শুধু টাকার বিনিময়ে প্রাথমিক শিক্ষক, ৯৪ জনের চাকরি গেল পাকাপাকি
টেটই পাস করেননি, তবে চাকরি জুটেছিল প্রাথমিক শিক্ষক পদে। টাকার বিনিময়ে নাকি এই চাকরি হয়েছিল। শেষরক্ষা হল না শেষপর্যন্ত আদালতেও সঠিক নথি পেশ করতে ব্যর্থ হন ওই ৯৪ জন প্রাথমিক শিক্ষক। এরপরই প্রথামিক শিক্ষা পর্ষদ ওই ৯৪ জনের চাকরি বাতিলের কথা আদালতে জানিয়েছে।উল্লেখ্য, মানিক ভট্টাচার্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি থাকালীনই ওই ৯৪ জনকে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরিতে নিয়োগ করা হয়েছিল। যাঁরা টেট পাস করেননি।প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একাধিক মামলা হয়েছে। সেই সংক্রান্ত একটি মামলাতেই বিচারপতি অমৃতা সিনহা প্রশ্ন তুলেছিলেন যে কীভাবে টেট পাশ না করে চাকরি পেলেন প্রার্থীরা। পর্ষদের কাছে রিপোর্ট তলবও করেছিলেন বিচারপতি সিনহা। সেই রিপোর্টেই পর্ষদ জানিয়েছিল, টেট পাশ না করেই ২০১৪ ও ২০১৬ সালে চাকরি পেয়েছেন এমন ৯৬ জন প্রাথমিকে শিক্ষক হিসাবে কাজ করে চলেছেন। যা নিয়ে সর্বত্র শোরগোল পড়ে যায়।এরপরই বিচারপতি সিনহা ওই ৯৬ জনকে পর্ষদের কাছে তাঁদের নিয়োগ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নথি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। উচ্চ আদালতের নির্দেশ মোতাবেক ওই ৯৬ জনের থেকে নথি চেয়ে পাঠায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। জানা যায়, ৯৬ জনের মধ্যে ৯৪ জনই সঠিক নথি পেশ করতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে ওই ৯৪ জনের চাকরি বাতিল করল পর্ষদ। চাকরি বাতিলের নির্দেশ ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট ডিপিএসসি চেয়ারম্যানদের জানানো হয়েছে। আগামী সোমবার থেকেই পর্ষদের নির্দেশ কার্যকর হবে।