• ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২, বুধবার ৩০ জুলাই ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

MI

রাজ্য

অসমাপ্ত কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ মমতার

২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। কোভিড পরিস্থিতিতেও উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উন্নয়নের কাজ খতিয়ে দেখতেই এই সফর মমতার। উচ্চপদস্থ প্রশাসনিক কর্তাদের মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন ১০০ শতাংশ কাজ চাই। চা শ্রমিকদের জন্য করলেন বিশেষ ঘোষণা। আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়িতে মানুষের উন্নয়নের কাজে কেনও গাফিলতি না হয় এবং দ্রুত কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ইনস্পেক্টর রাজ বেশি চলছে। জনস্বার্থে কাজ বেশি চাই। খোলনলচে সব বদলে দেব। ১০০ পার্সেন্ট কাজ চাই, ১০০ পার্সেন্ট অভিযোগের সমাধান করতে হবে। আগামী তিন মাসের মধ্যে দুই জেলার সব কাজ শেষ করার জন্য ডিএম-এসডিও-বিডিওদের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের অর্থদপ্তর টাকা দেওয়া সত্ত্বেও অনেক জায়গায় কাজ হচ্ছে না বলে রিপোর্ট পেয়েছেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী জেলা সভাধিপতিদের নির্দেশ দেন ডিএম-বিডিওদের সঙ্গে কথা বলে অসমাপ্ত কাজগুলি শেষ করুন। বুধবার দার্জিলিং, কোচবিহার ও কালিম্পংয়ের রিভিউ বৈঠক করবেন মমতা। এদিন চা বাগানের গৃহহীন শ্রমিকদের জন্য চা সুন্দরী প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, চা বাগানের গৃহহীন শ্রমিকদের বাড়ি বানিয়ে দেবে সরকার। চা সুন্দরী প্রকল্পে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই প্রকল্পের কাজ আগামী ২ মাসের মধ্যে শুরু হবে। তিন বছরের মধ্যে প্রকল্প সম্পূর্ণ করা হবে। উত্তরবঙ্গে ৩৭০টি চা বাগানে প্রায় ৩ লক্ষ শ্রমিক রয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, প্রথম পর্যায়ে জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারের মোট ৭টি চা বাগানের ৩,৬৯৪টি পরিবার এই প্রকল্পের বাড়ি পাবেন। আলিপুরদুয়ারে ৫টি চা বাগানের ২,৬৪১ টি পরিবার রয়েছে। আর জলপাইগুড়িতে ২টি চা বাগানে ১,০৫৩টি পরিবার থাকছে। তিনশো কামতাপুরি আন্দোলনকারী রাজ্যের উদ্যোগে মূল স্রোতে ফিরছে। এদিন ১৩০ জন কেএলও অ্যাক্টিভিস্ট ও লিংকম্যান মূল স্রোতে ফিরে এসেছেন। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে বাকি ১৬১ জন আগামীকাল, বুধবার ফিরবেন। এদিন জল্পেশ মন্দিরের পুরোহিত বিজয় চক্রবর্তীর হাতে পুরোহিত ভাতা তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী।

সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২০
নিবন্ধ

যারা অদৃশ্য রয়ে গেলেনঃ শ্রমিক ঠিকাদার বা দালালতন্ত্র!

গ্রামীণ ভারতে গরীব মানুষের জীবন, জীবিকা ও অর্থনীতি পরিব্রাজনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গী ভাবে সম্পর্ক যুক্ত। ছদ্ম বেকারত্ব ও অর্থনৈতিক দুর্বলতার চাপে অনন্যোপায় হয়ে আন্তঃরাজ্য পরিব্রাজনই হয়ে ওঠে তাদের বেঁচে থাকার একমাত্র জীয়ন কাঠি। গ্রাম থেকে শহরে কাজ করতে গরীব মানুষের যাওয়াটা নতুন কিছু নয়, চিরন্তন কাল ধরেই সেটা হয়ে এসেছে। কিন্তু যেটা নতুন তা হল নব্য-উদারবাদের ভারতে তার সংখ্যাটা। পরিযায়ী শ্রমিকদের সংখ্যা বাড়তে বাড়তে গত শতাব্দির নব্বই এর দশক থেকে বাড়তে শুরু করে ২০১১ সালে দাঁড়ায় প্রায় ৪৫ কোটি যা দেশের মোট জনসখ্যার ৩৭ শতাংশ। জনসংখ্যা বৃদ্ধির নিরিখে ২০২১ সালে যা আনুমানিক ৫৫ কোটিতে পৌঁছনোর কথা। প্রয়োজনীয়তা বা পছন্দের দ্বৈত কারণে গ্রামের গরীব মানুষের একমাত্র উপায় হলো বছরের বিভিন্ন সময় চক্রাকার বা ক্ষণস্থায়ী আন্তঃরাজ্য পরিব্রাজন। এত দিন সব মোটের উপর ঠিকঠাক চলছিল। বাদ সাধল অতিমারি, যাদের আমরা কোনওদিন দেখতে পেতাম না, তারা এখন দৃশ্যমান। কাতারে কাতারে ঝকঝকে ভারতের সুবর্ণ চতুর্ভুজ ধরে হাঁটছে এবং মরছে। আমরা তো জানতামই না, লক্ষ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক কি ভাবে শহরের অসংগঠিত অর্থনীতিকে সচল রেখে ছিল তা না কী দেশের সরকারও জানত না। আসলে তারা ছিল, ঠিক প্রদীপের তলায় যেমন অন্ধকার থাকে বড় বড় শহরের ঘিঞ্জি বস্তিতে বা অস্থায়ী ছাউনিতে। তাদের আমরা এখন ফিরে আসতে দেখছি, কিন্ত জানি কী তারা গিয়েছিল কী ভাবে? কে নিয়ে গিয়েছিল তাদের। না জানি না, কারণ যারা নিয়ে গিয়েছিল, তারা কিন্তু অদৃশ্য। তারা শ্রমিক ঠিকাদার বা শ্রমিকদের নিজের ভাষায় দালাল। পরিযায়ী শ্রমিক নির্ভর অসংগঠিত অর্থনীতির মূল তিনটি স্তম্ভঃ পরিযায়ী শ্রমিক, পূঁজিবাদী মালিক বা শিল্পপতি এবং এই দুই পক্ষের মাঝখানে সংযোজক হিসেবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন স্তম্ভ হল শ্রমিক ঠিকাদার বা দালাল।তাই বর্তমান প্রেক্ষাপটে পরিযায়ী শ্রমিকদের শোষণ যন্ত্রনার কথা বুঝতে গেলে নব্য-উদারবাদের ভারতে শ্রমিক ঠিকাদারদের ভূমিকার পর্যালোচনা জরুরি। দিল্লি, কেরালা, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশে সহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে সারা বছর ধরে অসংগঠিত শ্রমিকদের চাহিদা থাকে তুঙ্গে। তাই কম খরচে কোনওরকম ঝুঁকি না নিয়ে এমনকি শ্রমিকদের ন্যূনতম বেতন ও অধিকারকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এই পরিযায়ী শ্রমিকদের জোগান ও সরবরাহ বিভিন্ন দেশী-বিদেশী সংস্থার কাছে বেশ লাভজনক একটি ব্যবস্থা। আর এখানেই পারস্পারিক বিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে গ্রামে গ্রামে শ্রমিক ঠিকাদার বা দালালদের আবির্ভাব ঘটে। খাদ্য, বস্ত্র বাসস্থান সহ দৈনন্দিন সামাজিক চাহিদা মেটাতে ও বিনা সুদে টাকা ধার সহ কাজ জোগানোর ক্ষেত্রে ঠিকাদারদের জুড়ি মেলা ভার। সংবিধান প্রদত্ত কাজের অধিকারের কথা যতই বলি না কেন টালমাটাল অবস্থায় জীবন জীবিকার সংকটময় সময়ে এই ঠিকাদারের ভূমিকা গ্রামের মানুষের কাছে ত্রাতার থেকে কোনো অংশে কম নয়। তাই টাকা ধারের ক্ষেত্রে মহাজনদের মাত্রাতিরিক্ত সুদ এড়াতে তারা ঠিকাদারদের কাছে অগ্রিম টাকা ধার নেয়। শর্ত একটাই চাষের কাজ শেষ হলে ভিন রাজ্যে পরিব্রাজন ও দিন মজুর হিসাবে কাজে নিযুক্তি। প্রথমবার শ্রমিকদের সঙ্গে গন্তব্যে গিয়ে তারা শ্রমিকদের শহরের ঠিকাদারদের হাতে সঁপে দিয়ে গ্রামে ফিরে আসে।পরিযায়ীদের অনেকেরই ব্যাংক একাউন্ট না থাকায় এরা রোজগারের টাকা এই সমস্ত ঠিকাদারদের মাধ্যমে বাড়িতে পাঠানোর চেষ্টা করে। সেক্ষেত্রে কিছু টাকা কেটে নিয়ে বাকি পাঠানো টাকা ঠিকাদাররা পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়িতে পৌঁছে দেয়। সংকটের সময় দরকার হলে ঠিকাদাররা পরিযায়ীদের বাড়িতে টাকা সাহায্য করে পারস্পরিক বিশ্বাস ও নির্ভরতার পরিবেশ তৈরি করে তাদের লাভের তাগিদে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এই ধরনের ঠিকাদাররা হয় সেই গ্রামের অথবা নিকটবর্তী গ্রামের বাসিন্দা। কখনও কখনও অভিজ্ঞ পরিযায়ীদের মধ্যে কেউ কেউ আবার ঠিকাদারে পরিণত হয় শহরে তাদের নিজস্ব চেনাজানার নেটওয়ার্ক তৈরি হলে। সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় যখন প্রাপ্য টাকা এবং শেষ পর্যন্ত যা পরিযায়ীদের হাতে আসে তার মধ্যে বিস্তর ফারাক হয়। এছাড়া নুন্যতম সুরক্ষা সরঞ্জাম, অসুস্থকর পরিবেশে থাকা, কোম্পানির বৈধ কাগজপত্রের অভাব যাতে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে সহজে চাপা দেওয়া যায় এসব তো আছেই। প্রসঙ্গত বলে রাখা ভালো Inter State Migrant Workmen Act 1979, অনুসারে শ্রমিক শোষণ প্রতিরোধে সঠিক নথিভুক্তি করন, ঠিকাদারদের লাইসেন্স, পরিবহণ ভাতা সহ একাধিক নিয়ম নীতির কথা বলা হলেও বাস্তবে এসব খুঁজে পাওয়া মুস্কিল। একবার পরিযায়ীরা বাইরে গিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হলে পরবর্তী কালে তারা সেই ঠিকাদারদের অধীন কাজে যেতে অরাজি হন। কিন্তু পারিবারিক দায়বদ্ধতার কথা ভেবে যাওয়া বন্ধ করতেও পারেন না, শুরু হয় বিকল্প ঠিকাদারের সন্ধান। আবার কিছু অগ্রীম টাকা, একটু সুযোগের প্রলোভন এবং একসঙ্গে কমদিনে বেশ কিছু টাকা উপার্জনের সুযোগ বেকার পরিযায়ীরা ঠেলে দিতে পারেন না। এভাবেই দিনের পর দিন চলতে থাকে পরিব্রাজনের ফাঁদ, যার থেকে দুর্ভাগ্যবশত নিজেদেরকে দূরে রাখতে পারাটা মুশকিল। প্রসঙ্গত বলে রাখা ভালো আমাদের দেশে পরিযায়ীদের সংখ্যা, তাদের অবস্থান, প্রকৃতি, কাজে যাবার প্রবণতা ইত্যাদির সঠিক সরকারি হিসাব না থাকলেও এই সমস্ত ঠিকাদার ও তাদের মালিক দের কাছে যে যথেষ্ঠ নির্ভরযোগ্য তথ্য রয়েছে বললে খুব একটা অতিরঞ্জিত হবে না। অনেকটা পুরীর পাণ্ডাদের মত। শারীরিক নিপীড়ন, অধিক সময় ধরে কাজ করানো, দৈহিক অত্যাচার, রোগগ্রস্ত হওয়া এবং তার ফল স্বরূপ অর্জিত মজুরীর অনেকাংশ ব্যয় এসবের ফলে পরিব্রাজনের মূল্য ও লাভের অঙ্কে শেষ পর্যন্ত পড়ে থাকে সামান্যই অবশিষ্ট।কোভিড অতিমারির প্রভাবে দেশ জুড়ে পরিযায়ীদের অস্থি মজ্জায় জর্জরিত নির্মম অবস্থার কথা আজ সবার জানা। ভারতের মোট জিডিপির প্রায় দশ শতাংশ প্রত্যক্ষ ভাবে নিয়ন্ত্রিত হয় এই পরিযায়ীদের দ্বারা। ILO-এর সমীক্ষা বলছে সম্ভবত ভারতের প্রাই চল্লিশ কোটি মানুষ গ্রামে ফিরে এসে দারিদ্রতার শিকার হবেন। কিন্তু প্রশ্ন হল এই অবস্থার দায় কার? রাষ্ট্রের দায়িত্ব কতটা ছিল বা কতটা হওয়া উচিত ছিল সেই নিয়ে অনেক যুক্তি তক্ক চলছহে। কিন্তু রাষ্ট্র কে বাদ দিয়ে যারা এই শোষণ যন্ত্রের আড়ালে থেকে এই ব্যাবস্থা কে ছদ্মবেশে অল্প শিক্ষিত অভাবী ঠিকাদারদের দ্বারা পরিচালনা করে এতদিন নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত ছিলেন তারা কোথায় গেলেন? মনে রাখতে হবে যে এই বিপুল সংখ্যার পরিযায়ী মানুষ যদি পরিব্রজনের প্রচলিত ব্যাবস্থার প্রতি মুখ ফিরিয়ে নেয় তাহলে আগামী দিনে তা শিল্পপতিদের জন্য খুব একটা সুখকর হবে না। মালিক এবং ঠিকাদার পক্ষ ভালো করেই জানে দেশে করেনা অতিমারির প্রকোপ কমলেই ওরা আবার শহরে আসতে বাধ্য হবে। আপাত ভাবে দেখলে মনে হবে মাইলের পর মাইল হেঁটে ফেরা পরিযায়ীদের অনেকেই আর এ জীবনে ফিরতে চাইবে না। কিন্তু যে দেশে মোট কর্মক্ষম জনসংখ্যার প্রায় তিরানব্বই শতাংশ মানুষ এখনো অসংগঠিত ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সেখানে সত্যিই কি এই বিপুল সংখ্যক মানুষের গ্রামে কাজ পাওয়া সম্ভব নয়। অতএব কিছু দিনের অপেক্ষার পর আবার গরীব মানুষদের বিশ্বাস অর্জনের পালা শুরু হবে ঠিকাদারদের গ্রাম ও শহর উভয় জায়গাতেই এবং পরিব্রাজনের দুষ্ট চক্রের মাধ্যমে কোনও নতুন রূপে হয়ত শ্রমিক শোষণ চলতেই থাকবে।ডঃ কুণাল চক্রবর্তীসহকারী অধ্যাপকশম্ভুনাথ কলেজ, লাভপুর,ওপ্রফেসার গোপা সামন্তভূগোল বিভাগবর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়

সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২০
দেশ

প্রয়াত যশবন্ত

প্রয়াত বিজেপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য তথা বাজপেয়ী মন্ত্রিসভার সদস্য যশবন্ত সিং। রবিবার ২৭ সেপ্টেম্বর দিল্লির সেনা হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮২। বেশ কিছুদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। গত ২৫ জুন থেকে এই হাসপাতালে ছিলেন। এদিন সকালে প্রয়াত হন। যশবন্তের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। টুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, "প্রথমে একজন সেনা ও পরে একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে দেশসেবা করেছেন। অটলবিহারী বাজপেয়ী মন্ত্রিসভায় সামলেছেন অর্থ, বিদেশ ও প্রতিরক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রিত্ব।" যশবন্তের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করে পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ১৯৩৮ সালের ৩ জানুয়ারি রাজস্থানের জসোল গ্রামে জন্ম যশবন্ত সিংয়ের। পঞ্চাশ দশকের শেষ দিকে যোগ দেন সেনাবাহিনীতে। মেজর পদেও কর্মরত ছিলেন। আশির দশকে যোগ দেন রাজনীতিতে। ১৯৯৬ সালে অটলবিহারী বাজপেয়ীর সংক্ষিপ্ত রাজত্বকালে অর্থ মন্ত্রকের দায়িত্ব সামলেছিলেন। ২০০২ সালে ফের বাজপেয়ী মন্ত্রিসভায় অর্থ মন্ত্রকের দায়িত্ব পান। ১৯৯৮ সাল থেকে দীর্ঘ ৪ বছর দায়িত্ব সামলান বিদেশ মন্ত্রকেরও। ২০০০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০০১-এর অক্টোবর অবধি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্বও সামলেছেন। পরিকল্পনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যানও হয়েছিলেন। প্রাক্তন সতীর্থর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন বর্তমান প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। রাজ্যসভা ছাড়াও চারবারের লোকসভা সাংসদ ছিলেন যশবন্ত। ২০০৯ সালে দার্জিলিং কেন্দ্র থেকে লোকসভায় যান তিনি। তবে ২০১৪ সালে দল টিকিট না দেওয়ায় বিজেপি থেকে পদত্যাগ করেন। রাজস্থানের বারমেড় থেকে নির্দল সদস্য হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান। ওই বছরেই বাথরুমে পড়ে যান যশবন্ত। মাথায় গুরুতর চোট পান। ভর্তি করা হয় দিল্লির সেনা হাসপাতালে। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর প্রয়াণে রাজনৈতিক মহলে নেমেছে শোকের ছায়া। তাঁর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করে টুইটে পরিবার ও অনুরাগীদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২০
দেশ

কাশ্মীরে জঙ্গি মদতে চিনের হাত

লাদাখের পর এবার জম্মু-কাশ্মীরের দিকে হাত বাড়াল চিন। নয়াদিল্লিকে বিপাকে ফেলতে উপত্যকায় বহুল পরিমাণে অস্ত্রশস্ত্র ঢোকানোর চেষ্টা করছে পাকিস্তান। আর এ ব্যাপারে ইসলামাবাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে চিন, গোয়েন্দা সূত্রে এমনই খবর। সম্প্রতি ভূস্বর্গে তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র মজুত করেছে সেনা। আর সেই অস্ত্রভাণ্ডারেই মিলেছে চিনের তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র ও যুদ্ধের সরঞ্জাম। আর এক্ষেত্রে পাক-চিন যোগসূত্র নিয়ে সন্দেহ আরও জোরদার হয়েছে নয়াদিল্লির। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, জম্মু ও কাশ্মীরে বারুদের স্তূপ বানাতে ইসলামাবাদকে তোল্লাই দিচ্ছে বেজিং। ভারতের সেনা সূত্রে খবর, সম্প্রতি উপত্যকায় নিরস্ত্র জঙ্গি অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেছে‌। জঙ্গিদের অস্ত্র পাঠানো হয়েছে ড্রোন মারফত। গত কয়েক মাসে ভূস্বর্গের নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর বেশ কয়েকটি জায়গায় অস্ত্রশস্ত্র ছাড়াও ড্রোন উদ্ধার হয়েছে। সেগুলি যে চিনের সেই প্রমাণও মিলেছে।

সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২০
দেশ

বিহার ভোটের দামামা

ভোট বড় বালাই। দিন দিন করোনা সংক্রমণ যেভাবে হাইজাম্প দিচ্ছে, তাতে নো পড়োয়া ভোেটর ক্ষেত্রে। করোনা আবহেই শুক্রবার বিহার বিধানসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করলেন মুখ‍্যনির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা। দিনক্ষণের পাশাপাশি ঘোষিত হল ভোটের আচরণবিধিও। তিন দফায় নির্বাচন হবে বলে ২৪৩ আসন বিশিষ্ট বিহার বিধানসভার। প্রথম দফার ভোট হবে আগামী ২৮ অক্টোবর। দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফার ভোট হবে ৩ ও ৭ নভেম্বর। প্রথম দফায় ৭১ কেন্দ্রে এবং দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় ভোটগ্রহণ হবে ৯৪ ও ৭৮টি কেন্দ্রে। ভোটগ্রহণ নিয়ে একগুচ্ছ পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছে কমিশন। ভোটগ্রহণের জন‍্য নির্ধারিত সময়ের চেয়ে আরও ১ ঘণ্টা বেশি সময় বরাদ্দ করা হয়েছে বলে জানান অরোরা। শেষ এক ঘণ্টায় ভোটদান করতে পারবেন কেবলমাত্র কোভিড আক্রান্তরাই। ৮০ বছরের বেশি ভোটারদের জন‍্য থাকছে পোস্টাল ব‍্যালটের ব‍্যবস্থা। ভোটপ্রচার জন‍্য রাজনৈতিক দলগুলি কেবলমাত্র ভার্চুয়াল সমাবেশ করতে পারবে। বাড়ি বাড়ি ভোটপ্রচারে প্রার্থী সহ পাঁচ জনের বেশি কর্মী থাকতে পারবে না। অনলাইনে প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন। টাকাও জমা দিতে পারবেন অনলাইনে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় সর্বাধিক ২ জন কর্মী প্রার্থীর সঙ্গে থাকতে পারবেন। ভোটকেন্দ্রে সর্বাধিক এক হাজার ঢুকতে পারবে বলে জানিয়েছে কমিশন। ভোট দিতে এসে কেউ যাতে সংক্রমিত না হন তার জন‍্য থাকছে ৪৬ লক্ষ মাস্ক, ৬ লক্ষ পিপিই কিট, ২৩ লক্ষ গ্লাভস ও ৭ লক্ষ স‍্যানিটাইজারের বোতল। ইভিএসে বোতাম প্রেসের আগে ভোটারদের দেওয়া হবে গ্লাভস। ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলির মধ‍্যে তৎপরতা। বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে চতুর্থবার রাজ‍্যে শাসন ক্ষমতার দখলের দৌঁড়ে আছেন নীতীশ কুমার। লোকজনশক্তি পার্টি ছাড়াও, নতুন বন্ধু হিেসবে নীতীশ পেয়েছেন জিতন রাম মাজির হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চাকেও। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃতু‍্যকে হাতিয়ার করে ইতিমধ‍্যে এনডিএ নেমে পড়েছে প্রচারেও। চ‍্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে তৈরি আরজেডি ও কংগ্রেস জোটও। জেলে থেকেই লাল্লুপ্রসাদ রণকৌশল তৈরি করে দিচ্ছেন বলে খবর। আরজেডি ও কংগ্রেসের হাতে নতুন অস্ত্র নয়া কৃষি বিল। লড়াইটা শেয়ানে শেয়ানে হতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তবে শেষ হাসি কে হাস‍বে, তারজন‍্য অপেক্ষা করতে হবে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত। কারণ ওই দিনই তো ফল ঘোষণা বিহার বিধানসভা নির্বাচনের।

সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২০
রাজনীতি

শুভেন্দু অধিকারী করোনা আক্রান্ত

করোনা আক্রান্ত হলেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। কিছু দিন আগে তাঁর এক দাদা ও ভাইপো করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। জানা গেছে বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর করোনা রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে। ঘনিষ্ঠ মহলে শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, তার গতকাল সামান্য জ্বর থাকলেও শুক্রবার তার জ্বর নেই। মৃদু উপসর্গ রয়েছে। বাড়িতে বয়স্ক বাবা থাকায় তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হাসপাতলে ভর্তি হবেন। একইসঙ্গে জানা গেছে, তার মায়েরও রিপোর্ট কোভিড পজেটিভ এসেছে। তিনি ভর্তি রয়েছেন একটি বেসরকারি হাসপাতালে। এর আগে রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী, তৃণমূল বিধায়ক, সাংসদ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় শিশির অধিকারীকে ফোন করেন। তিনি খোঁজ নেন শুভেন্দু অধিকারীর স্বাস্থ্য়ের। তাঁর পরিবারের সকলের খোঁজ-খবর নেন।

সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২০
রাজ্য

এটিএমে টাকা ভরার সময় দুষ্কৃতী হামলা

এটিএমে টাকা ভরার সময় দুষ্কৃতী হামলা। বোলেরো গাড়ির চাবি ছিনিয়ে কয়েক লক্ষ টাকা নিয়ে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা। বুধবার ২৩ সেপ্টেম্বর আসানসোলে ঘটনাটি ঘটে। আসানসোলের ইসলামপুরের বাসিন্দা বছর ৪০-এর মাকসুদ আলম মল্লিক এটিএম-এ টাকা লোড করার এজেন্সিতে কাজ করেন। বুধবার সন্ধ্যায় রিভারসাইডের একটি ব্যাঙ্কের এটিএম-এ একটি গাড়িতে চেপে টাকা লোডিং করতে যান ওই এজেন্সির তিনজন কর্মী। সেই সময় কিছু দুষ্কৃতী তাঁদের উপর আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। ওই এজেন্সির কর্মীদের উপর গুলি চালিয়ে কয়েক লক্ষ টাকা ও বোলেরো গাড়ির চাবি নিয়ে দুষ্কৃতীরা চম্পট দেয়। গুলি লাগে মাকসুদের বাম হাতের কনুইতে। হীরাপুর থানার পুলিশ আহত গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিকে উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেছে। আহত ব্যক্তির অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২০
বিবিধ

কেন্দ্রের জনবিরোধী পদক্ষেপের প্রতিবাদে রিষড়ায় তৃণমূলের বিক্ষোভ

অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সংশোধনী বিল রাজ্যসভায় পাস হওয়ার প্রতিবাদে এবং অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের তালিকা থেকে চাল, ডাল, তেল, আলু, পেঁয়াজ প্রভৃতিকে বাদ দেওয়ার বিরুদ্ধে বুধবার ২৩ সেপ্টেম্বর ব্যাপক বিক্ষোভ দেখাল রিষড়া শহর তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন সকালে শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বিজয়সাগর মিশ্রর নেতৃত্বে গলায় মশলা, তেল, ডালের প্যাকেট এবং আলু, পেঁয়াজের মালা ঝুলিয়ে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু হয়। বিজয়সাগর মিশ্র বলেন, নরেন্দ্র মোদীর সরকার একের পর এক দেশের আমজনতা, বিশেষ করে গরিব কৃষকদের উপর দমন-পীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে। কৃষি বিল, অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিলগুলি যেভাবে জোর করে পাস করিয়ে নিল তাতে কিন্তু দেশের গরিব মানুষ গরিব থেকে আরও বেশি গরিব হবে। লাভবান হবে আদানি, আম্বানিদের মতো বড়ো বড়ো শিল্পপতিরা। কৃষকদের উৎপাদিত ফসল সমস্ত বড়ো বড়ো পুঁজিপতিরা কিনে নিয়ে নিয়ে মজুত করবে। ফলে খুচরো বাজারে যে সমস্ত গরিব বিক্রেতা এবং চাষিরা তাঁদের জিনিসপত্র বিক্রি করেন তাঁরা পড়বেন মহা সমস্যায়। বারবার এই সমস্ত বিষয় নিয়ে আমাদের বিরোধী সাংসদরা যখন রাজ্যসভায় সোচ্চার হয়েছেন তখনই তাঁদের ঘাড়ে নেমে আসছে সাসপেনশনের খাঁড়া। মানুষের বক্তব্য মানুষের অভাব অভিযোগের কথা যদি জনপ্রতিনিধিদের বলতে না দেওয়া হয় তাহলে কীসের গণতন্ত্র? আজকের এই বিক্ষোভ সমাবেশে বিজয়বাবু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জাহিদ হাসান খান, শুভজিৎ সরকার, মনোজ সাউ, সন্ধ্যা দাস, পৌলোমী রায়-সহ তৃণমূলের কর্মী এবং সমর্থকরা। বহু সাধারণ মানুষও তাঁদের এই বিক্ষোভ সমাবেশকে সমর্থন করে সভায় যোগদান করেন। ছবি ও সংবাদ: তরুণ মুখোপাধ্যায়

সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২০
বিবিধ

নারী সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ অগ্নিমিত্রার

২০১৬ থেকে ২০১৮ অবধি ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর পরিসংখ্যান অনুযায়ী মহিলা মুখ্যমন্ত্রী থাকা সত্ত্বেও বাংলার স্থান যৌন নিগ্রহে চতুর্থ, মহিলাদের উপর ঘটে যাওয়া অন্যায়ে তৃতীয় এবং অ্যাসিড আক্রমণে শীর্ষে। আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে প্রশাসনের গাফিলতিতে চলছে অবাধে অ্যাসিড বিক্রি। গত এক দশকে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নারী ও শিশু পাচারের ঘটনা। মঙ্গলবার ২২ সেপ্টেম্বর বিজেপির রাজ্য সদর দফতরে এমন দাবি করলেন মহিলা মোর্চার সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পল। গত ৯ বছরে রাজ্যে নারী নিগ্রহে ঘটনা সম্বলিত একটি পুস্তিকা প্রকাশ করে 'আর নয় মহিলাদের অসুরক্ষা'-র ডাক দেন তিনি। ৯৭২৭২৯৪২৯৪ 'আর নয় অন্যায়'-এর এই নম্বরে ১ টিপে যে কোনও মহিলা যে কোনও সময় অভিযোগ জানাতে পারবেন। এই নম্বরে হোয়াটসঅ্যাপ বা এসএমএস করেও তাঁদের উপর ঘটে যাওয়া অন্যায় বা অবিচারের অভিযোগ জানানো যাবে।

সেপ্টেম্বর ২২, ২০২০
খেলার দুনিয়া

কনকাশন পর্ব কাটিয়ে স্টিভ স্মিথ কি খেলতে পারবেন?‌

ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজ শুরুর আগে নেটে অনুশীলন করার সময় মাথায় চোট পেয়েছিলেন স্টিভ স্মিথ। কনকাশনে যেতে হয়েছিল। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজে খেলতে পারেননি। আশঙ্কা ছিল আই পি এলে রাজস্থান রয়্যালসের প্রথম ম্যাচ থেকেই খেলতে পারবেন কিনা। সব আশঙ্কা দুর করে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে মাঠে নামছেন স্টিভ স্মিথ। বেন স্টোকস, জস বাটলারের মতো ক্রিকেটারদের প্রথম ম্যাচে পাওয়া যাবে না। স্টিভ স্মিথকে পাওয়া না গেলে সমস্যায় পড়ে যেত রাজস্থান। আপাতত চিন্তামুক্ত টিম ম্যানেজমেন্ট। কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড বলেন, শেষ পর্যন্ত স্টিভকে যে প্রথম ম্যাচ থেকেই পাওয়া যাবে, এটা আমাদের কাছে দারুণ খবর। ওর নেতৃত্ব আমাদের দলের কাছে অনেক মূল্যবান। দুবাই পোঁছে বেশ কয়েকদিন বিশ্রামে ছিলেন স্মিথ। সোমবার নেটে অনুশীলন করেন। তিনি বলেন, দুবাইয়ে আসার পর বেশ কিছুদিন বিশ্রামে ছিলাম। রবিবার জিগজ্যাগ দৌড়ঝাঁপ করেছি। এটা ম্যাচে ফেরার প্রোটোকলের অঙ্গ। সোমবার অনুশীলনও করেছি। কোনও সমস্যা হচ্ছে না। আশা করছি খেলতে পারব।

সেপ্টেম্বর ২১, ২০২০
খেলার দুনিয়া

‌আই পি এলের প্রথম ম্যাচেই সামির সাফল্যের রহস্য কী?‌

দীর্ঘদিন ক্রিকেটের বাইরে? ছন্দ ধরে রাখতে পারবেন তো? মহম্মদ সামিকে নিয়ে একটা প্রশ্ন ছিল। আই পি এলে নিজের প্রথম ম্যাচেই সামি বুঝিয়ে কোভিড ১৯ অতিমারি তাঁর ছন্দ কেড়ে নিতে পারেনি। বরং আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে এসেছেন। তাঁর দুরন্ত বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতে পারেননি দিল্লি ক্যাপিটালসের ব্যাটসম্যানরা। কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বোলিং অনেকটাই সামি নির্ভর। তাঁর ওপর ভরসা করে টিম ম্যানেজমেন্ট যে ভুল করেনি প্রথম ম্যাচেই প্রমাণ করে দিলেন সামি। প্রথম স্পেলে ৩ ওভারে ৮ রানে ২ উইকেট তুলে নিয়ে দিল্লির ব্যাটিংয়ের মেরুদন্ড ভেঙে দেন। পরে আরও ১ উইকেট তুলে নেন। ম্যাচে সামির সংগ্রহ ১৫ রানে ৩ উইকেট। সামির সাফল্যের রহস্য কোথায়? লকডাউন পর্বে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে নিজের খামার বাড়িতে নিজেকে কঠোর অনুশীলনে ডুবিয়ে রেখেছিলেন। ফিজিক্যাল ট্রেনিংয়ের পাশাপাশি খামারবাড়ির নেটে নিয়মিত বোলিং। আই পি এলে পরিশ্রমের ফল পাচ্ছেন। সুনীল গাভাসকার থেকে শুরু করে অনেক প্রাক্তন ক্রিকেটার সামির বোলিংয়ে মুগ্ধ।

সেপ্টেম্বর ২০, ২০২০
রাজ্য

জঙ্গলমহলের বিপন্ন মানুষের ত্রাতা শুভেন্দু অধিকারী

বেলপাহাড়ি ব্লকের এড়গোদা অঞ্চলের জয়পুর গ্রাম। কোনও এক সংস্থার মাধ্যমে এখানকার বাসিন্দা নবকুমার দাসের অসহায় অবস্থার কথা কানে পৌঁছায় মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর। আর তাতেই মুশকিল আসান। শুনেই ওই পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন মন্ত্রী। নবকুমার দাস নিজে দৃষ্টিহীন এবং তাঁর দুই মেয়েই জটিল অসুখে ভুগছেন। বড় মেয়ে জয়িতা দাসের ব্রেস্ট টিউমার ও ছোট মেয়ে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত। নবকুমারবাবুর স্ত্রী ছোটো এক মুদির দোকান চালান। এই অবস্থায় দুই মেয়ের চিকিৎসা চালাতে গিয়ে খুবই অসুবিধায় পড়েছেন। জয়িতাকে ১ সেপ্টেম্বর ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে পিজিতে রেফার করা হয়। ৫ তারিখ সেখানে গেলে ফের ১৫ তারিখ আসতে বলা হয়। সেদিন ভর্তি করাতে গিয়ে সমস্যায় পড়ে জয়িতার পরিবার। এই পরিস্থিতিতে রাত ১২টা অবধি অপেক্ষা করে কোনও সুরাহা না পেয়ে এই পরিবার যোগাযোগ করে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে। সঙ্গে সঙ্গে শুভেন্দুবাবু তাঁর প্রতিনিধি মারফত জয়িতাকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর ব্যবস্থা করেন এবং সমস্ত পরীক্ষা যাতে হয় তার সুব্যবস্থা করেন। আশ্বাস দেন ভবিষ্যতেও পাশে থাকার। শুক্রবার ১৮ সেপ্টেম্বর মানবিক মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী ওই পরিবারের হাতে ৫০ হাজার টাকা পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করলেন তাঁর প্রতিনিধি মারফত। স্নেহাশিস ভকত-সহ আমরা দাদার অনুগামীরা গিয়ে শুভেন্দুবাবুর পাঠানো টাকা নবকুমার দাসের হাতে তুলে দিয়ে পাশে থাকার বার্তা আরও একবার জানিয়ে এলেন। বিপদে পাশে থাকায় মানবিক মন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে এই পরিবার।

সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২০
নিবন্ধ

হরসিমরতের ইস্তফার নেপথ্যে

কয়েকদিন আগেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে নতুন কৃষিনীতির সমর্থন করেছিলেন। এমন কী হলো হঠাৎ সুর বদলে কৃষিনীতিরই বিরোধিতা করে ইস্তফা দিলেন হরসিমরত কউর বাদল? এ নিয়ে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে জল্পনা। মোদী মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফার কারণ হিসেবে প্রধানত তিনটি বিষয়কে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন কউর। কৃষি পরিষেবা ও কৃষিপণ্যের মূল্য নিশ্চয়তার বিষয় যেমন আছে, তেমনই আছে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইন সংশোধন সংক্রান্ত বিষয়টিও। একই সঙ্গে পদত্যাগী মন্ত্রী বিরোধিতা করেছেন কৃষিপণ্যের বাণিজ্য সংক্রান্ত অধ্যাদেশও। এই তিনটি বিষয় কউর পদত্যাগের কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। অধ্যাদেশে কৃষিপণ্যের বাণিজ্য সংক্রান্ত বিষয়ে বলা হয়েছে, কৃষকরা নিজেদের এলাকা ছাড়াও অন্যত্র উৎপাদিত পণ্য বিপণনের সুযোগ পাবেন। অর্থাৎ বাংলার কৃষক তাঁর পণ্য যেমন অন্য রাজ্যে বিপণন করতে পারবেন, তেমন উল্টোটাও সত্য। তবে চাল, গম-সহ বেশ কিছু পণ্য নোটিফায়েড এলাকার বাইরে বিক্রি করতে পারবেন না। এ ছাড়া বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে চাষিরা চুক্তি করে কৃষিপণ্যের উৎপাদনের সংস্থানের বিষয় রাখা হয়েছে অধ্যাদেশে। কিন্তু গোল বেঁধেছে অন্যত্র। যদি অতিবৃষ্টি বা অনাবৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতি হয় সেক্ষেত্রে কৃষকরা কী করবেন? অন্যত্র বিপণনের সুযোগ তো থাকছেই না, সেই সঙ্গে সরকারের যে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য তা থেকে বঞ্চিত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে। শুধু তাই-ই নয়, বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করলে সেক্ষেত্রেও কৃষক তাঁর জমি তথা ফসলের অধিকার হারাতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর ফলে সবচেয়ে ক্ষতির শিকার হতে পারেন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিরা। যদিও অধ্যাদেশ নিয়ে সাফাই দিয়েছেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর। সরকারি ন্যূনতম সহায়ক মূল্য থেকে বঞ্চিত হওয়ার অধ্যাদেশ উড়িয়ে দিয়ে আশ্বস্ত করেছেন কৃষকদের। সেই সঙ্গে সমর্থন করেছেন বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে চুক্তির বিষয়টিও। এতে কৃষি ও কৃষিপণ্যের আধুনিকীকরণ সম্ভব হবে বলে মনে করছেন তোমর। একই সঙ্গে চুক্তির সুফল হিসেবে একদিকে যেমন কৃষিপণ্যের বেশি দাম পড়বে, তেমনই উন্নতমানের বীজ ও সার মিলবে বলে জানিয়েছেন তোমর। শেষ পর্যন্ত অধ্যাদেশ অর্ডিন্যান্সে পরিণত হলে ফোঁড়েরা সবচেয়ে অসুবিধায় পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। তেমনই এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত অনেকেরই কাজ হারানোর আশঙ্কা। যদিও নতুন কৃষিনীতি নিয়ে বসে নেই সরকারও। পাঞ্জাব, হরিয়ানায় নতুন কৃষিনীতির বিরোধিতা করে শুরু হয়েছে আন্দোলন। এক্ষেত্রে বিরোধীরা আন্দোলনকে উস্কানি দিচ্ছে বলে রেকর্ড বাজাচ্ছে। তবে নয়া নীতির পক্ষে যতই সওয়াল করা হোক না কেন, হরসিমরতের ইস্তফা চাপে ফেলেছে মোদী সরকারকে। সামনে বিহার নির্বাচন। কৃষিনীতি জনদরদী হলে, কেন প্রথমে সমর্থন করে পরে সরে দাঁড়ালেন হরসিমরত, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২০
খেলার দুনিয়া

কবে থেকে ‌জিম, ফিজিক্যাল ট্রেনিংয়ে নামছেন মনোজরা?

পরিকাঠামো, নির্দেশিকা তৈরি। তা সত্ত্বেও প্রাক-মরশুম প্রস্তুতিতে নামতে পারছেন না বাংলার ক্রিকেটাররা। আসলে এখনও রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর ও ক্রীড়া দপ্তরের অনুমতি না। জিম ও ফিজিক্যাল ট্রেনিং শুরু করার জন্য অনুমতি চেয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর ও ক্রীড়া দপ্তরের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে সি এ বি। অনুমতি পেলেই ট্রেনিং শুরু করবেন মনোজ তিওয়ারিরা। ক্রিকেটারদের জিম ও ফিজিক্যাল ট্রেনিং অনুশীলনের জন্য নির্দেশিকা তৈরি করেছে সি এ বি। ক্রিকেটাররা কীভাবে অনুশীলনে আসবেন, কীভাবে জিম করবেন, কোন কোন বিধি মেনে চলতে হবে, কী করা যাবে, কী করা যাবে না, এইসব নিয়ে। স্বাস্থ্য দপ্তর ও ক্রীড়া দপ্তর এই নির্দেশিকা অনুমোদন করলে তা কার্যকর করা হবে। সি এ বি চাইছে খুব তাড়াতাড়ি প্রস্তুতি শুরু করতে।

সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২০
খেলার দুনিয়া

আইপিএলের ক'টা ম্যাচে অনিশ্চিত স্মিথ?

আজ পৌঁছে যাচ্ছেন সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে। কিন্তু তাঁকে নিয়ে চিন্তা কাটছে না রাজস্থান রয়্যালস শিবিরে। অধিনায়ক স্টিভ স্মিথের কথাই বলছি। ইউএইতে পৌঁছে বাধ্যতামূলক ৬ দিনে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। ফলে এমনিতেই রাজস্থান রয়্যালস অধিনায়ক ২২ তারিখ চেন্নাই ম্যাচ খেলতে পারবেন না। চিন্তায় রাখছে কংকাসন প্রোটোকল। তাড়াহুড়ো চাইছে না ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াও। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে প্রথম একদিনের ম্যাচের আগে অনুশীলনে হেলমেটে বল লেগেছিল স্মিথের। ছিটকে যান গোটা সিরিজ থেকেই। কংকাসনের ফলে বেশ কিছু অস্বস্তি হচ্ছিল তাঁর। চিকিৎসায় সাড়াও দিচ্ছেন। রাজস্থান রয়্যালস প্রথম ম্যাচ থেকে তাঁকে খেলানোর চেষ্টা করলেও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া সাফ জানিয়ে দিয়েছে, এক বছরের বেশি সময় ধরে কংকাসন প্রোটোকল কঠোরভাবে মানা হচ্ছে। রাজস্থান রয়্যালসের সঙ্গেও স্মিথের ব্যাপারে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে নিয়ম মেনেই স্মিথকে মাঠে নামানোর অনুমতি দেওয়া হবে। এর ফলে আইপিএলের প্রথম কয়েকটি ম্যাচে রয়্যালস অধিনায়কের খেলা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েই গেল।

সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২০
দেশ

কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ

পদত্যাগ করলেন কেন্দ্রীয় খাদ্য প্রক্রিয়াকরণমন্ত্রী হরসিমরত কৌর বাদল। কৃষকস্বার্থ বিরোধী অর্ডিন্যান্স আনার প্রতিবাদেই তাঁর এই পদত্যাগ। বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর সংসদে কৃষি বিল নিয়ে আলোচনা চলাকালীন এর তীব্র বিরোধিতা করেন শিরোমণি অকালি দলের প্রধান সুখবীর সিং বাদল। কংগ্রেস, তৃণমূল, ডিএমকে-সহ বিরোধী দলগুলিও এই বিলের বিরুদ্ধে মত পোষণ করে। বাদল বলেন, দেশে খাদ্যভাণ্ডার সুনিশ্চিত করতে পাঞ্জাবের কৃষকদের অবদান অনস্বীকার্য। কিন্তু কৃষক স্বার্থবিরোধী এই অধ্যাদেশ কৃষকদের ৫০ বছরের বেশি সময়কার তপস্যা বরবাদ করে দেবে। এই বিলকে সমর্থন করবে না অকালি দল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় শিরোমণি অকালি দলের একমাত্র সদস্য পদত্যাগ করবেন। এর কিছু পরেই টুইট করে পদত্যাগের ঘোষণা করে দেন হরসিমরত। I have resigned from Union Cabinet in protest against anti-farmer ordinances and legislation. Proud to stand with farmers as their daughter sister. Harsimrat Kaur Badal (@HarsimratBadal_) September 17, 2020

সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২০
রাজনীতি

আরামবাগে তৃণমূলের বিশাল পদযাত্রা, পরিযায়ী শ্রমিক ইস্যুতে দিলীপকে পাল্টা শান্তনুর

বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ পরিযায়ী শ্রমিকদের যেভাবে অসম্মান করেছেন তার কড়া সমালোচনা করলেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের রাজ্য সহ সভাপতি শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার ৮ সেপ্টেম্বর হুগলির আরামবাগে তৃণমূল কংগ্রেসের বিশাল পদযাত্রা ও সমাবেশ হয়। উপস্থিত ছিলেন সাংসদ অপরূপা পোদ্দার, বিধায়ক কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরা, তৃণমূল যুব কংগ্রেসের রাজ্য সহ সভাপতি শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়, পৌর প্রশাসক স্বপন নন্দী, ব্লক সভাপতি কমল কুশারী প্রমুখ। সম্প্রতি খড়দহে দিলীপ ঘোষ বলেন, পুলিশের সন্তানদের ডাক্তার- ইঞ্জিনিয়ার নয়, পরিযায়ী শ্রমিক করে ছাড়ব। এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে শান্তনু বলেন, বিজেপি ও তাদের রাজ্য সভাপতি পরিযায়ী শ্রমিকদের কী চোখে দেখেন এই মন্তব্যেই তা বোঝা যায়। আরামবাগে ২০-৩০ হাজার মানুষ আছেন যাঁরা ভিনরাজ্যে নানাবিধ কাজ করে উপার্জন করেন। লকডাউনে তাঁদের ফিরিয়ে এনেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের পরিবারগুলিকে বিনামূল্যে রেশনের ব্যবস্থা করেছেন, তাঁরা যাতে কাজ পান প্রশাসনকে দিয়ে তার ব্যবস্থা করেছেন। ভিনরাজ্যে থাকা শ্রমিকদের স্নেহের পরশ প্রকল্পে অর্থসাহায্য করেছেন। তিনিই প্রথম প্রধানমন্ত্রীকে ও বিভিন্ন রাজ্যকে অনুরোধ করেছিলেন পরিযায়ী শ্রমিকদের যত্ন নিতে। এ রাজ্যে থাকা অন্য রাজ্যের শ্রমিকদের জন্য তিনি এতো ভালো বন্দোবস্ত করেছিলেন যে তাঁরা কেউ ফিরে যেতে চাননি। বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিতে পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশা সকলেই নিজের চোখে দেখেছেন। দিলীপ ঘোষ সেই শ্রমিকদের নিকৃষ্টতম মনে করে তাঁদের প্রতি অসম্মানজনক কথা বলছেন! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে মানুষ কীভাবে ভালো থাকেন সেদিকে নজর রাখেন। আর কেন্দ্রীয় সরকার মানুষের বিপদেও রাজনীতির স্বার্থ দেখে। রাজ্যের প্রাপ্য না দিয়ে সরকারকে বেকায়দায় ফেলছে। সরকারি সম্পত্তি বিক্রি করা হচ্ছে একের পর এক। ব্যাঙ্কে জনসাধারণের টাকা সুরক্ষিত নয়। এলআইসি নিয়েও আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। মানুষের ঘাড়ে জিএসটির বোঝা চাপাচ্ছে। বিপুল সংখ্যক কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী ছাঁটাইয়ের খাঁড়ার নীচে রয়েছেন। আর ভোট এলেই নজর ঘোরাতে বিজেপির যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা শুরু হয়।

সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২০
দেশ

জন্মদিনে মোদী সাইক্লিস্ট?

আজ নরেন্দ্র মোদীর জন্মদিন। সেই জন্মদিনেই প্রধানমন্ত্রী কি ধরা দিলেন নতুন অবতারে? সাইক্লিস্ট হিসেবে? ছবি দেখলে তেমনটাই মনে হচ্ছে। বাস্তবে তা নয়। প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে দিল্লিতে বৃহস্পতিবার ১৭ সেপ্টেম্বর সাইকেল র্যালির সূচনা করেন সাংসদ অরুণ সিং। সেখানেই এক সাইক্লিস্ট এসেছিলেন মোদীর মুখোশ আর সানগ্লাস পরে। দূর থেকে দেখে তাই এই ভুল হতেই পারে যে, নরেন্দ্র মোদী সাইক্লিস্ট অবতারে অবতীর্ণ হয়েছেন।

সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২০
দেশ

করোনাকে হারালেন শতায়ু প্রবীণা

দশ দিনেই করোনাকে জয় করলেন অসমের শতায়ু প্রবীণা মাই হান্দিক। হাতিগাঁর মাদারস ওল্ড এজ হোমের এই আবাসিক দিন দশেক আগে করোনা আক্রান্ত হন। গুয়াহাটির মহেন্দ্র মোহন চৌধুরী হাসপাতাল থেকে এই শতায়ু করোনাজয়ী ছাড়া পেলেন বুধবার ১৬ সেপ্টেম্বর। তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে টুইট করেছেন অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। মাই হান্দিক প্রত্যুত্তরে সাংবাদিকদের বলেছেন, আমাদের স্বাস্থ্যমন্ত্রী খুব ভালো কাজ করছেন করোনা মোকাবিলায়। চাই এভাবেই তিনি মানুষের পাশে থাকুন। মাই হান্দিক বৃদ্ধাবাসে ফেরার আগে তাঁকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানান হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্সরা। আনন্দে বেশ কয়েকটি অহমিয়া গান গেয়ে ওঠেন এই শতায়ু করোনাজয়ী। কেমন কাটল হাসপাতালের দিনগুলি? হাসপাতালে সকলের প্রিয় হয়ে ওঠা আইতা (ঠাকুমা) বললেন, খুব ভালো। ডাক্তার, নার্স সকলেই যত্ন নিয়েছেন, তাঁরা খুব ভালো। খাবার-দাবারও খুব ভালো। কলা আর ডিম রোজ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও বেশিরভাগ দিন খাদ্যতালিকায় ছিল হয় মাছ নয়তো মাংস। সঙ্গে রুটি, সব্জি। ১০০ বছরের এই করোনাজয়ী নিঃসন্দেহে সকলের মনোবল বাড়াবেন করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে। তিনি যে বৃদ্ধাবাসে থাকেন সেখানকার ১২ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে ইতিমধ্যেই ছাড়া পেয়েছেন ৫ জন।

সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২০
শিক্ষা

পুত্রশোকের যন্ত্রণাবিদ্ধ বাবার শিক্ষাদানের অনন্য উদ্যোগ

সালটা ২০১১। সেন্ট জেমসের ছাত্র আতিফ জাহিদ ১৬ বছর বয়সে এক পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান। পুত্রশোকের যন্ত্রণাবিদ্ধ তপসিয়ার বাসিন্দা মহম্মদ জাহিদ এবার শিক্ষক দিবসের প্রাক্কালেই নিলেন এক অনন্য উদ্যোগ। জীবনে চলার পথে বহু চড়াই-উতরাইয়ের সাক্ষী থেকেছেন, উপলব্ধি করেন অভাবের যন্ত্রণা। তাঁর কথায়, আমার খুব ছোটবেলায় বাবা মারা যান। কিন্তু বাবা জীবিত থাকাকালীন আমাদের কোনও অভাব রাখেননি। তিনি জাহাজে কাজ করতেন। আয়-রোজগারও তাঁর ভালোই ছিল। কিন্তু বাবা হঠাৎ মারা যাওয়ায় আমাদের পরিবারটা এক ধাক্কায় পথে বসে গিয়েছিল। আত্মীয় স্বজনদের তখন চিনতে শুরু করলাম। কেউ বললেন আমাদের মাসের সংসার খরচের চাল দেবেন, কেউ বললেন অন্য খরচ দেবেন। কিন্তু সেটা দেওয়া নিয়েও চলতে শুরু করল নানা রসিকতা। আমি তখন নিতান্ত ছোট। তাও বলে দিলাম, কাউকে কিছু দিতে হবে না। আমাদের খাওয়ার পয়সা আমিই জোগাড় করে নিতে পারব। শুরু হলো আমার জীবনের আর একটা অধ্যায়। বাজারে গিয়ে সায়া, ব্লাউজ বিক্রি শুরু করলাম। কোনও দিন খাওয়া জুটতো, কোনও দিন জুটতো না। সেই ব্যবসা ভালো চলত না। তাই একদিন সব বিক্রি করে দিয়ে এক ভদ্রলোকের মাধ্যমে চামড়ার ব্যবসা শুরু করলাম। তখন এক পিস চামড়া বিক্রি করতে পারলে ৫ টাকা কমিশন পেতাম। আজ আমি চু লি ট্যানারি, মুমতাজ লেদার ওয়ার্কস, আথিফ লেদার ইন্ডাস্ট্রি এবং স্ট্যান্ডার্ড লেদার -এর মালিক। কয়েক কোটি টাকার টার্নওভার, সরকারকে ট্যাক্স দিয়ে সোজা পথেই আমার ব্যবসা চলছে। তবে এরই মধ্যে আমার ছেলে আতিফ চলে গেল। পুত্রশোক আমায় অনেকটাই থমকে দেয়। পুত্র আতিফের স্মরণেই শুক্রবার ৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ দুঃস্থ শিশুদের জন্য নিখরচায় কম্পিউটার ট্রেনিংয়ের স্কুল খুললেন মহম্মদ জাহিদ। কলকাতার ৬০ নম্বর ওয়ার্ডে। লকডাউনে ৯ হাজার মানুষের অন্নসংস্থান, বস্ত্রদানের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি এবার মহরমেও প্রতি বছরের মতো তিন হাজার মানুষকে অন্নদানের ব্যবস্থা করেছেন মহম্মদ জাহিদ। তবে সবচেয়ে তৃপ্তি পেলেন কম্পিউটার শিক্ষাদানের স্কুল করতে পেরে। ক্লাস ফোর থেকে বিভিন্ন ক্লাসের পড়ুয়ারা ৬ মাসের সার্টিফিকেট কোর্সে ভর্তি হতে আবেদন করেছে। বছরখানেকের মধ্যে ১০০টি কম্পিউটার বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে যেখানে রেস্তোরাঁকে তিনি রূপান্তরিত করেছেন কম্পিউটার স্কুলে। দুঃস্থ, নিম্নবিত্ত আয়ের পরিবারের সন্তানদের নিখরচায় কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দিতে চারজন প্রশিক্ষক রেখেছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই প্রতি ব্যাচে ২০ জন করে শিক্ষার্থী নেওয়া হবে। তাদের মধ্যে থেকে মেধাবিদের শিক্ষার সমস্ত খরচও বহন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মহম্মদ জাহিদ। এখানকার শিক্ষার্থীদের মধ্যেই নিজের সন্তানকে খুঁজে পেতে চান সন্তানহারা যন্ত্রণাবিদ্ধ স্নেহশীল এই পিতা। ইন্ডিয়ান স্কুল অফ কম্পিউটার লার্নিং, ১২, জাননগর রোড, কলকাতা-৭০০০১৭

সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২০
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 86
  • 87
  • 88
  • 89
  • 90
  • 91
  • 92
  • 93
  • 94
  • 95
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

আইজেএ এর উদ্যোগে সাংবাদিকতা কর্মশালা বর্ধমানে

প্রতি বছরের মতো এবারও সাংবাদিক সংগঠন ইন্ডিয়ান জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশনের পূর্ব বর্ধমান জেলা শাখার উদ্যোগে হয়ে গেল সাংবাদিকতা বিষয়ে কর্মশালা। রবিবার বর্ধমান বিবেকানন্দ মহাবিদ্যালয়ে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। বর্ধমান জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর এবং বিবেকানন্দ কলেজের সহযোগিতায় এই কর্মশালায় পঞ্চাশ জন অংশ নেন।কর্মশালার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক রামশংকর মন্ডল । ছিলেন এভারেস্ট বিজয়ী সৌমেন সরকার, কাউন্সিলার ও সমাজসেবী রাসবিহারী হালদার, বিবেকানন্দ মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ডঃ অনিমেষ দেবনাথ, ওই কলেজের গণ জ্ঞাপন বিভাগের প্রধান বিনয় হাজরা, আইজেএ এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তারকনাথ রায় প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইজেএর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অরূপ লাহা। সভাপতিত্ব করেন জেলা শাখার সভাপতি স্বপন মুখার্জি। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন জগন্নাথ ভৌমিক। কর্মশালায় ৫১ জন ছাত্র ছাত্রী অংশ নেয়। ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া, ডিজিটাল এবং প্রিন্ট মিডিয়ার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এই কর্মশালায়। প্রশিক্ষণ দেন তন্ময় প্রামাণিক, জয়প্রকাশ দাস, পার্থ চৌধুরী ও শুভেন্দু সাঁই। এদিন বৃক্ষবন্ধু সমন্বয় দলের পক্ষ থেকে অতিথিদের হাতে একটি করে গাছের চারা উপহার হিসাবে দেওয়া হয়।

জুলাই ২৮, ২০২৫
রাজ্য

সৌরভ এবার নতুন ভূমিকায়, বাঙালি শিল্পোদ্যোগীদের মেন্টর হতে রাজি

সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবার নতুন ভূমিকায়। বঙ্গীয় বাণিজ্য পরিষদের অনুষ্ঠানে গতকাল বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে উপস্থিত ছিলেন মহারাজ, চিফ প্যাট্রন হিসেবে। সেখানেই সৌরভকে প্রস্তাব দেওয়া হয় শিল্পোদ্যোগীদের মেন্টর হওয়ার জন্য।সৌরভদের পারিবারিক ব্যবসা রয়েছে। সেই সঙ্গে সৌরভ নিজেও একজন উদ্যোগপতি। ইতিমধ্যেই তাঁর ইস্পাত কারখানা আছে। আরও একটি কারখানাও গড়ে তোলার প্রক্রিয়া চলছে। বাণিজ্যিক সংস্থার মুখ হিসেবেও সৌরভের চাহিদা ক্রমবর্ধমান। সেপ্টেম্বরে তিনি সিএবি সভাপতিও হতে চলেছেন। ফলে প্রবল ব্যস্ততা। তবে তার মধ্যেই সৌরভ রাজি হলেন বর্তমান ও আগামীর শিল্পোদ্যোগীদের মেন্টর হিসেবে নয়া ভূমিকা পালন করতে।সৌরভের কথায়, সব ক্ষেত্রেই চাপ থাকে। তবে প্রতিদ্বন্দ্বী কিছুকে চাপ হিসেবে না ভেবে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখতে। সৌরভ বলেন, যখন ম্যাকগ্রা, শোয়েবদের খেলতাম তখন দুটি পথ খোলা ছিল। হয় বল লাগলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। আরেকটা হলো, যে বল আসুক তা আমি সামলাব। দ্বিতীয় ভাবনা প্রথম ভাবনাকে ছাপিয়ে গেলেই পরিস্থিতিটা সহজ হয়ে যায়। ক্রিকেট খেলায় সব সময় চ্যালেঞ্জ ছিল। যা খেলা ছাড়ার পর অনেকদিন মিস করেছি। খেলায় রি-টেক হয় না। একজন আমাকে বলেছেন, বিশ্বকাপ ফাইনালে টস জিতে কেন ফিল্ডিং নিয়েছিলাম? তাঁকে বলি, আপনার ১০ বছর পর এই অনুভূতি এলেও আমাকে সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল সেই মুহূর্তেই। তবে ক্রিকেট খেলাই আমাকে আত্মবিশ্বাস দিয়েছে। আমি সব কিছুকেই নতুন সুযোগ হিসেবে দেখি। রোজ সাফল্য আসে না। কিন্তু ব্যর্থতার শিক্ষাতেও যে সাফল্যের বীজমন্ত্র লুকিয়ে থাকে তা স্পষ্ট করলেন সৌরভ।সকলের কাজ বা ভাবনার ধরন এক নয়। তবে তাতে বড় ফারাক কিছু আসে না। সৌরভ বলেন, পাকিস্তান সফরে পারভেজ মুশারফ মহেন্দ্র সিং ধোনিকে দেখিয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, এঁকে কোথায় পেলেন? তখন ধোনির বড় চুল। বড় ছক্কা হাঁকাতে পারেন। সৌরভের জবাব ছিল, আমাদের দেশে এমন প্রতিভা প্রচুর। শুনে মুশারফ বলেছিলেন, ওঁকে দুটো কথা বলবেন। উনি যেন এমন লম্বা চুল রাখেন, আর ছক্কা হাঁকানোর পথ থেকে না সরেন। সৌরভ গতকাল বলেন, সেই ধোনিকেই পরে লাগাতার খুচরো রান নিতে দেখেছি। পরিস্থিতি অনুধাবন করে তিনি এভাবে নিজেকে বদলালেও আমার মনে হয়, ধোনি তো আগের মতোই খেলতে পারেন। আবার ঋষভ পন্থকে যখন আগ্রাসী হিসেবে কিছু সাহসী শট খেলতে দেখি, তখন মনে হয় এমন শট খেলার কী দরকার ছিল? কিন্তু পন্থের ভাবনা অন্য। যা স্বাভাবিক। নিজের প্রতি সৎ থাকলেই সব বাধা অতিক্রম করা যায় বলে পরামর্শ দেন মহারাজ।

জুলাই ২৮, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

ওভাল টেস্ট জিততে ভারতের কী করণীয়? মূল্যবান পরামর্শ সৌরভের

ম্যাঞ্চেস্টারেই সিরিজ হারের আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। যদিও দ্বিতীয় ইনিংসে অনবদ্য ব্যাটিংয়ের দৌলতে পাঁচ টেস্টের সিরিজের চতুর্থ টেস্ট ড্র রাখতে পেরেছে শুভমান গিলের ভারত। ওভালে ভারত জিতলে অ্যান্ডারসন-তেন্ডুলকর সিরিজ ড্র রেখে ফিরতে পারবে। সেই সম্ভাবনা দেখছেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।সৌরভ বলেন, ম্যাঞ্চেস্টার টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে শেষদিন যেভাবে ব্যাট করে ভারত টেস্ট ড্র রাখতে পারল তাতে তাদের নিশ্চিতভাবেই মনে হবে লর্ডসে জেতাও উচিত ছিল। ১৯৩ রানের টার্গেট সফলভাবে তাড়া না করতে পারার দুঃখ হওয়াও অসম্ভব নয়। লোকেশ রাহুল, শুভমান গিল, রবীন্দ্র জাদেজা, ওয়াশিংটন সুন্দর, ঋষভ পন্থ এই সিরিজে দারুণ ব্যাটিং করেছেন। অনেক দিন পর বিদেশে কোনও টেস্টে একসঙ্গে এতজন বড় রান পেলেন। এই পারফরম্যান্স আগামী দিনেও যে ভারতীয় দলের মনোবল বাড়াবে তা নিয়ে সংশয় নেই মহারাজের।ওভাল টেস্টে জিততে অবশ্য ভারতের বোলিং বিভাগে উন্নতি চান সৌরভ। ভারতীয় দলের হেড কোচ গৌতম গম্ভীরকে সৌরভ পরামর্শ দিলেন কুলদীপ যাদবকে একাদশে রেখে বোলিং বিভাগ সাজাতে। তাতে ব্যাটিংয়ের ধারাবাহিকতা বজায় রাখলে টেস্ট জিততে পারে ভারত। টেস্ট দলের হেড কোচ হিসেবে গৌতম গম্ভীরের ট্র্যাক রেকর্ড সমালোচনার মুখে পড়েছে। সৌরভ অবশ্য গম্ভীরের পাশে দাঁড়িয়ে বললেন, তরুণ ক্রিকেটারদের নিয়ে গড়া দল। ফলে সময় দিতে হবে। তরুণ ক্রিকেটাররা যেভাবে নিজেদের মেলে ধরেছেন ইংল্যান্ডে, তা যথেষ্ট ইতিবাচক লক্ষণ।

জুলাই ২৮, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

ভারত-পাক ম্যাচ নিয়ে সৌরভের বক্তব্যে ঝড়! তবে যুক্তির বালাই নেই

এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ নিয়ে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য নিয়ে অহেতুক বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে। এশিয়া কাপের সূচি ঘোষণা হয়েছে। তাতে ১৪ সেপ্টেম্বর ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ হবে। এ ছাড়া সুপার ফোর আর ফাইনালেও দুই দলের দ্বৈরথের সম্ভাবনা। এশিয়া কাপের আসর বসছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে। বর্তমানে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মহসীন নাকভি, যিনি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যানও।বঙ্গীয় বাণিজ্য পরিষদের অনুষ্ঠানে গতকাল বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে উপস্থিত ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সৌরভ বলেন, পহেলগাঁওয়ের ঘটনা কাম্য নয়। এমন মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না। সন্ত্রাসবাদ বরদাস্ত করা যায় না। কেন্দ্রীয় সরকার সন্ত্রাসবাদ দমনে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। আশা করি, এমন সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ আর ঘটবে না। একইসঙ্গে আমি মনে করি, খেলাধুলো চালিয়ে যাওয়া উচিত।এরপরেই কিছু সংবাদমাধ্যম সৌরভের বক্তব্যের পুরোটা না দেখিয়ে একাংশ প্রচার করতে থাকে। যা নিয়ে সৌরভের সমালোচনায় নেমে পড়েন রাজ্যের বিজেপি নেতারাও। সৌরভের বক্তব্যের পুরোটা না শুনেই, কিংবা পরিস্থিতি অনুধাবন না করেই। যার ফলে সেই বিজেপি নেতাদের একচোখামিও সামনে এসেছে।এশিয়া কাপের সূচি অনুমোদিত হয়েছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সভায়। যে সভায় বিসিসিআইয়ের প্রতিনিধি যোগ দিয়েছিলেন। তাছাড়া বিসিসিআইয়ের সম্মতি ছাড়া তো এশিয়া কাপের সূচি ঘোষিত হতে পারে না। লেজেন্ডদের টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ ভারত খেলেনি ক্রিকেটারদের আপত্তিতে। তবে এখনও কেন্দ্রীয় সরকার প্রকাশ্যে বলেনি বা বিসিসিআইকে নির্দেশ দেয়নি যে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলা যাবে না। তা দিয়ে থাকলে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের বৈঠকেই তা জানাত বিসিসিআই। বোর্ড সচিব এখন দেবজিৎ সাইকিয়া, যিনি অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার ঘনিষ্ঠ। তাঁকে প্রশ্ন করার সাহস সেই মিডিয়ার নেই যারা সৌরভকে ভিলেন বানানোর উদ্দেশ্য নিয়ে চলছে! কেন বিসিসিআইকে প্রশ্ন করা হচ্ছে না?সৌরভকে সফট টার্গেট করা কি টিআরপি বাড়াতে। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক মহম্মদ আজহারউদ্দিন চান ভারত-পাক দ্বৈরথ হোক। হলে দ্বিপাক্ষিক সিরিজের পাশাপাশি বিভিন্ন টুর্নামেন্টে হোক। নাহলে সবটাই বন্ধ থাকুক। সৌরভ নিজের প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার হিসেবে। মতামত ব্যক্ত করা গণতান্ত্রিক অধিকার। আর তা নিয়েই বিতর্ক তৈরির অপচেষ্টা।সৌরভ গতকালের অনুষ্ঠানে বলেছেন, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের কমেন্ট সেকশন তিনি দেখেন না। ফলে কে কী বলল তাতে যায় আসে না। নিজের সততা বজায় রাখাটাই গুরুত্বপূর্ণ।

জুলাই ২৮, ২০২৫
রাজ্য

পরিযায়ী বাংলার শ্রমিকদের পাশে রাজ্য পুলিশ, বিশেষ আবেদন

বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাঙালি বিদ্বেষ চলছে বলে অভিযোগ করছে তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকী তাঁদের কাউকে কাউকে বাংলাদেশ পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখছে, মারধর করার মতো অভিযোগ উঠছে। এই অবস্থায় রাজ্য পুলি সোশাল মিডিয়া ভিনরাজ্যে কর্মরত বাঙালিদের প্রতি বিশেষ আবেদন জানিয়েছে। রাজ্য পুলিশ সামাজিক মাধ্যমে বলছে, বাংলা থেকে ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়লে যোগাযোগ করুন রাজ্য পুলিশের হেল্পলাইনে।বাংলা থেকে ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়লে যোগাযোগ করুন রাজ্য পুলিশের হেল্পলাইনেবাংলা থেকে ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে অনেকে নানা সমস্যার মুখে পড়ছেন এবং হেনস্থার শিকার হচ্ছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে আমরা খবর পাচ্ছি। কিন্তু যাঁরা ভুক্তভোগী, তাঁদের বা তাঁদের পরিবারের লোকজন এই West Bengal Police (@WBPolice) July 25, 2025বাংলা থেকে ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে অনেকে নানা সমস্যার মুখে পড়ছেন এবং হেনস্থার শিকার হচ্ছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে আমরা খবর পাচ্ছি। কিন্তু যাঁরা ভুক্তভোগী, তাঁদের বা তাঁদের পরিবারের লোকজন এই সমস্যার কথা কাকে জানাবেন, কীভাবে জানাবেন, সেই বিষয়ে ওঁদের কোনও স্পষ্ট ধারণা নেই।বাংলা থেকে ভিনরাজ্যে কাজ করতে যাওয়া নাগরিকরা যদি কোনও ধরনের সমস্যায় পড়েন, তাঁদের বা তাঁদের পরিবারের কাছে আমাদের আবেদন, সঙ্গে সঙ্গে আপনার স্থানীয় থানায় জানান। জেলার কন্ট্রোল রুমেও জানাতে পারেন। এ ছাড়া, পরিবারগুলির সুবিধার্থে আমরা চালু করছি একটি হেল্পলাইন। যার নম্বর হল 9147727666 । এই নম্বরে শুধু হোয়াটস্যাপ করা যাবে। মেসেজ করে প্রয়োজনীয় তথ্য এখানে দিতে পারেন, নিজের নাম-ঠিকানাসহ। প্রতিটি তথ্য যাচাই করে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগ করে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

জুলাই ২৫, ২০২৫
দেশ

হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল স্কুল ভবন, মৃত ৬, জখম প্রায় ৫০

মর্মন্তুদ ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা রাজস্থানের স্কুলে! স্কুলে প্রার্থনা চলাকালীন হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল সরকারি স্কুলভবন। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬ শিশুর মৃত্যু হয়েছে এবং প্রায় ৪০-৪৫ জন ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ ও উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। শুক্রবার সাত সকালে রাজস্থানের ঝালাওয়ারে আচমকা একটি সরকারি স্কুল ভবন ধসে পড়ে। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৬ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে এবং প্রায় ৪০-৪৫ জন ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়েছে। ভবনটি ধসে পড়ার সাথে সাথেই চারদিকে চিৎকার ও আর্তনাদ শুরু হয়ে যায়। পুলিশ ও উদ্ধারকারী দল উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। কেন সরকারি স্কুল ভবন ভেঙে পড়ল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

জুলাই ২৫, ২০২৫
দেশ

অনিল আম্বানির সংস্থায় হানা ইডির, কেন এই অভিযান?

অনিল আম্বানির বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে একগুচ্ছ এফআইআর দায়েরের পর এবার সক্রিয় হল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। দিল্লি ও মুম্বই-সহ মোট ৩৫টি জায়গায় চলছে তল্লাশি অভিযান। ইডি সূত্রে খবর, অনিল আম্বানির সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে টাকা তছরুপ ও আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে এই অভিযান। ইতিমধ্যেই ৫০টিরও বেশি সংস্থার ২৫ জন উচ্চ পদস্থ কর্তা ব্যক্তিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।বিশেষ করে, ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ইয়েস ব্যাঙ্কের তরফে অনিলের সংস্থা রাগা গ্রুপের বিভিন্ন কোম্পানিকে প্রায় ৩,০০০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়।ইডি-র দাবি, এই ঋণ দেওয়ার আগে ইয়েস ব্যাঙ্কের তৎকালীন প্রোমোটাররা নিজেদের ব্যক্তিগত সংস্থাগুলিতে টাকা পেয়েছিলেন, যেটি ছিল একটি বেআইনি কুইড প্রো কো চুক্তি।সেবি তাদের রিপোর্টে রিলায়্যান্স হোম ফিনান্স লিমিটেডের (RHFL) বিরুদ্ধে গুরুতর অনিয়মের কথা জানিয়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে যেখানে কর্পোরেট ঋণ ছিল ৩,৭৪২ কোটি টাকা, সেখানে ২০১৮-১৯-এ তা বেড়ে দাঁড়ায় ৮,৬৭০ কোটিতে। ইয়েস ব্যাঙ্কের তৎকালীন প্রোমোটার ও সিনিয়র আধিকারিকদের ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। ইডি সন্দেহ করছে, তারা ব্যক্তিগত লাভের জন্য এই ঋণ অনুমোদন করেছেন।

জুলাই ২৫, ২০২৫
দেশ

আপাতত উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ জয় হিন্দ কলোনিতে

দিল্লির বসন্তকুঞ্জের জয় হিন্দ কলোনিতে উচ্ছেদ নিয়ে আন্দোলন করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আপাতত বন্ধ থাকছে উচ্ছেদ অভিযান। বৃহস্পতিবার দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, ওই এলাকায় এখন কোনও উচ্ছেদ অভিযান চালানো যাবে না। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর এই রায় স্বস্তি এনে দিয়েছে স্থানীয় বাঙালি ভাষাভাষী বাসিন্দাদের।জয় হিন্দ কলোনি মিনি বাংলা বলে পরিচিত। বহু দশক ধরে বাঙালি পরিবাররা এখানে বসবাস করছেন। কিন্তু সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে এই এলাকাকে অবৈধ বসতি বলে চিহ্নিত করে উচ্ছেদের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়া হয়, পানীয় জলের ব্যবস্থাও বন্ধ হয়ে যায়। এরপরই আইনি পথের আশ্রয় নেন স্থানীয়রা। আপাতত এই এলাকার বাসিন্দারা স্বস্তিতে।

জুলাই ২৫, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal