় না, তারা এ ধরনের অপরাধীদের গ্রেফতার করতেও ব্যর্থ হয়। কোনও অপরাধের বিরুদ্ধে পুলিশ যদি কিছু করতে না পারে তাহলে পুলিশি ব্যবস্থার কী দরকার! অপরাধীরা কেন পুলিশকে ভয় পাবে? কলকাতা পুলিশ ওই ঘটনার তদন্ত করছে বলে জানিয়েছে।

আগস্ট ৩০, ২০২৪
রাজ্য

মুখ্যমন্ত্রীর কর্মবিরতি তুলে নেওয়ার আবেদনে প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারি! মনে করে চিকিৎসকরা নিজেদের অবস্থানে অনড়

আরজি কর কাণ্ডে বিচারের দাবিতে টানা কর্মবিরতি চালাচ্ছেন সরকারি হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তারেরা। কোনও বড় পদক্ষেপ না হলে তারা কর্মবিরতি তুলবেন না তা বারে বারে ঘোষণা করেছেন। বুধবার তাঁদের আরও এক বার কাজে ফেরার আবেদন জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সেই আবেদনের মধ্যেও প্রচ্ছন্ন হুমকির সুর রয়েছে বলে কেউ কেউ মনে করছেন। যা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে জুনিয়র ডাক্তাররা পাল্টা বলেছে, কর্মবিরতি উঠছে না।বুধবার মেয়ো রোডে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তৃতা দিচ্ছিলেন। সেই সময়ই আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে কলকাতায় মিছিল বের করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। টিএমসিপির প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চ থেকে ডাক্তারদের এই আন্দোলনকে সমর্থন জানান মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি যাঁরা কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁদের উদ্দেশে মমতা বলেন, আমরা কিন্তু ডাক্তারদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিইনি। দিল্লিতে বিজেপি সরকার ডাক্তারদের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছিল।এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ডাক্তারদের প্রতি আমার সমর্থন আছে। কিন্তু আপনাদের আরও একটু মানবিক হওয়ারও আবেদন করব। সুপ্রিম কোর্টও আপনাদের কাজে ফিরতে অনুরোধ করেছে। অনেক গরিব মানুষ চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। অনেকে মারা গিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যগুলোকে বিশেষ ক্ষমতা দিয়েছে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। কিন্তু আমি আপনাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেব না। আপনাদের ক্ষোভ আছে। অভিমান আছে। আমি সেটা বুঝি। কিন্তু এ বার আস্তে আস্তে কাজে যোগদান করুন।তারপরেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের মানবিক মুখ রয়েছে। আমরা চাই না, কারও সারা জীবনটা নষ্ট হোক। আমরা যদি এফআইআর করি বা কোনও আইনি ব্যবস্থা নিই, তা হলে আপনাদের কেরিয়ারটা নষ্ট হয়ে যাবে। ভিসা, পাসপোর্টে অসুবিধা হয়ে যাবে। আমি তা চাই না। আমি চাই আরও ভাল ভাল ডাক্তার তৈরি করতে।মমতার এই আবেদনের মধ্যেই হুঁশিয়ারি দেখতে পাচ্ছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। মমতার সভা শেষ হওয়ার পরই মিছিল থেকে জুনিয়র ডাক্তাররা বলেন, তাঁদের যেন এফআইআরের ভয় না দেখানো হয়। আন্দোলন চলবে। এদিন কলেজ স্কোয়্যার থেকে শ্যামবাজারের দিকে তাঁদের মিছিল এগোয়। তাঁরা বলেছেন, তাঁদের দাবি না মেনে নেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

আগস্ট ২৮, ২০২৪
রাজ্য

"বদলা নয়, বদল চাই," বদলে গেল, স্লোগান সংশোধন করে হুঁশিয়ারি তৃণমূল নেত্রী মমতার

২০১১ থেকে বলে আসছেন বদলা নয়, বদল চাই। এবার ডায়ালগ একটু সংশোধন করতে চাইলেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার অন্যরকম চাইছেন। ঠাকুর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ দেবের কথা টেনে ফোঁস করার নির্দেশ দিয়েছেন দলীয় কর্মীদের। বুধবার বিজেপির ডাকা বনধের দিন মেয়ো রোডে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে বক্তব্য রাখছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বলেন, আরজি করের দুর্ভাগ্যজনক ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপি রাজনীতি করছে। লাশের নোংরা রাজনীতি করছে। বাংলার মানুষের কাছে তাদের চেহারা উন্মোচিত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, বাংলায় আগুন লাগানোর চেষ্টা করছে বিজেপি।বাংলায় আগুন জ্বললে দিল্লিতে আপনার(মোদির) চেয়ারটাও টলিয়ে দেব। পাশাপাশি অভিষেকের সুরেই ধর্ষণের বিরুদ্ধে জোরালো আইন আনার পক্ষেও সওয়াল করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।আগামী শুক্রবার তৃনমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যদের কলেজের গেটে গেটে আরজি কর কাণ্ডে দোষীদের ফাঁসির দাবিতে প্রতিবাদে সামিলের ডাক দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এর পাশাপাশি আগামী শনিবার ব্লকে ব্লকে মিছিলের ডাক দিয়েছেন তিনি।টিএমসিপির মঞ্চ থেকে মমতা বলেন, আরজি করে যে বোনটি নির্যাতিতা হয়েছে , দেশের সব প্রান্তের মেয়েরা যেভাবে নির্যাতিতা হচ্ছে, আমি সকল নির্যাতিতাদের জন্য আজকের দিনটি উৎসর্গ করছি। আমরা বিচার চাই, ওরা লাশ চাই। ওরা আন্দোলনকে জল ঢেলে দিতে চাইছে। আসল উদ্দেশ্য থেকে সরে যাচ্ছে।এদিকে, আজ ১২ ঘন্টার বাংলা বন্ধের ডাক দিয়েছিল বিরোধী বিজেপি। এদিন বন্ধের বিরোধিতা করে মমতা বলেন, কেরল হাইকোর্ট, বোম্বে হাইকোর্ট বন্ধকে নিষিদ্ধ করেছে। বাংলায় বন্ধের কোন স্থান নেই। আরজি কর প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ৯ তারিখ ঝাড়গ্রাম থেকে ফিরছিলাম, ১০ সকালে পৌঁছে যা যা করনীয় সব করা হয়েছে। আরজি করে যা ঘটেছে তা দুর্ভাগ্যজনক। যাতে দেরি না হয়, কোন ভুল না হয় তার জন্য সব রকম চেষ্টা সরকারের তরফে করা হয়েছে। আমি সাত দিনের মধ্যে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে ফাঁসি চেয়েছিলাম। যারা ধর্ষক তাদের একটাই শাস্তি হওয়া দরকার তা হল ফাঁসি। কিছু মোদি মিডিয়া বিজেপির অশান্তিকে প্রমোট করছে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অপপ্রচার ছড়ানো হচ্ছে। ধর্ষণের বিরুদ্ধে আগামী সপ্তাহে বিধান সভার বিশেষ অধিবেশন ডেকে ধর্ষণে্র ঘটনায় ফাঁসির সাজা আনার বিষয়ে বিল আনবেন বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। আরজি কর কাণ্ডের প্রসঙ্গে জুনিয়ার ডাক্তারদের আন্দোলন নিয়ে বলেন, জুনিয়ার ডাক্তারদের বিরুদ্ধে কোন অ্যাকশন নেয়নি সরকার। দিল্লিতে বিজেপি সরকার ডাক্তারদের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছিল। আরজি কর প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আমি শনিবার পর্যন্ত সময় চেয়েছিলাম। মঙ্গলবারের মধ্যে আরজি কর কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। আজ ১৬ দিন কেটে গিয়েছে। এত দিন কী করছে সিবিআই? কোথায় গেল বিচার? পাশাপাশি তিনি স্লোগান তোলেন, বিচার চাই বিচার চাই জবাব দাও সিবিআই, ফাঁসি চাই ফাঁসি চাই জবাব চাই সিবিআই। এরপাশাপাশই আন্দোলনরত চিকিৎসকদের কাজে যোগদানের বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

আগস্ট ২৮, ২০২৪
রাজ্য

হলুদ ফাইল নিয়ে সিবিআই দফতরে সন্দীপ ঘোষ, জিজ্ঞাসাবাদ লাগাতার সপ্তম দিনে

টানা সপ্তম দিন। আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এদিনও হাজির হয়েছেন সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই দফতরে। এদিন তাঁকে হাতে একটি হলুদ রঙের কাগজের ফাইল নিয়ে সিবিআই দফতরে ঢুকতে দেখা গিয়েছে। তবে গাড়ি থেকে নেমে যাওয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের কোনও জবাব দেননি সন্দীপ ঘোষ। এর আগে টানা ৬ দিন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। শুধু সন্দীপ ঘোষই নয়, পাশাপাশি একাধিক জুনিয়র ডাক্তার, পুলিশ অফিসারকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। এদিকে এদিন সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্ট দেবে সিবিআই। অন্যদিকে আরজি কর হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনার রিপোর্ট দেবে রাজ্য সরকার। এখনও পর্যন্ত আরজি করের ঘটনায় সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায় গ্রেফতার হয়েছে। তরুণী চিকিৎসকের নৃশংস খুনের ঘটনায় সঞ্জয়ের একার পক্ষে সম্ভব নয় বলেই তাঁর পরিবারের সদস্যরাও অভিযোগ করেছে।

আগস্ট ২২, ২০২৪
রাজ্য

ব্যবহৃত গ্লাভস-সরঞ্জাম পড়শী দেশে পাচার? সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ! FIR, সিট গঠন

আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ খুন নিয়ে উত্তাল পরিস্থিতি বাংলা জুড়ে। হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে সিবিআই। মঙ্গলবারও ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের মুখে সন্দীপ ঘোষ। এবার সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতে কলকাতা পুলিশ FIR দায়ের করেছে। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সন্দীপ ঘোষের জামানায় ওঠা অভিযোগের তদন্তে সিট গঠন করেছে নবান্ন। রাজ্যের এই পদক্ষেপে এবার আশার আলো দেখছেন আরজি করের তৎকালীন ডেপুটি সুপার এবং বর্তমানে বহরমপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেপুটি সুপার পদে কর্মরত আখতার আলি।সন্দীপ ঘোষ আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ থাকাকালীন টানা কয়েক বছর ধরে পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতি করেছেন বলে অভিযোগ তৎকালীন ডেপুটি সুপার আখতার আলির। সংবাদমাধ্যমের সামনে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে মারাত্মক সব অভিযোগ এনেছেন বর্তমানে বহরমপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেপুটি সুপার পদে কর্মরত আখতার আলি।সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিকে আখতার আলি বলেন, আমিও ওর দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলাম। ছাত্রদের ফেল করোনা থেকে শুরু করে টেন্ডারে ২০ পার্সেন্ট কমিশন খাওয়া, পছন্দের সাপ্লায়ার-ভেন্ডারদের টেন্ডার দিত। সরকারি সম্পত্তি বেআইনিভাবে দিয়ে দিত। আমি এর আগে আর্থিক দুর্নীতি দমন শাখাকে জানিয়েছিলাম। পরে মুখ্যমন্ত্রীর অফিসে নালিশ জানাই। ২০২৩ সালের ১৩ জুলাই আমি আমার প্রথম অভিযোগ জমা করি।সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিকে চিকিৎসক আখতার আলি আরও বলেন, হাসপাতালের ব্যবহার করা রাবার গ্লাভস থেকে শুরু করে অন্যান্য সামগ্রী বাংলাদেশে পাচার করা হতো। এই চক্রে আরও কয়েকজন আছে। একসময় অভিযোগের ভিত্তিতে একটি তদন্ত কমিটি হয়। সেই তদন্ত কমিটিতে আমিও ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে আমাকে বদলি করে দেওয়া হল। এরপর ওই কমিটিও ভেঙে দেওয়া হল।আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ঘটনায় প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের দিকে আঙুল উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। তাকে পাঁচবার সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই। এবার সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের জানুয়ারি মাস থেকে এখনও পর্যন্ত আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে তারই ভিত্তিতে একটি সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। কলকাতা পুলিশের তরফেও সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে FIR।

আগস্ট ২০, ২০২৪
রাজ্য

আরজি করের পোস্টমর্টেম রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য, শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন

প্রকাশ্যে এলো আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসক হত্যাকাণ্ডের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট। সেই রিপোর্টে শরীরে বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, গলা টিপে, নাক-মুখ চিপে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে।ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, নিহতের শরীরে একাধিক ক্ষতচিহ্ন মিলেছে। নিহতের মাথা, গাল, ঠোঁট, নাক, ডান চোয়াল, চিবুক, গলা, বাঁ হাত, বাঁ কাঁধ, বাঁ হাঁটু, গোড়ালি এবং যৌনাঙ্গে ক্ষতচিহ্নের প্রমাণ মিলেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, নিহত চিকিৎসকের ফুসফুসে রক্ত জমাট (হেমারেজ) বেঁধেছিল এবং শুধু তাই নয়, শরীরের আরও বিভিন্ন অংশেও রক্ত জমাট বেঁধে ছিল। নিহত চিকিৎসকের যৌন হেনস্থার প্রমাণ মিলেছে ওই ময়নাতদন্তের রিপোর্টে। যা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানানো হয়েছে, নির্যাতিতা চিকিৎসকের শরীরের বাইরে অংশে ১৬টি এবং শরীরের অভ্যন্তরে ৮টি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট বলছে, আঘাতগুলো অ্যান্টি মর্টেম অর্থাৎ মৃত্যুর আগেই করা হয়েছে। একইসঙ্গে জানানো হয়েছে, এই মৃত্যুর ধরন হল খুন। তবে বারবার অভিযোগ উঠেছে, নির্যাতিতার হাড় ভেঙে গিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়াও সেই অভিযোগে তোলপাড় হয়েছিল। কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্টে নির্যাতিতার শরীরে হাড় ভাঙার কোনও উল্লেখ পাওয়া যায়নি। গত ৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতালে ওই পড়ুয়া চিকিৎসক খুন হন। তার পর থেকেই ন্যায় বিচার-এর দাবিতে তোলপাড় সারা রাজ্য। এরাজ্য তো বটেই ভিনরাজ্য এমনকী ভিনদেশ থেকেও নির্যাতিতার হত্যার ঘটনায় বিচারের দাবি উঠেছে। প্রথমে তরুণী চিকিৎসক খুনের মামলার তদন্ত করছিল কলকাতা পুলিশ। পরে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে মামলার তদন্তভার হাতে পেয়েছে সিবিআই। তারই মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই মামলা হাতে নিয়েছে।

আগস্ট ১৯, ২০২৪
রাজ্য

রাতে মহিলা নিরাপত্তায় বিশেষ জোর রাজ্য সরকারের, চালু হচ্ছে বিশেষ অ্যাপ

আরজি কর কাণ্ডের পর অবশেষে টনক নড়ল রাজ্য সরকারের। মহিলা নিরাপত্তায় বিশেষ জোর দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে সরকারের তরফে। বিশেষ এই কর্মসূচীর নাম দেওয়া হয়েছে রাত্তিরের সাথী। এর সঙ্গে মহিলাদের নাইট শিফটের সুরক্ষায় বিশেষ অ্যাপ চালু করার ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। রাতের সাথী নামে অ্যাপের মাধ্যমে মহিলাদের নিরাপত্তা আরও জোরদার হবে বলেই দাবি সরকারের। পাশাপাশি হাসপাতালগুলিকে সিসিটিভি ক্যামেরায় মুড়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আজকের এই বৈঠকে।আরজি কর কাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিপ্তে আজই ভার্চুয়ালি প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে এক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । বৈঠকে হাসপাতাল, মেডিক্যাল কলেজগুলিতে রাতের নিরাপত্তায় বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দোপাধ্যায়।তিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, রাতের নিরাপত্তার ওপর বিশেষ নজর দেওয়ার জন্য প্রতিটি হাসপাতাল-মেডিক্যাক কলেজে মহিলাদের জন্য আলাদা রেস্ট রুম, টয়লেটের ব্যবস্থা করা হবে। মহিলা বান্ধব সিকিউরিটি গার্ড নিয়োগের ক্ষেত্রেও সরকারের তরফে বাড়তি নজর দেওয়া হবে। সেফ জোন, সিসিটিভি মনিটারিংয়ের মাধ্যমে চলবে ২৪ ঘন্টার বিশেষ নজরদারি চলবে। মোবাইল অ্যাপ রাতের সাথী সকল কর্মরত মহিলাদের ডাউলোড করতে হবে যেটা স্থানীয় থানার সঙ্গে যুক্ত থাকবে। বিশেষ প্রয়োজনে কন্ট্রোল রুমে হেল্প লাইনে ফোন করেও অভিযোগ জানাতে পারবেন মহিলারা।যৌন নির্যাতন রুখতে আরও কড়া রাজ্য সরকার। এই সংক্রান্ত অভিযোগের ক্ষেত্রে প্রতিটি হাসপাতাল-মেডিক্যাল কলেজে বিশেষ কমিটি গঠন করা বাধ্যতামূলক। যারা এখনও তা করেননি তাদের অবিলম্বে কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে। বেসরকারি সংস্থাগুলিকেও সরকারের জারি করা প্রোটোকল মেনে চলতে হবে।রাতে মহিলারা যাতে টিমের সঙ্গে কাজের সুযোগ পান তার জন্যও সরকারের তরফে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এর সঙ্গে রাতের পুলিশি পেট্রলিং বাড়ানো প্রতি ফ্লোরে, পানীয় জলের সুব্যবস্থা থাকা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। প্রত্যেক হাসপাতাল-মেডিক্যাল কলেজগুলিকে কর্মীদের সচিত্র পরিচয় পত্র গলায় ঝুলিয়ে হাসপাতাল চত্ত্বরে প্রবেশের জন্য বলা হয়েছে। ১২ ঘন্টার বেশি কোন পরিস্থিতিতে মহিলা ডাক্তারদের ডিউটি যাতে না দেওয়া হয় তার জন্য হাসপাতালগুলিকে বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সম্ভব হলে মহিলাদের রাতের ডিউটি না দেওয়ায় জোর দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি সিকিউরিটি গার্ড নিয়োগে সমানুপাতে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার।

আগস্ট ১৭, ২০২৪
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • 10
  • ...
  • 15
  • 16
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

নৌকো ডুবিতে প্রাণ বাঁচল ১৩ জনের, নিখোঁজের তল্লাশিতে ডুবুরি

মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান ফেরিঘাটে মধ্যরাতে নৌকায় পারাপারে ঘটলো বড়সড় বিপত্তি। ১৩ জন প্রাণে বাঁচলেও নিখোঁজ এক শ্রমীক। স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ১২ জন শ্রমীক ধুলিয়ান কলাবাগান সংলগ্ন ফেরিঘাট আসে মালদা যাওয়ার জন্য। ঘাটের নৌক রাত ৯ টার পর বন্ধ থাকায় দুই জন মৎস্যজীবীকে বলে নদী পারাপার করারা জন্য।জানা গিয়েছে, দুই মৎস্যজীবী রাজি হয়ে যায় ৮০০ টাকার বিনিময়ে। কিন্তু তাঁদের নিজের নৌক না থাকায়, রঞ্জন মন্ডলকে না জানিয়ে তাঁর নৌকা নিয়ে তাঁদের পারাপার করতে যায়। প্রশাসনের নিয়মকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে নৌকা ঘাট বন্ধ থাকায় ছোট নৌকা করে প্রায় ১২ জন শ্রমীক নিয়ে ধুলিয়ান কলাবাগান সংলগ্ন ফেরিঘাট থেকে পারলালপুর ঘাটের উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় হঠাৎ নৌকা উল্টে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটি আসে সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ, বিএসএফ ও স্থানীয় মাঝিরা। রাতে জীবিত ১৩ জনকে উদ্ধার করা গেলেও নিখোঁজ হয়ে যায় এক ব্যাক্তি। নিখোঁজ ব্যক্তির পরিবার সুত্রে জানা যায়, নিখোঁজ ব্যক্তির নাম জাহাঙ্গীর শেখ। বয়স ৩৫ বছর। বাবার নাম লিয়াকত আলি। বাড়ি মালদা জেলার বৈষ্ণবনগর থানার বাখরাবাদ গ্রাম। সকাল থেকে নিখোঁজ শ্রমিকের পরিবার ও পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগ ডুবুরি টিম গঙ্গায় তল্লাশি চালাতে থাকে।পুলিশ সুত্রে জানা যায়, দুই জন মৎসজীবীকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল রাতে ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ ও বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ। সকালে ডুবরির টিম তল্লাশি করছে। ইতিমধ্যে ডুবে যাওয়া নৌকা টিকে উদ্ধার করেছে সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ । পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।

জুন ২১, ২০২৫
রাজ্য

বারাসতে ভয়াবহ আগুন, মুহূর্মুহু বিস্ফোরণের শব্দ, ঘটনাস্থলে দমকলের ২০টি ইঞ্জিন

ভয়াবহ অগ্নিকান্ড বারাসাত। বিধ্বংসী আগুনে জ্বলছে বামনমুড়ায় প্যাম্পার্স ফ্যাক্টরি। আগুনের ফলে বন্ধ করা হয়েছে বারাসাত টাকি রোডের যান চলাচলও। প্রথমে স্থানীয় আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেও ব্যর্থ। দমকলের ২০টি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।শনিবার সন্ধ্যায় হঠাৎই আগুনের লেলিহান শিখা দেখা যায় বারাসাতের বামুনমুড়া এলাকায়। অগুন নজরে আসতেই প্রথমে স্থানীয়রা আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। ২০টি দমকল ইঞ্জিন পৌঁছালেও এখনও পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। গলগল করে ধোঁয়া বের হতে থাকে। আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি। ব্যাপক ক্ষয়খতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

জুন ২১, ২০২৫
রাজ্য

শৌচাগারের ট্যাঙ্কি বানাতে গিয়ে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা, মৃত দুই

নির্মীয়মান বাড়ির শৌচাগারের ট্যাঙ্কি ভেঙে মৃত্যু হল দুই ভাইয়ের। এই ঘটনায় জখম হয়েছে আরও একজন শ্রমিক । তাঁর চিকিৎসা চলছে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। শনিবার সন্ধ্যা ছটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে ইংরেজবাজার শহরের সুকান্তপল্লি এলাকায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত দুই ভাইয়ের নাম উজ্জল মন্ডল (২৮) এবং অসিত মন্ডল (২৫)। তাঁদের বাড়ি ইংরেজবাজার থানার বাগবাড়ি বাগরড এলাকায়। আহত হয়েছেন অমল মন্ডল(২৫)। তার বাড়ি রতুয়ার করমনি এলাকায়। এদিন তিনজন সুকান্তপল্লি এলাকার একটি নির্মীয়মান বাড়ির শৌচাগারের ট্যাঙ্কির ভেতরে সাটারিং খুলছিল। সেই সময় হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে সাটারিংয়ের কাঠ এবং কংক্রিটের চাঙর । এই দুর্ঘটনার সময় তিনজন জখম হলে তাদেরকে মালদা মেডিকেল কলেজে স্থানীয়রা উদ্ধার করে নিয়ে আসে। মেডিকেল কলেজের কর্তব্যরত চিকিৎসাকেরা দুইজন শ্রমিককে মৃত বলে জানিয়ে দেয়। পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, বাড়ির মালিকের নাম প্রসেনজিৎ বর্মন। পেশায় তিনি স্কুল শিক্ষক। সেখানেই তিনি একটি নতুন বাড়ি তৈরি করছিলেন। পুলিশ বাড়ির মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।শৌচাগারের ট্যাঙ্কি বানাতে গিয়ে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা, মৃত দুই

জুন ২১, ২০২৫
রাজ্য

জলমগ্ন একাধিক গ্রাম, জল ছাড়ছে ডিভিসি, দুর্গাপুর ব্য়ারেজ পরিদর্শন সেচমন্ত্রীর

দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে মঙ্গলবার থেকে ভারি বৃষ্টিপাত চলছে। পাঞ্চেত, মাইথন থেকে জল ছাড়ার পরে দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকেও যথারীতি জল ছাড়া শুরু হয়েছে। আজ, শুক্রবার ৪৬ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে বলে সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া জানিয়েছেন। সেচমন্ত্রী মানস ভুইয়া দুর্গাপুর ব্যারাজের সংস্কারের কাজের পর চালু ব্যারাজ রাস্তা পরিদর্শনে আসেন। সেচমন্ত্রী বলেন, ৪৫ দিনের মধ্যেই কাজ শেষ করা হয়েছে। বর্ষা এসে গিয়েছে। ফলে বাকি যেসব কাজ রয়েছে তা বর্ষার পরেই শুরু হবে।দুর্গাপুর ব্যারাজের পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সেচমন্ত্রী বাংলার প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের ইচ্ছাকৃত বঞ্চনার কথা তুলে ধরেন। সেচমন্ত্রী বারবার বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের যে দায়িত্ব রয়েছে তা পালন করছে না এবং রাজ্যের হকের টাকা কেন্দ্র দিচ্ছে না। তাই ড্রেজিং করা সম্ভব হচ্ছে না। রাজ্য ও ডিভিসির মধ্যে বারবার জল ছাড়া নিয়ে যে বিতর্ক দেখা দেয় তা নিয়ে কোন মন্তব্য না করে সেচমন্ত্রী বলেন, এই মুহুর্তে এই বিতর্কে যাব না। ৪৫ দিনের মধ্যেই কাজ শেষ করা হয়েছে। মাঝে ছয় দিন প্রচন্ড বৃষ্টি হয়েছিল বলে কাজে কিছু অসুবিধা দেখা দিয়েছিল। তবু কাজ ৪৫ দিনের মধ্যেই শেষ করা গিয়েছে। হায়দ্রাবাদ থেকে রাবার সিল আসছে তা দিয়ে কাজ করা হবে।সেচমন্ত্রী বলেন, দেড় মাস দুর্গাপুর ব্যারাজে জল ধরে রাখা হয়। এরপরে দুর্গাপুর, মাইথন ও পাঞ্চেত নিয়ে একটি সেল গঠন করা হয়েছে এবং মনিটরিং করা হচ্ছে জল ছাড়া নিয়ে যেন মানুষের ক্ষতি না হয়। সেচমন্ত্রী বলেন, প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছে এবং বিভিন্ন জেলা এবং ঝাড়খণ্ডের জল নামছে ফলে সমস্ত বিষয়ের উপরে নজর রাখা হয়েছে।তেনুঘাট নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সেচমন্ত্রী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী, সেচ দপ্তরের কর্তারা এবং আমি নিজে বারবার কথা বলেছি। তেনুঘাটকে নিয়ন্ত্রণে রেখে অপারেট করা যায়।সেচমন্ত্রী একাধিকবার বলেন, মুখ্যমন্ত্রী এবং সেচ দপ্তর মাইথন, পাঞ্চেত এবং দুর্গাপুর ব্যারাজের জল ছাড়া নিয়ে নজর রেখেছেন । আজ ৪১ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। বন্যার যন্ত্রণা যাতে পেতে না হয় তার প্রতি সজাগ রয়েছেন প্রশাসনিক কর্তারা এবং আজ বাঁকুড়ায় আসছেন পরিস্থিতি নিয়ে আলচনা করতে। রাস্তার বিষয় নিয়ে তিনি বলেন, পি ডাব্লু ডিকে নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বৃষ্টি কমলেই।সেচমন্ত্রী ব্যারাজগুলির গভীরতা কমে যাওয়ার জন্য কার্যত কেন্দ্রীয় সরকারের টাকা না দেওয়ার কথা তুলে ধরেন। সেচমন্ত্রী বলেন, ১২ বছর ধরে কেন্দ্রের জলসম্পদ দপ্তর, প্রধানমন্ত্রীকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার দেখছি দেখছি করে পার করে দিচ্ছে কিন্তু রাজ্যের হকের টাকা দিচ্ছে না। সেচমন্ত্রী বিজেপি সরকারের বাংলাকে বঞ্চনা করার কথা তুলে ধরেন। বন্যার প্রসঙ্গে সেচমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রার্থনা করছি যেন বন্যার মুখে পড়তে না হয় কিন্তু দেড় মাস জল ধরে রাখা হয় আর তারপরে রয়েছে প্রচন্ড বৃষ্টি, ফলে জলের চাপ বাড়ছে, সেদিকেই নজর রাখতে হচ্ছে।দুর্গাপুর ব্যারাজের এক নম্বর গেটে বেশ কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে । সাংবাদিকেরা এ নিয়ে সেচমন্ত্রীকে প্রশ্ন করলে সেচমন্ত্রী বলেন, সব দিক নজরে রাখা হয়েছে, সংস্কার হবে। তিনি এরপরে আবার বলেন, কেন্দ্রিয় সরকারের কাছ হতে এক কানা কড়ির সাহায্য পাইনি। মুখ্যমন্ত্রী নিজের রাজ্যের কোষাগার থেকেই খরচ করে কাজ করছেন। তিনি এরপরেই পরিসংখ্যান তুলে ধরেন কিভাবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সীমিত আর্থিক ক্ষমতায় এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার পরেও কাজ করে চলেছেন। সেচমন্ত্রী জোড়ের সাথে বলেন, একটা নয়া পয়সা কেন্দ্রের সরকার দেয় নি। তবু একের পর এক কাজ হচ্ছে এবং এটাও করা হবে।

জুন ২০, ২০২৫
রাজ্য

সাতসকালে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা পুরুলিয়ায়, মৃত্যু মিছিল

সাতসকালে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ৯ জনের ৷ পুরুলিয়ায় ১৮ নম্বর জাতীয় সড়কের নামশোল এলাকায় আজ, শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি বোলেরোর সংঘর্ষে ঘটে। তার ফলেই জেরেই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ৷ গাড়িতে থাকা ৯ জনেরই প্রাণ গিয়েছে ৷ এরা সকলেই ঝাড়খন্ডের বাসিন্দা। বিয়ে বাড়ি থেকে ফিরছিলেন বলে জানা গিয়েছে।জানা গিয়েছে, আজ শুক্রবার সকালে পুরুলিয়ার দিক থেকে চারচাকা বোলেরো গাড়িটি বলরামপুরের অভিমুখে যাচ্ছিল। সেই সময় গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টো দিক থেকে আসা একটি ট্রাককে সরাসরি ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বলরামপুর থানার পুলিশ। প্রথমে জখম সকলকে উদ্ধার করে স্থানীয় বাঁশগড় ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায় পুলিশ। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা আহতদের সকলকেই ঘোষণা করেন।

জুন ২০, ২০২৫
রাজ্য

দামোদরে বালি তুলতে গিয়ে বিরাট বিপত্তি, জলে ভাসছে ১৫টি লরি

দামোদরে বালি তোলায় কোনও লাগাম নেই। ডিভিসি থেকে জল ছাড়ার খবর থাকা সত্বেও বালি তোলার কাজ চলছিল। লরি নেমেছিল একেবারে নদের ভিতরে। জল ভরে টুইটুম্বুর হওয়ায় ভেসে গেল ১৫টি বালি বোঝাই লরি। পূর্ব বর্ধমানের গলসির গোহগ্রামের এই ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে। পরে লরিগুলিকে উদ্ধারের তৎপরতা শুরু হয়।দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার কথা ডিভিসি ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগাম ঘোষণা করা হয়েছিল। মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে বুধবার জল ছাড়া হয় ৪০ হাজার কিউসেক। এরই মধ্যে নিম্ন দামোদর অববাহিকায় দুদিন ধরে টানা বৃষ্টি চলেছে। এই সব কারণে বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ দামোদর নদে জলের পরিমাণ বেশ বেড়ে যায়। এতেই ঘটে যায় বিপত্তি।স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ১৫টি বালি বোঝাই লরি দামোদর নদের জলে ভাসতে থাকে। তার উপর বৃহস্পতিবার বেলা বাড়তে নদের জল আরও হু হু করে বাড়তে শুরু হয়। বিপদ বুঝে লরিগুলি নদী থেকে তোলার জন্য তৎপরতা শুরু করে চালকরা । ওই সময়েই সামনে থাকা দুটি লরি বিকল হয়ে যাওয়ায় লরি গুলি নদ থেকে পাড়ে তোলা আর সম্ভব হয়নি। জেসিবি মেশিন ব্যবহার করেও কাজ হয়নি। জল কমা পর্যন্ত লরিগুলো তুলতে অপেক্ষা করতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

জুন ১৯, ২০২৫
রাজ্য

"কেশরী: চ্যাপ্টার ২" তে ক্ষুদিরাম বসু সহ বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অপমান, প্রতিবাদে গর্জে উঠল বাংলা পক্ষ

সম্প্রতি কেশরী: চ্যাপ্টার ২ নামের এক বলিউডি হিন্দি সিনেমায় ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সশস্ত্র সংগ্রামের উজ্জ্বল ইতিহাস তথা বীর বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পরিচয় ও ভূমিকা বিকৃত করে এক মনগড়া মিথ্যা ইতিহাস তুলে ধরার অভিযোগ উঠেছে। সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে যে ক্ষুদিরাম সিং ও বারীন্দ্র কুমার নামক দুই বিপ্লবী বৃটিশ পুলিশকর্তা কিংসফোর্ডকে বোমা মেরে হত্যার চেষ্টা করে ও তাদের বোমা তৈরীর প্রশিক্ষণ দেয় কৃপাণ সিং! যার সাথে বাস্তবের কোন মিল নেই। প্রকৃত পক্ষে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে বাঙালি বিপ্লবীদের সশস্ত্র সংগ্রামের ইতিহাসের এক যুগান্তকারী ঘটনা কিংসফোর্ড হত্যার প্রচেষ্টা ও পরবর্তীতে মানিকতলা বোমা মামলার ঘটনার কথা সম্পূর্ণ বিকৃত ভাবে এই সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে।সশস্ত্র সংগ্রামের লক্ষ্যে কলকাতার মানিকতলার যুগান্তর গুপ্ত সমিতিতেই অরবিন্দ ঘোষের নেতৃত্বে বোমা তৈরীর কর্মশালা গড়ে ওঠে, ইউরোপ থেকে বোমা তৈরী শিখে এসে এখানে বোমা তৈরী করে বিপ্লবীদের সরবরাহ করতেন হেমচন্দ্র কানুনগো, যিনি বলিউডের দৌলতে হয়েছেন কৃপাণ সিং। এই গুপ্ত সমিতির পক্ষেই ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকী কিংসফোর্ডকে বোমা নিক্ষেপ করে হত্যার চেষ্টা করেন। মেদিনীপুরের বীর বাঙালি কিশোর ক্ষুদিরাম বসুর পদবী সিনেমায় হয়েছে সিং অন্যদিকে প্রফুল্ল চাকীর নামই মুছে গেছে, শোনা গেছে জনৈক বারিন্দর কুমারের নাম, যেকোন ইতিহাস সচেতন ব্যক্তিই বলতে পারবেন এই নাম আসলে মানিকতলা বোমা মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ও পরবর্তীতে আন্দামানে দ্বীপান্তরিত বারীন্দ্র ঘোষের, যিনি সম্পর্কে অরবিন্দ ঘোষের ভাই। এই মানিকতলা বোমা মামলায় বিপ্লবীদের পক্ষে কোর্টে আইনি লড়াই করেন আরেক মহান বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামী দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ। এই গৌরবজনক অধ্যায় সম্পূর্ণ ভাবে বিকৃত করা হয়েছে, যা বাঙালি জাতি তথা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি চূড়ান্ত অবমাননা।এই বিকৃতির বিরুদ্ধে বাঙালির ক্ষোভের প্রকাশ দেখা যাচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থেকে সংস্কৃতি জগতের নানান ব্যক্তিত্ব এই ইতিহাস তথা মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নাম বিকৃতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। ভারতীয় বাঙলির জাতীয় সংগঠন বাংলা পক্ষও সরব হয়েছে, আজ তারা পথে নেমে প্রতিবাদ করল কলকাতার বাংলা একাডেমী সংলগ্ন রানুছায়া মঞ্চে। এই প্রতিবাদ সভায় বাংলা পক্ষর সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি বলেন, কেশরী ২ সিমেমার মূখ্য অভিনেতা অক্ষয় কুমার, তিনি কাদের স্বার্থে বিকৃত ইতিহাস প্রচার করে সিনেমা তৈরি করেন এটা আমাদের সকলের জানা৷ বিজেপি ও বলিউডের উদ্দেশ্য বাঙালির গৌরবজনক বীরত্বের ইতিহাস মুছে দেওয়া। সেই উদ্দেশ্যেই বারবার এই ধরনের ঘটনা দেখা যাচ্ছে। বলিউড এর আগেও অভয় ২ সিরিজে বীর শহীদ ক্ষুদিরাম বসুকে ক্রিমিনাল, জঙ্গি হিসাবে দেখিয়েছিল। বাংলা পক্ষ তখন Zee5 কে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছিল এবং সল্টলেকে Zee5 এর অফিসে বিক্ষোভ করেছিল। পরবর্তীতে Zee5 ক্ষমা চেয়ে সেই অংশ বাদ দিতে বাধ্য হয়। শীর্ষ পরিষদ সদস্য অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় বলেন যতক্ষণ না পর্যন্ত কেশরী ২ সিনেমার নির্মাতারা ক্ষমা না চায়, বাংলা পক্ষর লড়াই চলবে। ক্ষমা চেয়ে এই দৃশ্য বাদ দিতে হবে। বাঙালি বিদ্বেষীদের কিভাবে ক্ষমা চাওয়াতে হয় সেটা বাংলা পক্ষ ভালো ভাবে জানে।শীর্ষ পরিষদ সদস্য সৌম্যকান্তি ঘোড়ই বলেন, ক্ষুদিরাম বসুকে অপমান মানে বাঙালিকে অপমান। প্রফুল্ল চাকীকে অপমান মানে বাঙালিকে অপমান৷ বীর বিপ্লবী বারীন ঘোষদের অপমানের বিরুদ্ধে এই লড়াই চলবে। অক্ষয় কুমারকে ক্ষমা চাইতেই হবে।এছাড়াও আজকের প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন কলকাতা জেলার সম্পাদক সৌম্য বেরা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক কুশনাভ মন্ডল, শিল্পী পক্ষর অধিকর্তা প্রবাল চক্রবর্তী প্রমুখ। এর আগে বিধাননগর দক্ষিণ থানায় এই সিনেমা নিয়ে একই ইস্যুতে এফআইআর হয়েছে। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন বাঙালি বীর বিপ্লবীদের ইতিহাস বিকৃতি করার জন্য।

জুন ১৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

লর্ডসের ঐতিহাসিক শতরানের আলোতেও সমুজ্জ্বল বোলার সৌরভের পারফরম্যান্স

লর্ডসে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও রাহুল দ্রাবিড়ের। দিনটা ছিল ১৯৯৬ র ২০ জুন। এই টেস্টের কথা উঠলেই মহারাজকীয় শতরানের কথাই সবার আগে মনে আসে। যা এসেছিল ২২ জুন।তবে ২০ জুন বল হাতে কামাল দেখিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ইংল্যান্ডের তৃতীয় ও চতুর্থ উইকেট পড়েছিল চার রানের ব্যবধানে। দলের ৯৮ রানের মাথায় সৌরভের প্রথম শিকার হন তিন নম্বরে নামা নাসের হুসেন। ১১০ বলে ৩৬ রান করে তিনি ফেরেন বিক্রম রাঠোরের হাতে ক্যাচ দিয়ে। ১০২ রানে ইংল্যান্ডের চতুর্থ উইকেট পড়ে। ৯ বলে ১ রান করে গ্রেম হিক সৌরভের বলেই জাভাগল শ্রীনাথের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। প্রথম ইনিংসে সৌরভের বোলিং ফিগার ছিল ১৫-২-৪৯-২। বেঙ্কটেশ প্রসাদ পাঁচটি, শ্রীনাথ তিনটি ও সৌরভ ২টি উইকেট পান। পরশ মামব্রে, অনিল কুম্বলে ও সচিন তেন্ডুলকর উইকেট পাননি। দ্বিতীয় ইনিংসে সৌরভ তুলে নিয়েছিলেন প্রথম ইনিংসে শতরানকারী জ্যাক রাসেলের উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে মহারাজ ৩ ওভারে মাত্র ৫ রানের বিনিময়ে একটি উইকেট পেয়েছিলেন। ফলে লর্ডসের ঐতিহাসিক শতরানের আলোতেও সমুজ্জ্বল বোলার সৌরভের পারফরম্যান্স।

জুন ১৯, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal