মেষ/ARIES: প্রতারিত হতে পারেন।বৃষ/TAURUS: বন্ধুর সহায়তা লাভ করতে পারেন।মিথুন/GEMINI: সমাজসেবায় সুনাম কিনতে পারেন।কর্কট/CANCER: শেয়ার বাজারে শুভ।সিংহ/LEO: অংশীদারী ব্যবসায় লাভ করতে পারেন।কন্যা/VIRGO: উদ্বেগবৃদ্ধি হতে পারে।তুলা/ LIBRA: পারিবারিকভাবে শুভ।বৃশ্চিক/Scorpio: কর্মক্ষেত্রে অশান্তি হতে পারে।ধনু/SAGITTARIUS: বঞ্চনার শিকার হতে পারেন।মকর/CAPRICORN: প্রভাব বিস্তার করতে পারেন।কুম্ভ/AQUARIUS: পথে বিপদ হতে পারে।মীন/ PISCES: ঋণমুক্তি হতে পারে।
বিনাপণে বিয়ের প্রস্তাব পেয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষার আগের রাতে নাবালিকা মেয়েকে বিয়ের পিঁড়িতে বসিয়ে দিয়েছিল বাবা। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ঘটনার খবর পেয়েই পূর্ব পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানার পুলিশ দ্রুত বেরোয়া গ্রামে পৌছে নাবালিকা মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর বিয়ে রেখে দেয়। তার কারণে নিরুপায় হয়ে বউ ছাড়াই টোপর হাতে নিয়ে ওই রাতেই নিজের বাড়ি ফিরে যেতে হয় বর বাবাজীবনকে। আর ইচ্ছার বিরুদ্ধে শ্বশুরবাড়ি যেতে না হওয়ায় সোমবার মহানন্দেই মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে পরীক্ষা দিল ভাতারের মাহাতা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী।ছাত্রীটি এদিন জানিয়েছে, মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসার জন্য সে রবিবার রাতে পড়াশুনা করছিল। পরীক্ষা না দিয়ে ছাদনাতলায় বিয়ের পিঁড়িতে বসার কোনও চিন্তাভাবনা তার মাথাতেই ছিল না। একপ্রকার জোর করেই ওই দিন তাঁকে বিয়ের পিঁড়িতে বসার জন্য বাধ্য করা হচ্ছিল। তবে অবশ্য ভাতার থানার ওসি সৈকত মণ্ডলের জন্য তা আর কেউ করতে পারেনি। তাই এদিন ভালোভাবেই মাধ্যমিকের বাংলা পরীক্ষা দিতে পেরেছি বলে ছাত্রী জানিয়েছে। নাবালিকা ওই ছাত্রী আরও জানিয়েছে,পড়াশুনা ছেড়েদিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসার স্বপ্ন সে দেখেনা। লেখাপড়া শিখে নিজেকে জীবনে প্রতিষ্ঠিত করারই তাঁর এখন একমাত্র লক্ষ্য। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাতারের বেরোয়া গ্রামেরওই ছাত্রীরা দুই বোন। সে ছোট। তাঁর দিদির বিয়ে হয়ে গেছে। তাদের বাবা জনমজুরির কাজ করেন ৷ মা গৃহবধু। মাহাতা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবারে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে ছাত্রীটি । তাঁর সিট পড়েছে এরুয়ার উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে। যে যুবক রবিবার তাঁকে বিয়ে করতে টোপর মাথায় দিয়ে হাজির হয়েছিল তার বাড়ি বর্ধমানের দেওয়ানদিঘি থানার তালিত গ্রামে। ছাত্রীর মা এদিন বলেন, আমাদের আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। বড় মেয়ের বিয়েতে অনেক ধারদেনা হয়ে গেছে। ছোট মেয়ের বিয়ে নিয়ে চিন্তায় ছিলাম।তালিতের পাত্রটিও খারাপ ছিলনা । তার বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পর যখন আমাদের ছোট মেয়েকে বিনাপণে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয় আমরা রাজি হয়ে যাই । তবুও আমরা অনুরোধ করেছিলাম মাধ্যমিক পরীক্ষার পর বিয়ে সম্পন্ন করার জন্য। কিন্তু পাত্রপক্ষ শর্ত রেখেছিল রবিবার রাতেই বিয়ে দিতে হবে। তাই বাধ্য হয়ে আমরা মাধ্যমিক পরীক্ষার আগের দিন রাতে বিয়ের প্রস্তুতি নিয়েছিলাম ।তবে মেয়ের বয়স ১৮ বছর না হওয়ার পুলিশ রাতে আমার বাড়িতে পৌছে বিয়ে বন্ধ করিয়ে দেয় । ১৮ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত মেয়ের বিয়ে দিতে পারবোনা বলে পুলিশের কাছে মুচলেখাও লিখে দিয়েছেন বলে ছাত্রীর অভিভাবকরা জানিয়েছেন। এই ঘটনার কথা জেনে ওই ছাত্রী সহপাঠীরা ভাতার থানার পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছে।
বদলে গেল উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সূচি। চারটি পরীক্ষার দিন বদল হল। সোমবার উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে জানানো হয়েছে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা জন্য উচ্চ মাধ্যমিকের চারটি পরীক্ষার দিন বদল করা হচ্ছে। বাকি পরীক্ষার দিনগুলি অপরিবর্তিত থাকছে। একতরফা ভাবে জয়েন্ট এন্ট্রান্সের রুটিন প্রকাশ করা হয়েছে বলে দাবি সংসদের।মূলত জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার কারণেই এই দিনগুলি বদল করতে হয়েছে। একই দিনে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা পড়ে যাওয়ায় পরীক্ষার্থীরা সমস্যায় পড়তে পারত। তাই এই সিদ্ধান্ত। সংসদের তরফে জানান হয়েছে, এই ঘটনা নজিরবিহীন। কোনও একটি রাজ্যের বোর্ডের অসুবিধা হলে, জয়েন্ট এন্ট্রান্স কর্তৃপক্ষ দিন বদল করবে না। তাই সংসদকেই এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।কোন পরীক্ষা কবে১৩, ১৬, ১৮ ও ২০ এপ্রিলের পরীক্ষাগুলির দিন পরিবর্তন করা হয়েছে।১. ১৩ তারিখে দর্শন ও সমাজবিজ্ঞানের যে পরীক্ষা ছিল, সেটাই বদলে হচ্ছে ১৮ এপ্রিল।২. ১৬ তারিখে যে সব পরীক্ষার হওয়ার কথা ছিল, সেগুলি হল রসায়ন, সাংবাদিকতা, সংস্কৃত, আরবি, ফরাসি। এই পরীক্ষাগুলি হবে, ১৩ এপ্রিল।৩. ১৮ এপ্রিল ছিল স্ট্যাটিসটিক্স, ভূগোল, হোম ম্যানেজমেন্টের পরীক্ষা। বদলে সেই পরীক্ষা হবে ২৫ এপ্রিল।৪. ২০ এপ্রিল ছিল অর্থনীতির পরীক্ষা, যা পিছিয়ে ২৭ এপ্রিল করা হয়েছে।গত বছর করোনা পরিস্থিতির জেরে হয়নি উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। পূর্ব পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতেই ফল প্রকাশ করা হয়েছিল। এবার পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসায় ফের অফলাইনে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। আর তার আগেই বদল হল সূচি। তবে পরীক্ষা শুরুর দিন অপরিবর্তিত রয়েছে। আগামী ২ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে এ বছরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা।
আজ থেকে শুরু হচ্ছে এবছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা। করোনা অতিমারির কাল সময়কে পেরিয়ে এবার পরীক্ষা হবে ফের অফলাইনে। মাধ্যমিকের পরীক্ষা পর্ব নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে সবরকমের ব্যবস্থা করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ রাজ্য সরকার। পরীক্ষার্থীদের সুযোগ-সুবিধার পাশাপাশি কোভিড বিধি নিষেধ মেনে যাতে পরীক্ষা হয় সেদিকেও কঠোর দৃষ্টি রাখছে প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজ্যের পড়ুয়ারা যাতে নির্বিঘ্নে জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা দিতে পারে তার জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে আপামর রাজ্যবাসীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন তিনি।২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে মাধ্যমিক সংক্রান্ত কন্ট্রোলরুম চালু হয়েছে। ০৩৩ ২৩২১৩৮২৭-সহ বেশ কয়েকটি নম্বর পর্ষদের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা শেষ হওয়া পর্যন্ত হেল্পলাইন চালু থাকবে বলে জানিয়েছে পর্ষদ। পরীক্ষার্থীরা যাতে নির্বিঘ্নে পরীক্ষাকেন্দ্রে যাতায়াত করতে পারেন সে জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে গণপরিবহণের ব্যবস্থাও করা হয়েছে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে। পরীক্ষা কেন্দ্রে সিসিটিভি নজরদারি থাকবে। ইন্টারনেটেও নজরদারি চালানো হবে।পর্যাপ্ত পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।এবছর মাধ্যমিকে বসছে ১১ লক্ষ ২৬ হাজার ৮৬৩ জন পরীক্ষার্থী। ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীদের সংখ্য়া এবছর বেশি। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্রীর সংখ্যা ৬ লক্ষ ২৬ হাজার ৮০৪। আর ছাত্রদের সংখ্যা ৫ লক্ষ ৫৯।পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় সাংবাদিক সম্মলনে বলেন, এবছর ৫০ হাজারের মতো পরীক্ষার্থী বেড়েছে। পরীক্ষা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে। পরীক্ষার সেন্টার বা মূল পরীক্ষাকেন্দ্রের সংখ্যা এবছর ১৪৩৫। এছাড়া সাব-ভেন্যু থাকছে ২ হাজার ৭৫৯টি। সব মিলিয়ে মোট পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা চার হাজার ১৫৪টি।
মেষ/ARIES: উৎসাহান্বিত হতে পারেন।বৃষ/TAURUS: প্রতিবেশী বিবাদ হতে পারে।মিথুন/GEMINI: উৎপাদন বৃদ্ধি হতে পারে।কর্কট/CANCER: সহায়তা লাভ করতে পারেন।সিংহ/LEO: ঈর্ষাকাতর হতে পারেন।কন্যা/VIRGO: অযথা চিন্তা করতে পারেন।তুলা/ LIBRA: অনুশোচনা করতে পারেন।বৃশ্চিক/Scorpio: ব্যবসার প্রসার ঘটতে পারে।ধনু/SAGITTARIUS: শক্রুর সঙ্গে সন্ধি করতে পারেন।মকর/CAPRICORN: বেহিসাবি খরচ করতে পারেন।কুম্ভ/AQUARIUS: ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।মীন/ PISCES: রপ্তানি ব্যবসায় লাভ করতে পারেন।
শরীরে বাসা বেঁধেছে মারণ ব্যাধি ক্যানসার। তা বলে জীবনযুদ্ধে হার মানতে চায়না ছাত্রী সামিনা খাতুন। তাঁর একটাই লক্ষ্য, মারণ ব্যাধির সব জ্বালা যন্ত্রণা সব সহ্য করে নিয়েও সাফল্যের সাফল্যের সঙ্গে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া। সেই লক্ষ্য পূরণের জন্য মনের জেদকে সম্বল করেই কিশোরী সামিনা সোমবার বসতে চলেছে মাধ্যমিক পরীক্ষায়। লেখাপড়া শেখার জন্য ছাত্রী সামিনার এমন জীবন সংগ্রামের সাথী হয়েছেন তাঁর বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও। মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে সামিনার যাতে কোন অসুবিধা না হয় সেই ব্যাপারেও প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা নিয়ে রেখেছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এই বছর পূর্ব বর্ধমান জেলায় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ৫৫ হাজার ৪৪৯ জন। তার মধ্যে ছাত্র রয়েছে ২৪,১৩৮ জন । আর ছাত্রী রয়েছে ৩১,৩১৫ জন। এই পরিসংখ্যানই স্পষ্ট করে দিয়েছে এই বছর জেলায় ছাত্রদের থেকে ৭ হাজার বেশী ছাত্রী মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে। সেই ছাত্রীদের মধ্যেই একজন জেলার জামালপুর ব্লকের রামনাথপুর গ্রাম নিবাসী ছাত্রী সামিনা খাতুন। রামনাথপুরের শেখ পাড়ার এক দরিদ্র পরিবারের মেয়ে সামিনা। ছোট্ট দুকুঠুরি ঘরে পরিবারের সকলে বসবাস করেন। সামিনার বাবা শেখ আলম খেতমজুরির কাজ করেন। মা নূরজাহান বেগম সাধারণ গৃহবধূ। সামিনার দিদি আসলিমা বিবাহিতা।ছোট বয়স থেকেই লেখাপড়া শেখার বিষয়ে সামিনার আগ্রহ তৈরি হয়। তাঁর বাবা তাঁকে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করেন গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠ সম্পূর্ণ করে সামিনা ভর্তি হয় স্থানীয় বনবিবিতলা উচ্চ বিদ্যালয়ে। একের পর এক ক্লাসের পরীক্ষায় পাশ করে সামিনা অষ্টম শ্রেণীতে উত্তির্ণ হয়।এই পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও সামিনার জীবনে ছন্দপতন ঘটে যায় এরপরেই। অষ্টম শ্রেণীতে পাঠরত কালেই ছাত্রী সামিনার শারীরিক অসুস্থতা শুরু হয়। তাঁর বাবা মা তাঁকে জামালপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করান।পরিবারের সকলে তখন মনে করেছিলেন জামালপুর হাসপাতালের ডাক্তারবাবুদের চিকিৎসাতেই সামিনা সুস্থ হয়ে উঠবে। কিন্তু তা হয় না। বিভিন্ন ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্টে ধরা পড়ে সামিনার শরীরে বাসা বেঁধেছে মারণ ব্যাধি। তারপর থেকে টানা দুবছর ধরে তাঁর ক্যানসার রোগের চিকিৎসা চলছে।এখন নিয়ম করে সামিনাকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে কেমো থেরাপি ও রেডিয়েশন থেরাপি নিতে যেতে হয়। এর জন্য মাথার চুল সব উঠে যাওয়ায় সামিনা প্রথমে একটু মুষড়ে পড়েছিল ঠিকই। তবে এখন তা নিয়ে সামিনা আর মাথা ঘামাতে চায় না। এখন তাঁর একটাই স্বপ্ন সফল ভাবে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া। সমিনা জানিয়েছে, তাঁর দুই কানের নিচে গলার অংশে ক্যানসার বাসা বেঁধেছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। চিকিৎসা চলছে ঠিকই তবে এখনও খাওয়া দাওয়া সে ভালভাবে করতে পারে না। গলায় খুব ব্যাথা থাকায় ভাত গিলে খেতে পারে না। শুধু পাতলা সুজি কোন রকমে খেয়ে দিনের পরদিন তাঁকে পেট ভরাতে হচ্ছে। তবে কষ্ট যাই থাক লেখাপড়া ছেড়ে দিয়ে সে বিছানায় শুয়ে থেকে দিন কাটাতে চায় না।সামিনা জানায়, তাঁকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় সফল ভাবে উত্তীর্ণ হতে হবেই। তাই মারণ ব্যাধির সব জ্বালাযন্ত্রনা সহ্য করে নিয়ে সোমবার থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবার জন্য মনোনিবেশ করেছে বলে আত্মবিশ্বাসী সামিনা এদিন জানিয়েছে।ছাত্রী সামিনার বাবা শেখ আলম বলেন, আমি খেতমজুরির কাজ করে যে টুকু রোজগার করি তা দিয়েই পরিবারের সকলের দিন গুজরান হয়। দুবছর ধরে আমার ছোট মেয়ে সামিনার ক্যানসার রোগের চিকিৎসা চলছে। মেয়ে এতবড় কঠিন রোগে আক্রান্ত হলেও অর্থের অভাবে তাঁকে পুষ্টিকর খাবারদাবার কিছুই দিতে পারি না।মেয়ের স্কুলের শিক্ষক মহাশয়গণ ছাড়াও জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মেহেমুদ খাঁন, কর্মাধ্যক্ষ ভূতনাথ মালিক, স্কুলের পরিচালন কমিটির সদস্য শেখ জিয়ারুল রহমান সহ আরও কয়েকজন শুভানু্ধ্যায়ী আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। তাই কেমো থেরাপি ও রেডিয়েশন থেরাপির জন্য মেয়েকে নিয়মিত বর্ধমান হাপাতালে নিয়ে যাওয়া নিয়ে আসা ও ওষুধের খরচ জোগাড় করতে পারছি। আলম বাবু আরও বলেন, কঠিন রোগে আক্রান্ত হলেও তাঁর মেয়ে দমে যায়নি। সফল ভাবে মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করার জন্য সে এতদিন পুরোদমে পড়াশুনা চালিয়ে গিয়েছে । সামিনার মা নূরজাহান বেগম বলেন, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাপাতালেই তাঁর মেয়ের চিকিৎসা চলছে। কোন সহৃদয় মানুষ যদি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন তবে মেয়েকে ভিন রাজ্যের বড় কোন হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে নিয়ে যেতে পারেন।বনবিবিতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল রায় বলেন, সামিনা খাতুন আমাদের বিদ্যালয়ের এ- বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। দুবছর আগে ওর শরীরে ক্যানসার ধরা পড়ে। তারপর থেকে ধারাবাহিক ভাবে ওর চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসার জন্য বিদ্যালয়ের তরফে যতটা সম্ভব সামিনাকে সাহায্য করা হয়েছে। সামিনা মাধ্যমিক পরীক্ষায় স-সন্মানে যাতে উত্তীর্ণ হতে পারে তার জন্য বিদ্যালয়ের তরফে সমস্তরকম সহযোগিতা ওর জন্য থাকছে। শ্যামল বাবু এও বলেন, সামিনা আমাদের চোখে জীবন সংগ্রামের যোদ্ধা। জীবন যুদ্ধেও সামিনা যাতে জয়ী হতে পারে সেই লড়াইয়েও সামিনার পাশে রয়েছেন বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক শিক্ষিকারা। মাধ্যমিক পরীক্ষার সেন্টার কমিটির বৈঠকের সময়ে সামিনার অসুস্থতার বিষয়টি বিদ্যালয়ের তরফে লিখিত ভাবে জানিয়ে রাখা হয়েছে।পরিক্ষার দিনগুলিতেও সামিনাকে যাতে কোন অসুবিধায় পড়তে না হয় সেই বিষয়েও বিদ্যালয় নজর রাখবে বলে প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন। জামালপুর ব্লকের বিডিও শুভঙ্কর মজুমদার জানিয়েছেন,ব্লক প্রশাসনও মাধ্যমিক পরীক্ষার সময়ে অসুস্থ ছাত্রী সামিনার পাশে থাকবে। ওর যাতে কোন অসুবিধা না হয় সেই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় যা যা ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন হবে তা নেওয়া হবে।
ইতিহাস পরীক্ষা দিতে গিয়ে হয়তো সব ভুলে যাবে। এমন দুঃশ্চিন্তার জেরে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরুর আগের দিনেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হল এক পরীক্ষার্থী। মৃতর নাম বিশাল চৌধুরী(১৬)। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া থানার আউড়িয়া গ্রামে। আউড়িয়া গ্রামে মামার বাড়িতে থেকে পড়াশুনা করতো আউড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র বিশাল। এদিন বেলায় মামার বাড়ির একটি ঘর থেকে উদ্ধার হয় ছাত্রের ঝুলন্ত মৃতদেহ। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মৃতের মামা রাহুলদেব দাঁ বলেন, ছোট থেকেই বিশাল অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিল। মাধ্যমিকের টেষ্ট পরীক্ষাতেও ৬৮৫ নম্বর পায়। টেষ্টে ইতিহাস বিষয়ে ৮৫ নম্বর পেয়েছিল। কিন্তু ভুলে যাওয়া স্বভাবের কারনে বিশালের মনে আশঙ্কা তৈরি হয় ষে হয়তো ইতিহাস পরীক্ষা দিতে গিয়ে সব ভুলে যাবে। আর তার কারণেই পরীক্ষার ফল খারাপ হয়ে যাবে ধরে নিয়ে কিছুদিন যাবৎ বিশাল খুব টেনশন করতে শুরু করে। রাহুলবাবু বলেন, অহেতুক টেনশন না করার জন্য বিশালকে আমরা বোঝাতাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ও যে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটিয়ে ফেলবে তা আমরা কেউ স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারিনি। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বামী তন্ময় চৌধুরীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় চন্দ্রিকাদেবী তাঁর একমাত্র সন্তান বিশালকে নিয়ে অউড়িয়া গ্রামে বাপের বাড়িতে থাকা শুরু করেন। চন্দ্রিকাদেবী অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী। তন্ময় বাবু কাটোয়াতে থাকলেও স্ত্রী ও একমাত্র ছেলের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক রাখতেন না। সেই সব বিষয়ে মাথা না ঘামিয়ে বিশাল পড়াশুনাতেই বেশী মনোনিবেশ করে থাকতো। বন্ধু বান্ধবদের সঙ্গে বেশী মেলামেশায় না মেতে থেকে সে পড়াশোনা নিয়েই সারাটা দিন নিজেকে ব্যস্ত রাখতো। ইতিহাস পরীক্ষা দিতে গিয়ে সব ভুলে যাবে এমন আশঙ্কা সে কিছু দিন যাবৎ প্রকাশ করতে শুরু করে। মাধ্যমিক পরীক্ষার দিন যত ঘনিয়ে আসতে থাকে ততই বিশালের উদ্বেগ বাড়তে থাকে। এদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর চা বিস্কুট খেয়ে সে দোতলায় নিজের ঘরে পড়তে চলে যায়। তখন একতলার গৃহস্থালীর কাজকর্ম করছিলেন চন্দ্রিকাদেবী। হঠাৎ দুতলা থেকে একটা আওয়াজ পেয়ে তিনি উপরে ছুটে যান। দেখেন ছেলের ঘরের দরজা বন্ধ। তারপর তিনি দোতলার ঘরের জানালার ফাঁক দিয়ে দেখেন ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ছেলের দেহ ঝুলছে। চন্দ্রিকাদেবী চিৎকার শুরু করলে পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা ছুটে যায়। তারা দরজা ভেঙে বিশালকে উদ্ধার করে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ক্রিকেটে ভারতপাকিস্তান মানেই টানটান উত্তেজনা। গতবছর পুরুষদের টি২০ বিশ্বকাপে এই ছবিটা দেখা যায়নি। একপেশে ম্যাচে ভারতকে বিধ্বস্ত করেছিলেন বাবর আজমরা। বিরাট কোহলিদের সেই পরাজয়ের মধুর প্রতিশোধ নিলেন মিতালি রাজরা। মহিলাদের বিশ্বকাপের একপেশে ম্যাচে পাকিস্তানকে ১০৭ রানে উড়িয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করল ভারত। একদিনের বিশ্বকাপে অভিষেক ম্যাচেই উইকেটের পেছনে পাঁচটি শিকার করে রেকর্ড গড়লেন বাংলার রিচা ঘোষ। একমাত্র মহিলা ক্রিকেটার হিসেবে ৬টি বিশ্বকাপ খেলার অনন্য নজির গড়লেন ভারতের অধিনায়ক মিতালি রাজও। নিউজিল্যান্ডের মাউন্ট মাউঙ্গানুইতে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক মিতালি রাজ। শুরুটা ভাল হয়নি ভারতের। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই আউট হন শেফালি ভার্মা (০)। এরপর স্মৃতি মান্ধানা ও দীপ্তি শর্মা জুটি দলকে টেনে নিয়ে যান। দ্বিতীয় উইকেটের জুটিতে ৯২ রান তুলে চাপ কাটান। ৪০ রান করে বাইশতম ওভারের শেষ বলে আউট হন দীপ্তি। এরপরই ধস নামে ভারতের ইনিংসে। ২ ওভার পরেই আউট হন ওপর ওপেনার স্মৃতি মান্ধানা। ৭৫ বলে তিনি করেন ৫২। স্মৃতি আউট হওয়ার পরপরই ফিরে যান হরমনপ্রীত কাউর (৫), রিচা ঘোষ (১), মিতালি রাজরা (৯)। একসময় ১১৪ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে যথেষ্ট চাপে পড়ে যায় ভারত। এরপর রুখে দাঁড়ান স্নেহ রানা ও পূজা বস্ত্রকার। পাল্টা আক্রমণ শানিয়ে পাকিস্তান বোলারদের ছন্দ নষ্ট করে দেন। দুজনে মিলে জুটি বেঁধে তোলেন ১২৪। ৫৯ বলে ৬৭ রান করে আউট হন পূজা বস্ত্রকার। ৪৮ বলে ৫৩ রান করে অপরাজিত থাকেন স্নেহ রানা। ৩ বলে ৬ রান করে অপরাজিত থাকেন ঝুলন গোস্বামী। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ভারত তোলে ২৪৪/৭। ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানের দুই ওপেনার সিদ্রা আমিন ও জাভেরিয়া খান ভারতের দুই প্রারম্ভিক বোলার ঝুলন গোস্বামী ও মেঘনা সিংয়ের আঁটোসাটো বোলিংয়ের সামনে একেবারেই সুবিধা করতে পারেননি। পাওয়ার প্লেতে পাকিস্তানের রান তোলার গতি খুবই মন্থর ছিল। পরের দিকে রানের গতি বাড়াতে গিয়ে রাজেশ্বরীকে উইকেট উপহার দেন জাভেরিয়া (১১)। আর পাকিস্তান অধিনায়ক বিসমা মারুফকে (১৫) তুলে নেন দীপ্তি শর্মা। ওমাইমা সোহেলকে (৫) ফেরান স্নেহ রানা। দ্বিতীয় স্পেলে বোলিং করতে এসে সিদ্রা আমিন (৩০) ও নিদা দারকে (৪) তুলে নেন ঝুলন গোস্বামী। এরপরই রাজেশ্বরীর দাপটে ভেঙে পড়ে পাকিস্তানের ব্যাটিং। ৪৩ ওভারে ১৩৭ রানে গুটিয়ে পাকিস্তান। ৩১ রানে ৪ উইকেট নেন রাজেশ্বরী। ২৬ রানে ২ উইকেট নেন ঝুলন গোস্বামী। ২৭ রানে ২ উইকেট স্নেহ রানার। এদিকে, প্রথম উইকেটকিপার হিসেবে বিশ্বকাপের অভিষেক ম্যাচেই পাঁচটি শিকার করে রেকর্ড গড়লেন রিচা শর্মা। উইকেটের পেছনে সিদ্রা আমিন, বিসমা মারুফ, নিদা দার ও নাশরা সান্ধুর ক্যাচ ধরেন। আলিয়া রিয়াজকে দুর্দান্ত স্টাম্পড করেন। অন্য কোনও ক্রিকেটারের এই নজির নেই। ৬টি বিশ্বকাপ খেলে নজির গড়েছেন মিতালি রাজও। ৫টি করে বিশ্বকাপ খেলার নজির রয়েছে নিউজিল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার ডেবি হকলে ও ইংল্যান্ডের শার্লট এডওয়ার্ডসের। তাঁদের রেকর্ড ভেঙে দিলেন মিতালি। মহিলা ও পুরুষ মিলিয়ে তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ৬টি বিশ্বকাপ খেলার নজির স্পর্শ করলেন। এই কৃতিত্ব রয়েছে জাভেদ মিয়াঁদাদ ও শচীন তেন্ডুলকারের।
মেষ/ARIES: প্রতারণায় অর্থক্ষতি হতে পারে।বৃষ/TAURUS: কর্তব্য পালনে অটল হতে পারেন।মিথুন/GEMINI: মতবিরোধ হতে পারে।কর্কট/CANCER: মূর্চ্ছাপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।সিংহ/LEO: অপত্যস্নেহ করতে পারেন।কন্যা/VIRGO: প্রেমে বিঘ্ন হতে পারে।তুলা/ LIBRA: সহায়তা লাভ করতে পারেন।বৃশ্চিক/Scorpio: নৈরাশ্য মুক্ত হতে পারে।ধনু/SAGITTARIUS: অস্থি ভঙ্গ হতে পারে।মকর/CAPRICORN: আয়বৃদ্ধির যোগ রয়েছে।কুম্ভ/AQUARIUS: মানসিক উদ্বেগ হতে পারে।মীন/ PISCES: উন্নতির যোগ রয়েছে।
চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা আগামী সোমবার শুরু হচ্ছে। পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের মতো ঘটনা এড়াতে এবং নির্বিঘ্নে পরীক্ষার পর্ব সম্পন্ন করতে রাজ্য সরকার একগুচ্ছ ব্যবস্থা নিয়েছে। পরীক্ষার দিনগুলোতে ইন্টারনেটে প্রশ্ন ফাঁস বা অন্য সমস্যা রুখতে যে সমস্ত এলাকায় নেট সার্ভারে অনিয়ম হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে সেই এলাকাগুলোতেই বিশেষভাবে নজরদারির ব্যবস্থা করা হচ্ছে।পরীক্ষার সময় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে নবান্নে একপ্রস্থ বৈঠক সেরেছেন পুলিশ কর্তারা। প্রথমে ঠিক হয়েছিল পরীক্ষার দিনগুলোতে প্রশ্ন ফাঁস আটকাতে হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ রাখা হবে। তবে পরে সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা ভেবে এই সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়।আগামী ৭,৯,১১,১২ ও ১৪ তারিখ মাধ্যমিক পরীক্ষার দিনগুলোতে সকাল ১১টা থেকে দুপুর সওয়া ৩টে অবধি ইন্টারনেটে সাইবার বিশেষজ্ঞ দলের বিশেষ নজরদারি থাকবে বলে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে।এছাড়া প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরারও ব্যবস্থা থাকছে। পুলিশকেও বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ায় এবার অফলাইনেই মাধ্যমিক পরীক্ষা হচ্ছে।তবে করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এবার হোম সেন্টারেই হবে পরীক্ষা।পরীক্ষা চলাকালীন কঠোরভাবে কোভিড বিধি নিষেধ মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে পরীক্ষার্থীদের শারীরিক দূরত্ব বিধি মেনে বসাতে বলা হয়েছে। মাস্ক ও স্যানিটাইজার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পাশাপাশি অন্য কোনও পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে পেন, পেন্সিল, স্কেল ব্যবহারেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গাঙ্গুলী শনিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, সব মিলিয়ে চার হাজার ১৫৪টি কেন্দ্রে ১১ লাখ ২৬ হাজার ৮৬৩ জন পরীক্ষার্থী এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে। যেটা একটা রেকর্ড। এর মধ্যে ৬ লক্ষ ২৬ হাজার ৮০৪ জন ছাত্রী রয়েছে। সকাল পৌনে বারোটায় পরীক্ষা শুরু হবে। পরীক্ষার্থীরা প্রশ্নপত্র পড়ার জন্য পনেরো মিনিট সময় পাবেন। বেলা তিনটে পর্যন্ত পরীক্ষা চলবে। প্রশ্ন ফাঁস এড়াতে পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা পনেরো মিনিটের আগে ছাত্রছাত্রীরা কক্ষের বাইরে বের হতে পারবেন না।করোনার বাড়বাড়ন্তের কারণে গত বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছিল। এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা হচ্ছে অফলাইনে।৭ মার্চ থেকে ১৬ মার্চ অবধি চলবে পরীক্ষা। ইতিমধ্যেই অ্যাডমিট কার্ড হাতে পেয়ে গেছেন পড়ুয়ারা। এর আগে হোয়াটসঅ্যাপে মাধ্যমিকের প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সেই কথা মাথায় রেখেই এবার বিশেষভাবে নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকছে মাধ্যমিক পরীক্ষায়।
মেষ/ARIES: শুভ প্রয়াস করতে পারেন।বৃষ/TAURUS: সম্পর্কের অবনতি হতে পারে।মিথুন/GEMINI: চিত্তচাঞ্চল্য হতে পারে।কর্কট/CANCER: শ্বাসকষ্ট হতে পারে।সিংহ/LEO: আনন্দানুষ্ঠানে বিপত্তি হতে পারে।কন্যা/VIRGO: কর্মী অশান্তি হতে পারে।তুলা/ LIBRA: শুভ যোগাযোগ হতে পারে।বৃশ্চিক/Scorpio: চারুকলায় খ্যাতিলাভ করতে পারেন।ধনু/SAGITTARIUS: অবৈধ প্রণয় হতে পারে।মকর/CAPRICORN: মর্যাদা বৃদ্ধি পেতে পারে।কুম্ভ/AQUARIUS: যকৃতের রোগ হতে পারে।মীন/ PISCES: প্রতিবেশীবিবাদ হতে পারে।
শুক্রবারের প্রার্থনা চলাকালীন পেশোয়ারের কোছা রিসালদার এলাকায় এক মসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে ইতিমধ্যেই ৩০ জন মারা গিয়েছেন এবং এখনও অবধি পাওয়া খবর অনুযায়ী ৫০ জন আহত হয়েছেন। আহত ও মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় পেশোয়ার শহরের পুলিশ প্রধান মহম্মদ আইজাজ খান জানিয়েছেন, দুই জন হামলাকারী মসজিদে ঢোকার চেষ্টা করেন। সেখানে উপস্থিত দুই পুলিশ কর্মীর ওপর আততায়ীরা গুলি চালিয়েছেন। গুলিতে এক পুলিশকর্মীর মৃত্যু হয়েছে এবং অপর এক পুলিশকর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। খান জানিয়েছেন, গুলি চালনার ঘটনার পরই মসজিদ বিস্ফোরণে শব্দে কেঁপে ওঠে। সাংবাদিকদের ওই পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন বিস্ফোরণের ফলে অনেকেই আহত হয়েছেন এবং পুলিশের একটি বড় দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে। আইজাজ খানের মতে, বিস্ফোরণের কারণ ও কী ধরনের বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছিল, এখনই তা বলা সম্ভব নয়। তবে কোনও তথ্য পেলে তা জানানো হবে।বিস্ফোরণে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ঘটনার প্রবল নিন্দা করে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন দ্রুত উদ্ধারকাজ শেষ করার। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করাতে যাতে কোনও অসুবিধা না হয় সে নিয়ে আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন।মসজিদে বিস্ফোরণের পর সেখানে পুলিশের পাশাপাশি পাকিস্তান সেনা বাহিনীর দলও পৌঁছে গিয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে। বিস্ফোরণস্থল ঘিরে ফেলা হয়েছে। ঘটনাস্থলে ইতিমধ্যেই বোম্ব স্কোয়াড পৌঁছে গিয়েছে এবং এলাকা পরিদর্শন করে দেখছে সেখানে আর কোনও বোমা আছে কিনা। বোমা বিস্ফোরণে আহতদের পেশোয়ারের লেডি রিডিং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, বিস্ফোরণে আহত অনেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। পুলিশ জানিয়েছে এটি একটি আত্মঘাতী জঙ্গি হানা ছিল।
অন্ধকার নামলেই শুরু হয়ে যায় দামোদরের পাড় লাগোয়া চর থেকে অবৈধ ভাবে বালি তুলে পাচার। তার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার শম্ভুপুর এলাকার দামোদরের পাড়ের বোল্ডার পিচিং। এই ঘটনা দেখে গ্রাম বাঁচাতে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হলেন শম্ভুপুর গ্রামের বাসিন্দারা। তাঁরা ঘটনা নিয়ে গণস্বাক্ষর সম্বলিত অভিযোগ পত্র ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে পঠিয়েছেন। পাশাপাশি জেলাশাসকের দফতরেও জমা দিয়েছেন অভিযোগ পত্র। মুখ্যমন্ত্রী কি ব্যবস্থা নেন সেদিকেই আপাতত তাকিয়ে শম্ভুপুর গ্রামের বাসিন্দারা। পাশাপাশি তাঁরা হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন, এত কিছুর পরেও যদি নদি পাড়ের বোল্ডার পিচিংয়ের ক্ষতি করে বালি তোলা বন্ধ না হয় তবে তা রুখতেই নিজেরাই আশরে নামবেন। জামালপুর ব্লকের বেরুগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রত্যন্ত গ্রাম শম্ভুপুর। এই গ্রামেের এক পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে দামোদর নদ। পূর্বে নদি পাড়ের ভাঙনে এলাকার অনেক চাষির জমি নদি গর্ভে চলে যায়। বিপন্ন হতে বসে শম্ভুপুর গ্রামের একটা বড় অংশ।বিপর্যয়ের হাত থেকে শম্ভুপুর গ্রামকে বাঁচাতে দামোদর পাড়ের বিস্তীর্ণ এলাকা বোল্ডার দিয়ে বাঁধিয়ে দেওয়া হয়। তার পরথেকে শম্ভুপুর গ্রামের মানুষজন স্বস্তিতেই ছিলেন।কিন্তু সম্প্রতি গ্রামবাসীদের রাতের ঘুম ফের কেড়ে নিয়েছে অসাধু বালি কারবারী।গ্রামবাসীরা ওই বালিকারবারীদের বিরুদ্ধেই এখন রুখে দাঁড়িয়েছেন। গ্রামবাসীরা লিখিত ভাবে মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছেন, এক বালি কারবারী বর্ধমান সদর ২ ব্লকের বড়শুলের গোপালপুর মৌজায় বালি খাদানের লিজ পেয়েছেন। সেই খাদান থেকে বালি লোড হওয়া ট্রাক ও ডাম্পারগুলির গোপালপুর মৌজার ঘাট দিয়েই যাবার কথা। কিন্তু তা না করে ওই বালি কারবারী জামালপুর ব্লকের শম্ভুপুরে অবৈধ ভাবে নদির বাঁধ কেটে গাড়ি যাতায়াতের ঘাট চালু করেছে। এমনকি সন্ধ্যা নামলেই ওই বালি কারবারীর লোকজন জেসিবি মেশিন নিয়ে গোপালপুর থেকে শম্ভুপুর মৌজা এলাকায় চলে আসছে। এরপর তারাই শম্ভুপুর এলাকার দামোদর পাড়ের বোল্ডার পিচিং লাগোয়া চর থেকে দেদার বালি তুলে নিয়ে ট্রাকে ও ডাম্পারে লোড করে পাচার করাচ্ছে। গ্রামবাসীদের আরও অভিযোগ, গ্রীন ট্রাইব্যুনালের রায়কে সম্পূর্ণ ভাবে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই শম্ভুপুর এলাকায় অবৈধ ভাবে বালি তুলে পাচার করা হচ্ছে। একারণে শম্ভুপুর গ্রামে দামোদর পাড়ের বোল্ডার পিচিং মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।বোল্ডার পিচিং ধসে পড়লে শম্ভুপুর গ্রাম ফের দামোদরের গ্রামের মুখে পড়ে বিপন্ন হবে বলে গ্রামবাসীরা আশংকা প্রকাশ করেছেন। জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ ভূতনাথ মালিক অভিযোগ করেছেন, প্রতিদিন অতিমাত্রায় ওভারলোড বালির লরি ও ডাম্বার এই এলাকা দিয়ে গিয়ে একেবারে নষ্ট করে দিয়েছে কালাড়াঘাট থেকে পলেমপুর যাবার নবনির্মিত পিচ রাস্তা। এই বিষয়েটি নিয়ে খুব শীঘ্রই তাঁরা রাজ্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন বলে জানিয়েছেন।গ্রামবাসীদের তোলা অভিযোগ যে অমূলক নয় তা ব্লক ভূমি দফতরের আধিকারিকদের কথাতেই এদিন স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। ভূমি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শম্ভুপুর এলাকা দিয়ে বালির গাড়ি নিয়ে যাবার জন্য যে ঘাট করা হয়েছে সেটি অবৈধ ভাবেই করা হয়েছে। সেই কারণে ভূমি দফতর জামালপুর থানায় এফআইআর করেছে।এছাড়াও জামালপুরের জোড়বাঁধ ও সেলিমাবাদ মৌজা এলাকায় অবৈধ খাদান খোলার অভিযোগ পেয়ে ভূমি দফতর তা নিয়েও এফআইআর করেছে। যদিও এই দুই এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, এফআইআর যাই হোক না কোন, সন্ধ্যায় পর থেকে ভোর পর্যন্ত এই দুই এলাকার অবৈধ খাদান থেকে নিত্যদিন বালি লুঠ চলেই যাচ্ছে। বালি লুঠ বন্ধের কোন ব্যবস্থাও হয়নি । জানা গিয়েছে, শম্ভুপুর গ্রামের বাসিন্দাদের আনা অভিযোগের বিষয়টি জানার পরেই পুলিশ বুধবার রাতে ওই অবৈধ ঘাট এলাকায় অভিযান চালায়। চারটি বালির লরি বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি পুলিশ ওই লরিগুলির চালককে গ্রেফতার করেছে। সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে বৃহস্পতিবার পুলিশ চার ধৃতকেই পেশ করে বর্ধমান আদালতে। যদিও আদালতের নির্দেশে ধৃত চার লরিটালকই এদিন জামিনে ছাড়া পেয়ে যান।
যুদ্ধ পরিস্থিতির মাঝেই ইউক্রেন থেকে জোরকদমে উদ্ধারকার্য চালাচ্ছে ভারত সরকার । আগামী ৮ মার্চের মধ্যে ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশগুলি থেকে মোট ৪৬টি বিশেষ বিমানে ভারতীয়দের ফেরত আনা হবে। তবে এরইমাঝে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছিল রুশ প্রশাসনের দাবিতে। বুধবারই রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে দাবি করা হয়েছিল যে, খারকিভে একদল ভারতীয় পড়ুয়াকে বন্দি করে রেখেছে ইউক্রেনীয় সেনা। তবে এদিন সকালে ভারত সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল যে, ভারতীয় পড়ুয়াদের পণবন্দি করে রাখার কোনও খবর মেলেনি। যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনে এখনও আটকে থাকা ভারতীয়দের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে।Our response to media queries regarding reports of Indian students being held hostage in Ukraine ⬇️https://t.co/RaOFcV849D pic.twitter.com/fOlz5XsQsc Arindam Bagchi (@MEAIndia) March 3, 2022এদিন সকালেই বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী টুইট করে বলেন, আমাদের কাছে ইউক্রেনে ভারতীয় পড়ুয়াদের পণবন্দি হয়ে থাকার কোনও খবর নেই। খারকিভ ও পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধার করে দেশের পশ্চিম অংশে পাঠানোর জন্য বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করার কথাও বলা হয়েছে ইউক্রেনীয় প্রশাসনকে।গতকালই রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র বলেন, আমাদের তথ্য অনুযায়ী, ইউক্রেনীয় প্রশাসন জোর করে একদল ভারতীয় পড়ুয়াকে খারকিভে আটকে রেখেছে। ওই পড়ুয়ারা ইউক্রেনের সীমান্ত পার করে বেলগার্ডে যাওয়ার চেষ্টা করছিল, কিন্তু তাদের জোর করে বন্দি বানিয়ে রাখা হয়েছে। রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী ভারতীয় নাগরিকদের সুরক্ষিতভাবে উদ্ধারকার্যে সবরকমের সাহায্যের জন্য প্রস্তুত এবং তাদের উদ্ধার করে রাশিয়ার সীমান্ত দিয়ে ভারতের সামরিক বা উদ্ধারকারী বিশেষ বিমানে করে দেশে পাঠাতেও আগ্রহী।
মেষ/ARIES: অপচেষ্টা করতে পারেন।বৃষ/TAURUS: মানসিক অতৃপ্তি জন্মাতে পারে।মিথুন/GEMINI: দাম্ভিকতায় ক্ষতি হতে পারে।কর্কট/CANCER: শ্বাসকষ্ট হতে পারে।সিংহ/LEO: আনন্দানুষ্ঠানে বিপত্তি হতে পারে।কন্যা/VIRGO: কর্মী অশান্তি হতে পারে।তুলা/ LIBRA: শুভ যোগাযোগ হতে পারে।বৃশ্চিক/Scorpio: চারুকলায় খ্যাতিলাভ করতে পারেন।ধনু/SAGITTARIUS: অবৈধ প্রণয়ে জড়িয়ে পড়তে পারেন।মকর/CAPRICORN: মর্যাদা বৃদ্ধি পেতে পারে।কুম্ভ/AQUARIUS: যকৃতের রোগ হতে পারে।মীন/ PISCES: প্রতিবেশীবিবাদ হতে পারে।
মেষ/ARIES: শ্লেষ্মাবৃদ্ধি হতে পারে।বৃষ/TAURUS: পারিবারিক সমস্যা তৈরি হতে পারে।মিথুন/GEMINI: ভ্রমণে বিপদ হতে পারে।কর্কট/CANCER: চাকরীক্ষেত্রে সুনাম বৃদ্ধি পেতে পারে।সিংহ/LEO: বিমান যাত্রার যোগ রয়েছে।কন্যা/VIRGO: সৎকর্মে ব্যয় হতে পারে।তুলা/ LIBRA: মনে কষ্ট পেতে পারেন।বৃশ্চিক/Scorpio: প্রফুল্লতা জন্মাতে পারে।ধনু/SAGITTARIUS: বিবাহের যোগাযোগ হতে পারে।মকর/CAPRICORN: ক্রোধান্বিত হতে পারেন।কুম্ভ/AQUARIUS: মিত্রলাভ করতে পারেন।মীন/ PISCES: ব্যবসায় সমস্যা হতে পারে।
মেষ/ARIES: প্রিয়জনের সান্নিধ্য লাভ করতে পারেন।বৃষ/TAURUS: দ্রব্যাদিলাভ করতে পারেন।মিথুন/GEMINI: অর্থ ও যশলাভ করতে পারেন।কর্কট/CANCER: গীতবাদ্যানুরাগ হতে পারে।সিংহ/LEO: অনুগ্রহলাভ করতে পারেন।কন্যা/VIRGO: কর্মে বিভ্রান্তি হতে পারে।তুলা/ LIBRA: আমাশয়ে কষ্ট পেতে পারেন।বৃশ্চিক/Scorpio: হতাশা জন্মাতে পারে।ধনু/SAGITTARIUS: কন্যার জন্য দুশ্চিন্তা হতে পারে।মকর/CAPRICORN: মতান্তর হতে পারে।কুম্ভ/AQUARIUS: সম্পত্তি সংস্কারে ব্যয় হতে পারে।মীন/ PISCES: সুপরামর্শে লাভ করতে পারেন।
ইউক্রেনে রুশ হামলার মুখে পড়ে নিহত ভারতীয় পড়ুয়া। মঙ্গলবার খারকিভে বোমা বিস্ফোরণের ফলে এই ভারতীয় পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ইতিমধ্যেই এই কথা জানিয়েছেন। এই পড়ুয়া উত্তর কর্নাটকের বাসিন্দা। মৃত ছাত্রের নাম নবীন শেখারাপ্পা জ্ঞানগউধর। নবীন মেডিক্যাল কলেজের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ছিলেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে দোকানের লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন নবীন। সেই মুহূর্তেই ওই জায়গায় আছড়ে পড়ে রুশ বোমা। এর ফলেই তাঁর মৃত্যু হয়।বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি একটি টুইট বার্তায় জানান, গভীর দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, আজ সকালে খারকিভে বিস্ফোরণের ফলে একজন ভারতীয় পড়ুয়া প্রাণ হারিয়েছে। মন্ত্রণালয় তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। আমরা পরিবারের প্রতি আমাদের গভীর সমবেদনা জানাই। টুইট করে শোকপ্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।With profound sorrow we confirm that an Indian student lost his life in shelling in Kharkiv this morning. The Ministry is in touch with his family.We convey our deepest condolences to the family. Arindam Bagchi (@MEAIndia) March 1, 2022 রুশ বাহিনীর বোমাবর্ষণে ভারতীয় ডাক্তারি পড়ুয়া নবীন শেখারাপ্পা জ্ঞানগউধরের মৃত্যুর পরই কূটনৈতিক সক্রিয়তা শুরু করল নরেন্দ্র মোদি সরকার। মঙ্গলবার বিকেলে নয়াদিল্লির রুশ এবং ইউক্রেনীয় রাষ্ট্রদূতকে তলব করে এ বিষয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে বলে বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর। ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে টুইট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।Deeply anguished that an Indian student, Naveen Gyanagoudar, has lost his life today in shelling in Kharkiv, Ukraine.My heartfelt condolences to his family and friends. Such tragedies numb us. Mamata Banerjee (@MamataOfficial) March 1, 2022বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, অবিলম্বে খারকিভ-সহ বিভিন্ন শহরে আটকে পড়া ভারতীয়দের ইউক্রেনের বাইরে যাওয়ার জন্য নিরাপদ পথ (সেফ প্যাসেজ) দেওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে যুধুধান দুই পক্ষকে। বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিঙলা পৃথক ভাবে রুশ এবং ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক করে এই বার্তা দেন।বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি টুইটারে লিখেছেন, খারকিভ-সহ যুদ্ধবিধ্বস্ত শহরগুলিতে যে ভারতীয় নাগরিকেরা আটকে পড়েছেন, তাঁদের অবিলম্বে নিরাপদ নিষ্কাশনের পথ দিতে বিদেশ সচিব ফের রাশিয়া এবং ইউক্রনের রাষ্ট্রদূতের কাছে দাবি জানিয়েছেন।মঙ্গলবার, যুদ্ধের ষষ্ঠ দিনে ইউক্রেনের বিভিন্ন শহর লক্ষ্য করে আক্রমণের অভিঘাত বাড়িয়েছে রুশ সেনা। মরণপণ প্রতিরোধ করছে ইউক্রেন ফৌজও। এই পরিস্থিতিতে সেখানে আটক ভারতীয়, বিশেষত পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত নরেন্দ্র মোদী সরকার। নিহত নবীনের এক বন্ধু জানাচ্ছেন, খাবার আনতে বেরিয়ে ছিল তাঁর বন্ধু। বাকিরা হস্টেলে থাকলেও নবীন ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতেন। তাঁর ওই ফ্ল্যাটটি ঠিক গভর্নর হাউসের পিছনে। সেখানেই হামলা করেছে রুশ সেনা।
পুরসভা ভোটে অনিয়মের অভিযোগে বিরোধীদের তোলা পুনঃনির্বাচনের দাবি খারিজ করে দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তবে শ্রীরামপুর পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বুথে ও দক্ষিণ দমদম পুরসভার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বুথে ফের ভোটগ্রহণ করা হবে। ওই দুটি বুথে ইভিএম খারাপ হয়ে যাওয়ায় ভোট প্রক্রিয়া ব্যাহত হয় বলে কমিশন সূত্রে খবর।এদিন রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসকে রাজভবনে ডেকে পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকেই রাজ্যপাল কমিশনারকে বলেন যে সব পুরসভায় সন্ত্রাস হয়েছে বলে বিরোধীরা অভিযোগ করছে সেখানে পুনর্নির্বাচন হোক। যদিও কমিশনার তাঁকে জানেন, কমিশন এইভাবে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে না। জেলাশাসকেরা যে রিপোর্ট পাঠাবেন সেই রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করেই কমিশন কোনও বুথে পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তবে এখনও পর্যন্ত জেলাশাসকদের তরফে তেমন কোনও রিপোর্ট আসেনি কমিশনের কাছে। তাই পুনর্নির্বাচনের কোনও সম্ভাবনা নেই। রবিবার রাজ্যের ১০৮টি পুরসভায় ছিল নির্বাচন। ওইদিন প্রায় ১০ হাজার বুথে নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করেন রাজ্যের প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ। সেই নির্বাচনকে ঘিরে বিরোধীরা হাজারো অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে, এমনকী বিজেপির তরফে কাঁথি পুরসভার নির্বাচন বাতিল করে ফের ভোটগ্রহণের আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা ঠোকাও হয়েছে। কিন্তু এদিন রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, কোনও বুথ থেকেই কোনও বড় রকমের কোনও অনিয়মের রিপোর্ট আসেনি। তাই কোনও পুরসভার কোনও বুথেই আর পুনর্নির্বাচন হচ্ছে না। তবে দুটি বুথে ইভিএম খারাপ হয়ে যাওয়ায় সেখানে মঙ্গলবার ফের ভোটগ্রহণ করা হবে।
কচুরিপানা নিয়ে হেলাফেলা করার দিন শেষ হতে চলেছে। এইবার কচুরিপানা দিয়েই তৈরি হবে নজরকাড়া হস্তশিল্প সামগ্রী। দুই মাস ধরে প্রশিক্ষণ নেওয়া পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীর স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে ওইসব হস্তশিল্প সামগ্রী তৈরী করবেন। এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ নিজে উদ্যোগ নিয়ে পূর্বস্থলী ১ ব্লকের বড়কোবলা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে মহিলাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন। প্রশিক্ষণ কতটা সার্থক হয়েছে তা খতিয়ে দেখতে সোমবার মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পৌছান। সেখানে তাঁর সঙ্গেই বিডিও দেবব্রত জানা ও রিজিওনাল হ্যান্ডিক্র্যাফটস প্রমোশন অফিসার পীযূস সিংহ ও উপস্থিত থাকেন। মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ এদিন বলেন, কচুরিপানা পরিবেশ বান্ধব। সেই কচুরিপানা দিয়ে হস্তশিল্প তৈরি করার জন্য প্রথম পর্যায়ে কুড়িজন মহিলাকে বেছে নেওয়া হয়। তাঁদের ২ মাস ধরে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সব কিছু খতিয়ে দেখে তাঁদের আরও দু-সপ্তাহ প্রশিক্ষন দেওয়ার সিদ্ধান্ত এদিন নেওয়া হয়। তারপর স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর ওই মহিলারাই কচুরিপানা দিয়ে নজরকাড়া নানান হস্তশিল্প সামগ্রী তৈরী করবেন। উৎপাদিত সেইসব হস্তশিল্প সামগ্রী বিপণনের ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি কালনা নবদ্বীপ ও বর্ধমান শহরেও তা বিক্রির ব্যবস্থা করা হবে। মন্ত্রী জানিয়ে দেন, কচুরিপানা দিয়ে তৈরি হস্তশিল্প সামগ্রীর জন্য তিনি নিজে সেলসম্যানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হবেনপুকুর কিংবা জলাশয়ে কচুরিপানা ভরে থাকলে তা কিভাবে কাজে লাগানো যায় এতদিন সেই ভাবে কেউ মথা ঘামাননি। কিন্তু কচুরিপানা দিয়েও যে হস্তশিল্প সামগ্রী তৈরি করা যায় সেই দিশা প্রথম দেখায় পূর্বস্থলীর যুবক রাজু বাগ। পূর্বস্থলী ১ ব্লকের বাঁশদহ বিল সহ এলাকার খালবিলে জন্মানো কচুরিপানা দিয়ে রাজু নজরকাড়া ডিজাইনের ঘর সাজানোর সামগ্রী তৈরি করে তাক লাগিয়ে দেয়। কচুরিপানা ভালোভাবে শুকিয়ে সেগুলি দিয়ে সে বিভিন্ন ডিজাইনের ঝুড়ি, ম্যাট, ব্যাগ সহ ঘর সাজানোর জিনিস তৈরী করে দেখায়। যুবক রাজুর এই শিল্প কীর্তি এলাকার বিধায়ক তথা মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের তা নজরে আসতেই তিনি নড়েচড়ে বসেন। কিছুদিন আগে খালবিল ও চুনোমাছ উৎসবে রাজুর তৈরী করা সেই হস্তশিল্পের একটি প্রদর্শনীরও ব্যবস্থা করে দেন মন্ত্রী। কচুরিপানা দিয়ে তৈরী হস্তশিল্পের সেই কাজ শিখে এলাকার মহিলা ও অন্যান্যরা স্বনির্ভর হতে পারবে ধরে নিয়ে মন্ত্রী তাঁর বিধানসভা এলাকায় প্রশিক্ষণ কেন্দ্রও খোলান। খালবিল ওয়েলফেয়ার সেসাইটি ওই প্রশিক্ষণ শিবিরের যাবতীয় খরচ বহন করে।