• ৫ পৌষ ১৪৩২, মঙ্গলবার ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Leader,

রাজ্য

Khela Hobe: খেলা হবে দিবসে ডিজে বাজিয়ে চিয়ার লিডারদের মাঠে নাচানো নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক

খেলা হবে দিবস-এ জমজমাট জঙ্গলমহল। ডিজে বাজিয়ে চিয়ার লিডারদের নাচের তালে অনুষ্ঠিত হল ফুটবল খেলা। যা নিয়ে সোমবার শোরগোল পড়ে যায় পূর্ব বর্ধমানের আউসগ্রাম ২ ব্লকের ভাল্কি অঞ্চলের রাণীগঞ্জে। এখানকার খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত খেলা হবে দিবস অনুষ্ঠানে চিয়ার লিডারদের ডিজের তালে নাচা নিয়ে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছে। যদিও অনুষ্ঠানের আয়োজকরা এমন অনুষ্ঠান আয়োজনের পক্ষে তাঁদের সাফাইও যথারাতি দিয়েছেন।আরও পড়ুনঃ শিকেয় উঠল সামাজিক দূরত্ব, রণক্ষেত্র দুয়ারে সরকারমুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়ের ঘোষণা অনুযায়ী রাজ্যের অন্যান্য জেলার পাশাপাশি সোমবার পূর্ব বর্ধমান জেলার সর্বত্র খেলা হবে দিবস অনুষ্ঠিত হয়। তার মধ্যে আউসগ্রাম ২ ব্লকের ভাল্কি অঞ্চল জাঁকজমক পূর্ণভাবেই ফুটবল খেলার আয়োজন করে। ভাল্কির রাণীগঞ্জ এলাকার মাঠে দর্শকের ভিড়ও হয়েছিল নজর কাড়া। খেলা শুরু হতেই হঠাৎচিয়ার লিডাররা মঞ্চে উঠে নাচ পরিবেশন করতে শুরু করায় মাঠে উপস্থিত সবাই হতবাক হয়েযান।কেউ কেউ মুগ্ধ হলেও এলাকার অনেকেই বিষয়টি মেনে নিতে না পেরে ক্ষোভ প্রকাশও করেন । তাঁদের বক্তব্য গ্রামীন এলাকায় এইসব কালচার নেই। চিয়ারলিডারদের মাঠে না নামানো হলেই ভালো হত।আরও পড়ুনঃ ১২ ঘন্টার দীর্ঘ লড়াই শেষে ১২ তম ইন্ডিয়ান আইডল স্নিগ্ধ হাওয়া পবনদীপএই বিষয়ে ভাল্কি অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অরূপ মিদ্দা সাফাই, এখন সিনেমা, থিয়েটার বন্ধ। বিনোদন বলে কিছু নেই। তাই একটু বিনোদন দিতেই এই আয়োজন রাখা হয়েছিল। যদিও ওই এলাকার তৃণমূল কর্মী কল্যাণ মিশ্র বলেন, খেলা হবে দিবসের অনুষ্ঠানে ফুটবল খেলার আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু চিয়ার লিডারদের নাচের কোন অনুষ্ঠান ছিল না। কি করে এসব করা হল তা তিনি জানেন না । আউশগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক অভেদানন্দ থাণ্ডার বলেন, জানি না কি হয়েছে। খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।

আগস্ট ১৬, ২০২১
রাজ্য

TMC Murder: খড়দহে তৃণমূল নেতা খুনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ

বিজেপি-র ছোড়া গুলিতে এক তৃণমূল নেতা খুন হওয়ার অভিযোগ উঠল উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহে। শুক্রবার রাতের ঘটনা। এই ঘটনার পর থেকেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। চাপানউতর শুরু হয়েছে বিজেপি এবং তৃণমূলের মধ্যে। গভীর রাতে খড়দহে তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুন। মৃত রণজয় শ্রীবাস্তব ব্যারাকপুর লোকসভায় তৃণমূলের হিন্দি সংগঠনের সম্পাদক। এই ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে খড়দহ থানার পুলিশ। টিটাগড় পুরসভার প্রশাসক ও তৃণমূল নেতা প্রশান্ত চৌধুরীর অভিযোগ, খুনের পিছনে বিজেপির হাত রয়েছে। গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবকের নাম রণজয় শ্রীবাস্তব। তিনি গাড়ি নিয়ে খড়দহের বিটি রোড ধরে টাটা গেটের দিকে যাচ্ছিলেন। অভিযোগ, তখনই তাঁর গাড়ি ঘিরে ধরে কয়েকজন দুষ্কৃতী। তারপর গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি এবং বোমা ছুড়তে শুরু করে। গুরুতর জখম হন রণজয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসা চলাকালীনই মৃত্যু হয় তাঁর।আরও পড়ুনঃ শুরুতে ধাক্কা সিরাজের, লর্ডসে অ্যাডভান্টেজ ভারতএ নিয়েই রাজনৈতিক তরজা বেধেছে তৃণমূল-বিজেপিদুই দলের মধ্যে। তৃণমূল নেতা প্রশান্ত চৌধুরী এই ঘটনার পিছনে বিজেপিকে দায়ী করেছেন। আবার উল্টো দিকে বিজেপি নেতা অর্জুন সিংয়ের অভিযোগ, পুরোটাই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল। তারই পাল্টা অর্জুন সিং বলেন, প্রশান্ত চৌধুরীর বয়স হয়ে গিয়েছে। এর জন্য কেসটা ঘোরানোর চেষ্টা করছে। পশ্চিমবাংলায় ১৮২ জনের ওপর বিজেপি কর্মী খুন হয়েছে। কালকেই সোদপুরে জয় সাহাকে গুলি করে খুনের চেষ্টা হয়েছে। কাজল সিনহার অনুগামীরা গোষ্ঠী কোন্দলে জড়িয়ে। বিজেপি খুনের রাজনীতি করেনি। এটা পুরোপুরি ওদের গোষ্ঠীকোন্দলের লড়াই। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, খড়দহের বাগদিপাড়া এলাকায় তাঁকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। মোট চার রাউন্ড গুলি চলে।

আগস্ট ১৪, ২০২১
কলকাতা

BJP: ফিল্মি কায়দায় দরজা ভেঙে বিজেপি নেতাকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ

ঠিক যেন সিনেমার অ্যাকশন দৃশ্য। দরজা ভেঙে অভিযুক্ত বিজেপি নেতাকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। রাজনৈতিক অশান্তির ঘটনার জেরে মধ্য কলকাতার বিজেপি নেতা সজল ঘোষকে তাঁর বাড়ির দরজা ভেঙে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। পুরো পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে এলাকায় তুলকালাম অবস্থা বেধে যায়।স্থানীয় সূত্রের খবর, স্বাধীনতা দিবস পালন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি ঘিরে বৃহস্পতিবার রাতে বিশাল সিং নামে এক বিজেপি কর্মীর দোকান ভাঙচুর করা হয়। স্থানীয় একটি ক্লাবের উপরেও হামলা চালানো হয়। এর জেরে সজলের নেতৃত্বে মুচিপাড়া থানায় বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। তৃণমূল সমর্থকেরাও পাল্টা বিক্ষোভ দেখান বলে অভিযোগ। থানার মধ্যেই দুতরফের বাদানুবাদ হয়। শুক্রবার সকালেও দুদলের সংঘর্ষ বাধে। তৃণমূলের অভিযোগ, দলের স্থানীয় এক যুবনেতার স্ত্রীর শ্লীলতাহানি করেছে সজলের সঙ্গীরা। পুলিশ সূত্রের খবর, সজল এবং তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে ভাঙচুর ও ইভ টিজিং-এর দুটি পৃথক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যদিও অভিযোগ খারিজ করেছেন সজল এবং বিজেপি। আরও পড়ুনঃ তৃণমূলের ত্রিপুরা অভিযান অব্যাহত, আজ যাচ্ছেন ৯ সাংসদশুক্রবার দুপুরে মুচিপাড়া থানার পুলিশকর্মীরা সজলের বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন। মুচিপাড়া থানার ওসি জানলা দিয়ে সজলকে বাড়ির বাইরে আসার কথা বললেও তিনি রাজি হননি। উল্টে তিনি পুলিশের উদ্দেশে বলেন, দরজা ভাঙুন। এর পর পুলিশকর্মীরা লাথি মেরে বাড়ির দরজা ভেঙে ফেলে। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, টেনে-হিঁচড়ে থানায় নিয়ে যাওয়া হয় সজলকে। ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলেন সজলের বাবা প্রদীপ-সহ পরিবারের সদস্যেরা। একদা কংগ্রেস এবং পরবর্তী সময়ে তৃণমূলের নেতা প্রদীপ কলকাতা পুরসভার বিরোধী দলনেতা এবং মেয়র পারিষদ পদে ছিলেন। সজলের গ্রেপ্তারির পরে প্রদীপ বলেন, শ্লীলতাহানি করেছে তৃণমূল। মিথ্যা অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সজলকে।

আগস্ট ১৩, ২০২১
রাজ্য

Boikanthapur GP: পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকে প্রধানকে শাসানোর অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে

পঞ্চায়েতে অফিসে ঢুকে মহিলা পঞ্চায়েত প্রধানকে শাসানোর অভিযোগ উঠল খোদ অঞ্চল তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের বৈকন্ঠপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে।এদিনই সন্ধায় অঞ্চল তৃণমূল নেতা মোজাম্বেল শাহের বিরুদ্ধে বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রধান শর্মিলা মালিক। এই ঘটনা শোরগোল ফেলে দিয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে।আরও পড়ুনঃ নীরজ চোপড়ার ইনস্টাগ্রামে অনুগামীর সংখ্যা দেখলে অবাক হবেন, সংখ্যাটা কত?পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগে প্রধান শর্মিলা মালিক জানিয়েছেন, এদিন বৈকন্ঠপুর ২ অঞ্চলের হাটশিমুল গ্রামের কিছু সমস্যা নিয়ে তিনি সেখানকার কয়েকজনের সঙ্গে পঞ্চায়েত অফিসে আলোচনা করছিলেন। ওই সময়ে দুই জনকে সঙ্গে নিয়ে মোজাম্মেল শাহ পঞ্চায়েত অফিস রুমে ঢুকে তাঁকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এমনকি তাঁকে পঞ্চায়েত থেকে বের করে দেবে বলে রীতিমত শাসায়। পঞ্চায়েত কর্মীরা অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা মোজাম্মেল সাহকে এরপর পঞ্চায়েত থেকে বের করে দেয়। পঞ্চায়েত প্রধান শর্মিলা মালিক বলেন, তৃণমূল নেতা মোজাম্মেল শাহর এমন হুমকি শাসানির করণে তিনি নিরাপত্তার অভাব বোধ করে বর্ধমান থানায় মোজাম্মেল সাহ-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। পঞ্চায়েত প্রধান এদিন আরও বলেন, বিধানসভা ভোটের আগে পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সহ বেশ কয়েকজন সদস্য ও সদস্যা তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছিল। কিন্তু তাতে তাঁরা সফল হয়নি। সেই থেকে তাঁরা পঞ্চায়েতের কোনও মিটিংয়ে আসছেন না। ফলে এলাকার উন্নয়নের কাজও বিঘ্নিত হচ্ছে। এমন অবস্থা তৈরি হওয়ার জন্য মোজাম্মেল শাহ তাঁকে দায়ী করে হামেশাই শাসায়। এমনকী প্রতিদিনই সোশাল মিডিয়ায় তাঁকে উদ্দশ্য করে ওই তৃণমূল নেতা আক্রমণ করে চলেছেন বলেও প্রধান শর্মিলা মালিকের অভিযোগ।আরও পড়ুনঃ বিশ্ব আদিবাসী দিবসে দুয়ারে জাতিগত শংসাপত্র পেলেন জামালপুরের আদিবাসীরাপঞ্চায়েত প্রধান এমন অভিযোগ করলেও তৃণমূল নেতা মোজাম্মেল শাহ তা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, আমি একজন সাধারন মানুষ হিসাবে জানতে গিয়েছিলাম কেন এলাকায় উন্নয়নের কাজ হচ্ছে না। উল্টে প্রধান মেজাজ হারিয়ে তার টেবিলে থাকা কাগজপত্র ফেলে দেন। পঞ্চায়েতে যদি সদস্যদের অনুপস্থিতির জন্য উন্নয়নের কাজ না হয় তাহলে তার নৈতিক দ্বায়িত্ব নিয়ে প্রধানের নিজের পদ থেকে সরে যাওয়া উচিত বলে মোজাম্বেল শাহ দাবী করেছেন। এই বিষয়ে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, কি ঘটেছে তা জানা নেই। তবে দলের উর্ধ্বে উঠে কেউ নিজের মতো করে কিছু দাবী করতে পারে না। সমস্যা বা অভিযোগ থাকতেই পারে। সেই ক্ষেত্রে দলীয় নেতৃত্বকে জানাতে হবে। এটাই আমাদের দলের নিয়ম। ঘটনার বিষয়ে বিজেপির জেলা নেতা কল্লোল নন্দন কটাক্ষ করে বলেন, ভাগ বাটোয়ারা নিয়েই ওনাদের অশান্তি বলে শুনেছি।

আগস্ট ১০, ২০২১
দেশ

Mamata-Kamalnath: মমতার 'ক্ষমতায়' বিশ্বাসী কমলনাথ

বিরোধী জোটে সিলমোহর দিতে দিল্লি সফরে গিয়েছেন। বুধবার তা নিয়ে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধির সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে। তার আগে মঙ্গলবার দিল্লিতে মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা কমল নাথের সঙ্গে দেখা করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বিরোধী জোট গড়ার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছেন মমতা। এই সময় কমলনাথের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ মমতা কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার পর, ২০০১ সালে বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল এবং কংগ্রেসের জোট গড়ার পিছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল কমলনাথের। তাই সনিয়ার সঙ্গে জোট নিয়ে আলোচনার আগে কমলনাথের সঙ্গে পরামর্শ করেই মমতা এগোতে চাইছেন বলে জল্পনা।আরও পড়ুনঃ ইরাক থেকে সরবে মার্কিন সেনামঙ্গলবার দুপুর ২টো নাগাদ দিল্লিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলোয় মমতার সঙ্গে দেখা করতে পৌঁছন কমলনাথ। সেখানে দীর্ঘক্ষণ কথা হয় দুজনের মধ্যে। দুপক্ষের মধ্যে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা নিয়ে তৃণমূল নেত্রী কোনও মন্তব্য করেননি যদিও। তবে ২০২৪-এ জোট গড়ার প্রসঙ্গ যে তাঁদের আলোচনায় উঠে এসেছে, তার ইঙ্গিত মিলেছে। মমতার সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমে কমলনাথ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভিনন্দন জানাতে এসেছিলাম। মূল্যবৃদ্ধি, আইন-শৃঙ্খলা-সহ একাধিক বিষয়ে ওঁর সঙ্গে কথা হয়েছে। ২০২৪-এর আগে জোট গড়া সম্ভব কি না, তা নিয়ে দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলব। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখিয়ে দিয়েছেন, মানুষ পাশে থাকলে, যে কোনও শক্তিকেই রোখা সম্ভব। ২০২৪-এ বিরোধী জোটের চালকের আসনে মমতাকে বসানোর ক্ষেত্রে কমলনাথ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিতে পারেন বলে জল্পনা রাজনৈতিক মহলে।

জুলাই ২৭, ২০২১
কলকাতা

BJP: আচমকাই মত্যু বিজেপি যুব মোর্চার সহ-সভাপতি রাজু সরকারের

বিজেপির যুব মোর্চার বৈঠকের শেষে বড় দুর্ঘটনা। এদিনের বৈঠকে কথা কাটাকাটি হয় বেশ কিছু বিষয় নিয়ে। বৈঠক শেষে দরুণ বিজেপি যুব মোর্চা সহ সভাপতি রাজু সরকার আচমকাই বুকে ব্যাথা অনুভব করেন। তাঁকে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়ই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান বলে খবর সূত্রের।আরও পড়ুনঃ লম্বা চুল রাখা যাবে না, লক্ষ্মীর ফতোয়াহেস্টিংসের দপ্তরে দুদিনের বৈঠক চলছিল যুব মোর্চার। সেই বৈঠকের শেষের উত্তেজিত বাক্য বিনিময় হয় এবং বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন যুব মোর্চার-সহ সভাপতি রাজু সরকার। এরপর আলোচনা শেষে তিনি অফিস থেকে বেরিয়েও যান। পরে নিজের ফেলে যাওয়া ডায়েরি নিতে ফের অফিসে আসেন। তখনই বেরিয়ে আসার সময় তিনি অসুস্থ বোধ করেন। তৎক্ষণাৎ তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু হাসপাতালে কোনও শয্যা মেলেনি। সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ইএম বাইপাসের ধারে অ্যাপেলো হাসপাতালে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, সেখানে নিয়ে যাওয়ার পথেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। বিজেপি সূত্রে খবর, দমদমের নাগেরবাজার এলাকার বাসিন্দা ছিলেন রাজু। তাঁর মৃত্যুতে যুব মোর্চায় নেমে এসেছে শোকের আবহ।এই বিষয়ে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

জুলাই ২৬, ২০২১
রাজ্য

Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এফআইআর

সোমবারই জেলার পুলিশ সুপারকে কাশ্মীর বদলির হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই শুভেন্দু অধিকারী-সহ একাধিক বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে এক ডজন স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ।করোনাকালে সরকারি নিয়ম লঙ্ঘন করে জমায়েত করা-সহ একাধিক কারণে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। তমলুক থানার পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিতভাবে এই মামলা করেছে। এফআইআরে শুভেন্দু ছাড়াও নাম রয়েছে একাধিক বিজেপি বিধায়ক এবং নেতাদের। ময়নার বিধায়ক অশোক দিন্ডা, ভগবানপুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি, খেজুরির বিধায়ক শান্তনু প্রামাণিক, দক্ষিণ কাঁথির বিধায়ক অরূপ কান্তি দাস এবং হলদিয়ার বিধায়ক তাপসী মণ্ডলের নাম রয়েছে এই এফআইআর-এ।আরও পড়ুনঃ টোকিওতে কেন গেমস ভিলেজে থাকছেন না ১ নম্বর মহিলা টেনিস তারকা?ভোটের ফল প্রকাশের পর বিজেপি কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো থেকে একাধিক অভিযোগে সোমবার তমলুকে জেলা পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাও করে বিজেপি। জেলার বিজেপি বিধায়ক ছাড়াও সেই সভায় হাজির ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। সেই সমাবেশ থেকেই পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা পুলিশ সুপার অমরনাথকে কাশ্মীরে বদলির হুমকি দেন তিনি।পুলিশ সূত্রে দাবি, বেআইনি জমায়েত, সরকারি কাজে বাধাদান, পুলিশের ফোনে আড়িপাতা, পুলিশকে হুমকি দেওয়া, ষড়যন্ত্র-সহ একাধিক অভিযোগে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১০ টির বেশি ধারা প্রয়োগ করা হয়েছে বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে।

জুলাই ২০, ২০২১
রাজ্য

Mangalkote: মঙ্গলকোটে খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার ২ দলীয় কর্মীই

গুলি করে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকে খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার দলেরই দুই সক্রিয় কর্মী। ঘটনা জানাজানি হতেই বৃহস্পতিবার ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের রাজনৈতিক মহলে। গত সোমবার মঙ্গলকোটের লাখুরিয়া অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি অসীম দাসকে খুনের ধৃতরা হলেন সাবুল শেখ ও সামু শেখ। প্রথমজনের বাড়ি মঙ্গলকোটের কল্যাণপুর গ্রামে। অপর ধৃত মঙ্গলকোটের কোটালঘোষ গ্রামের বাসিন্দা। সাবুল ও সামু দুজনেই সক্রিয় তৃণমূল কর্মী বলে এলাকায় পরিচিত। ধৃত সাবুলের দাবি সে লাখুরিয়া অঞ্চল তৃণমূলের সহ-সভাপতি। পুলিশ দুই ধৃতকেই এদিন পেশ করে কাটোয়া মহকুমা আদালতে। তদন্তের প্রয়োজনে তদন্তকারী অফিসার এদিন দুই ধৃতকেই ১২ দিনের জন্য নিজেদের হেপাজতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানান। বিচারক ধৃতদের ৭ দিনের পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।আরও পড়ুনঃ নিয়মে বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে আসছে দ্য হান্ড্রেড ক্রিকেটমঙ্গকোটের লাখুড়িয়া অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি অসীম দাস গত সোমবার সন্ধ্যায় বাইকে চেপে সিউর গ্রামে নিজের বাড়িতে ফিরছিলেন। পথে সিউর মোড়ে দুস্কৃতিরা অসীম দাসের বাইক দাঁড় করিয়ে খুব কাছ থেকে তার বুক লক্ষ করে গুলি চালিয়ে পালায়। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষ রক্ষা হয়নি। চিকিৎসক অসীম দাসকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর দিন মৃতর ছেলে সুনন্দ দাস অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীদের নামে মঙ্গলকোট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর পুলিশের পাশাপাশি সিআইডির দলও ঘটনার তদন্তে নামে। খুনের ঘটনার তদন্তে বিশেষ তদন্ত কমিটি সিট গঠন করা হয়। এদিন রাজ্যের ফরেনসিক দলের বিশেষজ্ঞ চিত্রাক্ষ সরকার ও অভিজিৎ মাণ্ডির নেতৃত্বে পাঁচ সদস্য সিউর এলাকার খুনের ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখেন। তাঁরা ঘটনাস্থল সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন। পাশাপাশি তাঁরা ওই দিনের ঘটনা পুনর্নির্মাণ করেন।আরও পড়ুনঃ কফি ডেটে যেতে চান শ্রীলেখা! কিন্তু কার সঙ্গে?অঞ্চল সভাপতি অসীম দাস খুন হওয়ার পর মঙ্গলকোটের তৃণমূল নেতৃত্ব দাবি করেছিলেন খুনের ঘটনায় বিজেপি জড়িত। কিন্তু মৃতের পরিবারের লোকজনই সেই দাবিকে কার্যত নস্যাৎ করে দিয়েছিলেন। তাঁরা অভিযোগ করেছিল, দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই অসীম দাস খুন হয়েছেন। বুধবার নিহত অসীম দাসের পরিবার সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, অপরাধীরা যে দলেরই হোক ছাড়া হবে না। পুলিশকে তিন দিনের মধ্যে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে হবে।আরও পড়ুনঃ নতুন মেগা আসছে পিয়ালীরপুলিশ জানিয়েছে, ২০১৬ সাল থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে ধৃত দুজনের বিরুদ্ধে মঙ্গলকোট থানায় আটটি করে অভিযোগ রয়েছে। মাদক পাচারের ঘটনায় দীর্ঘদিন জেলে ছিল খুনের ঘটনায় ধৃত সামু শেখ। মাস খানেক আগে জেল থেকে ছাড়া পেয়ে সামু গ্রামে ফেরে। পুলিশের দাবি জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত দুজনই খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা কবুল করেছে। ঘটনার এই দুই ধৃত ছাড়াও আরও অনেকের জড়িত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে পুলিশ কর্তারা মনে করছেন।আরও পড়ুনঃ ইচ্ছে ছবির ১০ বছর, আবেগে ভাসলেন পরিচালকমঙ্গলকোট ব্লকের তৃণমূল সভাপতি তথা বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী এদিন যদিও দাবি করেন, সাবুল তাঁদের দলের কোনও পদাধিকারী নয়। সমর্থক হতে পারে। অপর ধৃত সামুর সঙ্গে বিজেপির যোগ রয়েছে। তবে বিজেপির সাংগঠনিক জেলা (কাটোয়া) সহ-সভাপতি রাণাপ্রতাপ গোস্বামী বলেন, আমরা ঘটনার পর থেকেই বলছিলাম তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই খুনের ঘটনা ঘটেছে। দুজন গ্রেপ্তার হওয়ার পর সেটাই পরিষ্কার হয়ে গেল।

জুলাই ১৫, ২০২১
কলকাতা

BJP woman Leader: বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় জখম বিজেপি নেত্রী

প্রাতঃভ্রমণ করতে গিয়ে গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর আহত হন এক বিজেপি নেত্রী। বৃহস্পতিবার সকালে হাওড়া ডুমুরজলায় এই ঘটনা ঘটে। তাঁকে ইচ্ছাকৃতভাবে ধাক্কা মারা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিজেপির রাজ্য মহিলা মোর্চার সদস্য প্রিয়াঙ্কা শর্মা। আরও পড়ুনঃ ধর্মঘটে ন্যাশনাল মেডিক্যালের গ্রুপ ডি কর্মীরাবৃহস্পতিবার ভোর ৫টা নাগাদ, হাওড়ার দাসনগরের বাসিন্দা বিজেপি নেত্রী প্রিয়াঙ্কা শর্মা ডুমুরজলার রিং রোডে এক সঙ্গীর সঙ্গে যখন প্রাতঃভ্রমণ করছিলেন, সেই সময়ে হঠাৎই একটি কালো রঙের আইটেন গাড়ি দ্রুতগতিতে এসে পিছন থেকে তাঁকে ধাক্কা মারে। বিজেপি নেত্রীর দাবি, তিনি রাস্তার ধার দিয়েই হাঁটছিলেন, তাঁকে পিছন থেকে এসে ধাক্কা মারে গাড়িটি। ছিটকে রাস্তায় পড়েন তিনি। অভিযোগ, ইচ্ছাকৃতভাবে পর পর দুবার গাড়িটি তাঁকে ধাক্কা মেরে দ্রুতগতিতে চম্পট দেয়। আশেপাশে থাকা অন্য প্রাতঃভ্রমণকারীদের সাহায্যে তিনি হাসপাতালে যান। ডান হাতে ও পায়ে চোট লেগেছে তাঁর। স্থানীয় চ্যাটার্জিহাট থানায় ঘটনার বিবরণ দিয়ে অভিযোগ জানান প্রিয়াঙ্কা। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনাটি ইচ্ছাকৃত, নাকি দুর্ঘটনা তা জানতে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেছে পুলিশ।

জুলাই ১৫, ২০২১
কলকাতা

Covid: প্রয়াত ভাঙড় আন্দোলনের নেত্রী শর্মিষ্ঠা চৌধুরী

লড়াকু জীবন যে কোনও প্রতিকূল পরিস্থিতিকে চ্যালেঞ্জ করে জয়ী হয়ে ফেরাই অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল। কিন্তু শেষমেশ কোভিডের কাছে হার মানতে হল ভাঙড়ের কৃষক আন্দোলেন নেত্রী শর্মিষ্ঠা চৌধুরীকে। করোনা পরবর্তী শারীরিক জটিলতায় ভুগে মাত্র ৩৯ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন সিপিআইএমএল (রেড স্টার) নেত্রী। অপূরণীয় ক্ষতি, বলছেন সহযোদ্ধারা। অনেকের মতে, শর্মিষ্ঠার প্রয়াণে গণআন্দোলনের একটা পর্যায় ধাক্কা খেল।জানা গিয়েছে, গত ১ মে করোনা ভাইরাসে (Coronavirus) আক্রান্ত হন শর্মিষ্ঠা চৌধুরী। ২১ দিন পর কোভিড নেগেটিভও হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু তারপর থেকে শরীর ক্রমশ খারাপ হতে থাকে তাঁর। শর্মিষ্ঠার সহযোদ্ধা, গণআন্দোলনের এক নেতা অসীম গিরি জানিয়েছে, শর্মিষ্ঠার বরাবরই পেটের একটা গুরুতর সমস্যা ছিল। তা প্রায়ই ভোগাত তাঁকে। করোনার ধাক্কায় শরীরের সেই সংক্রমণও ছড়িয়ে পড়ছিল। ফলে স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছিল শর্মিষ্ঠার। দিন চারেক আগে এসএসকেএমে ভর্তি করানো হয় তাঁকে। সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন। রবিবার দুপুরে সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ৩৯ বছরের নেত্রী।শর্মিষ্ঠার কথা বললেই স্বাভাবিকভাবেই চলে আসে ভাঙড়ের (Bhangar) পাওয়ার গ্রিড-বিরোধী আন্দোলন প্রসঙ্গ। এই আন্দোলনেরই অন্যতম নেত্রী ছিলেন শর্মিষ্ঠা। সিপিআইএমএলের (রেড স্টারে) আরেক নেতা, শর্মিষ্ঠার স্বামী অলীক চক্রবর্তীর নেতৃত্বে সংগঠিত হয়েছিল এই আন্দোলন। কৃষিজমিতে পাওয়ার-গ্রিড তৈরি হলে তা ব্যাপক ক্ষতিকারক, ভাঙড়বাসীর মধ্যে এই সচেতনতা প্রচারের দায়িত্ব নিয়েছিলেন তাঁরা। একসময়ে ভাঙড় থেকে অলীক-শর্মিষ্ঠাকে গ্রেপ্তারও করা হয়। তাঁর মুক্তির দাবিতে সরব হয়েছিলেন সব পক্ষ। শেষপর্যন্ত অবশ্য পাওয়ার-গ্রিড বিরোধী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে বাধ্য হয়েছিল রাজ্য সরকার। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নো ভোট টু বিজেপি প্রচারে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিলেন শর্মিষ্ঠা।

জুন ১৩, ২০২১
রাজ্য

বিরোধী দলনেতা বাছতে ২ কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকের উপস্থিতিতে বৈঠকে বিজেপি

দলের অভ্যন্তরে আদি-নব্য বিবাদের কথা মাথায় রেখেই বিরোধী দলনেতা নির্বাচনে বসছে গেরুয়া শিবির। বিরোধী দলনেতা কে হবেন তা নিয়ে দলীয় বিধায়কদের মতামত নিতে সোমবার কলকাতায় পরিষদীয় দলের বৈঠকে বসছে বিজেপি। এছাড়া এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে নিযুক্ত দলের দুই পর্যবেক্ষক কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ভূপেন্দ্র যাদব।বিরোধী দলনেতা বাছতে রবিশঙ্কর প্রসাদ ও ভূপেন্দ্র যাদবকেই দায়িত্ব দিয়েছেন অমিত শাহ ও জেপি নাড্ডারা। সেই মতো এদিন সকালে হেস্টিংস কার্যালয়ে বসবে বিজেপির পরিষদীয় দলের বৈঠক। দলের নবনির্বাচিত ৭৭ জন বিধায়ককে ডাকা হয়েছে বৈঠকে। এছাড়া, রাজ্যের শীর্ষনেতারাও থাকবেন। বৈঠকে বিধায়কদের কাছ থেকে মতামত নেওয়া হবে বিরোধী দলনেতা ঠিক করার বিষয়ে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, সবার মতামত নিয়ে ঐকমত্যের ভিত্তিতেই বিরোধী দলনেতা নির্বাচন করা হবে।এদিকে সূত্রের খবর, বিরোধী দলনেতা উপর থেকে কাউকে চাপিয়ে দিতে নারাজ বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। কারণ, রাজ্যে দলের আশানুরূপ ফল না হওয়ার পিছনে সেই আদি-নব্য দ্বন্দ্ব ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। দলে নতুন আসা ব্যক্তিদের প্রাধান্য দেওয়ার ফলেই এই অবস্থা বলে দাবি আদি নেতা-কর্মীদের। তৃণমূল থেকে বিজেপিতে এসে টিকিট পেয়ে যাওয়াদের অধিকাংশই হেরে গিয়েছেন। এই দলবদলুদের ভালভাবে নেয়নি মানুষ। তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। এমনটাই মনে করছেন রাজ্য বিজেপির পুরনো নেতা-কর্মীরা। কাজেই বিরোধী দলনেতা নির্বাচন সহমতের ভিত্তিতেই করতে চায় শীর্ষনেতৃত্ব। তবে বিরোধী দলনেতা হিসাবে শুভেন্দু অধিকারীর পাল্লাই ভারী বলে মনে করা হচ্ছে। মুকুল রায়ের নাম প্রথমে থাকলেও মুকুলবাবুর শরীর ভাল নেই। বিরোধী দলনেতা হলে সারা রাজ্যজুড়েই ছুটে বেড়াতে হবে। মুকুল রায়ের পক্ষে সেই ছোটাছুটি সম্ভব নয়। কারণ তাঁর শরীর ঠিক নেই। কিন্তু রাজ্য বিজেপির পুরনো নেতৃত্বের একটা বড় অংশই আবার চাইছে মনোজ টিগ্গাকেই বিরোধী দলনেতা করা হোক। মাদারিহাটের বিধায়ক মনোজ টিগ্গা এবারও জয়ী হয়েছেন। এর আগে পরিষদীয় দলের নেতাও তিনি ছিলেন।

মে ১০, ২০২১
রাজ্য

'নগরের নটী' পায়েল-তনুশ্রীদের হার নিয়ে বিজেপিকে তোপ তথাগতর

বেহিসেবি মন্তব্যে অনেক কাল ধরেই তাঁর বেশ নামডাক। তবে এত দিন তথাগত রায়ের সেই সব মন্তব্য ধাবিত হত বিজেপি-বিরোধীদের প্রতি। কিন্তু বঙ্গ দখলের লড়াই শেষ হতে সেই তথাগত রায়ের দিকে তোপ এ বার ধেয়ে গেল দলীয় নেতৃত্বের দিকে। বিজেপি-র তারকা প্রার্থীদের একাংশকে নাম করে নগরীর নটী বিশেষণ দেওয়া হোক বা দলীয় নেতৃত্বকে প্রভু হিসেবে উল্লেখ করা বাছা শব্দচয়নে শুধু কটাক্ষই নয়, বিজেপি নেতৃত্বকে প্রশ্নবাণেও বিদ্ধ করেছেন তিনি।মঙ্গলবার বিজেপি-র বর্ষীয়ান নেতা তথাগত টুইট করে দলের তিন তারকা প্রার্থী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, পায়েল সরকার ও তনুশ্রী চক্রবর্তীকে টিকিট দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ওই তিন প্রার্থীর কার্যকলাপ নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি দিলীপ ঘোষ, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, শিব প্রকাশ, অরবিন্দ মেননের ভূমিকাকেও জিজ্ঞাসাচিহ্নের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছেন তিনি। তথাগত মঙ্গলবার সকালে টুইট করেন। সেখানে তিনি লেখেন, পায়েল, শ্রাবন্তী, পার্নো ইত্যাদি নগরীর নটীরা নির্বাচনের টাকা নিয়ে কেলি করে বেড়িয়েছেন আর মদন মিত্রর সঙ্গে নৌকাবিলাসে গিয়ে সেলফি তুলেছেন তাঁদেরকে টিকিট দিয়েছিল কে? কেনই বা দিয়েছিল? দিলীপ-কৈলাশ-শিবপ্রকাশ-অরবিন্দ প্রভুরা একটু আলোকপাত করবেন কি?এর পর তিনি আর একটি টুইট করে আগের বক্তব্যে একটু সংশোধন করেন। সেখানে তিনি জানান, পার্নো নয় ওই নামটি তনুশ্রী চক্রবর্তী হবে। তিনি প্রথমে ভুল করে লিখে ফেলেছিলেন বলে জানিয়েছেন তথাগত। রাজনীতিতে পোড় খাওয়া তথাগতর বেহিসেবি মন্তব্য নিয়ে আগেও বিতর্ক হয়েছে। বিরোধীদের উদ্দেশে তাঁর মন্তব্য নিয়ে আগেও বহু বার সমালোচিত হয়েছেন তিনি। এ বার দলের দিকে তোলা তাঁর প্রশ্নে রীতিমতো অস্বস্তিতে দল। প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য না করলেও বিজেপি নেতাদের তরফে জানানো হয়েছে, এটা তথাগতর নিজের বক্তব্য। দলের মন্তব্য নয়।

মে ০৪, ২০২১
রাজ্য

আইকোর মামলায় এবার মানস ভুঁইঞাকে তলব ইডির

পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পর এবার ভুয়ো আর্থিক সংস্থা আইকোর মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তলব পেলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মানস ভুঁইঞা। সূত্রের খবর, তাঁকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। আগামী শুক্রবারের মধ্যে ইডি দপ্তরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ রয়েছে ওই নোটিসে। পাশাপাশি, একই মামলার তদন্তে তলব করা হয়েছে মদন মিত্রর ছেলে স্বরূপ মিত্রকে। তাঁকে ২৩ তারিখ ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে খবর। যদিও ইডির এই নোটিস প্রাপ্তি নিয়ে কেউই কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি।এর আগে বুধবার রাজ্যের বিদায়ী মন্ত্রী তথা বেহালা পশ্চিমের তৃণমূল প্রার্থী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও আগামী সপ্তাহে ইডি দপ্তরে হাজিরা দেওয়ার জন্য নোটিস পাঠানো হয়েছিল। সেই আইকোর মামলাতেই তাঁকে তলব করা হয়েছে। পাশাপাশি, কলকাতা পুরসভার এক বিদায়ী কাউন্সিলরকেও নোটিস পাঠানো হয়েছে। এর আগেও পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। তবে নির্বাচনী ব্যস্ততার কারণে তিনি পরে দেখা করবেন বলে জানিয়েছিলেন। সূত্রের খবর, আইকোরের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পার্থ ও বাপ্পাদিত্যকে মঞ্চে দেখা গিয়েছিল। চিটফান্ড সংস্থাটির সঙ্গে তাঁদের আর্থিক কোনও লেনদেন ছিল কি না, তা জানতেই ডেকে পাঠানো হয়েছে।এবার আইকোর মামলায় ইডির সেই তালিকায় যুক্ত হলেন মানস ভুঁইঞাও। তাঁকে এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে তদন্তকারীদের মুখোমুখি হওয়ার জন্য। পাশাপাশি, তৃণমূলের আরেক নেতা মদন মিত্রর ছেলে স্বরূপকেও ডেকে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থাটি। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত, রাজ্যে নির্বাচন চলাকালীন কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি এভাবে বিভিন্ন মামলায় শাসকদলের নেতাদের স্ক্যানারে এনে চাপ তৈরির চেষ্টা করছে। আইকোর মামলায় ইডির নোটিস পেয়ে কি মানস ভুঁইঞা সরাসরি তদন্তকারীদের মুখোমুখি হবেন নাকি অন্যভাবে সাড়া দেবেন, সেদিকেই নজর ওয়াকিবহাল মহলের।

এপ্রিল ১৬, ২০২১
কলকাতা

খুন নয়, আত্মহত্যাই করেছেন দিনহাটার বিজেপি নেতা, রিপোর্ট বিবেক দুবের

খুন বা রাজনৈতিক অশান্তিতে মৃত্যু নয়, দিনহাটার বিজেপি নেতা আত্মহত্যাই করেছেন। সূত্রের খবর, ভোটের আগে শাসকদলকে কার্যত স্বস্তি দিয়ে রাজ্য কমিশনের তরফে নিযুক্ত পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে এমনই রিপোর্ট দিলেন। অর্থাৎ পুলিশ পর্যবেক্ষকের রিপোর্টে বিজেপি নেতাদের অভিযোগ কার্যত খারিজ হয়ে গেল। এখন এই রিপোর্টের ভিত্তিতেই নির্বাচন কমিশন বিষয়টি দেখবে।গত বুধবার সকালে দিনহাটা শহর মণ্ডলের বিজেপি সভাপতি অমিত সরকারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। বিজেপি কার্যালয়ের লাগোয়া পশু চিকিৎসালয়ের বারান্দায় তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান প্রাতঃভ্রমণকারীরা। তাঁকে খুন করে দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগে সরব হয় বিজেপি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে দিনহাটায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশকে দেহ উদ্ধার করতে বাধা দেয় বিজেপি কর্মীরা। পরে অবশ্য দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ। এদিকে, এই ঘটনায় রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেন দলীয় কর্মীরা। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে যান দিনহাটার বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক। সেখানকার তৃণমূল প্রার্থী তথা বিদায়ী বিধায়ক উদয়ন গুহর বিরুদ্ধেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা। এই গুঞ্জনও শোনা যায়, তিনি এবার ভোটে প্রার্থী হতে না পেরে অবসাদে আত্মহত্যা করেছেন। ঘটনার জেরে পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে নির্বাচন কমিশনও নড়েচড়ে বসে। এ রাজ্যে নিযুক্ত দুই পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে, অজয় নায়েককে। কমিশনের নির্দেশ পাওয়া মাত্রই তাঁরা কপ্টারে পৌঁছে গিয়েছিলেন এলাকায়। বিজেপির মণ্ডল সভাপতি অমিত সরকারের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। কথা বলেন তাঁর দেহের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকের সঙ্গে। সমস্ত রিপোর্ট খতিয়ে দেখে সোমবার তাঁরা কমিশনকে রিপোর্ট পাঠান।

মার্চ ২৯, ২০২১
রাজ্য

কাল নির্বাচনী প্রচারে একাধিক রোড শো করবেন মিঠুন চক্রবর্তী

আচমকাই রাজনীতির জগতে ফিরে এসেছেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। যোগ দিয়েছেন গেরুয়া শিবিরে। এর পর থেকেই বাংলার অলি-গলিতে একটাই প্রশ্ন, ভোটে দাঁড়াচ্ছেন অভিনেতা? বিজেপির অন্দরের খবর বলছে, একুশের নির্বাচনে খাস কলকাতার আসনে প্রার্থী হচ্ছেন বাংলার মানুষের এক সময়ের হার্টথ্রব মিঠুন চক্রবর্তী। তিনি ভোটে লড়তে পারেন কাশীপুর-বেলগাছিয়া আসন থেকে। যদিও এই সিদ্ধান্তে এখনও চূড়ান্ত সিলমোহর পড়েনি। এরইমধ্যে বঙ্গে রোড শো করতে আগামিকাল আসছেন মিঠুন চক্রবর্তী। বিজেপি সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার ছাতনা, সালতোড়া, ঝাড়গ্রাম, রায়পুরে রোড শো করবেন তিনি। সকাল ৯টা ৫ মিনিট নাগাদ ছাতরা বাংলার মঠ হেলিপ্যাডে নামবেন মিঠুন। এরপর বান আসুরিয়া, সালতোড়া, মেজিয়া, দুর্লভপুরে রোড শো করবেন। দুপুর ২ টো ১৫ মিনিটে সারদা বিদ্যাপীঠ রামকৃষ্ণ বিদ্যালয় থেকে জামদা পেট্রোল পাম্প পর্যন্ত রোড শো করবেন। বিকেল ৪ টে ১০ মিনিট নাগাদ সারেঙ্গা দোবিন্দপুর পাম্প মোড় থেকে সারেঙ্গা চৌরাস্তা , এলাহাবাদ ব্যাংক মোড় পর্যন্ত পথসভা করবেন। সূত্রের খবর, ২৮ মার্চও ইন্দাস ও কেশপুরে বেশ কয়েকটি রোড শো করবেন মিঠুন চক্রবর্তী।

মার্চ ২৪, ২০২১
কলকাতা

দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব

সর্বশেষ খবর যা শোনা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবার বাংলার বিধানসভা ভোটের জন্য প্রথম পর্যায়ের প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা করবে বিজেপি। কারণ, দলের লক্ষ্য, প্রথম দুদফার ভোটে যাঁরা প্রার্থী, তাঁদের আগামী রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্রিগেড সমাবেশে হাজির করা।বিজেপি-র রীতি অনুযায়ী দিল্লি থেকেই ঘোষণা করা হবে প্রার্থীদের নাম। সেই কারণে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দিল্লিতে দলের সংসদীয় কমিটি বৈঠকে বসবে। তাতে যোগ দিতে বুধবার কলকাতা থেকে রওনা দিলেন রাজ্য বিজেপি-র শীর্ষনেতৃত্ব। দুপুর পর্যন্ত জানা ছিল, সেই বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন না রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু সন্ধ্যায় দিল্লিগামী চার্টার্ড বিমানে ওঠেন তিনিও। শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গিয়েছে, অমিত শাহ তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছেন।প্রার্থিতালিকা চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে সোম-মঙ্গল-বুধ তিন দিন রাজ্য নেতারা দফায় দফায় বৈঠক করেন। আদি ও নব্য বিজেপি নেতা-কর্মীদের সমান গুরুত্ব দিয়ে প্রাথমিক তালিকা তৈরির কাজ চলে। কিন্তু আগে থেকেই ঠিক ছিল, সেই তালিকা চূড়ান্ত করবেন অমিত। তিনিই ঠিক করবেন ২৯৪টি বিধানসভা আসনে কোথায় কে প্রার্থী হবেন। বিজেপি সূত্রে বৃহস্পতিবার বিকেলে জানা যায়, দিল্লিতে তালিকা চূড়ান্ত করার বৈঠকে যোগ দিতে যাচ্ছেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, কেন্দ্রীয় নেতা শিবপ্রকাশ, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অরবিন্দ মেনন, মুকুল রায়। যাচ্ছেন রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী ও সদ্য তৃণমূল থেকে বিজেপি-তে যোগ দেওয়া রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।এক শুভেন্দু-ঘনিষ্ঠ জানিয়েছেন, ফোন করে অমিত শুভেন্দুকে অতি অবশ্যই দিল্লি যেতে বলেন। জানান, বৃহস্পতিবারের বৈঠকে তাঁর উপস্থিত থাকা গুরুত্বপূর্ণ। এর পরেই রাজ্য নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে দিল্লি যাওয়ার কথা জানান শুভেন্দু। রাত ৮ টায় কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বাকিদের সঙ্গেই বিমানে ওঠেন তিনি।

মার্চ ০৩, ২০২১
কলকাতা

কোকেন-সহ গ্রেপ্তার বিজেপি যুব নেত্রী

মাদক-সহ গ্রেপ্তার বিজেপি যুব মোর্চা নেত্রী পামেলা গোস্বামী। নিউ আলিপুর থেকে কয়েক লক্ষ টাকার কোকেন উদ্ধার করা হয়েছে তাঁর থেকে। গ্রেপ্তার হয়েছেন তাঁর সঙ্গী প্রবীর দে-ও। জানা গিয়েছে, শুক্রবার নিউ আলিপুরে নিজের আবাসনের কাছে গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য পামেলা যান। সেখানেই তাঁকে হাতেনাতে ধরা হয়। নিউ আলিপুর থানার পুলিশ তাঁর গাড়ি থেকে প্রায় ১০০ গ্রাম কোকেনের প্যাকেট পেয়েছেন বলে দাবি পুলিশের।এ নিয়ে এখনও বিজেপির তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।হুগলি জেলা বিজেপি যুব মোর্চার পর্যবেক্ষক পামেলা গোস্বামী। তাঁর বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ ছিলই। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর করছিল। এদিন নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে নিউ আলিপুরের এনআর অ্যাভিনিউ দিয়ে যাওয়ার সময়ে পামেলার গাড়ি ধাওয়া করে জালে আনা হয় বিজেপি যুব নেত্রীকে। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রায় ৮ টি গাড়ি করে তাঁকে চারপাশ থেকে ঘিরে ধরা হয়। এরপর আর বিজেপি নেত্রীর পালানোর পথ ছিল না। পামেলাকে যিনি মাদক সরবরাহ করতেন, সেই প্রবীর দে-ও বিজেপি নেতা বলে পরিচিত। শুক্রবার দুপুরের রাস্তায় গাড়ি ধাওয়া করে পামেলাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তল্লাশির সময়ে নেত্রী পামেলার হাতব্যাগ, গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় কোকেন।পুলিশ সূত্রে খবর, লক্ষ লক্ষ টাকার কোকেন-সহ অন্যান্য মাদক পাচারের নাম জড়াচ্ছিল বিজেপি যুব নেত্রীর। চুপিসাড়েই কুকীর্তি চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। খাস কলকাতায় বসেই তিনি দিব্যি পাচার করছিলেন। সঙ্গী বিজেপি নেতা প্রবীর দে তাঁকে মাদক সরবরাহ করতেন বলে খবর। তবে শেষরক্ষা আর হল না।

ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২১
কলকাতা

শুধুই সৌজন্য সাক্ষাৎ?

বিজেপি নেতা অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় মঙ্গলবার সাক্ষাৎ করেন অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তাঁর হাতে তুলে দেন নিজের লেখা বই অমিত শাহ অ্যান্ড দ্য মার্চ অফ বিজেপি। জানা গিয়েছে দুজনের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলে কথপোকথন। এটি নিছকই সৌজন্য সাক্ষাৎ, না কি এর পিছনে অন্য কোনও রাজনৈতিক গল্প রয়েছে সেটি অবশ্য সময়ই বলবে। উল্লেখ্য, এদিনই সকালে মুম্বইয়ে মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তীর বাড়িতে দেখা করতে যান সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভগবৎ। যদিও এটি সম্পুর্ণ সৌজন্য সাক্ষাৎ বলা হচ্ছে, কিন্তু বঙ্গে বিধানসভা ভোটের আগে বাংলার অন্যতম আইকনের বাড়িতে আরএসএস প্রধানের যাওয়াকে শুধুই সৌজন্য সাক্ষাৎ বলে মানতে চাইছে না রাজনৈতিক মহল। তেমনই প্রসেনজিৎ-এর বাড়িতে বিজেপি নেতার এই আগমণ শুধুই সৌজন্য সাক্ষাৎ নয় বলেও মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২১
কলকাতা

মণীশ খুনে গ্রেপ্তার শার্পশুটার

অবশেষে পুলিশের জালে বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লা খুনে অভিযুক্ত শার্প শুটার অনীশ ঠাকুর। তামিলনাড়ুতে একটি ডাকাতি ঘটনায় তাঁকে আটক করে সে রাজ্যের পুলিশ। লালবাজার সূত্রে খবর, অনীশকে রাজ্যে আনতে সিআইডি টিম যাচ্ছে।সূত্রের খবর, মণীশ শুক্লাকে হত্যার পর দেশের দক্ষিণের রাজ্যগুলোতে গা ঢাকা দীয়েছিল অনীশ। শেষমেশ তামিলনাড়ুতে দুষ্কৃতীদের একটি গ্যাংয়ে শামিল হয়ে যায় সে। সেখানেই একটি ডাকাতির চেষ্টা চালায় ওই সমাজবিরোধীরা। কিন্তু এবার আর ভাগ্য সঙ্গ দেয়নি অনীশের। পুলিশের জালে ধরা পড়ে সে। পরিচয় যাচাই করে তামিলনাড়ু পুলিশ জানতে পারে যে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি নেতা খুনের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত অনীশ। তারপরই বিষয়টি জানানো হয় লালবাজারকে। ধৃতকে ট্রানজিট রিমান্ডে রাজ্যে আনতে কলকাতা থেকে আজই সিআইডি টিম তামিলনাড়ু যাচ্ছে বলে খবর।

ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২১
রাজ্য

শালিমারে গুলি করে খুন করা হল তৃণমূলের যুব নেতাকে

আবারও প্রকাশ্যে গুলি করে খুনের ঘটনা ঘটল হাওড়ায়। এই নিয়ে তৃতীয় বার এমন ঘটনার স্বাক্ষী থাকল হাওড়া। হাওড়ার বোটানিক্যাল থানা এলাকার বাসিন্দা, পেশায় প্রমোটার ধর্মেন্দ্র সিং(৪৫) কে পেছন থেকে বাইকে করে এসে গুলি চালিয়ে খুন করে দূষ্কৃতিরা। মঙ্গলবার বিকেল চারটে নাগাদ এই ঘটনা ঘটে শালিমার ৩নম্বর গেটের কাছে। এই ঘটনার পেছনে চক্রান্তের অভিযোগ তুলছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। একের পর এক প্রকাশ্যে খুনের ঘটনা ঘটেছে হাওড়ায়। মঙ্গলবার বিকেলে সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি ঘটল শালিমারে। স্থানীয় ও পুলিশসূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন বিকেল চারটে নাগাদ ধর্মেন্দ্র সিং বাইক চালিয়ে বাড়ি যাচ্ছিলেন, পেছনে ছিলেন এক সঙ্গী যুবক। শালিমার ৩নম্বর গেটের কাছে ব্রীজে ওঠার সময়ে পেছন থেকে তিনটি বাইক নিয়ে দূষ্কৃতিরা এসে তাঁকে লক্ষ করে পর পর ছটি গুলি চালায়। রক্তাক্ত অবস্থায় সেখানেই মাটিতে পড়ে যান ধর্মেন্দ্র, হাতে গুলি লাগে তাঁর সঙ্গীর। দ্রুত গতিতে বাইক চালিয়ে চম্পট দেয় দূষ্কৃতিরা। স্থানীয়রা তাঁকে তুলে নিয়ে আন্দুল রোডের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে পরে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। স্থানীয়সুত্রে জানা গিয়েছে শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলির ক্ষত হওয়ার পাশাপাশি মাথাও গুলি লাগে ধর্মেন্দ্রের। এই ঘটনার জেরে এলাকায় থাকা তিনটি বাইকে আগুন লাগিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। ভাঙচুর চালানো হয় কয়েকটি দোকানে। ভাঙচুরের হাত থেকে বাদ যায়নি বাসও। স্থানীয় বাসিন্দা রঞ্জিত কুমার চৌধুরী জানান, বিকেল চারটে নাগাদ ছটি গুলির শব্দ শুনে ছুটে আসেন তিনি। এসে দেখেন রাস্তায় পড়ে রয়েছেন ধর্মেন্দ্র। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দূষ্কৃতিদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। এই প্রসঙ্গে হাওড়া সদরের তৃণমূলের চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, ধর্মেন্দ্র যুব তৃণমূলের কর্মী ছিলেন। এই ঘটনার পেছনে একটা চক্রান্ত আছে, তারমধ্যে বিরোধী দলের হাতও থাকতে পারে। শালিমার এলাকায় দলের নেতৃত্বও দিতেন ধর্মেন্দ্র।মানুষের সেবামূলক কাজে যুক্ত ছিলেন। তিনি আরও জানান , পুলিশকে বলা হয়েছে দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে। এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির হাওড়া সদর সভাপতি সুরজিৎ সাহা জানান, গত ১৬ আগস্ট বেলিলিয়াস রোডে তৃণমূলেরই একটি রক্তদান শিবিরে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঢুকেছিল এই ধর্মেন্দ্র। তাঁকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। সুরজিৎ আরও বলেন, ওই নেতা এলাকায় তোলাবাজি ও সিন্ডিকেট চালাতো। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলেই ধর্মেন্দ্র সিংয়ের মৃত্যু হয়েছে।

ডিসেম্বর ২৯, ২০২০
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাস খু.নের ঘটনায় ১৩ জন দোষী সাব্যস্ত, রায় মঙ্গলবার

সামসেরগঞ্জের জাফরাবাদ গ্রামে হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাস খু.ন কাণ্ডে ধৃত ১৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করলো জঙ্গিপুর আদালত। চলতি বছর তাঁদের নৃশংস ভাবে খুন করা হয়। এই মামলা রায়দান করা হবে মঙ্গলবার। রায়ের দিকে নজর রয়েছে সাধারণ মানুষের।দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গিপুর আদালতে এই মামলার শুনানি চলে। ফরেনসিক রিপোর্ট, একাধিক সাক্ষী, পুলিশি তদন্ত রিপোর্ট এবং অন্যান্য তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীন আদালতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য উঠে আসে। যার ফলে মামলা গুরুত্বপূণ মোড় নেয়। চলতি বছরের ১২ ই এপ্রিল সামসেরগঞ্জের জাফরাবাদ গ্রামে খুন করা হয় হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাসকে। সেই সময় হিংত্মাক আন্দোলন চলছিল ওই মুর্শিদাবাদের এই এলাকায়। দীর্ঘ শুনানির পর অবশেষে জঙ্গিপুর আদালতে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে ১৩ জনকে। এদিন রায় ঘোষণা ও দোষী সাব্যস্ত করার ঘটনায় ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজনীতি

হুমায়ুন কবীরের নতুন দল ‘জেইপি’, মঞ্চ থেকেই একের পর এক হুঁশিয়ারি, ব্রিগেডে জনসভা জানুয়ারিতে

মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা খাগারুপাড়া মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করল হুমায়ুন কবীরের নতুন রাজনৈতিক দল জে ইউ পি (JUP)। দল গঠনের সঙ্গে সঙ্গেই সভাপতি হিসেবে নিজের নাম ঘোষণা করেন হুমায়ুন কবীর। সভার মঞ্চ থেকেই আগামী বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে একের পর এক বড় রাজনৈতিক ঘোষণা করেন তিনি।হুমায়ুন কবীর জানান, জেইউপি দলের হয়ে তিনি বেলডাঙা ও রেজিনগর, এই দুই বিধানসভা কেন্দ্রেই প্রার্থী হবেন এবং ৩০ হাজার ভোটে দুটি আসনেই জয়লাভ করবেন। পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ জেলার আরও ছয়টি বিধানসভা আসনে দলের প্রার্থী ঘোষণা করেন তিনি।সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি আক্রমণ করে হুমায়ুন কবীর বলেন, আপনি সাড়ে সাত লক্ষ কোটি টাকার ঋণের বোঝা বাংলার মানুষের মাথায় চাপিয়েছেন। এর জবাব ২০২৬ সালে বাংলার মানুষ দেবে।কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ব্রিগেডে সভা করব। ফিরহাদ হাকিম বেশি বাড়াবাড়ি করলে ব্রিগেড থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ নিয়ে মেয়র অফিস ঘেরাও করা হবে।সভায় উপস্থিত কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে হুমায়ুন কবীর বলেন, আজ যারা এখানে এসেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে যদি মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়, জেলায় হলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ডেপুটেশন, জেলার বাইরে হলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে থানার ইট খুলে নেব।তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করে হুমায়ুন কবীর ঘোষণা করেন, মুর্শিদাবাদ থেকে তৃণমূলকে নিশ্চিহ্ন করে দেব।একই সঙ্গে বিজেপিকেও সতর্ক করে তিনি বলেন, বিধানসভা থেকে মুসলিম বিধায়কদের চ্যাদোলা করে বাইরে ফেলবে, এমন স্বপ্ন দেখবেন না। বিরোধী দলনেতাকেও আক্রমণ করে বলেন, ২০০টি আসনে প্রার্থী দিলে ১০০টি আসন জিতব, তার মধ্যে ২০ জন হিন্দু বিধায়ক থাকবেন।মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হুমায়ুন কবীর বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যদি আপনার সৎ সাহস থাকে, তাহলে আপনার প্রিয় চ্যানেলে বসুন, আমার মুখোমুখি। সেদিন বাংলার মানুষ দেখবে আপনার মিথ্যাচার।সভা শেষে তিনি আগামী দিনের কর্মসূচিও ঘোষণা করেন৪ জানুয়ারি: ডোমকল জনকল্যাণ মাঠে জনসভা৫ জানুয়ারি: হরিহরপাড়া এলাকার একটি মাঠে জনসভাএদিনের সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে বহু কর্মী-সমর্থক জে ইউ পি দলে যোগদান করেন, যা দলটির ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের ইঙ্গিত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজ্য

ভোটের আগে তৃণমূলে বড় ধাক্কা, আজ নতুন দল ঘোষণা হুমায়ুন কবিরের

বঙ্গ রাজ্য রাজনীতিতে আজ, সোমবার নয়া জল্পনা ও চমক। সাসপেন্ড তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর আগামিকাল মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গায় আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা করতে চলেছেন। বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে তাঁর এই পদক্ষেপ ঘিরে জেলা ও রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়েছে তীব্র আলোচনা।জানা গিয়েছে, বেলডাঙ্গায় আয়োজিত ওই জনসভা থেকেই নতুন দলের নাম, প্রতীক ও রাজনৈতিক রূপরেখা প্রকাশ করবেন হুমায়ুন কবির। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বের সঙ্গে মতবিরোধে জড়িয়েছিলেন। দলবিরোধী মন্তব্য ও কার্যকলাপের অভিযোগে তাঁকে দল সাসপেন্ড করে। সেই ঘটনার পর থেকেই আলাদা রাজনৈতিক পথ নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে আসছিলেন তিনি। পাশাপাশি নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা করবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছিলেন হুমায়ুন।হুমায়ুন কবিরের নতুন দলে কারা কারা যোগ দেবেন, তৃণমূল বা অন্য দল থেকে কোনও পরিচিত মুখ তাঁর সঙ্গে থাকবেন কি না, এই প্রশ্নগুলো ঘিরেই রাজনৈতিক মহলে কৌতূহল তুঙ্গে। বিশেষ করে মুর্শিদাবাদ জেলার রাজনীতিতে তাঁর প্রভাব বিবেচনা করলে, এই নতুন দলের আত্মপ্রকাশ স্থানীয় রাজনৈতিক সমীকরণে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্ব বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য না করলেও পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে বিজেপি ও অন্যান্য বিরোধী দলও হুমায়ুন কবিরের ঘোষণার দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখছে।গত ৬ ডিসেম্বর হুমায়ুন বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করেছেন। তারপর থেকে নতুন দল গঠনের জন্য প্রস্তুতি বৈঠকও সেরেছেন। ভোটের আগে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ কতটা প্রভাব ফেলতে পারে, তা অনেকটাই নির্ভর করবে হুমায়ুন কবিরের সংগঠিনক শক্তি ও জনসমর্থনের উপর। আগামিকালের বেলডাঙ্গার সভা থেকেই স্পষ্ট হবে, এই নতুন দল রাজ্য রাজনীতিতে কতটা তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। তবে বঙ্গ রাজনীতিতে ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনে নবাবের মুর্শিদাবাদ যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে তাঁর ঈঙ্গত রয়েছে।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজ্য

নরেন্দ্র মোদীর পর এবার রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ, ৩০ ডিসেম্বর বৈঠক করবেন নেতৃত্বের সঙ্গে

একদিন আগেই রাজ্যে এসেছিলেন বিজেপির পোস্টারবয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আগামী ৩০ডিসেম্বর বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে তিনি বৈঠক করবেন। ওই বৈঠকে আগামী ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের কৌশল রচনা করবেন। তারপর সাংবাদিক বৈঠক করবেন অমিত শাহ। যদিও তাঁর এই বঙ্গসফরকে পাত্তা দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁদের বক্তব্য, বাংলায় নরেন্দ্র মোদী হোক বা অমিত ষশাহ হোক, এঁরা কেউ এখানে বিজেপির জয় এনে দিতে পারবেন না। আগেও নির্বাচনের আগে বারে বারে এসেছেন এবারও আসবেন। তবে ব্যর্থ হবেন বলেই দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
রাজনীতি

বর্ধমানে পৌঁছল বিহারের ৫৫টি বাইক, উদ্দেশ্য ঘিরে তৃণমূল–বিজেপি সংঘাত তুঙ্গে

রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতির মধ্যেই পূর্ব বর্ধমানে শুরু হয়ে গেল রাজনৈতিক চাপানউতোর। শনিবার বিহারের নম্বর প্লেটযুক্ত ৫৫টি পুরনো মোটরবাইক বর্ধমান জেলা বিজেপি দলীয় অফিসের ঠিকানায় এসে পৌঁছানোকে ঘিরে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বাইকগুলি ট্রেন থেকে নামিয়ে বর্ধমান রেল স্টেশনের ইস্টার্ন রেলওয়ের পার্সেল অফিসের সামনে রাখা হয়।এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাস। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দলের একাধিক নেতা ও কর্মী। বর্ধমান রেল স্টেশনে পার্সেল অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে তৃণমূল। বাইকগুলির মালিকানা, পরিবহণ সংক্রান্ত নথি এবং কেন শুধুমাত্র বিজেপির বর্ধমান জেলা অফিসের ঠিকানায় এই বাইক পাঠানো হয়েছে। তা প্রকাশ্যে আনার দাবি তোলেন বিধায়ক।বিক্ষোভে অংশ নেওয়া তৃণমূল নেতাদের অভিযোগ, বিহারের রাজেন্দ্রনগর থেকে সুনীল গুপ্তা নামের এক ব্যক্তির নামে এই ৫৫টি বাইক পাঠানো হয়েছে। তাঁদের দাবি, বিধানসভা ভোটের আগে পরিকল্পিতভাবেই বাইকগুলি রাজ্যে ঢোকানো হচ্ছে। তৃণমূল নেতৃত্বের আশঙ্কা, আগামী দিনে এই বাইক ব্যবহার করে বাইরের লোকজন বা দুষ্কৃতীদের রাজ্যে ঢোকানোর চেষ্টা হতে পারে। জানা গিয়েছে, এই ৫৫টি নয়, ২৩ জেলা মিলিয়ে প্রায় ৬০০০ মোটর বাইক আসার কথা।বিধায়ক খোকন দাস স্পষ্ট ভাষায় জানান, এতগুলো বাইক বিহার থেকে কী উদ্দেশ্যে বাংলায় আনা হয়েছে, তা পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। ভোটের আগে এই বাইক ব্যবহার করে রাজ্যে অশান্তি ছড়ানোর পরিকল্পনা থাকতে পারে। একই সঙ্গে তিনি রেল ও জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেন। দলের বর্ধমান শহর সভাপতি তন্ময় সিংহ রায়ও বাইকগুলির সম্পূর্ণ তথ্য জনসমক্ষে আনার দাবি জানান। তাঁর বক্তব্য, রেল কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি জেলা ও রাজ্য প্রশাসনকে এই পরিবহণের বিস্তারিত জানাতে হবে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রয়োজনীয় নথি প্রকাশ না হলে বাইকগুলি পার্সেল অফিস থেকে ছাড়তে দেওয়া হবে না।অন্যদিকে, তৃণমূলের সব অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে বিজেপি। জেলা বিজেপি নেতা দেবজ্যোতি সিংহরায় বলেন, কিছুদিন আগেই বিহারে নির্বাচন হয়েছিল। সেই সময় দলীয় কর্মীদের কাজে ব্যবহারের জন্য এই বাইকগুলি ব্যবহার করা হয়েছিল। বিহারের ভোট শেষ হওয়ায় সেগুলি এখন পশ্চিমবঙ্গে আনা হয়েছে। তিনি আরও জানান, বর্ধমান জেলা বিজেপি অফিস রাঢ়বঙ্গ জোনের কেন্দ্রীয় অফিস হওয়ায় এখানকার ঠিকানাতেই বাইক পাঠানো হয়েছে। বিজেপির দাবি, প্রতি নির্বাচনের আগেই এভাবেই বাইক আনা হয় এবং বিষয়টি জেনেও তৃণমূল অহেতুক বিতর্ক তৈরি করছে। বাইক বিতর্কে প্রশাসনের ভূমিকা কী হয়, তা নিয়েই এখন রাজনৈতিক মহলে বাড়ছে কৌতূহল।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

এশিয়া কাপ ফাইনালে স্বপ্নভঙ্গ, দুবাইয়ে পাকিস্তানের কাছে লজ্জার হার ভারতের

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়ল ভারত। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৩৪৮ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আয়ুষ মাত্রের দল গুটিয়ে গেল মাত্র ১৫৬ রানে। ফলে ১৯১ রানের বড় ব্যবধানে হার স্বীকার করেই শিরোপা হাতছাড়া করতে হল টিম ইন্ডিয়াকে।টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। কিন্তু শুরু থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় পাকিস্তান। দলের হয়ে বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন সামির মিনহাস। মাত্র এক ইনিংসেই তিনি করে ফেলেন ১৭২ রান। উসমান খানের সঙ্গে ৯২ রানের এবং আহমেদ হুসেনের সঙ্গে ১৩৭ রানের দুটি বড় জুটিতে ভর করে দ্রুত ৩০০ রানের গণ্ডি পেরিয়ে যায় পাকিস্তান।বিশেষজ্ঞদের মতে, একসময় পাকিস্তানের ইনিংস ২৭০২৮০ রানের মধ্যেই থামতে পারত। কিন্তু মিনহাসের ব্যাটে ভর করেই ৪৩ ওভারের মধ্যেই ৩০০ ছুঁয়ে ফেলে তারা। পরে তাঁর আউট হওয়ার পর পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ে ধস নামে। ৩০২/৩ থেকে ৩২৭/৮ মাত্র ২৫ রানের মধ্যে পাঁচ উইকেট হারালেও ততক্ষণে ম্যাচ কার্যত একপেশে হয়ে গিয়েছিল।লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ভারতীয় ব্যাটিং সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ে। বৈভব সূর্যবংশী, আয়ুষ মাত্রে, অভিজ্ঞান কুণ্ডুর মতো পরিচিত নাম থাকলেও কেউই দায়িত্ব নিতে পারেননি। আশ্চর্যজনকভাবে দলের সর্বোচ্চ রান আসে ১০ নম্বর ব্যাটার দীপেশ দেবেন্দ্রনের ব্যাট থেকে। তিনি মাত্র ১৬ বলে ৩৬ রান করে লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিলেও তা যথেষ্ট ছিল না।এই হার যেন সাম্প্রতিক সিনিয়র দলের বিশ্বকাপ ফাইনালের স্মৃতি ফিরিয়ে আনল। সেবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে, এবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মঞ্চ ফাইনাল, ফলাফলও প্রায় একই রকম হতাশাজনক।উল্লেখযোগ্যভাবে, ফাইনালে ওঠার আগে টুর্নামেন্টে একমাত্র অপরাজিত দল ছিল ভারত অনূর্ধ্ব-১৯। গ্রুপ পর্বে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, মালয়েশিয়া ও পাকিস্তানকে হারিয়েছিল তারা। অন্যদিকে পাকিস্তান গ্রুপে ভারতের কাছেই একমাত্র হেরেছিল। কিন্তু ফাইনালের মঞ্চে সম্পূর্ণ ভিন্ন রূপে ধরা দেয় তারা। শেষ পর্যন্ত দুবাইয়ে দাপটের সঙ্গে জয় ছিনিয়ে নিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ নিজেদের ঝুলিতে ভরল পাকিস্তান। আর ফাইনালে বারবার হোঁচট খাওয়ার প্রবণতা নিয়ে বড় প্রশ্নচিহ্ন থেকে গেল ভারতীয় যুব দলের সামনে।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
বিদেশ

প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারে হামলার পরও অকুতোভয় কর্তৃপক্ষ, সন্ত্রাসের নিন্দার ঝড় বিশ্বের সর্বত্র

বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠল ঢাকায় প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের অফিসে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে। দেশের দুটি প্রথম সারির সংবাদপত্রের দফতরে এই হামলার অভিযোগ সামনে আসতেই তীব্র প্রতিক্রিয়া ছড়িয়েছে সাংবাদিক মহল, নাগরিক সমাজ এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলির মধ্যে। বাংলাদেশ ছাড়িয়ে নিন্দার ঝড় বয়েছে অন্যত্র।ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর বাংলাদেশে আসার পর থেকেই উত্তাল হয়ে ওঠে দেশ। পরবর্তীতে হিংসা ছড়িয়ে পরে নানা জায়গায়। নৃশংস ভাবে হিন্দু যুবক খুন থেকে সংস্কৃতি সংগঠনের ওপর হামাল। সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের ওপর ক্রমাগত হামলা চলতে থাকে।প্রাথমিক অভিযোগ অনুযায়ী, ঢাকায় অবস্থিত প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের অফিসে একদল দুষ্কৃতী হামলা চালায়। তারা অফিসে ঢুকে ভাঙচুর চালায় এবং কর্মরত সাংবাদিক ও কর্মীদের হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। আগুন লাগিয়ে দেয় এই অফিসদুটিতে। যদিও এই ঘটনায় বড় ধরনের শারীরিক ক্ষতির খবর নেই, তবে আচমকা হামলায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং কিছু সময়ের জন্য সংবাদকর্ম ব্যাহত হয়। সংবাদপত্র প্রকাশনা বন্ধ রাখতে হয়। বৃহস্পতিবার রাতে অনলাইন পোর্টালেও আর খবর আপলোড করা যায়নি।হামলার ঘটনার পরপরই বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন ও সম্পাদকীয় মহল একে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত বলে উল্লেখ করেছে। তাদের বক্তব্য, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা গণতন্ত্রের অন্যতম ভিত্তি, আর সংবাদমাধ্যমকে ভয় দেখিয়ে কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা গভীর উদ্বেগজনক। এই দুই সংবাদপত্র গোষ্ঠীও জানিয়ে দেয় তারা ভয় পায় না। খবর প্রকাশ করতে কোনও পরোয় তারা করবে না। এমনকী দফতরের সামনে মানব বন্ধন কর্মসূচি পালন করে।ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রশাসনের তরফে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারীদের চিহ্নিত করতে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের অফিসে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।এই ঘটনার পর প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের পক্ষ থেকে পৃথক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হুমকি বা হামলার মাধ্যমে সত্য প্রকাশ থামানো যাবে না। তারা দ্রুত, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে প্রশাসনের কাছে।আন্তর্জাতিক স্তরেও এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সাংবাদিক সংগঠন ও মানবাধিকার সংস্থা বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এবং মুক্ত সাংবাদিকতার পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে। প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের অফিসে হামলার ঘটনা শুধু দুটি সংবাদপত্রের ওপর আঘাত নয়, বরং বাংলাদেশের সামগ্রিক গণতান্ত্রিক পরিবেশ ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ভবিষ্যৎ নিয়েই বড় প্রশ্ন তুলে দিল। এখন দেখার, প্রশাসনিক পদক্ষেপ কতটা দ্রুত ও কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হয়।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

লাইভ মঞ্চে লগ্নজিতা চক্রবর্তীকে হেনস্থার অভিযোগ, গ্রেপ্তার অভিযুক্ত, ওসির ভূমিকা নিয়েও তদন্ত

লাইভ পারফরম্যান্স চলাকালীন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী লগ্নজিতা চক্রবর্তীকে হেনস্থার অভিযোগে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি ও সাংস্কৃতিক মহল। পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরে একটি বেসরকারি স্কুলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করতে গিয়ে এই ঘটনার মুখে পড়েন তিনি। ঘটনার পর পুলিশ অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে, যার নাম তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে জড়িয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সন্ধ্যায় ভগবানপুরের একটি বেসরকারি স্কুল প্রাঙ্গণে। অভিযোগ অনুযায়ী, লগ্নজিতা চক্রবর্তী যখন জাগো মা গানটি পরিবেশন করছিলেন, তখন অনুষ্ঠানের প্রধান উদ্যোক্তা ও ওই স্কুলের মালিক মেহবুব মল্লিক আচমকাই মঞ্চে উঠে আসেন। শিল্পীর অভিযোগ, তিনি গালিগালাজ করেন এবং চিৎকার করে বলেন, অনেক হয়েছে জাগো মা, এবার কিছু সেকুলার গান গাও। পাশাপাশি মারধরের হুমকি ও শারীরিকভাবে আক্রমণের চেষ্টাও করা হয় বলে অভিযোগ।পরিস্থিতি দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে উঠলে অনুষ্ঠান কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। পরে লগ্নজিতা চক্রবর্তী ভগবানপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তিনি জানান, প্রথমে থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আসার পর মামলা রুজু হয় এবং অভিযুক্ত মেহবুব মল্লিককে গ্রেপ্তার করা হয়।পূর্ব মেদিনীপুরের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মিতুন দে জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে ভগবানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক এবং আরও এক পুলিশকর্মীর ভূমিকা নিয়েও বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের গাফিলতির প্রমাণ মিললে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তরজাও তীব্র হয়েছে। বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য। বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পাণ্ডা অভিযোগ করেন, একজন শিল্পী কি গান গাইবেন, সেটাও শাসক দলের লোক ঠিক করে দিচ্ছে। এটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত। তিনি আরও দাবি করেন, পুলিশ প্রথমে অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেছিল। যদিও এই ঘটনার বিষয়ে এখনও পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।লাইভ মঞ্চে একজন শিল্পীর গান বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিয়ে ওঠা এই প্রশ্ন এখন আর শুধু ব্যক্তিগত অভিযোগে সীমাবদ্ধ নয়। সাংস্কৃতিক পরিসরে মতপ্রকাশের অধিকার, প্রশাসনের নিরপেক্ষতা এবং রাজনৈতিক প্রভাব সব মিলিয়ে এই ঘটনা রাজ্যজুড়ে বড় বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal