• ৭ পৌষ ১৪৩২, বৃহস্পতি ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

MI

কলকাতা

আমি একশোবার চাইব, রাজ্যে ৩৫৬ জারি হোকঃ মুকুল

রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে বলে অভিযোগ তুললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়। তিনি রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানান। মুকুল রায় বলেন, আমি একশোবার চাইব, বাংলায় অবিলম্বে ৩৫৬ ধারা জারি প্রয়োজন। সিঙ্গুর থেকে টাটাকে তাড়িয়ে দেওয়াটা বড় ভুল। শিল্প সম্মেলনের খরচ নিয়ে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ৯টা মেলা হয়েছে কিন্তু সেই হিসেবে বিনিয়োগ হয়নি। শিল্প সম্মেলন হলেও বিনিয়োগ হয়নি। আর যে সকল বাণিজ্যিক সংস্থা পশ্চিমবঙ্গে ছিল, তারাও সিন্ডিকেটের অত্যাচারে রাজ্য ছেড়ে চলে গিয়েছে। এছাড়াও শিল্প সম্মেলনে কত খরচ হয়েছে, শ্বেতপত্র দিয়ে তা জানাক রাজ্য সরকার, এমনটাও দাবি জানান মুকুল। আরও পড়ুন ঃ অভিমান মেটাতে রাজীবকে দলে বাড়তি দায়িত্ব দিতে চায় তৃণমূল নেতৃত্ব সিপিএম আমলে যে বেকারদের হাহাকার দেখা গিয়েছিল, বর্তমান তৃণমূল সরকার সেই প্রথাই এগিয়ে নিয়ে চলেছে। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে বেকারত্বের হার প্রায় ১৮ শতাংশের মতো। রাজ্যপালকে সংবিধানের পাঠ পড়ানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল। প্রাথমিক শিক্ষকদের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল রাজ্য সরকার, তাও হাইকোর্টের নির্দেশে তা খারিজ হয়ে গিয়েছে। বিজেপি যুবমোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ বলেন, আগামী ৫ বছরে ৭৫ লাখ যুবকের কাছে যাব। সরকারি ও বেসরকারিভাবে সকলকে কাজের সুযোগ তৈ্রি করে দিতে পারব। রবিবারই প্রথম কার্ডের রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে। বেকারদের নাম, ঠিকানা লিখে নিয়ে আসব। চাকরির প্রতিশ্রুতি কার্ড দেব। রাজ্যে প্রাথমিকে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়েও রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেন সৌমিত্র খাঁ। সৌমিত্র খাঁ বলেন, রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২০
কলকাতা

সঙ্কট মুক্ত রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য

অনেকটাই সুস্থ রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। শুক্রবার রাতে ভাল ঘুম হয়েছে তাঁর। চেতনাও একেবারে স্বাভাবিক। অল্প অল্প কথাও বলছেন তিনি। শনিবার সকালে এমনই স্বস্তি খবর শোনাল উডল্যান্ডস হাসপাতাল। এদিন সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ হাসপাতালের তরফে মেডিক্যাল বুলেটিন প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, ৭৬ বছরের বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বর্তমানে বিপদমুক্ত। আরও পড়ুন ঃ মোদী সরকারের সমালোচনা করলে দেশদ্রোহী হিসেবে চিহ্নিত হয়ে যাবেনঃ অপর্ণা সেন গত রাতে পর্যাপ্ত ঘুম হয়েছে তাঁর। জ্ঞানও রয়েছে। কথা বলতেও পারছেন। রক্তচাপের মাত্রা ও মূত্রত্যাগের পরিমাণও সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। জানা গিয়েছে, জ্ঞান ফেরার পরই চিকিৎসক ও সবসময়ের সঙ্গীকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বলেন, আমি বাড়ি যেতে চাই। এদিনই সরিয়ে দেওয়া হতে পারে তাঁর ইউরিনারি ক্যাথিটারও। তবে এখনও অ্যান্টি বায়োটিক ও অন্যান্য ওষুধগুলি দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। অর্থাৎ সব ঠিকঠাক থাকলে শীঘ্রই তাঁকে বাড়ি ফেরার অনুমতি দেওয়া হবে বলেই হাসপাতাল সূত্রে খবর। উল্লেখ্য, শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত বুধবার দুপুরে উডল্যান্ডস হাসপাতালে ভর্তি হন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। প্রথমদিকে তাঁর রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা অনেকটা কমে যাওয়ায় বেশ উদ্বেগ ছিল। ক্রিটিক্যাল কেয়ার ডিপার্টমেন্টে তাঁকে ভরতি করানোর পর অক্সিজেন দেওয়া হয়। ধীরে ধীরে রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়তে থাকে। দলীয় নেতাদের পাশাপাশি তাঁকে দেখতে হাসপাতালে পৌঁছে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

ডিসেম্বর ১২, ২০২০
নিবন্ধ

ম'নের ঘরের স্বজন

দেবনন্দন ব্যানার্জী সারাজীবনেও আমার মনের সংসারের স্বজনদের সঙ্গে মিতালী হয় না! তাঁদের সঙ্গে আমার পরিচয় নিবিড় হয় না। আত্মার-আত্মীয় হয়ে ওঠে না তাঁরা। দেহটাকে আপন ভাবলেও অধরা থেকে যায় সত্তার অস্তিত্ব। আমার ঘরে বসত করে মন কয় জনা?--এ, জানা হয়ে ওঠে না সারা জীবনেও। কাম-ক্রোধ-লোভ-মোহ যা-যা নিয়ে আমার এই সত্তা---তাদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক মধুর হয় না। কখনও অপব্যবহার বা কখনও ব্যবহারহীনতায় যাপিত হয় জীবন! এটা সত্যি যে সংসারের অভিভাবকটিকেই আমরা চিনতে পারি না। যিনিই চিনিয়ে দিতে পারেন ঐ ক-জনাকে। তিনিই বোলে দিতে পারেন কার সঙ্গে কী ব্যবহার হলে আমার উপভোগ আমার মনুষ্যত্বকে উপঢৌকন দেবে। এই সামান্য সহজ সোজা-সাপ্টা বোধটা থাকে না বলেই দুর্বুদ্ধি উপভোগের বদলে ভোগ করিয়ে অসুস্থ করে তোলে আমাকে। যারা আমার মিত্র হতে পারতো তারাই শত্রু হয়ে দাঁড়ায়। কখনও কখনও মনে হয়, তবে কি বৈরাগ্য সন্ন্যাসই সঠিক পন্থা! রবীন্দ্রনাথের অনুভব ভাবিত করে--বৈরাগ্য সাধনে মুক্তি সে আমার নয়/ অসংখ্য বন্ধন মাঝে লভিব মুক্তির স্বাদ। ত্যাগ কাকে করবো, সে তো আমার পরাজয়! আমি অযোগ্য তাই পারলাম না, আমার ছোটো-ছোটো আমিদের নিয়ে চলতে। আর তাতেই তো ব্যর্থতা। জীবনে মল-মূত্র ত্যাগ ছাড়া, আর কোনো ত্যাগ আছে বোলে তো মনে হয় না! কাম কখন প্রেমের বন্ধু হয়ে যায়, ক্রোধ কখন তেজ বিক্রম হয়ে অন্যায়ের মুখোমুখি দাঁড়ায়, লোভ কখন তৃপ্ত করে আপনাকে--সে তো আমারই ঐ অভিভাবক প্রেষ্ঠের আলিঙ্গনেই অসম্ভব সম্ভব হয়ে ওঠে। মনের সন্ন্যাসই আরও বৃহত্তর সংসারের জনক। আর সেখানেই আমার প্রবৃত্তিরূপ স্বজনদের সাথে সুন্দরের আরাধনা। নিশ্চিন্ত হতে পারি, একটা নির্ভরতা থাকলে। অনুরাগ-প্রেম বিল্লমঙ্গলকে প্রকৃত চিন্তামনিকে চেনালো, চণ্ডাশোককে ধর্মাশোক করলো, রত্নাকরকে বাল্মীকি করলো। সন্ন্যাসী শ্রেষ্ঠ মহাপ্রভু বললেন--সন্ন্যাস লইনু যবে ছন্ন হইলো মন/ কি কাজ সন্ন্যাসে মোর প্রেম প্রয়োজন। একজন মালিক থাকলে আমি নির্ভাবনায় বলতে পারি, অন্ধকারের আগেই আমি গৃহে ফিরবো। একজন মাহুত থাকলেই আমি নিঃসংশয় হতে পারি, স্বেচ্ছাচার আমার উপর আধিপত্য বিস্তার করতে পারবে না। আর সেটি হওয়া চাই কোনো Living personality । আকাশের ভগবান হলে হবে না, কারণ তিনি আমায় ভাল-মন্দ , ন্যায়-অন্যায় কিছু বলতে পারেন না। আমার স্বেচ্ছাচারে নীরব থাকেন। প্রবৃত্তি তো সেই অতন্দ্র ঈশ্বর , জীবনটাকে উপভোগ করার জন্য। তাই তাঁকে বড্ড প্রয়োজন, ওদের(বৃত্তিগুলি) নিয়ে চলতে, শিখতে, জানতে। আর এই বৃত্তিই ছোট্ট বৃত্ত থেকে অনন্তে নিয়ে যায় একজন friend, guide, master-এর হাত ধরে। আমার মনের পরিচালনার ভারটি তাঁর হাতে সপলে মনের ঘরের সদস্যরা আমার আপন হয়ে উঠতে সময় লাগবে না। যেমন অতি মূর্খ শিবাজী রামদাস স্বামীর হাত ধরে অনন্ত জীবনের অধিকারী হয়ে উঠেছিলেন। অনেককেই বলতে শুনেছি--অহংকার ত্যাগ না হলে কিছুই হবে না। ফলিত বিজ্ঞান বলে অহং যায় না, দেহ থাকতে। তাই তো আমার প্রভু আমায় শিখিয়ে দেন , কিভাবে তার (অহং-এর) প্রভু হয়ে ওঠা যায়। অহংটা করতে হয় তাঁকে(আপন ইষ্ট) নিয়ে। আমার সব কৃতিত্বের মালিক তাঁকে ভাবতে হয়। আর তখুনি অহং আমার ক্রীতদাস হয়। আমি তাঁর সন্তান--এই বোধই আমার শত্রু অহংকে মিত্র করে তোলে। আমি পূর্ণ হই, পবিত্র হই।

ডিসেম্বর ১২, ২০২০
কলকাতা

ভেন্টিলেশন থেকে বের করা হল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে

ভেন্টিলেশন থেকে বের করে আনা হল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে। শুক্রবার বিকেলের আগেই সুখবর শোনালেন উডল্যান্ডস হাসপাতালের চিকিৎসকরা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তিনি স্ত্রী ও মেয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। এদিন বিকেল নাগাদ উডল্যান্ডস হাসপাতালের তরফে মেডিক্যাল বুলেটিন প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, বেলা ১১.৩০ নাগাদ ধীরে ধীরে ৭৬ বছরের বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে ভেন্টিলেশনের বাইরে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়। আরও পড়ুন ঃ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ডেকে পাঠালেও দিল্লি যাচ্ছেন না মুখ্যসচিব ও ডিজি পরবর্তী দুঘণ্টা ধরে তাঁকে পর্যবেক্ষণের মধ্যে রেখেছিলেন চিকিৎসকরা। স্বাভাবিকভাবে তিনি শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে পারছেন কি না, রক্তচাপ কিংবা রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা স্বাভাবিক রয়েছে কি না, এসবই নজরে ছিল চিকিৎসকদের। শেষপর্যন্ত সেই প্রচেষ্টা সফল হয়েছে বলেই বুলেটিনে জানিয়েছেন তাঁরা। আপাতত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তবে আরও বেশ খানিকটা সময় পর্যবেক্ষণে রাখা হবে তাঁকে।

ডিসেম্বর ১১, ২০২০
কলকাতা

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ডেকে পাঠালেও দিল্লি যাচ্ছেন না মুখ্যসচিব ও ডিজি

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ডেকে পাঠালেও আপাতত দিল্লি যাচ্ছেন না মুখ্যসচিব-ডিজি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অজয় ভাল্লাকে নবান্নের তরফ থেকে পাঠানো চিঠিতে লেখা হয়েছে, নাড্ডার কনভয়-নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল। নাড্ডাকে একটি বুলেটপ্রুফ গাড়ি ও পাইলট কার দেওয়া হয়। তাঁর যাত্রা পথে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ওই রেঞ্জের ডিআইজি পুরো বিষয়টির দায়িত্বে ছিলেন। আরও পড়ুন ঃ নাড্ডা কেন অপরাধীদের নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, প্রশ্ন কল্যাণের এছাড়াও নিরাপত্তার স্বার্থে ৪ জন এএসপি, ৮ জন ডিএসপি, ১৪ জন ইন্সপেক্টর, ৭০ জন সাব ইন্সপেক্টর-অ্যাসিটেন্, সাব ইন্সপেক্টর, ৮০ জন ব়্যাফ ছিলেন। এছাড়াও ছিল ২৫৯ কনস্টেবল ও ৩৫০ জন সিভিক ভলেন্টিয়ার। বৃহস্পতিবারের ঘটনার প্রেক্ষিতে এখনও সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ও তিনটি মামলা রুজু হয়েছে। এছাড়াও এই ঘটনার তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে। যেহেতু রাজ্য সরকার বিষয়টা গুরুত্ব দিয়ে দেখছে, তাই স্বশরীরে দিল্লি যাওয়ার বিষয়টি থেকে মুখ্যসচিব-ডিজি-কে অব্যাহতি দেওয়া হোক।

ডিসেম্বর ১১, ২০২০
কলকাতা

শারীরিক অবস্থার উন্নতি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর

শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর। শুক্রবার সকালে উডল্যান্ডস হাসপাতালের তরফে মেডিক্যাল বুলেটিন প্রকাশ করে বলা হয়েছে, কড়া ডোজের ঘুমের ওষুধ আর তাঁকে দেওয়া হচ্ছে না। রক্তচাপ, অক্সিজেনের মাত্রা আপাতত স্বাভাবিক। ধীরে ধীরে সাড়া দিচ্ছেন। তবে তন্দ্রাচ্ছন্ন অবস্থা এখনও কাটেনি তাঁর। ভেন্টিলেশনের মাত্রা কমলেও, তা চলছে। এই মুহূর্তে তাঁর রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা ৯৬, যা স্বাভাবিক। তাকে রাইস টিউব দিয়ে খাওয়ানো হচ্ছে। তিনি ধীরে ধীরে তা গ্রহণ করতে পারছেন। ডাকলে খুব ধীরে চোখ খুলে সাড়া দেওয়ার চেষ্টা করছেন। বেশ কয়েকটি স্টেরয়েড, অ্যান্টিবায়োটিক এখনও দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। সর্বক্ষণ তাঁকে নজরে রেখেছেন চিকিৎসকরা। আরও পড়ুন ঃ কলকাতা হাইকোর্ট খারিজ করে দিল উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া প্রসঙ্গত, শ্বাসকষ্ট নিয়ে বুধবার দুপুরে উডল্যান্ডস হাসপাতালে ভরতি হন ৭৬ বছর বয়সি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। প্রথমদিকে তাঁর রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা অনেকটা কমে যাওয়ায় বেশ উদ্বেগ ছিল। তবে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ডিপার্টমেন্টে তাঁকে ভরতি করানোর পর অক্সিজেন দেওয়া হয়। ধীরে ধীরে রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়তে থাকে।

ডিসেম্বর ১১, ২০২০
রাজ্য

বীরভূম থেকে গ্রেফতার এক জঙ্গি

বীরভূম জেলা থেকে এক জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হল। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে গোপন অভিযান চালিয়ে এসটিএফ ওই জঙ্গিকে পাইকর থানার কাবিলনগর থেকে গ্রেফতার করে। জানা গিয়েছে, খাগড়াকাণ্ডের পর থেকেই এসটিএফের নজরে ছিল বীরভূমের পাইকর থানা এলাকার কাবিলনগরের বাসিন্দা নাজিবুল্লা। তাকে নোটিসও দেওয়া হয়েছিল। মাস খানেক আগে এসটিএফের তরফে যোগাযোগ করা হয় পাইকর থানার সঙ্গে। জানানো হয়, সাকিব আলি নামে একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট রয়েছে নাজিবুল্লার। সেখান থেকে দেশবিরোধী নানা প্রচারের অভিযোগও ওঠে ধৃতের বিরুদ্ধে। আরও পড়ুন ঃ জেপি নাড্ডার গাড়িতে হামলা, মুখ্যসচিব - ডিজিকে তলব স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পাইকর থানাকে নির্দেশ দেওয়া হয়, নাজিবুল্লার আচরণের উপর নজর রাখতে। এরপর বৃহ্স্পতিবার বীরভূমের কাবিলনগরে পৌঁছয় এসটিএফের আধিকারিকরা। গ্রেপ্তার করে সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তিকে। গ্রেপ্তারির পাশাপাশি একটি ল্যাপটপ, কম্পিউটার, সিপিইউ-সহ বেশ কয়েকটি ইলেকট্রনিক গেজেট বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। সূত্রের খবর, ধৃত ওই জঙ্গী নাজিবুল্লাহ(আনুমানিক ৫০ বছর) জেএমবি সংগঠনের সাথে সক্রিয় ভাবে যুক্ত ছিলেন। তিনি একটি ছাপাখানার মালিক বলে জানা যায়। তাকে আজ আদালতে তোলা হবে জানা গেছে।

ডিসেম্বর ১১, ২০২০
কলকাতা

কলকাতা হাইকোর্ট খারিজ করে দিল উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া

উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। প্যানেল থেকে শুরু করে মেধাতালিকা সবই বাতিল করে দেওয়া হল। শুক্রবার সে রায়ই দেন বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, শিক্ষক নিয়োগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ শিক্ষকের উপরেই ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নির্ভর করে। টেটে যাঁদের নাম এসেছে তাঁরা সকলে যথাযথ নন। তাই মামলাকারীদের দাবি মেনে বাতিল করা হল সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়া। হাই কোর্টের নির্দেশ, নতুন নির্বাচন প্রক্রিয়া আগামী বছরের ৪ জানুয়ারি থেকে শুরু করতে হবে। ৫ এপ্রিলের মধ্যে তা শেষ করতে হবে। এছাড়াও অন্যান্য প্রক্রিয়া ১০ মের মধ্যে শেষ করতে হবে। তাঁর রায়ে অত্যন্ত খুশি মামলাকারীরা। কলকাতা হাই কোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার ডিভিশন বেঞ্চে যাচ্ছে। আরও পড়ুন ঃ সুদ সমেত ফেরত দেওয়ার হুমকি দিলীপের উল্লেখ্য, উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের জন্য ২০১১ ও ২০১৫ সালে টেট হয়েছিল। টেটে যাঁরা নির্বাচিত হয়েছিলেন তাঁদের ভেরিফিকেশনের জন্য ২০১৬ সালে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। ওই তালিকাকে চ্যালেঞ্জ করে ২০১৯ সালে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়। মামলাকারীদের অভিযোগ ছিল, যাঁরা যোগ্য নন তাঁদেরও তালিকায় নাম ছিল। আর্থিক কারচুপির অভিযোগও ওঠে।

ডিসেম্বর ১১, ২০২০
রাজ্য

জেপি নাড্ডার গাড়িতে হামলা, মুখ্যসচিব - ডিজিকে তলব স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে গতকালই রাজ্যপালের কাছে রিপোর্ট চেয়েছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। শুক্রবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে নিজের রিপোর্ট পাঠিয়ে দিয়েছেন। সুত্রের খবর সেই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, নাড্ডা-সহ অন্য বিজেপি নেতাদের উপযুক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেনি রাজ্যের পুলিশ। রাজ্যপালের এই রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ও ডিজিপি বীরেন্দ্রকে তলব করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। আগামী ১৪ ডিসেম্বর তাঁদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে হাজিরা দেওয়ার দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সুত্রের খবর। আরও পড়ুন ঃ চলতি মাসেই রাজ্যে অমিত শাহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক মনে করছে, রাজ্যের নিরাপত্তার দায় মুখ্যসচিব এবং ডিজিপির। রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার জন্য কোনও ভিআইপির নিরাপত্তার সঙ্গে আপস করা যাবে না। আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বীরেন্দ্রর কাছে আগামী ১৪ ডিসেম্বর পুরো ঘটনার রিপোর্ট তলব করা হবে। রিপোর্টে সন্তুষ্ট না হলে তাঁদের কড়া হুঁশিয়ারি দেওয়া হতে পারে। তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করা হতে পারে বলেও সুত্রের খবর।

ডিসেম্বর ১১, ২০২০
রাজ্য

চলতি মাসেই রাজ্যে অমিত শাহ

বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার পর এ মাসেই ফের বাংলায় পা রাখতে চলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আগামী ১৯ ও ২০ তারিখ দুদিন তাঁর রাজ্য সফরের সম্ভাবনা। ওই দুদিন তিনি উত্তরবঙ্গ সফর করতে পারেন বলে খবর। নভেম্বরের গোড়ায় দুদিনের রাজ্য সফরে এসেছিলেন অমিত শাহ। বাঁকুড়া এবং কলকাতায় সভা করেন, জনসংযোগের জন্য দলিত ও মতুয়া পরিবারে খাওয়াদাওয়া করেছিলেন। আরও পড়ুন ঃ মোদী সরকার কোনও সংবিধান মানছে নাঃ মমতা তবে শোনা যাচ্ছে, এবার তাঁর নজর উত্তরবঙ্গে। সেখানকার সংগঠন খতিয়ে দেখতে এ মাসের ১৯, ২০ তারিখ এ রাজ্যে ফের আসবেন অমিত শাহ। সূত্রের খবর, আসন্ন সফরে তিনি উত্তরবঙ্গে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক, জেলা সভাপতি, বিধায়ক, সাংসদদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। খতিয়ে দেখবেন সাংগঠনিক কাজকর্ম।

ডিসেম্বর ১১, ২০২০
কলকাতা

এখনও সঙ্কটজনক বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে এখনই সঙ্কটমুক্ত বলতে নারাজ চিকিৎসকেরা। ভেন্টিলেশনেই রাখা হয়েছে প্রক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে। তাঁর শরীরের একাধিক প্যারামিটার অবশ্য সন্তোষজনক। বৃহস্পতিবার বিকেল এক মেডিক্যাল বুলেটিনে এমনটাই জানানো হয়েছে হাসপাতালের তরফে। মেডিক্যাল বুলেটিনে বলা হয়েছে, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে এখনও পর্যন্ত ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। তন্দ্রাচ্ছন্ন রয়েছেন তিনি। আরও পড়ুন ঃ প্রচার না পেয়ে গুন্ডাদের দিয়ে হামলার নাটক করাচ্ছেঃ মমতা তাঁর দেহে অক্সিজেনের মাত্রা ৯৫ শতাংশ। রক্তচাপ, পালস রেট ঠিক আছে। ইউরিন ঠিকমতো হয়েছে। সকালে বৈঠকের পরে মেডিক্যাল বোর্ডের তরফে জানানো হয় বুদ্ধবাবুর শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে, চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন তিনি। আচ্ছন্ন থাকলেও জ্ঞান আছে। এখনও মেক্যানিক্যাল ভেন্টিলেশনেই আছেন। এবং আপাতত সেখানেই থাকবেন। তবে যাতে তাঁকে সেখান থেকে বের করে আনা যায় ধীরে ধীরে সেই চেষ্টাই চলছে। বিকেলের বুলেটিনে জানানো হয়েছে, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হচ্ছে স্যালাইনের মাধ্যমে। খাবার দেওয়া হচ্ছে রাইস টিউবের সাহায্যে।

ডিসেম্বর ১০, ২০২০
রাজ্য

উত্তরকন্যার দেওয়ালে এবার পড়ল রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের পোষ্টার

শুভেন্দুর পর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের পোষ্টার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল। রাজ্যের মিনি সেক্রেটারিয়েট উত্তরকন্যার দেওয়ালে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে পোষ্টার দেখা যায়। পোষ্টারে লেখা আমরা দাদার ভক্ত। জলপাইগুড়ির পর শিলিগুড়িতে এই পোষ্টার পড়ায় রীতিমত গুঞ্জন শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। উত্তরকন্যায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা থাকা সত্বেও কে বা কারা এভাবে উত্তরকন্যার সীমানা প্রাচীরে পোস্টার ছড়াল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আরও পড়ুন ঃ স্রেফ মা দুর্গার কৃপায় সভায় পৌঁছতে পেরেছি , নাড্ডা দক্ষিনবঙ্গের পর এবার প্রাক্তন মন্ত্রীর কায়দায় এবার উত্তরবঙ্গেও পোস্টার বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের। শুভেন্দু অধিকারীর ছবি দেওয়া ফ্লেক্সে লেখা ছিল আমরা দাদার অনুগামী। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দেওয়া ফ্লেক্সে লেখা আমরা দাদার ভক্ত। বৃহস্পতিবার সকালে শিলিগুড়ি লাগোয়া ফুলবাড়ি এলাকায় রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দেওয়া এমন বেশ কয়েকটি ফ্লেক্স দেখতে পাওয়া যায় ফুলবাড়ি এলাকায়। এমনকি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দেওয়া ফ্লেক্স ঝুলতে দেখা গিয়েছে উত্তরবঙ্গের মিনি সচীবালয় উত্তরকন্যার সীমানা প্রাচীরে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় শিলিগুড়ির রাজনৈতিক মহলে। গত দুদিন আগে এমন ফ্লেক্স লাগানোর খবর পাওয়া গিয়েছিল জলপাইগুড়িতে। শুভেন্দুর পর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দেওয়া আমরা দাদার ভক্ত লেখা ফ্লেক্স শিলিগুড়িতে পড়ায় কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে তৃনমূল শিবিরে। উত্তরকন্যায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা থাকা স্বত্বেও কে বা কারা সচীবালয়ের সীমানা প্রাচীরে ফ্লেক্স লাগাল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

ডিসেম্বর ১০, ২০২০
কলকাতা

বিজেপি নিজেই নাড্ডার কনভয়ে হামলা চালিয়েছেঃ সুব্রত মুখোপাধ্যায়

জেপি নাড্ডা যখন গাড়ি করে যাচ্ছিলেন, তখন তার গাড়ির ভেতর থেকে ভিডিও করে প্ররোচনা তৈরি করা হচ্ছিল। এটা পরিকল্পনামাফিক করা হয়েছে। জ়েপি নাড্ডার কনভয়ে হামলার প্রসঙ্গে এই মন্তব্য করলেন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, পাবলিসিটির নেওয়ার জন্য এসব করা হয়েছে। রাজনীতির নাম করে শান্তিপ্রিয় পশ্চিম বাংলাকে অশান্ত করার চেষ্টা চলছে। তৃণমূল কংগ্রেসকে বদনাম করার চেষ্টা চলছে। আরও পড়ুন ঃ বাংলার পার্টি তৃণমূল, বিজেপি দিল্লির দলঃ মমতা এই পরিকল্পনা সফল হবে না। যদি কেউ অন্যায় করে থাকে তা যদি তৃণমূল কংগ্রেসের দলের কেউ হয়, আমরা খতিয়ে দেখব শাস্তি হবে। দলের কর্মীরা যাতে ফাঁদে পা না দেয়, সেই জন্য সতর্ক থাকতে অনুরোধ করব। তিনি আরও বলেন, আমি অবাক হব না, যদি বিজেপির নেতারা এটা করে থাকেন। আমরা অনেক জায়গায় দেখেছি , ওদের লোকেরা কিছু করে আমাদের নামে দোষ দেয়। যখন ওদের দলের কোনো নেতা আসেন নিজেরা নিরাপত্তা নিয়ে আসেন। আমরাও নিরাপত্তার দিই।

ডিসেম্বর ১০, ২০২০
কলকাতা

নাড্ডার সফরে পুলিশি নিরাপত্তায় ঢিলেমির অভিযোগ, শাহকে চিঠি দিলীপের

বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জয়প্রকাশ নাড্ডার রাজ্য সফরে পুলিশি নিরাপত্তার যথাযথ ব্যবস্থা করা হয়নি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে এই অভিযোগ জানালেন দিলীপ ঘোষ। এ বিষয়ে শাহকে চিঠি দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। দুদিনের রাজ্য সফরে এসেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। কিন্তু সেই সফরে একের পর এক বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁকে। কখনও তাঁকে কালো পতাকা দেখানো হচ্ছে। তো কখনও আবার গন্তব্য পৌঁছনোর আগে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে। দিলীপবাবুর অভিযোগ, বিক্ষোভকারীদের হাতে বাঁশ, লাঠি থাকতে দেখা গিয়েছে। আরও পড়ুন ঃ মমতার গড়ে জনসংযোগ নাড্ডার, পুজো দিলেন কালীঘাটে দলের হেস্টিংস কার্যালয়ের সামনে বুধবার বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় জে পি নাড্ডাকে। সেটা উল্লেখ করে দিলীপ ঘোষ শাহকে বলেছেন, পুলিশি নিরাপত্তায় ঢিলেমি ছিল। বলতে গেলে পুলিশ ছিলই না। বিক্ষোভকারীদের সরানো বা আটকানোর চেষ্টাও করেনি পুলিশ। অমিত শাহকে দিলীপ ঘোষের অনুরোধ, রাজ্য সরকারের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলুক কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কোথাও বাঁশ, লাঠি নিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়নি। আর পুলিশি ঢিলেমির অভিযোগ থাকলে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দপ্তরে জানানো যে। কেন্দ্রকে চিঠি দিয়ে কী হবে! একইসঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, এত এলাকা থাকতে মুখ্যমন্ত্রী ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এলাকায় কেন সভা করতে গেলেন তিনি?

ডিসেম্বর ১০, ২০২০
কলকাতা

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে হাসপাতালে দেখতে গেলেন মমতা, করলেন দ্রুত আরোগ্য কামনা

রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে দেখতে হাসপাতালে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রবল শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে বুধবার দুপুরে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ভর্তি হন দক্ষিণ কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে। এদিন সন্ধ্যায় হাসপাতালে গিয়ে তাঁকে দেখে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। কথা বলেন চিকিৎসকদের সঙ্গে। এদিন তাকে দেখতে হাসপাতালে যান সিপিএম নেতা বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র, সুজন চক্রবর্তী। আরও পড়ুন ঃ আগামীকাল প্রকাশিত হবে তৃণমূলের রিপোর্ট কার্ড মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তার করোনা পরীক্ষা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে তাঁকে। ওনার দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। চিকিৎসকরা চেষ্টা করছেন। উনি সেরে উঠুন। পরিবারের পাশে আছি। হাসপাতালের মেডিক্যাল বুলেটিনে জানানো হয়েছে অবস্থার অবনতি হয়েছে বুদ্ধবাবুর। অত্যন্ত সঙ্কটজনক অবস্থায় রয়েছেন তিনি। বাইপ্যাপ ভেন্টিলেশনে তাঁকে রাখা হয়েছিল প্রথমে কিন্তু তাতে কাজ না হওয়ায় তাঁকে মেকানিক্যাল ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়। তাঁর রক্তে কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা বেড়েছে। ভর্তি হওয়ার সময় ৮৮ থাকলেও পরে তা বেড়ে হয়েছে ১৩১। তাঁর চিকিৎসায় গঠন করা হয়েছে পাঁচ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড।

ডিসেম্বর ০৯, ২০২০
রাজ্য

পিকের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন বৈশালী ডালমিয়া

বঙ্গ জননী কর্মসূচি নিয়ে বালি বিধানসভা এলাকার ১৬ জন প্রাক্তন কাউন্সিলরের সঙ্গে বুধবারে বেলুড় অগ্রসেন ভবনে বৈঠক করছিলেন পিকের টিম। সকাল এগারোটা নাগাদ বৈঠক শেষ হওয়ার সময় বালির প্রাক্তন তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের সভাপতি বিজয়লক্ষী রাও উপস্থিত হন। তিনি সেখানে প্রশ্ন তোলেন, বিধায়ককে বাদ দিয়ে কেন মিটিং করা হচ্ছে। কেন মিটিং সম্পর্কে জানানো হয়নি বিধায়ককে। এ বিষয়ে পিকের টিমের প্রতিনিধি ও উপস্থিত তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে সরব হন তিনি। এরপরেই দু পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। পিকের টিমের সামনেই চলে বচসা। হাতাহাতি হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। কয়েকজন প্রাক্তন কাউন্সিলর পরিস্থিতি সামাল দেন। গোটা ঘটনা টিম পিকে-র সামনে হলেও আশ্চর্যজনকভাবে তাঁরা নীরব ছিলেন বলেই অভিযোগ বৈশালী ডালমিয়ার। ফলে পিকে-র ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিধায়ক। টিম-পিকে আদৌ দলের ভাল করতে চান কিনা তা নিয়ে ঘনিষ্ট মহলে প্রশ্ন তোলেন বৈশালী। আরও পড়ুন ঃ কোচবিহারে বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার তাকে না জানিয়ে কেন বৈঠক করা হচ্ছে, এটা জানতে চাওয়ায় বিজয়লক্ষী রাওকে তৃণমূল কর্মীরা মারধর করে বলে অভিযোগ। পালটা ক্ষোভ উগরে দেন বালির তৃণমূল নেতা তফজিল আহমেদ। তিনি বলেন, কোনও মারধরের ঘটনা ঘটেনি। বালির বিধায়ক ও ঘনিষ্ঠরা সুযোগ সুবিধা নেওয়ার জন্য এখানে এসেছেন। এদেরকে বহিষ্কার না করলে দলটাই থাকবে না। এই ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর ভাবা উচিত।

ডিসেম্বর ০৯, ২০২০
কলকাতা

শ্বাসকষ্টের সমস্যার জের, হাসপাতালে ভরতি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য

শ্বাসকষ্টের সমস্যার জেরে শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হল রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে। বুধবার দুপুরে তাকে উডল্যান্ডস হাসপাতালে ভরতি করা হয়। হাসপাতালে ভরতি করার সময় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর স্ত্রী ছিলেন। কিছুক্ষণ পরে সেখানে তাঁর কন্যা উপস্থিত হয়। তাঁর চিকিৎসায় চার সদস্যের একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। অক্সিজেনের স্যাচুরেশন লেভেল ৭০ হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করে অক্সিজেন দিতে হয়েছে। এর জেরে তাঁর রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা আগের থেকে অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে। প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। শারীরিক অবস্থার কারণেই দীর্ঘদিন জনসমক্ষে দেখা যায়নি রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে। আরও পড়ুন ঃ কৃষি আইনের বিরোধিতায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ তৃণমূলের সিপিএমের কোনও দলীয় কর্মসূচিতেও তিনি এখন আর যোগ দিতে পারেন না, যেতে পারেন না দলীয় দফতরে। শ্বাসকষ্টের পাশাপাশি চোখের সমস্যাতেও ভুগছেন তিনি। বাড়িতেও কৃত্রিম অক্সিজেন সাপোর্টের রাখা হয়েছিল তাঁকে। মাস কয়েক আগে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল। সেসময় তাঁর খোঁজ নিতে বুদ্ধবাবুর বাড়িতেও গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাড়িতে গিয়ে তাঁকে দেখে আসেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও।

ডিসেম্বর ০৯, ২০২০
রাজ্য

ডিসেম্বরের মাঝামাঝি ঠান্ডা পড়বে রাজ্যে

ঘন কুয়াশার দাপট রাজ্যে। আগামী কয়েকদিন এই কুয়াশার দাপট থাকবে বলে জানানো হয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে। বেলা বাড়লে অবশ্য কুয়াশা সরে যাবে। কিন্তু আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা কমার কোনও সম্ভাবনা নেই। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে কলকাতা সহ সমগ্র দক্ষিণবঙ্গে ঠান্ডা পড়বে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। সোমবার সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি। অন্যদিকে, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি কম। বাতাসে জলীয় বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯৬ শতাংশ। এই মুহূর্তে বঙ্গোপসাগরে বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। তার জেরে প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকছে রাজ্যে। এছাড়া রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে স্বাভাবিকের থেকে বেশি থাকায় সকাল থেকেই কুয়াশা দেখা যাচ্ছে রাজ্যে। এদিন দমদম , ডায়মন্ড হারবার সহ কয়েকটি এলাকায় দৃশ্যমানতা ১০০ থেকে ২০০ মিটারে নেমে গিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। আরও পড়ুন ঃ উলেন রায়ের মৃত্যুতে সিবিআই তদন্তের দাবি বিজেপির আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ১৫ ডিসেম্বরের পর থেকে তাপমাত্রার পরিবর্তন হবে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝা কমে যাওয়ায় উত্তুরে হাওয়া ঢুকতে শুরু করবে। তার ফলে নামতে শুরু করবে পারদ। তারপর থেকে ঠান্ডা আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন তারা। উত্তরবঙ্গে অবশ্য ঠান্ডা পড়েছে। তেমন জাঁকিয়ে শীত না পড়লেও হাল্কা বৃষ্টি হচ্ছে। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় এখন কয়েকদিন হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে বলে আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।

ডিসেম্বর ০৯, ২০২০
রাজ্য

উলেন রায়ের মৃত্যুতে সিবিআই তদন্তের দাবি বিজেপির

উলেন রায়ের মৃত্যুতে এবার সিবিআই তদন্তের দাবি জানাল বিজেপি। মঙ্গলবার উলেন রায়ের মৃত্যুর প্রতিবাদে উত্তরবঙ্গ বনধ ডাকে বিজেপি। এদিন সকাল থেকেই বনধকে সফল করতে শিলিগুড়ির রাজপথে মিছিল করে বিজেপির একাধিক সাংসদ, রাজ্য ও জেলা নেতৃত্ব। মিছিলে নেতৃত্ব দেন সায়ন্তন বসু, সাংসদ রাজু বিস্তা, নিশিথ প্রামাণিক এবং অগ্নিমিত্রা পাল সহ বিজেপির জেলার অন্যান্য কার্যকর্তারা। এই মিছিল থেকেই মৃত বিজেপি কর্মীর উলেন রায়ের মৃত্যুর সিবিআই তদন্ত দাবি করেন দার্জিলিং-এর সাংসদ রাজু বিস্তা। এই দাবিতে অবিলম্বেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবে বিজেপি এমনটাও জানান তিনি। এদিন উলেন রায়ের ময়নাতদন্তের বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সাংসদ। পাশাপাশি গোটা ঘটনার সিবিআই তদন্ত চেয়ে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হচ্ছেন বিজেপি সাংসদরা। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পুলিশের গুলিতেই মৃত্যু হয়েছে উলেন রায়ের। প্রমান লোপাট করতেই রাতের অন্ধকারে ময়নাতদন্ত করেছে প্রশাসন। যদিও রাজ্যপুলিশের তরফে টুইট করে জানানো হয়েছে যে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী শটগানের গুলিতেই মৃত্যু হয়েছে উলেন রায়ের। পুলিশ শটগান ব্যবহার করে না। বিক্ষোভকারীদের মধ্যেই কেউ শটগান এনেছিলেন এবং খুব কাছ থেকেই গুলি ছোঁড়া হয়েছে। আরও পড়ুন ঃ বিজেপি নিজে খুন করে বলছে পুলিশ মেরেছেঃ মমতা অন্যদিকে, উলেন রায়ের মৃত্যু নিয়ে সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। ময়নাতদন্ত শেষ করে রাতারাতি দেহ বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয় পরিবারকে। এমন অভিযোগ মৃতের পরিবারের। তবে এই অবস্থায় দেহ বাড়ি নিয়ে যেতে অস্বীকার করেন উলেন রায়ের পরিবার। পুলিশের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দেন তারা। তাঁদের অভিযোগ, ময়নাতদন্ত হয়ে গিয়েছে জানিয়ে তাঁদের মুচলেকা লিখতে বলা হয় পুলিশের তরফে। মুচলেকায় অজ্ঞাত পরিচয়ের দেহ লিখতে বলায় তাঁরা দেহ নিতে অস্বীকার করেন। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, সাদা কাগজে পুলিশের লেখা বয়ানেই জোর করে সই করতে হয়েছে তাঁদের। এমনকি মুচলেকায় উলেন রায়কে বিজেপি কর্মী বলে উল্লেখ করা হয়নি। রাতে কেন ময়নাতদন্ত হল? পাশাপাশি বাড়ি নিয়ে যাওয়ার চাপ কেন এমন একাধিক অভিযোগ জানিয়ে ফের দেহের ময়নাতদন্তের দাবি করেছে উলেন রায়ের পরিবার। এছাড়াও উত্তরকন্যা অভিযানে মৃত বিজেপি কর্মী উলেন রায়ের পরিবারের যাবতীয় দায়িত্ব নিল উত্তরবঙ্গের বিজেপির চার সাংসদ। মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের মান্তাদারি গ্রামপঞ্চায়েতের মেনঘোড়া গ্রামে যান কোচবিহারে বিজেপি সাংসদ, নিশিথ প্রামানিক, জলপাইগুড়ির সাংসদ ডাঃ জয়ন্ত কুমার রায়, দার্জিলিং -এর সাংসদ রাজু বিস্তা, বিজেপির রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু, বিজেপির জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী সহ অন্যান্য বিজেপি নেতা-কর্মীরা। এদিন মৃতের পরিবারকে আর্থিক ভাবে সাহায্য করা হয় বিজেপির পক্ষ থেকে। এছাড়াও ওই পরিবারের পাশে সবসময় থাকার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

ডিসেম্বর ০৮, ২০২০
কলকাতা

পুলিশ নয়, নিজেদের শট গানের ছররা গুলিতেই মৃত্যু বিজেপি কর্মীর, দাবি সুব্রতর

বিজেপির নিজেদের দুষ্কৃতীদের শটগানের ছররা গুলিতেই মৃত্যু হয়েছে বিজেপি কর্মী উলেন রায়ের। মঙ্গলবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে এই দাবি করলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়। এদিন তিনি শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেট এর পাঠানো রিপোর্ট সংবাদমাধ্যমের কাছে তুলে ধরেন। সেই রিপোর্টে জানানো হয়েছে, শটগানের ছোট ছোট গুলি বুকে লেগে মৃত্যু হয়েছে উলেন রায়ের। সুব্রত মুখোপাধ্যায় জানান,পুলিশের কাছে কখনোই ছোট গুলি থাকে না। পুলিশের গুলি আকারে একটু বড় হয়। শটগানের গুলি আকারে ছোট হয়। সেইগুলি বুকে লেগেই বিজেপি কর্মী উলেন রায়ের মৃত্যু হয়েছে বলে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে স্পষ্ট। শটগান পাখিমারা থেকে শুরু করে খেলনা পিস্তল হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ এর থেকে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে উত্তর কন্যা অভিযানে আন্দোলনের নামে বিজেপি বহিরাগত দুষ্কৃতীদের সঙ্গে নিয়ে এসেছিল।সুব্রত বাবু আরো জানান,তৃণমূল কংগ্রেস কখনোই গুলির রাজনীতি করে না। এই ঘৃণ্য রাজনীতি একটা সময় করেছিল সিপিএম। সেই সময় তারা বহু মানুষকে গুলি করে খুন করেছিল। তাই তাদের বিদায় নিতে হয়েছিল রাজ্য থেকে। এবার সেই গুলির রাজনীতি করছে বিজেপি। তাই তাদেরও আগামী বিধানসভা নির্বাচনের পর বাংলা থেকে বিদায় করে দেবে সাধারণ মানুষ। আরও পড়ুন ঃ সাংবাদিকদের সম্পর্কে মহুয়া মৈত্রর মন্তব্যকে মান্যতা দিল না তৃণমূল কারণ, বাংলার মানুষ অত্যন্ত শান্তিপ্রিয়। তারা কখনোই গুলির রাজনীতি পছন্দ করে না। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের নামে বিজেপির গুলির রাজনীতি অত্যন্ত নিন্দনীয়। তিনি বলেন, ওইদিন বিজেপি প্রথম থেকেই প্ররোচিত করছিল পুলিশকে। হাজারও প্ররোচনা সত্বেও গুলি করা হয়নি। লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করেছেন মাত্র। এর বেশি আর কিছুই হয়নি। আমরা বারবার দেখেছি পুলিশের কোনও ভুল ছিল কিনা। পুলিশ মার খেয়েও লাঠি চালায়নি। উত্তরবঙ্গে যা হচ্ছে তা সত্য নয়। অসত্য প্রচার করে ধর্মঘট ডেকেছেন। পাশাপাশি কৃষি বিল নিয়ে কৃষকদের ডাকা বনধকে এদিন নৈতিকভাবে সমর্থন করেন সুব্রতবাবু। তিনি জানান, বনধ সমর্থন করি না। কিন্তু কৃষকদের দাবিকে সমর্থন জানিয়েছি। পাশে আছি আমরা। বনধ শান্তিপূর্ণভাবে হচ্ছে। আন্দোলনকে সমর্থন করে আজ থেকে পরপর তিনদিন মিছিল হবে। গান্ধীর মূর্তির পাদদেশে জমায়েত হবে। অনেক কৃষকভাই এসেছে। এই আন্দোলনের জয় হবেই। কৃষক আন্দোলনের বার্তা দিতে ব্লকে ব্লকে আন্দোলন হবে।

ডিসেম্বর ০৮, ২০২০
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 84
  • 85
  • 86
  • 87
  • 88
  • 89
  • 90
  • ...
  • 99
  • 100
  • ›

ট্রেন্ডিং

বিদেশ

বোমা বিষ্ফোরণে কেঁপে উঠলো ঢাকা, মৃত্যু এক, অপরাধ-হিংসা বেড়েই চলেছে বাংলাদেশে

ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যার পর থেকে বাংলাদেশ উত্তপ্ত। তারপর ময়মনসিংহের দীপুচন্দ্র দাসকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে নৃশংসভাবে খুন করেছে জেহাদীরা। চট্টগ্রামে হিন্দু বাড়ি আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে। অতপর আজ, বুধবার ঢাকায় নিউ ইস্কাটনে ককটেল বোমা নিক্ষেপ করেছে দুষ্কৃতীরা। সেই বোমায় মৃত্যু হয়েছে একজনের। ইউনূস সরকারের আমলে একের পর এক অপরাধ ঘটেই চলেছে। বড়সড় প্রশ্নের মুখে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্ব।প্রথম আলো সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে ফ্লাইওভার থেকে ছোড়া ককটেলের বিস্ফোরণে এক যুবক নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার রাত পৌনে আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে এটাকে বোমার বিস্ফোরণ বলেছিল।এ বিষয়ে পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম বলেন, রাত পৌনে ৮টার দিকে নিউ ইস্কাটনের বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের ফটকের সামনে শক্তিশালী ককটেলের বিস্ফোরণ হয়। এ সময় ওই যুবক গুরুতর আহত হন। কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।পুলিশের উপকমিশনার মাসুদ আলম জানান, নিহত ব্যক্তির নাম সিয়াম বলে জানা গেছে। তিনি সেখানে চা খেতে এসেছিলেন। ওপর থেকে ককটেল এসে তাঁর মাথার ওপর পড়ে। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।এদিকে নির্বাচনে লড়াই করার প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলি। খালেদাপুত্র তারেক রহমানের আগামী কাল বাংলাদেশে আগমন উপলক্ষ্যে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে সরকার। পাশাপাশি তাঁকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত বিএনপি নেতা-কর্মীরা। দীর্ঘ ১৭ বছর পর তিনি বাংলাদেশে ফিরছেন।

ডিসেম্বর ২৪, ২০২৫
বিদেশ

ঢাকায় ছাত্রনেতা ওসমান হাদী হত্যা, নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ অন্তর্বর্তী সরকারের একাংশের বিরুদ্ধে

ঢাকায় মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে বাংলাদেশি ছাত্রনেতা ও সাংস্কৃতিক সংগঠক শরীফ ওসমান হাদীর মৃত্যুকে ঘিরে নতুন করে রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। হত্যাকাণ্ডের কয়েকদিন পরই ওসমান হাদীর পরিবার সরাসরি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একটি অংশের বিরুদ্ধে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ভণ্ডুল করার উদ্দেশ্যে এই হত্যার পরিকল্পনার অভিযোগ তুলেছে।২০২৪ সালের জুলাই মাসের বিদ্রোহের পর গড়ে ওঠা সাংস্কৃতিক প্ল্যাটফর্ম ইনকিলাব মঞ্চএর মুখপাত্র ছিলেন শরীফ ওসমান হাদী। গত ১২ ডিসেম্বর ঢাকায় খুব কাছ থেকে তাকে গুলি করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে বিমানে করে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হলেও ১৮ ডিসেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।এই মৃত্যুর পর ঢাকায় সহিংস বিক্ষোভ শুরু হয়। একাধিক জায়গায় জনতা বিশিষ্ট সংবাদমাধ্যম ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের অফিস লক্ষ্য করে হামলা চালায়, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে।ওসমান হাদীর ভাই শরীফ ওমর হাদী ঢাকার শাহবাগে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন। নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারকে লক্ষ্য করে তিনি বলেন, আপনারাই ওসমান হাদীকে হত্যা করেছেন, আর এখন সেই হত্যাকাণ্ডকে ইস্যু করে নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করছেন।ওমর হাদী জানান, তার ভাই ফেব্রুয়ারির মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন চেয়েছিলেন এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা নয় বরং একটি স্বচ্ছ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার পক্ষে ছিলেন। তিনি দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে বলেন, খুনিদের শাস্তি না হলে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট হবে। সরকার এখনও পর্যন্ত আমাদের কোনও দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখাতে পারেনি।তিনি আরও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি ন্যায়বিচার না হয়, তবে বর্তমান ক্ষমতাসীনদেরও একদিন দেশ ছাড়তে হতে পারে। যেমনটি গত বছর গণবিক্ষোভের মুখে শেখ হাসিনার ক্ষেত্রে ঘটেছিল। ওমর অভিযোগ করেন, কোনও সংস্থা বা বিদেশি প্রভুদের কাছে মাথা নত না করায় ওসমান হাদীকে হত্যা করা হয়েছে।দ্য ডেইলি স্টারএর প্রতিবেদনে ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আবদুল্লাহ আল জাবের দাবি করেছেন, এই হত্যাকাণ্ড জুলাইয়ের বিদ্রোহের অর্জন ও বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ধ্বংসের উদ্দেশ্যে একটি গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। তার অভিযোগ, আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা শক্তি ও দেশের ভেতরের ফ্যাসিবাদী সহযোগীরা এই হত্যার সঙ্গে যুক্ত।বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, ন্যায়বিচার না পাওয়া পর্যন্ত তারা রাজপথ ছাড়বেন না। তবে ইনকিলাব মঞ্চের নেতারা স্পষ্ট করেছেন, ২৫ ডিসেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফেরার দিন তারা কোনও কর্মসূচি নেবেন না। একইসঙ্গে তারা আশা প্রকাশ করেছেন, তারেক রহমান তাদের আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানাবেন।

ডিসেম্বর ২৪, ২০২৫
রাজ্য

সামশেরগঞ্জে বাবা-ছেলের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে ১৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

গত ১২ এপ্রিল, মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সামশেরগঞ্জ থানা এলাকার জাফরাবাদ গ্রামের দুই বাসিন্দা হরগোবিন্দ দাস এবং তাঁর ছেলে চন্দন দাসকে উত্তেজিত জনতার একটি দল নৃশংসভাবে হত্যা করে। এই জোড়া খুনের মামলার তদন্তে গঠিত হয়েছিল একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT)। পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পর ১৩ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে জমা পড়েছিল চার্জশিট।আজ রায় বেরিয়েছে মামলার। অতিরিক্ত জেলা জজ আদালত ১৩ জন অভিযুক্তকেই দোষী সাব্যস্ত করে শাস্তি ঘোষণা করেছেন। এখানে একটি প্রাসঙ্গিক তথ্য, গণপিটুনিতে মৃত্যুর ধারায়(যা কয়েক বছর আগে চালু হওয়া নতুন ফৌজদারি বিধিতে ১০৩(২) ধারায় চিহ্নিত হয়েছিল) এটি দেশে দ্বিতীয় conviction.দণ্ডিত ১৩ জনের নাম হলো:১. দিলদার নদাব (২৮), ২. আসমাউল নদাব ওরফে কালু (২৭), ৩. এনজামুল হক ওরফে বাবলু (২৭), ৪. জিয়াউল হক (৪৫), ৫. ফেকারুল সেখ ওরফে মহক (২৫), ৬. আজফারুল সেখ ওরফে বিলাই (২৪), ৭. মনিরুল সেখ ওরফে মনি (৩৯), ৮. একবাল সেখ (২৮), ৯. নুরুল ইসলাম (২৩), ১০. সাবা করিম (২৫), ১১. হযরত সেখ ওরফে হযরত আলী (৩৬), ১২. আকবর আলী ওরফে একবর সেখ (৩০) এবং ১৩. ইউসুফ সেখ (৪৯)।এদের মধ্যে ৫ জনের নাম এফআইআর-এ ছিল। বাকিদের তদন্তে পাওয়া তথ্য এবং তাঁদের ভূমিকার ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ওড়িশার ঝারসুগুডা, ঝাড়খণ্ডের পাকুড়, বীরভূমের পাইকর, হাওড়া, ফারাক্কা, সামশেরগঞ্জ এবং সুতি-সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে এই ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হয়।তদন্তের সময় সিসিটিভি (CCTV) ক্যামেরা থেকে প্রাথমিক সূত্র পাওয়া গিয়েছিল। এছাড়া গুগল ম্যাপস লোকেশন ভিজ্যুয়ালাইজেশন পদ্ধতি ব্যবহার করে অভিযুক্তদের মোবাইলের সিডিআর (CDR) ম্যাপে প্লট করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে অপরাধের জায়গায় তাঁদের উপস্থিতি এবং প্রবেশ-প্রস্থানের পথ স্পষ্টভাবে প্রমাণ করা হয়েছে।অভিযুক্তদের হাঁটার ধরন বা গেইট প্যাটার্ন বিশ্লেষণ (Gait pattern analysis) করা হয়েছিল, যা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাওয়া ব্যক্তিদের হাঁটার ধরনের সাথে হুবহু মিলে গেছে। আদালত এই রায়ে ডিএনএ (DNA) প্রমাণের ওপরও গুরুত্ব দিয়েছেন। অপরাধে ব্যবহৃত অস্ত্রে লেগে থাকা রক্তের ডিএনএ-র সাথে মৃত ব্যক্তিদের ডিএনএ মিলে গিয়েছে।এই মামলার সঙ্গে যুক্ত মিঠুন হালদার, ইন্সপেক্টর প্রসূন মিত্র এবং বিভাস চট্টোপাধ্যায়, এই তিন পুলিশ আধিকারিক দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছে বলে অভিনন্দন জানিয়েছে রাজ্য পুলিশ। মাত্র নয় মাসের মধ্যেই দোষীদের শাস্তি সুনিশ্চিত করার জন্য জঙ্গিপুর জেলা পুলিশকেও অভিনন্দন জানিয়েছে উর্দ্ধতন পুলিশ কর্তারা।

ডিসেম্বর ২৪, ২০২৫
কলকাতা

বাংলাদেশে হিন্দু খুনের প্রতিবাদে উত্তাল কলকাতা, বাংলা হাইকমিশনের সামনে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের বিক্ষোভ, ধুন্ধুমার

কলকাতার রাজপথ উত্তপ্ত হয়ে উঠল মঙ্গলবার। বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের সামনে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের বিক্ষোভ ঘিরে চরম উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতেই পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এই ঘটনায় একাধিক বিক্ষোভকারী আহত এবং কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।বিক্ষোভকারীদের দাবি, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন-সহ একাধিক ইস্যুতে প্রতিবাদ জানাতেই এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সম্প্রতি দীপুচন্দ্র দাসকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে নৃংশস ভাবে হত্যা করে বাংলাদেশের মৌলবাদীরা। তাঁকে মারধর করে পোস্টে বেঁধে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তী বাংলাদেশ পুলিশ স্বীকার করে দীপু কোনওরকম সাম্প্রদায়িক কথা বলেনি। সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। এমনকী বাংলাদেশ পুলিশ তাঁকে না রক্ষা করে হত্যাকারীদের হাতে তুলে দেয় বলে অভিযোগ।বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর অত্য়াচারের প্রতিবাদেই এদিন সকাল থেকেই বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কর্মী-সমর্থকরা হাইকমিশনের সামনে জমায়েত হতে শুরু করেন। প্রথমদিকে পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। বেগবাগান এলাকায় একাধিক পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যায় বিক্ষোভকারীরা।পুলিশ সূত্রে খবর, বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ ব্যারিকেড ভেঙে হাইকমিশনের মূল গেটের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। বারবার মাইকে সতর্কবার্তা দিয়ে জমায়েত ছত্রভঙ্গ করার নির্দেশ দেওয়া হলেও তা অমান্য করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর ধস্তাধস্তি শুরু হলে পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।কূটনৈতিক স্থাপনার নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কায় পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এতে কয়েকজন বিক্ষোভকারী আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে একাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। লাঠিচার্জের পর পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ এবং মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত বাহিনী। সাময়িকভাবে যান চলাচলও ব্যাহত হয়।পুলিশ আধিকারিকদের দাবি, বিদেশি কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তা রক্ষা করা প্রশাসনের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে আরও অবনতি না ঘটে, সেই কারণেই কঠোর পদক্ষেপ নিতে হয়েছে। অন্যদিকে, বিক্ষোভকারী সংগঠনগুলির বক্তব্য, তাঁদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করা হয়েছে। পুলিশের লাঠিচার্জের নিন্দা জানিয়ে তাঁরা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

ডিসেম্বর ২৩, ২০২৫
রাজ্য

হাঁসখালি কাণ্ডে তৃণমূল নেতার ছেলে সহ তিনজনের যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা আদালতের

নদিয়ার হাঁসখালি গণধর্ষণ, খুন ও প্রমান লোপাটের ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ রায় ঘোষণা করে আদালত। গতকাল, সোমবার মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতা সহ মোট ৯ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। দোষ প্রমাণিত হওয়ার পর আজ রাণাঘাট আদালত অভিযুক্তদের সাজা ঘোষণা করে। মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার ছেলে ব্রজ গয়ালী, প্রভাকর পোদ্দার ও রঞ্জিত মল্লিক তিনজনকে যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করা হয়েছে। বাকিদের সাজাও ঘোষণা করেছে আদালত। তৎকালীন পঞ্চায়েত সদস্য সমরেন্দ্র গয়ালীর পাঁচ বছর কারবাসের সাজা হয়েছে।আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় অভিযুক্তদের প্রত্যক্ষ ভূমিকা, প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য এবং তদন্তকারী সংস্থার পেশ করা নথি ও তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতেই এই রায় দেওয়া হয়েছে। মামলায় সরকারি কৌঁসুলি সওয়ালে জানান, অভিযুক্তরা পরিকল্পিতভাবে অপরাধে যুক্ত ছিল এবং তা প্রমাণ করতে পর্যাপ্ত তথ্য আদালতের সামনে তুলে ধরা হয়েছে। পুলিশ প্রথমে গ্রেফতার করেছিল ২ জনকে। তারপর হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলার তদন্তভার হাতে যায় সিবিআইয়ের ওপর।রায় ঘোষণার সময় আদালত চত্বরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। রায় শোনার পর দোষী সাব্যস্ত হওয়া অভিযুক্তদের সংশোধনাগারে পাঠানো হয়। আদালতের এই সিদ্ধান্তে হাঁসখালি সহ গোটা নদিয়া জেলায় রাজনৈতিক মহলে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। এই মামলাকে ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক চলছিল। বিরোধী দলগুলির অভিযোগ ছিল, অভিযুক্তদের মধ্যে শাসকদলের নেতা থাকায় তদন্ত প্রক্রিয়ায় প্রভাব খাটানোর চেষ্টা হয়েছে। উচ্চতর আদালতে যাবেন বলে আসামী পক্ষের আইনজীবী জানিয়েছেন।

ডিসেম্বর ২৩, ২০২৫
রাজ্য

হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাস খু.নের ঘটনায় ১৩ জন দোষী সাব্যস্ত, রায় মঙ্গলবার

সামসেরগঞ্জের জাফরাবাদ গ্রামে হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাস খু.ন কাণ্ডে ধৃত ১৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করলো জঙ্গিপুর আদালত। চলতি বছর তাঁদের নৃশংস ভাবে খুন করা হয়। এই মামলা রায়দান করা হবে মঙ্গলবার। রায়ের দিকে নজর রয়েছে সাধারণ মানুষের।দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গিপুর আদালতে এই মামলার শুনানি চলে। ফরেনসিক রিপোর্ট, একাধিক সাক্ষী, পুলিশি তদন্ত রিপোর্ট এবং অন্যান্য তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীন আদালতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য উঠে আসে। যার ফলে মামলা গুরুত্বপূণ মোড় নেয়। চলতি বছরের ১২ ই এপ্রিল সামসেরগঞ্জের জাফরাবাদ গ্রামে খুন করা হয় হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাসকে। সেই সময় হিংত্মাক আন্দোলন চলছিল ওই মুর্শিদাবাদের এই এলাকায়। দীর্ঘ শুনানির পর অবশেষে জঙ্গিপুর আদালতে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে ১৩ জনকে। এদিন রায় ঘোষণা ও দোষী সাব্যস্ত করার ঘটনায় ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজনীতি

হুমায়ুন কবীরের নতুন দল ‘জেইপি’, মঞ্চ থেকেই একের পর এক হুঁশিয়ারি, ব্রিগেডে জনসভা জানুয়ারিতে

মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা খাগারুপাড়া মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করল হুমায়ুন কবীরের নতুন রাজনৈতিক দল জে ইউ পি (JUP)। দল গঠনের সঙ্গে সঙ্গেই সভাপতি হিসেবে নিজের নাম ঘোষণা করেন হুমায়ুন কবীর। সভার মঞ্চ থেকেই আগামী বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে একের পর এক বড় রাজনৈতিক ঘোষণা করেন তিনি।হুমায়ুন কবীর জানান, জেইউপি দলের হয়ে তিনি বেলডাঙা ও রেজিনগর, এই দুই বিধানসভা কেন্দ্রেই প্রার্থী হবেন এবং ৩০ হাজার ভোটে দুটি আসনেই জয়লাভ করবেন। পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ জেলার আরও ছয়টি বিধানসভা আসনে দলের প্রার্থী ঘোষণা করেন তিনি।সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি আক্রমণ করে হুমায়ুন কবীর বলেন, আপনি সাড়ে সাত লক্ষ কোটি টাকার ঋণের বোঝা বাংলার মানুষের মাথায় চাপিয়েছেন। এর জবাব ২০২৬ সালে বাংলার মানুষ দেবে।কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ব্রিগেডে সভা করব। ফিরহাদ হাকিম বেশি বাড়াবাড়ি করলে ব্রিগেড থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ নিয়ে মেয়র অফিস ঘেরাও করা হবে।সভায় উপস্থিত কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে হুমায়ুন কবীর বলেন, আজ যারা এখানে এসেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে যদি মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়, জেলায় হলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ডেপুটেশন, জেলার বাইরে হলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে থানার ইট খুলে নেব।তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করে হুমায়ুন কবীর ঘোষণা করেন, মুর্শিদাবাদ থেকে তৃণমূলকে নিশ্চিহ্ন করে দেব।একই সঙ্গে বিজেপিকেও সতর্ক করে তিনি বলেন, বিধানসভা থেকে মুসলিম বিধায়কদের চ্যাদোলা করে বাইরে ফেলবে, এমন স্বপ্ন দেখবেন না। বিরোধী দলনেতাকেও আক্রমণ করে বলেন, ২০০টি আসনে প্রার্থী দিলে ১০০টি আসন জিতব, তার মধ্যে ২০ জন হিন্দু বিধায়ক থাকবেন।মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হুমায়ুন কবীর বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যদি আপনার সৎ সাহস থাকে, তাহলে আপনার প্রিয় চ্যানেলে বসুন, আমার মুখোমুখি। সেদিন বাংলার মানুষ দেখবে আপনার মিথ্যাচার।সভা শেষে তিনি আগামী দিনের কর্মসূচিও ঘোষণা করেন৪ জানুয়ারি: ডোমকল জনকল্যাণ মাঠে জনসভা৫ জানুয়ারি: হরিহরপাড়া এলাকার একটি মাঠে জনসভাএদিনের সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে বহু কর্মী-সমর্থক জে ইউ পি দলে যোগদান করেন, যা দলটির ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের ইঙ্গিত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজ্য

ভোটের আগে তৃণমূলে বড় ধাক্কা, আজ নতুন দল ঘোষণা হুমায়ুন কবিরের

বঙ্গ রাজ্য রাজনীতিতে আজ, সোমবার নয়া জল্পনা ও চমক। সাসপেন্ড তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর আগামিকাল মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গায় আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা করতে চলেছেন। বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে তাঁর এই পদক্ষেপ ঘিরে জেলা ও রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়েছে তীব্র আলোচনা।জানা গিয়েছে, বেলডাঙ্গায় আয়োজিত ওই জনসভা থেকেই নতুন দলের নাম, প্রতীক ও রাজনৈতিক রূপরেখা প্রকাশ করবেন হুমায়ুন কবির। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বের সঙ্গে মতবিরোধে জড়িয়েছিলেন। দলবিরোধী মন্তব্য ও কার্যকলাপের অভিযোগে তাঁকে দল সাসপেন্ড করে। সেই ঘটনার পর থেকেই আলাদা রাজনৈতিক পথ নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে আসছিলেন তিনি। পাশাপাশি নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা করবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছিলেন হুমায়ুন।হুমায়ুন কবিরের নতুন দলে কারা কারা যোগ দেবেন, তৃণমূল বা অন্য দল থেকে কোনও পরিচিত মুখ তাঁর সঙ্গে থাকবেন কি না, এই প্রশ্নগুলো ঘিরেই রাজনৈতিক মহলে কৌতূহল তুঙ্গে। বিশেষ করে মুর্শিদাবাদ জেলার রাজনীতিতে তাঁর প্রভাব বিবেচনা করলে, এই নতুন দলের আত্মপ্রকাশ স্থানীয় রাজনৈতিক সমীকরণে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্ব বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য না করলেও পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে বিজেপি ও অন্যান্য বিরোধী দলও হুমায়ুন কবিরের ঘোষণার দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখছে।গত ৬ ডিসেম্বর হুমায়ুন বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করেছেন। তারপর থেকে নতুন দল গঠনের জন্য প্রস্তুতি বৈঠকও সেরেছেন। ভোটের আগে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ কতটা প্রভাব ফেলতে পারে, তা অনেকটাই নির্ভর করবে হুমায়ুন কবিরের সংগঠিনক শক্তি ও জনসমর্থনের উপর। আগামিকালের বেলডাঙ্গার সভা থেকেই স্পষ্ট হবে, এই নতুন দল রাজ্য রাজনীতিতে কতটা তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। তবে বঙ্গ রাজনীতিতে ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনে নবাবের মুর্শিদাবাদ যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে তাঁর ঈঙ্গত রয়েছে।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal